Tag: Yogi Adityanath

Yogi Adityanath

  • Mahakumbh Mela 2025: মহাকুম্ভে ব্যবসা হবে ২ লাখ কোটি টাকার, বিরোধীদের জবাব যোগীর

    Mahakumbh Mela 2025: মহাকুম্ভে ব্যবসা হবে ২ লাখ কোটি টাকার, বিরোধীদের জবাব যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা (Mahakumbh Mela 2025)। এজন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার ব্যয় করছে ৫ হাজার কোটি টাকা। তা নিয়ে সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। সুযোগ পেয়ে তার জবাব দিলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তিনি বলেন, “মহাকুম্ভ মেলা (Mahakumbh Mela 2025) উপলক্ষে ৪০ কোটিরও বেশি দর্শনার্থী আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এতে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”  

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    ‘ডিভাইন উত্তরপ্রদেশ – দ্য মাস্ট ভিজিট সেক্রেড জার্নি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন যোগী। লখনউয়ের এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “মহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) মাধ্যমে রাজ্যের প্রবৃদ্ধি, পর্যটন এবং উন্নয়নের বিপুল সম্ভাবনা উদযাপন করা হবে।” রামলালার প্রতিষ্ঠার প্রথম বার্ষিকী স্মরণ করার জন্য আয়োজনও করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি। সরকারের ৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগকে সমর্থন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই অনুষ্ঠানে লক্ষ লক্ষ ভক্তের আগমনের ফলে সরকার অনেক বেশি রাজস্ব ফিরে পাবে।”

    পর্যটন থেকে রোজগার সরকারের

    তিনি বলেন, “২০১৭ সালের আগে বারাণসীতে বছরে মাত্র ৫০ লক্ষ ভক্ত আসতেন। কিন্তু ২০২৪ সালে এই শহরে ১৬ কোটি ভক্ত এসেছেন। ২০১৬ সালে অযোধ্যায় মোট ২.৮৩ লক্ষ দেশীয় ভক্ত এবং ১,২০০ বিদেশি পর্যটক এসেছিলেন। আর ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, মোট ১৩.৫৫ কোটি ভক্ত অযোধ্যায় এসেছেন। যখন একজন ভক্ত (Mahakumbh Mela 2025) উত্তরপ্রদেশে আসেন, তিনি পরিবহণ ব্যবহার করেন, রেস্টুরেন্টে খাবার খান, হোটেলে থাকেন, কেনাকাটা করেন এবং প্রতিটি সফরে গড়ে ৫,০০০ টাকা ব্যয় করেন। এই হিসাব অনুযায়ী, শুধুমাত্র বারাণসী থেকেই ৮০,০০০ কোটি টাকা আয় হয়।”

    আরও পড়ুন: ২৫ হাজার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে বের করে দিতে পারে অসম, রায় গুয়াহাটি হাইকোর্টের

    বিরোধীদের সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath) বলেন, “যাঁরা উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাঁরা তাঁদের বিদেশি আক্রমণকারীদের সঙ্গে সংযোগ নিয়ে গর্ব বোধ করেন, ভারতের সঙ্গে নয়।” তাঁর মতে, তাঁরা অযোধ্যা, প্রয়াগরাজ, মথুরা-বৃন্দাবন বা বারাণসীর উন্নয়ন পছন্দ করেন না, কারণ তাঁরা জাতি, ধর্ম এবং আঞ্চলিক ভেদাভেদ সৃষ্টি করার জন্য কাজ করেন (Mahakumbh Mela 2025)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: ১৯৭৮ সালের সম্ভল হিংসা মামলা পুনরায় খোলার নির্দেশ যোগী আদিত্যনাথের

    Yogi Adityanath: ১৯৭৮ সালের সম্ভল হিংসা মামলা পুনরায় খোলার নির্দেশ যোগী আদিত্যনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৪৭ বছরের পুরানো একটি হিংসার (Sambhal Riot) রিপোর্ট চাইল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সরকার। উত্তরপ্রদেশেরই সম্ভল এলাকায় সেই হিংসার ঘটনা শুরু হয়েছিল ১৯৭৮ সালের ২৯ মার্চ। দুই গোষ্ঠীর হিংসার জেরে প্রাণ গিয়েছিল বহু মানুষের।

    মৃত্যুর দীর্ঘ তালিকা

    সরকারি রিপোর্ট বলছে, হিংসায় মৃত্যু হয়েছিল ২৪ জনের। যদিও সেই হিংসার হাত থেকে যাঁরা বেঁচে গিয়েছিলেন, তাঁদের বিবৃতি ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সাম্প্রতিক বক্তব্য থেকে জানা গিয়েছে, ১৮৪ জন হিন্দুকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। দখল করে নেওয়া হয়েছিল ঘরবাড়ি, দোকানদানি। হিংসার জেরে গৃহহীন হয়েছিলেন বহু মানুষ। এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে নামে প্রশাসন। দু’মাসের জন্য জারি করা হয়েছিল কারফিউ। দায়ের হয়েছিল ১৬৯টি মামলা। যদিও সিংহভাগ অভিযুক্তকেই চিহ্নিত করা যায়নি।   

    আরও পড়ুন: গোধরাকাণ্ডের পর কীভাবে নিজের আবেগ সামলেছিলেন, পডকাস্টে খোলসা করলেন মোদি

    নথি হস্তান্তরের নির্দেশ

    ২০২৫ সালের ৮ জানুয়ারি মোরাদাবাদ কমিশনার অঞ্জনেয় সিং সম্ভলের জেলাশাসক রাজেন্দ্র পেনসিয়াকে ওই হিংসার সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত নথি হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। এই নির্দেশ দেওয়া হয় ৭ জানুয়ারি সম্ভল পুলিশ সুপার (এসপি) কেকে বিষ্ণোইয়ের একটি চিঠির প্রেক্ষিতে। এই চিঠিতে তিনি উত্তরপ্রদেশের আইন পরিষদের সদস্য শ্রীচন্দ্র শর্মার পুনঃতদন্তের দাবির কথা জানান। শর্মার চিঠিতে হিংসায় হতাহতের সংখ্যা এবং এর পরিণতি নিয়ে বিশদ তদন্ত দাবি করা হয়। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, এই বিষয়টি নিয়ে সম্ভল পুলিশের কাছে দুটি চিঠি এসেছে। এর একটি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের সহ-সচিবের কার্যালয়ের তরফে। অন্য চিঠিটি পাঠানো হয়েছে পুলিশ সুপার (মানবাধিকার) এর পক্ষ থেকে। এর পরেই পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকের মধ্যে এ নিয়ে চিঠি চালাচালি হয়। পরে স্থির করা হয়, একটি সম্পূর্ণ রিপোর্ট তৈরি করে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে। পুলিশের দাবি, আঠাত্তরের হিংসা নিয়ে আরও গভীর তদন্ত করতেই এই রিপোর্ট (Sambhal Riot) চাওয়া হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তা জমা করা হবে।

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    বিধানসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সম্ভলের সাম্প্রদায়িক হিংসার একটি ঐতিহাসিক ধারার কথা তুলে ধরেন। যা শুরু হয়েছিল সেই ১৯৪৭ সালে, স্বাধীনতার সময়। তিনি জানান, সম্ভলে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল ১৯৪৭, ১৯৪৮ এবং ১৯৫৮ থেকে ১৯৬২ সালের মধ্যে। ১৯৭৮ সালের হিংসা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “১৯৭৮ সালে ১৮৪ জন হিন্দুকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। কয়েক মাস ধরে কারফিউ জারি ছিল। এরপর ১৯৮০-১৯৮২, ১৯৮৬ এবং ১৯৯০ সালেও আবারও হিংসার ঘটনা ঘটে। যেখানে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছিলেন বহু মানুষ।”

    বিরোধীদের তুলোধনা

    বছরের পর বছর নীরব থাকায় এদিন বিরোধীদের তুলোধনা করেন যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, “সম্ভলের বজরংবলী মন্দির, যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বন্ধ রাখা হয়েছে সেই ১৯৭৮ সাল থেকে।” ১৯৭৮ সালের ওই মর্মান্তিক ঘটনা অসংখ্য বেঁচে থাকা মানুষকে ঠেলে দিয়েছিল এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে। অনেকের অভিযোগ, সাম্প্রদায়িক ওই হিংসার সময় তাদের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করা হয়েছিল (Sambhal Riot)। তাদের প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষাও দেওয়া হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি ভিটেছাড়া হওয়ার মানসিক যন্ত্রণা এবং তাদের ক্ষতির প্রতি উপেক্ষার অভিযোগও করেছেন।

    স্থানীয়দের বক্তব্য

    স্থানীয় (Yogi Adityanath) বাসিন্দারা জানান, আনুষ্ঠানিক মৃত্যুর সংখ্যা প্রকৃত ট্র্যাজেডির মাত্রার চেয়ে যথেষ্ট কম করে দেখানো হয়েছে। বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা দাবি করেছেন যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপরাধীদের রক্ষা করা হয়েছিল এবং প্রমাণ লোপাট করা হয়েছিল, তার ফলে কয়েক দশক ধরে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি আবারও সাম্প্রদায়িক সংবেদনশীলতাকে উদ্দীপিত করেছে। গত ডিসেম্বর মাসে প্রশাসন শহরের একটি “প্রাচীন মন্দিরের দ্বার ফের খুলে দেয় পুণ্যার্থীদের জন্য। তা নিয়েও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। এছাড়াও, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে শাহী জামা মসজিদের একটি আদালত নির্দেশিত সমীক্ষায় বাধা দেওয়া হয়। সেখানে মুসলিম জনতার বিরোধিতার মুখে পড়েন কর্তৃপক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ এই ঘটনাগুলিকে সম্ভলের শান্তি বিঘ্নিত করার এবং ন্যায়বিচারের প্রচেষ্টা নষ্ট করার চেষ্টার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন।

    এসপি কেকে বিষ্ণোই বলেন, “একটি সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করার জন্য সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে।” তিনি বলেন, “আমরা আদালত ও পুলিশের রেকর্ড থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছি, যাতে মামলাগুলি এবং মৃত্যুর কারণ পুনর্মূল্যায়ন করা যায়।” কমিশনার বলেন, “বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের উত্থাপিত জমিজমা-সম্পর্কিত যে কোনও বিরোধ আইনি উপায়ে সমাধান করা হবে। যদি সম্পত্তি অন্যায়ভাবে অধিগ্রহণ করা (Sambhal Riot) হয়, তাহলে সেগুলি প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে (Yogi Adityanath)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: পরিবেশবান্ধব মহাকুম্ভ, জাপানি পদ্ধতিতে প্রয়াগরাজজুড়ে ঘন অরণ্য তৈরি করেছে যোগী সরকার

    Mahakumbh 2025: পরিবেশবান্ধব মহাকুম্ভ, জাপানি পদ্ধতিতে প্রয়াগরাজজুড়ে ঘন অরণ্য তৈরি করেছে যোগী সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025)। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মনে করা হচ্ছে, মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে প্রয়াগরাজে জড়ো হতে পারেন ৪০ থেকে ৪৫ কোটি ভক্ত। মহাকুম্ভকে সাফল্যমণ্ডিত করতে প্রস্তুতি তুঙ্গে চলছে। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার বেশ কতগুলি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করেছে, যাতে এই মহাকুম্ভ পরিবেশবান্ধব হতে পারে। এর মাধ্যমে সারা পৃথিবীর কাছে এক বার্তা পৌঁছে দিতে চায় যোগী আদিত্যনাথ সরকার। বার্তাটি হল, বিশ্বের এত বড় ইভেন্টকেও পরিবেশবান্ধব রাখা যায় এবং পরিবেশের কোনও রকমের ক্ষতি না করে, সেটিকে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা যায়। আর এই লক্ষ্যেই জাপানি প্রযুক্তি (Mahakumbh 2025) ব্যবহার করে প্রয়াগরাজের (Prayagraj) আশেপাশে ইতিমধ্যে ঘন অরণ্য গড়ে তোলা হয়েছে। স্বল্প পরিসরে ঘন অরণ্য তৈরির পদ্ধতিকে কাজে লাগানো হয়েছে। যার পোশাকি নাম ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতি। এর ফলে বিশুদ্ধ বাতাস এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ পাবেন ভক্তরা।

    প্রসঙ্গত, যে স্থানে কুম্ভ হচ্ছে সেটি দেখভাল করে প্রয়াগরাজ পুরসভা। সেই কর্পোরেশন কুম্ভ মেলাকে স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশ বান্ধব গড়ে তুলতে জাপানি প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েছে। জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে কাজে ব্যবহার করা হয়েছে ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতি। এই প্রযুক্তির সাহায্যে ঘন অরণ্য তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। যা অক্সিজেন ব্যাঙ্কের কাজ করবে। যোগী আদিত্যনাথ সরকারের এই প্রয়াসে শুধুমাত্র প্রয়াগরাজে যে সবুজায়ন হয়েছে এমনটাই নয়, এর পাশাপাশি সেখানকার বাতাসও অনেক উন্নত হয়েছে। খুবই ভালো হয়েছে বাতাসের গুণগত মান। এর মাধ্যমে যোগী আদিত্যনাথ সরকার গোটা প্রয়াগরাজে একটি স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ গড়ে তুলতে পেরেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মহাকুম্ভকে সফল করতে এটি যোগী আদিত্যনাথ সরকারের একটি বড় প্রয়াস।

    যোগী সরকারের এমন পদক্ষেপ নিয়ে কী বললেন উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক

    এ বিষয়ে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতামতও সামনে এসেছে। এমনই একজন হলেন ডক্টর এনবি সিং। যিনি এলাহাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক। উদ্ভিদ বিদ্যা বিষয়ের এই অধ্যাপক সারা প্রয়াগরাজেই পরিচিত। তাঁকে বলা হয় ‘গ্রিনারি গুরু’ বা ‘সবুজ গুরু’। কারণ একাধিক পদক্ষেপ তিনি করেছেন সবুজায়নের ওপর। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতেও অনেক কাজ করেছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, প্রতিনিয়ত দূষণ বাড়ছে এবং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। এর কারণ হচ্ছে বনাঞ্চল ধ্বংস করে শহর গড়া।

    ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতি

    প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক বেশ কয়েক বছর ধরেই তীব্র তাপমাত্রা বেড়েছে বিশ্বজুড়ে। শুধুমাত্র তাই নয়, এই সময়ে মেরু অঞ্চলের বরফও গলে যেতে শুরু করেছে। গবেষণায় উঠে এসেছে, এর অন্যতম কারণ হল গাছ কাটা এবং বনাঞ্চল ধ্বংস। তবে এলাহাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উদ্ভিদবিদ্যা বিষয়ের অধ্যাপক ডঃ এনবি সিং মনে করেন যে ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতি প্রযুক্তি হল একটি দুর্দান্ত টেকনিক, যার মাধ্যমে এই সমস্ত সমস্যাগুলির সমাধান করা যায়। তিনি আরও জানিয়েছেন, দ্রুত ঘন অরণ্যের বৃদ্ধি কিভাবে করা যাবে সেই উপায় বাতলে দেয় এই জাপানি টেকনিক। এই পদ্ধতির মাধ্যমে দিন ও রাতে তাপমাত্রার ফারাকও অনেকটাই কমে যায়, বিশেষত গ্রীষ্মকালে। জাপানি প্রযুক্তিতে বনাঞ্চল বৃদ্ধির এই পদ্ধতিতে একটি স্বাস্থ্যকর জীববৈচিত্র গড়ে ওঠে। শুধুমাত্র তাই নয়, এর পাশাপাশি মাটির গুণগত মান অনেকটা বেড়ে যায় এবং তা চাষযোগ্য হয়। একই সঙ্গে বনাঞ্চলগুলি অজস্র প্রাণী ও পাখির বাসভূমিও হয়ে ওঠে। জানা গিয়েছে, কোনও নির্দিষ্ট এলাকায় যদি বনাঞ্চল থাকে, তাহলে সেখানকার তাপমাত্রা এমনিতেই চার থেকে সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যায়। এর পাশাপাশি ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতিতে আরও একাধিক সুবিধা পাওয়া যায় যা পরিবেশের পক্ষে খুবই উপযোগী।

    দশটি স্থানকে বেছে নেয় প্রয়াগরাজের প্রশাসন

    মহাকুম্ভকে (Mahakumbh 2025) পরিবেশবান্ধব গড়ে তুলতে এবং প্রয়াগরাজের বাতাসের গুণগত মানকে বাড়াতে সেখানকার পুরসভা শহরের দশটি স্থানকে বেছে নেয়। এখানে ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতির মাধ্যমে মোট ৫৫ হাজার ৮০০ বর্গমিটার জায়গা জুড়ে বিগত দু’বছর ধরে চারা গাছ রোপন করা হয়। এই গোটা প্রকল্পের তদারকি করেন ইঞ্জিনিয়ার গিরিশ সিং। তিনি বলেন, ‘‘আমরা চারা গাছ রোপন করেছিলাম প্রয়াগরাজের নৈনি ইন্ডাস্ট্রিয়াল অঞ্চলে। বছর দুই আগে। এই প্রত্যেকটি চারাগাছই বর্তমানে দশ থেকে বারো ফুট লম্বা হয়ে উঠেছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘নৈনি শিল্পক্ষেত্রের ওই জায়গাতে বর্জ্য পড়ে থাকত। প্রথমে শিল্পের বর্জ্যগুলিকে সেখান থেকে সরানো হয়। তারপরে মাটির গুণগত মান বাড়ানো হয় এবং সেখানে জৈব সার ফেলা হয়। তারপরেই বৃক্ষরোপণ করা হয়।’’ অন্যদিকে আর এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আর কে মিশ্রা বলেন, ‘‘এইভাবে বনাঞ্চল বৃদ্ধির ফলে গোটা এলাকাতে তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যাবে। কম জায়গার মধ্যে ঘন অরণ্য গড়ে তোলার পদ্ধতি হল জাপানি মিয়াওয়াকি প্রযুক্তি। মহাকুম্ভে যাঁরা আসবেন, তাঁরা এই সবুজায়নের সাক্ষী থাকবেন।’’

