Author: ishika-banerjee

  • Maha Kumbh 2025: মহাকুম্ভে মিলন মেলা, পবিত্র প্রয়াগে পুণ্য-স্নান পাকিস্তানের ৬৮ পুণ্যার্থীর

    Maha Kumbh 2025: মহাকুম্ভে মিলন মেলা, পবিত্র প্রয়াগে পুণ্য-স্নান পাকিস্তানের ৬৮ পুণ্যার্থীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান-ভারত দুই দেশের রাজনৈতিক দূরত্ব সত্ত্বেও, ওয়াঘার ওপার আর এপারে রয়েছে আত্মার টান। পাকিস্তান (Pakistani Hindus) থেকে দেবভূমি ভারতের মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) যোগ দিলেন সিন্ধু প্রদেশের ৬৮ জন হিন্দু ভক্তের একটি দল। বৃহস্পতিবার প্রয়াগরাজে পৌঁছে সঙ্গমের পবিত্র জলে ডুব দিলেন তাঁরা। উত্তরপ্রদেশের প্রশাসন সূত্রের খবর ভক্তরা গঙ্গা, যমুনা এবং পৌরাণিক সরস্বতীর পবিত্র সঙ্গমস্থলে তাঁদের পূর্বপুরুষদের জন্য প্রার্থনা করে আচার অনুষ্ঠান করেন।

    মহাকুম্ভে মোক্ষলাভ

    পাকিস্তানের (Pakistani Hindus) করাচিতে অবস্থিত শ্রী পঞ্চমুখী হনুমান মন্দির সমিতির অধ্যক্ষ শ্রীরামনাথ মিশ্র মহারাজের নেতৃত্বে ওই দলটি পাকিস্তান থেকে কলসবন্দি করে নিয়ে এসেছেন ৪০০ হিন্দুর অস্থি। উদ্দেশ্য, মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) পুণ্যলগ্নে মা গঙ্গায় মোক্ষের সন্ধান। গত ৮ বছর ধরে প্রিয়জনের অস্থি রাখা হচ্ছিল পাকিস্তানের শ্মশানেই। প্রিয়জনের অস্থি গঙ্গায় বিসর্জন দিতেই এত বছরের অপেক্ষা। মহাকুম্ভের পুণ্যলগ্নে এই সব অস্থি ভারতে আনার জন্য বিশেষ ভিসা দেওয়া হয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে। ভিসা পেয়েই গত সোমবার ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ৪০০ পাকিস্তানি হিন্দুর কলসবন্দি অস্থি নিয়ে আসা হয় ভারতে।

    মহাকুম্ভে অভিভূত পুণ্যার্থীরা

    মহন্ত রামনাথ জানান, মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) আসার আগে তাঁরা প্রথমে হরিদ্বার যান। সেখানে তাঁদের পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে ভস্ম বিসর্জন দেন। তার পর ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান করেন সকলে। গত বছর এপ্রিল মাসে পাকিস্তান থেকে ২৫০ জন প্রয়াগরাজে গিয়ে গঙ্গায় স্নান করেছিলেন। এ বার সিন্ধু প্রদেশের ঘোটকি, সুক্কুর, খাইরপুর, শিকারপুর, কারকোট এবং জটাবল জেলা থেকে ৬৮ জন পুণ্যার্থী এসেছেন। যার মধ্যে ৫০ জন প্রথমবার কুম্ভে এলেন। ওই দলের এক সদস্যা সংবাদসংস্থাকে বলেন, ‘‘এটা খুবই আনন্দের অনুভূতি। প্রকাশ করার মতো কোনও ভাষা আমার কাছে নেই। আগামিকাল আমরা ফের পুণ্যস্নান করব। এখানে থাকা আমাদের সনাতন ধর্মের ঐতিহ্যের জন্য আমরা গর্বিত।’’ সিন্ধু থেকে আসা এক গৃহবধূ বলেন, ‘‘ভারতে এবং মহাকুম্ভে এলাম আমার প্রথমবার। এখানে আমাদের সনাতন সংস্কৃতি উপলব্ধি করাটা এক ঐশ্বরিক অভিজ্ঞতা। আমরা সিন্ধুতে জন্মগ্রহণ করেছি এবং বেড়ে উঠেছি। সেখানে হিন্দুদের প্রতি খুব বেশি বৈষম্য নেই। তবে ভারতে আমাদের ঐতিহ্য প্রত্যক্ষ করা এক অতুলনীয় অভিজ্ঞতা।’’

  • Modi in Rajya Sabha: পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ, দেশে নয়া মডেল! রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণে কী কী বললেন মোদি?

    Modi in Rajya Sabha: পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ, দেশে নয়া মডেল! রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণে কী কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘কংগ্রেসের নীতি হল, পরিবার প্রথম৷’’ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদজ্ঞাপন বক্তৃতায় স্বভাব-সিদ্ধ ভঙ্গিতেই কংগ্রেসকে কড়া আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi in Rajya Sabha) ৷ রাজ্যসভায় তাঁর আক্রমণ শুরু হয় বিজেপি সরকারের ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ মডেল দিয়ে৷ জবাবি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জানান দেশবাসী ২০১৪ সালের পরে একটা নতুন মডেল পেয়েছে, আদর্শ পেয়েছে। যা নিয়ে অমৃতকালের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। তিনি বিজেপি সরকারের সাফল্যের কথাও বলেন।

    পরিবারতন্ত্র নিয়ে কটাক্ষ

    এদিন জবাবি ভাষণে দেশের সবচেয়ে পুরনো জাতীয় দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী (Modi in Rajya Sabha) বলেন, “কংগ্রেসের থেকে সবকা সাথ, সবকা বিকাশ আশা করাই উচিত নয়। এটা যেমন ওদের ধারণার বাইরে, ঠিক তেমনই ওদের দলের আর্দশের মধ্য়ে পড়ে না। কারণ গোটা দলটাই টিকে আছে পরিবারতন্ত্রের উপর ভিত্তি করে।” জরুরি অবস্থার সময়ে দেশের পরিস্থিতির কথা স্মরণ করিয়ে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ওই সময় দেশবাসীর বাক্‌স্বাধীনতা হনন এবং সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করা হয়েছিল। বেশ কিছু উদাহরণও তুলে ধরে মোদির অভিযোগ, শিল্পীদেরও রেহাই দেওয়া হয়নি সেই সময়। জরুরি অবস্থাকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানাতে রাজি না হওয়ায় দেবানন্দের সিনেমা দূরদর্শনে সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তোলেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা এখন সংবিধানের কথা বলছেন, তাঁরা বছরের পর বছর সংবিধানকে নিজেদের পকেটে ঢুকিয়ে রেখে দিয়েছিলেন।”

    আম্বেদকরকে স্মরণ

    আম্বেদকর-প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী (Modi in Rajya Sabha) বলেন, “কংগ্রেস সরকার বিআর আম্বেদকরকে ভারতরত্ন দেয়নি ৷ তাঁকে ভারতরত্নের যোগ্য মনেই করা হয়নি ৷ কিন্তু আজ তারা ‘জয় ভীম’ বলতে বাধ্য হচ্ছে৷ ভীমরাও আম্বেদকরের প্রতি কংগ্রেসের ঘৃণা, রাগের কথা ইতিহাসে খুব ভালোভাবেই নথিবদ্ধ রয়েছে৷ তাঁর প্রতিটি কথায় কংগ্রেস বিরক্ত হয়ে যেত। এর সব তথ্য রয়েছে। বাবাসাহেবকে দু’বার নির্বাচনে হারানোর জন্য তারা কী করেনি! তবে দেশবাসী আম্বেদকরের ভাবনাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই আজ বাধ্য হয়ে কংগ্রেসকে জয় ভীম বলতে হয়। এ কথা বলতে গিয়ে তাদের গলা শুকিয়ে আসে।”

    সংরক্ষণ ইস্যুতে কংগ্রেসকে তোপ

    মোদির (Modi in Rajya Sabha) বক্তৃতায় উঠে আসে আদিবাসী, দলিত, তফশিলি জাতি, জনজাতি এবং অন্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রসঙ্গ। তাঁর সরকার যে সাধারণ শ্রেণির গরিব মানুষদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ এনেছে, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উঠে আসে বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য সুবিধা, তৃতীয় লিঙ্গকে আইনি স্বীকৃতির কথাও। মোদি বলেন, “গত বেশ কয়েকবছর ধরে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর আওতাভুক্ত সাংসদরা দাবি করছেন, যেন ওবিসি কমিশনকে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়া হয়। কিন্তু বারংবারই সেই আবেদন খারিজ হয়ে এসেছে। অবশেষে আমরা সেই সম্প্রদায়ের দাবিকে সম্মান জানিয়ে তাদের আবেদন রাখতে চলেছি।”

    দেশে এক নয়া মডেল

    প্রধানমন্ত্রী (Modi in Rajya Sabha) দাবি করেন, কংগ্রেস আমলে জাতপাত প্রচারেরও চেষ্টা হয়েছে৷ তিনি বলেন, “জাতপাতের বিষ ছড়ানোর চেষ্টাও হয়েছে৷ সংরক্ষণের বিষয়টি যখনই সামনে এসেছে, তখনই দেশে একটা ঝড় উঠেছে৷ আমরা প্রথম বার, একটা মডেল দিয়েছি দেশকে৷ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকা শ্রেণিকে আমরা ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছি। তাদের কাছ থেকে কিছু ছিনিয়ে না নিয়েই আমরা সংরক্ষণের এই মডেল দিয়েছি৷ এসসি, এসটি, ওবিসি-রা তাকে স্বাগত জানিয়েছে৷ কারও কোনও সমস্যা হয়নি৷ এর আগে বিশেষত কংগ্রেসের সময় তোষণ ছিল সবকিছু ৷ সেটাই রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল৷ এতে কয়েকটি ছোট দলের অনেক সুবিধা হয়েছে৷ কিন্তু অন্যরা বঞ্চিত হয়েছে৷ নির্বাচনের সময় তারা মিথ্যা আশা জাগিয়েছিল৷ মানুষকে বোকা বানানোর রাজনীতি করেছে ওরা।”

    এনডিএ সরকারের উদ্যোগ

    বিজেপি দেশের সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের দিকে লক্ষ্য রেখেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী (Modi in Rajya Sabha) ৷ তিনি বলেন, “আমরা সম্পৃক্তকরণের দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছি ৷ চেয়েছি, প্রকল্পগুলির একশো শতাংশই রূপায়িত হোক৷ কেউ যেন বঞ্চিত না হয়, কাউকে যেন হতাশার দিকে ঠেলে দেওয়া না হয়৷ বিগত দশকগুলিতে প্রতিটি স্তরে আমরা ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ কার্যকর করার চেষ্টা চালিয়েছি৷ এখন তার ফলাফল দেখতে পাচ্ছি ৷” তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্প এবং উদ্যোগের কারণে দরিদ্র শ্রেণির মানুষকে মধ্যবিত্তের পর্যায়ে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে। দরিদ্র থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে উঠে আসা মানুষদেরই তিনি ব্যাখ্যা করছেন ‘নব্য মধ্যবিত্ত’ বলে। মোদির কথায়, “কেন্দ্রীয় সরকার মধ্যবিত্ত এবং নব্য মধ্যবিত্তের পাশে সব সময় রয়েছে। আমরা মধ্যবিত্তদের একটি বড় অংশের জন্য আয়কর শূন্য করে দিয়েছে। ২০১৩ সালে (মোদি জমানা শুরুর আগে) বার্ষিক ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর ছাড় ছিল। আজ আমরা বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপরে করে ছাড় দিয়েছি।”

    কেন্দ্রের একগুচ্ছ প্রকল্প

    রাজ্যসভায় মোদির (Modi in Rajya Sabha) বক্তৃতায় উঠে আসে আয়ুষ্মান যোজনা, আবাস যোজনার মতো প্রকল্পগুলির কথাও। আয়ুষ্মান যোজনায় সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধদের চিকিৎসা বিমা দেয় কেন্দ্র। মোদির দাবি, এই প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছেন দেশের মধ্যবিত্ত প্রবীণেরাই। পাশাপাশি, মধ্যবিত্তদের জন্য কেন্দ্রের তরফে ৪ কোটি বাড়িও তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দেশের পর্যটন প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মধ্যবিত্তেরা উপকৃত হচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর কথায়, অতীতে বিদেশিরা ভারত বলতে দিল্লি, মুম্বই বা বেঙ্গালুরুকেই চিনতেন। তবে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে জি-২০ বৈঠক আয়োজন করানোর ফলে এখন বিশ্ববাসী ভারতকে নতুন করে চিনেছেন। দেশীয় পর্যটনেও আকর্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যটনের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসাও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মধ্যবিত্তেরাই এর সুবিধা পাচ্ছেন বলে মত প্রধানমন্ত্রীর।

  • Solo Trekking in Nepal: হিমালয়ে সোলো-ট্রেকিং বন্ধের নির্দেশ! একা পর্বতারোহণে না নেপালের

    Solo Trekking in Nepal: হিমালয়ে সোলো-ট্রেকিং বন্ধের নির্দেশ! একা পর্বতারোহণে না নেপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোলো ট্রেকিং (Solo Trekking in Nepal) বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল নেপাল। পর্বতারোহী বা অভিযাত্রীদের সুরক্ষার কথায় মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানায় নেপাল সরকার। মঙ্গলবার রাতে নেপাল গেজেটের মাধ্যমে সরকার ঘোষণা করেছে যে তারা ৮,০০০ মিটার উচ্চতার সব পর্বত শৃঙ্গের একক অভিযান নিষিদ্ধ করছে। নতুন নিয়মাবলী অনুযায়ী, ৮,০০০ মিটার বা তার বেশি উচ্চতার পর্বত শৃঙ্গের অভিযানে প্রতিটি দুই সদস্যের দলের সঙ্গে অন্তত একজন গাইড রাখতে হবে। এই বিধি এখন থেকে এভারেস্টসহ সব ৮,০০০ মিটার উচ্চতার পর্বতের জন্য প্রযোজ্য।

    কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?

    এভারেস্ট-সহ (Solo Trekking in Nepal) বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ৮টি পর্বত অবস্থিত নেপালে। প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষেরা নেপাল আসেন শুধু ট্রেকিংয়ের লোভে। এভারেস্ট ছাড়াও মাউন্ট লোৎসে, অন্নপূর্ণা ইত্যাদি পর্বত শৃঙ্গের ট্রেকিং শুরু হয় নেপাল থেকে। কিন্তু এবার নেপালে একা-একা পর্বতারোহণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নেপালের পাহাড়ি পথ বেশ দুর্গম। হিমালয়ের কোলে একাধিক দুর্ধর্ষ ট্রেকিং রুট শুরু হয় নেপাল থেকেই। নেপালের হিমালয়ের বাঁকে বাঁকে রয়েছে রোমাঞ্চ। কিন্তু এই অ্যাডভেঞ্চারের মাঝে বিপদের মুখে কোনও পর্যটক পড়ুক, তা চায় না সে দেশের সরকার। তাই দুর্ঘটনা এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল সরকার। হিমালয়ের আচরণ বোঝা কঠিন। অন্তত এ দেশে ঘুরতে আসা পর্যটকদের ক্ষেত্রে। প্রতি বছর নেপাল ভয়াবহ ভূমিকম্প, তুষারপাত ও তুষারঝড়ের সম্মুখীন হয়। তাছাড়া উচ্চতায় দেখা দেয় অক্সিজেনের সমস্যা। এমন পরিস্থিতিতে বিপদের মুখে পড়লে কিংবা দুর্ঘটনা শিকার হলে উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এই সিদ্ধান্ত নিল নেপাল সরকার।

    নয়া নির্দেশে কী কী বলা হয়েছে?

    নেপালের ট্যুরিজম (Solo Trekking in Nepal) বোর্ডের মতে, সরকারের এই সিদ্ধান্তে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। নেপালে ট্রেকিংয়ের জন্য এমন গাইড নিয়ে হবে যাঁর লাইসেন্স রয়েছে। গাইডরা দুর্গম পরিবেশ এবং পাহাড়ি পথের সঙ্গে পরিচিত। সুতরাং, এই গাইডদের জন্যও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে নেপাল সরকারের এই সিদ্ধান্ত। নতুন নিয়মের আওতায়, বিদেশি অভিযাত্রীদের জন্য এভারেস্টের দক্ষিণ রুটে বসন্তে ১৫,০০০ মার্কিন ডলার রাজস্ব ফি নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগে ছিল ১১,০০০ ডলার। এছাড়া, শরতে রাজস্ব ফি বেড়ে ৭,৫০০ ডলার হয়েছে, যা আগে ছিল ৫,৫০০ ডলার। শীতকালীন অভিযান ফি ২,৭৫০ ডলার থেকে বেড়ে ৩,৭৫০ ডলার হয়েছে।

  • India vs England: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মহড়া! ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে রান চান রোহিত-বিরাট

    India vs England: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মহড়া! ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে রান চান রোহিত-বিরাট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মহড়া শুরু হতে চলেছে ভারতের। বৃহস্পতিবার নাগপুরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে (India vs England) একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচ। তিন ম্যাচের সিরিজকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি হিসেবেই নিচ্ছে রোহিত-গম্ভীর জুটি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। এবার লড়াই দু’দলের ওয়ান ডে সিরিজের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে তিন ম্য়াচের এই ওয়ান ডে সিরিজ দু’দলের কাছেই মিনি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি মঞ্চ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কোচ হিসেবে এই সিরিজেও সোনা ফলাতে চান গম্ভীর। যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো গুরুত্বপূর্ণ আইসিসি টুর্নামেন্টে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে।

