মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার হল ভারত (India) চিন (China) কমান্ডার স্তরের (Commander Level) ১৬তম বৈঠক। বৈঠক হয়েছে চুশুল (Chushul) সীমান্তে। সূত্রের খবর, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সংঘাত এড়াতেই চলছে আলোচনা। ভারতের তরফে বৈঠকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন 'ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি' কোর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ সেনগুপ্ত। প্রসঙ্গত, চলতি বছরেরই ১১ মার্চ ভারত-চিন কোর কমান্ডার স্তরের ১৫তম বৈঠকটি হয়েছিল।
১৭ জুলাইয়ের এই বৈঠকের আগে আরও ১৫ বার বৈঠকে বসেছে দুই দেশের সেনারা। সেনা পর্যায়ের ওই বৈঠকগুলির পরেও পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের বিবাদ সম্পূর্ণ মেটেনি। এবার স্থায়ী সমাধান খোঁজার লক্ষ্যেই দীর্ঘ বিরতির পর এদিন ফের মুখোমুখি হয়েছে প্রতিবেশী এই দুই দেশ। ২০২০ সালের মে মাসে দুই দেশের বিবাদ শুরু হওয়ার পর থেকে শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে নয়াদিল্লি ও বেজিংয়ের বৈঠক হয়েছে একাধিকবার। তার পরেও সমস্যা মেটেনি পুরোপুরি। এই আবহেই এদিন হয়েছে ফের বৈঠক। সূত্রের খবর, বৈঠকে দুই দেশই সীমান্ত এলাকায় দেশের অভ্যন্তরে স্থায়ী নিরাপত্তা বজায় রাখার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। সমস্যা এড়াতে সেনার পাশাপাশি কূটনৈতিক স্তরেও চলবে আলাপ আলোচনা।
আরও পড়ুন : মোদি-দলাই শুভেচ্ছা বিনিময়, ক্ষুব্ধ চিন, জবাব দিল ভারত
২০২০ সালে গালওয়ানে ভারত এবং চিন সেনার সংঘর্ষের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এর পর থেকেই দুই দেশের সীমান্ত বরাবর প্রচুর সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সম্প্রতি চিনা সামরিক বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান ভারতীয় আকাশসীমার খুব কাছে চলে এসেছিল। এরপরই দুই দেশের এই সেনা কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন ভূরাজনৈতিক মহল। তামাম বিশ্বে ভূরাজনৈতিক চিত্র বদলে যাওয়ায় ভারতের পাশে দাঁড়াতে চিন যে আগ্রহী, সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার তার ইঙ্গিত দিয়েছে বেজিং। ভারত যখন গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তখনও ভারতের সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছিল ড্রাগনের দেশ। এই আবহে দুই দেশের সেনা পর্যায়ের বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
আরও পড়ুন : বন্দরের ফাঁদে ফেলেই শ্রীলঙ্কাকে ডোবাল চিন?
+ There are no comments
Add yours