Author: ishika-banerjee

  • Women’s World Cup 2025: পরপর দু’ম্যাচে পরাজয়! জেনে নিন বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে যেতে ভারতের মেয়েদের সমীকরণ

    Women’s World Cup 2025: পরপর দু’ম্যাচে পরাজয়! জেনে নিন বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে যেতে ভারতের মেয়েদের সমীকরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলাদের একদিনের ক্রিকেটের বিশ্বকাপে পরপর দু’ম্যাচে পরাজয়ের একটু বেকায়দায় ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার পর রবিবার বিশাখাপত্তনমে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও হারতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে পরাজিত হয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছানোর পথ এখন অনেকটাই জটিল হয়ে পড়েছে হরমনপ্রীত কৌরদের জন্য। এখন টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে বাকি তিনটি ম্যাচ ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সব কটাতেই জয় দরকার ভারতের, তাহলেই নিশ্চিত হবে শেষ চারে ওঠা। বর্তমানে ভারত পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। বাকি তিনটি ম্যাচ জিতলে তাদের মোট পয়েন্ট হবে ১০।

    সেমিফাইনালের টিকিট কারা পাবে

    মেয়েদের বিশ্বকাপ মোট ৮টি দল নিয়ে হচ্ছে। এর মধ্যে শীর্ষ চার দল সেমিফাইনালে কোয়ালিফাই করবে। অস্ট্রেলিয়া (৪ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট) ও ইংল্যান্ড (৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট) শীর্ষ দুই স্থানে নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছে। কিন্তু ভারত টানা দুই ম্যাচে হেরে যাওয়ায় তিন বা চার নম্বরে জায়গা করে নিতে পারবে কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন। ভারতকে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে এখন সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করতে হবে। কোনও ম্যাচ হারা চলবে না। যেটা ভালো খবর, সেটা হলো, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারলেও পয়েন্ট তালিকায় ভারত (চার ম্যাচে ৪ পয়েন্ট) নিজেদের তিন নম্বর জায়গা ধরে রেখেছে। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ যেটা, সেটা তাদের রানরেট। ভারতের রানরেট বর্তমানে ০.৬৮২। স্বাভাবিক ভাবে রানরেট ভালো হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন স্মৃতি মান্ধানারা। কিন্তু শুধু রানরেট যথেষ্ট নয়, মাঠে নেমে জিততেই হবে। না হলে ভারত শীর্ষ চারের দৌড় থেকে ছিটকে যেতে পারে।

    অস্ট্রেলিয়া ভাল খেললে সহজ হবে ভারতের পথ

    তবে ভারত যদি সব ম্যাচ না জিততেও পারে সেক্ষেত্রে ভাগ্য অনুকূলে থাকলে সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে ভারতের সামনে। কারণ, ভারত, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড এই তিনটি দলই একে অপরের মুখোমুখি হবে বাকি ম্যাচগুলোতে, আর সেই ফলাফলই নির্ধারণ করবে শেষ চারের লড়াইয়ের সমীকরণ। তবে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা এখনও পর্যন্ত মুখোমুখি হয়নি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার। শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে হারানো মোটেই সহজ নয়। ফলে অন্য ম্যাচগুলিতে ফলাফল অস্ট্রেলিয়ার অনুকূলে গেলে ভারত শুধুমাত্র দুটি ম্যাচ জিতেও সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে পারে। আর যদি ১৯ অক্টোবর ইংল্যান্ড, ২৩ অক্টোবর নিউজিল্যান্ড এবং ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ— ভারত যদি এই তিনটি ম্যাচ জেতে, তা হলে সরাসরি সেমিফাইনালে উঠবে।

  • India Afghanistan Relation: মহিলা সাংবাদিকদের নিয়েই সম্মেলন তালিবান মন্ত্রীর! দিল্লিই পারে, দেখাল ভারত সরকার

    India Afghanistan Relation: মহিলা সাংবাদিকদের নিয়েই সম্মেলন তালিবান মন্ত্রীর! দিল্লিই পারে, দেখাল ভারত সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কাজ আমেরিকার মতন রাষ্ট্রশক্তি পারেনি, রাশিয়া পারেনি, ন্যাটো পারেনি— সে কাজ করে দেখাল ভারত সরকার (India Afghanistan Relation)। আদ্যান্ত মহিলা বিরোধী, তালিবান সরকার বাধ্য হল মহিলা সাংবাদিকদের সামনে সাংবাদিক সম্মেলন করতে। যারা মনে করে মেয়েদের জন্মই হয়েছে বংশবিস্তার করার জন্য, যারা মনে করে মেয়েদের চোখ টুকু বাদ দিয়ে পুরো শরীরটাই পর্দা করা দরকার সেই তালিবানরা যখন ভারতে এসে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনটি করে সেখানে মহিলা সাংবাদিক ছিল না। তা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠে। যদিও ভারত সরকার বিবৃতি দেয় যে, আফগান দূতাবাসের ভেতর যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাতে ভারতের কোনও হাত থাকে না। তা সত্ত্বেও একদল বামপন্থী এবং তৃণমূলের লোকজন ভয়ংকর প্রচার চালাচ্ছিল ভারত সরকারের বিরুদ্ধে।

    ভারতের কূটনৈতিক সাফল্য

    ভারত সরকারের (India Afghanistan Relation) অপমান হচ্ছে বুঝতে পেরে এক অভাবনীয় পদক্ষেপ করে তালিবান সরকার। পরের দিন আরও একটি সাংবাদিক সম্মেলন ডাকে তারা এবং অবাক করা বিষয় এইবার সেই সাংবাদিক সম্মেলনে মহিলারা ছিলেন একেবারে সামনের সারিতে। যার পুরোটাই সম্ভব হয়েছে মোদি সরকারের কূটনীতির ফলেই। তাহলে কি তালিবান-রা শুধরে গেল? ভারত বন্ধু হয়ে গেল? হয়ত নয়। বা সেটা বলার সময় এখনও আসেনি। তবে আগের ভারত বিরোধী অবস্থান থেকে যে সরে এসেছে তালিবানরা সেটা স্পষ্ট। চাণক্য বলতেন যখন চারদিকে শত্রু রয়েছে৷ তখন সবার সঙ্গে যুদ্ধ করা সমীচীন নয়৷ শত্রু বন্ধু না হলে, শত্রুতা নিষ্ক্রিয় করো যতটা সম্ভব৷ মোদির ভারত ঠিক এই পদ্ধতিই অবলম্বন করেছে তালিবানের জন্য। পাক সন্ত্রাসবাদী শক্তিকে যতটা দূর্বল করা যায় ততটাই ভারতের জন্য মঙ্গল।

    পাক বিরোধিতায় তালিবান

    পাকিস্তান তাদের জন্ম লগ্ন থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে রেখেছে। সম্মুখ সমরে বার বার হারার পর, ভারতে সন্ত্রাসবাদী পাঠিয়ে আক্রমণ করে গিয়েছে৷ নতুন ভারত পাকিস্তানের ঘরে ঢুকে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি গুড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা দেখিয়েছে৷ কিন্তু শুধু ঘাঁটি গুড়িয়ে দিয়েই থেমে নেই মোদি সরকার। কংগ্রেসের আমলে পাক-মদতপুষ্ট সন্ত্রাসী হানা, প্লেন হাইজ্যাকের মতো একাধিক বিষয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভারত বিরোধী সন্ত্রাসে অংশ নিত তালিবান৷ সেখান থেকে ১৮০ ডিগ্রি উল্টো অবস্থানে পহেলগাঁও হামলার সময় ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের বিরোধিতা করে তালিবান৷

    আফগান নীতি বদল করে মোদি সরকার

    ভারতের আফগানিস্তান (India Afghanistan Relation) বিজয়ের চেষ্টা বেশ কয়েক বছর আগের৷ ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসে আফগান নীতি বদল করে মোদি সরকার৷ আফগানিস্তানে পরিকাঠামো উন্নয়ন, সড়ক, হাসপাতাল, সহ একাধিক ক্ষেত্রে প্রচুর বিনিয়োগ করা শুরু করে ভারত। ভারতের সাহায্যে একাধিক ব্রিজ নির্মাণ হয় আফগানিস্তানে৷ এমনকি ক্রিকেটের মতো খেলার পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রেও ভারত আফগানিস্তানে বিনিয়োগ করে। তালিবানরা আফনাগিস্তানে ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই আফগানদের ভারত নির্ভরশীলতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল মোদি সরকার৷

    ভারত-পাক-আফগানিস্তান ত্রিদেশীয় সম্পর্কে নয়া মোড়

    ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালিবান৷ সে সময়ও খবুই সাবধানী তালিবান নীতি নিয়েছিল ভারত৷ সে সময় তালিবান শাসকদের সরাসরি সরকার না বলে, ‘আফগানিস্তানে যারা শাসন ক্ষমতা নিয়েছে’ বলে উল্লেখ করে৷ এমনকি ২০২১-২২ সালে আফগানিস্তান দূতাবাসে শুধুমাত্র টেকনিক্যাল কিছু সদস্য রেখে বাকিদের সুরক্ষার কারণে ফিরিয়ে এনেছিল ভারত৷ শাসন ক্ষমতা দখল করেও ভারত বিরোধিতার রাস্তায় হাঁটেনি তালিবানরা৷ উল্টে বারবার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে আফগানিস্তানের তালিবান শাসকরা৷ যে তালিবানরা ভারত-পাক সীমান্ত সমস্যায় পাকিস্তানকে শক্তি যুগিয়ে আসত তারাই এখন ভারতের পাশে। তালিবান-পাকিস্তান সীমান্ত সমস্যা তো রয়েছেই কিন্তু মোদি সরকারের ভবিষ্যতমুখী আফগান নীতিই ভারত-পাক-আফগানিস্তান ত্রিদেশীয় সম্পর্ককে নতুন সুতোয় বুনছে৷

    কেন প্রথমে কিছু বলেনি ভারত

    ভারতে আফগান (India Afghanistan Relation) দূতাবাসে বসে তালিবান বিদেশমন্ত্রী একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। যেখানে মহিলা সংবাদিকদের জায়গা না দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে বিরোধীরা৷ বাম-কংগ্রেস-নকশালপন্থী সাংবাদিক-ব্লগার-বুদ্ধিজীবীরা এই ইস্যুতে মোদি সরকারকে আক্রমণ করতে মাঠে নেমে পড়েন। বিরোধীদের অদ্ভুত যুক্তি হল, আফগান বিদেশমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনে মহিলা সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার এটা কী করে মেনে নিতে পারে! কিন্ত প্রশ্ন হল কোথায় হল এই সাংবাদিক সম্মেলন? সাউথ ব্লকে? খুব সাধারণ উত্তর, না। এই সাংবাদিক সম্মেলন হয়েছে আফগান দূতাবাসে। তালিবান নেতা ওমর আল মুত্তাকির এই সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

    ভিয়েনা কনভেনশন-এর যুক্তি

    ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশনস, ১৯৬১-এর ধারা ২২ এর ১, ২২ এর ২ এবং ২২ এর ৩ অনুযায়ী কোন দেশে বিদেশি রাষ্ট্রের দূতবাস বিশেষ কিছু ক্ষমতা ভোগ করে। ধারা ২২ এর ১ এ বলা হয়েছে দূতাবাসের জায়গায় অন্যরা যখন তখন ঢুকে পড়বে না৷ অর্থাৎ ভারতের কোনও সরকারি আধিকারিককে কোনও দূতাবাসে ঢুকতে হলে সেই দেশের অনুমতি নিতে হবে৷ আতিথ্যদানকারী দেশ (host country) দূতাবাসের প্রাঙ্গণে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করতে পারে না বা সেখানে তাদের নিজস্ব আইন প্রয়োগ করতে পারে না। সংবাদ সম্মেলনের জন্য কাকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে, তা সম্পূর্ণভাবে দূতাবাসের নিজস্ব সিদ্ধান্ত বা অধিকার।

    মিথ্যে ন্যারেটিভ দিয়ে মোদি সরকারকে আক্রমণ

    মজার বিষয় হচ্ছে যারা সব ইস্যুতে মিথ্যে ন্যারেটিভ দিয়ে মোদি সরকারকে আক্রমণ করতে রাস্তায় নামে তাদেরও অনেকে এই ভিয়েনা কনভেনশনটি জানেই না৷ অনেকে আবার জেনে বুঝে মোদি-বিরোধী মিথ্যে প্রচারটি করছিলেন৷ ২০২২ সালে আফগানিস্তানে মেয়েদের উপর যখন একের পর এক শাসন চাপিয়ে দিচ্ছে তালিবানরা তখন ভারত সেই নীতির বিরোধিতা করে স্পষ্ট বলেছিল, ‘আফগানিস্তানে তালিবানের নারী নীতি উদ্বেগজনক। নারী সুরক্ষা ও স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দিয়ে আফগানিস্তানকে এগিয়ে নিয়ে যাক তালিবান। স্পষ্টতই ভারতের আফগান নীতি ভারতের শর্তে। অন্য কারও চাপিয়ে দেওয়া নীতির কারণে বা পিছু হঠে নয়।

    নতুন ধারণা তৈরি করতে মরিয়া তালিবান

    তালিবান মানেই ‘নারীবিদ্বেষী’, এই ধারণা ভাঙতে মরিয়া মন্ত্রী মুত্তাকিও। রবির সাংবাদিক বৈঠক থেকে তালিবান মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা ১ কোটি। যার মধ্য়ে মেয়ের সংখ্যা প্রায় ৩০ লক্ষ। মাদ্রাসাতেও শিক্ষায় কোনও সীমা নেই। একেবারে স্নাতক স্তর পর্যন্ত কেউ নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন। অবশ্য, কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু আমরা কখনওই মেয়েদের শিক্ষাদানকে হারাম বলে মনে করি না।’ আগের দিনের সমস্যা প্রসঙ্গে তাঁর যুক্তি ‘ওই সাংবাদিক বৈঠকটি সংক্ষিপ্ত নোটিসে আয়োজন করা হয়েছিল। তবে এই নয় যে তাতে কোনও মহিলা সাংবাদিকদের ডাকা হয়নি। সেখানেও মহিলা সাংবাদিকদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু একটি যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ওই সমস্যা তৈরি হয়। এর নেপথ্যে অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।’ তবে কারণ যাই হোক শেষ সাংবাদিক বৈঠকে মহিলা সাংবাদিকদের দূতাবাসে প্রবেশ করতে দিয়ে তালিবান বুঝিয়েছে ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে শেষ কথা বলে মোদির ভারতই।

  • Bihar Assembly Election: নির্বাচনের আগে ধাক্কা, দুর্নীতি মামলায় লালু-রাবড়ি-তেজস্বীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

    Bihar Assembly Election: নির্বাচনের আগে ধাক্কা, দুর্নীতি মামলায় লালু-রাবড়ি-তেজস্বীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই বিহার বিধানসভা নির্বাচন (Bihar Assembly Election)। তার আগে বড় রাজনৈতিক ধাক্কা খেল রাজ্যের আরজেডি (RJD) নেতৃত্ব। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত ‘ল্যান্ড ফর জবস’ ও ‘আইআরসিটিসি দুর্নীতি’ মামলায় রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সুপ্রিমো ও প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব, তাঁর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী, এবং বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব-সহ একাধিক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে। আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে বিহার নির্বাচনের আগে লালু পরিবারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও দুর্বল হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।

    ‘ল্যান্ড ফর জবস’ মামলায় চার্জ গঠন

    সিবিআই-এর অভিযোগ অনুযায়ী, ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে রেলমন্ত্রী থাকার সময় লালু প্রসাদ যাদব গ্রুপ-ডি পদের চাকরির বিনিময়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে তাঁদের জমি বা সম্পত্তি খুব কম দামে নিজের পরিবারের নামে নেন। এই মামলায় ২০২২ সালের মে মাসে সিবিআই চার্জশিট দাখিল করে, যেখানে লালু যাদব, রাবড়ি দেবী, তেজস্বী যাদব, মিসা ভারতীসহ মোট ১৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তদন্তে দাবি করা হয়েছে, পাটনা ও তার আশপাশের বেশ কিছু জমি লালু পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের নামে হস্তান্তর করা হয়েছিল। আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা (প্রতারণা), ১২০বি (ষড়যন্ত্র) এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৩(২) ও ১৩(১)(ডি) ধারায় চার্জ গঠন করেছে। শেষ দু’টি ধারা শুধুমাত্র লালু যাদবের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এদিন আদালতে লালু, রাবড়ি ও তেজস্বী- তিনজনেই জানিয়েছেন তাঁরা বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। রাবড়ি দেবী বলেন, “এই মামলা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা।”

    আইআরসিটিসি দুর্নীতি মামলা

    এই মামলাটি ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে লালু প্রসাদ যাদবের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন আইআরসিটিসি হোটেল রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি প্রদান সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, দু’টি হোটেলের রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি বিজয় ও বিনয় কোচারের মালিকানাধীন সুজাতা হোটেলস প্রাইভেট লিমিটেড-কে বেআইনিভাবে দেওয়া হয়েছিল। মামলায় মোট ১৪ জন অভিযুক্ত রয়েছেন। আদালত ২৯ মে মামলার শুনানি শেষ করেছিল, সেই থেকে রায় সংরক্ষণ করে, এবং পরে ২৪ সেপ্টেম্বর বিচারক অভিযুক্তদের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন। সিবিআই ২০১৭ সালে লালু যাদব এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। সিবিআই দিল্লির আদালতকে বলেছিল যে সমস্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য পর্যাপ্ত তথ্য রয়েছে। রবিবার (১২ অক্টোবর) দিল্লিতে পৌঁছে সোমবার আদালতে হাজিরা দিতে যান লালু প্রসাদ যাদব। অসুস্থতার কারণে তিনি হুইলচেয়ারে করে আদালতে আসেন। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী রাবড়ি দেবী, ছেলে তেজস্বী যাদব ও ঘনিষ্ঠ সহযোগী প্রেমচাঁদ গুপ্ত। আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, এই মামলায় একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত রয়েছে। পাশাপাশি আদালত জানিয়েছে, এই মামলায় লালু পরিবারের প্রত্যক্ষ আর্থিক সুবিধা পেয়েছে, যদিও ঘুষের সরাসরি প্রমাণ আপাতত পাওয়া যায়নি। বিহার নির্বাচনের ঠিক আগে আদালতের এই সিদ্ধান্তকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, লালু পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন আরজেডি-র ভাবমূর্তিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

  • Mamata Attacks Suvendu: ‘মধ্যযুগীয় মানসিকতার পরিচয়’, দুর্গাপুর ধর্ষণকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা শুভেন্দুর

    Mamata Attacks Suvendu: ‘মধ্যযুগীয় মানসিকতার পরিচয়’, দুর্গাপুর ধর্ষণকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যযুগীয় মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary)। দুর্গাপুরে (Durgapur medical student rape) ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছিলেন, ‘মেয়েদের রাতে বাইরে যাওয়া উচিত নয়’। তাঁর এই সাম্প্রতিক মন্তব্য ঘিরে তীব্র সমালোচনা ও জোর বিতর্ক শুরু হতেই মমতা দাবি করেন, তাঁর কথার বিকৃতি করা হয়েছে। কিন্তু, মমতার সেই দাবি খারিজ করে শুভেন্দু সাফ জানিয়ে দিলেন, এই মন্তব্য কোনওভাবে বিকৃত করা হয়নি। শুভেন্দুর অভিযোগ, এই মন্তব্য আসলে নারী স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ আর নারীর নিরাপত্তা বিষয়ে সরকারের চরম ব্যর্থতা আড়াল করার কৌশল।

    প্রশাসনিক ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা

    শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এমবিবিএস ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। হাসপাতালের পিছনের নির্জন এলাকায় তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। ওড়িশার বাসিন্দা ওই ছাত্রী বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর বাবা জানিয়েছেন, মেয়েকে ওড়িশায় নিয়ে যেতে চান, কারণ দুর্গাপুরে আর নিরাপত্তা নেই বলে মনে করছেন। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে ওই ছাত্রী রাতে ক্যাম্পাসের বাইরে বেরোলেন? তাঁর এই প্রশ্ন নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তাঁর মন্তব্যকে বিকৃত করা হচ্ছে। যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ভিডিও-প্রমাণ সহ জানিয়ে দেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য কোনওভাবে বিকৃত করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য আসলে তাঁর প্রশাসনিক ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা।

    মধ্যযুগীয় মানসিকতার ছাপ

    বিজেপি নেতা রবিরার রাতে টুইটে জানান, মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য ‘মধ্যযুগীয় মানসিকতার পরিচায়ক। তাঁর মন্তব্যের প্রমাণ সহ ভিডিও আমাদের কাছে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে নারী নির্যাতনের ঘটনাকে ঢাকতে এখন ভিকটিম শেমিং-ই রাজ্য সরকারের নীতি হয়ে উঠেছে।’ শুভেন্দুর অভিযোগ, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা প্রায় নেই। মহিলাদের ওপর নারকীয় অত্যাচারের জন্য তাঁদেরকেই দায়ী করা হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে একের পর এক যৌন হেনস্থার ঘটনা প্রমাণ করছে প্রশাসনের ব্যর্থতা।’ উদাহরণ দিয়ে আর জি কর মেডিকেল কলেজ থেকে শুরু করে কসবা ল কলেজ, পাঁশকুড়া হাসপাতাল এবং সাম্প্রতিক দুর্গাপুর মেডিক্যাল কলেজের কথা মনে করিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘এভাবে চলতে থাকলে একদিন হয়তো মুখ্যমন্ত্রী বলবেন, মেয়েদের দিনের বেলাতেও বাইরে বেরনো উচিত নয়, তারা পড়াশোনা বা চাকরিও করবে না।’

    বিজেপি প্রতিনিধি দলকে বাধা পুলিশের

    দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীকে ‘গণধর্ষণের’ ঘটনায় ইতিমধ্যেই শেখ রিয়াজউদ্দিন, শেখ ফিরদৌস এবং আপ্পুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার তাঁদের আদালতে পেশ করা হলে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রবিবার দুর্গাপুরে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। এদিন হাসপাতালে ঢোকার চেষ্টা করতেই গেট বন্ধ করে দেন পুলিশকর্মীরা। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি নেত্রী-সহ দলের অন্যান্য নেতারা। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, কেন হাসপাতালে যেতে দেওয়া হচ্ছে না, কেন পুলিশ ভিতরে, অথচ সাধারণ মানুষ ও চিকিৎসকেরা বাইরে?

  • Deepotsav in Ayodhya: ২৮ লক্ষ প্রদীপে আলোকিত হবে সরযূর ৫৬ ঘাট, আযোধ্যায় দীপোৎসবের প্রস্তুতি তুঙ্গে

    Deepotsav in Ayodhya: ২৮ লক্ষ প্রদীপে আলোকিত হবে সরযূর ৫৬ ঘাট, আযোধ্যায় দীপোৎসবের প্রস্তুতি তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপোৎসবের (Deepotsav in Ayodhya) আলোয় আলোকিত হতে প্রস্তুত অযোধ্যা। আগামী ১৭ থেকে ২০ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত হচ্ছে বিশ্ববিখ্যাত ‘দীপোৎসব ২০২৫’ উৎসব। প্রভু রামের দর্শনে অযোধ্যায় এই সময়ে বিপুল ভক্ত সমাগম হবে। প্রশাসন এই উৎসব নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। উত্তর প্রদেশ সরকার ঘোষণা করেছে যে আসন্ন দীপোৎসবে আযোধ্যার সরযূ নদীর ৫৬টি ঘাট আলোকিত হবে ২৮ লক্ষ মাটির প্রদীপে। যা তৈরি করবে এক নয়া বিশ্ব রেকর্ড। এ বছর দীপোৎসব অনুষ্ঠিত হবে ১৯ অক্টোবর।

    দীপোৎসবের প্রধান আকর্ষণ

    দীপোৎসব (Deepotsav in Ayodhya) কেবল একটি উৎসব নয়। এটি রামরাজ্যের আদর্শের প্রতীক। সরযূর তীরে লক্ষ লক্ষ প্রদীপ যখন একসঙ্গে জ্বলবে, সেই দৃশ্য বিশ্বজুড়ে ভক্তি ও ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দেবে। এর আগে ২৬ লক্ষ দীপ জ্বালানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও, প্রস্তুতির মাত্রা আরও বাড়ানো হয়েছে। গত বছর দীপোৎসবে ২৫ লক্ষেরও বেশি দীপ জ্বালানো হয়েছিল। সরকারি এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এবছর প্রস্তুতি আরও ব্যাপকভাবে নেওয়া হয়েছে এবং দীপোৎসবকে এক ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক মহোৎসবে পরিণত করতে সবাই একসঙ্গে কাজ করছে। প্রথমবারের মতো ল‍ক্ষ্মণ কিলা ঘাটকেও উৎসবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই ঘাটে প্রজ্বলিত হবে ১.২৫ লক্ষ দীপ। ভজন সন্ধ্যা ঘাটেও ১.৫ লক্ষ দীপ জ্বলবে বলে জানা গিয়েছে। পুরো উৎসবের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে রাম কি পৈড়ি, যেখানে জ্বলবে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ লক্ষ দীপ। উৎসবের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজে, দীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে এই মহোৎসবের সূচনা করবেন তিনি।

    কড়া নিরাপত্তায় শহর

    দীপোৎসবের (Deepotsav in Ayodhya) প্রধান আকর্ষণ রাম কি পৌড়ি এবং রামকথা পার্কের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার জন্য সিনিয়র আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, নয়া ঘাটে সরযু আরতির স্থানটিতেও বিশেষ নজরদারি থাকবে। ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ এবং মিডিয়াকে পরিচালনার জন্য আলাদাভাবে কর্মকর্তারা নিযুক্ত হয়েছেন। ২০ অক্টোবর, মূল অনুষ্ঠানের দিন শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দির, হনুমানগড়ি এবং কারসেবকপুরমে অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন থাকবে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। ৪৭ জন রিজার্ভ ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। খাদ্য সুরক্ষা বিভাগ খাবারের মান পরীক্ষা করার জন্য বিশেষ দল তৈরি করেছে। উৎসবের নোডাল অফিসার সন্ত শরণ মিশ্র জানিয়েছেন, ৩৩ লক্ষ দীপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন ৩০,০০০ স্বেচ্ছাসেবক। এতে ব্যবহার হবে ৭৫,০০০ লিটার তেল ও ৫৫ লক্ষ সুতির বাতি। ফৈজাবাদের রাম মনোহর লোহিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ২২টি কমিটি গঠন করেছে দীপোৎসব সফল করতে। কমিটিগুলোর দায়িত্বে থাকবে সমন্বয়, নিরাপত্তা, দীপ গণনা, যান চলাচল, পরিচ্ছন্নতা, গণমাধ্যম, প্রাথমিক চিকিৎসা, সজ্জা, রঙ্গোলি, স্বেচ্ছাসেবকের পরিচয়পত্র বিতরণ ও সার্বিক তদারকি। সন্ত শরণ মিশ্র বলেন, “আযোধ্যা দীপোৎসব শুধুই ধর্মীয় উৎসব নয়। এটি রামরাজ্যের আদর্শকে উদযাপন করে, ভারতীয় সংস্কৃতির ঐক্যকে তুলে ধরে এবং বিশ্বের সামনে শান্তির বার্তা পৌঁছে দেয়।”

  • India vs West Indies: শতরান শুভমনেরও! ৫১৮ রানের পাহাড়, ভারতের বিপক্ষে দ্রুত উইকেট হারিয়ে বিপাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    India vs West Indies: শতরান শুভমনেরও! ৫১৮ রানের পাহাড়, ভারতের বিপক্ষে দ্রুত উইকেট হারিয়ে বিপাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যশস্বী জয়সওয়ালের ১৭৫, শুভমান গিলের অপরাজিত ১২৯ রানে ভর করে প্রথম ইনিংসে রানের ৫১৮ রানের পাহাড় গড়ল ভারত (India vs West Indies)। জবাবে শুরুটা ভাল করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার জন ক্যাম্পবেল এবং তেগনারিন চন্দ্রপল। মহম্মদ সিরাজ কিংবা জশপ্রীত বুমরা শুরুতে সাফল্য এনে দিতে পারেননি। সপ্তম ওভারে অধিনায়ক গিল বল তুলে দেন রবীন্দ্র জাদেজাকে। তাঁর বলেই ১০ রানে আউট হন ক্যাম্পবেল। ফরওয়ার্ড শর্ট লেগে দুরন্ত ক্যাচ নেন সুদর্শন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান তখন ২১। কিন্তু শেষবেলায় দ্রুত উইকেট হারিয়ে বিপাকে ক্যারিবিয়ানরা। দ্বিতীয় টেস্টে দ্বিতীয় দিনের শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ উইকেটে ১৪০। চালকের আসনে ভারত।

    চালকের আসনে ভারত

    দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ (ind vs wi 2nd test match)। টসে জিতে এই ম্যাচে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক শুভমান গিল। প্রথম ম্যাচ জিতে এমনিতেই সিরিজে এগিয়ে আছে ভারত। আত্মবিশ্বাসের দিক দিয়েও যথেষ্ট ভালো জায়গায় আছে গৌতম গম্ভীরের ছেলেরা। প্রথম দিনের শেষে ১৭৩ রানে অপরাজিত ছিলেন যশস্বী। এদিন মাত্র ২ রান যোগ করে অধিনায়ক গিলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ১৭৫ রানে রান আউট হন যশস্বী। হাতছাড়া হয় দ্বিশতরান। কিন্তু ইংল্যান্ডের মাটিতে যে ছন্দে ছিলেন, সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন শুভমন। আরও একটি অনবদ্য শতরান। ১৯৬ বলে ১২৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ইনিংসে ছিল ২টি ছয় এবং ১৬টি চার। দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় টিম ইন্ডিয়ার নেতাকে যোগ্য সঙ্গত দেন নীতিশ কুমার রেড্ডি এবং ধ্রুব জুরেল। ২টি ছয় এবং ৪টি চারের সাহায্যে ৫৪ বলে ৪৩ রান করেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। ৭৯ বলে গুরুত্বপূর্ণ ৪৪ রান করেন জুরেল।

    শুভমনের নজির

    টেস্টে গিলের এটি দশম সেঞ্চুরি। আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান এখন শুভমনের। দিল্লি টেস্ট নিয়ে মোট ৩৯ ম্যাচ খেলেন গিল। ২৭৫৭ রান। গড় ৪২.৪১। সর্বোচ্চ রান ২৬৯। ইতিমধ্যেই ১০টি শতরান এবং ৯টি অর্ধশতরান করে ফেলেছেন। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সাইকেলে ৪৬ ম্যাচ খেলেন কোহলি। তাঁর রান ২৬১৭। গড় ৩৫.৩৬। সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ২৫৪। সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় একনম্বরে জো রুট। তাঁর রান ৬০৮০। গড় ৫২.৮৬। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ এবং মার্নাস লাবুশেন। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সাইকেলে কোহলিকে পিছনে ফেলে ভারতীয়দের মধ্যে এখন একনম্বরে শুভমন।

  • Durgapur Gangrape: আরজি করের ছায়া দুর্গাপুরে! গণধর্ষণের শিকার ওড়িশার ডাক্তারি পড়ুয়া, মুখ্যমন্ত্রী মুখ খুলছেন না কেন? প্রশ্ন বিজেপির

    Durgapur Gangrape: আরজি করের ছায়া দুর্গাপুরে! গণধর্ষণের শিকার ওড়িশার ডাক্তারি পড়ুয়া, মুখ্যমন্ত্রী মুখ খুলছেন না কেন? প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি৷ অভিযুক্তের বিচার চলছে। এর মাঝেই ফের চিকিৎসক পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল৷ এবার দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি ছাত্রীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। দুর্গাপুরের শোভাপুর এলাকার একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া ওই তরুণী উড়িষ্যার জলেশ্বরের বাসিন্দা। বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত বেসরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করেনি৷ ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ।

    এই রাজ্যে সুরক্ষিত নয় মেয়ে 

    শুক্রবার রাতে এক পরিচিতের সঙ্গে কলেজের বাইরে বেরিয়েছিলেন নির্যাতিতা। অভিযোগ, কয়েক জন যুবক তাঁদের উত্ত্যক্ত করেন। তার পর টেনেহিঁচড়ে ওই তরুণীকে পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ‘নির্যাতিতা’র বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়েছে। নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবারের দাবি, পাঁচজন তাঁকে ধর্ষণ করেছে৷ এরা সকলেই তাঁর অপরিচিত বলেও জানিয়েছেন নির্যাতিতা৷ এই ঘটনার রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দুর্গাপুর শহরে। মেয়েকে আর এই রাজ্যে রেখে পড়াতে চাইছেন না পরিবারের সদস্যরা। নির্যাতিতার বাবা বলছেন, “আমার মেয়ে এখানে সুরক্ষিত নয়। আমি এখানে আর ওকে পড়াব না। আমি ওকে বাড়ি নিয়ে চলে যাব।”

    রাস্তার ধারে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ

    প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে কলেজের বাইরে বেরিয়েছিলেন ডাক্তারির ওই পড়ুয়া। অভিযোগ ওই ছাত্রী ও তাঁর সঙ্গী দুর্গাপুর সরকারি মহাবিদ্যালয় সংলগ্ন মোহনবাগান অ্যাভিনিউ রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছিলেন৷ অন্ধকারে সেখানেই পাঁচজন ছেলে ওই ডাক্তারি পড়ুয়ার ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় জঙ্গলের ভিতরে। অভিযোগ, নির্যাতনের আগে তাঁর কাছ থেকে মোবাইল এবং টাকাপয়সা কেড়ে নেওয়া হয়। পুরুষ সঙ্গীকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই সময় পালিয়ে গেলেও পরে তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করান ওই সঙ্গীই। যদিও ওই সঙ্গীর দাবির সত্যাসত্য খতিয়ে দেখতে তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত এই প্রসঙ্গে বলেন, “তদন্ত চলছে। পুলিশের কাছে নতুন তথ্য এলে তা জানানো হবে।” একই সঙ্গে তিনি জানান, বিষয়টি সংবেদনশীল। তাই সব দিক মাথায় রেখেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

    নির্যাতিতার বাড়ি ওড়িশার জলেশ্বরে

    দুর্গাপুরে বেশ কয়েকটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিং কলেজ-সহ ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট কলেজ রয়েছে। ভিন রাজ্যের বহু ছাত্র-ছাত্রী এই কলেজগুলিতে পড়াশোনা করতে আসে। কিন্তু এই ধরনের ঘটনা দুর্গাপুর এই প্রথম বলেই জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। নিউ টাউনশিপ থানা এলাকার মোহনবাগান অ্যাভিনিউ সংলগ্ন এলাকাটি জঙ্গল ঘেরা। রাতে এই এলাকা একেবারেই নির্জন থাকে৷ শুক্রবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে নির্যাতিতা তরুনীর পরিবারের দাবি। এই মুহূর্তে বেসরকারি যে মেডিক্যাল কলেজে ওই তরুণী এমবিবিএস-এর দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছিল সেখানেই চিকিৎসাধীন৷ মেয়ের উপর এই ধরনের অত্যাচারের ঘটনার কথা শুনে ওড়িশার জলেশ্বর থেকে তার পরিবার শনিবার সকালে এসে পৌঁছয় বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে।

    আরজি কর কাণ্ডের ছায়া

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৯ অগাস্ট কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে ডাক্তারির এক পড়ুয়াকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছিল। ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস রায় ঘোষণা করেন। তিনি জানান, দোষীর সর্বোচ্চ সাজা হবে মৃত্যুদণ্ড। সর্বনিম্ন সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। বস্তুত, আরজি কর-কাণ্ডে একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে সঞ্জয়ের নাম করেছিল সিবিআই। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণের পর মৃত্যু) এবং ১০৩ (১) (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় সঞ্জয়কে। আরজিকরের এক বছরের মাথায় ফের রাজ্যে নারী নির্যাতন।

    ঘটনার প্রতিবাদে সরব বিজেপি

    ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ, “আরজি করের ঘটনায় যেমন সত্য গোপন করা হয়েছিল, এখানেও সেই চেষ্টা চলছে।” বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, “এই রাজ্যে ধর্ষণ মানেই প্রশাসনের নীরবতা। মুখ্যমন্ত্রী মুখ খুলছেন না কেন?” অন্যদিকে, জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “আরজি কর, কসবা প্রতিটি ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটছে। কারণ দোষীরা শাস্তি পাচ্ছে না। ফাঁসি পর্যন্ত যাচ্ছে না কোনও মামলা। বিচার হচ্ছে না, তাই অপরাধীরা আরও বেপরোয়া।” ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার। আরজি কর, কসবা কাণ্ডের রেশ টেনে তিনি বলছেন, “দোষীদের সঠিকভাবে ধরে সঙ্গে সঙ্গে শাস্তি না দেওয়ার কারণেই এভাবে যৌন নির্যাতনের ঘটনা, ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে চলেছে। আমরা পশ্চিমবঙ্গে কোনও রেপিস্ট বা খুনের চরম শাস্তি হতে দেখছি না। কারও ফাঁসি হতে দেখিনি। আমরা যতই দৌড়াই কিন্তু কোনও একটা অদৃশ্য হাতের জন্য কোনও দোষীর সেইভাবে শাস্তি হচ্ছে না। বিচার পেতেও দেরি হয়ে যাচ্ছে।”

  • Amit Shah: “জন্মহার নয়, অনুপ্রবেশই জনবিন্যাসে বদল ঘটাচ্ছে”, দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে স্পষ্ট বার্তা শাহের

    Amit Shah: “জন্মহার নয়, অনুপ্রবেশই জনবিন্যাসে বদল ঘটাচ্ছে”, দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে স্পষ্ট বার্তা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যা পরিবর্তন নিয়ে বিস্ফোরক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। দিল্লিতে জনসংখ্যা ও জনবিন্যাস বিষয়ক এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ শুধু জন্মহার নয়, বরং পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ব্যাপক অনুপ্রবেশই তার মূল কারণ। ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা (Hindu Population) উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। অন্যদিকে, লক্ষণীয় বৃদ্ধি ঘটেছে মুসলিমদের (Muslim Population)। শাহের দাবি, এই অনুপ্রবেশ দেশের সংস্কৃতি, ভাষা ও স্বাধীনতার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে।

    পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ জন্মহার নয়। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ (Inflitartors from Pakistan, Bnagladesh) থেকে অনুপ্রবেশের ফলে মুসলিম জনসংখ্যা ভারতে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তাঁর কথায়, অনুপ্রবেশ, জনসংখ্যাগত পরিবর্তন এবং গণতন্ত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যতদিন না দেশের প্রতিটি নাগরিক, বিশেষ করে যুব সমাজ এই বিষয়গুলোর গুরুত্ব অনুধাবন করবে এবং এর থেকে উদ্ভূত সমস্যাগুলি সম্পর্কে সচেতন হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের দেশ, সংস্কৃতি, ভাষা এবং স্বাধীনতার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারব না।

    উল্লেখযোগ্য ও উদ্বেগজনক পরিবর্তন

    অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, ১৯৫১, ১৯৭১, ১৯৯১ ও ২০১১ সালে ভারতে জন গণনায় ধর্ম ভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ১৯৫১ সালে যখন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন তাঁর দল বিজেপি ছিল না। তাঁর কথায়, যদি দেশভাগ না হতো, তাহলে হয়তো ধর্মের ভিত্তিতে জনগণনার দরকার হতো না। কিন্তু যেহেতু দেশভাগ ধর্মের ভিত্তিতে হয়েছিল, সে কারণে তৎকালীন শাসকদলের নেতারা ১৯৫১ সালের জনগণনায় ধর্মের উল্লেখকে যথোপযুক্ত মনে করেছিলেন। তিনি জানান, ১৯৫১ সালে দেশে হিন্দুদের সংখ্যা ছিল ৮৪ শতাংশ, মুসলিমদের ৯.৮ শতাংশ। ২০১১ সালে হিন্দুদের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৭৯ শতাংশে, আর মুসলিমদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪.২ শতাংশে। এই পরিসংখ্যানকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন বলে চিহ্নিত করে শাহ বলেন, এটা অনুপ্রবেশের কারণে হয়েছে। এই পরিবর্তনকে ‘উল্লেখযোগ্য ও উদ্বেগজনক’ বলে ব্যাখ্যা করে শাহ বলেন, “এটা জন্মহারের ফল নয়, এটা অনুপ্রবেশের ফল।”

    রাজ্য সরকারগুলোকেও দায়িত্ব নিতে হবে

    শাহ স্পষ্ট ভাবে বলেন, ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা ২৪.৬ শতাংশ হারে বেড়েছে, যেখানে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে ৪.৫ শতাংশ হারে। তাঁর দাবি, এই পার্থক্যের মূলে রয়েছে অবৈধ অনুপ্রবেশ, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah) দাবি, অসমে ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২৯.৬ শতাংশ, যা অনুপ্রবেশ ছাড়া অসম্ভব। পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে এই হার ৪০ শতাংশেরও বেশি, কোথাও কোথাও ৭০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে। ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী জনসংখ্যা কমার পেছনেও অনুপ্রবেশকেই তিনি দায়ী করেন। শাহ বলেন, “এই সমস্যার সমাধান শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়, রাজ্য সরকারগুলোকেও দায়িত্ব নিতে হবে। কিছু রাজ্য সরকার অনুপ্রবেশে সহায়তা করছে।”

    অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করতেই হবে

    ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রসঙ্গে শাহ বলেন, এটি কোনও রাজনৈতিক নয়, জাতীয় ইস্যু। “যদি প্রশাসন অনুপ্রবেশকারীকে চিনতেই না পারে, তবে অনুপ্রবেশ বন্ধ হবে কীভাবে?” তিনি অভিযোগ করেন, কিছু রাজনৈতিক দল অনুপ্রবেশকারীদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করছে। এই প্রসঙ্গে শাহ সতর্ক করে বলেন, “যদি অনুপ্রবেশকারীরা ভোটার তালিকায় ঢুকে যায়, তারা দেশের নীতি নির্ধারণে অংশ নেবে যা গণতন্ত্রের জন্য হানিকর।” তিনি বলেন, ভারত একটি ভূ-সাংস্কৃতিক জাতি। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ ছিল এক ঐতিহাসিক ভুল। তিনি বলেন, সরকার অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করবে, ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেবে এবং তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য কাজ করবে। কারণ অনুপ্রবেশকারীরা সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে আইনশৃঙ্খলা এবং শহরে দরিদ্র শ্রমিকদের অধিকার হরণ করছে।

  • Amit Shah: ‘‘এদেশের মাটিতে আমার অধিকারের সমান অধিকার পাক-বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদেরও’’, সিএএ নিয়ে অমিত শাহ

    Amit Shah: ‘‘এদেশের মাটিতে আমার অধিকারের সমান অধিকার পাক-বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদেরও’’, সিএএ নিয়ে অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, বরং নির্যাতিতদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য‌ করা হয়েছে। দিল্লিতে জনসংখ্যা ও জনবিন্যাস সংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বিতাড়িত হিন্দুরা নিজেদের নামে বাড়ি কিনতে পারেননি। তারা সরকারি চাকরি পাননি, রেশন কার্ড পাননি, এমনকি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাও হয়নি। তাদের অধিকার দেওয়ার জন্যই সিএএ।”

    কাদের জন্য নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের সিদ্ধান্ত সংসদ নয়, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি নিয়েছিল। সেই ভুল সিদ্ধান্তের জন্য এই মানুষগুলোর চার প্রজন্ম নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এখন তারা কি সস্তায় রেশন, বছরে ৫ লাখ টাকার স্বাস্থ্যবিমার চিকিৎসা, ভোটাধিকার এবং সম্পত্তি কেনার অধিকার পাবে না?” এ প্রসঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলির তুলনা টেনে শাহ জানান, পাকিস্তানে ১৯৫১ সালে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ১৩ শতাংশ, বর্তমানে তা কমে মাত্র ১.৭৩ শতাংশে। বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা ২২ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৭.৯ শতাংশে। আফগানিস্তানে হিন্দু-শিখ মিলিয়ে একসময় ছিল ২.২ লক্ষ, এখন মাত্র ১৫০ জন। শাহের বক্তব্য, এই হ্রাস ধর্মান্তরের কারণে নয়, বরং নির্যাতনের ফলে তারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি জানান, “যারা ধর্মরক্ষার জন্য ভারতে এসেছে, তারা উদ্বাস্তু। কিন্তু যারা অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক স্বার্থে অবৈধভাবে ঢুকেছে, তারা অনুপ্রবেশকারী।” অমিত শাহের দাবি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) আনার মাধ্যমে এই অবহেলিত মানুষদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শাহ বলেন, “ভারতের মাটিতে কারা প্রকৃত শরণার্থী আর কারা অনুপ্রবেশকারী, সেই সীমারেখা স্পষ্টভাবে টানা জরুরি। যাঁরা ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে এই দেশে আশ্রয় খুঁজেছেন, তাঁদের নৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার। যতটা অধিকার আমার এই দেশের মাটিতে, ঠিক ততটাই অধিকার পাকিস্তান ও বাংলাদেশের হিন্দুদেরও এই মাটিতে।”

    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে অপপ্রচার

    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে শাহ (Amit Shah) বলেন, সিএএ নিয়ে অন্যায়ভাবে অপপ্রচার চালানো হয়েছে এবং অযথা প্রতিবাদ হয়েছে। তাঁর কথায়, “এই আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, বরং নির্যাতিতদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য।” তাঁর দাবি, ১৯৫১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যে ঐতিহাসিক ভুলগুলো হয়েছে, মোদি সরকার তা সংশোধন করেছে। শাহ আরও বলেন, “যারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে তারা উদ্বাস্তু। কিন্তু অবৈধভাবে ঢোকা মানে অনুপ্রবেশ। উদ্বাস্তুদের আমরা নাগরিকত্ব দিচ্ছি, অনুপ্রবেশকারীদের নয়। কারণ, যদি সবাইকে ঢুকতে দেওয়া হয়, তবে ভারত একদিন ধর্মশালা হয়ে যাবে।”

  • Election Commission: অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে ১ বছরের জেল ও জরিমানা! মুখ্যসচিবের ভূমিকায় কেন বিরক্ত নির্বাচন কমিশন?

    Election Commission: অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে ১ বছরের জেল ও জরিমানা! মুখ্যসচিবের ভূমিকায় কেন বিরক্ত নির্বাচন কমিশন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজ আগরওয়াল-এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সামনেই ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন। যে কোনও দিন শুরু হয়ে যাবে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন। এসআইআর (SIR) নিয়ে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে নির্বাচন কমিশন। জেলায় জেলায় চলছে প্রস্তুতি বৈঠক। এই আবহে রাজ্য়ের মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। একপ্রকার তাঁকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন মাননীয়া। মমতার মন্তব্যের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থও। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশন অসন্তুষ্ট বলে জানা গিয়েছে।

    মুখ্যসচিবের ভূমিকা ক্ষুব্ধ কমিশন

    লোকপাল আইন অনুযায়ী, হলফনামা ছাড়া কোন সরকারি আধিকারিককে অভিযোগ দেওয়া যায় না। মিথ্যা অভিযোগ প্রমাণিত হলে এক বছরের জেল হতে পারে। বৃহস্পতিবার এসআইআর নিয়ে একরাশ বিরক্ত প্রকাশ করে কমিশনের তুলোধনা করেন মমতা। তিনি বলেন, “এখানে যিনি রাজ্য থেকে গিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। সেগুলি সময় হলে বলব।” আর তারপরই বলেন, “আশা করি তিনি বেড়ে খেলবেন না। তিনি বড্ড বেশি অফিসারদের থ্রেট করছেন। এদিকে তিনি নিজেই দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ।” বাস্তবে, কোনও সিইও পদমর্যাদার অফিসারের বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া প্রকাশ্যে এ ভাবে দুর্নীতির অভিযোগ করা যায় না। লোকপাল আইন অনুযায়ী, কোনও সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করতে হলে লিখিত স্বীকারোক্তি দিতে হয়। এমনকি, সেই অভিযোগ সঠিক না হলে অভিযোগকারীর জেল এবং জরিমানাও হতে পারে। কমিশনের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, লোকপাল আইনের ওই অংশটি মুখ্যসচিবের জানা উচিত। তাই কমিশনের বক্তব্য, সেই সময়ে তাঁর ওই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া উচিত ছিল।

    কমিশনকে হুমকি দেওয়ার চেষ্টা

    এ প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সাফ কথা মমতা যে ভাষা প্রয়োগ করেছেন, তা নির্বাচন কমিশনকে হুমকি দেওয়ার নামান্তর। শুভেন্দু বলেন, “মনোজ আগারওয়ালের বিরদ্ধে কী তথ্য আছে তা পশ্চিমবঙ্গের জনগণ জানতে চায়। আমরা প্রধান বিরোধী দল জানতে চাই। মুখ্যমন্ত্রী না বললে দীপাবলির পরে সিইও দফতরে ধর্না দেব।”  এ বিষয়ে তিনি সিইও দফতরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান শুভেন্দু। কমিশনের এক আধিকারিকের কথায়, কোনও অভিযোগ থাকলে মুখ্য়মন্ত্রী, মুখ্যসচিবকে দিয়ে দরকারে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করাতে পারেন, কিন্তু প্রকাশ্যে এ ধরনের মন্তব্য করা অপরাধ।

    মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    কমিশন সূত্রে খবর,  মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের সময় তাঁর সঙ্গে থেকে একইভাবে দোষী রাজ্যের মুখ্যসচিবও। এই নিয়ে সিইও দফতরে শুভেন্দু যে চিঠি দিয়েছেন, তাতে ওই বৈঠকে মুখ্যসচিবের উপস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন। সেই চিঠি নির্বাচন কমিশনকে পাঠিয়েছে সিইও-র দফতর। তাদের বক্তব্য, কমিশনে কেউ কোনও অভিযোগ জানালে সিইও দফতর নিয়ম মেনেই তা দিল্লিতে পাঠিয়ে দেয়। বিরোধী দলনেতার ক্ষেত্রেও সেই পদ্ধতি মানা হয়েছে। এখন জাতীয় নির্বাচন কমিশন এনিয়ে ফের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে বলে অুনমান রাজনৈতিক মহলে।

LinkedIn
Share