Tag: Tripura

Tripura

  • Tripura News: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    Tripura News: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবারই ত্রিপুরাতে (Tripura News) ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন ৮,৫৩৪ কোটি টাকার প্রকল্পের। এর পাশাপাশি তিনি উদ্বোধন করেন ত্রিপুরার দ্বিতীয় ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টের যেটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত। সরকারি কর্মসূচিতে এদিন প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালভাবেই এই প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেন ত্রিপুরাবাসীর জন্য।

    একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী

    দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় এদিন প্রধানমন্ত্রী ১ লাখ ৪৬ হাজার বাড়িতে জলের লাইন পৌঁছে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছ ৭৩২ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি পশ্চিম আগরতলাতে বাইপাস সমেত একাধিক সড়ক প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন তিনি। মাদকাসক্তদের জন্য একটি রিহ্যাবিটেশন (Tripura News) সেন্টারেরও উদ্বোধন এ দিন প্রধানমন্ত্রী করেন। এর পাশাপাশি ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের একটি নতুন ডিপোরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দক্ষিণ ত্রিপুরাতে আটচল্লিশ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ‘একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুলে’র উদ্বোধন করেন। এর পাশাপাশি অন্যান্য ১০টি স্কুলেরও তিনি উদ্বোধন করেন তিনি। যেগুলি দশ কোটি টাকা ব্যয় নির্মিত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: চিন সীমান্তে ‘সেলা টানেল’, দ্রুত যাতায়াত করতে পারবে সেনা, কত খরচ হল?

    ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর ট্যুইট

    প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসূচির কথা নিজের এক্স হ্যান্ডেলের পাতায় পোস্ট করেছেন ত্রিপুরার (Tripura News) মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। তিনি লেখেন, ‘‘ত্রিপুরাবাসীর জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। যেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং উদ্বোধন হল। ত্রিপুরাবাসীর উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৮,৫৩৪ কোটি টাকার বরাদ্দ করেছেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manik Saha: ‘পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র আসন সংখ্যা গতবারের তুলনায় অনেক বাড়বে’, আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

    Manik Saha: ‘পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র আসন সংখ্যা গতবারের তুলনায় অনেক বাড়বে’, আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতবারের তুলনায় এই রাজ্যে বিজেপি অনেক বেশি আসন পাবে। বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে এসে মন্তব্য করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Manik Saha)। তিনি বলেন, মোদি দেশে যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দিয়েছেন তার থেকে আরও বেশি ভালো ফল হলে আমরা অবাক হব না। তাই, এই রাজ্যের বহু মানুষ বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। যারা ওই দলে রয়েছে, তারাও মনেপ্রাণে বিজেপিকে সমর্থন করছে।

    বাংলায় শান্তির পরিবেশ নেই (Manik Saha)

    মানিক সাহা (Manik Saha) বলেন, সন্দেশখালি হোক বা অন্য কিছু মানুষ সব বুঝতে পারছে। শান্তি সম্প্রীতি যদি না থাকে কোনও রাজ্যের উন্নতি হয় না। এই রাজ্যে সেই পরিবেশ নেই। তাই, দলে দলে মানুষ বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। এদিন উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরে ঝটিকা সফরে আসেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। মালদায় ভারতীয় জনতা পার্টির মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করতে সড়কপথে মালদা যাওয়ার পথে তিনি ইসলামপুরে দাঁড়ান। ইসলামপুর শহরের জীবন মোড় এলাকায় এক বিজেপি কর্মী প্রবীর দাসের বাড়িতে দুপুরের মধ্যাহ্নভোজন করেন। মধ্যাহ্নভোজনের শেষে তিনি আবার মালদার  উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখন বিশ্ববরেণ্য। তিনি সাধারণ মানুষের গ্যারান্টির কথা বলেন। তাই মানুষ বুঝতে পারছে যে বিজেপি ছাড়া উন্নয়ন কিছু হবে না। তিনি আরও বলেন,” মালদায় একটি মিটিং রয়েছে সেই মিটিংয়ে যাচ্ছি এবং আমাদের নিয়ম রয়েছে দলীয় কার্যকর্তার বাড়িতে আহার গ্রহণ করার। সেই মতো এদিন ইসলামপুরে মধ্যাহ্নভোজন করছি।”

    ত্রিপুরায় পাহাড়-সমতল আনন্দে আছে

    ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী (Manik Saha) বলেন, “ডেমোক্রেসি কাকে বলে সেটা ত্রিপুরায় না গেলে বুঝতে পারবেন না। সাধারণ মানুষ এখন শান্তিতে আছে। সাধারণ মানুষের অধিকার রয়েছে। ত্রিপুরায় যারা মথা আছে তারাও সরকারে এসে যোগদান করেছে। পাহাড়-সমতল এখন আনন্দে আছে। সন্দেশখালি হোক বা অন্য কিছুই মানুষ সব বুঝতে পারছেন, শান্তি সম্প্রীতি যদি না থাকে কোন রাজ্যের উন্নতি হয় না।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tripura: ১২ শতাংশ মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি হল ত্রিপুরার সরকারী কর্মীদের

    Tripura: ১২ শতাংশ মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি হল ত্রিপুরার সরকারী কর্মীদের

    মাধ্যম নিজউ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলন লাগাতার চলছে। বিষয়টি হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছেছে। রাজ্য সরকারী কর্মীদের মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির আন্দোলনে পুলিশের ঘুঁষি মারার অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে। কেন্দ্র রাজ্য ডিএ-এর ব্যাপক ফারাক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব রাজ্য সরকারের কর্মীরা। ঠিক এমন সময়ই বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরাতে (Tripura) সরকারী কর্মীদের ১২ শতাংশ মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। এদিন এই ঘোষণার ফলে সরকারি খাতে প্রতিমাসে অতিরিক্ত ১২০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানা গেছে। অর্থাৎ বছরে ১,৪৪০ কোটি টাকা।

    আরও পড়ুন: গ্লাভস ছাড়াই কোমর অবধি বরফের স্তুপ সরিয়ে এগিয়ে চলেছেন জওয়ান, দেখুন ভিডিও

    মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা কী বললেন

     ত্রিপুরার (Tripura) মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা মঙ্গলবার এই মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন। এই বর্ধিত মহার্ঘভাতা রাজ্য সরকারি কর্মচারী এবং পেনশন ভোগীদের জন্য চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। এই ঘোষণার ফলে ত্রিপুরার সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা ৮% থেকে বেড়ে ২০% হয়ে গেল। সরকারের এমন ঘোষণায় খুশি রাজ্যের সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা। সরকারি সূত্রে জানা গেছে রাজ্যের মোট সরকারী কর্মীর সংখ্যা ১,০৪,৬০০ জন এবং মোট ৮০,৮০০ জন পেনশনভোগী আছেন। এই মহার্ঘভাতা বৃদ্ধিতে এই বিপুল পরিমান সরকারী কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা উপকৃত হবেন বলে জানা যাচ্ছে। আংশিক সময়ের কর্মচারীদেরও সাম্মানিক ভাতা দ্বিগুণ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
    মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন যে সরকারী কর্মচারীদের এবং তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
    উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা যিনি অর্থমন্ত্রকের দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি বলেন যে সরকারী কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি না হওয়ায় বিরোধীরা সমালোচনা করছিলেন, আজ সরকারের সিদ্ধান্ত সমস্ত সমালোচনার জবাব দিল। তিনি আরও বলেন রাজ্য সরকার, সরকারী কর্মচারীদের কথা ভেবে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর ফলে রাজ্যের অধিকাংশ মানুষ উপকৃত হবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Lok Sabha Election 2024: ত্রিপুরায় কিস্তিমাত! বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে যোগ তিপ্রা মথার

    Lok Sabha Election 2024: ত্রিপুরায় কিস্তিমাত! বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে যোগ তিপ্রা মথার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) প্রাক্কালে ত্রিপুরায় কিস্তিমাত বিজেপির! রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল শরিক হল বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের। মন্ত্রী হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিধায়ক অনিমেষ দেববর্মণ। মন্ত্রগুপ্তির পাঠ পড়লেন তিপ্রা মথারই বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মণও। বৃহস্পতিবার রাজভবনে আয়োজিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, তিপ্র মথা সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ প্রমুখ।

    তিপ্রাল্যান্ডের দাবি (Lok Sabha Election 2024)

    ত্রিপুরার জনজাতি অধ্যুষিত অংশকে আলাদা (Lok Sabha Election 2024) তিপ্রাল্যান্ড বলে ঘোষণার দাবি জানিয়ে ২০২১ সালে আত্মপ্রকাশ করে তিপ্রা মথা। দলের প্রধান হন ত্রিপুরা রাজপরিবারের সদস্য প্রদ্যোত। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে মথা জনজাতিদের সমস্যার সাংবিধানিক সমাধানের দাবি জানায় প্রদ্যোতের দল। দাবিপূরণ না হলে কোনও দলের সঙ্গেই হাত মেলাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিপ্রা মথার প্রধান।

    জোট সরকারের নেতৃত্ব দেয় বিজেপি

    তেইশের বিধানসভা নির্বাচনে ৬০ আসন বিশিষ্ট ত্রিপুরা বিধানসভায় ৩২টি আসনে জয়ী হয় বিজেপি। জোটসঙ্গী আইপিএফটি জেতে একটি আসন। তিপ্রা মথার ১৩ জন প্রার্থী জয়ী হন। ওই নির্বাচনে সিপিএম পেয়েছিল ১১টি আসন, কংগ্রেস ৩টি। প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পায় তিপ্রা মথা। বিরোধী দলনেতা হন অনিমেষ। ত্রিপুরায় দুটি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। ইতিমধ্যেই পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। পূর্ব ত্রিপুরা আসনে অবশ্য এখনও কারও নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি।

    আরও পড়ুুন: ‘বাঘের’ চোখে জল! কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের প্রশ্নবাণে কেঁদে ফেললেন শাহজাহান

    রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, পূর্ব ত্রিপুরা আসনটি জনজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। এই আসনটি তিপ্রা মথাকে ছেড়ে দিতে পারে বিজেপি। অন্য অংশের মতে, রাজ্যের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়া হয়েছে তিপ্রা মথার দুই বিধায়ককে। তার বিনিময়ে পূর্ব ত্রিপুরা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থন করতে পারে তিপ্রা মথা। পদ্ম চিহ্নে রাজবাড়িরই কাউকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে অসমর্থিত সূত্রে খবর।

    তিপ্রা ল্যান্ড আন্দোলনের কী হবে?  এ প্রশ্নের উত্তরে তিপ্র মথার তরফে নয়া মন্ত্রী বৃষকেতু বলেন, “বৃহত্তর তিপ্রা ল্যান্ড আমাদের পার্টির অ্যাজেন্ডা। এখন কেউ জিজ্ঞাসা করতে পারে, এটি কখন হবে? দেখুন, পাঁচশো বছরের সংগ্রামের পর তৈরি হল রাম মন্দির। আমাদের আন্দোলন তো শুরু হয়েছে মাত্র তিন বছর আগে (Lok Sabha Election 2024)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tripura: ইউএপিএ আইনে ত্রিপুরার দুই জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা কেন্দ্রের

    Tripura: ইউএপিএ আইনে ত্রিপুরার দুই জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিপুরার (Tripura) দুই জঙ্গি সংগঠন এনএলএফটি এবং এটিটিএফকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র। বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে এই দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর সহযোগী এবং শাখা সংগঠনগুলিকেও। মঙ্গলবার ইউএপিএ আইন প্রয়োগ করে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এদিন থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর হয়েছে।

    কেন্দ্রের নির্দেশিকা 

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দুই জঙ্গি গোষ্ঠী কিংবা তাদের সহযোগী ও শাখা সংগঠনের সঙ্গে সংস্রবের অভিযোগ উঠলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। প্রসঙ্গত, স্বাধীন ও সার্বভৌম তিপ্রাল্যান্ডের দাবিতে সক্রিয় এই দুই জঙ্গি গোষ্ঠী। ১৯৯৬ সালে বাম আমলে ত্রিপুরায় (Tripura) জন্ম হয় এই দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর। গণহত্যা, অপহরণ, চোরাচালান সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে এই দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যদের বিরুদ্ধে। এটিটিএফ নেতৃত্বের একাংশ বাম ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ উঠেছে নানা সময়।

    অভিযোগ রাশি রাশি 

    জানা গিয়েছে, এই দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে উত্তর-পূর্বের (Tripura) একাধিক নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগাযোগ রয়েছে। হিংসামূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকা, দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার জন্য ক্ষতিকর, নিরাপত্তা বাহিনী ও সাধারণ মানুষকে হত্যা, প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রশস্ত্র রাখার লক্ষ্যে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ তোলা হয়েছে সদ্য নিষিদ্ধ এই দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুুন: শুধু সবরীমালা নয়, অযোধ্যার রামমন্দির ওড়ানোর ছকও কষেছিল ধৃত আইএস জঙ্গিরা!

    প্রসঙ্গত, চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে হয় ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের দাবিতে সুর চড়িয়েছিল তিপ্রা মথা। দলের প্রধান ত্রিপুরা রাজপরিবারের সদস্য প্রদ্যোতকিশোর দেববর্মা জানান, তিপ্রাল্যান্ডের সাংবিধানিক সমাধান না করলে কোনও দলকেই সমর্থন করবেন না তাঁরা। দলের কেউ যোগ দেবেন না সরকারেও। তিপ্রা মথার নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করতে গিয়ে প্রদ্যোতকিশোর বলেছিলেন, “প্রয়োজনে আমরা বিরোধী আসনে বসব। কিন্তু কয়েকটা মন্ত্রিপদ পাওয়ার লোভে আমরা আমাদের মূল দাবি থেকে সরে আসব না।” তবে তাঁরা যে ত্রিপুরাকে (Tripura) ভাঙতে চান না, তাও জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তিপ্রাল্যান্ডের দাবিতে অবশ্য সশস্ত্র আন্দোলন করছিল জঙ্গি গোষ্ঠী এনএলএফটি এবং এটিটিএফ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Krishna Nagar: কৃষ্ণনগরের সাজ শিল্পীদের অঙ্গসজ্জার সরঞ্জাম পাড়ি দিচ্ছে আসাম, ত্রিপুরা, উত্তর প্রদেশে

    Krishna Nagar: কৃষ্ণনগরের সাজ শিল্পীদের অঙ্গসজ্জার সরঞ্জাম পাড়ি দিচ্ছে আসাম, ত্রিপুরা, উত্তর প্রদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। আগমনী দুর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় খুঁটিপুজো থেকে শুরু করে, শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর প্রস্তুতি পর্ব। উৎসবের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্গা প্রতিমার অঙ্গসজ্জার সাজ শিল্পীদের কারখানায়। এই বছরের কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) সাজ শিল্পীদের তৈরি করা প্রতিমার অঙ্গসজ্জার সরঞ্জাম পাড়ি দেবে আসাম, ত্রিপুরা এবং উত্তর প্রদেশে। করোনার মন্দা থেকে ক্রমেই ছন্দে ফিরছে সাজ শিল্পীদের ব্যবসা। আশায় বুক বেঁধেছেন শিল্পীরা।

    করোনার আবহ কাটিয়ে ছন্দে ফিরেছে প্রতিমার সাজ শিল্প (Krishna Nagar)

    প্রতিমা প্রস্তুতকারক বিভিন্ন কুমোর পাড়ায় (Nadia) চলছে মূর্তি নির্মাণের চরম ব্যস্ততা। দেবী মূর্তির মৃৎপ্রতিমা প্রস্তুত হওয়ার পর, তা সর্বসাধারণের মাঝে দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে বিভিন্ন ধরনের অলংকার ব্যবহারে অঙ্গের সাজ পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। যার ফলে, দুর্গাপূজার সূচনা কালে দেবী মূর্তির সাজ প্রস্তুত করার লক্ষ্যে নিরলস কর্মব্যস্ততা লক্ষ্য করা গেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চকের পাড়ায়। এলাকার বাসিন্দা পেশায় ডাকের সাজ শিল্পী তন্ময় মোদকের কারখানায় এখন তীব্র ব্যস্ততা। শিল্পী তন্ময় মোদকের তৈরি প্রতিমার ডাকের সাজ এবার পাড়ি দেবে ভিন রাজ্যে। দীর্ঘ দু-তিন বছর করোনা আবহ কাটিয়ে, এই বছর ফেলে আসা পুরনো ছন্দ ফিরে পেয়েছেন ডাক শিল্পীরা। যার কারণে করোনা কালে ব্যবসার অভূতপূর্ব ক্ষতি সামাল দিয়ে, এই বছর কিছুটা হলেও বাড়তি রোজগারের আশার আলো দেখছেন এই সাজ শিল্পীরা।

    সাজ শিল্পীদের বক্তব্য

    চলতি বছরে ডাকের সাজের বাড়তি চাহিদা রয়েছে বলে জানান কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) শিল্পী তন্ময় মোদক। তিনি বলেন, দুর্গোৎসব উপলক্ষে এই বছর তাঁর কারখানায় তৈরি ডাকের সাজ কলকাতার কুমারটুলিতে যাবে। সেই সঙ্গে সাজ সরঞ্জাম পাড়ি দেবে ত্রিপুরা, আসাম ও উত্তরপ্রদেশে। দেবী প্রতিমার এই সাজ তৈরি হয় মূলত তার দিয়ে। চলতি বছরে ভিন রাজ্য থেকে অধিক সংখ্যক বায়নানামা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে তার কারখানায় দিনরাত পরিশ্রম করে দেবীর সাজ তৈরি করে চলেছেন ৬ জন কারিগর। তবে দীর্ঘ কয়েক বছর ব্যবসায়িক ক্ষতি কাটিয়ে উঠে অভিশপ্ত করোনা কাল যেন আর ফিরে না আসে, এই কথাই জানান কৃষ্ণনগরের এই ডাকের সাজ শিল্পী তন্ময় মোদক।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Update: গত বছরের তুলনায় দেড়গুণ বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা! রাজ্যে ডেঙ্গির কবলে ৪,৪০১ জন

    Dengue Update: গত বছরের তুলনায় দেড়গুণ বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা! রাজ্যে ডেঙ্গির কবলে ৪,৪০১ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহর থেকে জেলা ভয়াবহ ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি। স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department) রিপোর্ট অনুযায়ী, গতবছরের থেকে প্রায় দেড় গুণ বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৪০১। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে উল্লেখ, গতবছর এই সময় রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৪৫০। 

