Tag: Trinamool Congress

Trinamool Congress

  • Arjun Singh: ভেস্তে গেল অর্জুন-সোমনাথ সমঝোতা বৈঠক, জিইয়ে রইল তৃণমূলের কোন্দল

    Arjun Singh: ভেস্তে গেল অর্জুন-সোমনাথ সমঝোতা বৈঠক, জিইয়ে রইল তৃণমূলের কোন্দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে অর্জুন-সোমনাথ দ্বৈরথ চলছেই। লোকসভা ভোটের আগে দলের ভাবমূর্তি ঠিক করতে হস্তক্ষেপ করেছিলেন রাজ্য নেতৃত্ব। তৃণমূলের রাজ্য নেতা সুব্রত বক্সির উপস্থিতিতে অর্জুন সিং-এর সঙ্গে সোমনাথ শ্যামের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো নৈহাটিতে সমস্ত রকম প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, বাস্তবে সেই বৈঠকে গড় হাজির ছিলেন সোমনাথ শ্যাম। ফলে, অর্জুন (Arjun Singh)-সোমনাথ মীমাংসা বৈঠক ভেস্তে গেল। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।

    সোমনাথ ইস্যুতে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন অর্জুন! (Arjun Singh)

    বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে সোমনাথের সঙ্গে অর্জুন সিং এর দ্বন্দ্ব নতুন নয়। তবে, তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনের ঘটনার পর অর্জুন (Arjun Singh) ভাইপো পাপ্পু সিং গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই সাংসদ-বিধায়কের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে। দুজনেই একে অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলেন। এমনকী দুপক্ষের অনুগামীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। অর্জুন অনুগামীরা প্রকাশ্যে সোমনাথ শ্যামের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। যা নিয়ে আখেরে দলের মুখ পুড়েছে। জেলা নেতৃত্ব এই সমস্যার সমাধান করতে না পারার কারণে হস্তক্ষেপ করে রাজ্য নেতৃত্ব। সুব্রত বক্সি নিজে উদ্যোগী হন। সোমনাথ ইস্যুতে অর্জুনকে চুপ থাকতে নির্দেশ দেন। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে সোমনাথের বিরুদ্ধে অর্জুন আর কোনও কথা বলেননি। ঠিক ছিল, নৈহাটি উৎসব উপলক্ষ্যে সুব্রত বক্সি এসে সোমনাথ শ্যাম এবং অর্জুন সিং কে নিয়ে একসঙ্গে বসে বৈঠক করবেন। গত কয়েকদিন ধরে তা নিয়ে জল্পনা চলছিল।

    সোমনাথ গড়হাজির থাকায় ভেস্তে যায় সমঝোতা বৈঠক

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে সুব্রত বক্সি কলকাতা থেকে নৈহাটি যাওয়ার সময় ভাটপাড়া থেকে অর্জুন সিং (Arjun Singh) কে গাড়িতে তুলে নেন। এরপর ৪টা ২০ মিনিট নাগাদ সোজা চলে যান নৈহাটি পুরসভায়। সেখানে স্থানীয় বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের ঘরে ৫টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। সেখানে পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়, সনৎ দে উপস্থিত ছিলেন। সোমনাথ শ্যামের বৈঠকে আসার কথা থাকলেও তিনি গড় হাজির ছিলেন। প্রায় এক ঘন্টা অপেক্ষা করার পর সুব্রতবাবু অর্জুনকে নিয়ে নৈহাটি উৎসবে চলে যান। সেখানে সুব্রত বক্সি ও অর্জুন সিং কে সংবর্ধনা দেয়া হয়। ততক্ষণে পার্থ ভৌমিক অনুষ্ঠানে হাজির হন।  সুব্রত বক্সির পাশাপাশি অর্জুন সিং বক্তব্য রাখেন। নৈহাটি উৎসবের দীর্ঘায়ু কামনা করেন তিনি।

    বৈঠক নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    অর্জুন-সোমনাথের বৈঠকের বিষয়ে সুব্রত বাবুকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, বৈঠকের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। অর্জুন সিং বলেন, দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে এ বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। জগদ্দল এর বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, আমাকে বৈঠকের ব্যাপারে কোনও কিছু ডাকা হয়নি। ফলে বৈঠকের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: নাম না করে অভিষেককে ‘দুর্নীতির মাস্টারমশাই’ বলে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: নাম না করে অভিষেককে ‘দুর্নীতির মাস্টারমশাই’ বলে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যা শহর আগামীদিনে গোটা বিশ্বের এক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে চলেছে। শনিবার বালুরঘাটে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, ঢেলে সাজানো হচ্ছে অযোধ্যা শহরকে। আগামী কয়েকবছরের মধ্যে অযোধ্যায় ফাইভ স্টার হোটেলে পরিণত হবে।

    আবাস যোজনার বাড়ি পেলেন তৃণমূল নেতা, তোপ সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    টাকি পুরসভা তরফ থেকে সরকারি সম্পত্তি নামমাত্র টাকায় লিজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনা নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, এখন পশ্চিমবঙ্গে নিলাম চলছে, সেল চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্যকে বিক্রি করা হচ্ছে। যে যেভাবে পারছে লুটে নিচ্ছে। টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান মমতা ব্যানার্জির কথা মতো তাই করছে। সব জায়গায় তো চেয়ারম্যানরা তো চোর হচ্ছে। আবাস যোজনা ঘর পেয়েছেন রাজারহাট নিউটাউন শহর তৃণমূল সভাপতি। যা নিয়ে জোর আলোড়ন শুরু হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, আবাসের ঘর পাওয়া তৃণমূল নেতাকে পুরস্কৃত করা উচিত। মুখ্যমন্ত্রী তো অনেক পুরস্কার চালু করেছেন। তাঁকে চোরশ্রী একটা পুরস্কার দেওয়া উচিত। বাংলার মানুষ দেখুক যে তৃণমূলের নেতারা কতটা ভিখারি, কতটা গরিব। তাঁরা পাকা বাড়িতে থেকেও প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার ঘর পাচ্ছে।

    নাম না করে অভিষেককে আক্রমণ করলেন সুকান্ত?

    ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম নিজের নিরাপত্তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন। এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আরাবুলের দাপটে এলাকার মানুষ কাঁপে। সে কি না নিজে ভয় পাচ্ছে। তবে, ভয় পাচ্ছেন মানে সময় খারাপ আসছে। ডায়মন্ড হারবারে স্বাস্থ্য দফতরে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা বিষয়ে সুকান্ত বলেন, এটা নতুন কিছু না। সেখানে তো দুর্নীতির মাস্টারমশায় (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) বসে আছে, তিনি সব শেখাচ্ছেন। এখন সব হাতে খড়ি হচ্ছে। এখন ভুয়ো নিয়োগপত্র দিচ্ছে। এরপর হয়তো গরু পাচারের ট্রেনিং হবে, কয়লা পাচারের ট্রেনিং হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘বিজেপি বঙ্গবাসীকে দেবে আয়ুষ্মান ভারত’, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘বিজেপি বঙ্গবাসীকে দেবে আয়ুষ্মান ভারত’, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রায় সমস্ত রাজ্যে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প চালু হলেও বাংলায় তা চালু করেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বহু বিতর্ক হয়েছে। এবার বিরোধী  দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি করলেন, ‘বিজেপি বাংলাকে দেবে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা।’ শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূলকে তুলোধনা করেছেন শুভেন্দু।

    ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প নিয়ে কী বললেন শুভেন্দ? (Suvendu Adhikari)

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘গরম পড়লেই মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো লন্ডন চলে যান। কোথা থেকে টাকা আসে? ভাইপো বিদেশ গিয়ে চোখের চিকিৎসা করান। সরকারি হাসপাতালে যান না। এই পরিবার সারা বাংলাকে শোষণ করেছে। আমাদের কোনও কিছু হলে ভুবনেশ্বরের এইমস হাসপাতালে যেতে হয়। বিজেপিকে ভোট দিন, বাংলায় আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা নিন।’ একমাত্র বিজেপি ক্ষমতায় আসলেই পশ্চিমবঙ্গেও চালু হবে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প। যার মাধ্যমে উপকৃত হবেন কয়েক কোটি দরিদ্র শ্রেণির মানুষ।

    রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে সরব শুভেন্দু

    শুক্রবার রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরির বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত মন্দারমণির দাদনপাত্রবার অঞ্চলে বিজেপির বুথভিত্তিক কর্মীসম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সেখানেই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কথা তুলে ধরে তোপ দাগার পাশাপাশি বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন তিনি। এদিন ১০ হাজারের বেশি কর্মী-সমর্থকের উপস্থিতিতে শুভেন্দু বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন সেমিফাইনাল (পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন) হচ্ছে। সব জায়গাতেই পদ্ম। ইন্ডি জোটের পিন্ডি চটকে দিয়েছে। গ্রামীণ আবাস যোজনা থেকে প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা, সব জায়গায় দুর্নীতি করেছে। রেশনেও দুর্নীতি করেছে। আসল চাল চুরি করে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছে।’ দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে মানুষ আর ভোট দেবে না। কাঁথি লোকসভাতে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হবে।

    ফসল বিমা নিয়ে রাজ্যকে তোপ শুভেন্দুর

    সমুদ্র উপকূল এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের পর কেন্দ্র যে সাহায্য করে, তার সুবিধাও মেদিনীপুরের মানুষ পান না বলে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) অভিযোগ করেন। নন্দীগ্রামের বিধায়ক কটাক্ষ করে বলেন, ‘আমরা ঝড়ে বিপর্যস্ত হই। ধান জমি থেকে সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু, তৃণমূলের দুর্নীতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর ফসল বিমার সুবিধা আমরা পাই না। এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে বাই বাই করতে হবে।’ এদিন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও সরব হন শুভেন্দু। সেইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, পুরসভা নির্বাচনে কাঁথি-সহ সর্বত্র ভোট লুট করা হয়েছিল। শুভেন্দু বলেন, ‘কাঁথিতে কোনও ওয়ার্ডে ভোট হয়নি। সমস্ত ভোট লুট করা হয়েছে। এখন কাঁথিতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গুঁতোগুতি শুরু সি হয়েছে। কাঁথির পুরপ্রধানকে বলা হচ্ছে, পদত্যাগ করতে। কিন্তু, পুরপ্রধান বলছেন, পদত্যাগ করব না।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: লোকসভায় বিজেপির পাখির চোখ ৩৫টি আসন, স্পষ্ট করে দিলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: লোকসভায় বিজেপির পাখির চোখ ৩৫টি আসন, স্পষ্ট করে দিলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর মহকুমার সমস্ত থানা এলাকায় বিজেপি কর্মীদের নামে পুলিশ মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। নানাভাবে বিজেপি কর্মীদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ বিজেপির। এবার সেই পুলিশের বিরুদ্ধে শুক্রবার আন্দোলনে নামল বিজেপি। এদিন বিকেলে বুনিয়াদপুরে গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। যার নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), কিষাণ মোর্চার রাজ্য সভাপতি মহাদেব সরকার, বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্বরা।

    পুলিশকে তুলোধনা সুকান্ত-র (Sukanta Majumdar)

    এদিন বিকেলে বুনিয়াদপুর শহরের ফুটবল ময়দান থেকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। যা গোটা শহর পরিক্রমার পর এসডিপিও অফিসে যায়। সেখানে বিজেপি কর্মীর-সমর্থকরা পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। পরে, কয়েকজনের প্রতিনিধি দল এসডিপিওকে ডেপুটেশন দেন। এদিন এসডিপিও অফিসের পাশেই সভামঞ্চ করা হয়। সেখানেই জেলার পুলিশকে এক হাতে নেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, এসডিপিও অফিসের অধীনে যে সব থানা আছে, সেইসব থানার পুলিশ তৃণমূলের দলদাস হিসেবে কাজ করছে। তৃণমূলের নেতারা কোথায় ওঠাবসা করছেন তা আমাদের জানা রয়েছে। পুলিশ তৃণমূল নেতাদের কথা শুনে আমাদের কর্মীদের মিথ্যে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করছে। পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের ঘর বাড়ি ভাঙা হচ্ছে। এমনকী মহিলাদের শ্লীলতাহানি করছে এই পুলিশ। এসবের বিরুদ্ধে আমাদের বিক্ষোভ। কারণ, পুলিশের ভয় দেখিয়ে তৃণমূল যদি মনে করে আমাদের কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেবে তা কখনও সম্ভব নয়। দলদাসের মতো পুলিশের এই আচরণ বন্ধ করতে হবে।

    লোকসভায় পাখির চোখ ৩৫টি আসন, বললেন সুকান্ত

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লোকসভায় ৩৫টি আসন লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দিয়েছেন, সেটা নিয়ে আমরা এখন থেকে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। তাই, রাজ্যে তৃণমূল একা লড়বে, না কংগ্রেস বা সিপিএমকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল লড়াই করবে, তা নিয়ে আমাদের কোনও মাথা ব্যাথা নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: বেহাল রাস্তা সারানোর দাবি তুলতেই তৃণমূলের রোষানলে, হামলা বিজেপি নেতার বাড়িতে

    Nadia: বেহাল রাস্তা সারানোর দাবি তুলতেই তৃণমূলের রোষানলে, হামলা বিজেপি নেতার বাড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতার বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট থানার রামনগর পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রানাঘাট-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    সূত্রের খবর, নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট থানার রামনগর এক নং গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীতলা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই একটি রাস্তা বেহাল হয়ে রয়েছে। সেই রাস্তা তৈরির দাবি নিয়ে এলাকাবাসীর সই সংগ্রহ করছিলেন এলাকার প্রাক্তন বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য সহ অন্যান্যরা। সেই সময়ই এলাকার বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী তৃণমূল নেতা দেবাশিস দাস ওই বিজেপি নেতাকে প্রথমে ফোনে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে দলবল নিয়ে ওই বিজেপি নেতার বাড়িতে গিয়ে হামলা চালান। হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি নিয়ে এদিন রানাঘাটে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে বিজেপির এই পথ অবরোধ এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি চলে। ঘটনার খবর পেয়ে পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে যায় রানাঘাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বাস পেয়ে অবরোধ ওঠে।

    আক্রান্ত বিজেপি নেতা কী বললেন?

    বিজেপি নেতা অসীম দেবনাথ বলেন,পঞ্চায়েত সদস্য থাকার সময় একটি রাস্তা করতে পারেনি। সেই রাস্তার জন্য এলাকায় গণ স্বাক্ষর করছিলাম। তার জন্য তৃণমূলের লোকজন আমার বাড়িতে চড়াও হয়। আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। আমি চরম আতঙ্কিত বোধ করছি।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যদিও বিজেপির তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্যা সবিতা দাস এবং তাঁর স্বামী দেবাশিস দাস। তৃণমূল নেতা দেবাশিসবাবু বলেন, রাস্তাটি সংস্কার করার বিষয়ে আমরা উদ্যোগী হয়েছি। সেটা জেনে মানুষের সই সংগ্রহ করে নিজের কৃতিত্ব নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন ওই বিজেপি নেতা। দলীয় কর্মীরা আপত্তি করেছেন। তা নিয়ে বচসা হয়। কোনও হামলা করা হয়নি। ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: কাজ করছে না তৃণমূল পঞ্চায়েত! ঘেরাও করে বিক্ষোভ আন্দোলনে বিজেপি

    Durgapur: কাজ করছে না তৃণমূল পঞ্চায়েত! ঘেরাও করে বিক্ষোভ আন্দোলনে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় এক বছর আগে পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। কিন্ত, উন্নয়ন করার বিষয়ে কোনও উদ্যোগই চোখে পড়ছে না। এমনই অভিযোগ তুলে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমার কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। এলাকায় উন্নয়ন করারও দাবি জানানো হয়।

    তৃণমূল বোর্ডের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ? (Durgapur)

    দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমার এই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এলাকার রাস্তাঘাট, নিকাশি, আলো সব কিছু দেখার কথা। কিন্তু, বাস্তবে সেই বিষয়ে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। তাই, দীর্ঘদিন ধরে বেহাল পানাগড়ের অফিসপাড়া থেকে মাধবমাঠ পর্যন্ত নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। পঞ্চায়েতের অধিকাংশ রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। পাশাপাশি পানাগড় বাজারসহ আশেপাশের এলাকার যে সমস্ত হাইমাস্ট আলো লাগানো হয়েছিল, সেই আলোও এখন ঠিকমতো জ্বলে না। ফলে, সন্ধ্যা হলেই এলাকা অন্ধকারে ডুবে থাকে। এলাকায় উন্নয়নের একগুচ্ছ দাবি নিয়ে শুক্রবার সকাল ১১ টা থেকে কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েত ঘেরাও করে সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এদিন যোগ দেন বর্ধমান সদরের বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি রমেন শর্মা, গলসি ৬ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি পরিতোষ বিশ্বাস, কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যরা, বিজেপি নেতা পঙ্কজ জয়সওয়াল সহ অন্যান্যরা। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে অবস্থান করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। পরে, কাঁকসা থানার পুলিশ পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের উঠিয়ে দেয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    গলসি ছয় নম্বর মণ্ডলের সভাপতি পরিতোষ বিশ্বাস বলেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার পর থেকে এলাকায় কোনও উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। একাধিক রাস্তাঘাট বেহাল, বেহাল হয়ে রয়েছে এলাকার একাধিক নিকাশি-নালা। পঞ্চায়েত বোর্ড নাগরিক পরিষেবা উন্নত করার বিষয়ে নজর দিচ্ছে না।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    কাঁকসা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য বলেন, নিকাশি নালা পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে করা সম্ভব নয়। এলাকার মানুষকে সচেতন হতে হবে। তবে, বাকি সব উন্নয়ন পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। ওরা রাজনীতি করার জন্য এসব করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sisir Adhikari: শিশির অধিকারীকে প্রণামের জের! সুবল মান্নাকে সরাতে অনাস্থার অস্ত্রে শান তৃণমূলের

    Sisir Adhikari: শিশির অধিকারীকে প্রণামের জের! সুবল মান্নাকে সরাতে অনাস্থার অস্ত্রে শান তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতা শিশির অধিকারীকে (Sisir Adhikari) প্রণাম করার মাশুল এভাবে দিতে হবে, তা ভাবতে পারছেন না কাঁথি পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুবল মান্না। তাঁকে পদ থেকে সরাতে পুরসভার একটি বড় অংশের কাউন্সিলরদের নিয়ে ইতিমধ্যে বৈঠকও সেরে ফেলেছেন শাসকদলের নেতারা। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Sisir Adhikari)

    কয়েকদিন আগে একটি অনুষ্ঠানে সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) হাজির ছিলেন। সেখান সুবলবাবুও আমন্ত্রিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজনৈতিক সৌজন্যতা দেখিয়ে তিনি সকলের সামনে শিশিরবাবুকে প্রণাম করে রাজনৈতিক ‘গুরু’ করে সম্বোধন করেন। এটা সামনে আসতেই জোর বিতর্ক তৈরি হয়। দলের পক্ষ থেকে প্রথমে তাঁকে শো-কজ করা হয়। পরে, তাঁকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। শুধু তাই নয় ইতিমধ্যেই দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকও করেছেন তিনি। কিন্তু, কোনও নির্দেশই নাকি টলাতে পারছে না সুবলবাবুকে। পদত্যাগ করা তো দূরের কথা, নিয়মিত অফিসে যাচ্ছেন এই তৃণমূল নেতা। তাই এবার কড়া পদক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। সুবলবাবুর স্পষ্ট বক্তব্য, আমি রাজনৈতিক সৌজন্যতা দেখিয়েছি। সেই বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বকে আমি বলেছি।

    অনাস্থার পথে দলীয় কাউন্সিলররা!

