Tag: Xi Jinping

Xi Jinping

  • Xi Jinping: পার্টি কংগ্রেসে হংকং, তাইওয়ান তাস খেললেন শি জিনপিং, কেন জানেন?

    Xi Jinping: পার্টি কংগ্রেসে হংকং, তাইওয়ান তাস খেললেন শি জিনপিং, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁকে একনায়ক বিশ্বাসঘাতক বলে দেগে দিয়েছেন চিনের (China) বাসিন্দারা। পরিস্থিতি যে বিশেষ সুবিধার নয়, তা বোধহয় আঁচ করতে পেরেছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। তাই পার্টি কংগ্রেসের উদ্বোধনী ভাষণে চিনা প্রেসিডেন্ট বলেন, হংকংয়ের পরিস্থিতির ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তাইওয়ানে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ এবং তৃতীয় শক্তির হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না।

    প্রতি পাঁচ বছরে একবার বসে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি (CCP) কংগ্রেস। এবারের পার্টি কংগ্রেসে উপস্থিত রয়েছেন প্রায় ২৩০০ দলীয় প্রতিনিধি। বেজিংয়ের গ্রেট হলে জড়ো হয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যেই যখন ঢুকলেন শি জিনপিং (Xi Jinping), তখন কার্যত হাততালির বন্যা। রবিবার থেকে শুরু হয়েছে চিনের ২০তম পার্টি কংগ্রেস। পর পর দুটো টার্মে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি ও প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন শি জিনপিং। আগামী পাঁচ বছরের জন্যও ফের ওই পদে ফিরতে চলেছেন তিনি।

    এদিন বক্তৃতা দিতে উঠে হংক ও তাইওয়ান তাস খেলে দেন শি জিনপিং (Xi Jinping)। বলেন, হট্টগোলের রাজনীতি থেকে সুশাসনের পথে ফিরেছে হংকং। স্বশাসিত তাইওয়ানে বিচ্ছিন্নতাবাদ ও বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। দেশজুড়ে চলা দুর্নীতির বিরুদ্ধেও এদিন সুর চড়িয়েছেন তিনি। বলেন, দেশজুড়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। যা মানুষ ও দেশের সেনাবাহিনীকে বিপন্মুক্ত করেছে। তাইওয়ানের দাবি যে চিন ছাড়ছে না, এদিন তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছিন শি জিনপিং। তিনি বলেন, তাইওয়ান সমস্যার সমাধান করা চিনা জনগণের ওপর নির্ভর করে। চিন কখনওই শক্তি প্রয়োগের দাবি পরিত্যাগ করবে না।

    আরও পড়ুন: মুখ থুবড়ে পড়েছে চিনের ‘জিরো কোভিড নীতি’, ফের লকডাউনে জিনপিং- এর দেশ

    চিনা প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে একটি শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলনের চেষ্টা চালিয়ে যাব। তবে প্রয়োজনে শক্তির ব্যবহার করব না, এমন প্রতিশ্রুতি দেব না। চিনা নাগরিকদের সুরক্ষার জন্যই যে কড়া কোভিড নীতি লাগু করা হয়েছে, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন চিনের সর্বাধিনায়ক। সরকারের কোভিড নীতিতে আমজনতার হাঁসফাঁস দশা হলেও, শি জিনপিং (Xi Jinping) বলেন, নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে এবং তাঁদের সুস্বাস্থ্য যাতে বজায় থাকে তাই এই নীতি নেওয়া হয়েছে। এতে ফলও মিলেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। মহামারি আপাতত নিয়ন্ত্রণেও বলে জানান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Chinese Communist Party: চিনের কম্যুনিস্ট পার্টি কংগ্রেসের গুরুত্ব

    Chinese Communist Party: চিনের কম্যুনিস্ট পার্টি কংগ্রেসের গুরুত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই মাসেই ১৬ অক্টোবর চিনের কম্যুনিস্ট পার্টির (Chinese Communist Party) ২০তম (20th CCP Congress) জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। চিনের রাজনীতিতে পার্টি কংগ্রেস প্রতি পাঁচ বছরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়। এই সম্মেলনেই সিসিপি- র সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়। এই সম্মেলনে যে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন তিনিই ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের মাধ্যমে দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হবেন বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদরা। চিনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে, সে দেশের সংসদ, ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস।

    চিনের বর্তমান রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং (Xi Jinping) এবার আবারও সিসিপির সাধারণ সম্পাদক হলে আগামী বছর তিনিই পিপলস কংগ্রেসে রাষ্ট্রপতি হিসেবে অনুমোদন পাবেন। জিনপিং ইতিমধ্যে দু দফায় ১০ বছর দেশের রাষ্ট্রপতি পদে রয়েছেন। আগে এই পদে দু দফার বেশি থাকা যেত না। ২০১৮ সালে জিনপিং সেই আইন পাল্টে নেন। এ থেকে অনেকে মনে করছেন তৃতীয় দফাতেও রাষ্ট্রপতি পদে থাকতে পারেন তিনি। যদি জিনপিং আরও এক দফা চিনের রাষ্ট্রপতি পদে বহাল থাকেন, তাহলে তিনি হবেন মাও সে তুংয়ের পর দীর্ঘ সময় পদে থাকা সিসিপি প্রধান।

    আরও পড়ুন: উইঘুরদের মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাষ্ট্রসংঘে চিনের বিরুদ্ধে গেল না ভারত    

    তাঁকে মাওয়ের সম উচ্চতায় দেখানোর চেষ্টাও করতে পারে সিসিপি। শি জিনপিং- এর নামের সঙ্গে ইদানীং ‘দলের মূল নেতা’ কথাটা বার বার বলা হয়। ‘শি জিনপিং- এর চিন্তাধারা’ এমন শব্দও ব্যবহার করা হয়। যা আগে মাও  সেতুং- এর সময়ও বলা হত। জিনপিং- কে নিয়ে পার্টির কী পরিকল্পনা তা জানতে চায় সারা পৃথিবী। 
     
    তাই এই সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। কম্যুনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জিনপিং- এর মেয়াদ বাড়বে কি না সেদিকেই লক্ষ্য সবার। জিনপিং- এর ক্ষমতায় থাকা- না থাকা ছাড়াও সিসিপি কীভাবে আগামীতে বিশ্বের দরবারে চিনকে তুলে ধরতে চাইছে, তারও কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যাবে কংগ্রেসে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলবে এই সম্মেলন।

    পরবর্তী একশো বছরের জন্য লক্ষ্য স্থির করা হবে এই সম্মেলনে। এই সম্মেলনে থেকেই উঠে আসবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ। দেশের প্রধান লক্ষ্য, উন্নয়ন সবটাই। এই সম্মেলনেই বুঝে নেওয়া হবে চিনের উন্নয়নের জন্য কী কী প্রয়োজন, জনগণের চাহিদাই বা ঠিক কী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

      

  • SCO Summit: আগামী বছর এসসিও সম্মেলন আয়োজনে ভারতকে সাহায্যের বার্তা চিনের

    SCO Summit: আগামী বছর এসসিও সম্মেলন আয়োজনে ভারতকে সাহায্যের বার্তা চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব লাদাখে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এই প্রথম মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও  চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। এসসিও বৈঠকের (SCO summit) মঞ্চে দু’জনের দেখা হয়। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) সম্মেলনের শুরুতেই যে গ্রুপ ফোটো তোলা হয়,তাতেও একসঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন দু’জনে। এই সমেমলনেই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেন জিনপিং। ২০২৩ সালের এসসিও সম্মেলন (SCO Summit) আয়োজন করবে ভারত। সেখানে ভারতকে সবরকমের সাহায্য করার বার্তা দিয়েছেন জিনপিং।

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের এপ্রিল-মে থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর ভারত এবং চিনের সংঘাত শুরু হয়। তারপর এই প্রথম পাশাপাশি দেখা গেল মোদি এবং জিনপিংকে।  বৃহস্পতিবার রাতে উজবেজকিস্তানের সমরখন্দে এসসিও-এর নৈশাহার এড়িয়ে গিয়েছিলেন দুই নেতাই। নৈশাহারের যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে মোদি বা জিনপিংকে কাউকে দেখা যায়নি। তবে শুক্রবার সকালে এসসিওভুক্ত অন্যান্য দেশের নেতাদের সঙ্গে গ্রুপ ফোটোয়  ছিলেন দুই রাষ্ট্রনেতাই।

    সীমান্ত-সমস্যার আবহে সমরখন্দে এসসিও সামিটের পার্শ্ব বৈঠক হিসেবে মোদি-জিনপিং আলাদা করে কথা বলবেন কি না তা নিয়ে চর্চা চলছিল। এর মধ্যেই এসসিও-র বৈঠকেই ভারতকে আগাম শুভেচ্ছা জানালেন চিনা প্রেসিডেন্ট। আগামী বছর ভারতেই হবে এই বৈঠক। তার জন্য নয়াদিল্লিকে সাহায্য করার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, চাপে পড়েই এমন মন্তব্য করেছেন শি জিনপিং। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার সংঘর্ষ বিন্দু থেকে কোনও অবস্থাই যে ভারত পিছু হটবে না,এটা বুঝেই মাথা নোয়ালেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: “১০০-র বেশি ইউনিকর্ন এবং ৭০ হাজারের বেশি স্টার্ট-আপ রয়েছে ভারতে”, এসসিও সম্মেলনে বললেন মোদি

    চলতি মাসে পূর্ব লাদাখের অন্যতম সংঘাতপূর্ণ এলাকা গোগরা-হটস্প্রিংয়ের প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১৫ থেকে পিছু হটেছে ভারতীয় এবং চিনা সেনা। তাই সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে গেলে এবার ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে হবে তা ভালুই বুঝেছে বেজিং। তাই সৌহার্দ্যের বার্তা। তবে এখনই দুই রাষ্ট্রনেতার মুখোমুখি বৈঠক হচ্ছে না বলেই অনুমান কূটনীতিকদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SCO Summit 2022: মোদির মুখোমুখি শি, শেহবাজ! এবারের এসসিও সম্মেলনে ভারতের গুরুত্ব কতটা?

    SCO Summit 2022: মোদির মুখোমুখি শি, শেহবাজ! এবারের এসসিও সম্মেলনে ভারতের গুরুত্ব কতটা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হল ২২তম সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন সামিট, সংক্ষেপে এসসিও (SCO)। দু দিনের এই সম্মেলন শুরু হয়েছে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে। ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping), রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin), পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) যোগ দিয়েছেন এই সম্মেলনে। এই প্রথম বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা মুখোমুখি হবে এই সম্মেলনে। কারণ অতিমারির কারণে এর আগে দুবার এসসিও সামিট হয়েছিল ভার্চুয়ালি।এক মঞ্চে জিনপিং এবং পুতিনের আগমনে যেমন নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত পাচ্ছে আন্তর্জাতিক মহল, তেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিও নজর কাড়ছে বিশ্ববাসীর।

    আঞ্চলিক নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, মাদক পাচার, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ইস্যু সহ নানা বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করে ভারত। এসসিও ভারতকে বহুপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে। যদিও ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলি ভারতে সামাজিক ক্ষত তৈরি করতে যুবসমাজকে টার্গেট করছে বলে অভিযোগ। ভারত যখন থেকে এসসিওর সদস্য হয়েছে, তখন থেকেই শান্তি, সমৃদ্ধি এবং ইউরেশিয়ান অঞ্চলে স্থায়িত্বের ওপর জোর দিচ্ছে। এসসিও নয়াদিল্লির কাছে একটা প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও কাজ করছে। যার মাধ্যমে পাকিস্তানকে সেন্ট্রাল এশিয়া এবং সাউথ এশিয়া সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে বাধ্য করে। ভারত এই সম্মেলনে ছাবাহার বন্দর প্রোজেক্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল নর্থ সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডর নিয়েও আলোচনা করতে পারে। ভারত, ইরান এবং উজবেকিস্তান এই তিন দেশ ছাবাহার বন্দর ও অন্যান্য কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা করেছিল ২০২০ সালে।এই সামিটের মাধ্যমে ভারত রাশিয়া, ইরান এবং সেন্ট্রাল এশিয়ান রিপাবলিক্সের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঝালিয়ে নেওয়ার একটা সুযোগ পেল বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুন : শুক্রবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদি-পুতিন, কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে?

    এদিকে, এই সম্মলেনর ফাঁকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকে বসতে পারেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদির আলাদা করে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভারত রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনেছে। তাই এই বৈঠকের দিকে শ্যেনদৃষ্টি রয়েছে আমেরিকারও। এদিকে, এবারের সমরখন্দ সামিটে যোগ দেওয়ার কথা শি জিনপিংয়ের। ২০২০ সালের পর অতিমারির কারণে তিনি দেশের বাইরে পা রাখেননি। তাই তিনি এই সামিটে যোগ দেওয়ায় শুরু হয়েছে নয়া গুঞ্জন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • China: মুখ থুবড়ে পড়েছে চিনের ‘জিরো কোভিড নীতি’, ফের লকডাউনে জিনপিং- এর দেশ

    China: মুখ থুবড়ে পড়েছে চিনের ‘জিরো কোভিড নীতি’, ফের লকডাউনে জিনপিং- এর দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিড ১৯ ভাইরাসের বিস্তার রোধে চিন সরকারের কঠোর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, ব্যাপক সংক্রমণের প্রাদুর্ভাবে শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) ‘জিরো কোভিড নীতি’-র (Zero Covid Policy) ব্যর্থতার ছবি স্পষ্ট। ফের বিপর্যস্ত চিনা (China) জনজীবন।  

    চিনের কিছু অঞ্চলে ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে করোনা সংক্রমণ। ফের করোনা বিধি নিষেধের আওতায় চিন।  

    আরও পড়ুন: চিন সীমান্তে নিখোঁজ ভারতীয় পর্বতারোহী! নিছকই কি দুর্ঘটনা?

    সোমবার শেনজেন শহরের বিশ্বের বৃহত্তম ইলেকট্রনিক্স মার্কেট বন্ধ করে দিয়েছে চিন সরকার। আশেপাশের অঞ্চলে বন্ধ করা হয়েছে যানবাহনের চলাচল। পঞ্চম ঢেউয়ের আশঙ্কা থেকেই এই সিদ্ধন্ত। 

    হুয়াকিয়াংবেই-এ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোনের যন্ত্রাংশ এবং মাইক্রোচিপ বিক্রির হাজার হাজার দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফুতিয়ান জেলায় তিনটি এলাকায় চারদিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: চিন সীমান্তের কাছে ভারত-মার্কিন সেনা মহড়া! বেজিংয়ের আপত্তি উড়িয়ে দিল দিল্লি 

    বাসিন্দাদের কোভিড পরীক্ষা ব্যতীত তাদের ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে এই পরিস্থিতি। 

    অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজন ছাড়া অর্থাৎ সুপারমার্কেট, ওষুধের দোকান এবং হাসপাতাল ব্যতীত ওইসব এলাকায় সমস্ত ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রেস্তোরাঁয় খাওয়া দাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুধুমাত্র টেকওয়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।     

    লুওহু এবং লংগ্যাং জেলাগুলিতেও সমস্ত বিনোদনের জায়গা এবং পাবলিক পার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে, শেনজেনের এক আধিকারিক বলেন, মূলত করোনার নতুন সাবভেরিয়েন্ট Omicron BF.15 দ্বারাই নতুন করে ছড়াচ্ছে এই রোগ। এটি আরও বেশি সংক্রামক। তিনি আরও বলেন, “আসন্ন সময়ে এই মহামারী প্রতিরোধ করা আরও কঠিন হবে।” 

    ফের চিনে নতুন করে ছড়াচ্ছে করোনা। অনেকেই মনে করছে পঞ্চম ঢেউ এসে গিয়েছে। 

    রবিবার সারা দেশে ১৯ টি প্রদেশ এবং পৌরসভায় মোট ৩০১ জন আক্রান্তের খবর মিলেছে। এছাড়াও, সোমবার চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, দেশব্যাপী ১২৫৫ টি উপসর্গবিহীন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। 

    রবিবার সারা দেশে রিপোর্ট হওয়া ৩০১ টি স্থানীয় মামলার মধ্যে, ১৬১ টি সিচুয়ান প্রদেশের। যা এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ। 

    হংকং- এ স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশের সরকার। সেখানেও করোনা সংক্রণের হার ১০,০০০ ছাড়িয়েছে। 

    চিন সেই দেশগুলির মধ্যে অন্যতম, যারা কঠোরভাবে ‘জিরো কোভিড নীতি’ অনুসরণ করছে। 

    ভাইরাস মোকাবিলায় ফের আক্রমনাত্মক ভূমিকায় চিন। এর মধ্যে রয়েছে ‘ফ্ল্যাশ লকডাউন’, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা, গণ হারে পরীক্ষা, সামাজিক দূরত্ব এবং প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Sco Summit: এসসিও-র সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন মোদি-শি জিনপিং, আলোচনা হবে সীমান্ত নিয়ে?

    Sco Summit: এসসিও-র সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন মোদি-শি জিনপিং, আলোচনা হবে সীমান্ত নিয়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী সেপ্টেম্বর মাসে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে অনুষ্ঠিত হবে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের, সংক্ষেপে এসসিও-র (SCO) বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। সম্মেলনের ফাঁকে দুই দেশের রাষ্ট্রনেতা আলাদা করে কোনও বৈঠক করেন কি না, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।

    চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, ভারত, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং কাজাখস্তান এই আটটি দেশ সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের পূর্ণ সদস্য। চলতি বছরের প্রথম দিনে তিন বছরের মেয়াদে এই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর নয়া সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছেন ঝাং মিং। তিনি জানান, সংগঠনের সম্ভাবনা ও কর্তৃত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তি  স্থিতিশীলতা সুনিশ্চিত করা, দারিদ্র হ্রাস এবং খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা।

    আরও পড়ুন : তাসখন্দে মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ওয়াং ই! চলতি মাসের শেষে ফের বৈঠক চিন ও ভারতের

    এদিকে, শুক্রবারই তিন দিনের পাকিস্তান সফরে আসছেন সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ঝাং মিং। সমরখন্দে এসসিও-র বার্ষিক সম্মেলনে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে আমন্ত্রণ জানাবেন তিনি। চলত বছরের ১৫ ও ১৬ সেপ্টম্বর বার্ষিক এই সম্মেলন হওয়ার কথা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। সেখানেই মুখোমুখি হবেন মোদি এবং জিনপিং। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ব্রাসিলিয়ায় হয় একাদশতম ব্রিকস সম্মেলন। সেখানেই মুখোমুখি হয়েছিলেন এই দুই রাষ্ট্রপ্রধান।

    চলতি মাসের ১৭ জুলাই ভারত ও চিন এই দুই দেশের সেনার কমান্ডারস্তরের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সেনা পর্যায়ের ওই বৈঠকগুলির পরেও পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের বিবাদ সম্পূর্ণ মেটেনি। স্থায়ী সমাধান খোঁজার লক্ষ্যেই দীর্ঘ বিরতির পর ফের মুখোমুখি হয়েছিল প্রতিবেশী এই দুই দেশ। ২০২০ সালের মে মাসে দুই দেশের বিবাদ শুরু হওয়ার পর থেকে শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে নয়াদিল্লি-বেজিং বৈঠক হয়েছে একাধিকবার। তার পরেও সমস্যা মেটেনি। তাই হয় ১৬তম বৈঠকটি। 

    আরও পড়ুন : শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিন! ডোকলাম সীমান্তে গ্রাম বানাচ্ছে বেজিং

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে গলওয়ানে ভারত এবং চিন সেনার সংঘর্ষের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে। তার পর থেকে উত্তেজনা কমাতে চলছে দুই দেশের সেনা পর্যায়ের বৈঠক। তবে এসসিওতে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের দেখা হওয়ার কথা। এদিকে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আগামী সপ্তাহে যাচ্ছেন সমরখন্দে। ২৯ তারিখ সেখানে রয়েছে বিদেশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক।

    এসসিও সম্মেলনে ভারত ও চিন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান মুখোমুখি হবেন বলেই সূত্রের খবর। কারণ জিনপিং অল পাওয়ারফুল সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যান। সেখানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সমস্যা নিয়ে তাঁদের মধ্যে কী আলোচনা হয়, সেটাই দেখার।

     

LinkedIn
Share