Author: pranabjyoti

  • SIR: গর্তে ঢালা হয়েছে কার্বলিক অ্যাসিড! স্বরূপনগরের হাকিমপুর চেকপোস্টে ভিড় অনুপ্রবেশকারীদের

    SIR: গর্তে ঢালা হয়েছে কার্বলিক অ্যাসিড! স্বরূপনগরের হাকিমপুর চেকপোস্টে ভিড় অনুপ্রবেশকারীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে ইলেকশন কমিশন পশ্চিমবঙ্গের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজে নেমেছে৷ দামি ব্লিচিং পাউডার ও ফিনাইল ব্যবহার করা হচ্ছে৷ আর গর্তে দেওয়া হচ্ছে কার্বলিক অ্যাসিড৷ ফলে যেমন সাপ বেরোয়, তেমন এরা রাস্তায় বের হচ্ছে৷” সপ্তাহখানেক আগে ঠিক এই ভাষায়ই এসআইআরের (SIR) প্রতিবাদে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে করা মিছিলকে কটাক্ষ করেছিলেন রাজ্যের (Bangladesh) বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী।

    কাগজ নেই, কবুল করলেন অনুপ্রবেশকারীরা (SIR)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কথা যে নেহাত অমূলক নয়, সেটা মালুম হয় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায়। এই যেমন হাকিমপুর চেকপোস্ট। এখানে লোটা-কম্বল নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ। কারণ মাথায় বোঁচকা, কেউ আবার দাঁড়িয়ে রয়েছেন বড় বড় ট্রলি ব্যাগ নিয়ে। মাথায়-হাতে-কাঁধে থাকা ব্যাগে ভর্তি গেরস্থালির জিনিসপত্র। সেই সব বোঝা নিয়েই ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন, কখন সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছবেন তাঁরা, সেই অপেক্ষায়। সীমান্তে অপেক্ষারত এই অনুপ্রবেশকারীদের কাছ থেকেই জানা গিয়েছে, এসআইআরের ভয়ে ভারত ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা। এঁদের অনেকেই কবুল করলেন, কোনও কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে বসবাস করছিলেন তাঁরা। রুটি-রুজির জন্যই স্বদেশ ছেড়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পড়শি দেশে ঠাঁই নিয়েছিলেন। সেখানেও এসআইআর শুরু হওয়ায় ভয়ে ফের প্রাণ হাতে করে বাংলাদেশে ফিরতে প্রতীক্ষার প্রহর গুণছেন তাঁরা।

    এসআইআর জুজু!

    দেশজুড়ে চালু হয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়া। এসআইআরের মাধ্যমে ভোটার লিস্ট ঝাড়াই-বাছাই করার পর হয়েছে বিহার বিধানসভার নির্বাচন। বস্তুত, বিহারেই প্রথম শুরু হয় এসআইআর। এই এসআইআর চালু হতেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে এসেছে বিড়াল। বাদ গিয়েছে বহু ভুয়ো এবং মৃত ভোটারের নাম। বিহারের পর এসআইআর চালু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২টি রাজ্যে। তার পরেই দলে দলে ভারত ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে যাচ্ছেন অনুপ্রবেশকারীরা। হাকিমপুর চেকপোস্টেই সীমান্ত পার হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন ৩০০-এরও বেশি অনুপ্রবেশকারী। তাঁদের আটকেছেন ১৪৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। তাঁদের কাছে কী কী বৈধ কাগজপত্র রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। নিজের দেশেই যে এত অনুপ্রবেশকারী এসে তাঁদের রুটি-রুজিতে ভাগ বসিয়েছিলেন, তা দেখে অবাক স্বরূপনগরের বাসিন্দারাও (SIR)।

    কী বলছেন অনুপ্রবেশকারীরা

    বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন সাবিনা পারভিনও। পোঁটলা-পুঁটলি নিয়ে তিনিও ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন সীমান্তে, বাংলাদেশে ফেরার অপেক্ষায়। সাবিনা যে ভারতে বেআইনিভাবে বসবাস করছিলেন (Bangladesh), মুক্ত কণ্ঠে তা কবুলও করলেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে বাড়ি। থাকতাম বিরাটিতে। আমার কাছে কাগজপত্র নেই, অবৈধভাবেই থাকতাম।” এই লাইনেই দাঁড়িয়ে থাকা আরও এক মহিলা বলেন, “চিনারপার্কে থাকতাম। আমার কাছে আধার কার্ড নেই। পেটের দায়ে এসেছিলাম এদেশে। লোকের বাড়ি বাড়ি কাজ করে কিছু রোজগার হত।” অবশ্য এই প্রথম নয়, এসআইআর ঘোষণা হয়েছে গত মাসের একেবারে শেষের দিকে। তারপর থেকে কার্যত হিড়িক পড়েছে বাংলাদেশে ফেরার। ২ নভেম্বর ধরা পড়েছিলেন ১১ জন অনুপ্রবেশকারী। তার পরের দিনই ৪৫ জনকে ধরে ফেলে বিএসএফ। ৪ নভেম্বর ধরা হয় আরও ৩৮ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে। ১০ তারিখে গ্রেফতার করা হয় ১০ জন অনুপ্রবেশকারীকে (SIR)।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এগুলি নমুনা মাত্র। প্রায় প্রতিদিনই সীমান্ত পেরিয়ে ওপারে পালানোর চেষ্টা করার সময় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আটক করা হচ্ছে ভারতে বসবাস করা অবৈধ বাংলাদেশিদের। এসআইআর চালু হতেই তাঁরা সকলে তল্পিতল্পা গুটিয়ে দেশে পালানোর চেষ্টা করছে। কেউ কেউ সীমান্তে প্রহরারত জওয়ানদের (Bangladesh) চোখ ফাঁকি দিয়ে পদ্মা পার হয়ে গেলেও, অনেকেই ধরা পড়ছে বিএসএফের জালে (SIR)।

    আসলে গর্তে যে ঢালা হয়েছে কার্বলিক অ্যাসিড!

     

  • Sukanta Majumdar: “তৃণমূল এখন লক্ষ্মীদের নারায়ণছাড়া করে দিয়েছে, আমরা তাঁদের ফেরাব”, বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “তৃণমূল এখন লক্ষ্মীদের নারায়ণছাড়া করে দিয়েছে, আমরা তাঁদের ফেরাব”, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ক্ষমতায় এলে বিজেপি (BJP) শুধু লক্ষ্মীদের কথাই ভাববে না, নারায়ণদের জন্যও ব্যবস্থা করবে।” মালদায় এমন মন্তব্যই করেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “বিহার নির্বাচনে সংখ্যালঘু মহিলাদের ভোট গিয়েছে বিজেপির দিকে। এই রাজ্যেও তার ব্যতিক্রম হবে না।”

    অন্নপূর্ণা ভাণ্ডারে মিলবে বেশি টাকা (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত বলেন, “বাংলার মা-বোনেদের আমরা আশ্বস্ত করছি, বিজেপির ভয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর অর্থ সচিবকে বলেছেন, তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে হাজার টাকা করে বাড়াতে চান। আমার কাছে খবর, রাজ্যের আর্থিক স্বাস্থ্য ভালো নয়। ২০২৫ সালে প্রায় আট লাখ কোটি টাকা ঋণ হয়ে যাবে। যার মানে হল, প্রত্যেকের মাথার ওপর এখন ৭০ হাজার টাকার করে দেনা রয়েছে। এত ঋণ নিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে অত টাকা বাড়ানো সম্ভব নয়। তবে কিছু টাকা বাড়ানো হবে।” তিনি বলেন, “বিজেপির একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে আমি রাজ্যের মহিলাদের আশ্বস্ত করছি যে তৃণমূল যা ঘোষণা করবে, আমরা তার থেকে অন্তত ৫০ টাকা বেশি দেব অন্নপূর্ণা ভাণ্ডারে। শুধু তাই নয়, লক্ষ্মীর সঙ্গে আমরা নারায়ণদের জন্যও ব্যবস্থা করব। তৃণমূল এখন লক্ষ্মীদের নারায়ণছাড়া করে দিয়েছে। লক্ষ্মী এখন গ্রামে, আর নারায়ণদের কেউ গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, বেঙ্গালুরুতে।” সুকান্ত বলেন, “বিহারে যেভাবে জীবিকা দিদি করা হয়েছে, মহিলাদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে, এখানেও সেটা করা হবে। যাতে তাঁর পরিবারকে তাঁকে ছেড়ে যেতে না হয়।”

    উগ্রপন্থীদের মদতদাতা তৃণমূল!

    এদিন পুরাতন মালদার একটি হোটেলে চারটি সাংগঠনিক জেলার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সাংগঠনিক বৈঠক করেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা সুনীল বনসল। সুকান্ত (Sukanta Majumdar) ছাড়াও ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু-সহ দলীয় বিধায়করা। অংশ নিয়েছিলেন উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের দলীয় নেতৃত্বও। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দলের রূপরেখা তৈরি করতেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল বলে বিজেপি সূত্রে খবর। এই বৈঠকের আগেই সাংবাদিক সম্মেলন (BJP) করেন সুকান্ত। বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শুক্রবারই (বিহার নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন) বলে দিয়েছেন, যেভাবে মা গঙ্গা বিহার হয়ে বাংলায় এসেছেন, ঠিক সেভাবেই বিজেপির জয়যাত্রাও বিহার হয়ে বাংলায় ঢুকবে। তার জন্য ইতিমধ্যেই দলের নেতা-কর্মীরা প্রত্যেকে ময়দানে নেমে পড়ছেন। উগ্রপন্থীদের মদতদাতা তৃণমূলকে উপড়ে ফেলতে কোমর বেঁধে তৈরি হয়ে রয়েছেন তাঁরা।”

    ওরা বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে

    বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, “রাজ্যের দিকে দিকে বিজেপির ওপর হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। ডায়মন্ড হারবারের মতো জায়গায় বিজেপির লোকজন আক্রান্ত হচ্ছে। এ থেকেই প্রমাণিত, এরা বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে। ডায়মন্ড হারবারের মতো লোকসভা কেন্দ্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চুরি করে ৭ লাখ ভোটে জিতেছিলেন, সেখানে যদি বিজেপি কর্মীদের মারতে হয়, তাহলে বোঝাই যায় বিজেপির দম আছে (Sukanta Majumdar)।” তিনি বলেন, “আমরা প্রতিটি রক্তবিন্দুর হিসেব নিয়ে নেব। বাংলায় ইতিমধ্যেই হিন্দুরা এককাট্টা হয়ে গিয়েছে। গত বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে তার প্রমাণ মিলেছে। হিন্দুরা বুঝতে পেরেছে, যদি বিজেপি ক্ষমতায় না আসে, তবে তাদের জন্য এই বঙ্গভূমি আগামীতে বধ্যভূমিতে পরিণত হবে।”

    সর্বধর্ম সমভাবের নীতি

    সুকান্ত (BJP) বলেন, “আমরা সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরুর তত্ত্বে বিশ্বাস করি না। আমাদের চোখে প্রত্যেকে বাঙালি। প্রত্যেকে ভারতবর্ষের নাগরিক, ভারত মায়ের সন্তান। আমরা সর্বধর্ম সমভাবে নীতি নিয়ে চলি। এটা আমাদের পঞ্চনিষ্ঠা।” তিনি বলেন, “বিজেপি উন্নয়নে বিশ্বাস করে। বিহারে সংখ্যালঘু মহিলারাও বিজেপি এবং এনডিএ জোটকে ভোট দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস, আগামীতে মুসলিম সমাজও বুঝতে পারবে, তাদের কেন বছরের পর বছর কোনও উন্নয়ন হয়নি। কেন তাঁদের মধ্যে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়র আতশকাচ দিয়ে খুঁজতে হয়? তাঁরাও তো বাঙালি! আমাদের যা বুদ্ধিমত্তা, তাঁদেরও তো তাই। শিক্ষার কেন অভাব? স্বাস্থ্যের কেন অভাব? কেন মেয়েদের ওপর অত্যাচার হয়, হিংসার ঘটনা ঘটে (Sukanta Majumdar)? এর মূল কারণ স্বাধীনতার পর থেকে তাঁদের প্রত্যেকে মুসলমান হিসেবেই দেখে এসেছে, কেউ মানুষ হিসেবে দেখেনি। বিজেপি তাঁদের মানুষ হিসেবে দেখতে চায়।”

    উগ্রপন্থীদের আখড়া

    দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণকাণ্ডে উত্তর দিনাজপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক চিকিৎসককে। সে প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়ার বেশ কিছু অংশ এবং বীরভূম এখন উগ্রপন্থীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এখনই পাড়ায় পাড়ায় উগ্রপন্থী তৈরি হয়ে গিয়েছে। এরাজ্যে এখন দুয়ারে উগ্রপন্থী প্রকল্প চালু হয়েছে (BJP)। এখন দিল্লিতে ফাটাচ্ছে, দু’দিন পরে রাজ্যবাসীর বাড়ির সামনে বোমা ফাটবে (Sukanta Majumdar)।”

  • Hindus Under Attack: ঘরে-বাইরে অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখুন এ সপ্তাহের ছবি

    Hindus Under Attack: ঘরে-বাইরে অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখুন এ সপ্তাহের ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত, বাংলাদেশ এবং বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে এখনও চলছে হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণ (Hindus Under Attack)। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই নিপীড়ন ধীরে ধীরে এক ধরনের গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে তামাম বিশ্ব এই আক্রমণগুলির গভীরতা ও ব্যাপ্তি উপেক্ষা করেছে (Roundup Week)। কারণ এর পেছনে রয়েছে ভয়াবহ হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মানসিকতা। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, ধর্মীয় উৎসবের ওপর আক্রমণ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুরা এখন তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও অভূতপূর্ব হিন্দু-বিদ্বেষের মুখোমুখি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, গত ৯ নভেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত কী কী ঘটনা ঘটেছে দেশ-বিদেশে।

    ভারতের ছবি (Hindus Under Attack)

    এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক ভারতের ছবিটা। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে জাতীয় সঙ্গীত বন্দে মাতরমের পরিবর্তন করার অভিযোগে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি। পদ্ম-পার্টির মুখপাত্র সিআর কেশবনের অভিযোগ, কংগ্রেস ইচ্ছাকৃতভাবে জাতীয় সঙ্গীত বন্দে মাতরমের পরিবর্তন করেছিল। তিনি দাবি করেন, ১৯৩৭ সালে জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে বাদ দেওয়া হয়েছিল ওই সঙ্গীতে থাকা দেবী দুর্গার প্রশংসাসূচক স্তবকগুলি। গুজরাটের গির সোমনাথে দরগা ভাঙার সময় নারী ও শিশু-সহ একদল মুসলিম জনতা আধিকারিকদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে। ওই দরগাটি অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। এই হিংসার ঘটনায় প্রায় ১০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।এদিকে, জনপ্রতিনিধি, হিন্দু সংগঠন এবং সমাজের অন্যান্য স্তরের ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে রামগুণ্ডম পুরসভা কর্তৃপক্ষ ভাঙা দাড়ি মাইসাম্মা মন্দিরগুলি পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। সম্প্রতি আধিকারিকরা গোদাবরিখানি শহরের বিভিন্ন সড়কে অবস্থিত ৪৬টি মাইসাম্মা মন্দির সরিয়ে দিয়েছিলেন (Hindus Under Attack)।

    বাংলাদেশের ছবি

    এবার তাকানো যাক পড়শি বাংলাদেশের দিকে। সেখানে হিন্দুদের ওপর অব্যাহত হামলা। হামলাকারীদের উদ্দেশ্যই হল, ধীরে ধীরে এই ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে দেশ থেকে নির্মূল করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বরকতের গবেষণা অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত নির্যাতন ও নিপীড়নের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে আর কোনও হিন্দুই অবশিষ্ট থাকবে না। তাঁর মেত, মন্দির ভাঙচুর, জমি দখল, মিথ্যা ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ তুলে হামলা, ধর্ষণ বা জোর করে ধর্মান্তর, এবং ঘৃণাসূচক বক্তব্য এসবই হামলাকারীরা ব্যবহার করছে হিন্দুদের ভয় দেখিয়ে দেশছাড়া করার হাতিয়ার হিসেবে (Roundup Week)। দিন কয়েক আগে বরগুনার আমতলিতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন এক সংখ্যালঘু নারী। দুটি পৃথক ঘটনায় গণধর্ষণ করা হয় তাঁকে। সম্প্রতি বাড়িতে ফিরে এসেছেন তিনি। উপজেলা এক্সিকিউটিভ আধিকারিক (ইউএনও), পুলিশের ওসি এবং জেলা ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করে এসেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, পরিবারটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে (Hindus Under Attack)।

    কিশোরী অপহৃত

    বছর সতেরোর এক সংখ্যালঘু কিশোরীকে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় বাকেরগঞ্জ উপজেলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ওই কিশোরীর পরিবার মামলা দায়ের করেছে। প্রশাসনের কাছেও আবেদন-নিবেদন করেছে একাধিকবার। তার পর সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মেয়েটিকে উদ্ধার করতে পারেনি। গ্রেফতার করা হয়নি কোনও অভিযুক্তকেই। পুলিশ-প্রশাসনের এই নিষ্ক্রিয়তায় ব্যাপক উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে সংখ্যালঘুদের মধ্যে। জানা গিয়েছে, অপহৃত হওয়ার দিন ওই কিশোরী তার মায়ের সঙ্গে কলেজে যাচ্ছিল। মহম্মদ সান মাঝি ও তার সহযোগীরা তাদের পথরোধ করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা জোর করে ওই কিশোরীকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে পালায়। তার মা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেও, ব্যর্থ হন (Hindus Under Attack)।

    প্রতিবাদ মিছিলের

    এদিকে, ভগবান বিষ্ণু সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি গাভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেন বিশ্বের কয়েকটি দেশে বসবাসরত ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা। সেপ্টেম্বর মাসে মধ্যপ্রদেশের জাওরি মন্দিরে সাত ফুট উচ্চতার মূর্তি পুনঃস্থাপনের আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। প্রধান বিচারপতি তাঁকে ভর্ৎসনা করেন। তিনি আবেদনকারীকে বলেন, এরকম আবেদন করার পরিবর্তে শ্রী হরিমুখে বিষ্ণুর প্রার্থনা করতে (Roundup Week)।

    প্রসঙ্গত, বেশিরভাগ ঘৃণাজনিত অপরাধের মূল কারণ হল নির্দিষ্ট কিছু ধর্মীয় শিক্ষা ও রাজনৈতিক মতাদর্শে নিহিত হিন্দুবিরোধী বিদ্বেষ। ইসলামি দেশগুলিতে হিন্দুবিদ্বেষ প্রকাশ্যে হলেও, ভারতের মতো তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির প্রতিষ্ঠান এবং গণপরিসরের মধ্যেও একটি সূক্ষ্ম হিন্দুবিরোধী মনোভাব বর্তমান, যা উৎসাহিত করে হিন্দুফোবিয়া ও ঘৃণাজনিত অপরাধকে। তার জেরেই ঘটতে থাকে একের পর এক হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা (Hindus Under Attack)।

  • Bihar Cabinet: বিহারে মুখ্যমন্ত্রী পদে ফের নীতীশই, বিজেপির মন্ত্রী হতে পারেন ১৬ জন

    Bihar Cabinet: বিহারে মুখ্যমন্ত্রী পদে ফের নীতীশই, বিজেপির মন্ত্রী হতে পারেন ১৬ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে হইহই করে জিতে গিয়েছে বিজেপি (Bihar Cabinet) নেতৃত্বাধীন এনডিএ (NDA)। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বিজেপি। তাই প্রত্যাশিতভাবেই এবার বিহার মন্ত্রিসভায় আরও বেশি প্রতিনিধিত্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বিজেপির। যদিও মুখ্যমন্ত্রী থাকছেন জনতা দল ইউনাইটেড সুপ্রিমো নীতীশ কুমারই। রবিবার এমনই খবর মিলেছে বিজেপি সূত্রে। এদিন বিহার বিধানসভার ফল নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন এনডিএ নেতারা। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    মন্ত্রিসভায় বিজেপির ১৬ (Bihar Cabinet)

    এই বৈঠকেই গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিজেপি থেকে এবার বিহার মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে চলেছেন ১৫-১৬ জন। আর নীতীশের দল থেকে মন্ত্রী হতে পারেন ১৪ জন। সূত্রের খবর, ছ’জন বিধায়ক পিছু একটি করে মন্ত্রিত্বের পদ দেওয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে এদিনের বৈঠকে। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হতে পারে চলতি মাসের ১৯ বা ২০ তারিখে। মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে চলেছেন এনডিএর শরিক দল লোকজন শক্তি (রাম বিলাস)-ও। তারা পেয়েছে ১৯টি আসন। জিতন রাম মাঝির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (সেক্যুলার) পেয়েছে পাঁচটি আসন। উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা জয়ী হয়েছে চারটি কেন্দ্রে। মন্ত্রিসভায় তারা প্রত্যেকে একটি করে পদ পেতে পারে।

    বিপুল জয় এনডিএর

    বিহার বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪৩টি। নির্বাচন হয় দু’দফায়। ফল ঘোষণা হয় শুক্রবার। ২০২টি আসনে জয়ী হয়েছে এনডিএ। বিজেপির সাফল্যের হার প্রায় ৯৫ শতাংশ। একক বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে পদ্ম-পার্টি (Bihar Cabinet)। মহাগঠবন্ধন, যার মূল ভিত্তি হল আরজেডি, কংগ্রেস এবং তিনটি বামপন্থী দল ৩৫টির ঘর পার করেছে। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টি ২৩৮টি আসনে লড়াই করেও, খালি হাতে ফিরেছে। অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (এআইএমআইএম) পাঁচটি আসনে জিতেছে।

    বিরোধী জোটের এই লজ্জাজনক হারের পর কংগ্রেস নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। দায়ী করেছে তড়িঘড়ি (NDA) করে করা এসআইআরকে। যদিও বিজেপির দাবি, এনডিএ জমানায় বিহারবাসীকে যে সুশাসন উপহার দেওয়া হয়েছিল, তারই সুফল মিলেছে (Bihar Cabinet)।

  • Pakistan: ফের বালুচিস্তান থেকে লোপাট হয়ে যাচ্ছেন আস্ত মানুষ, প্রতিবাদ

    Pakistan: ফের বালুচিস্তান থেকে লোপাট হয়ে যাচ্ছেন আস্ত মানুষ, প্রতিবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বালুচিস্তান (Balochistan) থেকে লোপাট হয়ে যাচ্ছেন আস্ত মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, পাকিস্তানের (Pakistan) নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তার পর থেকে আর খোঁজ মিলছে না তাঁদের। ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন স্থানীয়রা। জোরালো হচ্ছে প্রিয়জনদের ফিরে পাওয়ার দাবিও।

    নিখোঁজ একই পরিবারের ২ (Pakistan)

    ‘দ্য বালুচিস্তান পোস্টে’র একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কেচ জেলার বুলেদা তহসিলের মেনাজ এলাকায় এক বাড়িতে গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে দুই ভাইকে আটক করে নিয়ে গিয়েছিল। তার পর আর খোঁজ মেলেনি তাঁদের। নিখোঁজ দু’জনের একজন জহির, অন্যজন ওয়াসিম। তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দা রহিম জানের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, তাঁরা দু’জনেই পেশায় কৃষক, কোনও ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁদের পরিবার অবিলম্বে ওই দুই ভাইয়ের মুক্তির দাবি জানিয়েছে। আর একটি ঘটনায়, পাক সেনাবাহিনী ব্রাহুই ভাষার কবি আতা অঞ্জুমকে মাস্তুংয়ে তাঁর বাসভবন থেকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তাঁরও খোঁজ মিলছে না। বালুচ নিখোঁজ ব্যক্তিদের সংগঠন ভয়েস ফর বালুচ মিসিং পারসন্স ঘটনাটিকে সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে (Pakistan)।

    নিখোঁজ চাঙ্গেজ ইমামও

    তুরবতেও ঘটেছে আরও একটি ঘটনা। সেখানে গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন চাঙ্গেজ ইমাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি তুরবত কেন্দ্রীয় কারাগারের ওয়ার্ডার। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, ১১ নভেম্বর দুপুর ১টার দিকে তুরবতে নিজের বাড়ি থেকে কাজে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলেন তিনি। আর ফিরে আসেননি। তাঁর মোটরসাইকেলটিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনার প্রতিবাদে পুরো প্রদেশে অব্যাহত প্রতিবাদ। খুজদারে ৫ নভেম্বর নাল এলাকা থেকেও অপহৃত হন একজন। হুজাইফা গফ্ফার নামের ওই ব্যক্তির স্বজনরা বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে নাল সিপেক রোড অবরোধ করেন। প্রতিবাদকারীরা তাঁর নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের দাবি জানান। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেয় বালুচ ইয়কজেহতি কমিটি।

    ইউনিয়ন কাউন্সিল কিল্লি কোচা বুলেদার ভাইস চেয়ারম্যান পাজির নাসির প্লিজাই ৮ নভেম্বর দ্বিতীয়বারের (Balochistan) মতো নিখোঁজ হন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি আটক করা হয়েছিল তাঁকে। কয়েক মাসের আন্দোলনের পর মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। ফের নিখোঁজ হয়েছেন তিনি। ঘটনার প্রতিবাদে অবস্থান ধর্মঘট করে হক দো তেহরিক বালুচিস্তান (Pakistan)।

  • BBC: ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইল বিবিসি, তার পরেও আদালতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট!

    BBC: ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইল বিবিসি, তার পরেও আদালতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) কাছে ক্ষমা চাইল বিবিসি (BBC)। এই সংবাদ সংস্থার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তার পরেই ক্ষমা চেয়ে নেন বিবিসি কর্তৃপক্ষ। অবশ্য ভুল স্বীকার করে নিলেও, ট্রাম্পকে ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করেছে বিবিসি। ব্রিটিশ এই সংবাদ সংস্থার দাবি, এই মানহানি মামলার কোনও ভিত্তি নেই। ট্রাম্প প্রশাসনকে লেখা একটি চিঠিতে সংস্থার তরফে চেয়ারম্যান সামির শাহ লিখেছেন, “সেই ভুল সিদ্ধান্তের জন্য বিবিসি ক্ষমাপ্রার্থী।” তাঁর দাবি, সংস্থাটি সাংবাদিকতা, ন্যায়পরায়ণতা এবং নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত।

    মানহানি মামলার হুঁশিয়ারি (BBC)

    ১৩ নভেম্বর বিবিসি তাদের কারেকশন অ্যান্ড ক্ল্যারিফিকেশন বিভাগে জানিয়েছে, প্যানোরামা অনুষ্ঠানটি সমালোচনার পর ফের পরীক্ষা করা হয়েছে। কারণ এতে ট্রাম্পের বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হয়েছিল। বিবিসির তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে,  “আমরা স্বীকার করি যে আমাদের সম্পাদনা অনিচ্ছাকৃতভাবে এমন ধারণা তৈরি করেছে যে আমরা বক্তৃতার একটি একটানা অংশ দেখাচ্ছি, অথচ বাস্তবে তা ছিল বক্তৃতার বিভিন্ন অংশ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতি। এর ফলে ভুল ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরাসরি হিংসাত্মক কাজের আহ্বান জানিয়েছিলেন।” বিবিসির তরফে ক্ষমা চাওয়ার কারণ ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, তিনি এক মিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা করবেন।

    ‘ফাইট লাইক হেল’

    প্রসঙ্গত, প্যানোরামায় ট্রাম্পের ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের বক্তৃতার বিভিন্ন অংশ জোড়া দিয়ে এমনভাবে দেখানো হয়েছিল যেন তিনি (Donald Trump) তাঁর সমর্থকদের ‘ফাইট লাইক হেল’ এবং তাঁর সঙ্গে ক্যাপিটল ভবনের দিকে মিছিল করতে উৎসাহিত করছেন (BBC)। ওই অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমরা ক্যাপিটল ভবনের দিকে হাঁটব…আমি তোমাদের সঙ্গে থাকব। এবং আমরা লড়ব। আমরা ভীষণভাবে লড়ব।” এর পরেই ট্রাম্পের হুমকি এবং তার পর বিবিসি কর্তৃপক্ষের তরফে ক্ষমা চাওয়া হয়। ব্রিটিশ এই সংবাদ সংস্থা এও স্বীকার করেছে যে, প্যানোরামার অনুষ্ঠানটি এমন ভুল ধারণা দিয়েছিল যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরাসরি হিংসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আর কখনওই ওই অনুষ্ঠানটি প্রচার করা হবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছে বিবিসি।

    ক্যাপিটল হিলে হামলা

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর হামলা হয় ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে। অভিযোগ, সেখানে হামলা চালিয়েছিল উত্তেজিত জনতা। যদিও অভিযোগের আঙুল উঠেছিল ওই নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী তথা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে। বিবিসির তরফে ট্রাম্পকে নিয়ে যে তথ্যচিত্র সম্প্রচার করা হয়, তাতে ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় ট্রাম্পকে কার্যত কাঠগড়ায় তোলা হয় বলে অভিযোগ (BBC)। নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প যেসব বক্তৃতা দিয়েছিলেন (Donald Trump), সেগুলি এমনভাবে সম্পাদনা করা হয়েছিল, যাতে মনে হয় ওই হামলায় প্রত্যক্ষভাবে উসকানি দিয়েছিলেন তিনি। আর এখানেই আপত্তি হোয়াইট হাউসের। প্রেস সচিবের দাবি, এভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করা হয়েছে।

    প্রবল বিতর্ক

    বিবিসির ওই অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হতেই শুরু হয় প্রবল বিতর্ক। ঘটনার দায় ঘাড়ে নিয়ে সপ্তাহের প্রথমেই ইস্তফা দেন সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টিম ডেভি ও খবর সম্প্রচার বিভাগের প্রধান ডেবোনার টারনেস। পরে ওয়াশিংটনের চাপে পড়ে দফায় দফায় ক্ষমাও চেয়েছে ব্রিটিশ এই সংবাদ সংস্থা। যদিও তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, মানহানির জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণের শর্ত মানতে রাজি নয়।

    কী বললেন ট্রাম্প

    এর পরেই ট্রাম্প জানিয়ে দেন মামলা করার কথা (Donald Trump)। তিনি বলেন, “আমরা ১ বিলিয়ন থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারের মামলা করব। সম্ভবত আগামী সপ্তাহের কোনও এক সময়। আমার মনে হয়, আমাকে এটা করতেই হবে। ওরা প্রতারণা করেছে, সেটা মেনে নিয়েও নিয়েছে। আমার মুখ থেকে বের হওয়া কথাগুলি বদলে দিয়েছে। ভুয়ো খবর কথাটা দারুন চালু। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা যথেষ্ট নয়। এটি তো ভুয়োর চেয়েও বেশি, এটি দুর্নীতি বিষয়ক। ওরা প্রায় এক ঘণ্টার ব্যবধানে বক্তৃতার দু’টি অংশ এক সঙ্গে কেটে নিয়েছিল। একটায় আমাকে খারাপ লোক বানিয়ে দিচ্ছিল, আর অন্যটা ছিল অত্যন্ত শান্ত একটি বক্তব্য।” ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আপনি ভাবতে পারেন, বিবিসি ভুয়ো খবর প্রচার করে! এই ঘটনায় ব্রিটেনের মানুষও খুব রেগে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “এই কেলেঙ্কারিতে স্যার কিয়ার স্টারমার খুবই লজ্জিত। এ নিয়ে আমি কথা বলব তাঁর সঙ্গে (BBC)।” ট্রাম্প বলেন, “তারা (বিবিসি) আমায় একটি সুন্দর চিঠি লিখেছে। বলেছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। কিন্তু আপনি যদি বলেন এটি অনিচ্ছাকৃত, তবে আমি মনে করি অনিচ্ছাকৃত হলে ক্ষমা করতে হয় না।”

  • Digital Data: ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন আইন রূপায়ণে বড়সড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    Digital Data: ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন আইন রূপায়ণে বড়সড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিপিডিপি (ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন) অ্যাক্ট (Digital Data) বাস্তবায়নের পথে বড়সড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই আইনের চূড়ান্ত নিয়মাবলী প্রকাশ (Protection Law) করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। এর ফলে ভারতের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল প্রাইভেসি কাঠামোর আনুষ্ঠানিক সূচনা হল।

    নয়া আইন (Digital Data)

    নয়া আইন চালু হওয়ায় এখন থেকে কোনও সংস্থা, সরকারি দফতর এবং ডিজিটাল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি কীভাবে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং তা প্রসেস করবে, তা নিয়ে বহুদিনের অনিশ্চয়তার অবসান ঘটল। শুধু তাই নয়, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলির ১৮ বছরের নীচের কাউকে প্ল্যাটফর্মে অন্তর্ভুক্ত করার আগে সম্মতি নিতে হবে তাঁদের বাবা-মায়ের। সরকার অবশেষে ২০২৩ সালের অগাস্টে সংসদে পাস হওয়া ডিপিডিপি আইনের কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে।

    সম্মতিভিত্তিক কাঠামো

    জানা গিয়েছে, বহু প্রতীক্ষিত এই নিয়মগুলি একটি সম্মতিভিত্তিক কাঠামো নিশ্চিত করবে, যা সোশ্যাল মিডিয়া, ই-কমার্স, গেমিং, ব্যাংকিং, পেমেন্ট এবং সরকারি সেবা ব্যবহারের জন্য অনলাইনে যাওয়া ইউজারদের ডেটা সুরক্ষিত রাখবে। আইন ভাঙলে কোম্পানি ও সংস্থাগুলিকে জরিমানার সম্মুখীন হতে হবে। গুরুতর ডেটা সুরক্ষা ব্যর্থতা ও লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫০ কোটি টাকার শাস্তি পর্যন্ত হতে পারে। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, কোনও তথ্য চুরি হলে কোম্পানিগুলিকে তা দ্রুত জানাতে হবে ইউজার এবং নয়া ডেটা প্রোটেকশন বোর্ডকে। তবে এই নিয়মগুলি ধাপে ধাপে কার্যকর করা হবে। বড় ধরনের ব্যাক-এন্ড পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করেই সরকার কোম্পানিগুলিকে সময় দিয়েছে ১৮ মাস (Digital Data)।

    ইউজারদের জানাতে হবে

    সরকার জানিয়েছে, কোনও তথ্য চুরি হলে তা অবিলম্বে ইউজারদের জানাতে হবে সহজ ভাষায়, যাতে চুরির ধরন ও সম্ভাব্য পরিণতি, সমস্যা সমাধানে নেওয়া পদক্ষেপ, (Protection Law) এবং সহায়তার জন্য যোগাযোগের বিবরণ  স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা থাকে। সরকার আরও জানিয়েছে, এই আইন সাতটি মূল নীতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এই নীতিগুলি হল সম্মতি ও স্বচ্ছতা, উদ্দেশ্য-সীমাবদ্ধতা, ডেটা-সংযম, যথার্থতা, সংরক্ষণসীমা, নিরাপত্তা সুরক্ষা, এবং জবাবদিহি।

