Tag: West Bengal news

West Bengal news

  • ED Raid: ‘‘ব্যাগ গোছাতে শুরু করুন’’, ইডি হানায় খোঁচা শুভেন্দুর, ‘‘খেলা শুরু হয়েছে’’, কটাক্ষ দিলীপের

    ED Raid: ‘‘ব্যাগ গোছাতে শুরু করুন’’, ইডি হানায় খোঁচা শুভেন্দুর, ‘‘খেলা শুরু হয়েছে’’, কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর নিয়োগ দুর্নীতি (Municipality Recruitment Scam) মামলায় শুক্রবার সকালে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিধায়ক, কাউন্সিলরদের বাড়িতে হানা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। সব জায়গায় একযোগে চলছে তল্লাশি (ED Raid)। এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাল প্রধান বিরোধী দল বিজেপি (BJP)। একদিকে যেমন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা খোঁচা দিয়ে বললেন, ‘‘ব্যাগ গোছাতে শুরু করুন’’। অন্যদিকে, দলেরই আরেক নেতা তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘খেলা শুরু হয়েছে’’। 

    আরও পড়ুন: পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী সুজিত বসু, বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে হানা ইডি-র

    ইডি হানায় তৃণমূলকে কটাক্ষ শুভেন্দু-দিলীপের

    শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘‘ইডি আধিকারিকরা তথ্য প্রমাণ পেয়েছে বলেই আজকের এই পুণ্য দিনে পুণ্য কাজ করতে বেরিয়ে পড়েছে।’’ তিনি অভিযোগ করেন, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু সরাসরি পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে (Municipality Recruitment Scam) যুক্ত। শুভেন্দু বলেন, ‘‘সুজিত বসুর দুই ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, দুই শ্যালকের দুই স্ত্রী কামারহাটিতে পুরসভায় চাকরি পেয়েছে। ব্যাগ গোছাতে শুরু করুন। সঙ্গে শীতের জিনিসও রাখবেন।’’ গেরুয়া শিবিরের আরেক নেতা তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষও খোঁচা দেন। তিনি বলেন, ‘‘স্লোগান শুনতাম খেলা হবে, খেলা হবে। কবে হবে? এখন খেলা শুরু হয়েছে। খেলা চলবে। এই যে দুর্নীতি রন্দ্রে রন্ধ্রে ছেয়ে গেছে পশ্চিমবাংলায় যারা করেছে তারা তো ছাড় পাবে না। দুর্নীতি মুক্ত বাংলা করার জন্য যে লড়াই চলছে, তা চলতে থাকবে।’’

    তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-বিধায়কদের বাড়িতে অভিযান

    পুর নিয়োগ দুর্নীতি (Municipality Recruitment Scam) মামলায় শুক্রবার সাতসকালে রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রী-বিধায়ক-কাউন্সিলরের বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডির (ED Raid) একাধিক দল একদিকে, রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর (Sujit Bose) লেকটাউনের দু’টি বাড়িতে হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। অন্যদিকে, বউবাজারে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের (Tapas Roy) বাড়িতেও উপস্থিত হয়েছে একটি টিম। সেখানেও চলছে তল্লাশি। পাশাপাশি, বিরাটির খলিসাকোটা পল্লীতে উত্তর দমদম পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সলির সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডি। সব জায়গায় একযোগে চলছে অভিযান। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raid: পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী সুজিত বসু, বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে হানা ইডি-র

    ED Raid: পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী সুজিত বসু, বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে হানা ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enfocement Directorate)। শুক্রবার সাতসকালে রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রী-বিধায়ক-কাউন্সিলরের বাড়িতে হানা দিল ইডির একাধিক দল (ED Raid)। একদিকে, রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর (Sujit Bose) লেকটাউনের দু’টি বাড়িতে হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। অন্যদিকে, বউবাজারে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের (Tapas Roy) বাড়িতেও উপস্থিত হয়েছে একটি টিম। সেখানেও চলছে তল্লাশি। পাশাপাশি, বিরাটির খলিসাকোটা পল্লীতে উত্তর দমদম পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সলির সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতেও আজ হানা দিয়েছে ইডি। সব জায়গায় একযোগে চলছে অভিযান। 

    শ্রীভূমিতে সুজিতের বাড়িতে হানা

    এদিন সকাল সাতটা নাগাদ লেকটাউনে মন্ত্রী সুজিত বসুর (Sujit Bose) দুটি বাড়িতে হানা দেয় ইডি (ED Raid)। মন্ত্রীর বাড়ি বাইরে থেকে ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সুজিতের বাড়ির নীচে এসে পৌঁছে যায় পুলিশও। এর আগে পুর নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের সূত্রে সুজিতকে তলব করেছিল অন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। গত বছরের ৩১ অগাস্ট তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। কিন্তু., তিনি হাজিরা দেননি। ২০১৬ সালে দক্ষিণ দমদম পুরসভার উপপ্রধান ছিলেন সুজিত। সেই সময় পুর নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছিল বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    বউবাজারে তাপসের বাড়িতে অভিযান

    সূত্রের খবর, বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপসের (Tapas Roy) বউবাজারের বাড়িতে অভিযান শুরু করে ইডি (ED Raid)। বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের ওই বাড়ির দুদিকের দরজাই বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর প্রবেশ করতে পারেন ইডি আধিকারিকরা। পরে গেট খুলে দেওয়া হয়। শাসকদলের এই বর্ষীয়ান নেতা বরানগরের বিধায়ক সেই ২০১১ সাল থেকে।  তিনি দলের দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতিও বটে।

    বিরাটিতে সুবোধের বাড়িতেও তল্লাশি

    অভিযান (ED Raid) চলছে উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতেও।  উত্তর দমদম পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সলির সুবোধের বাড়ি বিরাটির খলিসাকোটা পল্লীতে। সূত্রের খবর, পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ফোন জমা রেখে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। সুবোধের বাড়ির চার পাশেও মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্যের ৬০টি পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তাতে নাম জড়িয়েছে উত্তর দমদম পুরসভার।  সেই সূত্রেই এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে।  

    গত ১৯ মার্চ নিয়োগ মামলায় অয়ন শীলকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। ইডির তরফে দাবি করা হয়, অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট মেলে। ইডি সূত্রের খবর, সেখানে একটি ফোল্ডার পাওয়া গিয়েছিল। ফোল্ডারে ছিল একটি নামের তালিকা। তাতেই সুজিত বসু, তাপস রায়, সুবোধ চক্রবর্তীদের নাম রয়েছে বলে ইডি সূত্রের দাবি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: সন্দেশখালির ‘বাঘ’কে ধরতে জাল পাতছে ইডি, হাত মেলাল এনআইএ, আয়কর, বিএসএফ-ও

    Sheikh Shahjahan: সন্দেশখালির ‘বাঘ’কে ধরতে জাল পাতছে ইডি, হাত মেলাল এনআইএ, আয়কর, বিএসএফ-ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেখতে দেখতে ৬ দিন পার! এখনও অধরা সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। কোন ডেরায় তিনি ঘাপটি মেরে বসে আছেন, মেলেনি তার খোঁজ। তবে, বসে নেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ধীরে ধীরে জাল বিছোতে শুরু করে দিয়েছে তারা। আর এই কাজে তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিএসএফ থেকে শুরু করে এনআইএ, এমনকী আয়কর দফতরও।

    শাহজাহানকে নিয়ে নতুনভাবে ব্লু-প্রিন্ট

    রেশন দুর্নীতির তদন্তে গত শুক্রবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) সরবেরিয়াতে শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) ডেরায় অভিযানে গিয়েছিল ইডি। সেখানেই তাদের ওপর হামলা হয়। শাহজাহানের অনুগামীরা বাঁশ, লাঠি ও ইট দিয়ে হামলা চালায় ইডি অফিসার ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর। হামলার জেরে মাথা ফেটে যায় ৩ ইডি আধিকারিকের। ক্ষতিগ্রস্ত হয় তদন্তকারী সংস্থার গাড়ি। সেদিনকার মতো সন্দেশখালি থেকে খালি হাতে চলে এলেও, শাহজাহানকে ধরতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে ইডি। নতুনভাবে ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: কলকাতায় ইডির ডিরেক্টর, বৈঠক করলেন রাজ্যপালের সঙ্গেও

    সমন্বয় বৃদ্ধি ও নিখুঁত গ্রাউন্ড রিপোর্টে জোর

    মঙ্গলবারই, কলকাতায় এসেছিলেন ইডি-র ডিরেক্টর রাহুল নবীন। এখানকার আঞ্চলিক আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। পরবর্তী পদক্ষেপ কীভাবে করতে হবে, কীভাবে এগোতে হবে তদন্তে, সেই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, নিজেদের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যে এলাকায় অভিযান হবে আগে সেই এলাকার নিখুঁত গ্রাউন্ড রিপোর্ট তৈরি করারও নির্দেশ দিয়েছেন ডেপুটিদের।

    ইডিকে সাহায্যের আশ্বাস বাকি কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির

    এর পাশাপাশি, দ্বিতীয় বৈঠক রাহুল নবীন করেন অন্যান্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এবং নিরাপত্তা সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, সিজিও কমপ্লেক্সে সিআইএসএফ, সিআরপিএফ, বিএসএফ, আয়কর ও এনআইএ-র প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন ইডি ডিরেক্টর। প্রত্যেক এজেন্সির থেকে বিভিন্নভাবে সাহায্যের অনুরোধ করেন। সূত্রের খবর, প্রত্যেকটি এজেন্সি ইডিকে যথাসাধ্য সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: “রাজ্যের হাতে ধরা দিলে পুলিশ শাহজাহানকে লাশ বানিয়ে দিতে পারে”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    নতুন করে জাল বিছানোর কাজ শুরু

    এর পরই, শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) ধরতে জাল বিছানোর কাজ নতুন করে শুরু করেছে ইডি। তবে, এবার একা নয়। এই কাজে তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিএসএফ থেকে শুরু করে এনআইএ, এমনকী আয়কর দফতরও। জানা যাচ্ছে, সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) হল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা। তাই সেখানে বিএসএফ-এর বিচরণ। শাহজাহান যাতে স্থল বা জলসীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে না পৌঁছতে পারে, তার জন্য বিএসএফ সতর্ক। শাহজাহানের নামে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। তা হাতিয়ার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-কে সতর্ক করা হয়েছে। অন্যদিকে, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে আগে অভিযোগ উঠেছিল শাহজাহানের বিরুদ্ধে। মানব পাচার যোগ খতিয়ে দেখবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। শাহজাহানের আর্থিক হাল হকিকত নিয়ে তথ্য সংগ্রহে আয়কর দফতর। 

    ‘বাঘের’ ধরা পড়াটা এখন সময়ের অপেক্ষা

    ফলে, এজেন্সির ফাঁসে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। ধীরে ধীরে তাকে ঘিরে ফেলছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। শেখ শাহজাহানকে তাঁর অনুগামীরা ‘বাঘ’ বলে ডাকেন। অনুগামীদের মতে, শাহাজাহান নাকি হলেন ‘প্রকৃত সুন্দরবনের বাঘ’। আবার স্থানীয় একাংশ মানুষের কাছে, তিনি ছিলেন ‘মূর্তিমান ত্রাস’। আতঙ্কের অপর নাম। তাঁর অত্য়াচার দিনের পর দিন সহ্য করতে হয়েছে সেখানকার গরিব সাধারণকে। এখন সেই ‘বাঘ’, সেই ‘মূর্তিমান ত্রাস’ এখন বেপাত্তা। তবে, বেশিদিন নয়। শেখ শাহাজাহানকে ধরতে এবার সঠিক জাল বিছিয়েছে ইডি। সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) ‘বাঘের’ ধরা পড়াটা এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: কলকাতায় এলেন ইডি ডিরেক্টর, মঙ্গলে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত?

    Sandeshkhali Incident: কলকাতায় এলেন ইডি ডিরেক্টর, মঙ্গলে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনার পর পরবর্তী পদক্ষেপ কী নেওয়া হবে, তা স্থির করতে রাজ্যে এলেন সংস্থার ডিরেক্টর রাহুল নবীন। সোমবার রাতে কলকাতায় পা রাখেন তিনি। তাঁর সঙ্গে এসেছেন আরও কয়েকজন উচ্চ পদস্থ অফিসার। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে সল্টলেকের ইডি দফতরে শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে পরবর্তী পদক্ষেপের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করবেন।

    সন্দেশখালি ও বনগাঁয় ইডি-র ওপর হামলা

    রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনায় হানা দিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। প্রথমে সকালে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) এবং বিকেলে ওই জেলারই বনগাঁয় একইদিনে দু’বার আক্রান্ত হতে হয় ইডিকে। ওইদিন ভোরে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়েছিল ইডি (Enforcement Directorate)। সেইসময় তাঁদের ঘিরে ধরে প্রায় হাজার খানেক মানুষ। ইডি ও বাহিনীর ওপর চলে হামলা। গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। হামলার ঘটনায় মাথা ফাটে তিনজন ইডি অফিসারের। অন্যদিকে, রাতে বনগাঁয় তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করার পর ইডির গাড়িতে হামলা চালানো হয়।

    এখনও বেপাত্তা শেখ শাহজাহান… 

    এদিকে, ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা জেলবন্দি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। কখনও জানা যাচ্ছে, তিনি বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছেন। আবার কখনও শোনা যাচ্ছে, তিনি সুন্দরবন অঞ্চলে কোথাও একটা ঘাপ্টি মেরে বসে রয়েছেন। তাঁর খোঁজে আইবি এবং বিএসএফের সাহায্য নিচ্ছে ইডি (Enforcement Directorate), এমনটাই খবর সূত্রের। সন্দেশখালির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ঘটনার পর চারদিন কেটে গেলেও, এখনও কেন শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হল না, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

    কোনও বড় অভিযানের অপেক্ষায় ইডি?

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) ও বনগাঁ— এই জোড়া হামলার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে তো বটেই, আলোড়ন ফেলে দেয় কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেও। হামলার পর, ইডি বিষয়টা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, সংস্থাক শীর্ষ কর্তার রাজ্যে আগমন ইঙ্গিতবাহী। সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকে শাহজাহানকে পাকড়াও করার পাশাপাশি, এই দুর্নীতিকাণ্ডে শিকড়ে পৌঁছতে যা যা করণীয় এবং তার জন্য তদন্তকারী সংস্থার যা যা প্রয়োজন— সব কিছুই দেওয়ার আশ্বাস নিয়ে হাজির হয়েছেন রাহুল নবীন। ইডি (Enforcement Directorate) আধিকারিকদের কার্যত ‘ফ্রি-হ্যান্ড’ দিতে পারেন, যাতে তাদের মনোবল চাঙ্গা হতে পারে। সিজিও কমপ্লেক্স চত্বরে জোর জল্পনা— শীঘ্রই কোনও বড় পদক্ষেপ করতে পার ইডি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: রেশন দুর্নীতির অভিযানে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে গিয়ে আক্রান্ত ইডি

    Ration Scam: রেশন দুর্নীতির অভিযানে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে গিয়ে আক্রান্ত ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত ইডি। স্থানীয় তৃণমূল নেতার অনুগামীদের রোষের মুখে পড়লেন ইডি অফিসরা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। মারমুখী জনতার হাত থেকে কোনও ক্রমে রক্ষা পান ইডি আধিকারিকরা। 

    বালু-ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে অভিযান

    রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) তদন্তে শুক্রবার সকালে রাজ্যের একাধিক জায়াগায় হানা দিয়ে ইডি-র বিভিন্ন দল। একটি দল গিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে। সেখানে বালু-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের সরবেড়িয়ার বাড়িতে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আধিকারিকরা। শাহজাহান উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ। একই সঙ্গে সন্দেশখালি ১-ব্লকের তৃণমূল সভাপতিও।

    শাহজাহান শেখের অনুগামীদের বিক্ষোভ

    জানা গিয়েছে, বহু ডাকাডাকির পরও শাহজাহানের বাড়ি থেকে কারও সাড়া পাননি ইডির আধিকারিকরা। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর সেই বাড়ির তালা ভাঙার চেষ্টা করেন ইডির (Enforcement Directorate) তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেই সময়েই বেশ কয়েক জন স্থানীয় ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। তাঁরা নিজেদের তৃণমূল নেতার অনুগামী পরিচয় দিয়ে ইডি আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ইডি আধিকারিও বাহিনীর জওয়ানদের ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেওয়া হয়। প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। 

    ২ ইডি আধিকারিকের মাথা ফেটেছে

    ইডি আধিকারিকরা সেখান থেকে বেরিয়ে যেতেই কেন্দ্রীয় আধিকারিক (Enforcement Directorate) ও বাহিনীকে দেখেই রণংদেহি আকার ধারণ করে নেতার অনুগামীরা। বেশ কয়েকটি রাস্তা কাঠের গুঁড়ি দিয়ে অবরোধ করা হয়। টায়ারে আগুন ধরিয়ে প্রতিবাদ করতেও দেখা যায় একাংশকে। এরা পাশাপাশি, ইট-পাটকেল হাতে রাস্তায় নামেন বেশ কয়েক জন। মুহুর্মুহু ইট পড়তে থাকেন ইডি ও বাহিনীর গাড়ির ওপর। দুই আধিকারিকের মাথা ফেটে যায়। আক্রান্ত এক ইডি আধিকারিক বলেন, “আচমকা হামলা শুরু হল। তাতেই ২জনের মাথা ফেটেছে। আমরা ফিরে যাচ্ছি।”

    আরও এক বালু-ঘনিষ্ঠ শঙ্কেরর ডেরায় ইডি

    একই সময়ে ইডির (Enforcement Directorate) আর একটি তদন্তকারী দল উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর শ্বশুরবাড়িতে হানা (Ration Scam) দেয়। বনগাঁর শিমূলতলায় তৃণমূল নেতার শ্বশুর বিনয়কুমার ঘোষের বাড়ি। সেই বাড়িতেই তল্লাশি অভিযান শুরু করে ইডি। পরে কলকাতাক ইএম বাইপাসে শঙ্করের বাড়িতেও হানা দেন ইডি আধিকারিকেরা। শঙ্কর এবং শাহজাহান, দু’জনেই প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (বালু)-র ‘ঘনিষ্ঠ’।

    ১২ জায়গায় একযোগে হানা ইডির

    ইডি সূত্রে খবর, রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) তদন্তে এদিন বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে মোট ১২টি জায়গায় হানা দেয় ইডি (Enforcement Directorate)। কলকাতার এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। গোপাল মল্লিক নামে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। তবে এক্ষেত্রে বাড়ির ভেতরে লোক থাকলেও কেউ দরজা খুলছেন না বলে অভিযোগ। বিজয়গরের একটি আবাসনেও হানা দিয়েছেন তদন্তকারীরা। কল্যাণ সিংহ রায় নামে ওই ব্যক্তি পেশায় চাটাড একাউন্টে। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: খুলবে রহস্যের জাল! ‘কালীঘাটের কাকু’-র কণ্ঠস্বর কেন ইডি-র কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল?

    Kalighater Kaku: খুলবে রহস্যের জাল! ‘কালীঘাটের কাকু’-র কণ্ঠস্বর কেন ইডি-র কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাড়ে চার মাসের অপেক্ষার অবসান। দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালানোর পর অবশেষে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (Recruitment Scam) অন্যতম অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’-র (Kalighater Kaku) ভয়েস স্যাম্পল হাতে পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কতটা তাৎপর্যপূর্ণ এই ঘটনা? তদন্তেই বা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এই কণ্ঠস্বর নমুনা?

    অগাস্ট থেকে এসএসকেএমেই ঠিকানা ‘কাকু’র

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (Recruitment Scam) স্বার্থে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-র কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেটা গত বছরের অগাস্ট মাস। সেই মাসেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। তার পর ২২ অগাস্ট থেকে ‘কালীঘাটের কাকু’-র ঠিকানা হয়ে যায় এসএসকেএম হাসপাতাল। কখনও তাঁর ঠাঁই হয় হাসপাতালের আইসিসিইউ বেডে তো কখনও কার্ডিওলজি বিভাগে। সেই থেকে প্রায় সাড়ে চার মাস ওই বিভাগের একটি শয্যা দখল করে রয়েছেন ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku)। 

    ‘কাকু’-র কণ্ঠ পেতে মরিয়া ছিল ইডি

    সুজয়কৃষ্ণর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল ইডি। তদন্তকারীরা জানতেন, তদন্তের স্বার্থে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, গ্রেফতারের পর দীর্ঘ চার মাসেরও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে ইডি-কে। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও এতদিন তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা এতদিন সংগ্রহ করতে পারেনি ইডি৷ কারণ, শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ‘কাকু’ (Kalighater Kaku)। বার বার এসএসকেএমে গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে ইডিকে। এমনকী, ডিসেম্বরের শুরুতে জোকা থেকে অ্যাম্বুল্যান্স গিয়েও ফিরে এসেছিল। 

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে মুখ খুললেন ‘কালীঘাটের কাকু’, কণ্ঠস্বরের নমুনা হাতে পেল ইডি

    ‘কাকু’কে আড়াল করছে এসএসকেএম!

    এই প্রেক্ষিতে, ফের আদালতের দ্বারস্থ হয় তদন্তকারী সংস্থা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাদের দাবি ছিল, ‘কাকু’-কে আড়াল করছে এসএসকেএম। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ ছিল, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অবস্থার দোহাই দিয়ে বার বার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে বাধা সৃষ্টি করছিল এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ৷ ইচ্ছে করেই তাঁর স্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এর পরই হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ইএসআই হাসপাতালে ‘কাকু’কে নিয়ে গিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করা হোক। ২ জানুয়ারি কণ্ঠস্বরের নমুনার উপর ফের জোর দেয় আদালত। ফলস্বরূপ, বুধবার মধ্যরাতে জোকা ইএসআই হাসপাতালে হয় ‘কাকু’র (Kalighater Kaku) কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ। যা তদন্তের (Recruitment Scam) গতিপ্রকৃতি স্থির করতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

    ১০০ শতাংশ বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়া

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট ভীষণই বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়া। তাঁরা জানান, ডিএনএ স্যাম্পেলিং, রেটিনাল ম্যাপিং কিংবা ফিঙ্গারপ্রিন্ট অ্যানালিসিস-এর মতোই শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া হিসেবে ১০০ শতাংশ বিজ্ঞানসম্মত এই ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট।  সূত্রের খবর, এবার সুজয়কৃষ্ণর এই কণ্ঠস্বরের নমুনা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ যার ফলাফলের উপর নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের (Recruitment Scam) ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে বলে ওয়াকিবহল মহলের মত৷ তদন্তকারীদের ধারণা, সেখান থেকেই অনেক রহস্যের উন্মোচন হবে (Kalighater Kaku)। 

    কথোপকথন পরীক্ষা করা হবে…

    ইডি সূত্রর দাবি, নিয়োগ মামলার তদন্তে (Recruitment Scam) এই পরীক্ষা অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে বিশ্বাস। গোয়েন্দাদের মতে, এই নমুনা তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। ইডি সূত্রের দাবি, তদন্ত করতে গিয়ে যেদিন সুজয়কৃ্ষ্ণর বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি, সেদিনই বিষ্ণুপুর থানায় কর্মরত ‘কাকু’-র ঘনিষ্ঠ রাহুল বেরা নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতেও পৌঁছেছিল তদন্তকারী দল। ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের ফোন বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। সেখান থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। তার মধ্য়ে ছিল একটি কথোপকথন। ইডির দাবি, অডিও ক্লিপিংয়ে শোনা যাচ্ছে, রাহুলকে বলা হচ্ছে, মোবাইলে থাকা নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য মুছে ফেলো। ইডি-র দাবি, বক্তা আর কেউ নন, ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সেই জন্যই এই কণ্ঠস্বর পাওয়া এত জরুরি ছিল ইডি-র কাছে, চ্যালেঞ্জও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: মধ্যরাতে মুখ খুললেন ‘কালীঘাটের কাকু’, কণ্ঠস্বরের নমুনা হাতে পেল ইডি

    Kalighater Kaku: মধ্যরাতে মুখ খুললেন ‘কালীঘাটের কাকু’, কণ্ঠস্বরের নমুনা হাতে পেল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ টালবাহানা, টানাপোড়েন পেরিয়ে প্রায় সাড়ে চার মাস পর অবশেষে নিয়োগকাণ্ডের (Recruitment Scam) অন্যতম অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে সক্ষম হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) বা ইডি। বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া চরম নাটকের যবনিকা পড়ল বৃহস্পতিবার ভোররাতে।

    মুখে মাস্ক, গায়ে চাদর চাপিয়ে বের হন ‘কাকু’

    বুধবার রাত ৯.৫০ নাগাদ হাসপাতাল থেকে বের করা হয় ‘কালীঘাটের কাকু’কে। এসএসকেএমের হৃদরোগ বিভাগের কেবিন থেকে খয়েরি রঙের চাদর মুড়ি দিয়ে বের হয়েছিলেন ‘কাকু’ (Kalighater Kaku)। মুখে ছিল মাস্ক। হুইলচেয়ারে করে তাঁকে তোলা হয় অ্যাম্বুল্যান্সে। আদালতের নির্দেশ মতো, তাঁকে সোজা আনা হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। আগে থেকেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল জোকা ইএসআই হাসপাতালে তৈরি ছিল৷ মেডিক্যাল পরীক্ষার পর সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ 

    ভয়েস দিতে রাজি হচ্ছিলেন না ‘কাকু’

    সূত্রের খবর, তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে এদিনও যথেষ্ঠ বেগ পেতে হয়েছে তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা ইডি-কে (Enforcement Directorate)। প্রথম দিকে প্রায় একঘণ্টা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য রাত পৌনে একটা নাগাদ চিকিৎসক এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের নির্দেশ মতো বাক্যগুলি বলতে রাজি হন ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku)৷ দীর্ঘ সময় ধরে সেখানে চলে তাঁর ‘ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট’ এর প্রক্রিয়া। জানা গিয়েছে, ‘কাকু’র মুখ দিয়ে তিনটি বাক্য বার বার বলানো হয়। সেগুলি হল— ‘আপনার নাম কী?’, ‘আপনার স্ত্রীর নাম কী?’ এবং ‘আমার সাহেবকে কেউ ছুঁতে পারবে না’৷

    এসএসকেএমে ফিরলেন ভোর রাতে…

    শেষে রাত্রি ২টো বেজে ৫০ মিনিট নাগাদ জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে ‘কাকু’কে (Kalighater Kaku) সঙ্গে নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স ফের রওনা দেয় এসএসকেএমের উদ্দেশে। সেখানেও ফিরেও একপ্রস্থ নাটক হয়। গেট বন্ধ থাকায় কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় ‘কাকুকে’। অবশেষে ভোর ৩টে ২০ নাগাদ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় তাঁকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shah-Nadda in Kolkata: লক্ষ্য ২০২৪! লোকসভা ভোটের রণকৌশল স্থির করতে কলকাতায় শাহ-নাড্ডা

    Shah-Nadda in Kolkata: লক্ষ্য ২০২৪! লোকসভা ভোটের রণকৌশল স্থির করতে কলকাতায় শাহ-নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাখির চোখ ২০২৪ নির্বাচন। সেই লক্ষ্যপূরণে বছর শেষের আগেই বঙ্গ-সফরে এলেন অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডা। বড়দিনের রাতেই কলকাতায় পা রাখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি। আজ দিনভর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে দুজনেরই। তবে, প্রধান অবশ্যই বঙ্গ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক। যেখানে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল কী হবে তা রাজ্য নেতৃত্বকে বুঝিয়ে দেবেন তাঁরা।

    বড়দিনের রাতেই শহরে শাহ-নাড্ডা

    গোটা তিলোত্তমা যখন বড়দিনের আনন্দে মশগুল, তখনই বড় লড়াইয়ের প্রস্তুতি সারতে কলকাতায় এলেন শাহ-নাড্ডা। সোমবার প্রায় রাত পৌনে একটা নাগাদ (ইংরেজি ক্যালেন্ডারের পাতায় মঙ্গলবার) বিশেষ বিমানে করে দমদম বিমানবন্দরে একসঙ্গে এসে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বিমানবন্দরে তাঁদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল-সহ রাজ্য বিজেপি নেতৃবৃন্দ। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি নিউটাউনের হোটেলে পৌঁছন শাহ-নাড্ডা। সেখানেই রাত্রিবাস করেন দুজনে।

    দিনভর কর্মসূচি শাহ-নাড্ডার…

    আজ, মঙ্গলবার একাধিক কর্মসূচি রয়েছে শাহ-নাড্ডার। বিজেপি সূত্রে খবর, সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁরা প্রথমে যাবেন জোড়াসাঁকোর গুরুদ্বারে। সেখান থেকে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ কালীঘাট মন্দিরে যাবেন এবং পুজো দেবেন তাঁরা। জানা যাচ্ছে, তাঁদের সঙ্গে কালীঘাট মন্দিরে যেতে পারেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীর মতো রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। 

    মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর তাঁরা নিউটাউনের হোটেলে ফিরে যাবেন এবং সেখানেই দুপুর ১টা নাগাদ রাজ্য নেতৃত্বের কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। তারপর ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে দলের সোশ্যাল মিডিয়ার ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেবেন শাহ ও নাড্ডা। এরপর ফের নিউটাউনের হোটেলে ফিরে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তাঁরা। তা শেষে সন্ধ্যে ৬টার বিমানে তাঁরা ফিরে যাবেন দিল্লিতে।

    চব্বিশে টার্গেট ৩৫

    ২০১৯ লোকসভা ভোটে, রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১৮টিতে জিতেছিল বিজেপি। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে এরাজ্য থেকে ৩৫টি আসন জেতার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে বিজেপি। সোমবার সে কথা জানিয়েও দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “লোকসভা ভোটে বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে ৩৫টি আসন জয় করার লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহজি। আমরা এই লক্ষ্যমাত্রা মাথায় রেখে এগোচ্ছি।” দলীয় কর্মীদের এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের রণকৌশল স্থির করতেই শাহ ও নাড্ডার এবারের কলকাতা সফর বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    টার্গেট পূরণের লক্ষ্যে পদক্ষেপ

    টার্গেট পূরণের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ৪টে করে আসন পিছু একজন স্পেশাল অবজার্ভার নিয়োগ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা তৈরি করা হয়েছে। বিজেপি সূত্রে দাবি, কোন কোন কেন্দ্রগুলোতে বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা আছে, কোথায় ভাল লড়াই দেওয়ার জন্য তারা প্রস্তুত কোথায় সেই সম্ভাবনা কম, তার ভিত্তিতেই কেন্দ্র ধরে ধরে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে, যা এদিন কোর কমিটির বৈঠকে পেশ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: ‘‘ভিক্ষা চাইছি না’’! মমতার ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান আন্দোলনকারীদের

    Mamata Banerjee: ‘‘ভিক্ষা চাইছি না’’! মমতার ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান আন্দোলনকারীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ডিএ বৃদ্ধিকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করলেন বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনরত রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। তাঁদের সাফ জবাব, সরকারের থেকে তাঁরা ভিক্ষা চাইছেন না। একইসঙ্গে তাঁদের নবান্ন অভিযান কর্মসূচি যে বহাল থাকবে, তাও জানিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা (Bengal DA Agitation)।

    ঘোষণায় কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী

    বৃহস্পতিবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সেখান থেকে মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি নিয়ে ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে বর্ধিত হারে মহার্ঘভাতা মিলবে। ৪ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে ডিএ। এত দিন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ৬ শতাংশ হারে ডিএ পেতেন। বৃহস্পতিবারের ঘোষণার পর থেকে তাঁরা পাবেন ১০ শতাংশ হারে ডিএ। মুখ্যমন্ত্রী এই ঘোষণাকে তাঁর বড়দিন ও নতুন বছরের উপহার হিসেবেও উল্লেখ করেন।

     

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ভর্ৎসিত রাজ্য, নবান্ন বাসস্ট্যান্ডের সামনেই ডিএ নিয়ে ধর্নার অনুমতি

    ঘোষণা পত্রপাঠ খারিজ আন্দোলনকারীদের

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) এই ঘোষণায় খুশি হওয়া তো দূর, উল্টে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে পত্রপাঠ বিদায় করেন ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলনরত কর্মচারীরা (Bengal DA Agitation)। তাঁদের যুক্তি, এতে কিছুই লাভের লাভ হবে না। কারণ, বর্তমানে ৪৪ শতাংশ হারে ডিএ পান কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। অর্থাৎ, ডিএ-তে কেন্দ্র-রাজ্য ব‍্যবধান ৪০ শতাশ। এদিন ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে, ব্যবধান কমলেও তাও দাঁড়াবে ৩৬ শতাংশে!

    ‘‘আমরা ভিক্ষা চাইনি…’’

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) এই ঘোষণাকে ‘ভিক্ষা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন আন্দোলনকারীরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘মাননীয়া মুখ‍্যমন্ত্রীকে বলি, এককের ঘরের শূন‍্যটা কোথায় গেল? শূন‍্যটাকে বাম দিকে না বসিয়ে চার এর ডান দিকে বসান। আমরা কিন্তু ভিক্ষা চাইছি না।’’ একইসঙ্গে তাঁরা এও জানিয়ে দেন যে তাঁদের আন্দোলন যেমন চলছিল তেমনই চলবে। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আগামী ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর নবান্ন বাসস্ট্যান্ডের সামনে প্রতিবাদ করতে চলেছেন আন্দোলনকারীরা (Bengal DA Agitation)। এই মর্মে এদিনই আন্দোলনকারীদের অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সংগঠনের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ এদিন বলেন, ‘‘আমাদের কর্মসূচি বহাল থাকবে। আমরা ভিক্ষা চাইনি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Flash Flood: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তিস্তায় হড়পা বান, সিকিমে নিখোঁজ ২৩ সেনা জওয়ান

    Sikkim Flash Flood: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তিস্তায় হড়পা বান, সিকিমে নিখোঁজ ২৩ সেনা জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ভোরে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে উত্তর সিকিমের চুংথামে লোনক হ্রদ ফেটে যায়। সেই জল হু-হু করে ঢুকে যায় তিস্তা নদীতে। তাতেই বেধে যায় বিপর্যয়। আচমকা ধেয়ে আসা হড়পা বানে (Sikkim Flash Flood) ভেসে যায় সড়ক। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে সেনার বহু গাড়ি সহ সেনা ছাউনিও। নিখোঁজ হন ২৩ সেনা জওয়ান (Army Jawans Missing)। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।

    লোনাক হ্রদে মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে বিপত্তি

    গুয়াহাটিস্থিত সেনার জনসংযোগ আধিকারিক ট্যুইটারে লেখেন, ‘‘উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদে মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে লাচেন উপত্যকার কাছে তিস্তা নদীতে হড়পা বান (Sikkim Flash Flood) আসে। তাতে ২৩ জওয়ান নিখোঁজ (Army Jawans Missing) হয়েছেন।’’ বেশ কয়েকটি জায়গায় ধসও নেমেছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর। এই ঘটনার জেরে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চুংথাম। গতরাত থেকেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে সিকিমে। মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে গতরাতেই অন্তত সাতজন নিখোঁজ হন। ৬টি সেতু ধুয়ে যায়। আর আজ সকালে হড়পা বানে তলিয়ে গেল সেনার গাড়ি। 

    তলিয়ে গেছে ৪১টি ট্রাক সমেত গোটা সেনা ছাউনি!

    এদিন সকালে সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের মুখপাত্র জানান, মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উত্তর সিকিমের লাচেন উপত্যকার লোনক হ্রদ উপচে পড়ে। চুংথাম বাঁধ ভেঙে বিপুল পরিমাণ জল চলে আসে তিস্তা নদীতে। এর ফলে মুহূর্তে তিস্তার জলস্তর প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট বেড়ে যায়। সিংতমের কাছে বরদঙে নদীর ধারে একটি রাস্তায় দাঁড় করানো ছিল বেশ কয়েকটি সেনার গাড়িটি। হড়পা বান (Sikkim Flash Flood) আসায় ট্রাকগুলি তলিয়ে যায় নদীতে (Army Jawans Missing)। সেনা জানিয়েছে, অন্তত ৪১টি ট্রাক তলিয়ে গিয়েছে। ভেসে গিয়েছে ছাউনির প্রায় সমস্ত কিছুই। জলের তলায় চলে গিয়েছে গাড়ি-সহ গোটা সেনা ছাউনি। এর মধ্যে আবার ধস নামতে শুরু হয়েছে। এত বড় ঘটনা সিকিমের বুকে এই প্রথম বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। 

    ভয়াবহ পরিস্থিতি সিকিমে

    প্রশাসন সূত্রে খবর, সিংথামে তিস্তার উপর একটি ফুটব্রিজ ছিল। নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ার জেরে সেই সেতুটি ভেঙে পড়েছে। এ ছাড়াও তিস্তার দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিকিমের গোটা লাচেন উপত্যকাই। বহু বাড়ি ভেসে গিয়েছে। বহু মানুষও নিখোঁজ হয়েছেন বলে আশঙ্কা (Sikkim Flash Flood)। ২০১৩ সালে উত্তরাখণ্ড বিপর্যয় দেখেছিল গোটা ভারত। এবার সিকিমের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে সকলে। সিকিমে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সিকিম রাজ্য প্রশাসন মানুষকে তিস্তা নদী থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। সিংথাম ও রংপোয় সরানো হয়েছে বাসিন্দাদের।

    কার্যত বিচ্ছিন্ন সিকিম

    সিকিমের চুংথামে ব্যাপক জলস্ফীতি হয়েছে। সিকিমের উঁচু এলকায় ঢুকে পড়েছে নদীর জল। চুংথাম এলাকা কার্যত সিকিম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। জলের তোড়ে ভেঙেছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। বন্ধ হয়ে গিয়েছে সিকিম থেকে দার্জিলিং-শিলিগুড়ির যাতায়াতের রাস্তা (Sikkim Flash Flood)। সামনেই পুজো। পাহাড়ে ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন অনেক পর্যটক। হোটেল বুকিংও হয়েছে। শুধু তাই নয়, বহু পর্যটক সিকিমের পাহাড়ি এলাকায় রয়েছেন। তাঁরা কিন্তু এই মুহূর্তে আটকে গিয়েছেন। যাঁরা পুজোয় আসবেন বলে ঠিক করেছেন, তাঁদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share