Tag: wb

wb

  • WB Govt: শিল্পে সব ধরনের ইনসেন্টিভ দেওয়ার সুবিধা প্রত্যাহার করল মমতার সরকার, কেন জানেন?

    WB Govt: শিল্পে সব ধরনের ইনসেন্টিভ দেওয়ার সুবিধা প্রত্যাহার করল মমতার সরকার, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিল্পে সব ধরনের ইনসেন্টিভ দেওয়ার সুবিধা প্রত্যাহার করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (WB Govt)। রীতিমতো গ্যাজেট জারি করে এই সুবিধা প্রত্যাহারের কথা (Industries) ঘোষণা করা হয়েছে। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেজন্য লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো জনমোহিনী প্রকল্প চালু রাখতেই হবে। কারণ না হলে জনগণ খেপে গিয়ে ঘাসফুলের বদলে পদ্মফুলে ছাপ দেবেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই শিল্পে সব ধরনের ইনসেন্টিভ দেওয়ার সুবিধা প্রত্যাহার করা হল। ভোট কিনতে সেই টাকা ব্যয় করা হবে বিভিন্ন খয়রাতি মূলক প্রকল্পে। তাতে রাজ্যে শিল্পের হাঁড়ির হাল হবে ঠিকই, তবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাজ্যের রশি রইবে সেই তৃণমূলের হাতেই।

    ঘটা করে শিল্প সম্মেলন! (WB Govt)

    শিল্প টানতে ফি বছর ঘটা করে এ রাজ্যে শিল্প সম্মেলন হয়। শিল্প টানতে মুখ্যমন্ত্রী সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে মাঝে মধ্যেই বিদেশ ছোটেন। তাতে শিল্প কতটা আসে, সেই বিতর্কে না গিয়েও বলা যায়, রাজ কোষাগারের বিপুল অর্থে বস্তুত ‘মোচ্ছব’ হয়। বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন, শিল্পে সব ধরনের ইনসেন্টিভ দেওয়ার সুবিধা প্রত্যাহার করা হলে, এ রাজ্যে আদৌ শিল্প হবে তো? গ্যাজেটে সরকার যে কারণগুলির কথা উল্লেখ করেছে, সেগুলি হল, এই  সুবিধাগুচ্ছের ফলে (WB Govt) যে অর্থ খরচ হয়, তাতে কোষাগারে চাপ পড়ছে। সামলানো যাচ্ছে না। তাছাড়া মুষ্টিমেয় কিছু শিল্পপতি এসবের সুবিধা পান। শিল্পায়নে এর কোনও প্রভাব পড়ে না।

    কোষাগারের হাঁড়ির হাল

    রাজ্যের আর্থিক (Industries) হাল খারাপ। শিল্পে সুবিধা দিতে খুবই নাজেহাল অবস্থা। সরকার এই খরচ প্রত্যাহার করে নিয়ে সামাজিক প্রকল্প বিশেষ করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং পরিকাঠামো নির্মাণে খরচ করতে চায়। কারণ শিল্পের টাকা বন্ধ না করলে ওখানে টাকা জোগানো যাচ্ছে না।  লক্ষ্য করা গিয়েছে, শিল্পে উৎসাহ প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে বহু লগ্নিকারী তাঁদের কারবার বন্ধ করে দিয়েছেন বা ঝাঁপ ফেলে পালিয়েছেন। সরকার মনে করে শিল্প স্থাপনে উৎসাহ দিতে টাকা খরচের চেয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষের কাছে সরাসরি টাকা পৌঁছে দেওয়া জরুরি। তাই সরকার শিল্পে উৎসাহ প্রদানকারী সব স্কিম তুলে নিচ্ছে। এ নিয়ে কোনও ভবিষ্যতের দায় আর সরকার নেবে না। কঠিন আর্থিক পরিস্থিতির ভারসাম্য রক্ষার্থে এমন করা হল।

    প্রশ্ন যেখানে

    সরকারের এহেন সিদ্ধান্তে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। প্রথমত, সারা পৃথিবী জুড়ে লগ্নিকারীরা সেখানেই যান, যেখানে শিল্প স্থাপনে সুবিধা বেশি পাওয়া যায়। এখন যেমন আই ফোন নির্মাতা অ্যাপল চিন ছেড়ে ভারতে ফোন তৈরি করছে। পূর্ব ভারতের শিল্পপতিরা ওড়িশা ছুটছে (WB Govt)। ফলে উৎসাহ প্রকল্পটিই তুলে দিলে কোনও লগ্নিকারী কি বাংলামুখো হবে? দ্বিতীয়ত, লক্ষ্মীর ভান্ডারের ২ কোটি প্রাপকের তুলনায় শিল্পপতির সংখ্যা মুষ্টিমেয়ই হবে। কিন্তু একটি কারখানা হলে যত মানুষের হাতে কাজ জোটে তাতে ওই পরিবার আর ল্ক্ষ্মীর ভান্ডারের ওপর নির্ভরশীল থাকে না। সরকার কি চাইছে বাঙালি শুধু ভাতাজীবী হয়েই থাকুন (Industries)? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পশ্চিমবঙ্গে জমি নীতি নেই, শিল্পনীতি নেই কিন্তু সিন্ডিকেট-কাটমানি আছে। তোলামূলী গুন্ডাতন্ত্র আছে।ছিল উৎসাহ প্রকল্প, সেটাও তুলে নেওয়া হল। এর পর তো কাশ ফুলের বালিশ বা চপ শিল্প সেটাও আর হবে না! সর্বোপরি, পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ যেখানে উন্নয়নের পাওয়ার হাউস হতে পারত, সেখানে শুধুমাত্র ভাতা দেওয়ার টাকা জোগাড় করতে গিয়ে সরকার কীভাবে শিল্প তাড়াচ্ছে, তার নয়া নমুনা সরকারের এই বিজ্ঞপ্তি। বাম জমানায় ট্রেড ইউনিয়নের কারণে বহু শিল্পপতি পাততাড়ি গুটিয়ে রাজ্য ছেড়েছিল (Industries)। এবার তোলামূলী জমানায় ‘হীরক রানি’ সরকারি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলে দিলেন পশ্চিমবঙ্গ লগ্নি চায় না, নিজের মেয়েকেই চায় (WB Govt)!

  • Post Poll Violence: ৪ বছর পরেও ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত, তৃণমূলের সবুজ সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে?

    Post Poll Violence: ৪ বছর পরেও ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত, তৃণমূলের সবুজ সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনটা ছিল ২ মে, ২০২১। আজ থেকে চার বছর আগে সপ্তদশ বিধানসভার নির্বাচনী ফল ঘোষণা হয়েছিল। দুপর ১ টার মধ্যেই নির্বাচনী ফলে স্পষ্ট হয় যে পশ্চিমবঙ্গে টানা তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরবে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে (Post Poll Violence) পরাজিত হয়েছিলেন। শাসক দলের নেতা-কর্মীরা “ঠিক ঠিক খেলা হবে এই মাটিতেই খেলা হবে” গান বাজিয়ে হিংসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে শুরু করে দেয়। এরপর শুরু হয় রাজ্যজুড়ে শাসকদলের দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য এবং হিংসালীলা (West Bengal)। বিজয় মিছিলের নামে বিজেপি কর্মী, আরএসএসের স্বয়ংসেবক এবং সাধারণ নিচুতলার হিন্দুদের টার্গেট করে শুরু হয় প্রশাসনিক মদতে সন্ত্রাস। তৃণমূলের স্লোগান ছিল ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’, জয় নিশ্চিত বুঝেই নিজের মেয়ে মমতার হাতেই হিন্দু বাঙালিদের চরম অত্যাচারের শিকার হতে হয়। টানা হিংসায় মে মাসেই খুন করা হয় ২২ জনের বেশি মানুষকে।

    বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা

    দুপুর ২ টোর মধ্যেই কাঁকুড়গাছি রেলকলোনিতে বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের বাড়িতে হামলা করে ২০০ জনেরও বেশি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। বাড়িতে নিজের মা-দাদার সামনেই পাথর দিয়ে থেঁতলে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয় তাঁকে। বাড়িতে গৃহপালিত কুকুরগুলির গলায় ইলেকট্রিক তার জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। মুড়িমুড়কির মতো বোমা মেরে গোটা বাড়ি তছনছ করে দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর শুরু হয় দেদার লুটপাট। মৃত্যুর পর ৪ বছর কেটে গেলও, হাইকোর্টে মামলা চলছে। কিন্তু দোষীরা এখনও সাজা পায়নি। শাসক দলের নেতা বলে দোষীদের টিকিও ছুঁতে পারেননি তদন্তকারী অফিসাররা।

    শাসক দলের দুষ্কৃতীদের উল্লাস

    তখন রাত ৮টা। নির্বাচনী ফল ঘোষণার পর শাসক দলের দুষ্কৃতীদের উল্লাসে গোটা গ্রাম আতঙ্কে ভয়ে সিটিয়ে গিয়েছিল। কৃষ্ণনগর শহরের কাছেই বাড়ি ছিল পলাশ মণ্ডলের। পেশায় দিন মজুর ছিলেন। প্যান্ডেলের বাঁশ বাঁধার কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালাতেন। নির্বাচন চলাকালীন মমতার দুর্নীতি এবং কর্মসংস্থান নেই বলে বিক্ষোভ সভায় বিজেপি মঞ্চের বাঁশ বেঁধেছিলেন তিনি। এলাকায় বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য লিফলেটও বিলি করেছিলেন। ফল প্রকাশের আগেও হুমকি দিয়েছিল এলাকার তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। হুমকি উপেক্ষা করে তবুও বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন তিনি। ঘটনার দিনে রাত ১১ টায় বাড়িতে বড় বড় দা, তলোয়ার নিয়ে হামলা করে কয়েকশো তৃণমূল কর্মী। ভয়ে পলাশ নিজের বউ আর দুই মেয়েকে নিয়ে চৌকির নিচে লুকিয়ে পড়েন। ঘরের টিন কেটে দুর্বৃত্তরা ঢুকে নীচ থেকে মারতে মারতে পলাশকে টেনে হিঁচড়ে বের করে (West Bengal)। এরপর শুরু হয় ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে এলোপাথাড়ি কোপ। শেষে যাওয়ার সময় কানের কাছে মাথায় গুলি করে যায় হত্যাকারীরা। সব কিছু শেষ হয়ে যায়! পরিবারে একমাত্র রোজগার করতেন পলাশ। কীভাবে চলছে পলাশের ফেলে যাওয়া সংসার জানেন? স্ত্রী এখন লোকের বাড়িতে কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালান। আর ভয়-আতঙ্কে এখনও নিজের বাড়িতে ঢুকতে ভয় পান (Post Poll Violence)।

    ৭১ জনকে হত্যা

    ওই বছর ২ মে থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ধাপে ধাপে মোট ৭১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। তালিকায় কোনও জেলা বাদ ছিল না। তৃণমূলের লাগাম ছাড়া অত্যচারে ১ লক্ষ মানুষ নিজের বাড়ি-ঘর ঘরছাড়া হয়েছিল। মানুষ বাংলা ছেড়ে অসম, ঝাড়খণ্ডে পালাতে বাধ্য হয়েছিল। ৪০ হাজার মানুষের বাসস্থানকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সওকত মোল্লা, শেখ শাহজানের নেতৃত্বে তৃণমূলী গুণ্ডারা হিন্দুদের দোকান, বাড়ি, ফসলের ক্ষেতে বুলডোজার চালিয়ে মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। নন্দীগ্রামে এক মহিলা শুধুমাত্র হিন্দু বলে ধর্ষণ করা হয়। অত্যাচারের মাত্রা লাগাম ছাড়া ছিল দুই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, বীরভূম এবং কোচবিহার জেলায়। দোষীদের একজনেরও সাজা হয়নি। দেখে নিন জেলা ভিত্তিক মৃতদের তালিকা –

    ভোটপরবর্তী হিংসায় মৃতের নাম, স্থান এবং তারিখ

    বাঁকুড়া (৩ জন)

    ১। অরূপ রুইদাস, ইন্দাস,  ৩ মে ২০২১

    ২।  কুশ ক্ষেত্রপাল, কোতলপুর, ৮ মে ২০২১

    ৩। গৌর দাস, বিষ্ণুপুর, ১৬ মে ২০২১

    বীরভূম (৫ জন) (Post Poll Violence)

    ৪। গৌরব সরকার, বোলপুর,  ২ এপ্রিল ২০২১

    ৫। জাকির হোসেন, ময়ূরেশ্বের,  ৮ মে ২০২১

    ৬। প্রসেঞ্জিৎ দাস, রামপুরহাট, ২৩ মে ২০২১

    ৭। মনোজ জসওয়াল, নলহাটি, ৬ মে ২০২১

    ৮। মিঠুন বাগদি, ১৪ জুন ২০২১

    কোচবিহার (১৪ জন) (West Bengal)

    ৯। মিঠুন বর্মণ, শীতলকুচি, ২৭ মার্চ ২০২১

    ১০। মানিক মৈত্র, শীতলকুচি, ৩ মার্চ ২০২১

    ১১। হারাধন রায়, দিনহাটা, ৪ মার্চ ২০২১

    ১২। ধীরেন বর্মণ, শীতলকুচি, ২৪ মে ২০২১

    ১২। অলোকলতা মণ্ডল, তফানগঞ্জ, ২৫ মে ২০২১

    ১৪। অনিল বর্মণ, শীতলকুচি, ২৯ মে ২০২১

    ১৫। শ্রীধর দাস, দিনহাটা, ২৩ জুন ২০২১

    ১৬। আনন্দ বর্মণ, শীতলকুচি, ২৭ মার্চ ২০২১

    ১৭। রবিন বর্মণ, শীতলকুচি, ৪ মে ২০২১

    ১৮। বিশ্ব বর্মণ, শীতলকুচি, ৩ মে ২০২১

    ১৯। বিপুল রায়, শীতলকুচি, ৩ মে ২০২১

    ২০। বিকাশ চন্দ্র বর্মণ, শীতলকুচি, ৩ মে ২০২১

    ২১। বীরেন্দ্রনাথ রায়, শীতলকুচি, ৩ মে ২০২১

    ২২। ফারুখ মণ্ডল, তুফানগঞ্জ, ৪ মে ২০২১

    হুগলি (২ জন)

    ২৩। রবি হরি, আরামবাগ, ৪ জুন ২০২১

    ২৪। সুকুমার মণ্ডল, কৃষ্ণরামপুর, ৭ মে ২০২১

    হাওড়া (১ জন)

    ২৫। গুড্ডু চৌরাসিয়া, শিবপুর, ১০ মে ২০২১

    জলপাইগুড়ি (১ জন)

    ২৬। সুশান্ত রায়, জলপাইগুড়ি, ২ মে ২০২১

    ঝাড়গ্রাম (২ জন)

    ২৭। কিশোর মান্ডি, বিনপুর, ৫ মে ২০২১

    ২৮। তারক সাহু, ঝাড়গ্রাম, ৩১ মার্চ ২০২১

    কলকাতা (২ জন)

    ২৯। অভিজিৎ সরকার, কাঁকুড়গাছি, ২ মে ২০২১

    ৩০। নাম পাওয়া যায়নি, অন্বেষা বেরা অভিযোগ করেছেন।

    মালদা (৩ জন)

    ৩১। মনোজ মণ্ডল, মোথাবাড়ি, ৩ মে ২০২১

    ৩২। চৈতন্য মণ্ডল, মোথাবাড়ি, ৩ মে ২০২১

    ৩৩। দেবাশিস সরকার, গাজোল, ২ মে ২০২১

    নদিয়া (৫ জন)

    ৩৪। উত্তম ঘোষ, চাকদা, ২ মে ২০২১

    ৩৫। ধর্ম মণ্ডল, চাপড়া, ৬ মে ২০২১

    ৩৬। সাগর মাঝি, চাকদা, ২ মে ২০২১

    ৩৭। দিলীপ কীর্তনিয়া

    ৩৮। পলাশ মণ্ডল, কৃষ্ণনগর, ১৩ মে ২০২১

    উত্তর ২৪ পরগনা (১৩ জন)

    ৩৯। শোভারানী মণ্ডল, জগদ্দল, ৩ মে ২০২১

    ৪০। হারান অধিকারী, সোনারপুর, ২ মে ২০২১

    ৪১। আকাশ যাদব, ভাটপাড়া, ২ মে ২০২১

    ৪২। সন্তু মণ্ডল, নৈহাটি, ৩ মে ২০২১

    ৪৩। জ্যোৎস্না মল্লিক, বারাসাত, ১২ মে ২০২১

    ৪৪। রোহিত প্রকাশ যাদব, ভাটপাড়া, ৬ জুন ২০২১

    ৪৫। রোহিত প্রকাশ, ভাটপাড়া, ০৬ জুন ২০২১

    ৪৬। শিবনাথ বারুই, হিংলগঞ্জ, ৫ মে ২০২১

    ৪৭। জয়দেব মিস্ত্রি, হিংলগঞ্জ, ৫ মে ২০২১

    ৪৮। বিক্রম ঢালি, মিনাখাঁ, ৬ মে ২০২১

    ৪৯। জয়প্রকাশ যাদব, ভাটপাড়া, ৬ মে ২০২১

    ৫০। প্রসেঞ্জিত দাস, বাগুইহাটি, ২৩ মে ২০২১

    ৫১। রঞ্জিত দাস, আমডাঙ্গা, ১৩ মে ২০২১

    পশ্চিম মেদিনীপুর (১ জন)

    ৫২। বিশ্বজিত মাহেশ, স্বয়ং, ৪ মে ২০২১

    পূর্ব বর্ধমান (৬ জন)

    ৫৩। বলরাম মাঝি, কেতুগ্রাম, ৫ মে ২০২১

    ৫৪। কাকলি ক্ষেত্রপাল, জামালপুর, ৩ মে ২০২১

    ৫৫। নারায়ণ দে, বর্ধমান, ৬ মে ২০২১

    ৫৬। দুর্গা বালা, রাইনা, ৩ মে ২০২১

    ৫৭। বাবুল দাস, রাইনা, ৮ মে ২০২১

    ৫৮। সোম হাঁসদা, ভাতার, ২৩ জুন ২০২১

    পূর্ব মেদিনীপুর (২ জন)

    ৫৯। দেবব্রত মাইতি, নন্দীগ্রাম, ১৩ মে ২০২১

    ৬০। দেবাশিস শীল, তমলুক, ২৩ মে ২০২১

    দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১১ জন)

    ৬১। সৌরভ বর, মথুরাপুর, ২ মে ২০২১

    ৬২। রাঞ্জিত দাস, আমডাঙ্গা, ১৩ মে ২০২১

    ৬৩। অরিন্দম মিদ্দে, ডায়মন্ড হারবার, ১৫ মে ২০২১

    ৬৪। প্রদীপ বৈদ্য, বাসন্তী, ১৮ মে ২০২১

    ৬৫। নির্মল মণ্ডল, সোনারপুর, ২০ মে ২০২১

    ৬৬। রাজু সামন্ত, ডায়মন্ড হারবার, ২৮ মে ২০২১

    ৬৭। চন্দন হালদার, সাতগাঁছি, ২ জুলাই ২০২১

    ৬৮। ঊষা দাস, বজবজ, ৬ জুলাই, ২০২১

    ৬৯। হারান অধিকারী, সোনারপুর, ২ মে ২০২১

    ৭০। মানস সাহা, মগরাহাট, ২২ সেপ্টম্বর ২০২১

    ৭১। মিঠুন ঘোষ, রায়গঞ্জ, ১৮ অক্টোবর ২০২১

    এই সন্ত্রাসে পুলিশের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত নিষ্ক্রিয় (Post Poll Violence)। তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তি সত্ত্বেও হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। সরকারের উপর চাপ তৈরি করেছিলেন। মানবাধিকার কমিশন, মহিলা ও শিশু সুরক্ষা কমিশন, এসসি-এসটি কমিশন-সহ একাধিক সংস্থা হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে (West Bengal)। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে থানায় অভিযোগ বা মামলা গ্রহণ করেনি। নির্যাতিতরা অগত্যা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইমেল-এর মাধ্যমে অভিযোগ নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজেশ বিন্দেলের রায়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংন্থা এবং সিট গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তদন্ত এখনও চলছে, রাজ্য সরকার হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের কোনও রকম আর্থিক সহযোগিতাও করেনি। উল্লেখ্য, অভিযুক্তরা এখনও উন্মুক্ত এবং এলাকায় ভয়ের পরিবেশ বজায় রাখতে সক্ষম। এই হিংসার পর থেকেই পরবর্তী পঞ্চায়েত নির্বাচন, পুরসভার নির্বাচন এবং লোকসভার ভোটের পরও ভোট পরবর্তী হিংসা একটি অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের (West Bengal) রাজনীতিকরণ ১০০ শতাংশ সার্থক হয়েছে। এ রাজ্যে ভোটের অর্থ হল হিংসা, ধর্ষণ, খুন, অত্যাচার আর লুটপাট। রাজনীতিতে অত্যাচার এবং হিংসা কবে বন্ধ হবে তাও এই রাজ্যের মানুষের কাছে একটি বড় প্রশ্ন (Post Poll Violence)।

  • West Bengal Police: মমতা সরকারের তাঁবেদারি করছে পুলিশ! বিজেপির শান্তির আবেদনকে বিদ্বেষের তকমা!

    West Bengal Police: মমতা সরকারের তাঁবেদারি করছে পুলিশ! বিজেপির শান্তির আবেদনকে বিদ্বেষের তকমা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা সরকারের তাঁবেদারি করছে পুলিশ! মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনায় স্থানীয়দের কাছে এলাকায় শান্তি বজায় রাখার আবেদন (Peace Appeal) জানানো হয়েছিল বিজেপি-আরএসএসের তরফে। এই শান্তির আবেদন নাকি হিংসায় ইন্ধন জোগাচ্ছে! অন্তত এমনই দাবি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের (West Bengal Police)।

    ব্যাপক হিংসা মুর্শিদাবাদে (West Bengal Police)

    সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকায়। মৌলবাদী ইসলামি গোষ্ঠীগুলি স্থানীয় হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করেছে বলে অভিযোগ। দুই হিন্দু প্রতিমা শিল্পী, যাঁরা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে, তাঁদের ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে খুন করা হয় বলেও অভিযোগ। প্রাণভয়ে রাতের অন্ধকারে নদী পার হয়ে হিন্দুরা আশ্রয় নেন মালদায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ধীর পদক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ। মুর্শিদাবাদের মতো ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ বাহিনীকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে বলেও খবর।

    বিজেপির সমালোচনা

    সমালোচকদের দাবি, সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি রোধ বা সহিংসতায় ঘরছাড়া মানুষদের সহায়তায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। এদের মধ্যে অনেকে প্রতিবেশী মালদা জেলায় পালিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ বাহিনীর রাজনীতিকীকরণ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠা করতেই তৎপর পুলিশ। গত ২০ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তাদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি ‘শান্তির আবেদন’ শেয়ার করে। সমালোচকদের যুক্তি, চার পাতার এই আবেদনে কেবল শান্তির আহ্বান জানানো হয়নি, রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির সমালোচনাও করা হয়েছে (West Bengal Police)।

    কী বলছে পুলিশ

    পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল দ্বারা ইংরেজি ও বাংলায় শেয়ার করা এই ‘শান্তির আবেদনে’ বিজেপি এবং আরএসএসের সমালোচনা করে তাদের ‘আক্রমনাত্মক’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে এবং রাজ্যে ‘মিথ্যা প্রচার’ চালানোর অভিযোগও তোলা হয়েছে (Peace Appeal)। পুলিশের ওই আবেদনে দাবি করা হয়, কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে বিভাজনমূলক রাজনীতি উসকে দিচ্ছে এবং ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ পলিশি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে, যা ‘অশুভ’ বলে দাবি করা হয়েছে।

    ‘আগুন নিয়ে খেলা’

    প্রমাণ না দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও দাবি করেছিলেন যে বিজেপি এবং আরএসএস রাম নবমীতে ‘আগুন নিয়ে খেলা’র পরিকল্পনা করছে। সমালোচকদের মতে, নতুন ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নামে তাঁর মুসলিম সমর্থক গোষ্ঠী দ্বারা সংঘটিত বলে কথিত হিংসা থেকে জনতার দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতেই এমন মন্তব্য করা হয়েছে। তিনি বিজেপি ও তাদের মিত্রদের রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা চালানোর জন্য ‘সনাতন হিন্দুধর্মকে কলঙ্কিত’ করার অভিযোগও তোলেন। বিতর্কিত এই বক্তব্যের পরেও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তাদের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলের মাধ্যমে এই বার্তা শেয়ার ও প্রসার করতে থাকে (West Bengal Police)।

    প্রমাণ ছাড়াই একাধিক অভিযোগ

    পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ ছাড়াই একাধিক অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, “বিজেপি ও তাদের মিত্ররা মিথ্যা ও সংকীর্ণ কথাবার্তা ছড়াচ্ছে। তাদের বক্তব্য ভুল উদ্ধৃতির ওপর গড়ে তোলা মিথ্যার স্তূপ। তাদের বিশ্বাস করবেন না। তারা দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে, যা সবার ক্ষতির কারণ হতে পারে (Peace Appeal)।” মুর্শিদাবাদের হিংসায় স্থানীয় মুসলিমদের একাংশের হাত রয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা প্রায় সকলেই মুসলমান। দুই প্রতিমা শিল্পী খুনে মূল চক্রী জিয়াউলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার পরেও মুসলিম ভোটব্যাংকে যাতে ফাটল ধরে, তাই আওড়েছেন মেকি ধর্মনিরপেক্ষতার বাণী। তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, দাঙ্গা হিন্দু বা মুসলমান কারও দ্বারা সৃষ্টি হয় না—দাঙ্গা সৃষ্টি করে অপরাধীরা।” সমালোচকদের মতে, এটি তাঁর তোষণমূলক রাজনীতিরই বহিঃপ্রকাশ (West Bengal Police)।

    ভোটব্যাংকের স্বার্থেই তোষণের রাজনীতি!

    এই ভোটব্যাংকের স্বার্থেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দেন, মুর্শিদাবাদের এই অশান্তির জন্য দায়ী স্থানীয়রা নয়, বহিরাগতরা। তিনি বলেন, “দাঙ্গা সৃষ্টিকারীরা সর্বদা বাইরে থেকে এসে চলে যায়। কিছু বহিরাগতকে বিশ্বাস করবেন না যারা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করে নিজেদের সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে দাঙ্গা সৃষ্টি করে।” অথচ ঘটনা হল, মূল চক্রী জিয়াউল বাইরের কেউ নন, তিনি মুর্শিদাবাদেরই বাসিন্দা। তৃণমূল সুপ্রিমোর এই ভোটব্যাংকের রাজনীতির কূট চাল ধরে ফেলেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। তাঁদের সাফ কথা, মুর্শিদাবাদে হিংসার মূল হোতা ছিল স্থানীয় মুসলিমরাই। মুখ্যমন্ত্রীর বিতর্কিত এই মন্তব্য ও এই বৈপরীত্য সত্ত্বেও, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তাদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে তাঁর ‘শান্তির আবেদন’ শেয়ার করে তা আরও প্রচার করে (Peace Appeal)।

    দলদাস পুলিশের (West Bengal Police) কবে সম্বিত ফিরবে? প্রশ্ন বিরোধীদের।

  • Mithun Chakraborty: পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানালেন বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন

    Mithun Chakraborty: পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানালেন বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানালেন বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। অসমের শিলচরে সাংবাদিক (West Bengal) বৈঠকে এমনই দাবি করলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনায় বিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকা। সেই প্রসঙ্গেই এমন মন্তব্য করেন মিঠুন।

    ওয়াকফ বিলের সঙ্গে এদের কী লেনাদেনা? (Mithun Chakraborty)

    বিজেপির এই তারকা নেতা বলেন, “খুবই দুঃখের ব্যাপার। এখনও বুঝতে পারছি না, কেন বাঙালি পরিবারগুলির ওপর অত্যাচার করা হল। ওয়াকফ বিলের সঙ্গে এদের কী লেনাদেনা?” মিঠুন বলেন, “তাঁরা (হামলার শিকার যাঁরা) এখন রাস্তায়। ত্রাণশিবিরে খিচুড়ি খাচ্ছেন। এটা খুবই দুঃখের। ওঁদের বাড়িঘর হয়তো ছোট কুঠি, কিন্তু সেটাই ওঁদের কাছে মহল। এখন সেখান থেকে তাঁরা ত্রাণশিবিরে গিয়ে খিচুড়ি খাচ্ছেন। খুব খারাপ অবস্থা। এরকমটাই যদি চলতে থাকে, তাহলে আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির আবেদন জানাব।” বিজেপির এই নেতা বলেন, “আর এটা যদি নাও হয়, তাহলে অন্তত নির্বাচনটা যেন সেনার নিরাপত্তায় হয়। তাহলে অন্তত সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে। আমরা মারামারি চাই না। আমাদের ভোট করতেই দেওয়া হয়নি।”

    আপনার পুলিশ কী করছিল?

    মুর্শিদাবাদে অশান্তির ঘটনায় বিএসএফের দিকে আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে মিঠুন বলেন, “আপনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বিএসএফকে দোষ দিচ্ছেন। মেনে নিলাম যে বিএসএফ ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু তারপর যে জমিটা রয়েছে, সেখানে তো পুলিশ রয়েছে। তাহলে আপনার পুলিশ কী করছিল? পুলিশ তো দেখেছে, তাহলে তখন তারা কী করেছে?”

    তৃণমূলে যোগ দেওয়া যে ভুল হয়েছিল, এদিন তাও স্বীকার করেন মিঠুন (Mithun Chakraborty)। বলেন, “ওটা আমার ভুল হয়েছিল। সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেস অন্যরকম দল ছিল। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য এক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন। তিনি একজন ফাইটার ছিলেন। মানুষের ভালো করার ইচ্ছা ছিল তাঁর মধ্যে। গরিবদের পাশে দাঁড়ানোর ভাবনা (West Bengal) ছিল। আর আজকের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুই ক্ষমতালোভী। যে কোনওভাবে ক্ষমতা চাই তাঁর (Mithun Chakraborty)।”

  • Murshidabad Unrest: মুর্শিদাবাদকাণ্ডের নেপথ্যে বাংলাদেশিদের হাত! চাঞ্চল্যকর তথ্য কেন্দ্রের রিপোর্টে

    Murshidabad Unrest: মুর্শিদাবাদকাণ্ডের নেপথ্যে বাংলাদেশিদের হাত! চাঞ্চল্যকর তথ্য কেন্দ্রের রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে অশান্তির আগুনে জ্বলছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Unrest) বিস্তীর্ণ অংশ। এই হিংসার নেপথ্যে রয়েছে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। বিস্ফোরক এই তথ্য উঠে এল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রাথমিক তদন্তে। সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, হিংসা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি বাংলার পুলিশ। যদিও সরকারিভাবে এই রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রের তরফে কিছু বলা হয়নি।

    উসকানিমূলক বক্তব্য (Murshidabad Unrest)

    এর আগে ৯ এপ্রিল সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছিল, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইন বিরোধী সমাবেশে বেশ কিছু উসকানিমূলক বক্তব্য রাখা হয়। তার কিছু ভিডিও এসে পৌঁছায় ওই সংবাদ মাধ্যমের কাছে। জঙ্গিপুরের পিডব্লুডি মাঠে এই সমাবেশ হয়েছিল। আয়োজক ছিল ইমাম মোয়াজ্জিন অ্যাসোসিয়েশন। তাকে সমর্থন করেছিল অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অফ ডেমোক্রেটিক রাইটস এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্ট অফ ইন্ডিয়া-সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।

    এসডিপিআইয়ের জড়িত থাকার ইঙ্গিত

    সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তদন্তকারীরা বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছেন। তাতে মুর্শিদাবাদের হিংসায় এসডিপিআইয়ের জড়িত থাকার ইঙ্গিত মিলেছে। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, এসডিপিআইয়ের সদস্যরা গত বেশ কয়েকদিন ধরে ওয়াকফের নামে এলাকার মুসলিম যুবকদের উসকানি দিচ্ছিল। এসডিপিআইয়ের সদস্যরা প্রত্যন্ত এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে যুবক ও কিশোরদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে বলছিলেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের যুবক ও কিশোরদের বলা হয় যে, সরকার ওয়াকফের নামে মুসলমানদের কাছ থেকে সব কিছু কেড়ে নেবে। ফলে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করতে হবে। শনিবার মুর্শিদাবাদের এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় ইজাজ আহমেদের। বিক্ষোভ চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তাঁর পরিবারেরও দাবি, মুর্শিদাবাদে উসকানিমূলক প্রচার চালাচ্ছে এসডিপিআই।

    পিএফআইয়ের প্রভাব!

    পুলিশের মতে, এক সময় পশ্চিমবাংলায় সিমির ঘাঁটি ছিল এই মুর্শিদাবাদই। সিমির যোগ ছিল জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে। সিমির লোকজন অবশ্য পরে কট্টরপন্থী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ায় যোগ দেয়। তার পর বদলে যায় মুর্শিদাবাদের ছবি। বস্তুত, পিএফআইয়ের ঘাঁটিতে পরণিত হয় মুর্শিদাবাদ। ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ইউএপিএর অধীনে পাঁচ বছরের জন্য পিএফআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সূত্রের খবর, এই সিমি ও পিএফআইয়ের এই লোকজনও এসডিপিআইয়ের সঙ্গে জড়িত। মুর্শিদাবাদে এসডিপিআই বেশ শক্তিশালী। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে দুস্কৃতীরা প্রাথমিকভাবে সহায়তা পেয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তারা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA) পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Unrest) ও অন্যান্য সংবেদনশীল জেলার কার্যকলাপের ওপর কড়া নজর রাখছে।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের বক্তব্য

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন ১২ এপ্রিল রাজ্যের মুখ্যসচিব ও পুলিশের ডিজির সঙ্গে কথা বলেন। সেই সময় সম্ভাব্য সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়। তিনি রাজ্য প্রশাসনকে অন্যান্য সংবেদনশীল জেলাগুলোয়ও কঠোর নজরদারি বজায় রাখার এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শও দেন। তার পর থেকে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব ও পুলিশের ডিজির সঙ্গে নিরবচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এছাড়াও, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মুর্শিদাবাদে বিএসএফের প্রায় ন’কোম্পানি, অর্থাৎ কমপক্ষে ৯০০ জন সদস্য মোতায়েন করেছে। এই ন’টি কোম্পানির মধ্যে ৩০০ বিএসএফ সদস্য স্থানীয়ভাবে উপস্থিত ছিলেন। রাজ্য সরকারের অনুরোধে পরে অতিরিক্ত কোম্পানিগুলিও পাঠানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি আগেই জানিয়েছিলেন, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ, তবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। ডিজিপি আরও উল্লেখ করেন, স্থানীয়ভাবে মোতায়েন থাকা বিএসএফের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে এবং এ পর্যন্ত ১৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    উত্তেজনা অব্যাহত

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে মুর্শিদাবাদের মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায় ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভের সময় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। এই বিক্ষোভের জেরে মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলায় অগ্নিসংযোগ, পাথর ছোড়া এবং সড়ক অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটে। আধিকারিকদের বক্তব্য, হিংসাকবলিত এলাকাগুলিতে উত্তেজনা অব্যাহত থাকলেও, নতুন করে কোনও ঘটনা ঘটেনি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মুর্শিদাবাদ জেলায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা (Murshidabad Unrest)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মুর্শিদাবাদের তিনটি সীমান্তবর্তী এলাকায় সাম্প্রতিক হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সতর্কতামূলকভাবে অতিরিক্ত আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে। প্রাথমিক রিপোর্টে ইঙ্গিত মিলেছে, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সহায়তায় বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের জড়িত থাকার বিষয়টি, পরে যাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায় ঘাসফুল নেতৃত্ব।

    এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের কাছ থেকে জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় ব্যর্থতা, রেলওয়ে সম্পত্তিতে হামলা এবং হিংসার প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়েছে (Murshidabad Unrest)।

  • Anti Waqf Protests: ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতেই কি বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে জ্বালানো হয়েছে অশান্তির আগুন?

    Anti Waqf Protests: ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতেই কি বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে জ্বালানো হয়েছে অশান্তির আগুন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে (Anti Waqf Protests) কার্যত জ্বলছে বাংলার (West Bengal) একটা অংশ। বিশেষ করে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে হিন্দুদের ওপর বেনজির আক্রমণ চালানো হচ্ছে। অভিযোগ, এতে ইন্ধন জুগিয়েছে রাজ্যের এক মন্ত্রীর বক্তব্য এবং খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয়! তার জেরেই অশান্ত হয়ে উঠেছে মুসলিম অধ্যুষিত ওই এলাকাগুলি। অথচ, মুসলিম অধ্যুষিত কেরল, তেলঙ্গানা কিংবা বিহারের বিভিন্ন অংশে কিন্তু এভাবে প্রতিবাদের নামে আগুন জ্বালানো হয়নি। বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি মিটিং-মিছিল হয়েছে, কিন্তু এভাবে বাংলাদেশি কায়দায় হিন্দুদের খুন করা হয়নি, ঘরছাড়াও করা হয়নি। রাজনৈতিক মহলের মতে, এভাবে হিংসার আগুন ছড়িয়ে দিয়ে জনতা-জনার্দনের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। নিয়োগ কেলেঙ্কারির কারণে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন এ রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার মানুষ। ওই একই কারণে চাকরি খোয়াতে পারেন আরও প্রায় ৬০ হাজার জন। আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যখন বিরোধীরা হাতে অস্ত্র পেয়ে গেলেন, চাকরিহারারা যখন পথে নামলেন তখনই ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে রাজ্যের একাংশে জ্বালিয়ে দেওয়া হল অশান্তির আগুন! ব্যস, জনতার দৃষ্টি গেল ঘুরে! ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এটা চলতেই থাকবে। কারণ ক্ষমতার চিটে গুড়ে যে পা আটকে গিয়েছে শাসকের!

    হিংসায় মদত শাসকের! (Anti Waqf Protests)

    ফেরা যাক খবরে। জানা গিয়েছে, (সু)পরিকল্পিত এই হিংসায় মদত জুগিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ। রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী দিন কয়েক আগে বলেছিলেন, “জেলাগুলি ফিক্স করার পর মুসলিমরা কলকাতার প্রধান সড়কগুলি অবরোধ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘেরাও করবে।” জমিয়ত উলেমা-ই হিন্দের রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লার এই বক্তব্যের পরেই হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনা শুরু হয় বলে অভিযোগ। অন্যান্য কয়েকজন মুসলিম ধর্মীয় নেতাও উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করেন, যা মুসলিমদের হিন্দুদের ওপর নৃশংস হামলা চালাতে উদ্বুদ্ধ করে। অভিযোগ, তার পরেই জ্বালিয়ে দেওয়া হয় হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দির-বিগ্রহ। হিংসা কবলিত এলাকাগুলির স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, হিন্দু মহিলাদের ওপর যৌন হয়রানির ঘটনাও ঘটেছে। প্রাণ ভয়ে রাতের অন্ধকারে জেলা ছেড়ে ভিন জেলায় আশ্রয় নিয়েছেন হিন্দুরা। আক্ষরিক অর্থেই, নিজভূমে পরবাসী হয়েছেন তাঁরা।

    ইসলামিস্টদের তাণ্ডব

    মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জের জাফরাবাদে শুক্রবার সন্ধে (West Bengal) থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত তাণ্ডব চালায় ইসলামিস্টরা। কুপিয়ে খুন করা হয় (Anti Waqf Protests) প্রতিমাশিল্পী হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর পুত্র চন্দনকে। মুর্শিদাবাদেরই ধুলিয়ানেও ছড়িয়ে পড়ে হিংসার আগুন। শতাধিক হিন্দু বাড়ি ও দোকান আক্রমণ ও ধ্বংস করা হয়। শতাধিক হিন্দু পরিবার নৌকায় করে গঙ্গা পার হয়ে পড়শি জেলা মালদায় আশ্রয় নেয়। রাজ্যের অন্যান্য অংশেও হিন্দুদের ওপর হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে। পূর্বপরিকল্পিত ও সমন্বিতভাবে, ইসলামিস্ট জনতা অন্যান্য কিছু জেলার মুসলিম-অধ্যুষিত অঞ্চলেও হিন্দুদের লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়েছে বলে খবর। পুলিশ প্রথমে দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল। তারপর বোধহয় ওপরতলার নির্দেশে নড়েচড়ে বসে। এর পর ইসলামিস্টরা রেয়াত করেনি পুলিশকেও। পুলিশ কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়, তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। প্রাণ বাঁচাতে কয়েকজন পুলিশকর্মীকে মসজিদেও আশ্রয় নিতে হয়েছে বলে খবর।

    কাঠগড়ায় তোষণের রাজনীতি

    যে পুলিশ সুপরিকল্পিত হিংসা হচ্ছে দেখেও, ঢাল-তরোয়াল নিয়ে বসেছিল, সেই পুলিশই চাকরিহারাদের মিছিলে লাঠি চালিয়েছিল। সদ্য চাকরি খোয়ানো এক শিক্ষককে লাথিও মারতে দেখা গিয়েছে এক পুলিশ কর্মীকে (West Bengal)। এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ধেয়ে আসে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুষ্টিকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে একের পর এক ট্যুইট-বাণ। নেটিজেনদের সিংহভাগের বক্তব্যের নির্যাস, এই সব ঘটনার জন্য দায়ী মমতার তোষণমূলক রাজনীতি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তো বলেই দিয়েছেন, “এই শক্তি প্রদর্শন তাদের ধর্মীয় পরিচয়ের জোরদারকরণ এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদের ঘোষণা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুসলিম তোষণের ফলে মুসলিমরা আইনের কব্জা থেকে রেহাই পেয়েছে বলে মনে করছে (Anti Waqf Protests), আর হিন্দুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।”

    কী বলছেন দিলীপ ঘোষ

    বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবার বলেন, “মুসলিম গোষ্ঠীর হিংসা, হিন্দু ও পুলিশের ওপর তাদের হামলা, এবং মুসলিমদের দ্বারা উস্কানি মূলক স্লোগান—এই সবকিছু পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশের থেকে আলাদা করা কঠিন করে তুলেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মুসলিম আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা উৎসাহিত হয়েছে, যার ফলস্বরূপ হিন্দুরা বাংলায় নিরাপদ নয়। এটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলি থেকে হিন্দুদের তাড়ানোর পরিকল্পনারই অংশ।” তিনি আরও বলেন, “গত সপ্তাহান্তে মুসলিমদের দ্বারা হিন্দুদের ওপর হামলা হিন্দুদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। যদি বাংলার হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ না হয়, তবে যে কোনও দিন বাংলা বাংলাদেশের অংশ হয়ে যাবে। সেই দিন আর খুব বেশি দূরে নেই। তখন হিন্দুদের আর বাংলায় কোনও জায়গাই থাকবে না (Anti Waqf Protests)।”

    রাহুল সিনহার বক্তব্য

    বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। মুসলিমরা দায়মুক্তি নিয়ে হিন্দুদের আক্রমণ ও হত্যা করছে। তারা পুলিশকে আক্রমণ করছে, থানা ও যানবাহনে আগুন দিচ্ছে, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে এবং আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিম ভোটারদের হারাতে চান না বলে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর ফলে মুসলিম সমাজের অপরাধী ও মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি সাহস পেয়েছে (West Bengal)।”

    দিলীপের কটাক্ষ

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি “শান্তি বজায় রাখার” নরম আবেদনকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু ও পুলিশের ওপর হামলা, সম্পত্তি ধ্বংস এবং দাঙ্গা চালানো মুসলিমদের বিরুদ্ধে কঠোর ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে এবং বাংলা হিন্দুদের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হবে।” তিনি বলেন, “কিন্তু এটাও ঠিক, এবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কঠোর ব্যবস্থা নেবেন না। কারণ তিনি জানেন, তা করলে তাঁর সরকার পড়ে যাবে। তিনি তো প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছেন যে মুসলিম সমর্থনের জোরেই তিনি ক্ষমতায় আছেন। তিনি মুসলিমদের কাছে ঋণী (Anti Waqf Protests)।”

    সেলিমের ধরি মাছ না ছুঁই পানি!

    কংগ্রেস হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। সিপিআই(এম)-এর রাজ্য সম্পাদক মহাম্মদ সেলিম বিতর্কের মুখে পড়েছেন এই অভিযোগে যে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি উভয়েই দাঙ্গার জন্য দায়ী। তাঁর দাবি, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের, যাঁকে তিনি “দাঙ্গার মস্তিষ্ক” বলে উল্লেখ করেছেন। শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবি জানালেও, সেলিম সাহেব সিদ্দিকুল্লার মন্তব্য নিয়ে অদ্ভুতভাবে নীরব! হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় সরব হয়েছেন কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী। হিংসার জন্য তিনি দায়ী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে, সুপ্রিম কোর্টের ২৬,০০০ সরকারি স্কুল কর্মী বরখাস্তের আদেশ সৃষ্ট সঙ্কট থেকে মনোযোগ সরাতে হামলা উস্কে দেওয়ার জন্য। তবে তিনি একবারও হিন্দুদের আক্রমণকারী মুসলিমদের নাম নেননি।

    শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য

    এহেন আবহে হিন্দুদের আশ্বস্ত করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আমরা হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করতে এবং হিন্দুদের রাজনৈতিকভাবে সংহত করতে আমাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করব। বাংলার হিন্দুদের এটা বোঝাতে হবে যে সম্প্রদায়টি একটি গুরুতর অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি হয়েছে, এবং হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ না হলে বাংলা আর একটি বাংলাদেশে পরিণত হবে। বাঙালি হিন্দুরা পড়ে থাকবে (West Bengal) কোনও স্বদেশ ছাড়াই! তাই হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোট বিভাজন রুখতে হবে (Anti Waqf Protests)।”

  • Hanuman Jayanti: হনুমান জয়ন্তীতে অভূতপূর্ব কর্মযজ্ঞ! বর্ণাঢ্য আয়োজনে উৎসবের আমেজ

    Hanuman Jayanti: হনুমান জয়ন্তীতে অভূতপূর্ব কর্মযজ্ঞ! বর্ণাঢ্য আয়োজনে উৎসবের আমেজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হনুমান জয়ন্তী (Hanuman Jayanti) উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। বারইপুরের সদাব্রত ঘাটের কাছেই রয়েছে হনুমানজির এই মন্দির। হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। টানা দু’দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এলাকায় উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো।

    বিশেষ পুজো (Hanuman Jayanti)

    শনিবার হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল বিশেষ পুজোর। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই মন্দিরের হনুমানজি ভক্তদের মনস্কামনা পূরণ করেন। তাঁদের কাছে এই মন্দিরের বিগ্রহ অত্যন্ত জাগ্রত। তাই এদিন সকাল থেকেই মন্দিরে কার্যত ভক্তদের ঢল নেমেছিল (West Bengal)। মন্দির কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ছোটদের জন্য বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। স্থানীয় ছেলেমেয়েরা সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় (Hanuman Jayanti)।

    হনুমানজির মহা-অভিষেক

    হনুমান জয়ন্তীর ঠিক আগের দিন মন্দিরে হনুমানজির মহা-অভিষেক হয়। এদিন বিগ্রহকে ডাবের জল, ঘি, মধু ও অন্যান্য ফলের রস দিয়ে মহাস্নান করানো হয়। বিকেলে মন্দির চত্বরে বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের সাহায্য করা হয়। ভক্তিমূলক নানা অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল। ১২ এপ্রিল ছিল হনুমান জয়ন্তী। এদিন সকাল থেকে মন্দিরে হয়েছে বিশেষ পুজোপাঠ। হয়েছে নাম সংকীর্তনও। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসকনের সাধু- সন্ন্যাসীরা। সব মিলিয়ে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে বারইপুরের পুরাতন বাজারের এই এলাকা রীতিমতো উৎসবের আকার নিয়েছিল (Hanuman Jayanti)।

    উদ্যোক্তারা জানান, হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে তাঁদের এই বিশেষ কার্যক্রমের পাশাপাশি বছরভর নানা সামাজিক কর্মসূচিও পালন করেন তাঁরা। বছরের বিভিন্ন সময় গরিব ও দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ান তাঁরা। শীতকালে দুঃস্থদের শীতবস্ত্র বিলি করা হয়। এবার হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে এলাকার গরিব মানুষদের পাশে থাকতে বেশ কিছু কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। এলাকার বহু দুঃস্থ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে মশারি। স্থানীয়দের বিশ্বাস, অপার ভক্তি এবং অসীম শ্রদ্ধায় হনুমানজির কাছে যা চাওয়া যায়, দেবতা তা পূরণ করেন। সেই কারণেই এবারও ব্যাপক ভিড় হয়েছিল (West Bengal) অনুষ্ঠানের দিনগুলোয় (Hanuman Jayanti)।

  • Jyotirmay Singh Mahato: মুর্শিদাবাদে আফস্পা জারির দাবি পুরুলিয়ার সাংসদের, শাহকে চিঠি

    Jyotirmay Singh Mahato: মুর্শিদাবাদে আফস্পা জারির দাবি পুরুলিয়ার সাংসদের, শাহকে চিঠি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার মুর্শিদাবাদে আফস্পা (আর্মড ফোর্স স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট) জারির দাবি তুললেন পুরুলিয়ার সাংসদ বিজেপির জ্যোতির্ময় সিং মাহাত (Jyotirmay Singh Mahato)। পশ্চিমবঙ্গে সীমনাবর্তী এই এলাকায় সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন জারি করা হোক বলে দাবি জানান তিনি। এই এলাকাগুলিকে উপদ্রুত ঘোষণা করে মুর্শিদাবাদ, মালদা, নদিয়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার সীমান্তবর্তী এলাকায় আফস্পা জারির আর্জি জানিয়ে জ্যোতির্ময় চিঠি দিলেন (Anti Waqf Protests) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।

    প্রতিবাদে কার্যত জ্বলছে মুর্শিদাবাদ (Jyotirmay Singh Mahato)

    সংসদে পাশ হয়ে আইনে পরিণত হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫। এই আইনেরই প্রতিবাদে কার্যত জ্বলছে মুর্শিদাবাদ। বাড়িঘরদোরে আগুন লাগানোর পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। নতুন করে আরও একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলেও খবর। এর আগে উপদ্রুত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাইকোর্টের নির্দেশে মুর্শিদাবাদের হিংসা কবলিত এলাকায় নামানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার পরেও এল গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর। এহেন আবহে আফস্পা জারির দাবি তুললেন জ্যোতির্ময়।

    জ্যোতির্ময়ের দাবি

    তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাকে নেহাত অরাজকতা বললে কম বলা হয়। বেছে বেছে হিন্দু সম্প্রদায়কে নিশানা করা হচ্ছে। রাজ্যের তৃণমূল সরকারের তুষ্টিকরণের রাজনীতি এবং প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তাই এজন্য দায়ী।” জ্যোতির্ময়ের অভিযোগ, ‘সংশোধিত ওয়াকফ আইন পাশ হওয়ার পর যেভাবে হিংসা ছড়িয়েছে, তাতে আইনশৃঙ্খলার প্রকৃত রূপ উন্মোচিত হয়ে গিয়েছে সবার সামনে। হিন্দুদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে সশস্ত্র ভিড়, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করছে, এমনকি পুলিশবাহিনীও। কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর নির্দেশ দিয়েছে। এতে প্রশাসনিক ব্যর্থতা স্পষ্ট।’

    কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রস্থানের মিল

    চিঠিতে পুরুলিয়ার সাংসদ লিখেছেন, “ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলতে হচ্ছে, আজ পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের যেভাবে ভীতিপ্রদর্শন করা হচ্ছে, যেভাবে তাঁদের এক ঘরে করা হচ্ছে, যেভাবে তাঁদের ওপর হিংসা প্রয়োগ করা হচ্ছে, তার সঙ্গে ১৯৯০ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রস্থানের মিল পাওয়া যাচ্ছে। এখনই পদক্ষেপ না করলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে, তবে এবার আর উপত্যকায় নয়, বাংলায়।” প্রসঙ্গত, ১৯৫৮ সালের আফস্পা আইন আগেই (Jyotirmay Singh Mahato) কার্যকর করা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর ও মণিপুরের মতো কয়েকটি রাজ্যে। এই আইনের আওতায় বিশেষ ক্ষমতা পায় সেনা। কোনওরকম ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করতে পারে, বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালাতে পারে, বলপ্রয়োগও করতে পারে।

    জ্যোতির্ময়ের বক্তব্য

    জ্যোতির্ময় আরও লিখেছেন (Anti Waqf Protests), “দীর্ঘদিন ধরে বাংলার হিন্দুরা নিঃশব্দে অত্যাচার সহ্য করে আসছেন। কাশ্মীরের মতো বাংলায় পরিস্থিতি হওয়ার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।” চিঠিতে মুর্শিদাবাদের অশান্তির বিক্ষিপ্ত কতগুলি ঘটনাও তুলে ধরেন সাংসদ। তাঁর মতে, এর ফলে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনে আইনশৃঙ্খলা পুনরায় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভবপর হবে। ভবিষ্যতে ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলিকে টার্গেট করার আগে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে এবং হিন্দুরা যে একা নেই, সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়া যাবে (Jyotirmay Singh Mahato)।

    সাংসদের দাবি

    পুরুলিয়ার এই সাংসদের দাবি, সংশোধিত ওয়াকফ আইন বিরোধী হিংসাত্মক বিক্ষোভে মুর্শিদাবাদ জেলায় হিন্দুদের প্রায় ৮৬টি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলেকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঝাউবোনা গ্রামে পানের বরজে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এগুলি হিন্দুদের টার্গেট করে ‘ইকনমিক স্যাবোটেজ’ বলে অভিযোগ করেছেন সাংসদ। জ্যোতির্ময়ের আরও অভিযোগ, মালদা, নদিয়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়ও একই রকম অস্থিরতা (Jyotirmay Singh Mahato) দেখা দিয়েছে, যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের তোষণের রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত বারবার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হিন্দু জনগোষ্ঠীকে দুর্বল ও কণ্ঠহীন করে তুলেছে (Anti Waqf Protests)।

    শাহকে চিঠি জগন্নাথ সরকারেরও 

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারও। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতির বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে এনআইএ তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন এই সাংসদ। জেলায় শান্তি ফেরাতে দ্রুত পদক্ষেপ করার (Jyotirmay Singh Mahato) আর্জিও জানিয়েছেন রানাঘাটের বিধায়ক।

    কী বললেন শুভেন্দু

    এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনা করে শুভেন্দু এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “ধর্মীয়ভাবে পরিচালিত ধর্মান্ধদের ভয়ে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে ৪০০ জনেরও বেশি হিন্দু নদী পার হয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল এবং মালদার বৈষ্ণবনগরের দেওনাপুর-সোভাপুর জিপির পার লালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল।” তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের তোষণের রাজনীতি উগ্রপন্থীদের উৎসাহিত করেছে। হিন্দুদের শিকার করা হচ্ছে, আমাদের লোকেরা তাঁদের নিজের দেশে তাঁদের জীবনের জন্য দৌড়চ্ছেন। আইন-শৃঙ্খলার এই (Anti Waqf Protests) ভাঙনকে অনুমতি দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে ধিক (Jyotirmay Singh Mahato)!”

  • Murshidabad Violence: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে,” মুর্শিদাবাদ হিংসায় বললেন সুকান্ত

    Murshidabad Violence: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে,” মুর্শিদাবাদ হিংসায় বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই (মুর্শিদাবাদের) পরিস্থিতি (Murshidabad Violence) এমন হয়েছে।” শনিবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ঠিক এই ভাষায়ই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে মুর্শিদাবাদে ঘটে চলা হিংসার প্রেক্ষিতে সুকান্তর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটব্যাংক রাজনীতির জন্য রাজ্যকে জিহাদিদের হাতে তুলে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যদি তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) ক্ষমতায় থাকেন, তাহলে রাজ্যে আরও একটা গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংসের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে।”

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গালে এক বিরাট থাপ্পড়! (Murshidabad Violence)

    সুকান্ত বলেন, “পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ রায় দিয়েছে, এবং আমরা তাকে স্বাগত জানাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে। হাইকোর্টের আজকের রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গালে এক বিরাট থাপ্পড় – যে তিনি রাজ্য শাসনের জন্য প্রস্তুত নন। তিনি এই রাজ্য শাসনের অযোগ্য।”

    মুসলমানদের জন্য খোলা ছাড়!

    সাম্প্রদায়িক হিংসার সময় রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সুকান্তর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরদারিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকে। তিনি (Murshidabad Violence) বলেন, “পুলিশ তাঁর নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ মুসলমানদের জন্য খোলা ছাড় দিচ্ছে। এই সময়ে তারা লুটপাট করতে পারে, মহিলাদের সঙ্গে অসদাচরণ করতে পারে, হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর করতে পারে এবং ইচ্ছেমতো সব করতে পারে। পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকে। পুলিশের ওপর হামলা হয়েছিল, গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।” বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, “আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাংক রাজনীতির জন্য সমগ্র পশ্চিমবঙ্গকে জিহাদিদের হাতে তুলে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে কলকাতা হত্যাকাণ্ডের মতো আরও একটি ঘটনা ঘটবে।”

    প্রসঙ্গত, শনিবারই পশ্চিমবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার আইজি কর্নি সিং শেখাওয়াত জানিয়েছিলেন, রাজ্য পুলিশের অপারেশনে সাহায্য করতে তারা পাঁচ কোম্পানি সেনা (BJP) মোতায়েন করেছে। তিনি বলেন, “বিএসএফ পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে এবং অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনে আরও বাহিনী পাঠানোর প্রস্তুতি রয়েছে।” গত ৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী আইন (Murshidabad Violence)।

  • Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত শুভেন্দুর, কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত শুভেন্দুর, কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবারই হিংসা কবলিত মুর্শিদাবাদে (Violence Hit Murshidabad) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। সেই কারণেই কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানান শুভেন্দু। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “রাজ্যপাল, মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। আমি মুখ্যমন্ত্রীকেও অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি শুনলেন না। তাই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। কলকাতা হাইকোর্টের প্রতি আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আদালতের এই সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই।”

    কী বললেন শুভেন্দুর আইনজীবী

    প্রসঙ্গত, শনিবার (Suvendu Adhikari) হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় ঘটা সংঘর্ষ ও তিনজনের প্রাণহানির ঘটনার প্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয়। এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী অনীশ মুখার্জি। তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে, বিশেষত মুর্শিদাবাদে, হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। অধিকারী একটি জনস্বার্থ মামলার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “রাজ্যজুড়ে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ অপরিহার্য ছিল।”

    হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ

    হাইকোর্ট মমতা সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার উভয়কেই পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৭ এপ্রিল। আদালতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “মামলাটি শুনানির পর আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী অবিলম্বে মোতায়েন করতে হবে। রাজ্য প্রশাসন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সহায়তা করবে যাতে প্রাণহানি, আইন লঙ্ঘন বা কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে। এই জনস্বার্থ মামলাটি হাইকোর্ট গ্রহণ করেছে এবং ১৭ এপ্রিল এর আবার শুনানি হবে, যেখানে রাজ্য ও কেন্দ্র উভয়ই তাদের অবস্থান (Violence Hit Murshidabad) স্পষ্ট করে হলফনামা জমা দেবে।” এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, জেলায় ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন বিরোধী উত্তেজনার জেরে শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একাধিক যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বর্তমানে (Suvendu Adhikari) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

LinkedIn
Share