Tag: Uttarakhand

Uttarakhand

  • Uttarakhand: লাভ ও ল্যান্ড জিহাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর

    Uttarakhand: লাভ ও ল্যান্ড জিহাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) পুরুলা শহর, ধারচুলা, চামোলি নন্দনগর, সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে। এই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষগুলির কারণ হিসেবে বেশিরভাগ জায়গাতেই উঠে এসেছে লাভ জিহাদ ও ল্যান্ড জিহাদের তত্ত্ব। এরপরেই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। জানা গিয়েছে, সে রাজ্যে এখন মূল সমস্যা হচ্ছে মুসলিম অনুপ্রবেশের (Land Jihad) কারণে জনবিন্যাসের পরিবর্তন। এই কারণে ধর্মান্তকরণ এবং লাভ জিহাদের মতো ঘটনাগুলিও ঘটছে। এই সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মর্মে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী সে রাজ্যের ডিজিপি অভিনব কুমার এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তাদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও করেছেন।

    কী বলছেন ডিজিপি (Uttarakhand)?

    লাভ জিহাদের বিষয়ে উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক তাঁদের পছন্দ মতো জীবনসঙ্গী বেছে নিতেই পারেন, কিন্তু যদি কারও ধর্ম পরিবর্তন করার উদ্দেশ্যে বিয়ে করা হয়, তখন পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। সম্প্রীতি বেশ কিছু হিন্দু সংগঠন দাবি করেছে যে, দেরাদুন, হরিদ্বার, নৈনিতাল প্রভৃতি জায়গাতে ইসলামপন্থী মানুষজনের (Land Jihad) জনসংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে এবং উত্তরাখণ্ডের জনবিন্যাস বদলে গিয়েছে। অনেকে এই ঘটনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছেন।

    ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী রাজ্যের হিন্দু ৮৩ শতাংশ

    সাংবাদিক সম্মেলনের ডিজিপি অভিনব কুমার জানিয়েছেন যে, পার্বত্য অঞ্চলে (Uttarakhand) অনুপ্রবেশের কারণে বদলে গিয়েছে জনবিন্যাস। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, খুব তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ করা শুরু হবে এবং এ নিয়ে অভিযানও করা হবে। জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে উত্তরাখণ্ডের জনসংখ্যা ছিল ১ কোটি ১০ লক্ষ। এর মধ্যে ৮৪ লাখ হিন্দু যা মোট জনসংখ্যার নিরিখে ৮৩ শতাংশ। অন্যদিকে ১৪ লাখ মুসলিম বসবাস করেন উত্তরাখণ্ডে, শতাংশের হিসেবে ১৩.৯।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Helicopter Crash in Kedarnath: এয়ারলিফ্‌ট করতে গিয়ে সমস্যা, কেদারনাথে বিকল কপ্টার ছিঁড়ে পড়ল মন্দাকিনীর ধারে

    Helicopter Crash in Kedarnath: এয়ারলিফ্‌ট করতে গিয়ে সমস্যা, কেদারনাথে বিকল কপ্টার ছিঁড়ে পড়ল মন্দাকিনীর ধারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুলস্থুল কাণ্ড কেদারনাথে। মাঝ আকাশ থেকে মন্দাকিনীর ধারে ছিঁড়ে পড়ল বিকল হেলিকপ্টার (Helicopter Crash in Kedarnath)। শনিবার সকালে কেদারনাথ ধামে অবতরণের সময় যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে বিকল হয়ে গিয়েছিল একটি হেলিকপ্টার। সেটিকে এয়ারলিফ্‌ট করে ফিরিয়ে আনছিল উদ্ধারকারী এমআই-১৭ চপার। সেটির সঙ্গে চেন দিয়ে বেঁধে নিয়ে আসা হচ্ছিল বিকল হেলিকপ্টারটি। সেই সময়েই মাঝ আকাশ থেকে ছিঁড়ে পড়ে ওই হেলিকপ্টার। ভাগ্যক্রমে সেই হেলিকপ্টারে কেউ ছিল না। ওই দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। দুর্ঘটনার মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। যা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

    কখন, কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা

    প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, কেদারনাথ ও গৌচরের মাঝে ভীমবালির কাছে লিঞ্চোলিতে দুর্ঘটনাটি (Helicopter Crash in Kedarnath) ঘটেছে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “কেদারনাথ থেকে এয়ারলিফ্‌ট করে আনার পথে একটি হেলিকপ্টার চেন থেকে ছিঁড়ে লিঞ্চোলিতে থারু শিবিরের কাছে নদীতে পড়ে গিয়েছিল। অল্প দূরত্ব পার করতেই এমআই-১৭ ভারসাম্য হারায়, হাওয়ার ধাক্কায় স্ট্রাপ ছিঁড়ে যায়। স্থানীয় থানা থেকে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কাছে সেই তথ্য যায়। বিপর্যয় মোকাবিলা দল ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।” জানা গিয়েছে, ওই হেলিকপ্টারটি একটি বেসরকারি সংস্থার। 

    এই ধরনের হেলিকপ্টারে (Helicopter Crash in Kedarnath) করেই কেদারনাথ মন্দিরে পুণ্যার্থীদের নিয়ে যাওয়া হয়। উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই থেকে আচমকাই কেদারনাথ ধামে পুণ্যার্থীদের সংখ্যা কমে গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টি এবং ট্রেকিংয়ের রুটে ঘনঘন ধস নামার কারণে মন্দিরে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে রাজি নন অনেকেই। সম্প্রতি নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে গৌরীকুণ্ড থেকে কেদারনাথ যাওয়ার পথে বহু মানুষ আটকে পড়েন। ভারতীয় বায়ুসেনার চিনুক এবং M-17 চপারের সাহায্যে তাদের উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত হয়েছে একাধিক বেসরকারি চপারও। চলতি বছর ১০ মে শুরু হয়েছিল চারধাম যাত্রা। এখনও পর্যন্ত ৩৩ লক্ষ পুণ্যার্থী কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী গিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pirul Handicrafts: পাইন গাছের বর্জ্য ব্যবহার করেই জীবিকা অর্জনের সুযোগ, পথ দেখাচ্ছেন দুই বোন

    Pirul Handicrafts: পাইন গাছের বর্জ্য ব্যবহার করেই জীবিকা অর্জনের সুযোগ, পথ দেখাচ্ছেন দুই বোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাইন বর্জ্য ব্যবহারের (Pirul Handicrafts) মাধ্যমে গ্রামীণ মহিলাদের জন্য জীবিকা নির্বাহের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন দিল্লির বাসিন্দা দুই বোন নূপুর এবং শর্বরী পোহারকর। ২০২১ সালে ‘পিরুল হ্যান্ডিক্রাফ্টস’ নামে একটি স্টার্টআপ তৈরি করেন তাঁরা। গ্রামের অন্তত ১০০ জন মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে ২০,০০০ কেজি পাইন বর্জ্যকে ব্যবহারযোগ্য পণ্যে পরিণত করতে সক্ষম হয় এই সংস্থা।

    কবে থেকে, কীভাবে শুরু

    নেপাল সীমান্তে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝেমাঝেই দাবানল দেখা যায়। দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে পাইন গাছের বর্জ্য (Pirul Handicrafts) থাকায়। উত্তরাখণ্ডের ৭১ শতাংশ জমি বনাঞ্চল। পাইন গাছগুলি রাজ্যের প্রায় ১৬ শতাংশ বনাঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে। গরম কালে পাইন গাছের সূঁচ বা কাঁটা জমা হওয়া অঞ্চলে অনেক সময় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাজ্যের বন বিভাগ এটি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছে। পিরুল জমা করার কথাও বলা হয়েছে। সালটা ২০২০। দিল্লির তরুণী নূপুর পোহারকর পশু চিকিৎসক হিসেবে উত্তরাখণ্ডে কাজ করতে যান। তখনই পাইন বর্জ্যের কারণে হওয়া একটি অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী হন তিনি। এরপরই তিনি ভাবতে থাকেন এর থেকে পরিত্রাণের উপায়। 

    পাইন বর্জ্য থেকে হস্তশিল্প 

    ২০২১ সালে, নূপুর ইউটিউবে একটি ভিডিও দেখেন যেখানে পাইন সূঁচ থেকে হস্তশিল্প তৈরি করা হয়। এটি একটি খুব সাধারণ হস্তশিল্প নয়। শুধুমাত্র কয়েকটি গ্রাম হিমাচল প্রদেশে সক্রিয়ভাবে এই পাইন বর্জ্য থেকে এই পণ্যগুলি তৈরি করে। এটা নূপুরের খুব ভালো লাগে। তাঁর ডিজাইনার বোন শর্বরীর সঙ্গে আলোচনা করার পরে, নূপুর পাইন বর্জ্য থেকে হস্তশিল্প তৈরিতে মনোনিবেশ করেন। শুরু হয় দুই বোনের স্টার্টআপ ‘পিরুল হ্যান্ডিক্রাফ্টস’। নূপুর এবং শর্বরী গ্রামের লোকজনকে কাছাকাছি বন থেকে পাইন বর্জ্য সংগ্রহ করতে উদ্দীপিত করেন।

    আরও পড়ুন: ছুটির অভাবে ঘুরতে যেতে পারছেন না? অগাস্টেই আসতে পারে সেই সুযোগ!

    কীভাবে চলে কাজ

    প্রথমে ১৫ জন মহিলা মিলে কাজ শুরু হয় এখন ৭টি গ্রামের মোট ১০০ জন মহিলা এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। চম্পাওয়াত অঞ্চলের খেতিখান, ত্যরসুন, পাটন, চাঁনমারি, পান্ডা, পাটি, এবং ঝুলাঘাট গ্রামের মেয়েরা এই কাজে হাত লাগিয়েছেন। তাঁরা প্রথমে এই পাইন (Pirul Handicrafts) সূঁচগুলি সংগ্রহ করে, এরপর এগুলি পরিষ্কার করে এবং কিছু সময়ের জন্য জলে ভিজিয়ে রাখে। তারপর, কোলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে সহজ পণ্য তৈরি করা হয়। দলটি বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে যেমন চা কোস্টার, কানের দুল, সংরক্ষণ বাক্স, হ্যান্ডব্যাগ, পরিবেশন ট্রে, টেবিল ম্যাট, এবং প্ল্যান্টার। এই কাজ করে গ্রামের মহিলারা প্রতি মাসে প্রায় ৫ হাজার টাকা রোজগার করেন। এখনও পর্যন্ত, এই গ্রামীণ মহিলারা প্রায় ১২,০০০ পণ্য বিক্রি করেছেন। দিল্লি, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ শুধু নয়, আমেরিকাতেও  উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) এই পণ্যের চাহিদা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Chaukori: কুমায়ুন হিমালয়ের চৌকোরি থেকে তুষারধবল শৃঙ্গ দর্শন এক স্বর্গীয় অভিজ্ঞতা

    Chaukori: কুমায়ুন হিমালয়ের চৌকোরি থেকে তুষারধবল শৃঙ্গ দর্শন এক স্বর্গীয় অভিজ্ঞতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুমায়ুন হিমালয়ের (Kumaon Himalayas) পিথোরাগড় জেলার এক অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরপুর পার্বত্য পর্যটন কেন্দ্র চৌকোরি (Chaukori)। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০১০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত ওক, পাইন, দেওদার, রডোডেনড্রন, ফার গাছের জঙ্গলে ঢাকা এই চৌকোরি প্রকৃতিপ্রেমিক পর্যটকের এক অত্যন্ত প্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। চৌকোরি থেকে নন্দাদেবী, পঞ্চচুল্লি প্রভৃতি হিমালয়ের তুষারধবল শৃঙ্গগুলি দর্শন করা এক স্বর্গীয় অভিজ্ঞতা।

    কাছেই প্রচুর দর্শনীয় স্থান (Chaukori)

    মূলত এই অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দূরন্ত আকর্ষণের জন্যই বারবার এখানে ছুটে আসেন পর্যটকরা। একই সঙ্গে ঘুরে নেওয়া যায় চৌকোরি থেকে প্রায় ৩-৪ কিমি দূরের মাস্ক ডিয়ার রিসার্চ সেন্টার, মহাত্মা গান্ধীর সুযোগ্য শিষ্যা সরলা বেনের আশ্রমও। চৌকোরি থেকে প্রায় ১০ কিমি দূরে রয়েছে আরও একটি জনপ্রিয় এবং মনোরম পর্যটন কেন্দ্র বেরিনাগ। ২৪ কিমি দূরে গঙ্গোলী হাট। চৌকোরি থেকে পাতাল ভুবনেশ্বর যাওয়ার পথে অবস্থিত এই গঙ্গোলী হাট হল কুমায়ুনী শিল্প-সংস্কৃতির এক অন্যতম পীঠস্থান। এখানে রয়েছে মহাকালী মন্দির।

    ঘুরে আসুন পাতাল ভুবনেশ্বর

    আবার ইচ্ছে এবং হাতে সময় থাকলে ঘুরে নেওয়া যায় চৌকোরি (Chaukori) থেকে প্রায় ৩৮ কিমি দূরে পাতাল ভুবনেশ্বরও। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৩৫০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত পাতাল ভুবনেশ্বরের অন্যতম খ্যাতি শৈবতীর্থ হিসেবে। স্বয়ং আদি শঙ্করাচার্যর পদধূলিধন্য এই পাতাল ভুবনেশ্বর। এখানকার প্রাচীন গুহা মন্দিরটি কুমায়ুন অঞ্চলের অন্যতম পবিত্র ও প্রসিদ্ধ শৈবতীর্থ। প্রচলিত বিশ্বাস, এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৩৩ কোটি দেবতার আবাস। এখানে একাধিক গুহায় জল চুঁইয়ে স্ট্যালাকটাইট এবং স্ট্যালাগমাইটে সৃষ্টি হয়েছে বেশ কিছু অবয়ব। অনেকটা অন্ধ্রপ্রদেশের বোরহালু কেভ বা বোরহা কেভের মতোই চমৎকার সব সৃষ্টি। চৌকোরি থেকে সকালে বেরিয়ে পাতাল ভুবনেশ্বর ঘুরে আবার চকৌরিতেই রাত্রিবাস করা যায়। 

    যাতায়াত এবং থাকা-খাওয়া (Chaukori)

    যাতায়াত-ট্রেনে এলে নামতে হবে কাঠগুদাম। এখান থেকে গাড়িতে যেতে হবে চৌকোরি। দূরত্ব প্রায় ১৯৮ কিমি। আসা যায় লালকূয়া বা হলদোয়ানি থেকেও। সরাসরি গাড়ি নিয়ে আসা যায় ৮৬ কিমি দূরের আলমোড়া বা ১৭৩ কিমি দূরের নৈনিতাল থেকেও।
    থাকা-খাওয়া-চৌকোরিতে (Kumaon Himalayas) আছে কেএমভিএন (KMVN)-এর ট্যুরিস্ট রেস্ট হাউস ফোন-০৮৬৫০০০২৫৪২) এবং বেশ কিছু বেসরকারি হোটেল। আর পাতাল ভুবনেশ্বরে থাকতে চাইলে এখানেও আছে কেএমভিএনের ট্যুরিস্ট রেস্ট হাউস (ফোন-০৮৬৫০০০২৫৪৩) এবং কিছু বেসরকারি হোটেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Haridwar: গঙ্গার ঘাটে অপূর্ব সন্ধ্যারতি, শান্ত কঙ্খল আশ্রম! হরিদ্বার যেন সত্যিই ‘মায়াপুরী’

    Haridwar: গঙ্গার ঘাটে অপূর্ব সন্ধ্যারতি, শান্ত কঙ্খল আশ্রম! হরিদ্বার যেন সত্যিই ‘মায়াপুরী’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেই নয়, ভারতের অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান হল উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার (Haridwar)। পুণ্যতোয়া গঙ্গা এই হরিদ্বার থেকেই নেমে এসেছে সমতল ভূমিতে। প্রত্যেক ১২ বছর অন্তর এখানেই বসে পূর্ণকুম্ভের আসর। উপনিষদে এর নাম পাওয়া যায় ‘মায়াপুরী’ বলে। পুরাণেও উল্লেখ আছে এই স্থানের।

    পাহাড়ের শীর্ষে মনসাদেবীর মন্দির (Haridwar)

    হরিদ্বারে এলে দেখে নিন চণ্ডী পাহাড়। ছোট্ট একটা পাহাড়, পাহাড়ের শীর্ষে রয়েছে চণ্ডীদেবীর মন্দির। আদি শঙ্করাচার্যের আমলে চণ্ডী বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত হয় এই মন্দিরে। এর কাছেই রয়েছে আরও একটি ছোট্ট পাহাড় ‘মনসা পাহাড়’। এই পাহাড়ের শীর্ষে রয়েছে মনসাদেবীর মন্দির। চণ্ডী পাহাড় আর মনসা পাহাড়ে ওঠা-নামার জন্য রয়েছে রোপওয়ের ব্যবস্থা।

    সন্ধ্যারতি, কঙ্খল, হৃষিকেশ

    হরিদ্বারের (Haridwar) অন্যতম সেরা আকর্ষণ এখানকার বিখ্যাত ‘হর কি পৌড়ি’ ঘাটের সন্ধ্যারতি। পুরাণ মতে, রাজা বিক্রমাদিত্য তাঁর ভাইয়ের স্মরণে এখানে ব্রহ্মকুণ্ডে ঘাট নির্মাণ করেন। প্রতিদিন সন্ধ্যায় এখানে গঙ্গার বুকে আরতি দর্শনের জন্য প্রচুর দর্শনার্থীর ভিড় হয। কঙ্খল হর কি পৌড়ি ঘাট থেকে প্রায় ৪-৫ কিমি দূরে। এই কঙ্খলে রয়েছে একাধিক মন্দির ও আশ্রম। এর মধ্যে রয়েছে সপ্তর্ষি আশ্রম, আনন্দময়ী মায়ের আশ্রম, ভারতমাতা মন্দির, দক্ষ প্রজাপতির মন্দির, হরিহর আশ্রম, দক্ষেশ্বর শিব মন্দিরটিও। পুরাণ মতে, এখানেই নাকি দক্ষ মহারাজ দেবাদিদেব মহাদেবকে নিমন্ত্রণ না করেই যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন। কঙ্খলের শান্ত, অনাবিল, আশ্রমিক পরিবেশ মনকে শান্ত করে। হরিদ্বার থেকে অটো বা রিকশ নিয়ে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ঘুরে আসা যায় কঙ্খল থেকে। ইচ্ছে হলে বা হাতে সময় থাকলে হরিদ্বার থেকেই অটো বা গাড়ি নিয়ে ঘুরে আসা যায় মাত্র ২৪ কিমি দূরের হৃষিকেশ থেকেও।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন? (Haridwar)

    যাতায়াত, থাকা-খাওয়া-নৈনিতাল, দিল্লি, আগ্রা থেকে নিয়মিত বাস যাচ্ছে হরিদ্বার। দূরত্ব যথাক্রমে ২৪৫, ২১৪ এবং ৩৮৬ কিমি। হাওড়া থেকে সরাসরি হরিদ্বার যাচ্ছে দুন এক্সপ্রেস, উপাসনা এক্সপ্রেস, কুম্ভ এক্সপ্রেস প্রভৃতি ট্রেন। এখানে থাকার জন্য রয়েছে জিএমভিএন (GMVN)-এর ট্যুরিস্ট রেস্ট হাউস রাহি মোটেল ফোন (০১৩৩৪) ২২৮৬৮৬ এবং হোটেল অলকানন্দা (০১৩৩) ২২৬৩৭৯। এছাড়াও এখানে রয়েছে বহু বিভিন্ন দাম ও মানের হোটেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand Accident: উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগে বাস পড়ল অলকানন্দার জলে, মৃত অন্তত ১০

    Uttarakhand Accident: উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগে বাস পড়ল অলকানন্দার জলে, মৃত অন্তত ১০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand Accident) রুদ্রপ্রয়াগ (Rudraprayag) জেলায় পুণ্যার্থী বোঝাই গাড়ি পাহাড় থেকে পড়ে গেল অলকানন্দার জলে। দুর্ঘটনায় অন্ততপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। হৃষিকেশ-বদ্রীনাথ হাইওয়েতে একটি টেম্পো ট্রাভেলার গাড়ি ২৩-২৬ জন যাত্রী নিয়ে খাদে উল্টে পড়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মৃতদের পরিবারের প্রতি শোকপ্রকাশ করেছেন। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    চলছে উদ্ধার কাজ

    দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। স্থানীয় এসডিআরএফ এবং প্রশাসন উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লি-গাজিয়াবাদ থেকে একদল পুণ্যার্থী চোপতা তুঙ্গনাথের দিকে যাচ্ছিলেন। জখমদের চিকিৎসার জন্য আনতে গুপ্তকাশী থেকে হেলিকপ্টার রুদ্রপ্রয়াগে পৌঁছে গিয়েছে। এর মধ্যেই চারজনকে এইমসে নিয়ে আসা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রুদ্রপ্রয়াগ শহরের ৫ কিমি আগে বদ্রীনাথ হাইওয়েতে রাইতোলিতে অলকানন্দের জলে পড়ে যায় ছোট বাসটি।

    শোকবার্তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand Accident) রুদ্রপ্রয়াগে পথ দুর্ঘটনার দুঃখজনক খবর পেয়েছি। এই দুর্ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং এসডিআরএফ দল উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে৷ আহতদের সম্ভাব্য সব ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঈশ্বরের কাছে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”

    দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

    দুর্ঘটনায় (Uttarakhand Accident) শোক প্রকাশ করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিও। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “রুদ্রপ্রয়াগে (Rudraprayag) টেম্পো ট্রাভেলারের দুর্ঘটনার খরবে আমি ব্যথিত। স্থানীয় প্রশাসন ও এসডিআরএফ দল উদ্ধার কাজ করছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। জেলাশাসককে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমি ঈশ্বরের কাছে মৃতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে ৷ আমি আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAA: সিএএ শংসাপত্র বিলির কাজ শুরু বাংলায়, বড় ঘোষণা শাহের মন্ত্রকের

    CAA: সিএএ শংসাপত্র বিলির কাজ শুরু বাংলায়, বড় ঘোষণা শাহের মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, সংক্ষেপে সিএএ (CAA) অনুযায়ী শংসাপত্র বিলির স্থান-কাল জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আপাতত এই শংসাপত্র বিলি হবে পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা এবং উত্তরাখণ্ডে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুধবার থেকে সিএএ আইন অনুযায়ী শংসাপত্র বিলির কাজ শুরু করেছে সিএএ সংক্রান্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি। প্রসঙ্গত, গত ১৫ মে প্রথমবার তিনশো জন আবেদনকারীকে সিএএ-র শংসাপত্র বিলি করেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। দিল্লিতে ১৪ জন আবেদনকারীর হাতে এই শংসাপত্র তুলে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয়কুমার ভাল্লা স্বয়ং।

    সিএএ শংসাপত্র বিলি শুরু (CAA)

    বুধ-সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA), ২০২৪ এর আওতায় পশ্চিমবঙ্গে নাগরিকত্ব শংসাপত্র মঞ্জুরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ প্রথম দফার আবেদনকারীদের নাগরিকত্ব প্রদান করেছে পশ্চিমবঙ্গের এমপাওয়ার্ড কমিটি। একইভাবে হরিয়ানা এবং উত্তরাখণ্ডেও বুধবার থেকে প্রথম দফার আবেদনপত্রগুলির ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদান শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের এমপাওয়ার্ড কমিটি।

    সিএএ

    গত ১১ মার্চ, দেশজুড়ে লাগু হয় সিএএ। যদিও ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সিএএ পাশ করিয়েছিল মোদি সরকার। সংসদের দুই কক্ষেই বিলটি পাশ হওয়ার পর পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। বিলটিতে স্বাক্ষর করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এই আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মতো দেশ থেকে যে সব অ-মুসলিম মানুষ ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে এ দেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন এবং অন্তত পাঁচ বছর ভারতে বাস করছেন, তাঁরা নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেতে সিএএতে আবেদন করতে পারেন বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র।

    আর পড়ুন: ইভিএম পরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন ‘হেরো’ প্রার্থীরা, বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের

    সিএএ আইনের ব্যাখ্যায় যাঁরা পাঁচ নম্বরের অন্তর্ভুক্ত, তাঁদেরও আবেদনের কথা ভাবতে হতে পারে। এই ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের ৩ ডিসেম্বর কিংবা তার পরে যাঁদের ভারতে জন্ম, তাঁদের বাবা-মা দুজনেই ভারতীয় হলে, তিনিও এ দেশের নাগরিক। কিন্তু বাবা-মায়ের মধ্যে অন্তত একজন ভারতীয় নাগরিক না হলে প্রশ্নের মুখে পড়বে তাঁদের সন্তানের নাগরিকত্ব (CAA)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Narendra Modi: ‘‘এমন নেতার প্রয়োজন’’, মোদিকে সমর্থন উত্তরাখণ্ডের ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের

    Narendra Modi: ‘‘এমন নেতার প্রয়োজন’’, মোদিকে সমর্থন উত্তরাখণ্ডের ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সমর্থনে এগিয়ে এলেন উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) ওয়াকফ বোর্ডের (Uttarakhand Waqf Board) চেয়ারম্যান হাজি শাদাব শামস। তিনি বললেন, “ভারতে সংবিধান কিংবা মুসলমান কেউই বিপদে নেই। বিপদে রয়েছে কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের রাজনৈতিক দোকান।

    প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনে উত্তরাখণ্ডের ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান

    প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনে তিনি আরও বলেন, “যখন পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ চলছে, তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো এমন শক্তিশালী নেতার প্রয়োজন রয়েছে। গোটা বিশ্বে নানান প্রান্তে যুদ্ধের মেঘ ঘনীভূত হচ্ছে। মোদির (Narendra Modi) মতো শক্তিশালী নেতার তৃতীয়বার অবশ্যই ভারতের মসনদে বসা উচিত। যদি এরকম না হয় তাহলে দেশের ক্ষতি হবে। প্রধানমন্ত্রীর মঙ্গল কামনা করে তিনি হরিদ্বারের পিরান কলিয়ার এলাকায় সাবির সাহেবের মাজারে চাদর চড়ান।

    প্রধানমন্ত্রীর মুসলিম বিরোধী ছবি তৈরির চেষ্টা বিরোধীদের

    ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের (Uttarakhand Waqf Board) এহেন মন্তব্য রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। বিজেপি কিংবা প্রধানমন্ত্রীর মুসলিম বিরোধী ছবি তৈরি করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। রাহুল গান্ধী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)— সকলেই লোকসভা ভোট চলাকালীন (Loksabha Election 2024) বিজেপিকে মুসলিম বিরোধী বলে আক্রমণ করে চলেছেন। রাজ্যে ইমামদের সংগঠন তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের মন্তব্য খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সহ গোটা গেরুয়া শিবির দাবি করে এসেছে তাঁদের সরকারের প্রকল্প সকল মানুষের কথা ভেবে হয়। সেই কথাই এদিন বলেছেন ওয়াকফ বোর্ডের (Uttarakhand Waqf Board) চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) হ্যাটট্রিক করা উচিত। কারণ ভারত তার নেতৃত্বে উন্নয়ন করছে, এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের লাভ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমাজের প্রত্যেক স্তরে পৌঁছাচ্ছে। যাদের মাথায় আগে ছাদ ছিল না তাঁরা আজ বাড়ি পেয়েছে। শৌচালয় পেয়েছে। দেশে শেষ প্রান্ত অবধি রাস্তা তৈরি হচ্ছে। দেশের প্রত্যেক কোণায় প্রগতি হচ্ছে।”

    কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা বিপদে আছে

    সংবাদ মাধ্যমের এক প্রশ্নের উত্তরে শাদাব শামস (Uttarakhand Waqf Board) বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে না মুসলিম সমাজ বিপদে আছে, না দেশের সংবিধান। যদি বিপদে থাকে, তাহলে কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা বিপদে আছে। বিরোধী দলের নেতারা দেশের মুসলিমদের ভুল বুঝিয়ে নিজের রাজনৈতিক দোকান চালাচ্ছেন। তাঁরা আসলে মুসলমানদের ক্ষতি করছেন। তারা আমাদের শুধু ভোট ব্যাঙ্কের মত ব্যবহার করে। বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটা মুসলিম বিরোধী ছবি তৈরি করেছেন। মিথ্যে প্রচারের উপর নির্ভর করে। বাস্তবে প্রধানমন্ত্রী মুসলিমদের জন্য বহু উন্নয়নমূলক প্রকল্পের লাভ দিয়েছেন। আগে কেন্দ্র থেকে সরকার যে টাকা পাঠাত তার বেশিরভাগ মানুষের কাছে পৌঁছানোর আগেই উধাও হয়ে যেত। এখন সেই জিনিস বন্ধ হয়ে গেছে। আজ অবধি দেশের প্রান্তিক মানুষের জন্য যিনি সবচেয়ে বেশি ভেবেছেন তাঁর নাম নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Char Dham Yatra: উত্তরাখণ্ডের ‘চারধাম যাত্রা’র জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু

    Char Dham Yatra: উত্তরাখণ্ডের ‘চারধাম যাত্রা’র জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ড সরকার ‘চারধাম যাত্রা’ (Char Dham Yatra) সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে চালু হয়ে গেল অনলাইন পোর্টাল। অনলাইন নিবন্ধিকরণের মাধ্যমে এই চারধামে পুণ্যার্থীরা তীর্থ দর্শন করতে পারবেন। আজ মঙ্গলবার থেকেই উত্তরাখণ্ড সরকারের পর্যটন দফতর এই পোর্টাল চালুর কথা জানিয়েছে। নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এই ব্যবস্থা চালু হল।

    অনলাইন রেজিস্ট্রেশন (Char Dham Yatra)

    উত্তরাখণ্ডে কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, যমুনোত্রী এবং গঙ্গোত্রী এই চার ধাম যাত্রা (Char Dham Yatra) করতে এবার থেকে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন ভক্তরা। সারা দেশে হিন্দু ধর্মমতে এই চার ধাম গভীর আধ্যাত্মিক চেতনার প্রাণ কেন্দ্র হিসাবে মনে করা হয়ে থাকে। এই যাত্রা যাতে আরও মসৃণ, সুন্দর এবং নিরাপদ হয় সেই কথা ভেবেই এই অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ড সরকার এই চারধাম যাত্রা নিয়ে যথেষ্ট সচেতন।

    হিন্দু শাস্ত্রে অত্যন্ত পবিত্র এই চারধাম

    এই চারধাম যাত্রা (Char Dham Yatra) শুরু হবে আগামী মে ১০ তারিখ থেকে। গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ হুয়ে এই যাত্রা বদ্রীনাথ পৌঁছাবে মে মাসের ১২ তারিখে। এই ১২ তারিখ থেকেই বাবা বদ্রীনাথনাথের মন্দির খোলা হবে। এই চারধাম যাত্রাকে হিন্দু শাস্ত্রে অত্যন্ত পবিত্র এবং পুণ্যের মনে করা হয়ে থাকে। প্রত্যেক বছর মূলত এপ্রিল-মে থেকে এই যাত্রা শুরু হয় এবং চলে অক্টোবর-নভেম্বর মাস পর্যন্ত। প্রত্যেক বছর এই ধাম যাত্রা গ্রীষ্মকালীন সময়ে খোলা থাকে এবং শীত পড়তে পড়তে মন্দির ধামগুলি বন্ধ হয়ে যায়। আগেই উত্তরাখণ্ডের চম্বল জেলার জেলা শাসক হিমাংশু খোরানা ইতিমধ্যে বদ্রীনাথ ধাম পর্যবেক্ষণ করেছেন।