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট

    স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধুমাত্র গত সপ্তাহেই রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue Update) আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন। গ্রামীণ এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্ত ৭২ শতাংশ, শহর এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্ত ২৮ শতাংশ। নদিয়ার ডেঙ্গি আক্রান্তদের সংখ্যা সবথেকে বেশি। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টই বলছে, চলতি বছরে শুধু জুলাই মাসেই রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর মৃতের সংখ্যা ৮ বলে দাবি করেছেন। এমনকি বিধাননগরের মতো ঝকঝকে শহুরে এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। হাতে হাতে প্ল্যাকার্ড, নিজেদের মশারিতে ঢেকে, প্রতীকী মশা নিয়ে রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতির জন্য বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিজেপি বিধায়করা।

    বিরোধী দলনেতার দাবি 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ভয়াবহ ডেঙ্গি (Dengue Update)  পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা চাই তথ্য। কতজনের টেস্ট করিয়েছেন? কতজন পজিটিভ, মুখ্যমন্ত্রী এখন সাহায্য চাইছেন, কী সাহায্য করব? হসপিটাল ভরে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী গোলগোল কথা বলার জন্য এসেছেন রাজনীতি করতে। আমরা তথ্য চাইব না? জানতে চাই কতজন হাসপাতালে? কতজন মারা গেছে? যেমন মুখ্যমন্ত্রী তেমন মেয়র। ১০ লক্ষ আক্রান্ত।’

    আরও পড়ুন: ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে! ডেঙ্গি রুখতে ফিভার ক্লিনিক কি শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে?

    ত্রিপুরায় ডেঙ্গি রোধে আগাম সতকর্কতা

    গত কয়েকদিন ধরেই ডেঙ্গির (Dengue Update) প্রকোপ দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তে ত্রিপুরার সিপাইজলার সোনামুড়া একাকায়। বাংলাদেশের ভয়াবহ আকার ধারণ করছে ডেঙ্গি। এই সময়েই ত্রিপুরার সীমান্তবর্তী এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দেওয়ার পরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ত্রিপুরার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সিপাইজলার ধনপুর এলাকাতেই গত দুদিনে অন্তত ৭৫জন ডেঙ্গি আক্রান্ত ধরা পড়েছে। সেখানের জেলাশাসক বিশাল কুমার জানান, তারপরেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে ওই এলাকায়। সীমান্তের ওই এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দেওয়া পরেই, বাংলাদেশী নাগরিকদের রক্ত পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sourav Ganguly: বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হচ্ছেন সৌরভ! কী বললেন মহারাজ?

    Sourav Ganguly: বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হচ্ছেন সৌরভ! কী বললেন মহারাজ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিপুরার পর্যটন দফতরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হচ্ছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগেই এই প্রস্তাব মহারাজের কাছে আসে। মঙ্গলবার আলোচনার পর রাজি হয়েছেন মহারাজ। কাজ শুরু হবে জুন মাস থেকেই। এদিন ত্রিপুরার পর্যটনকে বাড়ানোর লক্ষ্যে রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী, সুশান্ত চৌধুরীর সঙ্গে দেখাও করেন সৌরভ। কথা হয়েছে মানিক সাহার সঙ্গেও। এবিষয়ে মহারাজ জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রস্তাবেই তিনি রাজি হয়েছেন। পর্যটন দফতরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবেই কাজ করবেন।

    মঙ্গলবারই কলকাতায় পা রাখেন ত্রিপুরার পর্যটন মন্ত্রী

    প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে (Sourav Ganguly) পর্যটন ক্ষেত্রের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করতে মঙ্গলবার কলকাতায় আসেন ত্রিপুরার পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। বেহালার বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনাও সারেন পর্যটনমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে সুশান্তবাবুর পাশাপাশি হাজির ছিলেন ত্রিপুরা পর্যটন দফতরের সচিব উত্তমকুমার চাকমা এবং ওই দফতরের শীর্ষ আধিকারিক তপনকুমার দাস। মহারাজের বাড়িতে ত্রিপুরার মন্ত্রী এবং আমলারা তাঁর হাতে ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরের একটি ছোট্ট মডেল তুলে দেন।

    কথা মানিক সাহার সঙ্গেও…

    মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা পরে ফোনে কথা বলেন মহারাজের (Sourav Ganguly) সঙ্গে। পরে ট্যুইট করে বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘‘খুব গর্বের সঙ্গে জানাতে চাই যে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ত্রিপুরা পর্যটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। আজকে তাঁর সঙ্গে ফোনে আমার কথা হয়েছে। আমি নিশ্চিত যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্রে উন্নতি হবে।’’

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manik Saha: কলকাতায় আসছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী, সংবর্ধনা দেবে বঙ্গ বিজেপি

    Manik Saha: কলকাতায় আসছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী, সংবর্ধনা দেবে বঙ্গ বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় আসছেন ত্রিপুরার (Tripura) মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির (BJP) মানিক সাহা (Manik Saha)। চলতি মাসের ৮ তারিখে আসবেন তিনি। সেদিনই রাজ্য বিজেপির তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হবে তাঁকে। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় অবসান ঘটে বাম জমানার। ক্ষমতায় আসে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন বিপ্লব দেব। পরে বিপ্লবকে দলের কাজে লাগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয় মানিক সাহাকে। মানিকের নেতৃত্বেই বাম নেতা মানিক সরকার ও তিপ্রা মোথার প্রদ্যোৎ মাণিক্য দেববর্মার চ্যালেঞ্জ সামলে জয় পায় বিজেপি। ফের সরকার গড়ে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন মানিক। তবে দ্বিতীয়বার বিজেপি জয় পাওয়ার পর জল্পনা ছড়ায় মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হবে প্রতিমা ভৌমিককে।

    মানিক সাহা (Manik Saha)…

    বর্তমানে প্রতিমা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিপিএমের মানিক সরকারের আগের কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তিনি। ১৯৯১ সাল থেকে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রতিমা। তবে শেষমেশ মানিককেই বসানো হয় মুখ্যমন্ত্রী পদে। মানিক (Manik Saha) পেশায় দাঁতের ডাক্তার। পাটনার সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডেন্টাল সার্জারিতে মাস্টার ডিগ্রি পেয়েছিলেন তিনি। ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজে ডেন্টাল সার্জারির প্রফেসর হিসেবেও কর্মরত ছিলেন। আগরতলায় ডাঃ বিআরএএম টিচিং হাসপাতালেও শিক্ষকতা করতেন তিনি। ২০১৬ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। দলের রাজ্য সভাপতি পদেও ছিলেন বেশ কয়েকদিন। ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও ছিলেন মানিক। এহেন মানিককে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসায় বিজেপি।

    ১৬ ফেব্রুয়ারি হয় ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন। ভোট পড়ে ৮৭.৬ শতাংশ। ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়ে ফের ত্রিপুরার রাশ হাতে নেয় বিজেপি। ৩২টি আসনে জয় পায় পদ্ম শিবির। যদিও ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় ম্যাজিক সংখ্যা ৩১। বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে এ রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তৃণমূল সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই উঠছে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ। প্রত্যাশিতভাবেই জনসমর্থন সরতে শুরু করেছে তৃণমূলের পাশ থেকে। ক্রমেই পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পাচ্ছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের মতে, এমতাবস্থায় মানিককে (Manik Saha) সংবর্ধনা দিয়ে এ রাজ্যেও তৃণমূল জমানার অবসানের শঙ্খনাদ বাজিয়ে দিতে চাইছে পদ্ম শিবির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tripura: ত্রিপুরার রায়— কীভাবে জনজাতি মানুষের মন জয় করেছে বিজেপি

    Tripura: ত্রিপুরার রায়— কীভাবে জনজাতি মানুষের মন জয় করেছে বিজেপি

    সোমেশ্বর

    ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচন ও ভোট গণনার আগে বেশ কিছু ভিডিও ক্লিপ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ঘুরতে দেখা যাচ্ছিল। দেখা যাচ্ছিল ত্রিপুরা সিপিএমের সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী এখানে-ওখানে ঘুরছেন, সঙ্গে দলীয় সদস্য-সমর্থক, কোথাও বা কংগ্রেস নেতা–কর্মীরা। পুলিশ বা সরকারী কর্মীদের বিভিন্ন সময়ে ধমকাচ্ছেন, কখনও বাংলায়, বেশি রেগে ইংরাজিতে বলছেন, ‘‘জানেন আমি কে?’’ এও দেখা যাচ্ছিল সেইসব পুলিশ বা সরকারী কর্মীরা তাঁর সামনে জড়সড় হয়ে কিছু বলার চেষ্টা করছেন এবং ধমক খেয়ে চুপ করে যাচ্ছেন। এসব দেখে অনেকেই ভাবতে শুরু করেছিলেন যে, বিজেপি এবার ত্রিপুরা থেকে যাচ্ছেই আর বাম-কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী তথা দশরথ দেবের পর ত্রিপুরার দ্বিতীয় জনজাতি মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। 

    ত্রিপুরার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রবক্তা ছিলেন জিতেন্দ্রবাবু এবং চার বারের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এই জোটের বিরুদ্ধে থাকা সত্ত্বেও দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জিতেন্দ্রবাবুর ওপর ভরসা করেছিলেন। ফল প্রকাশের পর দেখা গেল দলের হাল যা হবার হয়েছে। তিনি নিজেই সাব্রুমের মতো একটি জনজাতি অধ্যুষিত কেন্দ্র থেকে দ্বিমুখী লড়াইয়ে মাত্র ৩৯৬ ভোটে জিতেছেন যেখানে তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন একজন অ-জনজাতীয়— শঙ্কর রায়। এখানে তিপ্রামোথা কোনও  প্রার্থী দেয়নি। নোটায় ভোট পড়েছে ১২৪৮টি। 

    ঠিক যে কারণে মহম্মদ সেলিমকে পশ্চিমবঙ্গে সামনে আনা হয়েছে সম্ভবত সেই কারণেই জিতেন্দ্র চৌধুরীকে তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের ফলে দেখা গেল— বাম নয়, বিজেপি এবং তিপ্রামোথা-ই জনজাতিদের আস্থা অর্জনে বেশি সফল হয়েছে। বিজেপি জোটে ৭ জন জনজাতীয় বিধায়ক, বাম–কংগ্রেস জোটে মাত্র একজন— জিতেন্দ্রবাবু নিজে। তিপ্রামোথার তেরো জনই জনজাতীয় সমাজের। এর মধ্যে চরিলাম কেন্দ্রে জিষ্ণু দেববর্মা তিপ্রামোথার প্রার্থীর থেকে মাত্র ৮৫৮ ভোট কম পেয়েছেন আর আম্বাসা কেন্দ্রে বিজেপি তিপ্রামোথার কাছে ৪৯৩ ভোটে হেরেছে।

    উত্তরপূর্ব ভারতের আর ছটা রাজ্যের থেকে ত্রিপুরা খানিকটা ভিন্ন। অন্যত্র সেখানকার জনজাতিরা সংখ্যায় অধিক কিন্তু ত্রিপুরায় দেশভাগের পর বন্যার মতো আসা বাঙালি উদ্বাস্তুদের আগমনে সেখানকার জনজাতিরা ক্রমশ সংখ্যালঘু হয়ে পড়েন। যদিও ত্রিপুরার রাজ পরিবার একটি হিন্দু রাজপরিবার ছিল এবং সেখানকার পাহাড়বাসী, বনবাসী প্রজারাও সনাতন সংস্কৃতির অনুসারী ছিলেন কিন্তু হঠাৎ আসা বাঙালি হিন্দুদের আধিপত্য তাঁদের মধ্যে খানিকটা হলেও ক্ষোভের সঞ্চার করেছিল। এই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়েই শুরু হয় একদিকে জনজাতি রাজনীতি অন্য দিকে মিশনারীদের মদতে উগ্রপন্থা। 

    ত্রিপুরার বামপন্থী মুখ্যমন্ত্রী বিবিসি-র প্রতিনিধি সুবীর ভৌমিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, ব্যাপটিস্ট  মিশনারীরা ওই রাজ্যে উগ্রপন্থী সংগঠন এনএলএফটিকে-কে মদত দিচ্ছে। ত্রিপুরার রাজ পরিবার স্বাধীন রাজ্য হিসাবে কিম্বা ভারতভুক্তির পর কখনও জনজাতি রাজনীতি করেনি। বর্তমান ‘রাজা’ প্রদ্যোৎ কিশোর দেব— ‘বুবাগ্রা’র ঠাকুরদা, বাবা এবং মা সবাই সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থেকে সংসদীয় রাজনীতি করেছেন। ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজপরিবারের সঙ্গে এমনকি গোয়ালিয়রের সিন্ধিয়া পরিবারের সঙ্গেও ত্রিপুরা রাজপরিবারের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এমন একটা পরিবারের সদস্য হিসাবে ‘বুবাগ্রা’ নিজেকে আঞ্চলিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়েছেন। বলাই বাহুল্য মোথার আগামীদিনের রাজনীতি যত বেশি জনজাতিকেন্দ্রিক হবে ত্রিপুরায় জনজাতি ও বাঙালিদের মধ্যে সৌহার্দ্য ততটাই বিঘ্নিত হবে এবং ত্রিপুরার উন্নয়ন ব্যহত হবে।

    তিপ্রা মোথার নেতাদের যদি শুভবুদ্ধির উদয় হয় এবং তাঁরা যদি কোনও সর্বভারতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে জনজাতি স্বার্থের দিকে নজর রাখে তবে সবদিক দিয়েই ভাল হয়। সুখের কথা তিপ্রা মোথা শুরু থেকেই সংসদীয় রাজনীতির পথে আছে। আজকে মোথার যিনি সভাপতি সেই বিজয় রাঙ্খল তাঁর মধ্য চল্লিশে উগ্রপন্থী সংগঠন টিএনভি গড়েছিলেন। জনজাতিদের একটা বড় অংশ যাঁরা শিক্ষিত, সচেতন এবং অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছেন তাঁরা বুঝেছেন পৃথক তিপ্রাল্যান্ডের দাবি নিয়ে কিছু লোক নেতা হয়ে গিয়েছে মাত্র কিন্তু বাস্তবে এটা হওয়ার নয়। একারণেই জনজাতি এলাকাতেও বিজেপি একাধিক আসনে জিতেছে।

