Tag: turkey

turkey

  • Shehbaz Sharif: ফের মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, পাক প্রধানমন্ত্রীকে সে দেশে যেতে না তুরস্ক সরকারের

    Shehbaz Sharif: ফের মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, পাক প্রধানমন্ত্রীকে সে দেশে যেতে না তুরস্ক সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের (Pakistan)! ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কে (Turkey) যেতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। যদিও পাক প্রধানমন্ত্রীকে মুখের ওপর না বলে দিয়েছে তুরস্কের সরকার। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, অতিথি আপ্যায়ণের মতো সময় এবং সুযোগ তাদের এখন নেই। তারা কেবলমাত্র উদ্ধারকারী দলকেই চায়।

    ভূমিকম্প…

    সোমবার কাকভোরে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ। কম্পন অনুভূত হয় তিনবার। তার জেরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে হাজার হাজার বাড়ি। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বহুতল। মৃত্যু হয় হাজার হাজার মানুষের। কনকনে ঠান্ডায়ই উদ্ধারকার্য চালাতে শুরু করে তুরস্ক ও সিরিয়ার উদ্ধারকারী দল। তুরস্কের এহেন বিপদের দিনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ভারত থেকে ইতিমধ্যেই উদ্ধারকারী দল, ওষুধ ও ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে তুরস্কে পৌঁছে গিয়েছে ছ টি বিমান। ভ্রাম্যমান একটি হাসপাতালও পাঠানো হয়েছে ভারতের তরফে। সেখানে কেবলই ভূমিকম্পের জেরে জখম মানুষেরই চিকিৎসা হবে।

    তুরস্কের এই বিপদের দিনে পাশে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তানও। ৫১ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে ইসলামাবাদ। তুরস্ক ও সিরিয়ায় তারা পাঠিয়েছে ২১ টন ত্রাণ সামগ্রীও। জানা গিয়েছে, বুধবারই পাকিস্তানের দুটি বিমান রওনা দিয়েছে ইস্তানবুল ও দামাস্কাসের উদ্দেশে।

    আরও পড়ুুন: ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা পেরল ১৫ হাজার, তুরস্ক-সিরিয়ার পাশে ইউরোপীয় ইউনিয়নও

    তুরস্কের এই বিপদের দিনে তাদের পাশে দাঁড়াতে সশরীরে তুরস্কে যেতে চেয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। তুরস্কের আঙ্কারায় যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন শেহবাজ। শাহবাজের তরফে এহেন ঘোষণার পরে পরেই তুরস্কের তরফে শাহবাজ শরিফকে সে দেশে যেতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর ভূতপূর্ব বিশেষ সহকারী আজম জামিল ট্যুইট-বার্তায় বলেন, রাষ্ট্রের অতিথির দেখভাল করার সময় এখন নেই। দয়া করে কেবল উদ্ধারকারী দলই পাঠান। তুরস্কের তরফে এই প্রতিক্রিয়ায় যারপরনাই অস্বস্তিতে পাক সরকার। মুখ বাঁচাতে ইসলামাবাদের তরফে অবশ্য চেষ্টার কম কসুর করা হয়নি। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী মারিয়াম ঔরঙ্গজেব জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের তুরস্ক সফর পিছিয়ে গিয়েছে। তিনি জানান, তুরস্ক ও সিরিয়ায় সোমবার ভোরের ভয়াবহ ভূমিকম্পের জেরে উদ্ধারকাজ চলছে। সেজন্য পিছিয়ে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর (Shehbaz Sharif) সফর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Earthquake: ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা পেরল ১৫ হাজার, তুরস্ক-সিরিয়ার পাশে ইউরোপীয় ইউনিয়নও

    Earthquake: ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা পেরল ১৫ হাজার, তুরস্ক-সিরিয়ার পাশে ইউরোপীয় ইউনিয়নও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল ভূমিকম্পের (Earthquake) জেরে বিধ্বস্ত তুরস্ক (Turkey) ও পড়শি দেশ সিরিয়ার (Syria) বিস্তীর্ণ অংশ। সোমবার কাকভোরে অনুভূত হয় প্রথম ভূমিকম্প। তার পর আরও দুবার। বুধবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫ হাজার। অসংখ্য বাড়ি পড়েছে ভেঙে। এর আগে ২০১৫ সালে নেপালেও হয়েছিল এরকম ধ্বংসাত্মক একটি ভূমিকম্প। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৮ হাজার ৮০০ মানুষ। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে প্রাণের স্পন্দন খুঁজে বেড়াচ্ছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। ভূমিকম্প বিপর্যস্ত সিরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তাইওয়ানের রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি এক মাসের বেতন দান করেছেন তুরস্কের ত্রাণ তহবিলে। অন্যান্য সাহায্যও পাঠিয়েছে তাইওয়ান। তুরস্ক ট্যুইটার অ্যাক্সেস ফিরিয়ে এনেছে। সিরিয়ায় যাতে আরও বেশি করে ত্রাণ আসতে পারে তাই দুটো নতুন বর্ডার খুলে দেওয়া হয়েছে। হাসান নামে সিরিয়ার এক বাসিন্দা বলেন, জিন্দেইরিশ শহরে হাজার হাজার বাড়িতে ধরেছে ফাটল। ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও চাপা পড়ে রয়েছেন অনেকে।

    তুরস্কের পাশে ভারত…

    এদিকে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ভারতের ছ নম্বর বিমানটিও পৌঁছে গিয়েছে তুরস্কে (Earthquake)। উদ্ধারকারী দল, ডগ স্কোয়াড এবং প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র পাঠানো হয়েছে এই বিমানেও। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এ খবর জানিয়েছেন। এর আগে ৩০ শয্যা বিশিষ্ট একটি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালও তুরস্কে পাঠিয়েছে ভারত। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে জীবিতদের উদ্ধার করতে ডগ স্কোয়াডের বিশেষ প্রশিক্ষিত চারটি কুকুর আগেই পাঠিয়েছিল ভারত। পাঠানো হয়েছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ১০১ জন বিশেষ প্রশিক্ষিত সদস্যকেও। তুরস্কের উদ্ধারকারী দলকে সহযোগিতা করতেই গিয়েছে ভারতের এই দল। তাঁদের সঙ্গে পাঠানো হয়েছিল জীবনদায়ী বিভিন্ন ওষুধও।    

    এদিকে, ফের কম্পন হতে পারে এই আশঙ্কায় হাজার হাজার শহরবাসীকে বসতবাড়িতে ফিরে যেতে নিষেধ করেছেন তুরস্কের প্রশাসন। জানা গিয়েছে, শহরাঞ্চলেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি। সিরিয়া এবং তুরস্কের কম্পন বিধ্বস্ত অঞ্চলে জীবন্ত মানুষের সন্ধান পেতে আঁতিপাঁতি করে খুঁজছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, গুরুতর জখম না হলে এখনও অনেকেরই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রবল ঠান্ডায় উদ্ধার কাজে ঘটছে বিঘ্ন। তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ অঞ্চলে বর্তমানে তাপমাত্র রয়েছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। বাধ্য হয়ে সব হারানো মানুষগুলো ঠাঁই নিয়েছেন পথে দাঁড়িয়ে থাকা কোনও গাড়ি কিংবা অস্থায়ী তাঁবুতে। তুরক্সের অ্যাক্সেস দ্রুত খুলে দেওয়া হবে জানিয়ে দিয়েছেন ট্যুইটারের সিইও ইলন মাস্ক।

    আরও পড়ুুন: ‘ভারতের অগ্রগতি সহ্য করতে পারছেন না কেউ কেউ’, বিরোধীদের খোঁচা প্রধানমন্ত্রীর

    অন্যদিকে, ভূমিকম্পের (Earthquake) খবর আগাম দিতে না পারায় এবং উদ্ধারকাজ ঠিকঠাক না হওয়ায় সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছে তুরস্কের বিরোধী দলগুলি। বুধবার তার জবাবে সরকারের তরফে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইওয়্যাপ আর্দোগাঁ স্বীকার করে নিয়েছেন সরকারের খামতির কথা।  

    এদিকে, ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। অর্থ সংগ্রহ করতে আগামী মাসে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ডোনার কনফারেন্স করা হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরশুলা ভন দার লেয়েন পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন সিরিয়া ও তুরস্ক সরকারকে। তিনি বলেন, এরকম একটি বিপদের দিনে কেউই একা থাকবেন না।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dog Squad: তুরস্কে উদ্ধার কাজে ‘হাত’ লাগিয়েছে জুলি, রোমিও, হানিরা, এরা কারা জানেন?  

    Dog Squad: তুরস্কে উদ্ধার কাজে ‘হাত’ লাগিয়েছে জুলি, রোমিও, হানিরা, এরা কারা জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ ভূমিকম্পে (Earth Quake) বিপর্যস্ত তুরস্ক (Turkey)। বিপদের দিনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভারত (India)। সোমের পর মঙ্গলবারও ওষুধপত্র এবং ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে তুরস্কে পৌঁছে গিয়েছে ভারতের উদ্ধারকারী দল। প্রবল ঠান্ডায় কার্যত প্রাণ বাজি রেখে উদ্ধার কার্য চালিয়ে যাচ্ছে সে দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা দল। তাদের সাহায্য করতেই ভারত থেকেও গিয়েছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। এই দলের সঙ্গেই গিয়েছে ডগ স্কোয়াডের (Dog Squad) চারটি সারমেয়। এরা হল জুলি, রোমিও, হানি এবং র‌্যাম্বো। শেষতক পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, তুরস্কে গিয়ে উদ্ধারকাজে ‘হাত’ও লাগিয়েছে এই চার সারমেয়।

    বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর…

    তাদের সঙ্গে সমানতালে কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ১০১ জন সদস্যও। ল্যাব্রেডর প্রজাতির এই চারটি কুকুর বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত। গন্ধ শুঁকে জীবন্ত মানুষ কিংবা লাশের হদিশ দিতে পারে এরা। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে ওই কুকুরগুলি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশের পরেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের টিম দুটি ভাগে ভাগ হয়ে তুরস্কে পৌঁছেছে। এই দুই দলে রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ১০১ জন সদস্য। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কমান্ডান্ট গুরুমিন্দর সিং। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন চিকিৎসক, প্যারামেডিক্স এবং চিকিৎসার যাবতীয় সরঞ্জাম।

    আরও পড়ুুন: ভূমিকম্পের মধ্যেই জন্ম, ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার সিরিয়ার ‘বিস্ময় শিশু’

    মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তুরস্কের এই বিপদের দিনে তাদের প্রয়োজনীয় যাবতীয় সাহায্য করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০১১ সালে জাপানে তিনবার এবং ২০১৫ সালে নেপালে একবার প্রবল ভূমিকম্প হয়। তখনও ভারতের তরফে গিয়েছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দল। তুরস্কে যাওয়ার আগে প্রবল ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত দেশে কীভাবে কাজ করতে হয়, তার অভিজ্ঞতা রয়েছে ভারতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের। প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে গঠিত হয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কাজ করতে তারা প্রথম যায় জাপানে, ২০১১ সালে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করতে। ২০১৪ সালে ভুটানে রিভার রেসকিউ অপারেশনেও যায় বিপর্যয় মোকাবিলা দল।

    প্রসঙ্গত, সোমবার কাকভোরে আচমকাই কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চল। কম্পন অনুভূত হয় তিনবার। প্রথমবার কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ছিল ৭.৮। কম্পনের জেরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে অসংখ্য বহুতল। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Turkey: সোমের পর মঙ্গলেও ত্রাণ গেল ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে, কী কী পাঠানো হল জানেন?   

    Turkey: সোমের পর মঙ্গলেও ত্রাণ গেল ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে, কী কী পাঠানো হল জানেন?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিকম্পে (Earthquake) বিধ্বস্ত তুরস্ক (Turkey)। চলছে উদ্ধার কাজ। ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে বের হচ্ছে একের পর এক লাশ। প্রবল ঠান্ডায় উদ্ধার কার্য চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলকে। তুরস্কের এহেন বিপর্যয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। সোমবার তুরস্কে রওনা দেয় উদ্ধারকারী দলের প্রথম ব্যাচটি। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দলের ওই ব্যাচটির সঙ্গে ছিল ত্রাণ সামগ্রী, ওষুধপত্র ও চিকিৎসার সরঞ্জাম। নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াডও। সোমের পর মঙ্গলবারও গেল আরও একটি উদ্ধারকারী দল। ভূমিকম্পে আটকে পড়া মানুষ এবং লাশ উদ্ধারে নিয়োজিত সে দেশের উদ্ধারকারীদের সাহায্য করতেই গিয়েছে এই দল। প্রবল এই ভূমিকম্পে ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭ হাজার ৮০০র গন্ডি। এদিন তুরস্কে যে টিম পাঠানো হয়েছে, তার সঙ্গে রয়েছে একটি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল, বিশেষজ্ঞ সার্চ ও রেসকিউ দল। দুটি মিলিটারি বিমানে করে তুরস্কে পাঠানো হয়ছে তাদের।

    ভূমিকম্প…

    সোমবার তুরস্ক (Turkey) ও সিরিয়া সীমান্ত ঘেঁষা অঞ্চলে ৩টি প্রবল ভূমিকম্পের জেরে মৃত্যু হয়েছে হাজার হাজার বাসিন্দার। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে অসংখ্য বাড়ি। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন অনেকেই। মূলত আগে তাঁদেরই উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এক ট্যুইট-বার্তায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ভারতীয় বিমানবাহিনীর দুটি বিমানে করে একটি ৩০ বেডের ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। বিমান দুটি আদানায় পৌঁছেও গিয়েছে।

    আরও পড়ুুন: তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যু মিছিল! ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার পার

    জানা গিয়েছে, ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের প্রথম বিমানটিতে পাঠানো হয়েছে সার্চ ও রেসকিউ পার্সোনালদের, বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াড, ড্রিলিং মেশিন, ত্রাণ সামগ্রী এবং ওষুধ। দ্বিতীয় বিমানটিতে পাঠানো হয়েছে সার্চ ও রেসকিউ ইক্যুইপমেন্ট, নিষ্কাশন সরঞ্জাম এবং গাড়ি।

    ভারতীয় সেনার আগ্রা ভিত্তিক ফিল্ড হসাপাতালের ৪৫ জন সদস্যকেও পাঠানো হয়েছে প্রথম ব্যাচে। এঁরাই গিয়ে স্থাপন করবেন ৩০ শয্যার হাসপাতাল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ওষুধ, জীবনদায়ী ওষু এবং অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে সিরিয়ায়। ভূমিকম্পের জেরে সিরিয়ায়ও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদেশমন্ত্রক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে ওষুধ, জীবনদায়ী ওষুধ ও অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • Turkey: তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যু মিছিল! ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার পার

    Turkey: তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যু মিছিল! ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার পার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুই কান্নার আওয়াজ। হা-হুতাশ! তুরস্ক, সিরিয়া জুড়ে শুধুই আর্তনাদ। পাথর সরালেই মিলছে একের পর এক দেহ। ঘুমের মধ্যে দিনের শুরুতেই চির-ঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, তুরস্ক ও সিরিয়ায় এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৭,৮০০।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, এই সংখ্যা কিছুই নয়। মৃত্যুসংখ্যা ৩২ হাজারে গিয়ে ঠেকতে পারে বলে আশঙ্কা।

    কোথায় শেষ কেউ জানে না!

    প্রাথমিক ভাবে যা মনে করা হয়েছিল, তার আট গুণ বাড়তে পারে প্রাণহানি। আহতের সংখ্যার কোনও হিসেব নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা-সহ প্রায় ৭০টি দেশ তুরস্ক-সিরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে তুরস্কের আদানা শহরে পৌঁছেছে ভারতের পাঠানো প্রথম দফার ত্রাণসাহায্য। সেই সঙ্গে পৌঁছেছে ভারতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর উদ্ধারকারী দল, বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর, চিকিৎসা সামগ্রী, ড্রিলিং মেশিন ইত্যাদি। সিরিয়াতেও গিয়েছে ভারতের ত্রাণসাহায্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভারতে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ফিরাত সুনেল সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘‘তুর্কি ও হিন্দি… দুই ভাষাতেই ‘দোস্ত’ শব্দটি রয়েছে। তুর্কিতে একটা কথা আছে: বিপদের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু।’’

    আরও পড়ুন: প্রবল ভূমিকম্প, মৃতের সংখ্যা চার হাজার ছাড়াল! কঠিন সময়ে তুরস্ক ও সিরািয়ার পাশে ভারত

    আশ্রয়শিবিরে ঠাসাঠাসি ভিড়

    ভূবিজ্ঞানীরা বলছেন, পাঁচ বার ভূমিকম্প ও আরও ১০০ বার ভূকম্পন-পরবর্তী কম্পনের (আফটার শক) জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। হু-র ইউরোপ শাখার জরুরি বিভাগের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক ক্যাথরিন স্মলউডের কথায়, ‘‘আরও ধ্বংসের আশঙ্কা রয়ে যাচ্ছেই। প্রাথমিক ভাবে যা জানা গিয়েছিল, তার আট গুণ বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা। ভূমিকম্পের পরে সব সময়েই এটা ঘটে থাকে। আর ঠিক তা-ই বিপর্যয়ের কয়েক সপ্তাহ পরে মৃত বা জখমের সংখ্যা অনেকটা বেড়ে যায়।’’ স্মলউড বলেন, ‘‘ভূমিকম্পের পরে যাঁদের আর ঘরবাড়ি নেই কিংবা ঘরে ফেরার অবস্থা নেই, তাঁরা এক জায়গায় জড়ো হচ্ছেন। এতেও বিপদ বাড়ছে। একটা ছোট আশ্রয়শিবিরে ঠাসাঠাসি ভিড়, শ্বাসজনিত রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা প্রবল।’’ অচেনা মুখের ভিড়েই আশ্রয় খুঁজছেন পরিবার-হারিয়ে রাতারাতি একা হয়ে যাওয়া বহু মানুষ। কেউ কেউ আবার প্রিয়জনের দেহ খুঁজে বেড়াচ্ছেন ধ্বংসস্তূপের তলায়। তুরস্ক ও সিরিয়ার বেশ কিছু অঞ্চলের খবর এখনও জানাই যায়নি।

    আরও পড়ুন: তুরস্ক এবং সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫,০০০ ছাড়াল! তিন মাসের জন্য ১০ প্রভিন্সে ‘জরুরি অবস্থা’

    আরও সঙ্কটে সিরিয়া 

    সিরিয়ার অবস্থাও ভয়াবহ। হু-এর আধিকারিক অ্যাডেলেড মার্শাংয়ের বক্তব্য, এই বিপর্যয় সামলানোর জন্য তুরস্কের তা-ও কিছু সামর্থ্য আছে। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে গৃহযুদ্ধে এমনিতেই বিপর্যস্ত সিরিয়া। অর্থনৈতিক অবস্থা তলানিতে। কলেরার সংক্রমণ ছড়িয়েছে এ দেশে। খাদ্যাভাব, অপুষ্টি তো রয়েইছে। এই অঞ্চলে অসংখ্য সমস্যা রয়েছে। তার উপরে যোগ হল আরও একটি। অ্যাডেলেড জানান, দু’দেশ মিলিয়ে কমপক্ষে ২ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে। যার মধ্যে রয়েছে অন্তত ১৪ লক্ষ শিশু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Turkey: তুরস্কে মৃতের সংখ্যা ১৩০০ পার, ভারত থেকে পাঠানো হচ্ছে উদ্ধারকারী দল, স্নিফার ডগ ও ত্রাণ সামগ্রী

    Turkey: তুরস্কে মৃতের সংখ্যা ১৩০০ পার, ভারত থেকে পাঠানো হচ্ছে উদ্ধারকারী দল, স্নিফার ডগ ও ত্রাণ সামগ্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৃত্যু মিছিল! ধীরে ধীরে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হচ্ছে তুরস্ক এবং সিরিয়া। ভূমিকম্পের জেরে  মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩০০-এর গণ্ডি পার করেছে। সূত্রের খবর, নিহত ১৩০০ জনের মধ্যে তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেশি। এখনও পর্যন্ত ৯১২। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩২৬। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আরও বহু মানুষ আটকে থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই অনুমান। এই মর্মান্তিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে তুরস্কের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আক্রান্ত দেশকে সমস্ত সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যের হাত। ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লি থেকে আঙ্কারা পাঠানো হচ্ছে উদ্ধারকারীদল। তাদের সঙ্গে রয়েছে স্নিফার ডগ। পাঠানো হচ্ছে ত্রাণ সামগ্রীও। চিকিৎসকদের একটি দলকেও সেখানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।

    [tw]


    [/tw]

    তুরস্ককে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে যে, তুরস্কের ওই ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি পিকে মিশ্র জরুরী বৈঠক ডাকেন। তুরস্ককে কীভাবে সাহায্য করা যায়, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতেই এই বৈঠকের ডাক দেন তিনি। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, তুরস্কে এনডিআরএফ-এর অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী এবং ত্রাণ সামগ্রী সহ চিকিৎসকদের একটি দলকে পাঠানো হবে। আপাতত জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দুটি দলকে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। বিশেষ বিমানে করে যাবে ত্রাণ সামগ্রী। চিকিৎসকদের একটি দলকেও সেখানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ত্রাণ সামগ্রী ছাড়াও দিল্লি থেকে ওষুধ যাবে তুরস্কে।

    এছাড়াও বিশেষ প্রশিক্ষিত স্নিফার ডগ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সহ ১০০জনের উদ্ধারকারী দল সেদেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, “প্রশিক্ষিত ডাক্তার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধের পাশাপাশি প্যারামেডিকদের সঙ্গে মেডিকেল টিমও প্রস্তুত করা হচ্ছে। তুর্কি সরকার এবং আঙ্কারায় ভারতীয় দূতাবাস এবং ইস্তাম্বুলের কনস্যুলেট জেনারেল অফিসের সঙ্গে সমন্বয় করে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হবে।”

    উল্লেখ্য, তুরস্কে ব্যাপক ভূমিকম্পে বহু প্রাণহানির খবর প্রকাশের পরই বিশ্বব্যাপী শোকপ্রকাশ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ট্যুইটারে গিয়ে তুরস্ক এবং আশেপাশের এলাকায় প্রাণহানির জন্য শোকপ্রকাশ করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তুরস্কের প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে লিখেছেন, “তুরস্কের ভূমিকম্পে যে অপূরণীয় ক্ষতি হল, তার জন্য আমি মর্মাহত। মৃতের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এই কামনা করি। এই বিপদের সময়ে তুরস্কের পাশে দাঁড়িয়ে সমস্ত সাহায্য করতে প্রস্তুত ভারত।”

  • Istanbul Blast: ইস্তানবুল বিস্ফোরণের কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রেফতার মূল ষড়যন্ত্রকারী, নেপথ্যে কি জঙ্গি সংগঠন?

    Istanbul Blast: ইস্তানবুল বিস্ফোরণের কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রেফতার মূল ষড়যন্ত্রকারী, নেপথ্যে কি জঙ্গি সংগঠন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তুরস্কের বাণিজ্যিক নগরী ইস্তানবুলের বিস্ফোরণের (Istanbul Blast) নেপথ্যে থাকা মূলচক্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তুরস্কের মন্ত্রী সুলেমান সয়লু সংবাদমাধ্যমে এই খবর জানান। গতকালের বিস্ফোরণের ঘটনাকে সন্ত্রাসবাদী হামলা বলেই উল্লেখ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। আর ঘটনার কিছু সময়ের মধ্যেই এই ঘটনার পেছনে থাকা মূল ষড়যন্ত্রকারীকে গ্রেফতার করতে পেরেছে সেদেশের পুলিশ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ব্যক্তিই ইস্তানবুলের ইস্তিকলাল অ্যাভিনিউতে বোমাটি রেখে দিয়েছিল। ফলে ধৃত ব্যক্তিকে বর্তমানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই হামলায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অন্তত ৮১ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

    কী ঘটেছিল?

    গতকাল, রবিবার আচমকা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল তুরস্কের বাণিজ্যিক নগরী ইস্তানবুল (Istanbul Blast)। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে বেজে ২০ মিনিট নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছিল। ইস্তানবুল শহরের কেন্দ্রস্থল তাকসিম স্কোয়ারের কাছে ইস্তিকলাল স্ট্রিটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। সেই ভয়াবহ দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি হয়েছে। আর সেই ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণের সময় ইস্তানবুল শহরের সেই রাস্তাটি ভিড়ে ঠাসা ছিল। আর বিস্ফোরণের পরই ব্যস্ত এলাকাটি থেকে লোকজন ভয়ে আতঙ্কে পালাতে শুরু করে।

    বিস্ফোরণের (Istanbul Blast) উৎস সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে না জানা গেলেও, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলিতে দাবি করা হয়েছিল, এটি একটি আত্মঘাতী হামলা ছিল। সেদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় প্রাথমিক অনুমানের ভিত্তিতে জানিয়েছিলেন যে, এই ঘটনায় এক মহিলা জড়িত আছে। এরপর রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, “এখনই এই বিস্ফোরণকে সন্ত্রাসবাদী হামলা বলে নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে সন্ত্রাসবাদের গন্ধ তো রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: এয়ার-শো চলাকালীন আমেরিকায় দুই যুদ্ধবিমানের সংঘর্ষ! মৃত ৬

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বেশ কয়েকটি ছবি এবং ভিডিওতে ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স, দমকলের ইঞ্জিন, পুলিশ কর্মীদের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুরস্কের বাসিন্দারা দাবি করেছেন, বিস্ফোরণের পরই রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাস্তার আশপাশে থাকা দোকানগুলির ঝাঁপও ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনার (Istanbul Blast) পরেই ওই এলাকার দখল নিয়েছে পুলিশ। সাধারণ মানুষকে ঘটনাস্থলে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। এরই মাঝে আজ এই বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে বড় সাফল্য পেল সেদেশের পুলিশ। তবে ধৃত সম্পর্কে বেশি কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়নি পুলিশের তরফে। তবে এই ঘটনার পেছনে কে বা কারা রয়েছে বা কোনও জঙ্গি সংগঠন রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে তুরস্কের পুলিশ।

     
  • PFI: মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশ, মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলিতে রমরমা পিএফআইয়ের

    PFI: মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশ, মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলিতে রমরমা পিএফআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স মাত্র ১৬ বছর। ইতিমধ্যেই কেবল ভারত (India) নয়, মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলিতে জাল বিস্তার করেছে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, সংক্ষেপে পিএফআই (PFI)। বৃহস্পতিবারই দেশজুড়ে পিএফআই নেতা-কর্মীদের বাড়ি ও অফিসে চালানো হয়েছে তল্লাশি অভিযান। বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রচুর নথিপত্র এবং নগদ টাকা। তার পরেই উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। গোয়েন্দাদের দাবি, ভারত ছাড়াও একাধিক মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রে জাল বিস্তার করেছে পিএফআই।

    ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে তিনটি মুসলিম সংগঠন একত্রিত হয়ে তৈরি করা হয় পিএফআই। ২০০৬ সালে কেরলে গঠিত এই সংগঠনের নাম ছিল ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফ্রন্ট। পরবর্তী কালে মানিথা নীতি পাসারাই, কর্নাটক ফোরাম ফর ডিগনিটি সহ তিনটি সংগঠন মিলিত হয়ে তৈরি হয় পিএফআই। দেশবিরোধী ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গেই যুক্ত ছিল এই সংগঠন। বিভিন্ন রাজ্যে এই সংগঠনের শাখাও রয়েছে।

    বৃহস্পতিবার গোটা দেশের ১৩টি রাজ্যে পিএফআইয়ের অফিসগুলিতে তল্লাশি চালায় এনআইএ (NIA) এবং ইডি (ED)। এই দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে সাহায্য করেছে বিভিন্ন রাজ্য পুলিশও। পিএফআইয়ের ৪৫ জন নেতা সহ গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় দুশোজনকে। সূত্রের খবর, উপসাগরীয় দেশগুলিতে পিএফআই তিনটি নামে সংগঠন চালায়। এগুলি হল ইন্ডিয়া ফ্র্যাটারনিটি ফোরাম (IFF), ইন্ডিয়ান সোশ্যাল ফোরাম (ISF) এবং রিহ্যাব ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশন (RIF)। বিদেশে ভারত বিরোধী নানা কাজে লিপ্ত এই সংগঠনগুলি।

    আরও পড়ুন : টার্গেট আরএসএস? সংঘের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাত পিএফআই! চক্রান্ত ফাঁস

    জানা গিয়েছে, ইন্ডিয়া ফ্র্যাটারনিটি ফোরাম এবং ইন্ডিয়ান সোশ্যাল ফোরাম মধ্য প্রাচ্যে পোক্ত সংগঠন গড়ে তুলেছে। দেশবিরোধী কার্যকলাপ চালানোর জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে তারা। জামাত-ই-ইসলামির ধর্মীয় কয়েকজন নেতা এবং পিআইএফ নেতারা প্রায়ই সংযুক্ত আরব আমিরশাহি পরিদর্শন করেন। কেবল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি নয়, ওমান, কাতার, কুয়েত, তুরস্ক, পাকিস্তান মায় বাংলাদেশেও জাল বিছিয়েছে পিএফআই। বাহরিন, শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপেও পা রেখেছে এই সংগঠন। পিএফআইয়ের এক ক্যাডারকে গ্রেফতার করা হয় লখনউ থেকে। তখনই জানা যায় বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ ভারতে বিস্ফোরণ ঘটানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share