Tag: West Bengal

West Bengal

  • Puja Donation: আরজি করের প্রতিবাদ, পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান করে ‘অভয়া’কে স্মরণ

    Puja Donation: আরজি করের প্রতিবাদ, পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান করে ‘অভয়া’কে স্মরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে। চিকিৎসকরা লাগাতার কর্মবিরতি করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। রাজ্যজুড়ে মেয়েদের রাত জেগে আন্দোলন দেখেছেন দেশবাসী। এবার আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ল প্রত্যন্ত গ্রামেও। পুজোর অনুদানের (Puja Donation) জন্য আবেদনই করবেন না, সাফ জানিয়ে দিলেন তারকেশ্বরের আস্তারা গ্রামের মা শারদা জননী দুর্গোৎসব পুজো কমিটি। কার্যত, রাজ্য সরকারের পুজোর অনুদানকে প্রত্যাখ্যান করে নিজেদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

    দুর্গামণ্ডপে ‘অভয়া’কে স্মরণ! (Puja Donation)

    গতমাসেই বাংলায় পুজো কমিটিগুলির জন্য সরকারি অনুদান ৭০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৮৫ হাজার করে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, আরজি কর মেডিক্যালে (RG Kar Incident) নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান ফেরাতে শুরু করেছে একের পর এক পুজো কমিটি। উত্তরপাড়ায় শক্তি সংঘের পর হাইল্যান্ড পার্ক উৎসব কমিটি পুজোর অনুদান নেবে না। গত বছর সরকারি অনুদান নিলেও, ২২তম বছরে হাইল্যান্ড পার্ক উৎসব কমিটির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেন, এবার তাঁরা রাজ্য সরকারের দেওয়া পুজোর অনুদান (Puja Donation) নেওয়ার জন্য আবেদন করবেন না। মেয়ের বিচারের দাবিতে মায়ের পুজোয় সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান করলেন তাঁরা। এবার সেই তালিকায় যোগ হল তারকেশ্বরের আস্তারা গ্রামের মা শারদা জননী দুর্গোৎসব পুজো কমিটি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই পুজো কমিটি আবার মহিলা পরিচালিত। ফি বছর যেখানে দুর্গামণ্ডপ হয়, দশভূজাকে প্রতিষ্ঠা করে পুজো হয়, সোমবার সেখানেই ‘অভয়া’কে স্মরণ করলেন পুজো কমিটির সদস্যরা।

    আরও পড়ুন: ‘‘আমাদের আগে ৩টি বডি ছিল’’! দাবি নির্যাতিতার বাবার, সৎকারে কেন তৎপর পুলিশ?

    কী বললেন পুজো উদ্যোক্তারা?

    এবার পাঁচ বছরে পা দিল মহিলা পরিচালিত এই পুজো। সরকারের কাছে অনুদানের (Puja Donation) জন্য আবেদন করেছিল এই পুজো কমিটি। তবে ‘অভয়া’র নির্মম পরিণতির পর অনুদান নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই, বলছেন কমিটির সদস্যরা। বদলে তাঁরা বলছেন, ‘বিচার চাই’। চৈতালি জানা নামে এক সদস্য বলেন, ‘‘আমাদের ঘরেও তো মেয়ে, বোন আছে। এটুকু নিরাপত্তা যদি না থাকে তাহলে কীভাবে বেরোবে ওরা। সঠিক বিচার পেলে আমরা অনুদানের জন্য না হয় আবার আবেদন করব।’’ রুমা ধাড়া পুজো পরিচালনার দায়িত্বে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের পুজোমণ্ডপ যেখানে হয়, যেখানে মা দুর্গার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করি, সেখানে দাঁড়িয়েই আজ আমরা ‘অভয়া’র বিচার চাইলাম (Puja Donation)। মেয়েটা (RG Kar Incident) ডাক্তার হত, ও ওর অদৃশ্য দশ হাতে কত মানুষের প্রাণ বাঁচানোর শপথ নিয়েছিল। অথচ এভাবে নৃশংসভাবে শেষ করে দেওয়া হল। আর কোনও মায়ের কোল যেন খালি না হয়, আমরা সেটাই চাই। ডাক্তারটা আমাদের কাছে ভগবানের মানসরূপ।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: হাথরস কাণ্ডের দুঁদে মহিলা সিবিআই অফিসার সীমা এবার আরজি করের তদন্তে

    CBI: হাথরস কাণ্ডের দুঁদে মহিলা সিবিআই অফিসার সীমা এবার আরজি করের তদন্তে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাথরস কাণ্ডের কথা মনে আছে? ২০২০ সালে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। উচ্চবর্ণের চার ব্যক্তি দলিত তরুণীটিকে গণধর্ষণের পর একটি মাঠে ফেলে পালায়। পরে, নির্যাতিতার মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় মহিলা পদমর্যাদার এসপি নিযুক্ত করা হয়েছিল। সেই পদ্ধতিতেই আরজি করের ঘটনায় নিযুক্ত করা হল মহিলা এসপিকে। নাম সীমা পাহুজা। তিনি এর আগে হাথরস ধর্ষণকাণ্ডের তদন্ত করেছিলেন। ইতিমধ্যেই কলকাতায় চলে এসেছেন সীমা। এই মামলায় তিনজন তদন্তকারী আধিকারিক (CBI) নিযুক্ত করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে দুজন মহিলা। একজন কলকাতার অফিসার। 

    কে এই মহিলা আধিকারিক? (CBI)

    আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই (CBI)। সোমবার তাঁকে চতুর্থ বারের জন্য ডেকে পাঠানো হয় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। গত ৯ অগাস্ট চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্তে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে। যদিও সিবিআইয়ের হাতে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। তার মধ্যেই জানা গেল, হাথরসের ঘটনায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী দলের নেতৃত্ব দেওয়া তৎকালীন ডিএসপি সীমাকে আরজি করের ঘটনার তদন্তকারী দলে যুক্ত করা হয়েছে।

    সীমার প্রশংসা সিবিআইয়ের অন্দরে
    সিবিআই আধিকারিক সীমা এক সময় গাজিয়াবাদে কর্মরত ছিলেন, অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরোয়। হাথরস তো বটেই, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তকারী অফিসার হিসেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অন্দরে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। সিবিআই আধিকারিক হিসেবে তাঁর কাজের জন্য ২০১৪ সালের ১৫ অগাস্ট পুলিশ মেডেল পান সীমা। সাহসী এবং নির্ভীক অফিসার হিসেবে পরিচিতি রয়েছে তাঁর। হাথরস-কাণ্ডে সিবিআইয়ের ১৪ সদস্যের বিশেষ দলের নেতৃত্ব দেওয়া ছাড়াও হিমাচল প্রদেশের গুতি মামলার তদন্তের ভার ছিল তাঁর ওপর। সংশ্লিষ্ট মামলার সমাধান করেছিলেন তিনি। এবার তাঁকে আরজি কর (RG Kar Incident) কাণ্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষ সূত্রে খবর, আরজি করে যে সেমিনার হলে গোটা ঘটনাটা ঘটেছে, সেখানে যাবেন সীমা। নির্যাতিতার বাড়িতেও যাবেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ২২ অগাস্ট স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও, আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার ধর্না বিজেপির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: আরজি করকাণ্ডে সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করবে সিবিআই, এরপর কি সন্দীপ?

    CBI: আরজি করকাণ্ডে সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করবে সিবিআই, এরপর কি সন্দীপ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণকাণ্ডে ধৃতের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি পেল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ধৃত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করানোর অনুমতি এসে গিয়েছে। সোমবার সিবিআই-কে সেই অনুমতি দিল শিয়ালদা কোর্ট। কবে সেই টেস্ট হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, এদিন আদালতে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে তথ্য তুলে ধরেছে সিবিআই। এটি মূলত একটি মানসিক পরীক্ষা। হার্ট রেট, রক্তচাপ পরীক্ষার মাধ্যমে অভিযুক্ত সত্যি বলছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়। যে টেস্টের মাধ্যমে বোঝা যায় যে, কেউ মিথ্যা বলছে কিনা। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্য তাঁরও পলিগ্রাফ টেস্ট করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তবে, গোটাটাই হবে দিল্লি থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর।

    পলিগ্রাফ টেস্ট নিয়ে বিশেষজ্ঞরা কী বললেন? (CBI) 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, পলিগ্রাফ টেস্টের সময় যখন কোনও প্রশ্ন করা হয়, তখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির হার্টের পালস, রক্তচাপ, নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের মতো বিভিন্ন শারীরিক মানদণ্ড পরিমাপ করা হয়। যখন কেউ মিথ্যে কথা বলে, তখন সাধারণত সেইসব মাপদণ্ডের হেরফের হয়ে থাকে। সেটার মাধ্যমেই নির্ধারণ করা হয় যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মিথ্যে বলছে কিনা। যদিও সব সময় পলিগ্রাফ টেস্ট পুরোপুরি নির্ভুল হয় না বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এই বিষয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিক (CBI) বলেন, “কোনও ব্যক্তি যখন মিথ্যা কথা বলে, তখন তার মস্তিষ্ক থেকে পি ৩০০ নামে একটি বিশেষ সংকেত বের হয়। সেটা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ওই স্নায়বিক সংকেতের জন্যই তার হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ বেড়ে যায়। আর গোটা বিষয়টি আমাদের কাছে আরও স্পষ্ট হয়। সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয় ן”‎

    আরও পড়ুন: ২২ অগাস্ট স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও, আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার ধর্না বিজেপির

    এই পলিগ্রাফ টেস্টের ঠিক কী নিয়ম?

    অভিযুক্তকে এই পরীক্ষায় মত দিতে হয়। অভিযুক্ত মত দিলে তদন্তকারী সংস্থা (CBI) আদালতকে জানাবে। আদালত অনুমতি দিলে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে হবে পলিগ্রাফি টেস্ট। অভিযুক্তর সামনে টেস্ট করার আগে সমস্ত আইনি দিক ব্যাখ্যা করা হবে। পলিগ্রাফ টেস্টেরই একটি প্রকারভেদ হল লাই ডিটেকশন (মিথ্যা কথা ধরার উপায়) বা ব্রেন ম্যাপিং টেস্ট। মূলত পলিগ্রাফ টেস্টের সময়, অভিযুক্তর রক্তচাপের পরিবর্তন, পালস রেটের পরিবর্তন, ত্বকের উপরিভাগে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে কি না, এইসব সূক্ষ্ম বিষয়ের ওপর নির্ভর করে বুঝতে হয় যে অভিযুক্ত সঠিক বলছে কি না।

    সন্দীপকে ম্যারাথন জেরা সিবিআইয়ের

    ইতিমধ্যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। সূত্রের খবর, সন্দীপের থেকে জানতে চাওয়া হয় যে কেন তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা’কে হাসপাতালে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয়েছিল? আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে আরও একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। সূত্রের খবর, তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর শোনার পরে তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া কী ছিল, কার সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ করেছিলেন, সেমিনার হলের (যেখান থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল) কাছে আচমকা কেন সংস্কারের কাজ শুরু হল, সেই প্রশ্নও করেছে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়ায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হল ১৮ অগাস্ট! তিনদিন পর কেন জানেন?

    Nadia: নদিয়ায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হল ১৮ অগাস্ট! তিনদিন পর কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়া (Nadia) এবং মুর্শিদাবাদের একটি বড় অংশ জুড়ে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয় ১৮ অগাস্ট। এবারও নদিয়ার শান্তিপুরে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে ১৮ অগাস্ট জাতীয় পতাকা তোলেন সেখানকার মানুষ। নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কেন তিনদিন পর জাতীয় পতাকা উঠল এই জেলায়, তা ব্যাখ্যা করেন উদ্যোক্তারা।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Nadia)

    ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট নদিয়া (Nadia), কোচবিহার, মুর্শিদাবাদের একটা বড় অংশ পড়েছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান, বর্তমান বাংলাদেশে। সাংসদ তথা পণ্ডিত লক্ষ্মীকান্ত মৈত্রর প্রচেষ্টায় তৎকালীন কৃষ্ণনগরের রানিমা রাজেশ্বরী দেবী, পণ্ডিত শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় দিল্লিতে গিয়ে দরবার করেছিলেন। স্বাধীন ভারতের সদ্য ঘোষিত প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে তাঁরা দেখা করে সমস্ত বিষয়টি জানান। নবদ্বীপ, শান্তিপুর সহ শ্রীচেতন্য মহাপ্রভু এবং বৈষ্ণবকূলচূড়ামণি অদ্বৈত আচার্যের স্মৃতি বিজড়িত নদিয়া জেলাকে ভারতের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করতে না পারলে বৈষ্ণব সম্প্রদায়টিই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। একই সঙ্গে মুর্শিদাবাদ, কোচবিহারের বিষয়টি বলা হয়। এরপর ১৭ অগাস্ট রাতে ঘোষণা করা হয়, এই বিস্তীর্ণ এলাকাগুলি ভারতের। ১৫ অগাস্ট সেই সময়কার পাকিস্তানের মুসলিম লিগের পতাকা উঠেছিল। কিন্তু, মাত্র তিনদিনের মধ্যেই দ্বিতীয়বার আবারও কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এই দুই পতাকা সুরক্ষিত রয়েছে শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরি সংগ্রহশালায়।

    আরও পড়ুন: ২২ অগাস্ট স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও, আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার ধর্না বিজেপির

    স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

    ১০ বছর আগে শান্তিপুরের (Nadia) বিভিন্ন ইতিহাস নিয়ে কাজ করা অমিতাভ মৈত্র বেশ কয়েকজনকে নিয়ে এই অন্তর্ভুক্তি দিবস পালন করতে গেলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন। যদিও শান্তিপুরের বিশিষ্টজনদের সহযোগিতায় জটিলতা কাটে। এরপর থেকে ভারতভুক্তি হিসেবে শান্তিপুরে ১৮ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়ে আসছে। এদিনের স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠানে শান্তিপুর সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক সুশান্ত মঠ, উদ্যাপন কমিটির অমিতাভ মৈত্র, রজত প্রামাণিক, সঞ্জিত কাষ্ঠ, বিশ্বজিৎ রায় সহ বহু বিশিষ্টজন উপস্থিত ছিলেন। সম্প্রতি বাংলাদেশের ঘটনার প্রসঙ্গে উঠে আসে আলোচনায়। উদ্যোক্তারা বলেন, যদি সেই সময় পণ্ডিত লক্ষ্মীকান্ত মৈত্র, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এই উদ্যোগ গ্রহণ না করতেন, তাহলে আজ আমাদের পরিস্থিতিও ওই ভয়াবহতার মধ্যে দিয়েই কাটত।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: আরজি কর কাণ্ডে আন্দোলনকারী ডাক্তারদের ‘হাত মুচড়ে’ দেওয়ার নিদান তৃণমূল সাংসদের!

    Bankura: আরজি কর কাণ্ডে আন্দোলনকারী ডাক্তারদের ‘হাত মুচড়ে’ দেওয়ার নিদান তৃণমূল সাংসদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর গায়ে কালি লাগানোর চেষ্টা হলে হাত মুচড়ে দেওয়ার নিদান দিলেন বাঁকুড়ার (Bankura) তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী। বিরোধীদের মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেল পুলিশের একাংশকেও। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের জনরোষের মুখে পড়ার সম্ভাবনার কথা শোনা গেল সাংসদের মুখে। তাঁর এই বক্তব্যে নিন্দার ঝড় উঠেছে। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে দলের নেতা-মন্ত্রীরা আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। দোষীদের শাস্তি দাবি করছেন। সেখানে নেত্রীর ‘গুড বুকে’ থাকার জন্য আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল সাংসদ? (Bankura)

    আরজি করের ঘটনায় সাধারণ মানুষের আন্দোলনে উত্তাল সারা দেশ। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিকভাবে বেশ বেকায়দায় পড়ে একই দাবি তুলে পথে নেমেছে তৃণমূল। দলীয় নির্দেশে রবিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার (Bankura) হিন্দু হাইস্কুল ময়দান থেকে মাচানতলা পর্যন্ত মূলত মহিলাদের নিয়ে মিছিল করে তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা নেতৃত্ব। মিছিল শেষে মাচানতলায় আকাশ মুক্ত মঞ্চ সভা হয়। সভামঞ্চ থেকে সাংসদ বলেন, ‘‘মণিপুরে যখন মহিলাদের ওপর অত্যাচার হয় তখন সিপিআইএম কোথায় ছিল? আজ মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে নাইট শো-র সিনেমা দেখার মতো করে মহিলাদের রাস্তায় নামানো হচ্ছে। এভাবে মুখ্যমন্ত্রীর গায়ে কালি লাগানোর চেষ্টা হলে তৃণমূল কর্মীরা আপনাদের হাত মুচড়ে দেবে।’’ বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে আন্দোলনকারী জুনিয়ার চিকিৎসকদের সতর্ক করে সাংসদ বলেন, ‘‘কর্মবিরতির নামে অনেক জুনিয়র চিকিৎসক বেড়াতে যাচ্ছেন। অনেকে বাড়ি যাচ্ছেন। আপনারা ডাক্তারি করতে এসেছেন, রাজনীতি করতে নয়। তাই আপনারা পরিষেবা স্বাভাবিক রাখুন। হাসপাতালে রোগী মারা যেতে শুরু করলে গ্রাম-গঞ্জ থেকে দলে দলে লোক হাসপাতালে ছুটে আসবে। জনরোষ তৈরি হবে। তখন আমরা সামলাতে পারব না।’’ সভামঞ্চ থেকে পুলিশের একাংশকেও হুঁশিয়ারি দেন সাংসদ। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশের একাংশ সাপের মুখেও চুমু খাচ্ছেন, আবার ব্যাঙের মুখেও চুমু খাচ্ছেন। মিটিং মিছিল করতে দিয়ে বিরোধীদের মদত দিচ্ছেন। আমাদের কর্মীরা সব নজর রাখছে। মনে রাখবেন আপনাদের রাজ্য সরকারের অধীনে কাজ করতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: ২২ অগাস্ট স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও, আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার ধর্না বিজেপির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি কর ইস্যুতে প্রতিবাদ মিছিলে ‘না’ পুলিশের, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি নেতা

    RG Kar Incident: আরজি কর ইস্যুতে প্রতিবাদ মিছিলে ‘না’ পুলিশের, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) কাণ্ডে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। এবার সারা দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপি (BJP) নেতা স্বপন দাশগুপ্ত। সেই মতো তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। এরকম ঘটনার জন্য প্রতিবাদ মিছিল করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেতা? (RG Kar Incident)

    জানা গিয়েছে, আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদে মৌলালি থেকে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রোসিং পর্যন্ত বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপি নেতা স্বপনবাবু। দিনকয়েক আগেই আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-ছাত্রীর নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই পথেই মিছিল করেছিলেন। ফলে, আপত্তি হবে না জেনেই পুলিশের কাছে বিজেপি নেতা আবেদন করেছিলেন। কিন্তু,পুলিশ অনুমতি দেয়নি। তাই, মিছিলের অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। সোমবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের কাছে মামলা করার অনুমতি চান মামলাকারীর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য। তাঁর আবেদন, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতার মৌলালি থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করার অনুমতি দেওয়া হোক। পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আবেদন জানিয়েও অনুমতি মিলছে না বলে দাবি করেন তিনি। বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ২২ অগাস্ট স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও, আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার ধর্না বিজেপির

    আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Incident) উত্তাল গোটা দেশ। দিকে দিকে চলছে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ, ধর্না, মিছিল। সকলের একটাই দাবি, ‘বিচার চাই’। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ তো বটেই রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মবিরতিতে জুনিয়র চিকিৎসকেরা। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তারকারাও আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন। প্রায়ই কলকাতার রাস্তায় মিছিল বার করছেন প্রতিবাদীরা। একাধিক ক্ষেত্রে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। প্রতিবাদে পথে নেমেছে রাজনৈতিক দলগুলিও। বিরোধীরা আরজি কর-কাণ্ডে বাংলার শাসক দল তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলছে। আরজি করে চিকিৎসক ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় ন্যায়বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে প্রায় সর্বস্তরের মানুষ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গত সপ্তাহে ওই স্থানে ঠিক ওই রাস্তাতেই মিছিল করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মিছিল করতে পারলে, কেন অনুমতি দেওয়া হবে না, সেই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘হাতে রাখি বেঁধে মা-বোনেদের সুরক্ষার শপথ নিন’’, পুরুষদের বার্তা দিলীপ ঘোষের

    Dilip Ghosh: ‘‘হাতে রাখি বেঁধে মা-বোনেদের সুরক্ষার শপথ নিন’’, পুরুষদের বার্তা দিলীপ ঘোষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাখি বন্ধন উৎসবের দিন মহিলাদের হাতে রাখি পরিয়ে তাঁদের সুরক্ষা দেওয়ার বার্তা দিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সোমবার সকালে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী কাটোয়া শহরের স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় চায়ের দোকানের সামনে ‘চায়ে পে চর্চা’ কর্মসূচিতে যোগদান করেন তিনি। এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন কাটোয়ার বিজেপির নেতা, কর্মী-সমর্থকরা।

     হাতে রাখি বেঁধে মা-বোনেদের সুরক্ষার শপথ নিন (Dilip Ghosh)

    এদিন সাংবাদিকদের সম্মুখীন হয়ে বিজেপি (BJP) নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘মা-বোনেদের হাতে রাখি বেঁধে তাঁদের সুরক্ষার শপথ নিন। পশ্চিমবঙ্গের একটি মহিলার গায়ে হাত পড়বে না, কোনও অসম্মান হবে না। পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা সুরক্ষিত না। আরজি করে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে তার জন্য সরাসরি দায়ী রাজ্য সরকার। আর রাজ্যে মহিলারা সুরক্ষিত নন বলেই রাখি বন্ধন উৎসবের দিন সকল মহিলাদের রাখি পরিয়ে তাঁদের সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে পুরুষদের।’’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে ছাত্র-যুব সকলে এক হয়ে গিয়েছেন। একটা গণ-আন্দোলনের সৃষ্টি হয়েছে, যা বাংলাদেশের চিত্র সামনে এনে দিচ্ছে।’’

    আরও পড়ুন: ২২ অগাস্ট স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও, আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার ধর্না বিজেপির

     আরজি করে হামলাকারীরা তৃণমূলের লোক

    এদিন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘১৪ অগাস্ট রাতে আরজি করের ভিতরে যে সকল দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছিল, তারা তৃণমূল কংগ্রেসের লোক।’’ এছাড়াও এদিন তিনি তাঁর ধারালো বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে রাজ্য সরকারকে বারবার তুলোধনা করেন। তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দমন-পীড়ন নীতি নিয়ে কাজ করছেন। তাই, তাঁর বিরুদ্ধে যখন কেউ কথা বলছেন, তখন তাঁদেরকে পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না তাঁদের দলের নেতা-সাংসদরাও।’’ এদিন তিনি এও বলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কিছু নেতা বর্তমানে মুখ খুলছেন। কারণ, তাঁরা বুঝতে পেরেছেন বাংলাদেশের মতো অবস্থা এখানে হতে চলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বৈরাচারী মানসিকতা এবং তাঁদের দলের নেতাদের ধমক-চমক দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখা, এগুলি আর চলবে না। তাঁরাও এবার মুখ খুলতে শুরু করছেন।’’ এদিন তিনি ‘চায়ে পে চর্চা’-য় এসে সাংবাদিকদের সম্মুখীন হওয়ার পর কাটোয়া স্টেশনে গিয়ে স্টেশনের সাধারণ মহিলা যাত্রীদের হাতে রাখি পরিয়ে দেন দিলীপ ঘোষ। মহিলাদের থেকে তিনিও রাখি পরেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: সেমিনার হল নাকি অন্যত্র, নির্যাতিতাকে ধর্ষণ-খুন কোথায়? উত্তরের খোঁজে সিবিআই

    RG Kar Incident: সেমিনার হল নাকি অন্যত্র, নির্যাতিতাকে ধর্ষণ-খুন কোথায়? উত্তরের খোঁজে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) তোলপাড় গোটা দেশ। কলকাতার সরকারি হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের নৃশংস ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় চলছে সিবিআই (CBI) তদন্ত। তবে তদন্তের মাঝেই চিন্তার ভাঁজ পড়ল তদন্তকারীদের কপালে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চেস্ট বিভাগের সেমিনার হলেই কি ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছিল তরুণী ডাক্তার ছাত্রীকে? না কি অন্যত্র ঘটনা ঘটিয়ে সেমিনার হলে মৃতদেহ সাজিয়ে রাখা হয়েছিল‌? এই প্রশ্নেরই উত্তরের খোঁজেই তদন্তকারীরা। 

    কী জানিয়েছেন তদন্তকারীরা? (RG Kar Incident) 

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আরজি করের চেস্ট বিভাগে ৬০টি শয্যা রয়েছে। তা ছাড়া, সেমিনার হল-সহ আরও দু’টি ঘর রয়েছে। ওই ঘরের শয্যাগুলি রাতে সাধারণত খালি থাকে। সেখানেও খুন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চেস্ট বিভাগের নানা জায়গায় থ্রিডি স্ক্যানারের মাধ্যমে ম্যাপিং এবং ভিডিও করা হয়েছে। 

    ফের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা সন্দীপ ঘোষের (CBI) 

    ঘটনাস্থল ও সংলগ্ন জায়গা জরিপ করার পাশাপাশি আরজি করের (RG Kar Incident) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও শুক্রবার থেকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। রবিবারের পর ফের সোমবার সকালে আবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছেন তিনি। এই নিয়ে চতুর্থ বার সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। এদিন বেশ কিছু নথি নিয়ে দফতরে ঢুকতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। যদিও সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি সন্দীপ।  

    আরও পড়ুন: ‘‘পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ভয়াবহ…’’, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব মিঠুন চক্রবর্তী

    প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় (RG Kar Incident) গত বৃহস্পতিবার সন্দীপ ঘোষকে তলব করা হয়েছিল। তবে সে দিন হাজিরা দেননি তিনি। এরপর শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে সন্দীপের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, তিনি নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার আবেদনও জানিয়েছিলেন। কিন্তু ওই দিনই রাস্তা থেকে সিবিআই তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। তারপর থেকে প্রতি দিনই তাঁকে তলব করা হয়েছে। রবিবার প্রায় সাড়ে ১৩ ঘণ্টা সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। 

    অন্যদিকে, নিহত ওই চিকিৎসক কোনও চক্রান্তের শিকার হয়েছিলেন কি না, তা জানার চেষ্টা করছে সিবিআই (CBI)। তবে ধৃত সঞ্জয় রায়ের কিছু অসংলগ্ন কথাবার্তা তদন্তকারীদের চিন্তায় রেখেছে। জানা গিয়েছে, সঞ্জয়ের থেকে কথা বার করার জন্য মনোবিদের সাহায্যও  নিতে পারে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি কর কাণ্ডে শান্তনু-সুখেন্দুর পর ‘বিদ্রোহী’ সাবিনাও, পায়ের তলার মাটি সরছে তৃণমূলের!

    RG Kar Incident: আরজি কর কাণ্ডে শান্তনু-সুখেন্দুর পর ‘বিদ্রোহী’ সাবিনাও, পায়ের তলার মাটি সরছে তৃণমূলের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ড (RG Kar Incident) নিয়ে দেশজুড়়ে আন্দোলন চলছে। শাসক দলের অন্দরে এবার এই অন্যায় নিয়ে একের পর এক সাংসদ, মন্ত্রীরা মুখ খুলছেন। শান্তনু সেন আগেই আরজি করের চক্র নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁর মেয়ের ওপর কী নির্যাতন হয়েছে তা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন। পাশাপাশি মমতার পুলিশ যখন আন্দোলনকারীদের কন্ঠরোধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে, সেই সময় প্রকাশ্যেই আন্দোলনকারীদের সমর্থন করেছেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। এবার সেই সুখেন্দু শেখরের পাশে দাঁড়ালেন সাবিনা ইয়াসমিন। রবিবার মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরজি করে তরুণী চিকিৎসক খুনের ঘটনার জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিবাদ মঞ্চে এসেছিলেন রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। মুখ খুললেন তিনিও। বলা যেতে পারে, আরজি কর কাণ্ড নিয়ে এক এক করে বিদ্রোহী হয়ে উঠছেন তৃণমূলের নেতা-সাংসদ-মন্ত্রীরা। শান্তনু-সুখেন্দুর পর এবার সাবিনাও আন্দোলনকারীদের সমর্থন করলেন। পায়ের তলার মাটি সরছে, বুঝতে পারছে মমতা সরকার। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    কঠোর থেকে কঠোর শাস্তির দাবি মন্ত্রীর (RG Kar Incident)

    মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানান, সবাই সবার মতো করে আন্দোলন (RG Kar Incident) করছে, এটা এমন একটা ইস্যু সবাই সবার মতো করে বলছেন। সকলেরই দাবি বিচার হোক, আজকে সমস্ত জুনিয়র চিকিৎসকরা বিচারের দাবিতে বসে আছেন। হাসপাতালের পরিষেবা ব্যাহত হয়ে রয়েছে। অন্যদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের বিরাট অংশ আজকে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত আছে। নিশ্চয়ই তাঁরা চাইবেন, তাঁদের সহপাঠীর এই মর্মান্তিক পরিণতি ঘটিয়েছে যারা, তাদের ফাঁসি হোক। সাবিনা বলেন, ‘‘যে যার মতো থেকে বলছে আমরাও আমাদের মতো থেকে আন্দোলন করছি। এখানে একটা ঘটনা ঘটেছে, আমরা সাপোর্ট করছি না। আমি একজন মহিলা, আমি তা সমর্থন করতে পারি না। আমিও দুই কন্যা সন্তানের মা। আমি এই ঘটনাকে কখনওই সমর্থন করতে পারি না। আমরা চাই, দোষীদের কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি হোক। এই আন্দোলন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন, একটা পথ দেখাবে ভবিষ্যতে।’’ সাবিনা আরও বলেন, ‘‘কোনও মেয়ে বা কোনও মহিলা যেন ধর্ষণের শিকার না হয়। এমন একটা কড়া আইন হওয়া উচিত যাতে কেউ একবার ধর্ষণ করতে গেলে তার শরীর কাঁপে। এটা আমি মনে করি। সিবিআইকে বলব যে প্রকৃত তথ্য অবিলম্বে সামনে আসুক। কারণ, আমাদের দিদি প্রথম দিন থেকেই বলেছিলেন যে, রবিবারের মধ্যে যদি আমরা না পারি রাজ্য সরকার তাহলে আমরা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেব। ভারতবর্ষের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে বাক স্বাধীনতা দিয়েছে। সুতরাং আমি যা বলার বলছি, আরেকজন যা বলার বলবে। প্রত্যেকেরই বাক স্বাধীনতা আছে। আমি আমার বক্তব্যে অনড় আছি।’’

    আরও পড়ুন: ২২ অগাস্ট স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও, আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার ধর্না বিজেপির

    প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ও প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি চেয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁর সেই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন জোড়াফুলেরই নেতা কুণাল ঘোষ। তবে এরপরেও নিজের বক্তব্য থেকে একচুলও সরছেন না বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ। এবার সাবিনাও আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ালেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ভয়াবহ…’’, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব মিঠুন চক্রবর্তী

    RG Kar Incident: ‘‘পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ভয়াবহ…’’, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব মিঠুন চক্রবর্তী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় সম্প্রতি আরজি করে (RG Kar Incident) এক মহিলা চিকিৎসককে নৃশংস খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। এই ঘটনার বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন আম জনতা। বিচারের আশায় সরব হয়েছেন বিভিন্ন তারকারা। ন্যক্কারজনক এই ঘটনায় পদক্ষেপ নিয়েছে বিজেপিও। বিরোধীদের মিছিল, ধর্নার পাশাপাশি উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের, ইস্তফার দাবিও। আর এবার এই ঘটনায় মুখ খুললেন বিজেপি (BJP) নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)।  

    কী বলেছেন মিঠুন চক্রবর্তী? (Mithun Chakraborty) 

    আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) প্রতিবাদের ঝড় দেশের সর্বত্র। এ প্রসঙ্গে এদিন বিজেপি (BJP) নেতা মিঠুন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘আমি অনেকদিন ধরে অনেক জায়গায় অনেকবার এই কথাটা বলে এসেছি যে আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা খুবই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। কী বলব, বাঙালি হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি। পরিবারের (নির্যাতিতার পরিবার) প্রতি আমার সম্পূর্ণ সহানুভূতি রইল। আর যারা যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাড়াতাড়ি তাদের সবাইকে গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া হোক। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় কাম্য।’’ বিজেপি নেতার এই বক্তব্য বিজেপির ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করা হয়। 

    বিজেপির প্রতিবাদ কর্মসূচি (RG Kar Incident) 

    সোমবার থেকে বিজেপি আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করতে চলেছে। আগামী ২০ অগাস্ট থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত লাগাতার ধর্না চলবে বিজেপির। সোমবার ধর্নার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। ঠিক হয়েছে, ভাগে ভাগে বিভিন্ন স্তরের নেতারা বসবেন ধর্নায়। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে ২০ তারিখ এই ধর্নায় উপস্থিত থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ অন্যান্য বিজেপি বিধায়করা। জানা গিয়েছে আগামী ২১ অগাস্ট রাজ্য বিজেপির সাংসদরা ধর্না দেবেন। ২২ তারিখ ঘেরাও করবেন স্বাস্থ্য ভবন।    

    ‘তিলোত্তমা’র বিচার চেয়ে পথে টলিউড 

    অন্যদিকে রবিবার ‘তিলোত্তমা’র বিচার চেয়ে (RG Kar Incident) পথে নেমেছে টলিউড তারকারা। টেকিনিশিয়ান স্টুডিয়ো থেকে শুরু হওয়া তারকাদের মিছিলে ছিলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, ঐন্দ্রিলা সেন, অঙ্কুশ হাজরা, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, সৌরসেনী মৈত্র, অনির্বাণ চক্রবর্তী, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, রাহুল অরুণোদয় বন্দোপাধ্যায়, রাজ চক্রবর্তী, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়-সহ অনেকেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share