    রানে ফিরতে মরিয়া রোহিত-কোহলি

    অধিনায়ক রোহিতের জন্য এটা শুধুমাত্র একটি সিরিজ নয়। নিজের হারিয়ে যাওয়া জায়গা ফিরে পাওয়ার লড়াই। ২০২৩ বিশ্বকাপ থেকে অন্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছে ভারত অধিনায়ককে। প্রত্যেক ম্যাচেই শুরুটা বিধ্বংসী মেজাজে করেন। যা ভারতীয় ব্যাটিংয়ের ফাউন্ডেশন গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। কিন্তু সম্প্রতি ছন্দে নেই রোহিত। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ব্যর্থতা কাটিয়ে রানে ফেরার চ্যালেঞ্জ হিটম্যানের সামনে। অন্যদিকে বিরাট কোহলির জন্যও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অগ্নিপরীক্ষা। তার আগে রানে ফিরতে মরিয়া থাকবেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে (India vs England) সবচেয়ে সফল কোহলি। তাই বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামবেন। একদিনের সিরিজ শুরুর আগে নেটে হাই ইনটেনসিটি ট্রেনিংয়ে নিজেদের ডুবিয়ে দিলেন রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি। নেটে দু’জনেরই পুরোনো ঝলক দেখা গেল। আগ্রাসী স্ট্রোক খেলতে দেখা যায় রোহিত, বিরাটকে। তাঁদের অনুশীলনের একটি ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বিসিসিআই।

    এগিয়ে ভারত

    ওয়ানডে ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টিম ইন্ডিয়ার (India vs England) পাল্লা অনেকটাই ভারী। দুটো দলের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১০৭ একদিনের ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছে। এরমধ্যে ৫৮ ম্যাচে জয়লাভ করেছে ভারত। ৪৪ ম্যাচে বাজিমাত করেছে ইংল্যান্ড। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল এই ব্যবধান বাড়াতেই মাঠে নামবে।

    ম্যাচের খুঁটিনাটি (India vs England)

    কোথায় হবে ম্যাচ: ভারত এবং ইংল্যান্ডের মধ্য়ে প্রথম একদিনের ম্যাচটি নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হচ্ছে।

    কখন থেকে শুরু হবে ম্যাচ: ওয়ানডে সিরিজের প্রত্যেকটা ম্যাচ বেলা দেড়টা থেকে শুরু হবে। আর ম্যাচ শুরুর ঠিক আধঘণ্টা আগে টস হবে।

    কোথায় দেখবেন ম্যাচ: ভারত বনাম ইংল্যান্ড প্রথম একদিনের ম্যাচের লাইভ টেলিকাস্ট আপনারা স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্কে দেখতে পাবেন। ম্যাচের লাইভ টেলিকাস্ট দেখবেন ডিজনি প্লাস হটস্টারে।

  • AB-PMJAY Scheme: প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় বিপুল সাড়া, প্রকল্পের অধীনে সাড়ে ৮ কোটির বেশি মানুষ

    AB-PMJAY Scheme: প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় বিপুল সাড়া, প্রকল্পের অধীনে সাড়ে ৮ কোটির বেশি মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়ুষ্মান ভারত – প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (AB-PMJAY Scheme) প্রকল্পে বিপুল সাড়া মিলেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা (JP Nadda) মঙ্গলবার রাজ্যসভায় জানান, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আয়ুষ্মান ভারত – প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (AB-PMJAY Scheme) প্রকল্পের অধীনে ৮.৫ কোটির বেশি মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে পাবলিক ও প্রাইভেট দুই সেক্টরই রয়েছে। পাবলিক সেক্টরে ৪.২ কোটি এবং প্রাইভেট সেক্টরে ৪.৩ কোটি মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা নিয়েছেন।

    আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা কী

    ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এই প্রকল্পে বছরে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমার সুযোগ পায় কোনও পরিবার। গত ২৯ অক্টোবর পরিবারের প্রবীণ সদস্যের জন্য আলাদা স্বাস্থ্যবিমার ঘোষণা করেন মোদি। তিনি জানান, কোনও পরিবারে ৭০ বছর কিংবা তার বেশি বয়সি সদস্য আলাদা করে স্বাস্থ্যবিমার সুযোগ পাবেন। তিনিও বছরে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমা পাবেন। এর সঙ্গে ওই পরিবারের স্বাস্থ্যবিমার কোনও সম্পর্ক নেই। প্রবীণ নাগরিকদের আয়ুষ্মান ভায়া বন্দনা কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করা হবে না। দেশের সমস্ত প্রবীণ নাগরিকই এই কার্ড পাবেন।

    কী বললেন নাড্ডা

    সংসদে একটি প্রশ্নের উত্তরে নাড্ডা (JP Nadda) জানান যে, ভারতের ৪০ শতাংশ আর্থিকভাবে দুর্বল জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। তাদের জন্য এই প্রকল্প অমৃত সুধার মতো। সম্প্রতি, এই প্রকল্পে ৭০ বছর বা তার উপরের ৬ কোটি প্রবীণ নাগরিককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি দেশব্যাপী তিন স্তরের মডেলে বাস্তবায়িত হচ্ছে— জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ (এনএইচএ), রাজ্য স্বাস্থ্য সংস্থা (এসএইচএ) এবং জেলা বাস্তবায়ন ইউনিট (ডিআইইউ)। রাজ্য পর্যায়ে প্রকল্পের কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য রাজ্য সরকারগুলি এসএইচএ গঠন করেছে। এই সংস্থা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ করে। এই প্রকল্প এখন ২৫টি রাজ্যে ইউটিতে ট্রাস্ট মোডে, ৭টি রাজ্যে ইউটিতে বিমা মোডে এবং ২টি রাজ্যে হাইব্রিড মোডে বাস্তবায়িত হচ্ছে। নতুন নতুন হাসপাতালকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে।

  • PM Modi: মহাকুম্ভে মোদি, গেরুয়া পোশাকে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্য-ডুব প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: মহাকুম্ভে মোদি, গেরুয়া পোশাকে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্য-ডুব প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে রুদ্রাক্ষের মালা, শরীরে গেরুয়া পোশাক, মহাকুম্ভে এলেন মোদি (PM Modi)। গঙ্গা, যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতী নদীর সঙ্গমে পুণ্যস্নান সারলেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার সকালে মহাকুম্ভে পৌঁছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে বোটে করে সঙ্গমে যান তিনি। দিল্লি ভোটের দিনই প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্নান সেরে সূর্য প্রণাম করে প্রার্থনাও করলেন প্রধানমন্ত্রী (Modi in Maha Kumbh)।

    কেন এদিন স্নান

    মকর সংক্রান্তি, মৌনী অমাবস্যা এবং বসন্ত পঞ্চমীতে ‘অমৃত স্নান’ সেরেছেন অসংখ্য মানুষ। সামনে আসছে মাঘী পূর্ণিমার ‘অমৃত স্নান’-ও। তার পরিবর্তে বুধবার যে প্রধানমন্ত্রী ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান সারলেন, সেটার নেপথ্যে বিশেষ মাহাত্ম্য আছে বলে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, আজ মাঘী অষ্টমী তিথি পড়েছে। মহাভারতের কাহিনী অনুযায়ী, আজকের দিনেই প্রাণত্যাগ করেছিলেন ভীষ্ম। সেজন্যই পুণ্যস্নানের জন্য আজকের দিনটা বেছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও বিরোধীদের দাবি, হিন্দু ধর্মীয় ভাবাবেগে টোকা দিয়ে রাজনৈতিক কার্যসিদ্ধির জন্য দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের দিনই মহাকুম্ভে গেলেন মোদি (PM Modi)। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষের ভিড় হচ্ছে কুম্ভে। তাই ভিড় এড়াতে শাহি স্নানের দিন বাদ দিয়ে একটি বিশেষ দিনকে বেছে নেন প্রধানমন্ত্রী (Modi in Maha Kumbh)। এমনিতে এবার কুম্ভমেলার বিশেষ গুরুত্ব আছে। কারণ ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, ইতিমধ্যে মহাকুম্ভে দেশ ও বিদেশ থেকে ৩৮ কোটি মানুষ এসেছেন। সেরেছেন পুণ্যস্নান। শেষপর্যন্ত পুণ্যার্থীর সংখ্যা ৪০ কোটি পেরিয়ে যাবে বলে দাবি করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

    মোদির সঙ্গী যোগী

    বুধবার সকালে প্রয়াগরাজে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। এরপর স্পিড বোডে করে সঙ্গম স্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মোদির জন্য প্রয়াগরাজে উপচে পরেছে ভক্তদের ঢল। প্রধানমন্ত্রী মোদি (Modi in Maha Kumbh) প্রয়াগরাজে আসেন সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে। ডিপিএস হেলিপ্যাড-এ নামেন তিনি। সকাল ১১টার সময় তিনি নিষাদরাজ ক্রুজে ভিআইপি জেটি থেকে যাত্রা করেন, তাঁর সঙ্গে একই জলযানে দেখা গেল যোগীকে। এরপরই পূর্ব নির্ধারিত সময় মেনেই ত্রিবেণী সঙ্গমে আসেন মোদি।

  • Israel-Hamas Conflict: ‘গাজার দখল নেবে আমেরিকা’! নেতানিয়াহুকে পাশে নিয়ে বড় ঘোষণা ট্রাম্পের

    Israel-Hamas Conflict: ‘গাজার দখল নেবে আমেরিকা’! নেতানিয়াহুকে পাশে নিয়ে বড় ঘোষণা ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীঘ্রই গাজা ভূখণ্ডের দখল নেবে আমেরিকা। এমনই দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ওয়াশিংটনে ইজরায়েলের (Israel-Hamas Conflict) প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুয়ের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, গাজাকে অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী করে তোলা হবে। গাজা ভূখণ্ড থেকে প্যালেস্তিনীয়দের স্থায়ীভাবে প্রতিবেশী দেশগুলিতে পুনর্বাসন করার কথাও ভাবা হচ্ছে, বলে জানান তিনি। তবে গাজায় ঠিক কী করবেন, কীভাবে গাজা দখল করবেন, সেইসব বিষয়ে বিস্তারিতভাবে অবশ্য কিছু জানাননি ট্রাম্প। গাজাকে নতুনভাবে গড়ে তোলার জন্য মার্কিন সেনা নামানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি।

    কী বললেন ট্রাম্প

    ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এখন আমেরিকা সফরে। মঙ্গলবার তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প (Donald Trump)। সেই বৈঠকে আলোচনার অন্যতম বিষয়ই ছিল ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ (Israel-Hamas Conflict) পরিস্থিতি। সেই বৈঠকের পর নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্প যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই গাজা দখলের হুঁশিয়ারি দেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমেরিকা গাজা ভূখণ্ডের দখল নেবে। আমরা ওই ভূখণ্ডের মালিক হব। সেখানে থাকা সমস্ত বিপজ্জনক বোমা এবং অন্যান্য অস্ত্র ধ্বংস করব। আমরা গাজাতে উন্নতি করব। সেখানে হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এমন কিছু হবে, যার জন্য পশ্চিম এশিয়া গর্ববোধ করবে। বিশ্বের মানুষের বাসস্থল হবে গাজা।’’

    গাজায় আর্থিক উন্নয়ন

    পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার অন্যতম কূটনৈতিক ‘সঙ্গী’ ইজরায়েল। হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের যুদ্ধে (Israel-Hamas Conflict) প্রথম থেকেই নেতানিয়াহু সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে। প্রসঙ্গত, কাতারের মধ্যস্থতায় এবং আমেরিকা ও মিশরের প্রচেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি রাতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইজরায়েল সরকার এবং হামাস। ১৯ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়েছে। তার পর থেকেই যুদ্ধবিরতির অন্যতম শর্ত হিসাবে শুরু হয়েছে বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া। সেই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নিহতদের দেহের সন্ধানও শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে ওয়াশিংটন থেকে ট্রাম্প (Donald Trump) দাবি করেন, গাজায় যে সব আবাসন-বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, তা পরিষ্কার করে সেখানে আর্থিক উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করবে আমেরিকা। যে আর্থিক উন্নয়নের কারণে গাজার মানুষের সামনে প্রচুর চাকরির দরজা খুলে যাবে। তবে হামাসকে কোনওভাবেই ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্ন উঠছে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।

    হামাসকে রেয়াত নয়

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট (Donald Trump) জানিয়েছেন যে জঙ্গি সংগঠনকে নিশ্চিহ্ন করার বিষয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, হামাস যদি থাকে, তাহলে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি আসবে না। যিনি ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে থাকা ‘সবথেকে বড় বন্ধু’ হিসেবে চিহ্নিত করে দাবি করেন যে হামাসকে হারিয়ে যে জয়লাভ করবে ইজরায়েল, সেটা আমেরিকারও জয় হবে। তিনি জানান, এ ব্যাপারে আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘‘ট্রাম্প সাধারণ ধারণার খোলস ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছেন।’’

    হামাসের সঙ্গে নাৎজি বাহিনীর তুলনা

    হামাস নিধনে একমত আমেরিকা ও ইজরায়েল। এই জঙ্গি সংগঠনকে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় করার কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘যদি এই বিষাক্ত ও হত্যাকারী সংগঠন থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির কথা বলতে পারবেন না।’’ বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করে তিনি দাবি করেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে নাৎজি বাহিনী যদি থাকত, তাহলে শান্তি ফেরানো যেমন কঠিন হত, হামাসের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা সেরকম।

    হামাসের ‘টাকার পথ’ বন্ধ 

    হামাস-বিরোধী (Israel-Hamas Conflict) মনোভাবের রেশ ধরেই ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে প্যালেস্তাইনের উদ্বাস্তুদের সহায়তা করার জন্য রাষ্ট্রসংঘের ত্রাণ এজেন্সিকে অর্থপ্রদান করবেন না। কারণ সেই অর্থ হামাসের কাছে চলে যায়। যে জঙ্গি সংগঠন মানবতার প্রতি কলঙ্ক। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকেও আমেরিকা নাম প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।

    গাজায় মার্কিন সেনা!

    প্যালেস্তাইনের ভূখণ্ড গাজা স্ট্রিপ। আগে হামাসের ঘাঁটি ছিল এই জায়গা। যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইজরায়েল (Israel-Hamas Conflict) এই ভূখণ্ড দখলের লাগাতার চেষ্টা করে গিয়েছে। যুদ্ধের সবথেকে বেশি অভিঘাতও সয়েছে এই গাজা স্ট্রিপই। আমেরিকা গাজায় সেনা পাঠাবে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “যা প্রয়োজনীয়, আমরা তাই করব।” ট্রাম্পের (Donald Trump) পাশে দাঁড়িয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও বলেন, “এমন কিছু হতে চলেছে যা ইতিহাস বদলে দেবে। ট্রাম্প গাজার জন্য অন্য এক ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করেছেন। চিরাচরিত ধারণার বাইরে ভাবনা রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের।”

  • Delhi Assembly Election 2025: ৭০ আসনে ভোট শুরু দিল্লিতে, ভোটারদের বিশেষ আর্জি প্রধানমন্ত্রীর

    Delhi Assembly Election 2025: ৭০ আসনে ভোট শুরু দিল্লিতে, ভোটারদের বিশেষ আর্জি প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হল দিল্লির ভোটগ্রহণ পর্ব (Delhi Assembly Election 2025)। বুধবার সকাল ৭টা থেকেই বুথে-বুথে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। ৭০টি বিধানসভা আসনে ৬৯৯ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ আজ। রাজধানীর ক্ষমতার রাশ কার হাতে থাকবে আজ তা ঠিক করছেন দিল্লিবাসী। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই বুধ সকালে দিল্লিবাসীর উদ্দেশে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে সকলকে গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হওয়ার বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেছেন, ‘আগে ভোট দান, তারপর বিশ্রাম।’

    প্রধানমন্ত্রী মোদির বার্তা

    হাইভোল্টেজ প্রচার শেষে নির্ধারিত সময়ে ভোট শুরু হয়েছে রাজধানীতে। সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোটদানের হার ৮ শতাংশ। দিল্লির (Delhi Assembly Election 2025) মোট ১৪ হাজার বুথে চলছে ভোটগ্রহণ। মোট ৭০ টি আসনের ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে। ফলাফল জানা যাবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনকে ঘিরে সরগরম দিল্লির রাজনীতি। আক্রমণ, বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ সবমিলিয়ে জমে উঠেছে দিল্লির লড়াই। এদিন ভোটদান প্রক্রিয়া শুরুর ঠিক আগে দিল্লির ভোটারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) লেখেন, ‘‘আজ দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের সব আসনে ভোটগ্রহণ হবে। আমি দিল্লির ভোটারদের পূর্ণ উদ্যম নিয়ে গণতন্ত্রের এই উৎসবে সামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি । তাঁরা যেন নিজেদের মূল্যবান ভোট দেন। প্রথমবার ভোটে দিতে যাওয়া যুব প্রজন্মের সকলকে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছি। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, প্রথমে ভোটদান, তারপর বিশ্রাম।’’

    প্রতিশ্রুতির বন্যা

    ভোট গ্রহণ (Delhi Assembly Election 2025) শুরু হতেই আপ-এর বিদায়ী বিধায়ক ও ওখলার প্রার্থী আমানাতুল্লাহ খানের বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণ বিধি ভাঙার অভিযোগ ওঠে। অন্য দিকে, আপ-এর অন্য এক বিদায়ী বিধায়ক দীনেশ মোহানিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় সঙ্গম বিহার থানায়। এক মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ তোলেন। এবারের ভোটে কংগ্রেস, বিজেপি, আপ— সকলেই নিজেদের ইস্তেহারে ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আম আদমি পার্টি ঘোষণা করেছে, তাদের সরকার জিতে হ্যাটট্রিক করলে প্রতি মাসে মহিলাদের ২ হাজার ১০০ টাকা করে দেওয়া হবে। পড়ুয়াদের নিখরচায় বাস যাত্রা এবং মেট্রোর ভাড়ায় ছাড় দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, পুরোহিত ও গ্রন্থীদের মাসে ১৮ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথাও বলেছে আপ। বিজেপির প্রতিশ্রুতি, কোনও চালু সরকারি প্রকল্প বন্ধ হবে না। মহিলাদের মাসে আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। গরিবদের জন্য ৫০০ টাকায় রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার, হোলি ও দিওয়ালিতে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস দেওয়া হবে। কংগ্রেস আবার যুবদের চাকরি ছাড়াও, মহিলা ও বয়স্কদের জন্য নানা ঘোষণা করেছে।

  • Delhi Assembly Election: ৫০,০০০ ড্রয়িং রুম সভা, ৪ লাখ অংশগ্রহণ! দিল্লি নির্বাচনে বিজেপির হয়ে আরএসএসের নিভৃত প্রচার

    Delhi Assembly Election: ৫০,০০০ ড্রয়িং রুম সভা, ৪ লাখ অংশগ্রহণ! দিল্লি নির্বাচনে বিজেপির হয়ে আরএসএসের নিভৃত প্রচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরাবরই লোকসভা তথা বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সাফল্যের চাবিকাঠি থাকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের হাতে। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনও তার ব্যতিক্রম নয়। গোটা রাজ্যে গত কয়েকমাস ধরে নিঃশব্দে কাজ করে গিয়েছেন আরএসএস নেতা-কর্মীরা।

    দিল্লি দখলের স্ট্র্যাটেজি

    দিল্লিতে কোন স্ট্র্যাটেজিতে খেললে সাফল্য আসতে পারে, তা ভালোই জানেন আরএসএস নেতারা। ‘জন সম্পর্ক’ গড়ে তোলার ওপর জোর দেওয়া হয় আরএসএসের ওপরতলা থেকে। বিজেপির দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনী প্রচার অভিযান শেষ হয়েছে  সোমবার।  এই প্রচার অভিযানে দলটির প্রধান আধ্যাত্মিক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গত কয়েকটি নির্বাচনে যেমন হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে বিজেপির সাফল্যের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আরএসএসের। তেমনি দিল্লিতেও বিজেপির প্রচারে একধাপ এগিয়ে গিয়েছে সংগঠন।

    গ্রামীণ অঞ্চলে আরএসএস-এর বার্তা

    বিজেপি প্রায় তিন দশক ধরে দিল্লিতে ক্ষমতার বাইরে। রাজধানীতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল-নেতৃত্বাধীন আাম আদি পার্টির (AAP) সঙ্গে বিজেপির ধারাবাহিক সংঘর্ষের শুরু, আন্না হজারের আন্দোলন থেকে। চলতি বছর দিল্লির নির্বাচন বিজেপির জন্য এক মর্যাদার লড়াই। আরএসএস, একটি সামাজিক সংগঠন যা সাধারণত রাজনৈতিক কার্যকলাপ থেকে কিছুটা দূরে থাকে, তবে বিজেপির পক্ষে এর প্রচারণা একেবারে সহজাত। সাধারণত এটি ভারতের গ্রামীণ অঞ্চলে বিজেপির হিন্দুত্ব এবং জাতীয়তাবাদী বার্তা প্রচার করে।

    আরএসএসের ড্রয়িং রুম সভা

    দিল্লিতে নির্বাচনের আগে, আরএসএস তার প্রচার শুরু করে দেয়। সংগঠনটির কাজ আটটি বিভাগে (জোন) ভাগ করা হয়েছে, যা ৩০টি জেলা এবং ১৭৩টি নগরে কার্যক্রম পরিচালনা করে। নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে থেকেই, প্রত্যেকটি জোনকে “ড্রয়িং রুম সভা” আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই সভাগুলি ছোট ছোট গ্রুপে আয়োজন করা হতো, যেগুলি স্থানীয় এলাকাগুলির অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিং সেন্টার, স্কুল-কলেজসহ অন্যান্য স্থানে অনুষ্ঠিত হত। এখানে মূলত বিজেপির লক্ষ্য, উন্নততর ভারত গঠনের চেষ্টাকেই গুরুত্ব দেওয়া হত। বলা হত, অমৃতকালের কথা।

    জাতীয় স্বার্থে কাজ করে বিজেপি

    আরএসএসের লক্ষ্য ছিল ৬০,০০০টি সভার আয়োজন করা। এ জন্য আরএসএস প্রচারকরা রাজধানীতে সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেন। দলীয় সূত্রে খবর, মোট ৫০,০০০ ড্রয়িং রুম সভা আয়োজিত হয়েছে, যেখানে প্রায় ৪ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। পশ্চিম দিল্লির এক আরএসএস কর্মী জানান, “আমাদের কাজ ছিল ভোটারদের শেখানো, যাতে তারা বুথে গিয়ে জাতীয় স্বার্থে ভোট দেন। তবে হ্যাঁ, আমরা বিজেপিকে ভোট দিতে বলছিলাম, কারণ তারা জাতীয় স্বার্থে কাজ করছে।”

    মহিলাদের যোগদান

    এছাড়া, প্রতি স্তরে (ভিভাগ, জেলা, নগর) নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হত। যাতে ড্রয়িং রুম সভাগুলোর প্রতিক্রিয়া নেওয়া যায়। প্রায় ২,০০০টি ড্রয়িং রুম সভা আরএসএস কর্মীরা পরিচালনা করেছেন, আর ৪,৫৫০টি সভা অন্যান্য আনুষঙ্গিক সংগঠনগুলি যেমন ভারতীয় শ্রমিক সংঘ (BMS), সেবা ভারতী, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, অখিল ভারতীয় শৈক্ষিক মহাসংঘ, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ আয়োজন করেছে। এই সভাগুলিতে প্রায় ৫৩,০০০ জন অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে একটি বড় অংশ ছিল মহিলা। দেশে নারী শক্তির জাগরণে মোদি সরকারের সক্রিয় ভূমিকার কথা তুলে ধরেছে আরএসএস। এর ফলে মহিলা কর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

  • World Cancer Day 2025: দেশে প্রতিদিন বাড়ছে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা, ১২ থেকে ১৮ শতাংশ বৃদ্ধির শঙ্কা

    World Cancer Day 2025: দেশে প্রতিদিন বাড়ছে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা, ১২ থেকে ১৮ শতাংশ বৃদ্ধির শঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয়দের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ক্ষয় হচ্ছে। ফলে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যান্সার দিবস পালিত হয়। সারা বিশ্বে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এদিন নানা পদক্ষেপ করা হয়। গত কয়েক দশকে, ক্যান্সার দেশের অন্যতম প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে উঠেছে। রোগীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সারা বিশ্বে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি ক্যান্সার। ভারতের জন্য ক্রমে এটি একটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে উঠছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)-এর নতুন তথ্য অনুযায়ী, আগামী দিনে ভারতে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ১২ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশ বাড়বে।

    ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার কারণ

    আজকাল, দ্রুত নগরায়ন, অলস জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং দূষণের প্রতি বাড়তি এক্সপোজারের কারণে ক্যান্সার বিভিন্ন বয়সের মানুষকে আক্রান্ত করছে। বিশেষ করে বয়স্কদের চেয়ে তরুণদের মধ্যে বেশি ক্যান্সারের প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। মহিলাদের মধ্যে সাধারণত সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ব্রেস্ট ক্যান্সার। পুরুষদের মধ্যে মুখগহ্বর ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। লাং ক্যান্সারও দুটি লিঙ্গের মধ্যেই সাধারণ। সিগারেট খাওয়া, স্থূলতা, দেরিতে ডায়াগনোসিস এবং সচেতনতার অভাব এই সমস্যার বাড়তি কারণ। ধূমপান করলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। যাদের ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে, যারা ক্ষতিকর রাসায়নিক বা বিকিরণের সংস্পর্শে আসে, এবং যারা দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ যেমন হেপাটাইটিস বা এইচপিভি আক্রান্ত, তাঁদের ক্যান্সার বেশি হয়। জীবনযাত্রার কারণে যেমন প্রসেসড খাবারের অতিরিক্ত ব্যবহার, অনুশীলনের অভাব এবং মদ্যপানের ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।

    ক্যান্সারের ধরন এবং প্রভাব

    বৈচিত্র্যময় খাদ্যাভ্যাস, ভৌগোলিক অবস্থান এবং জীবনযাত্রার কারণে ভারতে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পুরুষরা লাং এবং মুখগহ্বর ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হন, কিন্তু মহিলাদের মধ্যে ব্রেস্ট এবং সার্ভিক্যাল ক্যান্সার বেশি দেখা যায়। পেট, যকৃত এবং কোলন ক্যান্সারের প্রবণতাও বাড়ছে। ক্যান্সার শুধুমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্যেই প্রভাব ফেলে না, এর চিকিৎসার ব্যয় অনেক সময় পরিবারগুলোর ওপর মানসিক ও আর্থিক চাপ তৈরি করে। যেমন, তামাক চিবানোর কারণে মুখগহ্বরের ক্যান্সার কেবল মুখের বিকৃতি ঘটায় না, এটি ভাষণ, খাওয়া এবং জীবিকার ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলে।

    ক্যান্সারের চিকিৎসা

    ভারতে ক্যান্সারের চিকিৎসা করা হয় একাধিক পদ্ধতির মাধ্যমে, যেমন সার্জারি, কেমোথেরাপি এবং রেডিয়েশন থেরাপি। প্রাথমিক পর্যায়ের ক্যান্সারে, বেশিরভাগ সময়, সার্জারি চিকিৎসার প্রথম ধাপ। বিশেষত কোলন ক্যান্সার বা মাথা এবং গলার ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সার্জারি ছাড়া উপায় নেই। অনেক ক্যান্সার দেরিতে ধরা পড়ে, যার জন্য প্রথমে কেমোথেরাপি, টার্গেটেড থেরাপি বা ইমিউনোথেরাপি দিয়ে সেগুলি ছোট করা হয় এবং পরে সার্জারি করা হয়। তবে অনেক রোগী চিকিৎসা নিতে দেরি করেন, ফলে রোগ পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব হয় না। তখন কেবল রোগ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

    রেডিয়েশন থেরাপি: ক্যান্সারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হাতিয়ার

    রেডিয়েশন থেরাপি ক্যান্সার চিকিৎসার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা ক্যান্সার সেলের প্রতি লক্ষ্য রেখে তাদের ধ্বংস করে। রেডিয়েশন বেশিরভাগ ক্যান্সারের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। বিশেষত ব্রেস্ট এবং সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের ক্ষেত্রে, রেডিয়েশন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তবে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোগীদের ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে, কারণ এগুলি রেডিয়েশনের প্রভাবকে আরও খারাপ করতে পারে এবং জটিলতা তৈরি করতে পারে। এটি স্পষ্ট যে, ক্যান্সার মোকাবিলার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি, সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অপরিহার্য।

    ক্যান্সার প্রতিরোধে কেন্দ্রের ভূমিকা

    আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার আওতায় ক্যান্সার আক্রান্ত বহু রোগী উপকৃত হয়েছেন, বলে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ রোগী তথা তাঁদের পরিবারের চিকিৎসার জন্য আর্থিক বোঝা অনেক কমে গিয়েছে ৷ ক্যান্সার মোকাবিলায় মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেটের একটি সমীক্ষা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী জানান, ওই সমীক্ষা অনুযায়ী দেশে সময়মতো ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু করার প্রবণতা আগের থেকে কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে ৷ আগের থেকে অনেক বেশি সতর্ক হয়েছেন দেশের নাগরিকরা ৷ মারণ রোগে আক্রান্ত রোগীদের সময়মতো চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের ভূমিকার উপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেন্দ্রের এই প্রকল্পের জন্য ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের ৯০ শতাংশ সময়মতো চিকিৎসা শুরু করতে পেরেছেন ৷ আগে অর্থের অভাবে মারণ এই রোগের চিকিৎসা থেকে সরে দাঁড়াতেন দরিদ্র রোগীরা ৷ কিন্তু, আয়ুষ্মান ভারতের কারণে আজ তাঁরা নিজেরাই চিকিৎসার জন্য এগিয়ে এসেছেন ৷ প্রধানমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রের এই প্রকল্প ক্যান্সারের চিকিৎসার খরচ অনেক কমিয়ে দিয়েছে ৷

    চলতি বছর বাজেটে ক্যান্সারের ভাবনা

    সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বাজেটে সমস্ত জেলা হাসপাতালে ক্যান্সার রোগীদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অর্থমন্ত্রী জানান, ৩৬টি জীবনদায়ী ওষুধের উপর মৌলিক শুল্ক ছাড় দেওয়া হবে। এতে করে বড় রকমের সুবিধে পাবেন, ক্যান্সার, বিভিন্ন বিরল রোগ এবং অন্যান্য গুরুতর দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্তরা।

LinkedIn
Share