মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Scam) সিবিআই (CBI) ও ইডি (ED)-এর যৌথ স্ক্যানারে ছিলেন তিনি। চলছিল জিজ্ঞাসাবাদও। দিল্লিতে মূল কার্যালয়ে তাঁকে তলবও করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর তার আগেই রবিবার বীরভূম পুলিশের হাতে একটি খুনের মামলায় গ্রেফতার হলেন অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ টুলু মণ্ডল (Tulu Mondal)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরনো একটি মামলায় টুলুকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তারপর থেকেই শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা ৷ প্রশ্ন উঠছে, তবে কি গরুপাচার মামলায় যাতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা টুলুকে জেরা করতে না পারে, তাই আগেভাগে রাজ্য পুলিশের হেফাজতে নিয়ে নেওয়া হল?
জানা গিয়েছে, বীরভূমে পাথরের বেআইনি কারবারের মুল হোতা এই টুলু মণ্ডল ৷ এ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে নানা সময় নানা অভিযোগ উঠেছে ৷ কিন্তু, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে এর আগে কখনই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্য পুলিশ। তাহলে হঠাৎ এই সক্রিয়তা কেন? এই প্রশ্নেই এখন উত্তাল রাজ্যনীতি। যদিও এখনও কোনও মহল থেকেই কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি টুলু মণ্ডলের বাড়িতে অভিযান চালায় সিবিআই ও ইডি ৷ প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি ৷ তাতে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয় বলে দাবি গোয়েন্দাদের ৷ অনেকেই ধারণা করেছিলেন যেকোনও দিন আবারও টুলুকেও তলব করতে পারে গোয়েন্দা সংস্থা। আর তার আগেই এই গ্রেফতার।
সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডল-ঘনিষ্ট পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলকে একটি খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করেছে মহম্মদবাজার থানার পুলিশ। স্থানীয় চরিচা গ্রামে এক ব্যক্তিকে খুনের ঘটনায় এই পাথর ব্যবসায়ীর যোগ থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তকে সিউড়ি আদালতে তোলা হলে, আদালত এই অভিযুক্তকে চার দিনের পুলিশ হেফাজতে নির্দেশ দেন বিচারক। এই টুলু মণ্ডলের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্টতার কথা সর্বজনবিদিত।
আরও পড়ুন: কর্মী ছাটাই শুরু করেছে ট্যুইটার, ভয় বাড়ছে H1B ভিসাধারীদের
এই ব্যবসায়ী ব -কলমে পাথরের শিল্পাঞ্চল থেকে বেআইনি ভাবে টাকা তুলত। তাঁর সিউড়ির বাড়ি সহ পৈতৃক ভিটে ,অফিসে এই কেন্দ্রীয় দুই সংস্থা সারাদিন ধরে তল্লাশি চালায়। ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করে গতকালই, এই পাথর ব্যবসায়ী দিল্লি থেকে বীরভূমে ফিরেছেন। গতকালই রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এসে রাত্রীবাস করেছেন বীরভূমে। জেলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন জেলা নেতাদের সঙ্গে। অনুব্রতহীন জেলায় তৃনমুল এখন ছন্নছাড়া। তাই অনুব্রত যাতে অন্য কারো জবানবন্দিতে ফের বিপাকে না পড়েন, তার জন্যই কি মন্ত্রীর অঙ্গুলিহেলনে এই পদক্ষেপ নিল রাজ্য পুলিশ?
+ There are no comments
Add yours