Author: ishika-banerjee

  • Brahmos Missile: ব্রহ্মসের সফল উৎক্ষেপণ, সিঁদুর-পর্বে নজরকাড়া ক্ষেপণাস্ত্রের বাড়ছে পাল্লা

    Brahmos Missile: ব্রহ্মসের সফল উৎক্ষেপণ, সিঁদুর-পর্বে নজরকাড়া ক্ষেপণাস্ত্রের বাড়ছে পাল্লা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঁদুর অভিযান চলাকালীন শত্রুঘাঁটিতে অব্যর্থ নিশানা শানিয়েছে। তার ক্ষমতা চাক্ষুষ করেছে গোটা বিশ্ব। সেই সুপারসনিক (শব্দের চেয়ে বেশি গতিবেগ সম্পন্ন) ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মসকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে ভারত। এরই মধ্যে সোমবার বঙ্গোপসাগরে পরীক্ষামূলক ভাবে একটি ব্রহ্মস উৎক্ষেপণ করল ভারতীয় সেনা। দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা ফের একবার পরখ করে নিল বাহিনী। ওই উৎক্ষেপণে পরীক্ষার সব মাপকাঠিতেই সফল হয়েছে ব্রহ্মস।

    বিভিন্ন মাপকাঠিতে পরখ করে দেখা হয় ব্রহ্মস

    সোমবার সেনার ব্রহ্মস ইউনিটের দক্ষিণ কমান্ড এবং তিন বাহিনীর আন্দামান-নিকোবর কমান্ড যৌথভাবে পরীক্ষাটি চালিয়েছে। ব্রহ্মসের পাল্লা, প্রযুক্তিগত নানা দিক পরীক্ষা করে নেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নির্ভুলভাবে আঘাত হানার ক্ষেত্রে আরও একবার সফল হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রটি। যুদ্ধক্ষেত্রে যে ধরনের পরিস্থিতি থাকে, তারই অনুরূপ পরিস্থিতিতে ব্রহ্মসটি পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা গিয়েছে, সব ধরনের পরিস্থিতিতে এটি সফল হয়েছে। অর্থাৎ, অপারেশনাল উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে। ভারতীয় সেনার ব্রহ্মস ইউনিটগুলির রিয়েল টাইম প্রস্তুতি এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হানায় নির্ভুলতা খতিয়ে দেখার ক্ষেত্রেও এই পরীক্ষাটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ব্রহ্মসের পাল্লা-সহ বিভিন্ন মাপকাঠিতে পরখ করে দেখা হয় ক্ষেপণাস্ত্রটি। এই পরীক্ষার মাধ্যমে ব্রহ্মসের উন্নত দিক্‌নির্দেশনা ব্যবস্থা, নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা, বেশি গতিতে ছুটে যাওয়ার সময়ে স্থিতিশীলতা, নির্ভুলতা এবং নির্দিষ্ট ভাবে নিশানায় আঘাত হানার ক্ষেত্রে ফের সফল হয়েছে ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্রটি।

    নয়া ব্রহ্মস আরও আধুনিক

    সিঁদুর অভিযানের পর থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। এমনকি, পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বক্তৃতাতেও উঠে এসেছিল রাশিয়ার সহযোগিতায় ভারতে তৈরি সেই ব্রহ্মস ক্রুজ সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের কথা। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ইসলামাবাদকে হুঙ্কার দিয়েছিলেন, সিঁদুর অভিযান শুধুই ঝলক ছিল। পাকিস্তানের প্রতিটি কোনাই ব্রহ্মসের নাগালের মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এরই মধ্যে সম্প্রতি দক্ষিণ চিন সাগরে ইসলামাবাদের বন্ধু বেজিঙের আগ্রাসন রুখতে ভারত থেকে কেনা সেই ক্ষেপণাস্ত্রেই ভরসা রেখেছে ফিলিপিন্স। সেখানে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে তারা। অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে ব্রহ্মসের পাল্লা আরও বৃদ্ধি করতে উদ্যোগী হয়েছে ভারত। স্থলভূমি বা যুদ্ধজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ব্রহ্মসের পাল্লা ২৯০ থেকে ৪০০ কিলোমিটার। বিমান বা ডুবোজাহাজে ব্যবহৃত সংস্করণের কিছুটা কম। নতুন পাঁচ দফা পরিকল্পনায় ব্রহ্মসের পাল্লা এবং গতিবেগ দু’টিই বাড়ানো হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, নয়া সংস্করণে স্থলভূমি বা যুদ্ধজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ব্রহ্মসের পাল্লা হবে ৮০০ কিলোমিটার। পাশাপাশি, সুপারসনিক থেকে হাইপারসনিক (শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ বা তার বেশি গতিবেগসম্পন্ন) ক্ষেপণাস্ত্রের স্তরে উন্নীত হবে ব্রহ্মস।

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরের ভয়! ৭২টি জঙ্গি লঞ্চপ্যাড সরিয়েছে পাকিস্তান, বলল বিএসএফ

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরের ভয়! ৭২টি জঙ্গি লঞ্চপ্যাড সরিয়েছে পাকিস্তান, বলল বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঁদুর অভিযানের পরে সীমান্ত থেকে জঙ্গি শিবির এবং লঞ্চপ্যাডগুলি সরিয়ে ফেলেছে পাকিস্তান। সম্প্রতি এ কথা জানাল বিএসএফ। অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর থেকে আরও সতর্ক হয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। জঙ্গি লঞ্চপ্যাডগুলি বন্ধ না করলেও বদলে দেওয়া হয়েছে তাদের ঠিকানা। এখন গভীর জঙ্গলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এই লঞ্চপ্যাডগুলি। এই তথ্য় দিয়েছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF)। তাই সরকার যদি নির্দেশ দেয়, প্রয়োজনে ‘সিঁদুর ২’ অভিযানের জন্যও প্রস্তুত রয়েছে বাহিনী। সিঁদুর অভিযানে সেনার ভূমিকারও প্রশংসা করেছে বিএসএফ। ৭-১০ মে যে ভাবে দেশের বাহিনী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে, তা অনবদ্য বলে জানান বিএসএফের এক শীর্ষ কর্তা।

    জঙ্গি-কারখানা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান

    বদলায়নি পাকিস্তানের জঙ্গি কারখানাগুলো। বর্তমানে পাকিস্তানে কমপক্ষে ৭২টি জঙ্গি লঞ্চপ্যাড সক্রিয় রয়েছে, যার মধ্যে শিয়ালকোট এবং জাফরওয়ালের কাছে ১২টি। সম্প্রতি এই তথ্য় দিয়েছে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (বিএসএফ)। বিএসএফের তরফে বলা হয়েছে, জম্মু অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশ বন্ধ রাখতে বাহিনী সম্পূর্ণ সতর্ক রয়েছে। বিএসএফের ডিআইজি বিক্রম কুঁয়ার বলেন, ‘‘অপারেশন সিঁদুরের সময় বিএসএফ সীমান্তের ওপারে বহু জঙ্গিশিবির ধ্বংস করেছে। বেশ কয়েকটি লঞ্চপ্যাডও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হামলার মুখে পড়ে পাক সরকার জঙ্গি লঞ্চপ্যাডগুলি সীমান্ত এলাকা থেকে সরিয়ে ফেলেছে। সিয়ালকোট এবং জাফরওয়ালে ১২টি জঙ্গি লঞ্চপ্যাড রয়েছে। যেগুলি সীমান্ত থেকে অনেকটাই ভিতরে। সেগুলি এখনও সক্রিয়।’’

