Tag: Uttarakhand

Uttarakhand

  • Chaukori: কুমায়ুন হিমালয়ের চৌকোরি থেকে তুষারধবল শৃঙ্গ দর্শন এক স্বর্গীয় অভিজ্ঞতা

    Chaukori: কুমায়ুন হিমালয়ের চৌকোরি থেকে তুষারধবল শৃঙ্গ দর্শন এক স্বর্গীয় অভিজ্ঞতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুমায়ুন হিমালয়ের (Kumaon Himalayas) পিথোরাগড় জেলার এক অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরপুর পার্বত্য পর্যটন কেন্দ্র চৌকোরি (Chaukori)। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০১০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত ওক, পাইন, দেওদার, রডোডেনড্রন, ফার গাছের জঙ্গলে ঢাকা এই চৌকোরি প্রকৃতিপ্রেমিক পর্যটকের এক অত্যন্ত প্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। চৌকোরি থেকে নন্দাদেবী, পঞ্চচুল্লি প্রভৃতি হিমালয়ের তুষারধবল শৃঙ্গগুলি দর্শন করা এক স্বর্গীয় অভিজ্ঞতা।

    কাছেই প্রচুর দর্শনীয় স্থান (Chaukori)

    মূলত এই অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দূরন্ত আকর্ষণের জন্যই বারবার এখানে ছুটে আসেন পর্যটকরা। একই সঙ্গে ঘুরে নেওয়া যায় চৌকোরি থেকে প্রায় ৩-৪ কিমি দূরের মাস্ক ডিয়ার রিসার্চ সেন্টার, মহাত্মা গান্ধীর সুযোগ্য শিষ্যা সরলা বেনের আশ্রমও। চৌকোরি থেকে প্রায় ১০ কিমি দূরে রয়েছে আরও একটি জনপ্রিয় এবং মনোরম পর্যটন কেন্দ্র বেরিনাগ। ২৪ কিমি দূরে গঙ্গোলী হাট। চৌকোরি থেকে পাতাল ভুবনেশ্বর যাওয়ার পথে অবস্থিত এই গঙ্গোলী হাট হল কুমায়ুনী শিল্প-সংস্কৃতির এক অন্যতম পীঠস্থান। এখানে রয়েছে মহাকালী মন্দির।

    ঘুরে আসুন পাতাল ভুবনেশ্বর

    আবার ইচ্ছে এবং হাতে সময় থাকলে ঘুরে নেওয়া যায় চৌকোরি (Chaukori) থেকে প্রায় ৩৮ কিমি দূরে পাতাল ভুবনেশ্বরও। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৩৫০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত পাতাল ভুবনেশ্বরের অন্যতম খ্যাতি শৈবতীর্থ হিসেবে। স্বয়ং আদি শঙ্করাচার্যর পদধূলিধন্য এই পাতাল ভুবনেশ্বর। এখানকার প্রাচীন গুহা মন্দিরটি কুমায়ুন অঞ্চলের অন্যতম পবিত্র ও প্রসিদ্ধ শৈবতীর্থ। প্রচলিত বিশ্বাস, এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৩৩ কোটি দেবতার আবাস। এখানে একাধিক গুহায় জল চুঁইয়ে স্ট্যালাকটাইট এবং স্ট্যালাগমাইটে সৃষ্টি হয়েছে বেশ কিছু অবয়ব। অনেকটা অন্ধ্রপ্রদেশের বোরহালু কেভ বা বোরহা কেভের মতোই চমৎকার সব সৃষ্টি। চৌকোরি থেকে সকালে বেরিয়ে পাতাল ভুবনেশ্বর ঘুরে আবার চকৌরিতেই রাত্রিবাস করা যায়। 

    যাতায়াত এবং থাকা-খাওয়া (Chaukori)

    যাতায়াত-ট্রেনে এলে নামতে হবে কাঠগুদাম। এখান থেকে গাড়িতে যেতে হবে চৌকোরি। দূরত্ব প্রায় ১৯৮ কিমি। আসা যায় লালকূয়া বা হলদোয়ানি থেকেও। সরাসরি গাড়ি নিয়ে আসা যায় ৮৬ কিমি দূরের আলমোড়া বা ১৭৩ কিমি দূরের নৈনিতাল থেকেও।
    থাকা-খাওয়া-চৌকোরিতে (Kumaon Himalayas) আছে কেএমভিএন (KMVN)-এর ট্যুরিস্ট রেস্ট হাউস ফোন-০৮৬৫০০০২৫৪২) এবং বেশ কিছু বেসরকারি হোটেল। আর পাতাল ভুবনেশ্বরে থাকতে চাইলে এখানেও আছে কেএমভিএনের ট্যুরিস্ট রেস্ট হাউস (ফোন-০৮৬৫০০০২৫৪৩) এবং কিছু বেসরকারি হোটেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Haridwar: গঙ্গার ঘাটে অপূর্ব সন্ধ্যারতি, শান্ত কঙ্খল আশ্রম! হরিদ্বার যেন সত্যিই ‘মায়াপুরী’

    Haridwar: গঙ্গার ঘাটে অপূর্ব সন্ধ্যারতি, শান্ত কঙ্খল আশ্রম! হরিদ্বার যেন সত্যিই ‘মায়াপুরী’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেই নয়, ভারতের অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান হল উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার (Haridwar)। পুণ্যতোয়া গঙ্গা এই হরিদ্বার থেকেই নেমে এসেছে সমতল ভূমিতে। প্রত্যেক ১২ বছর অন্তর এখানেই বসে পূর্ণকুম্ভের আসর। উপনিষদে এর নাম পাওয়া যায় ‘মায়াপুরী’ বলে। পুরাণেও উল্লেখ আছে এই স্থানের।

    পাহাড়ের শীর্ষে মনসাদেবীর মন্দির (Haridwar)

    হরিদ্বারে এলে দেখে নিন চণ্ডী পাহাড়। ছোট্ট একটা পাহাড়, পাহাড়ের শীর্ষে রয়েছে চণ্ডীদেবীর মন্দির। আদি শঙ্করাচার্যের আমলে চণ্ডী বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত হয় এই মন্দিরে। এর কাছেই রয়েছে আরও একটি ছোট্ট পাহাড় ‘মনসা পাহাড়’। এই পাহাড়ের শীর্ষে রয়েছে মনসাদেবীর মন্দির। চণ্ডী পাহাড় আর মনসা পাহাড়ে ওঠা-নামার জন্য রয়েছে রোপওয়ের ব্যবস্থা।

    সন্ধ্যারতি, কঙ্খল, হৃষিকেশ

    হরিদ্বারের (Haridwar) অন্যতম সেরা আকর্ষণ এখানকার বিখ্যাত ‘হর কি পৌড়ি’ ঘাটের সন্ধ্যারতি। পুরাণ মতে, রাজা বিক্রমাদিত্য তাঁর ভাইয়ের স্মরণে এখানে ব্রহ্মকুণ্ডে ঘাট নির্মাণ করেন। প্রতিদিন সন্ধ্যায় এখানে গঙ্গার বুকে আরতি দর্শনের জন্য প্রচুর দর্শনার্থীর ভিড় হয। কঙ্খল হর কি পৌড়ি ঘাট থেকে প্রায় ৪-৫ কিমি দূরে। এই কঙ্খলে রয়েছে একাধিক মন্দির ও আশ্রম। এর মধ্যে রয়েছে সপ্তর্ষি আশ্রম, আনন্দময়ী মায়ের আশ্রম, ভারতমাতা মন্দির, দক্ষ প্রজাপতির মন্দির, হরিহর আশ্রম, দক্ষেশ্বর শিব মন্দিরটিও। পুরাণ মতে, এখানেই নাকি দক্ষ মহারাজ দেবাদিদেব মহাদেবকে নিমন্ত্রণ না করেই যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন। কঙ্খলের শান্ত, অনাবিল, আশ্রমিক পরিবেশ মনকে শান্ত করে। হরিদ্বার থেকে অটো বা রিকশ নিয়ে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ঘুরে আসা যায় কঙ্খল থেকে। ইচ্ছে হলে বা হাতে সময় থাকলে হরিদ্বার থেকেই অটো বা গাড়ি নিয়ে ঘুরে আসা যায় মাত্র ২৪ কিমি দূরের হৃষিকেশ থেকেও।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন? (Haridwar)

    যাতায়াত, থাকা-খাওয়া-নৈনিতাল, দিল্লি, আগ্রা থেকে নিয়মিত বাস যাচ্ছে হরিদ্বার। দূরত্ব যথাক্রমে ২৪৫, ২১৪ এবং ৩৮৬ কিমি। হাওড়া থেকে সরাসরি হরিদ্বার যাচ্ছে দুন এক্সপ্রেস, উপাসনা এক্সপ্রেস, কুম্ভ এক্সপ্রেস প্রভৃতি ট্রেন। এখানে থাকার জন্য রয়েছে জিএমভিএন (GMVN)-এর ট্যুরিস্ট রেস্ট হাউস রাহি মোটেল ফোন (০১৩৩৪) ২২৮৬৮৬ এবং হোটেল অলকানন্দা (০১৩৩) ২২৬৩৭৯। এছাড়াও এখানে রয়েছে বহু বিভিন্ন দাম ও মানের হোটেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand Accident: উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগে বাস পড়ল অলকানন্দার জলে, মৃত অন্তত ১০

    Uttarakhand Accident: উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগে বাস পড়ল অলকানন্দার জলে, মৃত অন্তত ১০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand Accident) রুদ্রপ্রয়াগ (Rudraprayag) জেলায় পুণ্যার্থী বোঝাই গাড়ি পাহাড় থেকে পড়ে গেল অলকানন্দার জলে। দুর্ঘটনায় অন্ততপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। হৃষিকেশ-বদ্রীনাথ হাইওয়েতে একটি টেম্পো ট্রাভেলার গাড়ি ২৩-২৬ জন যাত্রী নিয়ে খাদে উল্টে পড়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মৃতদের পরিবারের প্রতি শোকপ্রকাশ করেছেন। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    চলছে উদ্ধার কাজ

    দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। স্থানীয় এসডিআরএফ এবং প্রশাসন উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লি-গাজিয়াবাদ থেকে একদল পুণ্যার্থী চোপতা তুঙ্গনাথের দিকে যাচ্ছিলেন। জখমদের চিকিৎসার জন্য আনতে গুপ্তকাশী থেকে হেলিকপ্টার রুদ্রপ্রয়াগে পৌঁছে গিয়েছে। এর মধ্যেই চারজনকে এইমসে নিয়ে আসা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রুদ্রপ্রয়াগ শহরের ৫ কিমি আগে বদ্রীনাথ হাইওয়েতে রাইতোলিতে অলকানন্দের জলে পড়ে যায় ছোট বাসটি।

    শোকবার্তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand Accident) রুদ্রপ্রয়াগে পথ দুর্ঘটনার দুঃখজনক খবর পেয়েছি। এই দুর্ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং এসডিআরএফ দল উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে৷ আহতদের সম্ভাব্য সব ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঈশ্বরের কাছে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”

    দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

    দুর্ঘটনায় (Uttarakhand Accident) শোক প্রকাশ করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিও। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “রুদ্রপ্রয়াগে (Rudraprayag) টেম্পো ট্রাভেলারের দুর্ঘটনার খরবে আমি ব্যথিত। স্থানীয় প্রশাসন ও এসডিআরএফ দল উদ্ধার কাজ করছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। জেলাশাসককে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমি ঈশ্বরের কাছে মৃতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে ৷ আমি আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAA: সিএএ শংসাপত্র বিলির কাজ শুরু বাংলায়, বড় ঘোষণা শাহের মন্ত্রকের

    CAA: সিএএ শংসাপত্র বিলির কাজ শুরু বাংলায়, বড় ঘোষণা শাহের মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, সংক্ষেপে সিএএ (CAA) অনুযায়ী শংসাপত্র বিলির স্থান-কাল জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আপাতত এই শংসাপত্র বিলি হবে পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা এবং উত্তরাখণ্ডে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুধবার থেকে সিএএ আইন অনুযায়ী শংসাপত্র বিলির কাজ শুরু করেছে সিএএ সংক্রান্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি। প্রসঙ্গত, গত ১৫ মে প্রথমবার তিনশো জন আবেদনকারীকে সিএএ-র শংসাপত্র বিলি করেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। দিল্লিতে ১৪ জন আবেদনকারীর হাতে এই শংসাপত্র তুলে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয়কুমার ভাল্লা স্বয়ং।

    সিএএ শংসাপত্র বিলি শুরু (CAA)

    বুধ-সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA), ২০২৪ এর আওতায় পশ্চিমবঙ্গে নাগরিকত্ব শংসাপত্র মঞ্জুরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ প্রথম দফার আবেদনকারীদের নাগরিকত্ব প্রদান করেছে পশ্চিমবঙ্গের এমপাওয়ার্ড কমিটি। একইভাবে হরিয়ানা এবং উত্তরাখণ্ডেও বুধবার থেকে প্রথম দফার আবেদনপত্রগুলির ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদান শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের এমপাওয়ার্ড কমিটি।

    সিএএ

    গত ১১ মার্চ, দেশজুড়ে লাগু হয় সিএএ। যদিও ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সিএএ পাশ করিয়েছিল মোদি সরকার। সংসদের দুই কক্ষেই বিলটি পাশ হওয়ার পর পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। বিলটিতে স্বাক্ষর করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এই আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মতো দেশ থেকে যে সব অ-মুসলিম মানুষ ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে এ দেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন এবং অন্তত পাঁচ বছর ভারতে বাস করছেন, তাঁরা নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেতে সিএএতে আবেদন করতে পারেন বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র।

    আর পড়ুন: ইভিএম পরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন ‘হেরো’ প্রার্থীরা, বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের

    সিএএ আইনের ব্যাখ্যায় যাঁরা পাঁচ নম্বরের অন্তর্ভুক্ত, তাঁদেরও আবেদনের কথা ভাবতে হতে পারে। এই ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের ৩ ডিসেম্বর কিংবা তার পরে যাঁদের ভারতে জন্ম, তাঁদের বাবা-মা দুজনেই ভারতীয় হলে, তিনিও এ দেশের নাগরিক। কিন্তু বাবা-মায়ের মধ্যে অন্তত একজন ভারতীয় নাগরিক না হলে প্রশ্নের মুখে পড়বে তাঁদের সন্তানের নাগরিকত্ব (CAA)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Narendra Modi: ‘‘এমন নেতার প্রয়োজন’’, মোদিকে সমর্থন উত্তরাখণ্ডের ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের

    Narendra Modi: ‘‘এমন নেতার প্রয়োজন’’, মোদিকে সমর্থন উত্তরাখণ্ডের ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সমর্থনে এগিয়ে এলেন উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) ওয়াকফ বোর্ডের (Uttarakhand Waqf Board) চেয়ারম্যান হাজি শাদাব শামস। তিনি বললেন, “ভারতে সংবিধান কিংবা মুসলমান কেউই বিপদে নেই। বিপদে রয়েছে কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের রাজনৈতিক দোকান।

    প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনে উত্তরাখণ্ডের ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান

    প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনে তিনি আরও বলেন, “যখন পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ চলছে, তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো এমন শক্তিশালী নেতার প্রয়োজন রয়েছে। গোটা বিশ্বে নানান প্রান্তে যুদ্ধের মেঘ ঘনীভূত হচ্ছে। মোদির (Narendra Modi) মতো শক্তিশালী নেতার তৃতীয়বার অবশ্যই ভারতের মসনদে বসা উচিত। যদি এরকম না হয় তাহলে দেশের ক্ষতি হবে। প্রধানমন্ত্রীর মঙ্গল কামনা করে তিনি হরিদ্বারের পিরান কলিয়ার এলাকায় সাবির সাহেবের মাজারে চাদর চড়ান।

    প্রধানমন্ত্রীর মুসলিম বিরোধী ছবি তৈরির চেষ্টা বিরোধীদের

    ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের (Uttarakhand Waqf Board) এহেন মন্তব্য রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। বিজেপি কিংবা প্রধানমন্ত্রীর মুসলিম বিরোধী ছবি তৈরি করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। রাহুল গান্ধী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)— সকলেই লোকসভা ভোট চলাকালীন (Loksabha Election 2024) বিজেপিকে মুসলিম বিরোধী বলে আক্রমণ করে চলেছেন। রাজ্যে ইমামদের সংগঠন তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের মন্তব্য খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সহ গোটা গেরুয়া শিবির দাবি করে এসেছে তাঁদের সরকারের প্রকল্প সকল মানুষের কথা ভেবে হয়। সেই কথাই এদিন বলেছেন ওয়াকফ বোর্ডের (Uttarakhand Waqf Board) চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) হ্যাটট্রিক করা উচিত। কারণ ভারত তার নেতৃত্বে উন্নয়ন করছে, এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের লাভ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমাজের প্রত্যেক স্তরে পৌঁছাচ্ছে। যাদের মাথায় আগে ছাদ ছিল না তাঁরা আজ বাড়ি পেয়েছে। শৌচালয় পেয়েছে। দেশে শেষ প্রান্ত অবধি রাস্তা তৈরি হচ্ছে। দেশের প্রত্যেক কোণায় প্রগতি হচ্ছে।”

    কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা বিপদে আছে

    সংবাদ মাধ্যমের এক প্রশ্নের উত্তরে শাদাব শামস (Uttarakhand Waqf Board) বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে না মুসলিম সমাজ বিপদে আছে, না দেশের সংবিধান। যদি বিপদে থাকে, তাহলে কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা বিপদে আছে। বিরোধী দলের নেতারা দেশের মুসলিমদের ভুল বুঝিয়ে নিজের রাজনৈতিক দোকান চালাচ্ছেন। তাঁরা আসলে মুসলমানদের ক্ষতি করছেন। তারা আমাদের শুধু ভোট ব্যাঙ্কের মত ব্যবহার করে। বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটা মুসলিম বিরোধী ছবি তৈরি করেছেন। মিথ্যে প্রচারের উপর নির্ভর করে। বাস্তবে প্রধানমন্ত্রী মুসলিমদের জন্য বহু উন্নয়নমূলক প্রকল্পের লাভ দিয়েছেন। আগে কেন্দ্র থেকে সরকার যে টাকা পাঠাত তার বেশিরভাগ মানুষের কাছে পৌঁছানোর আগেই উধাও হয়ে যেত। এখন সেই জিনিস বন্ধ হয়ে গেছে। আজ অবধি দেশের প্রান্তিক মানুষের জন্য যিনি সবচেয়ে বেশি ভেবেছেন তাঁর নাম নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Char Dham Yatra: উত্তরাখণ্ডের ‘চারধাম যাত্রা’র জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু

    Char Dham Yatra: উত্তরাখণ্ডের ‘চারধাম যাত্রা’র জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ড সরকার ‘চারধাম যাত্রা’ (Char Dham Yatra) সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে চালু হয়ে গেল অনলাইন পোর্টাল। অনলাইন নিবন্ধিকরণের মাধ্যমে এই চারধামে পুণ্যার্থীরা তীর্থ দর্শন করতে পারবেন। আজ মঙ্গলবার থেকেই উত্তরাখণ্ড সরকারের পর্যটন দফতর এই পোর্টাল চালুর কথা জানিয়েছে। নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এই ব্যবস্থা চালু হল।

    অনলাইন রেজিস্ট্রেশন (Char Dham Yatra)

    উত্তরাখণ্ডে কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, যমুনোত্রী এবং গঙ্গোত্রী এই চার ধাম যাত্রা (Char Dham Yatra) করতে এবার থেকে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন ভক্তরা। সারা দেশে হিন্দু ধর্মমতে এই চার ধাম গভীর আধ্যাত্মিক চেতনার প্রাণ কেন্দ্র হিসাবে মনে করা হয়ে থাকে। এই যাত্রা যাতে আরও মসৃণ, সুন্দর এবং নিরাপদ হয় সেই কথা ভেবেই এই অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ড সরকার এই চারধাম যাত্রা নিয়ে যথেষ্ট সচেতন।

    হিন্দু শাস্ত্রে অত্যন্ত পবিত্র এই চারধাম

    এই চারধাম যাত্রা (Char Dham Yatra) শুরু হবে আগামী মে ১০ তারিখ থেকে। গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ হুয়ে এই যাত্রা বদ্রীনাথ পৌঁছাবে মে মাসের ১২ তারিখে। এই ১২ তারিখ থেকেই বাবা বদ্রীনাথনাথের মন্দির খোলা হবে। এই চারধাম যাত্রাকে হিন্দু শাস্ত্রে অত্যন্ত পবিত্র এবং পুণ্যের মনে করা হয়ে থাকে। প্রত্যেক বছর মূলত এপ্রিল-মে থেকে এই যাত্রা শুরু হয় এবং চলে অক্টোবর-নভেম্বর মাস পর্যন্ত। প্রত্যেক বছর এই ধাম যাত্রা গ্রীষ্মকালীন সময়ে খোলা থাকে এবং শীত পড়তে পড়তে মন্দির ধামগুলি বন্ধ হয়ে যায়। আগেই উত্তরাখণ্ডের চম্বল জেলার জেলা শাসক হিমাংশু খোরানা ইতিমধ্যে বদ্রীনাথ ধাম পর্যবেক্ষণ করেছেন।

    আরও পড়ুন: গাজনে শিবভক্তদের ওপর হামলা, মন্দিরে ভাঙচুর! দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব বেলডাঙায়

    কীভাবে আবেদন করবেন?

    এই বছর থেকে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। যাত্রা আগে অন লাইনে নথিভুক্ত করতে হবে ভক্তদের। আবেদনকারীদের নিজেদের আধার, পাসপোর্ট দিয়ে বায়োমেট্রিক বা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনের ক্ষেত্রে প্রথমে পোর্টালে নিজের নাম, ঠিকানা, যোগাযোগ নম্বর দিতে হবে। পোর্টালে ফর্ম ফিলাপ করে আইডি প্রুফ জমা করলে ওটিপি আসবে। তথ্যের সত্যতা যাচাই করার পর মিলবে রেজিস্ট্রেশন নম্বর। এই রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে লগইন করলে ভ্রমণের তারিখ, দর্শনীয় স্থান এবং যাঁরা যাবেন তাঁদের সকলের পরিচয় জানা যাবে। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী সড়ক পথে এবং আকশ পথেও ভ্রমণের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানা গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ভোট দিলেই ২০ শতাংশ ছাড় রেস্তরাঁয়! উত্তরাখণ্ডে বিশেষ উপহার কমিশনের

    Lok Sabha Election 2024: ভোট দিলেই ২০ শতাংশ ছাড় রেস্তরাঁয়! উত্তরাখণ্ডে বিশেষ উপহার কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট (Lok Sabha Election 2024) দেওয়ার পর যে কোনও হোটেল বা রেস্তরাঁয় খেতে গেলে খাবারের বিলে পাওয়া যাবে ২০ শতাংশ ছাড়। উত্তরাখণ্ডে ভোটারদের উৎসাহ দানের জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) সমস্ত হোটেল এবং রেস্তরাঁ সংগঠনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের তরফে মৌ স্বাক্ষর করা হয়েছে।

    কতদিন, কীভাবে মিলবে পরিষেবা

    নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ১৯ এপ্রিল ভোটকেন্দ্র থেকে ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিয়ে বেরিয়ে কোনও ভোটার যদি হোটেল বা রেস্তরাঁয় খেতে যান, তবে খাবারের বিলে তিনি ২০ শতাংশ ছাড় পাবেন। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এই পরিষেবা ভোগ করতে পারবেন ভোটারেরা। উত্তরাখণ্ডের সমস্ত হোটেল এবং রেস্তরাঁ সংগঠনের সভাপতি এই প্রসঙ্গে জানান, খাবারের বিলে ছাড় দেওয়ার আগে আঙুলে কালির ছাপ দেখে হোটেল কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখবেন আদপে তাঁরা ভোট দিয়েছেন কি না। উত্তরাখণ্ডের হোটেল রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে থাকা সমস্ত হোটেল ও রেস্তরাঁতেই এই অফার পাওয়া যাবে।

    আরও পড়ুন: ‘‘অপ্রতিরোধ্য’’, মার্কিন পত্রিকা ‘নিউজউইক’-এর প্রচ্ছদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    কেন এই উপহার

    আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে ভোট শুরু দেশে। ১ জুন সাত দফার ভোট (Lok Sabha Election 2024) শেষের পর ৪ জুন জানা যাবে কারা ফিরছে মসনদে। উত্তরাখণ্ডে প্রথম দফায় ভোট হবে। উত্তরাখণ্ডে ৫টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে।  ১৯ এপ্রিল নির্বাচন রয়েছে উত্তরাখণ্ডে। রাজ্যে ভোট শতাংশ বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই অফার দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত মুখ্য ইলেকটোরাল অফিসার বিজয় কুমাক যোগদান্দে এই বিষয়ে বলেছেন, “রাজ্যে ভোট শতাংশ বাড়াতে একাধিক প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসছে। উত্তরাখণ্ড হোটেল রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এই প্রস্তাবনা এনেছিল এবং নির্বাচন কমিশন এতে রাজি হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi Tunnel: উদ্ধারকাজ সফল হতেই শ্রমিকদের কুর্নিশ জানিয়ে ট্যুইট রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    Uttarkashi Tunnel: উদ্ধারকাজ সফল হতেই শ্রমিকদের কুর্নিশ জানিয়ে ট্যুইট রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ১৭ দিনের পর যুদ্ধ জয়। শ্রমিকরা বেরিয়ে আসতেই আবেগে ভেসেছে গোটা দেশ। উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের সঙ্গে টেলিফোনে কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি উদ্ধারকাজ (Uttarkashi Tunnel) সফল হতেই এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক ট্যুইটার) ৪১ জন শ্রমিককে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুকে। নিজের ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের সাহস প্রত্যেকের কাছে অনুপ্রেরণা। অন্যদিকে, শ্রমিকদের সাহস ও ধৈর্যকে কুর্নিশ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

    প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইট

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক ট্যুইটার) প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘অবশেষে সুড়ঙ্গ (Uttarkashi Tunnel) থেকে বেরোতে পেরেছেন সকলে। প্রত্যেকের সুস্থতা কামনা করি। এতদিন পর তাঁরা সবাই পরিবারের কাছে ফিরতে পারবেন। এই পরিবারগুলিও যে সাহস এবং ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন, তা প্রশংসনীয়। আর যাঁরা তাঁদের উদ্ধার করলেন, তাঁদের এই সাহসকে কুর্নিশ (Uttarkashi Tunnel)। আপনাদের সাহসিকতার জন্যই সব শ্রমিকরা শীঘ্রই বাড়ি ফিরবেন। আজকের এই দিন মানবতা আর পরিশ্রমের মেলবন্ধনের সাক্ষী হল।’’

    রাষ্ট্রপতির ট্যুইট

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক ট্যুইটার) রাষ্ট্রপতি লেখেন, ‘‘গত ১৭ দিন ধরে উদ্ধারকারী দলকে নানা ঝুঁকি, নানা প্রতিকূলতার (Uttarkashi Tunnel) মধ্যে দিয়ে এগোতে হয়েছে। কিন্তু এঁরা কেউ হাল ছাড়েননি। শ্রমিকদের উদ্ধার করার জন্য শেষ অবধি লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন সবাই। আজ আমি দারুণ খুশি। সকলকে অভিনন্দন। এই জয় আমায় আবেগপ্রবণ করে তুলেছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi Tunnel Collapse: ৮ দিন উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটক ৪১ শ্রমিক, আর কতদিন পর উদ্ধার?

    Uttarkashi Tunnel Collapse: ৮ দিন উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটক ৪১ শ্রমিক, আর কতদিন পর উদ্ধার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৭০ ঘণ্টার ওপর উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে (Uttarkashi Tunnel Collapse) এখনও আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। এত জন শ্রমিককে সুস্থ, স্বাভাবিক অবস্থায় পাওয়া যাবে কিনা, সে নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। সুড়ঙ্গের ভিতরে ক্রমশই ধৈর্য হারাচ্ছেন আটক শ্রমিকরা। এমতাবস্থায় প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এখনও চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগবে। শুক্রবার বিকট শব্দ শুনতে পাওয়া যায় সুড়ঙ্গ থেকে। এর পরেই স্থগিত রাখা হয় যাবতীয় উদ্ধারকাজ। জানা গিয়েছে, ধসের কারণেই ওই শব্দ শোনা গিয়েছিল। তার পরেই পাঁচ পরিকল্পনা মেনে উদ্ধারকাজ চালানোর বিষয়ে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষকর্তারা। অর্থাৎ একটি পরিকল্পনার ওপর আর ভরসা রাখছে না উদ্ধারকারী দল।

    শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শ্রমিকরা (Uttarkashi Tunnel Collapse) 

    আটক হওয়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে প্রথম দিন থেকেই পাইপের মাধ্যমে তাঁদের সরবরাহ করা হচ্ছে ভিটামিন, শুকনো ফল এবং অবসাদ রোখার ওষুধ। অক্সিজেন সাপ্লাইও করা হচ্ছে। গত ১২ নভেম্বর থেকে আটকে রয়েছেন এই শ্রমিকরা। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও আশার আলো দেখাতে পারেনি প্রশাসন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এতদিন সুড়ঙ্গের (Uttarkashi Tunnel Collapse) ভিতরে থাকার ফলে শ্রমিকরা নিশ্চিতভাবেই মানসিক এবং শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। ১৯ নভেম্বর রবিবার উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা যে সুড়ঙ্গে শ্রমিকরা আটকে পড়েছেন তার পাশাপাশি সমান্তরালভাবে আরেকটি সুড়ঙ্গ খোঁড়ার চেষ্টা করছেন। এই সুড়ঙ্গ খুঁড়তে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর থেকে আনা হয়েছে ড্রিল করার মেশিন।

    কী বলছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন উপদেষ্টা? (Uttarkashi Tunnel Collapse) 

    প্রধানমন্ত্রীর দফতরের একটি দলও হাজির রয়েছে সেখানে। প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন উপদেষ্টা ভাস্কর খুলবের মতে, ‘‘বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, একটি পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে উদ্ধারকাজ (Uttarkashi Tunnel Collapse) না চালিয়ে একই সঙ্গে পাঁচটি পরিকল্পনা মেনে যত দ্রুত সম্ভব আটক শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনো উচিত।’’ তিনি জানিয়েছেন, আরও চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগতে পারে। তবে ঈশ্বর দয়া করলে আগেও উদ্ধারকাজ হয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে, রবিবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গাদকারী এবং উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যা কিছু সম্ভব সবটাই করা হচ্ছে। সমস্ত রকমের বিশেষজ্ঞ দল এখানে উপস্থিত রয়েছে।’’ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi Tunnel Rescue: উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গে আটকে শ্রমিকরা, কাছাকাছি পৌঁছে গেলেন উদ্ধারকারীরা

    Uttarkashi Tunnel Rescue: উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গে আটকে শ্রমিকরা, কাছাকাছি পৌঁছে গেলেন উদ্ধারকারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে এক নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের (Uttarkashi Tunnel Rescue) মধ্যে আটকে পড়েছেন ৪০ জন শ্রমিক। দিল্লি থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছে উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন যন্ত্র এবং এই যন্ত্র দিয়ে সুড়ঙ্গে করা হবে উদ্ধার কাজ। গত রবিবার ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকেই ওই সুড়ঙ্গের মধ্যে প্রায় ১২০ ঘণ্টা ধরে আটকে রয়েছেন শ্রমিকরা। সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত সুড়ঙ্গের মধ্যে জমে থাকা ধ্বংসস্তূপকে সরিয়ে ২৫ মিটার পর্যন্ত প্রবেশ করা গিয়েছে। ফলে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছাকাছি পৌঁছে গেলেন উদ্ধারকারীরা। উল্লেখ্য উত্তরাখণ্ডের চারধাম বদ্রীনাথ, কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী তীর্থস্থানগুলিতে সংযোগ আরও সরল করতে এই সুড়ঙ্গ পথের কাজ চলছিল। কিন্তু হঠাৎ বিপত্তি ঘটে সুড়ঙ্গে।

    ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের বক্তব্য (Uttarkashi Tunnel Rescue)

    ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুড়ঙ্গের ভিতরে ৯০০ মিলিমিটার ব্যাস এবং ৬ মিটার দীর্ঘ দুটি পাইপ সম্পূর্ণ ঢোকানো হয়েছে। প্রায় ৪৫ থেকে ৬০ মিটার পর্যন্ত সুড়ঙ্গের ভিতরে ড্রিল করে ঢোকাতে হবে। ২৪ টন ওজনের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন যন্ত্র ঘণ্টায় ৫ মিটার করে সুড়ঙ্গের ভিতরে ঢোকানো হচ্ছে। তবে ধ্বংসাবশেষের মধ্যে শক্ত কিছু পড়লে সাময়িক ভাবে উদ্ধার কাজ বন্ধ রাখতে হয়। এই উদ্ধার কাজে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, বিআরও এবং আইটিবইপির মোট ১৬৫ জন কর্মী উদ্ধার কাজে নেমেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    ন্যাশনাল হাইওয়েস ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের বক্তব্য

    ন্যাশনাল হাইওয়েস অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড থেকে (এনএইচআইডিসিএল) ডিরেক্টর আংশু মনীশ খালখো বলেছেন, “গ্যাস কাটার ব্যবহার করে ধাতব অংশ কাটার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং বর্তমানে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রয়েছে। প্ল্যান বি সফল হবে বলে আশা রাখছি। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি আমরা সাফল্য পাবো। যন্ত্রের যাতে কোন ক্ষতি সাধন না হয় সেই দিকে নজর রাখা হয়েছে। থাইল্যান্ড এবং নরওয়ের অভিজ্ঞ উদ্ধারকারীদের এই উদ্ধার (Uttarkashi Tunnel Rescue) কাজে সংযুক্ত করা হয়েছে।”

    খাবার, জল, অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে

    সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের মনোবল বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় খাবর, জল, অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ওয়াকি-টকির মাধ্যমে উদ্ধারকারীরা (Uttarkashi Tunnel Rescue) আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সুড়ঙ্গের কাছেই একটি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালগুলিকে সতর্ক রাখা হয়েছে। উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে যাতে নিয়ে যাওয়া যায় সেই বিষয়েও সচেতন করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share