Tag: us

us

  • Teflon Flu: নন-স্টিক কুকওয়্যারে রান্না করেন! আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়ছে ‘টেফলন ফ্লু’, কী এটা?

    Teflon Flu: নন-স্টিক কুকওয়্যারে রান্না করেন! আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়ছে ‘টেফলন ফ্লু’, কী এটা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্মার্ট হেঁসেলে বহু দিনই ঠাঁই করে নিয়েছে নন-স্টিক রান্নার বাসনপত্র। কড়াই, চাটু বা সসপ্যান— অল্প তেলে রান্না করতে হলে নন-স্টিকের বাসনই পছন্দ। তেল-মশলার চিটে না পড়া এবং সহজেই পরিষ্কার করার সুবিধে থাকায় রসুইঘরে জনপ্রিয় এই নন-স্টিক কুকওয়্যার। কিন্তু তার মধ্যেই রয়েছে বিপদের হাতছানি। মার্কিন গবেষণা কেন্দ্রগুলি গত কয়েক বছর ধরে ননস্টিক প্যানে রান্না নিয়ে গবেষণা করছে। সেখানেই তারা দেখেছে যারা গত ২০ বছর ধরে ননস্টিক প্যানে রান্না করে তাদের মধ্যে ফ্লুজাতীয় অসুস্থতা বেশি। হতে পারে টেফলন ফ্লু (Teflon Flu)। 

    টেফলন ফ্লু কী (Teflon Flu)

    টেফলন ফ্লু, (Teflon Flu) পলিমার ফিউম ফিভার নামেও পরিচিত, একটি অস্থায়ী অবস্থা যা উত্তপ্ত টেফলন (PTFE) থেকে বেরনো ধোঁয়া নিঃশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করার ফলে হয়। ননস্টিক কুকওয়্যার অতিরিক্ত গরম করার কারণে এই যৌগ নির্গত হয়। যখন ননস্টিক প্যানগুলি, বিশেষত পলিটেট্রাফ্লুরোইথিলিন (PTFE) দিয়ে লেপা, যা সাধারণত টেফলন নামে পরিচিত, ৫০০°ফারেনহাইট (২৬০°সেন্টিগ্রেড) এর উপরে তাপমাত্রায় উত্তপ্ত হয়, তখন তার থেকে ধোঁয়া বেরোয়। এই ধোঁয়ায় বিষাক্ত রাসায়নিক থাকে যেমন পারফ্লুরোওকটানোয়িক অ্যাসিড (PFOA) এবং অন্যান্য ফ্লোরিনযুক্ত যৌগ, যা শ্বাস নেওয়ার সময় ক্ষতিকারক হতে পারে।

    আমেরিকায় বাড়ছে টেফলন ফ্লু (Teflon Flu in US)

    বিশ্বের নানা স্টাডিতে দেখা গিয়েছে, উনুনের আঁচে নন-স্টিক প্যান বা কড়াই তেতে উঠলে বাসনের টেফ্লন কোটিং (যা দিয়ে সেগুলি মোড়া থাকে) থেকে ধোঁয়ার মতো এক ধরনের বাষ্প বেরোয়। সেই ধোঁয়া খাবারে মেশে এবং রাঁধুনির নাকেও ঢুকে পড়ে, যা অত্যন্ত ক্ষতিকর। এটি লাগাতার শরীরে ঢুকলে শ্বাসনালীর সমস্যা, থাইরয়েডের গোলমাল থেকে ক্যান্সারের ঝুঁকিও থেকে যায়। ননস্টিকের বাসন ব্যবহারের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্টে ইতিমধ্যেই পলিমার ফিউম ফিভার বা টেফলন ফ্লু-এর (Teflon Flu in US) মতো রোগে প্রায় ৩৬০০ জন আক্রান্ত। ২০২৩ সালে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৬৭। দেখা যাচ্ছে ২০০০ সাল থেকে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

    টেফলন ফ্লু এর লক্ষণ (Teflon Flu)

    টেফলন ফ্লু-এর লক্ষণগুলি সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই। টেফলন ফ্লু হলে অসহ্য  মাথাব্যাথা করতে পারে। বার বার ঠান্ডা লাগতে পারে। জ্বরের সঙ্গে বমিবমি ভাব, বুকে ব্যাথা, কাশি, গলা ব্যাথা হতে পারে। একই সঙ্গে নিঃশ্বাস নিতেও সাময়িকভাবে সমস্যা হতে পারে।

    কী করে প্রতিরোধ

    ‘টেফলন ফ্লু’-এর (Teflon Flu) ঝুঁকি কমাতে ননস্টিক কুকওয়্যারের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। রান্নার সময় ননস্টিক প্যান অতিরিক্ত গরম করা যাবে না। রান্নার জায়গায় যাতে বায়ু চলাচল সঠিকভাবে হয় তা খেয়াল রাখতে হবে। এতে করে রান্নার সময় নির্গত ধোঁয়া বা গ্যাস ঘর থেকে বেরিয়ে যাবে। ননস্টিক প্যান পুরানো হয়ে গেলে বা তাতে স্ক্র্যাচ পড়লে সেগুলি প্রতিস্থাপন করতে হবে। খালি ননস্টিক প্যান আগে থেকে গরম করা যাবে না। কারণ এটি দ্রুত উচ্চ তাপমাত্রায় পৌঁছাতে পারে। প্রিহিট করার সময় আঁচ কমিয়ে রাখা উচিত। পারলে একটু জল দিয়ে দিলেও অসুবিধা নেই।

    আরও পড়ুন: ভারতে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে আট শতাংশ! কেন জানেন?

    ভারতে নন স্টিক ব্যবহারে সতর্কতা

    কেন্দ্রীয় চিকিৎসা গবেষণা সংস্থা ‘আইসিএমআর’-এর অধীন ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউট্রিশন’ (এনআইএন)-এর এক্সপার্ট কমিটির সদস্যরা বহুদিন আগেই ননস্টিক বাসন ব্যবহারে সাবধানী হতে বলছেন। বলা হয়েছে, ১৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এই কুকওয়্যার থেকে পার-ফ্লুওরো-অক্টানোয়িক অ্যাসিড (পিএফওএ) এবং পার-ফ্লুওরো-অক্টেন-সালফোনিক অ্যাসিড (পিএফওএস)-এর ক্ষতিকারক ধোঁয়া বেরোয়। টেফলন (Teflon Flu) কোটিংয়ের মূল উপাদান এই দু’টি পার এবং পলি ফ্লুওরো-অ্যালকাইল সাবস্ট্যান্স গোত্রের রাসায়নিক। ধূমপান বা অন্য নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই ক্যান্সারের নজির আজকাল ভীষণ বেড়ে গিয়েছে, তার কারণও কিয়দাংশে ননস্টিকে রান্না করা। নন-স্টিক প্যান কিছু দিন ব্যবহারের পরেই রং উঠতে শুরু করে। ননস্টিকের পরত উঠতে থাকলে তাতে থাকা মাইক্রোপ্লাস্টিক খাবারের সঙ্গে মিশে যায়, সেগুলি শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে। ইতিমধ্যেই আমেরিকায় (Teflon Flu in US) পিএফসি যৌগকে ‘কার্সিনোজেনিক’ বলে চিহ্নিত করেছে। অর্থাৎ, ক্যানসারের মতো মারণরোগের আশঙ্কা বাড়ে এই যৌগের ব্যবহারে। শুধু ক্যানসারই নয়, চিকিৎসকদের মতে থাইরয়েড, বন্ধ্যত্বের মতো রোগেরও কারণ এই পিএফসি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Swastika: হিন্দুদের ‘স্বস্তিক’ ও নাৎসিদের ‘হুকড ক্রস’-এ রয়েছে বড় ফারাক, বলল আমেরিকা

    Swastika: হিন্দুদের ‘স্বস্তিক’ ও নাৎসিদের ‘হুকড ক্রস’-এ রয়েছে বড় ফারাক, বলল আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কী বলবেন একে? বিলম্বিত বোধোদয়? হয়তো তাই। তবে দেরিতে হলেও, শেষমেশ মার্কিনরা বুঝতে পেরেছেন সনাতনীদের ‘স্বস্তিকে’র (Swastika) সঙ্গে কী পার্থক্য রয়েছে নাৎসিদের ‘হ্যাকেনক্রেউজে’র। আমেরিকার (US) অরিগন ডিপার্টমেন্ট অফ এডুকেশন দুই প্রতীকের পার্থক্য খুঁজে বের করেছে। যার জেরে স্বস্তিতে জো বাইডেনের দেশের হিন্দুরা।

    ‘স্বস্তিক’ শব্দের অর্থ (Swastika)

    সনাতন ধর্মের সঙ্গে ‘স্বস্তিক’ চিহ্নের যোগ দেহের সঙ্গে আত্মার মতো। ‘স্বস্তিক’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ‘স্বস্তিক’ থেকে। যার অর্থ ‘মঙ্গলের জন্য সহায়ক’। ‘স্বস্তিক’ শব্দটিকে ভাঙলে দুটি শব্দ পাই। একটি ‘সু’, অন্যটি ‘অস্তি’। ‘সু’ মানে ‘ভালো’। ‘অস্তি’ শব্দের বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় ‘অস্তিত্ব’। তাই ‘স্বস্তিক’ শব্দটির মধ্যে সব ধর্মের মানুষেরই মঙ্গল বা কল্যাণ নিহিত রয়েছে। কেবল হিন্দু নয়, বৌদ্ধ এবং জৈন-সহ বিভিন্ন ধর্মে দেবত্ব ও আধ্যাত্মিকতার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয় এই চিহ্নটি। শুধু তাই নয়, কয়েকটি নেটিভ আমেরিকান ধর্ম এবং সংস্কৃতিতেও ‘স্বস্তিক’ চিহ্নের গুরুত্ব অপরিসীম।

    ‘স্বস্তিকে’র স্বীকৃতিতে খুশির হাওয়া

    এহেন একটি মঙ্গলের প্রতীককে জার্মানির নাৎসিদের প্রতীক ‘হ্যাকেনক্রেউজে’র সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছিলেন আমেরিকার নাগরিকরা। সেই কারণে আমেরিকায়ও অনেক ক্ষেত্রেই আড় চোখে দেখা হয় হিন্দুদের। তবে এবার বোধহয় ফুরোতে চলেছে সেই জমানা। সৌজন্যে, আমেরিকার অরিগন ডিপার্টমেন্ট অফ এডুকেশন। অফিসিয়ালি তারা স্বীকার করেছে, হিন্দুদের ‘স্বস্তিক’ এবং নাৎসিদের ‘হ্যাকেনক্রেউজে’র মধ্যে ফারাক রয়েছে বিস্তর। মার্কিন মুলুকে গড়ে উঠেছে হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশন। অরিগন ডিপার্টমেন্ট অফ এডুকেশনের এই স্বীকৃতিতে যারপরনাই খুশি তারা। তাদের বক্তব্য, এবার অন্তত মার্কিনরা পবিত্র একটি হিন্দু প্রতীককে (Swastika) মর্যাদা দেবে। গুলিয়ে ফেলবে না নাৎসিদের প্রতীকের সঙ্গে। এই সংগঠনের তরফেই সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় করা হয়েছে একটি পোস্ট। তাতে তারা আনন্দ প্রকাশের পাশাপাশি অরিগনে তাদের যারা সমর্থক রয়েছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে। ঐতিহাসিক এই জয় (স্বস্তিকের স্বীকৃতি) পেতে যে লড়াই তাঁরা করেছেন, সেজন্যও অভিনন্দন জানানো হয়েছে অরিগনে থাকা হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের সদস্যদের।

    স্বস্তিক ও ক্রসড হুডের ফারাক

    স্বস্তিক এবং ‘হ্যাকেনক্রেউজ’ – এই দুই প্রতীকের ক্ষেত্রে যে টার্ম ব্যবহার করা হয়, তার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে মার্কিন মুলুকের এই শিক্ষা দফতর। তারা সাফ জানিয়েছে, স্বস্তিকের সঙ্গে নাৎসিদের প্রতীকের পার্থক্য রয়েছে। ‘স্বস্তিক’ নাৎসিদের ব্যবহৃত ‘হুকড ক্রস’ (‘হ্যাকেনক্রেউজ’) নয়। ‘স্বস্তিকে’র মধ্যে নিহিত রয়েছে পবিত্রতা ও মঙ্গলের ধারণার বীজ। যা নেই ‘হুকড ক্রসে’।হিন্দুদের প্রতীক বনাম নাৎসিদের প্রতীকের এই যে পৃথকীকরণ, তার গুরুত্বও কিন্তু কম নয়। এতে কেবল ‘স্বস্তিকে’র পবিত্রতাই বজায় রইল না, দুই প্রতীকের পার্থক্য সম্পর্কেও সচেতন হবে আগামী প্রজন্ম। দুই প্রতীকের প্রকৃত অর্থ কী, তাও বুঝতে পারবেন মানুষ। মার্কিনদের একটা বড় অংশই ‘স্বস্তিক’কে ‘হুকড ক্রসে’র সঙ্গে গুলিয়ে ফেলে ঘৃণা এবং অসহিষ্ণুতার প্রতীক বলে মনে করত। এবার তাঁদের সেই ধারণাও ভেঙে যাবে। সম্মান করতে শিখবেন ‘স্বস্তিক’কে, ভারতীয় সংস্কৃতিকে। যে সংস্কৃতি কেবল হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টান নয়, সব ধর্মের মানুষের কল্যাণ কামনা করে। যে সংস্কৃতির মূল সুরই হল, ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’।

    আরও পড়ুন: ক্ষমা চাইতে বললেন রাহুলকে, নিট নিয়ে সুপ্রিম-নির্দেশের পরই বড় ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

    ‘স্বস্তিকে’র ‘বয়স’

    ‘স্বস্তিকে’র এই স্বীকৃতিতে আরও একটি উপকার হল বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা সনাতনীদের। দুই চিহ্নের মিল দেখে অনেকেই তাঁদের উগ্রপন্থায় বিশ্বাসী বলে মনে করত। এবার তাদেরও সেই ধারণা ভেঙে খান খান হয়ে যাবে। ‘স্বস্তিক’ (Swastika) কেবল মঙ্গলের প্রতীক নয়, সৌভাগ্যেরও প্রতীক, সমৃদ্ধির প্রতীক। হিন্দুদের ‘স্বস্তিক’ প্রতীকের জন্ম আজকে নয়। ৬ হাজার বছর আগেও পাহাড় এবং গুহাচিত্রে এই প্রতীকের দেখা পাওয়া যায়। এবং এই প্রতীকের শেকড় যে ভারতেই প্রোথিত, তাও প্রমাণিত হয় পুরাণাদি বিভিন্ন গ্রন্থের কল্যাণে। হিন্দুদের পবিত্র গ্রন্থ বেদেও উল্লেখ রয়েছে ‘স্বস্তিকে’র।

    বিশ্ববাসীর মঙ্গল কামনা করে, ‘স্বস্তিক’

    ‘স্বস্তিক’ কেবল যে মঙ্গল-কল্যাণ কিংবা সুখের প্রতীক তা নয়, সূর্য এবং ব্রহ্মকে বোঝাতেও এই প্রতীক ব্যবহার করা হয়। ‘স্বস্তিক’ শক্তির প্রতীক, আবার সৌভাগ্যের দেবতা গণেশেরও প্রতীক এই পবিত্র চিহ্ন। হিন্দু এবং জৈনরা হিসেবের নতুন খাতায়, বইয়ের প্রথম পাতায়, দরজা এবং ঠাকুরঘরে স্বস্তিক প্রতীক রাখেন। এতে কতটা মঙ্গল তাঁদের হয়, তা বলতে পারবেন (US) তাঁরাই। তবে এই প্রতীক যে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্ববাসীর মঙ্গল কামনা করে, ‘স্বস্তিকে’র (Swastika) অর্থই তার সব চেয়ে বড় প্রমাণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • US Presidential Election: প্রেসিডেন্ট পদের দৌড় থেকে সরলেন বাইডেন, পরবর্তী প্রার্থী কি কমলা?

    US Presidential Election: প্রেসিডেন্ট পদের দৌড় থেকে সরলেন বাইডেন, পরবর্তী প্রার্থী কি কমলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের (US Presidential Election) দৌড় থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন জো বাইডেন (Joe Biden)। মাত্র চার মাস পরেই নির্বাচন আমেরিকায়। ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ছিলেন বাইডেন। নভেম্বরের নির্বাচনে তাঁরই লড়ার কথা ছিল রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। তবে তার আগেই  রবিবার সমাজ মাধ্যমে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দেশ ও দলের স্বার্থে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত বলে জানান বাইডেন। একই সঙ্গে সমাজ মাধ্যমে আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে কাজের অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নিয়েছেন বাইডেন। যা থেকে বাইডেনের ইঙ্গিত স্পষ্ট, নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের নতুন পদপ্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসকেই তাঁর পছন্দ। 

    বাইডেনের বার্তা (Joe Biden)

    নিজের এক্স হ্যান্ডলে বাইডেন (Joe Biden) লিখেছেন, “দেশের স্বার্থে এবং দলের স্বার্থে আমার সরে দাঁড়ানো প্রয়োজন। আমার মেয়াদের বাকি সময়টুকু একনিষ্ঠ ভাবে নিজের দায়িত্ব পালন করে যেতে চাই।” এর পাশাপাশি ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা এবং তাঁর সঙ্গে কাজ করা সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাইডেন। আগামী সপ্তাহে দেশবাসীকে বিস্তারিত ভাবে তাঁর এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানাবেন বলেও জানিয়েছেন বাইডেন। ৮১ বছর বয়সি বাইডেনের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ ছিলই। তা সত্ত্বেও এবারে তাঁকেই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী করা হয়েছিল। তবে কিছু দিন আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল (US Presidential Election) বিতর্কে অংশ নেওয়ার পরেই তাঁকে প্রার্থিপদ থেকে সরানোর দাবি জোরালো হয়। ওই বিতর্কসভায় বাইডেনের আচরণ অসংলগ্ন ছিল বলে দাবি।

    কমলার কথা (Kamala Harris)

    প্রেসিডেন্ট হিসাবে (US President Election) তাঁর নাম সামনে আনায় বাইডেনের (Joe Biden) প্রশংসা করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস (Kamala Harris)। হ্যারিস জানিয়েছেন, আগামী নভেম্বরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন রয়েছে। সেই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন পেলে জিততে বদ্ধপরিকর তিনি। শুধু তাই নয়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই’য়ের কথাও বলেন হ্যারিস। এই প্রসঙ্গে জো বাইডেনের অসাধারণ নেতৃত্বের প্রসঙ্গ তুলে প্রশংসাও করেন। বলেন, নতুন আমেরিকা তৈরি করতে বাইডেন যেভাবে কাজ করেছেন তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। একই সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে আমেরিকার সেবা করা একটা বড় সম্মান বলেও উল্লেখ করেছেন কমলা। 

    পরবর্তী প্রার্থী (US Presidential Election) 

    বাইডেন (Joe Biden) ভাইস প্রেসিডেন্ট (US Presidential Election) কমলা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য উপযুক্ত বলে ইঙ্গিত দিলেও দলের তরফ থেকে এখনও কোনও ঘোষণা করা হয়নি। কমলা ছাড়াও দৌড়ে রয়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামা এবং ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসমও। তবে ডেমোক্র্যাটরা যদি কমলা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে মনোনয়ন দেয় তাহলে দেশে তৈরি হবে নয়া ইতিহাস। প্রথমবার কোনও কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়বেন। শুধু তাই নয়, ভারতের সঙ্গেও তাঁর যোগ রয়েছে। তৎকালীন মাদ্রাজে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিসের জন্ম। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যদি কমলা জয়ী হন, তবে ইতিহাস গড়বেন তিনি। আমেরিকার ইতিহাসে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট পদে বসতে পারেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘স্যুইফট’ থেকে বহিষ্কার করলেও পরোয়া করে না ভারত, আমেরিকাকে বোঝালেন মোদি

    PM Modi: ‘স্যুইফট’ থেকে বহিষ্কার করলেও পরোয়া করে না ভারত, আমেরিকাকে বোঝালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সফরটা মাত্র দু’দিনের। তবে তার প্রভাব বিরাট। তামাম বিশ্বকে বার্তা দিয়ে ফিরলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রাশিয়া সফর সেরে ফিরে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, ভারতকে উপেক্ষা করার যুগ এখন অতীত। বরং মোদি জমানায় বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে রামচন্দ্র-বুদ্ধের দেশকে।

    রাশিয়া সফরে মোদি (PM Modi)

    দিন কয়েক আগে মার্কিন চোখরাঙানি উপেক্ষা করে দু’দিনের সরকারি সফরে রাশিয়া গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সে দেশের রাজধানী মস্কোয় পা রাখার পরে পরেই যে রাজকীয় অভ্যর্থনার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জন্য, তা বিশ্বের যে কোনও রাষ্ট্রনেতার চোখে লাগার পক্ষে যথেষ্ট। কেবল তাই নয়, মোদির সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজ সেরে ব্যাটারি চালিত গাড়িতে করে রুশ প্রেসিডেন্টের বাসভবন ঘুরে দেখিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন স্বয়ং। মোদি-পুতিনের এই বন্ধুত্বের ছবির জেরে গা রি রি করার কথা বিশ্বের বহু রাষ্ট্রনেতার। কারণ এই মুহূর্তে ভারতকে যে তাঁদের প্রত্যেকের পাশে চাই!

    যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই বার্তা

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মস্কোকে কার্যত একঘরে করে রেখেছিল আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। যে জীবাশ্ম জ্বালানি রুশ অর্থনীতির অন্যতম শক্ত বুনিয়াদ, সেই তেল কেনায় নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছিল আমেরিকার জো বাইডেন সরকার। তার জেরে খানিক টাল খায় রাশিয়ার অর্থনীতি। মস্কোর এই দুর্দিনেও পাশে থেকেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। বিশ্বনেতাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে লাগাতার জ্বালানি কিনে গিয়েছে ভারত। তার জেরে বিশ্বনেতাদের অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত বুঝিবা মস্কোর পক্ষ নিয়েছে। বিষয়টি যে আদৌ তা নয়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে মোদির বলা বাক্যবন্ধই তার সব চেয়ে বড় প্রমাণ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে তিনি বলেছিলেন, ‘এটা যুদ্ধের সময় নয়’। অর্থাৎ, ভারতের স্পষ্ট বার্তা, যুদ্ধ কোনও সমস্যার সমাধান নয়। সমাধান হতে পারে কূটনৈতিক আলোচনায়ই।

    আরও পড়ুন: তিস্তা প্রকল্প রূপায়ণ করুক ভারত, চাইছেন হাসিনা, জানালেন কারণও

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ চলছেই

    রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বের সুতো কেবল পুরানোই নয়, মজবুতও। এবং সেই সম্পর্কের কথা জানে তামাম দুনিয়া। তাই তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেই মোদি যখন প্রথমবার রাশিয়া সফরে গেলেন, তখনই প্রমাদ গুণতে শুরু করেছিলেন বিশ্বের অনেক দেশের প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রধানমন্ত্রীরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। সেই যুদ্ধ এখনও চলছে। রাশিয়ার মতো শক্তিশালী একটি দেশের সঙ্গে দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে লড়াই করে যাওয়ার ক্ষমতা ইউক্রেনের নেই। তাহলে কী করে চলছে যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা? আসলে সরাসরি না হলেও, রাশিয়া-ইউক্রেনের এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। তার (PM Modi) জেরেই এখনও ক্লান্ত হয়নি ইউক্রেন। স্বীকার করেনি হার। উল্টে এই যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে রাশিয়ার।

    ভারতের কৌশলে কুপোকাত বিশ্ব

    এই যুদ্ধের কারণেই রাশিয়ার ওপর আরোপ করা হয়েছে নানা নিষেধাজ্ঞা। রাশিয়াকে স্যুইফট (SWIFT) থেকে বেরও করে দেওয়া হয়েছে। (স্যুইফট হল আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেম। এর থেকে বের করে দেওয়া হলে আর্থিক-সহ নানা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় কোনও একটি দেশকে।) এতদসত্ত্বেও রাশিয়ার হাত ছাড়েনি ভারত। বরং রাশিয়া-সহ বিশ্বের ২০টি দেশের সঙ্গে রুপিতেই বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির দেশ। এতে কমতে শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের আধিপত্য। এতেই অশনি সঙ্কেত দেখছেন মার্কিন রাজনীতিবিদদের একটা বড় অংশ। কারণ বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকার পাঁচ নম্বরে রয়েছে ভারত। ব্রিটেনকে সরিয়ে এই জায়গাটা দখল করেছে নয়াদিল্লি (PM Modi)। বিভিন্ন সমীক্ষায় প্রকাশ, অচিরেই এই তালিকার চার নম্বরে উঠে আসবে ভারত। পিছিয়ে পড়বে জাপান। তাই আর যাই হোক ভারতকে উপেক্ষা করার দুঃসাহস এই মুহূর্তে নেই বিশ্বনেতাদের। তাই ‘আত্মনির্ভর ভারতে’র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়া সফর করে এলেও, উচ্চবাচ্য করছেন না তাঁরা। কারণ তাতে হিতে হতে পারে বিপরীত।

    নির্ভীক নয়াদিল্লি

    যেহেতু রাশিয়া-সহ বিশ্বের ২০টি দেশের সঙ্গে ভারত লেনদেন করছে রুপিতে, তাই স্যুইফট (SWIFT) থেকে বের করে দেওয়ার ভয়ে এখন আর ভীত নয় নয়াদিল্লি। বরং এই রুপিতে বাণিজ্য করায় আদতে দু’দিক থেকে লাভ হচ্ছে ভারতের। একদিকে যেমন সস্তায় রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনছে ভারত (খদ্দের কমে যাওয়ায় দাম কমেছে), তেমনি অন্যদিকে রুপিতে ব্যবসা হওয়ায় খরচ করতে হচ্ছে না সঞ্চিত ডলার। ভারতের এই মজবুত অর্থনীতি এবং স্ট্যাটেজিতেই কুপোকাত বিশ্বের তাবড় নেতারা। রাশিয়া সফরে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও একবার পুতিনকে শুনিয়েছেন শান্তির ললিত বাণী। প্রধানমন্ত্রী এই সফরেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে বলেছেন, ‘এটা যুদ্ধের সময় নয়’। পুতিনকে দেওয়া মন্ত্র যে কেবল রুশ প্রেসিডেন্টকেই নয়, তামাম বিশ্বকেই বার্তা দেওয়া, তা বুঝতে বাকি থাকে না কারও। ভারতের মজবুত অর্থনীতি, কৌশলী চাল এবং ‘যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই’ গোছের বার্তায় মজেছে বিশ্ব। তাই মোদির রাশিয়া সফর এবং পুতিনের সঙ্গে ‘মাখামাখি’র পরেও মুখে কুলুপ বিশ্বনেতাদের (PM Modi)।

    ভারতে যে এখন চলছে মোদি-রাজ!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: প্রাণঘাতী হামলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হতে পারে রিপাবলিকানদের ‘ট্রাম্প কার্ড’

    Donald Trump: প্রাণঘাতী হামলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হতে পারে রিপাবলিকানদের ‘ট্রাম্প কার্ড’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর কান ঘেঁষে বেরিয়ে গিয়েছে গুলি। তবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা আসন্ন নির্বাচনে (US Presidential Election) প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। পেনসিলভেনিয়ায় আয়োজিত রিপাবলিকান পার্টির নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পকে যে গুলি করে মারতে চেয়েছিল, বছর কুড়ির সেই টমাস ম্যাথিউ ক্রুকসকে গুলি করে হত্যা করেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিস টিমের সদস্যরা।

    অকুতোভয় ট্রাম্প

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় পরপর তিনটি গুলির শব্দ শোনা গিয়েছে। দেখা গিয়েছে, সিক্রেট সার্ভিস বাহিনীর সদস্যরা ট্রাম্পকে মঞ্চ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছেন। কান থেকে ঝরঝর করে পড়ছে রক্ত। ট্রাম্প কিন্তু অকুতোভয়। চলতি বছরের নভেম্বরেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আমেরিকায়। তার আগে জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়েছে ট্রাম্পের দল। প্রচার করছে জো বাইডেনের দলও। তবে প্রচারসভায় ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি এবং তার পর তাঁর ভাইরাল হওয়া অকুতোভয়ের ছবিই নির্বাচনী ময়দানে ট্রাম্পকে মাইলেজ দেবে বলেই আশাবাদী রিপাবলিকানরা। ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে যখন গুলি ছোড়া হয়, তখন ট্রাম্পের (Donald Trump) পেছনে ঝুলছিল আমেরিকার জাতীয় পতাকা। ট্রাম্পের গায়ে চিনা টি-শার্ট। ট্রাম্পের মুষ্ঠিবদ্ধ হাত ওপরে তোলা। কান দিয়ে রক্ত পড়েই চলেছে।  

    লড়াইয়ের ময়দানে এগিয়ে গেলেন ট্রাম্প

    এই ছবিই ভাইরাল করছেন তাঁর দলের সদস্যরাও। রিপাবলিকানরা তো বটেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য দলের নেতারাও ট্রাম্পের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। বাবার বিপদের দিনে পাশে দাঁড়িয়েছেন ট্রাম্পের ছেলেরাও। সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রাম্পের ছেলে জুনিয়র ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, “ট্রাম্প লড়াই থেকে কখনও সরে আসবেন না। তিনি আমেরিকা বাঁচানোর লড়াই লড়ছেন।” রাজনৈতিক মহলের মতে, ট্রাম্পের এই ছবি একলপ্তে  নির্বাচনী লড়াইয়ের ময়দানে অনেকখানি এগিয়ে দিল আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে। আমেরিকার ভোট কারবারিদের মতে, ট্রাম্পের এই ‘কুছ পরোয়া নেহি’ গোছের ভাবের ছবিটা আইকনিক হয়ে থাকবে। যার সুফল কুড়োবে তাঁর দল।

    আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে ব্যাপক ভোট লুট, ২১ জুলাই ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালনের ডাক শুভেন্দুর

    ট্রাম্প যখন বিমান ধরতে এগোচ্ছেন এবং বিমানে ওঠার সময় জনতার উদ্দেশে হাত নাড়ছেন, তাঁর এই ছবিও বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে মার্কিন মুলুকে। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্পের এই সাহসী ছবিকেও ক্যাশ করতে চাইছেন রিপাবলিকানরা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সিক্রেট সার্ভিস বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে নিহত হয়েছে ট্রাম্পকে (US Presidential Election) খুনের চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত তরুণ। তবে তিনি এগিয়ে দিয়ে গিয়েছেন ট্রাম্পকে (Donald Trump)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Elon Musk: নীতি বদল ইলন মাস্কের! ট্রাম্পের ভোটপ্রচারে টাকা দিলেন আমেরিকার ধনকুবের

    Elon Musk: নীতি বদল ইলন মাস্কের! ট্রাম্পের ভোটপ্রচারে টাকা দিলেন আমেরিকার ধনকুবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘নিরপেক্ষ নীতি’ ত্যাগ করলেন ধনকুবের ইলন মাস্ক (Elon Musk)। রিপাবলিকান পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) রাজনৈতিক অনুদান দিলেন টেসলা কর্তা। আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে এমনই জানানো হয়েছে। তবে ট্রাম্পকে ভোটপ্রচারে সহায়তা করার জন্য মাস্ক ঠিক কত টাকা দিয়েছেন, তা ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। 

    নিরপেক্ষতার কথা! (Elon Musk)

    মাস্কের (Elon Musk) পূর্বপুরুষেরা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আমেরিকায় গিয়েছিলেন। সেই সূত্রে মাস্করা অভিবাসনের আওতায় পড়েন। ট্রাম্প নীতিগত ভাবে অভিবাসন বন্ধ করার পক্ষপাতী। সেই ট্রাম্পকে মাস্কের অর্থসাহায্য করার ঘটনাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এতদিন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিরপেক্ষ স্থান বজায় রাখার পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন ইলন। এর আগে মাস্ক দাবি করেছিলেন, তিনি রাজনৈতিক ভাবে নিজের মত সামনে আনতে চান না। তাই ট্রাম্প (Donald Trump)  কিংবা জো বাইডেন, কারও নির্বাচনী প্রচারেই তিনি অর্থব্যয় করবেন না।

    আরও পড়ুন: ব্রিটেনের কুর্সিতে লেবার পার্টি, স্টার্মার-রাজত্বে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক কেমন হবে?

    কত পরিমাণ অর্থ (Donald Trump) 

    সূত্রের খবর, ট্রাম্পকে ‘উল্লেখযোগ্য’ পরিমাণে অর্থ দিয়েছেন মাস্ক (Elon Musk)। তবে নির্দিষ্ট অঙ্কটা সামনে আনা হয়নি। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ট্রাম্পের (Donald Trump) প্রচারের কাজে নিযুক্ত সংস্থা ‘আমেরিকা পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি’-কে অনুদানের টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত অনুদান পাওয়ার নিরিখে প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেনের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। সম্প্রতি ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম নির্বাচনী বিতর্কে নেমেছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সে দিন বাইডেনের কাঁপা-কাঁপা গলা, বক্তব্যের খেই হারিয়ে ফেলা নিয়ে চর্চা শুরু হয় ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেই। এমনকি প্রার্থী বদল করার প্রস্তাবও আসে। কিন্তু নিজের স্থানে অনড় থাকেন বাইডেন। তিনি নির্বাচনে লড়বেন এবং ট্রাম্পকে হারাবেন বলেও তাঁর বিশ্বাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Julian Assange: দোষ কবুল! ব্রিটেনের জেল থেকে মুক্ত উইকিলিক্‌‌স প্রধান অ্যাসাঞ্জ, এবার কি আমেরিকার পথে?

    Julian Assange: দোষ কবুল! ব্রিটেনের জেল থেকে মুক্ত উইকিলিক্‌‌স প্রধান অ্যাসাঞ্জ, এবার কি আমেরিকার পথে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন আমেরিকার গোপন সামরিক ফাইল ফাঁস করায় অভিযুক্ত, উইকিলিক্‌‌স-এর (Wikileaks) প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ (Julian Assange)। স্থানীয় সময় বুধবার সকালে আমেরিকায় পৌঁছনোর কথা অ্যাসাঞ্জের। এ সপ্তাহেই মার্কিন আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। তথ্য বলছে মার্কিন আদালতে তিনি দোষীই সাব্যস্ত হবেন। তবে তাঁর সাজা কমে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। যদিও ব্রিটেনের কারাগারে ইতিমধ্যেই সেই ৫ বছর কাটিয়ে এসেছেন তিনি। তাই এবার তিনি মুক্তিও পেতে পারেন। তাঁর জন্মভূমি অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি পেতেও পারেন অ্যাসাঞ্জ।

    অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    অ্যাসাঞ্জ (Julian Assange) ২০০৬ সালে হুইসেল-ব্লোয়িং ওয়েবসাইট উইকিলিকস (Wikileaks) প্রতিষ্ঠা করেন। আমেরিকার নেতৃত্বে ইরাক এবং আফগানিস্তানে হওয়া সংঘাত সংক্রান্ত পাঁচ লক্ষ গোপন সামরিক ফাইল ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছিল অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে। এই কারণে চরবৃত্তির অভিযোগে আমেরিকাতে তাঁকে অপরাধীও ঘোষণা করা হয়। উইকিলিক্‌‌সের তরফে প্রকাশিত ওই গোপন নথিতে থাকা একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, ২০০৭ সালে ইরাকে আমেরিকার হেলিকপ্টার থেকে সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হচ্ছে।  এই নথি প্রকাশ্যে আসার পরেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা বিশ্বে। এর পরে ২০১০ সালেই ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠায় অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে সুইডেন সরকার। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে অ্যাসাঞ্জ পাল্টা দাবি করেন, মার্কিন সরকারের একাধিক গোপন বার্তা ফাঁস করে দেওয়ার জন্যই তিনি চক্রান্তের শিকার। 

