Author: ishika-banerjee

  • PM Modi: সোমবারই ২ দিনের ফ্রান্স সফরে মোদি, এআই সম্মেলনে যোগ, মাক্রঁর সঙ্গে বিশেষ বৈঠক

    PM Modi: সোমবারই ২ দিনের ফ্রান্স সফরে মোদি, এআই সম্মেলনে যোগ, মাক্রঁর সঙ্গে বিশেষ বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্স (France) সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Pm Narendra Modi)। সোমবার অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি প্যারিসে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি হতে চলেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সামিট (AI) ৷ সেই এ আই সামিটে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ফ্রান্সের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বরাবরই ভালো। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে একান্তে বৈঠকের কথা রয়েছে প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাক্রঁর (Emmanuel Macron)।

    এআই-এর প্রতি গুরুত্ব আরোপ

    মাক্রঁ জানিয়েছেন, ফ্রান্স সফরে এসেই প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) এআই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। এ সময় তিনি এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ) নিয়ে আলোচনা হবে। ভারত ছাড়াও এই এআই সম্মেলন আমেরিকা, চিন এবং উপসাগরীয় দেশগুলিও সঙ্গেও আলোচনার সুযোগ তৈরি করে দেবে। যোগ দেবে আরব দেশগুলিও। ফ্রান্সে আয়োজিত এই এআই সম্মেলন ইউরোপকে ‘নেতৃস্থানীয় এআই মহাদেশ’ হিসেবে গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরবে।” ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ভারত-সহ প্রায় ৯০টি দেশকে এই এআই অ্যাকশন সামিটে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই সম্মেলনে, ভুল তথ্য ছড়ানো এবং এআই- এর অপব্যবহারের বিষয়েও আলোচনা করা হবে। এআই সম্মেলনটি প্যারিসের গ্র্যান্ড প্যালেসে অনুষ্ঠিত হবে। এতে একাধিক প্রথম সারির রাষ্ট্রপ্রধান, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রঁ (PM Modi in France) এআই সামিটের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেছেন, “ফ্রান্স ১১-১২ ফেব্রুয়ারি এআই অ্যাকশন সামিটের আয়োজন করছে। এই সামিট আন্তর্জাতিকভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ তৈরি করবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি আমাদের দেশে রাষ্ট্রীয় সফর শেষে এখানে উপস্থিত থাকবেন, এবং এটি আমাদের আমেরিকা, চিন, ভারত এবং গালফ স্টেটসের মতো বড় দেশগুলির সঙ্গে এআই নিয়ে আলোচনা করতে সাহায্য করবে।”

    এআই অ্যাকশন সামিটে যোগ

    ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁর সাথে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) অ্যাকশন সামিটের কো-চেয়ার হিসেবে অংশগ্রহণ ছাড়াও নানা বিষয়ে বৈঠকের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi)। তাঁদের মধ্যে উচ্চস্তরের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় প্রতিরক্ষা, শক্তি এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে কথা হবে। ১০ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সে পৌঁছানোর পর, প্রধানমন্ত্রী মোদি প্যারিসে একটি ভিভিআইপি সামিট ডিনারে অংশগ্রহণ করবেন। ১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এআই অ্যাকশন সামিটে বৈশ্বিক এআই নীতি নির্ধারণ এবং ভারত-ফ্রান্স সহযোগিতা শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়েই আলোচনা হবে। এছাড়া, সফরের দ্বিপাক্ষিক পর্ব ১১ ফেব্রুয়ারির বিকেলে শুরু হবে, যেখানে মোদি এবং মাক্রঁ উভয় দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি বৈঠক হবে। তারপর প্রধানমন্ত্রী মোদি মার্সেইয়ে যাবেন, যেখানে ভারত একটি নতুন কনসুলেট খুলবে। মার্সেইতে নেতারা দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন এবং পরে একটি ব্যক্তিগত ডিনারে মিলিত হবেন।

    কৌশলগত ঘোষণা প্রত্যাশিত

    এই সফরের সময় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, স্মল মডুলার রিয়াক্টর (এসএমআর) এবং বিমান রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও ওভারহোল (এমআরও) ক্ষেত্রে বড় ঘোষণা আসতে পারে। তাছাড়া, দুই দেশ এআই নিয়ে একটি ফ্রান্স-ভারত রোডম্যাপও গ্রহণ করতে চলেছে। যা দুই দেশের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করবে। মোদি-মাক্রঁ (PM Modi in France) আলোচনায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর (আইএমইসি), যা তিনটি অঞ্চলের মধ্যে বাণিজ্য ও সংযোগ বৃদ্ধি করবে।

    ভারতীয় শিক্ষার্থীদের স্বাগত

    ফ্রান্স ভারতীয় শিক্ষার্থীদের প্রতিও মনোযোগ দিতে চাইছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০,০০০ ভারতীয় শিক্ষার্থীকে প্যারিসে স্বাগত জানাতে চান মাক্রঁ। বর্তমানে ফ্রান্সে ১০,০০০ হাজার ভারতীয় পড়ুয়া রয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দেশের রাষ্ট্রনেতারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে শহিদ হওয়া ভারতীয় সেনাদের সমাধিক্ষেত্রে গিয়ে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন ৷ এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রেসিডেন্ট মাক্রঁ (PM Modi in France) ফ্রান্সে ইউরোপের সর্ববৃহৎ প্রযুক্তি গবেষণাকেন্দ্র কারাডাশ-এ যাবেন ৷ সেখানে ইন্টান্যাশনাল থার্মোনিউক্লিয়ার এক্সপেরিমেন্টাল রিঅ্যাক্টর (আইটিইআর) ঘুরে দেখবেন ৷

