Osteoporosis: আপনার হাড় কি দুর্বল! জেনে নিন এই রোগে আক্রান্ত কি না

Osteoporosis:প্রতিবছর বিশ্বে ৯০ লাখের বেশি মানুষ এর  অস্টিওপোরোসিস রোগে আক্রান্ত...
154206759-37b87339-401c-408a-a4a1-e004628725c6
154206759-37b87339-401c-408a-a4a1-e004628725c6

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্টিওপরোসিস, বর্তমান শতাব্দীর সর্বপেক্ষা আলোচিত রোগগুলোর একটি। এটি এমন একটি রোগ যেখানে হাড় দুর্বল হয়ে যায় এবং হাড় ভঙ্গুর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। মানুষের শরীরকে ধরে রাখে যে হার তারই নাম মেরুদণ্ড আর এই রোগে মেরুদণ্ডের মধ্যে কশেরুকার হাড়, হাতের হাড়, এবং কোমরের হাড় সবচেয়ে বেশি ভাঙ্গার প্রবণতা থাকে। তথ্যসূত্র জানা গিয়েছে প্রতিবছর বিশ্বে ৯০ লাখের বেশি মানুষ এর  অস্টিওপোরোসিস রোগে আক্রান্ত। 

সাধারণত এই রোগ পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তি ও মেনোপজ-পরবর্তী সময়ে মহিলাদের বেশি হয়। এছাড়া যাঁদের আগে হাড় ভাঙার ইতিহাস রয়েছে, বা দীর্ঘদিন স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ অথবা খিঁচুনির ওষুধ সেবন করেছেন, আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অতিরিক্ত ধূমপান বা মদ্যপানও এই রোগের কারণ হতে পারে। যেহেতু হাড়ের ঘনত্ব কমা এই রোগের প্রধান কারণ, আর ক্যালসিয়ামের ঘাটতিই হাড়কে দুর্বল করে, সেহেতু কম ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া, স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন, কায়িক শ্রমের ঘাটতি রয়েছে—এমন ব্যক্তিদের এ রোগের ঝুঁকি বেশি। তা ছাড়া কিছু বাতজনিত রোগ, থাইরয়েড ও প্রজনন গ্রন্থির রোগ, খাদ্যনালী থেকে পুষ্টি ও ভিটামিন শোষণে সমস্যা ইত্যাদি কারণেও অস্টিওপোরোসিস হতে পার।।

তবে বিশেষজ্ঞরা হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধির  কিছু উপায় দিয়েছেন...


১) সব ধরনের পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ :  ক্যালসিয়াম হাড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে সুপরিচিত কিন্তু ভিটামিন কে, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সহ হাড়কে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখার জন্য অত্যাবশ্যক।
এছাড়া অন্যান্য ভিটামিন, খনিজ এবং পুষ্টি উপাদান রয়েছে এমন খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। 

২) সূর্যালোকে কিছুটা সময়: আমাদের সাধারণত প্রতিদিন ১০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ডি প্রয়োজন, আর সূর্যালোকে রয়েছে ভিটামিন ডি, যা আমরা সরাসরি সূর্যালোক থেকে সংগ্রহ করতে পারি। তার দিনের কিছুটা সময় থাকুন সূর্যালোকে। 

৩) কোলাজেন বৃদ্ধি : বয়স বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের দেহে কোলাজেন হ্রাস পেতে থাকে। কোলাজেনের অভাব হাড় ভাঙার অপর একটা কারণ। তাই প্রতিনিয়ত কোলাজেন যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।  প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরে কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাংস, ডিম, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, টফু, কটেজ চিজ, মাছ, দুধ ইত্যদি শরীরে খেলে অ্যামিনো অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ে। ফলে কোলাজেন উৎপাদনের হারও বেড়ে যায়।

৪) হাঁটা ও ব্যায়াম: বিশেষজ্ঞের মতে নিয়মিত ব্যয়াম আর প্রাতঃ কিংবা সান্ধ্যভ্রমণ শরীর ও মনের মধ্যে স্ফুর্তি আনার পাশাপাশি হাড়ের দৃঢ়তা প্রদান করে। তাই নিয়মিত ব্যয়াম কিংবা হাঁটা অস্টিওপরোসিস রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। 

৫) অ্যালকোহল যুক্ত পাণীয় ত্যাগ: অ্যালকোহল কিংবা যেকোনও নেশা জাতীয় পানীয় এবং সকল ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles