Author: ishika-banerjee

  • Mohun Bagan: পর পর দু’বার! দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই আইএসএল লিগ-শিল্ড জয়ের ইতিহাস মোহনবাগানের

    Mohun Bagan: পর পর দু’বার! দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই আইএসএল লিগ-শিল্ড জয়ের ইতিহাস মোহনবাগানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাকি তিন ম্যাচের মধ্যে প্রয়োজন ছিল একটি জয়। আর অপেক্ষা নয়, ঘরের মাঠেই সেই লক্ষ্যে সফল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। ইনজুরি টাইমে দিমিত্রি পেত্রাতোসের গোল। আর কোনও অঙ্ক নয়। মোহনবাগান লিগ-শিল্ড (ISL League Shield Champion) ধরে রাখল। আইএসএলে টানা দু-বার লিগ শিল্ড জয়ের ইতিহাস মোহনবাগানের। এর আগে কোনও টিমের এই কৃতিত্ব ছিল না। ২২ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ-শিল্ড জিতলেও এখনই তা পাচ্ছে না মোহনবাগান। ৮ মার্চ যুবভারতীতে নিজেদের শেষ ম্যাচে শিল্ড তুলবে তারা।

    পেত্রাতোসের গোলেই জয়

    সেই দিমিত্রি পেত্রাতোস। মোহনবাগান (Mohun Bagan) জনতার নয়নের মণি। গত মরসুমে দুর্দান্ত খেলেছিলেন। কিন্তু এবার চোট পাওয়ার পরে গোল পাচ্ছিলেন না। চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু হচ্ছিল না। সেই পেত্রাতোসের গোলেই লিগ-শিল্ড জিতল মোহনবাগান। এদিন খেলার শুরু থেকেই মোহনবাগান আক্রমণাত্মক ছিল। প্রথমার্ধেই বেশ কয়েক বার গোলের কাছে পৌঁছে যায় মোহনবাগান। কিন্তু গোলমুখ খুলতে পারছিলেন না ম্যাকলারেনরা। দ্বিতীয়ার্ধেও একই ছবি। অবশেষে ৯৩ মিনিটের মাথায় বাঁ পায়ের শটে গোল করে সোজা গ্যালারির কাছে ছুটে গেলেন পেত্রাতোস। সবুজ-মেরুন সমর্থকদের কাছে। যে সমর্থকেরা কঠিন সময়ে তাঁর উপর বিশ্বাস রেখেছেন, ভরসা দেখিয়েছেন, সেই জনতার সঙ্গে উল্লাস করলেন। দেখা গেল পেত্রাতোসের পরিচিত ‘স্টেনগান’ সেলিব্রেশন। গোটা দল তখন উচ্ছ্বাসে ব্যস্ত। পেত্রাতোসের গোলের পর মাঠে নেমে উচ্ছ্বাসে ভাসলেন কোচ হোসে মোলিনাও। তাঁর কাছেও এটা ছিল পরীক্ষা।

    এবার নকআউট ট্রফিই লক্ষ্য

    এ মরসুমে শুরুর দিকে অস্বস্তিতে ছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। কোচ বদল হয়। হোসে মোলিনা দায়িত্ব নিয়ে আগে রিজার্ভ বেঞ্চ শক্তিশালী করার দিকে নজর দেন। তাঁর লক্ষ্য সফল হয়েছিল। টানা জয়ের মাঝেও বেশ কিছু ড্রয়ে অস্বস্তি বেড়েছিল। আবারও ঘুরে দাঁড়ায় মোহনবাগান। অবশেষে একটা লক্ষ্য পূরণ। টানা দ্বিতীয় বার আইএসএলে লিগ-শিল্ড (ISL League Shield Champion) জয়। এই প্রথম বার আইএসএলের ইতিহাসে কোনও দল ৫০-এর বেশি পয়েন্ট পেল। এখনও দু’টি ম্যাচ বাকি বাগানের। কাজও বাকি। এবার একসঙ্গে দুটো ট্রফি জেতাতেই নজর সবু-মেরুন সমর্থকদের। গত সংস্করণে আইএসএল লিগ-শিল্ড জিতলেও নকআউট ট্রফি আসেনি। এবার নকআউট ট্রফিই লক্ষ্য মোহনবাগানের।

  • Virat Kohli: পাক-বধে কিং কোহলি! বিরাটের শতরানে কার্যত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ চারে ভারত

    Virat Kohli: পাক-বধে কিং কোহলি! বিরাটের শতরানে কার্যত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ চারে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়ের জন্য ভারতের দরকার ২ রান, আর চার রান পেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) প্রথম শতরান হবে কোহলির (Virat Kohli)। গ্যালারি তখন পিন ড্রপ সাইলেন্ট, ডাগ আউটে অধিনায়ক রোহিতের গালে হাত! কিসের চিন্তা? ভারত তো জিতেই গিয়েছে, শুধু সময়ের অপেক্ষা। না অপেক্ষা শতরানের, বিরাট ইনিংসের রাজকীয় সমাপন। গ্যালারির তখন একটাই প্রার্থনা বাউন্ডারি। এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। খুশদিল শাহকে কভারের উপর দিয়ে চার মেরে দেশকে জেতানোর পর বুকে বার বার হাত ঠেকিয়ে বিশেষ একটি ভঙ্গি করতে দেখা গেল তাঁকে। যেন গ্যালারির দিকে তাকিয়ে বলতে চাইছেন, “ম‍্যায় হুঁ না!”

    পাকিস্তানের বিপক্ষে বিরাট ইনিংস

    পাকিস্তানকে দেখলেই যেন বাড়তি এনার্জি পান বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ২০১২ এশিয়া কাপে ১৮৩। ২০১৫ এক দিনের বিশ্বকাপে ১০৭। ২০২৩ এশিয়া কাপে ১২২। ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত ১০০। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত খেলতে নামবে আর তাঁর ব্যাটে রান দেখা যাবে না, এমন খুব কমই হয়েছে। ফর্ম, অবসর, শেষ আইসিসি প্রতিযোগিতা ইত্যাদি আলোচনায় জল ঢেলে কোহলি আরও এক বার বুঝিয়ে দিলেন, তিনি ফুরিয়ে যাননি। তিনি আছেন। আর বিপক্ষে পাকিস্তান হলে, তাঁর ব্যাট কথা বলবেই।এদিন শুরু থেকে সতর্ক ব্যাটিং করেন। লেগ স্পিনার আবরার আহমেদের বোলিংয়ে অতিরিক্ত ঝুঁকি নেননি। বরং নিজের ইনিংসটাকে হিসেব করে সাজিয়েছিলেন। অবশেষে ১১১ ডেলিভারিতে সেঞ্চুরি। ওয়ান ডে কেরিয়ারে সেঞ্চুরির নিরিখে মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরকে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপেই ছাপিয়ে গিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। এদিন ওডিআইতে ৫১তম সেঞ্চুরি করলেন কিং কোহলি।

    কার্যত বিদায় পাকিস্তানের

    তারকারা বড় মঞ্চেই জ্বলে ওঠেন। বিরাট কোহলি (Virat Kohli) তা আবার প্রমাণ করলেন। দুবাইয়ে রবিবাসরীয় ভারত-পাক মহারণে ভিকে সত্যিই ভেরি ভেরি স্পেশাল। তাঁর দুরন্ত শতরানে ভর করেই পাকিস্তান বধ রোহিত ব্রিগেডের। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে শুধু হারানো নয়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকেই কার্যত ছিটকে দিলেন মহাতারকা। ভারতের সেমি-ফাইনালে জায়গাও প্রায় নিশ্চিত করলেন বিরাট। কিন্তু ম্যাচের নায়ককে আবেগে ভাসতে দেখা গেল না। বললেন, “সত্যি বলতে, যে ভাবে খেলেছি সেটা এই ধরনের ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। রোহিতকে শুরুতেই হারানোর পর ম্যাচ জেতানোর পিছনে নিজে অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে। আগের ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমি নিজের খেলার ধরন জানি। তাই বাইরের কোনও আওয়াজ শুনি না। নিজের মতো থাকি, নিজের শক্তি এবং ভাবনাচিন্তার খেয়াল রাখি। প্রত্যাশার চাপে মাথা ঘুরে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই আমি বর্তমানে বাঁচতে ভালবাসি এবং প্রতিটা সুযোগে দলের জন্য কিছু করতে চাই। প্রতিটা বলে ১০০ শতাংশ দেওয়াই আমার লক্ষ্য।”

  • Sniper Rifle: নিখুঁত নিশানা! দেড় কিমি দূর থেকেই লক্ষ্যভেদ, ভারতীয় সাবর হারাল মার্কিন ব্যারেট-কে

    Sniper Rifle: নিখুঁত নিশানা! দেড় কিমি দূর থেকেই লক্ষ্যভেদ, ভারতীয় সাবর হারাল মার্কিন ব্যারেট-কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের হাত ধরে অস্ত্রের জগতে ভারত ক্রমাগত শক্তি বাড়াচ্ছে। ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (NSG) বৃহস্পতিবার অল ইন্ডিয়া পুলিশ কমান্ডো প্রতিযোগিতায় (All India Police Commando) কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং রাজ্যগুলির কমান্ডো শাখাকে পরাজিত করে স্নাইপার (Sniper Rifle) বিভাগে জিতেছে। দেশে তৈরি স্নাইপার রাইফেল এবার টেক্কা দিয়েছে তার বিদেশি প্রতিদ্বন্দ্বীদের।

    রাইফেলের নিখুঁত নিশানা

    সর্বভারতীয় পুলিশ কম্যান্ডো প্রতিযোগিতার স্নাইপার (Sniper Rifle) ক্যাটেগরিতে ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড’ (এনএসজি) বাহিনী ‘সাবার’ ব্যবহার করেই ছিনিয়ে এনেছে সেরার সম্মান। এর পোশাকি নাম .৩৮৮ লাপুয়া ম্যাগনাম। এই অস্ত্র প্রায় দেড় কিলোমিটার দূর থেকে নিখুঁত নিশানায় আঘাত করতে পারে শত্রুকে! শুধু নিখুঁত লক্ষ্যভেদই নয়, প্রাণঘাতী আঘাত-সহ সমস্ত মাপকাঠিতেই ‘নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী’ আমেরিকায় তৈরি ৫০ ক্যালিবারের ‘ব্যারেট’কে পিছনে ফেলেছে ‘সাবার’। ওই স্নাইপার রাইফেল ব্যবহার করে দ্বিতীয় হয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিশের বিশেষ সন্ত্রাসদমন কম্যান্ডো বাহিনী ‘ফোর্স ওয়ান’।

    চাহিদা বাড়বে

    প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের ইছাপুর রাইফেল (Sniper Rifle) ফ্যাক্টরিতে প্রায় দেড় দশক আগে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছিল প্রথম স্নাইপার রাইফেল ‘ঘাতক’। বিভিন্ন রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশবাহিনী এবং কেন্দ্রীয় আধাসেনা ব্যবহার করে। রাইফেল সাবার সম্পূর্ণরূপে ভারতে তৈরি। এর ডিজাইনও শুধুমাত্র ভারতে করা হয়েছে। এই রাইফেল দিয়ে দেড় কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত নির্ভুল নিশানা করা যায়। বেঙ্গালুরুর ছোট আগ্নেয়াস্ত্র প্রস্তুতকারক এসএসএস ডিফেন্সের তৈরি .৩৮৮ লাপুয়া ম্যাগনাম ইতিমধ্যেই বিদেশের কয়েকটি কম্যান্ডো বাহিনী ব্যবহার করে। উৎকর্ষের নতুন মাত্রায় পৌঁছোনোর ফলে তার চাহিদা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশীয় প্রযুক্তির গর্ব

    ‘সাবার’ ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি একটি স্নাইপার রাইফেল (Sniper Rifle) । এর সাফল্য দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একটি বড় অর্জন। এটি প্রমাণ করে যে ভারত এখন আন্তর্জাতিক মানের সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করতে সক্ষম। সাবার’-এর সাফল্য ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটি দেশের সামরিক সক্ষমতাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে।

  • ICC Champions Trophy: ফেবারিট ভারত, মরণ-বাঁচন ম্যাচ পাকিস্তানের! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এগিয়ে কোন দল?

    ICC Champions Trophy: ফেবারিট ভারত, মরণ-বাঁচন ম্যাচ পাকিস্তানের! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এগিয়ে কোন দল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপার সানডে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) আাগমী কাল ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারত খেলতে নামবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতে এগিয়ে রয়েছে ভারত। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারায় রবিবার মরণ-বাঁচন‌ ম্যাচ পাকিস্তানের। তবে, বাংলাদেশ ম্যাচে জয় পেলেও ভারতীয় দল কিন্তু পয়েন্ট তালিকায় ২ নম্বরে। তাই পাকিস্তানকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ স্থানে ওঠাই লক্ষ্য ভারতের।

    কে কোন ম্যাচে এগিয়ে

    সাম্প্রতিক সময় আইসিসি (ICC Champions Trophy) ইভেন্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দাপট দেখিয়েছে ভারত। ওডিআই বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে যখনই খেলতে নেমেছে তখনই হারের মুখ দেখেছে পাকিস্তান। কিন্তু আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আবার এগিয়ে পাকিস্তানই। মিনি বিশ্বকাপে এই দুই দল ৫ বার মুখোমুখি হয়েছে। এরমধ্যে তিনবার জয় পেয়েছে পাকিস্তান, দুবার জিতেছে ভারত। ২০০৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। সেই ম্যাচে পাকিস্তান সহজেই জিতে যায়। ২০০৯ সালে সেঞ্চুরিয়ানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হয় ভারত পাক। শোয়েব মালিকের শতরানে ভর করে সেই ম্যাচেও জয় পায় পাকিস্তান। ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথমবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের মুখ দেখে ভারত। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানকে হেলায় হারায় ভারত। কিন্তু ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরেই ট্রফি জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয় ভারতের।

    চালকের আসনে ভারতই

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) ফলাফল যাই-হোক না কেন গত দেড় দু’দশক ধরে ভারতই পাকিস্তানের উপর কর্তৃত্ব করছে ৷ এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের দল পাকিস্তানের থেকেও শক্তিশালী ৷ রবিবার দুবাইয়ে রোহতরাই ফেবারিট হিসেবে মাঠে নামবেন। এই ম্যাচকে ঘিরে গোটা বিশ্ব অপেক্ষা করে রয়েছে। ২২ গজে আরও একবার মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। মেগা ম্যাচ ঘিরে চড়তে শুরু করেছে পারদ। দুই দলের সমর্থকরা ভিড় জমাচ্ছেন। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা ইতিমধ্যেই বলেছেন, ‘‘ব্যাটিং অর্ডারে আমাদের প্রথম চার জন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। সেখানে কোনও বদল হবে না। তার মধ্যে অন্তত একজনকে সেঞ্চুরি করতে হবে। বিশ্বকাপে আমরা খুব বেশি সেঞ্চুরি না করেও বড় স্কোর করেছি। প্রত্যেকেই ব্যক্তিগত সাফল্যের দিকে না তাকিয়ে দলগত প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। এখানেও যদি আমাদের ৭-৮ জন সেই ভাবে চেষ্টাটা চালাতে পারে, তবে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।’’

    ভারতীয় দল: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, কেএল রাহুল, ঋষভ পন্ত, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব, হর্ষিত রানা, মহম্মদ শামি, আর্শদীপ সিং, রবীন্দ্র জাদেজা, বরুণ চক্রবর্তী।

    পাকিস্তান দল: মহম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), বাবর আজম, ইমাম-উল-হক, কামরান গুলাম, সউদ শাকিল, তায়েব তাহির, ফাহিম আশরাফ, খুশদিল শাহ, সলমন আলি আঘা, উসমান খান, আবরার আহমেদ, হ্যারিস রউফ, মহম্মদ হাসনাইন, নাসিম শাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদি।

  • Kash Patel: ‘‘কাশকে সবাই পছন্দ করে’’, বললেন ট্রাম্প, গীতা ছুঁয়ে শপথ নিলেন নয়া এফবিআই প্রধান

    Kash Patel: ‘‘কাশকে সবাই পছন্দ করে’’, বললেন ট্রাম্প, গীতা ছুঁয়ে শপথ নিলেন নয়া এফবিআই প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গীতা ছুঁয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের প্রধান হিসাবে শপথ গ্রহণ করলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ্যপ ওরফে কাশ প্যাটেল (Kash Patel)। তিনি জানান, এফবিআই-এ “সততা এবং ন্যায়বিচার পুনরুদ্ধার” করার সময় এসেছে। এফবিআই-র প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডিরেক্টর প্যাটেল। এ দিন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি তাঁকে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন-এর নবম পরিচালক হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ বাক্য পাঠ করান।

    কাশকে কেন পছন্দ ট্রাম্পের

    আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ ঘনিষ্ঠ কাশ (Kash Patel)। তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও ট্রাম্প উপস্থিত ছিলেন। কেন তিনি কাশকে পছন্দ করেন, কেন তাঁকেই এই পদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলে মনে হয়, জানিয়েছেন ট্রাম্প। শনিবার হোয়াইট হাউসের ইইওবি ভবনে ভারতীয় চুক্তি কক্ষে কাশের শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এফবিআইয়ের ডিরেক্টর হিসাবে শপথগ্রহণের সময়ে গীতার উপরে হাত রেখেছিলেন কাশ। ট্রাম্প বলেন, ‘‘কাশকে আমি পছন্দ করি। এই কাজের দায়িত্ব উনি পান, আমি চেয়েছিলাম। তার অন্যতম কারণ হল, এফবিআইয়ের সমস্ত এজেন্ট ওঁকে ভীষণ সম্মান করেন। এই পদের জন্য উনিই সবচেয়ে উপযুক্ত।’’ শপথের অনুষ্ঠানে কাশকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।

    গীতা হাতে শপথ

    ৪৪ বছরের কাশের (Kash Patel) শিকড় রয়েছে ভারতে। গুজরাটের আনন্দ জেলার ভদ্রন গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তাঁরা। তাই হিন্দু সংস্কৃতির মতোই গীতা হাতে শপথ নেন কাশ। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্যাটেলের বান্ধবী এবং পরিবারের সদস্যরা। পথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের শেষে মার্কিন জনসাধারণের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্যাটেল। তিনি বলেন, ‘‘আমি আমেরিকানদের স্বপ্নের মধ্যেই বেঁচে আছি। যারা মনে করেন আমেরিকানদের স্বপ্নের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা সামনের দিকে তাকিয়ে দেখুন। আমি একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত হয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার নেতৃত্ব দিতে চলেছি। এটি অন্য কোথাও ঘটতে পারত না।’’

  • USAID Fund Controversy: ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ উদ্বেগের’, ১৮২ কোটি মার্কিন অনুদান নিয়ে মত মোদি সরকারের

    USAID Fund Controversy: ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ উদ্বেগের’, ১৮২ কোটি মার্কিন অনুদান নিয়ে মত মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ (USAID Fund Controversy) করেছিল জো বাইডেন প্রশাসন। তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। শুক্রবার সেই বিষয় নিয়ে মত প্রকাশ করল নয়াদিল্লি (Modi Govt)। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (MEA) জানিয়েছে, বিষয়টি উদ্বেগজনক। গোটা বিষয় সংশ্লিষ্ট দফতর খতিয়ে দেখছে বলেও জানান বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

    বিদেশমন্ত্রকের অভিমত

    সম্প্রতি, আমেরিকার সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতর ভারত-সহ একাধিক দেশে বরাদ্দ (USAID Fund Controversy) বাতিলের কথা জানায়। ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন এই দফতর জানায়, ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধি করতে আমেরিকা যে ১৮২ কোটি টাকা (ভারতীয় মুদ্রায়) দিয়েছিল, তা দেওয়া বন্ধ করা হচ্ছে। শুক্রবার এ বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের (Modi Govt) মুখপাত্র রণধীর বলেন, ‘‘সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসনের তরফে তহবিল সম্পর্কিত কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে, যা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।’’ তার পরই রণধীর জানান, ভারত সরকার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। পুরো বিষয়টি যাচাই না করে জনসমক্ষে মন্তব্য করা অনুচিত বলে মনে করেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘‘আমেরিকার কয়েকটি কাজ এবং অর্থ জোগান নিয়ে মার্কিন প্রশাসন যে তথ্য সামনে এনেছে, সেটা আমরা দেখেছি। বিষয়টির গভীরে গিয়ে পরবর্তীকালে আমরা ওই নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারব বলে আশা করছি।”

    কী বলেছিলেন ট্রাম্প

    উল্লেখ্য, ওয়াশিংটনে রিপাবলিকান গভর্নরস অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘ভারতে ভোটাদানের (USAID Fund Controversy) হার বৃদ্ধি করার জন্য ২১ মিলিয়ন ডলার (খরচ করা হয়েছে)! ভারতের ভোটদানের হার নিয়ে আমাদের এত মাথাব্যথা কীসের? আমাদের যথেষ্ট সমস্যা আছে। আমরা আমাদের ভোটাদানের হার বাড়াতে চাই।’ এরপরই ভারতে ভোটারদের ভোটমুখী করতে যে অনুদান দেওয়া হয়েছিল, তা বন্ধের কথা জানিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। তাঁর দাবি, “আমার মনে হয়, কাউকে জেতানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা বিষয়টি ভারত সরকারকে জানিয়েছি।” ট্রাম্পের বক্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপির দাবি, ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছেন, তাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী কেন বৈদেশিক সহায়তা চাইছিলেন।

  • Mangalyaan 2: মঙ্গলে অবতরণ! মঙ্গলযান ২ ল্যান্ডার মিশনকে অনুমোদন মহাকাশ কমিশনের

    Mangalyaan 2: মঙ্গলে অবতরণ! মঙ্গলযান ২ ল্যান্ডার মিশনকে অনুমোদন মহাকাশ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের পর এবার মঙ্গল। নতুন মিশনে চোখ ভারতের। মঙ্গল গ্রহে মহাকাশযান অবতরণের জোরদার তৎপরতা চলছে। এই কৃতিত্ব অর্জন করে ফেললে ভারত হবে বিশ্বের চতুর্থ এমন দেশ যারা মঙ্গলে মহাকাশযান পাঠাবে। মার্স ল্যান্ডার মিশন (Mars Lander Mission) আবার মঙ্গলযান-২ (Mangalyaan-2) নামেও পরিচিত। এই মিশনের অনুমোদন দিয়েছে মহাকাশ বিষয়ক কমিশন। এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে এই মিশন। মার্স ল্যান্ডার মিশন ভারতের মহাকাশ গবেষণার চেষ্টাকে প্রসারিত করার একটি বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গির অংশ।

    একের পর এক মিশন ইসরোর

    এই উদ্যোগ নেওয়ার পিছনে যা লক্ষ্য রয়েছে তা হল, ভারত ২০৩৫ সালের মধ্যে মহাকাশে স্পেশ স্টেশন গড়তে চাইছে। ২০৪০-এর মধ্যে প্রথম কোনও ভারতীয়কে চাঁদে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি একাধিক চন্দ্রযান মিশনের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে ইসরো-র। বহু উচ্চাকাঙ্খা সমৃদ্ধ এইসব লক্ষ্য অর্জনের জন্য ভারত নেক্সট জেনারেশন লঞ্চ ভেহিকেল (Next Generation Launch Vehicle)-ও গড়তে উদ্যোগী।

    মঙ্গলযান-২ এর লক্ষ্য

    ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) তাদের মাসিক রিপোর্টে জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ২০ ডিসেম্বর মহাকাশ কমিশনের ১৫৪তম সভায় মঙ্গল ল্যান্ডার মিশন (MLM) অনুমোদন পেয়েছে। এই মিশনের লক্ষ্য হলো মঙ্গলের পৃষ্ঠে একটি ভারতীয় মহাকাশযান অবতরণ করা, যা আগে শুধুমাত্র তিনটি দেশ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। মঙ্গলযান ২, যা মঙ্গল অরবিটার মিশন (MOM)-এর পরবর্তী ধাপ, মঙ্গলে ভারতের দ্বিতীয় অভিযান। মিশনের অংশ হিসেবে, ইসরো একটি স্কাই ক্রেনের মাধ্যমে রেট্রোথ্রাস্টার ব্যবহার করে মঙ্গল পৃষ্ঠে ল্যান্ডারটি হাল্কাভাবে নামানোর পরিকল্পনা করেছে।

    একসময় মঙ্গলে জল ছিল!

    বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে, একসময় মঙ্গলে জল ছিল। এর পৃষ্ঠে তরল প্রবাহিত হয়েছে। এর ফলে প্রাচীন জীবনের কোনো চিহ্ন মঙ্গল মাটিতে থাকতে পারে। ইসরো এই মিশনের (Mangalyaan 2) মাধ্যমে তাই খুঁজে বের করার পরিকল্পনা করেছে। এছাড়া, ইসরো এই অভিযানের জন্য, একটি ছোট ফ্লাইং ড্রোন পাঠানোর পরিকল্পনাও করেছে (ISRO), যা মঙ্গলের পাতলা বায়ুমণ্ডলে কাজ করতে সক্ষম হবে। ড্রোনের পাখা এবং রোটরকে পৃথিবীর তুলনায় অনেক দ্রুতগতিতে ঘুরতে হবে, যাতে তা প্রয়োজনীয় উত্তোলন শক্তি সৃষ্টি করতে পারে।

  • ICC Champions Trophy: মিলছে না ভিসা, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে সমস্যায় পাক সমর্থকরা

    ICC Champions Trophy: মিলছে না ভিসা, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে সমস্যায় পাক সমর্থকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেট জ্বরে কাঁপছে দুবাই। ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) ম্যাচ দেখতে ভিড় উপচে পড়ছে দুবাইয়ের হোটেলে। রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) ম্যাচে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান। দুবাই-এর রাস্তায় এখন নীল ঢেউ। ভারতীয় সমর্থকরা মরু শহরে ভিড় জমিয়েছেন। অন্যদিকে ভিসা সমস্যার জন্য সমর্থক কমেছে পাকিস্তানের।

    কেন ভিসা মিলছে না পাকিস্তানিদের

    সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সহ একাধিক দেশ বারবার পাকিস্তান (ICC Champions Trophy) সরকারের কাছে চিঠি লিখেছে অধিবাসীদের না পাঠানোর জন্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অভিযোগ, পাকিস্তান থেকে সেখানকার বাসিন্দারা কাজের জন্য ভিসা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে গিয়ে ভিক্ষে করে সংসার চালায়। এতে মধ্যপ্রাচ্যের নাম খারাপ হচ্ছে। তাই পাকিস্তানের পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসার নিয়মে কড়াকড়ি করে সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের বহু দেশ। সেই নিয়মের জাঁতাকলে পড়েছে পাকিস্তানের ক্রিকেট সমর্থকরা। পাকিস্তানিরা অতীতে ইউএইতে অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত ছিল। তাদের মধ্যে কিছু অপরাধ যেমন, হুল্লোড় করা, বাজে স্লোগান দেওয়া, অথবা ভিক্ষাবৃত্তি, যা ইউএই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে অগ্রহণযোগ্য। এর ফলস্বরূপ, ইউএই কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানি সমর্থকদের ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে আরও কঠোর পদ্ধতি অনুসরণ করতে শুরু করেছে। গত বছর ডিসেম্বর ২০২৪-এ, পাকিস্তানি সিনেটে একটি প্যানেল জানিয়েছিল যে, ইউএইতে যাওয়ার জন্য পাকিস্তানিদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে, পাকিস্তানি সমর্থকদের জন্য ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।

    ভারতীয় সমর্থকদের নিয়ে সমস্যা নেই

    পাকিস্তানের একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ২৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইতে আয়োজিত হতে চলা ভারত পাকিস্তান ম্যাচের জন্য পাকিস্তানের (ICC Champions Trophy) সমর্থকরা দুবাই যাওয়ার টিকিট কেটে ফেলেছে। কিন্তু দুবাইতে প্রবেশের জন্য ভিসার আবেদন করলেও তাদের আবেদনে সাড়া দিচ্ছে না সে দেশের প্রশাসন। এক্ষেত্রে বেশি সমস্যায় পড়ছে যারা প্রথমবার দুবাইতে যাবে। অনেকে দুবাইতে অতীতে একাধিকবার গিয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। তারা দুবাইয়ের ভিসা পাচ্ছে। কিন্তু যারা প্রথমবার যাচ্ছে তাদের কড়া স্ক্রুটিনির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। অন্যদিকে, ভারতের সমর্থকদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও কঠিন নিয়ম নেই। তাদের আবেদনের দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে।

  • Dwarka: জলের নীচে লীন কৃষ্ণ-কর্মভূমি, ৪ হাজার বছরের পুরনো দ্বারকার সন্ধানে ডুব দিলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা

    Dwarka: জলের নীচে লীন কৃষ্ণ-কর্মভূমি, ৪ হাজার বছরের পুরনো দ্বারকার সন্ধানে ডুব দিলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীকৃষ্ণের কর্মভূমি ছিল দ্বারকা নগরী। ৪ হাজার বছরের পুরনো এক শহর। এখানেই রাজপাট চালিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। এবার সেই দ্বারকায় সমুদ্রের নীচে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের খোঁজে নামল ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বা এএসআই-এর আন্ডারওয়াটার আর্কিওলজি উইং। বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই দল গুজরাটের দ্বারকাধীশ মন্দির উপকূলে ও বেট দ্বারকায় সমুদ্রের নিচে হারিয়ে যাওয়া ৪ হাজার বছরের পুরনো শহরের সন্ধান করবে। এই প্রথম মহিলা ডুবুরি-বিজ্ঞানীরাও এই কাজে হাত লাগিয়েছেন। সমুদ্র গর্ভে দেশের ঐতিহ্যশালী ও সাংস্কৃতিক পরম্পরা কী ছিল, তারই খোঁজ শুরু হয়েছে।

    দুই দশক পর ফের অনুসন্ধান

    ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে শেষবার খননকার্য চালানো হয়েছিল দ্বারকা এবং বেট দ্বারকা অঞ্চলে। প্রায় দুই দশক পর, এবার ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার আন্ডারওয়াটার আর্কিওলজি উইং-এর একটি দল, সমুদ্রের নীচে চলে যাওয়া প্রাচীন বাণিজ্য নগরীর রহস্য উন্মোচন করতে ডুব দিচ্ছেন গুজরাট উপকূলবর্তী আরব সাগরে। বিভিন্ন সময়ে পাওয়া নিদর্শন থেকে মনে করা হয়, এই অঞ্চলে প্রায় ৪০০০ বছর পুরনো এক বন্দর-শহর ছিল। যেখানে বিভিন্ন দেশের জাহাজ আসা-যাওয়া করত। এই রহস্য ও কৌতূহলের নিরসন করতেই গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (প্রত্নতত্ত্ব) অধ্যাপক অলোক ত্রিপাঠীর নেতৃত্বে এএসআই-এর পাঁচ প্রত্নতাত্ত্বিকের একটি দল দ্বারকার উপকূলে জলের নীচে ডুব দিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছেন। দলে রয়েছেন তিন মহিলা— অপরাজিতা শর্মা, পুনম বিন্দ এবং রাজকুমারী বারবিনা। দলের পঞ্চম সদস্য হলেন সহায়তা করেছেন এইচ এ নায়েক।

    কৃষ্ণের কর্মভূমি

    পুরাণে বর্ণিত সপ্তপুরীর অন্যতম দ্বারকা। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, ডুবে যাওয়া প্রাচীন শহর দ্বারকা ছিল কৃষ্ণের কর্মভূমি। লোকশ্রুতি অনুযায়ী, শ্রীকৃষ্ণের দেহাবসানের পরই সূচনা হয় কলিযুগের। আর তখনই দ্বারকা বিলীন হয়ে যায় সমুদ্রগর্ভে। মথুরা থেকে দ্বারকায় এসে কৃষ্ণ নতুন করে যদুবংশ স্থাপন করেছিলেন। গুজরাটের প্রভাসেই দেহত্যাগ করেন কৃষ্ণ। সেই আমলেও দ্বারকার অস্তিত্বের প্রমাণ মেলে। পরে প্রাকৃতিক কারণে সমুদ্র এগিয়ে আসায় অতীতের দ্বারকা বিলীন হয়ে যায় বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

    প্রত্নতত্ত্ব এবং পৌরাণিক কাহিনীর মিল

    প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে, এই ডুবন্ত শহরের কাঠামো এবং কিছু প্রাপ্ত বস্তু হয়তো প্রাকৃতিক গঠন হতে পারে অথবা এগুলির বয়স এবং সময়কাল নিশ্চিত করা কঠিন। তবে, এটি এক বিশাল অধ্যায়ের শুরু যেখানে পৌরাণিক কাহিনী এবং ইতিহাস একত্রিত হতে পারে। ডুবন্ত দ্বারকায় অনেক প্রাচীন বস্তু এবং কাঠামো পাওয়া গিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সুরক্ষা প্রাচীর, পাথরের ব্লক, পিলার, স্টোন অ্যাঙ্কর এবং সেচ ব্যবস্থার অবশেষ রয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত শহরের প্রমাণ হতে পারে, যা প্রাচীন কাল থেকে ঐতিহাসিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। এই অনুসন্ধানগুলির মাধ্যমে আর্কিওলজিস্টরা মহাকাব্য মহাভারতের দ্বারকা শহরের সঙ্গে ঐতিহাসিক দ্বারকার সম্পর্ক সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহের আশা করছেন। এএসআই এর গবেষণা, পৌরাণিক কাহিনী এবং বাস্তবতার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে সহায়ক হবে। যা ভারতের প্রাচীন অতীতকে আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করতে সাহায্য করবে।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির দ্বারকা দর্শন

    প্রাথমিক তদন্তের জন্য এএসআই গোমতী ক্রিকের কাছে একটি এলাকা বেছে নিয়েছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বারকাধিশ মন্দির পরিদর্শনের সময় স্কুবা গিয়ার পরে দ্বারকা উপকূলবর্তী সমুদ্রের নীচে ডুব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পর তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সমুদ্রের গভীরে গিয়ে প্রাচীন দ্বারকা শহর দর্শন করেছি। প্রত্নতাত্ত্বিকরা জলের নীচে লুকিয়ে থাকা দ্বারকা শহর সম্পর্কে অনেক কিছু লিখেছেন। আমাদের ধর্মগ্রন্থেও দ্বারকার কথা বলা হয়েছে।’ তার প্রায় এক বছর পর শুরু হলো নয়া অনুসন্ধান।

    রহস্য উন্মোচন শুরু ১৯৩০ সালে

    দ্বারকার ডুবে থাকা রহস্য উন্মোচনের শুরুটা হয়েছিল ১৯৩০ সালে, হিরানন্দ শাস্ত্রীর হাত ধরে। এর পর ১৯৬৩ সালে জেএম নানাবতী এবং এইচডি সাঙ্কালিয়ার নেতৃত্বে প্রথম বড় মাপের খননকার্য শুরু হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকদের খননকার্যে এই অঞ্চল থেকে প্রচুর প্রাচীন নিদর্শন পাওয়া গিয়েছিল। ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে, প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যে একটি প্রাচীন দূর্গের ভিত পাওয়া গিয়েছিল। ইউনেস্কোর মতে, সম্ভবত এর উপরই এক সময় দাঁড়িয়ে ছিল দ্বারকার প্রাচীন নগরীর দেওয়াল। এ ছাড়া বড় বড় পাথরের ব্লক, স্তম্ভ, পাথরের তৈরি নোঙ্গর এবং সেচখালেরও সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তার আগে ১৯৬৯-৭০ সালে দ্বারকায় সমুদ্রতীরবর্তী অনুসন্ধানে হরপ্পার শেষ থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের অসংখ্য মৃৎপাত্রের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। গত দুই দশকে সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানের ফলে বেট দ্বারকা দ্বীপের উপকূলীয় অঞ্চলে বেশ কয়েকটি প্রাচীন আবাসস্থলও আবিষ্কৃত হয়েছে। সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিক এ এস গৌর জানিয়েছেন, এই স্থানগুলি থেকেও প্রচুর পরিমাণে প্রাচীন মৃৎপাত্র পাওয়া গিয়েছে।

  • Manipur Violence: রাষ্ট্রপতি শাসিত মণিপুরে ‘আল্টিমেটাম’! সাত দিনের মধ্যে অস্ত্র ফেরতের নির্দেশ রাজ্যপালের

    Manipur Violence: রাষ্ট্রপতি শাসিত মণিপুরে ‘আল্টিমেটাম’! সাত দিনের মধ্যে অস্ত্র ফেরতের নির্দেশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত মণিপুরে (Manipur Violence) শান্তি ফেরাতে সক্রিয় কেন্দ্র। হাতে সাতদিন সময়। তার মধ্যেই নির্দেশ মানতে হবে। চূড়ান্ত বার্তা দিয়ে দিলেন মণিপুরের রাজ্যপাল অজয় ভাল্লা। হিংসাবিধ্বস্ত মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন এন বীরেন সিং। নতুন কোনও মুখ্যমন্ত্রী বাছাই না করায় বর্তমানে রাজ্যে জারি রয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। এর মাঝে রাজ্যপাল অজয় ভাল্লা সমস্ত লুট করা অস্ত্রশস্ত্র ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিলেন।

    কী বললেন রাজ্যপাল

    রাজ্যপাল ভাল্লা জানিয়েছেন, সাত দিনের মধ্যে লুটের অস্ত্রশস্ত্র ফেরত দিতে হবে। তা না-করলে কঠোর পদক্ষেপ করবে প্রশাসন। এই সময়কালের মধ্যে যাঁরা বেআইনি অস্ত্র থানায় জমা দিয়ে যাবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে না, জানিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, রাজ্যে স্বাভাবিকতা ফেরাতে সম্প্রদায়দের নিজেদের মধ্যে শত্রুতা থামাতে হবে এবং সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে। যদি সাতদিন সময়ের মধ্যে কেউ অস্ত্র জমা না দেন, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে মে মাস থেকেই জ্বলছে মণিপুর (Manipur Violence)। সংরক্ষণ নিয়ে ভুল তথ্য ঘিরে কুকি ও মেতেই- দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে যে বিরোধ শুরু হয়েছিল, তা বছরের পর বছর ধরে চলছে। হিংসায় এখনও পর্যন্ত শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।

    শান্তি ফেরাতে মরিয়া প্রশাসন

    বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতিতে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘‘মণিপুরের (Manipur Violence) পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। মানুষ যাতে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন, তার বন্দোবস্ত করতে হবে। এর জন্য সমস্ত সম্প্রদায়কেই এগিয়ে আসতে হবে। শত্রুতা মনে রাখলে আর চলবে না। শান্তি বজায় রাখতে হবে।’’ রাজ্যপাল আরও বলেন, ‘‘গত ২০ মাসের বেশি সময় ধরে মণিপুরের মানুষ অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে বাস করছেন। মানুষের জীবন কঠিন হয়ে উঠেছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়েছে। আমি সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসুন এবং বেআইনি অস্ত্রশস্ত্র নিকটবর্তী থানায় জমা দিয়ে যান। আগামী সাত দিনের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করুন। সাত দিন বৃহস্পতিবার থেকে গোনা হবে। মণিপুরে শান্তি ফেরানোর জন্য আপনাদের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত কার্যকরী হবে।’’

LinkedIn
Share