    কোথায়-কোথায় সক্রিয় জঙ্গিঘাঁটি

    তিনি আরও বলেন, ‘‘আজ পর্যন্ত, শিয়ালকোট ও জাফরওয়ালের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে প্রায় ১২টি লঞ্চপ্যাড কাজ করছে, যেগুলি ঠিক সীমান্তে আর নেই। অন্যদিকে ৬০টি লঞ্চপ্যাড নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে গভীরতা এলাকায় কাজ করছে। এই ক্যাম্পগুলি স্থায়ীভাবে এক জায়গায় থাকে না। এই লঞ্চপ্যাডগুলি সাধারণত ভারতে হামলা করার সময় সক্রিয় থাকে। তাদের দুই বা তিনটির বেশি দলে রাখা হয় না। বর্তমানে আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় কোনও প্রশিক্ষণ শিবির নেই।’’ ২০২৫ সালে বাহিনীর সাফল্যের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে অপারেশন সিঁদুরের প্রসঙ্গ টেনে আনেন বিএসএফের ডিআইজি। সাংবাদিক বৈঠকে ডিআইজি ছাড়াও ছিলেন জম্মু ফ্রন্টিয়ারের বিএসএফ আইজি শশাঙ্ক আনন্দ, ডিআইজি কুলবন্ত রাই শর্মা। বিএসএফ জানিয়েছে, জঙ্গি লঞ্চপ্যাডগুলির সংখ্যা অনবরত বদলাতে থাকে। তাদের কথায়, ‘‘এই লঞ্চপ্যাডগুলি কখনওই নিষ্ক্রিয় ভাবে থাকে না। যখনই ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানোর প্রয়োজন হয়, তখনই সেগুলি আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে। এক একটি লঞ্চপ্যাডে জঙ্গিদের দুই থেকে তিনটি দল থাকে।’’

    সুযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ

    ডিআইজি কুঁয়ারের দাবি, অপারেশন সিঁদুরের পর আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে এখন কোনও জঙ্গি শিবির নেই। ডিআইজি জানিয়েছেন, আগে জইশ জঙ্গিগোষ্ঠীর লঞ্চপ্যাডগুলি ছিল নিচু এলাকায়। আর লশকরের লঞ্চপ্যাডগুলি ছিল উপরের দিকে। কিন্তু অপারেশন সিঁদুরের পর সেগুলি সব ওলটপালট হয়ে গিয়েছে। এখন আর আলাদা ভাবে জঙ্গি প্রশিক্ষণের জন্য শিবির নেই। দুই গোষ্ঠীর জঙ্গিরা একসঙ্গে ওই লঞ্চপ্যাডগুলিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এর পরই ডিআইজি বলেন, ‘‘বিএসএফ যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত। সুযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।’’

    অপারেশন সিঁদুর ২.০

    অপারেশন সিঁদুর ২.০-এর ক্ষেত্রে বাহিনীর প্রস্তুতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জম্মু সীমান্তের বিএসএফের ইন্সপেক্টর জেনারেল শশাঙ্ক আনন্দ বলেন, ‘‘সরকার যদি সীমান্তে অভিযান পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে বাহিনী তার নির্দেশ মেনে চলতে প্রস্তুত। আমরা যদি ১৯৬৫, ১৯৭১, ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধ, অথবা অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে কথা বলি, তাহলে বিএসএফের সকল ধরনের যুদ্ধের ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে, তা সে প্রচলিত বা হাইব্রিড যুদ্ধই হোক না কেন। যদি আমরা সুযোগ পাই, আমরা মে মাসে যা করেছি তার চেয়ে বেশি ক্ষতি করতে সক্ষম। সরকার যে নীতিই সিদ্ধান্ত করুক না কেন, বিএসএফ এতে তার ভূমিকা পালন করবে।’’ আইজি আরও বলেন যে, ‘‘অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানি রেঞ্জার্স, যারা তাদের পোস্ট ছেড়ে চলে গিয়েছিল, তারা আবার ফিরে এসেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে, পোস্টগুলিতে ফিরে আসা বাধ্যতামূলক। বিএসএফের দ্বারা সৃষ্ট ক্ষত কাটিয়ে উঠতে তাদের অনেক সময় লেগেছে। কিছু জায়গায়, তারা তাদের প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার চেষ্টা করেছে। তবে তাদের সমস্ত কার্যকলাপ আমাদের নজরদারিতে রয়েছে।’’

  • Virat Rohit Relation With Gambhir: বিরাট-ব্যাটে মুগ্ধ সতীর্থরা, ‘রো-কো’র সঙ্গে দূরত্ব মেটাতে গম্ভীর-আগরকরদের বার্তা বোর্ডের?

    Virat Rohit Relation With Gambhir: বিরাট-ব্যাটে মুগ্ধ সতীর্থরা, ‘রো-কো’র সঙ্গে দূরত্ব মেটাতে গম্ভীর-আগরকরদের বার্তা বোর্ডের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও তাঁদের মধ্যে কতটা ক্রিকেট বাকি রাঁচিতে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মা। এখনও দলকে জেতাচ্ছেন রো-কো জুটিই। মাঠে দেখে মনে হচ্ছে, সবচেয়ে তরুণ তাঁরাই। রোহিত, কোহলির হাত ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জিতেছে ভারত। একই সঙ্গে টেস্টে ডাহা ফেলের পর একদিনের ক্রিকেটের পরীক্ষায় উতরে গিয়েছেন গুরু গম্ভীর। রবিবার রাঁচিতে বিরাট কোহলির শতরান ও রোহিত শর্মার অর্ধ শতরান শুধু সমর্থকদের নয়, মুগ্ধ করেছে তাঁর সতীর্থদেরও।

    কুলদীপের কোহলি-বন্দনা

    বোর্ডের পোস্ট করা ভিডিয়োয় কুলদীপ বলেন, “বিরাট ভাই যখন অধিনায়ক তখন আমার ক্রিকেটজীবন শুরু হয়। যে ভাবে ও ব্যাট করল, দেখে মনে হল আট-ন’বছর আগের দিনে ফিরে গিয়েছে। ঠিক যে ভাবে ২০১৭, ২০১৮ বা ২০১৯-এ ব্যাট করত। অসাধারণ একটা ইনিংস খেলল। ওকে দেখে খুব আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে। অসাধারণ সব শট বেরোল ওর ব্যাট থেকে।” কুলদীপ জানিয়েছেন, কোহলি পাশে থাকলে তিনি আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। কারণ, বোলিংয়ের সময় অনেক পরামর্শ দেন কোহলি। কুলদীপের কথায়, “কোহলি দলে থাকলে খুব ভালো লাগে। সব সময় কোনও না কোনও পরামর্শ পাওয়া যায়। বোলিংয়ের সময়ও ও এসে বলে যায় কী করতে হবে। ওর মতো সিনিয়রেরা পাশে থাকলে সব সময়েই ভালো। দলের মধ্যেও আলাদা শক্তি এবং স্ফূর্তি আসে। সেদিন মাঠেই সেটা দেখেছেন। ওকে পেয়ে আমরা ভাগ্যবান।”

    সামনে থেকে ওর খেলা দেখা ভাগ্যের ব্যাপার

    প্রথমবার কোহলির শতরান চোখের সামনে দেখেছেন তিলক। তাঁর বিশ্বাসই হচ্ছে না এই ইনিংস। বলেছেন, “আমরা কোহলির অন্যতম সেরা ইনিংস দেখতে পেলাম। প্রথম বার সামনে থেকে বিরাট ভাইয়ের শতরান দেখতে পেয়ে খুব খুশি। গত ১৭ বছর ধরে দুর্দান্ত খেলে যাচ্ছে ও। ব্যাটিং, ফিল্ডিং, সবেতে সেরা। সব সময়ে নিজেকে সকলের আগে রাখতে ভালবাসে। অনেক কিছু শিখেছি ওর থেকে। সামনে থেকে ওর খেলা দেখা ভাগ্যের ব্যাপার। আমি চেষ্টা করি যতটা সম্ভব ওর সঙ্গে কথা বলে কিছু না কিছু শিখতে।”

    রোহিত-বিরাটে মুগ্ধ রাহুল

    ম্যাচের আগে রাহুল বলেছিলেন, “রোহিত ও কোহলির গুরুত্ব আমাদের দলে খুব বেশি। ওদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটার সাজঘরে থাকলে সকলের আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়ে যায়। ওদের অভিজ্ঞতা দলের সকলকে অনেক সাহায্য করে। তাই ওদের পেয়ে আমি খুব খুশি।” রবিবার ম্যাচ হওয়ার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে তিনি বলেন, “রোহিত আর কোহলিকে এ ভাবে খেলতে দেখলে খুব মজা লাগে। ওরা যে স্বাধীনতা নিয়ে খেলে সেটা গোটা কেরিয়ার জুড়েই করেছে। নতুন কিছু নয় ওদের কাছে। অনেক দিন ধরে ওদের চোখের সামনে দেখছি। সাজঘরে ওদের দেখতে পাওয়া আমার কাছে সব সময়েই খুব মজার।”

    গম্ভীর-আগরকে তলব

    এদিকে, গম্ভীর এবং আগরকরকে জরুরি তলব করা হয় বিসিসিআই-এর তরফে। তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, কোহলি-রোহিতের সঙ্গে তাঁদের দূরত্ব বা বিরোধ তৈরি হয়েছে কিনা। কারণ শোনা যাচ্ছে, গত অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় থেকে কোচের সঙ্গে বিশেষ কথা বলছেন না কোহলি। আবার এক দিনের দলের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর আগরকরের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করেছেন রোহিত। মাঠে এবং সাজঘরের তাঁদের বিভিন্ন আচরণ দেখে সব কিছু স্বাভাবিক রয়েছে বলে মনে করছেন না বিসিসিআই কর্তারা। দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের সঙ্গে এই ধরনের দূরত্ব ভালো ভাবে নিচ্ছেন না বোর্ড কর্তারা। গম্ভীর এবং আগরকরের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন কর্তারা।

    রোহিত-কোহলিকে নিয়ে বৈঠক

    ওডিআই ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ২ ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির ভবিষ্যৎ নিয়ে চর্চা চলছে সমাজ মাধ্যমে। টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণার পর ওডিআই সিরিজ থেকেও অধিনায়কত্ব হারান রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। তাঁর বদলে দলের অধিনায়ক বানানো হয় শুভমন গিলকে (Shubman Gill)। ভাইস ক্যাপ্টেনের পদ দেওয়া হয়েছে শ্রেয়স আইয়ারকে (Shreyas Iyer)। আর এই সিদ্ধান্তের পরেই, ২০২৭ সালের বিশ্বকাপে রোহিত ও কোহলির ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা চলছে। হেড কোচ গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে সম্পর্ক নাকি তলানিতে ঠেকেছে দুই তারকা ক্রিকেটারের। বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, “গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার সম্পর্ক যে জায়গায় থাকা উচিত ছিল সে জায়গাতে নেই খুব শীঘ্রই দুই তারকার সঙ্গে তাদের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে চলেছে বিসিসিআই। সম্ভাবত দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় ওডিআই ম্যাচের মাঝেই মিটিংটি অনুষ্ঠিত হবে।”

    রোহিত-কোহলির গুরুত্ব

    বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচের আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর, নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান অজিত আগরকর এবং আরও কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে জরুরি বৈঠক ডেকেছে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে নেওয়া হল যখন টিম ইন্ডিয়ার তারকা খেলোয়াড় বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা চলছে। সাম্প্রতিক ম্যাচগুলিতে দুর্দান্ত পারফর্ম করে উভয় খেলোয়াড়ই নিজেদের স্কিল ফের একবার চিনিয়ে দিয়েছেন৷ বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া, যুগ্ম সচিব প্রভাতেজ সিং ভাটিয়া, প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর এবং জাতীয় নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান অজিত আগরকর এই বৈঠকে যোগ দিতে পারেন। এই বৈঠকের আগে দলের ভিতরে রোহিত-কোহলির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনায় মেতেছেন ক্রিকেটাররা। বিরাট-ব্যাটে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে রাহুল-কুলদীপ-তিলকদের মধ্যে।

  • SIR in Bengal: এনুমারেশন ফর্মে ভুল এন্ট্রি সংশোধনের সুযোগ! বিজ্ঞপ্তি জারি কমিশনের

    SIR in Bengal: এনুমারেশন ফর্মে ভুল এন্ট্রি সংশোধনের সুযোগ! বিজ্ঞপ্তি জারি কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিরোধীদের দাবি মেনেই বিএলও অ্যাপে আনা হল বড় বদল। সোমবারই বদল আনা হয় অ্যাপে। এনুমারেশন ফর্ম (SIR in Bengal) সংগ্রহ করার পর বিএলও-রা অ্যাপের মাধ্যমে এন্ট্রি করে থাকেন। সেই অ্যাপে এবার এল ‘এডিট‘ অপশন। বিএলও-রা একবার নাম এন্ট্রি করে ফেললে সেটি আর বদলানোর কোনও উপায় ছিল না এতদিন পর্যন্ত। এবার নির্বাচন কমিশন এমন ব্যবস্থা চালু করল যে ইআরও-রা ওই অ্যাপে এডিট করতে পারবে। অর্থাৎ বিএলও-দের কোনও ভুল হলে ইআরও-রা তা পরিবর্তন করতে পারবে।

    ভুল এন্ট্রি হয়ে থাকলে সংশোধন

    কমিশন সূত্রে খবর, ভোটারদের তথ্য এন্ট্রি করার ক্ষেত্রে কোনও ভুল হয়ে থাকলে এ বার তা সংশোধন করা যাবে। সোমবারই এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করছে কমিশন (Election Commission)। জানানো হয়েছে, ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর জন্য যে অতিরিক্ত সময় পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে এই ভ্রম সংশোধনের কাজ সেরে ফেলতে হবে। ভোটারদের তথ্য ডিজিটাইজ করার সময় ‘ভুল এন্ট্রি’ করা নিয়ে সম্প্রতি নানা জায়গা থেকে অভিযোগ উঠছিল। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কমিশনের কাছে বিএলও এবং ইআরও-দের বিরুদ্ধে ভুল এন্ট্রি করার অভিযোগ এনেছিলেন। কারও কারও দাবি, বিএলএ-দের চাপে পড়ে অনেক ক্ষেত্রে ভুল এন্ট্রি করতে বাধ্য হচ্ছিলেন বিএলও-রা। সেই আবহেই এই পদক্ষেপ করেছে কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর-এর কাজ ইতিমধ্যে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। তার পরেও অতিরিক্ত সময় পাওয়া গিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কোথাও কোনও ভুল এন্ট্রি হয়ে থাকলে তা সংশোধন করতে পারবেন বিএলও-রা।

    বিরোধী দলনেতার অভিযোগকে মান্যতা

    উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী সোমবার সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিযোগ জানিয়েছেন, বিএলও-দের চাপ দিয়ে ওটিপি নিয়ে আইপ্যাকের লোকেরা অবৈধভাবে নাম ঢুকিয়ে দিচ্ছে। সোমবার শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপির প্রতিনিধিরা সিইও দফতরে হাজির হন। একাধিক দাবি জানিয়ে এদিন ডেপুটেশন দিয়েছেন তাঁরা। তারপরই কমিশনের এই সিদ্ধান্ত। পর্যবেক্ষক আসার পর বিএলও অ্যাপে এই আমুল পরিবর্তন করা হল বলে জানা যাচ্ছে। কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এমনিতেও ভুল এন্ট্রি থাকলে শুনানিপর্বে সব তথ্য যাচাই করা হবে। কিন্তু এখন জানানো হচ্ছে, ভুল এন্ট্রি আগে থেকেই সংশোধন করে ফেলতে হবে।

  • SIR in Bengal: মৃত ২১ লক্ষ, নিখোঁজ ৫ লক্ষ, ভুয়ো…! বাংলায় এখনও পর্যন্ত বাদের খাতায় ৪৩ লক্ষের বেশি ভোটার

    SIR in Bengal: মৃত ২১ লক্ষ, নিখোঁজ ৫ লক্ষ, ভুয়ো…! বাংলায় এখনও পর্যন্ত বাদের খাতায় ৪৩ লক্ষের বেশি ভোটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR in Bengal) প্রক্রিয়ায় এখনও পর্যন্ত ৪৩ লক্ষ ৩০ হাজার ভোটারের নাম বাদ পড়েছে। কমিশনের (Election Commission) দেওয়া তথ্য় অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মোট চারটি ক্ষেত্রে ভাগ করে প্রাথমিক পরিসং‌খ্যান জানানো হয়েছে। আপাতত খসড়া তালিকায় থাকছেন না এই ভোটাররা। এনুমারেশন ফর্ম বিলি এবং সংগ্রহের মাধ্যমেই তৈরি হয়েছে এই ‘বাদের তালিকা’। যাতে রয়েছে মৃত, স্থানান্তরিত, নিখোঁজ এবং ভুয়ো ভোটার।

    কাদের নাম বাদ যাচ্ছে তালিকায়

    কমিশন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২১ লক্ষ ৪৫ হাজার মৃত ভোটার চিহ্নিত হয়েছে। নিখোঁজ ভোটারের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৫৩ হাজার। স্থানান্তরিত ভোটারের সংখ্যা সোমবার পর্যন্ত ১৫ লক্ষ ১৩ হাজার। ৯৮ হাজার ৬০০ ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত হয়েছে। কমিশন সূত্রে বলা হয়েছে, এর মধ্যে নিঁখোজ ভোটারের যে পরিসংখ্যান প্রাথমিক ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, তার হেরফের হতে পারে। কারণ, নিখোঁজ হিসেবে যে ভোটারদের চিহ্নিত করা হয়েছে, তাঁদের কারও কারও খোঁজ মিললেও মিলতে পারে। কারণ, রবিবারই কমিশনের তরফে এসআইআর-এর সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ৪ ডিসেম্বরের বদলে ফর্ম বিলি ও সংগ্রেহর কাজ চলবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। যদিও সংখ্যার অদলবদল হলেও, তা খুবই নগণ্য হবে বলেই মনে করছেন কমিশনের কর্তারা।

    কোন জেলায় কীরকম কাজ

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত শতাংশের বিচারে সবচেয়ে বেশি মৃত ভোটার চিহ্নিত হয়েছে উত্তর কলকাতা লোকসভা এলাকায়। আর সংখ্যার দিক থেকে তা সর্বাধিক উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। ফলে কমিশনের খাতায় এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারেই বলেই প্রাথমিক অনুমান সিইও দফতরের আধিকারিকদের। কিন্তু নির্দিষ্ট সংখ্যা কত, তা স্পষ্ট হবে ১৬ ডিসেম্বর। ওই দিনই খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। তাঁরা জানিয়েছে, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট ‘আনকালেক্টেড ফর্ম’ অর্থাৎ বিএলও-র কাছে ভোটারের তরফ থেকে জমা না পড়া এনুমারেশন ফর্মের পরিসংখ্যান ৭ শতাংশ। এছাড়াও একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে ফর্ম ডিজিটাইজডের কাজ। এখনও পর্যন্ত এই ডিজিটাইজডের নিরিখে এগিয়ে রয়েছে বসিরহাট উত্তর। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সেখানে ডিজিটাইজড হয়েছে ৯৬.০৫ শতাংশ ফর্ম। আনকালেক্টেড ফর্মের নিরিখেও ‘সাফল্য‘ পেয়েছে এই বিধানসভা কেন্দ্র। মাত্র ৩.৩৭ শতাংশ ফর্ম এখনও ‘আনকালেক্টেড‘, যা গোটা রাজ্য়ের নিরিখে সবচেয়ে কম। আর সবচেয়ে বেশি ‘আনকালেক্টেড ফর্ম‘ রয়েছে ব্যারাকপুরে। মোট ১৫.৬২ শতাংশ।

  • Suvendu Adhikari: এক রাতে ১ কোটি ২৫ লক্ষ এন্ট্রি! কমিশনের কাছে বড় অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: এক রাতে ১ কোটি ২৫ লক্ষ এন্ট্রি! কমিশনের কাছে বড় অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরও সুরক্ষিত নয়, দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে (CEO Office) এসে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে বিজেপির প্রতিনিধি দলকে। এরমধ্যেই দফতরে ঢুকে সিইও মনোজ আগরওয়ালের (CEO Manoj Agarwal) সঙ্গে বৈঠক শুরু হয় শুভেন্দুদের। সেখানেই একাধিক দাবি তুলে ধরেন তিনি। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, “সময় নিয়ে এসেও এইভাবে বাধার সম্মুখীন হতে হল, এর থেকেই বোঝা যায় সিইও অফিস সুরক্ষিত নয়।”

    ১ কোটি ২৫ লক্ষ এন্ট্রি!

    পশ্চিমবঙ্গে এসআইআরের ফর্ম জমা নেওয়ার কাজ প্রায় শেষের পথে। আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফর্ম জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে গুরুতর অভিযোগ নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে হাজির হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একগুচ্ছ দাবি জানিয়ে এসেছেন তিনি। মূলত ২৬, ২৭ ও ২৮ নভেম্বরের এন্ট্রি নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ওই তিনদিনের প্রত্যেকটা এন্ট্রি পর্যবেক্ষকদের দিয়ে অডিট করাতে হবে। আধুনিক ব্যবস্থা ব্যবহার করে করতে হবে অডিট। রাতারাতি ১ কোটি ২৫ লক্ষ এন্ট্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। এতে এইআরও, ইআরও ও আইপ্যাক যুক্ত আছে বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু।

    সিইও দফতরে ডেপুটেশন

    শুভেন্দু বলেন, “এটা একটা স্ক্যাম।” বিরোধী দলনেতার দাবি, সারা দেশে এসডিও-দেরই ইআরও করা হয়। এ রাজ্যে ল্যান্ড অফিসারকেও ইআরও করা হল কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শুভেন্দু বলেন, “এটা করতে পারেন না। এসডিও র‍্যাঙ্কের অফিসারকেই করতে হবে।” ভোটকুশলী সংস্থা আইপ্যাক এসআইআর-এর ডেটা এন্ট্রি করেছে বলেও দাবি করেন শুভেন্দু। বিসিএস, আইএএস-দেরই শুধু ইআরও করতে হবে বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু। তাঁর মতে, বহু বাংলাদেশি মুসলমান ও মৃতদের নাম ঢোকানো হয়েছে। শুভেন্দুর নেতৃত্বে এদিন সিইও দফতরে ডেপুটেশন দেন বিজেপি বিধায়করা।

    সিইও অফিস অন্যত্র স্থানান্তর

    বিধানসভার বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, “৫০০০ বিএলও বেনিয়ম করেছেন, এখনও করছেন। দু’মাস পরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” এদিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (WB CEO) এবং এসআইআর-এর (SIR) কাজের জন্য দিল্লির নিয়োগ করা বিশেষ পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্তর (Subrata Gupta) সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিজেপির প্রতিনিধি দল। সেইসময়েই দফতরের বাইরে অবস্থান করা ‘বিএলও অধিকার রক্ষা’ কমিটির সদস্যরা তাঁদের দেখে চিৎকার করতে থাকেন। শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) লক্ষ্য করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়। শুরু হয় স্লোগান-পাল্টা স্লোগান। মনোজ আগরওয়ালের কাছে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,“অবৈধভাবে সিইও অফিসে আসার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের বাধা দেওয়া হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা জেনেছি, সিইও অফিস অন্যত্র স্থানান্তরিত হচ্ছে, সেটা দ্রুত করতে হবে এবং সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।”

  • Cyclone Ditwah: ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান সহ ৬ দেশের নাগরিকদের উদ্ধার ভারতীয় বায়ুসেনার

    Cyclone Ditwah: ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান সহ ৬ দেশের নাগরিকদের উদ্ধার ভারতীয় বায়ুসেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে ভারতীয় বায়ুসেনা ভূমিধস-আক্রান্ত কটমালে বড় ধরনের উদ্ধার ও সরিয়ে আনার অভিযান পরিচালনা করেছে। রাস্তাঘাট সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় এলাকাটি এখনও পুরোপুরি অবরুদ্ধ। দিনভর আইএএফ-এর হেলিকপ্টারগুলি মোট ৪৫ জন আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে ৬ জন গুরুতর আহত। ছিল ৪ টি শিশুও। সকলকেই নিরাপদে কলম্বোতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ জন ভারতীয় নাগরিক, বিভিন্ন দেশের বহু বিদেশি নাগরিক এবং শ্রীলঙ্কার বাসিন্দারাও ছিলেন। উদ্ধার হওয়া বিদেশিদের মধ্যে একজন পাকিস্তানি নাগরিকও ছিলেন।

    উদ্ধার-কাজে সক্রিয় ভারতীয় বায়ুসেনা

    স্থলভাগে ত্রাণ কার্যক্রম আরও জোরদার করতে, আইএএফ ৫৭ জন শ্রীলঙ্কান সেনাকর্মীকে দুর্গত এলাকায় পৌঁছে দিয়েছে, যাতে উদ্ধার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। আইএএফ ভীষ্ম ক্যাপসুল ও মেডিক্যাল টিমও মোতায়েন করেছে। রবিবার রাত ৮টা পর্যন্ত ৪০০-র বেশি ভারতীয় নাগরিককে বিমানযোগে ভারতে ফিরিয়ে এনেছে। সাইক্লোন দিটওয়া শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন জেলায় প্রবল বৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধস নামিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। রাস্তা ভেঙে পড়া এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এলাকায় আটকে থাকা মানুষের জন্য জীবনরক্ষায় ভূমিকা নেয় ভারতীয় বায়ুসেনার এমআই-১৭ ভি৫ হেলিকপ্টার।

    ‘অপারেশন সাগরবন্ধু’

    ঘূর্ণিঝড় দিটওয়ার তাণ্ডবে শ্রীলঙ্কায় মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৩০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত সে দেশে ৩৩৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। নিখোঁজ অন্তত ৪০০ জন। প্রতিবেশী এই দেশে আটকে পড়েছেন বেশ কিছু ভারতীয়ও। বিমানে করে তাঁদের ফেরানোর চেষ্টা চলছে। শ্রীলঙ্কার দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত সে দেশে প্রায় ১১ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে। এই দুর্দিনে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। উদ্ধারকাজে নেমেছে ভারতের বায়ুসেনা। ইতিমধ্যে আকাশপথে কলম্বোয় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে অন্তত ২১ টন ত্রাণসামগ্রী। আইএনএস বিক্রান্তে করে পাঠানো হয়েছে চেতক হেলিকপ্টার। বিশাখাপত্তনম থেকে ত্রাণ নিয়ে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা হয়ে গিয়েছে আইএনএস সুকন্যাও। এই গোটা উদ্ধার অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সাগরবন্ধু’। সে দেশে আটকে পড়া ভারতীয়দেরও বিমানে করে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।

    উদ্ধার অভিযান, বাঁচানো হল পাক নাগরিককেও

    কঠিন আবহাওয়া ও ভূমিধসপ্রবণ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বায়ুসেনা বিভিন্ন দেশের নাগরিককে উদ্ধার করে। এদের মধ্যে ছিলেন— জার্মানির ২, দক্ষিণ আফ্রিকার ৪, স্লোভেনিয়ার ২, যুক্তরাজ্যের ২, ভারতের ১২, শ্রীলঙ্কার ৫ জন নাগরিক। এছাড়া তিনজন গুরুতর আহত শ্রীলঙ্কান নাগরিককে দ্রুত কলম্বোতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযানের সময় এক গরুড় কমান্ডোকে হেলিকপ্টার থেকে উইঞ্চের সাহায্যে বিপদসংকুল এলাকায় নামানো হয়। তাঁর নেতৃত্বে আটকে পড়া দলকে পাহাড়ি পথে নিয়ে যাওয়া হয় কটমালের একটি ছোট হেলিপ্যাডে, যেখান থেকে ২৪ জন যাত্রীকে প্রবল বাতাস ও কম দৃশ্যমানতার মাঝেও কলম্বোতে নিয়ে যায় আইএএফ হেলিকপ্টার। দ্বিতীয় দফা উদ্ধার অভিযানে ইরানের ৫, অস্ট্রেলিয়ার ১, পাকিস্তানের ১, বাংলাদেশের ৩, শ্রীলঙ্কার ৮ জন ছিলেন। অভিযানটি পরিচালিত হয় শ্রীলঙ্কার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সেন্টার এবং সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে। এর আগে শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীর পাঁচটি দল, মোট ৪০ জন সৈন্যকে এমআই-১৭ হেলিকপ্টারে করে দিয়াথালাওয়া সেনানিবাস থেকে কটমালা অঞ্চলে পাঠানো হয় উদ্ধার ও ত্রাণকাজে সহায়তা করার জন্য।

  • India vs South Africa: ভাঙলেন শচিনের রেকর্ড, স্ব-মহিমায় কিং কোহলি! রোহিত-বিরাটের হাত ধরেই জয়ে ফিরল ভারত

    India vs South Africa: ভাঙলেন শচিনের রেকর্ড, স্ব-মহিমায় কিং কোহলি! রোহিত-বিরাটের হাত ধরেই জয়ে ফিরল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় ফের তার প্রমাণ মিলল বাইশ গজে। লাল বল থেকে সাদা বলে প্রত্যাবর্তন। সেই সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটেও ফিরল হাসি। রাঁচিতে এক দিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৭ রানে হারিয়ে দিল ভারত (India vs South Africa)। দর্শকেরা যা দেখতে মাঠে এসেছিলেন, সেটা পেয়ে গেলেন। বিরাট কোহলির শতরান, রোহিত শর্মার অর্ধশতরান! আর কী চাই। কোহলি-রোহিতের হাত ধরেই জয়ে ফিরল ভারত। হাসি ফিরল গুরু গম্ভীরের মুখেও। প্রথমে ব্যাট করে ৩৪৯/৮ তুলেছিল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা আটকে গেল ৩৩২ রানে। একই সঙ্গে রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়লেন কিং কোহলি। ছয়ের পর ছয় এল ‘রো-কো’র ব্যাট থেকে।

    শচিনকে ছাপিয়ে গেলেন

    রাঁচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) বিরুদ্ধে ১৩৫ রানের ঐতিহাসিক ইনিংস খেলেলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। যার সুবাদে টিম ইন্ডিয়া প্রথমে ব্যাট করে ৩৪৯ রানের বিশাল স্কোর করতে সক্ষম হয়। এই ইনিংসে কোহলি ৫টি বড় রেকর্ড গড়েছেন। ছাপিয়ে গিয়েছেন মাস্টার-ব্লাস্টার শচিন তেন্ডুলকরকে। বিরাট কোহলি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কোনও একটি ফর্ম্যাটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করা ব্যাটার হয়ে গিয়েছেন। তিনি সচিন তেন্ডুলকারের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। সচিন টেস্ট ক্রিকেটে ৫১টি সেঞ্চুরি করেছেন। কোনও ফর্ম্যাট (টি-২০, টেস্ট এবং ওয়ান ডে) -এ এর চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি কারও ছিল না, কিন্তু এখন বিরাট কোহলি এগিয়ে গিয়েছেন। তিনি ওয়ান ডে ক্রিকেটে ৫২টি সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন। বিরাট কোহলি ১৩৫ রানের এই ইনিংসে সচিন তেন্ডুলকরের আরও একটি বড় রেকর্ড ভেঙেছেন। তিনি ভারতে ওয়ানডে ফর্ম্যাটে সবচেয়ে বেশি ৫০ বা তার বেশি রানের ইনিংস খেলা ব্যাটার হয়ে গিয়েছেন। আগে এই রেকর্ড সচিন তেন্ডুলকরের নামে ছিল, যিনি ৫৮ বার এই কীর্তি গড়েছিলেন। কোহলি ৫৯ বার দেশের মাটিতে ওয়ান ডে ক্রিকেটে ৫০ বা তার বেশি রান করেছেন।

    রেকর্ডের পর রেকর্ড

    বিরাট কোহলি ভারতের কোনও একটি মাঠে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করা ব্যাটার হয়ে গিয়েছেন। রাঁচির ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে বিরাট ৫ ইনিংসে ৩টি সেঞ্চুরি করেছেন। বিরাট বিশাখাপত্তনম এবং পুনেতেও ৩টি করে সেঞ্চুরি করেছেন। তবে ওই দুই মাঠে যথাক্রমে সাত ও আটটি ইনিংস লেগেছে কোহলির। বিরাট কোহলি দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ওয়ান ডে সেঞ্চুরি করা ব্যাটার হয়ে গিয়েছেন। রাঁচিতে কোহলির দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ষষ্ঠ ওয়ান ডে সেঞ্চুরি ছিল। বিরাট কোহলি ৩ নম্বর পজিশনে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ছক্কা মারা ব্যাটার হয়ে গিয়েছেন। তিনি রিকি পন্টিংয়ের রেকর্ড ভেঙেছেন, যিনি ৫৪০ ইনিংসে ২১৭টি ছক্কা মেরেছিলেন। বিরাট কোহলি তিন নম্বরে খেলে ৩২৭ ইনিংসে ২১৮টি ছক্কা মেরেছেন।

    রোহিতের পরিচিত মেজাজ

    দু’বছর আগের এক দিনের ক্রিকেট থেকে একটা ঘরানা শুরু করেছেন রোহিত শর্মা। ওপেন করতে নেমে এতটাই আগ্রাসী খেলছেন যে বাকিদের উপর চাপ কমে যাচ্ছে। তাঁকে সেই স্বাধীনতাও দেওয়া হয়েছে। রোহিতের লক্ষ্য থাকে পাওয়ার প্লে-তে যতটা সম্ভব রান তুলে নেওয়া। এর একটা উল্টো দিকও রয়েছে। চালিয়ে খেলতে গেলে আউট হওয়ার সম্ভাবনাও বহু গুণে বাড়ে। রোহিত অবশ্য কোনও দিনই সে সবের পরোয়া করেন না। সে কারণেই সাফল্য পাচ্ছেন। সিডনিতে শেষ যে ম্যাচটি খেলেছিলেন, সেখানে শতরান করে দলকে জিতিয়েছিলেন। রাঁচিতে তাঁর ব্যাট থেকে আগ্রাসী অর্ধশতরান দেখা গেল। এক রানের মাথায় ক্যাচ পড়েছে। তবু আগ্রাসনের রাস্তা থেকে সরেননি রোহিত। করবিন বশকে টানা দু’টি চার মেরেছেন। প্রেনেলান সুব্রায়েনকে পর পর দু’টি ছয় মেরেছেন। সবচেয়ে ভালো লেগেছে বিরাট কোহলির সঙ্গে তাঁর জুটি। দু’জনের বোঝাপড়া কতটা ভাল তা এই ম্যাচেও বোঝা গিয়েছে। সিডনির পর রাঁচিতেও দু’জনের জুটি ভারতকে শক্তিশালী করেছে। ২০তম ওভারে মার্কো জানসেনকে ছয় মেরে শাহিদ আফ্রিদির নজির ভেঙে দিয়েছেন।

    ৬৮১ রানের পাহাড়

    ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) মধ্যে আয়োজিত প্রথম একদিনের ম্যাচে দুটো দল মোট ৬৮১ রান করে। এছাড়া দুই দলের হয়ে উড়ে যায় ২৮ গগনচুম্বী ছক্কা। ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ানডে ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে এটাই সর্বাধিক রান। পাশাপাশি সর্বাধিক ছক্কা হাঁকিয়েছেন দুই দলের ব্যাটাররা। ইতিপূর্বে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে ২০১৫ সালে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ওয়ানডে ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল। এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৩৮ রান করেছিল। এরপর ভারত ব্যাট করতে নেমে ২২৪ রান করে। এই ম্যাচে দুটো দল মিলিয়ে মোট ৬৬২ রান করেছিল। আর হাঁকিয়েছিল ২৫ ছক্কা। এবার দশ বছরের পুরনো সেই রেকর্ড ভেঙে গেল।

  • Parliament Winter Session: সংসদে শুরু হচ্ছে শীতকালীন অধিবেশন, কোন কোন বিল পেশ করতে পারে সরকার?

