Author: pranabjyoti

  • Mughal Brutality: ‘বাবর নির্দয়, আকবর নিষ্ঠুর’, এনসিইআরটির বইয়ে নয়া মূল্যায়ন মুঘল যুগের

    Mughal Brutality: ‘বাবর নির্দয়, আকবর নিষ্ঠুর’, এনসিইআরটির বইয়ে নয়া মূল্যায়ন মুঘল যুগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম মুঘল সম্রাট বাবর ছিলেন এমন এক শাসক যিনি বহু জনপদের মানুষকে নির্বিচারে হত্যা (Mughal Brutality) করেছিলেন। আর আকবরের শাসনকে নিষ্ঠুরতা ও সহিষ্ণুতার মিশ্রণ বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আওরঙ্গজেব সম্পর্কে (NCERT) লেখা হয়েছে, তিনি বহু মন্দির ও গুরুদ্বার ধ্বংস করেছিলেন। জাতীয় শিক্ষা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ পরিষদ সম্প্রতি অষ্টম শ্রেণির সমাজবিজ্ঞান বইয়ে এভাবেই তুলে ধরা হয়েছে মুঘল সাম্রাজ্যকে। ‘এক্সপ্লোরিং সোসাইটি: ইন্ডিয়া অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শীর্ষক এই পাঠ্যবইটি ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হয়েছে। এখানেই মুঘল শাসকদের সম্পর্কে এমন মন্তব্য করা হয়েছে। এই বইটিতে ভারতের মধ্যযুগীয় অতীতকে আরও স্তরবিন্যাসযুক্ত ও অকপটভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

    “ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্রের পুনর্গঠন” (Mughal Brutality)

    দিল্লি সুলতানাত, মুঘল সাম্রাজ্য ও ঔপনিবেশিক পর্বগুলির পাঠ সপ্তম শ্রেণি থেকে সরিয়ে অষ্টম শ্রেণিতে স্থানান্তর করা হয়েছে, যা এনসিইআরটির নতুন থিমভিত্তিক ও কালানুক্রমিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। “ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্রের পুনর্গঠন” শিরোনামে একটি অধ্যায়ে ১৩শ থেকে ১৭শ শতাব্দীর মধ্যে ভারতের বড় রাজনৈতিক পরিবর্তনগুলি উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দিল্লি সুলতানাতের উত্থান ও পতন, বিজয়নগর সাম্রাজ্য, মুঘল রাজবংশ এবং শিখ প্রতিরোধের কথাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই নয়া পাঠ্যবইয়ের বিশেষত্ব শুধু বিষয়বস্তুতেই সীমাবদ্ধ নয়, বিশেষত্ব তার ভাষায়ও। এটি শিক্ষার্থীদের বর্তমান দিনের দোষ চাপানো থেকে বিরত থেকে অতীতকে সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্লেষণ করতে উৎসাহিত করে।

    অধ্যায়টির ভূমিকায়

    অধ্যায়টির ভূমিকায় কাঠামোটি স্পষ্টভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। সেখানে বলা (Mughal Brutality) হয়েছে, “ইতিহাস অনেক সময় যুদ্ধ ও ধ্বংসের দ্বারা প্রভাবিত মনে হতে পারে, কিন্তু তাই বলে কি আমরা সেগুলি উপেক্ষা করব? এর চেয়ে ভালো পথ হল এই ঘটনাগুলির মুখোমুখি হওয়া ও সেগুলি বিশ্লেষণ করা, যাতে আমরা বুঝতে পারি কী শক্তি এসব ঘটনার পেছনে কাজ করেছে এবং আদর্শভাবে, কীভাবে ভবিষ্যতে এগুলি আবার ঘটতে না দেওয়া যায়। বর্তমান প্রজন্মকে দায়ী না করেই এই অন্ধকার অধ্যায়গুলিকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে অধ্যয়ন করা প্রয়োজন।”

    বাবরের মূল্যায়ন

    অধ্যায়টি শুরু হয়েছে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবরকে (Mughal Brutality) দিয়ে, যিনি মধ্য এশিয়া থেকে এসে ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনেন। পাঠ্যপুস্তকে তাঁর প্রধান বিজয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে, বিশেষ করে ১৫২৬ সালের প্রথম পানিপথের যুদ্ধ এবং তাঁর আধুনিক যুদ্ধকৌশল যেমন ফিল্ড আর্টিলারির ব্যবহার। যদিও পাঠ্যপুস্তকে বাবরের কৌশলী মেধা ও ‘বাবরনামা’তে তাঁর পর্যবেক্ষণ স্বীকৃত হয়েছে, তবু এটাও বলা হয়েছে যে তিনি কিছু মন্দির ধ্বংস করেন এবং তাঁর কিছু অভিযানের পেছনে ধর্মীয় প্রেরণা ছিল। এই বিশ্লেষণের উদ্দেশ্য হল ছাত্রছাত্রীরা যাতে বিজয় ও এর সাংস্কৃতিক প্রভাব (NCERT) সম্পর্কে সহজ ও একমুখী মত গঠনের বদলে বাস্তব সত্য উপলব্ধি করতে পারে।

    আতশ কাচের নীচে আকবরও

    প্রধান যে ব্যক্তিত্বগুলির নতুন করে মূল্যায়ন (Mughal Brutality) করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন সম্রাট আকবর। পাঠ্যবইটি তাঁর সামরিক জয় ও ধর্মীয় সহনশীলতার প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং তাঁর শাসনকালকে বর্ণনা করেছে “নির্মমতা ও সহনশীলতার এক মিশ্রণ, যা আকাঙ্ক্ষা ও কৌশল দ্বারা গঠিত।” উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, ১৫৬৮ সালে চিতোরগড় অবরোধ, যেখানে হাজার হাজার মানুষ নিহত হন। নারী ও শিশুদের দাসে পরিণত করা হয়। আকবরের নিজের পাঠানো বার্তার উদ্ধৃতি দিয়ে, বইটি ধর্মীয় জয়যাত্রার পেছনে তাঁর উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেছে। একইসঙ্গে বইটি তুলে ধরেছে কীভাবে আকবর অ-মুসলিমদের ওপর ধার্য জিজিয়া কর তুলে দেন, রাজপুত নেতাদের দরবারে অন্তর্ভুক্ত করেন এবং সুলহ-ই-কুল বা “সকলের সঙ্গে শান্তি” নীতির প্রচার করেন। ফতেপুর সিক্রিতে তাঁর অনুবাদ প্রকল্প, যেখানে মহাভারত ও রামায়ণের মতো হিন্দু মহাকাব্যগুলি ফার্সিতে অনুবাদ করা হয়, তা এক বৃহত্তর সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গির অংশ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। আকবরের জীবনীকার আবুল ফজলের একটি উদ্ধৃতিতে আকবরের ব্যক্তিগত পরিবর্তন তুলে ধরা হয়েছে।

    আকবরের ‘কবুলনামা’

    বলা হয়েছে, “আগে আমি মানুষকে আমার ধর্মের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে জোর করতাম। জ্ঞান অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে আমি লজ্জায় অভিভূত হই। নিজে মুসলমান না হয়েও অন্যকে মুসলমান বানাতে চাওয়া ঠিক ছিল না (NCERT)।” আওরঙ্গজেবকে এমন এক শাসক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যার আঞ্চলিক সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে ধর্মীয় রক্ষণশীলতাও বৃদ্ধি পায়। পাঠ্যবইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি জিযিয়া কর পুনর্বহাল করেন, রাজদরবারে সঙ্গীত ও নৃত্য নিষিদ্ধ করেন, এবং হিন্দুদের ওপর তীর্থযাত্রা কর চাপিয়ে দেন। বারাণসী ও মথুরার মতো শহরে মন্দির ধ্বংস এবং শিখ, সুফি, জৈন ও পার্শিদের ওপর নির্যাতনের বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা শেখে কীভাবে আওরঙ্গজেব দারা শিকোকে পরাজিত করেন, প্রতিদ্বন্দ্বীদের হত্যা করেন, এবং নিজের বাবা শাহজাহানকে বন্দি করেন। এই শাহজাহানই  তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন (Mughal Brutality)।

  • Operation Kalanemi: সাধুবেশে লুকিয়ে বাংলাদেশি! ভেকধারীদের ধরতে ‘অপারেশন কালনেমি’ শুরু উত্তরাখণ্ডে

    Operation Kalanemi: সাধুবেশে লুকিয়ে বাংলাদেশি! ভেকধারীদের ধরতে ‘অপারেশন কালনেমি’ শুরু উত্তরাখণ্ডে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধু সেজে ভারতে আত্মগোপন করেছিল বেশ কিছু বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে কয়েকজন আবার ইসলাম ধর্মাবলম্বী। হিন্দু সাধুর ভেক ধরে দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছিল ইসলামে দীক্ষিতকরণের কাজ। এবার তাদের মুখোশও খুলে দিল উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সরকার। ভণ্ড এই সাধুদের ধরতে শুরু হয় অভিযান। নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন কালনেমি’ (Operation Kalanemi)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ধামির এই পদক্ষেপ ভারতের ধর্মীয় ছদ্মবেশ, সীমান্ত পারাপারের অনুপ্রবেশ এবং আদর্শিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। মাত্র ৪ দিনের মধ্যেই উত্তরাখণ্ড পুলিশ ৩০০ জনের বেশি ছদ্মবেশীকে গ্রেফতার করেছে।

    চলছে অভিযান (Operation Kalanemi)

    দেরাদুন ও হরিদ্বারেই মূলত এই অভিযান চালানো হচ্ছে। এটি শুধু একটি আইনি পদক্ষেপ নয়, একে দেখা হচ্ছে সাংস্কৃতিক ও সভ্যতার যুদ্ধ হিসেবে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন শাহ আলম ওরফে রুকন রকম। সে বাংলাদেশের নাগরিক। উত্তরাখণ্ডে ঢুকে পড়ে সাধুর ভেক ধরেছিল। তার কাছে মিলেছে বাংলাদেশি পরিচয়পত্র। সে দেরাদুনে কাঁওয়ার যাত্রীদের কাছ থেকে ভিক্ষা নিচ্ছিল ও প্রতারণা করছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ভণ্ড সাধু একটি বড় নেটওয়ার্কের সদস্য, যারা কাঁওয়ার যাত্রার ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়ে শুধু অর্থ লুঠ নয়, বরং গোপন তথ্য সংগ্রহ এবং সাম্প্রদায়িক বিভেদ ছড়ানোর কাজও করে যাচ্ছিল। দেরাদুনের এসএসপি অজয় সিং বলনে, “উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির নির্দেশে বৃহস্পতিবার থেকে এই অভিযান শুরু হয়েছে। সাধু সেজে জনগণের বিশ্বাসভঙ্গ করছে যারা, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে (Operation Kalanemi)।”

    অপারেশন কালনেমি

    কেন এই অভিযানের নাম দেওয়া হল অপারেশন কালনেমি? এর উত্তর দিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি স্বয়ং। তিনি বলেন, “যেভাবে অসুর কালনেমি সাধু সেজে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল, তেমনই আজকের সমাজে এমন অনেক কালনেমি আছে যারা ধর্মের নামে অপরাধ করছে।” প্রসঙ্গত, কালনেমি একজন পৌরাণিক অসুর। ত্রেতা যুগে হনুমান যখন সঞ্জীবনী আনতে যাচ্ছিলেন, সেই সময় অসুর কালনেমি সাধু সেজে তাঁকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করেছিলেন (Uttarakhand)। স্কন্দ পুরাণ অনুযায়ী, সমুদ্রমন্থনের সময় ভগবান বিষ্ণু নিধন করেছিলেন কালনেমিকে। দ্বাপর যুগে তিনিই জন্ম নিয়েছিলেন মথুরার রাজা কংস হয়ে। বস্তুত, কালনেমি হল অন্ধকার সময়ের প্রতিনিধি (Operation Kalanemi)।

    ভণ্ড সাধুর রমরমা

    মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিগত কয়েক দিনে সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ৮২জন ভণ্ড সাধুকে। তার মধ্যে রবিবারই গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৪জনকে। দেরাদুনের এসএসপি জানান, অপারেশন কালনেমি এখন জারি থাকবে। বিশেষ করে চারধাম যাত্রা এবং কাঁওয়ার যাত্রার কথা মাথায় রেখে এই অভিযান চালু রাখা হবে। কারণ এগুলি মূলত সাধু এবং আধ্যাত্মিক গুরুদের সমাগমের জায়গা। এসএসপি বলেন, “যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের কোনও ধর্মীয় পটভূমি ছিল না। ছিল না কোনও আধ্যাত্মিক উদ্দেশ্যও। তারা স্থানীয়ও নয়। তাদের যা ছিল, তা হল বিশ্বাসকে কাজে লাগানোর পরিকল্পিত কৌশল, সহজ-সরল মানুষকে প্রতারিত করা এবং হিন্দু প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করার চক্রান্ত।” প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ধৃতেরা আবেগ ও আর্থিকভাবে দুর্বল ভক্তদের,  বিশেষ করে মহিলা ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের টার্গেট করেছিল। তারা অলৌকিক ঘটনা, রোগমুক্তি ও ঈশ্বরীয় হস্তক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করত (Uttarakhand)। এর আড়ালে মানসিক প্রভাব বিস্তার, অর্থ আদায় এমনকি কিছু ক্ষেত্রে যৌন হয়রানিতেও লিপ্ত ছিল (Operation Kalanemi)।

    বিজেপির বক্তব্য

    উত্তরাখণ্ড বিজেপির সভাপতি মহেন্দ্র ভাট বলেন, “গেরুয়া বসনের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অপরাধী ও অনুপ্রবেশকারীরা বিশ্বাসের শত্রু। আইন তাদের সেভাবেই বিবেচনা করবে। ভারতবাসী তাদের মন্দির ও বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কোনও মতাদর্শিক যুদ্ধ সহ্য করবে না।” তিনি জানান, অপারেশন কালনেমি হবে হরিদ্বার, হৃষিকেশ, কেদারনাথ ও বদ্রীনাথেও। এবং ভবিষ্যতে এটি অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির জন্যও একটি আদর্শ মডেল হিসেবে কাজ করতে পারে।

    কুমায়ুনে গ্রেফতার ৩০০

    এদিকে, উত্তরাখণ্ড পুলিশ অপারেশন কালনেমির অধীনে কুমায়ন বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েক দিনে ৩০০-এরও বেশি ভুয়ো সাধুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে। এই অভিযানের উদ্দেশ্য হল, ধর্মের নামে মানুষকে বিভ্রান্তকারী ভণ্ড ধর্মগুরুদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া (Uttarakhand)। কুমায়ুনের পুলিশের আইজি ঋদ্ধিম আগরওয়াল বলেন, “কুমায়ুন বিভাগের ছ’টি জেলায়ই এই অভিযান চালানো হয়েছে। এতে ৩০০-এরও বেশি ব্যক্তি, যারা সাধুবাবা বা আধ্যাত্মিক গুরু সেজে প্রতারণা করছিল (Operation Kalanemi), তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে এফআইআর, চালান ও সতর্কতামূলকভাবে আটক করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “এই ব্যক্তিরা অন্ধবিশ্বাস, প্রতারণা এবং ভুয়ো অলৌকিক ক্ষমতার দাবি করে মানুষের বিশ্বাসের অপব্যবহার করছিল। তাদের কারও কাছেই বৈধ পরিচয়পত্র বা প্রমাণপত্র ছিল না।”

  • BJP: “ফরেন পলিশির ‘এফ’ পর্যন্ত জানেন না রাহুল গান্ধী”, তোপ বিজেপির

    BJP: “ফরেন পলিশির ‘এফ’ পর্যন্ত জানেন না রাহুল গান্ধী”, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাহুল গান্ধী অভ্যাসগত মিথ্যেবাদী ও অপরাধী।” বুধবার ঠিক এই ভাষায়ই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে নিশানা করল বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের জাতীয় মুখপাত্র অজয় আলোক চিন প্রসঙ্গে সরকারের ভূমিকা নিয়ে কংগ্রেস নেতার সার্কাস মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেন।

    ‘এফ’ পর্যন্ত জানেন না (BJP)

    তিনি বলেন, “বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেও ওই কংগ্রেস নেতা প্রশ্ন তোলেন, অথচ তিনি বিদেশ নীতির (ফরেন পলিশি) এফ পর্যন্ত জানেন না। তবুও বারবার প্রশ্ন তোলেন।” অলোক বলেন, “যখন আমাদের বিদেশমন্ত্রী এসসিও বৈঠকের জন্য চিন যান এবং যদি তিনি চিনের বিদেশমন্ত্রী ও দেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ না করেন, তাহলে তিনি কার সঙ্গে দেখা করবেন? ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে?” প্রসঙ্গত, এই ইতালিতেই রাহুলের মামাবাড়ি।

    রাহুল গান্ধীর বিতর্কিত মন্তব্য

    জয়শঙ্করের চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভারত ও চিন সম্পর্কের সাম্প্রতিক অগ্রগতির বিষয়ে অবহিত করার একটি সংবাদ প্রতিবেদন ট্যাগ করে রাহুল গান্ধী মঙ্গলবার বলেন, “বিদেশমন্ত্রী ভারতের বিদেশনীতি ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে একটি পুরোপুরি সার্কাস চালাচ্ছেন।”

    প্রসঙ্গত, সেনাবাহিনী সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করায় রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দায়ের হয় মানহানির মামলা। লখনউ আদালত তাঁকে জামিনও দেন। এর ঠিক দু’দিন পরেই লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে “অভ্যাসগত মিথ্যেবাদী ও অপরাধী” বলে দেগে দিলেন অলোক (BJP)। তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধী প্রায়ই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করে থাকেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি রাহুলের মন্তব্যটি তুলে ধরেন। বলেন, খুনের দালালি এবং চিনারা আমাদের সৈন্যদের পেটাচ্ছে।” এসবের মাধ্যমে তিনি সেনাবাহিনীকে অপমান করেছেন বলে দাবি ওই বিজেপি নেতার।

    সংবিধানের প্রস্তাবনায় জরুরি অবস্থার সময় ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দুটো সংযোজন নিয়ে আরএসএস পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানোর প্রেক্ষিতে অলোক বলেন, “এই বিষয়টি দেশে অবশ্যই বিতর্কের বিষয় হওয়া উচিত। কারণ সংশোধনটি বিআর আম্বেদকরের জন্য একটি অপমান ছিল এবং সেই সময় বিরোধী নেতারা জেলে ছিলেন (BJP)।”

  • PM Modi: তৃণমূলকে মাত দিতে ১৮ জুলাই দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী, জানুন তাঁর কর্মসূচি

    PM Modi: তৃণমূলকে মাত দিতে ১৮ জুলাই দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী, জানুন তাঁর কর্মসূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুলাই ধর্মতলায় সমাবেশ তৃণমূলের। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ওই জনসভায়ই ভোটের বাদ্যি বাজিয়ে দেবে তৃণমূল। তবে ঘাসফুল শিবিরকে সেই সুযোগ দেবে না পদ্ম শিবির (BJP)। তৃণমূলের সেই জনসমাবেশের ঠিক তিন দিন আগেই রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীকে এনে বিপক্ষ দলকে মাত দিতে চাইছে বিজেপি। ১৮ জুলাই রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এবার তিনি সভা করবেন দক্ষিণবঙ্গে, দুর্গাপুরে। প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে কার্যত ফুটছে বঙ্গ বিজেপি শিবির।

    নজরে দক্ষিণবঙ্গ (PM Modi)

    পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, ১৮ জুলাই পশ্চিমবঙ্গে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তিনি এসেছিলেন উত্তরবঙ্গে, আলিপুরদুয়ারে। সেখানেও সভা করেছিলেন তিনি। এবার নজরে দক্ষিণবঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী যেদিন পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসছেন, সেই দিনই বিহারেও বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য জানান, ১৮ জুলাই দুপুরে অন্ডাল বিমানবন্দরে অবতরণ করবে প্রধামন্ত্রীর বিমান। সেখান থেকে তিনি সোজা যাবেন নেহরু স্টেডিয়ামে। সেখানেই এক জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।

    ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন

    রাজনৈতিক শিবিরের ধারণা, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় সংগঠনকে শক্তিশালী করা ও প্রস্তুতির বার্তা দেওয়ার লক্ষ্যেই মোদির এই পশ্চিমবঙ্গ সফর। বিজেপির তরফে এ রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি প্রকাশ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার বেলা ১টা ৪৫ মিনিটের বিমানে বিহারের দ্বারভাঙা বিমানবন্দর থেকে দুর্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। বেলা ২টো ৪৫ মিনিট নাগাদ দুর্গাপুরের অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে নেমে তিনি রওনা দেবেন পরবর্তী সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দিতে। বেলা তিনটে থেকে সাড়ে তিনটে পর্যন্ত দুর্গাপুরের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ৩টে ৪০ মিনিট নাগাদ তিনি উপস্থিত হবেন নেহরু স্টেডিয়ামের জনসভায়। বিকেল ৫টা নাগাদ সেখান থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    তৃণমূলকে উৎখাত করতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে পদ্ম শিবির

    রাজনৈতিক মহলের মতে, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে পদ্ম শিবির। সেই কারণেই বদল করা হয়েছে রাজ্য সভাপতি। বিজেপির (BJP) অধ্যাপক নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে সরিয়ে ওই পদে বসানো হয়েছে শমীক ভট্টাচার্যকে। এবার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) নিয়ে এসে ছাব্বিশের ভোটের আগে ওয়ার্মআপ ম্যাচ সেরে নিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রুটিন সফর হলেও, রাজ্যে রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার গুরুত্ব রয়েছে এই সফরে। আমরা চাই, ২১ জুলাইয়ের আগে বাংলার মাটিতে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়ে যান।”

    প্রধানমন্ত্রীর রোড-শো

    বিজেপি সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর এবারের কর্মসূচিতে রোড-শো নেই। তবে তাঁর যাত্রাপথ এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যে, অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে নেহরু স্টেডিয়ামে যাওয়ার শেষ তিন কিলোমিটার পথ তিনি করতে পারেন রোড-শো। এই পথের দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। শেষ তিন কিলোমিটার জনসংযোগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, ওই তিন কিলোমিটার পথের দু’পাশে জড়ো হবেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। দলীয় পতাকা, ফ্লেক্স, ফেস্টুন, ব্যানারে সাজানো হবে ওই রাস্তাটা। প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) কনভয় যখন ওই এলাকা দিয়ে যাবে, তখন রাস্তার দুপাশে উপস্থিত জনতা পুষ্পবৃষ্টি করবে। যদিও প্রধানমন্ত্রী কনভয় থেকে নামবেন না। তবে এই ধরনের জমায়েত দেখলে গাড়িতে বসেই করজোড়ে এবং সহাস্য শুভেচ্ছা গ্রহণ করতে করতেই এগোন প্রধানমন্ত্রী। অনেক সময় গাড়ির দরজা খুলে পাদানিতে দাঁড়িয়ে জনতার উদ্দেশে হাতও নাড়তে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বিজেপি সূত্রে খবর, তেমন কোনও উপায়েই নেহরু স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভায় ঢোকার আগে প্রধানমন্ত্রী একপ্রস্ত জনসংযোগ সেরে নেবেন।

    গুচ্ছ সরকারি কর্মসূচির উদ্বোধন

    প্রধানমন্ত্রী এদিন (BJP) দুর্গাপুরে একগুচ্ছ সরকারি কর্মসূচির উদ্বোধনও করবেন। এর মধ্যে রয়েছে দুর্গাপুর থেকে কলকাতা গ্যাস পাইপলাইন পরিষেবা। বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় গ্যাস বিতরণ প্রকল্পের পাশাপাশি রঘুনাথপুরে এবং মেজিয়ায় তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পের একাংশ। এছাড়াও একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাসও করবেন তিনি। সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী এদিন সাড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। প্রসঙ্গত, গত ২৯ মে আলিপুরদুয়ারে জনসভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময়ই বিজেপির তৎকালীন রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত বলেছিলেন, “এখন থেকে প্রতি মাসে একবার করে বাংলায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।” সেই মতো প্রধানমন্ত্রীর পশ্চিমবঙ্গ সফর হওয়ার কথা ছিল জুনে। তবে ঠাসা কর্মসূচির কারণে ওই মাসে এ রাজ্যে আসতে পারেননি তিনি। তাই আসছেন জুলাইয়ে। এরপর ফের অগাস্টে বঙ্গ সফরে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির প্রস্তুতিপর্ব খতিয়ে দেখতে দুর্গাপুরে ঘাঁটি গেড়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের (BJP) সঙ্গে রয়েছেন দুই সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং সৌমেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপির অন্য নেতারা (PM Modi)।

  • PM Modi: ২০১৯-এর পর এই প্রথম, চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, নেপথ্যে কোন অঙ্ক?

    PM Modi: ২০১৯-এর পর এই প্রথম, চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, নেপথ্যে কোন অঙ্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার জাপান ও চিন (China) সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। অগাস্টের শেষের দিকে বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে জাপানে যাবেন তিনি। সেপ্টেম্বরের শুরুতেই এসসিও (সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যাবেন চিনে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর এই দুই দেশ সফরের নেপথ্যে কাজ করছে ভারত ও চিনের শি জিনপিং সরকারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল করার চেষ্টা।

    সলতে পাকানোর কাজ শুরু (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যদি এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চিন সফরে যান, তাহলে এটাই হবে উনিশের পরে তাঁর প্রথম চিন সফর। ২০২০ সালের জুন মাসে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় ও চিনা ফৌজদের মধ্যে সংঘর্ষের পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। যদি প্রধানমন্ত্রী এসসিও সম্মেলনে যোগ দেন, তবে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তাঁর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁদের মধ্যে সর্ব শেষ দেখা হয়েছিল কাজানে, ব্রিকস (BRICS) সম্মেলনে। সেই সময়ই শুরু হয়েছিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল করার সলতে পাকানোর কাজ।

    চিন সফরে জয়শঙ্কর

    প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত চিন সফরের আগে সোমবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বেজিংয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন এবং ভারতের প্রতি বিরল মাটির চুম্বক ও সার রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষাপটে বাণিজ্যে সীমাবদ্ধতা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতায় বাধার বিষয়টি উত্থাপন করেন। চলতি চিন সফরে জয়শঙ্কর মঙ্গলবার বেজিংয়ে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সাম্প্রতিক অগ্রগতি সম্পর্কে তাঁকে অবহিতও করেন। তিনি তিয়ানজিনে এসসিও-র বিদেশমন্ত্রী সম্মেলনে যোগ দেন।

    এসসিও গঠনের কারণ

    এসসিও কাউন্সিলে জয়শঙ্কর বলেন, “এই সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই করার (PM Modi) জন্য। তাই এসসিওকে অবশ্যই তার মূল উদ্দেশ্যের প্রতি নিষ্ঠাবান থাকতে হবে এবং এই চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থান নিতে হবে (China)।” তিনি জানান, চলতি বছর ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে সংঘটিত জঙ্গি হামলা ছিল এই জাতীয় একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। এই হামলা ইচ্ছাকৃতভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের পর্যটন অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে এবং ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছিল। ভারতের বিদেশমন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ একটি বিবৃতি জারি করে এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে এবং এই নৃশংস সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী, অর্থদাতা, সংগঠক এবং পৃষ্ঠপোষকদের জবাবদিহির আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছে।

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    এসসিও বর্তমানে ১০টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত। এই দেশগুলি হল, চিন, রাশিয়া, ভারত, ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং বেলারুস। পাকিস্তানের তরফে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী ইশাক দার। জয়শঙ্কর বলেন, “এসসিও-র বৈঠক এমন একটা সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে যখন আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। কারণ বিগত কয়েক বছরে সংঘাত, প্রতিযোগিতা ও জোরজবরদস্তি বেড়ে গিয়েছে এবং অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতাও বাড়ছে। আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল বৈশ্বিক ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল করা, বিভিন্ন দিক থেকে ঝুঁকি হ্রাস করা এবং এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে সেই সব দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার সমাধান করা যা আমাদের সমষ্টিগত স্বার্থের জন্য হুমকি স্বরূপ (China)।”

    ভারতের অবস্থান

    তিনি বলেন, “ভারত ভবিষ্যতেও এমন সব নতুন ধারণা ও প্রস্তাবকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে গ্রহণ করবে, যেগুলি (PM Modi) প্রকৃত অর্থেই সম্মিলিত কল্যাণের উদ্দেশ্যে প্রস্তাবিত।” ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “বিশ্ব এখন আরও মাল্টি পোলারিটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কেবল জাতীয় ক্ষমতার পুনর্বণ্টনের দিক থেকেই নয়, বরং এসসিও-র মতো কার্যকর গোষ্ঠীগুলির উদ্ভবের দিক থেকেও।  বিশ্ব পরিস্থিতি গঠনে এই গোষ্ঠীর ভূমিকা নির্ভর করবে এই বিষয়ের ওপর আমরা সবাই কতটা একটি শেয়ার্ড অ্যাজেন্ডারপর একত্রিত হতে পারি, তার ওপর।” অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা সেই অনুযায়ীই কাজ করেছি এবং তা চালিয়ে যাব।”

    প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে খুন করা হয় ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। এতে পাকিস্তানের সঙ্গে চারদিনব্যাপী সংঘর্ষ শুরু হয়। ১০ মে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি হয় (PM Modi)। বর্তমানে পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য।

    জয়শঙ্করের সাফ কথা

    জয়শঙ্কর বলেন, “এসসিও-র মধ্যে সহযোগিতা আরও গভীর করতে হলে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পারস্পরিক আদান-প্রদানের পরিমাণ আরও বাড়ানো প্রয়োজন। আর এজন্য বর্তমান কিছু সমস্যার সমাধান অপরিহার্য।” তিনি বলেন, “এই সমস্যাগুলির একটি হল – এসসিও অঞ্চলের মধ্যে নির্ভরযোগ্য ট্রানজিটের অভাব (China)। এই অভাব অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমাদের প্রচেষ্টাকে দুর্বল করে তোলে। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ পরিবহণ করিডোর (INSTC)-এর প্রসারে উদ্যোগী হওয়া (PM Modi)।”

  • PM Modi: ২১ জুলাই সংসদে শুরু বাদল অধিবেশন, মোদি সরকার পেশ করবে ৮টি বিল

    PM Modi: ২১ জুলাই সংসদে শুরু বাদল অধিবেশন, মোদি সরকার পেশ করবে ৮টি বিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে ২১ জুলাই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সরকার অধিবেশনে আয়কর বিলের জন্য সংসদের অনুমোদন চাইবে। আটটি নতুন আইন প্রস্তাব করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে সুশাসন ব্যবস্থার (New Bills) মাধ্যমে খেলাধুলোয় নৈতিক অনুশীলন নিশ্চিত করার একটি বিল এবং ভূ-ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য আরও একটি বিল। মঙ্গলবার লোকসভার একটি অভ্যন্তরীণ বুলেটিনেই এ খবর জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে এই অধিবেশনে পেশ হবে মোট ১২টি বিল।

    বিলের অবস্থা (PM Modi)

    এর মধ্যে কয়েকটি বিল ইতিমধ্যেই সংসদে পেশ হয়েছে। কয়েকটি বিল এখনও সংসদীয় কমিটির বিবেচনাধীন রয়েছে। সেগুলি সরকার পক্ষের আইন প্রণয়নের কর্মসূচির অংশ হিসেবেই বাদল অধিবেশনে উপস্থাপন করা হবে। ২১ জুলাই শুরু হওয়া এই অধিবেশন শেষ হবে ২১ অগাস্ট। জানা গিয়েছে, এই অধিবেশনে সরকার মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য উভয় কক্ষের অনুমোদন চাইবে। উত্তর-পূর্বের ওই ছোট্ট পাহাড়ি রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছিল চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি। সংসদে বর্তমানে দায়িত্বে থাকা হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ‘ইমপিচমেন্ট মোশান’ও উঠতে পারে।

    জাতীয় ক্রীড়া প্রশাসন বিল, ২০২৫

    প্রকাশিত বুলেটিনে জানানো হয়েছে, “জিওহেরিটেজ সাইটস ও জিও-রেলিকস বিল, ২০২৫”-এর লক্ষ্য হল জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ জিওহেরিটেজ সাইট ও জিও-রেলিকসগুলিকে ঘোষণা, সংরক্ষণ, সুরক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি পরিকাঠামো দেওয়া যাতে করে ভূতাত্ত্বিক গবেষণা, শিক্ষা, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পর্যটনের ক্ষেত্রে সুবিধা হয়। এই অধিবেশনেই পেশ হবে জাতীয় ক্রীড়া প্রশাসন বিল, ২০২৫। এই বিলের উদ্দেশ্য হল, “ক্রীড়ার বিকাশ ও প্রচার, ক্রীড়াবিদদের কল্যাণমূলক ব্যবস্থাগুলির প্রসার, এবং ক্রীড়াক্ষেত্রে নৈতিকতা রক্ষার জন্য সুশাসনের মাধ্যমে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এছাড়া, বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন পরিচালনার জন্য এমন প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও বিধিসম্মত মানদণ্ড গঠন করা, যা অলিম্পিক ও ক্রীড়া আন্দোলনের নৈতিকতা, ন্যায্যতা ও সুশাসনের সর্বজনীন মৌলিক বিধিগুলির ওপর ভিত্তি করে গঠিত।

    বিল পেশের কারণ

    যেমন, অলিম্পিক চার্টার, প্যারালিম্পিক চার্টার, ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট প্র্যাকটিসেস, এবং এস্টাবলিশ লিগ্যাল স্ট্যান্ডার্ড। এছাড়াও, ক্রীড়া সংক্রান্ত অভিযোগ ও বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ন্যায্য ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা (New Bills) গঠন করাই এই বিলের অন্যতম লক্ষ্য।” জানা গিয়েছে (PM Modi), এই বিলটি শীঘ্রই সংসদে উপস্থাপন করা হবে। বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার ম্যানেজমেন্টকে নিয়ে সম্প্রতি কিছু বিতর্ক উঠেছে। উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগও। সেই প্রেক্ষাপটেই আনা হয়েছে এই বিল।কেন্দ্রীয় সরকার মণিপুর পণ্য ও পরিষেবা কর (সংশোধন) বিল, ২০২৫-কে একটি অর্ডিন্যান্সের পরিবর্তে পাস করার জন্য তালিকাভুক্ত করেছে বলেও খবর। এই বিলের লক্ষ্য হল, কেন্দ্রীয় আইনের সঙ্গে কোনও বিরোধ এড়ানো। সহজে যাতে ব্যবসা করার পরিবেশ তৈরি ও জীবনযাপন সহজতর করা যায় তাই সংশোধন আনা হবে “জন বিশ্বাস বিলে”।

    লোকসভা বুলেটিন

    লোকসভা বুলেটিন (New Bills) অনুযায়ী, “ভূ-ঐতিহ্য স্থান ও ভূ-অবশেষ (সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ) বিল, ২০২৫” অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গ্রহণ করা হবে। বুলেটিনে বলা হয়েছে, “এই বিলের উদ্দেশ্য হল ভূ-তাত্ত্বিক গবেষণা, শিক্ষা, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পর্যটনকে উৎসাহিত করতে জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন ভূ-ঐতিহ্য স্থান ও ভূ-অবশেষগুলির ঘোষণার মাধ্যমে সেগুলিকে সংরক্ষণ, সুরক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণের আইন করা (PM Modi)।” সরকারের আরও পরিকল্পনা, “খনিজ ও খনি (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) সংশোধনী বিল, ২০২৫” এবং “জাতীয় অ্যান্টি-ডোপিং আইনে” আন্তর্জাতিক বেস্ট প্র্যাকটিসগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করতে সংশোধন আনার।

    আয়কর বিল, ২০২৫

    লোকসভার বুলেটিন অনুযায়ী, খনিজ সংক্রান্ত বিলটির উদ্দেশ্য হল – সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ খনিজের কার্যকর পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করা, গভীরে থাকা খনিজের বৈজ্ঞানিক ও সর্বোত্তম খনন নিশ্চিত করতে পার্শ্ববর্তী এলাকা লিজে অন্তর্ভুক্ত করা, জাতীয় খনিজ অনুসন্ধান ট্রাস্টের কাজের পরিসর বাড়ানো, এবং সেই খনিজের পুরানো মজুত যেগুলি ব্যবহারের উপযুক্ত নয়, সেগুলির বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ (New Bills) রাখা। সংসদের বাজেট অধিবেশনেই পেশ হয়েছিল আয়কর বিল, ২০২৫। এটি আয়কর আইন, ১৯৬১-এর ভাষা ও কাঠামো সহজতর করার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই বিলটি বর্তমানে রয়েছে যৌথ সংসদীয় কমিটির পর্যালোচনার আওতায়। এই কমিটি বুধবার তাদের রিপোর্ট গ্রহণের পরিকল্পনা করেছে। পর্যালোচনা শেষ হলে সরকার বাদল অধিবেশনেই বিলটি পাসের জন্য উপস্থাপন করতে পারবে।

    প্রসঙ্গত, প্রথমে ঠিক ছিল বাদল অধিবেশন চলবে ১২ অগাস্ট পর্যন্ত। পরে সেটাই বাড়িয়ে করা (New Bills) হয় ২১ অগাস্ট পর্যন্ত। অর্থাৎ এবার অধিবেশনের মেয়াদ হবে পুরোপুরি এক মাস (PM Modi)।

  • Nimisha Priya: আপাতত পিছিয়ে গেল ইয়েমেনে কেরলের নার্সের ফাঁসি

    Nimisha Priya: আপাতত পিছিয়ে গেল ইয়েমেনে কেরলের নার্সের ফাঁসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ইয়েমেনে (Yemen) ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল কেরলের মেয়ে পেশায় নার্স নিমিশা প্রিয়ার (Nimisha Priya)। তার ঠিক একদিন আগে এল চমকে দেওয়ার মতো খবর। জানা গিয়েছে, আপাতত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর মৃত্যুদণ্ডের তারিখ। প্রিয়াকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছিল ভারত। ফাঁসির ঠিক একদিন আগে মঙ্গলবার আসরে নেমে পড়েন সুন্নি মৌলানা কান্থাপূরম এপি আবুবাকার মুসলিয়ার। তিনি ‘গ্র্যান্ড মুফতি অফ ইন্ডিয়া’ নামেই পরিচিত। জানা গিয়েছে, ইয়েমেনের তালাব আবদো মাহাদির নামে যে নাগরিককে খুনের দায়ে ফাঁসির সাজা হয়েছে প্রিয়ার, তাঁর পরিবারের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন ওই মৌলানা। ‘ব্লাড মানি’ নিয়ে প্রিয়াকে ক্ষমা করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

    ময়দানে ‘গ্র্যান্ড মুফতি অফ ইন্ডিয়া’ (Nimisha Priya)

    বছর চুরানব্বইয়ের এই মৌলানা ইয়েমেনের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গেও কথা বলেছেন। মঙ্গলবার ধামার এলাকায় একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন প্রসিদ্ধ পণ্ডিত তথা সুফি নেতা শেখ হাবিব উমর বিন হাফিজাও। মৌলানার অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, নিহতের এক আত্মীয় হুদেইয়া স্টেট কোর্টের বিচারক। তিনি ইয়েমেনি সুরা কাউন্সিলেরও সদস্য। ধামারের বৈঠকেও উপস্থিত থাকবেন তিনি। ফলে সেই আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে প্রিয়াকে ক্ষমা করে দেওয়ার আর্জি রাখতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ওই মৌলানা। তাঁর দেখা করার কথা সে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গেও। যাতে কোনওভাবে অন্তত প্রিয়ার ফাঁসি পিছিয়ে দেওয়া যায়। ফাঁসির তারিখ পিছিয়ে গেলে ব্লাড মানি জোগাড় করার সময় মিলবে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এই মর্মেই ইয়েমেন সরকার আপাতত (Nimisha Priya) স্থগিত করেছে কেরলের নার্সের ফাঁসি।