    বনাঞ্চল বৃদ্ধি করতে উদ্যোগ শুরু হয় ২০২০-২১ সাল থেকেই

    প্রসঙ্গত, প্রয়াগরাজে মিয়াওয়াকি প্রকল্প (Mahakumbh 2025) শুরু হয় ২০২০-২১ সাল থেকে। ২০২৩-২৪ সালে তা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। পরিসংখ্যান বলছে, প্রয়াগরাজের নৈনি শিল্পক্ষেত্রের ৬৩টি স্থানের, ৩৪,২০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে এখনও পর্যন্ত ১ লাখ ১৯ হাজার ৭০০ চারা গাছ রোপন করা হয়েছে। এত বিপুল পরিমাণে চারা গাছ রোপনকে মাইলস্টোন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একটা সময় ছিল যখন এই এলাকায় একটি বর্জ্য এলাকা বলেই পরিচিত ছিল। কারণ এখানে শিল্প বর্জ্যগুলিকে ফেলা হত। কিন্তু বর্তমানে তা পরিবেশবান্ধব এবং সবুজায়নের একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এর সবটাই হয়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের উদ্যোগে।

    প্রয়াগরাজের সবথেকে বর্জ্য এলাকা ছিল বুসওয়ার, তারও পরিবর্তন হয়েছে

    প্রসঙ্গত, প্রয়াগরাজের সবথেকে বর্জ্য এলাকা ছিল বুসওয়ার এবং সেটিরও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে যোগী আদিত্যনাথের। এর পুরোটাই সম্ভব হয়েছে জাপানি মিয়াওয়াকি প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে। জানা গিয়েছে প্রয়াগরাজের ওই বর্জ্য এলাকায় এখনও পর্যন্ত নয় হাজার বর্গমিটার জুড়ে ২৭টি আলাদা আলাদা জায়গায় ২৭ হাজার চারা গাছ রোপন করা হয়েছে। বর্তমানে ওই স্থান একটি ঘন অরণ্যে পরিণত হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই উদ্যোগ শুধুমাত্র ঘন অরণ্য স্থাপনের জন্য নেওয়া হয়নি। তার পাশাপাশি গ্রীষ্মকালে যাতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি না পায় এবং বাতাস যাতে বিশুদ্ধ থাকে সেজন্যও নেওয়া হয়েছে। এই দুই স্থান ছাড়াও প্রয়াগরাজের আরও ১৩টি জায়গাতে জাপানি প্রযুক্তির সাহায্যে অরণ্য তৈরি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    কোন কোন গাছ রোপন?

    ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রয়াগরাজে শুধুমাত্র ঘন অরণ্যই স্থাপন করা হয়নি। এর মাধ্যমে জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ করা আরও সহজ হয়েছে এবং এর পাশাপাশি সেখানকার স্থানীয় লোকজনেরও প্রচুর উপকার হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ঔষধি গাছ, ফলের গাছও রোপন করা হয়েছে। ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ প্রকল্পের আওতায় যে গাছগুলি রোপন করা হয়েছে, সেগুলি হল আম, মহুয়া, নিম, পিপল, অর্জুন, তুলসী আমলা ইত্যাদি। এর পাশাপাশি গুলমোহর, ব্রাহ্মী রোপন করা হয়েছে। লেবু, বাঁশ ইত্যাদি গাছও রোপন করা হয়েছে।

    ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ প্রযুক্তির খুঁটিনাটি ব্যাপার

    এবার আমরা জেনে নেব ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ প্রযুক্তির খুঁটিনাটি ব্যাপার। ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠাতা হলেন, জাপানের এক উদ্ভিদবিজ্ঞানী। তাঁর নাম আকিরা মিয়াওয়াকি। ১৯৭০ সালে তিনি এই প্রযুক্তির আবিষ্কার করেন। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে অল্প পরিসরে ঘন অরণ্য গড়ে তোলা সম্ভব হয়। খুবই কাছাকাছি গাছগুলিকে রোপন করা হয় এই পদ্ধতিতে। এরফলে খুব দ্রুত তারা বৃদ্ধি পায়। যে কোনও চারাগাছ রোপনের করার পরে সেটি বৃক্ষ হতে যত সময় লাগে, তার দশগুণ তাড়াতাড়িভাবে বাড়ে এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে।  এর পাশাপাশি, এই পদ্ধতিতে বাড়ে মাটির গুণগত মান। উন্নত হয় জীববৈচিত্র্য। বনাঞ্চল খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বর্তমান দিনে শহর বাড়ছে। বাড়ছে শিল্প। এরফলে বাড়ছে তাপমাত্রা। এই আবহে পরিবেশের জীববৈচিত্র্যকে সঠিক রাখতে খুবই প্রয়োজন ‘জাপানি মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতি, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, প্রয়াগরাজ পুর কমিশনার চন্দ্রমোহন এ বিষয়ে বলেন, ‘‘আমরা ঘন অরণ্য তৈরি করতে পেরেছি জাপানি প্রযুক্তির সহায়তায়।’’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: জমি মাফিয়াদের বোর্ড হল ওয়াকফ, তীব্র আক্রমণ যোগী আদিত্যনাথের

    Yogi Adityanath: জমি মাফিয়াদের বোর্ড হল ওয়াকফ, তীব্র আক্রমণ যোগী আদিত্যনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ বোর্ডকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। সম্প্রতি প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভের স্থানকে ওয়াকফ সম্পত্তি (Waqf Board) বলে দাবি করা হয়েছিল। সে নিয়ে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘‘এটা আসলে ওয়াকফ বোর্ড নয়, এটা হল জমি মাফিয়াদের বোর্ড।’’

    যাঁরা বিদ্বেষপূর্ণ মানসিকতা নিয়ে প্রয়াগরাজে হাজির হবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে

    যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘যাঁরা ওয়াকফ বোর্ডের জমি দাবি করার জন্য মহাকুম্ভে আসবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মহাকুম্ভে মুসলিমদের প্রবেশ নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath) বলেন, ‘‘ভারত এবং ভারতীয় সংস্কৃতির ওপর যাঁদের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেককে স্বাগত। কিন্তু যাঁরা বিদ্বেষপূর্ণ মানসিকতা নিয়ে প্রয়াগরাজে হাজির হবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতির ওপর আস্থা রেখে যে কোনও ধর্মের মানুষ যদি গঙ্গাস্নান করতে আসেন, মহাকুম্ভের ঐতিহ্যকে অনুসরণ করেন, তাহলে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু কেউ যদি জমি দাবি করতে আসেন তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

    ইঞ্চি-ইঞ্চি পুনরুদ্ধার করা হবে ওয়াকফ বোর্ডের দখল করা জমি

    উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath) আরও বলেন, ‘‘কোটি কোটি ভক্ত ১২ বছর পরে মহাকুম্ভে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন। তাই এখানে কোনও রকমের বৈষম্য থাকবে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে নানা অজুহাতে ওয়াকফ বোর্ড যে সমস্ত জমি বেআইনিভাবে অধিগ্রহণ করেছে, তার প্রতিটা জমি ইঞ্চি-ইঞ্চি পুনরুদ্ধার করা হবে।’’ এই সময় তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘হাজার হাজার বছর ধরে ভারতের ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে মহাকুম্ভ। অন্যদিকে, ওয়াকফ বোর্ড জমি মাফিয়াদের একটি বোর্ডে পরিণত হয়েছে।’’ তিনি জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশে যেখানেই ওয়াকফ বোর্ডের নামে জমি দেখা হবে, সেখানেই তদন্ত করা হবে এবং তা সঠিক মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: প্রাণ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তির তিথি ১১ জানুয়ারি, অযোধ্যায় রামলালার অভিষেক করবেন যোগী

    Yogi Adityanath: প্রাণ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তির তিথি ১১ জানুয়ারি, অযোধ্যায় রামলালার অভিষেক করবেন যোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি। এই আবহে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) অযোধ্যায় রামলালার অভিষেক করবেন বলে জানা গিয়েছে। এই কর্মসূচি হতে চলেছে ১১ জানুয়ারি। অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন সঙ্গীত শিল্পী ঊষা মঙ্গেশকর। অভিষেক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তিন দিন ধরে (১১-১৩ জানুয়ারি) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে চলবে অঙ্গদ টিলাতে। সেখানেই ধর্মীয় সংগীত পরিবেশন করবেন উষা মঙ্গেশকর। তাঁর সঙ্গে থাকবেন ময়ূরেশ পাইও। তিনিও ভজন গাইবেন। এছাড়াও হাজির থাকবেন, সোনু নিগম, শঙ্কর মহাদেবনের মতো শিল্পীরা।

    হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী তিথি পড়েছে ১১ জানুয়ারি 

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রামলালার (Ram Lalla) মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। চলতি বছরে হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ওই তিথি পড়েছে ১১ জানুয়ারি। তাই সেই দিনে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফ থেকে এই অনুষ্ঠান কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ১১ জানুয়ারি ওই অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠা দ্বাদশী। তিন দিন ধরে চলা এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানের খুঁটিনাটি নানা বিষয় নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। রবিবারের ওই সাংবাদিক সম্মেলনে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে প্রতিষ্ঠা দ্বাদশীর দিন অর্থাৎ ১১ জানুয়ারি রামলালার অভিষেক করবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।

    ভক্তদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন যোগী (Yogi Adityanath) 

    অভিষেক পর্ব সমাপ্ত হলে যোগী আদিত্যনাথ রামলালার মন্দির প্রাঙ্গণে অঙ্গদ টিলাতে নানা রকমের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন এবং ভক্তদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন, ১১ জানুয়ারি হল পৌষ শুক্লপক্ষ। ওইদিনই দ্বাদশী তিথি এবং হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বিক্রম সংবাদ ২০০১। ওইদিনে অভিষেক করবেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: প্রাণ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তির তিথি ১১ জানুয়ারি, অযোধ্যায় রামলালার অভিষেক করবেন যোগী

    Yogi Adityanath: প্রাণ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তির তিথি ১১ জানুয়ারি, অযোধ্যায় রামলালার অভিষেক করবেন যোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি। এই আবহে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) অযোধ্যায় রামলালার অভিষেক করবেন বলে জানা গিয়েছে। এই কর্মসূচি হতে চলেছে ১১ জানুয়ারি। অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন সঙ্গীত শিল্পী ঊষা মঙ্গেশকর। অভিষেক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তিন দিন ধরে (১১-১৩ জানুয়ারি) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে চলবে অঙ্গদ টিলাতে। সেখানেই ধর্মীয় সংগীত পরিবেশন করবেন উষা মঙ্গেশকর। তাঁর সঙ্গে থাকবেন ময়ূরেশ পাইও। তিনিও ভজন গাইবেন। এছাড়াও হাজির থাকবেন, সোনু নিগম, শঙ্কর মহাদেবনের মতো শিল্পীরা।

    হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী তিথি পড়েছে ১১ জানুয়ারি 

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রামলালার (Ram Lalla) মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। চলতি বছরে হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ওই তিথি পড়েছে ১১ জানুয়ারি। তাই সেই দিনে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফ থেকে এই অনুষ্ঠান কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ১১ জানুয়ারি ওই অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠা দ্বাদশী। তিন দিন ধরে চলা এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানের খুঁটিনাটি নানা বিষয় নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। রবিবারের ওই সাংবাদিক সম্মেলনে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে প্রতিষ্ঠা দ্বাদশীর দিন অর্থাৎ ১১ জানুয়ারি রামলালার অভিষেক করবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।

    ভক্তদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন যোগী (Yogi Adityanath) 

    অভিষেক পর্ব সমাপ্ত হলে যোগী আদিত্যনাথ রামলালার মন্দির প্রাঙ্গণে অঙ্গদ টিলাতে নানা রকমের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন এবং ভক্তদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন, ১১ জানুয়ারি হল পৌষ শুক্লপক্ষ। ওইদিনই দ্বাদশী তিথি এবং হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বিক্রম সংবাদ ২০০১। ওইদিনে অভিষেক করবেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: “আমরা ইজরায়েলে ছেলে পাঠাচ্ছি আর কংগ্রেস ব্যাগ নিয়ে ঘুরছে”, তোপ যোগীর

    Yogi Adityanath: “আমরা ইজরায়েলে ছেলে পাঠাচ্ছি আর কংগ্রেস ব্যাগ নিয়ে ঘুরছে”, তোপ যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা ইজরায়েলে ছেলে পাঠাচ্ছি আর কংগ্রেস ব্যাগ নিয়ে ঘুরছে।” ঠিক এই ভাষায়ই কংগ্রেস নেত্রী তথা ওয়েনাড়ের সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে (Priyanka Gandhi) ধুয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। দিন কয়েক আগেই প্যালেস্তাইনের গাজায় গণহত্যা নিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। সেই সময় তাঁকে নিশানা করেছিল বিজেপিও। সোমবার কাঁধে প্যালেস্তাইন লেখা ব্যাগ ঝুলিয়ে সংসদে যান প্রিয়ঙ্কা। তারই প্রেক্ষিতে সোনিয়া-তনয়াকে ধুয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।

    কী বললেন যোগী?

    এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে আদিত্যনাথ বলেন, “আমরা সাড়ে পাঁচ হাজারের ওপর যুবককে ইজরায়েলে পাঠিয়েছি। অথচ একজন কংগ্রেস নেত্রী প্যালেস্তাইন লেখা ব্যাগ নিয়ে পার্লামেন্টে ঘুরছেন। উত্তরপ্রদেশ থেকে ছেলেরা গিয়ে সেখানে নির্মাণকর্মী হিসেবে কাজ করছেন। তাঁরা মাসে অন্তত দেড় লাখ টাকা বেতন পান। শুধু তাই নয়, বিনামূল্যে তাঁদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। ইজরায়েল সরকার তাঁদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে।” এর আগে এই ব্যাগ নিয়ে প্রিয়ঙ্কাকে বিঁধেছিলেন সাংসদ বিজেপির গুলাম আলি খাতনা। তিনি বলেছিলেন, “খবরে আসার জন্য অনেকে এমন কাজ করেন। সাধারণ মানুষ প্রত্যাখ্যান করলে মানুষ এরকমই পথ অনুসরণ করে থাকেন।”

    আরও পড়ুন: বিতর্কিত হিজাব আইন প্রয়োগ এখনই নয়, জানাল ইরান সরকার

    ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ

    ইজরায়েলে বিভিন্ন নির্মাণ সংস্থায় কাজ করতেন প্যালেস্তাইনের কয়েক হাজার নির্মাণ শ্রমিক। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর বদলে গিয়েছে পুরো পরিস্থিতি (Yogi Adityanath)। গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তাদের মধ্যে অধিকাংশকেই কাজ থেকে ছাঁটাই করে ফেলেছে ইজরায়েল। সেই ‘শূন্যস্থান’ই পূরণ করছে ভারত। গত বছরের নভেম্বরে এক লাখ ভারতীয় শ্রমিক নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল ইজরায়েল। এ বছরের এপ্রিল ও মে মাসে ইহুদি দেশটিতে কাজ করতে গিয়েছেন ছ’ হাজারের ওপর ভারতীয়। এখনও বহু যুবক কাজ করতে এদেশ থেকে ইজরায়েলে যাচ্ছেন। এঁদের একটা বড় অংশই উত্তরপ্রদেশের। এদিন প্রিয়ঙ্কাকে নিশানা করতে গিয়ে সেই প্রসঙ্গই টেনে আনলেন (Priyanka Gandhi) যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: “৪৫ দিনব্যাপী মহাকুম্ভে ১০০ কোটি ভক্তের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে”, জানালেন যোগী আদিত্যনাথ

    Yogi Adityanath: “৪৫ দিনব্যাপী মহাকুম্ভে ১০০ কোটি ভক্তের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে”, জানালেন যোগী আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই মন্দির রাতারাতি উদ্ভব হয়নি। এই মন্দির আমাদের চিরন্তন ঐতিহ্য ও ইতিহাসের সত্যের প্রতীক।” সম্ভালের (Sambhal Temple) মন্দির প্রসঙ্গে কথাগুলি বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। গোষ্ঠী সংঘর্ষের পর ১৯৭৮ সাল থেকে বন্ধ ছিল সম্ভালের একটি মন্দির। রবিবার খোলে সেই মন্দিরের দ্বার। প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ নিয়ে একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ৪৬ বছর আগের স্মৃতিচারণ করেন। সেই হিংসায় বর্বরতার শিকার হয়েছিলেন বহু মানুষ।

    আদিত্যনাথের প্রশ্ন? (Yogi Adityanath)

    আদিত্যনাথের প্রশ্ন, “যে গণহত্যা ঘটেছিল, সেই ঘটনায় দোষীদের কেন আজও বিচারের আওতায় আনা যায়নি?” তিনি বলেন, “ওরা সত্য দমন করতে চায়। কলঙ্কিত করতে চায় কুম্ভের মতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলিকে।” আদিত্যনাথ বলেন, “সত্যের কণ্ঠস্বর প্রায়ই হুমকির সম্মুখীন হয় এবং স্তব্ধ করার চেষ্টা করা হয়। সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি স্থানীয় প্রশাসনের অ্যান্টি-এনক্রোচমেন্ট অভিযানের পর কয়েক দশক পর ফের খোলা হয়েছে মন্দির।” তিনি মন্দিরটির ঐতিহাসিক গুরুত্বের ওপর জোর দেন। এখানে প্রাচীন বজরংবলীর মূর্তি ও একটি জ্যোতির্লিঙ্গ রয়েছে।

    চিরন্তন ঐতিহ্য

    তিনি বলেন, “এই মন্দির এক রাতের মধ্যে প্রকাশিত হয়নি। এটি আমাদের চিরন্তন ঐতিহ্য এবং আমাদের ইতিহাসের সত্যকে প্রতিনিধিত্ব করে।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, ৪০ কোটি ভক্ত আসবে আশা করা হলেও, ৪৫ দিনব্যাপী মহাকুম্ভে ১০০ কোটি লোকের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২৯ জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যার মূল মুহূর্তে আনুমানিক ৬ কোটি ভক্ত পবিত্র স্নান করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সেদিন অবশ্য ১০ কোটি ভক্তের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ২০১৯ সালের কুম্ভের প্রসঙ্গ টেনে তিনি (Yogi Adityanath) বলেন, “যাঁরা ২০১৯ সালের কুম্ভ দেখেছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই দেখেছেন কীভাবে অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তার জেরেই এই অনুষ্ঠান পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ এবং সুসংগঠিত হয়েছিল। আগে এই অনুষ্ঠান ময়লা, বিশৃঙ্খলা, হুড়োহুড়ি এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভরা ছিল। বর্তমানে তা পরিণত হয়েছে এক মহিমান্বিত এবং ঐশ্বরিক অনুষ্ঠানে।”

    আরও পড়ুন: “রামমন্দিরের শ্রমিকরা সম্মান পেয়েছেন, তাজমহলের সময় আঙুল কাটা হয়েছিল”, বললেন যোগী আদিত্যনাথ

    কংগ্রেস ও বিরোধীদের সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ওরা ভারতের ঐতিহ্যের একচেটিয়া মালিকানা দাবি করে। কিছু মানুষ ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার স্বঘোষিত চুক্তি নিয়ে ঘুরে বেড়ায় এবং ‘ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া’ বইটিকে এমনভাবে দেখায় যেন এটি এই (Sambhal Temple) দেশের সবচেয়ে প্রাচীন গ্রন্থ।” তিনি বলেন, “২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর শ্রী রাম জন্মভূমি নিয়ে ঐতিহাসিক সুপ্রিম কোর্টের রায় বহু দশকের পুরনো বিতর্কের সমাধান করেছিল। তবুও, কিছু মানুষ এখনও যাঁরা ওই রায় দিয়েছিলেন, তাঁদের হুমকি দিয়ে চলেছেন (Yogi Adityanath)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: “সম্ভল ও বাংলাদেশের দাঙ্গাবাজদের একই ডিএনএ”, কট্টর মুসলিমদের আক্রমণ যোগীর

    Yogi Adityanath: “সম্ভল ও বাংলাদেশের দাঙ্গাবাজদের একই ডিএনএ”, কট্টর মুসলিমদের আক্রমণ যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সম্ভল (Sambhal) ও বাংলাদেশের দাঙ্গাবাজদের একই ডিএনএ”, কট্টর মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে তোপ দেগেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। অযোধ্যায় রামায়ণ মেলার উদ্বোধন করতে এসে বাংলাদেশের হিন্দুনির্যাতন নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। মন্দির ভেঙে মসজিদ হোক বা হিন্দু নিধনের ঘটনা, যাই হোক না কেন মৌলবাদী ইসলামি জেহাদিদের নিশানা করে আক্রমণ করেন যোগী।

    সমাজকে ভাঙার জন্য বৃহৎ ষড়যন্ত্র চলছে (Yogi Adityanath)

    ৫ ডিসেম্বর অযোধ্যার রাম কথা পার্কে রামায়ণ মেলার ভাষণ দেওয়ার সময় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেন, “দেশবাসীকে স্মরণ করতে হবে প্রায় ৫০০ বছর আগে অযোধ্যার মন্দিরে বাবরের লোক কী করেছিল। বর্তমানে সম্ভলে (Sambhal) একই ঘটনা ঘটিয়েছে। একই চিত্র বাংলাদেশেও দেখা গিয়েছে। এই তিন রকম ঘটনার প্রকৃতির মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। সকল আক্রমণকারীদের ডিএনএ একই। যদি মনে করেন কেবল মাত্র বাংলাদেশে বিছিন্ন ভাবে ঘটছে তাহলে ভুল করছেন। একই রকম পরিস্থিতির স্বীকার আপনাকেও হতে হবে। সমাজকে ভাঙার জন্য বৃহৎ ষড়যন্ত্র চলেছে। সকলকে একত্রিত হতে হবে। তবে অনেকে আক্রমণকারীদের সমর্থন করছেন। নিজেরা বিদেশে সম্পত্তি সঞ্চয় করে রেখেছেন, সুযোগ বুঝে যে কোনও সময়ে পালিয়ে যেতে হতে পারেন। তাই কোনও রকম বিভ্রান্তির মধ্যে থাকলে চলবে না।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘আমরা এখন থামব না, কাজ চালিয়ে যাবো…’’ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই লক্ষ্যের কথা বললেন ফড়ণবীশ

    সমাজবাদী পার্টির নেতার শুধু রাজনীতি করেছে

    এদিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী (Yogi Adityanath) সমাজবাদী পার্টিকে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “অযোধ্যার আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক ভাবনা এখন বিশ্বের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, প্রায় ৫০০ বছরের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে গত বছরের ২২ জানুয়ারি দেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে মন্দিরের গর্ভগৃহে শ্রীরামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। প্রভু রামকে যারা সম্মান করে না তাদের নৈতিক মূল্যবোধ প্রশ্নের মুখে থাকে। সমাজবাদী পার্টির নেতারা শুধু রাজনীতি করেছেন, হিন্দুদের সম্মান করেননি। ড. রাম মনোহর লোহিয়াকে কেবল ব্যবহার করে গেছেন। তাঁর প্রতি ভালো আচরণ করেনি। একজন সত্যিকারের সমাজতাত্ত্বিক মানুষকে জায়গা না দিয়ে কেবল নিজের পরিবারের লোকজনকে প্রাধান্য দিয়েছে সপা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh Mela: কুম্ভের আগে যোগীর বড় ঘোষণা, প্রয়াগরাজ ভেঙে তৈরি হল নতুন জেলা ‘মহাকুম্ভ মেলা’

    Maha Kumbh Mela: কুম্ভের আগে যোগীর বড় ঘোষণা, প্রয়াগরাজ ভেঙে তৈরি হল নতুন জেলা ‘মহাকুম্ভ মেলা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভ মেলার (Maha Kumbh Mela) আগে যোগী প্রশাসনের বড় ঘোষণা। প্রয়াগরাজ (Prayagraj) ভেঙে তার অধীনে থাকা ৬৭টি গ্রাম নিয়ে উত্তরপ্রদেশের নতুন জেলা ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী বছর ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মহাকুম্ভ মেলা শুরু হতে চলেছে। এবার মেলায় ৪০ কোটি ভক্তদের সমাগম হবে বলে যোগী সরকার আগেই ইঙ্গিত দিয়েছে। ফলে মেলার স্নানকে সুশৃঙ্খল, শান্তিপূর্ণ এবং ঝঞ্ঝাট মুক্ত করতে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

    মেলা আধিকারিকই এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (Maha Kumbh Mela)

    রবিবার উত্তরপ্রদেশ সরকার একটি সরকারি নির্দেশিকা জারি করে এই নতুন জেলা ঘোষণার কথা জানিয়েছে। নতুন জেলার নাম রাখা হয়েছে ‘মহাকুম্ভ মেলা’। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “২০২৫ সালের মহাকুম্ভ মেলা (Prayagraj) আয়োজনের জন্য মেলা অঞ্চলকে নিয়ে নতুন জেলা গঠন করা হয়েছে। সুষ্ঠ ভাবে মেলার আয়োজনের জন্য এই নতুন জেলা গঠন করা হয়েছে। নতুন জেলায় জেলা শাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং কার্যনির্বাহী জেলাশাসক (এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মেলা আধিকারিক। উত্তরপ্রদেশ প্রয়াগরাজ মেলা পর্ষদ আইন, ২০১৭ অনুসারে মেলা আধিকারিক হলেন রাজ্য সরকার নিযুক্ত কোনও আধিকারিক। প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে তিনি মেলার সমস্ত কাজকর্ম পরিচালনা করেন।”

    জেলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬

    রবিবার প্রয়াগরাজের (Prayagraj) জেলা শাসক রবীন্দ্রকুমার মন্দড় এক নির্দেশিকা জারি করে বলেন, “মহাকুম্ভ মেলা জেলা (Maha Kumbh Mela) গঠনের পর উত্তরপ্রদেশে জেলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬। প্রয়াগরাজের চারটি মহকুমার মোট ৬৭টি গ্রাম নিয়ে এই জেলা গঠিত হয়েছে। সরকারের নির্দেশিকায় দেখা গিয়েছে, সদর মহকুমার ২৫টি গ্রাম, সোঁরাও মহকুমার তিনটি গ্রাম, ফলপুর মহকুমার ২০টি গ্রাম এবং করছনা মহাকুমার ১৯টি গ্রাম থাকছে নতুন জেলার মধ্যে।”

    আরও পড়ুনঃ “ভারতের ইতিহাস বিকৃত করে আসল নায়কদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে”, দাবি ধনখড়ের

    ডিসেম্বরে পরিদর্শনে আসবেন মোদি

    প্রতি ৬ বছর অন্তর কুম্ভ মেলার আয়োজন করা হয়। ২০১৯ সালে ছিল অর্ধকুম্ভ মেলা। অবশ্য ২০১৩ সালে ছিল পূর্ণকুম্ভ মেলা। এবার ১২ বছর পর ফের পূর্ণ মহাকুম্ভ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। অন্যদিকে, প্রতি ১২টি পূর্ণকুম্ভের পর আসে মহাকুম্ভ মেলা (Maha Kumbh Mela)। আগামী বছরের কুম্ভমেলা পূর্ণকম্ভের সঙ্গেই হতে চলেছে মহাকুম্ভ মেলাও।  আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই মেলা। মেলার প্রস্তুতি ঘিরে এখন থেকেই উত্তর প্রদেশ পুলিশের ব্যস্ততা ব্যপক তুঙ্গে। নিরাপত্তা আরও ব্যাপক জোরদার করা হয়েছে। ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চলছে সব জায়গায়। মেলার প্রস্তুতি (Prayagraj) দেখতে ডিসেম্বরে পরিদর্শন করতে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share