    আরও পড়ুন: গাজনে শিবভক্তদের ওপর হামলা, মন্দিরে ভাঙচুর! দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব বেলডাঙায়

    কীভাবে আবেদন করবেন?

    এই বছর থেকে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। যাত্রা আগে অন লাইনে নথিভুক্ত করতে হবে ভক্তদের। আবেদনকারীদের নিজেদের আধার, পাসপোর্ট দিয়ে বায়োমেট্রিক বা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনের ক্ষেত্রে প্রথমে পোর্টালে নিজের নাম, ঠিকানা, যোগাযোগ নম্বর দিতে হবে। পোর্টালে ফর্ম ফিলাপ করে আইডি প্রুফ জমা করলে ওটিপি আসবে। তথ্যের সত্যতা যাচাই করার পর মিলবে রেজিস্ট্রেশন নম্বর। এই রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে লগইন করলে ভ্রমণের তারিখ, দর্শনীয় স্থান এবং যাঁরা যাবেন তাঁদের সকলের পরিচয় জানা যাবে। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী সড়ক পথে এবং আকশ পথেও ভ্রমণের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানা গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ভোট দিলেই ২০ শতাংশ ছাড় রেস্তরাঁয়! উত্তরাখণ্ডে বিশেষ উপহার কমিশনের

    Lok Sabha Election 2024: ভোট দিলেই ২০ শতাংশ ছাড় রেস্তরাঁয়! উত্তরাখণ্ডে বিশেষ উপহার কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট (Lok Sabha Election 2024) দেওয়ার পর যে কোনও হোটেল বা রেস্তরাঁয় খেতে গেলে খাবারের বিলে পাওয়া যাবে ২০ শতাংশ ছাড়। উত্তরাখণ্ডে ভোটারদের উৎসাহ দানের জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) সমস্ত হোটেল এবং রেস্তরাঁ সংগঠনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের তরফে মৌ স্বাক্ষর করা হয়েছে।

    কতদিন, কীভাবে মিলবে পরিষেবা

    নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ১৯ এপ্রিল ভোটকেন্দ্র থেকে ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিয়ে বেরিয়ে কোনও ভোটার যদি হোটেল বা রেস্তরাঁয় খেতে যান, তবে খাবারের বিলে তিনি ২০ শতাংশ ছাড় পাবেন। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এই পরিষেবা ভোগ করতে পারবেন ভোটারেরা। উত্তরাখণ্ডের সমস্ত হোটেল এবং রেস্তরাঁ সংগঠনের সভাপতি এই প্রসঙ্গে জানান, খাবারের বিলে ছাড় দেওয়ার আগে আঙুলে কালির ছাপ দেখে হোটেল কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখবেন আদপে তাঁরা ভোট দিয়েছেন কি না। উত্তরাখণ্ডের হোটেল রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে থাকা সমস্ত হোটেল ও রেস্তরাঁতেই এই অফার পাওয়া যাবে।

    আরও পড়ুন: ‘‘অপ্রতিরোধ্য’’, মার্কিন পত্রিকা ‘নিউজউইক’-এর প্রচ্ছদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    কেন এই উপহার

    আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে ভোট শুরু দেশে। ১ জুন সাত দফার ভোট (Lok Sabha Election 2024) শেষের পর ৪ জুন জানা যাবে কারা ফিরছে মসনদে। উত্তরাখণ্ডে প্রথম দফায় ভোট হবে। উত্তরাখণ্ডে ৫টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে।  ১৯ এপ্রিল নির্বাচন রয়েছে উত্তরাখণ্ডে। রাজ্যে ভোট শতাংশ বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই অফার দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত মুখ্য ইলেকটোরাল অফিসার বিজয় কুমাক যোগদান্দে এই বিষয়ে বলেছেন, “রাজ্যে ভোট শতাংশ বাড়াতে একাধিক প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসছে। উত্তরাখণ্ড হোটেল রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এই প্রস্তাবনা এনেছিল এবং নির্বাচন কমিশন এতে রাজি হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share