    Parliament Winter Session: সংসদে শুরু হচ্ছে শীতকালীন অধিবেশন, কোন কোন বিল পেশ করতে পারে সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Parliament Winter Session) শুরু হচ্ছে আজ, সোমবার। ১৯ দিনের এই অধিবেশনে ১৫ বার সভা বসার কথা। জাতীয় মহাসড়ক সংশোধনী বিল , পারমাণবিক শক্তি সংক্রান্ত বিল, বীমা আইন সংশোধনী বিল এবং ভারতের উচ্চ শিক্ষা কমিশন ২০২৫ এর মতো মোট ১৩টি বিল এই অধিবেশনে উত্থাপিত হবে। ধূমপায়ী ও তামাক সেবনকারীদের জন্য খারাপ খবর আসতে চলেছে এই অধিবেশনে। বাড়তে চলেছে নেশার খরচ। তামাক ও তামাকজাত পণ্যের উপরে কেন্দ্রীয় আবগারি শুল্ক বা এক্সাইজ ডিউটি (Excise Duty) বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। দাম বাড়তে চলেছে সিগারেট ও অন্য তামাকজাত পণ্যের। দাম বাড়তে চলেছে পানমশলারও।

    কতদিন চলবে অধিবেশন

    সোমবার শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Parliament Winter Session)। চলবে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ছুটির দিনগুলি বাদ দিলে মোট ১৫ দিন অধিবেশন চলবে। গান্ধীদের বিরুদ্ধে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা ও দেশজুড়ে চলা এসআইআর নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আপাতত শাসক ও বিরোধী দুই শিবিরই এই দুই বিষয় নিয়ে মাঠে নামতে চলেছে। কেন্দ্র ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ বিল আনতে চলেছে, যার মধ্যে রয়েছে নিউক্লিয়ার এনার্জি রিফর্ম (Nuclear Energy Reform), হায়ার এডুকেশন কমিশন বিল (Higher Education Commission), কোম্পানি আইন সংশোধন (Corporate Law Reform) এবং সিকিউরিটিজ মার্কেট সংশোধন (Securities Market Reform)। এই পরিস্থিতিতে ২৬ নভেম্বর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বাড়িতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। অধিবেশন মসৃণভাবে চালাতে সর্বদলীয় বৈঠকও ডাকেন সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

    নতুন আবগারি বিল

    শীতকালীন অধিবেশনের (Parliament Winter Session) প্রথম দিনেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন নতুন আবগারি বিল পেশ করতে পারেন। এই বিলে পান মশলা ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্যের উপরে অতিরিক্ত সেস বসানোর কথা বলা হয়েছে। শুল্ক থেকে আয় হওয়া টাকা খরচ করা হবে জাতীয় নিরাপত্তা ও জনস্বাস্থ্যের খাতে। ওয়াকিবহাল সূত্রের খবর, এই বিলে পান মশলার উপরে সেস বসতে পারে। এছাড়া অন্যান্য ‘সিন গুডস’ (Sin Goods) অর্থাৎ সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্যের উপরেও অতিরিক্ত সেস বসতে পারে। তবে ছাড় দেওয়া হবে বিড়িতে। এই বিলে এমন বিধানও রয়েছে যে জনস্বার্থে সরকার পরবর্তী সময়ে ‘সিন গুডসে’র তালিকায় আরও সংযোজন করতে পারে। বিল সংসদের দুই কক্ষে পাশ হয়ে আইনে পরিণত হলেই, তা অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

    কত দাম বাড়বে

    নতুন আবগারি বিলে সরকার ৭৫ এমএম দৈর্ঘ্যের বেশি ফিল্টার সিগারেটের প্রতি এক হাজার স্টিকে ১১ হাজার টাকা সেসের প্রস্তাব দিয়েছে। আগে এই শুল্ক ছিল মাত্র ৭৩৫ টাকা। নন ফিল্টার সিগারেট (৬৫-৭০এমএম) ক্ষেত্রে প্রতি এক হাজার স্টিকে ৪৫০০ টাকা শুল্কের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা আগে ছিল ২৫০ টাকা। অর্থাৎ ১৮ গুণ বেশি সেস বসবে। এছাড়া পাইপ ও সিগারেটে ভরা স্মোকিং মিক্সচারে আগে যে ৬০ শতাংশ সেস ছিল, তা বাড়িয়ে ৩২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে জিএসটি চালু হওয়ার পর থেকে আবগারি শুল্ক তুলনামূলকভাবে কম রাখা হয়েছিল, যাতে সেস বসলেও দামে বিশেষ প্রভাব না পড়ে। এবার সেই শুল্কে বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। এই বিলে বিভিন্ন নির্দিষ্ট পণ্যের উৎপাদনের ক্ষমতার উপরেও সেস বসবে। অর্থাৎ ধরা যাক, যদি কোনও মেশিনে প্রতি মিনিটে ২.৫ গ্রামের পান মশলার ৫০০ প্যাকেট তৈরি হয়। তাহলে প্রতি মেশিন পিছু প্রত্যেক মাসে ১০০ টাকা করে সেস বসবে। যদি উৎপাদন আরও বাড়ে, পণ্যের ওজন বাড়ে, তাহলে সেসও বাড়বে।

    অ্যাটমিক এনার্জি বিল

    প্রথামাফিক অধিবেশন শুরুর আগে, রবিবার সংসদে সর্বদল বৈঠক ডেকেছিল কেন্দ্র। ওই বৈঠকে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) ছাড়াও দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়েও আলোচনার দাবি জানিয়েছে বিরোধী দলগুলি। বিরোধী দলগুলির সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দিল্লি এবং দেশের নানা প্রান্তে ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণ নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি জানানো হবে। শীতকালীন অধিবেশনে ১৩টি বিল পেশ করতে পারে কেন্দ্র। তার মধ্যে উল্লেখ্য হল ‘অ্যাটমিক এনার্জি বিল, ২০২৫’। এই বিলে দেশের পরমাণু শক্তি ক্ষেত্রও বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য খুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পরমাণু শক্তি আইন, ১৯৬২ মেনে এত দিন পরমাণু শক্তি ক্ষেত্র পুরোপুরি সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল। সবটাই দেখত পরমাণু শক্তি দফতর (ডিএই)।

    কোন কোন বিল আসতে পারে

    দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে স্বশাসিত করতে ‘হায়ার এডুকেশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া বিল, ২০২৫ পেশ করতে পারে কেন্দ্র। তালিকায় রয়েছে কর্পোরেট আইন (সংশোধনী) বিল, মণিপুর জিএসটি (দ্বিতীয় সংশোধনী) বিল। রবিবারের সর্বদল বৈঠকে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেন রিজিজু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। কেন্দ্রের তরফে অধিবেশন সুষ্ঠু ভাবে চালানোর জন্য বিরোধী দলগুলির সাহায্য চাওয়া হয়েছে। সংসদ বিষয়কমন্ত্রী রিজিজু বলেন, “সংসদের কাজ থমকে দেওয়া উচিত নয়। সরকার সভার কাজ সুষ্ঠু ভাবে চালাতে সব দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে।”

     

     

     

     

     

     

  • Asia Power Index 2025: ‘আত্মনির্ভরতা’-তেই বাজিমাত! ‘এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্সে’ তৃতীয় ভারত, কোথায় পাকিস্তান?

    Asia Power Index 2025: ‘আত্মনির্ভরতা’-তেই বাজিমাত! ‘এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্সে’ তৃতীয় ভারত, কোথায় পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামরিক শক্তির দৌড়ে বিশ্ব তালিকায় আরও একধাপ উঠে এল ভারত। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার লোই ইন্সটিটিউটের তরফে এবছরের ‘এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্স ২০২৫’ (Asia Power Index 2025) তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, শক্তির তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। এই তালিকায় বর্তমানে ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে শুধুমাত্র আমেরিকা এবং চিন। এর পাশাপাশি ‘মেজর পাওয়ার’ তালিকাভুক্ত হয়েছে ভারত। এই তালিকায় প্রথম দশের মধ্যেও জায়গা পায়নি পাকিস্তান। তালিকায় অনুযায়ী, প্রতিবেশী দেশের স্থান ১৬ নম্বরে।

    কীভাবে তৈরি হয় এই ইনডেক্স

    অস্ট্রেলিয়ার একটি বিখ্যাত থিঙ্ক ট্যাঙ্ক লোই ইনস্টিটিউট তাদের ২০২৫ সালের বার্ষিক এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্স প্রকাশ করেছে। আটটি বিষয়ের ১৩১টি সূচকের উপর নির্ভর করে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তারা। আটটি বিষয়ের মধ্যে রয়েছে সামরিক ক্ষমতা, প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক, অর্থনৈতিক ক্ষমতা, সম্পর্ক, কূটনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব। সাতাশটি দেশ এই তালিকায় রয়েছে। সেই তালিকায় প্রথমে রয়েছে আমেরিকা। লোই ইনস্টিটিউটের মতে, ১০০-র মধ্যে আমেরিকা পেয়েছে ৮১.৭। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চিন পেয়েছে ৭৩.৭। আগের বারের চেয়ে চিনের পয়েন্ট বেড়েছে ১। আর এরপরই উঠে এসেছে ভারত। তৃতীয় স্থানে থাকা ভারত পেয়েছে ৪০। চতুর্থ স্থানে রয়েছে জাপান। আর পঞ্চম স্থানে রাশিয়া রয়েছে। ২০১৯ সালের পর রাশিয়ার অবস্থান উপরে উঠে এল। আর এই তালিকায় পাকিস্তান পেয়েছে মাত্র ১৪.৫ পয়েন্ট।

    মেজর পাওয়ার ভারত

    এশিয়ায় সামরিক শক্তির দিক দিয়ে কোন দেশ এগিয়ে প্রতিবছর তার তালিকা প্রকাশ করে ‘এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্স’। কোনও দেশের সামরিক ক্ষমতা, প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক, অর্থনৈতিক শক্তি, কূটনৈতিক প্রভাব, সংস্কৃতি ও ভবিষ্যৎ সম্পদের উপর ভিত্তি করে নম্বর দেওয়া হয়। এশিয়াতে নিজেদের সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে বিশ্বের এমন দেশগুলিকেও ধরা হয় এই তালিকায়। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, এশিয়ার মধ্যে ভারত লাগাতার নিজের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বাড়িয়ে চলেছে। ২০২৫ সালে এই নিরিখে ভারতের স্কোর হয়েছে ৪০.০০। যার ভিত্তিতে তালিকায় মেজর পাওয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ভারত। আগামী দিনে সেটাও ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি

    অর্থনীতি থেকে সামরিক শক্তি, ক্রমশ ‘আত্মনির্ভর’ হয়ে উঠছে ভারত। জঙ্গি হামলার জবাব দিতে শত্রু দেশের সীমানায় ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতেও দু-বার ভাবে না। আবার কোভিড কালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিন পৌঁছে দিয়ে মানবিকতার নতুন নজির গড়েছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের বার্তার গুরুত্ব বেড়েছে। আর এই সবের ফলেই এশিয়ায় শক্তিশালী দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে পৌঁছে গিয়েছে ভারত। করোনার মতো মহামারীর পর থেকে ভারতের অর্থনীতি দ্রুত উন্নত হয়েছে। এছাড়াও, বিশ্বব্যাপী ভারতের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রযুক্তি এবং আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কগুলিতে ভারত উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। এর পাশাপাশি, সামরিক বাহিনীর সক্ষমতাও শক্তিশালী হয়েছে।

    ভারতের আধিপত্য

    কোভিড-১৯ মহামারীর পর থেকে ভারতের অর্থনীতির দ্রুত বৃদ্ধি হয়েছে। গত কয়েকমাস ধরে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে চাপানউতোর চলছে। আমেরিকায় ভারতীয় পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মোকাবিলা করতে দেশবাসীকে ভারতীয় পণ্য আরও বেশি করে ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই মুহূর্তে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারত। খুব শীঘ্রই ভারত এক ধাপ উপরে উঠে আসবে বলে আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা। সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রেও আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে ভারত। এখন শুধু নিজের সেনাবাহিনীর জন্যই সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করছে না, রফতানিও বাড়িয়েছে। বিশ্বের দরবারে ভারতের সামরিক সরঞ্জামের চাহিদা বাড়ছে। যেকোনও হামলার মোকাবিলা করতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর শক্তি আরও বেড়েছে। শুধু তাই নয়, জঙ্গি হামলার মোকাবিলায় শত্রু দেশে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। কয়েকমাস আগে অপারেশন সিঁদুরে সেটা ফের করে দেখিয়েছে ভারতীয় সেনা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এশিয়ায় ক্রমশ আধিপত্য বিস্তার করছে ভারত।

    এক নম্বর, তবু পয়েন্ট কমেছে

    অন্যদিকে, এই তালিকায় এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে উঠে এসেছে চিন। আমেরিকার পর সুপার পাওয়ার হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তারা। যদিও ২০১৮ সালে এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্স চালু হওয়ার পর এবারই সবচেয়ে নিচে এসেছে আমেরিকার স্কোর। বিশ্লেষকদের অনুমান, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর তাঁর গৃহিত নীতিগুলির জেরেই নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। চিন লাগাতারভাবে আমেরিকার সঙ্গে নিজেদের স্কোরের ব্যবধান কমিয়ে আনছে। ২০১৯ সালের পর এশিয়ায় রাশিয়া তার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে। মস্কোর ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক উপস্থিতি মূলত চিন এবং উত্তর কোরিয়ার সাথে তার কৌশলগত প্রতিরক্ষা এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের জন্য দায়ী। ২০২৪ সালে রাশিয়াকে পিছনে ফেলে অস্ট্রেলিয়া উপরে উঠে এলেও এবার রুশ ফের পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে এবার নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করেছে জাপানও। লোই ইনস্টিটিউটের একটি রিপোর্ট অনুসারে, ভারত ভবিষ্যতে একটি প্রধান এশীয় শক্তি হিসেবে তার অবস্থান আরও সুসংহত করতে পারে। এদিকে, এই তালিকায় প্রথম দশেও স্থান পায়নি। পাকিস্তান। ভারতের এই পড়শি দেশ রয়েছে ১৬ নম্বর স্থানে।

     

     

     

LinkedIn
Share