    পাঁচ বছর ব্রিটেনের জেলে

    আত্মরক্ষার জন্য ২০১২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অ্যাসাঞ্জ (Julian Assange) ব্রিটেনের ইকুয়েডর দূতাবাসের রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন অ্যাসাঞ্জ। সে বছরের এপ্রিলেই ইকুয়েডর সাহায্যের হাত সরিয়ে নেয় এবং দূতাবাসেই গ্রেফতার করা হয় উইকিলিকস (Wikileaks) প্রতিষ্ঠাতাকে। এর পর ব্রিটেনের একটি জেলে অ্যাসাঞ্জ কাটিয়ে ফেলেন পাঁচটি বছর। অ্যাসাঞ্জের তথ্য ফাঁস নিয়ে মামলা শুরু হয় আমেরিকার নর্দার্ন মারিয়ানা আইল্যান্ডের একটি আদালত। ব্রিটেন থেকে তাঁকে আমেরিকার হাতে প্রত্যর্পণ নিয়েও বেশ জলঘোলা হয়। প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া নিরাপদ হবে না বলে মনে করে অ্যাসাঞ্জের অনুগামীরা একে মানবাধিকার বিরোধী বলে তোপ দাগেন। অবশেষে অ্যাসাঞ্জ নিজেই আমেরিকার শর্ত মেনে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হতে রাজি হয়েছেন বলে উইকিলিকস সূত্রে খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jake Sullivan: ভারত সফরে আসছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, কেন জানেন?

    Jake Sullivan: ভারত সফরে আসছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয়বারের জন্য দিল্লির তখতে বসতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী পদে মোদি নির্বাচিত হতেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতা। এঁদের মধ্যে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও (Jake Sullivan)। মঙ্গলবার ফল ঘোষণা হয় অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের। বুধবারই প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন বাইডেন। তখনই বাইডেন জানান, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান আসবেন ভারত সফরে। তাঁর সফর নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার বিশদে আলোচনা হয় বলেও খবর।

    হোয়াইট হাউসের বার্তা (Jake Sullivan)

    মার্কিন প্রেসিডেন্টের সদর দফতর হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট জোসেফ আর বাইডেন জুনিয়র আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ভারতের সাধারণ নির্বাচনে তাঁর এবং এনডিএর ঐতিহাসিক জয়ের কারণে অভিনন্দন জানানো হয়েছে তাঁকে।’ আরও জানানো হয়েছে, ‘জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানের আসন্ন নয়াদিল্লি সফর নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার। দুই রাষ্ট্রনায়কের বিশ্বস্ত, কৌশলগত, প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্ব-সহ মার্কিন-ভারত অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকা বিভিন্ন বিষয়ে ভারতের নয়া সরকারকে যুক্ত করতে নয়াদিল্লিতে আসছেন জেক।’ 

    কবে আসছেন সুলিভান

    সুলিভান (Jake Sullivan) কবে ভারত সফরে আসছেন, তা এখনও জানা যায়নি। তবে শনিবার তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবে মোদি সরকার। তার পরের দুদিনও সম্ভবত ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, তাই ওই সপ্তাহের শেষের দিকে নয়াদিল্লিতে আসতে পারেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

    মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বার্তালাপের পর এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “বন্ধু জো বাইডেনের কাছ থেকে ফোন কল পেয়ে আমি আপ্লুত। তাঁর অভিনন্দনবার্তা ও ভারতীয় গণতন্ত্রের প্রতি তাঁর উৎসাহ আমার কাছে মূল্যবান। আসন্ন বছরগুলিতে ভারত-মার্কিন বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব আরও অনেক ল্যান্ডমার্কের সাক্ষী থাকবে। মানবতার কল্যাণ এবং বিশ্বের ভালোর জন্যই আমাদের অংশীদারিত্ব আরও জোরালো হবে।”

    আর পড়ুন: দুর্দিনের বাজারে জামানত খুইয়েছেন ২১ সিপিএম প্রার্থী, কত টাকা খোয়াল আলিমুদ্দিন?

    এদিকে, পৃথক একটি বিবৃতিতে ভারতের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সেনেট ফরেন রিলেশনস কমিটির চেয়ারম্যান, সেনেটর বেন কার্ডিন। মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে সারা দেশে এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ভোট দেওয়ায় যারপরনাই খুশি তিনি। বলেন, “তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেও ভোট দিয়েছেন ভারতবাসী। এভাবে তাঁরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি তাঁদের দায়বদ্ধতা প্রদর্শন করেছেন (Jake Sullivan)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Air India: উড়ানে দেরি, ক্ষমা চাইল এয়ার ইন্ডিয়া, যাত্রীদের অফার ট্রাভেল ভাউচার

    Air India: উড়ানে দেরি, ক্ষমা চাইল এয়ার ইন্ডিয়া, যাত্রীদের অফার ট্রাভেল ভাউচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় পরে দিল্লির মাটি ছেড়েছিল উড়ান। যার জেরে দুর্ভোগে পড়েন দিল্লি-আমেরিকা গামী বিমানের যাত্রীরা। তাই যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া (Air India)। যাত্রীদের হয়রানির ক্ষতিপূরণ হিসেবে তারা ওই ফ্লাইটের প্রতিটি যাত্রীকে ৩৫০ মার্কিন ডলার মূল্যের ট্রাভেল ভাউচার অফার করেছে।

    ৩০ ঘণ্টা পরে ছাড়ল বিমান (Air India)

    জানা গিয়েছে, বিমানটিতে যাত্রী ছিলেন ১৯৯ জন। ৩০ ঘণ্টা দেরি করার পর সান ফ্রান্সিসকোগামী এই বিমানটি শুক্রবার দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়ে রাত ৯টি ৫৫ মিনিটে। সেটি সান ফ্রান্সিসকো বিমানবন্দরে অবতরণ করে পরের দিন দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে (ভারতীয় সময় অনুযায়ী)। দিল্লি থেকে সান ফ্রান্সিসকো যেতে সময় লাগে প্রায় ১৬ ঘণ্টা (Air India)। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ৩টেয় দিল্লি বিমানবন্দর থেকে যাত্রীদের নিয়ে সান ফ্রান্সিসকো উড়ে যাওয়ার কথা ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান এআই-১৮৩-র।

    যাত্রী হয়রানির অভিযোগ

    অভিযোগ, যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে কর্তৃপক্ষ বারংবার সময় বদলাতে থাকেন উড়ানের। বিমানটির যাত্রী ও তাঁদের পরিজনদের অভিযোগ, দিল্লির প্রচণ্ড গরমে বৃহস্পতিবার অন্তত আট ঘণ্টা বিমানের মধ্যেই বসিয়ে রাখা হয়েছিল যাত্রীদের। বিমানের এসি ঠিকঠাক কাজ করছিল না। প্রচণ্ড গরমে অনেক যাত্রীই বিমানের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই বিমানে সান ফ্রান্সিসকো যাচ্ছিলেন এক যাত্রী। তিনি বলেন, “শুক্রবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ বিমানটি ছাড়ার প্রস্তুতি নিলেও, রানওয়ে থেকে ফিরে আসে। তারপর ফের দীর্ঘ সময় আমাদের অপেক্ষা করতে হয় বিমানে।”  

    আর পড়ুন: তৃতীয় বার মোদি সরকার, ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপিই, বলছে এক্সিট পোল

    এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়, যাত্রীদের একটি হোটেলে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা সিইও ক্লাউস গোয়ের্স্চ উড়ানটির যাত্রীদের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে লিখেছেন, “এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে আমায় ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ দিন। সান ফ্রান্সিসকোয় আপনাদের পৌঁছে দিতে দেরি হওয়ায় আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। প্রযুক্তিগত এবং অপারেশনাল কিছু সমস্যার জন্যই বিমানটি ছাড়তে এত দেরি হয়েছে।” এই চিঠিতেই যাত্রীদের এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে ৩৫০ মার্কিন ডলার মূল্যের ট্রাভেল ভাউচার অফার করা হয়েছে। এই ভাউচারের বিনিময়ে যাত্রীরা ফের এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ওই পরিমাণ মূল্যের দূরত্ব ভ্রমণ করতে পারবেন নিখরচায় (Air India)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India US Relation: ইউ টার্ন আমেরিকার! “ভারতে রয়েছে ভাইব্র্যান্ট ডেমোক্রেসি”, বললেন মার্কিন কর্তা  

    India US Relation: ইউ টার্ন আমেরিকার! “ভারতে রয়েছে ভাইব্র্যান্ট ডেমোক্রেসি”, বললেন মার্কিন কর্তা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউ টার্ন আমেরিকার! দিন কয়েক আগেই যে দেশ ভারতকে চিনের সঙ্গে এক পঙতিতে বসিয়ে ‘জেনোফোবিক’ (বিদেশিদের ভয় পায় যারা) তকমা দিয়েছিল, সেই দেশের মুখেই কিনা ভারত-প্রশস্তি! ফিরে আসা যাক খবরে। সম্প্রতি ভারতে শেষ হয়েছে চতুর্থ দফার নির্বাচন। রাত পোহালেই সোমবার হবে পঞ্চম দফার ভোট গ্রহণ-পর্ব।

    কী বললেন মার্কিন কর্তা? (India US Relation)

    তার আগে হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিউনিকেশনস অ্যাডভাইসার জন কিরবি বলেন, “ভারতের চেয়ে বেশি ভাইব্র্যান্ট ডেমোক্রেসি আর কোথাও নেই। আপনারা জানেন, গণতন্ত্রের উৎসবে ভারতীয় জনগণের অংশগ্রহণকে আমরা প্রশংসা করি। তাদের ভোটদানের উদ্যম, ভবিষ্যতের সরকার নিয়ে তাদের আলোচনাও প্রশস্তি-যোগ্য। অবশ্যই, পুরো প্রক্রিয়াটিকে আমরা শুভেচ্ছা জানাই।” ভারতে চলতি লোকসভা নির্বাচন নিয়ে (India US Relation) এক প্রশ্নের উত্তরেই এমন মন্তব্য করেন কিরবি। এদিন কিরবির মুখে মোদি-স্তুতিও শোনা যায়। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে বিশেষ করে বাইডেন প্রশাসনের গত তিন বছরে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও পোক্ত হয়েছে।”

    ‘জেনোফোবিক’ তকমা সেঁটে দিয়েছিল আমেরিকা

    এরই কয়েক দিন আগে ভারতের গায়ে ‘জেনোফোবিক’ তকমা সেঁটে দিয়েছিল আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জাপান এবং ভারতকে ‘জেনোফোবিক’ আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, “এরা (ভারত ও জাপান) বিদেশিদের স্বাগত জানায় না। চিন এবং রাশিয়াও তা-ই করে। এই চার দেশের তুলনায় আমেরিকায় ইমিগ্রেশন বেশি।” মার্কিন প্রেসিডেন্টের যুক্তি ছিল, সেই কারণেই আমেরিকার অর্থনীতির ভিত এত পোক্ত। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিল ভারত। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেই মন্তব্যের ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ারও চেষ্টা করেছেন কিরবি।

    আর পড়ুন: চিনের সঙ্গে ব্যবসা! ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ মাথায় রাখতে উদ্যোগপতিদের ‘প্রস্তাব’ জয়শঙ্করের

    বলেন, “গত সফরে আমরা বিভিন্ন ধরনের নতুন উদ্যোগ নিয়েছি, জটিল এবং বর্তমানে চলছে এমন প্রযুক্তি নিয়ে আমরা একযোগে কাজ করছি, ইন্দো-প্যাসিফিক কোয়াডের প্রাসঙ্গিকতা নিয়েও আমরা আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছি। ভারতও এর অংশীদার। আমরা মুখোমুখি আলোচনাও করছি। দুই দেশের বাহিনীর মধ্যেও আমরা বিভিন্ন বিষয় শেয়ার করি।” এর পরেই তিনি বলেন, “এটি (ভারত) খুবই ভাইব্র্যান্ট, আমাদের অংশীদারিত্বও খুবই সক্রিয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ (India US Relation)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share