মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Murmu), বর্তমানে রথযাত্রা এবং অন্যান্য কর্মসূচির জন্য ওড়িশায় (Odisha) চার দিনের সফরে রয়েছেন। রবিবার তিনি সফরের মাঝেই গিয়েছিলেন পুরীর সমুদ্র সৈকতে। সেই ছবি তিনি একাধিক পোস্টের মাধ্যমে ভাগ করে নিলেন দেশবাসীর সঙ্গে। নিজের ব্যস্ত সময় থেকে একটু সময় বের করে তিনি পুরীর গোল্ডেন বিচে গিয়েছিলেন।
সমুদ্রের ধারে শান্তি পেলেন রাষ্ট্রপতি (President Murmu)
“কিছু জায়গা রয়েছে যেগুলি আমাদের জীবনের খুব কাছাকাছি এবং আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমরা প্রকৃতির একটি অংশ। পাহাড়, নদী, জঙ্গল এবং সমুদ্র মনের মধ্যে এক অন্যরকম অনুভূতির সঞ্চার করে। আমি সমুদ্রের ধারে যখন হাঁটছিলাম তখন এ কথা বারংবার মনে আসছিল।” ছবিগুলি শেয়ার করে সামাজিক মাধ্যম এক্সে হ্যান্ডেলে কথাগুলি লেখেন দ্রৌপদী মুর্মু। আসলে রাষ্ট্রপতি (President Murmu) সমুদ্রের পাড়ে শান্তি খুঁজে পেয়েছিলেন। প্রভু জগন্নাথ দেবের দর্শন করে তাঁর একই অনুভূতি হয়েছিল বলে জানান।
More than seventy percent of the surface of the earth is made up of oceans, and global warming is leading to a rise in global sea levels, threatening to submerge coastal areas. The oceans and the rich variety of flora and fauna found there have suffered heavily due to different… pic.twitter.com/ifp1TeW5Uh
— President of India (@rashtrapatibhvn) July 8, 2024
মানুষ প্রকৃতির অঙ্গ
তিনি মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির যোগাযোগের কথা মনে করিয়ে দেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, “আসলে দৈনন্দিন জীবনে আমরা ভুলে যাই, যে আমরা প্রকৃতির একটি অংশ। ভূপৃষ্ঠের ৭০ শতাংশেরও বেশি অংশ মহাসাগর, এবং বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে সমুদ্রের স্তর ক্রমাগত বাড়ছে। এতে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের দূষণের কারণে সাগরের বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাই প্রকৃতির বুকে বসবাসকারী মানুষদের অনুসরণীয় ঐতিহ্য এ ক্ষেত্রে আমাদের জন্য পথপ্রদর্শক হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা সমুদ্রের বাতাস এবং সমুদ্রের ঢেউয়ের ভাষা বুঝতে পারে। তাদের পূর্বপুরুষদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে, তাঁরা সমুদ্রকে দেবতা হিসাবে পূজা করে।”
আরও পড়ুন: ভারতে কি শুরু হয়ে গেল হিন্দু ‘নিধন যজ্ঞ’?
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Murmu) আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি পরিবেশ সুরক্ষা এবং সংরক্ষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য আমাদের কাছে দুটি উপায় রয়েছে। প্রথমত, সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি এই দিকে বড় পদক্ষেপ নিতে পারে এবং দ্বিতীয়ত, আমরা নাগরিক হিসাবে স্থানীয় পর্যায়েও ছোট পদক্ষেপ নিতে পারি। অবশ্যই, এই দুটি ধাপ একে অপরের পরিপূরক। আসুন আমরা অঙ্গীকার করি যে আমরা ব্যক্তি হিসেবে, স্থানীয় পর্যায়ে, নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য যা করতে পারি তা যেন করি। আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য এটি করতেই হবে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours