Tag: West Bengal

West Bengal

  • North 24 Parganas: বসিরহাটে দোকানে ঢুকে তৃণমূল কর্মীকে গুলি, হামলাকারীর বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন

    North 24 Parganas: বসিরহাটে দোকানে ঢুকে তৃণমূল কর্মীকে গুলি, হামলাকারীর বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপুল ভোটে জয়ের পরও অশান্ত উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বসিরহাট। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে বসিরহাটের বাঁশতলা এলাকায় আলতাফ মালি নামে এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এছাড়া একজন তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার পর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (North 24 Parganas)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  বাঁশতলা (North 24 Parganas) এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় আলতাফসাহেব একটি দোকানে বসেছিলেন। সেই সময় এক দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দোকানে ঢুকে তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে। এরপরই জনবহুল রাস্তায় আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ছুটে পালায়। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন দুষ্কৃতী আশপাশের এলাকায় দাঁড়িয়ে ছিল। একজন তৃণমূল কর্মীকেও মারধর করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে, অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে পিফা এলাকায় রাস্তার ওপরে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ-বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী -সমর্থকরা। ঘটনার পর পুলিশ সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। আয়ুব গাজি নামে এক যুবক এই হামলার সঙ্গে জড়িত। তার বাড়ি শঙ্করপুর এলাকায়। উত্তেজিত জনতা আয়ুব গাজির বাড়িতে চড়াও হয়। তার দোকানপাট ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূলের (Trinamool Congress) অঞ্চল সভাপতি অহিদুল শাহজি বলেন, এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করছে বিরোধীরা। কোনও কারণ ছাড়াই দলীয় কর্মীকে গুলি করে খুন করার চেষ্টা করে। এরপরই স্থানীয় মানুষ একটু উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল। পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, বসিরহাটের বিজেপি সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতি পলাশ সরকার বলেন, বিরোধীরা এই হামলার সঙ্গে জড়িত নই। আসলে তৃণমূলের ক্ষমতা দখলের লড়াই। নিজেদের কোন্দলে এই ঘটনা ঘটেছে। এখন বিরোধীদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update:  শনি সকালেও ঘামছে শহরবাসী, আজ বিকেল থেকে বৃষ্টি! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    Weather Update: শনি সকালেও ঘামছে শহরবাসী, আজ বিকেল থেকে বৃষ্টি! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আষাঢ়ের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে এখনও দক্ষিণবঙ্গে (Weather Update) বর্ষার দেখা মেলেনি। গত কয়েক দিন ধরে ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ। শনিবারও সকাল থেকেই ঘাম ঝড়ছে শহরবাসীর। একাধিক জেলায় চলছে তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে ৪০ ডিগ্রির গণ্ডি। তবে এবার স্বস্তির খবর দিল হাওয়া অফিস। আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানিয়েছে, শনিবার থেকেই ঝড়বৃষ্টির (Monsoon) সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। 

    কবে থেকে বৃষ্টি

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানিয়েছে, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব ক’টি জেলাতেই শনিবার বিকেল থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। হাওয়ার বেগ কোথাও কোথাও হতে পারে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। বৃষ্টিপাত চলতে পারে বুধবার পর্যন্ত। যদিও বর্ষা আসতে এখনও একটু দেরি। 

    দক্ষিণে বর্ষার প্রবেশ

    মৌসম ভবনের পূর্বাভাস (Weather Update), আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে বর্ষা (Monsoon) আসতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে ওড়িশা, অন্ধ্র উপকূল, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশ এবং বিহারের কিছু অংশে অগ্রসর হতে পারে। আগামীকাল অর্থাৎ ১৬ জুন থেকেই এটির অবস্থানে বদল হতে শুরু করবে। ১৭ তারিখ বিকেলের মধ্যে উত্তরের মালদা এবং দুই দিনাজপুর সহ বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় আনুষ্ঠানিক প্রবেশ ঘটবে বর্ষার। পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ ১৮ থেকে ১৯ জুনের মধ্যে সমগ্র দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করতে পারে বলে পূর্বাভাস জারি করেছে হাওয়া অফিস। প্রথম দিকে অর্থাৎ ২০ বা ২১ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বর্ষা কিছুটা দুর্বল থাকবে। প্রত্যাশার চেয়ে কম বৃষ্টি হবে। কিছুটা বাড়বে দিন ও রাতের তাপমাত্রা। তবে সেই আক্ষেপ পূরণ হবে ২২ থেকে ২৭ জুনের মধ্যে। বর্ষার বৃষ্টি শুরু হবে দক্ষিণের সব জেলায়। কমবে তাপমাত্রা।

    শহরের তাপমাত্রা

    শুক্রবার শহর কলকাতায় রাতের তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে ৩০.২ ডিগ্রি হয়েছিল। যা এই সময়ের স্বাভাবিকের থেকে ৩.২ ডিগ্রি বেশি। শনিবার দিনের তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি থেকে কিছুটা বেড়ে ৩৭.৪ ডিগ্রি। যা এই সময়ের স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ভোরে ৫৪ শতাংশ। সকালে ৮৫ শতাংশ। দুপুরের পর প্রায় ১০০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছবে।

    আরও পড়ুন: উষ্ণ আলিঙ্গন বাইডেনকে, খালিস্তানি সমস্যার মধ্যেও ট্রুডোর হাতে হাত রেখে সৌজন্য মোদির

    উত্তরে কতদিন ভারী বৃষ্টির শঙ্কা

    দক্ষিণ যখন গরমে কাহিল, তখন অন্য পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গে। সেখানে বর্ষা (Monsoon) ঢুকে গিয়েছে জুনের প্রথম সপ্তাহেই। গত কয়েক দিন প্রবল বৃষ্টি চলছে উত্তরের জেলাগুলিতে। সেখানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরির সম্ভাবনাও রয়েছে। টানা বৃষ্টিতে ধস নেমেছে পাহাড়ে। সিকিমে আটকে পড়েছেন পর্যটকেরা। তিস্তার জল ক্রমশ বাড়ছে। এর মাঝে শনিবারও আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পং— তিন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এই তিন জেলায় ঝড়বৃষ্টির লাল সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। পূর্ব থেকে পশ্চিম একটি অক্ষরেখা রয়েছে উত্তরপ্রদেশ থেকে মেঘালয় পর্যন্ত সেটি আসাম ও উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে। এছাড়াও একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে পূর্ব বিহার ও উত্তরবঙ্গের উপরে। মূলত এর টানেই উত্তরবঙ্গের ওপরের ৫ জেলায় অতি ভারী এবং নীচের দিকের জেলায় ভারী বৃষ্টি চলবে আগামী অন্তত আরও ৫ দিন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bird Flu: মালদায় বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত শিশুর বাড়িতে স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দল

    Bird Flu: মালদায় বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত শিশুর বাড়িতে স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার কালিয়াচকের শেরশাহী মিস্ত্রিপাড়া গ্রামে বার্ড ফ্লুতে (Bird Flu) আক্রান্ত শিশুর বাড়িতে যান স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দল। পাশাপাশি ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা স্থানীয় সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে যান। এলাকা ছাড়ার সময় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, আমরা শুধু নজরদারি করতেই এসেছিলাম।

    মালদার কালিয়াচকে স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দল (Bird Flu)

    গত ১২ জুন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে জানায়, পশ্চিমবঙ্গে দু’জন বার্ড ফ্লু (Bird Flu) আক্রান্ত শিশুর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে আড়াই বছরের একটি শিশু আছে, যে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের বাসিন্দা। বিমানে কলকাতায় ফিরেছিল। দ্বিতীয় শিশুটি মালদার (Malda) কালিয়াচকের। তার বয়স চার বছর। দুজনেই বিরল এইচ নাইন এন টু ভাইরাসে আক্রান্ত। হু’র রিপোর্টে আরও বলা হয়েছিল, কালিয়াচকের শিশুটি বাড়ির পোলট্রি ফার্ম থেকে বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়। এরপরই আতঙ্ক ছড়ায় রাজ্যে। শুক্রবার দীপঙ্কর মাঝির নেতৃত্বে তিনজনের এক প্রতিনিধি দল কালিয়াচকে যায়। প্রথমেই দলের সদস্যরা সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে যান। সেখানে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। সেখান থেকে তাঁরা যান ওই শিশুর বাড়িতে। যদিও সেখানে ওই শিশুকে দেখতে পাননি বলে দাবি করেছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: বিজেপির ওপর আস্থায় গোঁসা, শহরের বরাদ্দ বন্ধ করলেন উদয়ন!

    রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দলের কর্মকর্তা কী বললেন?

    রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে দীপঙ্কর মাঝি বলেন, “এখানে বিভিন্ন রোগের সার্ভিল্যান্স নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যে শিশুটি বার্ড ফ্লুতে (Bird Flu) আক্রান্ত হয়েছিল, তাকে নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে, এই ভাইরাস আর কারও মধ্যে পাওয়া যায়নি। এনিয়ে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। যা পদক্ষেপ করার তা করা হয়েছে। কীভাবে নজরদারি চালানো হবে, তা প্রাণী কল্যাণ বিকাশ দফতর সঠিক ভাবে বলতে পারবে।”

    আক্রান্ত শিশুর পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    আক্রান্ত শিশুর বাবা বলেন, “পেটে ব্যাথা নিয়ে ছেলেকে মালদা মেডিক্যালে ভর্তি করেছিলাম। কয়েকদিন চিকিৎসার পর ওকে ছেড়েও দেওয়া হয়। বাড়ি ফেরার পর ছেলে ফের অসুস্থ হয়ে যায়। ওকে আবার মালদা মেডিক্যালে নিয়ে যাই। চিকিৎসকরা জানান, ছেলেকে পোকা কামড়েছে। তা থেকে গোটা শরীরে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ছেলেকে এখান থেকে নীলরতনে রেফার করে দেওয়া হয়। সেখানে দু’মাস ওর চিকিৎসা চলে। জানা যায়, এইচ নাইন এন টু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সব কিছু বিক্রি করে প্রচুর টাকা ঋণ নিয়ে ছেলের চিকিৎসা করেছি। তাই সরকারের কাছে আমার আবেদন, আমাকে আর্থিক সহায়তা করা হোক। অথবা বিনা পয়সায় অক্সিজেনটুকু দেওয়া হোক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যকে এলোপাথাড়ি কোপ, চলল গুলিও, অভিযুক্ত তৃণমূলের অন্যগোষ্ঠী

    Nadia: দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যকে এলোপাথাড়ি কোপ, চলল গুলিও, অভিযুক্ত তৃণমূলের অন্যগোষ্ঠী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের অন্য এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। এমনকী গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) তেহট্ট থানার বিনোদনগর গ্রামে। জখম ওই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যর নাম লতিফ শেখ। এই ঘটনায় তৃণমূলের দলীয় কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    এমনিতেই তেহট্টের (Nadia) বিনোদনগর গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকে। জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের টিকিট না পেয়ে আক্রান্ত লতিফ শেখ নির্দল প্রার্থী হয়ে পঞ্চায়েতে লড়াই করেছিলেন। ভোটের ফলাফলে দেখা যায় লতিফ শেখ তৃণমূল প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়ী হন। এরপর তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার হাত ধরে পুনরায় তৃণমূলে যোগদান করেন। এরপরেই শুরু হয় ওই এলাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই ছোটখাটো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লেগেই থাকত ওই এলাকায়। শুক্রবার সকালে হঠাৎ  তৃণমূলের ওই সদস্যকে অপর গোষ্ঠীর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি কোপ মারে। গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। তাঁর সঙ্গে থাকা আরও দুজন কর্মী জখম হন। এরপর ঘটনাস্থল থেকে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা প্রথমে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে উদ্ধার করে তেহট্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই আহত তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মী।

    আরও পড়ুন: বিজেপির ওপর আস্থায় গোঁসা, শহরের বরাদ্দ বন্ধ করলেন উদয়ন!

    আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর প্রতিবেশী কী বললেন?

    অন্যদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় তেহট্ট থানার পুলিশ। পুলিশ এসে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পাশাপাশি যারা এই ঘটনায় অভিযুক্ত তাদের উদ্দেশ্যেও তদন্ত শুরু করে পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। পঞ্চায়েত সদস্য লতিফ শেখের প্রতিবেশী নারায়ণ সাহা বলেন, “হঠাৎ আমি খবর পাই রক্তাক্ত অবস্থায় লতিফ পড়ে রয়েছে। প্রথমে পুলিশ এবং স্থানীয়দের সহায়তায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। সকালে কী ঘটনা ঘটেছিল তা আমি জানি না।” ভোট মিটে গেলেও এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আবারও নতুন করে অনেকটাই সমস্যায় ফেলেছে রাজ্যের শাসক দলকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PSC Scam: নতুন ছকে নিয়োগ দুর্নীতি! গ্রেফতার দুই সরকারি আধিকারিক

    PSC Scam: নতুন ছকে নিয়োগ দুর্নীতি! গ্রেফতার দুই সরকারি আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাবলিক সার্ভিস কমিশনে পরীক্ষা হলে এসএমএসে উত্তর পাঠিয়ে সিআইডির জালে দুই আধিকারিক। ছাত্রদের টোকাটুকির (PSC Scam) বরাত নেওয়া ধৃত সরকারি কর্মকর্তারা হলেন শঙ্কর বিশ্বাস ও পাপাই দাস। ধৃতদের নদিয়া জেলার দুই আলাদা ঠিকানা থেকে সিআইডির গোয়েন্দারা গ্রেফতার করেছেন। ধৃতদের মধ্যে একজন গোটা দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড বলে দাবি তদন্তকারীদের। এদের কাছ থেকে ১১ টি মোবাইল ফোন ও একাধিক ব্যাংকের পাসবুক সহ বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

    নতুন ছকে নিয়োগ দুর্নীতি

    জানা গিয়েছে যেহেতু সরকারি পরীক্ষায় সাদা খাতা জমা দিয়ে নম্বর পাওয়ার দিন অতীত হয়েছে তাই (PSC Scam) দুর্নীতির নতুন ছক কষা হয়। যে সকল পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে ডিল হয়েছে তাঁদের মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্রের উত্তর পৌঁছে দেওয়ার ঠিকা নিয়েছিলেন এই সরকারী কর্মীরা। রাজ্যের ফুড সাব-ইন্সপেক্টর পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এরপরেই তদন্তে নামে রাজ্যের সিআইডির গোয়েন্দারা। সিআইডির কাছে নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল রাজ্যের খাদ্য দপ্তরের ফুড এস আই পদে নিয়োগের পরীক্ষায় টোকাটুকি হয়েছে। পরীক্ষার হলে এসএমএস-এর মাধ্যমে প্রশ্নের উত্তর পাঠানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিআইডি তদন্ত শুরু করে। এরপর থেকে এরপরেই নদিয়ার কল্যাণী থেকে শঙ্কর বিশ্বাস এবং ধুবুলিয়া থেকে পাপাই দাসকে গ্রেফতার করা হয়। কলকাতার সার্ভে পার্ক থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার সূত্র ধরে এই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  

    খাদ্য দফতরের পরীক্ষাতেও দুর্নীতি! (PSC Scam)

    এছাড়াও পিএসসি পরীক্ষায় একাধিক (PSC Scam) দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে প্রিন্সিপাল একাউন্টেন্ট জেনারেলের সিনিয়র অডিটর শঙ্কর বিশ্বাস কীভাবে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হলেন। রাজ্যে প্রভাবশালীদের দুর্নীতির সঙ্গে যোগ কিছুতেই থামাতে পারছে না প্রশাসন। একইসঙ্গে শঙ্করের সঙ্গে আর কাদের যোগ ছিল সেই বিষয়গুলিও সামনে আসা দরকার।

    আরও পড়ুন: ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ, নোটিস পেলেন তৃণমূল সাংসদ

    জানা গিয়েছে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছে সিআইডি। রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্র, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি এবার যে খাদ্য দফতরের প্রাক্তন মন্ত্রী জেলে রয়েছেন সেই দফতরেও পুনরায় দুর্নীতির ঘটনার সামনে এল। এর ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে রাজ্য থেকে কি দুর্নীতি কোনদিনও দূর হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অভিষেকের মতো একই জায়গায় ধর্নায় বসতে চান শুভেন্দু! কী নির্দেশ বিচারপতি সিনহার?

    Suvendu Adhikari: অভিষেকের মতো একই জায়গায় ধর্নায় বসতে চান শুভেন্দু! কী নির্দেশ বিচারপতি সিনহার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিঃসায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসতে চান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গত বছরের শেষ দিকে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে ধর্নায় বসেছিলেন, ঠিক সেখানেই এবার ধর্নায় বসতে চান তিনি। ইতিমধ্যেই ধর্নার অনুমতি চেয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গয়ালকে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখ্য, ভোটের ফল প্রকাশের পর কর্মীদের ওপর আক্রমণের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। একইসঙ্গে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও উঠেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের তরফে। এসব ইস্যু সামনে রেখেই আগামী ১৯ জুন থেকে ধর্নায় বসার পরিকল্পনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

    হাইকোর্টের নির্দেশ (Calcutta High Court) 

    এ প্রসঙ্গে, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে যে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে রাজ্যপালের কাছে নতুন করে আবেদন জানাতে পারেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। বিচারপতি জানিয়েছেন, রাজ্যপালের অনুমতি সাপেক্ষে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও নির্বাচন পরবর্তী অশান্তিতে ‘আক্রান্ত’ ব্যক্তিরা। তবে রাজ্যপালের সঙ্গে কতজন দেখা করতে যাবেন, সেটা পুলিশকে জানাতে হবে। পাশাপাশি বিচারপতির নির্দেশ, যদি গাড়ি নিয়ে রাজ ভবনের (Raj Bhavan) ভেতরে যাওয়া হয়, তাহলে কতগুলি গাড়ি রাজভবনের ভিতরে ঢুকবে, সেটাও জানাতে হবে পুলিশকে। 
    তবে শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষের আইনজীবী এদিন আদালতে জানিয়ে দেন, তাঁদের কোনও গাড়ি রাজভবনের ভিতরে ঢুকবে না। সকলেই হেঁটে রাজভবনের ভিতরে প্রবেশ করবেন। অন্যদিকে রাজ্যের তরফে আবার সওয়াল করা হয়, যাঁরা রাজভবনের ভিতরে প্রবেশ করবেন, তাঁদের শনাক্তকরণের কাজ শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পক্ষ থেকে কোনও ব্যক্তিকে করতে হবে। রাজ্যের এই দাবিতে বিচারপতি সম্মতি দিলেও, তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, কারও পরিচয় নথিবদ্ধ করা যাবে না। কারণ, সেরকম হলে পরে আবার তাঁদের হেনস্থা করার আশঙ্কা থেকে যায় বলেই মনে করছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

    আরও পড়ুন: ছাত্রীকে ‘কপালে তিলক’ ও ‘গলায় মালা’ নিয়ে স্কুল প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা! শোরগোল রঘুনাথগঞ্জে

    কেন এই ধর্নার সিদ্ধান্ত? 

    বিজেপি জানিয়েছে, এ বছর লোকসভা ভোটের ফলাফলে কিছুটা আশাহত দলের নিচুতলার কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে দলের শীর্ষ নেতারা পাশে না থাকলে সংগঠন আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। তাই শুভেন্দু অধিকারীর এই ধর্নার উদ্যোগকে দলের কর্মীদের চাঙ্গা রাখার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বর্তমানে দলের নেতাকর্মীদের মনোবল বাড়ানোই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)  নগরপালকে জানিয়েছেন, তিনি আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের নিয়েই ধর্নায় বসতে চান। তবে এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের (kolkata police) পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো উত্তর মেলেনি।

    প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে এবং রাজ্যের বকেয়া মেটানোর দাবিতে রাজভবনের সামনে টানা ধর্নায় বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে ওই একই স্থানে ধর্নায় বসতে চান শুভেন্দু অধিকারী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Viral Video: কলকাতা বিমানবন্দরে নেচে ইনস্টা-রিল নেট প্রভাবীর, নিষিদ্ধ করার ডাক নেটপাড়ায়

    Viral Video: কলকাতা বিমানবন্দরে নেচে ইনস্টা-রিল নেট প্রভাবীর, নিষিদ্ধ করার ডাক নেটপাড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেট দুনিয়ায় এক-এক সময় এক-একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এখন চর্চায় রয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরে এক তরুণীর নাচের ভিডিও। শাহরুখ খান ও দীপিকা পাদুকোন অভিনীত ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ সিনেমার ‘লাভলী’ গানের তালে তালে কলকাতা বিমানবন্দরে কোমর দুলিয়েছেন সহেলী রুদ্র নামে এক তরুণী। সেই মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হল ইন্সটাগ্রামে। একইসঙ্গে নেট দুনিয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পাবলিক প্লেসে নাচানাচি করার যৌক্তিকতা নিয়ে।

    ইন্সটাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সরের ভিডিও ভাইরাল (Viral Video)

    নিজের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে যে রিল সহেলি শেয়ার করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে, তিনি সাদা শার্ট এবং নীল জিন্সে পড়ে আছেন। কলকাতা বিমানবন্দরের লাউঞ্জে তাঁর এই নাচ যথেষ্ট ভাল। কোনভাবেই অশ্লীল নয়। তবে হঠাৎ বিমানবন্দরের নেচে ওঠায় আশেপাশের সহযাত্রীরা অনেকেই তাঁর অঙ্গভঙ্গি দেখে হকচকিয়ে ওঠেন। সহেলির ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করলে দেখা যাবে কলকাতা বিমানবন্দরে তিনি এই প্রথমবার নেচেছেন এমন নয়, এর আগেও যাত্রার আগে অনেকবার কলকাতা বিমানবন্দরে তার নৃত্যশৈলির ইন্সটাগ্রাম (Viral Video) রিল বানিয়েছেন। শুধু বিমানবন্দর নয় কলকাতা মেট্রোতেও তাঁর একাধিক রিলস রয়েছে।

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Saheli Rudra | Influencer (@_sahelirudra_)

     

    আরও পড়ূন: ২৭ বছর আগে দেওয়া কথা রাখলেন সানি দেওল! পর্দায় আসছে ‘বর্ডার-২’

    এছাড়াও কলকাতার জিপিও, ধর্মতলা ও পার্কস্ট্রিট চত্বরে পাবলিক প্লেসে নাচের রিলস বানিয়েছেন তিনি। সহেলির ইন্সটাগ্রাম  ফলোয়ার সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাঁর ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ৯ লক্ষের উপর ফলোয়ার সংখ্যা রয়েছে। ইউটিউব চ্যানেলেও ১০ লক্ষের উপর সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। গোল্ডেন প্লে বাটন পেয়েছেন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

    থামবেন না জানালেন সহেলি

    তবে পাবলিক প্লেসে এ ধরনের (Viral Video)  নাচানাচি নেট দুনিয়ায় এখন অনেকেই অপছন্দ করছেন। অনেকেই লিখেছেন ইনস্টাগ্রামের উচিত এই ধরনের রিল ব্যান করে দেওয়া। যেভাবে পাবলিক প্লেসে  সিগারেট খাওয়া বন্ধ করা হয়েছে একইভাবে রিলস বানানো বন্ধ করা হোক। আবার কেউ লিখেছেন, মেয়েটি নাচছে অথচ লজ্জা আমার লাগছে। এই ধরনের নেতিবাচক কমেন্টকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে আগামী দিনে আরও এ ধরনের রিলস বানাবেন বলে জানিয়েছেন সহেলী রুদ্র।

  • Darjeeling: সিকিমে বিপর্যয়ের জের, ফের বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, দার্জিলিংয়ে পর্যটনে ধাক্কা

    Darjeeling: সিকিমে বিপর্যয়ের জের, ফের বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, দার্জিলিংয়ে পর্যটনে ধাক্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সিকিমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তিস্তার ভয়াল রূপে তছনছ দার্জিলিং (Darjeeling), কালিম্পং পাহাড়ের পর্যটন। গত বৃহস্পতিবার থেকে লাগাতার বৃষ্টি এবং তিস্তার ভয়াল রূপে বিচ্ছিন্ন সিকিমের একটি বড় অংশ। দেড় হাজারেরও বেশি পর্যটক আটকে রয়েছেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের বুকিং বাতিল হতে শুরু করেছে।

    কেন কালিম্পঙ, দার্জিলিং থেকে মুখ ফেরাচ্ছে পর্যটকরা? (Darjeeling)

    সিকিমের এই বিপর্যয়ে দার্জিলিং ও কালিম্পঙে কোনও পর্যটক আটকে নেই। তিস্তার তান্ডবে কালিম্পং-দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) রাস্তা বন্ধ। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ভয়ঙ্কর রকমের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা পাহাড়ি পর্যটনের ভবিষ্যৎকে প্রশ্নের মুখে দাড় করিয়েছে। কালিম্পং থেকে দার্জিলিং ও সিকিম যাওয়ার রাস্তা বন্ধ। কালিম্পংয়ে জেলাশাসক বালাসুব্রামনিয়াম বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের ঘুরপথে নিরাপদ রাস্তা দিয়ে যাতায়াতেরর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। বাংলা-সিকিম সীমানা রংপো-শিলিগুড়ির মধ্যে সমস্ত গাড়িকে কার্যত আলগাড়া, লাভা, গরুবাথান হয়ে চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রবল বর্ষণের জেরে জাতীয় সড়কের কয়েকটি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” কিন্তু, সকলেই বুঝেছেন, ঘুরিয়ে বলা হচ্ছে, পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পর্যটকদের না আসাই ভালো। ফলে, এই বিপর্যয়ের কারণে পর্যটকরা মুখ ফেরাচ্ছেন।

    আরও পড়ুন: বিজেপির ওপর আস্থায় গোঁসা, শহরের বরাদ্দ বন্ধ করলেন উদয়ন!

    কী বলছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা?

     ট্যুর অপারেটরদের বক্তব্য, সিকিম (Sikkim), কালিম্পং ও দার্জিলিং (Darjeeling) প্যাকেজ করেই পর্যটকরা আসেন। শিলিগুড়ি দিয়ে শুধু দার্জিলিং, কালিম্পং কেউ যেতে চাইবেন না। সেই রাস্তাতেও বিপদের ঝুঁকি রয়েছে। তাই পর্যটকরা ঝুঁকি নিয়ে আসতে চাইছেন না। কালিম্পং হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিদ্ধান্ত সুদ বলেন, পর্যটন মরশুম শুরুর মুখেই দিনের পর দিন জাতীয় সড়ক বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার থেকে সেই রাস্তা আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে এখানকার পর্যটনে। গত অক্টোবরে সাউথ লোনাক লেক বিপর্যয়ের জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়কটি। বারবার রাস্তা বন্ধ রেখে তাহলে কী কাজ হয়েছে। ফের  উত্তর সিকিম বিপন্ন হয়ে পড়ার প্রভাব এই অঞ্চলের পর্যটনেও পড়বে।

    প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা কঠিন

    হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যালের মতে,  এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক কাঠামো দাঁড়িয়ে রয়েছে পর্যটনের ওপর। সেই পর্যটনই উপেক্ষিত। তাই, পাহাড়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলেই এখানকার ট্যুরিস্ট সার্কিট লন্ডভন্ড হয়ে যাচ্ছে বারবার। এই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা কঠিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: কৃষ্ণনগরে দলের জয়ের পরও পদত্যাগ করলেন শহর তৃণমূলের সভাপতি!

    Election Result 2024: কৃষ্ণনগরে দলের জয়ের পরও পদত্যাগ করলেন শহর তৃণমূলের সভাপতি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষ্ণনগর লোকসভায় বিপুল ভোটে (Election Result 2024) জয়লাভ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। তারপরও কৃষ্ণনগর শহর তৃণমূলের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন প্রদীপ ওরফে মলয় দত্ত। শাসক দলের নেতার এই পদত্যাগ দেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কৃষ্ণনগর শহরে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করেছে বিজেপি (Election Result 2024)

    লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। কিন্তু, কৃষ্ণনগর শহরে বিপর্যয় হয়েছে তৃণমূলের। তবে, এই শহরে শাসক দলের ভরাডুবি নতুন কিছু নয়। সেই ১৯৯৮ সাল থেকেই এই শহরে একটানা লিড পেয়ে আসছে বিজেপি। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার ভোটে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে লিড পেয়েছে বিজেপি। গত বারেও তৃণমূল প্রায় একই ভোটে পিছিয়ে ছিল। এবার কার্যত পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেও তৃণমূল নেতারা পরিস্থিতি পাল্টাতে পারেননি। ভোটের ফল (Election Result 2024) বের হওয়ার পরই কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী তথা সাংগঠনিক জেলা সভানেত্রী মহুয়া মৈত্রের ঘনিষ্ঠ অনেকে পুরপ্রতিনিধিদের একাংশের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুলেছেন। এক তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, এবার  পরিস্থিতি অনেকটাই আমাদের দিকে ছিল। কিন্তু, প্রার্থীর ঘনিষ্ঠদের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই ডুবিয়েছে। জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করলে ফল অন্য রকম হত। দলেরই একাংশের জন্য সেটা সম্ভব হয়নি।

    আরও পড়ুন: বিজেপির ওপর আস্থায় গোঁসা, শহরের বরাদ্দ বন্ধ করলেন উদয়ন!

