মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেল তৈরি করা হয় অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য। কিন্তু কারাগারে যদি পুলিশকেই আটকে রাখা হয়, তবে কেমন হয় ব্যাপারটা, কখনও ভেবে দেখেছেন? তবে এমনটাই ঘটল বিহারের নওয়াদা শহরের একটি থানায়। জানা গিয়েছে, বিহার পুলিশের ৫ আধিকারিককে ২ ঘণ্টা জেলবন্দি করলেন জেলার এসপি। আর এই ঘটনার ভিডিও মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা।
সূত্রের খবর, তাঁদের কাজে অখুশি হয়েই নাকি এসপি তাঁদের এমন শাস্তি দিয়েছেন। যদিও এসপি গৌরব মাঙ্গলা এই ঘটনাকে পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। কিন্তু এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও, ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ। সেখানেই দেখা গিয়েছে, লকআপের ভিতরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন পুলিশকর্মীরা।
बिहार पुलिस का हाल
नवादा में SP ने लापरवाही बरतने के कारण 2 दारोगा और 3 ASI को 2 घंटे तक थाने के लॉकअप में बंद कर दिया. पुलिस एसोसिएशन ने SP पर कार्रवाई की माँग की. pic.twitter.com/FpF4ye9KOb
— UnSeen India (@USIndia_) September 10, 2022
ঘটনাটি বৃহস্পতিবার রাতের। নাওয়াদা জেলার নাভাদা নগর থানায় ডিউটিতে থাকা ৫ পুলিশ কর্মীর কাজে অসন্তুষ্ট হয়ে তাঁদেরকেই ২ ঘন্টার জন্য লকআপে রেখে দেন পুলিশ এসপি গৌরব মাঙ্গলা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন, তিন অ্যাসিস্টেন্ট সাব-ইন্সপেক্টর এবং দুই সাব-ইন্সপেক্টর। তাঁরা হলেন সাব-ইন্সপেক্টর শত্রুঘ্ন পাসওয়ান এবং রামরেখা সিং; এএসআই সন্তোষ পাসওয়ান, সঞ্জয় সিং এবং রামেশ্বর উরাওন। তারপর দেখা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যরাতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মোবাইল অ্যাপ সংক্রান্ত প্রতারণার মামলায় হানা ইডি-র, কীভাবে অপারেশন চালাত অভিযুক্ত আমির?
সূত্রের খবর অনুযায়ী, পুলিশ এসপি গৌরব মাঙ্গলা নাভাদা নগর পুলিশ স্টেশন পরিদর্শনের জন্য রাত ৯টা নাগাদ গিয়েছিলেন। সেখানেই কাজে গাফিলতি দেখে ও অসন্তুষ্ট হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ও পাঁচ পুলিশ কর্মীকে লকআপে আটকে রাখার নির্দেশ দেন তিনি। যদিও তাঁরা কাজে কী গাফিলতি করেছিল, সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।
এই পুরো ঘটনাটি অস্বীকার করেন গৌরব মাঙ্গলা। থানার ইনচার্জ বিজয় কুমার সিং-ও তাঁর কথাতেই সম্মতি জানান। যদিও পরের দিনই হোয়াটসঅ্যাপে সিসিটিভি ফুটেজটি ভাইরাল হয়ে যায়, যেখানে তাঁদের লকআপের ভিতরে বন্দি থাকতে দেখা যায়। দু ঘণ্টা বাদে প্রায় মাঝরাতে তাঁদের লকআপ থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এরপরেই বিহার পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মৃত্যুঞ্জয় কুমার সিং জানান, তিনি ওই ঘটনার পরই এসপি-এর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। ফলে গতকাল তিনি এই ঘটনার তদন্ত দাবি করে নির্দেশিকা জারি করেছেন। তিনি আশঙ্কা করেছিলেন যে, এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এই সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করে দিতে পারে গৌরব মাঙ্গলা। তাই অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা ও এসপির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার দাবি জানান মৃত্যুঞ্জয় কুমার সিং।
Leave a Reply