IPhone Factory Worker Fled: শ্রমিকরা চীনের বৃহত্তম আইফোন কারখানা থেকে পালিয়ে যাচ্ছে

এই কারখানায় কর্মী সংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ এবং বিশ্বের অর্ধেক ফোনই এই কারখানা থেকে উৎপাদন করা হয়...
qkg6v1s8_china-factory-covid_625x300_31_October_22
qkg6v1s8_china-factory-covid_625x300_31_October_22

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চীনের আইফোন কারখানা বেড়া টপকে পালাচ্ছেন কারখানাটির শ্রমিকরা। চীন সরকারের কঠোর 'জিরো কোভিড টলারেন্স" (Zero Covid Tolerance) নীতির কারণে চাংঝোউ শহরে অবস্থিত ফক্সকনের কারখানাতে আটকে পড়ে হাজার হাজার শ্রমিক।
অনলাইনে শেয়ার করা ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যে, প্রায় ১০ জন শ্রমিক কারখানার বেড়া টপকে বাইরে ঝাপ দিচ্ছে। ভিডিওটি কিছু সময়ের মধ্যেই নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

[tw]

[/tw] 

চীনে অবস্থিত নিজস্ব কারখানায় চুক্তিভিত্তিকভাবে আইফোন উৎপাদন করে ফক্সশন (Foxconn)। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কারখানায় কর্মী সংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ এবং বিশ্বের অর্ধেক ফোনই এই কারখানা থেকে উৎপাদন করা হয়। তবে আমেরিকার সঙ্গে বানিজ্যগত যুদ্ধ ও দেশটিতে সরকার কঠোর ভাবে লকডাউন আরোপ করায় আইফোন তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। এছাড়াও নানা বড়ো বড়ো কোম্পানি চিন থেকে তাদের ম্যানুফেকচারিং হাব গুলো তুলে নিতে পারে। চিনে দেশজুড়ে লকডাউন লাগু থাকায় কোম্পানির শ্রমিকরা পায়ে হেঁটে প্রায় ১০০ কিলোমিটারেরও বেশী দূরের রাস্তা অতিক্রম করে তাদের হোমটাউনে ফিরে যাচ্ছে। তারা চীন সরকারের তৈরি কোভিড অ্যাপ যার মাধ্যমে সরকার মানুষের গতিবিধিকে পর্যবেক্ষণ করতে পারে সেই অ্যাপটি মোবাইল থেকে সরিয়ে ফেলছে।

তবে রবিবারই কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে যে, শ্রমিকদের কেউ বেরিয়ে যেতে চাইলে আটকানো হবে না। তাদের জন্য সরকার সুশৃঙ্খল পরিবহন ব্যবস্থার আয়োজন করবে বলে জানিয়েছে। যদিও সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, শ্রমিকেরা পুলিশ প্রশাসনকে এড়াতে গণপরিবহন ব্যবহার করছে না।

প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের কঠোর কোভিড নীতির (Zero Covid lockdown) কারণে দেশ আর্থিক দিক থেকে ক্ষতির মুখে পড়বে। চীনে গনতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতার হরণ নিয়ে বরাবর সোচ্চার হয়েছে পশ্চিমী দেশগুলি। সম্প্রতি ২০ তম পার্টি কংগ্রেসে প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটির সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিনিয়োগকারীরাও চিনে থাকতে চাইছে না। এছাড়াও রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলি ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছে। এই কোম্পানিগুলিই চিনের অর্থনীতির একএকটি স্তম্ভ ছিল। এছাড়াও চীনের স্বৈরাচারী কমিউনিস্ট সরকারের এক বাচ্চা নীতি( One Child Policy) চীনকে বার্ধক্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে যা ভবিষ্যতে চীনের কর্মক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলবে।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles