Author: ishika-banerjee

  • Amitabh Bachchan: রামনবমীতে অযোধ্যায় ‘রামকথা’ শোনাবেন অমিতাভ বচ্চন! কখন, কোথায় দেখতে পাবেন জেনে নিন

    Amitabh Bachchan: রামনবমীতে অযোধ্যায় ‘রামকথা’ শোনাবেন অমিতাভ বচ্চন! কখন, কোথায় দেখতে পাবেন জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমী (Ram Navami) উপলক্ষে অযোধ্যায় ‘রামকথা’ (Ram Katha) শোনাবেন বলিউড শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)। যে অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকবে গোটা দেশ। রামলালার প্রতি তাঁর অগাধ শ্রদ্ধা, ভক্তি, প্রেম। মন্দির প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই ঘন ঘন অযোধ্যায় পাড়ি দিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। রামলালার টানে একাধিক জমিও কিনেছেন অযোধ্যা নগরীতে। রামলালার জন্য গড়িয়ে দিয়েছেন সোনার হারও।

    রাম-নামে বিভোর অমিতাভ

    রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে ছেলে অভিষেক বচ্চনকে নিয়ে সশরীরে হাজিরও হয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)। তারকাদের ভিড়ে একমাত্র বিগ বি’র সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কুশলমঙ্গল বিনিময় করতে দেখা গিয়েছিল। এবার রামনবমীর পুণ্যতিথিতে রামকথা পাঠ করার গুরুদায়িত্ব পড়ল বিগ বি’র কাঁধে। জানা গিয়েছে, এপ্রিল মাসের ৬ তারিখ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই অনুষ্ঠান হবে। জিও হটস্টার-এ লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন কোটি কোটি মানুষ। বিগ বি শিশুদের সঙ্গে একটি ইন্টারেক্টিভ সেশনও পরিচালনা করবেন, সেখানে রামায়ণের কিছু নির্বাচিত গল্প আরও আকর্ষণীয় ভাবে তাদের সামনে তুলে ধরা হবে। তাছাড়াও আযোধ্যার বিশেষ পুজো এবং মন্দিরগুলিতে অনুষ্ঠানের নানা দৃশ্য তুলে ধরা হবে। ভদ্রাচলম, পঞ্চবটি, চিত্রকূট এবং আযোধ্যার আরতি, ভজন দেখানো হবে। তাছাড়াও কৈলাশ খের এবং মালিনী অবস্থি সহ জনপ্রিয় শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।

    বিরাট সম্মান, বললেন বিগ বি

    এই পবিত্র অনুষ্ঠানে এহেন গুরুভার পেয়ে নিজের অনুভূতি ভাগ করে নিয়েছেন বিগ বি (Amitabh Bachchan)। সিনিয়র বচ্চনের কথায়, “এমন পবিত্র অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া জীবনের এক বিরাট সম্মান। রামনবমী শুধু উৎসব নয়, এক গভীর প্রতিফলনের মুহূর্ত। শ্রীরামের ধর্ম, ভক্তি এবং আদর্শ উদযাপনের সময়। প্রযুক্তির আশীর্বাদে জিও হটস্টার-এর দৌলতে সারা দেশ এদিন সংস্কৃতি এবং আধ্যাত্মিকতার এক অভূতপূর্ব উদযাপনে একত্রিত হবে।” প্রসঙ্গত, প্রতি বছর চৈত্র নবরাত্রির শেষ দিনে ভারত জুড়ে রাম নবমী উদযাপিত হয়। এদিন ভগবান রামের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়।

  • India’s Sports Industry: ভারতে ক্রীড়া শিল্পের বাজার ২০০ কোটি ডলারের দিকে এগোচ্ছে, দাবি সমীক্ষায়

    India’s Sports Industry: ভারতে ক্রীড়া শিল্পের বাজার ২০০ কোটি ডলারের দিকে এগোচ্ছে, দাবি সমীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ক্রীড়া অর্থনীতি ২০২৪ সালে ১৬,৬৩৩ কোটি টাকা উপার্জন করেছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৬ শতাংশ বেশি। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ক্রিকেট এখনও প্রধান ক্রীড়া হিসেবে রাজত্ব করছে, এবং এটি মোট উপার্জনের প্রায় ৮৫ শতাংশ অবদান রাখছে। গ্রুপএম ইএসপি-এর প্রকাশিত ‘স্পোর্টিং নেশন’ রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় ক্রীড়া (India’s Sports Industry) শিল্প ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৯ হাজার কোটি) কাছাকাছি পৌঁছাচ্ছে। ২০০৮ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত এই শিল্পের পরিমাণ ক্রমে ৭ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রীড়া শিল্পের আয়ের মধ্যে স্পনসরশিপ, অ্যাথলিটদের বিজ্ঞাপন এবং মিডিয়া ব্যয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

