Nirmala Sitharaman: চাল, ডাল, আটা, গম খোলা কিনলে বাড়তি জিএসটি লাগু হবে না! ট্যুইট করে ব্যাখ্যা অর্থমন্ত্রীর

nirmala

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার থেকে দামি হয়েছে আটা, পনির, দইয়ের মতো বেশ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। লেবেল লাগানো প্যাকেটজাত খাবারের উপর বসেছে পাঁচ শতাংশ পণ্য পরিষেবা কর (GST)। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চাল, ডাল, গম, আটা, ওটস যদি খোলা বিক্রি করা হয় তাহলে তাতে জিএসটি লাগবে না বলে ট্যুইটবার্তায় স্পষ্ট জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Finance Minister) নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)।  

জিএসটি থেকে যে পণ্যগুলো ছাড় পাচ্ছে, তার তালিকা প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, এই তালিকার বেশিরভাগ খাদ্যবস্তুই বিনা প্যাকেটে বা খোলা বিক্রি করা হয়। অর্থাৎ, এই জাতীয় পণ্য বিক্রির আগে বা পড়ে প্যাকেটজাত করা হয় না। এই নির্দিষ্ট পণ্যগুলো খোলা বিক্রি হলে, তাতে জিএসটি লাগু হবে না, বলেই সীতারামন জানিয়েছেন।

[tw]


[/tw]

তালিকায় আছে, ডাল, গম, ওটস, ভুট্টা, চাল, আটা, ময়দা, সুজি, রাই, বেসন, দই এবং লস্যির মত কিছু খাদ্যদ্রব্য। জুন মাসে বেশ কিছু পণ্য এবং পরিষেবার উপর কর চাপানোর সিদ্ধান্ত নেয় জিএসটি কাউন্সিল। বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা। চলতি সপ্তাহ থেকে সেই বর্ধিত জিএসটি লাগু হয়েছে। এরপরই জিএসটির হার এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিরোধীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয় লোকসভার বাদল অধিবেশন। তারই প্রেক্ষিতে ধারাবাহিক ১৪টি ট্যুইট করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। ট্যুইটে সীতারামন খাদ্যদ্রব্যের ওপর ৫ শতাংশ জিএসটি বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করেছেন। জানিয়েছেন, এই দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত তাঁর একার নয়। জিএসটি কাউন্সিলই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতমাসে, ২৮ জুন মন্ত্রিগোষ্ঠী যখন দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয়, জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে সব রাজ্যের প্রতিনিধিরাই উপস্থিত ছিলেন সেখানে বলে জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: আইএনএস বিক্রমাদিত্যে আগুন! তদন্তের জন্য বোর্ড গঠনের নির্দেশ

বিরোধীদের ক্ষোভের কারণ উড়িয়ে দিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রথমবার এই জাতীয় খাদ্য সামগ্রীর ওপর কর দেওয়া হচ্ছে না। প্রি-জিএসটি আমলে রাজ্যগুলো খাদ্যশস্য থেকে উল্লেখযোগ্য রাজস্ব সংগ্রহ করছিল।’ সীতারামন জানান, যখন জিএসটি চালু হয়েছিল, তখন ব্র্যান্ডেড ডাল, ময়দার ওপর ৫ শতাংশ জিএসটি বসেছিল। পরবর্তীতে এই ধরনের পণ্যের জিএসটির হার কেবল সংশোধিত হয়েছে।’ সীতারামনের দাবি, খাদ্যপণ্যে জিএসটি ছাড়ের সুযোগ নিয়েছে বড় ব্যবসায়ীরা। তাই সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share