Tag: West Bengal

West Bengal

  • North 24 Parganas: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য! সরকারি জমিতে রমরমিয়ে চলছে তৃণমূলের পার্টি অফিস

    North 24 Parganas: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য! সরকারি জমিতে রমরমিয়ে চলছে তৃণমূলের পার্টি অফিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু, সেই নির্দেশ কি আদৌ মানা হচ্ছে। অন্তত উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) জেলা সদর বারাসতের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ছবিটা তা বলছে না। পুর প্রশাসনের নাকের ডগায় বছরের পর বছর ধরে সরকারি জমিতে শাসক দলের কার্যালয় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফলে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিস রমরমিয়ে চলছে। সঙ্গে রয়েছে সিপিএম, ফরওয়ার্ড ব্লকের পার্টি অফিসও।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন? (North 24 Parganas)

    সরকারি জমি জবর দখল করে যে সব দোকান গজিয়ে উঠেছে, তার বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু, শাসক দলের কার্যালয় উচ্ছেদ করার বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। যা নিয়ে প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকা। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের (Trinamool Congress) শ্রমিক সংগঠনের বারাসত (North 24 Parganas) জেলার সহ- সভাপতি অতনু ঘোষ বলেন, সাধারণ মানুষের স্বার্থেই মুখ্যমন্ত্রী এই নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমাদের সকলের উচিত সেই নির্দেশ মেনে চলা। আর পার্টি অফিসটি তৈরির একটা ইতিহাস রয়েছে। ওখানে কাউন্সিলরদের বসার কোনও জায়গা ছিল না। আমিই উদ্যোগ নিয়ে তৎকালীন পুর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবগত করি। পরবর্তীকালে ওখানে তৃণমূলের একটি পার্টি অফিস তৈরি হয়। যেটা পুরসভার জমিতে রয়েছে। তৃণমূল কার্যালয় হলেও ওই অফিস থেকে সাধারণ মানুষের পরিষেবা দেন স্থানীয় কাউন্সিলর।

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ সেনাকে! শনিবারও নিহত ৭

    বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের কী বক্তব্য?

    ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা (North 24 Parganas) সম্পাদক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন, পুরসভা থেকে অনুমতি নিয়েই আমরা আমাদের পার্টি অফিস চালু করেছি। পুর আইন অনুযায়ী কোনও জায়গায় ছাদ দিতে গেলে পুরসভার অনুমতি লাগে। কিন্তু, শেডের ক্ষেত্রে লাগে না। ওখানে যতগুলি পার্টি অফিস রয়েছে, কারও চালে ছাদ নেই শেড রয়েছে। তা সত্ত্বেও পুরসভা কিংবা সরকার যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা তো সকলকেই মানতে হবে। আলোচনা করতে চাইলে আমরা তাতে সহযোগিতা করব। তবে, তৃণমূলের (Trinamool Congress) পার্টি রেখে আমাদের পার্টি অফিস ভাঙা চলবে। ভাঙলে সবার ভাঙতে হবে। একই সুর শোনা গিয়েছে সিপিএমের জেলা নেতা আহমেদ আলি খানের গলাতেও। তিনি বলেন, সরকারি কিংবা অন্য কারও জমিতে দলীয় কার্যালয় তৈরি করার অনুমোদন দেয় না পার্টি। যদি কোথাও এরকম হয়ে থাকে তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah: তৃণমূল নেতার সামনেই সালিশি সভায় খুন, জখম তিন, শোরগোল

    Howrah: তৃণমূল নেতার সামনেই সালিশি সভায় খুন, জখম তিন, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোপড়ার তৃণমূল নেতা জেসিবি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের জামালউদ্দিন সর্দারের বিরুদ্ধে সালিশি সভা বসিয়ে অকথ্য নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। ইতিমধ্যেই জামালউদ্দিনকে পুলিশ গ্রেফতার। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার হাওড়ার (Howrah) শ্যামপুরে জমি নিয়ে চলা বিবাদ মেটাতে শনিবার রাতে গ্রামে বসেছিল সালিশি সভা। সেই সভাতেই হল রক্তারক্তি। খুন হলেন এক জন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম জিয়াউল খান। জখম হয়েছেন তিন জন। আর এই সালিশি সভাতেও নাম জড়াল স্থানীয় তৃণমূল নেতার (Trinamool Congress)। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে শ্যামপুর (Howrah) থানার বাছরি গ্রাম পঞ্চায়েতের চাপাবাড় গ্রামে একটি সালিশি সভা বসেছিল। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী তথা তৃণমূল নেতা (Trinamool Congress) সাইফুল খানের নেতৃত্বে সালিশি সভা ডাকা হয়েছিল। মূলত, দুই পরিবারের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিবাদের ফয়সালা করতে ডাকা হয়েছিল সেই সভা। কিন্তু, সেই সালিশি সভার মাঝপথে শুরু হয় হট্টগোল। জিয়াউল খান এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে রাজা খানের পরিবারের মধ্যে বিতণ্ডা হয়। অভিযোগ, কথা কাটাকাটির মধ্যে আচমকা ছুরি বার করেন রাজা। তা দিয়ে জিয়াউলকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করেন তিনি। সালিশি সভার মধ্যেই মৃত্যু হয় জিয়াউলের। জখম হন আরও তিন জন। তাঁদের তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। বর্তমানে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা। মৃতের পরিবারের লোকজন বলেন, অনেক রাত পর্যন্ত সভা হয়েছিল। বাদানুবাদ হয়। তখন হঠাৎই ছুরি নিয়ে রাজা জিয়াউলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এলোপাথাড়ি কোপে জিয়াউলের মৃত্যু হয়। তৃণমূল নেতার কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ সেনাকে! শনিবারও নিহত ৭

    পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ হয়েছিল। সেখানেই গন্ডগোল বাধে। একজনের মৃত্যু হয়। তিনজন জখম হন। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC 21 July: শহিদ দিবস! রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে ভোজপুরি গানে অশ্লীল নাচ তৃণমূল কর্মীদের

    TMC 21 July: শহিদ দিবস! রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে ভোজপুরি গানে অশ্লীল নাচ তৃণমূল কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই ২১ জুলাইয়ের (TMC 21 July) শহিদ দিবসকে সামনে রেখে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু, তার মধ্যে এক ভিন্ন ছবি ধরা পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার ভাঙরের হাতিশালা এলাকায়। বাস থামিয়ে শহিদ দিবসে যাওয়ার পথে অশ্লীল নৃত্য তৃণমূল কর্মীদের। এই তৃণমূল কর্মীরা বাসে করে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে আসছিলেন বলে জানা গিয়েছে। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শহিদদেরকে সামনে রেখে তাঁদের মূর্তির নিচে মাল্যদান করছেন, শোক প্রকাশ করছেন, সেখানেই তাঁরই দলের কর্মী-সমর্থকদের এমন অশ্লীল নৃত্য, প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে দলকে।

    ভোজপুরি গানে অশ্লীল নাচ তৃণমূল কর্মীদের (TMC 21 July)

    উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া ব্লকের কুলটি এলাকা থেকে বাসে করে ধর্মতলায় শহিদ দিবসে যাওয়ার জন্য রওনা হন তৃণমূল কর্মীরা (TMC 21 July)। সঙ্গে ছিল সাউন্ড সিস্টেম ও নৃত্য শিল্পীরা। যাওয়ার পথে হাতিশালা সিক্সলেনের কাছে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ভোজপুরি গান চালিয়ে চলল অশ্লীল নাচ। সঙ্গ দিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। শহিদ দিবসের দিনেও আনন্দ করতে করতে যাচ্ছি, বললেন তৃণমূল নেতারা। মূলত, একুশে জুলাই শহিদদেরকে তর্পণ জানানো হয়। এটা অন্যতম একটি কষ্টের দিন হিসেবে চিহ্নিত। আর সেখানেই কিনা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সাউন্ড সিস্টেমের সঙ্গে নৃত্যশিল্পীদের গা দোলানো ও এই অশ্লীল নৃত্য কোনওভাবেই ভালো চোখে দেখছে না রাজনৈতিক মহল।