    ক্রিকেটই মূল

    গ্রুপএম ইএসপি হল ভারতের এন্টারটেইনমেন্ট এবং স্পোর্টস ডিভিশন। ১২তম ‘স্পোর্টিং নেশন’ রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ২০২৪ সালে ক্রীড়া স্পনসরশিপ খাতে ব্যয় করা হয়েছে ৭,৪২১ কোটি টাকা। এই খাতে ক্রিকেটের অবদান ৫,৬১০ কোটি টাকা, যা মোট স্পনসরশিপ খরচের ৭৬ শতাংশ। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, ভারতীয় ক্রিকেট দলের ম্যাচের সংখ্যা কম হওয়ার কারণে (২০২৪ সালে ৪৪টি ম্যাচ, ২০২৩ সালে ৬৪টি ম্যাচ), ক্রীড়া স্পনসরশিপ খাতে বৃদ্ধির হার কমেছে। তাছাড়া, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) এবং ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (IPL) উভয়ই তাদের নতুন স্পনসরশিপ চক্র শুরু করেছে। তবে ম্যাচের সংখ্যা কমে যাওয়া এবং নতুন ফরম্যাট সত্ত্বেও, বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে, যা ভারতের ক্রীড়া শিল্পের শক্তিশালী বাণিজ্যিক ভিত্তির প্রতিফলন। ক্রিকেটের অবদান স্পনসরশিপ ব্যয়ে ৭৬ শতাংশ। অলিম্পিক বছর হওয়ায়, নতুন ক্রীড়াগুলিতে স্পনসরশিপ ব্যয় ২০২৪ সালের থেকে ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১,৮১১ কোটি টাকা।

    ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের ওপর বড় বিনিয়োগ

    ২০২৪ সালে অ্যাথলিটদের বিজ্ঞাপন ব্যয় এক হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। ২০২৩ সালের তুলনায় ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে এর পরিমাণ ১,২২৪ কোটি টাকা। গ্রুপএম ভারতের কনটেন্ট, এন্টারটেইনমেন্ট ও স্পোর্টস বিভাগের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিনীত কার্নিক বলেন, “ভারতের ক্রীড়া (India’s Sports Industry) অর্থনীতি একটি উচ্চ-বৃদ্ধি খাত হিসেবে দৃঢ়ভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে, যা ২০০৮ থেকে ৭ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি পৌঁছাচ্ছে। অ্যাথলেটদের বিজ্ঞাপন ব্যয় শুধু ক্রিকেটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, নীরজ চোপড়া, পিভি সিন্ধু এবং মনু ভাকের মতো ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদেরও ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। যার ফলে ক্রিকেট ছাড়া অন্যান্য ক্রীড়া ক্ষেত্রেও লাভ হচ্ছে।” ২০২৪ সালে ক্রীড়ার মিডিয়া ব্যয় ২০২৩ সালের তুলনায় ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৭,৯৮৯ কোটি টাকা। ডিজিটাল মিডিয়া খাতে ২৫ শতাংশ ব্যয় বেড়েছে।

  • Chicken’s Neck Corridor: সদা সতর্ক সেনা, ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা লাইন ‘চিকেন’স নেক করিডর’

    Chicken’s Neck Corridor: সদা সতর্ক সেনা, ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা লাইন ‘চিকেন’স নেক করিডর’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকভাবে ধোঁয়াশা থাকলেও শুক্রবার সকালে তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমস্টেক সম্মেলন উপলক্ষে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে মুখোমুখি হলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)৷ বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বৃহস্পতিবার প্রথম মুখোমুখি হন দুই রাষ্ট্রনেতা৷ ব্যাংককে চাও ফ্রায়া নদীর পাশে শাংরি-লা হোটেলে আয়োজিত নৈশভোজে পাশাপাশি বসতেও দেখা যায় তাঁদের৷ এর আগেই প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, বিমস্টেকের অঞ্চলের মধ্যমণি উত্তরপূর্ব ভারত। স্বল্প কথাতেই মোদি বুঝিয়ে দেন, উত্তরপূর্বের এই ৭ রাজ্য শুধু ভারত নয়, বরং বিমস্টেক-ভুক্ত দেশগুলির শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নতির জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে ভারতের যোগসূত্র ‘চিকেন’স নেক করিডর’ (Chicken’s Neck Corridor)। প্রশাসনিক এবং কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, চিন (India China Relation), ভুটান, বাংলাদেশ এবং নেপালের সীমান্তের একশো কিলোমিটারের মধ্যে থাকায় শিলিগুড়ি করিডর অতি গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক সময়ে এই এলাকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।

    চিকেন’স নেক-এর নিরাপত্তায় সেনা

    চিকেন’স নেক-এর (Chicken’s Neck Corridor) নিরাপত্তার বিষয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শিলিগুড়ি করিডর তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা লাইন। উন্নত সামরিক প্রস্তুতির মাধ্যমে যেকোনও সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলা করতে তারা প্রস্তুত। করিডরের কাছে সুকনায় সদর দফতর অবস্থিত ত্রিশক্তি কোরের। যারা এই অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কোর রাফাল যুদ্ধবিমান, ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র এবং উন্নত আকাশসীমা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত। ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক বক্তব্য করিডরের নিরাপত্তার বিষয়ে ভারতের অবস্থানকে আরও জোরদার করেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘‘চিকেন’স নেক ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক অঞ্চল। সেখানে যে কোনও হুমকির ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাহিনীকে দ্রুত মোতায়েন করা সম্ভব।’’

    বহুমাত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

    ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এই অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে—

    উন্নত সামরিক সম্পদ মোতায়েন: ভারতীয় বায়ুসেনা হাশিমারা এয়ারবেসে রাফাল ফাইটার জেটের একটি স্কোয়াড্রন মোতায়েন করেছে। পাশাপাশি মিগ-২১ ও মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানও রয়েছে।

    ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র রেজিমেন্ট: করিডরে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের একটি রেজিমেন্ট মোতায়েন করা হয়েছে, যা যে কোনও সম্ভাব্য হুমকির মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।

    সার্ফেস-টু-এয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা: ভারতীয় সেনা শিলিগুরি করিডোরে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে, যা আকাশসীমায় শত্রুর অনুপ্রবেশ রোধ করতে সক্ষম।

    এমআরএসএএম এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা: এই ব্যবস্থাগুলি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে এবং আকাশপথের ওপর অতিরিক্ত সুরক্ষা প্রদান করে।

    নিয়মিত সামরিক মহড়া: ত্রিশক্তি কোর নিয়মিত যুদ্ধের অনুশীলন করে। যার মধ্যে টি-৯০ ট্যাঙ্কের সঙ্গে লাইভ-ফায়ার মহড়াও অন্তর্ভুক্ত। এর ফলে অপারেশনাল প্রস্তুতি বৃদ্ধি পায়।

    কৌশলগত সতর্কতা

    ভারত এই অঞ্চলের (Chicken’s Neck Corridor) নিরাপত্তা নিয়ে সদা সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক মন্তব্য এবং চিনের বাংলাদেশে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-এর মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি ভারতের জন্য উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, বেজিংয়ের সঙ্গে ঢাকার বাড়তে থাকা সম্পর্ক ভারতীয় নিরাপত্তার জন্য কৌশলগত চ্যালেঞ্জ হতে পারে, বিশেষত শিলিগুরি করিডরের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে। এর জন্য ভারত তার প্রতিরক্ষা অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে। চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে যান। যেখানে তিনি সামরিক প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছেন। নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে উচ্চস্তরের আলোচনাও হয়েছে।

    ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং ভবিষ্যৎ প্রস্তুতি

    ‘চিকেনস নেক’ (Chicken’s Neck Corridor) এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার গুরুত্ব ২০১৭ সালের ডোকলাম সঙ্কটের সময় স্পষ্ট হয়ে ওঠে। যখন ভারতীয় বাহিনী সফলভাবে চিনের ভুটানি ভূখণ্ডে রাস্তা নির্মাণের প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করেছিল। যা শিলিগুরি করিডরের জন্য হুমকি হতে পারত। অতীতের ঘটনাগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে, ভারত তার প্রতিরক্ষা অবকাঠামো এবং প্রস্তুতি বৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে। উন্নত অস্ত্রশস্ত্র, কৌশলগত মোতায়েন এবং ধারাবাহিক নজরদারি সহ, ভারত ‘চিকেনস নেক’ এর নিরাপত্তা শক্তিশালী করেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ করিডরের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে, বলে সেনা সূত্রে খবর। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখতে বদ্ধ পরিকর মোদি সরকার।

  • Waqf Amendment Bill: ‘আর্থ-সামাজিক ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে অভূতপূর্ব মুহূর্ত’, ওয়াকফ বিল পাশ নিয়ে মোদি

    Waqf Amendment Bill: ‘আর্থ-সামাজিক ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে অভূতপূর্ব মুহূর্ত’, ওয়াকফ বিল পাশ নিয়ে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার (Lok Sabha)পর রাজ্যসভাতেও (Rajya Sabha) পাশ হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill)। তার পরেই এই ঘটনাকে ‘এক অভূতপূর্ব মুহূর্ত’ বলে বর্ণনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওয়াকফ বিল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটিকে গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেওয়ার জন্য সাংসদ এবং সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। এই বিল পাশ হওয়াকে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে দাবি করেছেন মোদি।

    স্বচ্ছতার লক্ষ্যেই নয়া বিল

    বিমস্টেক সম্মেলনে যোগ দিতে এখন তাইল্যান্ডে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেখান থেকেই শুক্রবার সকালে সমাজমাধ্যমে মোদি লেখেন, “সংসদের দুই কক্ষে ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার ঘটনা আর্থ-সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা, সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এক অভূতপূর্ব মুহূর্ত।” প্রধানমন্ত্রী জানান, এত দিন যাঁরা প্রান্তিক এবং বঞ্চিত ছিলেন, ওয়াকফ সংক্রান্ত নতুন আইন তাঁদের সাহায্য করবে। ওয়াকফ ব্যবস্থার ‘ত্রুটি’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “বহু দশক ধরে ওয়াকফ ব্যবস্থা আর স্বচ্ছতার অভাব কার্যত সমার্থক ছিল। এই কারণে মুসলমান মহিলা, গরিব মুসলমান এবং পসমন্দা মুসলমানদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সংসদে পাশ হওয়া এই বিল স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে এবং মানুষের অধিকার সুরক্ষিত রাখবে।”

    সংখ্যালঘু মুসলিমদের কণ্ঠস্বর

    সংখ্যালঘু মুসলিমদের কণ্ঠস্বরে পরিণত হবে এই ওয়কফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill), আশা প্রধানমন্ত্রীর। মুসলিম গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে এই বিল পাশ মোদি সরকারের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রয়াস। প্রথমটি ছিল তিন তালাক। উল্লেখ্য, দু’দিন ধরে সংসদে ম্যারাথন বিতর্কের পর বৃহস্পতিবার রাতে পাশ হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫। এ বার রাষ্ট্রপতির সইয়ের অপেক্ষা। তার পরই তা আইনে পরিণত হবে। ওয়াকফ বিল অন্যায় ও দুর্নীতির যুগের অবসান ঘটিয়ে ন্যায়বিচার ও সাম্যের যুগের সূচনা করবে। এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, ‘‘ওয়াকফ বিল, ২০২৫ অনুমোদনের মধ্যে দিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলে আসা অন্যায় ও দুর্নীতির যুগের অবসান ঘটিয়ে ন্যায়বিচার ও সাম্যের যুগের সূচনা হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ বিলের জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে অভিনন্দন জানাই। সেই সঙ্গে, এই বিলকে সমর্থন করার জন্য সমস্ত দল এবং সংসদ সদস্যদের আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’’

  • Waqf Amendment Bill: গভীর রাতে রাজ্যসভাতেও পাশ সংশোধিত ওয়াকফ বিল, রাষ্ট্রপতির সই হলেই কার্যকর নতুন আইন

    Waqf Amendment Bill: গভীর রাতে রাজ্যসভাতেও পাশ সংশোধিত ওয়াকফ বিল, রাষ্ট্রপতির সই হলেই কার্যকর নতুন আইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গেল ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল। বুধবার লোকসভার (Lok Sabha) মতোই বৃহস্পতিবার গভীর রাতেই বিলটি রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) পাশ হয়। লোকসভায় পাশ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংসদের উচ্চকক্ষেও স্বীকৃতি পেল ওয়াকফ বিল (Waqf Amendment Bill)। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সই করলেই আইনে পরিণত হবে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল।

    ৭০ বছরের পুরনো আইনে বদল

    বদলে যাবে ৭০ বছরের পুরনো আইন। ১৯৫৪ সালের আইনকে সংশোধন করে ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়েছিল ভারত সরকার। কিন্তু ৩০ বছর পরে যে সংশোধনে সিলমোহর দিল ভারতীয় সংসদ, তাতে বোর্ডের ক্ষমতা এবং কার্যকারিতার খোলনলচে বদলে যেতে চলেছে। দুর্নীতি মুক্ত স্বচ্ছ ওয়াকফ বোর্ড পেতে চলেছে দেশ। সমস্ত বিতর্ক এবং সংশোধনী নিয়ে ভোটাভুটি শেষে বৃহস্পতিবার রাত ২টো ১৯ মিনিটে ‘ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫’ পাশ করানোর প্রস্তাব পেশ করেন সংসদীয় বিষয়ক এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। ধ্বনিভোটের ফলাফলে বিরোধী শিবির সন্তুষ্ট হয়নি। তাঁরা বিভাজন (ডিভিশন) চান। ভোটাভুটি শেষে রাত ২টো ৩৪ মিনিটে ফল ঘোষিত হয়। তাতে দেখা যায় বিলের পক্ষে পড়েছে ১২৮টি ভোট। আর বিপক্ষে পড়েছে ৯৫টি ভোট। ৩৩ ভোটের ব্যবধানে ওয়াকফ বিল (Waqf Amendment Bill) রাজ্যসভায় পাশ হয়ে যায়।

    গরিব মুসলিমদের রক্ষা করবে এই বিল

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়াও ওয়াকফ বিলকে (Waqf Amendment Bill) সমর্থন জানিয়ে বলেন, ‘‘এই বিল গরিব মুসলিমদের রক্ষা করবে তাঁদেরই ধনী অংশের হাত থেকে। ন্যায়ের স্বার্থে এই নতুন বিল আমাদের সংবিধানের বুনিয়াদি নীতিগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এ কথা মনে রাখতে হবে যে, নতুন ওয়াকফ বিল মুসলিমদের ধর্মাচরণে কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করছে না।’’ দেশে যে বিপুল পরিমাণ ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে, তার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যেই এই বিল আনা হয়েছে বলে মত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর।

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫-র নয়া নাম উমিদ

    এদিনও ‘ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫’ নিয়ে বিতর্ক চলে ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে। সংসদীয় বিষয়ক এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, ‘‘কেউ কেউ বলছেন, আমরা এই বিলের মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের ভয় দেখাচ্ছি। কিন্তু ভয় আমরা দেখাচ্ছি না। ভয় আপনারা দেখাচ্ছেন। সিএএর সময়েও অনেকে ভয় দেখিয়েছিলেন। বলেছিলেন, সিএএ পাশ হলেই অনেকের নাগরিকত্ব চলে যাবে। কিন্তু সিএএ পাশ হওয়ার পরে তেমন কিছু হয়নি। ওয়াকফ বিলের ক্ষেত্রেও আগে থেকে অনেকে ভয় দেখানোর কাজ করছেন। কিন্তু বিল পাশ হওয়ার পর দেখবেন, আগামিকাল থেকেই একে কী ভাবে স্বাগত জানানো হয়।’’ তিনি আরও জানান, ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫-র নাম বদলে রাখা হচ্ছে উমিদ (ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট এমপাওয়ারমেন্ট এফিসিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) বিল।

    ওয়াকফ বোর্ডে মুসলিমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ

    এদিন রাজ্যসভায় আলোচনার শুরুতেই রিজিজু বলেন, ওয়াকফ সম্পত্তির মূল উদ্দেশ্য দরিদ্র, অনাথ শিশু ও মহিলাদের কল্যাণ। অথচ এত সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও আয় হচ্ছে সামান্যই। সাচার কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০৬ সালে দেশে ৪.৯ লক্ষ ওয়াকফ সম্পত্তি ছিল, যেখান থেকে বছরে ১২ হাজার কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা থাকলেও আদতে আয় হয়েছিল মাত্র ১৬৩ কোটি। ২০১৩ সালে আইনে কিছু পরিবর্তন আনা হলেও আয় খুব একটা বাড়েনি। নতুন আইন এই ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাবে বলে দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। নতুন আইনে কেন ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিম সদস্যদের অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে, বিরোধীদের এই প্রশ্নের জবাবে রিজিজু বলেন, ‘‘ওয়াকফ বোর্ড একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা। একটি বিধিবদ্ধ সংস্থায় শুধু মুসলিমরা থাকবেন, আর কেউ থাকতে পারবেন না, এটা কী ভাবে হবে?’’ রিজিজুর কথায়, ‘‘বিধিবদ্ধ সংস্থাকে ধর্মনিরপেক্ষ হতে হবে এবং সব ধর্মের প্রতিনিধিত্ব সেখানে থাকা উচিত।’’ তবে রিজিজু এ-ও জানান যে, ২২ সদস্যের বোর্ডে সর্বোচ্চ চারজন অমুসলিম সদস্য থাকতে পারবেন। ফলে বিল (Waqf Amendment Bill) পাশ হয়ে তা আইনে পরিণত হলেও ওয়াকফ বোর্ডে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠই থাকবেন।

  • Basanti Puja: চৈত্র শুক্লপক্ষে দেবী মহামায়ার আরাধনা করেন রাজা সুরথ, জানুন বাসন্তী পুজোর ইতিহাস

    Basanti Puja: চৈত্র শুক্লপক্ষে দেবী মহামায়ার আরাধনা করেন রাজা সুরথ, জানুন বাসন্তী পুজোর ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুশাস্ত্রমতে বসন্তকালে চৈত্র শুক্লপক্ষে আয়োজিত হয় বাসন্তী পুজো। পুরাণ অনুযায়ী, সমাধি নামক বৈশ্যের সঙ্গে মিলে রাজা সুরথ বসন্তকালে ঋষি মেধসের আশ্রমে দেবী দুর্গার আরাধনা করেন। যা পরে বাসন্তী পুজো (Basanti Puja) নামে প্রসিদ্ধ হয়। দেবী দুর্গার প্রথম পুজারী হিসাবে চণ্ডীতে রাজা সুরথের উল্লেখ রয়েছে।

    কবে থেকে পুজো, দেবীর আগমন কিসে

    চলতি বছরে বাসন্তীপুজো ৩ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে। এই পুজোর ষষ্ঠীই হল অশোক ষষ্ঠী। মূলত, সপ্তমী তিথি বাসন্তী পুজো, অষ্টমীতে অন্নপূর্ণার আরাধনা, নবমীই হল রাম নবমী। দেশের নানান জায়গায় যখন চৈত্র নবরাত্রির পার্বনে অনেকে উৎসবে মেতে রয়েছেন, তখন বাংলা এই চৈত্রের শুক্লপক্ষে দেবী বাসন্তীর আরাধনায় মেতে ওঠে। শাস্ত্রমতে বলা হচ্ছে, চলতি বছর দেবীর আগমন হবে গজে। আর দেবীর গমনও হতে চলেছে গজে। জ্যোতিষমতে বলা হচ্ছে, দেবীর বাহন যদি গজ বা হাতি হয়, তাহলে তার ফলাফল হয় শস্য শ্য়ামলা বসুন্ধরা। এতে মনে করা হয় বিশ্বে অর্থ, সমৃদ্ধি বাড়ে।

    রাজা সুরথের কাহিনী

    রাজা সুরথকে চিত্রগুপ্তবংশী রাজা (চিত্রগুপ্তের বংশধর) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে দুর্গা সপ্তশতী দেবী মাহাত্ম্য এবং মার্কণ্ডেয় পুরাণে। সুরথ সুশাসক ও যোদ্ধা হিসেবে বেশ খ্যাত ছিলেন। কোনও যুদ্ধে নাকি তিনি কখনও হারেননি। কিন্তু প্রতিবেশী রাজ্য একদিন তাঁকে আক্রমণ করে এবং সুরথ পরাজিত হন। এই সুযোগে তাঁর সভাসদরাও লুটপাট চালায়। কাছের মানুষের এমন আচরণে স্তম্ভিত হয়ে যান সুরথ। বনে ঘুরতে ঘুরতে তিনি মেধাসাশ্রমে পৌঁছোন। ঋষি তাঁকে সেখানেই থাকতে বলেন। কিন্তু রাজা শান্তি পান না।

    বাসন্তী পুজোর সূচনা

    এর মধ্যে একদিন তাঁর সমাধির সঙ্গে দেখা হয়। তিনি জানতে পারেন, সমাধিকেও তাঁর স্ত্রী এবং ছেলে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তবুও তিনি স্ত্রী-ছেলের ভালোমন্দ এখনও ভেবে চলেছেন। তাঁরা দুজনেই তখন ভাবলেন, যাদের কারণে তাদের সব কিছু হারিয়েছে, তাদের ভালো আজও তাঁরা কামনা করছেন। ঋষিকে একথা বলায়, তিনি বলেন সবই মহামায়ার ইচ্ছা। এরপর ঋষি মহামায়ার কাহিনি বর্ণনা করেন। ঋষির উপদেশেই রাজা কঠিন তপস্যা শুরু করেন। পরে মহামায়ার আশীর্বাদ পেতেই বসন্ত কালের শুক্ল পক্ষে রাজা পুজো শুরু করেন। শুরু হয় বাসন্তী পুজো (Basanti Puja)। এই পুজো এখন কয়েকটি বাড়িতেই শুধু হয়।

  • SSC Case: ‘অযোগ্যদের বাঁচাতে যোগ্যদের বলি’, এসএসসি রায়ের পর মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারি দাবি শুভেন্দুর

    SSC Case: ‘অযোগ্যদের বাঁচাতে যোগ্যদের বলি’, এসএসসি রায়ের পর মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারি দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৬ সালের এসএসসির (SSC Case) সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করল শীর্ষ আদালত। এক্স পোস্টে এনিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পদত্যাগ ও গ্রেফতারির দাবি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই ঘটনাকে ‘অযোগ্যদের বাঁচাতে যোগ্যদের বলি’, বলে দাবি করেন তিনি।

    শুভেন্দুর দাবি

    গত বছর ৩০ ডিসেম্বর বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে আচার্য সদন গিয়েছিলেন শুভেন্দু। যোগ্য-অযোগ্যদের পৃথকীকরণের দাবি জানিয়ে এসেছিলেন তিনি। এদিন এসএসসি মামলার রায়দান হতেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) সেদিনের ভিডিও সহ একটি পোস্ট করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। সেই পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকারকে ঝাঁঝালো আক্রমণ করেন তিনি। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘অযোগ্যদের বাঁচাতে যোগ্যদের বলি। মহামান্য কলকাতা উচ্চ আদালত, মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট বারবার এসএসসি-কে সময় দিয়েছে যোগ্য ও অযোগ্য চাকরিরত শিক্ষকদের আলাদা করার জন্য। ৫ মে ২০২২ তারিখে এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের ক্যাবিনেট অযোগ্যদের বাঁচানোর জন্য বেআইনিভাবে সুপারনিউমেরারি পোস্ট তৈরি করেছিল। বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি বিধায়কদের প্রতিনিধি দলকে সাথে নিয়ে এসএসসি ভবনে আমি নিজেও এই বিষয়ে সঠিকভাবে যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম।’’ বিজেপি (BJP) বিধায়কের কথায়, তিনি সেবার যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করে আদালতে জমা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। নাহলে অযোগ্যদের জন্য যোগ্যরা বিপাকে পড়বেন ও তাঁদের পরিবারগুলি ভেসে যাবে বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে সামাজিক সম্মানও নষ্ট হবে। শুভেন্দু লেখেন, ‘‘আজ মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট মহামান্য কলকাতা উচ্চ আদালতের রায়কে মান্যতা দিয়ে ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিলের নির্দেশ বহাল রাখল। অর্থের বিনিময়ে চাকুরিরত অযোগ্যদের বাঁচাতে যোগ্যদের বলি দেওয়া হল। এর সম্পূর্ণ দায়ভার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জীর। অবিলম্বে মমতা ব্যনার্জীর পদত্যাগ ও গ্রেফতারের দাবি করছি।’’

    বিজেপির বিরোধিতা

    শাসকদলের বিরুদ্ধে পথে নামার ডাক দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও। বারবার সময় পাওয়া সত্ত্বেও চাল ও কাঁকর আলাদা করেনি এসএসসি। তারই খেসারত দিতে হল যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদেরও। রামনবমী মিটে গেলেই এ নিয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলনে নামা বলে বলেও এদিন হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।  আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচিও এদিন ফেসবুক পোস্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানান। তিনি লেখেন, ‘‘সবার চাকরি খেল কে? চোর মমতা আবার কে। যোগ্য যাদের চাকরি গেল। এবার সবাই কালীঘাট চলো।’’

  • IPL 2025: হারের পর পিচকে দোষারোপ! আইপিলে পিচ বিতর্কে সব ফ্রাঞ্চাইজিকে কড়া নির্দেশ বোর্ডের

    IPL 2025: হারের পর পিচকে দোষারোপ! আইপিলে পিচ বিতর্কে সব ফ্রাঞ্চাইজিকে কড়া নির্দেশ বোর্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের মাঠের পিচ (IPL 2025) নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স থেকে শুরু করে চেন্নাই সুপার কিংস,  লখনউ সুপার জায়ান্টস দলগুলি। সবার অভিযোগ, ঘরের মাঠের সুবিধা তারা পাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে পিচ নিয়ে মুখ খুলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বোর্ডের মতে, মরসুম শুরুর আগে পিচ প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে ভালো করে কথা বলে নেওয়া উচিত ছিল দলগুলির। মরসুমের মাঝে এই ধরনের অভিযোগ করা উচিত নয়। পিচ নিয়ে শেষ কথা বলবেন কিউরেটরই, এমন নির্দেশও দিয়েছে বিসিসিআই।

    পিচ বিতর্কে কড়া বোর্ড

    বোর্ডের এক আধিকারিকের কথায়, “এখনও পর্যন্ত প্রতিটা মাঠের পিচ ভালোই লাগছে। দলগুলো ঘরের মাঠে নিজেদের শক্তি অনুযায়ী পিচ চাইতেই পারে। কিন্তু তার জন্য দল ও পিচ প্রস্তুতকারকের মধ্যে আলোচনা হওয়া উচিত। আর সেটা মরসুম শুরু হওয়ার আগে হওয়া উচিত। আইপিএল শুরু হওয়ার পরে এই ধরনের অভিযোগ ঠিক নয়।” ঘরের মাঠে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে হারের পর কলকাতা নাইট রাইডার্সে অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে আর্জি জানিয়েছিলেন, ইডেনে আরও স্পিন সহায়ক উইকেট হওয়া উচিত। কিন্তু সেই আর্জি নাকচ করে দিয়েছেন ইডেনের পিচ প্রস্তুতকারক সুজন মুখোপাধ্যায়।

    ব্যাটিং ও বোলিংয়ের মধ্যে ভারসাম্য রেখেই পিচ

    বোর্ডের নির্দেশ অনুযায়ী, আইপিএলে কী ধরনের পিচ (IPL 2025) হবে তা নিয়ে কোনও দল বা ক্রিকেটার কিছু বলতে পারবেন না। ব্যাটিং ও বোলিংয়ের মধ্যে ভারসাম্য রেখে পিচ তৈরি করবেন প্রস্তুতকারক। লখনউয়ের পিচ নিয়ে বোর্ডের ওই কর্তা বলেন, “লখনউয়ের পিচের চরিত্র মন্থর। বিসিসিআইয়ের নির্দেশ অনুযায়ী, পিচের উপর ঘাস রাখতে হয়েছে। যাতে পুরো প্রতিযোগিতা জুড়ে পিচ ভাল থাকে। বাকি সব মাঠেও একই প্রক্রিয়ায় পিচ তৈরি হয়েছে। তা হলে অসুবিধা কোথায়?” পিচ বিতর্কের মধ্যেই আজ, বৃহস্পতিবার ইডেনে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে খেলতে নামছে কেকেআর। ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই কেকেআরের। ঘরের মাঠে হায়দরাবাদকে হারাতে মরিয়া কলকাতা। অন্যদিকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ নিজামের শহরের দল। গত বারের আইপিএলের ফাইনালে এই দুই দলই মুখোমুখি হয়েছিল। সানরাইজার্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। অনেকেই বলছে অতীতের প্রতিশোধ নিতে মরিয়া রয়েছে হায়দরাবাদ।

    ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই

    ১৮ তম আইপিএলের (IPL 2025) শুরুর মোটেও ভালো হয়নি কেকেআরের। উদ্বোধনী ম্যাচেই আরসিবির বিরুদ্ধে খেলতে নেমে এই ইডেন গার্ডেন্সেই হারতে হয়েছিল কেকেআরের। পরবর্তীতে রাজস্থানকে হারিয়ে জয়ের অভিযান শুরু করলেও গত ম্যাচে মুম্বইয়ের কাছে পরাজিত হতে হয় কলকাতাকে। এই ম্যাচ শুধুমাত্র পয়েন্ট টেবিলে ওপরে ওঠার জন্য নয়, বরং আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ারও লড়াই নাইটদের কাছে। চলতি আইপিএল পয়েন্ট টেবিলের প্রথম স্থানে আছে পাঞ্জাব। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে দিল্লি ও বেঙ্গালুরু। তালিকায় একদম নীচে রয়েছে কলকাতা।

  • Empuraan: ‘সন্ত্রাসবাদের প্রচার’! মালয়ালম ছবির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের প্রাক্তন নৌসেনা কর্তার

    Empuraan: ‘সন্ত্রাসবাদের প্রচার’! মালয়ালম ছবির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের প্রাক্তন নৌসেনা কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত মালয়ালম ছবি ‘লুসিফার ২: এমপুরন’-এর (Empuraan) বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন এক অবসরপ্রাপ্ত নৌ কর্মকর্তা সরথ এধাথিল। তাঁর অভিযোগ, এই সিনেমায় ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) ও ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মানহানি করা হয়েছে। অভিযোগ, এ ছবিতে এমন কিছু মন্তব্য রয়েছে যাতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। এর ফলে নতুন করে গোষ্ঠীসংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। তিনি বলেছেন, “ছবি মুক্তি পাওয়ার পর নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে, গুজব ছড়াচ্ছে এবং ক্রমাগত এ ছবির প্রদর্শন চলতে থাকলে গোষ্ঠী সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    সন্ত্রাসের বার্তা প্রচার

    ছবিতে সন্ত্রাসবাদকে ন্যায়সঙ্গত প্রতিশোধ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, বলেও অভিযোগ। ছবির গল্পের একটি চরিত্রকে পাকিস্তানের জইশ-ই-মহম্মদ (JeM) সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগদান করতে দেখা যায়। চরিত্রটি সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রতিশোধ নিতে উদ্যত হয়। অভিযোগে আরও বলা হয় যে, সিনেমার কিছু পটভূমি গান আরবি ও উর্দু ভাষায় ছিল, যা সন্ত্রাসবাদী বার্তা প্রচারের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। অভিযোগকারীর মতে, সিনেমায় এনআইএ এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে অসৎ এবং দুর্নীতিগ্রস্ত হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলির প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট করতে পারে। এছাড়াও, সিনেমাটির একটি দৃশ্যে ২০০২ সালের গোধরা দাঙ্গা পরবর্তী পরিস্থিতি একপেশে ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।

    সিনেমাটির আর্থিক উৎস নিয়ে তদন্তের দাবি

    এছাড়াও, সিনেমায় কিছু বিতর্কিত সংলাপ রয়েছে, যেমন ‘কেরালার দীর্ঘ উপকূলরেখা ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলি মাদক পাচারের জন্য সহায়ক হতে পারে’ এবং ‘মুল্লাপেরিয়ার বাঁধে বোমা হামলার হুমকি’, যা অভিযোগকারীর মতে উগ্রপন্থীদের জন্য উস্কানি হতে পারে। অভিযোগকারী আরও দাবি করেছেন যে সিনেমাটিতে এক গোয়েন্দা কর্তার নৃশংস হত্যা দেখানো হয়েছে, যা সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উস্কে দিচ্ছে। অভিযোগের পাশাপাশি, সিনেমাটির আর্থিক উৎস নিয়ে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। গত ২৭ মার্চ মুক্তি পেয়েছে পৃথ্বীরাজ সুকুমারন পরিচালিত মোহনলাল অভিনীত বড় বাজেটের ছবি। কিন্তু মুক্তির পর থেকেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

  • Manipur Violence: শান্তি ফেরানোর জন্য যা যা করণীয় করছে সরকার, সংসদে পাশ মণিপুর-প্রস্তাব

    Manipur Violence: শান্তি ফেরানোর জন্য যা যা করণীয় করছে সরকার, সংসদে পাশ মণিপুর-প্রস্তাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন (Manipur Violence) জারি নিয়ে সংবিধিবদ্ধ প্রস্তাব গৃহীত হল লোকসভায়। ওয়াকফ বিল পাশের পরে বুধবার গভীর রাতে বিরোধীরা দাবি তুললেন মণিপুরে নিয়ে আলোচনার। উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে গত ফেব্রুয়ারি মাসেই ইস্তফা দিয়েছিলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। তার পরে জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। নিয়ম অনুযায়ী, কোথাও রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলে দু’মাসের মধ্যে সংসদীয় অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। বুধবার সেই প্রস্তাবই পাশ হয়েছে।

    শাহি জবাব

    এদিন মণিপুর (Manipur Violence) প্রসঙ্গে বিরোধীদের আক্রমণের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “মণিপুরে শান্তি ফেরানোর জন্য যা যা করণীয় করা হচ্ছে। সেখানে দুই জাতির সংঘর্ষ। কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে যথেষ্ট সংবেদনশীল। বিরোধীরা শুধু রাজনীতি করার জন্যই মণিপুর নিয়ে এত কথা বলছে।” অমিত শাহর ভাষণের পর মণিপুর প্রস্তাবও পাশ হয়ে যায়। রাত ২টো ৪১ নাগাদ লোকসভা মুলতুবি হয়। উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন এন বীরেন সিং। আর ১৩ ফেব্রুয়ারি মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। প্রায় দু’বছর ধরে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষে বিরামহীন হিংসার সাক্ষী থেকেছে মণিপুর। এই নিয়ে ঘরে-বাইরে প্রবল সমালোচনার মধ্যে পড়তে হয় বীরেন সিংকে। প্রবল চাপের মুখে পদত্যাগ করেন বীরেন সিং। ফেব্রুয়ারি মাসেই মণিপুরে জারি করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন।

    সাংবিধানিক কারণেই মধ্যরাতে আলোচনা

    বুধবার লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী পাশ হয় রাত ১টা ৫৭ মিনিটে। এরপর অধিবেশন মুলতুবি না করে স্পিকার ওম বিড়লা জানান এবার মণিপুর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। মধ্যরাতে বিরলতম ঘটনার সাক্ষী থাকে সংসদ। কেন বুধবার রাতে মণিপুর নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তার কারণ জানিয়েছেন কংগ্রেসের সাংসদ শশী তারুর। তিনি জানান, সাংবিধানিক প্রয়োজনীয়তার কারণেই এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কী কারণে মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছে তা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। লোকসভা মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবিধিবদ্ধ প্রস্তাব গ্রহণ করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

LinkedIn
Share