    উত্তরপূর্ব ভারতের বিভিন্ন অংশের মানুষের মধ্যে ভারত বিরোধিতা নিরসন করতে নিঃশব্দে তিনটি সংগঠন কাজ করে গেছে। এগুলি হল— রামকৃষ্ণ মিশন, কন্যাকুমারী ভিত্তিক বিবেকানন্দ কেন্দ্র এবং আরএসএস প্রভাবিত বনবাসী কল্যাণ আশ্রম। এক সময় এইসব রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে সেবার আড়ালে ধর্মান্তরণ করে জনজাতিদের মধ্যে ভারত বিরোধিতার বীজ বপন করত বিভিন্ন মিশনারী সংস্থা। কিন্তু যখন থেকে উক্ত তিনটি সংগঠন কাজে নামে তখন থেকেই ধীরে ধীরে এইসব রাজ্যের জনজাতি এলাকার মানুষের মধ্যে চেতনা ফিরে আসতে থাকে। ত্রিপুরার প্রত্যন্ত গ্রামে বনবাসী কল্যাণ আশ্রম বেশ কয়েক দশক ধরে কাজ করে চলেছে। 

    ১৯৮৪ সালে রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ত্রিপুরা রাজ্যের উগ্রপন্থী সংগঠন ‘টিএনভি’-র সঙ্গে হওয়া চুক্তির সুফল হিসাবে আগরতলার কাছে বিবেক নগরে প্রায় পনেরো একর জায়গার ওপর একটি বহুমুখী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে, ওই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে জনজাতি ছেলেরা সেখানে ভর্তি হয়, হোস্টেলে থাকতে শুরু করে। এমনকি ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান জনজাতির মানুষের বহু ছেলে এখানে ভর্তি হয়। তিরিশ বছরের বেশি সময় ধরে এখান থেকে পাশ করে যারা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তারা ভারত বিরোধিতার আগে বা বিছিন্নতাবাদী আন্দোলনের আগে দুবার ভাববে। আর শিলংয়ের বিদেশি মিশনারীদের স্কুলে যারা পড়ে আসবে তাদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় সনাতন সংস্কৃতির প্রতি সেই টান থাকবে না। আশা করা যায় পরপর দুবার ক্ষমতাসীন ত্রিপুরার বিজেপি সরকার জাতীয়তাবাদী এইসব সংগঠনগুলোকে সমর্থন দেবে। নির্বাচনের ফল অন্যরকম হলে আবার ভারত-বিরোধী শক্তি ওই রাজ্যে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করত।

    ত্রিপুরা নির্বাচনের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য বিষয় সেই বাংলাভাষীরা যারা দীর্ঘদিন ধরে ওই রাজ্যে বামেদের টিকিয়ে রেখেছিল তারা একবার নয় দ্বিতীয়বার বিজেপিকে ভোট দিতে দ্বিধা করেনি। ত্রিপুরার শিক্ষিত, মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের ছেলেমেয়েদের একটা বড় অংশ এখন পড়াশোনা, জীবন জীবিকার জন্য রাজ্যের বাইরে থাকে। তাদের মাধ্যমে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ার সেখানকার বাঙালিরা বুঝতে পারছে কীভাবে একটা রাজ্যকে দীর্ঘসময় অনুন্নত করে রাখা হয়েছিল। একসময় যারা অত্যাচারিত হয়ে পূর্ববঙ্গ ছেড়ে এই রাজ্যে বসত করেছিল তাদের আজকের প্রজন্ম বুঝতে পারছে সীমান্তবর্তী এই রাজ্যকে নিরাপদে রাখতে হলে কেমন সরকার প্রয়োজন। 

    ‘বুবাগ্রা’ যত যাই করুন তাঁর ‘রাজনৈতিক দর্শন’ বিধানসভার কুড়িটা আসনের বাইরে তাকে খুব একটা কিছু দেবে না। দ্বিতীয় বিজেপি সরকারের এমন কিছু করা উচিত যাতে তিরিশ শতাংশ জনজাতির সঙ্গে সত্তর শতাংশ বাঙালিও সমানভাবে সরকারি সুযোগ–সুবিধা পেতে পারে। সেই সঙ্গে সেখানকার জনজাতিদের এটা বোঝাতে হবে তথাকথিত জনজাতি সংগঠনগুলো এক আধজন– বিজয় রাঙ্খল, শ্যামাচরণ ত্রিপুরা বা প্রদ্যোৎ কিশোরদের উচ্চাসনে পৌঁছে দেবে কিন্তু সামগ্রিকভাবে জনজাতি সমাজের কোনও বিকাশ হবে না।

LinkedIn
Share