    ‘ব্লাড মানি’

    প্রসঙ্গত, নিহতের পরিবার ধামার গোষ্ঠীর সদস্য। এতদিন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কথা বলার কোনও উপায় ছিল না। এই প্রথম মৌলানার হস্তক্ষেপে প্রিয়ার হয়ে আর্জি জানানো সম্ভব হল। ‘ব্লাড মানি’ হল এমন এক ধরনের ক্ষতিপূরণ যা একজন অপরাধী সাধারণত খুনি, যাঁকে খুন করেন, তাঁর পরিবার কিংবা আত্মীয়-স্বজনকে দিয়ে থাকে। ইয়েমেনে (Yemen) এটি একটি আইনি প্রথা যেখানে রক্তের প্রতিশোধের পরিবর্তে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় (Nimisha Priya)।

  • President Murmu: তিনজন নয়া রাজ্যপাল-উপরাজ্যপাল নিয়োগ করলেন রাষ্ট্রপতি

    President Murmu: তিনজন নয়া রাজ্যপাল-উপরাজ্যপাল নিয়োগ করলেন রাষ্ট্রপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনজন নয়া রাজ্যপাল ও উপরাজ্যপাল নিয়োগ করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Murmu)। ১৪ জুলাই, সোমবার নিয়োগ করা হয় তাঁদের। এঁদের মধ্যে বাংলা থেকে রয়েছেন একজন। তিনি প্রাক্তন অধ্যাপক আসীম কুমার ঘোষ (Prof Ghosh)। তাঁকে দেওয়া হয়েছে হরিয়ানার রাজ্যপালের দায়িত্ব। গোয়ার রাজ্যপাল পদে নিয়োগ করা হয়েছে পুসাপতি অশোক গজপতি রাজুকে। আর লাদাখের উপরাজ্যপাল করা হয়েছে কবিন্দর গুপ্তকে। হরিয়ানার বর্তমান রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয়র জায়গায় যাচ্ছেন অসীম। ২০২১ সাল থেকে হরিয়ানার রাজ্যপাল রয়েছেন দত্তাত্রেয়। গোয়ার রাজ্যপাল রয়েছেন পিএস শ্রীধরন পিল্লাই। তাঁর জায়গায় বসানো হচ্ছে পুসাপতি অশোক গজপতি রাজুকে।

    অসীম কুমার ঘোষ (President Murmu)

    প্রাক্তন অধ্যাপক অসীম কুমার ঘোষ পশ্চিমবঙ্গের একজন প্রবীণ বিজেপি নেতা। শিক্ষাবিদ হিসেবেও তিনি ভীষণ জনপ্রিয়। কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক হওয়ার পর তিনি দীর্ঘ সময় ধরে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন। পরে যোগ দেন রাজনীতিতে। নানা সময়ে তিনি অলঙ্কৃত করেছেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক, রাজ্য সভাপতি ও সহ-সভাপতি এবং ত্রিপুরার পর্যবেক্ষকের পদ। সাম্প্রতিক কালে সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরেই ছিলেন তিনি। তবে সাংগঠনিক কর্মসূচিতে প্রবীণ চিন্তক হিসেবে জায়গা পেতেন তিনি। এহেন এক শিক্ষাবিদকেই বসানো হল হরিয়ানার রাজ্যপাল পদে (President Murmu)।

    অশোক গজপতি রাজু

    পুসাপতি অশোক গজপতি রাজু টিডিপির একজন প্রবীণ নেতা। তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়নগরম রাজ পরিবারের সদস্য। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী। অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে টিডিপি এনডিএ সঙ্গ ছাড়লে পদত্যাগ করেন রাজু। তিনি বিজয়নগরম থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন সাতবার।

    কবিন্দর গুপ্ত

    প্রবীণ বিজেপি নেতা কবিন্দর গুপ্তকে দেওয়া হল লাদাখের উপরাজ্যপালের পদ। ২০০৫ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে পরপর তিনবার জম্মুর মেয়র হয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। প্রবীণ এই বিজেপি নেতা ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের শেষ উপমুখ্যমন্ত্রী। এখন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে (Prof Ghosh) জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। সেই লাদাখেরই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে তাঁকে (President Murmu)।

  • TMC: বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনে কাঠগড়ায় ৩ তৃণমূল নেতা, আগাম জামিনের আবেদন

    TMC: বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনে কাঠগড়ায় ৩ তৃণমূল নেতা, আগাম জামিনের আবেদন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে-পরে ব্যাপক রক্ত ঝরেছিল পশ্চিমবঙ্গে। বিরোধীদের ওপর প্রচুর অত্যাচার হয়েছিল বলেও অভিযোগ। এই নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিনই রাতে খুন হন বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার।

    খুনের ঘটনায় কাঠগড়ায় তৃণমূলের ৩ (TMC)

    এই খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় বেলেঘাটার বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) পরেশ পাল, কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (বস্তি) তৃণমূলের স্বপন সমাদ্দার এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলেরই পাপিয়া ঘোষ। সেজন্য কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আগাম জামিনের আবেদন করেন তাঁরা। তৃণমূলের এই নেতাদের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মামলায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তাঁদের নাম জড়ানো হয়েছে। তদন্তে সহযোগিতা করার ইচ্ছে থাকলেও, সিবিআই হঠাৎই তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করায় তাঁরা আদালতের কাছে আগাম জামিনের আবেদন করেন। প্রসঙ্গত, সিবিআই ইতিমধ্যেই ওই তিন তৃণমূল নেতাকে ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছে। আদালত সূত্রে খবর, ১৬ জুলাই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে ওই তৃণমূল নেতাদের আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি হতে পারে।

    বিজেপি কর্মী খুনে অভিযুক্ত তাঁরা

    কলকাতার বেলেঘাটার বাসিন্দা অভিজিৎ বিজেপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল বের হয় ২ মে। তার পরেই কলকাতার বেশ কয়েকটি এলাকায় হিংসার ঘটনা ঘটে। সেই সময় ফেসবুক লাইভে এসে অভিজিৎ অভিযোগ করেন, তাঁর বাড়ি ও পোষ্যদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। এরই কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ। তাতেই নাম জড়ায় ওই তিন তৃণমূল নেতার। খুনের প্রেক্ষিতে অভিজিতের পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশে তদন্তভার পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা (TMC)। সম্প্রতি চার্জশিট দাখিল করে সিবিআই। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে পরেশ, স্বপন এবং পাপিয়ার নাম।

    বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, এই খুনের ঘটনায় জড়িত শাসক দল তৃণমূলের একাধিক নেতাকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে দীর্ঘ দিন ধরে। কিন্তু শেষমেশ সামনে আসছে সত্য। উল্লেখ্য, এর আগে ব্যাংকশাল কোর্টে হাজিরা এড়িয়েছিলেন (Calcutta High Court) তৃণমূলের এই তিন অভিযুক্ত নেতা (TMC)।

  • Love Jihad: উত্তরপ্রদেশে ফের লাভ জিহাদের পর্দা ফাঁস, হিন্দুর ভেক ধরে প্রতারণা করে চলেছিল মুসলিম যুবক

    Love Jihad: উত্তরপ্রদেশে ফের লাভ জিহাদের পর্দা ফাঁস, হিন্দুর ভেক ধরে প্রতারণা করে চলেছিল মুসলিম যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খোঁজ মিলল ‘লাভ জিহাদ’ (Love Jihad) চক্রের হদিশ। উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এক হিন্দু তরুণীর দাবি, মহম্মদ নাভেদ ওরফে কাসিব পাঠান (Muslim Man Arrested) তার ধর্ম গোপন করে তাঁকে ফাঁদে ফেলে এবং তারপর ধর্ষণ, ব্ল্যাকমেল এবং পরে ইসলাম ধর্ম নিতে বাধ্য করে। ওই তরুণীর দাবি, বছর দুয়েক আগে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে তাঁর পরিচয় হয় কাসিব পাঠানের সঙ্গে। পাঠান মুসলমান পরিচয় লুকিয়ে ‘শিব ভার্মা’ নাম দিয়ে একটি ভুয়ো আইডি খোলে। ওই তরুণীর সঙ্গে কথাবার্তা চলাকালীন সে সব সময় নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দিত। তিলক এবং কলাওয়া পরে এবং হিন্দু দেব-দেবীর নামে শপথ নিয়ে পাঠান ওই তরুণীর বিশ্বাস অর্জন করেছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাঠানের সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেম গাঢ় হয়।

    তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক (Love Jihad)

    অভিযোগ, বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাঠান ওই তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল। এজন্য পাঠান শাহজাহানপুরের মহল্লা সিনজাইয়ে একটি ঘরও ভাড়া নিয়েছিল। সেখানেও সে নিজেকে শিব ভার্মা বলেই পরিচয় দিয়েছিল। ওই তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার সময় গোপন ক্যামেরা ব্যবহার করে অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে সে তাকে ব্ল্যাকমেলও করতে শুরু করেছিল। পাঠান ওই তরুণীকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হতেও চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। এদিকে, শারীরিক সম্পর্কের কারণে ওই তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়লে পাঠান ও তার পরিবারের সদস্যরা যার মধ্যে তার ভাই কাইফ ও সামান এবং তাদের বাবা-মা আলম খান এবং উজমা খান সবাই মিলে ওই তরুণীকে গর্ভপাতের জন্য চাপ দেয়। গর্ভপাত করতে অস্বীকার করলে পাঠান তাঁর পেটে লাথি মারে। তিন মাসের মাথায় গর্ভপাত হয়ে যায় ওই তরুণীর।

    ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা হয়

    এর পর তাঁকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়। পাঠান তাঁর সঙ্গে মালিক এবং চাকরের সম্পর্কের মতো আচরণ করত। ওই তরুণী এর প্রতিবাদ করলে তাঁকে খুন করে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। তার পরেও নিতান্তই নিরুপায় হয়ে ওই তরুণী থেকে যান পাঠানের (Muslim Man Arrested) সঙ্গেই। ১১ জুলাই সুযোগ বুঝে ওই তরুণী পাঠানের মোবাইল পরীক্ষা করতে থাকেন। তখনই তিনি জানতে পারেন, পাঠান, তার ভাই কাইফ এবং তাদের বন্ধু আকিল হিন্দু মেয়েদের লাভ জিহাদের ফাঁদে ফেলার ষড়যন্ত্র করছিল। পাঠানের ফোনে লক্ষ্মী, মেধা এবং শত শত হিন্দু তরুণীর অশ্লীল ছবি এবং ভিডিও-ও দেখতে পান। পরে ওই তরুণী সে সব নিয়ে পাঠানকে প্রশ্ন করলে, সে তাঁকে নির্মমভাবে মারধর করে। পাঠান তাঁকে বলেছিল, হিন্দু মেয়েদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক (Love Jihad) স্থাপন করা মুসলমানদের কাছে খুবই পুণ্যের কাজ। তাই ওই তরুণী পাঠানকে নিরস্ত করতে পারবে না।

    লাভ জিহাদের মুখোশ

    পাঠানের লাভ জিহাদের মুখোশ খুলে পড়তেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। গত ১২ জুলাই তিনি প্রধান অভিযুক্ত কাসিব পাঠান, তার দুই ভাই কাইফ ও সমন, কাসিবের বন্ধু আকিল এবং কাসিবের বাবা-মা আলম খান ও উজমা খানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। পাঠানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, পাঠান শিব ভার্মা নামে হিন্দু যুবকের ছদ্মবেশ ধারণ করে অন্তত ১৮ জন হিন্দু মেয়েকে লাভ জিহাদের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে এবং পরে চাপ দিয়ে ধর্মান্তরিত করে (Love Jihad)। তদন্তকারীরা এও জানতে পারেন, পাঠান একা এই কাজ করছিল না। এই চক্রের সঙ্গে (Muslim Man Arrested) জড়িত ছিল তার ভাই কাইফ এবং পরিবারের অন্য সদস্যরাও।

    পাঠানের চারটি ভুয়ো ইনস্টাগ্রামের হদিশ

    তদন্তকারীরা পাঠানের চারটি ভুয়ো ইনস্টাগ্রামের হদিশ পেয়েছেন। এগুলিতে সব মিলিয়ে ১৯০০-রও বেশি ছবি ছিল, যার অনেকগুলিতেই বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে পাঠানের ছবি ছিল। তাঁদের ধারণা, এই প্রোফাইলগুলি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ, যেখানে মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা হত, মানসিকভাবে প্রভাবিত করা হত এবং পরে তাঁদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে সেই ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করে ধর্মান্তরিত করা হত। পুলিশ সুপার অশোক কুমার মিনা বলেন, “অভিযুক্ত পাঠান জেরায় কবুল করেছে যে সে একই কৌশলে ১৮জন হিন্দু মেয়েকে টার্গেট করেছিল।” এই চক্রের সঙ্গে সম্প্রতি বললামপুরে ধরা পড়া আর একটি গ্রুমিং চক্রের (Muslim Man Arrested) সঙ্গে যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ (Love Jihad)।

LinkedIn
Share