Tag: Uttar Pradesh

Uttar Pradesh

  • Supreme Court: ঘৃণা ভাষণ মামলায় ‘সুপ্রিম’ রায়ে স্বস্তি পেলেন যোগী আদিত্যনাথ

    Supreme Court: ঘৃণা ভাষণ মামলায় ‘সুপ্রিম’ রায়ে স্বস্তি পেলেন যোগী আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘৃণা ভাষণ (Hate Speech) ছড়ানোর মামলায় রেহাই পেলেন উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রায়দান হয় ওই মামলার। সেখানেই দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা জানিয়ে দেন, এই মামলা আর চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুরের একটি জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন যোগী। সেখানেই তাঁর বিরুদ্ধে ঘৃণা ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

    ২০০৭ সালে গোরক্ষপুরের জনসভায় বক্তৃতা দিয়েছিলেন যোগী। তখন তিনি সাংসদ। অভিযোগ, ওই সভায় ঘৃণা ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে দায়ের হয় মামলা। ওই মামলারই শুনানি চলছিল দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার বেঞ্চে। ২৪ অগাস্ট ওই মামলার শেষ শুনানি ছিল। শুক্রবার হয় রায়দান। ঘটনাচক্রে এদিনই ছিল প্রধান বিচারপতি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে রামানার শেষ দিন। এই মামলার রায় দিতে গিয়ে তিনি জানিয়ে দেন, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এই মামলা আর চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও মানে হয় না। প্রসঙ্গত, ১০১৮ সালেও এই একই রায় দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। তার পরেও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন জনৈক আবেদনকারী। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এদিন রায় দেন রামানা।

    আরও পড়ুন : ২৯ অগাস্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে ২৫টি সাংবিধানিক বেঞ্চের মামলার শুনানি শুরু

    শুনানিতে উত্তর প্রদেশ সরকারের হয়ে সওয়াল করছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী মুকুল রোহতাগী। ওই মামলায় প্রধান বিচারপতি রামানার নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চে তিনি জানান, ওই মামলা সংক্রান্ত সিডি জমা দেন সিএফএসএলের কাছে। এবং তাতে কিছু মেলেনি। তিনি বলেন, আবেদনকারী সে পিটিশন দাখিল করেছেন সেটা আগেই হাইকোর্ট পরীক্ষা করেছে। এর পরেই তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে এই মামলা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া অর্থহীন। কারণ যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, তিনি এখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Loan Apps: ঋণের টোপ দিয়ে টাকা-তথ্য হাতিয়ে চিনে পাচার, দেশজুড়ে গ্রেফতার ২২

    Loan Apps: ঋণের টোপ দিয়ে টাকা-তথ্য হাতিয়ে চিনে পাচার, দেশজুড়ে গ্রেফতার ২২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঋণ (loan) দেওয়ার টোপ দিয়ে ফাঁদে ফেলা হত শিকার। এক বার ফাঁদে পড়লেই কেল্লাফতে। ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে শুরু হত ব্ল্যাকমেইলিং। ঋণ নেওয়া ব্যক্তির ছবি বিকৃত করে পর্ন সাইটে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হাতানো হত মোটা অঙ্কের টাকা। সেই তথ্য এবং টাকা পাচার হত ড্রাগনের দেশ চিনে। এভাবে ৫০০ কোটি টাকা তোলাবাজির অভিযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। একশোটিরও বেশি লোন অ্যাপের (Loan App) মাধ্যমে উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌ থেকে দুষ্কৃতীরা কারবার চালাচ্ছিল বলে জেনেছে পুলিশ। প্রতারণা চক্রের নেপথ্যে কয়েকজন চিনা (China) নাগরিক রয়েছে। চক্রের শেকড় কত গভীরে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    সম্প্রতি একে একে প্রতারণার শ খানেক অভিযোগ পায় দিল্লি পুলিশ। তার পরেই শুরু হয় তদন্ত। চক্রের পর্দাফাঁস করেন তদন্তকারীরা। তাঁরা জেনেছেন, মূলত লোন অ্যাপের মাধ্যমেই ফাঁসানো হত গ্রাহকদের। এই অ্যাপের মাধ্যমে চড়া সুদে ঋণ মিলত। তবে অনায়াসে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঋণ মিলত। ঋণ দেওয়ার সময় গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিত প্রতারকরা। সুদ সমেত আসল ফিরিয়ে দেওয়ার পরেই তারা ধারণ করত স্বমূর্তি। ছবি বিকৃত করে সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হাতানো হত কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। এভাবেই জালিয়াতি করা হয় ৫০০ কোটি টাকা। হাওয়ালা ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে সেই টাকা পাঠানো হয় চিনে।

