Author: ishika-banerjee

  • Canada: হিন্দু ভাবাবেগে ভাসল কানাডা, ৫১ ফুট উঁচু ভগবান রামের মূর্তির উন্মোচন মিসিসাগায়

    Canada: হিন্দু ভাবাবেগে ভাসল কানাডা, ৫১ ফুট উঁচু ভগবান রামের মূর্তির উন্মোচন মিসিসাগায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় উন্মোচিত হল উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে উঁচু ভগবান রামের মূর্তি। মিসিসাগার হিন্দু হেরিটেজ সেন্টারে আয়োজিত এক বিশাল ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হাজার হাজার ভক্তদের উপস্থিতিতে ভগবান রামের মূর্তি উন্মোচিত হয়। অনুষ্ঠানে ছিলেন কানাডার ফেডারেল মন্ত্রিসভার সদস্যরাও। এই মূর্তির উচ্চতা ৫১ ফুট, যার সঙ্গে ৭ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট পাদপীঠ যুক্ত রয়েছে। ভবিষ্যতে এই মূর্তির মাথায় একটি ছাতা সংযোজনের পরিকল্পনা রয়েছে। যার ফলে সমগ্র মূর্তির উচ্চতা আরও বেড়ে যেতে পারে। এই মূর্তি উন্মোচন কানাডায় বসবাসকারী হিন্দুদের মধ্যে গভীর ভাবাবেগের সৃষ্টি করেছে।

    ভারতে তৈরি হয় এই মূর্তি

    চার বছর আগে শুরু হওয়া এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে প্রখ্যাত ইন্দো-কানাডিয়ান ব্যবসায়ী লাজ প্রশারের অনুদানে। এই মূর্তি তৈরি হয় দিল্লিতে। ফাইবারগ্লাস নির্মিত এই মূর্তিতে ব্যবহৃত হয়েছে একটি স্টিল স্ট্রাকচার। এই মূর্তি শতাব্দীর পর শতাব্দী অক্ষত থাকবে বলেই আশা নির্মাতাদের। ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার গতির বাতাস সহ্য করতে সক্ষম এই সুউচ্চ মূর্তি। হিন্দু হেরিটেজ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান পুরোহিত আচার্য সুরিন্দর শর্মা শাস্ত্রী বলেন, “এই মূর্তির স্থাপন আমাদের আত্মিক চেতনার প্রতীক। এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, ধর্মের পথেই আমাদের জীবন পরিচালিত হওয়া উচিত।” তিনি আরও জানান, মূর্তিটি ভারতে তৈরি হলেও কানাডার স্থানীয় কারিগরদের দ্বারা তা স্থাপন করা হয়েছে।

    গর্বের স্থাপনা

    অনুষ্ঠানের প্রধান আয়োজক কুশাগ্র শর্মা বলেন, “ভগবান শ্রী রামের ৫১ ফুট মূর্তির উন্মোচনে ১০,০০০-এর বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠান আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের পাশাপাশি কানাডিয়ান বহুসংস্কৃতির এক উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে রইল।” তিনি আরও জানান, টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণরত বিমানের যাত্রীদের জন্য এই বিশাল রাম মূর্তিটি হবে কানাডায় পৌঁছে দেখা প্রথম দর্শনীয় স্থাপত্য। এই মূর্তি উন্মোচনে ছিলেন মন্ত্রী রিচি ভালডেজ, ট্রেজারি বোর্ডের সভাপতি শফকত আলী এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী মনিন্দর সিদ্ধু। উপস্থিত জনতাকে “জয় শ্রী রাম” বলে অভিবাদন জানান সিদ্ধু।

  • WTC Points Table: ওভালে ঐতিহাসিক জয়, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট টেবিলে ইংল্যান্ডকে টপকে গেল ভারত

    WTC Points Table: ওভালে ঐতিহাসিক জয়, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট টেবিলে ইংল্যান্ডকে টপকে গেল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহম্মদ সিরাজের সাহসী বোলিংয়ে ওভাল টেস্ট জিতেছে ভারত। হারের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে শুভমন ব্রিগেড। গুরু গম্ভীরের পরামর্শে এখন হারার আগে হার মানতে জানে না টিম ইন্ডিয়া। ওভালে জিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (WTC Points Table) তালিকায় এক ধাপ উঠে এসেছে ভারত। সরিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ডকে। শুভমন গিলের দল এখন রয়েছে তিন নম্বরে। ওভালে জিতে ১২ পয়েন্ট পেয়েছে ভারত। এই টেস্টের আগে তিনে ছিল ইংল্যান্ড। তারা নেমে গিয়েছে চারে।

    বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়

    ভারত এবং ইংল্যান্ড, দুটো দলের কাছেই এটা পরবর্তী বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (World Test Championship) প্রথম সিরিজ ছিল। দুই দলই দুটো করে ম্যাচ জিতেছে। একটি ড্র হয়েছে। তবে লর্ডসে মন্থর ওভার রেটের কারণে আইসিসি ইংল্যান্ডের দু’পয়েন্ট কেটে নিয়েছে। তাই ভারতের নীচে চলে গিয়েছে তারা। পাঁচ টেস্টে ভারতের ২৮ পয়েন্ট। শতাংশের বিচারে পয়েন্ট ৪৬.৬৭। ইংল্যান্ডের ২৬ পয়েন্ট এবং পয়েন্ট শতাংশ ৪৩.৩৩। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিনটে টেস্টেই হারানোর কারণে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। তাদের ৩৬ পয়েন্ট। পয়েন্ট শতাংশ ১০০। দ্বিতীয় শ্রীলঙ্কা। তাদের পয়েন্ট শতাংশ ৬৬.৬৭। পঞ্চম এবং ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ (পয়েন্ট শতাংশ ১৬.৬৭) এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ (০)। নিউ জিল্যান্ড, পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকা নতুন চক্রে এখনও কোনও টেস্ট খেলেনি।

    টিম ইন্ডিয়ার নজর হোম সিরিজের দিকে

    ওভাল টেস্ট জিতে মাঠ ছাড়বে ভারত, অতিবড় ভক্তও বোধ হয় সেটা ভাবতে পারেননি। তবে সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন শুভমান গিলরা। অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফি ড্র করে করে দেশে ফিরছে টিম ইন্ডিয়া। শুভমনের নতুন ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ গাভাসকর থেকে তেন্ডুলকর। তরুণ তুর্কিদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রোহিত-বিরাটরাও। সেই সঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলেও উপরে উঠে এসেছে শুভমনরা। ভারতের পরবর্তী টেস্ট সিরিজ ঘরের মাঠে। ঠিক দু’ মাস পরে, ২ অক্টোবর থেকে ভারত এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে দুই টেস্টের সিরিজ শুরু হবে। এর পরে টিম ইন্ডিয়া দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে। এই সিরিজটিও ভারত ঘরের মাঠে খেলবে। এই দু’টি সিরিজ জিতে পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে ওঠার সুযোগ রয়েছে শুভমনদের। এদিকে ইংল্যান্ড এবার অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে, ২১ নভেম্বর থেকে দুই দলের মধ্যে ৫ টেস্টের অ্যাশেজ সিরিজ শুরু হবে।

  • Jammu-Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের ৬ বছর পার, উপত্যকায় উন্নয়নের ছাপ স্পষ্ট, কতটা বদলেছে ভূস্বর্গ?

    Jammu-Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের ৬ বছর পার, উপত্যকায় উন্নয়নের ছাপ স্পষ্ট, কতটা বদলেছে ভূস্বর্গ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের উন্নতির পথে প্রধান বাধা ছিল ৩৭০ ধারা। কেন্দ্রের মোদি সরকার সেই বাধা অতিক্রম করেছে। দেশের অন্য অংশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এখন কাশ্মীরেও সমানভাবে উন্নতি হচ্ছে। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের ছয় বছর পর এমনই ভাবছে উপত্যকাবাসী। ৫ অগাস্ট— ২০১৯ সাল, ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এই সঙ্গে রাজ্যটিকে বিভক্ত করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল—জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ—তৈরি করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে থাকা এই পদক্ষেপকে “জাতীয় সংহতির পথে একটি সাহসী পদক্ষেপ” বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। উপত্যকাকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ করে তোলার পথে এই সিদ্ধান্ত সঠিক। এই পদক্ষেপ জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতের অখণ্ড অংশ করে তুলতে সাহায্য করেছে।

    ৩৭০ ধারা বিলোপের পর পরিবর্তনের ছবি

    ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপের পর ব্যাপক পরিকাঠামো গত উন্নয়নের হাত ধরে বদলে গিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের চেহারা। নিত্যদিনের কার্ফিউ বা জঙ্গিদের সন্ত্রাস এখন নেই বললেই চলে। সেখানকার স্থানীয় মানুষই প্রতিহত করছেন প্রতিবেশী পাকিস্তানের যাবতীয় নাশকতার ছক। নিজেদের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই তাঁরা এখন রাজ্যে চাইছেন শান্তি। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর কাশ্মীরে হিংসাত্মক ঘটনা কমে এসেছে। আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে।

    সফল নির্বাচন ও ভোটারদের রেকর্ড উপস্থিতি

    ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর জম্মু-কাশ্মীর প্রথমবারের মতো একাধিক সফল নির্বাচন দেখেছে। কয়েক দশক পর প্রথমবার, সাধারণ মানুষ বিপুল উৎসাহে ভোটদান করেছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে গত ৩৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় উপত্যকায়। একইভাবে, বিধানসভা নির্বাচনে ভোটাদাতাদের উপস্থিতি ছিল ৬৩.৮৮ শতাংশ, যা এক ঐতিহাসিক রেকর্ড। নির্বাচনের সময় কোনও বড় ধরনের বিক্ষোভ বা বয়কটের ডাক দেখা যায়নি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ছিল নিয়ন্ত্রণে।

    পর্যটনে ব্যাপক উত্থান

    ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটন খাতে অভূতপূর্ব উন্নতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। ২০২৩ সালে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটিতে ২.১১ কোটির বেশি পর্যটক ঘুরতে গিয়েছেন। এতে স্থানীয় অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে। যদিও পাহেলগাঁওয়ে পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু কিছুটা ধাক্কা দেয় পর্যটনে, তবুও পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে ওঠে এবং আবারও পর্যটকের ঢল নামে।

    পাথর ছোড়ার ঘটনা একেবারে বন্ধ

    অতীতে জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে পাথর ছোড়ার ঘটনা নিয়মিত ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে এই ধরনের একটিও ঘটনা ঘটেনি। ২০১০ সালে যেখানে পাথর ছোঁড়ার সংখ্যা ছিল ২,৬৫৪টি, সেখানে আজ তা পুরোপুরি শূন্য বললেই চলে। পাশাপাশি, উপত্যকায় হরতালের ডাকও কার্যত নেই।

    পরিকাঠামো উন্নয়ন ও বিনিয়োগ

    বড় ধরনের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটেছে জম্মু-কাশ্মীরে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো ৪২ হাজার ৫০০ কোটির উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল প্রকল্প, যার অংশ হিসেবে চেনাব নদীর উপর তৈরি হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেল সেতু। এই রেল প্রকল্প কেবল জম্মু ও কাশ্মীরকে সংযুক্ত করে না, এর মাধ্যমে প্রতিরক্ষা ও ব্যবসায়িক সংযোগেও গতি এসেছে।

    চেনাব সেতু: কাশ্মীরের পরিকাঠামো উন্নয়নের সবচেয়ে বড় উদাহরনই হল চেনাব সেতু। চেনাব নদীর ওপর গড়ে উঠেছে বিশ্বের সর্বোচ্চ এই আর্চ রেলসেতু। ইতিমধ্যেই চেনাব সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সেতু কাশ্মীরের আর্থসামাজিক অবস্থাকেই বদলে দিচ্ছে। চন্দ্রভাগা নদীর ৩৫৯ মিটার উঁচুতে তৈরি চেনাব আর্চ রেলসেতুর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩১৫ মিটার। চেনাব সেতু এখন কাশ্মীরিদের গর্ব। ভূমিকম্পেও অটল থাকবে এই সেতু।

    যোগাযোগ ব্যবস্থায় বদল: রেল ছাড়াও নির্মিত হয়েছে বিরাট বিরাট সড়ক। হাটবাজার, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ প্রভৃতি গড়ে উঠছে অতি দ্রুত। ভারত স্বাধীনতার বহু যুগ কেটে গেলেও কাশ্মীরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ২০১৯ সালের আগে খুবই খারাপ ছিল। কিন্তু গত ৬ বছরে আমূল বদলে গিয়েছে উপত্যকার সড়ক ব্যবস্থা। ভারত নেট প্রকল্পে মার্চেই ৭ হাজার ৭৮৯ ফাইবার-টু-দ্য-হোম সংযোগ পৌঁছে দেওয়া বয়েছে। ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বিমানবন্দরেরও। ২০১৯ সালে যেখানে ৩৫টি বিমান প্রতিদিন যাতায়াত করতো এখন সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ১২৫।

    লগ্নি বেড়েছে উপত্যকায়: কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন নারীরা এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষজন। কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তায় নতুন নতুন শিল্প-কারখানা গড়়ে উঠছে উপত্যকায়। বর্তমানে ৮৩৭টি নতুন শিল্প উদ্যোগ চালু আছে। এরমধ্যে ৩০২টি প্রতিষ্ঠানই নারীদের দ্বারা পরিচালিত। শ্রীনগর শহর এখন স্মার্ট সিটি প্রকল্পের আওতায় আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষ এ ফলে উপকৃত হচ্ছেন। গত পাঁচ বছরে জম্মু ও কাশ্মীরে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার কোটি টাকার লগ্নি এসেছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও, এই ধারা রদের পর থেকে পরিসংখ্যান বলছে জম্মু-কাশ্মীরে ভোটার অংশগ্রহণ, পর্যটন, শান্তি ও উন্নয়নের দিক থেকে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।

  • IBPS: শূন্যপদ ১০ হাজারের বেশি! দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ক্লার্ক পদে চলছে নিয়োগ, জেনে নিন আবেদনের পদ্ধতি

    IBPS: শূন্যপদ ১০ হাজারের বেশি! দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ক্লার্ক পদে চলছে নিয়োগ, জেনে নিন আবেদনের পদ্ধতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে কাজের সুযোগ। ১০ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ করবে ইনস্টিটিউট অফ ব্যাঙ্কিং পার্সোনেল সিলেকশন (IBPS)। এই মর্মে সম্প্রতি তাদের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এর জন্য আগ্রহীদের থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ১ অগাস্ট থেকেই। আগামী ২১ অগাস্ট আবেদনের শেষ দিন। আইবিপিএস-এর তরফে ক্লার্ক পদে কর্মী নিয়োগ করা হবে। শূন্যপদের সংখ্যা ১০,২৭৭। চলতি বছরের নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে দেশের ১১টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের জন্য কর্মী বাছাই করা হবে।

    দুটো ধাপে নিয়োগ পরীক্ষা

    নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হবে দু’টি ধাপে— ১) প্রিলিমিনারি এবং ২) মেনস। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হবে অক্টোবরে। নভেম্বরে মেনস পরীক্ষা। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণেরাই মেনস-এ অংশ নিতে পারবেন। এ ছাড়া, পরীক্ষার্থীদের নথি যাচাই, স্থানীয় ভাষায় পারদর্শিতা যাচাই এবং মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হবে।

    কী কী যোগ্যতা লাগবে?

    সংশ্লিষ্ট পদে আবেদন করতে প্রার্থীদের যে কোনও স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক হতে হবে। বয়স হতে হবে ২০-২৮ বছরের মধ্যে। সংরক্ষিতদের ক্ষেত্রে ছাড় থাকবে। এ ছাড়া, স্বচ্ছন্দ হতে হবে স্থানীয় ভাষায়। সংরক্ষিত এবং অসংরক্ষিতদের জন্য আবেদনমূল্য ধার্য করা হয়েছে যথাক্রমে ১৭৫ এবং ৮৫০ টাকা।

    কী ভাবে আবেদন করবেন?

    ১) প্রথমে আইবিপিএস-এর ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে ‘সিআরপি ক্লার্ক ১৫’-তে ক্লিক করতে হবে।

    ২) এর পর রেজিস্ট্রেশন করে লগ ইন করতে হবে এবং নিজেদের বিষয়ে সমস্ত তথ্য পূরণ করতে হবে।

    ৩) তথ্য পূরণের পর সমস্ত নথি সেখানে আপলোড করতে হবে।

    ৪) এর পর আবেদনমূল্য-সহ আবেদনপত্রটি জমা দিতে হবে।

    ৫) স্ক্রিনে ‘কনফারমেশন পেজ’ দেখা গেলে সেটি ডাউনলোড করে ভবিষ্যতের জন্য প্রিন্ট নিয়ে রাখতে হবে।

    শূন্যপদ কোথায় কত

    রাজ্যভিত্তিক

    উত্তরপ্রদেশ – ১,৩১৫টি

    মহারাষ্ট্র – ১,১১৭টি

    কর্নাটক – ১,১৭০টি

    তামিলনাড়ু – ৮৯৪টি

    ব্যাঙ্কভিত্তিক

    কানারা ব্যাঙ্ক – ৩,০০০টি

    সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া – ২,০০০টি

    ব্যাঙ্ক অফ বরোদা – ১,৬৮৪টি

    পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক – ১,১৫০টি

    (ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক ও ইউকো ব্যাঙ্ক এখনও শূন্যপদ জানায়নি)

    পরীক্ষার কাঠামো

    প্রাথমিক পরীক্ষা (Prelims):

    ইংরেজি ভাষা: ৩০ প্রশ্ন – ৩০ নম্বর – ২০ মিনিট

    সংখ্যাত্মক দক্ষতা: ৩৫ প্রশ্ন – ৩৫ নম্বর – ২০ মিনিট

    যুক্তি বিশ্লেষণ (Reasoning): ৩৫ প্রশ্ন – ৩৫ নম্বর – ২০ মিনিট

    মোট সময় – ৬০ মিনিট | মোট নম্বর – ১০০

    মুখ্য পরীক্ষা (Mains):

    সাধারণ জ্ঞান: ৪০ প্রশ্ন – ৫০ নম্বর – ২০ মিনিট

    ইংরেজি ভাষা: ৪০ প্রশ্ন – ৪০ নম্বর – ৩৫ মিনিট

    রিজিনিং: ৪০ প্রশ্ন – ৬০ নম্বর – ৩৫ মিনিট

    অঙ্ক: ৩৫ প্রশ্ন – ৫০ নম্বর – ৩০ মিনিট

    মোট সময় – ১২০ মিনিট | মোট নম্বর – ২০০

  • India vs England: ‘সিরাজ-কৃষ্ণা জুটিতে ধরাশায়ী ইংল্যান্ড! ‘কখনওই আশা ছাড়িনি’’, বললেন অধিনায়ক গিল

    India vs England: ‘সিরাজ-কৃষ্ণা জুটিতে ধরাশায়ী ইংল্যান্ড! ‘কখনওই আশা ছাড়িনি’’, বললেন অধিনায়ক গিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ টেস্ট জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ৪ উইকেট। ইংল্যান্ডের (India vs England) প্রয়োজন ছিল ৩৫ রান। সোমবার দিনের শুরুতেই পর পর দুটি ৪ মেরে ভারতীয় সমর্থকদের মনোবল দুর্বল করে দেন ওভারটন। কিন্তু নাটকের তখন অনেকটা বাকি। নায়কের নাম মহম্মদ সিরাজ। ইংল্যান্ডের মুখের গ্রাস কেড়ে নিলেন সিরাজ। ওভালের ঐতিহ্য বজায় থাকল। পরিসংখ্যান বলছে, ওভালে কখনও ২৫৩-এর বেশি স্কোর তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই। এদিনও হল না। তীরে এসে ডুবল ব্রিটিশ আর্মাডা। ৬ রানে জিতল ভারত। এই টেস্ট ম্যাচই ভারতের সবথেকে কম রানের ব্যবধানে জেতা টেস্ট ম্যাচ। মাত্র ৬ রানে জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। এর আগে ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩ রানে জিতেছিল ভারত। ১৯৭২ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৮ রানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারতীয় দল এবং ২০১৮ সালে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩১ রানে জয় পেয়েছিল ভারত।

    ‘খলনায়ক’ থেকে নায়ক সিরাজ

    রবিবার যেন হঠাৎ করেই ‘খলনায়ক’ হয়ে গিয়েছিলেন। তারও আগে লর্ডসে (India vs England) আউট হয়েও ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয় ভেঙে দিয়েছিলেন। সোমবার এক ঘণ্টায় ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডের স্বপ্নভঙ্গ করে সিরিজ শেষে সেই সিরাজই নায়ক। লর্ডস টেস্টে ভারত হেরে গিয়েছিল ২২ রানে। সিরাজ আউট হওয়ায় শেষ হয়ে গিয়েছিল রবীন্দ্র জাদেজা এবং জসপ্রীত বুমরার নাছোড় লড়াই। সিরাজ নিজেও ৩০ বলের ইনিংসে ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন ইংল্যান্ডের জয়। পারেননি। পারেননি সেই হারের পর দু’রাত ঘুমোতে। সেই লন্ডনের মাটিতেই পারলেন। পারলেন ওভালে। ইংল্যান্ডের প্রতিরোধ ভাঙলেন বল হাতে। শেষ দিন ৩ উইকেট নিয়ে রুদ্ধশ্বাস জয় এনেদিলেন ভারতকে। চাপে থাকা দলকে জেতানোর লক্ষ্য নিয়েই সোমবার মাঠে নেমেছিলেন সিরাজ। খেলার শেষ হওয়ার পর দীনেশ কার্তিককে বলেছেন, ‘‘খুব সাধারণ পরিকল্পনা ছিল। আলাদা কিছু ভাবিনি। লক্ষ্য ছিল শুধু সঠিক জায়গায় বল রাখার। তাতে আউট হলে হবে। ছয় হলে হবে। ঠিক জায়গায় বল রেখেই সাফল্য এসেছে।’’

    ‘আশা ছাড়িনি, তাই সাফল্য’ 

    গোটা সিরিজে ভারতীয় দল (India vs England) লড়াই চালিয়ে গিয়েছে। অপেক্ষাকৃত নতুন একটা দল নিয়ে এবার ইংল্যান্ডে এসেছিলেন শুভমান গিল। অধিনায়ক হিসেবেও তিনি নতুন। সেই দল কিন্তু ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে রীতিমতো বেগ দিয়েছে। ম্যাচ শেষে গর্বিত অধিনায়ক তথা সিরিজের সেরা প্লেয়ার শুভমানের কথাতেই পরিষ্কার নব ভারতের মনোভাব। সিরাজ বললেন, ‘‘আমরা কখনওই আশা ছাড়িনি। তাই সাফল্য এসেছে।’’ বুমরাহ না থাকলে সিরাজই ভারতের রক্ষাকর্তা। ওভালে আরও একবার তা প্রমাণিত হল। ওভালে সিরাজ নিলেন চার-চারটি উইকেট। বুমরাহ ছাড়া ভারতের বোলিং লাইন আপ অনভিজ্ঞ। অনভিজ্ঞতায় মোড়া এই বোলিং শক্তির নেতা মহম্মদ সিরাজই। অধিনায়কও বললেন, ‘‘যে কোনও দলের জন্যই সিরাজ সম্পদ।’’

    দুরন্ত জয় ভারতের

    এই সিরিজে (India vs England) একমাত্র সিরাজ কিন্তু টানা পাঁচটি টেস্ট ম্যাচই খেলছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী এতদিন ছিলেন ক্রিস ওকস। ইংল্যান্ডের সেই বোলারও পঞ্চম টেস্টে ছিটকে যান ওভাল টেস্ট থেকে। ফলে দু’দলের মধ্যে সিরাজ একাই পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ খেলছেন। অনেকেই মনে করেন সিরাজ নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার ফলে খুব তাড়াতাড়ি ক্ষয়ে যাচ্ছেন, শেষ হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি তো মহম্মদ সিরাজ। বাইরের কথায় তিনি কর্ণপাত করেন না। তিনি তাঁর কাজ করে চলেন। তাঁর ও প্রসিধ কৃষ্ণার দৌলতেই ইংল্যান্ডের মাটিতে শেষ টেস্টে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। এই জয়ের ফলে সিরিজে ২-২ ব্যবধানে ড্র করল ভারত। পঞ্চম দিনে সিরাজ একাই ৩ উইকেট নেন। ১টি উইকেট পান প্রসিধ কৃষ্ণা। ইংল্যান্ডের জেমি স্মিথ, ওভারটন এবং গাস অ্যাটকিনসন আউট হন সিরাজের বলে। জশ টাং-র উইকেট নেন কৃষ্ণা। শেষ টেস্টে সিরাজ ৫টি এবং প্রসিধ কৃষ্ণা ৪টি উইকেট নেন। ১টি উইকেট পান আকাশ দীপ। এই সিরিজে সর্বাধিক উইকেটের মালিকও হলেন সিরাজ। তিনি মোট ২৩টি উইকেট নিয়েছেন।

  • Pahalgam Attack: পকেটে পাক ভোটার কার্ড, চকোলেট! কীভাবে পহেলগাঁওয়ে প্রবেশ করেছিল জঙ্গিরা, জানাল কেন্দ্র

    Pahalgam Attack: পকেটে পাক ভোটার কার্ড, চকোলেট! কীভাবে পহেলগাঁওয়ে প্রবেশ করেছিল জঙ্গিরা, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের দাচিগামে ‘অপারেশন মহাদেব’-এর (Operation Mahadev) সময়ে নিহত তিন জঙ্গিই পহেলগাঁও হামলায় (Pahalgam Attack) জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। অভিযানের পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ এবং সেনা যে তথ্য পেয়েছে, তা থেকে প্রমাণিত যে ওই তিন জন পাকিস্তানের নাগরিক। তাদের কাছ থেকে পাকিস্তানের ভোটার পরিচয়পত্র, করাচিতে তৈরি চকোলেট এবং একটি মেমারি কার্ড মিলেছে, যাতে তাদের আঙুলের বায়োমেট্রিক ছাপ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে আগেই জানিয়েছিলেন, ‘অপারেশন মহাদেবে’ নিকেশ হওয়া তিন জঙ্গির থেকে পাকিস্তানি ভোটার কার্ড মিলেছে। এবার গোয়েন্দা সংস্থাগুলির প্রকাশ করা রিপোর্টেও উঠে এল সেই তথ্য। শুধু তাই নয়, কবে কীভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকল তিন জঙ্গি, সেই নিয়েও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

    তিন জঙ্গির কবে -কীভাবে ভারতে প্রবেশ

    ‘অপারেশন মহাদেব’-এ (Operation Mahadev)  নিহত হয় তিন জঙ্গি। তারা হল সুলেমান শাহ ওরফে ফয়জল জাট, আবু হামজা ওরফে আফগান এবং ইয়াসির ওরফে জিবরান। সুলেমান লস্করের এক জন এ প্লাস প্লাস কমান্ডার ছিল। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সুলেমানই পহেলগাঁও হামলার মূলচক্রী। হামলার অন্যতম প্রধান বন্দুকবাজও ছিল। হামজা এবং ইয়াসির এ-গ্রেড লস্কর কমান্ডার ছিল। পহেলগাঁওয়ের হামলায় হামজা দ্বিতীয় এবং ইয়াসির তৃতীয় বন্দুকবাজ ছিল। গোয়েন্দা সূত্রে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের মে মাসে গুরেজ সেক্টর থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিল এই তিন জঙ্গি। হামলার আগের দিন বৈসরন থেকে ২ কিমি দূরত্বে একটি কুঠুরিতে আশ্রয় নেয় তারা। হামলার দিন সকালে ট্রেকিং করে বৈসরনে যায় তিনজন। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া শেল কেসিং মিলে গিয়েছে ‘অপারেশন মহাদেবে’র পর উদ্ধার হওয়া একে-১০৩ রাইফেলের সঙ্গে। জঙ্গিদের স্যাটেলাইট ফোন থেকে মিলেছে একটি মাইক্রো এসডি কার্ড-ও। জঙ্গিদের পকেটে ছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরবাদে তৈরি চকলেটের মোড়কও।

    তিন জঙ্গিই পাকিস্তানের বাসিন্দা

    এএনআইয়ের তরফে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ভুল জঙ্গিদের স্কেচ প্রকাশ করেছিল কাশ্মীর পুলিশ। তবে শেষ পর্যন্ত ২৮ জুলাই পহেলগাঁও হামলার জঙ্গিদের নিকেশ করা হয় ‘অপারেশন মহাদেবে’র (Operation Mahadev) মাধ্যমে। তাদের থেকে পাকিস্তানি ভোটার কার্ড, চকলেট এবং বায়োমেট্রিক ডেটাবোঝাই মাইক্রো এসডি চিপ মিলেছে। সুলেমান এবং আফগানের পকেট থেকে পাওয়া ল্যামিনেট করা ভোটার কার্ডে লেখা রয়েছে, তারা যথাক্রমে লাহোর এবং গুজরানওয়ালার বাসিন্দা। জঙ্গিদের স্যাটেলাইট ফোন থেকে একটি মেমরি কার্ড মিলেছে। ফোনটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ওই মেমরি কার্ডে রয়েছে এনএডিআরএ-র (ন্যাশনাল ডেটাবেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অথরিটি) তথ্য। তা থেকে তিন জঙ্গির বায়োমেট্রিক তথ্যও মিলেছে। কী রয়েছে সেখানে? জঙ্গিদের আঙুলের ছাপ, মুখের অবয়ব, পরিবারের বিষয়ে তথ্য, যা থেকে স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে যে, তিন জনেই পাকিস্তানের বাসিন্দা। দু’টি ঠিকানাও মিলেছে সেই মেমারি কার্ড থেকে। একটি ঠিকানা কাসুর জেলার চাঙ্গা মাঙ্গার, দ্বিতীয়টি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাওয়ালকোটের কোইয়ান গ্রামের। এছাড়াও এসডি চিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেও তিন জঙ্গির পাক নাগরিকত্ব প্রমাণ হয়েছে। তারা সকলেই লস্কর-এর সদস্য, তার প্রমাণও মিলেছে। এতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পিছনে পাকিস্তানেরই হাত ছিল। তিনজনের কেউই স্থানীয় কাশ্মিরি জঙ্গি নয়।

  • West Bengal Trade: ৬,৬৮৮টি সংস্থার রাজ্যছাড়া! বাণিজ্যে বেহাল বাংলা, রাজ্যে শাসনব্যবস্থার কী বার্তা দেয় এই ট্রেন্ড?

    West Bengal Trade: ৬,৬৮৮টি সংস্থার রাজ্যছাড়া! বাণিজ্যে বেহাল বাংলা, রাজ্যে শাসনব্যবস্থার কী বার্তা দেয় এই ট্রেন্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় শিল্প ও উদ্যোগের ক্ষেত্রে দেশের অগ্রগামী রাজ্য (West Bengal Trade) ছিল পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু গত এক দশকে রাজ্য থেকে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলির ধারাবাহিক প্রস্থান (Companies exit from Bengal) এখন এক গভীর সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত দশ বছরে ৬,৬৮৮টি সংস্থা তাদের রেজিস্টার্ড অফিস পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়েছে। চুপচাপ বড় বড় সংস্থা নিজেদের অফিস সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় কোনও প্রতিবাদও হয়নি তৃণমূল-শাসিত বাংলায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সংস্থাগুলি নিজেদের অফিস সরে নিয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশের মতো বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে। উদ্যোগপতিদের কথায়, ওই রাজ্যগুলিতে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ এবং নীতির স্থিতিশীলতা স্পষ্ট।

    ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো

    রাজ্যে (West Bengal Trade) পালা বদলের পর ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রহ সরকারের ক্ষমতায় আসার সময় থেকে শুরু হয় শিল্পপতির ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি। কিন্তু ২০১৫–১৬ থেকে ২০১৭–১৮ পর্যন্ত সময়টা হল সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ। এই তিন বছরে ২,৮১৪টি কোম্পানি রাজ্য ছেড়েছে। যা রাজ্য ত্যাগের মোট সংস্থার প্রায় ৪২ শতাংশ। ২০১৭–১৮ সালে সর্বাধিক ১,০২৭টি কোম্পানি রাজ্যছাড়া হয়, যা ছিল ইঙ্গিতবহ। সবচেয়ে আশঙ্কাজনক দিক হল, ১০০-রও বেশি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি, যারা স্টক এক্সচেঞ্জে লিস্টেড, তারাও পশ্চিমবঙ্গ ছাড়ে। এরা কেবলমাত্র আর্থিক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বহু মানুষের চাকরি এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার সঙ্গে জড়িত। এই সরে যাওয়া দেশের বিনিয়োগ-বাজারে পশ্চিমবঙ্গের ভাবমূর্তি নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তোলে।

    বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিই ‘প্রেফার্ড ডেস্টিনেশন’

    পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে যে সব সংস্থা (Companies exit from Bengal) চলে গিয়েছে, দেখা যায় তাদের সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিই। মহারাষ্ট্র (১,৩০৮টি), দিল্লি (১,২৯৭টি) ও উত্তরপ্রদেশে(৮৭৯টি) সরে যায় সংস্থাগুলি। মোট ৩,৪৮৪টি কোম্পানি, প্রায় ৫২ শতাংশ, এই তিন রাজ্যেই সরে গিয়েছে। ছত্তিশগড়, গুজরাট, রাজস্থান, অসমের মতো রাজ্যগুলিও তালিকায় রয়েছে। এই রাজ্যগুলিতে শিল্পনীতির মধ্যে স্পষ্টতা, স্থায়িত্ব এবং বাস্তবায়নের ইচ্ছা রয়েছে। বিপরীতে, কংগ্রেস বা তৃণমূল-শাসিত রাজ্যগুলি বিনিয়োগের পক্ষে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ, বলেই মনে করছেন উদ্যোগপতিরা।

    প্রতিশ্রুতি বনাম বাস্তবতা

    বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি আসে। কিন্তু রিপোর্ট বলছে, যেখানে পশ্চিমবঙ্গ ₹৩৯,১৩৩ কোটির বিনিয়োগে চতুর্থ স্থানে ছিল (IEM Part A), সেখানে বাস্তবায়িত বিনিয়োগে (IEM Part B) মাত্র ₹৩,৭৩৫ কোটি টাকা রাজ্যে এসেছে। এক বছরে আরও কমেছে—২০২৩ সালে যা ছিল ₹৪,৯৩০ কোটি। এই ব্যাপক ফারাক বিনিয়োগকারীদের (Companies exit from Bengal) আস্থাহীনতার স্পষ্ট প্রতিফলন। কথা আর কাজে বিরাট ব্যবধান শিল্পপতিদের দ্বিধাগ্রস্ত করছে।

    শিল্পোন্নয়ন-পরিকাঠামোয় পিছিয়ে পড়া রাজ্য

    পশ্চিমবঙ্গ এখনও ইন্ডিয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল ল্যান্ড ব্যাঙ্কের (India Industrial Land Bank) অংশ নয়, যেখানে দেশের ২,৮৮৪টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের তথ্য রয়েছে। এটা রাজ্যের প্রশাসনিক অনীহা ও স্বচ্ছতার অভাবকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। এমনকি এফডিআই (বিদেশি বিনিয়োগ) ক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গ ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম রাজ্য হয়েও ১১তম স্থানে রয়েছে, যা এক অদ্ভুত বৈপরীত্য তুলে ধরে।

    নীতির অস্পষ্টতা মূল সমস্যা

    শিল্পোন্নয়ন ব্যর্থতার অন্যতম প্রধান উদাহরণ হল সিঙ্গুর আন্দোলনের উত্তরাধিকার। টাটার ন্যানো কারখানা আটকে যাওয়ার পরে, তৃণমূল সরকার ‘হ্যান্ডস-অফ’ ভূমি নীতি গ্রহণ করে। ফলে রাজ্য (West Bengal Trade) শিল্পের জন্য জমি দিতে অস্বীকার করে এবং কোম্পানিগুলিকে হাজার হাজার জমির মালিকের সঙ্গে নিজেরা চুক্তি করতে হয়—যা বড় শিল্পপ্রকল্পের ক্ষেত্রে অসম্ভব হয়ে ওঠে। সম্প্রতি, ২০২৫ সালের এপ্রিলে, রাজ্য সরকার হঠাৎ করেই ১৯৯৩ সাল থেকে চালু থাকা আটটি শিল্প ভর্তুকি প্রকল্প বন্ধ করে দেয়। ডালমিয়া ভারত ও বিরলা কর্পোরেশনের মতো কোম্পানি এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৪৩০ কোটি টাকার বেশি দাবি আটকে গেছে।

    রাজনৈতিক ভাষণ দিয়ে উন্নয়ন হয় না

    রাজ্যজুড়ে কর্মসংস্থানের (Companies exit from Bengal) ঘাটতি বাড়ছে। দক্ষ পেশাজীবীরা রাজ্য ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গের জিএসডিপি (GSDP)-তে জাতীয় জিডিপি (GDP)-র অংশীদারিত্ব ১৯৬০–৬১ সালের ১০.৫% থেকে কমে ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে। এই পতন কেবলমাত্র পরিসংখ্যান নয়, একটি বড় আঞ্চলিক অসাম্যের চিত্র। ৬,৬৮৮টি কোম্পানির রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়া কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি দীর্ঘমেয়াদি ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। আজকের বিশ্বে শুধুমাত্র রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা দিয়ে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না। বিনিয়োগের জন্য চাই স্থিতিশীল নীতি, জমির স্বচ্ছতা, এবং প্রশাসনিক সদিচ্ছা। পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal Trade) অবস্থা থেকে বোঝা যায়, শাসনব্যবস্থা উন্নয়নবান্ধব না হলে, শিল্প আসবে না, কর্মসংস্থান হবে না, আর রাজ্য দীর্ঘমেয়াদে কেন্দ্রনির্ভর হয়ে পড়বে।

  • PIB Fact Check: ট্যারিফ-কাণ্ডের জেরে আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত! ‘ভুয়ো খবর’ বলল পিআইবি

    PIB Fact Check: ট্যারিফ-কাণ্ডের জেরে আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত! ‘ভুয়ো খবর’ বলল পিআইবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনার আবহে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভুয়ো খবরকে খণ্ডন করল ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB)। ওই খবরে বলা হয়েছিল, ভারত সরকার নাকি আমেরিকার (India-US Tariff) সঙ্গে থাকা দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলি পর্যালোচনা বা স্থগিত করার পরিকল্পনা করছে। এ প্রসঙ্গে পিআইবি-র (PIB Fact Check) ফ্যাক্ট চেক ইউনিট এক স্পষ্ট বিবৃতিতে জানায়, “বিদেশ মন্ত্রক এমন কোনও বিবৃতি দেয়নি। বিভ্রান্তিকর তথ্য থেকে সতর্ক থাকুন এবং সরকারের বিশ্বাসযোগ্য সূত্র ছাড়া কোনও খবর শেয়ার করবেন না।”

    ভুয়ো খবর থেকে সাবধান

    ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য নিয়ে গুজব (PIB Fact Check) ছড়িয়ে পড়েছিল একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে। যেখানে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য নিয়ে বিদেশ মন্ত্রক উদ্বিগ্ন বলে প্রচার করা হয়। এতে বলা হয়, ভারতের বিরুদ্ধে আমেরিকার ‘চড়া শুল্ক, নয়া অর্থনৈতিক নীতি’র প্রতিক্রিয়ায় দিল্লি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত করতে চলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৩০ জুলাই ঘোষণা করেন যে ভারতের রফতানি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, যা ১ অগাস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে। মূলত ভারতীয় বস্ত্র, রত্ন ও গয়না, ইলেকট্রনিক্স ও পোশাক খাত এই শুল্কের আওতায় পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ভারত “অন্যায্য বাণিজ্যনীতি” অনুসরণ করছে এবং রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি চুক্তি বজায় রাখার ফলেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।

    ভারতীয় ব্যবসায়ী মহলে উদ্বেগ

    এই শুল্কবৃদ্ধির ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ী (India-US Tariff) মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষত ভারতীয় দ্রব্য রফতানি ও আমেরিকায় চাকরির ওপর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে জল্পনা চলছে। কিন্তু বিদেশ মন্ত্রকের একজন মুখপাত্র ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, “ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক বিষয়ে আলোচনা চলছে। কোনও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি পর্যালোচনা বা স্থগিত করার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা একটি সুষম বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করে চলেছি।” সাউথ ব্লক সূত্রে খবর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চান, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কৃষি এবং দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার খুলে দিক নয়াদিল্লি। কিন্তু, কেন্দ্রের মোদি সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, এ দেশের কৃষক এবং দুগ্ধশিল্পের সঙ্গে জড়িতদের লোকসান করে কোনও সমঝোতা সম্ভব নয়। তাই বিকল্প পথের সন্ধানেই দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে।

  • Election Commission: সমাজবাদী সাংসদের সঙ্গে বাগদান, নির্বাচন কমিশনের কোপে পদ খোয়ালেন রিঙ্কু সিং

    Election Commission: সমাজবাদী সাংসদের সঙ্গে বাগদান, নির্বাচন কমিশনের কোপে পদ খোয়ালেন রিঙ্কু সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ভোটার সচেতনতা অভিযান থেকে ক্রিকেটার রিঙ্কু সিংকে (Rinku Singh) সরানো হলো। সমাজবাদী পার্টির সাংসদ প্রিয়া সরোজের সঙ্গে তাঁর বাগদান সম্পন্ন হয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো ব্যক্তি ভোটার সচেতনতা কার্যক্রমে যুক্ত থাকতে পারেন না। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, সমস্ত প্রচারমূলক উপকরণ—পোস্টার, ব্যানার, ভিডিও এবং ওয়েবসাইটের কনটেন্ট থেকে রিঙ্কু সিংকে—তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে ফেলতে হবে।

    কেন সরানো হল রিঙ্কুকে

    উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফ থেকে রিঙ্কু সিংকে এসভিইইপি (সিস্টেম্যাটিক ভোটার এডুকেশন অ্যান্ড ইলেক্টোরাল পার্টিসিপেশন) অভিযানের মুখপাত্র হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। তিনি রাজ্যজুড়ে সরকারি বিজ্ঞাপন, স্টেডিয়ামের হোর্ডিং, সোশ্যাল মিডিয়া প্রচার এবং ভিডিও বার্তায় অংশ নিয়েছিলেন। রাজ্যের প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তার দফতর জানিয়েছে, রিঙ্কু সিং (Rinku Singh) রাজ্যের একজন পরিচিত মুখ এবং তার অংশগ্রহণে ভোটার সচেতনতা প্রচারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছিল। তবে, কোনো ব্যক্তি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হলে বা তার পক্ষপাতিত্বের সম্ভাবনা দেখা দিলে তাকে এই ধরনের উদ্যোগ থেকে বিরত রাখা হয়। এতে ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে এবং নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।জানপুর জেলার নির্বাচন অফিসার এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (আর্থিক ও রাজস্ব) জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ পাওয়ার পর জেলা ও উপজেলা স্তরের সব এসডিএম, নির্বাচন কর্মকর্তাদের এবং এসভিইইপি টিমকে এই বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    জুনে বাগদান সম্পন্ন

    গত জুন মাসের ৮ তারিখ জীবনের এক নয়া অধ্যায়ের সূচনা করেছেন ক্রিকেট তারকা রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)। লক্ষ্ণৌ’র অভিজাত সেন্ট্রাম হোটেলে তিনি সেরেছেন বাগদান। রিঙ্কু’র হবু স্ত্রী প্রিয়া সরোজ একজন আইনজীবী। এছাড়াও অন্য একটি পরিচয় রয়েছে তাঁর। দেশের দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম সাংসদ তিনি। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির টিকিটে জিতেছেন উত্তরপ্রদেশের মছলিনগর কেন্দ্র থেকে। প্রিয়া’র বাবা তুফান সরোজ’ও সমাজবাদী পার্টির বড় মাপের নেতা। দীর্ঘদিন সাংসদ ছিলেন। বর্তমানে কেরাকাট জৌনপুরের বিধায়ক পদে রয়েছেন তিনি। তাই নির্বাচন কমিশন মনে করছে, ভোটার সচেতনতা অভিযান উদ্যোগে রাজনৈতিক প্রভাব পড়লে তা নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করতে পারে। তাই সতর্কতার অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

     

     

     

     

  • India vs England: সিরাজ-প্রসিধের আগুন বোলিংয়ের সামনে স্তব্ধ ব্রিটিশরা, ওভাল টেস্টে এবার ব্যাটারদের পালা

    India vs England: সিরাজ-প্রসিধের আগুন বোলিংয়ের সামনে স্তব্ধ ব্রিটিশরা, ওভাল টেস্টে এবার ব্যাটারদের পালা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়াল টিম ইন্ডিয়া (India vs England)। সৌজন্যে মহম্মদ সিরাজ ও প্রসিধ কৃষ্ণ। প্রথম ইনিংসে শুভমন গিলরা মাত্র ২২৪ রানে অল আউট হওয়ার পর, জবাবে ব্যাট করতে নেমে একটা সময় ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ১২৯। সেখান থেকে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৪৭ রানে। মহম্মদ সিরাজ ৮৬ রান দিয়ে ৪টি ও প্রসিধ কৃষ্ণ ৮০ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। টেস্ট সিরিজে পিছিয়ে থাকা ভারত যদি এই ম্যাচ জেতে, তাহলেই সিরিজে সমতা আসবে। সেই লক্ষ্যেই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে ভারত। উইকেটে রয়েছেন দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল এবং কেএল রাহুল।

    অবিশ্বাস্য বোলিং সিরাজ-কৃষ্ণার

    ওভালের পিচে একটানা বৃষ্টির পর দ্বিতীয় দিনের খেলা যত এগিয়েছে, ততই জমে উঠেছিল ভারত-ইংল্যান্ডের (India vs England) পঞ্চম টেস্ট। ভারতীয় দল প্রথম ইনিংসে ২২৪ রানে শেষ হওয়ার পর, অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন ইংল্যান্ড হয়ত ব্যাটে দাপট দেখিয়ে বড় লিড তুলে নেবে। কিন্তু সেটা হতে দিল না ভারতের দুই পেসার মহম্মদ সিরাজ এবং প্রসিধ কৃষ্ণ। ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করল মাত্র ২৪৭ রানে। ভারতকে টপকে মাত্র ২৩ রানে এগিয়ে থেকে। দ্বিতীয় দিনে লাঞ্চের পর অবিশ্বাস্য বোলিং করে টিম ইন্ডিয়া। লাঞ্চে যাওয়ার সময় মনে হচ্ছিল, ওভালে ভরাডুবি হতে চলেছে শুভমন গিলদের। এদিন মাত্র ২০ রান যোগ করেই ভারতের শেষ ৪টি উইকেট পড়ে যায়। করুণ নায়ার ৫৭ রানে আউট হন। ব্রিটিশ পেসার গাস অ্যাটকিনসন ৩৩ রান দিয়ে নেন ৫টি উইকেট, জোস টাঙ তিনটি উইকেট নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জ্যাক ক্রাউলি ও বেন ডাকেট। কিন্তু ইনিংসের মাঝামাঝি হঠাৎই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন ভারতের দুই পেসার। দুজনেই পেয়েছেন চারটি করে উইকেট। ইংল্যান্ডের হয়ে হ্যারি ব্রুক করেন সর্বোচ্চ ৫৩ রান, কিন্তু বৃষ্টির পরে খেলা শুরু হতেই তাঁকে ফিরিয়ে দেন সিরাজ। এই সময়েই দ্রুত কয়েকটি উইকেট পড়ে যায় এবং ভারত ম্যাচে ফিরে আসে।

    কার হাতে ম্যাচের রাশ

    এই মুহূর্তে ম্যাচের রাশ পুরোপুরি কোনও দলের হাতে নেই। ভারতীয় পেসাররা যেমন ম্যাচে ফিরে এসেছেন, তেমনি ইংল্যান্ডের পেসাররাও দ্বিতীয় ইনিংসে প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত। সিরিজ বাঁচাতে হলে ওভালে চলতি পঞ্চম টেস্টে জিততেই হবে শুভমন গিলদের। এই ম্য়াচ ড্র হলে, সিরিজ জিতবে ইংল্যান্ড। তবে দ্বিতীয় দিনের শেষে যে জায়গায় ম্য়াচ দাঁড়িয়ে, তাতে অসম্ভব বৃষ্টি ছাড়া ড্রয়ের সম্ভাবনা প্রায় নেই।

LinkedIn
Share