    কাঁথি পুরসভায় মোট কাউন্সিলরের সংখ্যা ২১। সুবল মান্নাকে নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলর রয়েছেন ১৭ জন। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পীযূষ পণ্ডা এক জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে ১৬ জন কাউন্সিলর হাজির ছিলেন। রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ শুরু হয় সেই বৈঠক, চলে রাত প্রায় ১১ টা পর্যন্ত। প্রত্যেকেই সুবলের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে সম্মত হয়েছে বলে সূত্রের খবর। শীর্ষ নেতৃত্বের সবুজ সংকেত মিললেই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হতে পারে। ফলে, সুবলকে সরাতে দলের অন্দরে জোর তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ভাঙড়ে জোর করে জমি দখল! অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: ভাঙড়ে জোর করে জমি দখল! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোর পূর্বক জমি দখল করে সেই জমিতে বিল্ডিং তৈরি করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এমনই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনারে (South 24 Parganas) ভাঙড়ের লেদার কমপ্লেক্স থানার হাতিশালা এলাকায়। আর শাসক দল হওয়ায় কেউ এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)  

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভাঙড়ের হাতিশালা দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা সমীর ঘোষ। তিনি বলেন, ১৯৫৪ সালে আমি জমি কিনেছিলাম। সেই জমি আমাদের দখলেই রয়েছে। কিন্তু, সেই জমি জোর করে দখল করে নেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল নেতা রশিদ মোল্লা, রিন্টু মোল্লা ও ছুন্নত মোল্লা সহ তাঁর  দলবল জোর করে জমি দখল করে সেই জমিতে বিল্ডিং তৈরি করার কাজ করছেন। জানা গিয়েছে, এই রশিদ মোল্লা হচ্ছেন ভাঙড় দু নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ তুহিনা বিবির স্বামী। এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা তিনি। তাঁর নেতৃত্বের জোর করে জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে। কাজ বন্ধ করার জন্য নিষেধ করলেও তা উপেক্ষা করে কাজ করছেন। এ বিষয়ে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদ সদস্য হাকিমূল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। যদি এরকম ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দল এই ধরনের ঘটনাকে সমর্থন করে না।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি নেতা বিকাশ সর্দার বলেন, তৃণমূল নিজেদের ক্ষমতা দেখাচ্ছে। তৃণমূলের অত্যাচারে নিজের জমিও রাখতে পারছে না। এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। রাজ্যজুড়ে এসব চলছে। এই ধরনের ঘটনা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে জমি হাঙরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coochbehar: ভোট চাইতে এলে বিজেপি কর্মীদের বেঁধে রাখার ফরমান দিয়ে বিতর্কে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ

    Coochbehar: ভোট চাইতে এলে বিজেপি কর্মীদের বেঁধে রাখার ফরমান দিয়ে বিতর্কে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট যত এগিয়ে আসছে, লজ্জা-শরমের মাথা খেয়ে তৃণমূল নেতারা ততই যেন বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রতি অশালীন আক্রমণ এবং কদর্য ভাষা ব্যবহারে একজন যেন অন্যজনকে টেক্কা দেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। বিরোধীরা অবশ্য এর মধ্যে অবাক করার মতো কিছু দেখছেন না। তাঁরা বলছেন, যেখানে দলের নেত্রীর মুখে আগল নেই, সেখানে অন্য নেতারা যে তাঁরই পথ অনুসরণ করবেন, তা নিয়ে আর বলার কী আছে। তালিকায় এবারের সংযোজন হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি তথা কোচবিহার (Coochbehar) পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বিজেপির কর্মীরা যদি বাড়িতে ভোট চাইতে যায় তাহলে তাঁদের বেঁধে রাখার ফরমান জারি করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, বিজেপির দুই শীর্ষ নেতা অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডাকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করতেও ছাড়েননি। তৃণমূল নেতার এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।

    কী বললেন তিনি? (Coochbehar)

    সামনেই ভোট। তাই তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলায় কর্মিসভার আয়োজন করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সেরকমই এক কর্মিসভা ছিল তুফানগঞ্জ বিধানসভার শালবাড়ি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের শালবাড়ি হাইস্কুল ময়দানে। সেখানেই ভাষণ দিতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (Coochbehar) বলেন, “বাংলায় কয়েকদিন আগে দুজন এসেছিলেন। একজন কার্তিক ঠাকুরের মতো দেখতে, আর একজন মোটা ভাই অমিত শাহ। মাশান ঠাকুরের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদের লোকেরা যদি বাড়িতে ভোট চাইতে যায়, তাহলে বেঁধে রাখবেন এবং জিজ্ঞাসা করবেন ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন আটকে দেওয়া হয়েছে।” কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর সাফ কথা, আগে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া হোক তারপর ভোটের কথা।