    ফ্রান্স সফর শেষে মার্কিন সফর

    প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) ফ্রান্স সফর ১২ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে, তারপর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি সফরে যাবেন তিনি। শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক ৷ এদিন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি একটি সাংবাদিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন দু’টি বিদেশ সফরের বিষয়ে জানান ৷ তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী মোদি ১২,১৩ ফেব্রুয়ারি আমেরিকা সফরে যাবেন ৷ ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম মার্কিন সফর ৷ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার পর প্রথম যে রাষ্ট্রনেতারা আমেরিকায় যাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদি অন্যতম ৷”

  • India-Bangladesh Relation: ‘হাসিনার মন্তব্য ব্যক্তিগত, ভারতের কোনও ভূমিকা নেই’, সাফ জানাল বিদেশমন্ত্রক

    India-Bangladesh Relation: ‘হাসিনার মন্তব্য ব্যক্তিগত, ভারতের কোনও ভূমিকা নেই’, সাফ জানাল বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) মন্তব্য তাঁর ‘ব্যক্তিগত’। তার সঙ্গে ভারতের (India-Bangladesh Relation) কোনও সম্পর্ক নেই। শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। বাংলাদেশের সঙ্গে সদর্থক, গঠনমূলক, এবং পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্কও বজায় রাখতে চায় ভারত ৷ শুক্রবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে ডেকে এই কথাও জানিয়ে দিল সাউথ ব্লক ৷

    কেন তলব রাষ্ট্রদূতকে

    বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বাংলাদেশের (India-Bangladesh Relation)  ধানমন্ডিতে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নায়ক মুজিবুর রহমানের বাড়িতে তাণ্ডব, ভাঙচুর চলে৷ পরদিন সকালে সেই ঐতিহাসিক বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ৷ এদিকে সেদিনই ভার্চুয়ালি বাংলাদেশবাসীর উদ্দেশে বক্তৃতা দেন গণঅভ্যুত্থানের জেরে দেশছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷ ভারতও মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বাড়ি ভাঙার ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে উল্লেখ করে। এর জন্য ভারতের সমালোচনা করে ইউনুস সরকার। এরপরই শুক্রবার নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নুরল ইসলামকে সমন পাঠিয়ে সাউথ ব্লকে তলব করা হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলবের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিবৃতি দেয় বিদেশ মন্ত্রক।

    ভারতের অবস্থান স্পষ্ট

    বিবৃতি অনুযায়ী, বাংলাদেশের (India-Bangladesh Relation)  রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে, ভারত একটি ইতিবাচক, গঠনমূলক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশের সঙ্গে। সম্প্রতি দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বার বার এই বিষয়টি ব্যক্ত করা হয়েছে। তবে এটা দুঃখজনক যে, বাংলাদেশ প্রশাসনের নিয়মিত বিবৃতিতে ভারতকে নেতিবাচক ভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। সে দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য ভারতকে দায়ী করা হচ্ছে। বাংলাদেশের এ ধরনের বিবৃতি দু’দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাচ্ছে। হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে নয়াদিল্লি আরও এক বার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসিনা (Sheikh Hasina) নিজের ক্ষমতাবলে মন্তব্য করছেন। এখানে ভারতের কোনও ভূমিকা নেই। হাসিনার মন্তব্যের সঙ্গে ভারত সরকারকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নতিতে সাহায্য করবে না। বিদেশ মন্ত্রক আরও বলেছে, ‘‘ভারত সরকার পারস্পরিক ইতিবাচক সম্পর্কের জন্য চেষ্টা করছে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশও সেই পরিবেশ নষ্ট না-করে একই রকম ভাবে হাত বাড়িয়ে দেবে।’’

  • Mohan Bhagwat: শহরে দফায় দফায় বৈঠক! ১১ দিনের ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে বাংলায় সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: শহরে দফায় দফায় বৈঠক! ১১ দিনের ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে বাংলায় সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) শতবর্ষ পূর্তি চলতি বছরেই। এর সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই রাজ্যভিত্তিক একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে সঙ্ঘ। সেই উপলক্ষ্যেই ৭ তারিখ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতে কলকাতায় এসে গিয়েছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। টানা ১১ দিনের কর্মসূচি রয়েছে বাংলায়। ১৩ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যে থাকছেন ভাগবত।

    ভাগবতের কর্মসূচি

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা বেজে ২৫ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন মোহন (Mohan Bhagwat)। সেখান থেকে সোজা চলে যান নিউটাউনে। সেখানেই এক গেস্ট হাউসে রাতে তাঁর থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল। আগামী ৯ ও ১০ তারিখ কেশব ভবনের সভায় যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। ১৩ তারিখ বর্ধমানে একটি মিটিংয়ে যোগ দেবেন বলে খবর। ইতিমধ্যেই নিউটাউনের অতিথিশালায় ২ দফায় তিনি বৈঠকও সেরে ফেলেছেন বলে খবর। মূলত দক্ষিণবঙ্গের আরএসএস নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা হয় বলে খবর।

    অশান্ত বাংলাদেশের আঁচ এপারেও

    নতুন করে ফের জ্বলছে বাংলাদেশ। হাত পড়েছে খোদ হাসিনার বাড়িতে। অশান্তির আঁচ পড়ছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেও। ওপার বাংলায় ‘প্রশাসনিক মদতে’ নারকীয় অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন হিন্দু সম্প্রদায়। যার প্রভাব কাঁটাতার পেরিয়ে পড়েছে এপারেও। এই অবস্থায় আরএসএস প্রধানের (Mohan Bhagwat) বঙ্গে আগমণ, একইসঙ্গে দীর্ঘ সফর, তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ওপার বাংলায় হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে এপার বাংলা থেকেই সরব হতে চান সঙ্ঘ প্রধান। বঙ্গ আরএসএসের এক প্রবীণ পদাধিকারীর কথায়, “দেশভাগের ক্ষত বাংলায় আজও দগদগে। ইসলামিক শাসন ও মুসলিম মৌলবাদের রমরমাও দেশের কোনও অংশের থেকে কম নয়। অথচ গত দুদশকে উত্তর ও মধ্য ভরতে হিন্দু আত্মমর্যাদার উল্লেখযোগ্য উন্মেষ হলেও বাংলা এক্ষেত্রে অনেকটাই পিছনে। কেন এই ব্যতিক্রম?” সঙ্ঘ প্রধান এই প্রশ্নের উত্তরও খুঁজবেন। সম্প্রতি বাংলাদেশের বর্তমান পুরিস্থিতির জেরে এপার বাংলাতেও হিন্দু তথা সনাতন ধর্ম নিয়ে আবেগ ও উচ্ছ্বাস বাড়ছে। তাই সংগঠন মজবুত করতেই বঙ্গে আগমন ভাগবতের।

    লক্ষ্য বিধানসভা নির্বাচন

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করেছেন, আগামী বছরে বিধানসভা নির্বাচন। হিন্দুত্বের ভাবাবেগে শান দিয়েই ভোট রাজনীতিতে বাজিমাৎ করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। আর সেই কারণেই দু’বছর পর বাংলায় এই দীর্ঘ সফর ভাগবতের। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতার শহিদ মিনার ময়দানে একটি সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এপার বাংলাতেও যাতে হিন্দুত্বকে হাতিয়ার করে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্ক বাড়ানো যায়, সেই ব্যবস্থা পাকা করতেই এবারের সফরে বাংলায় লম্বা সময় কাটাবেন মোহন ভাগবত। মহারাষ্ট্রে পদ্ম-শিবিরের জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল আরএসএস। আগামী বছরের নির্বাচনে, পশ্চিমবঙ্গেও ২০১৯ সালের মতো সাফল্য পেতে চাইছে বিজেপি। নির্বাচনে আরও বেশি আসনে জিততে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে আরএসএস, মনে করছেন সঙ্ঘের নেতারা। এই কারণেই মোহন ভাগবতের এই সফরকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন তাঁরা।

    শতবর্ষে বাংলায় সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধি 

    চলতি বছর শতবর্ষে পা রাখছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। সরকারিভাবে সঙ্ঘ কর্তারা জানাচ্ছেন, শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে দেশজুড়ে একের পর এক যে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, সেগুলি নিয়ে আলোচনা এবং সাংগঠনিক রুটিন বৈঠক করতেই বাংলায় এসেছেন ভাগবত ও অন্য শীর্ষ কর্তারা। মোহন ভাগবতের সঙ্গে এসেছেন সঙ্ঘের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদাধিকারী সরকার্যবহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে-সহ আট শীর্ষ পদাধিকারী। তিনদিন কলকাতায় একাধিক রুদ্ধদ্বার বৈঠক সেরে ১১ ফেব্রুয়ারি বর্ধমান যাবেন তাঁরা। সেখানে মধ্যবঙ্গের সঙ্ঘ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ১৫ তারিখ পর্যন্ত। বৈঠকের মূল আলোচ্যসূচি রাঢ়বঙ্গ, বিশেষত আদিবাসী ও কুড়মি প্রভাবিত এলাকায় সঙ্ঘের কর্ম তৎপরতা ও প্রভাববৃদ্ধি। ১৬ তারিখ সফরের শেষদিন বর্ধমানে জনসভা করবেন ভাগবত।

    রাজ্যে হিন্দুদের মধ্যে স্বদেশী মনোভাব বৃদ্ধি 

    সম্প্রতি সকলকে নিয়ে চলার বার্তা দিয়েছেন সরসঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। হিন্দুত্ববাদী তকমা গায়ে থাকলেও সকলকে নিয়ে তারা চলতে চায়। আরএসএসের শতবর্ষ পূর্তি কর্মসূচিতেও সেই বার্তা স্পষ্ট। বংলাতেও একই ভাবধারায় চলবেন ভাগবত। আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক জিষ্ণু বসু জানিয়েছেন, এই সফরে দু’দিন কলকাতায় থাকবেন মোহন ভাগবত। একাধিক জেলা সফর করার পাশাপাশি কলকাতায় অখিল ভারতীয় তোলি সমাজ এবং আরএসএসের বিভিন্ন শাখা এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গেও আলাদাভাবে আলোচনা করবেন তিনি। এই সফরে বর্ধমান-সহ একাধিক জেলায় সফর করবেন মোহন ভাগবত। সেখানে সংগঠনের আঞ্চলিক নেতা ছাড়াও বেশ কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি। ১৬ তারিখে বর্ধমানে একটি সভা করার কথাও আছে তাঁর। এটা আঞ্চলিক স্তরে তাদের তৎপরতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে বলেও জানিয়েছেন ওই নেতা। জিষ্ণু বসু জানিয়েছেন, রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে হিন্দুদের মধ্যে স্বদেশী মনোভাব বৃদ্ধি করবে সঙ্ঘ প্রধানের এই সফর।

  • RBI Repo Rate: কম হবে ইএমআই! রেপো রেট কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, স্বস্তি আমজনতার

    RBI Repo Rate: কম হবে ইএমআই! রেপো রেট কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, স্বস্তি আমজনতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’বছর পর অবশেষে রেপো রেট বদল করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI Repo Rate)। শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানোর কথা ঘোষণা করেন আরবিআইয়ের গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা। ফলে রেপো রেট ৬.৫ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়াল ৬.২৫ শতাংশ। পাঁচ বছরে এই প্রথমবার রেপো রেট (Repo Rate) কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরবিআই।

    সুদের হার কমায় লাভ কী

    গত ২ বছর রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখেছিল আরবিআই। ২০২০ সালের মে মাসে শেষ বার সুদের হার হ্রাস করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। যে সুদের হারে সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্ককে আরবিআই ঋণ দিয়ে থাকে তাকেই বলে রেপো রেট। এটি কমলে এর সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বহিরাগত বেঞ্চমার্ক ঋণে সুদের হার কমে যায়। বলা বাহুল্য এর জেরে স্বস্তি পাবেন ব্যাঙ্ক ঋণ নেওয়া আমজনতা। কমবে তাঁদের মাসিক কিস্তির অঙ্ক। সস্তা হবে হোম লোন, গাড়ি লোন (Car Loan), শিক্ষা ঋণ (Education Loan) এবং ব্যক্তিগত ঋণের (Personal Loan) সুদের হার। অর্থনৈতিক মহলের ধারণা, এটি ব্যবসা ও গ্রাহকদের জন্য ঋণের খরচ কমিয়ে দেবে। গৃহ ও ব্যবসায়িক ঋণের ইএমআই কমানো মানুষের আর্থিক স্বস্তি দেবে। তাদের নিষ্পত্তিযোগ্য আয় বাড়বে ও উপভোক্তাদের ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে বাজারে নগদের পরিমাণ বাড়বে, যা ব্যবসায়িক বিনিয়োগ বাড়াবে। পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে গতি দেবে।

    কত হবে ইএমআই

    ধরুন কেউ যদি ২৫ লাখের হোম লোন নেন, তাহলে তাকে ৮.৭৫ শতাংশ সুদের হারে ২২,০৯৩ টাকার ইএমআই দিতে হবে। কিন্তু রেপো হারে এক চতুর্থাংশ শতাংশ কমানোর পরে, সুদের হার ৮.৫০ শতাংশে নেমে আসবে এবং এখন ২১,৬৯৬ টাকা ইএমআই হিসাবে দিতে হবে। অর্থাৎ প্রতি মাসে ৪০৩ টাকা সাশ্রয়। এক্ষেত্রে এক বছরে, ইএমআই আকারে ৪,৮৩৬ টাকা সাশ্রয় হবে। এদিন গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্র বলেন, ‘‘সর্বসম্মতিতে রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরবিআইয়ের মুদ্রা নীতি কমিটি। ঋণকে সস্তা করা এবং আর্থিক কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

  • Maha Kumbh 2025: মহাকুম্ভে মিলন মেলা, পবিত্র প্রয়াগে পুণ্য-স্নান পাকিস্তানের ৬৮ পুণ্যার্থীর

    Maha Kumbh 2025: মহাকুম্ভে মিলন মেলা, পবিত্র প্রয়াগে পুণ্য-স্নান পাকিস্তানের ৬৮ পুণ্যার্থীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান-ভারত দুই দেশের রাজনৈতিক দূরত্ব সত্ত্বেও, ওয়াঘার ওপার আর এপারে রয়েছে আত্মার টান। পাকিস্তান (Pakistani Hindus) থেকে দেবভূমি ভারতের মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) যোগ দিলেন সিন্ধু প্রদেশের ৬৮ জন হিন্দু ভক্তের একটি দল। বৃহস্পতিবার প্রয়াগরাজে পৌঁছে সঙ্গমের পবিত্র জলে ডুব দিলেন তাঁরা। উত্তরপ্রদেশের প্রশাসন সূত্রের খবর ভক্তরা গঙ্গা, যমুনা এবং পৌরাণিক সরস্বতীর পবিত্র সঙ্গমস্থলে তাঁদের পূর্বপুরুষদের জন্য প্রার্থনা করে আচার অনুষ্ঠান করেন।

    মহাকুম্ভে মোক্ষলাভ

    পাকিস্তানের (Pakistani Hindus) করাচিতে অবস্থিত শ্রী পঞ্চমুখী হনুমান মন্দির সমিতির অধ্যক্ষ শ্রীরামনাথ মিশ্র মহারাজের নেতৃত্বে ওই দলটি পাকিস্তান থেকে কলসবন্দি করে নিয়ে এসেছেন ৪০০ হিন্দুর অস্থি। উদ্দেশ্য, মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) পুণ্যলগ্নে মা গঙ্গায় মোক্ষের সন্ধান। গত ৮ বছর ধরে প্রিয়জনের অস্থি রাখা হচ্ছিল পাকিস্তানের শ্মশানেই। প্রিয়জনের অস্থি গঙ্গায় বিসর্জন দিতেই এত বছরের অপেক্ষা। মহাকুম্ভের পুণ্যলগ্নে এই সব অস্থি ভারতে আনার জন্য বিশেষ ভিসা দেওয়া হয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে। ভিসা পেয়েই গত সোমবার ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ৪০০ পাকিস্তানি হিন্দুর কলসবন্দি অস্থি নিয়ে আসা হয় ভারতে।

    মহাকুম্ভে অভিভূত পুণ্যার্থীরা

    মহন্ত রামনাথ জানান, মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) আসার আগে তাঁরা প্রথমে হরিদ্বার যান। সেখানে তাঁদের পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে ভস্ম বিসর্জন দেন। তার পর ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান করেন সকলে। গত বছর এপ্রিল মাসে পাকিস্তান থেকে ২৫০ জন প্রয়াগরাজে গিয়ে গঙ্গায় স্নান করেছিলেন। এ বার সিন্ধু প্রদেশের ঘোটকি, সুক্কুর, খাইরপুর, শিকারপুর, কারকোট এবং জটাবল জেলা থেকে ৬৮ জন পুণ্যার্থী এসেছেন। যার মধ্যে ৫০ জন প্রথমবার কুম্ভে এলেন। ওই দলের এক সদস্যা সংবাদসংস্থাকে বলেন, ‘‘এটা খুবই আনন্দের অনুভূতি। প্রকাশ করার মতো কোনও ভাষা আমার কাছে নেই। আগামিকাল আমরা ফের পুণ্যস্নান করব। এখানে থাকা আমাদের সনাতন ধর্মের ঐতিহ্যের জন্য আমরা গর্বিত।’’ সিন্ধু থেকে আসা এক গৃহবধূ বলেন, ‘‘ভারতে এবং মহাকুম্ভে এলাম আমার প্রথমবার। এখানে আমাদের সনাতন সংস্কৃতি উপলব্ধি করাটা এক ঐশ্বরিক অভিজ্ঞতা। আমরা সিন্ধুতে জন্মগ্রহণ করেছি এবং বেড়ে উঠেছি। সেখানে হিন্দুদের প্রতি খুব বেশি বৈষম্য নেই। তবে ভারতে আমাদের ঐতিহ্য প্রত্যক্ষ করা এক অতুলনীয় অভিজ্ঞতা।’’

  • Modi in Rajya Sabha: পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ, দেশে নয়া মডেল! রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণে কী কী বললেন মোদি?

    Modi in Rajya Sabha: পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ, দেশে নয়া মডেল! রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণে কী কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘কংগ্রেসের নীতি হল, পরিবার প্রথম৷’’ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদজ্ঞাপন বক্তৃতায় স্বভাব-সিদ্ধ ভঙ্গিতেই কংগ্রেসকে কড়া আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi in Rajya Sabha) ৷ রাজ্যসভায় তাঁর আক্রমণ শুরু হয় বিজেপি সরকারের ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ মডেল দিয়ে৷ জবাবি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জানান দেশবাসী ২০১৪ সালের পরে একটা নতুন মডেল পেয়েছে, আদর্শ পেয়েছে। যা নিয়ে অমৃতকালের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। তিনি বিজেপি সরকারের সাফল্যের কথাও বলেন।

    পরিবারতন্ত্র নিয়ে কটাক্ষ

    এদিন জবাবি ভাষণে দেশের সবচেয়ে পুরনো জাতীয় দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী (Modi in Rajya Sabha) বলেন, “কংগ্রেসের থেকে সবকা সাথ, সবকা বিকাশ আশা করাই উচিত নয়। এটা যেমন ওদের ধারণার বাইরে, ঠিক তেমনই ওদের দলের আর্দশের মধ্য়ে পড়ে না। কারণ গোটা দলটাই টিকে আছে পরিবারতন্ত্রের উপর ভিত্তি করে।” জরুরি অবস্থার সময়ে দেশের পরিস্থিতির কথা স্মরণ করিয়ে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ওই সময় দেশবাসীর বাক্‌স্বাধীনতা হনন এবং সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করা হয়েছিল। বেশ কিছু উদাহরণও তুলে ধরে মোদির অভিযোগ, শিল্পীদেরও রেহাই দেওয়া হয়নি সেই সময়। জরুরি অবস্থাকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানাতে রাজি না হওয়ায় দেবানন্দের সিনেমা দূরদর্শনে সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তোলেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা এখন সংবিধানের কথা বলছেন, তাঁরা বছরের পর বছর সংবিধানকে নিজেদের পকেটে ঢুকিয়ে রেখে দিয়েছিলেন।”

    আম্বেদকরকে স্মরণ

    আম্বেদকর-প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী (Modi in Rajya Sabha) বলেন, “কংগ্রেস সরকার বিআর আম্বেদকরকে ভারতরত্ন দেয়নি ৷ তাঁকে ভারতরত্নের যোগ্য মনেই করা হয়নি ৷ কিন্তু আজ তারা ‘জয় ভীম’ বলতে বাধ্য হচ্ছে৷ ভীমরাও আম্বেদকরের প্রতি কংগ্রেসের ঘৃণা, রাগের কথা ইতিহাসে খুব ভালোভাবেই নথিবদ্ধ রয়েছে৷ তাঁর প্রতিটি কথায় কংগ্রেস বিরক্ত হয়ে যেত। এর সব তথ্য রয়েছে। বাবাসাহেবকে দু’বার নির্বাচনে হারানোর জন্য তারা কী করেনি! তবে দেশবাসী আম্বেদকরের ভাবনাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই আজ বাধ্য হয়ে কংগ্রেসকে জয় ভীম বলতে হয়। এ কথা বলতে গিয়ে তাদের গলা শুকিয়ে আসে।”

    সংরক্ষণ ইস্যুতে কংগ্রেসকে তোপ

    মোদির (Modi in Rajya Sabha) বক্তৃতায় উঠে আসে আদিবাসী, দলিত, তফশিলি জাতি, জনজাতি এবং অন্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রসঙ্গ। তাঁর সরকার যে সাধারণ শ্রেণির গরিব মানুষদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ এনেছে, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উঠে আসে বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য সুবিধা, তৃতীয় লিঙ্গকে আইনি স্বীকৃতির কথাও। মোদি বলেন, “গত বেশ কয়েকবছর ধরে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর আওতাভুক্ত সাংসদরা দাবি করছেন, যেন ওবিসি কমিশনকে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়া হয়। কিন্তু বারংবারই সেই আবেদন খারিজ হয়ে এসেছে। অবশেষে আমরা সেই সম্প্রদায়ের দাবিকে সম্মান জানিয়ে তাদের আবেদন রাখতে চলেছি।”

    দেশে এক নয়া মডেল

    প্রধানমন্ত্রী (Modi in Rajya Sabha) দাবি করেন, কংগ্রেস আমলে জাতপাত প্রচারেরও চেষ্টা হয়েছে৷ তিনি বলেন, “জাতপাতের বিষ ছড়ানোর চেষ্টাও হয়েছে৷ সংরক্ষণের বিষয়টি যখনই সামনে এসেছে, তখনই দেশে একটা ঝড় উঠেছে৷ আমরা প্রথম বার, একটা মডেল দিয়েছি দেশকে৷ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকা শ্রেণিকে আমরা ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছি। তাদের কাছ থেকে কিছু ছিনিয়ে না নিয়েই আমরা সংরক্ষণের এই মডেল দিয়েছি৷ এসসি, এসটি, ওবিসি-রা তাকে স্বাগত জানিয়েছে৷ কারও কোনও সমস্যা হয়নি৷ এর আগে বিশেষত কংগ্রেসের সময় তোষণ ছিল সবকিছু ৷ সেটাই রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল৷ এতে কয়েকটি ছোট দলের অনেক সুবিধা হয়েছে৷ কিন্তু অন্যরা বঞ্চিত হয়েছে৷ নির্বাচনের সময় তারা মিথ্যা আশা জাগিয়েছিল৷ মানুষকে বোকা বানানোর রাজনীতি করেছে ওরা।”