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ সেনাকে! শনিবারও নিহত ৭

    ছবি ঘিরে নিন্দার ঝড়

    ইতিমধ্যেই এই ছবি ঘিরে নিন্দার ঝড় উঠতে শুরু করেছে সর্বত্র। এই বিষয় নিয়ে মথুরাপুর (South 24 Parganas) সাংগঠনিক জেলার বিজেপির কনভেনার অরুণাভ দাস বলেন, একুশে জুলাইকে (TMC 21 July) সামনে রেখে চোরেদের মিটিং। এটা কে কত খাবে, কে কত সেটিং করবে, আর সেখানে এই ধরনের নৃত্যই তো কাম্য। তৃণমূলের থেকে এর থেকে আর বেশি কিছু আশা করা যায় না। অন্যদিকে সমাজের বিশিষ্টজনদের মতে এই ছবি শুধু নিন্দারই যোগ্য নয়, বরং আজকের এই বিশেষ দিনটিকেও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কালিমালিপ্ত করা হল। শহিদদের অপমান করা হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: অশান্ত বাংলাদেশ! আটকে ভারতীয় পড়ুয়ারা, উদ্বেগে পরিবারের লোকজন

    Bangladesh Protest: অশান্ত বাংলাদেশ! আটকে ভারতীয় পড়ুয়ারা, উদ্বেগে পরিবারের লোকজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ (Bangladesh Protest)। গত তিন-চারদিন ধরে শয়ে শয়ে ভারতীয় দেশে ফিরছেন। কিন্তু, এখনও বহু ভারতীয় বাংলাদেশে রয়েছেন। তাঁরা ফিরতে পারেননি। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার অনেক পড়ুয়া আটকে রয়েছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে। ফলে, চরম আতঙ্কে রয়েছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। কারণ, অনেককেই ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁরা কী অবস্থায় রয়েছেন, তা জানা যাচ্ছে না।

    চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পরিবারের লোকজন (Bangladesh Protest)

    হরিহরপাড়ার বাসিন্দা নাসিম হাসান বিশ্বাস ঢাকার ডেলটা মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএস ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। একই কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়া রানিনগরের ইমরুল কায়েস। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে তাঁরা আটকে রয়েছেন ঢাকা (Bangladesh Protest) শহরে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হওয়ার কারণে তাঁদের সঙ্গে পরিবারের লোকজন কোনও যোগাযোগ করতে পারছেন না। এর আগে শেষবার যখন যোগাযোগ হয়েছিল তাতে জানা গিয়েছিল, ঘরে ফেরার জন্য তাঁরা বাস পাচ্ছেন না। বাতিল হয়েছে উড়ান। ফলে তাঁদের মতো অনেকেই আটকে রয়েছেন সেখানে। হরিহরপাড়ার নাসিমের বাবা হাফিজুল ইসলাম বলেন, “ছেলে যে কলেজে পড়ে সেখানকার নিরপত্তারক্ষী খুন হয়েছেন। এই ঘটনার পর ছেলে আতঙ্কে রয়েছে। সে বাড়ি ফেরার জন্য বাস পায়নি। প্লেনও পায়নি। ইন্টারনেট সংযোগও নেই। ফলে, আমরাও ওর সঙ্গে ঠিক মতো যোগাযোগ করতে পারছি না। চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি। প্রতিদিন খবরে যা দেখছি, তাতে আতঙ্ক আরও বাড়ছে। ছেলের সঙ্গে নদিয়া, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) অনেক পড়়ুয়া রয়েছে। সকলেই দেশে না ফেরা পর্যন্ত আমাদের আতঙ্ক কাটবে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করলে খুব ভালো হয়।”

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ সেনাকে! শনিবারও নিহত ৭

    কী বললেন সাংসদ?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাংসদ আবু তাহের খান বলেন, “এই এলাকায় অনেকে বাংলাদেশে (Bangladesh Protest) রয়েছে। তাঁরা ফিরতে চাইছেন, সেখানকার পরিস্থিতির কারণে তাঁরা আটকে পড়েছেন। তাঁদের ফেরানোর জন্য আমরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। প্রয়োজনে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকেও জানাব। ছেলেমেয়েরা যাতে ঘরে ফিরতে পারে তার ব্যবস্থা করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: উত্তাল বাংলাদেশ! উৎকন্ঠা নিয়ে ভারতে ফিরলেন ৩২০ জন পড়ুয়া, বন্ধ হল হিলি সীমান্ত

    Bangladesh Protest: উত্তাল বাংলাদেশ! উৎকন্ঠা নিয়ে ভারতে ফিরলেন ৩২০ জন পড়ুয়া, বন্ধ হল হিলি সীমান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটা বিরোধী আন্দোলন ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh Protest)। সেখানে মৃত্যুমিছিল চলছেই। এই আবহে চরম উৎকণ্ঠা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরলেন পড়ুয়ারা। এরমধ্যে নেপালের পড়ুয়াও রয়েছেন। প্রত্যেকে বাংলাদেশে মেডিক্যাল পড়তে গিয়েছিলেন। রবিবার হিলি সীমান্ত দিয়ে তাঁরা ভারতে ফিরলেন। বাংলাদেশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে তাঁদের হিলি সীমান্তে পৌঁছে দেওয়া হয়। ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও বেশকিছু ভারতীয় হিলি চেকপোস্ট (Hili Border) দিয়ে বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরে আসেন।

    ৩২০ জন পড়ুয়া বাংলাদেশ দিয়ে ভারতে ফিরলেন (Bangladesh Protest)

    ভারতে চিকিৎসা বা অন্যান্য কাজে আসা বাংলাদেশিরা (Bangladesh Protest) হিলি চেকপোষ্টের মাধ্যমে দেশে ফিরে যান। অপরদিকে, বাংলাদেশে কার্ফু থাকার কারণে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেল হিলি সীমান্তের স্থলবন্দর দিয়ে। শনিবার যারা ভারত থেকে বাংলাদেশে রফতানি নিয়ে গিয়েছিলেন, এদিন সকালে ফাঁকা লরি নিয়ে ভারতে ফিরে আসেন। প্রসঙ্গত, কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিকে সামাল দিতে নামানো হয় সেনা-বাহিনী। শুক্রবার রাত থেকে কার্ফু জারি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে মেডিক্যাল পড়তে যাওয়া ছাত্রছাত্রীরা এবং ভারতীয়রা বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন। সেই দৃশ্য এদিন দেখা গেল দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি চেকপোষ্টে। পাশাপাশি নেপাল থেকে পড়তে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের ভারতে ফিরতে দেখা যায়। এদিন ৩২০ জন পড়ুয়া হিলি সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফিরলেন।

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ সেনাকে! শনিবারও নিহত ৭

    দেশে ফিরে কী বললেন পড়ুয়ারা?

    বাংলাদেশ (Bangladesh Protest) থেকে ভারতে ফেরা ছাত্ররা বলেন, আমরা বাংলাদেশের বুগুড়াতে পড়াশুনা করতে গিয়েছিলাম। বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হলেও তার আঁচ আমরা পাইনি। কিন্তু, ভয়ে ভয়ে ছিলাম। কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে দেশে পাঠিয়ে দিল। কলেজ থেকে বলেছে বাংলাদেশে এখন থাকা সেফ হবে না। তাই আমরা ফিরে এলাম। আমাদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও তামিলনাড়ু, রাজস্থান, মুম্বই, কাশ্মীরের পড়ুয়াও রয়েছে। আমরা সকলেই মেডিক্যাল পড়তে বাংলাদেশে গিয়েছিলাম।

    আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে গেল হিলি সীমান্তে

    হিলি (Hili Border) এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সুব্রত সাহা বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ওপার বাংলার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তাই, রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে বলে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে জানা গিয়েছে। এরফলে রফতানি করার জন্য কাঁচামাল নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saktigarh: খাওয়ার আগে সাবধান! শক্তিগড়ে তিন কুইন্টাল ছত্রাক ভরা ল্যাংচা পুঁতে দেওয়া হল মাটিতে

    Saktigarh: খাওয়ার আগে সাবধান! শক্তিগড়ে তিন কুইন্টাল ছত্রাক ভরা ল্যাংচা পুঁতে দেওয়া হল মাটিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শক্তিগড়ের (Saktigarh) ল্যাংচার খ্যাতি সকলের মুখে মুখে ফেরে। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বর্ধমান, দুর্গাপুর কিংবা কলকাতা যাওয়ার পথে শক্তিগড়ের ল্যাংচা খাননি এমনই মানুষ খুব কমই মিলবে। খাদ্যরসিক বাঙালি ল্যাংচা হাবেই বুঁদ হয়ে যান। এবার থেকে এই মিষ্টির স্বাদ নেওয়ার আগে সাবধান! কারণ, ল্যাংচা হাবে অভিযান চালিয়ে যে তথ্য সামনে এল তা চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা।

    ল্যাংচার গায়ে ছত্রাক! (Saktigarh)

    জেলা স্বাস্থ্য দফতর, খাদ্য বিভাগ, ক্রেতা সুরক্ষা বিভাগ এবং পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা শক্তিগড়ে (Saktigarh) ল্যাংচা হাবে অভিযান চালান। মূলত গ্রামে হানা দিতেই দেখা যায়, ল্যাংচার গায়ে সাদা ছত্রাক। এরকমই প্রায় তিন কুইন্টাল ল্যাংচা নষ্ট করল প্রশাসন। জেলা উপস্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী ছিলেন এদিনের অভিযানে। তিনি বলেন, “আমরা গ্রামে গোডাউনেও যাই। পুলিশ, ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরাও ছিলেন। আমি নিজে ছিলাম। চক্ষু চড়ক গাছ। কুইন্টাল কুইন্টাল ল্যাংচা গত এক মাস ধরে ভেজে রাখা হয়েছে। ২১ জুলাই মানুষ আসবে, কিনে খাবে জানে। তারা তো আর অভিযোগ জানাতে যাবে না। ছত্রাক পড়ে গিয়েছে ল্যাংচায়। সেগুলি খেলে অবধারিত মানুষ অসুস্থ হবেন। ল্যাংচা ভাঙছি, ভিতরে ছত্রাক। প্রতিটা এরকম। তিন কুইন্টাল ল্যাংচা বাজেয়াপ্ত করতে হয়েছে। পরিবেশবান্ধব উপায়ে সেগুলি মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি কয়েকজনের নামে। ফুড সেফ্টি অ্যাক্ট মেনে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেব।”

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ সেনাকে! শনিবারও নিহত ৭

    ক্ষুব্ধ ল্যাংচা ব্যবসায়ীরা

    ল্যাংচা (Langcha Hub) ব্যবসায়ীরা বলেন, “এভাবে গ্রামে অভিযান বেআইনি। রোজ তো ল্যাংচা তৈরি করে বিক্রি করা যায় না। আগের দিন ভেজে রাখতে হয়। পরদিন রসে দিয়ে বিক্রি করি। এই যে বাড়ি বাড়ি গেলেন, তার তো কোনও সার্চ ওয়ারেন্টও ছিল না, পারমিশনও দেখাননি। এটা বাজে ব্যাপার হল। ল্যাংচা সমিতিতে জানানো হবে। আমরা অভিযোগ জানাব।” আরেক ব্যবসায়ী বলেন, “ল্যাংচা (Langcha Hub) রেখে বিক্রির প্রশ্নই নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, নিরাপদে থাকতে ভারতে আসছেন বহু বাংলাদেশি

    Bangladesh Protest: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, নিরাপদে থাকতে ভারতে আসছেন বহু বাংলাদেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে (Bangladesh Protest)। জারি করা হয়েছে কার্ফু। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে ভারত থেকে বাংলাদেশে যারা পড়াশুনা করতে গিয়েছিলেন, তাঁরা দল বেঁধে দেশে ফিরছেন। একইসঙ্গে বহু বাংলাদেশি নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে নিজের দেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসছেন। পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা আত্মীয়দের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন। এমনিতেই বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে আশঙ্কা করেই সীমান্তে বিএসএফ কড়া নজরদারি শুরু করেছেন।

     গেদে সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরলেন পড়ুয়ারা (Bangladesh Protest)

    বাংলাদেশের (Bangladesh Protest) মেডিক্যাল কলেজ পড়ুয়া সাদিকুল। তিনি ভারতীয়। বাংলাদেশে পড়তে গিয়েছিলেন। অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর ক্যাম্পাসের বাইরে বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। খবর জেনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিবারের লোকজন। কলেজের অন্য ভারতীয় ছাত্রেরা বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। সে দলে নাম লেখান সাদিকুলও। রাতের অন্ধকারে গাড়ি ভাড়া করে চলে আসেন গেদে (Gede)। নদিয়ার মায়াপুরের বাসিন্দা নীলাভ সাইদ বাংলাদেশের মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র। তিনি বলেন, “অনেক স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশে পড়তে গিয়েছিলাম। জানি না, আগামী দিনে সব ঠিকঠাক হবে কিনা। জীবন নিয়ে ফিরলেও কেরিয়ার অনিশ্চিত হয়ে গেল। বাড়ি ফিরতে পারলাম, এটা ভেবেও ভালো লাগছে।”

    আরও পড়ুন: ৬ মাস আত্মগোপনের ছক কষেছিলেন সোনারপুরের জামাল! অবশেষে গ্রেফতার

    আসছেন বহু বাংলাদেশি

    ভারতীয়দের পাশাপাশি বাংলাদেশিরাও আশ্রয় নিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গে। বাংলাদেশের রাজশাহী ঘোষপাড়ার বাসিন্দা চার খুড়তুতো-জ্যেঠতুতো ভাই গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে আসেন। গেদে (Gede) স্টেশন থেকে তাঁদের নানিকে ফোন করেন। নানির বাড়ি মুর্শিদাবাদের লালগোলায়। তাঁরা সেখানেই উঠবেন। খুব ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন চার ভাই। গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের পর হাঁফ ছেড়েছেন। এঁদের এক জন ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র প্রিন্স মহম্মদ। তিনি বলেন, “মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের ছাত্রেরাও বিক্ষোভে শামিল হচ্ছেন। তাঁরাও এমন অনৈতিক সংরক্ষণ চাইছে না। ঢাকার বাসিন্দা নাইমুর রহমান। পেশায় আইনজীবী। বাংলাদেশের গন্ডগোলের জন্য তিনিও ভারতে চলে এসেছেন। গেদে সীমান্তে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। আমি ভ্রমণ করতে ভারতে এসেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: অশান্ত বাংলাদেশ, পেট্রাপোল দিয়ে রফতানি বন্ধ করল ভারত

    Bangladesh Protest: অশান্ত বাংলাদেশ, পেট্রাপোল দিয়ে রফতানি বন্ধ করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটা ইস্যুতে উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh Protest)। বহু আন্দোলনকারীর পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে। জখমের সংখ্যাও বহু। নিখোঁজের তালিকায় আন্দোলনকারীর সংখ্যাও অনেক। শুক্রবার রাত থেকে বাংলাদেশে জারি করা হয়েছে কার্ফু। রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। এবার বাংলাদেশে অশান্তির প্রভাব পড়ল পেট্রাপোল বন্দরেও (Petrapole Border)। শনিবার সকালের পর প্রতিবেশী দেশে রফতানি বন্ধ করা হয়েছে। আমদানিও চলছে ধীর গতিতে। এদিন সকালে শুধু বাংলাদেশে পেট্রাপোলের মাধ্যমে ৩৫ ট্রাক পণ্য রফতানি করা হয়েছে। তার পরেই বন্ধ করা হয়েছে রফতানি। আমদানি চলছে ধীর গতিতে।

    কেন বন্ধ করা হল রফতানি? (Bangladesh Protest)

    পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, “শনিবার সকালে রফতানি শুরু হওয়ার পরে ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির (এলপিআই)-এর সঙ্গে কথা বলে রফতানি বন্ধ করা হয়েছে। পণ্য রফতানি করছিলাম। পণ্য পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ (Bangladesh Protest) সীমান্তের লোকজনের সঙ্গে গাড়ি নিয়ে যোগাযোগ করছিলাম। কিন্তু, মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি। এরফলে পণ্য কী ভাবে পাঠানো হবে, তা নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়। তার পরেই এলপিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করি। এলপিআই আধিকারিক আধঘণ্টা রফতানি বন্ধ রাখার কথা বলেন প্রথমে। এরপর ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলে তিনি পুরো রফতানি বন্ধ করার কথা বলেন। সেই মতো রফতানি বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশে যে সব ভারতীয় চালক রয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনারও ব্যবস্থা করা হবে। পরিস্থিতি আগের থেকে সামান্য বদলেছে। কিন্তু, এখনও উদ্বেগজনক। তাই বাণিজ্য আপাতত বন্ধ রাখা হচ্ছে। যদি বাংলাদেশ থেকে সরকারি ভাবে বার্তা পাই যে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, তখন আবার চালু হবে রফতানি।”

    আরও পড়ুন: ৬ মাস আত্মগোপনের ছক কষেছিলেন সোনারপুরের জামাল! অবশেষে গ্রেফতার

    ভারতে আসা যাত্রীর সংখ্যাও কমেছে!

    বাংলাদেশ (Bangladesh Protest) থেকে ভারতে আসা যাত্রীর সংখ্যাও কমেছে। এর প্রভাব পড়েছে মুদ্রা বিনিময়ে। যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য পেট্রাপোলে (Petrapole Border) থাকে যানবাহন। যাত্রী না আসায় তাদের ব্যবসাও ধাক্কা খেয়েছে। স্থানীয় যানবাহনের ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তাঁরা বলেন, “অন্য সময় সীমান্তে ভিড় লেগেই থাকে। এখন গোটা এলাকা খাঁ খাঁ করছে। চুপচাপ বসে আছি আমরা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: নাগরিক পরিষেবা বন্ধ রাখা তৃণমূল কাউন্সিলরকে ‘শিক্ষা’! বাড়ির সামনে জঞ্জাল ফেললেন পুরবাসী

    Balurghat: নাগরিক পরিষেবা বন্ধ রাখা তৃণমূল কাউন্সিলরকে ‘শিক্ষা’! বাড়ির সামনে জঞ্জাল ফেললেন পুরবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডে প্রায় ২৫০০০ ভোটে লিড পান বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। ফল ভালো হওয়ায় বালুরঘাট পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলার প্রলয় সরকার। এলাকার যেখানে সেখানে নোংরা আবর্জনা পড়ে থাকত। তাতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিলেন এলাকার মানুষ। নাগরিক পরিষেবা ঠিক করার জন্য বারবার বলা হয়েছিল কাউন্সিলরকে। কিন্তু, কর্ণপাত করেননি তিনি। দিনের পর দিন ওয়ার্ডের জঞ্জাল পরিষ্কার না হওয়ায় শনিবার ওয়ার্ডের জঞ্জাল তুলে তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে ফেললেন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। এই ঘটনায় শহর জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বালুরঘাট থানার পুলিশ।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন? (Balurghat)

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, লোকসভা নির্বাচনে কে কাকে ভোট দিয়েছেন তা আমাদের জানা নেই। বালুরঘাট (Balurghat) কেন্দ্রে বিজেপির সুকান্ত মজুমদার জয়ী হওয়ার পর থেকে এই ধরনের আচরণ দেখা দিয়েছে। দিনের পর দিন কাউন্সিলরকে জঞ্জাল পরিষ্কারসহ পুর পরিষেবার কথা জানানো হলেও কোনও কাজ করেন নি। বাধ্য হয়ে আমরা এই কাজ করলাম। আগামীদিনে যদি কাউন্সিলর নোংরা পরিষ্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ না করেন তাহলে আমরা আবার কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে এভাবেই নোংরা ফেলে যাব।

    আরও পড়ুন: ৬ মাস আত্মগোপনের ছক কষেছিলেন সোনারপুরের জামাল! অবশেষে গ্রেফতার

    তৃণমূল কাউন্সিলর কী সাফাই দিলেন?

    এই বিষয়ে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর প্রলয় সরকার বলেন, ২১ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস পালনে জেলার সব নেতৃত্ব কলকাতায় থাকায় বিজেপি এই নোংরা খেলাটি খেলেছে। আমার ওয়ার্ড প্রতিদিন পরিষ্কার করা হয়। ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে। সবই বিজেপির চক্রান্ত।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই বিষয়ে বিজেপির টাউন সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত বলেন, লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে বিজেপি ভালো ফল করেছে। বেশ কিছু ওয়ার্ডের সমস্ত পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলররা (Trinamool Congress)। যেমন, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে গত এক মাস ধরে কোনও আবর্জনা পরিষ্কার করছেন না কাউন্সিলর। আমরা এই নিয়ে সোমবার প্রমাণসহ মহকুমা শাসকের কাছে ডেপুটেশন দেব। এই বিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান  ইনচার্জ মুনমুন কর বলেন, পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে দিনে দুবার নোংরা পরিষ্কার করা হয়। পুরোটা মিথ্যে কথা। বিজেপি রাজনীতি করার জন্য এসব করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে না গেলে আইসিডিএস কর্মীদের জরিমানার ফতোয়া জারি তৃণমূল নেতার

    Murshidabad: ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে না গেলে আইসিডিএস কর্মীদের জরিমানার ফতোয়া জারি তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুলাই সমাবেশে আইসিডিএস কর্মীদের যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠল হুমায়ুন কবীর নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। আর সমাবেশে না গেলে দাবি মতো জরিমানা দিতে হবে। এমনই ফতোয়া জারি করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কার আমতলা এলাকায়। এই ঘটনা জানাজানি হতে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Murshidabad)

    শহিদ সমাবেশের জন্য আইসিডিএস সেন্টার থেকে জোর করে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল হুমায়ুন কবীর নামে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। তাঁর স্ত্রী পঞ্চায়েত সমিতির সমস্যা। ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বিডিও এবং সিডিপিওর দ্বারস্থ হয়েছেন এক আইসিডিএস কর্মী। অভিযোগ পত্রে ফরাক্কার (Murshidabad) আমতলার ৬০ নম্বর কেন্দ্রের অঙ্গনওয়ারি কর্মী মহাশ্বেতা ঘোষ অভিযোগ করেছেন, “আমতলার  তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা রোজিনা খাতুনের স্বামী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা হুমায়ুন কবীর বারবার আমাকে শহিদ সমাবেশে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। সমাবেশে না যাওয়ার কথা বললে জরিমানা বাবদ ১৫০০ টাকা দাবি করেন।” পরে, তিনি আরও বলেন, “ফরাক্কা এলাকায় আরও একাধিক আইসিডিএস কর্মীর কাছে ওই তৃণমূল নেতা জরিমানা  করেছেন। কারও কাছে দুহাজার টাকা, কারও কাছে আবার আড়াই হাজার টাকা দাবি করেছেন। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে হুমকি এবং মারধরের চেষ্টা করেন ওই তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা। তাতেই কার্যত আতঙ্কিত হয়ে নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।”

    আরও পড়ুন: ৬ মাস আত্মগোপনের ছক কষেছিলেন সোনারপুরের জামাল! অবশেষে গ্রেফতার

    তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    এদিকে শহিদ সমাবেশের জন্য আইসিডিএস সেন্টার থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠলেও অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা ওই আইসিডিএস কর্মীর বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন স্থানীয় তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, “এই ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। আসলে আইসিডিএস কর্মী সেন্টার ঠিক মতো চালান না। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের প্রচুর অভিযোগ রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share