Author: ishika-banerjee

  • Election Commission of India: ‘ভোটার কার্ডে একই এপিক নম্বর মানেই ভুয়ো নয়’, বিজ্ঞপ্তি কমিশনের

    Election Commission of India: ‘ভোটার কার্ডে একই এপিক নম্বর মানেই ভুয়ো নয়’, বিজ্ঞপ্তি কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একই এপিক নম্বরে একাধিক ভোটারের নাম থাকা মানেই তাঁরা নকল বা ভুয়ো ভোটার নন। বিবৃতি দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। তাদের দাবি, এপিক নম্বর এক হলেও বিধানসভা কেন্দ্র এবং ভোটকেন্দ্র আলাদা হতে পারে। এপিক নম্বর এক হলেও, একজন ভোটার দুই জায়গায় ভোট দিতে পারেন না। বিভ্রান্তি এড়াতে ইউনিক বা অনন্য এপিক নম্বর চালুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, দু’টি পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে একই আলফানিউমেরিক সিরিজ ব্যবহারের জন্য কিছু ক্ষেত্রে একই এপিক নম্বর পাওয়া যাচ্ছে। নিবন্ধিত ভোটারদের অভিন্ন এপিক নম্বর বরাদ্দ করার বিষয়টি কমিশন নিশ্চিত করবে বলেও জানানো হয়।

    মমতার মিথ্যাচার

    বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যর দাবি, সচিত্র পরিচয়পত্রের উদাহরণ দিয়ে যে কারচুপির অভিযোগ মমতা করেছিলেন, কমিশন (Election Commission of India) তা খারিজ করে দিয়েছে। বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের যুক্তি, আগামী ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে হারের আশঙ্কায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ভোটার তালিকায় কারচুপির ‘মিথ্যে অভিযোগ’ তুলেছিলেন। যাতে নির্বাচনী ব্যবস্থায় মানুষের আস্থা নড়ে যায়। কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে, একই সংখ্যায় একাধিক ভোটার আইডি কার্ড থাকলেও সেখানে ‘ভুয়ো’ ভোটারের প্রশ্ন নেই। ভোটাররা শুধু নিজেদের নির্বাচনী কেন্দ্রেই ভোট দিতে পারবেন।

    কী বলছে কমিশন

    কমিশন (Election Commission of India) জানিয়েছে, কিছু ভোটারের আইডি কার্ডের নম্বর এক হতে পারে। তবে নাম, ধাম, বিধানসভা কেন্দ্র, ভোটগ্রহণ কেন্দ্র আলাদা হবে। ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর যা-ই হোক না কেন, ভোটারেরা শুধু নিজের কেন্দ্রে ভোট দিতে পারেন। কমিশনের যুক্তি, ভোটার তালিকা ব্যবস্থাপনার জন্য তারা এখন ‘এরোনেট’ নামের একটি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা তৈরি করেছে। তার আগে রাজ্যে রাজ্যে আলাদা আলাদা ভাবে, কোনও যান্ত্রিক নিয়ম না মেনে ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর দেওয়া হত। ফলে, কিছু রাজ্য একই সিরিজের সংখ্যা ব্যবহার করে থাকতে পারে। তাতে বিভিন্ন জায়গায় একই সংখ্যার ভোটার আইডি কার্ড বিলি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে এই বিষয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভোটারদের আইডি কার্ডে ভিন্ন সংখ্যা থাকবে। প্রতিটি ভোটার কার্ডের সংখ্যা ইউনিক হবে। কোথাও একই নম্বর থাকলে তা সংশোধন করা হবে।

  • ICC Champions Trophy: বরুণের পাঁচ উইকেট, অপরাজিত ভারত! সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার সামনে রোহিতরা

    ICC Champions Trophy: বরুণের পাঁচ উইকেট, অপরাজিত ভারত! সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার সামনে রোহিতরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ, পাকিস্তানের পর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও জয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) এখনও পর্যন্ত অপরাজিত ভারত। সেমিফাইনালে ভারতের সামনে অস্ট্রেলিয়া। দুবাইয়ের স্পিন সহায়ক উইকেটে বরুণ চক্রবর্তীর (Varun Chakravarty) দুর্দান্ত স্পেলে ভারত জয় পেয়েছে ৪৪ রানে। আর তাতে নিশ্চিত হয়েছে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালের লাইনআপ। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে ভারত। দ্বিতীয় স্থানে নিউজিল্যান্ড। আর ‘বি’ গ্রুপে সবার ওপর দক্ষিণ আফ্রিকা। আর দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়া। নিয়ম অনুযায়ী, ভারতের সেমিফাইনাল ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৪ তারিখ দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচটি।

    বরুণে মুগ্ধ রোহিত

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) এখনও অবধি ফেভারিটের মতোই পারফর্ম করেছে ভারতীয় দল। বাংলাদেশ ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনালও নিশ্চিত করে ফেলে। তৃতীয় ম্যাচেও অপরাজিত। জয়ের হ্যাটট্রিকেও চিন্তিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দুবাইয়ের পিচে ২৪৯ রানের পুঁজি! নিউজিল্যান্ড ভালো স্পিন খেলে। সে কারণে শেষ ম্যাচে একাদশে সারপ্রাইজ দিয়েছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। চার স্পিনার নিয়ে নেমেছিল। একাদশে হর্ষিত রানার বদলে আনা হয় বরুণ চক্রবর্তীকে (Varun Chakravarty)। প্রতিপক্ষের ১০ উইকেটের মধ্যে ৯টিই ভারতের স্পিনারদের দখলে। এর মধ্যে বরুণের ঝুলিতে পাঁচ উইকেট। কেরিয়ারের দ্বিতীয় ওডিআই, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথম ম্যাচ! আর তাতেই পাঁচ উইকেট। এটাই ‘মাথাব্যথা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ম্যাচ শেষে রোহিত বলেন, ‘বরুণের বোলিংয়ে বৈচিত্র্য রয়েছে। ফলে আমরা এই ম্যাচে একটা সুযোগ দিয়ে দেখতে চেয়েছিলাম পারফর্ম করতে পারে কি না। ও যা পারফর্ম করল, সেমিফাইনালে একাদশ গড়তে ভাবতে হবে। তবে এটাকে সুস্থ মাথাব্যথাই বলব। ও যদি ঠিকঠাক থাকে, ওর বোলিং বোঝা কঠিন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেক থ্রু দিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।’

    ম্যাচের সেরা বরুণ

    ম্যাচের আগের রাতেই বরুণকে (Varun Chakravarty) জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনি খেলছেন। তাতে অবশ্য স্নায়ুর চাপ কমেনি। রবীন্দ্র জাদেজা, মহম্মদ সামির পর ভারতের তৃতীয় বোলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাঁচ উইকেট। ম্যাচের সেরা বরুণ বলছেন, ‘শুরুর দিকে নার্ভাস লাগছিল। দেশের জার্সিতে ওডিআইতে সেই অর্থে খেলিইনি। তবে ম্যাচ যত এগিয়েছে, ধাতস্ত হচ্ছিলাম। বিরাট, রোহিত, শ্রেয়স, হার্দিকরা আমার সঙ্গে লাগাতার কথা বলছিল। মাথা ঠান্ডা রেখে বোলিংয়ে ফোকাস করার কথা বলছিল।’ নিজে পাঁচ উইকেট নিলেও জয়ের কৃতিত্ব নিতে নারাজ ম্যাচের সেরা বরুণ। বললেন, ‘পুরোটাই যে টিম এফোর্ট’।

  • Amit Shah: দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান, বিশেষ নির্দেশ শাহের

    Amit Shah: দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান, বিশেষ নির্দেশ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অভিবাসীদের চিহ্নিত করে তাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করার নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। রাজধানীতে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে এই কঠোর পদক্ষেপের কথা জানান শাহ। দিল্লিতে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত, দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশিস সুত, দিল্লি পুলিশের কমিশনার সঞ্জয় আরোরা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (MHA) উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

    দিল্লিতে অনুপ্রবেশ রুখতে শাহ-নামা

    বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তাদের মতে, অমিত শাহ স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন যে দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ, ডকুমেন্টেশন এবং বসবাসের নেটওয়ার্কটি অবিলম্বে ভেঙে ফেলা উচিত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘অবৈধ অনুপ্রবেশ জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। এটি কঠোরভাবে মোকাবিলা করতে হবে। শহরে অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করে তাদের বহিষ্কার করা উচিত।’’ তিনি আরও বলেন যে, ‘‘উপর থেকে নীচ পর্যন্ত একটি পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে, যাতে অবৈধ বসবাসের সমস্যা সমাধান করা যায়।’’ তিনি এই অভিযানে শুধুমাত্র অভিবাসীদের নয়, বরং যারা তাদের অবৈধ বসবাসে সহায়তা করেছে, তাদেরও কঠোর শাস্তি দেওয়ার কথা বলেন। দালালি, ভুয়া ডকুমেন্ট তৈরি বা সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বলে জানান শাহ।

    দ্রুত গতিতে কাজ

    এই বৈঠকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত উপস্থিত ছিলেন, যিনি ফেব্রুয়ারি ২০ তারিখে দিল্লির চতুর্থ মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সরকারের “ডবল গতিতে” কাজ করার কথা বলেন তিনি। দিল্লিতে অবৈধ অভিবাসী, অপরাধমূলক গ্যাং এবং প্রশাসনিক অদক্ষতা দূর করতে একযোগভাবে কাজ করার কথাও বলেন। রেখার কথায়, ‘‘দিল্লির জনগণ যেন নিশ্চিন্ত থাকে যে নতুন সরকার অবৈধ বসবাসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে। ডাবল ইঞ্জিন সরকার ডাবল গতিতে কাজ করবে।’’

    অবৈধ অভিবাসন রুখতে সক্রিয় পুলিশ

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) দিল্লি পুলিশের কাছে আন্তঃরাজ্য গ্যাংগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘‘রাস্তায় অপরাধ মানুষের নিরাপত্তার অনুভূতিতে সরাসরি প্রভাব ফেলে। দিল্লি পুলিশকে এই গ্যাংগুলো নির্মূল করতে কোনও অনুরোধের সুযোগ ছাড়াই কাজ করতে হবে।’’ দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, বর্তমানে এমন কিছু কলোনি চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশী এবং রোহিঙ্গা জনগণের সংখ্যা বেশি। সেখানকার একটি বিস্তারিত নিরীক্ষণ চলছে এবং অবৈধ বাসিন্দাদের উৎখাত করা হবে।

    অবৈধ অভিবাসী খুঁজতে অভিযান

    ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে পাকড়াও করেছে দিল্লি পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনকে এ দেশ থেকে বিতাড়নের প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে। দিল্লির কোথায় কত অভিবাসী অবৈধ ভাবে বসবাস করছেন, তার খোঁজে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। ডিসেম্বর থেকে লাগাতার সেই অভিযান চলছে। স্থানীয় থানাগুলির পুলিশকর্মী এবং অন্য আধিকারিকদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে একটি বিশেষ দলও। বিভিন্ন বস্তি এলাকা এবং শ্রমিক কলোনিতে ঘুরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে সেই দল। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, দিল্লিতে প্রায় ১৭৫ জন বাংলাদেশিকে অবৈধ অভিবাসী সন্দেহে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।

    মহারাষ্ট্রেও অভিযান

    শুধু দিল্লিতেই নয়, মহারাষ্ট্র থেকেও সম্প্রতি অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীরা ধরা পড়েছেন। তাঁদের থেকে পাওয়া গিয়েছে জাল নথিপত্র। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বেশির ভাগই ভুয়ো আধার কার্ড ব্যবহার করে এ দেশে থাকতে শুরু করেছিলেন। কেউ অবৈধ ভাবে সীমান্ত পার করে এ দেশে এসেছেন, আবার কেউ অন্য কোনও উপায়ে ভারতে এসেছেন। তবে পুলিশি অভিযানে তাঁদের কারও থেকেই ভারতে থাকার কোনও বৈধ নথি পাওয়া যায়নি। ধৃতদের মধ্যে অনেকেও এ দেশে জাল নথি দেখিয়ে ভুয়ো পরিচয়ে শ্রমিকের কাজে বা অন্য কোনও কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের পাকড়াও করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু করেছে পুলিশ।

    দিল্লি পুলিশকে শাহি নির্দেশ

    অমিত শাহ দিল্লি পুলিশ স্টেশনের তেমন কাজ না করা থানাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, পুলিশিংকে আরও সক্রিয় ও প্রো-একটিভ করতে হবে এবং ডিসিপি-লেভেল কর্মকর্তাদের নিয়মিত জনশুনানি এবং অভিযোগ নিরসন করতে হবে। ২০২০ সালের দিল্লি দাঙ্গা সম্পর্কিত দীর্ঘকালীন আইনি প্রক্রিয়াগুলোর ব্যাপারে অমিত শাহ নির্দেশ দেন যে, দিল্লি সরকার যেন বিশেষ পিপি নিযুক্ত করে যাতে দাঙ্গা সম্পর্কিত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হয় এবং আইনি ঝামেলা কমে।

    মেট্রো-ব্যস্ততা, জলের সমস্যা

    অমিত শাহ দিল্লির ট্রাফিক জটের স্থানে জরিপ করারও নির্দেশ দেন। এছাড়া, বর্ষাকালে জলের সমস্যা মেটানোর জন্য দিল্লি সরকারকে একটি “বর্ষাকাল পরিকল্পনা” প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া, তিনি ঘোষণা করেন যে দিল্লি পুলিশ এখন থেকে নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে অনুমোদন দেবে না। শহরের উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে, এমন সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

  • ICC Champions Trophy: এক দিনের ক্রিকেটে ৩০০তম ম্যাচ, একাধিক নজিরের সামনে কিং কোহলি

    ICC Champions Trophy: এক দিনের ক্রিকেটে ৩০০তম ম্যাচ, একাধিক নজিরের সামনে কিং কোহলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফর্মে ফিরেছেন কিং কোহলি। রবিবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের ক্রিকেটে ৩০০তম ম্যাচ খেলতে নামবেন বিরাট (Virat Kohli)। সেই ম্যাচে একাধিক রেকর্ড ভাঙতে পারেন কোহলি। এর আগে সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রাহুল দ্রাবিড়, এমএস ধোনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।

    একাধিক রেকর্ডের সামনে কোহলি

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান করেছিলেন শিখর ধাওয়ান। ১০ ম্যাচে ৭০১ রান করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৩ ম্যাচে তিনি করেছিলেন ৬৬৫ রান। কোহলি ১৫ ম্যাচে করেছেন ৬৫১ রান। নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৫ রান করলেই টপকে যাবেন সৌরভকে। তবে ৫১ রান করলে ভেঙে দিতে পারেন ধাওয়ানের রেকর্ড। নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৪২ রান করতে পারলে কোহলি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক হয়ে যাবেন। কোহলি রবিবার শতরান করলে একক ভাবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ৭টি শতরান করার রেকর্ডটি গড়বেন। কোহলি রবিবার অর্ধশতরান করলে একক ভাবে আইসিসি প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি অর্ধশতরান বা তার বেশি রান করার রেকর্ড গড়বেন।

    গ্রুপ শীর্ষে থাকার লড়াই

    ম্যাচের আগের দিন কোহলির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন তাঁর সতীর্থ লোকেশ রাহুল। কেএল রাহুল (KL Rahul) বলেছেন যে, কোহলির ভারতীয় ক্রিকেটে প্রভাব এতটাই বিশাল যে তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ (Champions Trophy 2025)-এর নিউজিল্যান্ড বনাম ভারত ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে কেএল রাহুল বলেন, ‘৩০০ ওয়ানডে ম্যাচ অনেক বড় সংখ্যা। বিরাট ভারতীয় ক্রিকেটের এক মহান সেবক। তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারের মাহাত্ম্য বোঝাতে শব্দ কম পড়ে যায়।’ রাহুল আরও জানান, সিনিয়র ক্রিকেটারদের ফর্ম দলের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক। কেএল রাহুল বলেন, ‘রোহিত শর্মা (Rohit Sharma), শুভমন গিল (Shubman Gill) ও বিরাট কোহলি দুর্দান্ত ব্যাটিং করছেন। শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে তিনি অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন।’ ভারত ইতিমধ্যেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর সেমিফাইনালে কোয়ালিফাই করেছে, তবে নিউজিল্যান্ড বনাম ভারত ম্যাচের ফলের উপর নির্ভর করবে গ্রুপ এ (Group A)-তে ভারতের চূড়ান্ত অবস্থান। এরপরেই ঠিক হবে সেমিফাইনালে কোন দলের বিরুদ্ধে ভারত খেলতে নামবে।

  • Muhammad Yunus: বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে সরাতে সক্রিয় আইএসআই! জেনারেল জমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ইউনূস?

    Muhammad Yunus: বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে সরাতে সক্রিয় আইএসআই! জেনারেল জমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ইউনূস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনার জামানার পতনের পর মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) জামানায় ঢাকা-ইসলামাবাদ দোস্তি চওড়া হয়েছে। পদ্মাপাড়ে ভারত বিরোধিতার সুর যত চড়েছে ততই পাকিস্তানের কোলে ঢলে পড়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস। পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘ ৫০ বছর পর সমুদ্র বাণিজ্য চালু করেছে বাংলাদেশ (Bangladesh Army Chief)। করাচি থেকে পণ্যবাহী জাহাজ এসেছে চট্টোগ্রামে। এবার পাকিস্তান সেনার সঙ্গে যোগ রেখে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জমানকে সরাতে চাইছে ইউনূস প্রশাসন। তাঁর বদলে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়ে আসা হতে পারে পাক ঘনিষ্ঠ বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে চতুর্থ স্থান অধিকারী,ফয়জুর রহমানকে।

    ইউনূস এবং সেনাপ্রধানের মধ্যে বিরোধ!

    সূত্রের খবর, বাংলাদেশের (Bangladesh Army Chief) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) , যিনি গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের শাসনভার গ্রহণ করেছিলেন, তিনি দেশের সেনা প্রধানের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, জেনারেল জমান দীর্ঘদিন ধরে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকারকে নিয়ে অসন্তুষ্ট। তিনি দেশটির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ এবং শেখ হাসিনার অপসারণের পর দেশটির আইন-শৃঙ্খলার অবনতির বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। শেখ হাসিনার পতনের পর জেনারেল জমান বারবার নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে কথা বললেও, বর্তমান পরিস্থিতির অজুহাতে ইউনূস দেশে নির্বাচনের তারিখ বারবার স্থগিত করেছেন। আরেকটি কারণ হতে পারে যে, জেনারেল জমান শেখ হাসিনার শাসনামলে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পান। তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক শেখ হাসিনার পরিবারে, যার ফলে দু’পক্ষের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে।

    ইউনূস সরকার এবং পাকিস্তানের আইএসআইয়ের ষড়যন্ত্র

    বিশেষ সূত্রমতে, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল জমান সন্দেহ করছেন যে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং আইএসআই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে। তাঁর ধারণা, আইএসআই বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রভাব ফেলছে এবং তাদের পছন্দের লোকদের শীর্ষ পদে নিযুক্ত করার চেষ্টা করছে। গত মাসে পাকিস্তানের আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মালিকের বাংলাদেশ সফরকালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমানের সঙ্গে বৈঠকটি, জেনারেল জমানের প্রতি আইএসআইয়ের হস্তক্ষেপের চেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ফয়জুর রহমান বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে চতুর্থ স্থান অধিকারী। তিনি পাকিস্তানের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।

    জমানকে অপসারণের চেষ্টা

    বাংলাদেশ সেনার অভ্যন্তরে গুঞ্জন, অন্তবর্তী সরকার জেনারেল জমানকে সেনাপ্রধান পদ থেকে অপসারণ করে, ফয়জুর রহমানকে এই পদে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ফয়জুর রহমানকে পাকিস্তানের প্রতি সহানুভূতিশীল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁর পক্ষে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও আইএসআইয়ের সমর্থন রয়েছে।

    বিরোধের সূত্রপাত

    গত অগাস্ট মাসের শুরুতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের সময়, আন্দোলনকারীদের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন জেনারেল জমান এবং সেনা। তাদের চাপেই ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন হাসিনা। তারপর, মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করে বিচার বিভাগ, পুলিশ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইউনুস। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত করার একটি রূপরেখা দিয়েছে ইউনূস সরকার। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এতদিন পর্যন্ত ছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আওতাধীন। অর্থাৎ, সরাসরি নিয়ন্ত্রণ ছিল প্রধানমন্ত্রীর হাতে। কাজেই, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে রাজনৈতিক প্রয়োজনে সেনাকে ব্যবহারের সুযোগ ছিল। তার বদলে সেনাকে রাষ্ট্রপতির আওতায় আনার প্রস্তাব দিয়েছে নয়া সরকার। এর ফলে, ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় থাকবে। কিন্তু আখেড়ে উল্টো কাজ করছে ইউনূস প্রশাসন। তার থেকেই বিরোধের সূত্রপাত।

    ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক

    বাংলাদেশে (Bangladesh Army Chief) শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ জায়গায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশে বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ব্যাপক সম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। যা ঢাকা এবং নয়াদিল্লির সম্পর্ককে জটিল করে তুলছে। ভারত, ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকারকে অভিযোগ করছে যে তারা সন্ত্রাসী মৌলবাদী ইসলামিক শক্তিগুলির দ্বারা সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ প্রসঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে অক্ষম এবং এ ব্যাপারে চোখ বন্ধ করে রেখেছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ভারত সফরে এসে পাক গোয়েন্দারা ভারতের চিকেন নেকও দেখতে গিয়েছিলেন। যা ভারতের কাছে বিরক্তির কারণ। এই আবহে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে পাক ঘনিষ্ঠতা ভারতের কাছে অসন্তোষের।

  • Trump-Zelenskyy Meet: হল না খনিজ চুক্তি! ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকে তুমুল বচসা, বাতিল যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন

    Trump-Zelenskyy Meet: হল না খনিজ চুক্তি! ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকে তুমুল বচসা, বাতিল যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজিরবিহীন! বিশ্ব রাজনীতির অলিন্দে কান পাতলে এমন ঘটনা খুব কমই শোনা যায়। রুদ্ধদ্বার বৈঠক বেরিয়ে এল ঘরের বাইরে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসেছিলেন (Trump-Zelenskyy Meet)। কিন্তু মাঝপথে রেগেমেগে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। ফলে দু’জনের মধ্যে পূর্ব ঘোষণা মতো চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। বাতিল হয় যৌথ সাংবাদিক বৈঠকও। এই ঘটনার জন্য ট্রাম্প এবং জেলেনস্কি পরস্পরকে দায়ী করেছেন।

    আপস করতে হবে ইউক্রেনকে

    ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে আক্রমণ করছিলেন। বরফ গলে ইউক্রেনের (Trump-Zelenskyy Meet) খনিজ সম্পদের উপর মার্কিন নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরে জেলেনস্কি রাজি হওয়ার পর। শুক্রবার দুই প্রেসিডেন্ট বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে একদিকে যেমন রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা নিয়ে কথা হয়েছে, তেমনই ইউক্রেন-আমেরিকার খনিজ চুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়। ট্রাম্প জেলেনস্কিকে জানিয়েছেন, তিনি নিরপেক্ষ থেকে দুদেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে চান। রাশিয়া বা ইউক্রেন কারও দিকেই তিনি ঝুঁকে নেই। তবে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করতে হলে খানিকটা আপস করতে হবে ইউক্রেনকে। ট্রাম্পের বক্তব্য, ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগে এগিয়ে আসতে হবে ন্যাটোকেও। ক্রমে বাক্যালাপ গড়ায় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে।

    উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়

    ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেন (Trump-Zelenskyy Meet) যুদ্ধের জন্য জেলেনস্কিকে দায়ী করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আপনি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু জেনে যান এই যুদ্ধ আপনি হেরে গিয়েছেন। আপনার সৈন্য কমে গিয়েছে। অস্ত্র কমে গিয়েছে। আপনি কিছুতেই জিততে পারেন না। কারণ আমরা আপনার পাশে নেই। আপনার উচিত কৃতজ্ঞ থাকা। আমরা অনেক কিছুই দিয়েছি আপনাদের।’’ পাল্টা জবাব দেন জেলেনস্কি। তাঁর কথায়, ‘‘আমেরিকার ভুল নীতির জন্য পুতিনের মতো খুনি মান্যতা পেয়ে যাচ্ছে। রাশিয়াই ইউক্রেন আক্রমণ করেছে। যেখানে তাঁদের দেশে মানুষ মারা যাচ্ছেন, আগুনে জ্বলছে শহরগুলি, সেখানে আপসের কথা আসছে কোথা থেকে।’’ জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘‘কিন্তু আপনাদের তো এই মুহূর্তে কিছুই করার নেই।’’ ইউক্রেনকে বাস্তববাদী হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। শেষপর্যন্ত জেলেনস্কির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হতে থাকে ট্রাম্পের। বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতার স্পষ্ট দাবি, জেলেনস্কির জায়গায় তিনি থাকলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতেই দিতেন না। এহেন পরিস্থিতিতে হোয়ইট হাউজ থেকে বেরিয়ে আসেন জেলেনস্কি। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইউক্রেনের মানুষের জীবন নিয়ে জুয়া খেলছেন বলেও তোপ দাগেন ট্রাম্প। দেন একাই লড়ার হুঁশিয়ারি।

    কেন বাদানুবাদ

    ঠিক কী নিয়ে দু’জনের আলোচনা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তা জানা যায়নি। কূটনৈতিক মহলের অনুমান, খনিজ চুক্তি নিয়ে শেষ মুহূর্তে ইউক্রেনের উপর কিছু শর্ত চাপাতে চান ট্রাম্প (Trump-Zelenskyy Meet)। তাতেই বেঁকে বসেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ড। অতীতে আমেরিকার জো বাইডেনের সরকার ইউক্রেনের পাশে ছিল। জেলেনস্কির দেশকে অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা করেছে আমেরিকা। রাশিয়ার বিরুদ্ধে সেই সব অস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেন। ট্রাম্প এসেই সেই সব সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছেন। মার্কিন সহায়তা চালু রাখতেই ট্রাম্পের চাপের কাছে নতিস্বীকার করে ইউক্রেনের খনিজ পদার্থ নিয়ে চুক্তি করতে এবং হোয়াইট হাউস সফরে রাজি হন জেলেনস্কি।

    ক্ষমা চাইবেন না জেলেনস্কি

    হোয়াইট হাউস (White House Meeting) সূত্রে খবর, ট্রাম্প কোনও চুক্তির সম্ভাবনাকে এখনও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তবে তাঁর শর্ত হল ইউক্রেনকে গঠনমূলক কথাবার্তা চালাতে হবে। অন্যথায় খনিজ চুক্তি হওয়া সম্ভব নয়। বল এখন ইউক্রেনের কোর্টে। ওভাল অফিসে (Oval Office) যা হয়েছে, তা যে দুই দেশের সম্পর্কের পক্ষে ভাল নয়, মেনে নিয়েছেন জেলেনস্কিও (Trump-Zelenskyy Meet)। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের বাদানুবাদ উভয় পক্ষের জন্যই খারাপ। ট্রাম্প যদি ইউক্রেনকে সাহায্য না-করেন, তবে রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকানো আমাদের পক্ষে মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। তবে আমি নিশ্চিত, এই সম্পর্ক মেরামত করা সম্ভব। কারণ, এটা শুধু দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে সম্পর্কের বিষয় নয়। এটা দুই দেশের মধ্যেকার ঐতিহাসিক সম্পর্ক। আমি সবসময় আমাদের দেশের মানুষের পক্ষ থেকে আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। তবে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্ন উঠছে না।’’

    জেলেনস্কির পাশে ইউরোপ

    এই বৈঠকের পর ইউরোপের একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতা মুখ খুলেছেন। তাঁরা জেলেনস্কি এবং ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। আমেরিকার সঙ্গে ইউরোপের যে সমস্ত দেশের বন্ধুত্ব রয়েছে, মূলত তাঁরাই জেলেনস্কিকে সমর্থন করেছেন। ট্রাম্প আমেরিকার কুর্সিতে বসার পর থেকে এই মিত্র দেশগুলি আতঙ্কিত। তাদের ধারণা, জেলেনস্কিকে চাপে রেখে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকেই জয়ী ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্পের। তাই একযোগে ইউরোপের রাষ্ট্রনেতারা মুখ খুলেছেন। জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কলজ বলেন, ‘‘ইউক্রেনের মানুষ শান্তি চান।’’ ফান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ বলেন, ‘‘রাশিয়া আগ্রাসী, ইউক্রেনের মানুষ সেই আগ্রাসনের শিকার। আমরা ইউক্রেনের পাশে রয়েছি।’’ ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেন, ‘‘ভেদাভেদ নয়, একজোট হতে হবে।’’

  • Maha kumbh 2025: শুরু হল নাসিক কুম্ভ ২০২৭-এর প্রস্তুতি, মহাকুম্ভস্থল পরিদর্শন বিশেষ প্রতিনিধি দলের

    Maha kumbh 2025: শুরু হল নাসিক কুম্ভ ২০২৭-এর প্রস্তুতি, মহাকুম্ভস্থল পরিদর্শন বিশেষ প্রতিনিধি দলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ২ বছর পরেই ফের কুম্ভমেলার (Maha kumbh 2025) আয়োজন করা হবে দেশে। ২০২৭ সালেই আবার কুম্ভমেলা হবে। এবার আয়োজক শহর মহারাষ্ট্রের নাসিক। দেশের চার শহরে কুম্ভমেলা হয়— প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, নাসিক এবং উজ্জয়িনী। প্রতিটি শহরে কুম্ভমেলা আয়োজনের পৃথক হিসাব রয়েছে। সেই হিসাব অনুযায়ী নাসিকে পরবর্তী কুম্ভের বছর ২০২৭।

    কেন মাত্র দু’বছরের মধ্যেই পরবর্তী কুম্ভমেলা

    নাসিক এবং উজ্জয়িনীতে কুম্ভমেলার আয়োজন করা হয় ১২ বছর অন্তর। এই মেলাকে পূর্ণ কুম্ভমেলা বলা হয়ে থাকে। এর আগে গোদাবরী নদীর তীরে নাসিকে পূর্ণ কুম্ভমেলা হয়েছিল ২০১৫ সালে। সেই হিসাব অনুযায়ী, ১২ বছর সম্পূর্ণ হচ্ছে ২০২৭-এ। ওই বছর ১৭ জুলাই থেকে ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত কুম্ভমেলা চলবে। শিপ্রা নদীর ধারে উজ্জয়িনীতে শেষ বার কুম্ভমেলা হয়েছিল ২০১৬ সালে। ১২ বছরের হিসাব অনুযায়ী, সেখানে আবার পূর্ণকুম্ভ আয়োজিত হবে ২০২৮ সালে। অর্থাৎ, পর পর দু’বছর মহারাষ্ট্রে এবং মধ্যপ্রদেশে দু’টি পূর্ণ কুম্ভমেলা হওয়ার কথা।

    হরিদ্বারেও কুম্ভমেলা ২০২৭-এ

    নাসিকে কুম্ভমেলার সময় জুলাই-অগাস্ট। প্রয়াগরাজ এবং হরিদ্বারের ক্ষেত্রে কুম্ভমেলার হিসাব কিছুটা আলাদা। এই দুই শহরে ১২ বছর অন্তর পূর্ণকুম্ভের পাশাপাশি ছ’বছর অন্তর একটি করে অর্ধ কুম্ভমেলারও আয়োজন করা হয়ে থাকে। সুতরাং, প্রয়াগরাজে পরবর্তী কুম্ভমেলাটি হবে আরও ছ’বছর পরে ২০৩১ সালে। হরিদ্বারে শেষ বার কুম্ভমেলা হয়েছিল ২০২১ সালে। সেটি ছিল পূর্ণকুম্ভ। নিয়ম অনুযায়ী, হরিদ্বারেও ২০২৭ সালে একটি অর্ধ কুম্ভমেলার আয়োজন হওয়ার কথা। ২০২৭ সালে একই বছরে পর পর দু’টি কুম্ভমেলার আয়োজন করা হবে। যদিও এই দুই মেলা আয়োজনের সময় ভিন্ন। হরিদ্বারে সাধারণত এপ্রিল মাসে কুম্ভমেলার আয়োজন করা হয়।

    নাসিক কুম্ভের প্রস্তুতি

    সম্প্রতি নাসিক কুম্ভ ২০২৭-র প্রস্তুতি ঠিকভাবে করার জন্য প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ পরিদর্শন (Maha kumbh 2025) করে এক প্রতিনিধি দল। তারা বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মহাকুম্ভের গৃহীত ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন। নাসিক থেকে আসা ২০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ডঃ প্রবীণ গেদাম এবং বিভিন্ন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, যেমন স্পেশ্যাল ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ দত্তাত্রয় করালে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জলজ শর্মা, পৌর কমিশনার মনীষা খাত্রি এবং নাসিক মেট্রোপলিটন রিজিওন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সিইও মানিক গুরসাল। ডঃ প্রবীণ গেদাম বলেন, ‘‘আমরা ২০২৭ সালের নাসিকের কুম্ভমেলাকে ২০২৫ সালের মহাকুম্ভের মতোই জাঁকজমকপূর্ণ করে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি অর্জনের জন্য, আমরা এখানকার ব্যবস্থাগুলো অধ্যয়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের দল এই বিশাল অনুষ্ঠানের জন্য বাস্তবায়িত ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখবে। স্নানঘাট ও আখড়া সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো পরিদর্শন করেছি আমরা। এটি নাসিক কুম্ভের জন্য আমাদের প্রস্তুতি আরও উন্নত করতে সহায়তা করবে।’’

  • Modi-Ursula Meeting: চিনকে রুখতে ভরসা ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ ভারত, মোদির সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে ইউরোপীয় কমিশনের

    Modi-Ursula Meeting: চিনকে রুখতে ভরসা ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ ভারত, মোদির সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে ইউরোপীয় কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বাণিজ্যিক মানচিত্রে বড় বদল আনবে ভারত-পশ্চিম এশিয়া-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর। দু’দিনের ভারত সফরে এসে এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন (Modi-Ursula Meeting)। চিনের আগ্রাসী অর্থনীতি ও একচেটিয়া উৎপাদননীতিকে ঠেকাতেই দিল্লির সঙ্গে বৈঠকে ইউরোপীয় কমিশনের। শুক্রবার দু’দিনের ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করলেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা।

    মোদি-উরসুলা বৈঠক

    মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরে উরসুলা বলেন, ‘‘আমরা ভারত-ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।’’ ইইউ-র কাছে ভারত সেই বিশ্বস্ত বন্ধু এবং কৌশলগত অংশীদার (Modi-Ursula Meeting) বলে জানিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ভারত-পশ্চিম এশিয়া-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর (আইএনইসি) নির্মাণ প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ করা হবে।’’ ওই করিডর নির্মিত হলে বিশ্বের বাণিজ্যিক মানচিত্রে বড় বদল হবে বলেও দাবি করেন তিনি। মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর উরসুলা জানান, চলতি বছরের শেষেই দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই হতে পারে। অন্য দিকে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘দু’পক্ষই বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তির পাশাপাশি ভৌগোলিক বাণিজ্যের মানচিত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য আলোচনার অগ্রগতির দিকে তাকিয়ে রয়েছে।’’

    ইউরোপীয় কমিশনের প্রতিনিধি দল

    এই প্রতিনিধি দলে ইউরোপীয় কমিশনের (EC) প্রেসিডেন্ট উরসুলা সহ ২২ জন কমিশনার রয়েছেন। এটি হল ২০১৯ সালে গঠিত ইউরোপীয় কমিশনের প্রথম বাইরের সফর এবং প্রথমবারের মতো একসঙ্গে ভারত সফর করছেন ইউরোপীয় কমিশনাররা। ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বের তৃতীয় দশকে পদার্পণ করেছে। এই আবহে কমিশনারদের এই সফর ভারত-ইউরোপ সম্পর্কে নতুন এক যুগের সূচনা করবে, বলে অভিমত কূটনৈতিক মহলের।

    চিন নির্ভরতা কমানো লক্ষ্য

    বর্তমানে জোগানের শৃঙ্খলে চিন-নির্ভরতা উদ্বেগের কারণ পশ্চিমের দেশগুলির। তাদের সেই উদ্বেগকে কাজে লাগাতে চাইছে নয়াদিল্লি। ১০-১৪ মার্চ ব্রাসেলসে হবে ভারত-ইইউ-এর বাণিজ্য বৈঠক হবে। তার আগে গাড়ি, ওয়াইন-সহ বিভিন্ন পণ্যে আমদানি শুল্ক কমাতে দিল্লিকে অনুরোধ করবে ইউরোপীয় কমিশন। ভারতও চাইছে নিজ শর্তে ইউরোপের সদস্য দেশগুলিতে পণ্য রফতানি বৃদ্ধির সুযোগ বাড়াতে।

    বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠ

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও বৈঠক করেন উরসুলা। তাঁদের মধ্যে বাণিজ্য ও শুল্ক সম্পর্কিত আলোচনার পাশাপাশি কথা হয় প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে সমন্বয় এবং রাশিয়া-ইউক্রেন নিয়েও। নয়াদিল্লি পৌঁছে উরসুলা তাঁর সমাজমাধ্যমের হ্যান্ডলে পোস্ট করেছিলেন, ‘আমার প্রতিনিধিদের (কমিশনার) নিয়ে দিল্লির মাটি ছুঁলাম। সংঘাত এবং প্রবল প্রতিযোগিতার এই কালখণ্ডে প্রয়োজন হয় বিশ্বস্ত বন্ধুর। ইউরোপের ক্ষেত্রে ভারত সেই বিশ্বস্ত বন্ধু এবং কৌশলগত অংশীদার। এই অংশীদারি কীভাবে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হবে আমাদের।’

    সম্পর্কের গভীরতা

    ভারত ১৯৬২ সালে ইউরোপীয় অর্থনৈতিক কমিউনিটির (যা পরবর্তীতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন) সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৯৩ সালে এক যৌথ রাজনৈতিক ঘোষণা এবং ১৯৯৪ সালের সহযোগিতা চুক্তি ভারত-ইউরোপ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে। এখনও পর্যন্ত ১৫টি ভারত-ইউরোপীয় শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে, প্রথম সম্মেলনটি ২০০০ সালে লিসবনে হয়েছিল। ২০০৪ সালে হেগে অনুষ্ঠিত পঞ্চম সম্মেলনে ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বে পরিণত করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলাও একাধিকবার বৈঠক করেছেন। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে প্রেসিডেন্ট ভন ডার লায়েন ভারত সফর করেন এবং রাইসিনা সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন।

    বৈঠক ও উদ্যোগ

    ২০২০ সালের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ভারত-ইউরোপীয় শীর্ষ সম্মেলনে “ভারত-ইউরোপীয় কৌশলগত অংশীদারিত্ব: ২০২৫ এর রোডম্যাপ” গৃহীত হয়। ২০২১ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠকে একটি মুক্ত বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ চুক্তি নিয়ে আলোচনা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখানেই ভারত ও ইউরোপের দেশগুলি এক সম্মতিতে পৌঁছেছে, যা পরবর্তী কয়েক বছরের মধ্যে স্বাক্ষরিত হতে পারে। ভারত-ইউরোপীয় বাণিজ্য ও প্রযুক্তি কাউন্সিল (TTC) ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, যা বাণিজ্য, নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তা সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৌশলগত সমন্বয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে। টিটিসি-এর প্রথম মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক ২০২৩ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এবং দ্বিতীয় বৈঠক দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে।

    বাণিজ্য ও বিনিয়োগ

    ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (India-Europe Partnership) প্রায় ১৫ বছর ধরে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভারতকে সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার হিসাবে গড়ে তুলেছে। ২০২৩-২৪ সালে ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছিল ১৩৫ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ভারতীয় রফতানি ছিল ৭৬ বিলিয়ন ডলার এবং আমদানি ৫৯ বিলিয়ন ডলার।

    প্রযুক্তি সহযোগিতা

    চিন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নতি করছে, সেই প্রেক্ষাপটে ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রযুক্তি সহযোগিতা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ২০০৭ সালে সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কোঅপারেশন চুক্তির আওতায় এই সহযোগিতা চলছে। ২০২২ সালে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটিং (HPC) এবং ২০২৩ সালে সেমিকন্ডাক্টর গবেষণায় সহযোগিতা নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

    সবুজ শক্তির সমাধান

    ভারত-ইউরোপীয় (India-Europe Partnership) সবুজ হাইড্রোজেন সহযোগিতা উদ্যোগের আওতায়, ভারত ২০২৪ সালের নভেম্বরে ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় হাইড্রোজেন সপ্তাহে একমাত্র অংশীদার দেশ ছিল। ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক ভারতীয় হাইড্রোজেন প্রকল্পে ১ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

    জনগণ ও জনগণের সম্পর্ক

    ভারত-ইউরোপীয় সম্পর্কের একটি শক্তিশালী ভিত্তি হল জনগণের সম্পর্ক। ইউরোপে ভারতীয় মহল সম্প্রসারিত হচ্ছে, যার মধ্যে ছাত্র, গবেষক এবং দক্ষ পেশাজীবী রয়েছে। ২০২৩-২৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্লু কার্ডের শীর্ষ প্রাপক ছিল ভারতীয় পেশাজীবীরা।

    প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ

    ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (India-Europe Partnership) তাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা শক্তিশালী করছে, বিশেষ করে সমুদ্র নিরাপত্তা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে প্রথম যৌথ নৌযান মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। মহাকাশ গবেষণায় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) এবং ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ESA) একসাথে কাজ করছে, যেমন চন্দ্রযান-৩ এবং আদিত্য-এল-ওয়ান মিশনে।

    কী বলছে কমিশন

    কমিশনের সফররত এক কর্তা বলেন, ‘‘ভারত বৃহৎ উদীয়মান অর্থনীতি। সেখানে ছোট-বড় কৃষিজীবী মানুষ ও উদ্যোগ রয়েছে। এটি আমাদের চুক্তিতে প্রতিফলিত হবে। কৃষিপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আমাদের সদস্য রাষ্ট্রগুলি আগ্রহী। তবে চুক্তি যা-ই হোক, ভারসাম্য থাকা জরুরি। যেমন গাড়ি, ওয়াইন এবং স্পিরিটের মতো পণ্যের উপর ভারতের শুল্ক অনেক বেশি। ইইউ এই শুল্ক শূন্যে নামিয়ে আনার চেষ্টা করবে।’’ সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, রাষ্ট্রগোষ্ঠী হিসেবে ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য সহযোগী ইইউ। গত বছর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হয়েছে ১২,৬০০ কোটি ডলার। এক দশকে বেড়েছে ৯০%।

  • Indian Navy: নৌসেনার নতুন ‘মেঘনাদ’! রাশিয়া থেকে ভারতে আসছে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রবাহী স্টেলথ ফ্রিগেট ‘তমাল’

    Indian Navy: নৌসেনার নতুন ‘মেঘনাদ’! রাশিয়া থেকে ভারতে আসছে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রবাহী স্টেলথ ফ্রিগেট ‘তমাল’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীঘ্রই বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত মাল্টি-রোল স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট ‘তমাল’ পেতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। এই যুদ্ধজাহাজটি তৈরি করেছে রাশিয়া। বলা হচ্ছে বিদেশ থেকে ভারতে আসা এটাই হবে শেষ ফ্রিগেট (Stealth Frigate Tamal)। রাবণ-পুত্র মেঘনাদের (ইন্দ্রজিৎ) মতোই আড়ালে থেকে শত্রুর উপর প্রাণঘাতী আঘাত হানতে দক্ষ তমাল। ভারত এবং রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে ইয়নটার শিপইয়ার্ডে নির্মিত বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ‘স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট’গুলির অন্যতম তমাল।

    রাশিয়ার প্রযুক্তিগত সহায়তা

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, চলতি বছরের জুন মাসেই আনুষ্ঠানিক ভাবে নৌসেনায় (Indian Navy) যোগ দিয়ে সমুদ্রযুদ্ধের মহড়ায় যোগ দেবে আইএনএস তমাল। প্রসঙ্গত, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের মোকাবিলার জন্য নৌসেনাকে আধুনিক যুদ্ধের উপযোগী করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে মোদি সরকার। ২০১৬ সালের সমঝোতা এবং ২০১৮ সালে সই হওয়া চূড়ান্ত চুক্তি অনুযায়ী আইএনএস তলোয়ার শ্রেণির চারটি স্টেলথ ফ্রিগেট (Stealth Frigate Tamal) বানাচ্ছে রাশিয়া। চুক্তির মোট অঙ্ক ২৫০ কোটি ডলার (প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা)। এই তালিকার প্রথমটি, আইএনএস তুষিল ইতিমধ্যেই ভারতীয় নৌসেনায় যোগ দিয়েছে। এ বার পালা আইএনএস তমালের। অত্যাধুনিক এই যুদ্ধজাহাজ পরিচালনা এবং যুদ্ধকৌশলের প্রশিক্ষণে যোগ দিতে এখন রাশিয়ায় রয়েছেন ভারতীয় নৌসেনার ২০০ জন অফিসার এবং কর্মী।

    কী কী অস্ত্রে সমৃদ্ধ তমাল

    ৩০ ‘নট’ গতিবেগ সম্পন্ন তমাল একটানা ৩ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব পথ অতিক্রম করতে সক্ষম। ব্রহ্মস সুপারসনিক (শব্দের চেয়ে বেশি গতিবেগ সম্পন্ন) ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও আইএনএস তমালে (Stealth Frigate Tamal) থাকছে বিমানবিধ্বংসী কামান। পাশাপাশি থাকছে সাবমেরিন ধ্বংসকারী টর্পিডো। এ ছাড়া দু’টি রুশ কামোভ-২৮ এবং কামোভ-৩১ হেলিকপ্টার থাকছে, যা শত্রুর অবস্থান পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি হামলার কাজেও ব্যবহার করা যাবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, রাশিয়ায় এখন যুদ্ধজাহাজ তমালের ট্রায়াল চলছে। বিশেষ করে এর জন্য ২০০ জন ভারতীয় নৌসেনা সেন্ট পিটার্সবার্গে পৌঁছেছেন। এই ট্রায়াল চলবে প্রায় ৬ সপ্তাহ। এটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে, তমালকে ভারতে আনার জন্য প্রস্তুত করা হবে।

  • National Science Day 2025: বিজ্ঞান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করাই লক্ষ্য! জেনে নিন জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের ইতিহাস

    National Science Day 2025: বিজ্ঞান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করাই লক্ষ্য! জেনে নিন জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি ভারতে অত্যন্ত উৎসাহ ও গর্বের সঙ্গে পালন করা হয় জাতীয় বিজ্ঞান দিবস (National Science Day 2025)। ভৌত বিজ্ঞানে নোবেলজয়ী ভারতীয় বিজ্ঞানী সিভি রামন আবিষ্কৃত রামন এফেক্টের আবিষ্কারকে চিরস্মরণীয় করে রাখতেই এই বিশেষ দিনটিকে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বিজ্ঞান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং শিক্ষার্থী, বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের অনুপ্রাণিত করা হল জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের উদ্দেশ্য। এই দিনটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গুরুত্ব বোঝার এবং সমাজে এর অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার সুযোগ দেয়।

    জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের উদ্দেশ্য

    জাতীয় বিজ্ঞান দিবস (National Science Day 2025) উদযাপনের মূল উদ্দেশ্য হল বিজ্ঞানের গুরুত্ব এবং এর প্রয়োগের বার্তা জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া। এটি প্রতি বছর ভারত প্রধান বিজ্ঞান উৎসব হিসেবে পালিত হয়। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বৈজ্ঞানিক প্রয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরা। মানবজাতির কল্যাণে বিজ্ঞানের ব্যবহার করা। বিজ্ঞানের উন্নয়ন এবং নতুন প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহারে নাগরিকদের উৎসাহিত করাই হল জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের লক্ষ্য। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কমিউনিকেশন ও ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির যৌথ উদ্যোগে প্রতি বছর ন্যাশনাল সায়েন্স ডে উদযাপিত হয়। মূলত দেশের বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান ও রিসার্চ ল্যাবরেটরিগুলিতে এই দিনটি বিশেষভাবে উদযাপন করা হয়। জনগনের উদ্দেশে ভাষণ, রেডিও ও টেলিভিশন প্রোগ্রাম, বিজ্ঞানের সিনেমা, বিজ্ঞান প্রদর্শনী ও ডিবেট ও কুইজের মাধ্যমে এই দিনটি উদযাপন করা হয়।

    জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের থিম

    ২০২৫ সালের জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের (National Science Day 2025) থিম হল বৈজ্ঞানিক সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জগুলির উপর ভিত্তি তৈরি করা। এই থিমটি বিজ্ঞান এবং সমাজের মধ্যে সংযোগ জোরদার করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। প্রতি বছর নতুন থিমের মাধ্যমে পালন করা হয় জাতীয় বিজ্ঞান দিবস। বৈজ্ঞানিক সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জগুলির উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং সমাজে বিজ্ঞানের ভূমিকা তুলে ধরার জন্য তৈরি করা হয় সেই বছরের থিম। এই বছরের জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের থিম হল ‘উন্নত ভারতের বিজ্ঞান উদ্ভাবনে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্বের জন্য ভারতীয় যুবসমাজের ক্ষমতায়ন’।

    প্রথম কবে পালন করা হয়

    জাতীয় বিজ্ঞান দিবস (National Science Day 2025) প্রথমবার পালন করা হয় ১৯৮৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। জাতীয় পর্যায়ে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। এই দিনে, স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন, যিনি সিভি রামন নামে পরিচিত, ‘রমন এফেক্ট’ আবিষ্কার করেছিলেন৷ রামন এফেক্ট আবিষ্কারের জন্য ১৯৩০ সালে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় তাঁকে। রামন এফেক্ট আবিষ্কারকে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ভারতের একটি বড় অর্জন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

    সিভি রামন ওরফে স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন

    স্যর চন্দ্রসেখর ভেঙ্কট রামন ছিলেন একজন পদার্থবিদ। মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্বাবধানে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে তিনি ১৯১৭ সালে মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন ৷ ১৯২৮ সালে তিনি রামন এফেক্ট আবিষ্কার করেন। এই কারণে ১৯৩০ সালে তিনি পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পান। ১৯৩৩ সালে তিনি বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স তৈরি করেন। সেখানকার পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব সামলান। ১৯৪৭ সালে তাঁকে রামন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টরের দায়িত্বভার দেওয়া হয়। ১৯৫৪ সালে, ভারতের সর্বচ্চ নাগরিক সম্মান, ভারত রত্নে ভূষিত করা হয় সিভি রামনকে।

    রামন এফেক্ট আবিষ্কার

    ফোটন কণার অস্থিতিস্থাপক বিকিরণকে বলা হয় রামন এফেক্ট। আলো যখন কোনও স্বচ্ছ পদার্থের মধ্যে দিয়ে যায়, তখন সেটির তরঙ্গদৈর্ঘ্য পরিবর্তনের ব্যখ্যা দেয় এই রামন এফেক্ট। অর্থাৎ সহজ কথায়, আলো ভেঙে যে বিচ্ছুরণ ঘটে, তারই ব্যখ্যা রামন এফেক্ট। ১৯২১ সালে জাহাজে চেপে ইউরোপ যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরের জলে নীল আলোর বিচ্ছুরণ দেখে তাঁর মধ্যে কৌতুহল জাগে ৷ সেটির কারণ খঁজতে গিয়েই ল্যাবরেটরিতে বসে তিনি মার্কারি ল্যাম্প ও বরফের টুকরো দিয়ে পরীক্ষা শুরু করেন। এই পরীক্ষার ফল ‘রামন এফেক্ট বা রামন ক্রিয়া’ আবিষ্কার৷ দীর্ঘ সাত বছরের গবেষণার পর ১৯২৮ সালে কলকাতার ‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স’-এ এই আবিষ্কারটি করেছিলেন সি ভি রামন।

    বিজ্ঞানী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    সম্প্রতি, জাতীয় বিজ্ঞান দিবসকে (National Science Day 2025) স্মরণ করে দেশবাসীকে ‘এক দিনের জন্য বিজ্ঞানী’ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মহাকাশে ভারতের সাফল্যের কথা শোনা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে। মোদি বলেন, ‘‘ইসরো একের পর এক সাফল্য অর্জন করেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মহাকাশে আমাদের অর্জনের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। তা উৎক্ষেপণ যান তৈরি করা হোক, কিংবা বিভিন্ন ভারতীয় মহাকাশযানের সাফল্য।’’ তার পরই মোদি প্রত্যেক দেশবাসীকে ‘এক দিনের জন্য বিজ্ঞানী’ হওয়ার কথা বলেছেন। বছরের যে কোনও দিনই তা হতে পারে। সেই নির্দিষ্ট দিনে বিভিন্ন বিজ্ঞানমূলক কাজের অংশ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

LinkedIn
Share