BJP Gram Sampark Abhiyaan: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘গ্রাম সম্পর্ক’ অভিযানে নামছে বিজেপি যুব মোর্চা

BJP_Campaign

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নয়া জনসংযোগ অভিযানে (BJP Gram Sampark Abhiyaan) নামছে বিজেপি যুব মোর্চা। ইতিমধ্যেই বিজেপি রাজ্য সভাপতির পাড়ায় সুকান্ত কর্মসূচি যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে। এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামের মানুষের উঠোনে গিয়ে তাদের সমস্যার কথা শোনা হবে। এই নয়া কর্মসূচির নাম ‘গ্রাম সম্পর্ক অভিযান’।  

আগামী ২৭ শে ফেব্রুয়ারি থেকে তিনটি পর্যায়ে শুরু হবে এই অভিযান। এই কর্মসূচিতে যুব মোর্চার (BJP Gram Sampark Abhiyaan) নেতা কর্মীরা গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে উঠোন বৈঠক করবেন। এছাড়াও গ্রামের সমস্ত শহিদ পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। দেশের জন্য শহিদ কিংবা দলের ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে লড়াই করতে গিয়ে যারা শহিদ হয়েছেন সেই সব পরিবারের সঙ্গেও যুব মোর্চার নেতা কর্মীরা দেখা করবেন। 

সুকান্ত মজুমদার এই বিষয়ে বলেন, “এই কর্মসূচির মাধ্যমে যুব মোর্চার কর্মীরা (BJP Gram Sampark Abhiyaan) গ্রামের মানুষের সুখদুঃখের কথা শুনবেন। বিশেষত কেন্দ্র সরকারের প্রকল্পগুলি যেভাবে লুট হচ্ছে সে বিষয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তারা জানতে চাইবেন।”

 

আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যেই সাগরদিঘিতে ভোটগ্রহণ শুরু  

তবে এই কর্মসূচির অন্তর্গত আরো একটি বিশেষ কর্মসূচি রয়েছে যার নাম অমৃত সন্ধ্যা। এই কর্মসূচির (BJP Gram Sampark Abhiyaan) মাধ্যমে যুব মোর্চার কর্মীরা গ্রামের বিশিষ্টজনের সঙ্গে দেখা করবেন ও কথা বলবেন। সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, “এই গোটা কর্মসূচির দিন নির্ধারণের ক্ষেত্রে পরীক্ষার কথা মাথায় রাখা হয়েছে। তাই লাউডস্পিকার এক্ষেত্রে ব্যবহার হবে না। প্রথম পর্যায়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ, তৃতীয় পর্যায়ে ২০ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন হবে।”  এই অভিযানের মাধ্যমে প্রায় ১৮০টি বিধানসভা ও দলের ৩২টি সাংগঠনিক জেলায় পৌঁছবে বিজেপির যুব বাহিনী। সেখানে মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা শোনা হবে। 

কেন এই কর্মসূচি?

এই কর্মসূচি কেন নেওয়া হয়েছে সেই কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সুকান্ত (BJP Gram Sampark Abhiyaan) উদাহরণ দিয়ে বলেন, “একটি বাড়ির তালিকা আমরা পেয়েছি। সেটা কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দক্ষিণ ২৪ পরগনার। সেখানে গৌরাঙ্গ অধিকারী যার পিতার নাম সুখময় অধিকারী তিনি একবার এসসি ক্যাটাগরিতে একটি বাড়ি পেয়েছেন। তিনিই আবার জেনারেল ক্যাটাগরিতে বাড়ির টাকা পেয়েছেন।” এই উদাহরণ থেকে আবারো স্পষ্ট হয়ে গেল যে বিজেপির নিশানায় রাজ্য সরকারের দুর্নীতি।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

 

 
 
Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share