মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল বিতর্কের জেরে ফের নয়া নির্দেশিকা জারি এসএসকেএম হাসপাতাল (SSKM Hospital) কর্তৃপক্ষের। স্বাধীনতা দিবসে (Independence Day) পতাকা উন্মোচনের (Flag Unfurled) কথা বলা হয়েছিল পুরানো নির্দেশিকায়। তা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। কারণ প্রথা মেনে স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলন (Flag Hoist) করতে হয়। বিতর্কের জেরে জারি হয় নয়া নির্দেশিকা। সেখানেই বলা হয়েছে পতাকা উত্তোলনের কথা।
রীতি অনুযায়ী, যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এদিন একটি দণ্ডের নীচে জাতীয় পতাকা বাঁধা থাকে। পরে তা দণ্ডের শীর্ষে উত্তোলন করা হয়। যা আসলে স্বাধীনতা অর্জনের দ্যোতক হিসাবে ধরা হয়। অন্যদিকে, প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতীয় পতাকা উন্মোচিত করা হয়। সেদিন দণ্ডের শীর্ষেই গোটানো থাকে জাতীয় পতাকা। সেটি উন্মোচন করা হয় মাত্র। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার সময় দেশে রাষ্ট্রপতি ছিলেন না। ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাই ১৫ অগাস্ট পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি নন। ১৯৫০-এ ২৬ জানুয়ারি শপথ নেন দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। তাই সেদিন পতাকা উন্মোচন করেন তিনি।
রাজ্যের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম। স্বাধীনতার পঁচাত্তর বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। পালিত হচ্ছে হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচিও। ফি বারের মতো এবারও দেশের সর্বত্র মর্যাদার সঙ্গে পালিত হবে স্বাধীনতা দিবস। সেই উপলক্ষে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রুপে যে নির্দেশিকা পাঠিয়েছিলেন সেখানে ১৫ অগাস্ট সকাল সাড়ে ৯টায় তাঁদের সমবেত হতে বলা হয়েছে। ওই নির্দেশিকায় পতাকা উত্তোলনের(flag hoisting) কথা বলা হয়নি। বরং পতাকা উন্মোচিত(flag unfurled) হবে বলে জানানো হয়েছিল। এর পরেই শুরু হয় বিতর্ক। শেষমেশ একপ্রকার বাধ্য হয়েই নয়া নির্দেশিকা জারি করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেখানে পতাকা উত্তোলনের কথা বলা হয়। তার পরেই ইতি পড়ে বিতর্কে। একটি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কীভাবে এই ‘ভুল’ করলেন, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
+ There are no comments
Add yours