Kali Puja 2022: জানেন কালীপুজোর আগের দিন চোদ্দ রকমের শাক কেন খাওয়া হয় ?

Kali Puja 2022:হিন্দুশাস্ত্র মতে,  আকাশ, জল, বায়ু, অগ্নি, মাটি— প্রকৃতির এই পাঁচ উপাদানের মধ্যেই ছড়িয়ে রয়েছেন আমাদের পিতৃপুরুষেরা...
2019-10-24-3-1024x569
2019-10-24-3-1024x569

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মের উৎসব মানে বাহ্যিক দিক থেকে আলোক সজ্জা, মন্ডপ সজ্জা, থিমের জমজমাট পুজোতো রয়েছেই, তারসাথে জড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন আচার এবং অনুষ্ঠান। যেমন ধরুন খাওয়া দাওয়ার আচার। সরস্বতী পুজোর পরদিন গোটা সেদ্ধ খাওয়ার প্রথা রয়েছে অধিকাংশ বাড়িতে। আবার কিছু ব্রত রয়েছে যেগুলো তে গৃহস্থ কত্রীরা শুধু মাত্র ময়দার তৈরী খাবার খান। প্রতিটি খাওয়া দাওয়ার আচার, পরিবার এবং স্বজনদের মঙ্গল কামনার উদ্দেশ্যেই পালিত হয়। রাজ্য জুড়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে কালীপুজো উৎসব (Kali Puja)। দীপান্বিতা কালীপুজো। জানেন কি আশ্বিন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী তিথিতে অর্থাৎ কালীপুজোর আগের দিন অনেক বাড়িতেই চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি রয়েছে? এখন প্রশ্ন হলো, চৌদ্দ শাক খাওয়ার এই আচারের পিছনে কোন ধর্মীয় বিশ্বাস কাজ করছে ? কথিত আছে, মৃত্যুর পরে মানুষ পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায়। এরপর এই বিশেষ দিনেই নাকি পূর্ব পুরুষদের আগমন ঘটে মর্ত্যলোকে।  হিন্দুশাস্ত্র মতে,  আকাশ, জল, বায়ু, অগ্নি, মাটি— প্রকৃতির এই পাঁচ উপাদানের মধ্যেই ছড়িয়ে রয়েছেন আমাদের পিতৃপুরুষেরা। বিশ্বাস মতে, চৌদ্দ শাক খাওয়ার রীতি পালনের মধ্যে দিয়েই তাঁদের ছুঁয়ে থাকা যায়। অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটাতে প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করা চোদ্দ রকম শাক জলে ধুয়ে, সেই জল বাড়ির চারিদিকে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। পূর্বের সাত পুরুষকে উৎসর্গ করে পরবর্তী সাতপুরুষের জন্য খাওয়া হয় শাক। তাই মোট চোদ্দ রকমের  শাক খাওয়ার রীতি প্রচলিত রয়েছে। এই শাক গুলি হলো , জয়ন্তী, শাঞ্চে, হিলঞ্চ, ওল, পুঁই, বেতো, সর্ষে, কালকাসুন্দে, নিম, পলতা, শুলকা, গুলঞ্চ, ভাঁটপাতা ও শুষণী। এই প্রচলিত রীতি গুলির  পিছনে বিজ্ঞান সম্মত কারণ  রয়েছে বলে অনেকের ধারণা। এদেশের সমস্ত আচার এবং অনুষ্ঠান বিজ্ঞান সম্মত হয় এবং প্রকৃতির সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়। শরৎকালের শেষ এবং হেমন্তকালে শুরুতে অনেক রকমের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ভেষজ গুণে সমৃদ্ধ শাক দেয় বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা।  এবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক, এই চোদ্দ রকমের শাক গুলির কি কি গুণ রয়েছে। জয়ন্তী— উদরাময়, জ্বর, বহুমূত্র নিয়ন্ত্রণ করে।

শাঞ্চে— রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।

হিংচে— পিত্তনাশক।

ওল— অর্শ, রক্ত আমাশা, বাত, চর্মরোগ কমায়।

পুঁই— হজমে সহায়ক।

বেতো— কৃমিনাশক।

সর্ষে— যকৃৎ, চোখ যত্নে রাখে।

কালকাসুন্দে— অর্শ, কাশি দূর করে।

নিম— যে কোনও চর্মরোগ নাশ করে।

পলতা— শ্বাসযন্ত্র ভাল রাখে।

শুলকা— হৃদ্‌যন্ত্র ভাল রাখে।

গুলঞ্চ— উচ্চ রক্তচাপ, যকৃৎ যত্নে রাখে।

ভাঁটপাতা— ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক।

শুষণী— স্মৃতিবর্ধক

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles