Salman Rushdie: ‘রুশদি বেঁচে আছে শুনে অবাক হয়েছিলাম’, বিস্ফোরক মন্তব্য হামলাকারী হাদি মাতারের

সলমন রুশদির লেখা ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ উপন্যাসটি তার পছন্দ না, সেটিও জানায় মাতার।
hadi-matar-and-salman-rushdie
hadi-matar-and-salman-rushdie

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সলমন রুশদির (Salman Rushdie) ভয়াবহ হামলার পরও কীভাবে এখনও বেঁচে আছেন তিনি? এমনটাই প্রশ্ন করতে শোনা গেল তাঁর হামলাকারী হাদি মাতারকে (Hadi Matar)। নিউ ইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাদি বলেন,  ‘রুশদি বেঁচে আছে শুনেই আশ্চর্য হয়েছিলাম’।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার, ১২ অগাস্ট নিউইয়র্কের (New York) শতকা ইনস্টিটিউশনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে মঞ্চে উঠেছিলেন সলমন রুশদি। সেখানে  আচমকাই এক ব্যক্তি ছুরি নিয়ে তাঁর দিকে ধেয়ে আসে। সোজা রুশদির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং এলোপাথাড়ি ১০-১২ বার ছুরি দিয়ে কোপ মারে লেখককে। মঞ্চেই লুটিয়ে পড়েন লেখক। প্রাথমিক চিকিৎসার পরই তাঁকে এয়ারলিফ্ট করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এরপর হামলাকারীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন অনুষ্ঠানের আয়োজকরা। জানা গিয়েছিল, অভিযুক্তের নাম হাদি মাতার (Hadi Matar)। বয়স ২৪ বছর। হাদির বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। 

আরও পড়ুন: ভাল আছেন রুশদি, এবার প্রাণে মারার হুমকি হ্যারি পটারের স্রষ্টাকে

এরপরই জেলবন্দি হাদি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এমন মন্তব্য় করে। শুধু তাই নয়, মাতার যে ভারতীয় বংশোদ্ভূত রুশদিকে পছন্দ করেন না, সে বিষয়েও বলে। মাতার বলে, ‘‘আমি রুশদিকে পছন্দ করি না। আমি মনে করি না যে, তিনি খুব একটা ভাল মানুষ।“ মাতার রুশদির লেখা উপন্যাসের কথা এনে জানিয়েছেন, তিনি এই উপন্যাসের কিছু পাতা পড়েছেন, এরপরই তার ভালো লাগেনি। উনি এর মাধ্যমে ইসলাম ধর্মকে আক্রমণ করেছেন ও ইসলাম ধর্মের বিশ্বাসে আঘাত করেছেন।   

প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ (‘The Satanic Verses')। এর জন্যে বহুদিন ধরেই তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। ইসলাম ধর্মকে অসম্মান করার জন্য তাঁর নামে ফতোয়া জারি করেন ইরানের তৎকালীন নেতা আয়াতোল্লাহ রুহোল্লা খোমেইনি (Ayatollah Ruhollah Khomeini)। মাতার এদিন এও জানিয়েছে যে সে খোমেইনির ফতোয়া দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এই কাজটি করেনি। তবে সে বলে, “আমি আয়াতোল্লাহকে সম্মান করি। আমার মতে, উনি একজন অসাধারণ মানুষ। এই বিষয়ে আমি এতটাই বলতে পারি।” শুক্রবার হাদি মাতারকে আদালতে হাজির করা করা হতে পারে বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক পোস্ট।

সলমন রুশদির অবস্থা স্থিতিশীল। তবে একটি চোখ হারাতে পারেন এই বুকারজয়ী সাহিত্যিক। এছাড়া তাঁর স্নায়ু এবং লিভার গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে রুশদিকে ভেন্টিলেটর থেকে বের করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন৷

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles