মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যারিথমিয়া (Arrhythmia)সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ও হৃদস্পন্দন (Heart beat) মানব শরীরে স্বাভাবিক আছে কিনা এই সতর্কবার্তা দিতে বিশ্বব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড হার্ট হৃদম উইক’ ৬ ই জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত পালন করা হয়। কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে কী এই অ্যারিথমিয়া। নীচে এই বিষয়েই বিস্তারিত বলা হল-
অ্যারিথমিয়া কী?
এককথায় বলতে গেলে, অ্যারিথমিয়া হৃদস্পন্দনজনিত সমস্যা। অর্থাৎ নানা কারণে আমাদের হৃদস্পন্দর অনিয়মিত হয়। কখনও দ্রুত হৃদস্পন্দন চলে। কখনও আবার খুব ধীরে চলে। অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সমস্যাকেই অ্যারিথমিয়া বলা হয়। একজন প্রাপ্তবয়স্কের প্রতি মিনিটে সাধারণ হৃদস্পন্দন ৬০-১০০ বিট। স্বাভাবিকের চেয়ে হৃদস্পন্দন বেশী হলে একে বলা হয় ট্যাচিকার্ডিয়া(Tachycardia) ও স্বাভাবিকের চেয়ে হৃদস্পন্দন কম হলে একে বলা হয় ব্যাডিকার্ডিয়া (Bradycardia)। তবে কখনও কখনও এই সমস্যা আমাদের স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি করে না। আবার কখনও কখনও স্ট্রোক, ব্ল্যাকআউট কিংবা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় অ্যারিথমিয়া।
আরও পড়ুন: কার্ডিওভাস্কুলার সহনশীলতা কী? কোন ব্যায়ামগুলি আপনার হার্টের পক্ষে ভালো?
হৃদস্পন্দন অনিয়মতার কারণ কী?
বুক ধড়ফড় করলে হৃদস্পন্দনে অনিয়মতা দেখা যায়। হৃদস্পন্দনে ব্যাঘাত ঘটলেই বুকে ধড়ফড়ানি শুরু হয় ও ফলে অ্যারিথমিয়া রোগটি দেখা যায়। এর ফলে অনেকসময় কার্ডিওভাসকুলার ডিসওর্ডার দেখা যায়।
এটির প্রধান লক্ষ্মণগুলো কী কী?
অ্যারিথমিয়ার প্রধান উপসর্গগুলো হল-
- বুক ধড়ফড় করা
- ক্লান্তিভাব
- বুক ব্যথা
- শ্বাসকষ্ট
- মাথা ঘোরা
এই রোগটি কীভাবে ধরা যায়?
এই রোগ ইসিজি (electrocardiogram )-র মাধ্যমে বোঝা যায়। এটির মাধ্যমে কোনও ব্যক্তির হৃদস্পন্দন সম্পর্কে জানা যায়।
আরও পড়ুন: ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে চান? রোজ পাতে রাখুন এই খাবারগুলো
হৃদস্পন্দন ঠিক রাখতে কী কী করণীয়?
প্রথমেই যা করণীয় তা হল আপনার লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা। মানসিক চাপ কমাতে ব্যায়াম করা, মদ, কফি সেবন না করা। এছাড়াও আপনার হৃদয়কে সুস্থ রাখতে পুষ্টিকর খাদ্যতালিকা মেনে চলা উচিত। নিয়মিত ডাক্তারের কাছে গিয়ে রক্তচাপ পরীক্ষা করানো দরকার। আবার হৃদস্পন্দন পরীক্ষা করাও দরকার। তবে যদি প্রায়শই এমন সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
Leave a Reply