Tag: un

un

  • Bhavika Mangalanandan: “এত ঔদ্ধত্য”! রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিলেন ভাবিকা মঙ্গলানন্দন

    Bhavika Mangalanandan: “এত ঔদ্ধত্য”! রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিলেন ভাবিকা মঙ্গলানন্দন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসের জন্য পরিচিত পাকিস্তানের এত ঔদ্ধত্য!” রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে কথাগুলি বললেন ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি ভাবিকা মঙ্গলানন্দন। তিনি বলেন, “যে দেশের সন্ত্রাসবাদের কথা তামাম বিশ্ব জানে, তারা ভারতের মতো দেশের বৃহত্তম গণতন্ত্রকে আক্রমণ করে কীভাবে?” সন্ত্রাস বাড়ালে তার ফল ভুগতে হবে বলেও এদিন ফের একবার পাকিস্তানকে (Shahbaz Sharif) হমকি দিয়েছে ভারত।

    পাকিস্তানকে ধুয়ে দিল ভারত (Bhavika mangalanandan)

    রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উঠতেই পাকিস্তানকে একেবারে ধুয়ে দিল নয়াদিল্লি। প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি ভারতের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কার্যত, তার পরেই পাকিস্তানকে আক্রমণ শানান ভাবিকা (Bhavika mangalanandan)। ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেয়। সে প্রসঙ্গও তোলেন শরিফ। তার পরেই পাকিস্তানকে চাঁদমারি করেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের প্রতিনিধি। ভাবিকা বলেন, “যে দেশটি সেনার দ্বারা পরিচালিত হয় এবং যে যাদের সন্ত্রাসবাদের কথা সবারই, সে দেশের ঔদ্ধত্য সবারই জানা।”

    কী বললেন ভাবিকা

    এর পরেই ভাবিকা বলেন, “ওদের এত ঔদ্ধত্য যে ভারতের মতো বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক একটা দেশকে আক্রমণ করে!” তিনি বলেন, “পাকিস্তানের চেহারাটা যে ঠিক কেমন, তা সবারই জানা।” এ প্রসঙ্গে তিনি ২০০১ সালের সংসদে হানা এবং ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার প্রসঙ্গ টানেন। ভাবিকা বলেন, স্মৃতি এখনও আমাদের মলিন হয়নি।” ভারতীয় এই কূটনীতিক বলেন, “পাক প্রধানমন্ত্রীর কথা যে ফাঁকা আওয়াজ, তা সকলেরই জানা। সত্যি কথার জবাব দিতে পাকিস্তান বারবার মিথ্যা কথা বলে। মনে রাখতে হবে, আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট।”

    আরও পড়ুন: ‘গান পয়েন্টে ধর্ষণ আইএএসের স্ত্রীকে’! পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের, রাজ্যকে আক্রমণ মালব্যর

    তিনি বলেন, “পাকিস্তান হল সেই দেশ, যারা গোটা বিশ্বের ত্রাস ওসামা বিন লাদেনকে বছরের পর বছর ধরে আশ্রয় দিয়েছিল। একাত্তরের যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে ভাবিকা বলেন, “১৯৭১ সালে পাকিস্তান যেভাবে দেশের পূর্বপ্রান্তে সংখ্যালঘুদের নিকেশ করার চেষ্টা করেছিল, এখনও সেভাবেই করে চলেছে। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চলছে আজও।” তাঁর প্রশ্ন, “এমন একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক মঞ্চে (Shahbaz Sharif) দাঁড়িয়ে ভারতের দিকে আঙুল তোলেন কোন সাহসে (Bhavika mangalanandan)?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
  • UNSC: রাষ্ট্রপুুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিকে জোরালো সমর্থন ফ্রান্সের

    UNSC: রাষ্ট্রপুুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিকে জোরালো সমর্থন ফ্রান্সের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nations) নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ প্রাপ্তির বিষয়ে জোরালো সমর্থন জানালেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাক্রঁ (Emmanuel Macron)। এর আগে ভারতকে সমর্থন জানিয়েছিল আমেরিকা। ফলে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া ‘অবশ্যম্ভাবী’ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদে (UNGA) ভাষণ দেওয়ার সময়, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জানান, রাষ্ট্রপুঞ্জকে আরও শক্তিশালী এবং কার্যকরী করে তোলার জন্য ভারতকে নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য হিসেবে দেখতে চায় ফ্রান্স।

    ফ্রান্সের সমর্থন

    বর্তমানে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) পাঁচটি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে। আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের পক্ষেই যে বিশ্বের একটি বড় অংশ রয়েছে, তা প্রমাণিত। নিউ ইয়র্কে সাধারণ পরিষদে (United Nations) বক্তব্য রাখার সময় মাক্রঁ বলেন, “আসুন, রাষ্ট্রপুঞ্জকে আরও কার্যকর করি। আমাদের এটিকে আরও প্রতিনিধিত্বমূলক করতে হবে এবং এ কারণেই ফ্রান্স নিরাপত্তা পরিষদকে সম্প্রসারিত করার পক্ষে। এজন্য জার্মানি, জাপান, ভারত এবং ব্রাজিলকে স্থায়ী সদস্য পদ দেওয়া উচিত।” 

    কেন দরকার ভারতকে

    ভারত এখন শক্তিশালী দেশগুলির মধ্যে অগ্রগণ্য। ভারতীয় অর্থনীতিতে বৃদ্ধির হার বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে শুরু করে বিশ্বে সন্ত্রাস মোকাবিলায় ভারত সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে। তাই নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া উচিত বলেই অভিমত কূটনীতিকদের। ১৫ সদস্য নিয়ে গঠিত নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের ভেটো ক্ষমতা রয়েছে। অন্যরা দু’বছরের জন্য নির্বাচিত হয়। সমতাভিত্তিক প্রতিনিধিত্বের প্রশ্নটি ১৯৭৯ সাল থেকে সাধারণ পরিষদের অ্যাজেন্ডায় রয়েছে। এখন দিনে দিনে, বিশ্বব্যাপী বাড়তে থাকা সংঘাতের মধ্যে সংস্কারের দাবি আরও জোরালো হয়েছে। সম্প্রতি কোয়াড বৈঠকে রাষ্ট্রপুঞ্জে (United Nations) ভারতের স্থায়ী সদস্য পদের দাবিকে সমর্থন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তিনি বলেন, “আমরা নিরাপত্তা পরিষদকে (UNSC) সংস্কার করব। নিরাপত্তা পরিষদকে আরও প্রতিনিধিত্বমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্বচ্ছ, কার্যকর, গণতান্ত্রিক এবং জবাবদিহিমূলক করতে এখানে স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্যপদের সম্প্রসারণ করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “মানবতার সাফল্য নেই যুদ্ধক্ষেত্রে”, বিশ্বকে ফের শান্তি-বাণী শোনালেন মোদি

    PM Modi: “মানবতার সাফল্য নেই যুদ্ধক্ষেত্রে”, বিশ্বকে ফের শান্তি-বাণী শোনালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মানবতার সাফল্য লুকিয়ে রয়েছে আমাদের সমবেত শক্তির ওপর। তা কখনওই যুদ্ধক্ষেত্রে নয়।” সোমবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations Summit) মঞ্চ থেকে তামাম বিশ্বকে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নিউইয়র্কে ‘সামিট অফ দ্য ফিউচার’ শীর্ষক আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বশান্তির বার্তা বিশ্ববাসীর কানে পৌঁছে দিতে এই মঞ্চটাকেই বেছে নেন প্রধানমন্ত্রী। এবং বললেন, “মানবতার সাফল্য লুকিয়ে রয়েছে আমাদের সমবেত শক্তির ওপর, যুদ্ধক্ষেত্রে নয়।”

    বিশ্বশান্তির পক্ষে সওয়াল মোদির (PM Modi)

    বিশ্বশান্তি ও উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সংগঠনের সংস্কারের কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। গত দু’বছর ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সোমবারই লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লার ঘাঁটিতে এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছে ইজরায়েল। এহেন প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই অভিমত আন্তর্জাতিক মহলের। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বশান্তি ও সুরক্ষায় একদিকে রয়েছে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ, আবার সাইবার, মহাকাশ-সহ বিরোধের একাধিক নয়া ক্ষেত্রও তৈরি হয়েছে। এসব দিকে নজর রেখে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ অবশ্যই হওয়া প্রয়োজন আন্তর্জাতিক উচ্চাকাঙ্খার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “সংস্কারই প্রাসঙ্গিকতার মূল। নয়াদিল্লি সম্মেলনে আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি২০-তে স্থায়ী সদস্যপদ প্রদান এদিকেই একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল।”

    প্রসঙ্গ সন্ত্রাসবাদ 

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এসেছে সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি হিসেবে রয়ে গিয়েছে সন্ত্রাসবাদ। সাইবার, সামুদ্রিক ও মহাকাশের মতো ক্ষেত্রগুলি নয়া সংঘাতের ক্ষেত্র হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “এই সব বিষয়ে আমি জোর দেব যে বৈশ্বিক পদক্ষেপকে অবশ্যই বৈশ্বিক উচ্চাকাঙ্খার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।”

    আরও পড়ুন: সিএএ-র পক্ষে জোরালো সওয়াল মুসলিম মহিলার, কী বললেন জানেন?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রযুক্তির নিরাপদ ও দায়িত্বশীল ব্যবহারের জন্য বৈশ্বিক পর্যায়ে ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন রয়েছে।” তিনি বলেন, “আমাদের এমন বৈশ্বিক ডিজিটাল শাসনব্যবস্থা প্রয়োজন, যা জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষা করে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ডিজিটাল পাবলিক পরিকাঠামোকে বৈশ্বিক কল্যাণের জন্য একটি সেতু হতে হবে, বাধা নয়।” ভারত তার ডিজিটাল পাবলিক পরিকাঠামো পুরো বিশ্বের সঙ্গে শেয়ার করে নিতে প্রস্তুত বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী (United Nations Summit)। তিনি (PM Modi) বলেন, “ভারতের জন্য এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ, একটি অঙ্গীকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: বাংলাদেশের অনুরোধ ফেরাল ভারত, মার্কিন মুলুকে হচ্ছে না মোদি-ইউনূস বৈঠক

    PM Modi: বাংলাদেশের অনুরোধ ফেরাল ভারত, মার্কিন মুলুকে হচ্ছে না মোদি-ইউনূস বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মঞ্চ। দেখাও হবে দুজনের। তবে কথা হবে না। কারণ বাংলাদেশে লাগাতার হিন্দু নির্যাতন এবং ইউনূসের সাম্প্রতিক ভারত-বিরোধী অবস্থান। যা ভালো চোখে নেয়নি নয়াদিল্লি। জানা গিয়েছে, সেই কারণেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের (Muhammad Yunus) সঙ্গে পার্শ্ব বৈঠকে যোগ দেবেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। 

    নিউ ইয়র্কে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    ঘটনাটি তাহলে খুলেই বলা যাক। রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations) সভায় যোগ দিতে আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। সেখানে উপস্থিত থাকবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন-সহ একাধিক রাষ্ট্রনেতা। বক্তাদের তালিকার ৩৫ নম্বরে নাম রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। এই সভায় যোগ দিয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে ইউনূসের সঙ্গে কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেবেন না তিনি। সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদন থেকেই জানা গিয়েছে এ খবর।

    ‘কোয়াড’-এর শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেবেন মোদি

    জানা গিয়েছে, ২১ সেপ্টেম্বর তিন দিনের আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশেষ সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানকে নিয়ে গঠিত ‘কোয়াড’-এর শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ও অনাবাসী ভারতীয়দের সভায়ও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হচ্ছে না তাঁর।

    অথচ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকে যোগ দিতে মুখিয়ে ছিলেন ইউনূস (Muhammad Yunus)। জানা গিয়েছে, এই মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশের তরফে ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছিল, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় যোগ দেওয়ার ফাঁকে দুই রাষ্ট্রনেতা যেন পার্শ্ববৈঠকে বসেন। হাসিনা-উত্তর জমানায় দুই দেশের (PM Modi) মধ্যে যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে, তা প্রশমনের লক্ষ্যেই হওয়া প্রয়োজন এই পার্শ্ববৈঠক। তবে বাংলাদেশের অনুরোধ পত্রপাঠ ফিরিয়ে দিয়েছে ভারত। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউনূসের সাম্প্রতিক ভারত-বিরোধী অবস্থান এবং বাংলাদেশে চলতে থাকা হিন্দুদের ওপর আক্রমণ বন্ধে ইউনূস ব্যর্থ হওয়ায় ভারত যারপরনাই ক্ষুব্ধ। সেই কারণেই ইউনূসকে এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।

    আরও পড়ুন: আর্থিক মাপকাঠিতে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে বাংলা, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট

    নয়াদিল্লির রাগের আরও কারণ রয়েছে। দিল্লির বাংলাদেশ হাই-কমিশন ও কলকাতার ডেপুটি হাই-কমিশন থেকে হাসিনার আমলের দুই কূটনীতিককে বরখাস্ত করে ভারতকে বার্তা দিয়েছেন ইউনূস (Muhammad Yunus)। হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট প্রত্যাহার করেও পরিস্থিতি ঘোরালো করে তুলেছে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার। সব মিলিয়ে ইউনূসকে এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয় বলে মনে করছে নয়াদিল্লি। তাই মোদি-ইউনূস দেখা হলেও, হচ্ছে না পার্শ্ববৈঠক (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ২৩ তারিখ রাষ্ট্রসঙ্ঘের ‘সামিট অফ দ্য ফিউচার’ সম্মেলনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ২৩ তারিখ রাষ্ট্রসঙ্ঘের ‘সামিট অফ দ্য ফিউচার’ সম্মেলনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সামিট অফ দ্য ফিউচার’ সম্মেলনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ২৩ সেপ্টেম্বর ভাষণ (UN Summit) দেওয়ার কথা তাঁর। তিনি রাষ্ট্রসঙ্ঘের বার্ষিক সাধারণ সভায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ভাষণ দেবেন না। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাম্প্রতিক শিডিউল থেকেই জানা গিয়েছে একথা। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় ২৬ সেপ্টেম্বরের অধিবেশনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না তিনি। প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন ‘সামিট অফ দ্য ফিউচার’ সম্মেলনে। সেপ্টেম্বরের ২৪ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত হবে ওই সম্মেলন। প্রধানমন্ত্রীর জায়গায় বার্ষিক সাধারণ সভায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ২৮ তারিখ ভাষণ দেবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    কোয়াড সামিট

    শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তাঁর নিজের রাজ্য ডেলাওয়্যারে কোয়াড সামিটে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার তিনি ভাষণ দেবেন নিউইয়র্ক শহরতলির ইউনিয়নডেলে ‘মোদি অ্যান্ড ইউএস, প্রোগ্রেস টুগেদার’ শীর্ষক সমাবেশে। উদ্যোক্তাদের দাবি, এই ইভেন্টে যোগ দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ টিকিটের জন্য আবেদন করেছেন। সমাবেশ শেষ প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) সাক্ষাৎ করবেন ব্যবসায়ী ও বিশ্বনেতাদের সঙ্গে।

    বাইডেনের বিদায়ী বৈঠক

    বিশ্বে মোদির জনপ্রিয়তা ক্রমবর্ধমান। তাই বহু রাষ্ট্রনেতাই তাঁর সঙ্গে বৈঠক করতে মুখিয়ে রয়েছেন। এখান থেকে কোয়াড বৈঠকও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এই বৈঠকে যোগ দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। এটি তাঁর বিদায়ী বৈঠক। কারণ ডিসেম্বরেই রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে লড়ছেন না বাইডেন। কোয়াডের বৈঠকে যোগ দেবেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজও। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাও যোগ দেবেন এই বৈঠকে। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার কথা তাঁর। প্রসঙ্গত, একটি শান্তিপূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করতে এবং এলাকার উন্নয়নমূলক প্রচেষ্টায় সাহায্য করতে যৌথভাবে কাজ করে এই চার দেশ।

    আরও পড়ুন: দুর্নীতি তদন্তে তৃণমূলের চিকিৎসক-নেতা সুদীপ্ত রায়ের বাড়ি, নার্সিংহোমে অভিযান ইডির

    সামিট অফ দ্য ফিউচার-এ ভাষণ দেবেন মোট ৭২ জন বক্তা। এই তালিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম রয়েছে ৩৫ নম্বরে। এই সামিটে বিশ্বনেতারা ‘প্যাক্ট অফ দ্য ফিউচার’ গ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এটি একটি ভিশনারি ডকুমেন্ট যার মধ্যে রয়েছে (UN Summit) গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট। এই ডিজিটাল কমপ্যাক্ট প্রযুক্তির সুযোগ এবং বিপদ নিয়ে ডিল করে (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India At UN: রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া উচিত ভারতের, বললেন প্রাক্তন প্রধান

    India At UN: রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া উচিত ভারতের, বললেন প্রাক্তন প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্বের তৃতীয় সর্বশক্তিশালী দেশ হিসেবে ভারতের উচিত রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদ পাওয়া (India At UN)। কথাগুলি ভারতের কোনও কর্তা ব্যক্তি বলেননি। বলেছেন নিরাপত্তা পরিষদের প্রাক্তন প্রধান (Ex UNSC Chief) তথা সিঙ্গাপুরের প্রাক্তন কূটনীতিবিদ কিশোর মাহবুবানি। তিনি সিঙ্গাপুরের প্রাক্তন কূটনীতিকও। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের যে পাঁচ স্থায়ী সদস্য রয়েছে তার একটি ব্রিটেন। তাদের উচিত ভারতের জন্য সরে দাঁড়ানো।”

    কী বললেন মাহবুবানি? (Ex UNSC Chief)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মাহবুবানি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের পর ভারত আজ নিঃসন্দেহে তৃতীয় সর্ববৃহৎ শক্তিশালী দেশ (India At UN)। গ্রেট ব্রিটেন আর গ্রেট নয়।” তিনি বলেন, “ব্রিটেনের উচিত তার আসনটি ভারতকে ছেড়ে দেওয়া।” ২০০১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০০২ সালের মে মাস পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান ছিলেন মাহবুবানি। তিনি জানান, প্রতিক্রিয়ার ভয়ে ব্রিটেন দশকের পর দশক ধরে তার ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেনি। এর পরেই তিনি বলেন, “ব্রিটেনের উচিত তার আসনটি ভারতকে ছেড়ে দেওয়া।”

    নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারত রয়েছে (Ex UNSC Chief) পাঁচ নম্বরে। দীর্ঘদিন এই জায়গাটা ছিল ব্রিটেনের দখলে। ব্রিটেনকে হঠিয়ে পাঁচে উঠে এসেছে ভারত (India At UN)। ব্রিটেন নেমে গিয়েছে এক ধাপ। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ পাঁচটি। এগুলি হল, আমেরিকা, ফ্রান্স, চিন, রাশিয়া এবং ব্রিটেন। ভারত সাধারণ সভার সদস্য হয়েছে ৮ বার। যেহেতু ক্রমেই বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় ওপরের দিকে উঠছে ভারত, তাই নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী পদ পাওয়ার দাবি জোরালো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘শুধু বিচার চাই’’, আরজি করকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি নির্যাতিতার মায়ের

    ভারত (India At UN) নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হোক, চায় আমেরিকাও। রাশিয়াও চায়। তবে চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে এখনও অবধি নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে পারেনি ভারত। পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশের সংখ্যা না বাড়লে ভারতের ঢোকার জায়গাও নেই। সেই কারণেই ব্রিটেনকে সরে দাঁড়াতে বলেছেন নিরাপত্তা পরিষদের প্রাক্তন প্রধান। ভারত জি৪-এর সদস্য। এর আরও তিন সদস্য রাষ্ট্র হল ব্রাজিল, জার্মানি এবং জাপান। এরা প্রত্যেকেই একে অন্যের স্থায়ী সদস্যপদের জন্য সমর্থন করে (Ex UNSC Chief)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের হিংসায় নিরপেক্ষ তদন্ত চাইল ব্রিটেন, চুপ হাসিনাকে ‘আশ্রয়’ নিয়ে

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের হিংসায় নিরপেক্ষ তদন্ত চাইল ব্রিটেন, চুপ হাসিনাকে ‘আশ্রয়’ নিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার পর এবার ব্রিটেনও (UK)। বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) রাজনৈতিক পট পরির্তন ও তার জেরে আন্দোলনে মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চেয়েছিল আমেরিকা। ব্রিটেনও চাইছে, বাংলাদেশে তদন্ত করুক রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বাধীন তদন্তকারী দল। ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশকে সমর্থনের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন।

    ব্রিটেনের বিবৃতি (Bangladesh Crisis)

    ব্রিটেনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গত কয়েক দিন বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক উত্থানের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চায় তারা। তদন্ত হোক রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বে স্বাধীনভাবে।” বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটেন মুখ খুললেও, হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি রাজার দেশ। ল্যামি বলেন, “বাংলাদেশে গত দু’সপ্তাহে নজিরবিহীনভাবে হিংসা এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। …একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সব পক্ষকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ গত কয়েক সপ্তাহের ঘটনাবলীতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ ও স্বাধীন তদন্তের দাবি রাখে।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতে নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দেখতে চায়।” মন্ত্রী বলেন, “ব্রিটেন ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং কমনওয়েলথ মূল্যবোধ রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: তাঁর আমলেই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথ দেখিয়েছিলেন হাসিনা

    কী বলছে আমেরিকা

    বাংলাদেশের ঘটনার তদন্ত চেয়েছে আমেরিকাও। সে দেশের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, “আমরা মনে করি বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) আইন ও গণতান্ত্রিক নীতিকে মাথায় রেখেই সেখানে নয়া সরকার গঠন করা হবে। সেখানে যে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, অবশ্যই তার তদন্ত হওয়া উচিত।” এদিকে, ভারত কিংবা আমেরিকা কারও কাছেই রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি হাসিনা।

    বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার যোগাযোগ করেছেন লন্ডনের সঙ্গে। আবেদন করেছেন রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য। তবে ব্রিটেন নাকি সেই আবেদনে কান দেয়নি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সেই কারণেই ব্রিটেনের (UK) জারি করা বিবৃতিতে হাসিনার নাম পর্যন্ত নেওয়া হয়নি (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India’s Population: ২০৬০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হবে সবচেয়ে বেশি ১৭০ কোটি, রিপোর্ট রাষ্ট্রপুঞ্জের

    India’s Population: ২০৬০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হবে সবচেয়ে বেশি ১৭০ কোটি, রিপোর্ট রাষ্ট্রপুঞ্জের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক বছরের মধ্যেই ভারতের জনসংখ্যা (India’s Population) পেরোবে ১৫০ কোটি। ২০৬০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হবে সবচেয়ে বেশি ১৭০ কোটি। তারপর ধীরে ধীরে ভারতের জনসংখ্যা ১২ শতাংশ কমবে। একবিংশ শতাব্দীর শেষে জনসংখ্যা অনেকটা কমলেও ভারতই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nation)। তখন চিন থাকবে ভারতের থেকে অনেক পিছনে, এমনই বলছে সমীক্ষা। এদেশের জনসংখ্যা থাকবে চিনের প্রায় আড়াই গুণ। 

    কী বলছে রাষ্ট্রপুঞ্জ (India’s Population) 

    রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nation) ‘ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্টস ২০২৪’ নামাঙ্কিত রিপোর্ট বলছে, ২০২৪ সালের শেষে ভারতের সম্ভাব্য জনসংখ্যা (India’s Population) হতে পারে ১৪৫ কোটি। চিনের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি। ২০৬০ সালে ভারতের জনসংখ্যা বিশ্বের মধ্যে শীর্ষস্থানে পৌঁছতে পারে। জনসংখ্যা হতে পারে ১৭০ কোটি। তবে এই সময়ের মধ্যে চিনের জনসংখ্যা ১২০ কোটির কাছাকাছি থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে। শতাব্দী শেষে ২১০০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হতে পারে ১৫০ কোটি। চিনের জনসংখ্যা অনেকটাই কমে হতে পারে ৬৩ কোটি। জনসংখ্যার নিরিখে ভারত এবং চিনের পরে থাকতে পারে আমেরিকা। সে দেশে এখন জনসংখ্যা ৩৪ কোটি। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ‘ইউনাইটেড নেশনস ডিপার্টমেন্ট অফ ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স’ (দেসা)-এর জনসংখ্যা সংক্রান্ত বিভাগ।

    আরও পড়ুন: সবজি থেকে জামা-কাপড়, টিভি-ফ্রিজ, ডিজিটাল লেনদেনেই জোর তরুণ প্রজন্মের

    সারা বিশ্বে কী প্রভাব (United Nation)

    রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nation) রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৮০ সালের মাঝামাঝি বিশ্বের জনসংখ্যা ১০.৩ বিলিয়ন তথা ১০০০ কোটি ছাপিয়ে যাবে। তবে এর পরই তা কমতে থাকবে। শতাব্দী শেষ হতেই সব মিলিয়ে ১০ কোটি জনসংখ্যা হ্রাস পাবে গোটা পৃথিবী মিলিয়ে। ১৯৫০ সাল থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জনসংখ্যা সমীক্ষা শুরু হয়েছে। গত বাহাত্তর বছরে প্রথমবার বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের তকমা পেয়েছে ভারত। যা দীর্ঘদিন যাবৎ ছিল চিনের দখলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Climate Change: রাষ্ট্রসঙ্ঘের জলবায়ু সম্মেলন নভেম্বরে, মতানৈক্য অর্থায়ন নিয়ে

    Climate Change: রাষ্ট্রসঙ্ঘের জলবায়ু সম্মেলন নভেম্বরে, মতানৈক্য অর্থায়ন নিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসঙ্ঘের জলবায়ু সম্মেলন (Climate Change) শুরু হবে আর ঠিক পাঁচ মাস পরে (COP29 Summit)। তবে এখনও পর্যন্ত বৈশ্বিক অর্থায়ন বিলের সাইজ কী হবে, তা নিয়ে সহমত পোষণ করতে পারেনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় এই অর্থের প্রয়োজন দরিদ্র দেশগুলির।

    সিওপি ২৯ জলবায়ু আলোচনা (Climate Change)

    জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত এই সম্মেলন এবার হবে আজারবাইজানে। সেখানেই হবে সিওপি ২৯ (COP29 Summit) জলবায়ু আলোচনা। সিওপি হল রাষ্ট্রসঙ্ঘের বার্ষিক জলবায়ু সভা। ১৯৯২ সালে রিও আর্থ সম্মেলনে একটি বহুপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করে রাষ্ট্রসংঘের ১৫৪টি দেশ। প্রতিবছর এই সম্মেলন হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এবার সম্মেলন হবে আজারবাইজানে, নভেম্বর মাসে। সম্মেলনে প্রায় ২০০টি দেশকে বার্ষিক অর্থায়নের লক্ষ্যে সহমত পোষণ করতে হবে। এই অর্থেই দরিদ্র দেশগুলিকে সাহায্য করা হয়। যাতে তারা নির্গমণ কমাতে পারে, সহযোদ্ধা হতে পারে তপ্ততর বিশ্বের হাত থেকে বিশ্ববাসীকে বাঁচাতে (Climate Change)।

    প্রাথমিক কথাবার্তা জার্মানির বনে

    এই তহবিলের (COP29 Summit) নয়া লক্ষ্যমাত্রা বছরে প্রায় ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২০ সালে ধনী দেশগুলি এই খাতে অর্থ দান করার অঙ্গীকার করেছিল। যদিও সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে দু’বছর পরে। নভেম্বরের এই সম্মেলনের আগে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে চলতি সপ্তাহে, জার্মানির বনে। তবে অর্থায়নের বিষয়ে সেখানে উল্লেখযোগ্য কোনও আলোচনা হয়নি। এই আলোচনা শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার। সেখানেও অর্থায়নের বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছতে পারেনি বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলি।

    আরও পড়ুন: তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ বাদল অধিবেশনেই! কবে জানেন?

    ঝুঁকিপূর্ণ জলবায়ুর দেশগুলির (COP29 Summit) তরফে জানানো হয়েছে, জলবায়ু অর্থায়নে বিত্তশালী দেশগুলি অতীতের বকেয়া দিতে দেরি করছে। অথচ সামরিক কিংবা যুদ্ধের খাতে তারা অর্থায়ন করছে দ্রুত। কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমণ এনার্জি সোর্সে ভর্তুকিও দিচ্ছে কোটি কোটি। দক্ষিণ আফ্রিকার তরফে জলবায়ু নিয়ে বিভিন্ন আলোচনায় যোগ দেন পেমি গ্যাসেলা। অর্থায়ন নিয়ে মোক্ষম প্রশ্নটি ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। বলেন, “যদি অর্থায়ন না হয়, তাহলে আপনি সামনের দিকে এগোবেন কীভাবে?” তিনি জানান, তাঁর দেশ অনেক উন্নয়নশীল দেশের মতো, যারা অর্থনৈতিক সাহায্য ছাড়া দ্রুত নির্গমণ কমাতে পারে না (Climate Change)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Indias Nuclear Test: পোখরানে ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার ৫০ বছর, জানেন দিনটির গুরুত্ব?

    Indias Nuclear Test: পোখরানে ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার ৫০ বছর, জানেন দিনটির গুরুত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পায়ে পায়ে পেরিয়ে এসেছি পঞ্চাশ বছর। ১৯৭৪ সালের ১৮ মে রাজস্থানের পোখরানে প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করে ভারত (Indias Nuclear Test)। অপারেশনের নাম ছিল ‘স্মাইলিং বুদ্ধ’। পারমাণবিক এই অস্ত্র পরীক্ষার আগে পর্যন্ত এ ব্যাপারে কাকপক্ষীতেও টের পায়নি। পরীক্ষার পরে পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ঘটনাটিকে “শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক বিস্ফোরণ” বলে অভিহিত করেছিলেন। এই পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গেই ভারত ‘নিউক্লিয়ার ক্যাপাবিলিটির লিগ অফ নেশনসে’র তালিকায় ঢুকে পড়েছিল।

    পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার খবর (Indias Nuclear Test)

    পোখরানে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার (Indias Nuclear Test) ঠিক পরের দিনই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে ফলাও করে বেরিয়েছিল ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার সেই খবর। খবরে এও বলা হয়েছিল, মাটির নীচে এই পরীক্ষা হয়েছে। প্লুটোনিয়ামের এই ডিভাইসের রেঞ্জ ১০-১৫ কিলোটন। খবরে এও বলা হয়েছিল, ভারতের অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের চেয়ারম্যান ড: এইচএন শেটনা এবং ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের ডিরেক্টর ড: আর রামান্না যাঁরা পরীক্ষার তদারকি করেছিলেন, বিস্ফোরণের পরেই দ্রুত উড়ে গিয়েছিলেন দিল্লিতে।

    ‘স্মাইলিং বুদ্ধ’

    ‘স্মাইলিং বুদ্ধ’ অপারেশনের পর ভারতই প্রথম দেশ যারা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের সঙ্গে এক সারিতে বসার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র হল আমেরিকা, চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং ব্রিটেন। পোখরানে পারমাণবিক পরীক্ষার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত। সমালোচকদের বক্তব্য ছিল, ১৯৭০ সালে দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা থেকে মানুষের নজর ঘোরাতেই পোখরানে পারমাণবিক পরীক্ষা ভারতের। যদিও অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছিলেন, “এই পরীক্ষার নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক চাল নেই। যা রয়েছে, তা হল আমার নিজস্ব সিদ্ধান্ত।”

    আর পড়ুন: “কংগ্রেসের মাওবাদী ইস্তাহার রূপায়িত হলে দেউলিয়া হয়ে যাবে দেশ”, বললেন মোদি

    ১৯৪৫ সালে শেষ হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এই যুদ্ধে নিহত হন লক্ষাধিক মানুষ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন রাশিয়ার ঠান্ডা লড়াইয়ের জেরেই অকালে প্রাণ হারাতে হয়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ওই মানুষদের। ১৯৬৮ সালে ন্যূনতম শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশে স্বাক্ষরিত হয় ‘পারমাণবিক অস্ত্র সম্প্রসারণ চুক্তি’ (এনপিটি)। এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল পারমাণবিক অস্ত্রধারী বিভিন্ন দেশ। এর ঠিক ছ’বছর পরেই পোখরানে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করে ভারত। এই পরীক্ষার পরে দীর্ঘদিন কার্যত হাত গুটিয়ে বসেছিল ভারত। ১৯৯৮ সালে ফের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করে নয়াদিল্লি। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। এই অপারেশনের নাম ছিল ‘শক্তি’ (Indias Nuclear Test)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share