    ইস্তফা প্রসঙ্গে কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    তৃণমূল নেতা প্রদীপ দত্ত বলেন, অন্য বিধানসভায় দল ভালো ফল (Election Result 2024) করেছে। কিন্তু, আমরা তা পারিনি। আমরা সবরকমভাবে মানুষের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। তারপরও মানুষ আমাদের খালি হাতে ফিরিয়েছেন। শহর তৃণমূলের সভাপতি হিসেবে এই দায় আমার। পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত একান্তই আমার। দলের ফল খারাপ হওয়ার পরও আর সভাপতি পদ আঁকড়ে থাকার নৈতিক অধিকার থাকে না। তাছাড়া, শহরে আরও অনেক যোগ্য নেতা আছেন। দল তাঁদের কাউকে দায়িত্ব দিয়ে সংগঠনকে মজবুত করুক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Polls Result 2024: আসন বাড়লেও তৃণমূল স্তরে জমি হারাচ্ছে শাসক, বাড়ছে বিজেপি

    West Bengal Polls Result 2024: আসন বাড়লেও তৃণমূল স্তরে জমি হারাচ্ছে শাসক, বাড়ছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে (West Bengal Polls Result 2024) এক ধাক্কায় তৃণমূলের আসন বেড়েছে ৭টি। ২২ থেকে ২৯ হয়েও ভোটের নিরিখে বিচার করলে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার আসন বিন্যাসে অনেকটাই জমি হারিয়ে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে ৬টি লোকসভা আসন হারিয়েও বিধানসভার নিরিখে অগ্রগতি হয়েছে বিজেপির। লোকসভার লড়াইয়ে কোন বিধানসভা থেকে কে লিয়ে পেয়েছে, সেই তথ্য যদি বিশ্লেষণ করা যায় তাহলে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২৯৪ সদস্যের রাজ্য বিধানসভায় শাসকপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির ব্যবধান অনেকটাই কমেছে। লোকসভার ফলাফল অনুযায়ী খাতা খুলেছে বামেদের। অন্যদিকে ২০২১ এর লড়াইয়ে একটি আসন জিতেছিল আইএসএফ তারা লোকসভা ভোটে লিডার নিরিখে এবার কিন্তু ফের শূন্য হয়ে গিয়েছ।

    ২০১৬-র পর বদলেছে বঙ্গের রাজনৈতিক মানচিত্র

    ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ২১১ টি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল। তখন কংগ্রেস ৪৪ টি, বামেরা ৩২ টি আসন জিতেছিল। বিজেপি ছিল ৩ বিধায়কের দল। অথচ পাঁচ বছর পর ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের চিত্রটা পুরোপুরি বদলে যায়। বাম, কংগ্রেস শূন্য হয়ে যায়। বিজেপির ৭৭ টি আসনে জয়ী হয়ে প্রধান বিরোধী দল হয়ে ওঠে। অন্যদিকে সরকার গড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। অথচ ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে রাজ্যের ৪২ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ২২টি, বিজেপি ১৮ টি ও কংগ্রেস দুটিতে জিতেছিল।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের আট মন্ত্রী হেরেছেন নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে! কী বলছে দল?

    ওই নির্বাচনের প্রেক্ষিতে এ রাজ্যের তৃণমূল এগিয়েছিল ১৬৪ টি, বিধানসভা আসনে বিজেপি এগিয়েছিল ১২১ আসনে। কংগ্রেস ৯টি বিধানসভা আসন থেকে লিড পেলেও বামেরা নেমে গিয়েছিল শূন্যতে। তখনই বোঝা গিয়েছিল রাজ্যে বিজেপি এগোচ্ছে বাম কংগ্রেস ক্রমশই পিছচ্ছে। ২০২১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে এই আশা থকলেও মুখ্যমন্ত্রীর মুখের অভাব ভুগিয়েছিল বিজেপিকে।

    বাম কংগ্রেসের দুর্দশা কাটছে না  (West Bengal Polls Result 2024)

    এবারের লোকসভা নির্বাচনে ২৯ টি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৯ এর নির্বাচনে বিজেপির ১৮টি আসন কমে এবার হয়ে গেছে ১২। অন্যদিকে ২১ এর বিধানসভা ভোটে শূন্য হয়ে যাওয়া কংগ্রেস জিতে নিয়েছে ফের একটি আসন। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে বহরমপুর আসনটি হারিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। এই কেন্দ্রে হেরে যাবেন তিনি, অনেকেই কল্পনা করতে পারেননি। এবারের নিরিখে বিজেপি ৯০ টি আসনে এগিয়ে আছে। কংগ্রেস ১১ টিতে এবং সিপিএম একটি আসনে এগিয়ে আছে। এবং সবাইকে পেছনে ফেলে  (West Bengal Polls Result 2024) ১৯২ টি বিধানসভা আসনে এগিয়ে আছে তৃণমূল কংগ্রেস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share