Cold Wave: রাজস্থানে তুষারপাত! হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু উত্তর, পশ্চিম ভারত

সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় নৈনিতালকে টেক্কা দিল্লির......
cold_wave
cold_wave

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনের ছুটি মানে পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে পিকনিক বা চিড়িয়াখানা ঘুরতে যাওয়া। শীতের আমজে জমিয়ে বড়দিনটা উপভোগ করে বাঙালি। কিন্তু এবার ঠিকঠাক যেন জমল না! কারণ গত ২৫ ডিসেম্বর থেকেই বাংলাতে শীত উধাও। তবে এর ঠিক উল্টো ছবি দেখা যাচ্ছে উত্তর এবং পশ্চিম ভারতে। হাড় কাঁপানো শীতে (Cold Wave) ইতিমধ্যে জবুথবু উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের বেশ কিছু রাজ্য। স্কুল-কলেজে গ্রীষ্মকালীন ছুটির কথা শোনা যায়, উত্তর ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে এ বছর তীব্র শীতের (Cold Wave) জন্য শীতকালীন ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকারগুলি। রাজধানী দিল্লিতে আজ মঙ্গলবারই সবথেকে শীতলতম দিন বলে জানা যাচ্ছে হাওয়া অফিস সূত্রে।

ব্যাপক পতন হয়েছে পারদে, ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশেই ঘুরছে রাজধানীর তাপমাত্রা। দিল্লি টেক্কা দিয়েছে নৈনিতালকেও। এদিন নৈনিতালের তাপমাত্রা ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুধু তাই নয়, কুয়াশার চাদরে মুড়ে গেছে সম্পূর্ণ উত্তর এবং পশ্চিম ভারত। যেখানে সাধারণ গাড়ি থেকে ট্রেন চালাতে তো অসুবিধা হচ্ছেই, দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন চালকরা। তার সঙ্গে সঙ্গে বিমান ওঠানামাতেও সমস্যা হচ্ছে, বিভিন্ন রাজ্যের বিমানবন্দরের তরফ থেকে এদিন জানানো হয় যে বিমান ওঠানামার সময়ও পরিবর্তিত হতে পারে সেজন্য সংস্থার সঙ্গে যেন যাত্রীরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। এই প্রবল ঠান্ডা আর শৈত্য প্রবাহের (Cold Wave) জন্য ইতিমধ্যে সমগ্র উত্তর ভারত জুড়ে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কবার্তা। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই সতর্কতা আরও কিছুদিন জারি থাকবে। তাদের মতে আগামী তিনদিন নাকি এই তীব্র শৈত্যপ্রবাহ চলবে। দিল্লি রাজস্থান পাঞ্জাব এবং হরিয়ানাতে। 

শৈত্য প্রবাহে (Cold Wave) কাঁপছে মরুরাজ্য

মরু রাজ্য রাজস্থানে শীতের দাপট সব থেকে বেশি। শৈত্য প্রবাহের (Cold Wave) প্রতিযোগিতায় রাজস্থানে হারিয়ে দিয়েছে শিমলাকে। সিমলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এদিন ছিল ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, অন্যদিকে রাজস্থানের সিকর শহরের তাপমাত্রা এদিন নেমে গেছিল ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে সিকর শহরের মতোই হিমাঙ্কের প্রায় কাছাকাছি নেমে গেছিল কারাউলির তাপমাত্রা। শনিবার রাতে সেখানকার তাপমাত্রা ছিল ০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ‌। প্রসঙ্গত , যে শিকড় শহরে শীতলতম তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে সেখানে গ্রীষ্মকালে অর্থাৎ মে-জুন মাসে কখনও কখনও তাপমাত্রা ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যায়। তবে পুরনো রেকর্ড বলছে যে জানুয়ারিতে নাকি শিকড় শহরের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচেও নেমেছে বেশ কয়েকবার অর্থাৎ মরু রাজ্যেও বরফপাতের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles