Author: ishika-banerjee

  • Tendulkar Foundation: ফের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন সচিন! একদা মাও-গড় দান্তেওয়াড়ায় গড়ে তুলছেন ৫০টি খেলার মাঠ

    Tendulkar Foundation: ফের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন সচিন! একদা মাও-গড় দান্তেওয়াড়ায় গড়ে তুলছেন ৫০টি খেলার মাঠ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের মাওবাদী-অধ্যুষিত জেলা দান্তেওয়াড়ায় (Dantewada) শুরু হয়েছে এক ব্যতিক্রমী ক্রীড়া আন্দোলন। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং সচিন তেন্ডুলকার ফাউন্ডেশন (Tendulkar Foundation) ও মান দেশি ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ‘ময়দান কাপ’ প্রকল্পের আওতায় গড়ে তোলা হচ্ছে ৫০টি খেলার মাঠ। এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে খেলাধুলার মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের জীবনে নতুন আশার আলো জ্বালাতে চায় জেলা তথা রাজ্য প্রশাসন।

    ২০টি মাঠ নির্মাণ সম্পন্ন

    দান্তেওয়াড়ার কালেক্টর কুণাল দুদাওয়াত বলেন, গত বছর, রাজ্য সরকার দান্তেওয়াড়া এবং অন্যান্য ছয়টি জেলা সহ বাস্তার অঞ্চলের ক্রীড়া প্রতিভাদের উৎসাহিত করার জন্য বাস্তার অলিম্পিক ২০২৪ আয়োজন করেছিল। লক্ষ্য ছিল নকশাল-প্রভাবিত এবং সংবেদনশীল জেলাগুলির ক্রীড়া প্রতিভাদের খেলার মাধ্যমে সমাজের সাথে সংযুক্ত করা। তারই অংশ হিসেবে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং পোর্টা-কেবিন স্কুলের ক্যাম্পাসে নির্মিত হচ্ছে এই মাঠগুলো। ইতিমধ্যেই ২০টি মাঠ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকি ৩০টি অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা। মাঠগুলিতে থাকছে ১৩ ধরনের খেলাধুলার সুযোগ—দৌড়, লং জাম্প, শটপুট, জ্যাভলিন থ্রো এবং ওয়াল ক্লাইম্বিং সহ বিভিন্ন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ইভেন্ট। প্রতিটি মাঠ নির্মাণে খরচ হচ্ছে ৪ লক্ষ্য টাকা। এই মাঠ তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে স্থানীয় উপকরণ। এর ফলে দেশ আত্মনির্ভরতার পথে এগোচ্ছে, বলে জানান দুদাওয়াত।

    সচিন তেন্ডুলকরের মতো আইকনিক ব্যক্তিত্বদের দরকার

    দুদাওয়াত বলেন, জেলা প্রশাসন স্বাধীনভাবে খেলার মাঠ তৈরি করতে পারত, তবে পিছিয়ে পড়া এই অঞ্চলের যুবক ও শিশুদের আকৃষ্ট করার জন্য সচিন তেন্ডুলকরের মতো আইকনিক ব্যক্তিত্বদের জড়িত করা প্রয়োজন। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যেই দান্তেওয়াড়ার চিন্দনার, কাসোলি ও হিটামেটা গ্রামের মাঠ নির্মাণ শেষ হয়েছে, যার সুফল পাচ্ছে প্রায় ১০,০০০ শিশু। শুধু খেলার মাঠ নয়, দান্তেওয়াড়ায় গড়ে তোলা হচ্ছে একটি আধুনিক ‘স্পোর্টস সিটি’। সেখানে থাকবে ক্রিকেট, ফুটবল, হকি মাঠ, সুইমিং পুল ও আবাসন সুবিধাসহ উন্নত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।

  • Rudrastra Drone Tested: রুদ্রাস্ত্রের সফল পরীক্ষা! ৩,৫০০ মিটার উপর থেকে সরাসরি স্ট্রাইক, শত্রু দমনে নয়া পরিকল্পনা ভারতের

    Rudrastra Drone Tested: রুদ্রাস্ত্রের সফল পরীক্ষা! ৩,৫০০ মিটার উপর থেকে সরাসরি স্ট্রাইক, শত্রু দমনে নয়া পরিকল্পনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারতের মুকুটে আর একটি পালক। বেসরকারি প্রতিরক্ষা সংস্থা সোলার অ্যারোস্পেস অ্যান্ড ডিফেন্স লিমিটেড (Solar Defence and Aerospace Limited) নির্মিত আক্রমণাত্মক ড্রোন ‘রুদ্রাস্ত্র’-র সফল (Rudrastra Drone Tested) পরীক্ষা সম্পন্ন হল রাজস্থানের পোখরানে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এই ট্রায়ালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কঠোর মানদণ্ড ছাপিয়ে গেল রুদ্রাস্ত্র। এই ড্রোনটি সীমান্তের ওপারে শত্রুর লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হবে। এটি ৫০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে অবস্থিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

