Tag: us

us

  • US Migrants: অবৈধ অভিবাসীদের ভারতে পাঠানো শুরু করে দিল ট্রাম্প প্রশাসন

    US Migrants: অবৈধ অভিবাসীদের ভারতে পাঠানো শুরু করে দিল ট্রাম্প প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে শুরু করে দিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকা থেকে অবৈধ অভিবাসীদের (US Migrants) ভারতে পাঠানো শুরু করে দিল ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকার একটি সামরিক বিমানে করে ভারতে পাঠানো হচ্ছে তাঁদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন আধিকারিক জানান, একটি সি-১৭ বিমান ইতিমধ্যেই অভিবাসীদের নিয়ে ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। যদিও নয়াদিল্লির তরফে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

    অভিবাসন রুখতে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি (US Migrants)

    আমেরিকার নির্বাচনের আগে থেকেই অভিবাসন রুখতে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছেন ট্রাম্প। ক্ষমতায় আসার পরেই এ বিষয়ে তৎপর হয়েছেন তিনি। বিনা নথিতে যাঁরা আমেরিকায় রয়েছেন, তাঁদের ধরে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকার পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। সম্প্রতি তিনি বলেছিলেন, “অভিবাসনের ক্ষেত্রে আমাদের একটি নীতিগত অবস্থান রয়েছে, যা প্রতিটি দেশের জন্যই প্রযোজ্য। আমরা বৈধ অভিবাসন সব সময় সমর্থন করি।” তিনি বলেন, “অবৈধ যাতায়াত ও অভিবাসনের আমরা তীব্র বিরোধিতা করি। কারণ যখনই কোনও একটি অবৈধ ঘটনা ঘটে, তার সঙ্গে আরও অনেক অবৈধ কার্যকলাপ জুড়ে যায়। এটি দেশের সুনামের দিক থেকে কখনওই ভালো নয়।”

    ধরপাকড় শুরু

    ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেন ট্রাম্প (US Migrants)। তার পর থেকেই সে দেশ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের স্বদেশে ফেরাতে শুরু হয় তৎপরতা। ধরপাকড়ও শুরু করে আমেরিকার প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু দেশের অবৈধ অভিবাসীদের ফেরতও পাঠিয়েছে আমেরিকা। এজন্য পেন্টাগনে আমেরিকার সামরিক দফতর থেকেও সাহায্য নিচ্ছে ওয়াশিংটন। অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে বিমান দেওয়া হচ্ছে পেন্টাগন থেকে।

    টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া, সান দিয়েগো, এল পাসো থেকে ধরা হয়েছে পাঁচ হাজারেরও বেশি অবৈধ অভিবাসীকে। তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে ব্যবহার করা হয়েছে সামরিক বাহিনীর বিমান। জানা গিয়েছে, পেরু, হন্ডুরাস এবং গুয়েতেমালায় ইতিমধ্যেই ফেরত পাঠানো হয়েছে অবৈধ অভিবাসীদের। যে সি-১৭ এয়ারক্র্যাফ্টে করে ভারতীয়দের দেশে পাঠানো হচ্ছে, সেটি ভারতে ল্যান্ড করবে ২৪ ঘণ্টার কিছু বেশি সময় পরে (US Migrants)।

  • Trump-Modi Meeting: প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিশেষ নৈশভোজ! আগামী সপ্তাহেই সাক্ষাৎ ট্রাম্প-মোদির?

    Trump-Modi Meeting: প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিশেষ নৈশভোজ! আগামী সপ্তাহেই সাক্ষাৎ ট্রাম্প-মোদির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী সপ্তাহেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। বন্ধু মোদির জন্য বিশেষ নৈশভোজেরও আয়োজন করতে পারেন ট্রাম্প। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, চলতি মাসের ১২ তারিখই ওয়াশিংটন ডিসিতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

    ট্রাম্প-মোদি সাক্ষাৎ ১৩ ফেব্রুয়ারি

    হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের পর প্রথম বার মার্কিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী সপ্তাহে প্যারিসে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ১০ এবং ১১ ফেব্রুয়ারি সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স অ্যাকশন সামিটে যোগ দেবেন তিনি। সূত্রের খবর, এই সামিট শেষে ১২ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসি-এর উদ্দেশে রওনা হবেন মোদি। সূত্রের দাবি, ১৩ তারিখ ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। হোয়াইট হাউজের তরফে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, কোন কোন রাষ্ট্রপ্রধান ট্রাম্পের শপথগ্রহণের দু-এক সপ্তাহের মধ্যে আমেরিকা সফরে আসবেন, বৈঠক করবেন। সেই তালিকায় নাম রয়েছে মোদির। প্রেসিডেন্ট পদে ফেরার পর হাতে গোনা রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেই এখনও পর্যন্ত ট্রাম্পের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কথা শোনা গিয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে ভারতও।

    কী কী বিষয়ে আলোচনা

    বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য নৈশভোজের আয়োজন করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের ঘাটতি হ্রাস করতে চান ট্রাম্প। সেই সম্পর্কিত আলোচনার সঙ্গে অবশ্যই তালিকায় অভিবাসন নীতিও থাকবে। ট্রাম্প এর আগে নিজের ভাষণে বলেছিলেন, এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং মোদি অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন বলেই তিনি মনে করেন। তবে এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাতের পরিকল্পনা নিয়ে কোনও সরকারি ঘোষণা করেনি বিদেশ মন্ত্রক। সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, চেষ্ট করা হচ্ছে যাতে দ্রুত মোদি-ট্রাম্প বৈঠকে করেন। সেখানে নিঃসন্দেহে শুল্ক যুদ্ধ নিয়েও কথা হবে। কথা হবে সামরিক অস্ত্র, চিনের ‘দাদাগিরি’র মতো বিষয় নিয়েও ।

  • Modi Govt: ভিসা পেলেন না ভারত-বিরোধী ক্ষমা, জাতীয় ঐক্যে আপস নয়, বুঝিয়ে দিল মোদি সরকার

