Author: ishika-banerjee

  • Team India: রোহিত যুগের অবসান! এক দিনের ক্রিকেটেও অধিনায়ক শুভমন, ঘরের মাঠে প্রথম টেস্ট জয় ক্যাপ্টেন গিলের

    Team India: রোহিত যুগের অবসান! এক দিনের ক্রিকেটেও অধিনায়ক শুভমন, ঘরের মাঠে প্রথম টেস্ট জয় ক্যাপ্টেন গিলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেটে রোহিত যুগের অবসান। এক দিনের ক্রিকেটেও অধিনায়কত্ব হারালেন রোহিত শর্মা। দলের নতুন অধিনায়ক শুভমন গিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতানো রোহিত নেতৃত্ব হারালেও দলে থাকলেন। জায়গা হয়েছে বিরাট কোহলিরও। টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর দু’জনকে নিয়েই প্রশ্ন ছিল। বলা হয়েছিল, এক দিনের দলেও সুযোগ পাবেন না। কিন্তু দু’জনকেই অস্ট্রেলিয়া সফরের দলে রাখা হল। তবে দলে জায়গা হয়নি মহম্মদ শামির।

    ২০২৭ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই পরিবর্তন

    ২০২৭ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই নেতৃত্বে বদল করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সে সময় রোহিত খেলার মতো পরিস্থিতিতে না থাকলে নতুন কাউকেই নেতৃত্বের দায়িত্ব দিতে হবে। তাই আগে থেকেই শুভমনকে দায়িত্ব দিয়ে তাঁকে অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ দিলেন জাতীয় নির্বাচকেরা। আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকেই রোহিত শর্মার পরিবর্তে টিম ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন পাঞ্জাবের এই ক্রিকেটার। টেস্ট দলের পরে এ বার একদিনের ক্রিকেটেও তাঁর উপরেই ভরসা রাখল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট।

    আড়াই দিনেই ম্যাচ শেষ

    শনিবার, দিনটা শুভই হল শুভমনের। ঘরের মাঠে শুভ-মহরৎ ক্যাপ্টেন শুভমন গিলের। তাঁর টেস্ট ক্যাপ্টেন্সির শুরুটা হয়েছিল ইংল্যান্ডে। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে শেষ অবধি সিরিজ ড্র করেছিল শুভমনের ভারত। ঘরের মাঠে প্রথম বার টেস্টে টিমকে নেতৃত্ব দিলেন। জয় দিয়েই শুরুটা হল শুভমনের। নিজে ব্যাট হাতে অবদানও রাখলেন। তেমনই নজর কাড়লেন ক্যাপ্টেন্সিতে। আমেদাবাদে প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস ও ১৪০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারাল ভারত। সিরিজে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে আগামী ১০ অক্টোবর। আমেদাবাদে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৬২ রানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গুটিয়ে দিয়েছিল ভারত। মহম্মদ সিরাজ চার উইকেট নিয়েছিলেন। নতুন বলে তাঁর পারফরম্যান্স বেশি নজর কেড়েছিল। জসপ্রীত বুমরা তিন উইকেট নিয়েছিলেন। অন্য দিকে, স্পিনার কুলদীপ যাদব ২ উইকেট। ভারতের ব্যাটাররা বাকি কাজটা সেরে নেয়। যে কারণে মাত্র আড়াই দিনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সহজে ম্যাচ জিতে নিল ভারত।

    অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের দল

    অজিভূমে ভারতের সফর শুরু হবে ১৯ অক্টোবর পারথ স্টেডিয়ামে। দ্বিতীয় ওয়ানডে ২৩ অক্টোবর, অ্যাডিলেড ওভালে। ২৫ অক্টোবর সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে তৃতীয় ওয়ানডে। টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি থেকে দূরে থাকা কোহলি এবং অধিনায়ক রোহিতকে দেখার জন্য এখন থেকেই উন্মাদনার পারদ চড়ছে। ওয়ানডে সিরিজের পর ২৯ অক্টোবর ক্যানবেরার মানুকা ওভালে শুরু হবে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। পরের ম্যাচগুলি রয়েছে রয়েছে ৩১ অক্টোবর, ২ নভেম্বর, ৬ নভেম্বর, ৮ নভেম্বর।

    এক দিনের দল: শুভমন গিল (অধিনায়ক), শ্রেয়স আয়ার (সহ-অধিনায়ক), রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, অক্ষর প্যাটেল, লোকেশ রাহুল (উইকেটরক্ষক), নীতীশ কুমার রেড্ডি, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব, হর্ষিত রানা, মহম্মদ সিরাজ, অর্শদীপ সিং, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, ধ্রুব জুরেল (উইকেটরক্ষক) এবং যশস্বী জয়সওয়াল।

    টি-টোয়েন্টি দল: সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), শুভমন গিল (সহ-অধিনায়ক), অভিষেক শর্মা, তিলক বর্মা, নীতীশ কুমার রেড্ডি, শিবম দুবে, অক্ষর প্যাটেল, জীতেশ শর্মা (উইকেটরক্ষক), বরুণ চক্রবর্তী, জসপ্রীত বুমরা, অর্শদীপ সিং, কুলদীপ যাদব, সঞ্জু স্যামসন (উইকেটরক্ষক), হর্ষিত রানা, রিঙ্কু সিং এবং ওয়াশিংটন সুন্দর।

  • West Bengal Assembly Election: পুজো শেষেই বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতিতে বিজেপি, শমীক-শুভেন্দুদের সঙ্গে বৈঠকে ভূপেন্দ্র-বিপ্লব

    West Bengal Assembly Election: পুজো শেষেই বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতিতে বিজেপি, শমীক-শুভেন্দুদের সঙ্গে বৈঠকে ভূপেন্দ্র-বিপ্লব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর উৎসবের আমেজ কাটতেই রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়ে গেল বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election) পরিকল্পনা। বিজয়া দশমীর পরদিন থেকেই আসন্ন ২০২৬ বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে ঝাঁপিয়ে পড়ল বিজেপি। শুক্রবার কলকাতায় পা রেখেই একের পর এক বৈঠক করেছেন বিজেপির নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ভূপেন্দ্র যাদব ও সহকারী নির্বাচনী পর্যবেক্ষক বিপ্লবকুমার দেব। জানা গিয়েছে, রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের বুথ ভিত্তিক হিসেব নিকেশ নিয়েছেন তাঁরা।

    বৈঠকে কারা কারা উপস্থিত

    রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election) আর মাস সাতেক বাকি। বঙ্গে বিজেপির নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ও সহকারী নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে ভূপেন্দ্র ও বিপ্লবের নাম ঘোষণা হয়েছে গত ২৫ সেপ্টেম্বর। নাম ঘোষণার পর গতকাল প্রথম বঙ্গে এসেছেন বিজেপির এই দুই নেতা। দফায় দফায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশলের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন তাঁরা। সল্টলেকের অফিসেও বৈঠক করেন তাঁরা। সেই বৈঠকে শমীক, বনশল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ছিলেন অমিতাভ চক্রবর্তী, অমিত মালব্য, সতীশ ধন্দরা। পরে বৈঠকে যোগ দেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকরাও।

    বৈঠকে কারা কারা উপস্থিত

    দলীয় সূত্রের খবর, ভূপেন্দ্র ও বিপ্লব প্রথম সফরেই বর্তমান সাংগঠনিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন। কোন এলাকায় বিজেপির ভিত্তি কতটা দৃঢ়, কোথায় আরও জোরদার করা যায়, গত নির্বাচনে কোন এলাকায় ফল খারাপ হয়েছিল, সব মিলিয়ে ভোটের অঙ্ক কষতে শুরু করেছেন তাঁরা। বিশেষ করে, হারের জায়গাগুলোতে অল্প চেষ্টাতেই ঘুঁটি ঘোরানো সম্ভব কি না, সেই দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। সাংগঠনিক রদবদল বা দায়দায়িত্ব বণ্টনে নির্বাচনী লাভ-ক্ষতির হিসেব নিকেশের উপরও জোর দেওয়া হয়। রাজ্য কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সেই পরিকল্পনা কতটা করা যায়, তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, বিজেপিতে (BJP in Bengal) দায়দায়িত্ব পাওয়া আর না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ-রাগ-অভিমান তৈরি হয়। এহেন আবহে কমিটি গঠনের প্রভাব নির্বাচনে কতটা পড়বে, তা বিচার বিবেচনা করা হয়েছে। যেহেতু এই রাজ্যের বিজেপির সাংগঠনিক অবিভাবক হিসেবে বনশল রয়েছেন, তাই তাঁর সঙ্গে ২ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক আলাদা করে বৈঠক করেছেন বলে সূত্রের দাবি। উত্তরবঙ্গের একাধিক বিধায়ককে ফোন করে দীর্ঘ সময় কথা বলেছেন বিপ্লব দেব। বিভিন্ন অংশের গ্রাউন্ড রিপোর্ট, দলীয় নেতৃত্বের ভূমিকা, শাসক দলের উপস্থিতি কতটা, প্রশাসনের কী ভূমিকা, এমন নানা বিষয়ে রির্পোট পাঠানোর জন্য ওই বিধায়কদের বলেছেন তিনি।

  • Diwali in India: চিনা জিনিসে না! “আপনার দীপাবলি, ভারতীয় দীপাবলি”, দেশীয় পণ্যের রেকর্ড বিক্রির আশা

    Diwali in India: চিনা জিনিসে না! “আপনার দীপাবলি, ভারতীয় দীপাবলি”, দেশীয় পণ্যের রেকর্ড বিক্রির আশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা দেশে চলছে উৎসবের মরসুম। নবরাত্রি, দশেরা, দুর্গাপুজোর পর এবার কালীপুজো, দিওয়ালির (Diwali in India) পালা। এই সময় দেশ জুড়ে কেনাকাটা বাড়ে। একে অপরকে উপহার দেওয়া থেকে শুরু করে ঘর সজানোর পালা। আলোয় আলোয় সেজে ওঠে শহর থেকে গ্রাম, অলি-গলি থেকে রাজপথ। এই বছর দীপাবলির উৎসবে ভারতের বাজারে দেশীয় পণ্যের জয়যাত্রা চোখে পড়ার মতো। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT)-এর সাধারণ সম্পাদক তথা চাঁদনি চক-এর সাংসদ প্রবীণ খান্ডেলওয়াল জানিয়েছেন, এবারের দীপাবলিতে ভারতে তৈরি জিনিসের (Vocal for Local) বিক্রি ৪.৭৫ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছতে পারে — যা হবে এক নতুন মাইলস্টোন।

    ভোকাল ফর লোকাল

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি বলেছেন, ‘বর্তমানে আমাদের (ভারতে) দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন বিদেশি পণ্য জুড়ে গিয়েছে। এর থেকে মুক্তি পেতে হবে। আমাদের ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ পণ্য কিনতে হবে। প্রতিটি বাড়িকে স্বদেশি পণ্যের প্রতীক বানাতে হবে, প্রতিটি দোকানকে স্বদেশি পণ্যে সাজাতে হবে।’ ২২ সেপ্টেম্বর (সোমবার) থেকে ভারত জুড়ে চালু হয়েছে পণ্য ও পরিষেবা করের (জিএসটি) নতুন কাঠামো। এরপরই গর্বের সঙ্গে স্বদেশি পণ্য (Vocal for Local) কেনাবেচা করার আহ্বান জানান মোদি। প্রতিটি রাজ্যে স্বদেশি পণ্যের উৎপাদনের গতি আরও বৃদ্ধি করার জন্যও রাজ্য সরকারগুলোকে পরামর্শ দেন তিনি। বিনিয়োগের জন্য পরিবেশ তৈরি করারও পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, ‘কেন্দ্র ও রাজ্য একসঙ্গে এগোলে, তবেই আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন পূরণ হবে।’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ভোকাল ফর লোকাল’ আহ্বান এবং সাম্প্রতিক জিএসটি হ্রাসের ফলেই দীপাবলিতে ভারতে তৈরি জিনিস বিক্রি বাড়বে বলে জানান প্রবীণ খান্ডেলওয়াল। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানই দেশীয় পণ্য বিক্রির মূল চালিকা শক্তি, বলে জানান খান্ডেলওয়াল। তিনি বলেন, দেশীয় পণ্যের প্রতি মানুষের আস্থা ও উৎসাহ এতটাই বেড়েছে যে, চিনা পণ্যের চাহিদা প্রায় নেই বললেই চলে।

    গত চার বছরের বিক্রির ধারাবাহিক বৃদ্ধি

    ২০২১: ১.২৫ লাখ কোটি টাকা

    ২০২২: ২.৫০ লাখ কোটি টাকা

    ২০২৩: ৩.৭৫ লাখ কোটি টাকা

    ২০২৪ : ৪.২৫ লাখ কোটি টাকা

    ২০২৫: ৪.৭৫ লাখ কোটি টাকা (লক্ষ্যমাত্রা)

    ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ পণ্যের চাহিদা

    প্রবীণ খান্ডেলওয়াল জানান, দিল্লিতেই রেকর্ড পণ্য বিক্রির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। দীপাবলী উপলক্ষে রাজধানীতে ৭৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি পণ্য বিক্রি হতে পারে বলে আশা। বাজারে দেশীয় পণ্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “এই বছর বিক্রি বাড়ার পিছনে দুটি বড় কারণ হল মোদিজির স্বদেশি আহ্বান এবং জিএসটি হ্রাস। এই জিএসটি হ্রাস যেন উৎসবের উপহার হয়ে এসেছে ব্যবসায়ী ও ভোক্তা উভয়ের জন্য।” এই সম্মেলন স্থলেই একটি ক্ষুদ্র প্রদর্শনীতে ৩০টি স্টলে নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি দেশীয় পণ্য প্রদর্শিত হয়। যার গুণগত মান ছিল খুবই ভাল। এই সব পণ্যের মূল্যও ছিল সাধ্যের মধ্যে।

    ‘ভারতীয় পণ্য – আমাদের গর্ব’ অভিযান

    প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, ‘ভারত যখন উন্নয়নের শিখরে ছিল, তখন দেশের অর্থব্যবস্থার মূল ভিত্তি ছিল ক্ষুদ্র-মাঝারি-কুটির শিল্প। ভারতে তৈরি পণ্যের মান অত্যন্ত ভালো হতো। সেই গৌরবময় অধ্যায়কে পুনরুদ্ধার করতে হবে। দেশীয় পণ্যের মান এমন হবে, যা গোটা বিশ্বে ভারতের গৌরব বৃদ্ধি করবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই দেশবাসীকে এগোতে হবে। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন যেমন স্বদেশি মন্ত্রে শক্তি পেয়েছে, তেমনই দেশের উন্নতিতেও স্বদেশি মন্ত্রই শক্তি জোগাবে।’ জাতির উদ্দেশে মোদি জানিয়েছিলেন, দেশকে আত্মনির্ভর করার জন্যই জিএসটি হ্রাস করা হয়েছে। এর ফলে দেশবাসীর সঞ্চয় বৃদ্ধি পাবে এবং অনেক পণ্য সস্তা হয়ে যাবে। দেশবাসী নিজেদের পছন্দমতো জিনিস সহজেই কিনতে পারবেন। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT)-এর তরফে সম্প্রতি সারা দেশে একটা প্রচার অভিযান শুরু করা হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভারতীয় সামগ্রী – আমাদের স্বাভিমান’। এর অংশ হিসেবে এই দীপাবলিকে উদযাপন করা হবে ‘আপনার দীপাবলি – ভারতীয় দীপাবলি’ হিসেবে।

    চিনা পণ্যের চাহিদায় ধস

    ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষের পর থেকেই ভারতীয় বাজারে চিনা পণ্যের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে। আমদানিকারকরা আর চিন থেকে দীপাবলি সংক্রান্ত পণ্য খুব বেশি আনে না। দেশ তৈরি নানান আলোক বাতি দিয়েই সেজে ওঠে বাড়ি-ঘর, পথ-ঘাট। বাজারে চিনা সামগ্রীর অনুপস্থিতি এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই পরিবর্তন শুধুমাত্র বাণিজ্যিক নয়, এটি ভারতীয়দের মধ্যে ক্রমবর্ধমান আত্মবিশ্বাস ও দেশীয় অর্থনীতির প্রতি আস্থার প্রতিফলন, বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের। এবারের দীপাবলি (Diwali in India) শুধু আলোর উৎসব নয়, দেশীয় শিল্প ও আত্মনির্ভর ভারতের এক নতুন সূচনা, বলে মনে করা হচ্ছে।

  • Cough Syrup for Children: শিশুদের কাশির সিরাপ দেওয়া নিয়ে সতর্কবার্তা, দেশজুড়ে নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

    Cough Syrup for Children: শিশুদের কাশির সিরাপ দেওয়া নিয়ে সতর্কবার্তা, দেশজুড়ে নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশির ওষুধ (Cough Syrup for Children) খাওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের ১২ জন শিশুর। তারপরই শিশুদের কাফ সিরাপ দেওয়া নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বিশেষ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। ২ বছরের কম বয়সি শিশুদের কাফ সিরাপ দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তবে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় যে কাশির ওষুধ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়, তার নমুনা পরীক্ষা করে কেন্দ্র জানিয়েছে, এতে কোনও বিষাক্ত পদার্থ নেই।

    তদন্তে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক

    রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে (Children Death in MP) কিডনি বিকল হয়ে শিশুদের মৃত্যুর (Cough Syrup for Children) ঘটনায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল বা এনসিডিসি)। অভিযোগ, কাশির ‘বিষাক্ত’ সিরাপ খাওয়ার ফলেই ওই শিশুদের কিডনি বিকল হয়ে গিয়েছে। তার পরেই কাশির ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ওই সিরাপের মধ্যে শিশুদের জন্য ‘বিষাক্ত’, এমন কোনও পদার্থ রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখে তারা। শুক্রবার জানানো হয়, শিশুমৃত্যুর জন্য যে কাশির সিরাপকে দায়ী করা হচ্ছে, তার নমুনায় কোনও বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে কাফ সিরাপের যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তাতে ডাইথাইলিন গ্লাইকল বা ইথালিন গ্লাইকলের কোনও উপস্থিতি পাওয়া যায়নি, যা থেকে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। যে সব জায়গায় শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকেই এই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

    কিছু কাশির সিরাপ বিতরণে নিষেধাজ্ঞা

    এই রিপোর্ট সামনে আসার পরেই নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে শিশুদের মৃত্যুর কারণ নিয়ে। শুধুমাত্র মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়ায় নয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে কিডনি বিকল হয়ে। আরও পাঁচজনের চিকিৎসা চলছে নাগপুরে। জানা যাচ্ছে, ওই শিশুদের মৃত্যুর আগে বমি, দুর্বলতা, অস্থিরতার মতো লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। কোনও কোনও শিশু অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। পুরো পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। নির্দিষ্ট কিছু কাশির সিরাপ (Cough Syrup for Children) বিতরণের উপরেও আপাতত নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে।

  • India Pakistan Clash: ‘এবার মানচিত্র থেকেই মুছে ফেলব’, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ভারতের সেনাপ্রধানের

