Author: ishika-banerjee

  • Maha Kumbh 2025: যোগী সরকারের প্রশংসা, মহাকুম্ভের ব্যবস্থাপনায় অভিভূত বিদেশি তীর্থযাত্রীরা

    Maha Kumbh 2025: যোগী সরকারের প্রশংসা, মহাকুম্ভের ব্যবস্থাপনায় অভিভূত বিদেশি তীর্থযাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে চলছে মহাকুম্ভ মেলা (Maha Kumbh 2025)। এই মহা মিলন মেলায় শামিল হয়েছেন দেশ-বিদেশের বহু পুণ্যার্থী। মহাকুম্ভ ২০২৫-এর মহিমা এবং সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা বিদেশি তীর্থযাত্রীদের অভিভূত করেছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার যেভাবে এই মেলার আয়োজন করেছে তাতে খুশি বিদেশিরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক তীর্থযাত্রীর কথায়, “এত বিশাল একটি সমাবেশ কীভাবে একত্রিত হয়েছে তা কল্পনা করা কঠিন। এত বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি অবাক করার মতো। কীভাবে সরকার সবকিছু সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করছে, তা অবিশ্বাস্য।”

    সহযোগিতার মনোভাব

    তীর্থযাত্রীদের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাবও এই মিলনমেলার একটি চমকপ্রদ দিক,বলে মনে করছেন বিদেশিরা। এখানে মানুষ একে অপরকে সক্রিয়ভাবে সাহায্য করছে। ফ্লোরিডার বাসিন্দা মারিয়া জানান, ১২ বছর আগে তিনি কুম্ভ মেলা (Maha Kumbh 2025) পরিদর্শন করেছিলেন এবং সেই অভিজ্ঞতা তাঁর জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল, যার কারণে তিনি আবারও এই আয়োজন দেখতে এসেছেন। তিনি বলেন, “এটি আমার জীবনের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে স্মরণীয় অভিজ্ঞতা। আমি গত ২৬ বছর ধরে প্রতি বছর ভারত সফর করি এবং এখানকার সংস্কৃতিকে ভালোবাসি। পুলিশ কর্তৃক জনসমাবেশ ব্যবস্থাপনা সত্যিই প্রশংসনীয়।”

    মহাকুম্ভের অভিজ্ঞতা

    মস্কো থেকে আসা জুলিয়া তার প্রথম মহাকুম্ভের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, “এটি আমাদের প্রথম মহাকুম্ভ (Maha Kumbh 2025), এবং আমরা খুবই মুগ্ধ। এখানে পরিবেশ নিরাপদ এবং আধ্যাত্মিক। প্রশাসন যে উপায়ে এই বিশাল আয়োজন পরিচালনা করেছে, তা সত্যিই অবিশ্বাস্য।” কাজাখস্তানের আলমাতির আলেনা জানান, “কুম্ভ মেলা পরিদর্শন করা ছিল আমার স্বপ্ন। ভাগবানের আশীর্বাদে আমি এখানে আছি, এবং এই অভিজ্ঞতা ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন।” পাঞ্জাবের পাঠানকোটের বাসিন্দা অঞ্জু উত্তরপ্রদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “প্রশাসন তীর্থযাত্রীদের জন্য সর্বোচ্চ সাহায্য প্রদান করছে। আমাদের উচিত গুজবে কান না দেওয়া।”

    বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের কথায়, যোগী সরকার কুম্ভমেলা নিরাপত্তা, সুশৃঙ্খলতা এবং নির্বিঘ্ন আয়োজন নিশ্চিত করতে ব্যাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রতিদিন কোটি কোটি তীর্থযাত্রী সঙ্গমে পবিত্র স্নান করতে জড়ো হচ্ছেন, প্রশাসন শক্ত হাতে সবটা সামলাচ্ছে। তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা এবং সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার আধুনিক প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার করেছে। ড্রোন ব্যবহার করে জনসমাবেশ পরিচালনা করা হচ্ছে, যা কর্তৃপক্ষকে পরিস্থিতি মনিটর করতে এবং যে কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ করতে সাহায্য করছে।

  • Bangladesh Crisis: আরও বিপাকে ইউনূস! আমেরিকার পর বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করল সুইৎজারল্যান্ডও

    Bangladesh Crisis: আরও বিপাকে ইউনূস! আমেরিকার পর বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করল সুইৎজারল্যান্ডও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণ আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশে পণ্য সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছে। দেশের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও সঙ্কট দেখা দিয়েছে। নগদ টাকার জোগানে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) হাল ফেরাতে সক্ষম হয়নি, বলেই অভিমত বিশেষজ্ঞদের। এরই মধ্যে বাংলাদেশে সমস্ত আর্থিক সহায়তা বন্ধের ঘোষণা করে দিল সুইস সরকার। বিশ্বের উচ্চবিত্ত দেশগুলির মধ্যে অন্যতম সুইৎজারল্যান্ড (Switzerland)। আমেরিকার (US) পর এবার বাংলাদেশের মাথা থেকে হাত সরিয়ে নিল তারাও।

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক আর্থিক সহযোগিতায় টাকা ঢালা কমাতে উদ্যোগ নিয়েছে সুইৎজারল্যান্ডের (Switzerland) সংসদ। আর সেই সূত্র ধরেই চলতি বছরে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাজেট থেকে ১২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সরিয়ে নিল তারা। পাশাপাশি, ২০২৬ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাজেট থেকে ছেঁটে দেওয়া হল ৩৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই ত্রাণ বন্ধের জেরেই এবার বিপাকে পড়তে চলেছে বেশ কয়েকটি দেশ, যার মধ্যে অন্যতম ‘ইউনূসের বাংলাদেশ’। সুইস ফেডারেল কাউন্সিল সূত্রে জানা গিয়েছে, সংসদের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ-সহ (Bangladesh Crisis) প্রভাব পড়বে আলবানিয়া ও জামবিয়াতেও। তাদের আরও দাবি, আপাতত ২০২৮ সাল পর্যন্ত এই সহযোগিতা চালানো হবে। কিন্তু তারপর থেকে আর কোনও রকম আর্থিক সহযোগিতা পাবে না এই দেশগুলি।

    ইউনূসের বৈঠক ব্যর্থ

    সম্প্রতি সপার্ষদ সুইৎজারল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস৷ সুইৎজারল্যান্ডে সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন স্তরে তিন দিনে ৪৭টি বৈঠক করেছিলেন ইউনূস৷ সেই বৈঠকগুলি দারুণ ফলপ্রসূ হয়েছে বলেও জানায় বাংলাদেশ সরকার৷ কয়েকদিন যেতে না যেতে বাংলাদেশের সেই আশায় জল ঢেলে দিল সুইস সরকার৷ তারা জানিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশে যে প্রকল্পগুলি সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোঅপারেশন চালাচ্ছিল, ২০২৮ সালের মধ্যে সেই সমস্ত প্রকল্প গুটিয়ে নেবে তারা৷

    ট্রাম্প সরকারের ধাক্কা

    ভারত-বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) চাপানউতোরের মধ্যেই এর আগে ঢাকার ওপর চাপ বাড়িয়েছে আমেরিকা (US)। মার্কিন নির্বাচনের প্রচারে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর আক্রমণ নিয়ে সরব হয়েছিলেন ট্রাম্প। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসেই বড় ঘোষণা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই আমেরিকার ডোনার এজেন্সি ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) বাংলাদেশে তার অর্থ সাহায্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যক্ষেত্রের উন্নতিতে কয়েকশো কোটি টাকা সাহায্য করে আমেরিকা। স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে আরও বিপাকে ইউনূস সরকার। বাংলাদেশে পরিবেশ, শিক্ষা, কৃষকদের জন্য রোজগারে বিপুল অর্থসাহায্য করে আমেরিকা। পাশাপাশি, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে রাখার জন্য টাকা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবার থেকে সেই সুবিধা আর পাবেন না মহম্মদ ইউনূসের সরকার।

    অর্থনৈতিক অচলাবস্থা পদ্মা পাড়ে

    শেখ হাসিনা বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) ছাড়ার পর থেকে কার্যত অচলাবস্থা শুরু হয়েছে পদ্মা পাড়ে। বাংলাদেশের টাকার দামও পড়ছে লাগাতার। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক টাকা তোলার যে সীমা বেঁধে দিয়েছে, তার আওতায় একদিনে ২ লক্ষের বেশি টাকা তুলতে পারবেন না নাগরিকরা। ঢাকার পাইকারি বাজারে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি করা যাবে না বলে নির্দেশ এসেছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ফলে আমদানিকৃত পণ্যেরও দামও বাড়াতে পারছেন না, আবার আগের মতো বেশি সংখ্যক মানুষও আসছেন না বাজারে। ফলে ব্যবসায় লাভ নেই বলে অভিযোগ উঠে আসছে। গত কয়েক মাসে শহরাঞ্চলগুলি যদিও বা ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে, গ্রামাঞ্চলের পরিস্থিতি বেশ থমথমে।

    কী ভাবছেন অর্থনীতিবিদরা

    বাংলাদেশের রাজকোষে (Bangladesh Crisis) সঞ্চিত অর্থ নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রা দিনে দিনে কমছে। যদিও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া নিয়ে আশাবাদী। তবে আশার আলো দেখছেন না অর্থনীতিবিদরা। তাঁদের মতে, মূদ্রাস্ফীতি কমাতে অবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারকে সরবরাহ বাড়াতে হবে, কমাতে হবে আমদানিকৃত শুল্কের উপর বসানো করের হার। বন্দরগুলিকে আবারও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আন্তর্জাতিক স্তরে বিদেশি সাহায্যের বিষয়েও ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ করতে হবে ইউনূস সরকারকে।

  • Maha Kumbh 2025: মৌনী অমাবস্যায় ২২২টি বিশেষ ট্রেন! রেকর্ড গড়ল প্রয়াগরাজ রেল ডিভিশন

    Maha Kumbh 2025: মৌনী অমাবস্যায় ২২২টি বিশেষ ট্রেন! রেকর্ড গড়ল প্রয়াগরাজ রেল ডিভিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৌনী অমাবস্যার (Mauni Amavasya) পবিত্র দিনে প্রায় ৮ কোটি তীর্থযাত্রী প্রয়াগরাজে উপস্থিত হন। হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, এই দিনে গঙ্গা, যমুনা ও পৌরাণিক সরস্বতী নদীর পবিত্র সঙ্গমে ডুব দিলে পাপমোচন হয় এবং মোক্ষ লাভ সম্ভব হয়। তার উপর এবারের কুম্ভ মেলাকে আরও বিশেষ করে তুলেছে বিরল গ্রহগত অবস্থান, যা ধর্মীয় মহলে বিরাট তাৎপর্য বহন করছে। সেই নিয়েই ৪৫ দিনের জন্য মেতে উঠেছে প্রয়াগরাজ। সঙ্গমে পুণ্যস্নান সেরে পাপমুক্ত হওয়ার আশায় দেশের নানা প্রান্ত থেকে দলে দলে ভিড় করেছেন ভক্তরা। মৌনী অমাবস্যার আগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রেনে চেপেই অধিকাংশ ভক্ত প্রয়াগরাজে আসেন। ভক্তদের বিশাল আগমন সামলাতে এদিন রেলওয়ে ৩৬০টিরও বেশি ট্রেন চালায়। মেলা উপলক্ষে এদিন ২২২টি বিশেষ ট্রেন চালানোর রেকর্ডও স্থাপন করেছে প্রয়াগরাজ। বুধবার এই বিশেষ ট্রেনগুলো প্রয়াগরাজের বিভিন্ন রেল স্টেশন থেকে সারাদিন চলেছে।

    রেল প্রশাসনের সতর্ক দৃষ্টি

    মৌনী অমাবস্যায় প্রয়াগরাজ রেলওয়ে প্রশাসন খুব ভাল কাজ করেছে বলে রেল সূত্রে খবর। এদিন প্রয়াগরাজ জংশন (এনসিআর) থেকে ১০৪টি মেলা বিশেষ ট্রেন, চেওকি থেকে ২৩টি, নৈনি থেকে ১৭টি, সোবেদারগঞ্জ থেকে ১৩টি, প্রয়াগ স্টেশন (এনআর) থেকে ২৩টি, ফতহমাউ থেকে ৫টি, রামবাগ (এনইআর) থেকে ৯টি, ঝুঁসি থেকে ২৮টি বিশেষ ট্রেন চলে। এছাড়াও ৫টি এক্সটেন্ডেড ট্রেন, ৫টি রিং রেল, ৩টি লং ডিস্টেন্স ট্রেন এবং ৬৯টি নন-টাইটেল ট্রেন পরিচালিত হয়েছে। প্রচণ্ড ভিড় যখন সকাল ৮টার দিকে সৃষ্ট হয়, খুসরো বাগ হোল্ডিং এলাকা দ্রুত সক্রিয় করা হয়। সিভিল পুলিশের সহায়তায় ভক্তদের খুসরো বাগ থেকে প্রয়াগরাজ স্টেশন পর্যন্ত সুসংগঠিতভাবে পরিচালনা করা হয়, যাতে তারা সহজে ট্রেনে চড়তে পারেন। এনসিআর জেনারেল ম্যানেজার উপেন্দ্র যোশী নিজে যাত্রীদের গতিবিধি নজরে রাখেন। যাত্রী নিরাপত্তায় যাতে কোনও ত্রিটি না থাকে তা দেখেন ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার হিমাংশু বাদোনি।

    কেন এত ভিড়

    পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, সমুদ্র মন্থনের পর যখন অমৃত কলস উঠে আসে, তখন অমৃতের ভাগ নিয়ে দেবতা ও অসুরদের মধ্যে লড়াই বাধে। ইন্দ্রের ছেলে অমৃতের কলস নিয়ে পালান, তখন অসুররা তাঁকে ধাওয়া করে। সেই সময় মোট ১২টি স্থানে অমৃত চলকে পড়ে। তার মধ্যে আটটি স্থান স্বর্গে এবং চারটি স্থান মর্ত্যে। মর্ত্যের এই চার স্থান হলো প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, নাসিক ও উজ্জ্বয়িনী। ১২ দিন ধরে এই ধাওয়া চলতে থাকে। স্বর্গের এক দিন মর্ত্যের এক বছরের সমান। সেই কারণে ১২ বছর অন্তর পূর্ণকুম্ভ হয়। আবার, বৃহস্পতি ১২ বছরে একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। বৃহস্পতির মহাজাগতিক শক্তি ১২ বছর অন্তর পৃথিবীতে এসে পড়ে বলেও ১২ বছর অন্তর আয়োজিত হয় পূর্ণকুম্ভ। আর, ১২ বার পূর্ণকুম্ভের পর আয়োজিত হয় একটি মহাকুম্ভ। এই কারণে ১৪৪ বছর পর আয়োজিত এই মহাকুম্ভ ঘিরে বিপুল উন্মাদনা।

  • DeepSeek: সব উত্তর ঠিক দিচ্ছে কি ডিপসিক? বিশ্বে ঝড় তোলা এই চিনা এআই কতটা নিরাপদ?

    DeepSeek: সব উত্তর ঠিক দিচ্ছে কি ডিপসিক? বিশ্বে ঝড় তোলা এই চিনা এআই কতটা নিরাপদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই সপ্তাহে চিনা এআই প্ল্যাটফর্ম ডিপসিক (DeepSeek) প্রযুক্তি দুনিয়াতে ঝড় তোলে এবং সোমবার ওয়াল স্ট্রিটেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলে, যার ফলে মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা এনভিডিয়া এবং গুগলের শেয়ারদরে বড় পতন দেখা যায়। যদিও অ্যাপটির প্রশংসা হচ্ছে, তবে এর নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা নিয়েও সম্প্রতি নানা প্রশ্ন উঠছে। বিশেষত, এই অ্যাপকে কেন্দ্র করে প্রাইভেসি এবং সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। ভিপিএন-এর মতো প্রাইভেসি সফটওয়্যারও এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে সক্ষম নয় বলে মনে করা হচ্ছে।

    ডিপসিক কী

    ইলেকট্রনিক গ্যাজেট থেকে অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি, সর্বত্র নিজেদের একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করার পর এবার ড্রাগনের দেশের নজরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ডিপসিক, চিনের কোম্পানি। চ্যাটজিপিটির সমান, বা তার থেকেও বেশি। কিন্তু খরচ এবং লোকবল অনেক কম। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের এই ধরনের প্রোগ্রাম তৈরি করতে মার্কিন সংস্থা এনভিডিয়ার এ-১০০ চিপ প্রয়োজন। কিন্তু পরে আমেরিকা-চিন বিবাদে এই এ-১০০ চিপ আসা বন্ধ হয়ে যায়। ডিপসিকের (DeepSeek) মালিক লিয়াং ওয়েনফেং বুদ্ধি করে প্রচুর এ-১০০ চিপ জড়ো করে রেখেছিলেন। তাই দিয়েই কামাল করে দিয়েছেন লিয়াং। অর্থাত্‍ মার্কিন প্রযুক্তিতেই, আমেরিকার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স জগতকে কুপোকাৎ করে দিয়েছে চিনের লিয়াংয়ের এই ডিপসিক! ওপেন এআই-এর চ্যাট জিপিটি, গুগলের জেমিনি থেকে ক্লাউড এআই সকলকে বিগত কয়েকদিনেই কার্যত শুইয়ে দিয়েছে এই ডিপসিক। হিসেব বলছে চ্যাট জিপিটি বা ক্লাউড এআইয়ের থেকে অন্তত ১৪% এগিয়ে কাজ করছে ডিপসিক। আর খরচ? ওই মার্কিন কোম্পানিগুলোর থেকে ৯০-৯৫% কম। তবে সমস্যাও রয়েছে প্রচুর।

    প্রাইভেসি ম্যানেজমেন্ট

    ডিপসিকের (DeepSeek) প্রথম প্রাইভেসি সমস্যা হল, ব্যবহারকারীদের গুগল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লগ ইন করতে বলা হয়। এতে ডিপসিক গুগল থেকে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, ইমেল ঠিকানা এবং প্রোফাইল ছবি সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। প্রাইভেসি পলিসিতে বলা হয়েছে, যখন আপনি কোনও তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে লগ ইন করবেন, তখন ওই সেবা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হতে পারে। পলিসি অনুযায়ী, ডিপসিকের পার্টনাররা আপনার কার্যকলাপ সম্পর্কিত তথ্য শেয়ার করতে পারে, যা অন্য ওয়েবসাইটে বা অন্য সেবায় আপনার ক্রয়কৃত পণ্য বা সেবার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। ডিপসিক আরও কিছু তথ্য সংগ্রহ করে। যেমন আইপি ঠিকানা, ডিভাইস মডেল, প্রোফাইল তথ্য, কুকি, পেমেন্ট তথ্য এবং পাঠানো টেক্সট, অডিও ইনপুট, আপলোড করা ফাইল, প্রতিক্রিয়া এবং চ্যাট ইতিহাসও রেকর্ড করা হতে পারে। যদিও প্রাইভেসি পলিসি বলছে যে চ্যাট ইতিহাস এবং কিছু কুকি নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব, তবে এর ফলে সেবার কার্যকারিতা প্রভাবিত হতে পারে।

    নির্বাচিত উত্তর

    ডিপসিকের (DeepSeek) কার্যকারিতা নিয়ে বিশেষভাবে উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে, বিশেষ করে চিনের রাজনৈতিক বিষয়গুলোতে। চিনা ইস্যু সম্পর্কিত প্রশ্ন যেমন “ভারত-চিন যুদ্ধ কে জিতেছে?”, “সি জিনপিং কে?”, বা “তিয়ানআনমেন স্কয়ারে কী ঘটেছিল?”, এসবের উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। এসব ক্ষেত্রে ডিপসিকের একমাত্র উত্তর ছিল, “দুঃখিত, এটি আমার বর্তমান সীমার বাইরে, অন্য কিছু বলুন।” আসলে ডিপসিক চিনের রাজনৈতিক বিষয়ে নির্দিষ্ট উত্তর দিতে বা ওই সব বিষয়ে আলোচনা করতে অস্বীকার করেছে। চিনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিতর্কিত বিষয় যেমন তাইওয়ান, দালাই লামা এবং হংকংয়ের প্রতিবাদ সম্পর্কে ডিপসিক সঠিক উত্তর দিচ্ছে না। ডিপসিক তাইওয়ানকে চিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছে। ডিপসিক বলেছে, “তাইওয়ানের স্বাধীনতার জন্য কোনও প্রচেষ্টা সফল হবে না।”