    পোখরানে সফল পরীক্ষা

    ভারতীয় সেনাবাহিনী, দেশীয়ভাবে তৈরি ভার্টিক্যাল টেক অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং (VTOL) ড্রোনের সফল পরীক্ষা করেছে। রাজস্থানের পোখরান ফায়ারিং রেঞ্জে এই পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। এই ড্রোনের নামকরণ করা হয়েছে ‘রুদ্রাস্ত্র’। সেনাবাহিনী প্রচুর পরিমাণে এই ধরনের ড্রোন কিনতে চায় কারণ এগুলি শত্রু অঞ্চলের গভীরে আক্রমণ করতে সক্ষম। হেলিকপ্টারের মতো উল্লম্বভাবে ওঠানামা করতে সক্ষম রুদ্রাস্ত্রের জন্য আলাদা রানওয়ের প্রয়োজন হয় না। ফলে দুর্গম ও অপ্রবেশযোগ্য এলাকা থেকেও সহজেই পরিচালনা করা যায়। পরীক্ষার সময়, ‘রুদ্রাস্ত্র’ ড্রোনটি মোট ১৭০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে লক্ষ্যবস্তু এলাকার উপর দিয়ে ঘোরাফেরা করা এবং প্রায় দেড় ঘণ্টা আকাশে ভেসে থাকা অন্তর্ভুক্ত। ড্রোন থেকে ফেলা শেলটি মাটির ঠিক উপরে বাতাসে বিস্ফোরিত হয়। এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে খুব কম উচ্চতায় বিস্ফোরিত হয় এবং সেনাবাহিনীর প্রয়োজন অনুসারে বিশাল এলাকায় নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সফল হয়। পরীক্ষার সময় এটি ৫০ কিমি দূরে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানে এবং নিরাপদে ঘাঁটিতে ফিরে আসে।

    মহাকাব্যিক নাম, বিধ্বংসী ক্ষমতা

    ‘রুদ্রাস্ত্র’ নামটি প্রাচীন হিন্দু পুরাণ থেকে নেওয়া, যেখানে এটি শিবের সঙ্গে যুক্ত একটি বিধ্বংসী অস্ত্র হিসেবে বিবৃত। ড্রোনটির অস্ত্রসজ্জায় রয়েছে অত্যাধুনিক অ্যান্টি-পার্সোনেল ওয়ারহেড, যা লক্ষ্যবস্তুর উপরে বিস্ফোরিত হয়ে চারদিকে উচ্চবেগে টুকরো ছড়িয়ে দেয়, ফলে শত্রুপক্ষের মানুষ ও সরঞ্জামের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

    লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে হামলা পর্যবেক্ষণ

    রুদ্রাস্ত্র ২,০০০ থেকে ৩,৫০০ মিটার উচ্চতা থেকে আক্রমণ চালাতে পারে এবং সেই সময় লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে কমান্ড সেন্টারে সরাসরি হামলার দৃশ্য পাঠায়। এই ড্রোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে নজরদারি, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম। সেনা সূত্রে খবর, সোলার অ্যারোস্পেস অ্যান্ড ডিফেন্স লিমিটেড (SDAL)  ‘রুদ্রাস্ত্র’কে সেনাবাহিনীর জন্য অনেক কাজ করার জন্য প্রস্তুত করছে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ড্রোন-ভিত্তিক যুদ্ধ কৌশলে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে এবং তাতে বেসরকারি সংস্থাগুলোর অংশগ্রহণ বাড়ছে। আধুনিক যুদ্ধের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভারতীয় সেনাবাহিনী দেশীয়ভাবে তৈরি অস্ত্রের উপর বেশি মনোযোগ দিচ্ছে।

  • Air India Plane Crash: মিলল এয়ার ইন্ডিয়ার বিধ্বস্ত বিমানের দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স, কেন ঘটল দুর্ঘটনা?

    Air India Plane Crash: মিলল এয়ার ইন্ডিয়ার বিধ্বস্ত বিমানের দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স, কেন ঘটল দুর্ঘটনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্ঘটনার তিন দিন পর হদিশ মিলল আমেদাবাদে ভেঙে পড়া এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের (Air India Plane Crash) দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সের। রবিবার সর্বভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যমে এই তথ্যটি জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ‘ককপিট ভয়েস রেকর্ডার’ (সিভিআর) ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার যে হস্টেলের ছাদে বিমানটি আছড়ে পড়েছিল, সেখান থেকে প্রথম ব্ল্যাক বক্স, অর্থাৎ ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর) উদ্ধার করা হয়েছিল। এবার খোঁজ মিলল দ্বিতীয়টির। দুই ব্ল্যাক বক্স এবার আমেদাবাদের তদন্তে গতি আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ককপিট ভয়েস রেকর্ডার পাওয়ায় তদন্তে সুবিধা

    রবিবার, আমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান (Air India Plane Crash) দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রধান সচিব পিকে মিশ্র। রবিবার, ওই দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা ছাড়াও আহতদের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। তাঁর কাছেই ওই দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স পাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে আধিকারিকদের তরফে। ককপিট ভয়েস রেকর্ডারটি পাওয়ার পর তদন্তে সুবিধা হবে, বলে মনে করা হচ্ছে। কী কারণে সেদিন ওই দুর্ঘটনা ঘটেছিল তার সম্ভাব্য কারণ জানতে সাহায্য করবে এই দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি। ইতিমধ্যে বিমানের ‘ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার’ বা প্রথম ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার করা হয়েছে। গত ১২ জুন বেলা ১টা ৩৮ মিনিটে আমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডন গ্যাটউইকের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই১৭১। বোয়িং সংস্থার এই ড্রিমলাইনার বিমানে এর আগে বড়সড় দুর্ঘটনা হয়নি। কিন্তু সে দিন রানওয়ে ছাড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সামনের বিল্ডিংয়ে ধাক্কা খেয়ে বিমানটি ভেঙে পড়ে। মুহূর্তে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে চারপাশ। বিমানে আগুন ধরে যায়।

    কেন গুরুত্বপূর্ণ ‘ব্ল‍্যাক বক্স’?

    বিমান দুর্ঘটনার (Air India Plane Crash) তদন্তে সব প্লেনেই দু’রকমের ব্ল‍্যাক বক্স রাখা থাকে। এটাই নিয়ম। একটি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর)। অপরটি ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর)। সিভিআর থাকে বিমানের সাংনের অংশে। অন্যদিকে, এফডিআর থাকে বিমানের শেষের অংশে। যে কারণে, দুর্ঘটনার দিন যে মেডিক্যাল হস্টেলের ছাদে ধাক্কা লেগে বিমানের লেজের অংশ ভেঙে আটকে গিয়েছিল, সেই ছাদ থেকেই এফডিআরটি উদ্ধার হয়। কোনও দুর্ঘটনা হলে এই দুই রেকর্ডিং থেকে কী ঘটেছিল সেটার একটা ছবি ভেসে ওঠে তদন্তকারীদের সামনে। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ড থেকে পাওয়া যায় অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশের হিসেব, কোনদিকে যাচ্ছিল বিমান, কত স্পিড ছিল এমন মোট ৮০ রকমের তথ্য পাওয়া যায়। বিমানের ককপিটের কথাবার্তা রেকর্ড করা রয়েছে ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে। প্রথমে মেটালিক স্ট্রিপে রেকর্ড হত বিমানের ভিতরের সব ঘটনা। যাতে জলে কিংবা আগুনের গ্রাসে পড়লেও নষ্ট না হয় তথ্য। পরবর্তীতে উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাগনেটিক ড্রাইভ এবং মেমরি চিপ রাখা হয় ব্ল‍্যাক বক্সে।

    দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স থেকে বিশদ তথ্য

    দুর্ঘটনার (Air India Plane Crash) তদন্ত করছে এয়ারক্র্যাফ্‌ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি) এবং এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এএআই)। তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিবের সঙ্গে তাদের একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেই বৈঠকে। কেন্দ্রীয় সরকারের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক আমেদাবাদের দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে। তিন মাসের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, বিমান ভেঙে পড়ার আগে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন পাইলট। পাঠিয়েছিলেন বিপদবার্তা (মেডে কল)। কিন্তু তার পর আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। মুহূর্তের মধ্যে বিমানটি ভেঙে পড়ে। একটি অডিয়োয় পাইলটকে বলতে শোনা গিয়েছে, থ্রাস্ট পাওয়া যাচ্ছে না। বিমান ক্রমশ নীচের দিকে নামছে। দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স থেকে এই সংক্রান্ত আরও বিশদ তথ্য পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি কী অবস্থায় মিলেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, প্রাথমিকভাবে দু-টি রেকর্ডারই কার্যত অক্ষত রয়েছে, বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। দেশেই ব্ল্যাকবক্সের ডেটা ডি-কোডিংয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

    বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে সক্রিয় কেন্দ্রীয় ও গুজরাট সরকার 

    এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেটিগেশন ব্যুরো এবং এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সার্কিট হাউসে হওয়া ওই উচ্চ-পর্যায়ের পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রধান সচিব পিকে মিশ্র কেন্দ্রীয় এবং গুজরাট রাজ্য সরকার, এএআইবি এবং ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে তদন্ত প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। সেখানেই তাঁকে ওই ফ্লাইটের ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (CVR) এবং ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (FDR) দু’টিই পাওয়ার কথা জানানো হয়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই বিমান দুর্ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেটিগেশন ব্যুরো। আন্তর্জাতিক প্রোটোকল মেনে সমান্তরালভাবে তদন্ত করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্র্যান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড-ও।

  • India-Cyprus CEO forum: ভারতের ডিজিটাল বিপ্লব! ফ্রান্সের পর এবার সাইপ্রাসেও চালুর পথে ইউপিআই?

    India-Cyprus CEO forum: ভারতের ডিজিটাল বিপ্লব! ফ্রান্সের পর এবার সাইপ্রাসেও চালুর পথে ইউপিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্সের পর এবার সাইপ্রাসেও চালু হতে চলেছে ইউপিআই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) রবিবার ভারত-সাইপ্রাস সিইও ফোরামে (India-Cyprus CEO forum) এই কথা জানান। ভারতের ডিজিটাল বিপ্লব, অর্থনৈতিক শক্তি এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, ভারতের ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস (UPI) বর্তমানে বিশ্বে ডিজিটাল লেনদেনের ৫০ শতাংশ পরিচালনা করছে। তাঁর কথায়, ভারত যেভাবে প্রযুক্তিকে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে এসেছে, তা আজ গোটা বিশ্বের কাছে এক উদাহরণ।

    সাইপ্রাসে ইউপিআই

    ইউপিআই শুধু প্রযুক্তির প্রতীক নয়, এটি ভারতের ডিজিটাল বিপ্লব ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রকাশ। ভারত-সাইপ্রাস সিইও ফোরামে (India-Cyprus CEO forum) প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, “ফ্রান্সের মতো অনেক দেশ ইতিমধ্যে ইউপিআই-এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সাইপ্রাসকেও এতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আলোচনা চলছে। আমি একে স্বাগত জানাই। গত ৬০ বছরে এই প্রথম একই সরকার টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসেছে। গত ১০ বছরে দেশে এক ডিজিটাল বিপ্লব ঘটেছে এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তি তার অন্যতম বড় উদাহরণ। আজ বিশ্বের ৫০ শতাংশ ডিজিটাল লেনদেন ভারতে হয় ইউপিআই-এর মাধ্যমে।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “গত এক দশকে ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হয়েছে এবং শীঘ্রই তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার দিকে দ্রুত এগোচ্ছে। আজ ভারত বিশ্বের অন্যতম দ্রুততম বৃদ্ধি পাওয়া উদীয়মান অর্থনীতি।”

