মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদে যুক্ত থাকার অভিযোগে নিষিদ্ধ করা হয়েছে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (Popular Front of India) ও তাদের সহযোগী একাধিক সংস্থাকে। একাধিক হিন্দু (Hindu) নেতাকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে সদ্য নিষিদ্ধ এই সংগঠনের বিরুদ্ধে। হাওয়ালার কারবারও করত এই সংগঠন। দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বুনত হিংসার বীজ। আন্তর্জাতিক কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও পিএফআইয়ের (PFI) যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। আসুন, এই সংগঠনের কয়েকজন মাথার পরিচয় জেনে নিই।
ওএমএ সালমান: পিএফআইয়ের চেয়ারম্যান ওএমএ সালমান কেরল স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের কর্মী। বতর্মানে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। রেহাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের সঙ্গেও যুক্ত তিনি।
আনিশ আহমেদ: পিএফআইয়ের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক। বেঙ্গালুরুতে পড়াশোনা। গ্লোবাল টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিতে কাজ করতেন। সম্প্রতি সাসপেন্ড করা হয়েছিল তাঁকে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া এবং নিউজ চ্যানেলে তিনি অতিসক্রিয় ছিলেন। সরকারি নানা নীতির কট্টর সমালোচক ছিলেন আনিশ।
পি কোয়া: জাতীয় কার্যকরী কাউন্সিলের সদস্য। নিষিদ্ধ সিমির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। কেরলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার ছিলেন। ইসলামিক ইয়ুথ সেন্টারের ডায়েরেক্টর হিসেবে কাজ করেছিলেন। ইসলামিক আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করতেন তিনি।
আরও পড়ুন : নিশানা ছিল আরএসএস হেডকোয়ার্টার! আত্মঘাতী জঙ্গি নিয়োগ করেছিল পিএফআই?
ইএম আবদুর রহমান: জাতীয় ভাইস চেয়ারম্যান। কোচিন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অবসরপ্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ান। সিমির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।
আফসার পাশা: জাতীয় সম্পাদক। পেশায় ব্যবসায়ী। পিএফআইয়ের সক্রিয় সদস্য।
আবদুল ওয়াহিত সেইট: জাতীয় কার্যকরী কাউন্সিলের সদস্য। র্যাডিক্যাল ইসলামিক অর্গানাইজেশনের ফাউন্ডিং সদস্য।
মহম্মদ শাকিব এলিয়াস শাকিফ: জাতীয় সম্পাদক (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশানস)। পিএফআইয়ের ফাউন্ডিং মেম্বার। রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা করেন।
মিনারুল শেখ: প্রসিডেন্ট, পিএফআই, ওয়েস্টবেঙ্গল। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি। কোচিং ক্লাস চালান। করেন গবেষণামূলক কাজকর্ম।
মহম্মদ আশিফ: প্রেসিডেন্ট, রাজস্তান পিএফআই। তিনি প্রথমে সিএফআইয়ে যোগ দিয়েছিলেন। পরে হয়েছিলেন পিএফআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট। সংগঠন বাড়ানোর ব্যাপারে তিনি খুব সক্রিয়।
+ There are no comments
Add yours