Tag: West Bengal

West Bengal

  • Dakshin Dinajpur: অনুমোদন মেলেনি ৬টি বিএড কলেজের! ভর্তি হয়ে বিপাকে পড়়ুয়ারা

    Dakshin Dinajpur: অনুমোদন মেলেনি ৬টি বিএড কলেজের! ভর্তি হয়ে বিপাকে পড়়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত গাইডলাইন মেনে চলার প্রক্রিয়া পূরণ করতে পারেনি। ফলে চলতি বর্ষে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ছয়টি বিএড কলেজ ছাত্র ভর্তি নেওয়ার অনুমোদন পেল না। এদিকে আগেই ওই কলেজগুলি অফলাইনে ভর্তি নিয়ে নিয়েছে। কিন্তু অনুমোদন না মেলায় অনলাইনে ভর্তি হতে পারেনি পড়ুয়ারা। দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলায় ছয়টি কলেজে সবমিলিয়ে ৪০০ আসন রয়েছে। কলেজ সূত্রে খবর, সব আসনেই ভর্তি করে ফেলেছে কলেজগুলি। এখন ওই পড়ুয়ারা অন্য কলেজেও ভর্তি হতে পারছে না। ফলে, একবছর নষ্টের পথে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ। যা নিয়ে ক্ষুদ্ধ পড়ুয়ারা। এনিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে পড়ুয়ারা। এদিকে ক্ষুদ্ধ কলেজ কর্তৃপক্ষরাও। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলছেন।

    তালিকায় কোন কোন কলেজ রয়েছে? (Dakshin Dinajpur)

    দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলায় ১৭ টি বিএড কলেজ রয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ১২০০ সিট রয়েছে। এই কলেজগুলি বর্তমানে বাবা সাহেব আম্বেদকর এডুকেশন ইউনিভার্সিটির অধীনে রয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে ওই কলেজগুলি ছাত্র শিক্ষক সমানুপাত, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, ডাইরেক্ট ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার সহ নানা নির্দেশ ছিল। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুমোদন না মেলার তালিকায় এই জেলার ছয়টি কলেজ রয়েছে। যেগুলি হল, বালুরঘাট ব্লকের তেভাগা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, তপনের বলিপুকুর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, গঙ্গারামপুরের ফান্ডামেন্টাল ইন্সটিটিউট অফ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, কুশমন্ডির আজাদ ডিএড ট্রেনিং কলেজ, বুনিয়াদপুর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ এবং ফুলবাড়ির দক্ষিণ দিনাজপুর বিএড কলেজ। ওই কলেজগুলিতে মোট ৪০০টি আসন রয়েছে। এই ছয় কলেজের বেশিরভাগ গুলিতে ছাত্র শিক্ষক সমানুপাত ঠিক নয় বলেই জানা গিয়েছে। তাই এই বছর ছাত্র ভর্তির অনুমোদন মেলেনি।

    অনুমোদন না পাওয়া কলেজ কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    বালুরঘাটের তেভাগা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের কর্ণধার অক্ষয় বর্মন বলেন, যে সমস্ত সরকারি গাইডলাইন মেনে চলতে বলা হয়েছিল। তার প্রায় সবই পূরণ করেছি। শিক্ষকের অভাব পূরণ করার জন্য নিয়োগের সময়সীমাও দেওয়া হয়নি। তাই আমাকে অনুমোদন দেওয়া হল না। অথচ অন্য কলেজগুলিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাই আমার মনে হচ্ছে অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে। আমি এনিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।

    পড়ুয়াদের কী বক্তব্য?

    এবিষয়ে বালুরঘাটের দুই পড়ুয়া চন্দন কর্মকার ও রাখি বর্মন বলেন, আমরা এই কলেজগুকিতে অফলাইনে ভর্তি হয়ে বিপাকে পড়েছি। এখন অন্য কলেজেও আসন নেই। ফলে আমরা খুব সমস্যায় পড়েছি। একবছর আমাদের পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেল।

    বিএড কলেজ সংগঠনের কর্মকর্তারা কী বললেন?

    এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) বিএড কলেজ ঐক্যমঞ্চ সংগঠনের সম্পাদক সুদীপ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমরা সংগঠনের তরফ থেকে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করছি, যাতে সকলেই অনুমোদন পায়। অনুমোদন পাওয়ার বিষয়ে ঘুষের বিষয়টি আমি বলতে পারব না।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের ইডি-র তলব, সিজিওতে হাজিরা দিলেন টিটাগড়ের প্রাক্তন চেয়ারম্যান

    ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের ইডি-র তলব, সিজিওতে হাজিরা দিলেন টিটাগড়ের প্রাক্তন চেয়ারম্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরীকে তলব করল ইডি (ED)। বৃহস্পতিবারই তাঁকে নোটিস দিয়ে ডেকে পাঠানো হয়। শুক্রবার তিনি সিজিওতে গিয়ে হাজিরা দিয়ে আসেন। সবমিলিয়ে প্রায় চার বার ইডি তাকে তলব করল।

    কালীপুজোর আগেই প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে তলব করেছিল ইডি (ED)

    কালীপুজোর আগেই বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক এবং কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে সিজিওতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি (ED)। সেখানে দুজনেই নথি জমা করে আসেন। সেবার টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরীও সিজিওতে হাজিরা দেন। এমনকী বরানগরের চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিককে পর পর দুদিন ইডি তলব করেছিল। কালীপুজো পর্ব শেষ হতেই ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সদস্যরা। যদিও ভাইফোঁটার দিন টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী আচমকাই নিজেই সিজিওতে গিয়ে হাজিরা দেন। কিছুক্ষণ থাকার পর তিনি বেরিয়ে আসেন। পরে, তিনি জানিয়েছিলেন, ইডি কবে ফের তাঁকে তলব করতে পারে তা জানার জন্য সেখানে গিয়েছিলেন। তিনি চলে আসার পরদিনই ইডি তাঁর বাড়িতে নোটিস পাঠান। আর এদিন তিনি সিজিওতে গিয়ে হাজিরা দেন।

    প্রাক্তন চেয়ারম্যানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এক চাকরি প্রার্থী

    বারাকপুর মহকুমার কামারহাটি, বরানগরের পাশাপাশি টিটাগড় পুরসভায় অয়ন শীলের সংস্থার হাত ধরে বহু কর্মীর নিয়োগ হয়। সেই সময় টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন প্রশান্ত চৌধুরী। তবে, অয়নের সংস্থার তৈরি প্যানেলে নাম থাকার পরও শুধুমাত্র চাহিদা মতো টাকা না দেওয়ার কারণে মহিলা এক চাকরি প্রার্থী পুরসভায় চাকরি পাননি। ওই চাকরি প্রার্থীর বাড়ি হুগলির চুঁচুড়ায়। তিনি অয়ন শীলের পাশাপাশি প্রশান্তবাবুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আর এই বিষয়টি নিয়ে বেশ জলঘোলা হয়েছিল। এরপরই ইডি (ED) টিটাগড় পুরসভায় এসে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তদন্ত করতে আসে। পরে, প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। পুরসভা থেকে বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • New Barrackpore: প্রকাশ্যে মদ্যপানের বিরোধিতা করতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ, চাঞ্চল্য

    New Barrackpore: প্রকাশ্যে মদ্যপানের বিরোধিতা করতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে কালীপুজোর চাঁদা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আক্রান্ত হন। ক্লাবের ছেলেরা মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেন। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীকেও মারধর করা হয়। এবার প্রকাশ্যে মদ খাওয়ার বিরোধিতা করার জন্য ক্লাবের ছেলেদের হাতে আক্রান্ত হলেন এক মহিলা পুলিশ কর্মী সহ এক পুলিশ অফিসার। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নিউ বারাকপুর (New Barrackpore) পুরসভার ৮নং ওয়ার্ডে জনকল্যাণ পাড়া এবং ৪ নং ঝিলের সামনে একটি গলিতে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে। বার বার এরকম হামলার ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (New Barrackpore)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউ বারাকপুর (New Barrackpore) পুরসভার ৮নং ওয়ার্ডে জনকল্যাণ পাড়ায় চলছিল স্থানীয় ক্লাবের শ্যামা পুজো উপলক্ষে বিচিত্রানুষ্ঠান। তারপর রাত ১২ টায় পাশের ঝিলে প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। থানার কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা এলাকায় ডিউটি করছিলেন। রাতে গলিতে কয়েকজন যুবক প্রকাশ্যে মদ্যপান করছিলেন। প্রতিবেশীরা মদ্যপানের প্রতিবাদে করলে তাঁরা হুমকি দেন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন প্রতিবেশীদের। শেষে নিউ বারাকপুর থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন প্রতিবেশীরা। ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত টহলদারি পুলিশ কর্মীরা গেলে যুবকদের হাতে তাঁরা আক্রান্ত হন। কর্তব্যরত মহিলা পুলিশকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে  ওই যুবকরা। নিগৃহীত করা হয় মহিলা পুলিশ কর্মীকেও। হামলার জেরে থানার সাব ইন্সপেক্টর আশিস গুহ গুরুতরভাবে জখম হন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নিউ বারাকপুর থানার অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। ঘটনার পর পরই পরিস্থিতি বেগতিক দেখে হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে এসে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে চারজন যুবককে আটক এবং পরে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার ধৃতদের বারাকপুর আদালতে হাজির করা হয়। এর আগেও এই থানা এলাকায় পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • North 24 Parganas: জমির দালাল থেকে তৃণমূলের প্রধান, রকেট গতিতে উত্তরণই কাল হল রূপচাঁদের

    North 24 Parganas: জমির দালাল থেকে তৃণমূলের প্রধান, রকেট গতিতে উত্তরণই কাল হল রূপচাঁদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙায় তৃণমূল প্রধান মহম্মদ রূপচাঁদ মণ্ডল খুনের ঘটনায় অবশেষে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম আনোয়ার হোসেন। তার বাড়ি বোদাই এলাকায়। তার বাবা তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। ফলে, গোষ্ঠী কোন্দলের যে অভিযোগ উঠছে, এই গ্রেফতারির ঘটনায় তা আরও জোরালো হল।

    কে এই রূপচাঁদ? (North 24 Parganas)

    রূপচাঁদের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙায়। তিনি এক সময় এলাকায় ছোটখাট জমির দালালি করতেন। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর শাসক দলের নেতার সঙ্গে তিনি ওঠাবসা শুরু করেন। সামান্য জমির দালালি করা রূপচাঁদ রাতারাতি জমি মাফিয়া হয়ে ওঠেন। দুহাতে টাকা কামাতে থাকেন। সব সময় চারচাকা করে এলাকা ঘুরতেন তিনি। তৃণমূল দল করলেও কোনও পদ না থাকায় রাজনৈতিক সম্মান মিলছিল না তাঁর। তাই, পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়ানোর মনস্থির করে্ন। কিন্তু, প্রথমে টিকিট না মিললেও নিজের বিভিন্ন স্তরে প্রভাব খাটিয়ে তিনি তৃণমূলের প্রার্থী হন। ভোটে জিতেও যান। ভোটে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন বলে এলাকায় কান পাতলেই শোনা যায়। পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে তিনি থাকতে রাজি ছিলেন না। তাই, তিনি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়েও প্রধান হয়েছিলেন। বিনিময়ে ১০ লক্ষ টাকা তাঁকে দিতে হয়েছিল বলে দলের অন্দরে গুঞ্জন রয়েছে। শুরু হয়েছিল ক্ষমতা আর এলাকা দখলের লড়াই। ফলে, রাজনীতির থেকে তাঁর ব্যক্তিগত শত্রু বেড়ে গিয়েছিল। আর তাঁর পরিণতিতেই অকালেই খুন হতে তাঁকে।

    কেন খুন?

    উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙা এলাকায় রয়েছে কামদেবপুর হাট। এই হাটের দখলদারি ছিল তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর হাতে। প্রধান হওয়ার পর হাটের দখলদারি নিজের অধীনে আনার চেষ্টা করেছিলেন রূপচাঁদবাবু। আর তাতেই বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এমনিতেই দলের প্রধান হওয়ার পর নিজের মতো করেই চলতেন। দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ অনেক সময় তিনি পাত্তা দিতেন না। আর এলাকায় জমি মাফিয়া হিসেবে পরিচিত থাকায় তাঁকে কেউ বেশি ঘাঁটাত না। প্রধান হওয়ার পর তিনি এলাকায় দাপিয়ে বেড়াতে থাকেন। বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর পক্ষে তা মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। পথের কাঁটা সরাতে রূপচাঁদকে খতম করার পরিকল্পনা করে তার বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোকজন। আমডাঙা ও বোদাই পঞ্চায়েতের মধ্যে কামদেবপুর হাটের দখলদারি নিয়ে যে দ্বন্দ্ব ছিল বলে অভিযোগ, তার জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে। আর আনোয়ার হোসেন নামে প্রথম গ্রেফতারির পর জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি বোদাই পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। আর যে কামদেবপুর হাটের দখলদারি নিয়ে গন্ডগোল চলছিল বলে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা সেখানেই তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে খুন করে। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।

    নিহত তৃণমূল প্রধানের ভাই কী বললেন?

    নিহত তৃণমূল প্রধানের ভাই লালচাঁদ মণ্ডলের দাবি, ‘কোনও রাজনৈতিক কারণ নয়, ব্যক্তিগত শত্রুতার শিকার হয়েছেন রূপচাঁদ’। খুনের ঘটনার জেরে এদিন সকাল থেকে থমথমে এলাকা। কামদেবপুর হাট বন্ধই থাকে শুক্রবার। তবে, যেটুকু মানুষের আসা যাওয়া হয়, সেটাও এদিন হয়নি এই হাটকে ঘিরে। ভর সন্ধ্যায় যখন হাট প্রচুর মানুষের আনাগোনা ছিল, তার মধ্যেই খুন করা হয় ওই তৃণমূল নেতা। খুনের ঘটনায় আর কারা জড়িত রয়েছে তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantipur: আক্রান্ত চিকিৎসকের সুবিচারের দাবিতে বিজেপি-র আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার

    Shantipur: আক্রান্ত চিকিৎসকের সুবিচারের দাবিতে বিজেপি-র আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শুক্রবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় নদিয়ার শান্তিপুর (Shantipur) থানার ফুলিয়া এলাকায়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। তাতে ১০ জন বিজেপি কর্মী জখম হন। পরে, পুলিশের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীরা ক্ষোভ উগরে দেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Shantipur)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার ১২ নভেম্বর সকালে ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন সুজন দাস নামে এক চিকিৎসক। তাঁর বাড়ি শান্তিপুর (Shantipur)। বাইকে করে তিনি ফুলিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। বঁইচা ঘোষপাড়ায় ফুলিয়া-আড়বান্দি রোডে স্থানীয় ক্লাবের ছেলেরা কালীপুজোর জন্য চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু, দাবি মতো চাঁদা দিতে রাজি হননি সুজনবাবু। আর তারপরই ক্লাবের ছেলেরা তাঁর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফিরে রোগী দেখতে শুরু করেও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। প্রথমে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে, সেখান থেকে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেদিনই তিনি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। বুধবার বাড়ি ফেরার পর আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেদিনই তাঁকে জেএনএমে পাঠানো হয়।

    আক্রান্ত চিকিৎসককে দেখতে শুভেন্দু, কী বললেন?

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কল্যাণী জেএনএম কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরে বেরিয়ে এসে রাজ্য সরকার ও শান্তিপুর থানার পুলিশকে নিশানা করেন তিনি। শুভেন্দু আসার সময়ে চিকিৎসকের সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা ও ভাই। শুভেন্দুর দাবি, স্থানীয় থানার ওসি তাঁর অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এফআইআর নম্বর দেননি বলে সুজন আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। উল্টে যে বাঁচাতে গিয়েছিল, তাকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। আসল অপরাধীরা তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক হওয়ায় পুলিশ তাদের গায়ে হাত দেওয়ার সাহস পায়নি।

    বিজেপির শান্তিপূর্ণ অবস্থানে গন্ডগোল 

    শুক্রবার দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে শান্তিপুরের (Shantipur) ফুলিয়া ফাঁড়ির সামনে বিজেপি কর্মীরা অবস্থান বিক্ষোভ করেন। সেখানেই কয়েক ঘন্টা ধরে চলে বিজেপির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ। পরবর্তীতে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা পুলিশের ব্যারিকে়ড ভেঙে পুলিশ ফাঁড়ির ভিতরে ঢুকতে গেলে শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। তারপর তা প্রায় হাতাহাতিতে পরিণত হয়। ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হয় বেশ কয়েকজন মহিলা বিজেপি কর্মী, এছাড়াও আহত হন বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র অর্চনা মজুমদার সহ রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। পরবর্তীতে পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়, সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার পুলিশ প্রশাসনকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন বলেন, পুলিশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। যে ব্যক্তি চিকিৎসককে মারধর করেছে সেই মূল অভিযুক্তকে কেন গ্রেফতার করা হল না? আমরা সেই কারণেই পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থককে আহত হতে হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র অর্চনা মজুমদার বলেন, আমাকেও আঘাত পেতে হয়েছে। পুলিশের এই বর্বরতা আমরা কিছুতেই মেনে নেব না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন দলীয় কর্মীরা, কেন জানেন?

    Cooch Behar: তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন দলীয় কর্মীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদীভাঙন কবলিত কোচবিহারের তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের বাসিন্দারা বাঁধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বহুদিন ধরে। বৃহস্পতিবার সেখানে হাজির হন কোচবিহার (Cooch Behar) জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ চৈতি বর্মন বড়ুয়া। আর তাঁকে হাতের নাগালে পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বাসিন্দারা। তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা নিয়েই দলের টিকিটে জেতা কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তাঁরা স্লোগান দিতে শুরু করেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Cooch Behar)

    বৃহস্পতিবার কোচবিহারের (Cooch Behar) তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের মহিষকুচি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়ডাক নদী সংলগ্ন গেদারচর এলাকায় পরিদর্শনে যান তৃণমূল কংগ্রেসের তুফানগঞ্জ-২ ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ চৈতি বর্মন বড়ুয়া। সেখানে গেলে নিজের দলের কর্মীরাই চৈতিকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান। তাঁকে ঘিরে চলে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। সেই সময় ব্লক সভাপতিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বাসন্তী বর্মনের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরে বক্সিরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চৈতিকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে যায়। পরে কর্মাধ্যক্ষ বলেন, কোনও বিক্ষোভ নয়। এলাকার মানুষ দাবিদাওয়ার বিষয় আমার কাছে তুলে ধরেছে।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নদীবাঁধের দাবি উঠলেও কর্মাধ্যক্ষকে কখনও এলাকায় দেখা যায়নি। কিন্তু সকাল থেকে অবৈধভাবে বালি পাচারের অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তিনি এলাকায় হাজির হন। কী উদ্দেশ্য তাঁর? এই প্রশ্নকে সামনে রেখেই গ্রামবাসীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, নিজের নির্বাচনী এলাকায় অবৈধভাবে রায়ডাক নদী থেকে বালি পাথর পাচারের জেরে ভাঙছে নদীবাঁধ। আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। কিন্তু, কর্মাধ্যক্ষের তাতে কোনও হেলদোল নেই।

    বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    কোচবিহারের (Cooch Behar) তুফানগঞ্জ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা রায় বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকেই তৃণমূল নেতাদের কয়লা চোর, বালি চোর ও পাথর চোর বলেছি। এবার গ্রামবাসীরাও একই কথা বললেন। গ্রামের মানুষ যখন নেতাকে চোর বলছেন, তখন অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bagdogra: শুরু হচ্ছে বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণের কাজ, উদ্যোগী কেন্দ্র

    Bagdogra: শুরু হচ্ছে বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণের কাজ, উদ্যোগী কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাগডোগরা (Bagdogra) বিমানবন্দর নিয়ে বড়সড়় সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার সিদ্ধান্ত কার্যকর করার প্রথম ধাপ হিসেবে কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়ে গেল। ডিসেম্বর মাসে বড়দিনের আগেই প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা খরচ করে বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণের কাজ ভূমিপুজো দিয়ে শুরু হতে চলেছে।

    বিমানবন্দরে কী উন্নয়নমূল কাজ করা হবে? (Bagdogra)

    বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমান বিমানবন্দরের (Bagdogra) টার্মিনালের আয়তন সাড়ে আট হাজার বর্গমিটারের মতো। সকাল থেকে বিকাল অবধি বিমানবন্দর ভিড়ে ঠাসা থাকে। অনেকেই দাঁড়ানো বা বসার ঠিকঠাক জায়গা পান না। তাই, বিমানবন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে ১০৪ একরের মতো জমি অধিগ্রহণ এবং সমীক্ষা করে প্রথম পর্যায়ের ৯৫০.৪৫ কোটি টাকার নতুন টার্মিনাল ভবনের পরিকাঠামো উন্নয়নের টেন্ডার করা হয়েছে। প্রায় এক লক্ষ বর্গমিটারের নতুন টার্মিনাল ভবন এবং আধুনিক পরিকাঠামো তৈরি হবে। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে ‘এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া’ প্রথম বাগডোগরার নতুন বিমানবন্দরের নকশা এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য দেশের তো বটেই, এশিয়ার নামকরা একটি সংস্থাকে পরামর্শদাতা হিসাবে নিয়োগ করে। ডিসেম্বরে ভূমিপুজোর পরে, ২০২৪ সালের গোড়ায় কাজ শুরু করে তা ২০২৬ সালের পুজোর আগে শেষ হওয়ার কথা। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রক বাগডোগরার জন্য ১,৮৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করেছে। এই টেন্ডারে প্রথম পর্যায়ে ৯৫০.৪৫ কোটি টাকার টেন্ডার হয়েছে। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হওয়ার পর বাকি টাকা বরাদ্দ করা হবে।

    বিমানবন্দরের পরামর্শদাতা কমিটির চেয়ারম্যান কী বললেন?

    বাগডোগরা (Bagdogra) বিমানবন্দরের পরামর্শদাতা কমিটির চেয়ারম্যান তথা দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, ইতিমধ্যেই টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে কারা কাজ করবে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। ডিসেম্বরে ভূমি পুজো হচ্ছে। দিনক্ষণ দ্রুত ঠিক করা হবে। নতুন বছর থেকে পুরোদস্তুর কাজ চলবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই অঞ্চলকে গুরুত্ব বুঝেই বিপুল পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: জয়নগরের পর আমডাঙা! প্রকাশ্যে বোমা মেরে তৃণমূলের প্রধানকে খুন করল দুষ্কৃতীরা

    North 24 Parganas: জয়নগরের পর আমডাঙা! প্রকাশ্যে বোমা মেরে তৃণমূলের প্রধানকে খুন করল দুষ্কৃতীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ভরসন্ধ্যায় খুন হলেন উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙা পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান রূপচাঁদ মণ্ডল। রাত ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে আমডাঙা থানার সোনাডাঙা এলাকায়। তৃণমূলের প্রধানকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। বোমার আঘাতে গুরুতর জখম অবস্থায় তড়িঘড়ি উদ্ধার করে পুলিশ আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই রূপচাঁদের মৃত্যু হয়। এর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে দাপুটে তৃণমূল নেতাকে প্রকাশ্যে খুন করার ঘটনা ঘটে। এক সপ্তাহের মধ্যে পর পর দুজন শাসক দলের নেতা খুন হওয়ার ঘটনায় রাজ্যে পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (North 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যাবেলা উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙার কামদেবপুর হাটে ছিলেন রূপচাঁদবাবু। আচমকা সেই সময় তাঁর কাছে একটা ফোন আসে। ফোন পাওয়া মাত্রই তিনি রাস্তা পার হতে যান। অভিযোগ, সেই সময় কেউ বা কারা তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। রাস্তাতেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয়রা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে বারাসতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে যান সাংসদ অর্জুন সিং, স্থানীয় বিধায়ক রফিকুর রহমান সহ একাধিক ব্লক নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, রাতেই জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তৃণমূল কর্মীরা হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। এই হামলার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল দায়ী, জমি বেচাকেনার ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে বিবাদের জেরে এই ঘটনা-এমনই অভিযোগ বিরোধীদের।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    খুনের ঘটনার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের সব অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন আমডাঙার বিধায়ক রফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এলাকায় কোনও গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয় নেই।’ কিন্তু, কেন তাঁকে বোমা মারা হল, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কোনও কিছু বলতে পারেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: মমতা সরকারকে উৎখাত করার ডাক দিলেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা, ঠিক কী বলেছেন তিনি?

    Alipurduar: মমতা সরকারকে উৎখাত করার ডাক দিলেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা, ঠিক কী বলেছেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা সরকারকে উৎখাত করতে হবে। রাজ্যে একটা ফ্যাসিস্ট সরকার চলছে। এটা বিরোধী কোনও রাজনৈতিক দলের নেতার কোনও বক্তব্য নয়। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে মমতার ঘনিষ্ঠ আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) প্রবীণ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা প্রশান্ত নারায়ণ (জহর) মজুমদার এই মন্তব্য করেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি একথা জানিয়েছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন বর্ষীয়ান ওই তৃণমূল নেতা? (Alipurduar)

    নিজের হাতে তৈরি করা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কার্যকলাপের বিতশ্রদ্ধ হয়ে এদিন মমতা সরকারকে উৎখাত করতে আমজনতাকেও জোটবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন জহরবাবু। জহরবাবু একসময় বিধানসভার প্রার্থী ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। পাশাপাশি তিনি সরকারি আইনজীবীও ছিলেন। লোকসভা ভোটের আগে শাসক দলের বিরুদ্ধে জহরবাবুর মতো একজন ৮২ বছরের বর্ষীয়ান নেতার এ ধরনের মন্তব্যে জেলার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, উদ্যান পালন দফতরে আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি সরব হয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তদন্তের দাবি জানিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই ঘটনার তদন্ত কিছুই হয়নি। উলটে কেন তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন তারজন্য প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন এই তৃণমূল নেতা। তিনি অভিযোগ জানিয়ে বলেন, সরকারি আর্থিক তছরুপ নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে কোনও সুবিচার হয় না। এ রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। গণতন্ত্রকে ফেরাতে বিরোধী সব দলকে সব মানুষকে একজোট হতে হবে। যেখানে যে দল শক্তিশালী সেই দলকে শক্তিশালী করে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। জহরবাবু দাবি করেন, দলে পুরানোদের কোনও মর্যাদা নেই। যারা শাসক দলে এখনও রয়েছেন তাদের ৭০ শতাংশ মানুষও এই দলের উপর তিতিবিরক্ত হয়ে রয়েছেন। ওই মানুষগুলো সামনের লোকসভা ভোটে শাসক দলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবেন।

    কী বললেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি?

    তৃণমূল কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক  বলেন, জহর বাবু শ্রদ্ধেয় মানুষ। তিনি ঠিক কি বলেছেন, তা আমার জানা নেই। তাই তাঁকে নিয়ে আগেভাগে কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jagadhatri Puja 2023: চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর এক ঝলকে জেনে নিন খুঁটিনাটি

    Jagadhatri Puja 2023: চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর এক ঝলকে জেনে নিন খুঁটিনাটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রস্তুতি তুঙ্গে। মেঘলা আকাশ, হালকা বৃষ্টিতে দমেনি পুজো নির্মাতারা। আগামীকাল ১৭ নভেম্বর চতুর্থীর দিন বিকেলেই  চন্দননগরের  উর্দিবাজার, বোরো, দৈবক পাড়া সহ ৬ টি পুজোর উদ্বোধন হতে চলেছে। বাকী পুজোগুলি পরে উদ্বোধন হবে। আসলে চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Puja 2023) ঐতিহ্য হল সুবিশাল প্রতিমা(সবই প্রায় উচ্চতায় ২০ ফুটের ওপরে), নয়নাভিরাম আলোর জাদু এবং অবশ্যই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এই তিন জাদুকাঠির জেরে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর নাম জগৎজোড়া। এই কদিনে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করবেন জগতের ধাত্রীকে দর্শন করতে। চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর শুরু থেকে শেষ সবটাই জাঁকজমকপূর্ণ। বৃহস্পতিবার চন্দননগরে নিজেদের  কার্যালয়ে প্রেস মিট করে এবিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন  চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির কর্মকর্তারা।

    কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক কী বললেন? (Jagadhatri Puja 2023)

    কমিটির পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ সাউ বলেন, এবারে শাস্ত্র মতে ১৯ নভেম্বর জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Puja 2023) ষষ্ঠী ও সপ্তমী একইদিনে পড়েছে। ২০ নভেম্বর অষ্টমী। তাই দশমীর দিন পর্যন্ত প্রতিমা থাকবে মণ্ডপে। প্রতিমা নিরঞ্জনের ঐতিহাসিক শোভাযাত্রা হবে আগামী ২৩ তারিখে। ওই দিন সন্ধ্যা ৬ টা থেকে পরদিন ভোরবেলা অবধি শোভাযাত্রা চলবে।  চন্দননগর কেন্দ্রীয় কমিটির অধীনে চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর জুড়ে মোট ১৭৭ টি পুজো হচ্ছে এবারে। এর মধ্যে ৬ টি পুজো বারোয়ারির জুবিলী আছে। এদের মধ্যে কারও ২৫, কারও ৫০, কারও ৬০, আবার কেউ ৭৫ বছরে পদার্পণ করছে। এবারে পুজোর পরিবেশ হবে পরিবেশ বান্ধব। ঠাকুরের ভোগ দেওয়া হবে মাটির ভাঁড়ে। একান্ত প্রয়োজন না হলে প্লাস্টিক ব্যবহার করব না আমরা। প্রতিবছরের ঐতিহ্য মেনে ডিজে বা শব্দবাজির প্রবেশ নিষেধ চন্দননগর এলাকাতে।

    বিসর্জনের শোভাযাত্রা কত পুজো কমিটি অংশগ্রহণ করতে চলেছে?

    বিশেষ করে বিসর্জনের যে শোভাযাত্রা (Jagadhatri Puja 2023)  বের হয় তা দেখতে রাস্তার দুধারে কাতারে কাতারে লোক আসে দূর দূরান্ত থেকে। তবে, সব পুজো বারোয়ারি শোভাযাত্রায় সুযোগ পায় না। গতবারের মতো এবারও ৬২ টি পুজো কমিটি শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহন করবে। প্রতিটি কমিটির সর্বাধিক ৪ টি করে লরি থাকবে। এবার শোভাযাত্রায় মোট ২৩০ টি লরি থাকছে। এবারে কমিটি থেকে নতুন নিয়ম করা হয়েছে , যে লরিগুলিতে প্রতিমা থাকবে অর্থাৎ ৬২ টি লরিতেই  অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র বহন করা বাধ্যতামূলক। এদিন সেন্ট্রাল কমিটি থেকে আরও জানানো হয়, চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে মোট ১৭ টি ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা থাকবে। অগ্নিনির্বাপক দফতরের পক্ষ থেকেও পুজোর কটা দিন গোটা চারেক বড় ভ্যান চন্দননগরের বিভিন্ন জায়গায় রাখা থাকবে। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। পাশাপাশি মোবাইল (বাইক বাহিনী) টিমও থাকছে দমকলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share