মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) সরকারকে "চরম হুঁশিয়ারি" দিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran khan)। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (pakistan Tehreek-i-insaf) দলের প্রধান বলেন, মাত্র ছ'দিন। তার মধ্যেই নির্বাচনের দিন ঘোষণা করতে হবে। এই সময়সীমার মধ্যে সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন করে নির্বাচনের দিন ঘোষণার দাবি জানান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। আজাদি মিছিলে (protest march) যোগ দিতে বৃহস্পতিবার সকালে ইসলামাবাদে আসেন ইমরান। সেখানকার জিন্নাহ অ্যাভেনিউতে দাঁড়িয়ে শাহবাজের সরকারকে হুঁশিয়ারি দেন 'কাপ্তান'। সরকার যদি এই সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ না করে, তাহলে এবার গোটা দেশকে পাশে নিয়ে রাজধানীতে আসবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন ইমরান।
আরও পড়ুন : গদি বাঁচাতে সেনাপ্রধানকে সরিয়ে পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি করতে চেয়েছিলেন ইমরান?
অবিলম্বে সংসদ ভেঙে নির্বাচনের দিন ঘোষণার দাবিতে উত্তাল ভারতের প্রতিবেশী দেশটি। বুধবার থেকেই ইমরানের সভা নিয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়েছে অশান্তির আগুন। রাজধানী ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিণ্ডি, করাচি, লাহোর, খাইবার পাখুনখাওয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ইসলামাবাদের রেড জোন, ব্লু জোনেও ব্যাপক অশান্তি হয়। বুধবার ইসলামাবাদের অদূরে আটকে দেওয়া হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। তবে এদিন সকালে রাজধানীতে সভা করেন তিনি।
আরও পড়ুন : ১৫ কোটি টাকার সরকারি গাড়ি নিজের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন ইমরান, দাবি পাক মন্ত্রীর
ইমরান বলেন, আমি ঠিক করেছি যে যতক্ষণ না এই সরকার সংসদ ভেঙে নতুন করে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করছে, ততক্ষণ আমি এখানেই বসে থাকব। গত ২৪ ঘণ্টায় আমি যা দেখেছি, তাতে বুঝতে পারছি যে দেশে নৈরাজ্য চলছে। সাধারণ মানুষ ও পুলিশের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা চলছে।
প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর দাবি, বুধবার বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সংঘর্ষে তাঁর দলের পাঁচ সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। একজন অ্যাটোক ব্রিজ থেকে পড়ে গিয়েছেন। নদীতে ডুবেও মৃত্যু হয়েছে একজনের। করাচিতেও তাঁর দলের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
ইমরান বলেন, জুনে নির্বাচনের জন্য সংসদ ভেঙে দিতে হবে। দাবি পূরণ না হলে ফের রাজধানীতে মিছিল করবেন বলেও জানান পাক প্রধানমন্ত্রী। এদিন ইমরান ফের দাবি করেন, গত মাসে আস্থাভোটে তাঁর পতনের নেপথ্যে ছিল মার্কিন ষড়যন্ত্র। তাঁর পেছনে যে জাতীয় সমর্থন রয়েছে, এদিনের সভায় তাও জানিয়ে দেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী।
এদিনের এই সভা করতে ইমরামকে কম বাধার প্রাচীর ডিঙোতে হয়নি। শেষমেশ সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে খোলা জায়গায় ইমরানকে সভা করার অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেইমতো এদিন সভা করেন ইমরান। তার আগে রাজধানীতে ঢোকার বিভিন্ন রাস্তায় ইমরানের সমর্থকদের সঙ্গে পাক পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে, বিক্ষোভ মিছিলের ভ্যানগার্ডের উপর লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকশ বিক্ষোভকারীকে আটক করে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। সরকারি সূত্রে খবর, দু'পক্ষের সংঘর্ষে জখম হয়েছেন ১৮ জন পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর কর্মী।
+ There are no comments
Add yours