মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাজো সাজো রব হায়দরাবাদ (Hyderabad) জুড়ে। আজ, শনিবার এখানেই বসেছে বিজেপির (BJP) দু দিনের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক (National Executive Meeting)। বৈঠকে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi)। পাঁচ বছর পর এই প্রথম নয়া দিল্লির বাইরে কোনও শহরে এই ধরনের বৈঠক করছে বিজেপি।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে একের পর এক রাজ্য জয় করে চলেছে বিজেপি। গত কয়েক বছর ধরে একের পর এক রাজ্যের রশি এসেছে পদ্ম শিবিরের হাতে। বাকি রয়েছে তেলঙ্গানা। এখানে ক্ষমতায় রয়েছে তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি। রাজনৈতিক মহলের মতে, আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন তেলঙ্গানায়। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যের রশি যাতে গেরুয়া শিবিরের হাতে আসে, তাই এখানেই আয়োজন করা হয়েছে বৈঠকের। সূত্রের খবর, এই বৈঠক শুরুর আগে বিজেপি তাদের বিভিন্ন নেতাকে পাঠিয়েছে রাজ্যের ১১৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে। জনগণের মন বুঝতেই পাঠানো হয়েছিল তাঁদের।
আরও পড়ুন : বিজেপি কেন একনাথ শিন্ডের হাতে মহারাষ্ট্রের রাশ ছাড়ল?
বৈঠক উপলক্ষে সেজে উঠেছে গোটা হায়দরাবাদ শহর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ প্রথম সারির বিজেপি নেতাদের মুখের ছবি সম্বলিত পোস্টারে ছয়লাপ গোটা শহর। এদিন দুপুরে বৈঠকে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। রবিবার বক্তৃতা দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও বৈঠকে যোগ দিতে শনিবারই হায়দরাবাদ এসে পৌঁছনোর কথা তাঁর। বৈঠকের পাশাপাশি হবে চিত্র প্রদর্শনীও। এর আগে যেসব জাতীয় কার্যকরী কমিটির বৈঠক হয়েছে, সেসবের ছবিও প্রদর্শিত হবে এদিন সন্ধ্যায়।
আরও পড়ুন : "সেদিন থেকেই পতন শুরু...", উদ্ধবকে ট্যুইট-বাণ রাজ ঠাকরের
তেলঙ্গানা বিজেপির মুখপাত্র এনভি সুভাষ বলেন, ১৮ বছর পরে জাতীয় কার্যকরী কমিটির বৈঠক হচ্ছে হায়দরাবাদে। সেই উপলক্ষে সাজানো হয়েছে শহর। জাতীয় নেতারা, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা এবং অন্যরা ঘুরে দেখছেন ১১৯টি বিধানসভা কেন্দ্র। রবিবার সমাবেশ হবে। প্রচুর মানুষ ওই সমাবেশে যোগ দেবেন বলেই আশা করছি। বিজেপি সূত্রের খবর, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে একট রেজলিউশন পাশ হওয়ার কথা এই বৈঠকে। তেলঙ্গানা সহ দেশের অন্যত্র কীভাবে সংগঠন আরও বিস্তার করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। শিবসেনার নেতৃত্বাধীন সরকার পড়ে গিয়েছে। বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে শিবসেনারই একটি অংশ সরকার গড়েছে সেখানে। উত্তর-পূর্ব ভারতের একটা বিরাট অংশ গেরুয়া শিবিরের দখলে। তাই আপাতত পাখির চোখ তেলঙ্গানা। এক সময়, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক ছিল বিজেপির। পরে কেন্দ্রের কাছ থেকে স্পেশাল প্যাকেজ না আসায় বিজেপির থেকে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের একটি অংশের ব্যাখ্যা, কেসিআরের রাজ্যে থাবা বসাতেই সেখানে আয়োজন করা হয়েছে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। যে বৈঠকের মধ্যমণি অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং।
+ There are no comments
Add yours