    Modi Govt: ভিসা পেলেন না ভারত-বিরোধী ক্ষমা, জাতীয় ঐক্যে আপস নয়, বুঝিয়ে দিল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ-বিরোধী কোনও কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না, তা আবারও বুঝিয়ে দিল মোদি সরকার। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন রাজনীতিবিদ ক্ষমা সাওয়ান্তের ভিসা প্রত্যাখ্যান করল কেন্দ্র। প্রাক্তন সিয়াটল সিটি কাউন্সিলর ক্ষমা, সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভ সহ বেশ কয়েকটি বিতর্কিত ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। তাঁর এই অবস্থানের জন্যই তাঁকে ভিসা দিতে অস্বীকার করল ভারত, এমনই অভিমত কূটনীতিকদের। এই ঘটনা বিশ্বের কাছে কেন্দ্রের জিরো-টলারেন্স বা আপসহীন নীতিকে শক্তিশালী করল।

    কেন ক্ষমা সাওয়ান্তের ভিসা প্রত্যাখ্যান?

    ক্ষমা সাওয়ান্ত একজন ফায়ারব্র্যান্ড সমাজকর্মী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শহর সিয়াটেলের প্রাক্তন কাউন্সিলর, প্রায়ই ভারত সরকারের সমালোচনা করতেন তিনি। সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভের প্রতি তাঁর সমর্থন, ভারতের রাজনৈতিক আবহাওয়ার সমালোচনা এবং দূর-বাম মতাদর্শের সঙ্গে সারিবদ্ধতা তাঁকে একটি মেরুকরণকারী ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। যদিও দিল্লির তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিসা প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে মন্তব্য করা হয়নি। তবে, কূটনৈতিক মহলের অনুমান বিদেশি প্রভাব থেকে ভারতকে রক্ষা করার জন্য মোদি সরকার এই পদক্ষেপ করেছে। সাওয়ান্তকে ভিসা দিতে মোদি সরকারের প্রত্যাখ্যান, জাতীয় ঐক্যকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা রুখবে বলেই অভিমত বিশেষজ্ঞদের। সর্বোপরি, কেন ভারত তাঁদের আতিথেয়তা বাড়াবে যাঁরা আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে ভারতের নীতিকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ জানায়।

    ভারত-বিরোধী কাজ

    ক্ষমা সাওয়ান্তের ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে মোদি সরকার দেশ বিরোধীদের একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠিয়েছে। সরকারের তরফে বার্তা, দেশ-বিরোধী কার্যকলাপকে সমর্থন করলে, আপনাকে স্বাগত জানানো হবে না। শুধু সিএএ নয়, সিয়াটেল সিটি কাউন্সিলে থাকাকালীন, ক্ষমা ভারতের নীতির বিরুদ্ধে একাধিক প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। ২০২৩ সালে তিনি একটি প্রস্তাব পেশ করেন, যেখানে হিন্দু ধর্মকে অতিরিক্ত আইনি নিরীক্ষণের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছিল। এই ঘটনা হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এই আবহে কেন্দ্র ক্ষমার ভিসা মঞ্জুর না করে বুঝিয়ে দিয়েছে, ভারতের জাতীয় ঐক্যের ক্ষতি করতে পারে এমন প্রচেষ্টা মেনে নেবে না মোদি সরকার।

  • Bangladesh Crisis: আরও বিপাকে ইউনূস! আমেরিকার পর বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করল সুইৎজারল্যান্ডও

    Bangladesh Crisis: আরও বিপাকে ইউনূস! আমেরিকার পর বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করল সুইৎজারল্যান্ডও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণ আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশে পণ্য সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছে। দেশের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও সঙ্কট দেখা দিয়েছে। নগদ টাকার জোগানে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) হাল ফেরাতে সক্ষম হয়নি, বলেই অভিমত বিশেষজ্ঞদের। এরই মধ্যে বাংলাদেশে সমস্ত আর্থিক সহায়তা বন্ধের ঘোষণা করে দিল সুইস সরকার। বিশ্বের উচ্চবিত্ত দেশগুলির মধ্যে অন্যতম সুইৎজারল্যান্ড (Switzerland)। আমেরিকার (US) পর এবার বাংলাদেশের মাথা থেকে হাত সরিয়ে নিল তারাও।

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক আর্থিক সহযোগিতায় টাকা ঢালা কমাতে উদ্যোগ নিয়েছে সুইৎজারল্যান্ডের (Switzerland) সংসদ। আর সেই সূত্র ধরেই চলতি বছরে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাজেট থেকে ১২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সরিয়ে নিল তারা। পাশাপাশি, ২০২৬ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাজেট থেকে ছেঁটে দেওয়া হল ৩৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই ত্রাণ বন্ধের জেরেই এবার বিপাকে পড়তে চলেছে বেশ কয়েকটি দেশ, যার মধ্যে অন্যতম ‘ইউনূসের বাংলাদেশ’। সুইস ফেডারেল কাউন্সিল সূত্রে জানা গিয়েছে, সংসদের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ-সহ (Bangladesh Crisis) প্রভাব পড়বে আলবানিয়া ও জামবিয়াতেও। তাদের আরও দাবি, আপাতত ২০২৮ সাল পর্যন্ত এই সহযোগিতা চালানো হবে। কিন্তু তারপর থেকে আর কোনও রকম আর্থিক সহযোগিতা পাবে না এই দেশগুলি।

    ইউনূসের বৈঠক ব্যর্থ

    সম্প্রতি সপার্ষদ সুইৎজারল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস৷ সুইৎজারল্যান্ডে সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন স্তরে তিন দিনে ৪৭টি বৈঠক করেছিলেন ইউনূস৷ সেই বৈঠকগুলি দারুণ ফলপ্রসূ হয়েছে বলেও জানায় বাংলাদেশ সরকার৷ কয়েকদিন যেতে না যেতে বাংলাদেশের সেই আশায় জল ঢেলে দিল সুইস সরকার৷ তারা জানিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশে যে প্রকল্পগুলি সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোঅপারেশন চালাচ্ছিল, ২০২৮ সালের মধ্যে সেই সমস্ত প্রকল্প গুটিয়ে নেবে তারা৷

    ট্রাম্প সরকারের ধাক্কা

    ভারত-বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) চাপানউতোরের মধ্যেই এর আগে ঢাকার ওপর চাপ বাড়িয়েছে আমেরিকা (US)। মার্কিন নির্বাচনের প্রচারে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর আক্রমণ নিয়ে সরব হয়েছিলেন ট্রাম্প। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসেই বড় ঘোষণা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই আমেরিকার ডোনার এজেন্সি ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) বাংলাদেশে তার অর্থ সাহায্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যক্ষেত্রের উন্নতিতে কয়েকশো কোটি টাকা সাহায্য করে আমেরিকা। স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে আরও বিপাকে ইউনূস সরকার। বাংলাদেশে পরিবেশ, শিক্ষা, কৃষকদের জন্য রোজগারে বিপুল অর্থসাহায্য করে আমেরিকা। পাশাপাশি, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে রাখার জন্য টাকা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবার থেকে সেই সুবিধা আর পাবেন না মহম্মদ ইউনূসের সরকার।

    অর্থনৈতিক অচলাবস্থা পদ্মা পাড়ে

    শেখ হাসিনা বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) ছাড়ার পর থেকে কার্যত অচলাবস্থা শুরু হয়েছে পদ্মা পাড়ে। বাংলাদেশের টাকার দামও পড়ছে লাগাতার। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক টাকা তোলার যে সীমা বেঁধে দিয়েছে, তার আওতায় একদিনে ২ লক্ষের বেশি টাকা তুলতে পারবেন না নাগরিকরা। ঢাকার পাইকারি বাজারে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি করা যাবে না বলে নির্দেশ এসেছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ফলে আমদানিকৃত পণ্যেরও দামও বাড়াতে পারছেন না, আবার আগের মতো বেশি সংখ্যক মানুষও আসছেন না বাজারে। ফলে ব্যবসায় লাভ নেই বলে অভিযোগ উঠে আসছে। গত কয়েক মাসে শহরাঞ্চলগুলি যদিও বা ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে, গ্রামাঞ্চলের পরিস্থিতি বেশ থমথমে।

    কী ভাবছেন অর্থনীতিবিদরা

    বাংলাদেশের রাজকোষে (Bangladesh Crisis) সঞ্চিত অর্থ নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রা দিনে দিনে কমছে। যদিও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া নিয়ে আশাবাদী। তবে আশার আলো দেখছেন না অর্থনীতিবিদরা। তাঁদের মতে, মূদ্রাস্ফীতি কমাতে অবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারকে সরবরাহ বাড়াতে হবে, কমাতে হবে আমদানিকৃত শুল্কের উপর বসানো করের হার। বন্দরগুলিকে আবারও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আন্তর্জাতিক স্তরে বিদেশি সাহায্যের বিষয়েও ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ করতে হবে ইউনূস সরকারকে।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশকে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করল আমেরিকা, ট্রাম্পের নির্দেশে বিপাকে ইউনূস

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশকে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করল আমেরিকা, ট্রাম্পের নির্দেশে বিপাকে ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরতেই বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ইউনূসের বাংলাদেশ। গতকালই একটি তালিকা প্রকাশ করে বিশ্বের একাধিক দেশে যে ত্রাণ পাঠিয়ে থাকে আমেরিকা, তা বন্ধের ঘোষণা করে দিয়েছিলেন সদ্য় নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার সেই তালিকায় নাম বাংলাদেশেরও। আমেরিকার থেকে আগামী ৯০ দিনের জন্য আর কোনও রকম সাহায্য পাবে না ইউনূসের সরকার। ফলে আমেরিকার টাকায় যেসব কাজ বাংলাদেশে চলছিল তা বন্ধ হতে বসেছে।

     

    সাহায্য বন্ধ কোন কোন খাতে

    মার্কিন সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডির (USAID) অর্থায়নে বাংলাদেশে সব প্রকল্প ও কর্মসূচির ব্যয় অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইউএসএআইডির বাংলাদেশ কার্যালয়ের পরিচালক রিচার্ড বিষয় অ্যারন গত শনিবার সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ সব স্থানীয় উন্নয়ন সংগঠনের জন্য এ নির্দেশনামা জারি করে চিঠি দেন। এতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তির আওতাধীন সকল প্রকল্প ও কর্মসূচির মার্কিন অংশের ব্যয় বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশে পরিবেশ, শিক্ষা, কৃষকদের জন্য রোজগারে বিপুল অর্থসাহায্য করে আমেরিকা। পাশাপাশি, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে রাখার জন্য টাকা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবার থেকে সেই সুবিধা আর পাবেন না মহম্মদ ইউনূসের সরকার।

     

    টালমাটাল বাংলাদেশ

    ইতিমধ্যেই ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশে তাদের সমস্ত কাজ বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। যার হাত ধরে আপাতত আর্থিক অনুদান ও ত্রাণবিলি ছাড়াও বাংলাদেশে আমেরিকার উন্নয়নমূলক সকল কাজে বাধ পড়ে গেল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। জানা গিয়েছে, গত বছর পালাবদলের পর দেশের টালমাটাল পরিস্থিতিকে সামাল দিতে আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাগুলির কাছে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের আবেদন করেছিল ইউনূসের সরকার। যার মধ্যে ৪.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের থেকে নিয়েছিল তারা। যা বাংলাদেশকে চারটি কিস্তিতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আইএমএফ। কিন্তু, সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্ট বলছে, এখনও পর্যন্ত আইএমএফ-এর চতুর্থ ও শেষ কিস্তির টাকা পায়নি ইউনূস সরকার। তার মধ্যে আবার হাত তুলে নিল আমেরিকা।

     

    আমেরিকা-বাংলাদেশ সম্পর্কে টান

    গত বছর, বাংলাদেশ- আমেরিকার সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে মার্কিন দূতাবাস ও মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বিগত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি, পরিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং আরও অনেক কিছু মোকাবিলায় ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ‘ফরেইন অ্যাসিস্ট্যান্স ডট গভ’ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্নভাবে বাংলাদেশে ২০২১ সালে ৫০০ মিলিয়ন ডলার, ২০২২ সালে ৪৭০ মিলিয়ন ডলার, ২০২৩ সালের ৪৯০ মিলিয়ন ডলার এবং ২০২৪ সালে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশে নানাভাবে সহায়তা দিয়েছে দেশটি। রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর থেকে ওয়াশিংটন বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। বিগত কয়েক বছরে মার্কিন সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যেই ছিল বাংলাদেশ। প্রসঙ্গত, ওই সাহায্য বন্ধ হওয়ার পর এবার স্বাভাবিকভাবেই বিপাকে পড়বে বাংলাদেশ।

     

    ট্রাম্প সরকার আসতেই চাপে ঢাকা

    অতীতে বাইডেনের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্যের জন্য কথা বলেছিল মহম্মদ ইউনূসের সরকার। মনে করা হচ্ছিল, মার্কিন নির্বাচনে জিতেই বাংলাদেশ সফরে আসবেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেডিডেন্ট জো বাইডেন। যদিও নির্বাচনে উল্টে ফল হতেই আশঙ্কা বাড়ছিল বাংলাদেশে। কারণ, মার্কিন নির্বাচনের প্রচারে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর আক্রমণ নিয়ে সরব হয়েছিলেন ট্রাম্প। এবার ক্ষমতায় এসেই বাংলাদেশে সব ধরনের আর্থিক সাহায্য় বন্ধ করলেন তিনি। এর আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসেই ইউক্রেন (Ukraine) ছাড়াও অনেক দেশে আর্থিক সাহায্য় বন্ধ করে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প জানিয়েছিলেন , আগামী ৯০ দিন কোনও দেশকে আর্থিক সাহায্য় দেবে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প বলেছেন, আমেরিকা থেকে বিদেশে যে আর্থিক সাহায্য যাচ্ছে, তা তাঁর নীতি অনুসারে হচ্ছে কি না তা আগে দেখে নেবেন তিনি। একবার ছাড়পত্র পেলে তবেই ছাড়া হবে ফান্ড।

  • 26/11 Convict: ‘‘ভারতের বড় জয়’’, ২৬/১১ হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউরকে প্রত্যর্পণে সায় মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের

    26/11 Convict: ‘‘ভারতের বড় জয়’’, ২৬/১১ হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউরকে প্রত্যর্পণে সায় মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাস দমনে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বড় জয় ভারতের। ২৬/১১ মুম্বই হামলায় (26/11 Convict) অভিযুক্ত তাহা‌উর রানাকে (Tahawwur Rana) ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার অনুমতি দিল আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট। ফলে তাঁকে ভারতে ফেরাতে আর কোনও বাধা রইল না।  ২০০৮ সালে মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলায় তাঁর যোগ পেয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তাহাউর রানাকে প্রত্যর্পণের চেষ্টা চালাচ্ছিল ভারত। আইনজীবী উজ্জ্বল নিকম  এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর কথায় সন্ত্রাসবাদ রুখতে এটা ভারতের বড় জয়।

    আইনি লড়াইয়ে জয় ভারতের

    আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টই ছিল তহাউর রানার শেষ ভরসা। এর আগে একাধিক নিম্ন আদালতে আইনি লড়াই হেরে যান তিনি। সান ফ্রান্সিসকোতে নর্থ সার্কিট আমেরিকান কোর্ট অফ আপিলেও হেরে গিয়ে শেষ পর্যন্ত মার্কিন শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত তাহাউর। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তাঁকে এ দেশে প্রত্যর্পণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। প্রথমে আইনি প্রক্রিয়ার কারণে তা বিলম্বিত হচ্ছিল। প্রথমে নিম্ন আদালতে, তার পরে ওয়াশিংটনের প্রাদেশিক আদালতে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে আবেদন করেন রানা। কোথাও সুরাহা হয়নি। সান ফ্রান্সিসকোর আপিল আদালতেও প্রত্যর্পণের পক্ষেই রায় গিয়েছে। এ বার আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টও রানাকে প্রত্যর্পণের অনুমতি দিল। ১৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাহাউর রানা। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর দিনই তাহাউর রানার রিট পিটিশন খারিজ করে দেয় মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট।

    প্রত্যর্পণের পথ প্রশস্ত

    মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গী রানাকে পাওয়ার জন্য প্রায় দেড় দশক আগে ওয়াশিংটনের কাছে আবেদন জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু তাতে সায় মেলেনি। বরং পরবর্তীকালে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে যান। যদিও ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর পাকিস্তান থেকে আগত ১০ লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির মুম্বইয়ে হামলার পরিকল্পনায় রানা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ছিল ভারতের। পরবর্তী সময়ে দ্বিপাক্ষিক বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে আবার রানাকে আমেরিকার থেকে ফেরত চায় ভারত। তার পরে ২০২০ সালের জুন মাসে মুম্বই নাশকতার ঘটনাতেই ফের রানাকে গ্রেফতার করে আমেরিকার পুলিশ। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালতে রানার তরফে জামিনের আবেদন জানানো হলেও বছর দেড়েক আগে তা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। ফলে তাঁর প্রত্যর্পণের পথ প্রশস্ত হয়।

    দোষী সাব্যস্ত তাহাউর

    ইতিমধ্যেই আমেরিকার ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট তাহাউরকে দু’টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে। প্রথমত, বিদেশি জঙ্গি সংগঠনকে মদত। দ্বিতীয়ত, ডেনমার্কে একটি সন্ত্রাস হামলার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকা। তবে, ভারতে হামলার ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্যের যে অভিযোগ উঠেছিল, তাতে তাহাউরকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। প্রথম দু’টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সাত বছর জেল খাটেন তাহাউর। তাঁকে মুক্তি দেওয়ার কথাবার্তা শুরু হতেই প্রত্যর্পণের আর্জি জানায় ভারত। নয়াদিল্লির যুক্তি ছিল, মুম্বই সন্ত্রাস হানায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ভারতের মাটিতে তাঁর বিচার হওয়া প্রয়োজন। ভারতের দাবিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রথমে এক্সট্রাডিশন কোর্ট, তার পর সেখান থেকে ধাক্কা খেয়ে মার্কিন আপিল আদালতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও ধোপে টেকেনি তাঁর দাবি। ফলে সুপ্রিম কোর্টই একমাত্র রাস্তা ছিল তাঁর হাতে। এ বার বন্ধ হল সমস্ত রাস্তা। 

    আরও পড়ুন: ১৭৯টি সম্প্রদায়কে এসসি, এসটি এবং ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ নীতি আয়োগের

    ভারতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু

    ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বই হামলায় ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ছ’জন মার্কিন নাগরিকও। ওই হামলায় যোগ পাওয়া গিয়েছে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক রানার। বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেসের মেট্রোপলিটন ডিটেনশন সেন্টারে রয়েছেন ৬৪ বছর বয়সি রানা। জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের কাছে রানার আবেদন খারিজ করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল মার্কিন সরকারও। মার্কিন সলিসিটর জেনারেল এলিজাবেথ বি প্রিলোগার আগেই জানিয়েছিলেন যে, এই মামলায় প্রত্যর্পণ থেকে অব্যাহতি পাবেন না রানা। এবার শীঘ্রই তাঁকে ভারতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। আইনজীবী উজ্জ্বল নিকম বলেন, ‘‘এটি ভারতের জন্য একটি বড় জয়। তাহাউর রানা হলেন সেই ব্যক্তি যিনি মুম্বই হামলার পিছনে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অনেক তথ্য জানেন।’’

    ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার মসনদে দ্বিতীয়বার বসার পরই ২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত তাহাউর রানাকে ভারতের হাতে প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। ভারত-মার্কিন বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এটা ভারতের অন্যতম বড় জয় বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • US Citizenship: নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, স্থগিতাদেশ মার্কিন আদালতের

    US Citizenship: নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, স্থগিতাদেশ মার্কিন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভের জন্য যে সময় বেঁধে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বন্ধ করার ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত স্থগিত করল আমেরিকার প্রাদেশিক আদালত। ওয়াশিংটন প্রদেশের সিয়াটেলের আদালতের বিচারক ট্রাম্পের ওই নির্দেশ কার্যকরের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। 

    কী বলল আদালত

    প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পরেই ট্রাম্প আদেশ দিয়েছিলেন অভিবাসীদের সন্তানরা জন্মসূত্রে আর আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে না। রিপাবলিকান নেতার এই আদেশনামা প্রকাশিত হওয়ার পরেই এহেন নির্দেশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে ২২টি মার্কিন প্রদেশ। আদেশনামার কড়া বিরোধিতা করে মামলা দায়ের করেছে কলম্বিয়া, সান ফ্রান্সিসকোর মতো প্রদেশগুলি। ট্রাম্পের নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বস্টন, সিয়াটল, ম্যাসাচুসেটস ও নিউ হ্যাম্পশায়ারের আদালতে। বৃহস্পতিবার এই মামলা নিয়ে শুনানি ছিল সিয়াটল আদালতে বিচারক জন কোহেনরের এজলাসে। শুনানি শেষে বিচারক জানিয়ে দেন, ট্রাম্পের নির্দেশে সংবিধানের আদর্শ লঙ্ঘিত হয়েছে। 

    ট্রাম্পের নির্দেশ নামা

    আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশ, এখন থেকে আমেরিকায় জন্মালেই সেখানকার নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে না। শিশুর বাবা এবং মা উভয়েই যদি আমেরিকার স্থায়ী বাসিন্দা (পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট) হন, তবে শিশুও জন্মানোর পরেই সে দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবে। কিন্তু বাবা অথবা মায়ের মধ্যে যে কোনও এক জনের যদি নাগরিকত্ব না-থাকে, সে ক্ষেত্রে সদ্যোজাতকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির পর আমেরিকায় এই নির্দেশ কার্যকর করার কথা জানান ট্রাম্প।

    এতদিন কী ছিল

    আমেরিকায় এত দিন যে নিয়ম প্রচলিত ছিল, তাতে বাবা অথবা মায়ের পরিচয় না-দেখেই আমেরিকায় ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তানকে জন্মগত ভাবে সে দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হত। এর পর ওই শিশুর বয়স যখন ২১ বছর পূর্ণ হয়, তখন বাবা-মায়েরও আমেরিকায় পাকাপাকি ভাবে থাকার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায়। এই সুযোগটি বন্ধ করতে চান ট্রাম্প। ট্রাম্পের ঘোষণার পর থেকে আমেরিকায় ভারতীয় দম্পতিরা উদ্বেগে। ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সিজার চেয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে আবেদনও করছেন অনেক অন্তঃসত্ত্বা। সময়ের আগেই সন্তান ভূমিষ্ঠ করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর।

    ডেমোক্র্যাটদের যুক্তি

    উল্লেখ্য, বিগত প্রায় ১৫০ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে জন্ম নেওয়া শিশুরা ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব’ পেয়ে আসছেন। তবে সেই অধিকারকে বাতিল করে নির্বাহী নির্দেশিকায় সই করেন ট্রাম্প। এই নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে। এই আবহে বিচারক ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে ‘স্পষ্টতই অসাংবিধানিক’ বলে উল্লেখ করেছেন। ১৮৬৮ সালে আমেরিকার সংবিধানে ১৪তম সংশোধনী যোগ করা হয়। সেখানে বলা হয়, আমেরিকায় জন্মালেই সেখানকার নাগরিকত্ব মিলবে। ১৯৫২ সালের অভিবাসন এবং জাতীয়তা আইনেও একই কথা বলা হয়েছে। ট্রাম্পের নির্দেশ এই আইন এবং সংবিধানের বিরোধী, আদালতে সওয়াল করেছেন বিরোধী পক্ষের আইনজীবীরা। আমেরিকার ডেমোক্র্যাট প্রদেশগুলির বক্তব্য, নাগরিকত্ব সংক্রান্ত যে নির্দেশ ট্রাম্প দিয়েছেন, তা যদি কার্যকর করা হয়, তবে দেড় লক্ষের বেশি সদ্যোজাত আমেরিকার নাগরিক হওয়ার ‘সাংবিধানিক’ অধিকার হারাবে।

    আরও পড়ুন: আমেরিকার ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, ওয়াশিংটনে ক্ষোভ জয়শঙ্করের

    প্রবাসী ভারতীয়দের উপর প্রভাব

    ট্রাম্পের নির্দেশ অনুযায়ী, মার্কিন মুলুকে যদি অবৈধ অভিবাসীর সন্তান জন্ম নেয়, তাহলে সেই শিশুরা আর মার্কিন নাগরিক হবেন না। এদিকে জন্ম নেওয়া শিশুর বাবা-মা যদি বৈধভাবেই আমেরিকায় গিয়ে থাকেন, কিন্তু তাঁদের মধ্যে কোনও একজন সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা নন, তাহলেও সেই শিশু মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না। এছাড়া কেউ যদি স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা বা টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকায় গিয়ে সন্তানের জন্ম দেন, তাহলেও সেই শিশু আর মার্কিন নাগরিক হবে না। এদিকে নয়া নিয়মে যে সব ভারতীদের সন্তান ১০০+ গ্রিন কার্ড ওয়েটিং লিস্টে আছে, তারা মার্কিন নাগরিক হতে পারবে না।

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমেরিকায় মেক্সিকান বংশোদ্ভূতরা সর্বোচ্চ সংখ্যায় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। আর এখন এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা। গত ২০২২ সালে আমেরিকায় ৬৫ হাজার ৯৬০ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। আর ২০২৩ সালের হিসেবে ভারতে জন্ম নেওয়া মোট ২ কোটি ৮ লাখ ৩১ হাজার ৩৩০ জন মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছেন এখনও পর্যন্ত। রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকদের প্রায় ৪২ শতাংশ বর্তমানে মার্কিন নাগরিক হওয়ার জন্য অযোগ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: আমেরিকার ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, ওয়াশিংটনে ক্ষোভ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: আমেরিকার ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, ওয়াশিংটনে ক্ষোভ জয়শঙ্করের

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাঁরা বৈধ উপায়ে আমেরিকায় যান, তাঁদের ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা (US Visa Delay) করতে হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় এই সমস্যার কথা তুলে ধরলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। পরে ভারতীয় দূতাবাস থেকে তিনি বলেন, “যদি সাধারণ নাগরিকদের ভিসা পেতে এতদিন সময় লেগে যায়, তাহলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঠিকভাবে পালিত হয় না। ভিসায় এই দেরির কারণে ব্যবসায়, পর্যটনে প্রভাব পড়ে। আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি হল মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ। ভিসায় দেরি হলে এই প্রক্রিয়া সীমিত হয়।”

    বিদেশমন্ত্রী কী বললেন? (S Jaishankar)

    অভিবাসন প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “অভিবাসনের ক্ষেত্রে আমাদের একটি নীতিগত অবস্থান রয়েছে, যা প্রতিটি দেশের জন্যই প্রযোজ্য। আমরা বৈধ অভিবাসনে সব সময় সমর্থন করি। আমরা বিশ্বাস করি বৈশ্বিক কর্মস্থলে। আমরা চাই, ভারতীয়দের প্রতিভা ও দক্ষতা বিশ্বে সর্বোৎকৃষ্ট সুযোগ পাক।” ভারত যে অবৈধ অভিবাসন সমর্থন করে না, এদিন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। বলেন, “আমরা অবৈধ যাতায়াত এবং অভিবাসনের তীব্র বিরোধিতা করি। কারণ যখনই কোনও একটি অবৈধ ঘটনা ঘটে, তার সঙ্গে আরও অনেক অবৈধ কার্যকলাপ জুড়ে যায়। এটি দেশের সুনামের দিক থেকে কখনওই ভালো নয়।”

    ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকায় বসবাসকারী প্রায় ১৮ হাজার অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে চিহ্নিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তাঁদের ভারতে ফেরত পাঠাতে চায় আমেরিকা (S Jaishankar)। (যদিও, ট্রাম্প প্রশাসনের সেই নির্দেশে আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করেছে সেদেশের আদালত।) বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালও জানান, অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করতে নয়াদিল্লির সহযোগিতা নিচ্ছে ওয়াশিংটন। জয়শঙ্কর বলেন, “যদি কোনও দেশে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসী থাকেন এবং যদি দিল্লি নিশ্চিত হয় যে তিনি ভারতীয় নাগরিক, তাহলে তাঁকে ভারতে ফেরাতে কেন্দ্র সব সময় প্রস্তুত।” তিনি বলেন, “এটি কেবল আমেরিকার জন্য নয়, সব দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এর ফলে বৈধ উপায়ে সংশ্লিষ্ট দেশে ভারতীয়দের (US Visa Delay) যাতায়াত আরও সহজ হবে।” তিনি বলেন, “তবে ওঁরা ভারতীয় নাগরিক কিনা, তা যাচাই করে দেখতে হবে (S Jaishankar)।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • US Citizenship: নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, স্থগিতাদেশ মার্কিন আদালতের

    US Citizenship: নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, স্থগিতাদেশ মার্কিন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভের জন্য যে সময় বেঁধে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বন্ধ করার ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত স্থগিত করল আমেরিকার প্রাদেশিক আদালত। ওয়াশিংটন প্রদেশের সিয়াটেলের আদালতের বিচারক ট্রাম্পের ওই নির্দেশ কার্যকরের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। 

    কী বলল আদালত

    প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পরেই ট্রাম্প আদেশ দিয়েছিলেন অভিবাসীদের সন্তানরা জন্মসূত্রে আর আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে না। রিপাবলিকান নেতার এই আদেশনামা প্রকাশিত হওয়ার পরেই এহেন নির্দেশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে ২২টি মার্কিন প্রদেশ। আদেশনামার কড়া বিরোধিতা করে মামলা দায়ের করেছে কলম্বিয়া, সান ফ্রান্সিসকোর মতো প্রদেশগুলি। ট্রাম্পের নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বস্টন, সিয়াটল, ম্যাসাচুসেটস ও নিউ হ্যাম্পশায়ারের আদালতে। বৃহস্পতিবার এই মামলা নিয়ে শুনানি ছিল সিয়াটল আদালতে বিচারক জন কোহেনরের এজলাসে। শুনানি শেষে বিচারক জানিয়ে দেন, ট্রাম্পের নির্দেশে সংবিধানের আদর্শ লঙ্ঘিত হয়েছে। 

    ট্রাম্পের নির্দেশ নামা

    আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশ, এখন থেকে আমেরিকায় জন্মালেই সেখানকার নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে না। শিশুর বাবা এবং মা উভয়েই যদি আমেরিকার স্থায়ী বাসিন্দা (পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট) হন, তবে শিশুও জন্মানোর পরেই সে দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবে। কিন্তু বাবা অথবা মায়ের মধ্যে যে কোনও এক জনের যদি নাগরিকত্ব না-থাকে, সে ক্ষেত্রে সদ্যোজাতকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির পর আমেরিকায় এই নির্দেশ কার্যকর করার কথা জানান ট্রাম্প।

    এতদিন কী ছিল

    আমেরিকায় এত দিন যে নিয়ম প্রচলিত ছিল, তাতে বাবা অথবা মায়ের পরিচয় না-দেখেই আমেরিকায় ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তানকে জন্মগত ভাবে সে দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হত। এর পর ওই শিশুর বয়স যখন ২১ বছর পূর্ণ হয়, তখন বাবা-মায়েরও আমেরিকায় পাকাপাকি ভাবে থাকার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায়। এই সুযোগটি বন্ধ করতে চান ট্রাম্প। ট্রাম্পের ঘোষণার পর থেকে আমেরিকায় ভারতীয় দম্পতিরা উদ্বেগে। ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সিজার চেয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে আবেদনও করছেন অনেক অন্তঃসত্ত্বা। সময়ের আগেই সন্তান ভূমিষ্ঠ করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর।

    ডেমোক্র্যাটদের যুক্তি

    উল্লেখ্য, বিগত প্রায় ১৫০ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে জন্ম নেওয়া শিশুরা ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব’ পেয়ে আসছেন। তবে সেই অধিকারকে বাতিল করে নির্বাহী নির্দেশিকায় সই করেন ট্রাম্প। এই নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে। এই আবহে বিচারক ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে ‘স্পষ্টতই অসাংবিধানিক’ বলে উল্লেখ করেছেন। ১৮৬৮ সালে আমেরিকার সংবিধানে ১৪তম সংশোধনী যোগ করা হয়। সেখানে বলা হয়, আমেরিকায় জন্মালেই সেখানকার নাগরিকত্ব মিলবে। ১৯৫২ সালের অভিবাসন এবং জাতীয়তা আইনেও একই কথা বলা হয়েছে। ট্রাম্পের নির্দেশ এই আইন এবং সংবিধানের বিরোধী, আদালতে সওয়াল করেছেন বিরোধী পক্ষের আইনজীবীরা। আমেরিকার ডেমোক্র্যাট প্রদেশগুলির বক্তব্য, নাগরিকত্ব সংক্রান্ত যে নির্দেশ ট্রাম্প দিয়েছেন, তা যদি কার্যকর করা হয়, তবে দেড় লক্ষের বেশি সদ্যোজাত আমেরিকার নাগরিক হওয়ার ‘সাংবিধানিক’ অধিকার হারাবে।

    আরও পড়ুন: আমেরিকার ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, ওয়াশিংটনে ক্ষোভ জয়শঙ্করের

    প্রবাসী ভারতীয়দের উপর প্রভাব

    ট্রাম্পের নির্দেশ অনুযায়ী, মার্কিন মুলুকে যদি অবৈধ অভিবাসীর সন্তান জন্ম নেয়, তাহলে সেই শিশুরা আর মার্কিন নাগরিক হবেন না। এদিকে জন্ম নেওয়া শিশুর বাবা-মা যদি বৈধভাবেই আমেরিকায় গিয়ে থাকেন, কিন্তু তাঁদের মধ্যে কোনও একজন সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা নন, তাহলেও সেই শিশু মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না। এছাড়া কেউ যদি স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা বা টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকায় গিয়ে সন্তানের জন্ম দেন, তাহলেও সেই শিশু আর মার্কিন নাগরিক হবে না। এদিকে নয়া নিয়মে যে সব ভারতীদের সন্তান ১০০+ গ্রিন কার্ড ওয়েটিং লিস্টে আছে, তারা মার্কিন নাগরিক হতে পারবে না।

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমেরিকায় মেক্সিকান বংশোদ্ভূতরা সর্বোচ্চ সংখ্যায় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। আর এখন এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা। গত ২০২২ সালে আমেরিকায় ৬৫ হাজার ৯৬০ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। আর ২০২৩ সালের হিসেবে ভারতে জন্ম নেওয়া মোট ২ কোটি ৮ লাখ ৩১ হাজার ৩৩০ জন মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছেন এখনও পর্যন্ত। রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকদের প্রায় ৪২ শতাংশ বর্তমানে মার্কিন নাগরিক হওয়ার জন্য অযোগ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • US Citizenship: নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, স্থগিতাদেশ মার্কিন আদালতের