    আরও পড়ুন : প্রতারণা রুখতে বিশেষ অ্যানালেটিক উইং রাখার পথে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি

    পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লি, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ সহ নানা রাজ্যে জাল বিছিয়েছিল প্রতারকরা। প্রতারকরা মূলত যে লোন অ্যাপগুলি ব্যবহার করত সেগুলি হল ক্যাশ পোর্ট, রুপি ওয়ে, লোন কিউব, ওয়াও রুপি, স্মার্ট ওয়ালেট, জায়ান্ট ওয়ালেট, হাই রুপি, সুইফট রুপি, ওয়ালেটউইন, ফিশক্লাব, ইয়েহক্যাশ, ইম লোন, গ্রোটি, ম্যাজিক ব্যালেন্স, ইয়োক্যাশ, ফরচুন ট্রি, সুপারকয়েন এবং রেড ম্যাজিক। অভিযানে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৫১টি মোবাইল, ২৫টি হার্ড ডিস্ক, ৯টি ল্যাপটপ, ১৯টি ডেবিট কার্ড, ৩টি গাড়ি এবং নগদ ৪ লক্ষ টাকা। এদিন যে বাইশজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের জেরা করে চিনা চক্রের নাগাল পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন : আন্তর্জাতিক জঙ্গির ঢাল চিন! আব্দুল রউফ আজহারকে নিষিদ্ধ করতে বাধ সাধল বেজিং

     

  • Nupur Sharma: খুনের ভার পড়েছিল নূপুর শর্মাকে! উত্তর প্রদেশ পুলিশের জালে জঙ্গি

    Nupur Sharma: খুনের ভার পড়েছিল নূপুর শর্মাকে! উত্তর প্রদেশ পুলিশের জালে জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) ঠিক আগেই জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার যুবক। শুক্রবার উত্তর প্রদেশ পশ্চিমের সাহারানপুর (Saharanpur) জেলা থেকে জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammad) ও তেহরিক-ই-তালিবান (Tehreek-e-Taliban ) জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগ রয়েছে এই সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় বছর পঁচিশের ওই যুবককে।

    উত্তর প্রদেশ পুলিশের (UP Police) দাবি, ওই যুবককে গ্রেফতার করায় ফাঁস হল বড়সড় নাশকতার ছক। পুলিশের দাবি, জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া ওই যুবককে  বিজেপির সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে খুনের দায়িত্ব দিয়েছিল পাক জঙ্গিরা। পুলিশ জানিয়েছে, সাহারানপুরের কুন্দাকালা গ্রামের ওই বাসিন্দার নাম মহম্মদ নাদিম। পুলিশের দাবি, নূপুরকে হত্যা করতে পাকিস্তানের জইশ-ই-মহম্মদের এক চাঁই ওই যুবককে দায়িত্ব দিয়েছিল বলে স্বীকারও করেছে নাদিম। সে তার আরও কয়েকজন সহযোগীর নামও জানিয়েছে পুলিশকে। তাদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

    আরও পড়ুন : হাতে ১১ ইঞ্চি লম্বা ছুরি! নূপুর শর্মাকে খুনের উদ্দেশে ভারতে পাক যুবক

    প্রসঙ্গত, হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিজেপি সাসপেন্ড করে দলের মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে। তার পরেও এক শ্রেণীর দুষ্কৃতী তাণ্ডব চালায় দেশের বিভিন্ন অংশে। টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ, বিজেপির পার্টি অফিসে হামলা সবই হয়েছে। দিন দুই হাত গুটিয়ে বসে থাকার পর পথে নামে পুলিশ। তার পরেই নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। সেই নূপুরকেই খুন করতে ওই যুবককে দায়িত্ব দিয়েছিল জঙ্গিরা।