    সাইবার নিরাপত্তা উদ্বেগ

    ডিপসিকের (DeepSeek) একটি বড় উদ্বেগ হলো এর সাইবার নিরাপত্তা দুর্বলতা। কেলা সাইবারসিকিউরিটি সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, এটি সহজেই ‘জেলব্রেক’ করা যায়। যার মানে হল যে, কেউ চাইলে এর মাধ্যমে ক্ষতিকর আউটপুট তৈরি করতে পারে। ভিপিএন ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখার প্রচেষ্টা এখানে একেবারেই ফলপ্রসূ নয়, কারণ যদি আপনি ডিপসিকের মাধ্যমে আপনার তথ্য প্রদান করেন, তবে আপনার ব্যক্তিগত ডেটা সংগ্রহ করা হবে, যেটি ভিপিএন দ্বারা সুরক্ষিত হওয়া সম্ভব নয়। বাস্তবে, ডিপসিক একটি এমন টুল হিসেবে পরিচিত, যা এখনও অনেক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এর প্রাইভেসি পলিসির কারণে ব্যবহারকারীদের সতর্ক থাকতে হবে। চিনা সংস্থা, নিরাপত্তা ঝুঁকি এর সবচেয়ে বড়। ফোন থেকে ডেটা, চুরি করলে তার দায় কিন্তু কারোর নয়। তাই ডিপসিক ব্যবহার করলে তা উপভোগ করতে হবে সম্পূর্ণ নিজের রিস্কে।

  • Ropeway in Amarnath: রোপওয়ে চড়ে অমরনাথে! ভারতের ১৮টি তীর্থস্থান নিয়ে নয়া ভাবনা কেন্দ্রের

    Ropeway in Amarnath: রোপওয়ে চড়ে অমরনাথে! ভারতের ১৮টি তীর্থস্থান নিয়ে নয়া ভাবনা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভ্রমণপ্রিয় ভারতবাসী সারাবছরই ভিড় জমান কাশী থেকে কন্যাকুমারী। ভিড় জমে আজমের শরীফ থেকে শিরডির মন্দিরেও । ধর্মীয় পর্যটন ভারতবাসীর কাছে বরাবরই জনপ্রিয়। কেন্দ্রে মোদি সরকার ভারতবাসীর সেই চাহিদাও পূরণ করে চলেছে নিরন্তর। তীর্থস্থানে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য নানান ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার ভারতের জনপ্রিয় তীর্থস্থানগুলিতে (Ropeway in Amarnath) শীঘ্রই অত্যাধুনিক রোপওয়ে ব্যবস্থাপনা চালু হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ওইসব তীর্থস্থানে বেড়াতে আসা পর্যটক থেকে শুরু করে পুণ্যার্থী, সকলেই উপকৃত হবেন।

    অমরনাথে রোপওয়ে

    কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারতের মোট ১৮টি জনপ্রিয় তীর্থস্থানে রোপওয়ে ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে যোগাযোগের এক নয়া মাধ্যম প্রতিষ্ঠা করা হবে। যার মধ্যে অন্যতম হল অমরনাথ মন্দির। যেসমস্ত নির্মাণ সংস্থা এই কাজের বরাত নিতে আগ্রহী, তাদের কাছ থেকে সরকারের তরফে ইতিমধ্যে ‘ডিটেল্ড প্রোজেক্ট রিপোর্ট’ (ডিপিআর) চাওয়া হয়েছে। সরকারের আশা, এই উদ্যোগ সফল হলে ধর্মস্থান নির্ভর পর্যটন আরও উন্নত ও আকর্ষণীয় হবে। তথ্য বলছে, যে রোপওয়ে প্রজেক্টগুলি নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে, সেগুলির মধ্যে অমরনাথের প্রকল্পটি সবথেকে বড়। এক্ষেত্রে অমরনাথের (Ropeway in Amarnath) তীর্থস্থল থেকে সরাসরি বালতাল পর্যন্ত এলাকাকে রোপওয়ের মাধ্যমে জুড়ে দেওয়া হবে। এই দুই স্থানের মধ্যেকার দূরত্ব ১১.৬ কিলোমিটারেরও বেশি। বর্তমানে এই দূরত্ব হেঁটেই অতিক্রম করেন অধিকাংশ তীর্থযাত্রী ও পর্যটক। যাঁদের আর্থিক সঙ্গতি রয়েছেন, তাঁরা ভাড়া করেন হেলিকপ্টার। কিন্তু, রোপওয়ে চালু হলে তা হেঁটে যাতায়াতের থেকে আরামদায়ক ও দ্রুত হবে। আবার এই ব্যবস্থাপনা হেলিকপ্টার পরিষেবার মতো অতটা দামিও নয়। ফলে তীর্থযাত্রীরা ভীষণভাবে লাভবান হবেন।

    অন্য়ান্য রোপওয়ে প্রকল্প

    এছাড়াও অন্য রোপওয়ে প্রকল্প প্রস্তাবগুলির মধ্যে অন্যতম হল – কেরলের সবরীমালা মন্দির। এই রোপওয়ের দৈর্ঘ্য হবে ২.৬২ কিলোমিটার। এই পথে রোপওয়ে চালু হলে তীর্থযাত্রীদের আর পাম্বা থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টার একটি অত্যন্ত কষ্টসাধ্য পথ অতিক্রম করে মন্দিরে যেতে হবে না। দক্ষিণ ভারতের আরও একটি জনপ্রিয় তীর্থস্থানে রোপওয়ে তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেটি হল তামিলনাড়ুর পর্বতামালাই মন্দির। এই প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য হবে ৩.২১ কিলোমিটার। এখানে রোপওয়ে চালু হলে পুণ্যার্থীদের পাশাপাশি পর্যটকদের আনাগোনা আরও বাড়বে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এই স্থানটি রামায়ণে সঞ্জীবনী পর্বতের একটি ভগ্নাংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। এর গভীর আধ্যাত্মিক তাৎপর্য রয়েছে।

    ধর্মীয় পর্যটনে জোর

    ২০২৪ সালে অর্থাৎ আগের বছর চারজনের মধ্যে একজন ভারতীয় ধর্মীয় স্থানে ভ্রমণ করেছেন, এমনটাই বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট। অযোধ্যা, বারাণসী, হরিদ্বারে ভিড় করেছেন লক্ষাধিক মানুষ। এবার মহাকুম্ভেও পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছে। দুর্গমতা উপেক্ষা করে প্রতিবছরই অমরনাথ দর্শনেও যান হাজার হাজার ভক্ত। ২০২৪ সালে প্রায় ৫৪ শতাংশ ভারতীয় হরিদ্বারে ভ্রমণ করেছেন। ভক্তদের মধ্যে ৮২ শতাংশ তিরুপতিতে ভ্রমণ করেছেন। বালাজির মন্দিরে প্রায় সব সময়েই ভক্তদের ভিড় লেগে থাকে। শিরডিতে সাইবাবার দর্শনেও আসেন বহু ভক্ত। ধর্মীয় পর্যটন নিয়ে ভারতবাসীর আগ্রহ প্রাচীনকাল থেকেই। কেন্দ্রের মোদি সরকার ভারতবাসীর শিকড়ের টান অনুভব করেই ধর্মীয় পর্যটনে গুরুত্ব দিয়েছে। বাজেটে বরাদ্দও বাড়ানো হয়েছে। ফলে জোয়ার এসেছে উন্নয়নে।

    রোপওয়ে-তে গুরুত্ব

    ভারত সরকারের পক্ষ থেকে স্থির করা হয়েছে, দেশজুড়ে পর্যটনে জোয়ার আনতে শুধুমাত্র ধর্মীয় স্থানগুলিই নয়, সেইসঙ্গে জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলিতেও প্রয়োজন মাফিক রোপওয়ে নির্মাণ করা হবে। যাতে আমজনতা বেড়াতে এসে এক অনন্য অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে পারে এবং নির্ঝঞ্ঝাট সফর করতে পারে। ভারতের বিভিন্ন ধর্মীয় এবং পর্যটন গন্তব্যে পুণ্যার্থী এবং পর্যটকদের যাত্রা আরও সহজ করতে, কেন্দ্রীয় সরকার ১৮টি প্রধান রোপওয়ে প্রকল্প উন্নয়ন করতে একটি বৃহৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ধর্মীয় স্থানগুলির পাশাপাশি,আরও নানা জায়গায় রোপওয়ে চালু করার কথা ভাবা হয়েছে।

    কোন কোন জায়গায় রোপওয়ে

    জম্মু ও কাশ্মীরের সোনামার্গ থেকে থাজিওয়াস হিমবাহ পর্যন্ত ১.৬ কিলোমিটার রোপওয়ে প্রকল্প পর্যটন শিল্পকে শক্তিশালী করবে। রাজস্থানের জয়পুরে ৬.৪৫ কিলোমিটার রোপওয়ে আমের দুর্গ এবং নাহাড়গড় দুর্গের মধ্যে একটি আকাশপথ তৈরি করবে। এর ফলে রাজ্যের দুটি ঐতিহাসিক স্থানের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা সহজ হবে। মুসৌরির পাহাড়ি স্টেশনেও ৩.২১ কিলোমিটার রোপওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যা দর্শনার্থীদের প্রিয় স্থান কেম্পটি ফলসের কাছে নিয়ে যাবে। মহারাষ্ট্রের শিবনেড়ি দুর্গে ১.৪১ কিলোমিটার রোপওয়ে নির্মাণের মাধ্যমে চতুর্থ ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের জন্মস্থলে যাওয়া সহজ হবে। এছাড়া, কর্নাটকের সর্বোচ্চ শিখর মুল্লায়ান গিরিতে ২.৩৮ কিলোমিটার রোপওয়ের মাধ্যমে পর্যটনের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে। এই প্রকল্পটির আওতায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু মন্দিরগুলিতে রোপওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে, যেমন: চামুন্ডা দেবী মন্দির (হিমাচলপ্রদেশ), কুণজাপুরি মন্দির (উত্তরাখণ্ড), জ্বালা নরসিংস্বামী মন্দির (অন্ধ্রপ্রদেশ), শ্রী বয়াকোন্ডা গঙ্গাম্মা মন্দির (অন্ধ্রপ্রদেশ), সালকানপুর ওয়ালি মাতা মন্দির (মধ্যপ্রদেশ), এবং ভুবন পাহ মাহাদেব মন্দির (অসম)। এই প্রকল্পটি ‘পর্বতমালা পরিকল্পনা’ নামে পরিচিত, যা ন্যাশনাল হাইওয়েজ লজিস্টিকস ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড (এনএইচএলএমএল) দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে কেদারনাথ (উত্তরাখণ্ড), মাতা বৈষ্ণো দেবী (জম্মু ও কাশ্মীর), এবং শঙ্করাচার্য মন্দির (শ্রীনগর) এর জন্য কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।

  • Maha Kumbh 2025: ভিভিআইপি পাস বাতিল, গাড়িতে নিষেধাজ্ঞা! মহাকুম্ভে একাধিক নিয়ম বদল

    Maha Kumbh 2025: ভিভিআইপি পাস বাতিল, গাড়িতে নিষেধাজ্ঞা! মহাকুম্ভে একাধিক নিয়ম বদল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৌনী অমাবস্যার পবিত্র সময় কোটি কোটি ভক্ত স্নান করতে প্রয়াগরাজ পৌঁছেছিলেন। পুণ্যলাভের আশায় সঙ্গমে ডুব দিতে যাচ্ছিলেন ভক্তরা। কিন্তু জনসমুদ্রে হঠাতই সুনামি আছড়ে পড়ে। ভিড়ে তাল সামলাতে না পেরে ঘটে দুর্ঘটনা। মহাকুম্ভে মহা বিপর্যয় নেম আসে পুণ্যস্নান ঘিরে। পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন ৩০ জন, আহতের সংখ্যা তার প্রায় দ্বিগুণ। দ্রুত পদক্ষেপ করে প্রশাসন। তৎপরভাবে উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম চলে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ একযোগে উদ্ধারকাজ পর্যবেক্ষণ করেন। প্রত্যেক মৃতের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করে উত্তরপ্রদেশ সরকার। গোটা ঘটনার তদন্তে গঠিত হয় তিন সদস্যের কমিটি।

    তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি

    নিরাপত্তার বেষ্টনী সত্ত্বেও মহাকুম্ভে এত বড় ঘটনা ঘটল কী করে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তিন সদস্যের বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। যোগী জানিয়েছেন, গোটা ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হবে। যে বা যাঁর গাফিলতি ধরা পড়বে, কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি হর্ষকুমার নেতৃত্বে প্রাক্তন ডিজিপি ভিকে গুপ্ত এবং অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার ডিকে সিং-এর তদন্তকমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছে যোগী সরকার। পাশাপাশি আরও একটি তদন্ত কমিটিও সমান্তরাল তদন্ত চালাবে। যোগী বলেন, “ঠিক কী ঘটেছিল,এত বড় বিপর্যয় ঘটল কী করে, তার নেপথ্য কারণ জানা জরুরি।” বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে এই দুর্ঘটনার কারণ বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেই উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফে জানান হয়েছে।

    আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা

    মৌনী অমাবস্যার ভোররাতে মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় আর্থিক ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেন যোগী। তিনি জানান, মেলাপ্রাঙ্গনে পদপিষ্ট হয়ে যত জন মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে তাঁর সরকার। মৃতদের মধ্যে ২৫ জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে বলে বুধবার রাতে জানিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। বাকিদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, সেই অনুযায়ী, মৃতদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের মানুষ যেমন রয়েছেন, তেমনই কর্নাটক, অসম, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গের লোকজনও রয়েছেন।

    কোটি কোটি ভক্ত সমাগম

    উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে আয়োজিত এই মহাকুম্ভে ইতিমধ্যেই কোটি কোটি ভক্ত এসেছেন। যোগী সরকারের ধারণা, আরও কোটি কোটি ভক্তের সমাগম হবে মহাকুম্ভে। কুম্ভের ডিআইজি বৈভব কুমার নিশ্চিত করেছেন যে, ভক্তরা একটি ব্যারিকেড ভেঙে ঘুমন্ত তীর্থযাত্রীদের উপর ছুটে গেলে ৩০ জন প্রাণ হারান। অনেকেই আহত হয়েছেন, এবং তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। অথচ এই পরিস্থিতির মধ্যেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত অমৃত স্নান সারেন ৬ কোটি ৯৯ লক্ষ ভক্ত। কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপের মধ্যেই পুণ্য স্নান সারেন তাঁরা। বুধবার মৌনী অমাবস্যা ছিল। তার আগে মঙ্গলবার সন্ধে থেকেই ত্রিবেণী সঙ্গম ঘাটে জড়ো হতে শুরু করেছিলেন পুণ্যার্থীরা। কিন্তু পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে পড়ে রাত ১টা থেকে। মানুষের ভিড়ে তিলধারণের জায়গা ছিল না মেলাপ্রাঙ্গনে। পাশাপাশি, কোথা দিয়ে স্নান করতে যাওয়া হবে, স্নান করে উঠে কোথায় যাওয়া হবে, তা নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন মানুষজন। সেই সঙ্গে আগে স্নান করা নিয়ে ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। আর তাতেই বিপর্যয় নেমে আসে। আগামী কয়েকদিন ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে প্রশাসন।

    একাধিক নিয়ম বদল

    আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমীতে আরও একটি অমৃত স্নান রয়েছে মহাকুম্ভে। সেখানে কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা যাতে না ঘটে, এখন থেকেই তা সুনিশ্চিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। কুম্ভমেলা চত্বরে একাধিক বদল আনা হয়েছে। ভিভিআইপি পাস বাতিল থেকে শুরু করে গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যোগী সরকার। পুলিশের তরফে মেলা চত্বরে বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    কী কী নিয়ম বদল হল

    গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা – কুম্ভমেলা চত্বরে ছোট থেকে বড় যে কোনও গাড়ি চলাচল এবং প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    ভিভিআইপি পাস বাতিল – জরুরি পরিস্থিতি ছাড়া কোনও ব্যক্তি বা গাড়িকে ভিভিআইপি পাস দেখালেও ঢুকতে দেওয়া হবে না মেলা চত্বরে।

    ওয়ান ওয়ে রুট – ভক্তদের সুবিধার্থে ওয়ান ওয়ে ট্রাফিক সিস্টেম ব্যবস্থা শুরু করা হয়েছে।

    জেলা সীমানায় গাড়ি ঢোকা বন্ধ – পড়শি একাধিক জেলা থেকে যে সমস্ত গাড়ি প্রয়াগরাজে আসছে তাদের জেলা-সীমানাতেই আটকানো হবে। যাতে মেলা চত্বরে আর ভিড় না বাড়ে।

    শহরে চারচাকা গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ – আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রয়াগরাজে চার চাকা গাড়ি ঢোকাতেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

  • Champions Trophy 2025: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য প্রস্তুত নয় পাকিস্তান! বাধ্য হয়ে পদত্যাগ আইসিসির সিইও-র

    Champions Trophy 2025: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য প্রস্তুত নয় পাকিস্তান! বাধ্য হয়ে পদত্যাগ আইসিসির সিইও-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy 2025) শুরু হতে আর মাত্র তিন সপ্তাহ বাকি। তার আগে পদত্যাগ করলেন আইসিসির সিইও জিওফ অ্যালারডাইস। ২০২১ সাল থেকে আইসিসির সিইও পদে ছিলেন জিওফ। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগেই সরে গেলেন তিনি। মনে করা হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজনে পাকিস্তান যে এখনও তৈরি হতে পারেনি, তার দায় নিয়েই সরলেন তিনি। যদিও জিওফ নিজে থেকেই সরে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে একটি মিডিয়া বিবৃতিতে এ কথা জানান আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ। তবে জিওফ-এর পদত্যাগের কারণ জানানো হয়নি।

    চাপে ছিলেন জিওফ

    আইসিসি সূত্রে খবর, চাপে ছিলেন জিওফ। গতবছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টি-২০ বিশ্বকাপে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য পাকিস্তান যে এখনও প্রস্তুত নয়, তার দায় চাপানো হয় তাঁর ওপরই। রাওয়ালপিন্ডি এবং করাচি এখনও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য তৈরি হয়নি। এই বিষয়টি আইসিসির বোর্ডকে জানাননি অ্যালারডাইস। গতবছর টি-২০ বিশ্বকাপের পর আইসিসির ইভেন্ট হেড ক্রিস টেটলি এবং মার্কেটিংয়ের জেনারেল ম্যানেজার ক্লেয়ার ফারলং পদত্যাগ করেন। দুর্নীতিবিরোধী শাখার প্রধান অ্যালেক্স মার্শালও ইস্তফা দেন। এবার সরলেন সিইও জিওফ। তিনি বলেন, “আইসিসির সিইও পদ সামলানোর দায়িত্ব পাওয়াটা সত্যিই বড় ব্যাপার। ক্রিকেটের প্রসারের জন্য যা করেছি, তাতে আমি খুশি। আমার মনে হয় এটাই সেরা সময় আমার সরে যাওয়ার। নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে চাই।”

    প্রস্তুত নয় পাকিস্তান

    ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy 2025)। নিরাপত্তার কারণে ভারত নিজেদের সব ম্যাচ খেলবে দুবাইয়ে। কিন্তু বাকি সব ম্যাচ হবে পাকিস্তানের করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিণ্ডিতে। এই তিন জায়গার মাঠ এখনও পুরোপুরি তৈরি হয়নি। সংস্কারের কাজ চলছে, যা অনেক আগেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এখনও বোঝা যাচ্ছে না আদৌ করাচি এবং রাওয়ালপিণ্ডির মাঠ সময়ের আগে তৈরি হবে কি না। প্রথম ম্যাচ করাচিতেই। আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ যদিও অ্যালারডাইসের প্রশংসাই করেছেন। তিনি বলেন, “আইসিসির তরফে অ্যালারডাইসকে ধন্যবাদ। তাঁর পরিশ্রম ক্রিকেটকে সারা বিশ্বে পৌঁছে দিয়েছে। অ্যালারডাইসকে ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা জানাই।” ইতিমধ্যেই নতুন সিইও খোঁজার কাজ শুরু করে দিয়েছে আইসিসি। উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে আইসিসির দায়িত্ব নিয়েছেন জয় শাহ। তিনি যদিও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সমস্যায় সরাসরি ঢোকেননি। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে পাকিস্তানের চরম গাফিলতিতে যে জয় শাহর আইসিসি ক্ষুব্ধ তা এই ঘটনায় স্পষ্ট।

  • Maha Kumbh 2025: মৌনী অমাবস্যায় মহাকুম্ভে কোটি কোটি ভক্তের ভিড়, পদপিষ্টের খবর উপেক্ষা করে চলছে অমৃতস্নান

    Maha Kumbh 2025: মৌনী অমাবস্যায় মহাকুম্ভে কোটি কোটি ভক্তের ভিড়, পদপিষ্টের খবর উপেক্ষা করে চলছে অমৃতস্নান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৌনী অমাবস্যার সকালে দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লেও মহাকুম্ভে উপচে পড়ল ভিড়। এদিন সকালে অমৃতস্নান শুরুর আগেই বহু মানুষের হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের মতো ঘটনা ঘটে। কিন্তু তার পরেও ভক্তরা পবিত্র স্নানের জন্য সঙ্গমে সমবেত হতে থাকে। এই অটূট ভক্তি মৌনী অমাবস্যার পবিত্র দিনে গঙ্গা, যমুনা ও অন্তঃসলিলা সরস্বতীর ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করার আধ্যাত্মিক গুরুত্বকে উজ্জীবিত করে। মহাকুম্ভে যতগুলি অমৃত স্নানের তারিখ রয়েছে, হিন্দু শাস্ত্র মতে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মৌনী অমাবস্যা। সেই কারণে মৌনী অমাবস্যাতেই প্রয়াগরাজে সবচেয়ে বেশি মানুষ স্নান করবেন বলে আগেই অনুমান করেছিল যোগী প্রশাসন। সেই মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও ছিল। কিন্তু তারপরেই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। তবে এর পরেও মৌনী অমাবস্যার পূণ্যতিথিতে অমৃতস্নান চলছে মহাকুম্ভে। পূণ্যলাভের আশায় সঙ্গমে অমৃত স্নান করছেন কোটি কোটি পুণ্যার্থী।

    মৌনী অমাবস্যায় স্নানের গুরুত্ব

    মাঘ মাসের অমাবস্যা তিথি মৌনী অমাবস্যা হিসেবে পালিত হয়। এই দিনে সঙ্গমে স্নান করলে পাপমুক্তি ঘটে বলে প্রচলিত বিশ্বাস। এই তিথিতে সূর্য, চন্দ্র ও বৃহস্পতি এক রেখায় আসে। মহাজাগতিক শক্তির প্রভাব এসে পড়ে নদীর জলে। সেই কারণে মৌনী অমাবস্যার বিশেষ ক্ষণে ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করলে শরীর ও মনে বিশেষ শক্তি লাভ হয় বলে শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মত। এই দিনে গঙ্গার জলে অমৃতের বর্ষণ হয় বলে প্রচলিত বিশ্বাস। কথিত আছে, এই দিন পূণ্যস্নান করলে কোষ্ঠীর সব রকম দোষ থেকে মুক্তি পান মানুষ। বিশেষ করে কালসর্প দোষ ও পিতৃদোষ থেকে মুক্তি পেতেও মৌনী অমাবস্যায় পূণ্যস্নানের মাহাত্ম্য রয়েছে। এই বিশ্বাস থেকেই এই দিনে কোটি কোটি মানুষ সঙ্গমে স্নান করেন।

    কড়া নজর প্রধানমন্ত্রীর

    এদিন সকালে প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভে কোটি কোটি মানুষ ভিড় জমান। সঙ্গমে স্নান শুরুর আগেই পদপিষ্টের মতো ঘটনা ঘটে। ভিড় সামলাতে না পেরে এক মহিলা পড়ে গেলে তাঁর পিছনের লোকও টাল সামলাতে পারেননি। এর ফলে, পদপিষ্টের মতো ঘটনা ঘটলে কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথমে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়। তবে তৎক্ষণাৎ অধিক সক্রিয় হয়ে ওঠে প্রশাসন। গোটা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকারও। ইতিমধ্যে ঘটনা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে একাধিক বার ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কার্যত দফায় দফায় গোটা ঘটনার ( Maha Kumbh 2025) বিস্তারিত খোঁজ তিনি নিয়েছেন বলে খবর।

    সক্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, উত্তরপ্রদেশ সরকার

    অন্যদিকে, যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। কেন্দ্রের তরফে সম্পূর্ণ সাহায্য করার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আহতদের জন্য কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা নিয়েও যোগীর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয় শাহের। গোটা এলাকা বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘিরে রেখেছে। দ্রুত বাধা দূরে সরিয়ে ভক্তরা সঙ্গমে স্নান শুরু করেন। ভক্তরা যে সমস্ত ঘাটে আছেন সেখানেই যাতে স্নান সারেন সেই বার্তা দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। মৌনি অমবস্যায় মহাকুম্ভে ‘অমৃত স্নান’ সারতে কয়েক কোটি মানুষ ভিড় জমান। মধ্যরাত থেকেই ভিড় বাড়তে শুরু করে। সময় যত গড়িয়েছে ততই মানুষের ভিড় বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত তো বটেই, বিদেশ থেকেও বহু মানুষ এদিন মহাকুম্ভে জোড়ো হন শাহী স্নান সারবেন বলে। কিন্তু স্নানের আগেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা।

    প্রশাসনের তরফে সমস্ত জায়গায় ব্যারিকেড করা থাকলেও প্রবল ভিড়ের চাপে সমস্ত কিছু ভেঙে পড়ে। সঙ্গমস্থলে স্নান সারতে মানুষের মধ্যে একেবারে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আর সেই সময় মর্মান্তিক পদপিষ্টের মতো ঘটনা ঘটে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জনগণকে সতর্ক থাকতে এবং প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি গুজব ও মিথ্যা খবর ছড়িয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। ৫০টিরও বেশি অ্যাম্বুল্যান্স এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি) দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। আহতদের প্রয়াগরাজের হাসপাতালগুলিতে পাঠানোর জন্য একটি গ্রিন করিডর স্থাপন করা হয়েছে।

    আখড়াগুলি সতর্ক

    দুর্ঘটনার পর অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদ অমৃত স্নান স্থগিত রাখে। যদিও দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে আখড়াগুলি অমৃত স্নান অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানগুলি চলতে থাকে। অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের সভাপতি রবিশংকর পুরী বলেছেন, সঙ্গম ঘাটে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তিনি সবাইকে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে স্নান করতে আহ্বান করেছেন। সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং ভক্তদের কাছে অনুরোধ করেছেন যে, তারা সঙ্গম ঘাটে না গিয়ে অন্য যেকোনও ঘাটে স্নান করতে পারে। তিনি বলেন, “সম্পূর্ণ কুম্ভমেলা ক্ষেত্রই পবিত্র, তাই নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এবং যে কোনও ঘাটে স্নান করা সম্ভব।” সব ধর্মীয় নেতারা নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। জগদগুরু স্বামী রামভদ্রাচার্য মহারাজ এক ভিডিও বার্তায় ভক্তদের সঙ্গম ঘাটে ভিড় না জমাতে এবং তাঁদের ক্যাম্পে নিরাপদ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল প্রতিটি ভক্তের নিরাপত্তা, এবং স্নান একটি আধ্যাত্মিক অনুশীলন, তাই এর ভৌগলিক স্থান অগ্রাধিকার পাওয়ার দরকার নেই।”

  • India-Sri Lanka Conflict: ভারতের মৎস্যজীবীদের উপর নির্বিচারে গুলি, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূতকে তলব বিদেশমন্ত্রকের

    India-Sri Lanka Conflict: ভারতের মৎস্যজীবীদের উপর নির্বিচারে গুলি, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূতকে তলব বিদেশমন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পক প্রণালীতে ফের শ্রীলঙ্কার (India-Sri Lanka Conflict) নৌসেনার হামলার শিকার ভারতীয় মৎস্যজীবীরা। জলসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের নৌকায় নির্বিচারে গুলি চালায় শ্রীলঙ্কার নৌসেনা। মঙ্গলবার ভোরে আকস্মিক এই হানায় গুরুতর জখম হয়েছেন পাঁচ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। রাজধানী দিল্লিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রক ইতিমধ্যে শ্রীলঙ্কার বর্তমান রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। পাশাপাশি, শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনও শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টির কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বলে খবর।

    জেলেদের জীবন-জীবিকা নিয়ে সরব ভারত

    বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারতের জলসীমা লঙ্ঘনের অপরাধে শ্রীলঙ্কার ডেল্ফট দ্বীপের (স্থানীয় নাম নেদুনতিভু) অদূরে পক প্রণালীতে এই হামলা চালায় শ্রীলঙ্কার (India-Sri Lanka Conflict) সশস্ত্র বাহিনী। এরপর জখম পাঁচজন সহ মোট ১৩ জন মৎস্যজীবীকে আটক করে শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তা বাহিনী। আহত মৎস্যজীবীরা এখন শ্রীলঙ্কার জাফনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জাফনার ভারতীয় কনস্যুলেট তাঁদের চিকিৎসা তত্ত্বাবধান করছে। ঘটনার জেরে আবার উত্তাপ ছড়িয়েছে নয়াদিল্লি-কলম্বো কূটনৈতিক সম্পর্কে। মঙ্গলবার ভারতে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনারকে তলব করে ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়েছে বিদেশমন্ত্রক। ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, জেলেদের জীবন-জীবিকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তাঁদের পেশাগত বিষয়গুলিকে মানবিকভাবে বিচার বিবেচনার ওপর জোর দেওয়ার প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে কোনওভাবে বলপ্রয়োগ কাম্য নয় বলে দাবি করা হয়েছে। এব্যাপারে দুই দেশকে সতর্কভাবে বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে বিষয়টি বিবেচনার উপর গুরুত্ব দিচ্ছে দিল্লি।

    ভারত বিরোধী জিগির

    প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের (India-Sri Lanka Conflict) জলসীমায় মৎস্যজীবীদের আক্রমণ এই প্রথম নয়। গত বছরও কচ্চতিভু দ্বীপের উত্তরে শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনীর টহলদারি জাহাজ ভারতীয় মৎস্যজীবীদের একটি নৌকা নিশানা করে গুলি চালিয়েছিল। ওই ঘটনায় দু’জন নিহত হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ন্যাশনাল পিপল্‌স পাওয়ার (এনপিপি) নামের বাম জোটের নেতা অনুরাকুমার দিশানায়েক। সে দেশের রাজনীতিতে তিনি ‘ভারতবিরোধী’ এবং ‘চিনপন্থী’ হিসাবে পরিচিত। তার পর থেকেই আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্রে নতুন করে ভারত-বিরোধী জিগির সৃষ্টির চেষ্টা শুরু হয়েছে।

  • Trisha Gongadi: রেকর্ডবুকে ভারতের তৃষা, মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথম শতরানের নজির

    Trisha Gongadi: রেকর্ডবুকে ভারতের তৃষা, মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথম শতরানের নজির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মহিলা ক্রিকেটেও হরমনপ্রীত, স্মৃতি মান্ধানাদের পরবর্তী প্রজন্ম তৈরি। মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপে দুরন্ত ছন্দে তৃষা গোঙ্গারি (Trisha Gongadi)। ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়ে ফেলেছেন এই তরুণী ভারতীয় ওপেনার। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তৃষা। অনূর্ধ্ব-১৯ মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপে এই কীর্তি আর কেউ গড়েননি। স্বভাবতই মেয়েদের টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানও এখন তাঁরই দখলে।

    রেকর্ড বুকে তৃষা

    ইতিমধ্যেই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালের টিকিট পেয়ে গিয়েছে ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ মেয়েদের টিম। যদি ভারতীয় দল শীর্ষে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করতে পারে, তা হলে পাবে একটা অ্যাডভান্টেজ। সেমিতে সেক্ষেত্রে চার নম্বরে শেষ করা টিমের মুখোমুখি হতে পারে টিম ইন্ডিয়া। অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপের গত সংস্করণে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এই নিয়ে কেরিয়ারের দ্বিতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপ খেলছেন তৃষা। চলতি বছর তিনি ইতিমধ্যেই ২টো প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ জিতেছেন। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে সুপার সিক্সের ম্যাচে শুরু থেকেই ছন্দে ছিলেন তৃষা। মাত্র ৫৩ বলে আসে শতরান। তাও আঠারোতম ওভারে। এর আগে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান গ্রেস স্ক্রিভেন্সের দখলে। তিনি হাঁকিয়েছিলেন ৯৩ রান। ২০২৩ সালে বানানো এই নজির ভেঙে দিলেন তৃষা (Trisha Gongadi)।

    তৃষার দাপট

    এদিন ওপেনে ব্যাট করতে নেমে আগুনে মেজাজে ছিলেন তৃষা। উল্লেখ্য, স্কটল্যান্ডের বোলাররা এদিন তৃষার রণংদেহী মূর্তির সামনে কার্যত দিশেহারা ছিলেন। মাঠের চতুর্দিকে চার, ছয়ের বন্যা লেগেই ছিল। ৫৯ বলে ১১০ রান করেন তিনি। রয়ে যান অপরাজিত। বিধ্বংসী ইনিংস সাজানো থাকে ৪টি ছক্কা ও ১৩টি চারে। তৃষা এর আগেও দেশের হয়ে ক্রিকেটের ময়দানে নিজের জাত চিনিয়েছেন। অতিসাম্প্রতিক উদাহরণ কুয়ালালামপুরে আয়োজিত এশিয়া কাপ। ওই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। করেন মোট ১৫৩ রান। গড় ৫৩। স্ট্রাইক রেট ১২০.৪৫। তৃষার তাণ্ডবের ফলেই টুর্নামেন্ট জেতে ভারত। সেই প্রতিযোগিতার ফর্মই যেন ধরে রেখছেন তিনি। আপাতত বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি রান করেছেন তৃষা (Trisha Gongadi)। এদিন তৃষার শতরানে ভর করে স্কটিশদের ২০৯ রানের টার্গেট দিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। সেখানে ৫৮ রানে গুটিয়ে যায় স্কটল্যান্ড। ১৫০ রানে জয় পায় ভারত।

LinkedIn
Share