Author: ishika-banerjee

  • Shashi Tharoor: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মোদি-নীতির প্রশংসা থারুরের! বিজেপির নিশানায় রাহুল

    Shashi Tharoor: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মোদি-নীতির প্রশংসা থারুরের! বিজেপির নিশানায় রাহুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ভারতের নিরপেক্ষ অবস্থানকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর (Shashi Tharoor)। শশী বলছেন, যুদ্ধের প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিরপেক্ষ অবস্থানের বিরোধিতা করে চরম ভুল করেছিলেন তিনি। সেকথা মনে পড়লে মাথা নত হয়ে যায়। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi-Sashi Tharoor) নীতি একেবারে সঠিক বলে মনে করেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা। শশী সম্প্রতি ‘রাইসিনা ডায়ালগ’ নামে একটি আলোচনা সভায় ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ভারতের নিরপেক্ষ থাকার মোদির সিদ্ধান্তকে প্রশংসা করেন।

    রাইসিনা ডায়লগে শশী

    রাইসিনা ডায়ালগে একটি প্যানেল আলোচনায় শশী থারুর (Shashi Tharoor) স্বীকার করেছেন যে, তিনি ভারতের কূটনৈতিক অবস্থান নিয়ে ভুল ভেবেছিলেন। তিনি বলেন, এই অবস্থান ভারতকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে সাহায্য করেছে, যে দুটি দেশ ২০২২ সাল থেকে যুদ্ধে লিপ্ত। শশী বলেন, “যুদ্ধ শুরুর সময় আমিই ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হানাদারি নিয়ে ভারতের নিরপেক্ষ ভূমিকার সমালোচনা করেছিলাম। তারপর থেকে আন্তর্জাতিক গতিপ্রকৃতি দেখে নিজেই লজ্জিত বোধ করি সেদিনের আচরণের জন্য। সেদিন বিরোধিতার জন্য নিজেকেই ঢোঁক গিলে নিতে হচ্ছে।” শশী থারুরের এই মন্তব্য যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস। বিজেপির দাবি, এটা দেখে ভালো লাগছে যে, কংগ্রেসের নেতারা প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গিকে মান্যতা দিচ্ছেন। স্বীকার করে নিচ্ছেন। কেন্দ্রের বিদেশনীতিকে প্রশংসা করার জন্য শশী থারুরের বিরুদ্ধে তাঁর দল কোনও ব্যবস্থা নেবে না বলেও আশা বিজেপি নেতাদের।

    মোদি-নীতির প্রশংসা

    বিজেপি নেতা সুধাংশু ত্রিবেদী বুধবার বলেছেন, কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা শশী থারুরের (Shashi Tharoor) রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে ভারতের অবস্থান নিয়ে মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈশ্বিক কূটনীতির “স্বাভাবিক প্রকাশ”। দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ত্রিবেদী মোদির ভূমিকার কথা তুলে ধরেন, যিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, মোদি দুই দেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সাক্ষাৎ করেছেন। ত্রিবেদী বলেন, “শশী থারুর আজ রাইসিনা ডায়ালগে যা বলেছেন, তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের অসাধারণ বৈশ্বিক কূটনৈতিক নীতির স্বাভাবিক ফল। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ যে কেউ এটি বুঝতে পারবেন। মোদি একমাত্র নেতা যিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি উভয়ের সঙ্গে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কথা বলেছেন এবং উভয়ের কাছ থেকে সমান গুরুত্ব পেয়েছেন।” ত্রিবেদী আরও বলেন, “শশী থারুরের মন্তব্য মোদির বৈশ্বিক কূটনীতির একটি স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ।” থারুরের মন্তব্যকে ভারতের কূটনৈতিক সাফল্যের প্রমাণ হিসেবে দেখছে, বিশেষজ্ঞ মহল। রাজনৈতিক মহলের দাবি, মোদির কূটনীতি ভারতকে বিশ্ব শান্তির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় করে তুলেছে। মোদির নীতির ফলেই বিশ্বের দরবারে ভারতের ক্ষমতা ও প্রভাব বেড়েছ। থারুরের মন্তব্য ভারতের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক প্রতিপত্তির ইঙ্গিত দেয়।

    রাহুলকে আক্রমণ

    বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দূরদৃষ্টি বিরোধী দলের নেতারাও প্রশংসা করছেন, স্বীকার করছেন। রাহুল গান্ধী, চিদম্বরমের মতো কংগ্রেস নেতা ও রঘুরাম রাজনের মতো লোকেরাও এখন তাঁদের কথা নিজেরাই গিলে নিচ্ছেন। অর্থনীতি, ইউপিআই, উৎপাদন শিল্প এবং আরও বহু কিছুতে দেশের অবস্থান নিয়ে তাঁরা অতীতের মন্তব্য নিয়ে নিজেরাই লজ্জিত। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, “থারুরের একের পর এক মন্তব্যে একটা বিষয় পরিষ্কার যে, কংগ্রেসের ভিতরে বিদ্রোহের ছুরির ফলা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। যা দেখে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী মুখ লাল হয়ে যেতে পারে। কংগ্রেস এবার হয়তো দলীয়ভাবে জানাবে শশী থারুর যা বলেছেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত মত। দলের অবস্থান নয়। যদিও সংসদে এই বিষয়ক আলোচনায় থারুরকেই দল দায়িত্ব দিয়েছিল।”

  • Disha Salian Death: সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রাক্তন ম্যানেজারের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্ধব পুত্রের যোগ! দাবি দিশার বাবার

    Disha Salian Death: সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রাক্তন ম্যানেজারের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্ধব পুত্রের যোগ! দাবি দিশার বাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Singh Rajput) ও তাঁর প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের রহস্যময় মৃত্যুর (Disha Salian Death) বিষয়ে ফের আলোচনা তুঙ্গে। বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর কয়েকদিন আগেই রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের (Disha Salian)। তবে সময় যত এগিয়েছে, ততই এই তদন্ত ধামাচাপা পড়তে থাকে। তবে এবার ফের এই মামলা নিয়ে শুরু হচ্ছে তদন্ত। দিশার বাবা সম্প্রতি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তাঁর মতে এই মামলায় সরাসরি যোগ রয়েছে আদিত্যর। তাঁকে অবিলম্বে তলব করা উচিত। এই প্রসঙ্গে এবার দিশার বাবার হয়ে সমর্থন দেখালেন বিজেপি বিধায়ক তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নিতিশ রানে।

    আদিত্য ঠাকরেকে আক্রমণ নিতিশের

    এদিন নিতিশ বলেন, “আমি প্রথম থেকেই দাবি করেছিলাম দিশা সালিয়ানের মৃত্যুর (Disha Salian Death) পিছনে আদিত্য ঠাকরে জড়িত রয়েছেন। ফলে এটা নিছকই আত্মহত্যার ঘটনা নয়। এর পিছনে বড় চক্রান্ত রয়েছে। আমি রাজ্য় সরকারের কাছে দাবি করছি, যাতে এই ঘটনায় প্রথম থেকে যাঁদের নাম জড়িয়ে রয়েছে তাঁদের আবারও জেরা করা হোক। ঘটনার দিন আদিত্য কোথায় ছিলেন, মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখা, আবাসনে নিরাপত্তারক্ষীদের আবারও জেরা করা হোক। তাহলেই আসল সত্যি বেরিয়ে আসবে।”

    দিশা ও সুশান্তের মৃত্যু

    ২০২০-র ১৪ জুন, মুম্বইয়ের বান্দ্রায় অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতকে (Sushant Singh Rajput) নিজের ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। কয়েক দিন আগে, ৮ জুন, অভিনেতার প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানকে মৃত (Disha Salian Death) অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ জানিয়েছিল, দিশা মালাডের একটা বহুতল থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। রাজ্যের তৎকালীন বিরোধী দল অর্থাৎ বর্তমানের শাসক দল বিজেপি সেই সময় বারংবার এই ঘটনাকে খুন বলেই দাবি করে আসছিল। কিন্তু তৎকালীন শাসক দলের চাপে পুলিশ এই ঘটনা চাপা দিয়ে দেয়। পরবর্তীকালে বিজেপি ক্ষমতায় এলে আবারও এই মামলার তদন্ত শুরু করার কথা হয়। ঘটনার পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও আসল সত্যি সামনে আসেনি। সুশান্তের বাবা কে কে সিং বারবার দাবি করেন, তাঁর ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না। সুবিচারের আশায় এখনও দিন গুনছে দিশা ও সুশান্তের পরিবার।

  • Farmers Protest Punjab: কৃষক আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার, নামল বুলডোজার-ক্রেন! কেন এই পদক্ষেপ পাঞ্জাব পুলিশের?

    Farmers Protest Punjab: কৃষক আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার, নামল বুলডোজার-ক্রেন! কেন এই পদক্ষেপ পাঞ্জাব পুলিশের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষকদের আন্দোলন ঘিরে ফের উত্তেজনা ছড়াল পাঞ্জাবে। আন্দোলনে (Farmers Protest Punjab) নেতৃত্ব দেওয়া কৃষক নেতাদের আটক করল পুলিশ। মাঝরাতে নামানো হল বুলডোজারও। যে অস্থায়ী শিবিরে রাত কাটছিল কৃষকদের, তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। দাবিদাওয়া পূরণ না হওয়াতেই নতুন করে আন্দোলনের পথ বেছে নেন কৃষকরা। কিন্তু তাঁদের আন্দোলন গায়ের জোরে তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে পাঞ্জাবের আপ সরকারের বিরুদ্ধে।

    কড়া পদক্ষেপ পাঞ্জাব পুলিশের

    ঘটনাস্থল থেকে যে ছবি ও ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে কৃষকদের টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। আন্দোলনস্থল খালি করতে গিয়ে কৃষকদের (Farmers Protest Punjab) সঙ্গে বর্বরোচিত আচরণের অভিযোগ সামনে আসছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এর পর রাতে আন্দোলনস্থলে ক্রেন, বুলডোজার নামানো হয়। ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে দেখা যায় অস্থায়ী নির্মাণগুলিকে। আন্দোলনস্থল খালি করে দেওয়া হয়। পঞ্জাব এবং হরিয়ানার সংযোগস্থল, শম্ভু ও খানাউরি সীমানায় (Shambhu Border Farmers Protest) আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন কৃষকরা। সেই আবহেই বুধবার চণ্ডীগড়ে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সঙ্গে বৈঠক ছিল তাঁদের প্রতিনিধিদের। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে সেই বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ক্রেতা-গ্রাহক বিভাগের মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূস গোয়েলও। পাঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী হরপাল সিং চিমা এবং রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী গুরমীত সিং খুড্ডিয়াও বৈঠকে যোগ দেন।

    আটক বহু কৃষক নেতা

    ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য-সহ একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে ওই বৈঠক হয়। বৈঠক থেকে বেরিয়ে শিবরাজ জানান, দু’পক্ষের মধ্যে ইতিবাচক কথা হয়েছে। ৪ মে ফের একদফা আলোচনা হবে। কিন্তু এদিনই বিকেলে মোহালিতে কৃষক নেতা গুরমীত সিং মঙ্গত, সরওয়ান সিং পান্ধের, জগজিৎ ডাল্লেওয়াল-সহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে পাঞ্জাব পুলিশ। সেই নিয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায় কৃষকদের। এর পর আটক করা হয় কৃষক নেতা অভিমন্যূ কোহার, কাকা সিং কোতড়াদের। প্রথমে প্রায় ২০০ কৃষককে আটক করা হয় বলে জানা যায়, পরে জানা যায় সংখ্যাটা ৫০০-৭০০। শম্ভু এবং খানাউরি সীমানায় তাঁদের যেতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

    নিশানায় পাঞ্জাব সরকার

    এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, পটিয়ালার ডিজি মনদীপ সিং সিধুর নেতৃত্বে খানাউরি সীমানায় ৩০০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে শম্ভু সীমানাতেও। সবমিলিয়ে ৫০০ থেকে ৭০০ কৃষককে আটক করা হয়েছিল বলেও দাবি সামনে এসেছে। ডিজি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারই আন্দোলনকারীদের (Farmers Protest Punjab) সরিয়ে রাস্তা খালি করতে নির্দেশ দিয়েছে। খানাউরি সীমানা এবং সংলগ্ন সাঙ্গরুর ও পটিয়ালায় ইন্টারনেট পরিষেবাো বন্ধ রাখা হয়েছে বলে খবর। পাঞ্জাবে কৃষক আন্দোলনে পুলিশ ও প্রশাসনের বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবনীত সিং বিট্টু মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের তীব্র সমালোচনা করেছেন। পুলিশের এই পদক্ষেপের নিন্দা করে তিনি বলেন, “আমি পাঞ্জাব সরকারের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানাই। তারা আপনাকে (আপ সরকার) ভোট দিয়েছে এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে লজ্জিত করা উচিত। তারা (আপ সরকার) চায়নি যে কেন্দ্রীয় সরকার এবং কৃষকদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের হোক। লুধিয়ানা পশ্চিম উপনির্বাচনে জয়লাভের জন্য আপনারা কৃষকদের আটক করেছেন। পাঞ্জাবের জনগণ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে কোনও গ্রামে প্রবেশ করতে দেবে না।”

  • India vs Bangladesh: ফিরছেন সুনীল! বাংলাদেশের বিপক্ষে নামার আগে মলদ্বীপের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ ভারতের

    India vs Bangladesh: ফিরছেন সুনীল! বাংলাদেশের বিপক্ষে নামার আগে মলদ্বীপের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় দলের জার্সিতে আজ, বুধবার প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে কিংবদন্তী ভারতীয় ফুটবলার সুনীল ছেত্রীর। বুধবার শিলংয়ে মলদ্বীপের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি খেলতে নামবে ভারতীয় দল। এই প্রথম মেঘালয়ের রাজধানীতে খেলবে মেন-ইন ব্লু। পরের সপ্তাহে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২০২৭ এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিয়াফার খেলবে ভারত। সেখানেও থাকার কথা সুনীলের। ক্রিকেটে বাংলাদেশকে (India vs Bangladesh) পরাজিত করার পর ফুটবলেও তাদেরকে হারিয়েই এএফসি এশিয়ান কাপ এর মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে চায় ভারত।

    কেন অবসর ভাঙলেন সুনীল

    ইন্ডিয়ান সুপার লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে দারুণ ফর্মে আছেন ছেত্রী। বেঙ্গালুরু এফসির হয়ে খেলে ৪০ বছর বয়সী এই ফুটবলার প্রমাণ করেছেন যে বয়স কেবল একটি সংখ্যা। আইএসএলের লিগ পর্বে ১২টি গোল করেছেন তিনি সঙ্গে অ্যাসিস্ট করেছেন ২টিতে। সেই কারণেই ভারতীয় কোচ মানোলো মার্কেজ সুনীলকে ফিরে আসতে অনুরোধ করেন। তারপরই অবসর থেকে ইউ-টার্ন নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সুনীল। বুধবার শিলং-য়ে দেশের হয়ে ১৫২তম ম্যাচে নামবেন তারকা ফুটবলার। মানোলোর অনুরোধে অবসর ভেঙে ফিরেছেন সুনীল। বাংলাদেশের (India vs Bangladesh) ফুটবল সমর্থকদের একাংশের দাবি, হামজা চৌধুরীর ভয়ে নাকি সুনীল ছেত্রীকে অবসর ভেঙে খেলতে নামতে হচ্ছে। কারণ হামজা চৌধুরীর কাছে রয়েছে ইউরোপে খেলার অভিজ্ঞতা। তাই বাংলাদেশে তাঁর ডিফেন্স ভাঙার জন্যই নাকি সুনীলকে অবসর ভেঙে নামতে হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের সমর্থকরা হামজা চৌধুরীকে নিয়ে গর্ব করলেও ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ফুটবল ম্যাচের ফল কিন্তু বলছে অন্য কথা। ভারত-বাংলাদেশ মোট ৩১টি ম্যাচের মধ্যে ১৬টিতে জিতেছে ভারত। বাংলাদেশ ২টিতে, ১৩টি ম্যাচ অমীমাংসিত।

    বাংলাদেশকে হারানোই লক্ষ্য ব্লু-টাইগার্সদের

    কোচ হওয়ার পর আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের (India vs Bangladesh) বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ মানোলোর। তার আগে দলের কম্বিনেশন দেখে নিতে চান স্প্যানিশ কোচ। মলদ্বীপ ম্যাচকে তার প্রস্তুতি হিসেবেই নিচ্ছেন। মানোলো বলেন, ‘অবশ্যই সুনীল সব ম্যাচে খেলবে। শুরু করবে না পরিবর্ত হিসেবে নামবে সেটা এখনও ঠিক করিনি। আমরা ছটা পরিবর্ত ব্যবহার করতে পারি। সুতরাং, ১৭ জন খেলতে পারবে। সুনীল তারই মধ্যে একজন হবে। চলতি মরশুমে ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোল সুনীলের। প্লেয়ারের বয়স ২০ না ৪০, না ৮৭, আমার দাদুর বয়সী, সেটা বিষয় নয়। কেউ ছন্দে থাকলে, জাতীয় দলে থাকবে। জাতীয় দল প্লেয়ার তৈরি করার জন্য নয়। এখানে তৈরি প্লেয়াররাই আসবে। ম্যাচ জিততে হবে। সেটা করতে হলে, যারা ছন্দে আছে তাঁদের ডাকতে হবে।’ আসন্ন এশিয়ান কাপ (Asian Cup) বাছাই পর্বে ভারতের গ্রুপে রয়েছে হংকং, সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশ। সফল হলে ২০২৭-এর এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলবে ভারত। আগামী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে উঠলে ভারত টানা তৃতীয়বার এই টুর্নামেন্টে খেলবে, যা ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি।

     

     

     

     

  • Sunita Williams: ‘‘পৃথিবী আপনাদের মিস করছিল’’, সুনীতা ফিরতেই উচ্ছ্বাস প্রধানমন্ত্রী মোদির

    Sunita Williams: ‘‘পৃথিবী আপনাদের মিস করছিল’’, সুনীতা ফিরতেই উচ্ছ্বাস প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:ঘরের মেয়ে গিয়েছিল মহাকাশ-জয়ে। মহাশূন্যেই আটকে পড়েছিল দীর্ঘ ৯ মাস। অবশেষে স্বস্তির নিশ্বাঃস। পৃথিবীতে ফিরলেন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। সঙ্গে আরও ২ নভশ্চর। তাঁদের স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। লিখলেন, “ওয়েলকাম ব্যাক, ক্রু৯! পৃথিবী আপনাদের মিস করছিল।” ভারতের সঙ্গে যে নাসার (NASA) মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামসের (Sunita Williams) নিবিড় যোগ রয়েছে তা সকলের জানা। তাই দীর্ঘ ৯ মাস পর তাঁর সুরক্ষিতভাবে মহাকাশ থেকে ফিরে আসায় উচ্ছ্বসিত প্রত্যেক ভারতবাসীও। চলতি বছরেই ভারতে আসতে পারেন সুনীতা, এমনই খবর দিলেন তাঁর পরিবারের লোকেরা।

    অধ্যবসায়ের আসল অর্থ বোঝালেন সুনীতা

    বুধবার ভোর-রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ ফ্লোরিডায় অবতরণ করে স্পেস এক্সের ড্রাগন স্পেসক্রাফ্ট। ৯ মাস পর পৃথিবীর মাটিতে পা রাখেন সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। তাঁদের স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) ও ক্রু৯ মহাকাশচারীরা আরও একবার দেখালেন যে অধ্যবসায়ের আসল অর্থ কী। অজানার সম্মুখীন হয়েও যে একাগ্রতা দেখিয়েছেন, তা লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।” তিনি আরও বলেন, “মহাকাশ গবেষণা হল মানুষের সম্ভাবনার সীমাকে পার করা, স্বপ্ন দেখার সাহস দেখানো এবং সেই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করা। সুনীতা উইলিয়ামস, একজন আইকন, তিনি নিজের কেরিয়ারকে উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরলেন। যাঁরা তাঁদের (সুনীতা ও বুচ) নিরাপদভাবে ফিরিয়ে আনার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, আমরা তাঁদের উপরও গর্বিত। তাঁরা দেখিয়ে দিয়েছেন যে, নির্ভুলতার সঙ্গে প্যাশন এবং প্রযুক্তির সঙ্গে দৃঢ়তা মিলে গেলে কী হয়।”

    সুনীতাকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ

    মোদি আরও বলেন, “অন্তঃরীক্ষ ভ্রমণ তাঁদের জন্যই, যাঁরা স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার সাহস দেখান। সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) তাঁর কেরিয়ারে সেটাই বারবার প্রমাণ করে দেখিয়েছেন। সুনীতাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে যারা নিরলস পরিশ্রম করেছেন, তাঁদের সকলের জন্য আমরা খুব গর্বিত। তাঁরা দেখিয়ে দিয়েছেন লক্ষ্যে অবিচল থাকলে কতটা সাফল্য আসতে পারে।” উল্লেখ্য, এর আগে সুনীতাকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১ মার্চের সেই চিঠি গতকাল মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। ১৪০ কোটি ভারতীয় সুনীতার কর্মকাণ্ডের জন্য গর্বিত বলে জানান মোদি। সুনীতার মা বনি পাণ্ডিয়া মেয়ের আসার অধীর অপেক্ষা করছেন বলে জানান মোদি। প্রয়াত বাবার আশীর্বাদও সুনীতার সঙ্গে সর্বদা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। ‘ঘরের মেয়ে’ সম্বোধন করে সুনীতাকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান নরেন্দ্র মোদি।

    সুনীতার পৈতৃক বাড়ি গুজরাট

    প্রসঙ্গত, সুনীতার বাবা দীপক পাণ্ডিয়া প্রধানমন্ত্রী মোদিরই রাজ্য অর্থাৎ গুজরাটের বাসিন্দা ছিলেন। ২০২০ সালে তিনি প্রয়াত হন। তাঁদের আলাপেরই একটি ছবি দিয়ে সুনীতা উইলিয়ামসকে ফের একবার পৃথিবীতে স্বাগত জানিয়েছেন মোদি (PM Modi)। প্রসঙ্গত, মাত্র ৮ দিনের মহাকাশে গিয়ে ৯ মাস ধরে আটকে ছিলেন সুনীতা এবং তাঁর সহকর্মী ব্যারি উইলমোর। শেষমেশ নাসা-স্পেস এক্সের রকেট তাঁদের উদ্ধার করে পৃথিবীতে ফিরিয়ে এনেছে। এই প্রথমবার মহাকাশ যাননি সুনীতা বা উইলমোর কেউই। দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকা, স্পেসওয়াক করার রেকর্ড রয়েছে তাঁদের। তবে, ৮ দিনের জন্য গিয়ে ৯ মাস আটকে থাকা তাঁদের দুজনের কাছেই প্রথম।

    পৈতৃক গ্রামে আনন্দোচ্ছ্বাস

    সুনীতা (Sunita Williams) পৃথিবীতেই ফিরতেই আনন্দে আত্মহারা সুনীতার পৈতৃক গ্রাম ঝুলাসান। গুজরাটের এই গ্রামের সাধারণ মানুষ পথে নেমে এসেছেন উদযাপন করতে। তাঁদের দেখা গিয়েছে আতশবাজি ফাটিয়ে উৎসবে মেতে উঠতে। সুনীতার ভ্রাতৃবধূ ফাল্গুনী পাণ্ডিয়া বলছেন, ‘‘একদম সঠিক কোনও তারিখ বলতে পারছি না। তবে এটা নিশ্চিত, অতি শিগগিরিই ও ভারতে আসবে। এই বছরের মধ্যেই।’’ আর সুনীতা গ্রামে ফিরলেই হবে সামোসা পার্টি। এত কিছু থাকতে সামোসাই কেন? ‘‘আসলে হৃদয়ে ভারতীয়ত্বের ছোঁয়ায় সুনীতা সামোসার বিরাট ফ্যান। মহাকাশ স্টেশনেও তাঁর খাদ্য তালিকায় ছিল এই সামোস বা সিঙ্গারা। আর তাই তিনি এদেশে এলে পার্টি দেওয়া হবে সামোসারই।’’ বলছেন ফাল্গুনী।

  • India Pakistan Relation: ‘পাকিস্তানের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শান্তির পথে সবচেয়ে বড় বাধা’, বলল বিদেশ মন্ত্রক

    India Pakistan Relation: ‘পাকিস্তানের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শান্তির পথে সবচেয়ে বড় বাধা’, বলল বিদেশ মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ভূখণ্ডে অবৈধ ও জোর করে দখলে রাখা এলাকা ছেড়ে দিক পাকিস্তান (India Pakistan Relation)। তাহলেই সীমান্তে শান্তি ফিরবে। পাকিস্তানের কাশ্মীর সম্পর্কিত মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে, বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই কথা বলেন। তাঁর দাবি, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে সহায়তা প্রদান শান্তি ও নিরাপত্তার পথে সবচেয়ে বড় বাধা। পাকিস্তানই সন্ত্রাসবাদের আখড়া! সন্ত্রাসবাদের যে বীজ পাকিস্তান বপন করেছে, তার ফল তাদেরকে ভুগতে হচ্ছে, বলে জানান রণধীর।

    পাকিস্তানের বিশ্বাসঘাতকতা

    সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক মার্কিন পডকাস্টে পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার প্রচেষ্টার কথা শেয়ার করেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী পদে প্রথম শপথ গ্রহণের সময় তখনকার পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে আমন্ত্রণ করেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদি উল্লেখ করেন যে, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর প্রতিটি প্রচেষ্টা শত্রুতা ও বিশ্বাসভঙ্গের শিকার হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে শান্তির উদ্দেশ্যে লাহোরে গিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর, আমি বিশেষভাবে পাকিস্তানকে আমার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম, যেন আমরা একটি নতুন অধ্যায় শুরু করতে পারি। তবুও, শান্তির প্রতি আমার প্রতিটি মহৎ প্রচেষ্টা শত্রুতা ও বিশ্বাসভঙ্গের মুখে পড়েছিল।” কিন্তু এই পডকাস্ট প্রচারের পর পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনে। পাক বিদেশমন্ত্রকের দাবি, ভারত রেষারেষি করছে। পাক-ভূমে সন্ত্রাসকে মদত দিচ্ছে দিল্লি। পাকিস্তান দাবি করেছে যে, বালোচ বিদ্রোহীরা জাফর এক্সপ্রেস ট্রেন হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল এবং তারা আফগানিস্তানের রিং লিডারদের সঙ্গে যোগাযোগে ছিল। ভারত এই ঘটনার মজা নিয়েছে।

    গুজব ছড়ানোর প্রয়াস

    পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র শাফকত আলি খান দাবি করেছিলেন, “ভারত পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত। বিশেষত, জাফর এক্সপ্রেস হামলায়, সন্ত্রাসীরা তাদের হ্যান্ডলারদের এবং রিং লিডারদের সঙ্গে আফগানিস্তানে যোগাযোগ করেছিল।” ভারত এই অভিযোগ সম্পূর্ণ খারিজ করেছে। দিল্লির তরফে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা পাকিস্তানের মিথ্যা অভিযোগগুলো অস্বীকার করছি। পৃথিবী জানে, বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের উৎস কোথায়। পাকিস্তানকে অন্যদের ওপর দোষ চাপানোর বদলে নিজেদের ভেতরে দেখতে হবে।” বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘পাকিস্তানের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিদ্বেষে ভরা। ভারত-বিরোধী প্রচার চালানোর এটি একটি নবতম পন্থা। সারা বিশ্ব জানে, পাকিস্তান দীর্ঘ দিন ধরে সন্ত্রাসবাদ, সংগঠিত অপরাধ এবং অবৈধ আন্তর্দেশীয় কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল। পাকিস্তান যেমন বীজ বপন করবে, তেমন ফসলই পাবে।’’

    কাশ্মীর নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার

    রণধীর দাবি করেন, পাকিস্তান (India Pakistan Relation) গুজব না ছড়িয়ে বরং জোর করে ভারতের যে যে জায়গা তারা দখল করে রেখেছে তার ওপর থেকে সরে যাক। পাক দখলীকৃত জায়গা দিল্লিকে ফিরিয়ে দিলেই, ভারত সেখানে উন্নয়নের জোয়ার আনবে। সম্প্রতি কাশ্মীর প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘আমরা সবাই সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার কথা বলি। বিশ্বের বিভিন্ন নিয়মের মধ্যে যা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে অন্য কোনও দেশের এলাকায় সবথেকে দীর্ঘ অবৈধ উপস্থিতির সাক্ষী রয়েছে ভারতের কাশ্মীর।’ কাশ্মীর প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং পশ্চিমী বিশ্বের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমরা ইউনাইটেড নেশনসে গিয়েছি। কাশ্মীরের একাংশ দখলের ঘটনাকে বিতর্ক বলে দাবি করা হচ্ছে। তাহলে অপরাধী কে? ব্রিটেন, কানাডা, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা? আমাকে ক্ষমা করবেন। ওই বিষয়ে আমার এই রকম অনেক প্রশ্ন আছে।’ এর পরই রাষ্ট্রপুঞ্জের ভূমিকা শক্তিশালী করে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমরা চাই শক্তিশালী রাষ্ট্রপুঞ্জ। কিন্তু শক্তিশালী রাষ্ট্রপুঞ্জের দরকার নিরপেক্ষতা। শক্তিশালী গ্লোবাল অর্ডারে কিছু বেসিক স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখতে হবে। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা যেমন দরকার, তেমন আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলারও প্রয়োজন।’

    ভারতকে দোষারোপের কারণ নেই

    বিদেশমন্ত্রীর দাবিকে মান্যতা দিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারত (India Pakistan Relation) এবং অন্যান্য অনেক দেশ প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে এই বলে বারবার সতর্ক করেছে যে, সন্ত্রাস এবং হিংসার সংস্কৃতির কারণে তারা নিজেদেরই ক্ষতি করছে। পাকিস্তানের নিজস্ব কর্মকাণ্ডের জন্য ভারতকে দোষারোপ করা কোনও যুক্তিযুক্ত সমাধান হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছে বিদেশ মন্ত্রক। দিল্লির দাবি, অন্যের দিকে আঙুল তোলা এবং অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য বহিরাগত শক্তিকে দোষারোপ করার পরিবর্তে পাকিস্তানের আত্মসমালোচনা করা উচিত।

  • Ayodhya Ram Mandir: ৯৪৪ কেজি রুপো দান! ৫ বছরে সরকারকে ৩৯৬ কোটি টাকা কর দিল অযোধ্যার রাম মন্দির

    Ayodhya Ram Mandir: ৯৪৪ কেজি রুপো দান! ৫ বছরে সরকারকে ৩৯৬ কোটি টাকা কর দিল অযোধ্যার রাম মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রী-রাম মাহাত্ম্যে ভক্তদের প্রাণকেন্দ্র এখন অযোধ্যা (Ayodhya Ram Mandir)। প্রতিদিন অযোধ্যার রাম মন্দিরে ভক্তদের ঢল নামছে। বিশেষ বিশেষ দিনে তো জনসমুদ্র। দেশের কোষাগারকেও ভরিয়ে তুলছে রাম মন্দির। ধর্মীয় পর্যটনের উত্থানের জেরে বিগত ৫ বছরে শ্রী রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট সরকারকে ৩৯৬ কোটি টাকা কর দিয়েছে। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের প্রধান চম্পত রাই সম্প্রতি এই কথা জানিয়েছেন। এই অর্থ ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫-এর মধ্যে দেওয়া হয়েছে। এই ৪০০ কোটি টাকা করের মধ্যে ২৭০ কোটি টাকা জিএসটি দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৩০ কোটি টাকা অন্যান্য কর (Ram Mandir Tax) হিসাবে দেওয়া হয়েছে। রামমন্দির ট্রাস্টের দাবি, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল দ্বারা অডিট করা হিসাবই প্রকাশ করা হয়েছে।

    ভক্তদের ভিড় রাম মন্দিরে

    ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir)। তারপর থেকেই রাম মন্দিরে ভক্তদের ভিড় লেগেই রয়েছে। বড় বড় উৎসবে নামে অগুনতি পুণ্যার্থীর ঢল। গত বছর অযোধ্যা ১৬ কোটি দর্শনার্থী ভিড় জমিয়েছিলেন, যা রেকর্ড। যার মধ্যে ৫ কোটি রাম মন্দির পরিদর্শন করেছেন। রাম মন্দিরের ট্রাস্টের কর্তা চম্পত রাই বলেন, “অযোধ্যায় ভক্ত ও পর্যটকদের সংখ্যা ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা এটিকে একটি প্রধান ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করেছে এবং স্থানীয় মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। মহাকুম্ভের সময় ১.২৬ কোটি ভক্ত অযোধ্যায় এসেছিলেন।” তবে রাম মন্দির তৈরি হওয়ার আগেও কিন্তু বহু মানুষ গিয়েছিলেন রামলালার দর্শন করতে।

    রাম মন্দিরে নিয়মিত আয় ও কর প্রদান

    ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট (Ayodhya Ram Mandir) গত পাঁচ বছরে রাম মন্দিরের নির্মাণের জন্য ২,১৫০ কোটি টাকা খরচ করেছে, যার মধ্যে ১৮ শতাংশ অর্থ সরকারকে ট্যাক্স (Ram Mandir Tax) হিসেবে পরিশোধ করা হয়েছে। এই অর্থ প্রধানত জনগণের দান, ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য দাতাদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। মন্দিরের নির্মাণ শুরুর আগে ভারত সরকার মাত্র এক টাকা দান করেছিল। চম্পত রাই আরও জানান, গত পাঁচ বছরে ট্রাস্ট মোট ৩,৫০০ কোটি টাকা দান সংগ্রহ করেছে, যার ৬০ শতাংশই ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সংগ্রহ করা হয়। গত পাঁচ বছরে, ট্রাস্ট সরকারী বিভাগগুলোকে ৩৯৬ কোটি টাকা ট্যাক্স প্রদান করেছে। এর মধ্যে ২৭২ কোটি টাকা জিএসটি হিসেবে, এবং ১৩০ কোটি টাকা বিভিন্ন ট্যাক্স ক্যাটেগরিতে প্রদান করা হয়েছে।

    আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা

    চম্পৎ রাই জানান, ট্রাস্ট রাজকীয় নির্মাণ সংস্থা (উত্তরপ্রদেশ রাজকীয় নির্মাণ নিগম)-কে  রাম কথা মিউজিয়ামের চারপাশে তিনটি গেট নির্মাণের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ট্রাস্ট সরকারী অ্যাকাউন্টে ৩৯ কোটি টাকা জমা করেছে, আর রয়্যালটি হিসেবে ১৪.৯০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে এবং নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য ৭.৪০ কোটি টাকা শ্রম তহবিল হিসেবে বরাদ্দ করেছে। এছাড়া, ৪ কোটি টাকা বিমা পলিসির জন্য রাখা হয়েছে এবং রাম জন্মভূমি মানচিত্র অনুমোদন করার জন্য আয়োধ্যা বিকাশ প্রাধিকারণের জন্য ৫ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে, ভক্তরা শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ট্রাস্টে ৯৪৪ কিলোগ্রাম রুপো দান করেছেন (যার ৯২ শতাংশ বিশুদ্ধ)। ভারত সরকারের মিন্টিং কর্পোরেশন প্রাপ্ত রুপো দিয়ে বিশাল রুপোর ইট তৈরি করেছে, যেগুলো ব্যাঙ্ক লকারে সুরক্ষিত রাখা হয়েছে, চম্পত রায় এ তথ্য শেয়ার করেছেন। তিনি আরও জানান যে, রাম মন্দিরের নির্মাণ কাজ প্রায় ৯৬ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। চম্পত রাই জানান, শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট স্বচ্ছভাবে এই কর পরিশোধ করেছে। এই টাকা সরকারের কোষাগারে জমা হয়েছে। তাঁদের আর্থিক লেনদেন ভারতের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ) নিয়মিত পরীক্ষা করেও দেখে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ল্য়ান্ড-মার্ক অযোধ্যা

    ২০১৯ সালে যুগান্তকারী নির্দেশের পর ২০০০ সালে অযোধ্যায় রামলালার মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) সেই কাজ করেছিলেন। এরপরই রামমন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়। এক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পুরোভাগে। এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রখ্যাত সব সাধু, সন্ন্যাসী, দেশ বিদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট্যজন। হিন্দুদের বিশ্বাস, অযোধ্য়ায় মন্দিরের জায়গাতেই রামলালার জন্ম হয়েছিল। বর্তমানে অযোধ্যা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ল্য়ান্ড-মার্কে পরিণত হয়েছে। রাম মন্দিরের দৌলতে ভরে উঠছে কোষাগার। এই মন্দির থেকে রাজস্ব এবং কর হিসেবে জমা পড়ছে বিপুল অঙ্কের টাকা।

  • S Jaishankar: ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, বাজার অর্থনীতি, ধর্মের প্রতি সম্মান ভারতীয় সমাজের মৌলিক দিক’, অভিমত জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, বাজার অর্থনীতি, ধর্মের প্রতি সম্মান ভারতীয় সমাজের মৌলিক দিক’, অভিমত জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে বোঝার জন্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে গ্লোবাল সাউথ এবং গণতন্ত্র। ভারত একটি এমন বিশ্বে অভিযোজন করেছে এবং পথ চলেছে যা “সবসময় আমাদের সদয়” এবং “সবসময় আমাদের প্রতি সহনশীল” ছিল না, তবে দেশটি তার ইতিহাস এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে এগিয়ে এসেছে, বলে অভিমত প্রকাশ করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মঙ্গলবার ‘রাইসিনা ডায়লগ’ (Raisina Dialogue 2025) অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে কাশ্মীর দখল করে রাখার প্রসঙ্গে তুলে পাকিস্তানকেও এক হাত নিয়েছেন তিনি।

    ভারতকে বুঝতে প্রয়োজন বিশেষ জ্ঞান

    ভারতের আসল অবস্থান সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমার মতে, ভারতের বিষয়ে বোঝার জন্য তিনটি-চারটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, গ্লোবাল সাউথ, উপনিবেশবাদের পরিপ্রেক্ষিত, কারণ ভারতের বৈশ্বিক অবস্থানকে বোঝার জন্য উপনিবেশী ইতিহাসের সঙ্গে পরিচিত হওয়া জরুরি। যখন আপনি স্বাধীনতা হারিয়ে ফিরে পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করেন, তখন তার সঙ্গে একটি মানসিকতা তৈরি হয়। তাই গ্লোবাল সাউথ একদম গুরুত্বপূর্ণ।” বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) আরও বলেন, “দ্বিতীয়ত, আমরা ১৯৪০-এর দশকে একটি আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হতে বেছে নিয়েছি। আমি মনে করি আমরা এ বিষয়ে আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্য থেকে শিক্ষা নিয়েছি। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, বাজার অর্থনীতি, এবং ধর্মের প্রতি সম্মান—এটি আমাদের সমাজের মৌলিক দিক। কখনো কখনো আমরা নিজেদের মধ্যে এটা কিছুটা গুরুত্বহীন ভাবতে পারি, তবে আমাদের অনেক সিদ্ধান্ত এই বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে নেওয়া হয়।” বিশ্বের প্রতি ভারতের অভ্যন্তরীণ অভিযোজনের কথা তুলে ধরে জয়শঙ্কর বলেন, “তৃতীয়ত, আমি বলব, আমাদের এমন একটি পৃথিবীতে অভিযোজন করার দক্ষতা তৈরি হয়েছে, যা সবসময় আমাদের প্রতি সদয় বা সহনশীল ছিল না। তবে আমরা একটি দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে গেছি। আজ, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে, পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে, সম্ভবত এই দশকের শেষে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে, আমাদের অবদান আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।”

    প্রসঙ্গ কাশ্মীর

    কাশ্মীর (Kashmir) প্রসঙ্গে এদিন জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেছেন, ‘আমরা সবাই সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার কথা বলি। বিশ্বের বিভিন্ন নিয়মের মধ্যে যা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে অন্য কোনও দেশের এলাকায় সবথেকে দীর্ঘ অবৈধ উপস্থিতির সাক্ষী রয়েছে ভারতের কাশ্মীর।’ কাশ্মীর প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং পশ্চিমী বিশ্বের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট জয়শঙ্কর। সেই হতাশাও এদিন ব্যক্ত করেছেন তিনি।

  • Uttar Pradesh:‘লুটেরাদের জন্য কোনো উৎসব নয়’, সাম্ভালে মাসুদ ঘাজীর স্মরণে মেলার অনুমতি দিল না পুলিশ

    Uttar Pradesh:‘লুটেরাদের জন্য কোনো উৎসব নয়’, সাম্ভালে মাসুদ ঘাজীর স্মরণে মেলার অনুমতি দিল না পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) সাম্ভালে সৈয়দ সালার মাসুদ ঘাজীর (Syed Salar Masud Ghazi) স্মরণে মেলার অনুমতি দিল না পুলিশ। ১৭ই মার্চ, সাম্ভাল প্রশাসন দৃঢ়ভাবে এমন কোনও ইভেন্টের অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা ঐতিহাসিক আক্রমণকারীদের মহিমা বাড়ায়। সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ শিরীষ চন্দ্র জানিয়েছেন যে, সাম্ভালে প্রতি বছর হোলির পর অনুষ্ঠিত নেজা মেলা এবার অনুষ্ঠিত হবে না। এই মেলা সৈয়দ সালার মাসুদ ঘাজীকে সম্মানিত করার জন্য পালন করা হয়। সালার মাসুদ ঘাজীকে আক্রমণকারী হিসেবে গণ্য করা হয়।

    কেন বন্ধ হল মেলা

    এই মেলা দীর্ঘদিন ধরে সাম্ভাল জেলার মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে পালন করা হত। সম্প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা এই মেলার বিরুদ্ধে আপত্তি জানানোর পর, পুলিশ প্রশাসন এ বছর এই উৎসবের অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রশাসনের মতে, সালার মাসুদ ঘাজী জাতির জন্য ক্ষতিকারক ছিলেন, এবং তাঁকে সম্মান জানানো এ ধরনের ইভেন্টে অশোভনীয় হবে। সাম্ভালের (Syed Salar Masud Ghazi) সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ শিরীষ চন্দ্র তিনি বলেন, “যারা সোমনাথ মন্দিরের মত স্থানে লুটপাট করেছে, তাদের সম্মাননা দেওয়া উচিত নয়। কোনো লুটেরার নামে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হবে না। যদি কেউ এমন কিছু করার চেষ্টা করেন, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন, “যারা দেশের বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে, তাদের সমর্থন করা মানে দেশদ্রোহিতা করা। যারা এই ধরনের অপরাধী ব্যক্তিদের উৎসব উদযাপন করতে চান, তারা দেশ ও সমাজের ক্ষতি করতে চাইছেন।”

    কে সালার মাসুদ

    সালার মাসুদ ঘাজী (Syed Salar Masud Ghazi) ছিলেন মহমুদ গজনির আত্মীয়। উল্লেখ্য, ১১ শতকে সালার মাসুদ ভারতবর্ষে আক্রমণ চালান। বহু হিন্দু মন্দির ও মঠ ধ্বংস করেন তিনি। তাঁর অভিযান ভারতের একাধিক অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে, অবশেষে ১০৩৪ খ্রিস্টাব্দে রাজা সুহেলদেবের নেতৃত্বে বাহরাইচের যুদ্ধে তার অগ্রগতি রোধ করা হয়।

  • ED Raid in Bengaluru: বেঙ্গালুরুতে জর্জ সোরসের সংস্থায় ইডি হানা, কী মিলল মার্কিন ধনকুবেরের অফিসে?

    ED Raid in Bengaluru: বেঙ্গালুরুতে জর্জ সোরসের সংস্থায় ইডি হানা, কী মিলল মার্কিন ধনকুবেরের অফিসে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন ধনকুবের জর্জ সোরসের (George Soros) সংস্থা ওপেন সোসাইটি ফেডারেশনের (Open society Foundation) বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) অফিসে মঙ্গলবার সকাল থেকে তল্লাশি চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বিদেশি অর্থ লেনদেনে (Foreign exchange management act) অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে এই অভিযান বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তদন্তকারীরা অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে চায়নি।

    কী অভিযোগ

    মার্কিন ধনকুবের জর্জ সোরসের ওই সংস্থা দেশে দেশে গণতন্ত্রের বিকাশে কাজ করে থাকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সময়ে ভারতে গণতন্ত্র বিপন্ন বলে সোরস অতীতে একাধিক বার সরব হয়েছেন৷ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সরাসরি কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করার প্রস্তাব দেন তিনি। বিজেপির অভিযোগ রাহুল গান্ধী আসলে সোরসের সংস্থার উসকানিতে দেশে-বিদেশে গণতন্ত্র বিপন্নতা নিয়ে সরব। মার্কিন এই ধনকুবেরের সংস্থা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নামে দেশে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে থাকে বলে নানা সময়ে অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশে পালা বদলের পিছনেও সোরসের সংস্থার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে্। সেই ধারণা আরও জোরদার হয় সোরস পুত্র বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করার পর। বাংলাদেশে পালা বদলের পর বাস্তব ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার বার বার খর্ব হয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ধর্মীয় স্বাধীনতা বিপন্ন। সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চলছা।

    বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘন

    ভারতে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের কুনজরে রয়েছে ওএসএফ। বিদেশি মুদ্রা আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। বছর তিন আগে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের (Amnesty International) দিল্লি ও মুম্বইয়ের দফতরে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। ওই সংস্থার বিরুদ্ধেও বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। তল্লাশির পর থেকে ভারতে ওই সংস্থার কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। এবার পালা ওপেন সোসাইটি ফেডারেশনের।

LinkedIn
Share