    উত্তর প্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে নাদিমের। জইশ-ই-মহম্মদ ও তেহরিক-ই-তালিবান দুই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেই যুক্ত ছিল সে। তার ফোনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখে পুলিশ জেনেছে, অস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য পাকিস্তান ও সিরিয়াও যেতে বলা হয়েছিল তাকে। কীভাবে আইইডি তৈরি করতে হয়, ফোনের মাধ্যমে তাকে তার কৌশলও শিখিয়েছিল জঙ্গিরা। পুলিশের দাবি, তার ফোন থেকে উদ্ধার হওয়া বিভিন্ন চ্যাট এবং ভয়েস বার্তায়ও জইশ এবং তেহরিক-ই-তালিবানের সঙ্গে তার যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। শুধু তাই নয়, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, ফেসবুক মেসেঞ্জারের মতো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও পাক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত নাদিম। উত্তর প্রদেশ পুলিশের এডিজিপি প্রশান্ত কুমার বলেন, নাদিমের কাছ থেকে দুটি সিম কার্ড এবং বিভিন্ন ধরনের বোমা তৈরির কৌশল লেখা কিছু কাগজপত্রও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতা দিবসে হামলার ছক! উত্তরপ্রদেশে ধৃত আইএস জঙ্গি

     

  • Uttar Pradesh: স্বাধীনতা দিবসে হামলার ছক! উত্তরপ্রদেশে ধৃত আইএস জঙ্গি

    Uttar Pradesh: স্বাধীনতা দিবসে হামলার ছক! উত্তরপ্রদেশে ধৃত আইএস জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) প্রাক্কালে নাশকতার ছক বানচাল করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াড (Uttar Pradesh Anti-Terrorist Squad)। এক সন্দেহভাজন আইএস (IS) জঙ্গিকে আজমগঢ় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, স্বাধীনতা দিবসের আগে একাধিক জায়গায় হামলার ছক কষেছিল সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গি। ধৃত জঙ্গির নাম সাবাউদ্দিন আজমি (Sabauddin Azmi)। 

    রাজ্যপুলিশের এডিজি প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের আজমগড় থেকে আইএস জঙ্গি সন্দেহে রাজ্যপুলিশের বিশেষ অপরাধ দমন শাখা ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত থাকা এবং অস্ত্র আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতের কাছ থেকে বেশ কিছু নথিও উদ্ধার করা হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের আগে বড়সড় নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তার। ধৃতের একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার কাজ চলছে, বলেও জানিয়েছে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে নতুন  ছেলেদের কাজে লাগানো হত। হাতে কলমে চলত হ্যান্ড গ্রেনেড, বোমা এবং আইইডি তৈরির প্রশিক্ষণ। 

    আরও পড়ুন: আচমকাই উধাও দেশের ২৪ টি স্মৃতিসৌধ! এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি

    অন্যদিকে, নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় জম্মু ও কাশ্মীরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ছকও বানচাল করা গিয়েছে। পুলওয়ামায় উদ্ধার হয়েছে ৩০ কেজি বিস্ফোরক। কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা (Pulwama) জেলার সার্কুলার রোড সংলগ্ন এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তখনই তাহাব ক্রসিং এলাকায় একটি আইইডি নজরে আসে তাঁদের। বিস্ফোরকটির ওজন ছিল ২৫ থেকে ৩০ কিলোর মধ্যে। 

    কাশ্মীর পুলিশের আইজিপি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, স্বাধীনতা দিবসের আগে জঙ্গিরা নাশকতা ঘটাতে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছিলেন গোয়েন্দারা। ফলে পুলিশ ও সেনার যৌথবাহিনী সতর্ক রয়েছে। ইতিমধ্যে আইইডিটিকে নিষ্ক্রিয় করতে বম্ব স্কোয়াড ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে। উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে উপত্যকায় এহেন বিপুল পরিমাণের বিস্ফোরক উদ্ধার ও জঙ্গিদের তৎপরতায় রীতিমতো উদ্বেগ ছড়িয়েছে নিরাপত্তা মহলে।

  • Sunil Bansal: কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র জায়গায় বাংলার দায়িত্বে সুনীল বনসল, জানেন তিনি কে?

    Sunil Bansal: কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র জায়গায় বাংলার দায়িত্বে সুনীল বনসল, জানেন তিনি কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় যখন রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থা চলছে, সেই মাহেন্দ্রক্ষণেই পর্যবেক্ষক বদল করে ফেলল বিজেপি (BJP)। রাজ্য বিজেপিতে নয়া পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হল সুনীল বনসলকে (Sunil Bansal)। সুনীল বনসলকে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন যোগী রাজ্যের সংগঠন সামলানো সুনীল বনসলকে বাংলা বিজেপির পর্যবেক্ষক করা হল। সেইসঙ্গে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওড়িশা ও তেলঙ্গনার। ঘটনাচক্রে এই তিনটিই অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য।

    একুশের ভোটে বাংলায় পরাজয়ের পর থেকেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে সেভাবে দেখা যায়নি। তবুও বাংলা বিজেপির দায়িত্বে খাতায় কলমে ছিলেন ইন্দোরের নেতা। বুধবার আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দিল বিজেপি (BJP)। বাংলার সঙ্গে যোগ না থাকা কাউকে আর দায়িত্ব দিতে চায়নি বিজেপি। এই রাজ্য সম্পর্কে সম্যক ধারণা রয়েছে, এমন কোনও ব্যক্তিকেই দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভেবেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই মতো দায়িত্ব বণ্টন করা হল। সুনীল বনসলের পৈতৃক বাড়ি দুর্গাপুরে। তবে দীর্ঘদিন তিনি সঙ্ঘের কাজের জন্য বাইরে বাইরে থাকতেন। আরএসএসের প্রচারক ছিলেন সুনীল। অনেকের বক্তব্য, বাংলা যোগের কারণেই এই নেতাকে সুকান্ত, শুভেন্দুদের পর্যবেক্ষক করে পাঠানো হল।

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হা ও অশোক সাহাকে গ্রেফতার সিবিআইয়ের

    কেন সুনীল? বিজেপি নেতাদের মতে, উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের আগে দারুন কাজ করেছেন তিনি। দলের দাবি, সুনীল ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীনই দেশের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ দখল করেছিল এবিভিপি (ABVP)। সূত্রের খবর, উত্তর প্রদেশে যোগী আদিত্যনাথকে জেতানোর পেছনে বড় ভূমিকা ছিল সুনীল বনসলের। সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপিতে এ বার গুরুত্বপূর্ণ পদে সেই সুনীল। ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি জে পি নাড্ডার নির্দেশে বাড়তি দায়িত্ব পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা এবং তেলেঙ্গানায় দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করার গুরুদায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে সুনীলেরর কাঁধে। সেই সঙ্গে উত্তর প্রদেশের সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদেও সতীশ বনসলকে নিযুক্ত করল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

    উত্তরপ্রদেশ বিজেপির এক নেতা জানাচ্ছেন, অমিত শাহ প্রচারের সামনে থাকলেও উত্তরপ্রদেশে সাফল্যের নেপথ্যে ছাত্র-নেতা সুনীলের ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য ছিল। তাঁর কৌশল এবং অমিত শাহের মস্তিষ্কের জোরেই বিজেপি লোকসভা ভোটের নিরিখে এখন ওই রাজ্যে ৪০৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৩২৭টি-তে এগিয়ে ছিল। বাংলায় সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, তারপর লোকসভা। এই দুই নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব দেওয়া হল সুনীলকে।

  • Snake Bite: মর্মান্তিক! সাপের কামড়ে মৃত দাদার সৎকারে গিয়ে সর্পাঘাতে মৃত ভাই-ও

    Snake Bite: মর্মান্তিক! সাপের কামড়ে মৃত দাদার সৎকারে গিয়ে সর্পাঘাতে মৃত ভাই-ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্পদষ্ট (Snake Bite)  দাদার শেষকৃত্যে (Funeral) যোগ দিতে গিয়েছিলেন ভাই। সর্পাঘাতে মৃত্যু হল তাঁরও। পর পর দুই ভাইয়ের সাপের কামড়ে মৃত্যুতে শোকে পাথর উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) ভবানীপুর গ্রাম।

    উত্তর প্রদেশের ভবানীপুর গ্রাম। ছবির মতো সাজানো গোছানো এই গ্রামেই বাড়ি অরবিন্দ মিশ্রের। প্রবল গরমে ঘরের দাওয়ায় ঘুমোচ্ছিলেন বছর আটত্রিশের অরবিন্দ মিশ্র। গভীর রাতে ঘুমের ঘোরে কোনওভাবে সাপে কামড়ায় তাঁকে। আর্ত চিৎকারে জেগে ওঠেন বাড়ির লোকজন। দ্রুত চলে আসেন পড়শিরাও। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানেই মৃত ঘোষণা করা হয় তাঁকে। খবর পেয়ে লুধিয়ানা থেকে চলে আসেন অরবিন্দের ভাই গোবিন্দ মিশ্র। বছর বাইশের গোবিন্দের সঙ্গে লুধিয়ানা থেকে দেশের বাড়ি ফেরেন চন্দ্রশেখর পাণ্ডে। আত্মীয়তা সূত্রে মিশ্র বাড়িতেই থাকেন তিনিও।

    অরবিন্দকে দাহ করে বাড়ি ফেরেন গোবিন্দ এবং চন্দ্রশেখর। গরমের চোটে ওই রাতে দাওয়ায় ঘুমোচ্ছিলেন গোবিন্দ এবং চন্দ্রশেখরও। ঘুমোঘোরে তাঁদের দুজনকেও সাপে কামড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে এই দুজনকেও নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক গোবিন্দকে মৃত ঘোষণা করেন। বছর বাইশের চন্দ্রশেখর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঞ্জা লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে।

    আরও পড়ুন :মানসিক ভারসাম্যহীন সন্তানকে পাঁচ তলা থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন দন্ত চিকিৎসক মা, গ্রেফতার

    একই গ্রামের একই বাড়িতে পরপর তিনজনের সর্পদষ্ট হওয়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। সিনিয়র মেডিক্যাল এবং প্রশাসনিক আধিকারিকরা এদিনই যান ওই গ্রামে। স্থানীয় বিধায়ক কৈশাশ নাথ শুক্লা দেখা করেছেন মিশ্র পরিবারের সঙ্গে। এক সঙ্গে রোজগেরে দুই ছেলেকে হারিয়ে শোকে পাথর মিশ্র পরিবারকে জানিয়েছেন সমবেদনা। দিয়েছেন পাশে থাকার আশ্বাসও। ভবিষ্যতে যাতে ফের এই ঘটনা না ঘটে, সেজন্য প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।  

    পুলিশের সার্কেল অফিসার রাধারমণ সিং বলেন, গোবিন্দ মিশ্রকেও সাপে কামড়েছে। তিনিও ঘুমোচ্ছিলেন। ওঁর এক আত্মীয় চন্দ্রশেখরকেও সাপে কামড়ায়। সর্পাঘাতে মৃত অরবিন্দের শেষকৃত্যে যোগ দিতে এসেছিলেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন : অভিবাদন প্রিয়তমা! যুদ্ধ ভুলে ভারতে হিন্দু রীতিতে বিয়ে ইউক্রেনীয়-রুশ যুগলের

  • Bundelkhand Expressway: এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ সময়ের আগেই, বাঁচল হাজার কোটি টাকারও বেশি

    Bundelkhand Expressway: এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ সময়ের আগেই, বাঁচল হাজার কোটি টাকারও বেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরের সপ্তাহে পঞ্চম এক্সপ্রেসওয়েটি (Bundelkhand Expressway) পেতে চলেছে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। বুন্দেলখণ্ডের প্রত্যন্ত এলাকার সঙ্গে যোগসাধনের জন্যেই ২৯৬ কিলোমিটার এই রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি এই কাজের জন্যে ৩৬ মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল যোগী সরকার (Yogi Adityanath Government)। কিন্তু কোভিডকালেও মাত্র ২৮ মাসেই শেষ হয়েছে রাস্তা তৈরির কাজ। আগামী ১২ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। 

    আরও পড়ুন: “সব স্বচ্ছ নীতির প্রতিফলন…!” যোগী-রাজ্যে গিয়ে কী বললেন মোদি?

    রাস্তা তৈরিতে যে শুধু সময় বাঁচিয়েছে যোগী সরকার তাই নয়, বেঁচে গিয়েছে বেশ কিছু টাকা। বরাদ্দ টাকা থেকে ১,১৩২ কোটি টাকা বাঁচিয়েছে যোগী সরকার। যা বরাদ্দ মোট টাকার প্রায় ১২.৭২%। এই মুহূর্তে এই এক্সপ্রেসওয়ে চার লেনের হলেও, ভবিষ্যতে ৬ লেনের করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। রাজ্যের সাত জেলার মধ্যে যোগাযোগ ঘটাবে এই রাস্তা। 

    প্রধানমন্ত্রী ওইদিন এক্সপ্রেসওয়ে ধরে জালালুন জেলার কাথেরি গ্রামে গিয়ে রাস্তার উদ্বোধন করবেন। এই এক্সপ্রেস ওয়ের অন্যতম বিশেষত্ব হল, ইটাওয়াতে আগ্রা-লখনৌ এক্সপ্রেস ওয়েতে মিশবে এই রাস্তা। দিল্লি এনসিআরের সঙ্গেও যোগাযোগ সহজ হবে। লখনৌ থেকে বুন্দেলখণ্ডের যাত্রাও এই এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পরে অনেকটাই সহজ হবে।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যায় রাম মন্দির গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন যোগী আদিত্যনাথের  

    আগামীদিনে সীমান্তের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও এই রাস্তার গুরুত্ব অসীম। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও অনেকটাই সহজ হবে যাতায়াত। চিত্রকূটে এই রাস্তা শেষ হচ্ছে জাতীয় সড়ক ৩৫-এ। ঝাঁসি এবং প্রয়াগরাজকে সংযুক্ত করবে এই রাস্তা। 

    ইউপি এক্সপ্রেসওয়েস ডেভলপমেন্ট অথরিটির প্রধান আনিস কুমার আবাস্তি বলেন, “এই নতুন এক্সপ্রেসওয়ে বুন্দেলখণ্ডের সার্বিক উন্নতিতে বড় ভূমিকা পালন করবে। কৃষি, পর্যটন, শিল্প সবটাই সমৃদ্ধ হবে। দিল্লি এনসিআর- এর সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর হিসেবে কাজ করবে এই এক্সপ্রেসওয়ে।   

    গত বছরের নভেম্বর মাসেই প্রধানমন্ত্রী ঝাঁসিতে ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প, ভারত ডায়নামিক লিমিটেডের (Bharat Dynamics Limited) শিলান্যাস করেছেন। সেক্ষেত্রে এই রাস্তার গুরুত্ব অসীম। 

    উত্তরপ্রদেশে ইতিমধ্যেই চারটি এক্সপ্রেসওয়ে রয়েছে। নয়ডা- গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেস ওয়ে, যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে, আগ্রা-লখনৌ এক্সপ্রেসওয়ে এবং পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে। ১২ জুলাই পঞ্চম এক্সপ্রেসওয়েটির উদ্বোধন হতে চলেছে।   

     

     

     

  • Yogi Adityanath:  যোগী সরকারের দ্বিতীয় দফায় ১০০ দিনের রিপোর্ট কার্ড পেশ

    Yogi Adityanath: যোগী সরকারের দ্বিতীয় দফায় ১০০ দিনের রিপোর্ট কার্ড পেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় দফায় একশো দিন পূরণ করল উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সরকার। তিনি বলেন, এই একশো দিন সমর্পণ করা হয়েছে জনগণের সেবা-সুরক্ষা এবং সুশাসনের প্রতি। মুখ্যমন্ত্রী (CM) বলেন, জনতার কাছে যা কথা দিয়েছি, তা আমরা পূরণ করবই। এই মুহূর্তে উত্তর প্রদেশের অর্থ ব্যবস্থাকে এক ট্রিলিয়নে পরিণত করার চেষ্টা চলছে।

    উত্তর প্রদেশের ক্ষমতায় এসেই রাজ্যকে ‘কুশাসন’ মুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যান যোগী। যার সুফল ঘরে তুলছে বিজেপি। উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্যের পর জয় মিলেছে বিধান পরিষদ নির্বাচনেও। সম্প্রতি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত আজমেঢ় ও রামপুর উপনির্বাচনেও জয় পেয়েছে পদ্ম শিবির। প্রত্যাশিতভাবেই উৎসাহিত গেরুয়া শিবির। যোগী আদিত্যনাথ জানান, উত্তর প্রদেশকে আরও সংগঠিত করতে দশটি বিভাগ চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলি হল কৃষি, শিল্প, সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, আরবান ডেভেলপমেন্ট, ট্যুরিজম ও কালচার, শিক্ষা, রাজস্ব এবং আইন। এগুলির দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞ আধিকারিকদের হাতে। প্রত্যেককে বেঁধে দেওয়া হয়েছে লক্ষ্যমাত্রা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, গত কয়েক বছরে মোট ২৯২৫ কোটি টাকার বেআইনি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে মাফিয়া ও সমাজবিরোধীদের গতিবিধি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মাফিয়াদের ৮৪৪ কোটি টাকার সম্পত্তিও। যোগী আদিত্যনাথ বলেন, গত পাঁচ বছরে উত্তর প্রদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আগে উত্তর প্রদেশ পরিচিতই ছিল দাঙ্গা ও অশান্তির জন্য। কিন্তু বিজেপি সরকার আসার পরেই উত্তর প্রদেশে আর একটিও দাঙ্গার খবর নেই।

    আরও পড়ুন : এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ সময়ের আগেই, বাঁচল হাজার কোটি টাকারও বেশি

    কেবল আইনশৃঙ্খলাই নয়, আর্থিকভাবেও ঢের উন্নতি লাভ করেছে যোগীর রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাত্র পাঁচ বছরে উত্তর প্রদেশের জিডিপি দ্বিগুণ হয়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মানুষের মাথাপিছু আয়ও। তিনি জানান, ধর্মীয়স্থানে অনাবশ্যক লাউডস্পিকারের ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে। ২০ হাজারেরও বেশি লাউড স্পিকার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও জানান আদিত্যনাথ। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, গত একশো দিনে প্রায় ১০ হাজার জনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, আমাদের লক্ষ্য উত্তর প্রদেশের সব যুবককে অন্তত দু লক্ষ করে টাকা লোন দেওয়া। এই টাকা নিয়ে তারা যাতে ব্যবসা করতে পারে, সেজন্য সব রকম ব্যবস্থা করবে সরকার। আদিত্যনাথ বলেন, ২০১৭ সালে আমাদের সরকার ক্ষমতায় এসেই প্রায় ৮৬ লক্ষ কৃষকের লোন মকুব করে। ২০২২ সালে প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকে ১৫ কোটি গরিব মানুষকে নিখরচায় রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্তও ঘোষণা করা হয়।

    আরও পড়ুন : অযোধ্যায় রাম মন্দির গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন যোগী আদিত্যনাথের

  • Nupur Sharma Row: প্রয়াগরাজে হিংসার মাস্টারমাইন্ডের বাড়িতে মিলল বন্দুক, সাহারানপুরে গ্রেফতার তরুণ  

    Nupur Sharma Row: প্রয়াগরাজে হিংসার মাস্টারমাইন্ডের বাড়িতে মিলল বন্দুক, সাহারানপুরে গ্রেফতার তরুণ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দেশজুড়ে অশান্তি বিক্ষোভকারীদের। উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে (Prayagraj) হিংসার মাস্টারমাইন্ড জাভেদ মহম্মদের বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। উত্তর প্রদেশেরই সাহারানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মূল চক্রী বছর আঠারোর এক তরুণকে। মুজাম্মেল (Muzammil) নামের ওই তরুণ একটি মাদ্রাসার ছাত্র। এদিকে, অশান্তি পাকানোর অভিযোগে কেবল উত্তর প্রদেশ থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৩১৬ জনকে। বাংলায় গ্রেফতারির সংখ্যা একশোর কাছাকাছি। সব মিলিয়ে চারশোজনের বেশি প্রতিবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে দেশজুড়ে।

    আরও পড়ুন : নূপুর শর্মা বিতর্কে অশান্তি, ঝাড়খণ্ডে মৃত ২, তপ্ত বাংলা, ভূস্বর্গে জারি কার্ফু

    দিন দশেক আগে হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মা। ঘটনার পরে পরেই সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। তার পরেও দেশজুড়ে অশান্তির আগুন ছড়িয়ে দেয় প্রতিবাদকারীরা। কোথাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ, কোথাও দোকানপাঠ ভাঙচুর, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, কোথাও আবার বাড়িঘর এবং বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে।

    অশান্তির আঁচ নিভু নিভু হতেই মাস্টারমাইন্ডদের খোঁজে হন্যে হয় পুলিশ। জানা যায়, উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের মূল চক্রী জনৈক জাভেদ মহম্মদ। এর পরেই তার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় একটি ১২ ও একটি ৩১৫ বোরের অবৈধ পিস্তল। মেলে কার্তুজও। বাড়িতে আপত্তিকর কিছু পোস্টারও মেলে। বাড়িটিও বেআইনিভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। এর পরেই বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ওয়েলফেয়ার পার্টি অফ ইন্ডিয়ার নেতা জাভেদ মহম্মদের বাড়ি। পুলিশের দাবি, জাভেদের বাড়ির কিছু নথি ‘আদালতের চোখে আপত্তিকর’।

    এদিকে, উত্তর প্রদেশেরই সাহারানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মুজাম্মেল নামের এক তরুণকে। পুলিশ জেনেছে, জুম্মার নমাজেরর পরেই অশান্তি পাকায় সে। মুজাম্মেল স্থানীয় এক মাদ্রাসার ছাত্র। রবিবার তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সাহারানপুরের পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার বলেন, অশান্তিতে ইন্ধন জোগানোয় দুজনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। অবৈধ নির্মাণ করায় তাদের বাড়ি বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মুজাম্মলির উসকানিতেই মূলত অশান্তি ছড়ায়। সে একটি মাদ্রাসার ছাত্র। অন্য এক চক্রীর নাম সলমান। সে প্রাপ্ত বয়স্ক। সে-ই পোস্টার ছাপিয়েছিল বলে জেনেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে অর্থ সাহায্য করে এই অশান্তির আগুনে কে ঘৃতাহুতি দিয়েছিল, তা এখনও জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    এদিকে, অশান্তি পাকানোর অভিযোগে উত্তর প্রদেশের আট জেলা থেকে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩১৬ জনকে। বাংলায় গ্রেফতারির সংখ্যা একশোর কাছাকাছি। হাজার খানেক প্রতিবাদীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থানার পুলিশ। প্রসঙ্গত, অশান্তি ঠেকাতে গিয়ে ১০ জুন রাঁচিতে দুজনের মৃত্যু হয়। জখমও হয় বেশ কয়েকজন।

     

  • Ayodhya Ram Mandir: অযোধ্যায় রাম মন্দির গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন যোগী আদিত্যনাথের

    Ayodhya Ram Mandir: অযোধ্যায় রাম মন্দির গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন যোগী আদিত্যনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় (Ayodhya) প্রস্তাবিত রাম মন্দিরের (Ram Mandir) গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর (foundation stone) স্থাপন করলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Uttar Pradesh cm) যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। এই উপলক্ষে মঙ্গলবার হয় বিশেষ প্রার্থনাসভা ও পুজোপাঠ। উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত পূজারি এবং সাধু-সন্ন্যাসীরা। অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে এদিন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ঢেকে দেওয়া হয় মন্দির চত্বর। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ দিনটি অতি পবিত্র। এই পবিত্র দিনেই মন্দিরের গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হল।

    ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ ভারতবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে মন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।

    তার পর থেকে মন্দির নির্মাণের কাজ অত্যন্ত দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। আজ হল গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। তিনি বলেন, মন্দির নির্মাণের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক বছরের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে ভারতবাসীর এই স্বপ্নের মন্দির। দর্শনার্থীদের জন্য মন্দির খুলে দেওয়া হবে আগামী বছরের ডিসেম্বরে।

    আরও পড়ুন : ১৮৬২টি মন্দির ভেঙে বদলে দেওয়া হয়েছে মসজিদে! তালিকা প্রকাশ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের

    মন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, অযোধ্যার এই মন্দিরটি হবে ত্রিতল বিশিষ্ট। পুরোটাই হবে গ্রানাইট পাথর দিয়ে। মন্দির তৈরি করতে লাগবে ১৭ হাজার গ্রানাইট পাথর। প্রতিটি পাথর লম্বায় পাঁচ ফুট, চওড়ায় আড়াই ফুট। রাজস্থানের ভরতপুর থেকে নিয়ে আসা হয়েছে পাথর। আট একর জমির ওপর তৈরি হচ্ছে মন্দির। গত রবিবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছিলেন, রাম মন্দির নির্মাণের পাশাপাশি কাশী বিশ্বনাথ (Kashi Viswanath) সহ অন্যান্য মন্দির সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন : ভোজশালার সরস্বতী মন্দির ভেঙেও গড়ে উঠেছিল মসজিদ?

    ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি হয় রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিবাদের (Ram Janmabhoomi-Babri Masjid dispute)। হিন্দুদের দাবি ছিল, যে জায়গায় বাবরি মসজিদ রয়েছে, সেখানেই জন্মেছিলেন ভগবান রাম। তাই দীর্ঘদিন ধরেই রাম মন্দিরের পক্ষে সওয়াল করছিলেন হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠন।

    শেষমেশ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের (Ranjan Gogoi) নেতৃত্বে আদালতের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ অযোধ্যা মামলার রায় দেয়। বিচারপতি সব পক্ষকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে রায় পড়ে শোনান। তিনটি পক্ষই আদালতে সওয়াল-জবাব করেছে। তাদের প্রত্যেকের সওয়াল-জবাবকেই মান্যতা দিয়ে তার পক্ষে বিপক্ষে মতামত দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার পরেই জমিটি রাম লালার বলে রায় দেয় শীর্ষ আদালত।

     

LinkedIn
Share