    উদারনীতির জন্য লবিং

    শিশুদের অনলাইন ডেটা সম্পর্কিত বিষয়ে, যেখানে বিগ টেক এবং অন্যান্য বড় কোম্পানিগুলি উদারনীতির জন্য লবিং করে আসছিল, সেখানে নতুন আইন বাধ্যতামূলক করেছে যে ব্যক্তিগত ডেটা প্রক্রিয়াকরণের আগে কোম্পানিগুলিকে অবশ্যই যাচাইযোগ্য সম্মতি জোগাড় করতে হবে। তবে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং রিয়েল-টাইম নিরাপত্তা—এ ধরনের অত্যাবশ্যক উদ্দেশ্যে কিছু সীমিত ছাড় দেওয়া হয়েছে। যেসব প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সহায়তা পাওয়ার পরেও আইনানুগ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে সম্মতি অবশ্যই আইনানুগ অভিভাবকের কাছ থেকে নিতে হবে। শিশুর ব্যক্তিগত ডেটা প্রক্রিয়াকরণের জন্য যাচাইযোগ্য পারিবারিক/অভিভাবকের সম্মতি পেতে, কোম্পানিগুলিকে উপযুক্ত প্রযুক্তিগত ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে (Digital Data)।

    ডেটা ফিডিউশিয়ারি

    নয়া নিয়মে স্পষ্টভাবে ডেটা ফিডিউশিয়ারি সম্পর্কে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারিত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি নানা নাগরিক অধিকারও নিশ্চিত করা হয়েছে। কোন তথ্য কী উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হবে, সেই বিষয়ে সম্মতি দেওয়া (Protection Law), তা প্রত্যাহার করা কিংবা সেই তথ্য কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা পর্যালোচনা করার অধিকার দেওয়া হয়েছে নাগরিকদের। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সম্মতি নেওয়া, নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে তথ্য ব্যবহার এবং অভিযোগ নিষ্পত্তির মতো মূল বাধ্যবাধকতাগুলি আইন প্রণয়নের সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর হয়েছে (Digital Data)।

  • Bihar Poll Victory: দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বরখাস্ত করা হল বিহারের দুই বিজেপি নেতাকে

    Bihar Poll Victory: দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বরখাস্ত করা হল বিহারের দুই বিজেপি নেতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরের দিন শনিবারই বিজেপি (Bihar Poll Victory) থেকে বহিষ্কার করা হল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরকে সিংকে (BJP)। বরখাস্ত করা হয়েছে বিজেপিরই এমএলসি অশোক আগরওয়ালকেও। শুক্রবারই প্রকাশিত হয় বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল। ৮৯টি আসন জিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বিজেপি। তার পর শনিবারই শাস্তির খাঁড়া নেমে এল দলের দুই নেতার ওপর।

    সাসপেনশান লেটার (Bihar Poll Victory)

    আরকে সিংকে সম্বোধন করে সাসপেনশান লেটারে লেখা হয়েছে, “আপনার কার্যকলাপ দলের বিরুদ্ধে। এটি দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের আওতায় পড়ে। দল এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং এটি দলের ক্ষতি করেছে।” চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, “অতএব, নির্দেশ অনুসারে আপনাকে দল থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে এবং কেন আপনাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না, তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হচ্ছে। এই চিঠি পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে আপনাকে আপনার অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।” বিজেপি সূত্রে খবর, সিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অন্যতম একটি কারণ হল, সাম্প্রতিক বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ। প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁর নিজের দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন (Bihar Poll Victory)।

    দল বিরোধী কাজের অভিযোগ

    বিহার বিধানসভার নির্বাচন হয় চলতি মাসের ৬ এবং ১১ তারিখে। এর আগে অক্টোবর মাসে ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করে ভোটারদের অপরাধমূলক ব্যাকগ্রাউন্ড থাকা নেতাদের ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এর মধ্যে জেডিইউয়ের অনন্ত সিং এবং বিজেপির সম্রাট চৌধুরীর মতো বেশ কয়েকজন এনডিএ প্রার্থীও ছিলেন। সম্রাট বিহারের বিদায়ী মন্ত্রিসভায় উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।আরকে সিংদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দলবিরোধী মন্তব্য ও আচরণের জেরে বারবার ক্ষতি হয়েছে দলের। কাটিহারের মেয়র ঊষা আগরওয়ালকেও এই কারণে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিহার বিজেপির প্রধান অরবিন্দ শর্মা এদিন সকালে ওই তিন নেতার কাছে শোকজ-সহ বরখাস্তের নোটিশ পাঠান। সেখানে সাফ জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে (BJP) তাঁদের আচরণে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত করেছে সংগঠনের ভাবমূর্তিরও (Bihar Poll Victory)।

  • Bihar Election: শাহি পরিকল্পনাতেই কিস্তিমাত বিহারে! স্রেফ দাঁড়িয়ে গোল খেলেন বিরোধীরা

    Bihar Election: শাহি পরিকল্পনাতেই কিস্তিমাত বিহারে! স্রেফ দাঁড়িয়ে গোল খেলেন বিরোধীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুঙ্গ জনপ্রিয়তা এবং সুশাসনের জেরে ১১ বছরেরও বেশি সময় ধরে দিল্লির কুর্সিতে রয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। তাঁর সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করে (Bihar Election) চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর প্রশ্নাতীত সাংগঠনিক দক্ষতা এবং এনডিএর সুশাসন বিহারে বিজেপির বিপুল জয়ের নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করেছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। সদ্য সমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন সংখ্যা বেড়েছে আগের সব নির্বাচনী ফলের চেয়ে ঢের বেশি। শতাংশের বিচারে এই হার ৯০ এর ওপর। যে কোনও মানদণ্ডেই এটি একটি চমকপ্রদ সাফল্য। তবে বিহারের এই নির্বাচন মোটেই ছিল না নিছক কেক-ওয়াক। নীতীশ কুমার প্রায় দু’দশক ক্ষমতায় থাকার পর আরও একটি মেয়াদের জন্য লড়াই করছিলেন। তাই রাজ্যজুড়ে ছিল প্রবল অ্যান্টি-এস্টাবলিশমেন্ট হাওয়া। এহেন কঠিন পরিস্থিতিতেও নির্বাচনী লড়াইয়ে এনডিএকে সঠিক পথে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন অমিত শাহ।

    চাণক্যের প্রস্তুতি (Bihar Election)

    বিহার নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার চার–পাঁচ মাস আগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন ভারতীয় রাজনীতির চাণক্য অমিত শাহ। তিনি শুধু বিজেপি নেতাদের সঙ্গেই নয়, এনডিএর জোটসঙ্গীদের সঙ্গেও বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেছিলেন। জোট সঙ্গীদের বিশ্বাস এবং নিজেদের মধ্যে ঐক্যের ভিত মজবুত করে তুলতেই ওই বৈঠক করেছিলেন শাহ। তাঁর পদ্ধতিগত সাংগঠনিক দৃষ্টিভঙ্গি এনডিএকে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ করতে বড় ভূমিকা নিয়েছে। তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন জেডিইউ, চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি (আরভি), উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা এবং জিতন রাম মাঝির দলের সঙ্গে। নির্বাচনের ঢের আগেই এই জোট ঠিক করে ফেলেছিল আসনভিত্তিক জাতিগত সমীকরণের কাজ (Amit Shah)।

    ক্লাস্টার-লেভেল বৈঠক

    নির্বাচনের আগে শাহ জেলা পর্যায়ে অন্তত পাঁচটি সাংগঠনিক বৈঠক করেছিলেন। ক্লাস্টার-লেভেল বৈঠক করেছিলেন আরও পাঁচটি। সব মিলিয়ে তিনি বিহারে জনসভা করেছিলেন ৩৫টি, করেছিলেন একটি রোড-শো-ও। প্রতিটি সফরেই তিনি কোর গ্রুপের সঙ্গে কৌশলগত আলোচনা করেছিলেন, যাতে সার্বিক সমন্বয় ও স্বচ্ছতা বজায় থাকে (Bihar Election)। শাহ বুথ-স্তরের শক্তিশালী কার্যকলাপের ওপর বিশেষ জোর দিয়েছিলেন। তিনি বারবার বলেন, বুথকর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগই ভোট সর্বাধিক করার মূল চাবিকাঠি। তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও অন্তর্দৃষ্টি জোটকে জেডিইউ এবং চিরাগ পাসওয়ানের দলের মধ্যে থাকা প্রাথমিক বিরোধ কাটিয়ে উঠতেও সাহায্য করেছে (Amit Shah)। যদিও শাহ আর বিজেপির জাতীয় সভাপতির পদে নেই, তবুও দল এখনও গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী লড়াইয়ে তাঁর পরামর্শের ওপর নির্ভর করে। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা কিংবা দিল্লির কিংমেকারও আসলে তিনিই।

    এবার মিশন বেঙ্গল!

    এতদসত্ত্বেও এখনও মিশন সম্পূর্ণ হয়নি শাহের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন কেরল ও তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে আক্রমণাত্মক প্রচারের কথা ঘোষণা করেছেন, তখন শাহ নিয়ে ফেলেছেন আরও বড় একটি চ্যালেঞ্জ। সেটি হল তৃণমূলের কবল থেকে পশ্চিমবঙ্গকে মুক্ত করা। শাহ যখন দলীয় সভাপতি ছিলেন, তখন ২০১৯ সালে বিজেপি এ রাজ্যে বিজেপি লোকসভার ৪২টি আসনের মধ্যে জিতেছিল ১৮টিতে। ২০২১ সালে বিধানসভায় বিজেপির আসনসংখ্যা বেড়েছিল পাঁচ গুণ। প্রধানমন্ত্রী যখন বাংলার জঙ্গলরাজ খতম করার অঙ্গীকার করেছেন, তখন আসন্ন লড়াই আরও তীব্র হবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Bihar Election)।

    শাহি ভূমিকা

    বিহারে এনডিএকে জেতানোর গুরু দায়িত্ব কাঁধে নিয়েই শাহ টানা ১৯ দিন ঘাঁটি গেড়ে বসেছিলেন এ রাজ্যে। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি তৃণমূলস্তরে লড়াইয়ের কৌশল তৈরি এবং বাস্তবায়নও করেন তিনি। যার জেরে বিহারে বিজেপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একক বৃহত্তম দল হিসেবে (Amit Shah)। বিহারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যে ভাবনা ছিল, নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে সেই ভাবনার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে শাহ নির্বাচনের প্রতিটি সূক্ষ্ম দিক খতিয়ে দেখেন। গ্রহণযোগ্য আসন-বণ্টন নির্ধারণ থেকে শুরু করে নারী শক্তি ও যুব শক্তির মাধ্যমে প্রো-ইনকামবেন্সি ওয়েভ তৈরি করা, প্রতিটি ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন শাহ।

    বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে কথা

    শাহের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র সংবাদ মাধ্যমে জানান, পাটনায় টানা তিনদিন থাকার সময় তিনি তাঁর পুরো সময়সূচি খালি রেখে এমন সব বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, যাঁরা দলের জয়ের সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিতে আস্তিন গুটোচ্ছিলেন। তাঁর হস্তক্ষেপের জেরেই মাথা তুলতে পারেননি বিদ্রোহীরা। বরং যেসব আসনে বিদ্রোহীরা পথের কাঁটা হতে পারতেন, সেখানে বিজেপি আরও বেশি করে আসন জেতে (Bihar Election)। সেই সময় প্রায় ১০০ জন বিজেপি নেতা-কর্মী বিদ্রোহ করে দলবিরোধী কাজকর্ম করতে শুরু করেন। শাহ স্বয়ং উদ্যোগী হয়ে তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের সঙ্গে কৌশল ও রাজনৈতিক সম্ভাবনার বিষয়ে আলোচনা করেন, এবং শেষমেশ সবাইকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে শান্ত করে বিজেপির ছাতার তলায় নিয়ে আসেন। এর পুরো ক্রেডিটই প্রাপ্য শাহের (Amit Shah)। বিহারে শাহের টিমের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তি বলেন, “শাহ প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলার পর এই বিদ্রোহীরা রাজি হন। এবং এটাই ছিল সেই বড় কারণগুলির একটি, যা বিজেপি এবং জেডিইউ প্রার্থীদের বাড়তি মাইলেজ দিয়েছিল (Bihar Election)।”

    রাজনৈতিক তিক্ততার অবসান

    বিজেপির এক প্রবীণ নেতা বলেন, “শাহের পদ্ধতির সবচেয়ে লক্ষণীয় এবং উজ্জ্বল দিক হল, তিনি যেভাবে জেডি(ইউ) এবং এলজেপি(আরভি)-র মধ্যে সম্পর্ক মসৃণ করেছেন এবং উভয় দলের জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা গড়ে তুলেছেন, যা শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালের রাজনৈতিক তিক্ততার অবসান ঘটিয়েছে।” তিনি জানান, কেন্দ্রীয় ইউনিটের পক্ষ থেকে শাহই ছিলেন একমাত্র নেতা যিনি বিভাগীয় স্তর থেকে রাজ্য স্তর পর্যন্ত একাধিক বৈঠক করেছেন এবং কর্মীদের উজ্জীবিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন পূরণে।

    বিজেপির ‘ম্যান ফ্রাইডে’

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশের মতে, বিহার বিজয়ের পর, এবং তার আগে যেভাবে তিনি হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের নির্বাচনও সামলেছেন, তা বিবেচনা করলে আবারও প্রমাণিত হয় (Amit Shah), শাহই বিহার এনডিএ এবং বিজেপির ‘ম্যান ফ্রাইডে’। প্রতিটি নির্বাচনী কাজ তিনি যেভাবে মিশন মোডে পরিচালনা করেছেন, তা অসাধারণ। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপ বিরোধীদের বার্তা–প্রচারে উল্লেখযোগ্যভাবে আঘাত হেনেছে। তাই পর্যুদস্ত হয়েছে মহাগঠবন্ধন (Bihar Election)।

  • Caste Politics: জাতপাতের রাজনীতি নয়, বিহারে জয় এনডিএর সুশাসনেরই ফল

    Caste Politics: জাতপাতের রাজনীতি নয়, বিহারে জয় এনডিএর সুশাসনেরই ফল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন জাতপাতের রাজনীতির ঘূর্ণাবর্তেই ঘুরপাক খাচ্ছিল বিহারের রাজনীতি (Caste Politics)। তবে সেই এঁদো গলির সেই রাজনীতিকে ছাপিয়ে গিয়ে সদ্য সমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল বুঝিয়ে দিল, রাজ্যের উন্নয়ন করতে হলে প্রয়োজন সুশাসন (Good Governance), যে সুশাসন দিয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। এই সুশাসনের ঝড়েই কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাগঠবন্ধন।

    রাহুলের অস্ত্র ভোঁতা (Caste Politics)

    তার পরেই কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়েছে বিজেপি বিরোধী জোটের অন্দরে। হারের দায় কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ রাহুল গান্ধীর ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছেন ‘ইন্ডি’ (বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট) জোটের নেতারা। রাজনীতির ময়দানে রাহুলকে প্রায় দেখাই যায় না বলে বিরোধীদের দাবি। বিহারে ভোট প্রচারে বেরিয়ে তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন। তারপর আর তাঁর পাত্তা পাওয়া যায়নি। সংবাদমাধ্যমের খবর, লাতিন আমেরিকার কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের কাছে তিনি সেই সময় ভারতের নির্বাচনী ব্যবস্থার সমালোচনা করেছিলেন।

    সোনার কাঠি-রুপোর কাঠি

    কংগ্রেসের এই নেতা যখন বিদেশে দেশের গায়ে কালিমা লাগাতে ব্যস্ত (Caste Politics), তখন সপ্তাহের সাতদিনই চব্বিশ ঘণ্টা করে খেটে চলেছিলেন এনডিএর নেতা-কর্মীরা। এটি যদি বিহার ভোটে এনডিএর বিপুল জয়ের রুপোর কাঠি হয়, তবে সোনার কাঠিটি অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুঙ্গ জনপ্রিয়তা এবং সুশাসন। বিহারে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতা দিয়েছিলেন ১৪টি জায়গায়। তিনি তাঁর প্রচার শুরু করেছিলেন জননায়ক কর্পূরী ঠাকুরের পৈতৃক গ্রাম সমস্তিপুর জেলা থেকে। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরীকে ভারতরত্নে ভূষিত করা হয়েছিল। এই জেলা থেকেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করে এনডিএর তরফে প্রধানমন্ত্রী বিহারবাসীকে এই বার্তা দেন যে, এনডিএ একটি পরিষ্কার, সৎ এবং প্রান্তিক মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল সরকার উপহার দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এই গুণগুলি কর্পূরী ঠাকুরের সঙ্গে বেশ মেলে। তারই সুফল মিলেছে সদ্য সমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে। পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, সমস্তিপুর-সহ প্রধানমন্ত্রী যেসব জায়গায় প্রচার করেছেন, সেই সব জায়গায় ভোটদানের হার ছিল চোখ ধাঁধানো।

    এক্স ফ্যাক্টর!

    বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএর এই বিপুল জয়ে কাজ (Caste Politics) করেছে আরও একটি ফ্যাক্টর। সেটি হল, বিজেপি সঠিক নির্বাচনী ইস্যুগুলিকে চিহ্নিত করে তুলে ধরেছে জনগণের দরবারে (Good Governance)। গত দশকে কেন্দ্রীয় সরকারের যেসব কল্যাণমূলক কর্মসূচি, যেগুলি নারী, প্রবীণ এবং সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সহায় হয়ে উঠেছিল, সেগুলি মোদির প্রতি জনগণের ভরসা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিহারের জঙ্গলরাজের সঙ্গে সুশাসনের (এনডিএ জমানায়) তুলনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এটাই ব্যাপক প্রভাব ফেলে ইভিএমে। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের জমানা দেখা ভোটাররা তো বটেই, এনডিএর সুশাসন দেখা নতুন ভোটাররাও ভরসা করেছেন মোদির ওপর। তার জেরেই বিহারে জয়জয়কার বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএর।

    সুশাসনের ফিরিস্তি

    বস্তুত (Caste Politics), নির্বাচনী ময়দানে বিজেপি নেতাদের এই শানিত এবং দূরদর্শী আক্রমণের সামনে বিরোধীদের কার্যত অসহায় দেখিয়েছে। প্রচারে বেরিয়ে মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব জনতা জনার্দনের এই আস্থা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন যে, জঙ্গলরাজ নয়, নয়া মহাগঠবন্ধনের সরকার রাজ্যবাসীকে উপহার দেবে সুশাসন (Good Governance)। বস্তুত, আরজেডি যে সুশাসন দিতে পারে, তা আদৌ বিশ্বাস করেননি ভোটাররা। আর তা-ই প্রতিফলিত হয়েছে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলে। বিজেপির একাধিক মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যখন প্রচারে বেরিয়ে এনডিএ জমানার সুশাসনের ফিরিস্তি দিয়েছেন, তখন জঙ্গলরাজের স্মৃতি ফিকে করে সুশাসনের আশ্বাস দিতে ব্যর্থ হয়েছেন মহাগঠবন্ধনের নেতারা। তেজস্বী নন, বিহারবাসী আস্থা রেখেছেন মোদির সুশাসনের ওপরই (Caste Politics)।

    সাংগঠনিক শক্তি

    সাংগঠনিক শক্তিও বিজেপির বিপুল জয়ের অন্যতম একটি স্তম্ভ। ভোটের আগে আগেও যখন বিরোধী শিবিরে ছন্নছাড়া দশা, তার ঢের আগেই প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়ে মহগঠবন্ধনকে মাত দিয়ে দেয় এনডিএ। ঘর গুছোতে গিয়ে অনেকটা সময় নষ্ট করে ফেলেছিলেন বিরোধীরা। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়ে এনডিএ বিহারবাসীর মনে এই বার্তা গেঁথে দিতে সক্ষম হয়েছিল যে, ‘হামারা সব এক হ্যায়’। নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় বিশেষজ্ঞ (Good Governance) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজ্যে ঘাঁটি গেড়ে বসেছিলেন। দক্ষ হাতে পরিচালনা করেছিলেন নির্বাচনের যাবতীয় কর্মকাণ্ড। তৃণমূলস্তরে প্রচার পরিচালনার জন্য দেশজুড়ে ৯০০ জনেরও বেশি প্রবীণ নেতাকে মোতায়েন করা হয়েছিল মাস দুয়েক ধরে। স্থানীয় নেতাদের নিয়ে তাঁরা পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রতিটি ভোটারের  দুয়ারে। এসবের পাশাপাশি সংঘের প্রচ্ছন্ন সমর্থনের ফসলও কুড়িয়েছে বিজেপি।

    নির্বাচনী ফলের বার্তা

    বিহারের এই নির্বাচনী ফল থেকে এটা স্পষ্ট যে বিহারে অবসান হয়েছে জাতপাতের রাজনীতির যুগ। যার জেরে আরজেডির গড় বলে খ্যাত রাঘোপুর আসনে জিততে নাকানিচোবানি খেতে হয় যাদবকুলোদ্ভূত তেজস্বীকে (Caste Politics)। এই যাদব বংশেরই তেজস্বীর দাদা তেজপ্রতাপও আরজেডি থেকে বহিষ্কৃত হয়ে নিজে দল গড়েও ডুবেছেন স্বখাত সলিলে। এসবের একটাই অর্থ, জাতপাতের রাজনীতির পাঁকে আর না জড়িয়ে বিহারবাসী বেছে নিয়েছেন সুশাসন এবং উন্নয়নের রাজনীতি (Good Governance)।

    এই রাজনীতির জেরেই বিহারের প্রত্যন্ত এলাকায়ও ফুটবে উন্নয়নের পদ্মফুল (Caste Politics)।

LinkedIn
Share