    কী বলছে বিজেপি? (Coochbehar)

    তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যের সরাসরি জবাব দিয়েছে বিজেপি। দলের তুফানগঞ্জ বিধানসভার (Coochbehar) কনভেনার বিমল পাল বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের তো দুর্নীতির শেষ নেই। গরু চুরি, কয়লা চুরি, ১০০ দিনের টাকা চুরি থেকে শুরু করে আরও কত কী। ওরা এত দুর্নীতি করেছে যে ওদেরই সাধারণ মানুষ বেঁধে রাখবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Panihati: নির্মল ঘোষের পানিহাটি উৎসবে মহিলা পুলিশকর্মীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীরা অধরা

    Panihati: নির্মল ঘোষের পানিহাটি উৎসবে মহিলা পুলিশকর্মীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীরা অধরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো কিংবা উৎসবে ভিড়ের মধ্যে শ্লীলতাহানি বা কোনও অপরাধ রুখতে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের উদ্যোগে বিশেষ বাহিনী তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মীরা তো রয়েইছে। এসবের পরও এক মহিলা পুলিশ কনস্টেবলের শ্লীলতাহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে পানিহাটিতে (Panihati)। তিনি বর্তমানে রাজ্য পুলিশের র‍্যাফে কর্মরত রয়েছেন। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতা পুলিশকর্মী খড়দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু, ঘটনা ঘটার পর প্রায় এক সপ্তাহ হতে চলল, পুলিশ অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Panihati)

    গত ২৩ ডিসেম্বর পানিহাটি (Panihati) উৎসবে ডিউটিতে গিয়েছিলেন ওই পুলিশকর্মী। গায়ে উর্দি পরেছিলেন তিনি। ঘড়িতে তখন রাত আনুমানিক দশটা থেকে সাড়ে দশটা। অভিযোগ, সেই সময় একদল মদ্যপ যুবক র‍্যাফের ওই মহিলা কর্মীর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। অভিযুক্তরা স্থানীয় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। ওই মহিলা পুলিশকর্মীর শ্লীলতাহানিও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের কাছে মহিলা পুলিশকর্মী বলেছিলেন, আমাকে সেখানে গালিগালাজ করা হয়েছিল। এমনকী ধাক্কাধাক্কির সময় অভব্য আচরণও করা ও হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল, যে সেখানে কর্তব্যরত অন্যান্য পুলিশ অফিসাররা এসে আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করেছিলেন। এরপরই খড়দা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানাই।

    বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সরব হয়েছেন

    এই বিষয় নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার স্যোশাল মিডিয়ায় মহিলার অভিযোগপত্র তুলে ধরে লিখেছেন, বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ পরিচালিত পানিহাটি (Panihati) উৎসবে তৃণমূলের এক কাউন্সিলরের নেতৃত্বে এক মহিলা পুলিশকর্মীকে হুমকি, গালিগালাজ ও শ্লীলতাহানি করা হয়। ৬দিন হতে চলল পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। রাজ্যে নারী সুরক্ষার হাল এতটাই খারাপ যে সাধারণ মহিলা তো বটেই , কর্তব্যরত মহিলা পুলিশও ছাড় পান না তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাত থেকে।

    অভিযোগে কী লিখেছেন মহিলা পুলিশ কর্মী?

    অভিযোগপত্রে মহিলা পুলিশকর্মী কাউকে চিনতে না পারার কারণে, কারও নাম উল্লেখ করেননি। এফআইআর-ও দায়ের করা হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ থেকে শুরু করে সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা, কর্তব্যরত সরকারি কর্মীর উপর চড়াও হওয়া-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছে খড়দা থানার পুলিশ। এই ঘটনায় আতঙ্কিত সাধারণ মহিলারা। তাঁদের বক্তব্য, পুলিশ কর্মী সুরক্ষিত না হলে সাধারণ মহিলাদের নিরাপত্তা কে দেবে?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share