    ভবিষ্যতমুখী পরিকাঠামো 

    প্রধানমন্ত্রী ভারতের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বলেন, দেশের পরিকাঠামো গঠনে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এবারের বাজেটে চালু হয়েছে নতুন ‘ম্যানুফ্যাকচারিং মিশন’, যার লক্ষ্য হলো ইলেকট্রনিক্স, তথ্যপ্রযুক্তি, সেমিকন্ডাক্টর, বায়োটেকনোলজি এবং সবুজ উন্নয়ন খাতে উৎপাদনকে উৎসাহিত করা। মোদি বলেন, “আমরা সামুদ্রিক ও বন্দর উন্নয়নে জোর দিচ্ছি। জাহাজ নির্মাণ ও ভাঙাড়ি খাতেও নতুন নীতির কথা ভাবা হচ্ছে। অসামরিক বিমান চলাচল খাতেও দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে। উদ্ভাবন ভারতের অর্থনৈতিক শক্তির বড় স্তম্ভ হয়ে উঠেছে। আমাদের এক লক্ষেরও বেশি স্টার্টআপ শুধু স্বপ্ন নয়, সমাধান বিক্রি করছে।” উল্লেখ্য, রবিবার পাঁচ দিনের ত্রিদেশীয় সফরে রবিবার (১৫ জুন) সাইপ্রাসে (India-Cyprus CEO forum) পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাস হয়ে কানাডায় যাবেন তিনি। পরে সেখান থেকে যাবেন দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপীয় রাষ্ট্র ক্রোয়েশিয়ায়। সোমবার সাইপ্রাস থেকেই কানাডার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা মোদির। কানাডায় জি-৭ বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।

  • WTC Final 2025: ২৭ বছরে ‘শাপমোচন’! অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা

    WTC Final 2025: ২৭ বছরে ‘শাপমোচন’! অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাল ১৯৯৯! বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে জুটেছিল চোকার্স তকমা। সেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েই তা মুছল দক্ষিণ আফ্রিকা। অ্যালান ডোনাল্ড, শন পোলক, জ্যাক কালিস, এবি ডিভিলিয়ার্সেরা যা পারেননি, তা করলেন টেম্বা বাভুমা, এডেন মার্করাম, কাগিসো রাবাডারা। ২৭ বছর পর আরও এক বার আইসিসি ট্রফি জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। নির্বাসন কাটিয়ে ফেরার সাড়ে তিন দশক পর টেস্ট ক্রিকেটের সিংহাসনে বসল তারা। ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর কোনও আইসিসি ট্রফি ঘরে তুলল প্রোটিয়ারা।

    মার্করাম-বাভুমার লড়াকু ইনিংস

    এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের জন্য ২৮২ রানের লক্ষ্য দেয়। অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম ইনিংসে ২১২ রান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৭ রান করে। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস ১৩৮ রানেই সব উইকেট হারায়। প্রথম ইনিংসের ভিত্তিতে অস্ট্রেলিয়া ৭৪ রানের লিড পেলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণভাবে ফিরে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায়। এখান থেকে ক্রিজ ধরে রাখেন এইডেন মার্করাম এবং অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তৃতীয় উইকেটে দুজনের মধ্যে ১৪৭ রানের জুটি দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের পথ তৈরি করে দেয়। মার্করাম ১০১ বলে ১১টি চারের সাহায্যে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। বাভুমা ৬৬ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন। তারপর এই জয় ছিল সময়ের অপেক্ষা। লর্ডসে ইতিহাস গড়ে এই প্রথম বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা। চতুর্থ দিনে অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারালো প্রোটিয়ারা। ব্যর্থ হল না বাভুমা এবং মার্করামের লড়াই। দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে নজির গড়লেন টেম্বা বাভুমা। জয়ের নিরিখে অপরাজিত থেকে দলকে চ্যাম্পিয়ন করলেন তিনি। বাভুমার নেতৃত্বে ফাইনাল সহ ১০টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যেখানে ৯টি জয় ও ১টি ড্র করেছে প্রোটিয়ারা।

    বহু অপেক্ষার ফল

    দ্বিতীয় ইনিংসে কামিন্স, স্টার্ক, হেজলউডদের তেমন সুযোগ দিলেন না বাভুমা ও মার্করাম। উল্টে যত সময় গড়াল তত কাঁধ ঝুঁলে গেল কামিন্সদের। নইলে কেন এত রক্ষণাত্মক হয়ে পড়লেন অসি অধিনায়ক। যেখানে উইকেট তোলা ছাড়া গতি নেই সেখানে বাউন্ডারিতে ফিল্ডার রাখলেন। বোঝা গেল, দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের পথে বিলম্ব করা ছাড়া আর কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর। হার মেনে নিয়েই বোধহয় চতুর্থ দিন খেলতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। তাদের শরীরী ভাষা সেটাই বুঝিয়ে দিচ্ছিল। তাই কামিন্স, স্টার্কেরা একক দক্ষতায় উইকেট তুললেও তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় আটকাতে পারলেন না। ম্যাচ শেষে গ্যালারিতে সন্তানকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়েছিলেন ডিভিলিয়ার্স, মুখে তৃপ্তির হাসি প্রাক্তন অধিনায়ক গ্রেমি স্মিথের। বোঝা যাচ্ছিল এই জয় যে তাদের কাছে বহু অপেক্ষার ফল। অধরা মাধুরী স্পর্শ করার আনন্দ।

  • NIA: অসম বিস্ফোরণকাণ্ডে পরেশ বড়ুয়াসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল এনআইএ-র

    NIA: অসম বিস্ফোরণকাণ্ডে পরেশ বড়ুয়াসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে গত বছর একাধিক আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানোর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নিষিদ্ধ সংগঠন আলফা (আই) প্রধান পরেশ বড়ুয়াসহ (Paresh Baruah) তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে শুক্রবার চার্জশিট দায়ের করেছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ। শনিবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে এনআইএ (NIA)। অনেক নামে পরিচিত পরেশ বড়ুয়া নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসম-ইন্ডিপেন্ডেন্ট (আলফা-আই) এর চেয়ারম্যান এবং স্বঘোষিত কমান্ডার-ইন-চিফ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

    কোন কোন ধারায় অভিযুক্ত পরেশ

    এনআইএ (NIA) সূত্রে জানা গিয়েছে, পরেশ বড়ুয়ার (Paresh Baruah) সঙ্গে অভিজিৎ গগৈ এবং জাহ্নু বড়ুয়াকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন এবং বিস্ফোরক পদার্থ আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। আসাম জুড়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ব্যাহত করার জন্য গত বছরের স্বাধীনতা দিবসে একাধিক বিস্ফোরণ ঘটানোর বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গুয়াহাটির দিসপুর লাস্ট গেটে পুঁতে রাখা ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) এর সাথে এই তিনজনের যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে বলে এনআইএ অভিযোগপত্রে জানিয়েছে।

    কোন কোন ধারায় অভিযুক্ত পরেশ

    গত বছর স্বাধীনতা দিবসের এই ঘটনার পর ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে তদন্তের দায়িত্ব নেয় এনআইএ (NIA)। তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, মৃত্যু বা আহত করা, সম্পত্তি ধ্বংস করা, ভারতের ঐক্য, অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি তৈরি করা এবং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে আইইডিগুলো স্থাপন করা হয়েছিল। এই মামলার পরবর্তী শুনানি গুয়াহাটি আদালতে হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, আটের দশকের গোড়া থেকেই সার্বভৌম অসমের দাবিতে উত্তপ্ত হয়েছিল ভারতের উত্তর পূর্বের রাজ্য। পরেশ বড়ুয়ার (Paresh Baruah) নেতৃত্বে আগুন জ্বলেছিল অসমে। শেষ পর্যন্ত ১৯৯০-এ আলফাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। তার পরেও হামলা চালিয়ে গিয়েছে বিচ্ছিন্নবাদীরা। বছর চারেক আগে শোনা যায়, পরেশ বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন আলফা জঙ্গিরা চিনের ইউনান প্রদেশে ঘাঁটি গেড়েছে। সেখান থেকেই ভারতে নাশকতার চক্রান্ত চলছে।

  • Indian Army: পালানোর পথ নেই! ভারতীয় সেনার হাতে আসতে চলেছে এআই চালিত নতুন অস্ত্র

    Indian Army: পালানোর পথ নেই! ভারতীয় সেনার হাতে আসতে চলেছে এআই চালিত নতুন অস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারতের মুকুটে যুক্ত হল আরেকটি পালক। উচ্চ পার্বত্য এলাকায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক অস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালাল ভারত। এআই চালিত এই লাইট মেশিন গান (LMG) সিস্টেম, শীঘ্রই সেনাবাহিনীতে (Indian Army) চলে আসবে বলে খবর। আগামীতে সেনার আঙিনায় নতুন বিপ্লব আনতে চলেছে এআই চালিত এই মেশিনগান, অভিমত সমর বিশেষজ্ঞদের।

    এআই-নির্ভর স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের সফল পরীক্ষা

    সূত্রের খবর, এই নতুন এআই সিস্টেম কেবল সেনাবাহিনীর (Indian Army) শক্তি বৃদ্ধি করবে না, বরং সীমান্তে মোতায়েন সৈন্যদের জীবনের নিরাপত্তাও দেবে। তাঁদের কাজকে আরও সুগম করে দেবে। বিএসএস অ্যাডভান্সড টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেডের হাতে দেশীয়ভাবে তৈরি এই এআই-নির্ভর স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের সফল পরীক্ষা হয়ে গেল ১৪,০০০ ফুট উচ্চতায়, ভারতের দুর্গম সীমান্ত অঞ্চলে। এই আধুনিক প্ল্যাটফর্ম (AiD-AWSSA|LW) হালকা এবং ছোট অস্ত্রের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই লাইট মেশিনগান সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ, স্বয়ংক্রিয় প্রতিক্রিয়া এবং প্রতিকূল পরিবেশে স্থিতিশীল কর্মক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। আধুনিক এই অস্ত্রটি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ও ‘আত্মনির্ভর ভারত’ উদ্যোগের আওতায় তৈরি হয়েছে।

    প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য

    থার্মাল ও অপটিক্যাল সেন্সর ফিউশন—নির্ভুল লক্ষ্য নির্ধারণে সহায়ক

    ব্যালিস্টিক কম্পেনসেশন—বাতাস, দূরত্ব এবং তাপমাত্রা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয় সমন্বয়

    এনক্রিপটেড রিমোট কমান্ড ফিচার—নিরাপদ দূরবর্তী নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা

    বিএসএস অ্যাডভান্সড টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অস্ত্রের (AI-Enabled Light Machine Guns) মূল প্রযুক্তি একটি উন্নত মাল্টি-সেন্সর এআই মডিউল যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শত্রু-বন্ধু শনাক্ত করতে পারে। উপযুক্ত সময়ে প্রতিক্রিয়া জানাতেও সক্ষম এই অস্ত্র। এটি ঘাঁটি প্রতিরক্ষা, কনভয় সুরক্ষা এবং সীমান্ত নজরদারির মত ক্ষেত্রে মোতায়েন করা যাবে। যেখানে জনবলের সীমাবদ্ধতা থাকলেও প্রতিনিয়ত শত্রুপক্ষের হামলার ভয় থাকে সেখানে এই অস্ত্র উপযোগী। সংস্থার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, এই এআই মডিউলটি প্ল্যাটফর্ম-অ্যাগনস্টিক, অর্থাৎ বিভিন্ন অস্ত্রের সঙ্গেই একত্রিত করা যায়—যেমন হালকা মেশিন গান, অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম, রিমোট ওয়েপন স্টেশন প্রভৃতি।

  • Boundary Catch Rule: কঠিন হবে ফিল্ডারদের কাজ, বদলাচ্ছে বাউন্ডারির বাইরে লাফিয়ে ক্যাচ ধরার নিয়ম

    Boundary Catch Rule: কঠিন হবে ফিল্ডারদের কাজ, বদলাচ্ছে বাউন্ডারির বাইরে লাফিয়ে ক্যাচ ধরার নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাতে চলেছে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ (Boundary Catch Rule) ধরার নিয়ম। এখন বাউন্ডারি লাইনের কাছে যে ভাবে বল শূন্যে ছুড়ে দিয়ে ক্রিকেটারেরা ছয় বাঁচান বা ক্যাচ ধরেন, আগামী দিনে তা আর করা যাবে না। এবার চ্যালেঞ্জ বাড়ছে ফিল্ডারদের। ক্যাচ ধরার নিয়মে পরিবর্তন করতে চলেছে আইসিসি এবং মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (MCC)। আগামী মাস থেকেই বাউন্ডারি লাইনের ধারে চোখ ধাঁধানো ‘বানি হপ’ ক্যাচ ধরার নতুন নিয়ম কার্যকর হবে।

    ‘বানি-হপ’ ক্যাচ কী?

    অনেক সময়েই দেখা যায়, বাউন্ডারি লাইনের বাইরে থেকে লাফিয়ে বলটিকে মাঠের ভিতরে এনে ক্যাচ ধরেন ফিল্ডাররা। এই ধরনের ক্যাচকে বলা হয় ‘বানি-হপ’ ক্যাচ। এই ক্যাচের নিয়মেই পরিবর্তন আনতে চলেছে এমসিসি এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসি। ২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে সিডনি সিক্সার্সের জর্ডান সিল্কের ক্যাচ ধরা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বাউন্ডারি লাইনের বাইরে প্রথম বার লাফিয়ে ভাল ভাবে বল ধরতে পারেননি ব্রিসবেন হিটের মাইকেল নেসের। দ্বিতীয় বারের চেষ্টায় বল ধরে মাঠের ভিতরে পাঠান তিনি। তার পর ভিতরে ঢুকে ক্যাচ সম্পূর্ণ করেন। সেই বিতর্কের পর নিয়ম পরিবর্তনের কথা ভাবা হয়।

    নতুন নিয়ম

    নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, বাউন্ডারি লাইনের বাইরে একাধিক বার স্পর্শ করা যাবে না বল। ফিল্ডার বাউন্ডারি লাইনের বাইরে শূন্যে (লাফিয়ে) থাকলে এক বার বল ছুঁতে পারবেন। তার পর ক্যাচ ধরতে হবে বাউন্ডারি লাইনের ভিতর ঢুকে। অনেক সময় চার বা ছয় বাঁচানোর জন্য ফিল্ডারেরা লাফিয়ে বল মাঠের মধ্যে (বাউন্ডারি লাইনের ভিতর) পাঠিয়ে দেন। নতুন নিয়মে বল ‘ডেড’ না হওয়া পর্যন্ত ফিল্ডারকে থাকতে হবে বাউন্ডারি লাইনের ভিতরে। ফিল্ডার বাউন্ডারি লাইনের বাইরে চলে গেলে, চার বা ছয় দেওয়া হবে। পরিবর্তন আনা হচ্ছে রিলে নিয়মেও। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় দু’জন ফিল্ডারের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্যাচ ধরা হয়, যা পরিচিত রিলে ক্যাচ নামে। অনেক সময়েই একজন ফিল্ডার বাউন্ডারি লাইনের বাইরে থেকে বলটি ঠেলে দেন ভিতর। অন্য একজন সেই ক্যাচ ধরেন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, দু’জনকেই থাকতে হবে বাউন্ডারি লাইনের মধ্যে। তা না হলে, বাউন্ডারি বা ছক্কা হিসেবে গণ্য করা হবে।

    কবে থেকে চালু নয়া নিয়ম

    আইসিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি জুন মাসের শেষ দিকে নতুন নিয়ম চালুর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনে যুক্ত হবে নতুন নিয়ম। আগামী জুলাই থেকেই কার্যকর হবে নতুন নিয়ম। আগামী বছরের অক্টোবরে এমসিসির ক্রিকেট ম্যানুয়ালে অন্তর্ভুক্ত করা হবে নিয়মটি।

  • Israel Iran War: গোপনে ইরানের মাটিতেই ড্রোন ঘাঁটি ইজরায়েলের! ‘রাইজিং লায়ন’ বহু বছরের পরিকল্পনার ফসল?

    Israel Iran War: গোপনে ইরানের মাটিতেই ড্রোন ঘাঁটি ইজরায়েলের! ‘রাইজিং লায়ন’ বহু বছরের পরিকল্পনার ফসল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ছায়া ইরান-ইজরায়েল (Israel Iran War) যুদ্ধেও। অপারেশন ‘স্পাইডার ওয়েবে’র কায়দায় অপারেশন ‘রাইজিং লায়ন’ (Operation Rising Lion)। সূত্রের খবর, ইরানের মাটিতেই গোপনে ড্রোন ঘাঁটি বানায় ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ। দিনের পর দিন গাড়িতে করে ড্রোন পাচার করা হয় ইরান সীমান্তের ভিতর। ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে এই অপারেশনের প্রস্তুতি সেরে রাখে মোসাদ। শুক্রবার একযোগে ইরানের ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও পরমাণু ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল।

    বহু বছর ধরেই অভিযানের প্রস্তুতি

    বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইজরায়েল (Israel Iran War) বহু বছর ধরেই এই অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এমনকি, গোপনে ইরানের রাজধানী তেহরানের নিকটে একটি ড্রোন ঘাঁটিও স্থাপন করে ফেলে তেল আভিভ। জানা গিয়েছে, সেই ঘাঁটি থেকেই অস্ত্রে সজ্জিত ড্রোন ব্যবহার করে মূল হামলা শুরু হয়। ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থার কর্মীরা বছরের পর বছর ধরে এই হামলার পরিকল্পনা করেছে, বলে খবর। যার কথা ঘুণাক্ষরে জানতেও পারেনি তেহরান। শুক্রবারের এই একটা অপারেশনের জন্য বছরের পর বছর ধরে ইরানের সীমান্ত পেরিয়ে গাড়িতে চাপিয়ে ড্রোন পাচার করা হয়েছে তেহরানে। একসঙ্গে অনেকগুলো নয়, অল্প অল্প করে। যাতে এক আধটা ট্রাক ধরা পড়ে গেলেও অপারেশনের পরিকল্পনা ভেস্তে না যায়।

    কীভাবে চলে ইজরায়েলি হামলা

    ইজরায়েলি (Israel Iran War) সেনার বক্তব্য, ইরানের মাটিতে ড্রোন জমিয়ে কার্যত স্তূপ তৈরি করে ফেলা হয়েছিল। শুক্রবার হামলার সময় রিমোটের সাহায্যে ড্রোনগুলি ইজরায়েলে বসেই সক্রিয় করা হয়। একটার পর একটা ড্রোন গিয়ে তেহরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল লঞ্চারে হামলা চালায়। যার ফলে ইরানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কার্যত অকেজো হয়ে পড়ে। আর তখনই চূড়ান্ত সক্রিয় হয়ে ওঠে ইজরায়েলি বায়ুসেনা। একেএকে প্রায় ২০০টি যুদ্ধবিমান উড়ে যায় মিসাইল নিয়ে। মিসাইলগুলি নিখুঁত লক্ষ্যে আঘাত করে পশ্চিমী ইরানের সামরিক অস্ত্রঘাঁটিতে।

    হামলায় বিপুল ক্ষতি ইরানের

    হামলায় ইরানের (Israel Iran War) কয়েক ডজন রেডার, সারফেস টু এয়ার মিসাইল নষ্ট হয়ে যায় বলে দাবি ইজরায়েলি সেনার। এমনকী, ইজরায়েলি সেনা ভিডিও প্রকাশ করে প্রমাণ দিয়েছে কীভাবে ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল পর্যন্ত আইডিএফ ধ্বংস করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। তবে ইজরায়েলের মূল টার্গেট ছিল ইরানের পারমাণবিক গবেষণাগার। ইরানের বৃহত্তম ইউরেনিয়াম এনরিচমেন্ট সাইট নাতাঞ্জের কাছে আছড়ে পড়ে ইজরায়েলের বিমানহানা। ইজরায়েলের অভিযোগ, এখানেই বছরের পর বছর ধরে সামরিক কাজে পরমাণু শক্তি ব্যবহারের জন্য পরীক্ষা চালাচ্ছিল তেহরান। হামলায় যে তাদের পরমাণু গবেষণাকেন্দ্রের ক্ষতি হয়েছে সে কথা স্বীকার করেছে ইরান। তবে ইরানের দাবি, তিনটি নয়, একটি গবেষণাকেন্দ্রেই হামলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তির নিয়ামক সংস্থাও সেই দাবিকে মান্যতা দিয়েছে। এখানে মাটির নিচে অনেকটা গভীরে পারমাণবিক গবেষণা চালাত ইরান। আন্ডারগ্রাউন্ড সেই এলাকার সেন্ট্রিফিউজ, ইলেক্ট্রিক্যাল রুম-সহ যাবতীয় পরিমকাঠামোই নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে দাবি ইজরায়েলের। ইজরায়েলের সেনার তরফে এই হামলার থ্রিডি ভিডিও অ্যানিমেশন প্রকাশ করা হয়েছে।

    মোদি-নেতানিয়াহু ফোনালাপ

    পরবর্তীতে ইজরায়েলের (Israel Iran War) উপর পাল্টা হামলা চালায় ইরানও। ৮০০ এর বেশি ড্রোন নিয়ে হামলা চালায় ইরান। ক্রজ মিসাইল নিয়েও হামলা চালানো হয়েছে বলে খবর। যদিও ইরানের হামলা ব্যর্থ বলে দাবি করছে ইজরায়েল। তবে সেসবে পাত্তা না দিয়ে গর্জে উঠেছেন ইরানের সুপ্রিম লিডার আলি খামেনেই। তাঁর সাফ কথা, কঠোর সাজা পেতে প্রস্তুত থাকুক ইজরায়েল। দুই দেশের সংঘাত নিয়েই এখন মাথা ব্যথা বাড়ছে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায়। ইরানের উপর হামলার পরই ভারতের ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ফোন করেছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। তাঁদের মধ্যে আলোচনার প্রসঙ্গে মোদি জানান, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতাবস্থার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। মোদি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ”আমি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি জানিয়েছি এবং দ্রুত শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফেরানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছি।”

    উদ্বিগ্ন ভারত

    শুক্রবার ভোর রাতে ইরানের (Israel Iran War) পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালায় ইজরায়েল। সেই এয়ারস্ট্রাইকে ইরানের সেনাপ্রধান থেকে শুরু করে রেভোলিউশনারি গার্ডের প্রধান-সহ নিহত হয়েছেন অন্তত ৪ শীর্ষ সামরিক কর্তা। মৃত্যু হয়েছে শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন পরমাণু বিজ্ঞানীর। উল্লেখ্য, ইজরায়েলের হামলার পরই নোটাম জারি করে ইরান। বন্ধ করে দেওয়া হয় সেই দেশের আকাশপথ। এই আবহে শুক্রবার ৯টি দেশে বিমান পরিষেবা স্থগিত এবং বাতিল করে দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। এদিকে পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে আগেই বিবৃতি জারি করে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিল, ইরান-ইজরায়েল সম্পর্কের অবনতিতে তাঁরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গোটা পরিস্থিতির দিকে তাঁদের নজর রয়েছে। একইসঙ্গে ভারত দুই দেশকে ‘উসকানিমূলক কোনও পদক্ষেপ’ না করার আহ্বানও জানায়।

  • Air India Plane Crash: আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে উচ্চ পর্যায়র কমিটি গঠন করল কেন্দ্র

    Air India Plane Crash: আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে উচ্চ পর্যায়র কমিটি গঠন করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেদাবাদ (Ahmedabad) বিমান দুর্ঘটনার (Air India Plane Crash) তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠনের ঘোষণা করল ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। ১২ জুন আমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করা এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট এআই-১৭১ ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি)।

    বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন

    অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রামমোহন নায়ডু জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (আইসিএও) নির্ধারিত আন্তর্জাতিক বিধি অনুসারে আমেদাবাদে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার তদন্ত হবে। বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা বিমান চলাচলে নিরাপত্তা জোরদার করা এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা থামানো নিয়েও কাজ করবে। শনিবার অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বিশেষজ্ঞ কমিটি দুর্ঘটনার কারণ বিশ্লেষণ করবে এবং বর্তমানে থাকা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিউর (এসওপি) এবং নিরাপত্তা নির্দেশিকা পর্যালোচনা করবে। কমিটির প্রধান লক্ষ্য হবে ভবিষ্যতে এই ধরনের বিমান দুর্ঘটনা রোধে একটি শক্তিশালী কাঠামো তৈরি করা এবং সেই অনুযায়ী কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা। মন্ত্রক আরও স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, এই কমিটি অন্যান্য সংস্থার পরিচালিত আনুষ্ঠানিক তদন্তের বিকল্প নয় বরং এটি সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করবে এবং মূলত প্রতিরোধমূলক ও ব্যবস্থাপনাগত দিকগুলোতে আলোকপাত করবে।

    সক্রিয় সরকার

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আমেদাবাদ (Ahmedabad) সিভিল হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। ইতিমধ্যে ৭০-৮০ জন চিকিৎসকের একটি দল মৃতদেহের পরিচয় শনাক্তকরণ এবং ময়নাতদন্তে নিয়োজিত রয়েছেন। এখন পর্যন্ত পাঁচজনের পরিচয় জানা গিয়েছে। এই দুর্ঘটনার কারণ নির্ধারণে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে। ফরেনসিক টিম ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা করছে এবং অসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চালাচ্ছে। মিলেছে অভিশপ্ত বিমানের ব্ল্যাক (Air India Plane Crash) বক্সের খোঁজ। জানা গিয়েছে, মেঘানিনগরের যে মেডিক্যাল হস্টেলের উপর এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং বিমানটি ভেঙে পড়েছিল সেই বিল্ডিংয়ের ছাদেই ব্ল্যাক বক্সের খোঁজ মিলেছে। যেটি উদ্ধার করেছে এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো বা এএআইবি টিম। মনে করা হচ্ছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের শেষপ্রান্তে থাকা কমলা রঙের এই ডিভাইসটি দুর্ঘটনার তদন্তে বেশ খানিকটা সহায়তা করতে পারে।

LinkedIn
Share