    India Pakistan Clash: ‘এবার মানচিত্র থেকেই মুছে ফেলব’, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ভারতের সেনাপ্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের মদত দেওয়া বন্ধ না করলে পাকিস্তানকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার হুঁশিয়ারি দিলেন ভারতের সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট জানালেন, অপারেশন সিঁদুরে শেষপর্যন্ত নয়াদিল্লি অব্যাহতি দিলেও পরবর্তী সময়ে আর তেমন কিছু হবে না। আর সংযম দেখাবে না ভারত। সবকিছুরই শেষ থাকে, ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে চলেছে ভারত, তাই আর নয়। ভারতীয় সেনাকে তৈরি থাকার বার্তাও দিয়েছেন সেনাপ্রধান। অপারেশন সিঁদুরের পরও সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ করেনি পাকিস্তান। সীমান্তে এখনও সমানতালে চলছে অনুপ্রবেশের চেষ্টা। সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদীর দাবি, অপারেশন সিঁদুর ১০ মে শেষ হয়নি। ১০ মে-র পরও সবার অলক্ষে লড়াই চলছে।

    জঙ্গিদের মদত নয়

    শুক্রবার রাজস্থানের অনুপগড়ে সেনার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন আর্মি চিফ। সেখানেই ফের ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। জেনারেল উপেন্দ্র বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের সময়ে আমরা সংযম দেখিয়েছিলাম। কিন্তু এ বার আর দেখাব না। কোনও রেয়াত করা হবে না।’ এর পরেই হুঁশিয়ারির সুরে আর্মি চিফ বলেন, ‘পাকিস্তান যদি ভূগোলে নিজেদের জায়গা ধরে থাকতে চায়, তাহলে জঙ্গিদের মদত দেওয়া বন্ধ করতেই হবে।’ স্পষ্ট ভাষায় বলে দিলেন, ‘জঙ্গিদের মদত দেওয়া বন্ধ করুন। নাহলে মানচিত্রে আপনাদের কোনও অস্তিত্ব থাকবে না।’ রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগরে সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে ভারতের সেনাপ্রধান জানান, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে হবে পাকিস্তানকে।

    সেনাকে প্রস্তুত থাকার বার্তা

    সেনাকে প্রস্তুত থাকার বার্তাও দেন সেনাপ্রধান। জেনারেল উপেন্দ্র বলেন, ‘ভারত এবার সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ঈশ্বর চাইলে আপনারা শীঘ্রই সুযোগ পাবেন। শুভকামনা রইল।’ গুজরাটের ভুজে একটি সামরিক ঘাঁটিতে সৈন্যদের সঙ্গে দশেরা পালনের সময়ে পাকিস্তানকে একই ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও। তিনি বলেছিলেন, ‘স্যর ক্রিক এলাকায় পাকিস্তানের যে কোনও আগ্রাসনের যোগ্য জবাব দেওয়া হবে, যা ইতিহাস এবং ভূগোল উভয়ই বদলে দিতে পারে।’ তার পরেই আর্মি চিফের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। সম্প্রতি সার ক্রিক অঞ্চলে পাকিস্তানি সেনা নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। এই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। রাজনাথ বলেন, ‘পাকিস্তানের মনে রাখা উচিত যে করাচি যাওয়ার একটি পথ এই খালের (স্যর ক্রিক) মধ্য দিয়ে গিয়েছে।’

    ‘অপারেশন সিঁদুর ২’-এর অপেক্ষা

    অন্য দিকে, ৯৩ তম এয়ার ফোর্স ডে সেলিব্রেশনে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কথা বলতে গিয়ে পাকিস্তানের ১০টি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের প্রসঙ্গ টানেন বায়ুসেনা প্রধান অমরপ্রীত সিং। তিনি জানান, ‘অপারেশন সিঁদুর’ ভারতীয় সেনার সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অভিযান। সীমান্ত থেকে পাকিস্তানের ৩০০ কিমি অভ্যন্তরে ঢুকে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। তিনি বলেন, ‘পহেলগাঁওকাণ্ডে পাকিস্তানকে দাম দিতে হয়েছে। ইতিহাসে অপারেশন সিঁদুরকে মনে রাখা হবে। নির্দিষ্ট লক্ষ্য রেখেই ৩-৪ দিনে যুদ্ধ শেষ হয়েছে।’ এয়ার চিফ মার্শালের দাবি, ‘পাকিস্তানের ৪-৫টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা হয়েছে। সমসংখ্যক জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানও ধ্বংস হয়েছে। একটি সি-১৩০ বিমান ও মিসাইল সিস্টেমও ধ্বংস হয়েছে।’ সেনাপ্রধান, বায়ুসেনা প্রধান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী সবার গলাতেই এক সুর। তাহলে কি এবার ‘অপারেশন সিঁদুর ২’!

    ঘরে-বাইরে বিধ্বস্ত পাকিস্তান

    এদিকে, সরকার-বিরোধী বিক্ষোভে ফের উত্তাল পাক অধিকৃত কাশ্মীর। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব পাক সরকারের। ঘরের মধ্যেই লাগাতার আন্দোলনে নাস্তানাবুদ পাক প্রধানমন্ত্রী। অশান্তির জন্য বহিরাগত শক্তিকে দায়ী করেছে পাক প্রশাসন। সূত্রের খবর, উত্তপ্ত অঞ্চলে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে। প্রতিনিধি দলকে মুজফফরাবাদে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এই আবহে ভারতীয় সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি পাকিস্তানকে আরও বিপাকে ফেলেছে।

    প্রধানমন্ত্রীর কথাই স্মরণ করালেন সেনাপ্রধান!

    গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় প্রাণ যায় ২৬ জনের। সেই হামলার ঘটনায় পাকিস্তানি জঙ্গিদের যোগসাজশের প্রমাণ মেলে। ৭ মে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সিঁদুর অভিযান চালায় ভারত। পাকিস্তানে ন’টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে প্রায় ১০০ জঙ্গি নিহত হয়। পাকিস্তান ভারতে হামলার চেষ্টা চালালে তা ব্যর্থ করে এ দেশের সেনাবাহিনী। ১০ মে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ভারত এবং পাকিস্তান। তার কয়েক দিন পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যদিও জানিয়েছিলেন যে, সিঁদুর অভিযান শেষ হয়নি। ভবিষ্যতে প্ররোচনা দিলে আরও কড়া জবাব দেবে ভারত। এ বার কি সে কথাই আরও এক বার মনে করিয়ে দিলেন ভারতের স্থলসেনাপ্রধান?

  • PoK Protest: বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর, পাকিস্তান থেকে আলাদা হওয়ার বার্তা?

    PoK Protest: বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর, পাকিস্তান থেকে আলাদা হওয়ার বার্তা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য আক্রমণ করার প্রয়োজনও পড়বে না। ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার দাবি তুলছেন সেখানকার মানুষই।’ গত সপ্তাগেই এই কথাগুলি মরক্কোয় গিয়ে বলেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাঁর কথা যে কতটা সত্য, তার প্রমাণ মিলল হাতেনাতে। গণআন্দোলনের সুর এবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরেও! পাক সরকারের (PoK Protest) বিরুদ্ধে রাগে ফুঁসছেন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তাঁরা। সাম্প্রতিক ইতিহাসে এটা সবথেকে বড় বিক্ষোভ বলে মনে করা হচ্ছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আওয়ামি অ্যাকশন কমিটি আজ, সোমবার এলাকা জুড়ে বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা করেছে। ‘শাটার ডাউন’ ও ‘হুইল জ্যাম’-র ডাক দিয়েছে। অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলবে বলেই জানিয়েছে তারা।

    সাধারণ মানুষের অধিকারের লড়াই

    সোমবার পিওকে জুড়ে বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা করেছে। মোট ৩৮টি দাবি রয়েছে তাদের। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সাধারণ মানুষদের সংগঠন ‘আওয়ামি অ্যাকশন কমিটি’র। এর মধ্যে অন্যতম পাকিস্তানে বসবাসকারী কাশ্মিরী রিফিউজিদের জন্য কাশ্মীর (PoK Protest) বিধানসভায় সংরক্ষিত ১২টি আসনের অবলুপ্তি। পাশাপাশি ময়দার দাম কমানো, বিদ্যুতের উপরে ন্যায্য ট্যারিফ বসানোর দাবিও করা হয়েছে। সেখানকার মানুষজনের অভিযোগ, পিওকে-তে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। একাধিকবার সরকারকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। চরমে দুর্নীতিও। বাধ্য হয়েই তাই ধর্মঘট, চাক্কা জ্যামের মতো পদক্ষেপ করতে হয়েছে। আন্দোলনকারীদের নেতা শওকত নওয়াজ মীর বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন প্রতিষ্ঠানবিরোধী নয়। তা শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের জন্য অধিকার আদায়ের লড়াই।’

    পাকিস্তানের হাত থেকে নিষ্কৃতির দাবি

    উত্তেজনার আশঙ্কায় ইসলামাবাদ ইতিমধ্যেই বিপুল নিরাপত্তা মোতায়েন করেছে। মধ্য রাত থেকেই ইন্টারনেট কেটে দিয়েছে পাক প্রশাসন। বিক্ষোভকারীদের রুখতে সেনার গাড়ি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের শহরগুলিতে টহল দিচ্ছে। পাঞ্জাব প্রদেশ থেকেও হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। উল্লেখ্য, গত বছর থেকেই পাকিস্তানের হাত থেকে নিষ্কৃতি চেয়ে সরব হয়েছে পিওকে। চলতি মাসেই মরোক্কোতে গিয়ে পিওকে নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেছিলেন, ‘পিওকে ভারতের। পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে নিজের অংশ করতে কোনও আগ্রাসনের প্রয়োজন নেই। সেই অংশ একদিন নিজেই বলবে, আমরা ভারতের অংশ। স্থানীয়রাই স্বাধীনতার দাবি তুলেছে।’ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে রাজনাথের কথা মিলে যাচ্ছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

  • India vs Pakistan: “খেলার মাঠে অপারেশন সিঁদুর” ভারতের জয়ে মোদির ট্যুইট! সূর্যরা বয়কট করায় ট্রফি নিয়ে পালালেন নকভি

    India vs Pakistan: “খেলার মাঠে অপারেশন সিঁদুর” ভারতের জয়ে মোদির ট্যুইট! সূর্যরা বয়কট করায় ট্রফি নিয়ে পালালেন নকভি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধ-জয়ের আনন্দ! ঘড়িতে তখন রাত ১২টা। পুজোর কলকাতায় মণ্ডপে মণ্ডপে মানুষের ঢল। তবে মাঝেই মাঝেই প্রতিমা থেকে চোখ সরছে মোবাইল স্ক্রিনে। চলছে ভারত-পাক এশিয়া কাপ (Asia Cup 2025)  ফাইনাল। তিলক বর্মার ছয়, শান্ত-ধীর ভারতীয় কোচ গৌতম গম্ভীরও আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না। উচ্ছ্বসিত আসমুদ্র হিমাচল। পাকিস্তানকে টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচের তিনটিতে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন ভারত (India vs Pakistan)। যোগ্যদের সম্মান দিতে জানে না পাকিস্তান। একইভাবে বিতর্ক জিইয়ে রেখে ভারতীয় ক্রিকেটারদের ট্রফি ও মেডেল নিয়ে চলে গেলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তথা এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। তাতে কী? রেকর্ড বলছে, বাস্তব বলছে ভারত চ্যাম্পিয়ন। রবিবার পাকবধ করে এশিয়াসেরা হওয়ার পরেই সেকথা টুইট করে মনে করালেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখলেন, “এবার খেলার মাঠ অপারেশন সিঁদুর।”

    খেলার মাঠ অপারেশন সিঁদুর

    পহেলগাঁওয়ে পাক জঙ্গিদের হামলায় একাধিক ভারতীয় নারীর সিঁথির সিঁদুর মুছেছিল। যুদ্ধের ময়দানে তার বদলাও নিয়েছিল ভারত। এবার খেলার মাঠে দেবীপক্ষে প্রতিশোধ নিল সূর্যকুমার যাদবের টিম ইন্ডিয়া। রবিবার এশিয়া কাপের ফাইনালে ৫ উইকেটে জয়ী হয়েছে ভারত। এরপরেই এক্স হ্যান্ডেলে সংক্ষিপ্ত টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি লিখেছেন, ‘‘খেলার মাঠেও ‘অপারেশন সিঁদুর’, ফলাফল একই, ভারত জিতল! আমাদের ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানাই।” উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলায় ২৫ পর্যটক-সহ মোট ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর থেকেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। বদলা নিতে ৭ মে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। এর জেরে ধ্বংস হয় পাকিস্তান (India vs Pakistan) এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি। এর পরেই দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। চার দিন পর সংঘর্ষবিরতি হলেও এখনও উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে। বারবার বাইশ গজে দুই দলের ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাসে চোখে পড়েছে সেই ছবি।

    ভারতের জয়ের তিলক

    এদিন এশিয়া কাপ (Asia Cup 2025)  ফাইনালে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। শুরুটা খারাপ করেনি পাকিস্তান। ওপেনিং জুটিতে উঠে যায় ৮৪ রান। সাহিবজাদা ফারহান করেন ৫৭ রান। ফখর জামান ৪৬ রান করেন। তবে ভারতীয় স্পিনারদের আসতেই খেই হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। প্রথম তিনজনের পর আর কেউ দুই সংখ্যায় পৌঁছয়নি। ১১৩ রানে ২ উইকেট থেকে ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় পাক বাহিনী। কুলদীপ যাদব পান ৪ উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। সেখান থেকে তিলক বর্মা প্রথমে সঞ্জু স্যামসনকে নিয়ে ৫৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়েন। এরপর শিবম দুবের সঙ্গে জুটি গড়ে ভারতকে জয়ের পথে নিয়ে যান। দুবে আউট হলেও দমানো যায়নি তিলককে। ৬৯ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।

    এশিয়ায় সেরা, টানা ম্যাচ জয়ের রেকর্ড

    ফের পাকিস্তানের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ল ভারত (India vs Pakistan)। টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক (T20I) ফরম্যাটে রান তাড়া করে পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা নয়টি ম্যাচ জিতল ভারত। এখনো পর্যন্ত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে কোনও ম্যাচে হারেনি ‘মেন ইন ব্লু’। এটি বিশ্বরেকর্ড – একশো শতাংশ জয়ের হারে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয় পাওয়ার রেকর্ড গড়ল ভারত। শুধু এখানেই থেমে থাকেনি টিম ইন্ডিয়া। এশিয়া কাপ ২০২৫-এ আরেকটি মাইলফলক ছুঁয়েছে তারা। এশিয়া কাপে টানা ৫০টি ম্যাচ জয়ের নজির গড়ল ভারত। পাকিস্তানের বিপক্ষে ধারাবাহিক সাফল্য ও এশিয়া কাপে একচ্ছত্র আধিপত্য প্রমাণ করে দিচ্ছে – ভারতীয় দল এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে কতটা দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ।

    ট্রফি নিয়ে নাটক নকভির

    পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপ (Asia Cup 2025) জিতেও ট্রফি পেল না ভারতীয় দল। অভিযোগ, ট্রফি এবং ভারতীয় ক্রিকেটারদের মেডেল নিয়ে নিজের হোটেলের ঘরে চলে গিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তথা এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। এই ঘটনায় হতবাক ভরতীয় ক্রিকেট দল। ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব জানালেন, এমন ঘটনা তিনি জীবনে দেখেননি। এশিয়া কাপ জিতে ট্রফি ছাড়াই উল্লাস করেছেন ভারতীয় ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফেরা। ২০২৪ সালে টি২০ বিশ্বকাপ জিতে রোহিত শর্মা যে কায়দায় ট্রফি তুলেছিলেন, সেই একই কায়দায় উল্লাস করলেন সূর্যেরা। পার্থক্য একটাই। সেবার রোহিতের হাতে ট্রফি ছিল। এবার কল্পনায় ট্রফি তুললেন সূর্য। পরে সাংবাদিক বৈঠকে এসে সেই বিষয়ে মুখ খুললেন সূর্য। তিনি বললেন, “চ্যাম্পিয়ন দল ট্রফি পাচ্ছে না, ক্রিকেট খেলা শুরু করার পর থেকে জীবনে এমন ঘটনা আমি দেখিনি। তবে আমার মতে দলের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফেরাই আসল ট্রফি। সকলে বলছেন, ভারত এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন। এটাই আসল কথা।”

    ভারতের জাতীয় সঙ্গীতকে অসম্মান, জবাব বুমরার

    ফাইনাল (Asia Cup 2025) শুরুর আগে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হওয়ার সময় খোশগল্প করছিলেন পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটার হ্যারিস ও শাহিন শাহ আফ্রিদি। ক্রিকেটের নিয়মে রয়েছে, অন্য দেশের জাতীয় সঙ্গীতের সময়ও সোজা হয়ে থাকতে হবে ক্রিকেটারদের। গল্প করা যাবে না। কিন্তু পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটার সেটাই করেন। তার জন্য দু’জনের সমালোচনা শুরু হয়েছে। ভারতীয় সমর্থকদের অভিযোগ, ভারতের জাতীয় সঙ্গীতকে অসম্মান করেছেন তাঁরা। হ্যারিস ও শাহিনের শাস্তির দাবিও উঠেছে। ফাইনালে হ্যারিসকে বোল্ড করে তাঁকে জবাব দেন জসপ্রীত বুমরা। তিনিও ‘প্লেন ক্র্যাশ’ উল্লাস করেন।

    সেনা-ছাউনিতে উল্লাস

    গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানকে (India vs Pakistan) হারিয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জন্য ভারতীয় সেনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন সূর্য। এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের জয় টেলিভিশনে দেখেছেন সেনা বাহিনীর জওয়ানেরা। ভারত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তাঁদের উল্লাসের ছবিও দেখা গিয়েছে সমাজমাধ্যমে। টুর্নামেন্ট জিতে নিজের প্রতিটা ম্যাচ ফি ভারতীয় সেনাকে উৎসর্গ করেছেন অধিনায়ক সূর্যকুমার। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অভিযোগ, সূর্যকুমারেরা ট্রফি নিতে অস্বীকার করায় এশিয়া কাপের ট্রফি ও ভারতীয় ক্রিকেটারদের মেডেল নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন নকভি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া বলেন, “যেহেতু ভরত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি রয়েছে তাই আমরা এমন কারও কাছ থেকে পুরস্কার নেব না, যিনি পাকিস্তানের মন্ত্রী। নীতিগত ভাবে এই সিদ্ধান্ত আমরা আগেই নিয়েছিলাম। তার মানে এই নয় যে ভদ্রলোক ট্রফি ও মেডেল নিয়ে পালিয়ে যাবেন। এই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আশা করছি ভদ্রলোক দ্রুত ট্রফি ও মেডেল ভারতকে ফেরত দিয়ে দেবেন।”

  • Assembly Election 2026: ছাব্বিশের ভোটে বাংলার দায়িত্বে ভূপেন্দ্র যাদব, বিপ্লব দেব! কেন এই দুজনকে বাছল বিজেপি?

    Assembly Election 2026: ছাব্বিশের ভোটে বাংলার দায়িত্বে ভূপেন্দ্র যাদব, বিপ্লব দেব! কেন এই দুজনকে বাছল বিজেপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election 2026) আগে রাজ্যে সংগঠন মজবুত করতে নয়া দায়িত্ব ভাগ করে দিল বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী দায়িত্বে কেন্দ্রের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবকে করা হল রাজ্য নির্বাচনী ইনচার্জ। তাঁর সঙ্গে সহ-ইনচার্জ হিসেবে থাকবেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান সাংসদ বিপ্লবকুমার দেব। এই ঘোষণার পরই রাজনৈতিক মহলে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘোষণা থেকেই পরিষ্কার শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য, সুকান্ত মজুমদারদের মতো রাজ্যের নেতাদের জন্য কৌশল ঠিক করে দেবেন ভূপেন্দ্র যাদবরা।

    ভূপেন্দ্র যাদবের ট্র্যাক রেকর্ড

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা। সেই কারণেই এত তাড়াতাড়ি ভূপেন্দ্র যাদবের নাম ঘোষণা করা হল। নির্বাচনী রাজনীতিতে তাঁর যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই তাঁকেই বাংলার মতো দুর্জয় ঘাঁটির দায়িত্ব দেওয়া হল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ভূপেন্দ্রকে বাংলায় দায়িত্ব দেওয়ার পিছনে রয়েছে তাঁর ট্র্যাক রেকর্ড। ২০২০ সালে তিনি একই দায়িত্বে ছিলেন বিহারের। সেখানে তিনি চমকপ্রদ ফল এনে দেন। বিজেপি এনডিএ জোটের মধ্যে এককভাবে বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর আগেও একাধিক রাজ্যের ভোটে নিজের দক্ষতার প্রমাণ বারবার দিয়েছেন ভূপেন্দ্র। এর আগে রাজস্থান, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের মতো চ্যালেঞ্জিং রাজ্যের দায়িত্বও পালন করেছিলেন তিনি। সেই সব জায়গায় দলের নির্বাচনী কৌশল ঠিক করা, নবীন-প্রবীণের দ্বন্দ্ব মেটানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক কাজ করেছেন।

    কেন বিপ্লব দেবকেও দায়িত্ব? 

    বাংলার একেবারে লাগোয়া রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকেই ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে দায়িত্ব দিয়েছে বিজেপি। দিল্লির কার্যকর্তা থেকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী, তারপর লোকসভায় বিজেপির সদস্য। একটি মানুষের রাজনীতি ও সাংগঠনিক দক্ষতা কতটা ভালো, এই প্রোফাইলেই তার ইঙ্গিত মেলে। ভোট রাজনীতিতে জনপ্রিয়তা ও সংগঠন সামলানোর মিশেল। ত্রিপুরার রাজনীতিতে বিপ্লব দেবের এন্ট্রি ২০১৫ সালে। উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে বলা যায় বিজেপির টার্নিং পয়েন্ট। শুধু বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গেই নয়, সিপিএম এর নেতা ও পরিবারের সঙ্গেও নিজে গিয়ে দেখা করতে শুরু করলেন। যাকে বলা যায়, একেবারে মাঠে নেমে রাজনীতি। মানুষের সঙ্গে মেলামেশা। ত্রিপুরার মানুষের মন বোঝার চেষ্টা। ২০১৬ সালে ত্রিপুরায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি নির্বাচিত হন বিপ্লব। তারপর মাত্র দু’বছরেই ত্রিপুরায় পরিবর্তন। ৬০ আসনের বিধানসভার ত্রিপুরায় ৩৬টি আসন নিয়ে জিতল বিজেপি। ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান। বিপ্লব দেব হলে ত্রিপুরার প্রথম বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী। যেন এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। বিপ্লব দেবের এই বহুমুখী দক্ষতাকেই পশ্চিমবঙ্গে কাজে লাগাতে চাইছেন অমিত শাহ। একই সঙ্গে প্লাস পয়েন্ট হল, বিপ্লব দেব বাংলাও একেবারেই সরগর। ফলে হিন্দিভাষী তকমা জুটবে না। আসলে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দেখছে, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ভাবে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ত্রিপুরার অনেক মিল রয়েছে।

  • Election Commission: বঙ্গের ভোটার তালিকাভুক্ত ৫০ শতাংশ শতায়ু ভোটার মৃত! কী করবে রাজ্যের সিইও দফতর?

    Election Commission: বঙ্গের ভোটার তালিকাভুক্ত ৫০ শতাংশ শতায়ু ভোটার মৃত! কী করবে রাজ্যের সিইও দফতর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। বাংলাতে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনী শীঘ্রই চালু হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই বর্তমান ভোটার তালিকায় শতায়ু ভোটারদের ক্ষেত্রে বড় গরমিল ধরা পড়ল। রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম থাকা শতায়ু ভোটারদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশই মৃত! রাজ্যজুড়ে শতায়ু ভোটারদের নিয়ে একটি বিশেষ সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতর সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় প্রায় ১৩ হাজার নাম পাওয়া গিয়েছে, যাঁরা শতায়ু পার করেছেন। কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কোচবিহার, ঝাড়গ্রাম–সহ বিভিন্ন জেলায় রয়েছেন এই শতায়ু ভোটাররা। ভোটার তালিকায় কারও বয়স ১০০, কারও আবার ১০৬। কোচবিহারের শীতলকুচি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে ১১৪ বছর বয়সি ভোটারও রয়েছেন।

    ভোটার তালিকায় স্বচ্ছতা ঘিরে প্রশ্ন

    সূত্রের খবর, ২০২৪ লোকসভার ভোটার তালিকা অনুযায়ী রাজ্যে মোট ১২ হাজার ৪৯৪ শতায়ু ভোটার রয়েছেন। তবে সাম্প্রতিক সমীক্ষা বা যাচাইকরণের পর দেখা গিয়েছে তাঁদের মধ্যে ৬ হাজার ২১২ জন শতায়ু মৃত অথচ তাদের নাম এখনও ভোটার তালিকায় রয়ে গিয়েছে। বছরে চার বার ভোটার তালিকার রিভিশন বা যাচাইয়ের কাজ করা হলেও রাজ্যের ভোটার তালিকা যাচাইকরণের ক্ষেত্রে ইআরও, এইআরও, বিএলও এমনকি ডিইও-দের ভুমিকা নিয়েও ফের একবার প্রশ্ন তুলে দিয়েছে শতায়ু ভোটারদের এই পরিসংখ্যান। বিষয়টি একেবারেই সুনজরে দেখছে না রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর।

    ৮৫ বছর থেকে ১০০ বছর ভোটার তালিকা যাচাইয়ের কাজ

    বঙ্গে এসআইআর বিজ্ঞপ্তি জারি করার আগেই এবার ৮৫ উর্ধ্ব বয়সি ভোটারদের নিয়ে ভোটার তালিকা যাচাইয়ের কাজ করতে চায় রাজ্য সিইও দফতর। যেহেতু ৮৫ বছর ঊর্ধ্ব ভোটাররা বাড়ি থেকেই ভোট দান করেন, কমিশনের পরিভাষায় যাকে হোম ভোটিং বলা হয়। সে কারণে ৮৫ বছর থেকে ১০০ বছর এই বয়সি ভোটারদের কতজন বর্তমান ভোটার তালিকার সাপেক্ষে জীবিত আছেন তা নিয়ে ফের একবার পরীক্ষা করতে চায় রাজ্য সিইও দফতর। রাজ্যে এসআইআর নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই এই সমীক্ষা বা যাচাইয়ের নির্দেশ দিতে পারেন রাজ্যের সিইও দফতর। বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দেশজুড়ে শতায়ু ভোটারদের পরিসংখ্যান নিয়ে একটি বিশেষ সমীক্ষা বা যাচাই করণের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। দিল্লিতে গোটা দেশের সিইও-দের নিয়ে বৈঠকে এই যাচাইকরনের আভাস আগেই দিয়েছিলেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। তদনুযায়ী রাজ্যে রাজ্যে বর্তমান ভোটার তালিকার সাপেক্ষে শতায়ু ভোটারদের নিয়ে সমীক্ষার কাজ করা হয়। বঙ্গের বাস্তব চিত্র হল, বর্তমান ভোটার তালিকায় নথিভুক্ত শতায়ু ভোটারদের মধ্যে প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ মৃত হলেও তাদের নাম এখনো ভোটার তালিকায় রয়ে গিয়েছে।

    নির্বাচন কর্মীদের আরও সতর্ক ও সজাগ করা প্রয়োজন

    রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের বক্তব্য রাজ্যে ভোটার তালিকা তৈরীর ক্ষেত্রে ইআরও, এইআরও বা বিএলও-দের দায়িত্ব পালনে যে খামতি থেকে যাচ্ছে এই ধরনের তথ্য তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। এই ব্যাপারে নির্বাচন কর্মীদের আরও সতর্ক ও সজাগ করা প্রয়োজন। ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারদের শতায়ু ভোটারদের প্রত্যেকের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা জীবিত না মৃত তার লিখিত রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিতে হবে। চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা পড়লে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই প্রত্যেক ইআরও–কে শতায়ু ভোটারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের স্বাক্ষর–সহ লিখিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এই রিপোর্টই সিইও দফতর সরাসরি নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দেবে।

  • BLO Appointment: বিএলও পদে স্থায়ী কর্মী নিয়োগের দাবি, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতরে বিজেপি প্রতিনিধিদল

    BLO Appointment: বিএলও পদে স্থায়ী কর্মী নিয়োগের দাবি, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতরে বিজেপি প্রতিনিধিদল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও পদে স্থায়ী কর্মী নিয়োগের দাবিতে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল এর সঙ্গে দেখা করল বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। বিএলও নিয়োগে ফের বেনিয়মের অভিযোগ জানিয়ে নিবাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। দলের সহ সভাপতি শিশির বাজোরিয়ার নেতৃত্বে এদিন জগন্নাথ চাটোপাধ্যায় ও সুনীল সিং সহ ৪ জনের প্রতিনিধি দল এদিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে যায়।

    ৫ হাজার স্থায়ী কর্মীদের তালিকা জমা দিয়েছে বিজেপি

    এদিন ৫ হাজার স্থায়ী কর্মীদের তালিকা সিইও দফতরে জমা দেয় বিজেপির প্রতিনিধি দল। তাদের অভিযোগ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নিয়মকে বড়ো আঙুল দেখিয়ে তৃণমূল ক্যাডারদের বিএলও করা হচ্ছে। বিজেপির অভিযোগ, তারা ৫ হাজার স্থায়ী কর্মীদের নাম দিয়েছে। অথচ সিইও দফতর স্থায়ী কর্মীদের খুঁজে পাচ্ছে না। তারা শুধু বিএলও হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের দেখছেন বলে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতরের বিরুদ্ধে অভিযোগ শিশির বজোরিয়ার। একই ভাবে প্রদেশ বিজেপি সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ রাজ্যে যখন এসআইআর নিয়ে প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে, তখন এসআইআর নিয়ে দ্বিচারিতা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে তারা এসআইআর-এর বিরোধিতা করছে। আবার অন্য দিকে তাদের রাজনীতিক প্রতিনিধি হিসেবে বুথ লেভেল এজেন্ট ১ এর পর ভিতরে ভিতরে বিএলএ ২ ও নিয়োগ করছে।

    ২০ হাজারের কাছাকাছি বিএলও ঘাটতি

    বিজেপির অভিযোগ যে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী বিডিও এবং এসডিও দের হলফনামা নিয়ে বলতে হবে যে তারা বিএলও পাচ্ছেন না। অথচ এখনও প্রায় ২০ হাজারের কাছাকাছি বিএলও ঘাটতি রয়েছে রাজ্যে। তিনি বলেন, “আমরা প্রায় ৫ হাজার স্থায়ী কর্মীদের তালিকা জমা দিয়েছি। কিন্তু সিইও দফতর স্থায়ী কর্মী খুঁজে পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করলেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। তার অভিযোগ তৃণমূল নেত্রী একদিকে এসআইআর এর বিরোধিতা করছেন, আবার বাইরে থেকে কুস্তি করছেন আর ভিতরে তারা তাদের ব্লক লেভেল এজেন্ট নিয়োগ করছেন বলে অভিযোগ করলেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের কাছে বিজেপির প্রতিনিধি দলের আহ্বান অক্টোবরের শেষ পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশে এসআইআর লাগু হতে চলেছে। তাই সবাই নিজের নথিপত্র খুঁজে রাখুন। কারোর ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যাবে না বলে জানাল বিজেপির প্রতিনিধি দল।

LinkedIn
Share