    US Citizenship: নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, স্থগিতাদেশ মার্কিন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভের জন্য যে সময় বেঁধে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বন্ধ করার ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত স্থগিত করল আমেরিকার প্রাদেশিক আদালত। ওয়াশিংটন প্রদেশের সিয়াটেলের আদালতের বিচারক ট্রাম্পের ওই নির্দেশ কার্যকরের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। 

    কী বলল আদালত

    প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পরেই ট্রাম্প আদেশ দিয়েছিলেন অভিবাসীদের সন্তানরা জন্মসূত্রে আর আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে না। রিপাবলিকান নেতার এই আদেশনামা প্রকাশিত হওয়ার পরেই এহেন নির্দেশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে ২২টি মার্কিন প্রদেশ। আদেশনামার কড়া বিরোধিতা করে মামলা দায়ের করেছে কলম্বিয়া, সান ফ্রান্সিসকোর মতো প্রদেশগুলি। ট্রাম্পের নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বস্টন, সিয়াটল, ম্যাসাচুসেটস ও নিউ হ্যাম্পশায়ারের আদালতে। বৃহস্পতিবার এই মামলা নিয়ে শুনানি ছিল সিয়াটল আদালতে বিচারক জন কোহেনরের এজলাসে। শুনানি শেষে বিচারক জানিয়ে দেন, ট্রাম্পের নির্দেশে সংবিধানের আদর্শ লঙ্ঘিত হয়েছে। 

    ট্রাম্পের নির্দেশ নামা

    আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশ, এখন থেকে আমেরিকায় জন্মালেই সেখানকার নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে না। শিশুর বাবা এবং মা উভয়েই যদি আমেরিকার স্থায়ী বাসিন্দা (পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট) হন, তবে শিশুও জন্মানোর পরেই সে দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবে। কিন্তু বাবা অথবা মায়ের মধ্যে যে কোনও এক জনের যদি নাগরিকত্ব না-থাকে, সে ক্ষেত্রে সদ্যোজাতকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির পর আমেরিকায় এই নির্দেশ কার্যকর করার কথা জানান ট্রাম্প।

    এতদিন কী ছিল

    আমেরিকায় এত দিন যে নিয়ম প্রচলিত ছিল, তাতে বাবা অথবা মায়ের পরিচয় না-দেখেই আমেরিকায় ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তানকে জন্মগত ভাবে সে দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হত। এর পর ওই শিশুর বয়স যখন ২১ বছর পূর্ণ হয়, তখন বাবা-মায়েরও আমেরিকায় পাকাপাকি ভাবে থাকার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায়। এই সুযোগটি বন্ধ করতে চান ট্রাম্প। ট্রাম্পের ঘোষণার পর থেকে আমেরিকায় ভারতীয় দম্পতিরা উদ্বেগে। ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সিজার চেয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে আবেদনও করছেন অনেক অন্তঃসত্ত্বা। সময়ের আগেই সন্তান ভূমিষ্ঠ করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর।

    ডেমোক্র্যাটদের যুক্তি

    উল্লেখ্য, বিগত প্রায় ১৫০ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে জন্ম নেওয়া শিশুরা ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব’ পেয়ে আসছেন। তবে সেই অধিকারকে বাতিল করে নির্বাহী নির্দেশিকায় সই করেন ট্রাম্প। এই নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে। এই আবহে বিচারক ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে ‘স্পষ্টতই অসাংবিধানিক’ বলে উল্লেখ করেছেন। ১৮৬৮ সালে আমেরিকার সংবিধানে ১৪তম সংশোধনী যোগ করা হয়। সেখানে বলা হয়, আমেরিকায় জন্মালেই সেখানকার নাগরিকত্ব মিলবে। ১৯৫২ সালের অভিবাসন এবং জাতীয়তা আইনেও একই কথা বলা হয়েছে। ট্রাম্পের নির্দেশ এই আইন এবং সংবিধানের বিরোধী, আদালতে সওয়াল করেছেন বিরোধী পক্ষের আইনজীবীরা। আমেরিকার ডেমোক্র্যাট প্রদেশগুলির বক্তব্য, নাগরিকত্ব সংক্রান্ত যে নির্দেশ ট্রাম্প দিয়েছেন, তা যদি কার্যকর করা হয়, তবে দেড় লক্ষের বেশি সদ্যোজাত আমেরিকার নাগরিক হওয়ার ‘সাংবিধানিক’ অধিকার হারাবে।

    আরও পড়ুন: আমেরিকার ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, ওয়াশিংটনে ক্ষোভ জয়শঙ্করের

    প্রবাসী ভারতীয়দের উপর প্রভাব

    ট্রাম্পের নির্দেশ অনুযায়ী, মার্কিন মুলুকে যদি অবৈধ অভিবাসীর সন্তান জন্ম নেয়, তাহলে সেই শিশুরা আর মার্কিন নাগরিক হবেন না। এদিকে জন্ম নেওয়া শিশুর বাবা-মা যদি বৈধভাবেই আমেরিকায় গিয়ে থাকেন, কিন্তু তাঁদের মধ্যে কোনও একজন সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা নন, তাহলেও সেই শিশু মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না। এছাড়া কেউ যদি স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা বা টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকায় গিয়ে সন্তানের জন্ম দেন, তাহলেও সেই শিশু আর মার্কিন নাগরিক হবে না। এদিকে নয়া নিয়মে যে সব ভারতীদের সন্তান ১০০+ গ্রিন কার্ড ওয়েটিং লিস্টে আছে, তারা মার্কিন নাগরিক হতে পারবে না।

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমেরিকায় মেক্সিকান বংশোদ্ভূতরা সর্বোচ্চ সংখ্যায় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। আর এখন এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা। গত ২০২২ সালে আমেরিকায় ৬৫ হাজার ৯৬০ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। আর ২০২৩ সালের হিসেবে ভারতে জন্ম নেওয়া মোট ২ কোটি ৮ লাখ ৩১ হাজার ৩৩০ জন মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছেন এখনও পর্যন্ত। রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকদের প্রায় ৪২ শতাংশ বর্তমানে মার্কিন নাগরিক হওয়ার জন্য অযোগ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share