    এনডিএ সরকারের উদ্যোগ

    বিজেপি দেশের সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের দিকে লক্ষ্য রেখেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী (Modi in Rajya Sabha) ৷ তিনি বলেন, “আমরা সম্পৃক্তকরণের দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছি ৷ চেয়েছি, প্রকল্পগুলির একশো শতাংশই রূপায়িত হোক৷ কেউ যেন বঞ্চিত না হয়, কাউকে যেন হতাশার দিকে ঠেলে দেওয়া না হয়৷ বিগত দশকগুলিতে প্রতিটি স্তরে আমরা ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ কার্যকর করার চেষ্টা চালিয়েছি৷ এখন তার ফলাফল দেখতে পাচ্ছি ৷” তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্প এবং উদ্যোগের কারণে দরিদ্র শ্রেণির মানুষকে মধ্যবিত্তের পর্যায়ে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে। দরিদ্র থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে উঠে আসা মানুষদেরই তিনি ব্যাখ্যা করছেন ‘নব্য মধ্যবিত্ত’ বলে। মোদির কথায়, “কেন্দ্রীয় সরকার মধ্যবিত্ত এবং নব্য মধ্যবিত্তের পাশে সব সময় রয়েছে। আমরা মধ্যবিত্তদের একটি বড় অংশের জন্য আয়কর শূন্য করে দিয়েছে। ২০১৩ সালে (মোদি জমানা শুরুর আগে) বার্ষিক ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর ছাড় ছিল। আজ আমরা বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপরে করে ছাড় দিয়েছি।”

    কেন্দ্রের একগুচ্ছ প্রকল্প

    রাজ্যসভায় মোদির (Modi in Rajya Sabha) বক্তৃতায় উঠে আসে আয়ুষ্মান যোজনা, আবাস যোজনার মতো প্রকল্পগুলির কথাও। আয়ুষ্মান যোজনায় সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধদের চিকিৎসা বিমা দেয় কেন্দ্র। মোদির দাবি, এই প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছেন দেশের মধ্যবিত্ত প্রবীণেরাই। পাশাপাশি, মধ্যবিত্তদের জন্য কেন্দ্রের তরফে ৪ কোটি বাড়িও তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দেশের পর্যটন প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মধ্যবিত্তেরা উপকৃত হচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর কথায়, অতীতে বিদেশিরা ভারত বলতে দিল্লি, মুম্বই বা বেঙ্গালুরুকেই চিনতেন। তবে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে জি-২০ বৈঠক আয়োজন করানোর ফলে এখন বিশ্ববাসী ভারতকে নতুন করে চিনেছেন। দেশীয় পর্যটনেও আকর্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যটনের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসাও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মধ্যবিত্তেরাই এর সুবিধা পাচ্ছেন বলে মত প্রধানমন্ত্রীর।

  • Solo Trekking in Nepal: হিমালয়ে সোলো-ট্রেকিং বন্ধের নির্দেশ! একা পর্বতারোহণে না নেপালের

    Solo Trekking in Nepal: হিমালয়ে সোলো-ট্রেকিং বন্ধের নির্দেশ! একা পর্বতারোহণে না নেপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোলো ট্রেকিং (Solo Trekking in Nepal) বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল নেপাল। পর্বতারোহী বা অভিযাত্রীদের সুরক্ষার কথায় মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানায় নেপাল সরকার। মঙ্গলবার রাতে নেপাল গেজেটের মাধ্যমে সরকার ঘোষণা করেছে যে তারা ৮,০০০ মিটার উচ্চতার সব পর্বত শৃঙ্গের একক অভিযান নিষিদ্ধ করছে। নতুন নিয়মাবলী অনুযায়ী, ৮,০০০ মিটার বা তার বেশি উচ্চতার পর্বত শৃঙ্গের অভিযানে প্রতিটি দুই সদস্যের দলের সঙ্গে অন্তত একজন গাইড রাখতে হবে। এই বিধি এখন থেকে এভারেস্টসহ সব ৮,০০০ মিটার উচ্চতার পর্বতের জন্য প্রযোজ্য।

    কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?

    এভারেস্ট-সহ (Solo Trekking in Nepal) বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ৮টি পর্বত অবস্থিত নেপালে। প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষেরা নেপাল আসেন শুধু ট্রেকিংয়ের লোভে। এভারেস্ট ছাড়াও মাউন্ট লোৎসে, অন্নপূর্ণা ইত্যাদি পর্বত শৃঙ্গের ট্রেকিং শুরু হয় নেপাল থেকে। কিন্তু এবার নেপালে একা-একা পর্বতারোহণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নেপালের পাহাড়ি পথ বেশ দুর্গম। হিমালয়ের কোলে একাধিক দুর্ধর্ষ ট্রেকিং রুট শুরু হয় নেপাল থেকেই। নেপালের হিমালয়ের বাঁকে বাঁকে রয়েছে রোমাঞ্চ। কিন্তু এই অ্যাডভেঞ্চারের মাঝে বিপদের মুখে কোনও পর্যটক পড়ুক, তা চায় না সে দেশের সরকার। তাই দুর্ঘটনা এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল সরকার। হিমালয়ের আচরণ বোঝা কঠিন। অন্তত এ দেশে ঘুরতে আসা পর্যটকদের ক্ষেত্রে। প্রতি বছর নেপাল ভয়াবহ ভূমিকম্প, তুষারপাত ও তুষারঝড়ের সম্মুখীন হয়। তাছাড়া উচ্চতায় দেখা দেয় অক্সিজেনের সমস্যা। এমন পরিস্থিতিতে বিপদের মুখে পড়লে কিংবা দুর্ঘটনা শিকার হলে উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এই সিদ্ধান্ত নিল নেপাল সরকার।

    নয়া নির্দেশে কী কী বলা হয়েছে?

    নেপালের ট্যুরিজম (Solo Trekking in Nepal) বোর্ডের মতে, সরকারের এই সিদ্ধান্তে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। নেপালে ট্রেকিংয়ের জন্য এমন গাইড নিয়ে হবে যাঁর লাইসেন্স রয়েছে। গাইডরা দুর্গম পরিবেশ এবং পাহাড়ি পথের সঙ্গে পরিচিত। সুতরাং, এই গাইডদের জন্যও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে নেপাল সরকারের এই সিদ্ধান্ত। নতুন নিয়মের আওতায়, বিদেশি অভিযাত্রীদের জন্য এভারেস্টের দক্ষিণ রুটে বসন্তে ১৫,০০০ মার্কিন ডলার রাজস্ব ফি নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগে ছিল ১১,০০০ ডলার। এছাড়া, শরতে রাজস্ব ফি বেড়ে ৭,৫০০ ডলার হয়েছে, যা আগে ছিল ৫,৫০০ ডলার। শীতকালীন অভিযান ফি ২,৭৫০ ডলার থেকে বেড়ে ৩,৭৫০ ডলার হয়েছে।

  • India vs England: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মহড়া! ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে রান চান রোহিত-বিরাট

    India vs England: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মহড়া! ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে রান চান রোহিত-বিরাট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মহড়া শুরু হতে চলেছে ভারতের। বৃহস্পতিবার নাগপুরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে (India vs England) একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচ। তিন ম্যাচের সিরিজকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি হিসেবেই নিচ্ছে রোহিত-গম্ভীর জুটি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। এবার লড়াই দু’দলের ওয়ান ডে সিরিজের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে তিন ম্য়াচের এই ওয়ান ডে সিরিজ দু’দলের কাছেই মিনি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি মঞ্চ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কোচ হিসেবে এই সিরিজেও সোনা ফলাতে চান গম্ভীর। যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো গুরুত্বপূর্ণ আইসিসি টুর্নামেন্টে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে।

    রানে ফিরতে মরিয়া রোহিত-কোহলি

    অধিনায়ক রোহিতের জন্য এটা শুধুমাত্র একটি সিরিজ নয়। নিজের হারিয়ে যাওয়া জায়গা ফিরে পাওয়ার লড়াই। ২০২৩ বিশ্বকাপ থেকে অন্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছে ভারত অধিনায়ককে। প্রত্যেক ম্যাচেই শুরুটা বিধ্বংসী মেজাজে করেন। যা ভারতীয় ব্যাটিংয়ের ফাউন্ডেশন গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। কিন্তু সম্প্রতি ছন্দে নেই রোহিত। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ব্যর্থতা কাটিয়ে রানে ফেরার চ্যালেঞ্জ হিটম্যানের সামনে। অন্যদিকে বিরাট কোহলির জন্যও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অগ্নিপরীক্ষা। তার আগে রানে ফিরতে মরিয়া থাকবেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে (India vs England) সবচেয়ে সফল কোহলি। তাই বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামবেন। একদিনের সিরিজ শুরুর আগে নেটে হাই ইনটেনসিটি ট্রেনিংয়ে নিজেদের ডুবিয়ে দিলেন রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি। নেটে দু’জনেরই পুরোনো ঝলক দেখা গেল। আগ্রাসী স্ট্রোক খেলতে দেখা যায় রোহিত, বিরাটকে। তাঁদের অনুশীলনের একটি ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বিসিসিআই।

    এগিয়ে ভারত

    ওয়ানডে ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টিম ইন্ডিয়ার (India vs England) পাল্লা অনেকটাই ভারী। দুটো দলের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১০৭ একদিনের ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছে। এরমধ্যে ৫৮ ম্যাচে জয়লাভ করেছে ভারত। ৪৪ ম্যাচে বাজিমাত করেছে ইংল্যান্ড। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল এই ব্যবধান বাড়াতেই মাঠে নামবে।

    ম্যাচের খুঁটিনাটি (India vs England)

    কোথায় হবে ম্যাচ: ভারত এবং ইংল্যান্ডের মধ্য়ে প্রথম একদিনের ম্যাচটি নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হচ্ছে।

    কখন থেকে শুরু হবে ম্যাচ: ওয়ানডে সিরিজের প্রত্যেকটা ম্যাচ বেলা দেড়টা থেকে শুরু হবে। আর ম্যাচ শুরুর ঠিক আধঘণ্টা আগে টস হবে।

    কোথায় দেখবেন ম্যাচ: ভারত বনাম ইংল্যান্ড প্রথম একদিনের ম্যাচের লাইভ টেলিকাস্ট আপনারা স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্কে দেখতে পাবেন। ম্যাচের লাইভ টেলিকাস্ট দেখবেন ডিজনি প্লাস হটস্টারে।

  • AB-PMJAY Scheme: প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় বিপুল সাড়া, প্রকল্পের অধীনে সাড়ে ৮ কোটির বেশি মানুষ

    AB-PMJAY Scheme: প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় বিপুল সাড়া, প্রকল্পের অধীনে সাড়ে ৮ কোটির বেশি মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়ুষ্মান ভারত – প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (AB-PMJAY Scheme) প্রকল্পে বিপুল সাড়া মিলেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা (JP Nadda) মঙ্গলবার রাজ্যসভায় জানান, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আয়ুষ্মান ভারত – প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (AB-PMJAY Scheme) প্রকল্পের অধীনে ৮.৫ কোটির বেশি মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে পাবলিক ও প্রাইভেট দুই সেক্টরই রয়েছে। পাবলিক সেক্টরে ৪.২ কোটি এবং প্রাইভেট সেক্টরে ৪.৩ কোটি মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা নিয়েছেন।

    আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা কী

    ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এই প্রকল্পে বছরে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমার সুযোগ পায় কোনও পরিবার। গত ২৯ অক্টোবর পরিবারের প্রবীণ সদস্যের জন্য আলাদা স্বাস্থ্যবিমার ঘোষণা করেন মোদি। তিনি জানান, কোনও পরিবারে ৭০ বছর কিংবা তার বেশি বয়সি সদস্য আলাদা করে স্বাস্থ্যবিমার সুযোগ পাবেন। তিনিও বছরে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমা পাবেন। এর সঙ্গে ওই পরিবারের স্বাস্থ্যবিমার কোনও সম্পর্ক নেই। প্রবীণ নাগরিকদের আয়ুষ্মান ভায়া বন্দনা কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করা হবে না। দেশের সমস্ত প্রবীণ নাগরিকই এই কার্ড পাবেন।

    কী বললেন নাড্ডা

    সংসদে একটি প্রশ্নের উত্তরে নাড্ডা (JP Nadda) জানান যে, ভারতের ৪০ শতাংশ আর্থিকভাবে দুর্বল জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। তাদের জন্য এই প্রকল্প অমৃত সুধার মতো। সম্প্রতি, এই প্রকল্পে ৭০ বছর বা তার উপরের ৬ কোটি প্রবীণ নাগরিককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি দেশব্যাপী তিন স্তরের মডেলে বাস্তবায়িত হচ্ছে— জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ (এনএইচএ), রাজ্য স্বাস্থ্য সংস্থা (এসএইচএ) এবং জেলা বাস্তবায়ন ইউনিট (ডিআইইউ)। রাজ্য পর্যায়ে প্রকল্পের কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য রাজ্য সরকারগুলি এসএইচএ গঠন করেছে। এই সংস্থা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ করে। এই প্রকল্প এখন ২৫টি রাজ্যে ইউটিতে ট্রাস্ট মোডে, ৭টি রাজ্যে ইউটিতে বিমা মোডে এবং ২টি রাজ্যে হাইব্রিড মোডে বাস্তবায়িত হচ্ছে। নতুন নতুন হাসপাতালকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে।

  • PM Modi: মহাকুম্ভে মোদি, গেরুয়া পোশাকে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্য-ডুব প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: মহাকুম্ভে মোদি, গেরুয়া পোশাকে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্য-ডুব প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে রুদ্রাক্ষের মালা, শরীরে গেরুয়া পোশাক, মহাকুম্ভে এলেন মোদি (PM Modi)। গঙ্গা, যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতী নদীর সঙ্গমে পুণ্যস্নান সারলেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার সকালে মহাকুম্ভে পৌঁছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে বোটে করে সঙ্গমে যান তিনি। দিল্লি ভোটের দিনই প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্নান সেরে সূর্য প্রণাম করে প্রার্থনাও করলেন প্রধানমন্ত্রী (Modi in Maha Kumbh)।

    কেন এদিন স্নান

    মকর সংক্রান্তি, মৌনী অমাবস্যা এবং বসন্ত পঞ্চমীতে ‘অমৃত স্নান’ সেরেছেন অসংখ্য মানুষ। সামনে আসছে মাঘী পূর্ণিমার ‘অমৃত স্নান’-ও। তার পরিবর্তে বুধবার যে প্রধানমন্ত্রী ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান সারলেন, সেটার নেপথ্যে বিশেষ মাহাত্ম্য আছে বলে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, আজ মাঘী অষ্টমী তিথি পড়েছে। মহাভারতের কাহিনী অনুযায়ী, আজকের দিনেই প্রাণত্যাগ করেছিলেন ভীষ্ম। সেজন্যই পুণ্যস্নানের জন্য আজকের দিনটা বেছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও বিরোধীদের দাবি, হিন্দু ধর্মীয় ভাবাবেগে টোকা দিয়ে রাজনৈতিক কার্যসিদ্ধির জন্য দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের দিনই মহাকুম্ভে গেলেন মোদি (PM Modi)। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষের ভিড় হচ্ছে কুম্ভে। তাই ভিড় এড়াতে শাহি স্নানের দিন বাদ দিয়ে একটি বিশেষ দিনকে বেছে নেন প্রধানমন্ত্রী (Modi in Maha Kumbh)। এমনিতে এবার কুম্ভমেলার বিশেষ গুরুত্ব আছে। কারণ ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, ইতিমধ্যে মহাকুম্ভে দেশ ও বিদেশ থেকে ৩৮ কোটি মানুষ এসেছেন। সেরেছেন পুণ্যস্নান। শেষপর্যন্ত পুণ্যার্থীর সংখ্যা ৪০ কোটি পেরিয়ে যাবে বলে দাবি করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

    মোদির সঙ্গী যোগী

    বুধবার সকালে প্রয়াগরাজে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। এরপর স্পিড বোডে করে সঙ্গম স্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মোদির জন্য প্রয়াগরাজে উপচে পরেছে ভক্তদের ঢল। প্রধানমন্ত্রী মোদি (Modi in Maha Kumbh) প্রয়াগরাজে আসেন সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে। ডিপিএস হেলিপ্যাড-এ নামেন তিনি। সকাল ১১টার সময় তিনি নিষাদরাজ ক্রুজে ভিআইপি জেটি থেকে যাত্রা করেন, তাঁর সঙ্গে একই জলযানে দেখা গেল যোগীকে। এরপরই পূর্ব নির্ধারিত সময় মেনেই ত্রিবেণী সঙ্গমে আসেন মোদি।

LinkedIn
Share