Author: ishika-banerjee

  • India’s Gold: বিশ্বব্যাঙ্ক, আমেরিকা নস্যি! ২৫ হাজার টন সোনা সঞ্চিত ভারতের জনতার কাছেই, মূল্য জানেন কত?

    India’s Gold: বিশ্বব্যাঙ্ক, আমেরিকা নস্যি! ২৫ হাজার টন সোনা সঞ্চিত ভারতের জনতার কাছেই, মূল্য জানেন কত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সোনার (India’s Gold) প্রতি আবেগ চিরকালীন। এটা শুধু সাংস্কৃতিক নয়, এটি অর্থনৈতিক শক্তিও জোগায়। সম্ভ্রান্ত ভারতীয় পরিবারে সোনার গয়না এক ঐতিহ্য। উত্তরাধিকারী গয়না থেকে শুরু করে জরুরি সঞ্চয় পর্যন্ত, দেশজুড়ে পরিবারগুলির কাছে প্রায় ২৫,০০০ টন সোনা রয়েছে। এর ফলে ভারতীয় পরিবারগুলি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত সোনার মালিক হয়ে উঠেছে। এই সোনালী ভান্ডার শুধুমাত্র অলঙ্কার নয়, এটি একটি কৌশলগত ঢাল, যা আর্থিক নিরাপত্তা এবং ক্ষমতার অনুভূতি প্রদান করে, বিশেষত মহিলাদের জন্য। সোনার দাম বাড়ার সঙ্গে, এই ঐতিহ্য দ্রুত বাস্তব সম্পদে পরিণত হচ্ছে।

    ভারতে সোনার প্রতি আবেগ

    ভারতে সোনার (India’s Gold) প্রতি জাতীয় আবেগের কথা তুলে ধরে, সেবি-র অধীনে এক গবেষক বিশ্লেষক সম্প্রতি একটি চমকপ্রদ পরিসংখ্যান শেয়ার করেছেন। তাঁর কথায়, “ভারতীয় পরিবারগুলি শুধু সোনার মাধ্যমে এক বছরে প্রায় ৭৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (৬৪ লক্ষ কোটি টাকা) সম্পদ বৃদ্ধি করেছে।” একটি পোস্টে ওই বিশ্লেষক বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন কীভাবে ভারতের ব্যক্তিগত সোনার ভান্ডার, যা প্রায় ২৫,০০০ টন। এই পরিমাণ আমেরিকা, জার্মানি, চিন, এমনকি ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সহ পৃথিবীর শীর্ষ ১০টি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সম্মিলিত সোনার মজুদকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে।  ২০২৪ সেপ্টেম্বর -এর সেপ্টেম্বরে সোনার রেকর্ড দাম ৭৫,৫৪৯ টাকা প্রতি ১০ গ্রামে পৌঁছানোর সময়, এই সোনার মজুদ প্রায় ১৮৮.৯ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যমান অর্জন করে, যা বর্তমানে ২২০ লক্ষ কোটির কাছাকাছি।

    স্বর্ণ সুরক্ষা

    ভারতীয় পরিবারগুলোর জন্য সোনা দীর্ঘদিন ধরে মুদ্রাস্ফীতি, মুদ্রার পরিবর্তন, এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতার বিরুদ্ধে একটি সুরক্ষা কাঠামো হিসেবে কাজ করে আসছে। এটি উদযাপনের একটি কেন্দ্রবিন্দু, বিশেষত গ্রামীণ এলাকায় যেখানে এটি প্রায়ই প্রথাগত ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়।বাণিজ্য ঘাটতির উপর এর প্রভাব সত্ত্বেও, সোনার ভূমিকা গৃহস্থালির পোর্টফোলিওতে অপরিবর্তিত রয়েছে। যদিও ভারত চিনের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনা ভোগকারী দেশ, দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কও তার সোনার মজুদ বাড়াচ্ছে, যা একটি বৈশ্বিক প্রবণতা, যেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলো সোনাকে একটি আর্থিক ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করছে।

  • UPI New Rules: ইউপিআই, আয়কর থেকে ব্যাঙ্ক, ১ এপ্রিল থেকে বদলে যাচ্ছে একগুচ্ছ নিয়ম

    UPI New Rules: ইউপিআই, আয়কর থেকে ব্যাঙ্ক, ১ এপ্রিল থেকে বদলে যাচ্ছে একগুচ্ছ নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন অর্থবর্ষ শুরু হচ্ছে ১ এপ্রিল, মঙ্গলবার থেকে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের শুরু থেকেই ফিনান্সিয়াল সেক্টরে বেশ কিছু নিয়মে পরিবর্তন আসছে। ব্যাঙ্কিং, শেয়ার মার্কেট, ইনকাম ট্যাক্স, বিভিন্ন ইনভেস্টমেন্ট স্কিম- একাধিক সেক্টরেই বিভিন্ন রকমের পরিবর্তন করছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। সেই সব নিয়ম সঠিকভাবে না জানা থাকলে বিপদে পড়তে হবে সকলকেই। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন নিয়মে আসছে বদল—

    আয়কর সীমা:

    ২০২৫ সালের বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকার আয়করের ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি করেছিল। ট্যাক্স স্ল্যাব, টিডিএস, ট্যাক্স রিবেটে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়মগুলি ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হতে চলেছে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ১২ লক্ষ টাকা রোজগার পর্যন্ত কোনও আয়কর দিতে হবে না চাকুরিজীবীদের। ৮৭এ ধারায় ট্যাক্স রিবেট ২৫ হাজার থেকে বেড়ে হবে ৬০ হাজার টাকা।

    অব্যবহৃত ইউপিআই নম্বর ডিঅ্যাক্টিভেট:

    দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় না থাকা মোবাইল নম্বরগুলির সঙ্গে যে ইউপিআই (UPI New Rules) আইডিগুলি যুক্ত রয়েছে, সেগুলিকে ব্যাঙ্ক রেকর্ড থেকে মুছে ফেলা হবে। অর্থাৎ এরফলে বেশ কিছু ইউপিআই পরিষেবা নাও পাওয়া যেতে পারে। গত ১২ মাস ধরে যে সমস্ত ইউপিআই নম্বর ব্যবহার হয়নি সেগুলিই ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেওয়া হবে, বলে জানানো হয়েছে। ১ এপ্রিল থেকেই তা কার্যকর হবে। তাই আপনার কোনও ফোন নম্বর যদি দীর্ঘদিন ব্যবহার না হয়ে থাকে এবং সেই নম্বরে যদি ইউপিআই থাকে, তাহলে ৩১ মার্চের মধ্যেই তা অ্যাক্টিভেট করে নিন।

    ডিভিডেন্ড ইনকাম:

    আধারের সঙ্গে প্যান সংযুক্ত না করা থাকে তাহলে ১ এপ্রিল থেকে কোনও ডিভিডেন্ড পাওয়া যাবে না। প্যান-আধারের লিঙ্ক না থাকলে ডিভিডেন্ড ক্যাপিটাল গেনের জন্য টিডিএস বেশি পরিমাণে কাটা হবে।

    জিএসটি হার বৃদ্ধি:

    যে সব হোটেলের কোনও ঘরের একদিনের ভাড়া সাড়ে সাত হাজার টাকার বেশি, সে ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ জিএসটি লাগু হবে।

    জিএসটিতে আইডিএস সিস্টেম বাস্তবায়ন:

    ভারত সরকার পণ্য ও পরিষেবা করের নিয়মে অনেক পরিবর্তন এনেছে। এর অধীনে, ইনপুট সার্ভিস ডিস্ট্রিবিউটর সিস্টেম ১ এপ্রিল থেকে বাস্তবায়িত হতে চলেছে। এই সিস্টেমের উদ্দেশ্য হল রাজ্যগুলির মধ্যে কর রাজস্বের সঠিক বণ্টন নিশ্চিত করা।

    ব্যাঙ্কের ন্যূনতম ব্যালেন্স সংশোধন:

    স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-সহ বেশ কেয়কটি ব্যাঙ্ক ১ এপ্রিল থেকে গ্রাহকদের সেভিংস অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স সম্পর্কিত নিয়মে বদল আনতে চলেছে। ন্যূনতম ব্যালেন্সের ক্ষেত্রে একটি নতুন সীমা নির্ধারণ করা হতে পারে। সেই মতো পরিমাণ টাকা খাতায় না থাকলে করা হতে পারে জরিমানাও। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই), পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) এবং কানাড়া ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্টে মিনিমাম ব্যালেন্স বজায় রাখতে হবে গ্রাহকদের। না হলে জরিমানার মুখে পড়তে হবে। মিনিমাম ব্যালেন্সের পরিমাণ কোন ব্রাঞ্চের অ্যাকাউন্ট তার উপর নির্ভর করবে। অর্থাৎ গ্রামীণ এলাকার কোনও ব্রাঞ্চে যা মিনিমাম ব্যালেন্স রাখতে হবে, তার থেকে শহরের কোনও ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চের অ্যাকাউন্টে মিনিমাম ব্যালেন্সের পরিমাণ বেশি হবে।

    ক্যাশ উইথড্রল:

    এটিএম থেকে ফ্রি-তে টাকা তোলার সর্বোচ্চ সীমাতেও পরিবর্তন আসবে ১ এপ্রিল থেকে। প্রতি মাসে অন্য ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে মাত্র তিনটি লেনদেন বিনামূল্যে করা যাবে। তার পর থেকে লেনদেন প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা ফি নেওয়া হবে।

    ফিক্সড ডিপোজিট রেট:

    নতুন অর্থবর্ষের শুরুতে ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হারে পরিবর্তন আসতে পারে। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান নতুন অর্থবর্ষে নতুন রেটের কথা জানাতে পারে।

    ডেবিট কার্ডের নতুন নিয়ম:

    ১ এপ্রিল থেকে রুপে ডেবিট সিলেক্ট কার্ডে নয়া আপডেট আসছে। প্রতি ত্রৈমাসিকে একবার দেশীয় লাউঞ্জ এবং বছরে দু’বার আন্তর্জাতিক লাউঞ্জ অ্যাক্সেসের সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা। দুর্ঘটনায় মৃত্যু বা স্থায়ী অক্ষমতার জন্য ১০ লক্ষ টাকার কভারও থাকবে। তাছাড়া ত্রৈমাসিকে একবার বিনামূল্যে জিম সদস্যপদও মিলবে।

    ইউনিফায়েড পেনশন স্কিম (UPS):

    ১ এপ্রিল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য ইউনিফায়েড পেনশন স্কিম (UPS) চালু হচ্ছে। কর্মীরা এনপিএস বা ইউপিএস যেকোনও একটি স্কিম বেছে নিতে পারবেন। ইউপিএস-এর অধীনে সর্বনিম্ন পেনশন হবে ১০,০০০ টাকা মাসিক, যদি কর্মচারী ন্যূনতম ১০ বছরের পরিষেবা দেন।

    ক্রেডিট কার্ডের রিওয়ার্ডে বদল:

    ১ এপ্রিল থেকে এসবিআই-এর সিম্পলিক্লিক ক্রেডিট কার্ডে সুইগি রিওয়ার্ড পয়েন্ট ৫ গুণ থেকে কমিয়ে অর্ধেক করা হবে। এয়ার ইন্ডিয়া সিগনেচার পয়েন্টও ৩০ থেকে কমিয়ে ১০ করা হবে। আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্ক ক্লাব ভিসতারা মাইলস্টোন রিওয়ার্ড সুবিধা বন্ধ করছে।

    আরবিআইয়ের পজিটিভ পে বেতন ব্যবস্থা:

    জালিয়াতি এড়াতে, আরবিআই পজিটিভ পে সিস্টেম বাস্তবায়ন করেছে। অনেক ব্যাঙ্ক এই ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছে। পিপিএসের অধীনে, যদি আপনি ৫০,০০০ টাকার বেশি মূল্যের চেক ইস্যু করেন, তাহলে আপনাকে চেক সম্পর্কে কিছু তথ্য ইলেকট্রনিকভাবে ব্যাঙ্কে প্রদান করতে হবে।

  • Operation Brahma: ভূকম্প-বিধ্বস্ত মায়ানমারে ভারতের ‘অপারেশন ব্রহ্মা’, তৈরি অস্থায়ী হাসপাতাল, পৌঁছেছে ১৪০ টন ত্রাণ

    Operation Brahma: ভূকম্প-বিধ্বস্ত মায়ানমারে ভারতের ‘অপারেশন ব্রহ্মা’, তৈরি অস্থায়ী হাসপাতাল, পৌঁছেছে ১৪০ টন ত্রাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্দিনে প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়ানোই রীতি ভারতের। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত পড়শি রাষ্ট্র মায়ানমারে (Myanmar Earthquake) ত্রাণ এবং উদ্ধারকাজের জন্য ইতিমধ্যেই বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ভারত। নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ব্রহ্মা’ (Operation Brahma)। ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আন্দামান থেকে মায়ানমারের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে ভারতীয় নৌসেনার দু’টি জাহাজকে। জরুরি পরিস্থিতির জন্য ভারতীয় সেনার বিশেষ অস্থায়ী হাসপাতাল (ফিল্‌ড হসপিটাল)-ও পাঠানো হচ্ছে। ওই অস্থায়ী হাসপাতালে ভূমিকম্পে আহতদের জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য গিয়েছে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী-সহ ১১৮ জনের একটি দল। এখনও পর্যন্ত ভারত পাঁচটি বিমান এবং চারটি জাহাজের মাধ্যমে ১৪০ টনেরও বেশি ত্রাণ সামগ্রী মায়ানমারে পাঠিয়েছে। প্রতিবেশীর চরম বিপদের দিনে ভারত সরকারের এই মানবিক সাহায্যের উদ্যোগ বিশ্বের নজর কেড়েছে।

    ভারতীয় নৌসেনার প্রচেষ্টা

    ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মায়ানমার (Myanmar Earthquake)। প্রতিবেশীর চরম বিপদের দিনে তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। প্রতিবেশীর পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ইতিমধ্যেই মায়ানমারের সেনাপ্রধানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নৌসেনার জাহাজ আইএনএস সাতপুরা এবং আইএনএস সাবিত্রীর সোমবারের মধ্যে ইয়াঙ্গনে পৌঁছে যাওয়ার কথা। শনিবার ভোরেই ১০ টন ত্রাণ নিয়ে প্রথম জাহাজটি রওনা দিয়েছে মায়ানমারের উদ্দেশে। পরে আরও ৩০ টন ত্রাণ নিয়ে দ্বিতীয় জাহাজটি রওনা দেয় শনিবার বিকেলে। দু’টি জাহাজ মিলিয়ে ৪০ টন ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে ভারত থেকে। এ ছাড়া আন্দামান-নিকোবর কমান্ডের অন্তর্গত শ্রীবিজয়পুরম থেকে নৌসেনার আরও দু’টি জাহাজ আইএনএস কারমুক এবং এলসিইউ ৫২ রওনা হয়েছে। মোট ৫০ টন ত্রাণ সামগ্রী ইয়াঙ্গনে পৌঁছানোর জন্য পাঠানো হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে তাঁবু, কম্বল, স্লিপিং ব্যাগ, খাবারের প্যাকেট, হেলথ কিট, জেনারেটর ও প্রয়োজনীয় ওষুধ।

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টা

    সক্রিয় সাহায্য করছে ভারতীয় সেনাও। শত্রুজিত ব্রিগেডের মেডিক্যাল রেসপন্ডারদের ১১৮ সদস্যের একটি দল, লেফটেন্যান্ট কর্নেল জগনীত গিলের নেতৃত্বে, আক্রান্ত জনগণের চিকিৎসা শুরু করেছে। আর্মির এয়ারবোর্ন এঞ্জেল্স টাস্ক ফোর্স দুর্যোগ প্রভাবিত অঞ্চলে উন্নত চিকিৎসা ও সার্জিক্যাল সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। সেনাবাহিনী একটি ৬০ শয্যার মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট সেন্টার স্থাপন করেছে যাতে আহতদের জরুরি চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। ৩০ মার্চ, প্রথম ত্রাণ ও উদ্ধার দলটি ১০ জন কর্মীসহ মায়ানমারের মান্দালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। দলটি মাঠ হাসপাতাল স্থাপনের জন্য জায়গা নির্বাচনের রেকি শুরু করেছে এবং বর্তমানে অপারেশন এলাকার পূর্বপ্রস্তুতির কাজ করছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৮০ জন সদস্যের দলের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। কংক্রিট কাটার যন্ত্র, ড্রিল করার যন্ত্রের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সারমেয় দলও (কে৯ স্কোয়াড)। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধারের জন্য মায়ানমারের স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্য করে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর এই দল। এছাড়াও অপারেশন ব্রহ্মায় (Operation Brahma) অংশ নিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৬০টি প্যারা ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স মায়ানমারের উদ্দেশে রওনা হওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এরই সঙ্গে সেনার একটি বিশেষ মেডিক্যাল টাস্কফোর্সও মায়ানমারে যাচ্ছে।

    ভারতীয় বায়ুসেনার প্রচেষ্টা

    ভারতীয় বায়ুসেনা এই ভূমিকম্প দুর্গতদের সহায়তার জন্য একযোগে কাজ করছে। উইং কমান্ডার জয়দীপ সিং বলেন, “মায়ানমারের জনগণের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা নিরলসভাবে ‘অপারেশন ব্রহ্মা’ এ কাজ করছে। কিছু ঘণ্টার মধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনা তাদের বিমানগুলোকে উদ্ধার কার্যক্রমে নিয়োজিত করেছে। এখনও পর্যন্ত, ৯৬.৩ টন জরুরি সরঞ্জাম এবং ১৯৮ জন সেনা চিকিৎসক ও এনডিআরএফ কর্মীকে তিনটি সি-১৩০জি এবং দুটি সি-১৭ বিমান ব্যবহার করে আকাশপথে পাঠানো হয়েছে।

    সক্রিয় ভারতীয় দূতাবাস

    ভূমিকম্পের জেরে মায়ানমারে (Myanmar Earthquake) এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৬৪৪ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। ভূমিকম্পে প্রধান সেতু ও সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে, ফলে উদ্ধার ও ত্রাণ সরবরাহকারীদের পক্ষে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে ইয়াঙ্গন-নেপিডো-মন্দালয় এক্সপ্রেসওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে জানান, ভয়ংকর ভূমিকম্পের পর মায়ানমারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত শুরু করেছে অপারেশন ব্রহ্মা (Operation Brahma)। মায়ানমারে থাকা ভারতের রাষ্ট্রদূত নিজে ত্রাণ হস্তান্তরের বিষয়টি দেখছেন। মায়ানমার প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, মায়ানমারের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, ‘আমরা মায়ানমারের প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছি। মায়ানমারে থাকা ভারতীয়দের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় কোনও ভারতীয়র হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আমাদের তরফ থেকে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য একটি ফোন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। যা হল, +৯৫-৯৫৪১৯৬০২।’

  • CBSE: দশম ও দ্বাদশের জন্য নতুন সিলেবাস প্রকাশ করল সিবিএসই, জেনে নিন কী কী বদল

    CBSE: দশম ও দ্বাদশের জন্য নতুন সিলেবাস প্রকাশ করল সিবিএসই, জেনে নিন কী কী বদল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিএসই (CBSE) সম্প্রতি দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সিলেবাস প্রকাশ করল। এই সদ্য প্রকাশিত পাঠ্যক্রমে বিস্তারিতভাবে শিক্ষাবর্ষের সম্পূর্ণ কার্যক্রম (CBSE Syllabus) উল্লিখিত রয়েছে। ২০২৬ সালের সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষার জন্য কী কী জরুরি, কী কী বদল আসছে নিয়মে তা সবই বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এখানে। পরীক্ষা পদ্ধতিতে আমূল বদল আনছে সিবিএসই। এবার থেকে দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা বছরে দু’বার বোর্ড পরীক্ষা (CBSE) দিতে পারবেন। একটি হবে ফেব্রুয়ারি মাসে এবং আরেকটি হবে এপ্রিলে। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই নিয়ম চালু হতে চলেছে।

    বিস্তারিত জানবেন কোথা থেকে

    সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (CBSE) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির (৯, ১০, ১১ এবং ১২) পাঠ্যক্রম ঘোষণা করেছে। শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকরা বোর্ডের একাডেমিক ওয়েবসাইট cbseacademic.nic.in থেকে সিবিএসই নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রম দেখে নিতে পারেন। ২০২৬ সালের সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষার জন্য কী কী জরুরি, কী কী বদল আসছে নিয়মে তা সবই বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এখানে। ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক (NCF) ২০২৩-এর সুপারিশ অনুসারে স্কুলগুলিকে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষার চাহিদা পূরণের জন্য প্রাসঙ্গিক এবং নমনীয় শিক্ষা পদ্ধতি বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছে বোর্ড। এতে আরও বলা হয়েছে যে স্কুলগুলিকে শিক্ষাকে আরও আকর্ষক এবং অর্থবহ করার জন্য প্রোজেক্ট-ভিত্তিক শিক্ষা, রিসার্চ-চালিত পদ্ধতি এবং প্রযুক্তি-সক্ষম শিক্ষার উপর জোর দেওয়া উচিত।

    দশম শ্রেণির সিলেবাসে কী কী বদল

    গ্রেডিং সিস্টেম: ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য সিবিএসই-র দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রমে উল্লেখ করা হয়েছে ৯ পয়েন্ট গ্রেডিং সিস্টেমের কথা। এর মাধ্যমে নম্বরকে সহজেই গ্রেডে রূপান্তর করা হবে। প্রতিটি বিষয়ের জন্য বোর্ড পরীক্ষা হবে ৮০ নম্বরের, এর সঙ্গে বাধ্যতামূলক বিষয়ও রয়েছে। আর এর সঙ্গে ২০ নম্বর থাকবে শিক্ষার্থীদের আভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের জন্য। এতে পাশ করতে গেলে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিটি বিষয়ে ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।

    স্কিল-বেসড বিষয়: পড়ুয়ারা তিনটি স্কিল-বেসড বিষয়ের ক্ষেত্রে যে কোনও একটি বেছে নিতে পারবেন– কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, ইনফরমেশন টেকনোলজি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এছাড়া নবম ও দশম শ্রেণির জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের ইংরেজি অথবা হিন্দি যে কোনও একটি ভাষা বেছে নিতে হবে।

    কোর বিষয়: সিবিএসই জানিয়েছে, যদি কোনও ছাত্র-ছাত্রী একটি কোনও কোর বিষয়ে অকৃতকার্য হয়, যেমন গণিত, বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান কিংবা ভাষার কোনও পেপারে, কিন্তু কোনও স্কিল বিষয়ে বা ঐচ্ছিক বিষয়ে পাশ করে থাকেন, তাহলে যে বিষয়ে ফেল করেছে পড়ুয়া তার বদলে রেজাল্ট গণনার সময় পাশ করা বিষয়গুলি বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।

    দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাস

    ২০২৬ সালে যারা দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা দেবেন, তাদেরকেও ৯ পয়েন্টের গ্রেডিং সিস্টেমে মূল্যায়ন করা হবে। এছাড়া চারটি নতুন স্কিল ইলেক্টিভ বিষয় যুক্ত হয়েছে পাঠ্যক্রমে। এর মধ্যে রয়েছে ল্যান্ড ট্রান্সপোর্টেশন অ্যাসোসিয়েট, ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড হার্ডওয়্যার, ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি ট্রেনার, ডিজাইন থিঙ্কিং, ইনোভেশন। তবে ইনফরমেটিক্স প্র্যাক্টিসেস, কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন টেকনোলজি এই তিনটি বিষয়ের ক্ষেত্রে যে কোনও একটি বিষয় বেছে নেবেন শিক্ষার্থীরা। দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাসে ৭টি প্রধান শিখন ক্ষেত্র রয়েছে- ভাষা, কলাবিদ্যা, গণিত, বিজ্ঞান, স্কিল বিষয়, জেনারেল স্টাডিজ, স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা।

    নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি

    সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন এবার থেকে দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পরীক্ষা পদ্ধতিতে আমল বদল এনেছে। ছাত্র-ছাত্রীরা এবার থেকে দু’বার বোর্ড পরীক্ষা (CBSE) দিতে পারবেন। যার মধ্যে একটি হবে ফেব্রুয়ারি মাসে আর অপরটি হবে এপ্রিলে। এই নিয়ম চালু হতে চলেছে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই। তবে, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বছর একবার করেই আয়োজিত হবে। ২০২৬ সালে সিবিএসইর দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা হবে ১৭ ফেব্রুয়ারি তারিখ থেকে। বোর্ড অনুমান করছে ২০২৬ সালে মোট ২০ লক্ষ শিক্ষার্থী এই পরীক্ষা দিতে চলেছে।

    কেন এই পরিকল্পনা

    ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি (NEP) ২০২০-র সুপারিশ মেনে, বছরে দু’বার বোর্ড পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। এর ফলে প্রথমবার পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না হলে, দ্বিতীয়বার সেই বিষয়ে আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে ফের পরীক্ষায় বসা যাবে। প্রথম পরীক্ষার পরই হাতে মার্কশিট পাওয়া যাবে না। ডিজি লকার থেকে প্রাপ্ত নম্বর ব্যবহার করে পরবর্তী শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ থাকবে। তবে চূড়ান্ত রেজাল্ট দ্বিতীয় পরীক্ষার পর প্রকাশিত হবে। যদি কোনও শিক্ষার্থী প্রথম পরীক্ষার পর রেজাল্ট দেখে সন্তুষ্ট থাকেন, তবে তার দ্বিতীয় পরীক্ষায় বসার প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ, চাইলে দ্বিতীয় পরীক্ষার জন্য ‘অপ্ট-আউট’ করার সুযোগও থাকছে। পড়ুয়াদের উপর চাপ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন,  শুধুমাত্র পরীক্ষার নম্বরের উপরে নির্ভরশীল না থেকে এখন পড়ুয়ারা নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবে।

     

     

     

     

  • Brazil Legends vs India All Stars: কাকা-রোনাল্ডিনহোদের সঙ্গে স্বপ্নের ম্যাচ! ব্রাজিল লিজেন্ড দলের বিরুদ্ধে খেলবে ইন্ডিয়া অল স্টার

    Brazil Legends vs India All Stars: কাকা-রোনাল্ডিনহোদের সঙ্গে স্বপ্নের ম্যাচ! ব্রাজিল লিজেন্ড দলের বিরুদ্ধে খেলবে ইন্ডিয়া অল স্টার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপ ফুটবলে ব্রাজিল বনাম ভারত আদৌ (Brazil Legends vs India All Stars) কখনও দেখা যাবে কি না সময়ই বলবে। তবে আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই ভারতের বুকে বসতে চলেছে বিশ্ব ফুটবলের কিংবদবন্তীদের নিয়ে আসর। চেন্নাইয়ের জহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের মাঠে রবিবার ৩০ মার্চ এক দুরন্ত ফুটবল ম্যাচের সাক্ষী থাকতে চলেছে ভারতীয় ফুটবল প্রেমীরা। যে ম্যাচে মাঠে নামবেন ২০০২ সালে ব্রাজিলকে ফুটবল বিশ্বকাপ জেতানো নাম করা সব তারকারা। দুঙ্গার কোচিংয়ে রিভাল্ডো, রোনাল্ডিনহো, কাকা, কাফু, গিলবার্তো সিলভা-দের বিরুদ্ধে খেলতে দেখা যাবে সুব্রত পাল, মহেশ গাউলিদের মতো সদ্যপ্রাক্তন তারকাদের।

    কাকা-রোনাল্ডিনহোদের সঙ্গে খেলার অপেক্ষা

    ২০০২ সালে কোরিয়া-জাপানের বিশ্বকাপ এখনও ফুটবলপ্রেমীদের স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে রোনাল্ডো, রিভাল্ডোদের জন্য। শেষ আটে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফ্রি-কিকে রোনাল্ডিনহোর সেই বিস্ময় গোল। ফাইনালে দুর্ধর্ষ জার্মানির বিরুদ্ধে রোনাল্ডোর জোড়া গোল। বিশ্বকাপ হাতে রি‌ভাল্ডো ও রোনাল্ডিনহো-র সাম্বা। টেলিভিশনের পর্দায় দেখা স্বপ্নের নায়কদের ভারতের মাটিতে প্রথমবার একসঙ্গে খেলতে দেখবেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। এর আগে বিক্ষিপ্তভাবে রোনাল্ডিনহো, কাফু, রোমারিওরা কলকাতা-তথা ভারতে এসেছেন। লুসিও খেলে গিয়েছেন আইএসএলের ক্লাবে। তবে এভাবে ফুটবল ম্যাচে (Brazil Legends vs India All Stars) সেভাবে খেলতে দেখা যায়নি ব্রাজিলের কিংবদন্তীদের। এবার সেটাই সম্ভব হয়েছে। ৩০ মার্চ ব্রাজিল লিজেন্ড দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলবে ইন্ডিয়া অল স্টার দল। সেই ম্যাচের টিকিট প্রায় নিঃশেষ। খেলা শুরু সন্ধে ৭টায়। ব্রাজিলের হয়ে খেলবেন কাকা-রোনাল্ডিনহোরা। ব্রাজিল শিবিরে যেমন থাকছেন রোনাল্ডিনহো, রিভাল্ডো, কাকা, লুসিওর মতো বিশ্বকাপজয়ী তারকারা। তেমন ভারতীয় ব্রিগেডে থাকছেন মেহতাব হোসেনের মতো ভারতীয় ফুটবলের চেনা মুখ। ইন্ডিয়া অল স্টার দলের কোচ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ব্রাজিল লিজেন্ডস বনাম ইন্ডিয়া অল-স্টার প্রদর্শনী ম্যাচের (Brazil Legends vs India All Stars) টিকিটের দাম ১,০০০, ১,৫০০ এবং ২,৫০০ টাকা।

  • Chhattisgarh Encounter: সুকমায় রাতভর গুলির লড়াই, বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম ১৬ মাওবাদী, জখম দুই জওয়ান

    Chhattisgarh Encounter: সুকমায় রাতভর গুলির লড়াই, বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম ১৬ মাওবাদী, জখম দুই জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) সুকমায় (Sukma) নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ফের খতম হল ১৬ জন মাওবাদী। এই নিয়ে চলতি বছর ১৩০ জনেরও বেশি মাওবাদী নিহত হয়েছে বিভিন্ন অভিযানে। এই সংঘর্ষে সামান্য আহত হয়েছেন বাহিনীর (Chhattisgarh Encounter) দুই জওয়ান। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এখনও তল্লাশি অভিযান জারি আছে বলে জানিয়েছেন বস্তার রেঞ্জের পুলিশ ইন্সপেক্টর জেনারেল সুন্দরজ পি সাইড।

    রাতভর গুলির লড়াই

    পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে তারা খবর পায় যে, সুকমা-দান্তেওয়াড়া জেলার সীমানায় উপমপল্লি কেরলাপাল এলাকায় জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে মাওবাদীদের (Chhattisgarh Encounter) একটি দল। সেই খবর পাওয়া মাত্রই শুক্রবার রাতে সিআরপিএফ, ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং পুলিশের যৌথবাহিনী ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযানে যায়। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালাচ্ছিল বাহিনী। পুলিশ সূত্রে খবর, বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গলের ভিতর থেকে তাঁদের লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। রাতভর গুলির লড়াই চলেছে। শনিবার ভোরেও গুলির লড়াই জারি ছিল। পুলিশের দাবি, এই সংঘর্ষে ১৬ জন মাওবাদী খতম হয়েছে। মাওবাদীরা সংখ্যায় কত জন ছিল সেই সংখ্যাটি স্পষ্ট হয়নি।

    অস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার

    সুকমা হল বস্তার এলাকার সবথেকে দুর্ধর্ষ নকশাল উপদ্রুত এলাকা। অতীতে বহুবার এই এলাকায় মাওবাদী হামলা হয়েছে। শুক্রবার পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে কেরলাপাল এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে মাওবাদীরা (Chhattisgarh Encounter)। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যৌথ অভিযান চালায় রিজার্ভ গার্ড বা ডিআরজি এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (Security forces)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ভোর পর্যন্ত ১৬ মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহত মাওবাদীদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বাকি মাওবাদীদের খোঁজে জঙ্গলে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে বাহিনী। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা আন্তঃরাজ্য অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। ইতিমধ্যেই সংঘর্ষে দুশোর বেশি মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে ওই তিন রাজ্যে।

    মাওবাদী মুক্ত ভারত

    উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ভারতকে মাওবাদী মুক্ত করার লক্ষ্য স্থির করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আবহে বিগত বহু মাস ধরে ক্রমাগত মাও নিধন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীগুলি। এই আবহে ২০২৪ সালে ছত্তিশগড়ে ২১৯ জন মাওবাদীকে মারা হয়েছিল। ২০২৩ সালে যে সংখ্যাটা ছিল মাত্র ২২, আর ২০২২ সালে তা ছিল ৩০। এদিকে ২০২৫ সালে আগের সপ্তাহ পর্যন্ত ১১৩ জন মাওবাদীকে খতম করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল সরকার। এছাড়া ১০৪ জন মাওবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৬৪ জন আত্মসমর্পণ করেছে।

    রেড করিডর এখন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে

    ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh Encounter) বস্তার বিভাগের বস্তার, দান্তেওয়াড়া, বিজাপুর, কাঙ্কের, নারায়ণপুর, কোন্ডাগাঁও এবং সুকমা মাওবাদী বিদ্রোহের কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত। ‘রেড করিডর’ নামে পরিচিত মাওবাদী বিরোধী অভিযানের জন্য এইসব এলাকায় হাজার হাজার বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিদ্রোহীদের পিছনে ঠেলে দিতে লগাতার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বাহিনী। নিরাপত্তা বাহিনী পূর্বের মাওবাদী নিয়ন্ত্রিত ৪ হাজার বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চল সহ ছত্তিশগড় এবং মহারাষ্ট্র-আবুঝমাড়-এ ১৭টি নতুন ক্যাম্প তৈরি করেছে।

    জওয়ানদের সাফল্য প্রশংসনীয়

    ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ ‘মাওবাদী মুক্ত’ করার ঘোষণা আগেই করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২০২৩ সালে বিজেপি ছত্তিশগড়ের ক্ষমতায় আসার পরে মাওবাদী দমনে যৌথ বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক কিছু সূত্রের দাবি। তার পর থেকেই পুরো শক্তি কাজে লাগিয়ে মাওবাদী দমন অভিযান চলছে। বাহিনীর এই সাফল্যকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণ দেও সাই। তিনি বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘২০২৬–এর মধ্যে বস্তার ভয়মুক্ত হয়ে বাঁচবে, আমি নিশ্চিত। ছত্তিশগড়ে মাওবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই প্রবল পরাক্রমে এগোচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজি দেশ তথা ছত্তিশগড় থেকে ২০২৬ মার্চের মধ্যে মাওবাদ মুছে ফেলার যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনী তাতে একের পর এক সাফল্য অর্জন করছে। জওয়ানদের সাফল্য প্রশংসনীয়। তাঁদের সাহসিকতাকে স্যালুট জানাই।’

    মাওবাদীদের ঘরে ফেরার বার্তা

    তবে শুধু মাওবাদী দমন (Chhattisgarh Encounter) অভিযানই নয়, তাদের ঘরে ফেরার বার্তাও দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও ঘোষণা করেছেন, নতুন প্রকল্পে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের পুনর্বাসন, চাকরি, আর্থিক পুরস্কার এবং আইনি সুরক্ষা প্রদান করা হবে। মাওবাদী নেতাদের পদ অনুযায়ী সুবিধা প্রদান করা হবে নয়া পুনর্বাসন নীতিতে। রাজ্য কমিটি, আঞ্চলিক কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পলিটব্যুরোর সদস্যদের মতো উচ্চপদস্থ ক্যাডারদের এককালীন পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হবে। যাঁরা লাইট মেশিনগান-সহ আত্মসমর্পণ করবেন, তাঁরাও পাবেন পাঁচ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার। যে সব ক্ষেত্রে মাওবাদী ইউনিটের ৮০ শতাংশ সদস্য একসঙ্গে আত্মসমর্পণ করবেন, সেখানে দ্বিগুণ পুরস্কার প্রদান করা হবে। পুনর্বাসনের এই প্যাকেজে রয়েছে চাকরি এবং সন্তানদের শিক্ষায় সাহায্যও।

  • Myanmar Earthquake: মৃত্যু ১০০০ পার! ত্রাণ নিয়ে ভারতীয় বিমান পৌঁছল ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত মায়ানমারে, যাচ্ছে আরও দুই

    Myanmar Earthquake: মৃত্যু ১০০০ পার! ত্রাণ নিয়ে ভারতীয় বিমান পৌঁছল ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত মায়ানমারে, যাচ্ছে আরও দুই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মায়ানমারে (Myanmar Earthquake) সবার প্রথম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ভারত। ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৩০জে পণ্যবাহী বিমান ইতিমধ্যেই ইয়াঙ্গন পৌঁছে গিয়েছে। মায়ানমারের ভারতীয় দূতাবাস সেই ত্রাণসামগ্রী দ্রুত ভূমিকম্প বিধ্বস্ত অঞ্চলে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে। বিমানে ১৫ টন ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আগেই জানিয়েছিলেন বিধ্বস্ত মায়ানমারে সবরকম সাহায্যের জন্য প্রস্তুত ভারত। তাইল্যান্ডেরও পাশে রয়েছে ভারত, বলে জানান মোদি।

    ভারতের ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছল মায়ানমারে

    মায়ানমারের ভূমিকম্পে সবথেকে প্রথমে ত্রাণসাহায্য নিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার পণ্যবাহী বিমান সি-১৩০জে ইয়াঙ্গন (সাবেক রেঙ্গুন) শনিবারই পৌঁছে গিয়েছে। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ব্রহ্মা’ (Operation Brahma)। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই বিমানে ১৫ টন ওজনের ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে সেদেশে। এই ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে সৌর ল্যাম্প, খাদ্য সামগ্রী, রান্নাঘরের সেট, তাঁবু, স্লিপিং ব্যাগ, কম্বল, রেডি-টু-ইট মিল, জল পরিশোধক, হেলথ কিট, জেনারেটর এবং অত্যাবশ্যক ওষুধ। ওষুধের মধ্যে রয়েছে প্যারাসিটামল, অ্যান্টিবায়োটিক, ক্যনুলা, সিরিঞ্জ, গ্লাভস, তুলো ব্যান্ডেজ এবং ইউরিন ব্যাগ। এই ত্রাণসামগ্রীর সঙ্গে গিয়েছে চিকিৎসক ও উদ্ধারকারী দল। উত্তরপ্রদেশের হিন্ডন বায়ুসেনা স্টেশন থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার আরও দুটি সি-১৩০জে বিমান শীঘ্রই ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে মায়ানমার রওনা দিচ্ছে।

    বিপর্যস্ত মায়ানমার

    শুক্রবার সকাল থেকে পর পর ১৫ বার কেঁপেছে ভারতের পূর্ব দিকের প্রতিবেশী দেশটির মাটি। রিখটার স্কেলে প্রথম কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৭। তার পরে ১০ ঘণ্টার মধ্যে ১৪টি ‘আফটারশক’ (ভূমিকম্পের পরবর্তী কম্পন) অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্প তছনছ করে দিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পরে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সবচেয়ে শক্তিশালী ‘আফটারশক’টি হয়। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৬.৭। উভয়ক্ষেত্রেই কম্পনের উৎসস্থল ছিল মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। এই দুই কম্পনে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর পর বাকি ‘আফটারশক’গুলি আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, শুক্রবার রাত ১১.৫৬ মিনিটেও এক বার ভূমিকম্প হয়েছে মায়ানমারে। তার তীব্রতা ছিল ৪.২। ‘আফটারশক’গুলি উদ্ধারকাজকে আরও কঠিন করে তুলেছে।

    রক্তের ব্যাপক চাহিদা

    মায়ানমারের (Myanmar Earthquake) সামরিক সরকার জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে রক্তের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মান্দালয়ের রাস্তায় ফাটল ধরেছে। ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়কের পাশাপাশি একটি সেতু ও বাঁধ ধসে পড়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে হাজারের বেশি। জখম ২০০০-এর বেশি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মায়ানমারে (Myanmar) ক্ষমতাসীন জুন্টার তরফে শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ঘরছাড়া হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। কম্পনের জেরে কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছে একাধিক শহর। এখনও দেশের বিস্তীর্ণ অংশে উদ্ধারকাজ চলছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    প্রতিবেশীর পাশে ভারত

    ভূমিকম্পের পরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স-এ (প্রাক্তন টুইটার) পোস্ট করে উদ্বেগপ্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, ‘মায়ানমার ও তাইল্যান্ডের ভূমিকম্পের ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সকলের নিরাপত্তা ও সুস্থতা কামনা করছি। ভারত সবরকম সহায়তা দিতে প্রস্তুত। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রস্তুত থাকতে বলেছি এবং বিদেশ মন্ত্রককে মায়ানমার ও তাইল্যান্ড সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে নির্দেশ দিয়েছি।’ এই প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, সাধ্যমতো সমস্ত সাহায্য করবে ভারত। এ বিষয়ে তিনি বিদেশ মন্ত্রককে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়েছেন। শনিবার ভোরে উত্তরপ্রদেশের হিন্ডন বায়ুসেনা স্টেশন থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার সি১৩০জে (Operation Brahma) বিমান মায়ানমারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। তাতে অন্তত ১৫ টন ত্রাণসামগ্রী রয়েছে। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমারে পাঠানো হয়েছে খাবার, কম্বল, তাঁবু, ঘুমানোর সামগ্রী (স্লিপিং ব্যাগ), সোলার ল্যাম্প, জল পরিশোধক এবং প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র।

    ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকক

    মায়ানমারের (Myanmar Earthquake) ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রতিবেশী তাইল্যান্ডও। সেখানকার রাজধানী শহর ব্যাংককে (Bangkok) নির্মীয়মাণ ৩০ তলা ভবন ভেঙে পড়েছে জোরালো কম্পনের ফলে। সেই ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পাইতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বলেছেন, নিরাপত্তার জন্য ব্যাংককের ‘প্রতিটি ভবন’ পরিদর্শন করা হবে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আগামী এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই তাইল্যান্ড যাবেন। ৪ এপ্রিল ব্যাঙ্ককে ষষ্ঠ বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন সামিট-এ (বিমস্টেক) শীর্ষ সম্মেলনে (BIMSTEC Summit) অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    আন্তর্জাতিক স্তরে সাহায্যের আবেদন

    মায়ানমারের (Myanmar Earthquake) সামরিক জুন্টা প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং দাবি করেছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এই আবহে যে কোনও দেশের থেকেই তিনি সাহায্যের প্রার্থনা করেছেন। এই আবহে ভারতের পাশাপাশি ফ্রান্স এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। মায়ানমারকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। রাষ্ট্রসংঘ ইতিমধ্যেই ৫ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে। গৃহযুদ্ধে দীর্ণ মায়ানমারের বিস্তীর্ণ এলাকা জুন্টা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সেই সমস্ত এলাকায় ভূমিকম্পের ফলে কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি বলেই মনে করা হচ্ছে। দেশের অন্তত ছ’টি প্রদেশে শুক্রবার জরুরি অবস্থা জারি করেছে জুন্টা সরকার।

  • RSS In Bengal: শিকড়ে ফিরতে চাইছে মানুষ, বাংলায় আরএসএসের সম্প্রসারণ, জোর হিন্দু ঐক্যে

    RSS In Bengal: শিকড়ে ফিরতে চাইছে মানুষ, বাংলায় আরএসএসের সম্প্রসারণ, জোর হিন্দু ঐক্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় বাড়ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস-এর (RSS In Bengal) প্রভাব। গত এক বছরে বাংলায় আরএসএস-এর শাখা বেড়েছে ৫৮৩টি। সংঘের সদ্য সমাপ্ত ২ দিনের সম্বন্বয় বৈঠকে বলা হয়েছে গত ১৩ বছরে রাজ্যে আরএসএস-এর শাখা বৃদ্ধি হয়েছে প্রায় পৌনে ৩ হাজার। মমতা সরকারের তোষণ নীতির ফলে মানুষ অস্থির হয়ে উঠেছে। নিজ অস্তিত্ব বজায় রাখতেই মানুষ ঝুঁকছে সংঘের দিকে।

    আরএসএস-এর প্রভাব বৃদ্ধি

    ২০২৬ বিধানসভা ভোটের আগে চমকপ্রদ তথ্য সামনে এনেছে খোদ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের রাজ্য শাখা। রাজ্যে আরএসএসের (RSS In Bengal) গ্রাসরুট স্তরের উপস্থিতি ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে সংগঠনটি ৫০০ নতুন শাখা প্রতিষ্ঠা করেছে। বিশেষত, মধ্য বাংলা প্রান্ত শাখার সংখ্যা ২০২৩ সালের মার্চ মাসে ১,৩২০ থেকে ২০২৫ সালে বেড়ে ১,৮২৩-এ পৌঁছেছে। পশ্চিমবঙ্গে দ্রুত বাড়ছে আরএসএস পরিচালিত স্কুলের সংখ্যাও। এই মুহূর্তে এরাজ্যে ৩৩৬টি স্কুল পরিচালনা করছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। বঙ্গবাসীর মধ্যে আরএসএস কর্মসূচির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। এর ফলে সংগঠনের বিস্তৃতি সম্ভব হয়েছে।

    বাংলায় আরএসএস-এর শাখা

    আরএসএসের (RSS In Bengal) পশ্চিমবঙ্গের তিনটি অঞ্চলভিত্তিক প্রান্ত রয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি নিয়ে উত্তর বাংলা প্রান্ত, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, এবং পুরুলিয়া নিয়ে মধ্য বাংলা প্রান্ত, দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলি নিয়ে দক্ষিণ বাংলা প্রান্ত গঠিত হয়েছে। উত্তর বাংলা প্রান্তে ২০২৩ সালে শাখা, মিলন (সাপ্তাহিক জমায়েত) এবং মণ্ডলী (আলোচনা ফোরাম) মিলিয়ে মোট সংখ্যা ছিল ১,০৩৪, যা ২০২৫ সালে ১,১৫৩-এ পৌঁছেছে। একইভাবে, দক্ষিণ বাংলা প্রান্তেও ২০২৩ সালে ১,২০৬ থেকে বেড়ে ২০২৫ সালে ১,৫৬৪ হয়েছে।

    আরএসএস-প্রধানের ভরসা

    রাজ্যে (RSS In Bengal) সংগঠনের প্রসারের কথা স্বীকার করে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর ১১ দিনের পশ্চিমবঙ্গ সফরের সময় বর্ধমানে একটি জনসভা করেন। এই জনসভায় হাজার হাজার স্বয়ংসেবক অংশ নেন। সেখানেই তিনি শত্রুর সঙ্গে বন্ধুত্ব করার কথা বলেছিলেন। তাঁর কথায়, সংঘ সকলকে আহ্বান জানায়। ভয় পেয়ে পিছিয়ে না গিয়ে শত্রুকে বুঝিয়ে মিত্র বানানোর কথা বলেন। সংঘকে বুঝতে গেলে সংঘে যোগ দিতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “মন সায় দিলে আসবেন। কোনও টাকা-পয়সা লাগবে না। এখানে স্বার্থ রক্ষা হবে না। এখানে এলে কিছু পাওয়া যাবে না। দূর থেকে দেখলে হবে না। অনুভব করতে হবে। অনুমান করে কিছু হবে না। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সংগঠন এটা। তবুও দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সংগঠনের আরও প্রসার ঘটাতে হবে।”

    গ্রাসরুট পর্যায়ে কাজের উপর জোর

    মধ্য বাংলা প্রান্তের প্রচার প্রমুখ জিষ্ণু বসু এই বৃদ্ধির জন্য গ্রাসরুট পর্যায়ে কাজের উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, “মধ্য বাংলার শাখা নেটওয়ার্ক মানুষের সঙ্গে ছোট গ্রুপ বৈঠক এবং সমাবেশের মাধ্যমে যুক্ত হতে কাজ করেছে। এই ধারাবাহিক প্রচেষ্টা ফল দিচ্ছে।” বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে জনগণের ধর্মীয় পরিচয় ও সামাজিক অবস্থান নিয়ে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষত উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় জনসংখ্যার পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। জিষ্ণু বসু বলেন, “বঙ্গের পরিবর্তিত জনসংখ্যা একটি উদ্বেগজনক বিষয়। আমাদের লক্ষ্য হিন্দুদের রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে ঐক্যবদ্ধ রাখা।”

    শিকড়ে ফেরার চেষ্টা

    মধ্য বাংলা (RSS In Bengal) প্রান্তের প্রচার প্রধান সুশোভন মুখোপাধ্যায় বলেন, “এখনকার পরিবেশ মানুষকে তাঁদের শিকড়ে ফিরে যেতে এবং হিন্দুত্বকে গ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করছে। এই কারণেই আরও মানুষ শাখায় যোগ দিচ্ছেন।” বেঙ্গালুরুর প্রতিনিধি সভায়, আরএসএস বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। সংগঠনটি এই বিষয়ে তার প্রচারণা তীব্র করার পরিকল্পনা নিয়েছে, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাপটে, যেখানে এই বিষয়টির ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্ব রয়েছে।

    কেন আরএসএস-এর প্রতি আস্থা

    রাজ্যে আরএসএস-এর (RSS In Bengal) সংখ্যাবৃদ্ধি, ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে সাফল্য এনে দেবে, বলেও মনে করছেন অনেকে। কারণ একথা সর্বজনবিদিত যে, আরএসএস-ই বিজেপিকে পরিচালনা করে। রাজনৈতিক মহলের মতে, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই আরএসএসের কর্মীরা ভোটের ময়দানে সক্রিয় ছিলেন। শুধু তাই নয়, হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে বিজেপির সাফল্যে আরএসএস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় বলেও মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশ। এবার এই রাজ্যের পালা। সমাজের বিভিন্ন স্তরে সংঘের যে সংগঠনের যে নকশা রয়েছে, তা-ও এই মুহূর্তে দেশে কারও নেই। উল্লেখ্য, ২০২৫ সালে সংঘের ১০০ বছর। শতবর্ষে পা রাখতে চলা সংঘ তাদের অনেকগুলি ঈপ্সিত চাহিদাই মিটিয়ে ফেলতে পেরেছে। তার মধ্যে অন্যতম জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা প্রত্যাহার, তিন তালাক প্রথার বিলোপ। ‘এক দেশ, এক ভোট’-এর প্রস্তাবও পাশ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরের পরিকল্পনাও রয়েছে কেন্দ্রের। ফলে শতবর্ষে সংঘ তাদের চাহিদা মিটিয়ে ফেলতে পেরেছে। তাই সংঘের আদর্শ এবং কার্যক্রমের উপর মানুষের ভরসা বাড়ছে।

  • India China Border: চিনা আক্রমণ রুখতে মাস্টারপ্ল্যান! পূর্ব লাদাখে স্থায়ী নয়া সেনা ডিভিশন মোতায়েন করছে ভারত

    India China Border: চিনা আক্রমণ রুখতে মাস্টারপ্ল্যান! পূর্ব লাদাখে স্থায়ী নয়া সেনা ডিভিশন মোতায়েন করছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখে ফের সেনাবল বৃদ্ধি করল ভারত। চিনের (China) সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েনের মাঝে ভারতীয় সেনার (Indian Army) এই পদক্ষেপ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। সূত্রের খবর, পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অর্থাৎ, এলএসি (LAC) বরাবর নতুন পদাতিক ডিভিশন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defense Ministry Of India) সূত্রের খবর, লাদাখের (India China Border) রাজধানী লেহ্‌তে মোতায়েন ১৪ নম্বর কোরের নিয়ন্ত্রণে থাকবে নবগঠিত ওই ৭২ পদাতিক ডিভিশন।

    কোথায় মোতায়েন থাকবে নয়া ডিভিশন

    কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে ধারাবাহিক আলোচনার ফলে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হলেও এখনও পূর্ব লাদাখের (India China Border) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এই আবহে এলএসির নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য পুরোদস্তুর একটি নতুন ডিভিশন গড়ছে ভারতীয় সেনা। সেনাবাহিনীর যে কোনও ডিভিশনে একজন মেজর জেনারেলের নেতৃত্বে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার সৈন্য থাকে। তিন থেকে চারটি ব্রিগেড আছে যেগুলো একজন ব্রিগেডিয়ার দ্বারা পরিচালিত হয়। পূর্ব লাদাখে ৭২ ডিভিশনের অধীনে ইতিমধ্যেই একটি ব্রিগেড সদর দফতর খোলা হয়েছে। এখান থেকে কাজও শুরু হয়েছে। লেহ-এর ১৪ ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কোরের অধীনে ৭২ ডিভিশনকে স্থায়ীভাবে মোতায়েন করা হবে। বর্তমানে, এই এলাকায় একটি কাউন্টার-ইনসার্জেন্সি ইউনিট ইউনিফর্ম ফোর্স রয়েছে, যারা শীঘ্রই ৭২ ডিভিশনকে কমান্ড হস্তান্তর করবে।

    এই বাহিনী তৈরির প্রস্তুতি

    মনমোহন সিং সরকারের শেষলগ্নে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ড্রাগনের মোকাবিলায় ভারতীয় সেনার পৃথক ‘মাউন্টেন স্ট্রাইক কোর’ তৈরি হবে। ২০১৩-য় ৬৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ভারতীয় সেনার প্রায় ৯০ হাজার অফিসার ও জওয়ান নিয়ে ওই বাহিনী মঞ্জুর হয়। লক্ষ্য ছিল, এই বাহিনীই ৩,৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-চিন সীমান্তে ‘পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি’-র গতিবিধির উপরে নজর রাখবে। এর পর পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে গড়ে ওঠে ১৭ নম্বর মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের একটি ডিভিশন। পূর্ব ভারতে মাউন্টেন কোরের প্রথম ডিভিশন তৈরির পরে লাদাখকে নজরে রেখে ২০১৭-য় পঠানকোটে দ্বিতীয় ডিভিশন তৈরির কাজ শুরু হয়। পরবর্তীকালে, ২০১৭ সালে লাদাখের জন্য পঠানকোটে দ্বিতীয় ডিভিশন গঠনের কাজ শুরু হয়।

    গালওয়ান সংঘর্ষের পর ফোর্স গঠনে সক্রিয়তা

    ২০২০-র এপ্রিলে পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) চিনা আগ্রাসন এবং গালওয়ানে রক্তাক্ত সংঘর্ষের পরে দ্রুত মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সে সময় প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে উঁচু অবস্থানগুলি দখলে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল পানাগড়ের বাহিনী। ঝটিতি অভিযানে সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ কালা টপ, মুকপরী এবং রেজাংলার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল তারা। এর ফলে প্যাংগংয়ের দক্ষিণে স্পাংগুর হ্রদ লাগোয়া উপত্যকায় মোতায়েন চিনা বাহিনীও চলে এসেছিল ভারতীয় সেনার ‘নাগালে’। পাশাপাশি থাকুং সেনাঘাঁটির অদূরে হেলমেট টপ এলাকা থেকে রেচিন লা পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকাতেও ভারতীয় সেনার নিয়ন্ত্রণ কায়েম হয় ১৭ নম্বর মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের সৌজন্যে। এইসব ঘটনার পর ভারত বুঝতে পারে যে, পূর্ব লাদাখের প্রতিরক্ষা জোরদার করতে হলে আরও শক্তিশালী ডিভিশন মোতায়েন করা দরকার।

    সম্প্রতি স্থিতিশীল সীমান্ত

    গত বছর ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খুব গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। এরপর ভারত এবং চিনের (India China Border) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে উন্নয়নের রাস্তায় ফেরাতে গত ২১ অক্টোবর দিল্লির তরফে জানানো হয়, ডেপসাং এবং ডেমচকের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সহমত হয়েছে দুই দেশ। সীমান্ত থেকে এলএসি-তে পাঁচটি জায়গায় ভারত ও চিনের মধ্যে বিরোধ হয়েছিল – ডেপসাং, ডেমচোক, গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং সো এবং গোগরা হট স্প্রিং। ২০২০ সালের পর কয়েক দফা আলোচনার পরে, উভয় দেশের সেনাবাহিনী গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং সো এবং গোগরা হট স্প্রিং থেকে পিছু হটেছিল। তবে ডেপসাং ও ডেমচোকে সেনা মোতায়েন করায় সংঘর্ষের আশঙ্কা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি চুক্তির পর ভারত ও চিনা সেনারা পাঁচটি স্থান থেকে সরে গিয়েছে এবং এখানে আগের মতোই টহল শুরু হয়েছে।

    নিরাপত্তা নিয়ে আপোষ নয়

    তবুও দেশের নিরাপত্তা (India China Border) নিয়ে কোনওরকম আপস করতে রাজি নয় মোদি সরকার। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাই পূর্ব লাদাখের এলএসিকে ‘পাখির চোখ’ করে পাঠানকোটের পরিবর্তে পার্বত্যযুদ্ধে পারদর্শী ৭২ নম্বর ডিভিশনকে মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। ভারতীয় সেনার নর্দার্ন কমান্ডের অধীনে পূর্ব লাদাখের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হয়। কারণ কারাকোরাম পাসের কাছে দৌলত বেগ ওল্ডি পোস্ট থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে। পাহাড়ের মাঝে একটি সমতল এলাকাও রয়েছে, যা সামরিক কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্যদিকে, ডেমচোক সিন্ধু নদীর কাছে পড়ে। এখানে চিনের নিয়ন্ত্রণ থাকলে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে জল সরবরাহে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই অঞ্চলে কড়া পাহারার কথাই ভাবল কেন্দ্র, এমনই অনুমান কূটনীতিকদের।

  • Earthquake in Myanmar: ৭.৭ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতি মায়ানমার, তাইল্যান্ডে! ‘‘সাহায্যে প্রস্তুত ভারত’’, আশ্বাস মোদির

    Earthquake in Myanmar: ৭.৭ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতি মায়ানমার, তাইল্যান্ডে! ‘‘সাহায্যে প্রস্তুত ভারত’’, আশ্বাস মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পর পর দু’বার ৭ মিনিটের ব্যবধানে জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মায়ানমার (Earthquake in Myanmar)। রিখটার স্কেলে প্রথমটির কম্পনের মাত্রা ৭.৫ এবং দ্বিতীয়টির মাত্রা ৭ বলে জানিয়েছে ভারতের ভূকম্প পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি। তবে আমেরিকার ভূতত্ত্ব পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ইউএস জিয়োলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে প্রথম ভূমিকম্পটির মাত্রা ৭.৭। দ্বিতীয়টির ৬.৪। কম্পন অনুভূত হয়েছে দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশেও। মৃদু কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে কলকাতায়। ভূমিকম্পের জেরে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়ে দেন, যে কোনও ধরনের সাহায্যের জন্য প্রস্তুত ভারত। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘‘মায়ানমার এবং তাইল্যান্ডের ভূমিকম্পের পর, সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। সকলের নিরাপত্তা এবং সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি। ভারত যে কোনও সাহায্যের জন্য প্রস্তুত। এই বিষয়ে, আমাদের কর্তৃপক্ষকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়াও, বিদেশ মন্ত্রককে মায়ানমার এবং তাইল্যান্ড সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে।’’

    কখন অনুভূত হয় কম্পন

    ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, প্রথম কম্পনটি হয় ভারতীয় সময় সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে। আর দ্বিতীয় কম্পনটি হয় ১২টা ২ মিনিটে। প্রথমটির উৎসকেন্দ্র মায়ানমারের (Earthquake in Myanmar) বর্মা প্রদেশের ১২ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। আর দ্বিতীয়টির উৎসকেন্দ্র মায়ানমারের লকসকের ১৫১ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। দু’টি কম্পনের ক্ষেত্রেই উৎপত্তিস্থলটি ছিল মাটির ১০ কিলোমিটার নীচে। আমেরিকার ভূতত্ত্ব পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ইউএস জিয়োলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল সাগাইংয়ের ১৬ কিমি দক্ষিণ পশ্চিমে। কম্পন এতটাই তীব্র ছিল যে, ৯০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককেও হোটেল, শপিং মল কাঁপতে শুরু করে। সেখানে ভেঙে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি। আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জলোচ্ছাস দেখা গিয়েছে বড় বড় হোটেলের সুইমিং পুলেও।

    কেন এত ভয়ঙ্কর কম্পন 

    ১২টা ২ মিনিটে মায়ানমারের (Earthquake in Myanmar) মান্দালে থেকে ৯০ কিমি দূরে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিমি নীচে কম্পনের কেন্দ্র ছিল। যেহেতু ভূপৃষ্ঠের এত কাছে, অগভীর কম্পনের উৎসস্থল ছিল, তাই মাটির উপর ধাক্কা অনেক বেশি অনুভূত হয়েছে। জানা গিয়েছে, এখানে ইন্ডিয়ান প্লেট বার্মা প্লেটের নীচে ঢুকে গিয়েছে। দুই প্লেটের সংঘর্ষে বিপুল পরিমাণে শক্তি জমা হচ্ছে ভূগর্ভে। সেই শক্তিই ভূমিকম্প রূপে বেরিয়ে এসেছে

    ভূমিকম্পের প্রভাব

    এই ভূমিকম্পের (Earthquake in Myanmar) প্রভাব পড়েছে ভারত-বাংলাদেশেও। কম্পন অনুভূত হয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও উত্তরে সিকিম-সহ একাধিক জায়গায়। তীব্র কম্পনের জেরে মায়ানমারে ভেঙে পড়েছে একের পর এক বহুতল। মায়ানমারের মান্দালয়ের ঐতিহাসিক আভা সেতুটি ইরাবতী নদীতে ধসে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রাণহানি কিংবা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। কিন্তু ইতিমধ্যেই কম্পনের যে ছবি-ভিডিও ছড়িয়েছে তাতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আফটার শকেরও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

LinkedIn
Share