Atmospheric Carbon: হাতি কমে যাওয়ার প্রভাব পড়বে জলবায়ুর ওপরও!

elephant

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনসংখ্যা বৃদ্ধির জেরে ক্রমেই কমছে জঙ্গলের (Forest) আয়তন। বসতি স্থাপন করতে গিয়ে মানুষ কেড়ে নিচ্ছে না-মানুষের বসত। এসব আমাদের জানা ছিল। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেল আরও ভয়ঙ্কর তথ্য। জানা গেল, জঙ্গল সৃষ্টিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে হাতি (Elephant)। কেবল তাই নয়, আফ্রিকার (Atmospheric Carbon) জঙ্গলের জীব বৈচিত্র্য রক্ষা করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গজকুল।

হাতির বংশ…

মানুষের লোভের জেরে ইতিমধ্যেই বিলুপ্ত হতে বসেছে হাতির বংশ। তার ছাপ পড়েছে আফ্রিকার জঙ্গলে। এক সময় আফ্রিকার জঙ্গলে বাস করত হাজার হাজার হাতি। পরে সভ্য মানুষ হাতির দাঁতের লোভে নির্বিচারে হত্যা করতে শুরু করে হস্তিকুলকে। যার জেরে ওই জঙ্গলের হাতির সংখ্যা কমতে কমতে ক্রমেই বিলুপ্তির পথে চলে গিয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে জঙ্গলে। এই আফ্রিকায়ই রয়েছে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রেইন ফরেস্ট। এতদিন এই জঙ্গল পরিবেশ থেকে কার্বন (Atmospheric Carbon) শুষে নিত। এখনও নিচ্ছে। তবে হস্তিকুল কমে যাওয়ায় জঙ্গলেরও কার্বন শুষে নেওয়ার ক্ষমতা কমে যেতে পারে ৬ থেকে ৯ শতাংশ। সেন্ট লুইস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞাণের অধ্যাপক তথা প্রবীণ লেখক স্টিফেন ব্লেক হাতি নিয়ে দীর্ঘ সময় গবেষণা করেছেন। সম্প্রতি একটি গবেষণা পত্রে ব্লেক এবং তাঁর সহযোগীরা দেখিয়েছেন, আফ্রিকার রেইন ফরেস্টে কীভাবে কার্বন ধরে রাখার কাজ করে হাতির পাল।

আরও পড়ুুন: মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের জের, কংগ্রেস ছাড়লেন এ কে অ্যান্টনির ছেলে

ব্লেক বলেন, মানুষ নির্বিচারে হস্তিনিধন করে চলেছে। ফলশ্রুতি হিসেবে ভয়ঙ্কর সমস্যায় আফ্রিকার জঙ্গল। হাতি হত্যা বন্ধ করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, অথচ হাতি জঙ্গলে জীব বৈচিত্র বজায় রাখে। তাই হস্তিকুলের বিনাশ হলে ধ্বংস হয়ে যাবে জঙ্গলও। আমরা যদি জঙ্গলের হাতিকে হত্যা করে চলি, তাহলে তার প্রভাব পড়বে তামাম বিশ্বের (Atmospheric Carbon) জলবায়ুর ওপর। ব্লেক বলেন, আমাদের এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে যে হাতি বাঁচাতে না পারলে আমরা পরোক্ষে দায়ী হব জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যও। তিনি বলেন, একে সিরিয়াসলি নিতে হবে। বাঁচাতে হবে হস্তিকুলকে। জঙ্গলের হাতির ভূমিকাকে কোনওভাবেই অবহেলা করা যাবে না।

ব্লেক বলেন, হাতিরা বিভিন্ন গাছ থেকে পাতা খায়, ডাল ভাঙে, চারা গাছ উপড়ে ফেলে দেয়। তিনি বলেন, দেখা গিয়েছে, হাতিরা যেসব গাছ ধ্বংস করে সেগুলি লো-কার্বন ডেনসিটির গাছ। জঙ্গলে যদি শুধুই হাই-কার্বন ডেনসিটির গাছ থাকে, তাহলে পরিবেশের উপকার হয়। তিনি বলেন, হাতিরা হল জঙ্গলের মালি।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share