মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না তা জানা যাবে ১ ডিসেম্বর। তবে, আজ সোমবার দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সঞ্জীব মজুমদারকে। বোলপুরে এক চালের মিলের মালিক তিনি। অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে তাঁর সঙ্গে বিপুল আর্থিক লেনদেনের যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি ইডির।
সঞ্জীব মজুমদারকে তলব
ব্যবসায়ী সঞ্জীব মজুমদারকে আগে রতনকুঠিতে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এবার তলব ইডির। ইডি সূত্রে খবর,বীরভূমের একটি চালকলের মালিক সঞ্জীব মজুমদার। তাঁর সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। তাই বেআইনি আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে ইডি অফিসাররা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান। এখন জেলে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বেশ কিছু টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছিলেন সঞ্জীব। কেন তিনি অনুব্রতর অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করেছিলেন,এবার তা নিয়েই তদন্তকারীরা কথা বলতে চান।
আরও পড়ুন: জামিনের আবেদনই করলেন না, আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতেই কেষ্ট
অনুব্রতের বিরুদ্ধে প্রমাণ
ইডি চায় অনুব্রতকে নয়াদিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে। তাই নয়াদিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে মামলা করেছে ইডি। পাল্টা হিসেবে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কেষ্ট। অনুব্রতের হয়ে সেই মামলা লড়ছেন কপিল সিব্বল। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ এই আইনজীবীর সঙ্গে লড়াই করতে তাই উপযুক্ত প্রমাণ চাইছে ইডি। তাই অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করা হচ্ছে। আগামী ১ ডিসেম্বর ওই মামলার শুনানি রয়েছে। ইডি মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে তদন্ত শুরু করেছে। গরু পাচার মামলায় প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে বলে মনে করছেন ইডির অফিসাররা। গরু পাচার মামলায় যুক্ত এনামুল হক, সায়গল হোসেন এখন নয়াদিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন। অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে এসে সায়গলের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। সেটা আদালত অনুমতি দিলেই সম্ভব।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours