Author: pranabjyoti

  • Sonia Gandhi: কেজিবি ও সোরোসের সঙ্গে যোগসাজশ! ভারতকে দুর্বল করার সব চেষ্টা করেন সোনিয়া গান্ধী

    Sonia Gandhi: কেজিবি ও সোরোসের সঙ্গে যোগসাজশ! ভারতকে দুর্বল করার সব চেষ্টা করেন সোনিয়া গান্ধী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) হলেন সেই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি একবার আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেছিলেন, “আমার রাজীবকে ফিরিয়ে দাও, তাহলে আমি ফিরে যাব। যদি তাকে ফিরিয়ে দিতে না পারো, তবে আমাকে মাটির সঙ্গে মিশে যেতে দাও।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বাস্তবে তিনি এমন একটি দীর্ঘমেয়াদি মিশন পরিচালনা করেছেন যা ভারতকে ভিতর (KGB Ties) থেকে গভীরভাবে দুর্বল করে দিয়েছে। রাশিয়ার কেজিবির সঙ্গে কথিত যোগসাজশ থেকে শুরু করে বিশ্ববাদী জর্জ সোরোসের সঙ্গে গভীর আঁতাত, বছরের পর বছর ধরে তাঁর কর্মকাণ্ড একটি সুপরিকল্পিত চেষ্টার ছবি তুলে ধরে—যার লক্ষ্য দেশের সামাজিক-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামোকে ধ্বংস করা।

    টার্নিং পয়েন্ট (Sonia Gandhi)

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০০৪ সালে ক্ষমতায় তাঁর উত্থান ভারতের ইতিহাসে একটি টার্নিং পয়েন্ট। এরপর আসে একের পর এক সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ—হিন্দু সংগঠনগুলিকে টার্গেট করা, ধর্মান্তরণকে মদত দেওয়া, জাতীয় নিরাপত্তাকে ক্ষুণ্ণ করা এবং ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপকে সহজ করা। একটি কম্প্রোমাইজড মিডিয়া ব্যবস্থা এবং গভীরভাবে প্রোথিত আমলাতান্ত্রিক নেটওয়ার্কের সমর্থনে তিনি রেখে গিয়েছেন প্রতারণা, বিভাজন ও ধ্বংসের উত্তরাধিকার। রাজীব গান্ধী হত্যার আগে কংগ্রেস পার্টি ও ভারতের শাসন ব্যবস্থার ওপর সোনিয়ার নিয়ন্ত্রণ প্রায় ছিল না বললেই চলে। ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসেন পিভি নরসিমহা রাও, যিনি তাঁকে সম্পূর্ণভাবে প্রান্তিক করে দিয়েছিলেন। অটল বিহারী বাজপেয়ীর শাসনকালেও (১৯৯৯–২০০৪) সোনিয়া রাজনৈতিকভাবে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু ২০০৪ সালে কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ ক্ষমতায় আসার পর ভয়ঙ্কর সূক্ষ্মতায় প্রকাশ পেতে শুরু করে সোনিয়ার দশকের পর দশক ধরে চালানো মিশনটি।

    কেজিবি-কংগ্রেস যোগ

    ঠান্ডা লড়াইয়ের সময়ের সোভিয়েত গোয়েন্দা দলিলগুলি ইঙ্গিত দেয় যে কংগ্রেস পার্টির সঙ্গে গভীর যোগাযোগ ছিল কেজিবির। এর মধ্যে সোনিয়াও অন্তর্ভুক্ত। রিপোর্টগুলি থেকে জানা যায়, কেজিবি অফশোর অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কংগ্রেসের অ্যাকাউন্টে টাকা পাচার করত এবং রাজীব ও সোনিয়ার এই তহবিলে প্রবেশাধিকার ছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন এই সংযোগকে সাময়িকভাবে থামিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ২০০৪ সালে সোনিয়ার উত্থানের ফলে একই ধরনের বিদেশি প্রভাব ফের মাথাচাড়া দেয়। ২০০৫ সালে সোনিয়ার (Sonia Gandhi) চাপে ইউপিএ সরকার ৯৩তম সংবিধান সংশোধনী আনে, যা হিন্দু-পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি সংখ্যালঘু-পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলিকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটি ছিল হিন্দুত্ব থেকে দলিত ও আদিবাসীদের বিচ্ছিন্ন করার একটি কৌশলগত প্রচেষ্টা—ব্রিটিশযুগের ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল (ভাগ কর ও শাসন কর)’ পলিশিরই প্রতিধ্বনি।

    হিন্দু স্কুলগুলিকে দুর্বল করা

    ২০০৯ সালে শিক্ষার অধিকার আইন হিন্দু-পরিচালিত স্কুলগুলির আরও ক্ষতি করে। এটি সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর জন্য ২৫ শতাংশ সংরক্ষণের বিধান দেয়। কিন্তু সংখ্যালঘু-পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলিকে এই আইনের আওতা থেকে মুক্ত রাখা হয়। ফলস্বরূপ, বহু হিন্দু স্কুল আর্থিক সঙ্কটে পড়ে বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে খ্রিস্টান মিশনারি ও ইসলামিক প্রতিষ্ঠানগুলি বিদেশি অর্থায়ন ও রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা পেয়ে ফুলেফেঁপে ওঠে (KGB Ties)।

    রেহাই পায়নি স্কুলের প্রার্থনাও

    ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলির প্রার্থনা থেকে ‘অসতো মা সদগময়’ বাদ দেওয়ার জন্য একটি আবেদন দাখিল করা হয়। এটিকে সোনিয়া গান্ধীর আর একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হয়েছিল যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি থেকে হিন্দু সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মুছে ফেলা যায়। ইউপিএ শাসনেই দূরদর্শনের লোগো থেকে ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’ অপসারণ করা হয়, যা ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকের সাংস্কৃতিক চেতনাকে মুছে ফেলার একটি প্রয়াস (Sonia Gandhi)।

    হিন্দু ধর্মকে ভেতর থেকে ভাঙার চেষ্টা

    এই শিক্ষাক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক হিন্দু সম্প্রদায়—যেমন কর্ণাটকের লিঙ্গায়েত এবং সাই ভক্ত সম্প্রদায়—স্বতন্ত্র ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দাবি করতে শুরু করে। এটি কংগ্রেসের কৌশলেরই একটি অংশ ছিল, যারা স্বাধীনতার পর শিখ, জৈন ও বৌদ্ধদের হিন্দু ধর্ম থেকে আলাদা করেছিল। সোনিয়ার মূল লক্ষ্য ছিল হিন্দু সমাজকে বিভক্ত করা, যাতে ধর্মান্তর ও বিদেশি প্রভাব সহজে ডানা মেলতে পারে।

    রাম সেতু এফিডেভিট: হিন্দু বিশ্বাসে আঘাত

    ২০০৭ সালে সোনিয়ার সরকার সুপ্রিম কোর্টে একটি এফিডেভিট জমা দিয়ে ঘোষণা করে যে ভগবান রাম, ভগবান হনুমান ও মা সীতা ‘কাল্পনিক চরিত্র’। তাই রাম সেতুর কোনও ধর্মীয় তাৎপর্য নেই। এটি হিন্দু বিশ্বাসের ওপর সরাসরি একটি আঘাত। কিন্তু বিজেপির প্রবল প্রতিবাদের মুখে পড়ে সরকার এই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।

    হিন্দু সন্ত্রাস’ ষড়যন্ত্র: ভুয়া শত্রু তৈরি

    ২০০৬ সালের আগে ‘হিন্দু সন্ত্রাস’ শব্দটি শোনেনি বিশ্ব। কিন্তু মালেগাঁও ও সমঝোতা এক্সপ্রেস বোমা হামলার পরে সোনিয়ার সরকার হিন্দু গোষ্ঠীকে ফাঁসানোর জন্য প্রচার শুরু করে, যাতে তাদের জঙ্গি হুমকি হিসেবে চিত্রিত করা যায়। অবশ্য আদালতে এই মিথ্যা মামলাগুলো ভেস্তে যায়। কিন্তু কংগ্রেস ইতিমধ্যেই ইসলামিস্ট জঙ্গি গোষ্ঠী ও হিন্দু সংগঠনগুলোর মধ্যে একটি মিথ্যা সমতা তৈরি করতে সফল হয় (KGB Ties)।

    সোনিয়া গান্ধী যখন থেকে ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেন, সেই পর্বে সবচেয়ে বিপজ্জনক পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ধর্মীয় ভিত্তিতে বিভক্ত করার চেষ্টা। সাচার কমিটি রিপোর্টে সেনাবাহিনীতে মুসলিম প্রতিনিধিত্বের ‘তদন্ত’ করার সুপারিশ করা হয়, যা সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। জাতীয়তাবাদী শক্তির তীব্র প্রতিক্রিয়ায় সরকার এই পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য হয়। কিন্তু এটি কংগ্রেসের ভারতের প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করার ইচ্ছাকেই প্রকাশ করে (Sonia Gandhi)।

    মন্দির লুট করার পাশাপাশি গির্জায় অর্থায়ন

    আরটিআই অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে, কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন সরকারগুলি, বিশেষ করে কর্নাটকে, হিন্দু মন্দিরগুলি সরকারি নিয়ন্ত্রণ ও শোষণের অধীনে থাকা সত্ত্বেও গির্জাগুলিতে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। এই সুস্পষ্ট বৈষম্য ধর্মান্তরকে উৎসাহিত করেছিল এবং বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত ধর্মপ্রচারকদের অবাধে সম্প্রসারণের সুযোগ করে দিয়েছিল।

    কাঞ্চির শঙ্করাচার্যের গ্রেফতারি

    ২০০৪ সালে দীপাবলির রাতে কাঞ্চির শঙ্করাচার্য জয়েন্দ্র সরস্বতীকে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে তামিলনাড়ুর জয়ললিতা সরকারের পদক্ষেপ বলে মনে করা হলেও, পরে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় জানান, এটি সোনিয়া গান্ধীর কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। কারণ? শঙ্করাচার্য ছিলেন খ্রিস্টান মিশনারিদের ধর্মান্তরণের প্রধান বাধা। সোনিয়ার দীর্ঘদিনের বিদেশি শক্তিগুলির সঙ্গে যোগসাজশ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে জর্জ সোরোস এবং ফোরাম অফ ডেমোক্র্যাটিক লিডার্স ইন এশিয়া প্যাসিফিক (এফডিএল-এপি)-এর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসার পর (KGB Ties)।

    সোনিয়া-সোরোস যোগ

    নথিপত্র থেকে জানা গিয়েছে, সোনিয়া, রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন এবং জর্জ সোরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের মধ্যে গভীর যোগ ছিল। সোরোস একজন স্বঘোষিত গ্লোবালিস্ট। তিনি প্রকাশ্যে ‘মোদীকে ক্ষমতা থেকে সরানোর’ মিশন ঘোষণা করেছেন। ভারত-বিরোধী একাধিক উদ্যোগে অর্থায়নও করেছেন তিনি (Sonia Gandhi)।

    সোরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সালিল শেট্টি রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড কোরাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট, যা ক্রমাগত নরেন্দ্র মোদি-বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে, তার ৫০ শতাংশ অর্থ আসে মার্কিন বিদেশ দফতর থেকে। সোনিয়ার রাজনৈতিক কার্যক্রম এবং পশ্চিমি ডিপ স্টেটের অ্যাজেন্ডার মধ্যে এই সরাসরি সংযোগ কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়—এটি ভারতকে অস্থিতিশীল করার একটি সুপরিকল্পিত বৃহত্তর চক্রান্তের অংশ। তাঁর কথিত কেজিবি-সংযোগ থেকে শুরু করে সোরোস-মদতপুষ্ট গ্লোবালিস্ট (KGB Ties) শক্তিগুলির সঙ্গে তাঁর গভীর আঁতাত, সোনিয়া গান্ধীর শাসনকালকে সুপরিকল্পিত বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস বলেই চিহ্নিত করে (Sonia Gandhi)।

  • India Slams Pakistan: “জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, আছে এবং থাকবেও,” রাষ্ট্রসংঘে ফের বলল ভারত

    India Slams Pakistan: “জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, আছে এবং থাকবেও,” রাষ্ট্রসংঘে ফের বলল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmir) সব সময় ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।” রাষ্ট্রসংঘের আলোচনা সভায় পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা জম্মু-কাশ্মীর (India Slams Pakistan) নিয়ে মন্তব্য করলে, তার প্রতিবাদে এ কথা বলেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পর্বতানেনি হরিশ। জম্মু-কাশ্মীরের কিছু অংশকে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে ইসলামাবাদ। অবিলম্বে ওই অংশ ছাড়তে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন নয়াদিল্লির দূত। দেশের সার্বভৌমত্ব প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নয়াদিল্লির অবস্থান ফের একবার স্পষ্ট করে দিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগও তোলেন তিনি।

    পাকিস্তানের মন্তব্য অযৌক্তিক (India Slams Pakistan)

    জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের মন্তব্যকে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে দাবি করে ভারতীয় এই কূটনীতিক বলেন, “বার বার এই ধরনের কথা বললে তাদের (পাকিস্তানের) অবৈধ দাবি বৈধতা পেয়ে যায় না। তাদের রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদকেও বৈধতা দেয় না।” রাষ্ট্রসংঘে হরিশ জানান, পাকিস্তান এখনও জম্মু-কাশ্মীরের একটি বড় অংশ অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। পাকিস্তান যাতে ওই অংশ ছেড়ে দেয়, তা নিয়েও সুর চড়ান ভারতীয় এই কূটনীতিক। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ওই আলোচনা সভায় মূল আলোচ্য বিষয় ছিল শান্তিরক্ষা বাহিনীর ভবিষ্যৎ। সেখানেই পাকিস্তানের দূত সৈয়দ তারিক ফতেমির বক্তৃতায় উঠে আসে জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গ। তার পরেই বলতে উঠে পাকিস্তানকে তুলোধনা করেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি।

    কী বললেন ভারতের রাষ্ট্রদূত

    ভারতের রাষ্ট্রদূত বলেন, “ভারত বাধ্য হয়ে লক্ষ্য করেছে যে পাকিস্তানের প্রতিনিধি আবারও ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর সম্পর্কে অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করেছে। এ ধরনের মন্তব্য বার বার করে তারা তাদের অবৈধ দাবিকে বৈধতা দেয় না, না তাদের রাষ্ট্র-পৃষ্ঠপোষকতায় সীমান্ত-পার সন্ত্রাসবাদের ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করে। এর পরেই তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীর সব সময় ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, আছে এবং থাকবেও।” হরিশ বলেন, “পাকিস্তান অবৈধভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের একাংশ দখল করে রেখেছে, যা তাদের ছেড়ে দিতে হবে। আমরা পাকিস্তানকে পরামর্শ দেব যে এই ফোরামের মনোযোগ তাদের সংকীর্ণ ও বিভেদমূলক অ্যাজেন্ডা চালানোর জন্য অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা না করতে। ভারত আরও বিস্তারিত উত্তর দেওয়ার অধিকার প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকবে।”  তিনি বলেন, “ভারতের ব্যাপারে নাক গলিয়ে কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে আলটপকা মন্তব্য করছেন পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা। তাই ভারত বলতে বাধ্য হচ্ছে, পাকিস্তানের এ ধরনের মন্তব্যে তাদের দাবিদাওয়া মান্যতা পাবে না। এমনকী, রাষ্ট্রের মদতে সীমান্তে যে সন্ত্রাসবাদ পাকিস্তান কায়েম করতে চাইছে, তাও কোনওভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে না (Jammu Kashmir)।”

    আগেই একহাত নিয়েছিলেন জয়শঙ্কর

    এ মাসের শুরুতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর পাকিস্তান-দখলকৃত কাশ্মীরকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে দীর্ঘতম সময় ধরে অন্য একটি দেশের অবৈধ উপস্থিতি ও দখলদারিত্ব বলে উল্লেখ করেছিলেন। রাইসিনা ডায়লগ ২০২৫-এ ভাষণ দিতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের ভুল ব্যাখ্যা এবং আগ্রাসনকে বিবাদ হিসেবে চিহ্নিত করার সমালোচনা করেছিলেন। জয়শঙ্কর বলেছিলেন, “আমরা রাষ্ট্রসংঘে গিয়েছিলাম। যে ঘটনাটি আদতে একটি আগ্রাসন, তাকে বিরোধে পরিণত করা হয়েছিল। আক্রমণকারী ও শিকারিকে একই সারিতে দাঁড় করানো হয়েছিল। অপরাধী পক্ষগুলি কারা? ব্রিটেন, কানাডা, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (India Slams Pakistan)?”

    পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ফিরে পাওয়াই বাকি

    এর আগে, জয়শঙ্কর বলেছিলেন যে জম্মু কাশ্মীরের সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান অর্জনের জন্য এখন শুধু পাক-অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) ফিরে পাওয়াই বাকি রয়েছে। লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে বক্তৃতা দেওয়ার সময় জয়শঙ্কর বলেছিলেন, “কাশ্মীরে আসলে আমরা বেশ ভালো কাজ করেছি। বেশিরভাগ সমস্যারই সমাধান হয়েছে বলে আমি মনে করি। ধারা ৩৭০ বাতিল করা ছিল আমাদের প্রথম পদক্ষেপ। তারপর, কাশ্মীরে উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুদ্ধার এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা ছিল দ্বিতীয় পদক্ষেপ। তৃতীয় পদক্ষেপ হিসেবে উচ্চ ভোটদানের সঙ্গে নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছে। আমি মনে করি, এখন আমরা শুধু কাশ্মীরের চুরি হয়ে যাওয়া অংশ—যা পাকিস্তান অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে — সেটি ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। যখন সেটি সম্পন্ন হবে, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে (India Slams Pakistan)।”

    সম্প্রতি আমেরিকান পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ কূটনৈতিক শীতলতা নিয়েও মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জানিয়েছেন, ভারত সব সময় শান্তি চেয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান তার বদলে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ওই সাক্ষাৎকারে এও জানিয়েছেন, তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় ২০১৪ সালে পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন যাতে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সম্পর্ক নতুনভাবে শুরু করা যায় (Jammu Kashmir)। কিন্তু শান্তি ফেরানোর প্রতিটি চেষ্টার বদলে অপর প্রান্ত থেকে বিরোধিতা ও বিশ্বাসঘাতকতা মিলেছে বলেও জানান তিনি (India Slams Pakistan)।

  • Imam Embraces Sanatan Dharma: সনাতন ধর্মে দীক্ষা ধর্মপ্রাণ ইমামের, নিলেন বড় শপথও

    Imam Embraces Sanatan Dharma: সনাতন ধর্মে দীক্ষা ধর্মপ্রাণ ইমামের, নিলেন বড় শপথও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোজার মাসে সনাতন ধর্মে দীক্ষা নিলেন এক ধর্মপ্রাণ মুসলিম ইমাম (Imam Embraces Sanatan Dharma)। শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে পণ করলেন, প্রতি বছর ১০ হাজার মুসলমানকে সনাতন ধর্মে দীক্ষিত করবেন। ইমামের ‘ঘর ওয়াপসি’কে (Ghar Wapsi) ঘিরে ব্যাপক হইচই দেশে।

    ধ্যানের মাধ্যমে সান্ত্বনা খোঁজার চেষ্টা (Imam Embraces Sanatan Dharma)

    এই ইমাম এক সময় মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষের সমস্যা সমাধানে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর সমস্ত চেষ্টা সত্ত্বেও, তিনি দেখেন, তাঁর সম্প্রদায়ের সম্মুখীন চ্যালেঞ্জগুলি অমীমাংসিত থেকে গিয়েছে। নিজের জীবনে শান্তির অভাব নিয়েও ব্যতিব্যস্ত ছিলেন তিনি। গভীর হতাশা ও অসহায়ত্ব থেকে মুক্তি পেতে তিনি ধ্যানের মাধ্যমে সান্ত্বনা খুঁজতে লাগলেন। ইমামের দাবি, ধ্যানের সময় তিনি এক ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপ অনুভব করেন। তিনি বলেন, “ধ্যানের সময় একটি শক্তিশালী কণ্ঠ আমাকে বেদ, সনাতন ধর্মের প্রাচীন শাস্ত্র অধ্যয়ন করার নির্দেশ দেয়। সেই কণ্ঠ আমায় সনাতন ধর্মের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক শান্তি খুঁজে নেওয়ার পথ দেখিয়েছিল।”

    ইমামের সনাতন ধর্ম-প্রশস্তি

    তিনি বলেন, “এ এমন এক অভিজ্ঞতা যা আমার জীবন পরিবর্তন করেছে। এই গভীর আধ্যাত্মিক যাত্রার সময়ই আমি সনাতন ধর্মের সঙ্গে একটি অচ্ছেদ্য বন্ধন অনুভব করি। তার পরেই সনাতন ধর্ম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিই।” তিনি শপথ নিয়েছেন, এবার থেকে প্রতি বছর ১০ হাজার মুসলমানকে সনাতন ধর্মে দীক্ষিত করবেন। তিনি বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সনাতন ধর্মে আমি যে শান্তির খোঁজ পেয়েছি (Imam Embraces Sanatan Dharma), মানুষকে সেই একই শান্তি ও আধ্যাত্মিক জাগরণ খুঁজে পেতে সাহায্য করাই আমার জীবনের লক্ষ্য। ইমাম বলেন, “মুসলমান সম্প্রদায়ের অনেক মুসলিম পুরুষ ও নারী তাঁদের নিজস্ব ধর্মে যে ব্যবহার পেয়েছেন, তাতে তাঁরা অসন্তুষ্ট। সেই কারণেই তাঁরা বিকল্প পথ অনুসন্ধান করছেন। আমার এই ধর্ম পরিবর্তন অনেককে অনুসরণ করতে উৎসাহিত করছে।” তিনি মনে করেন, “সনাতন ধর্ম উচ্চতর আধ্যাত্মিক জ্ঞানের পথ দেখায়।” ইমাম তাঁর দীক্ষিতদের বৈদিক হোম ও পূজার জটিল প্রথার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দেন (Imam Embraces Sanatan Dharma)।

    ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি, ইমাম তাঁর অনুসারীদের প্রকৃতির কাছাকাছি একটি জীবনযাপন করতে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, “অনেক দীক্ষিত ব্যক্তি বড় শহরের দূষিত পরিবেশের বদলে বন-জঙ্গল ও গ্রামীণ অঞ্চলে বসবাস করতে পছন্দ করেন (Ghar Wapsi)। এই নির্মল পরিবেশে তাঁরা চাষাবাদ, আধ্যাত্মিক সাধনা ও সনাতন ধর্মের প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জীবনযাত্রার মাধ্যমে শান্তি খুঁজে পান (Imam Embraces Sanatan Dharma)।”

  • Bangladesh: ডামাডোলের বাজারে লে লুটে নে! বাংলাদেশে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা করছেন ইউনূস-ঘনিষ্ঠরা

    Bangladesh: ডামাডোলের বাজারে লে লুটে নে! বাংলাদেশে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা করছেন ইউনূস-ঘনিষ্ঠরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডামাডোলের বাজারে লে লুটে নে! এই হচ্ছে বাংলাদেশের অবস্থা। হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশের (Bangladesh) হাল ধরেছেন নোবেল পুরস্কার জয়ী মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। দেশ চালাচ্ছে তাঁর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের ‘ছাত্র কর্মী’ ও ‘উপদেষ্টা’রা ক্রিপ্টোকারেন্সির আকারে অজ্ঞাত উৎসের বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা করেছেন।

    এশিয়াপোস্ট নিউজ’-এর প্রতিবেদনে হইচই (Bangladesh)

    গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এই তথ্য প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ‘দি এশিয়াপোস্ট নিউজ’-এর একটি প্রতিবেদনে। এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডোজ) কর্তৃক বাংলাদেশের ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালীকরণের’ জন্য ২৯ মিলিয়ন ডলারের ইউএসএআইডি প্রকল্প বাতিল করার কয়েক দিন পরে। ‘দি এশিয়াপোস্ট নিউজ’ তাদের সূত্র থেকে প্রাপ্ত স্ক্রিনশট শেয়ার করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ইউনূস সরকারের কাছাকাছি থাকা লোকেরা কোটি কোটি ডলারের সম্পদ করে ফেলেছেন। এই অজ্ঞাত উৎসের অর্থ অনলাইন ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ, বিনান্সে জমা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মাত্র সাত মাস আগে ক্ষমতায় এসেছে। এরই মধ্যে ‘ছাত্র কর্মী’ এবং ‘উপদেষ্টা’রা এত অল্প সময়ের মধ্যেই নিজেদের ‘আখের গুছিয়ে’ ফেলেছেন!

    কী বলছে প্রতিবেদন

    দি এশিয়াপোস্ট নিউজ জানিয়েছে, “এই প্রকাশনাগুলি আরও উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয় যে যেসব ব্যক্তি এক সময় ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়ানোর দাবি করেছিলেন, তাঁরা এখন হয়তো নির্বিচারে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন, এবং এই সবই ঘটছে যখন বাংলাদেশ তার ইতিহাসের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়গুলির একটির মুখোমুখি। এই প্রমাণগুলি বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি কেলেঙ্কারিগুলির একটি প্রকাশ করতে পারে।” প্রতিবেদনটিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, “জাতি যখন বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে, তখন প্রশ্নটি থেকে যায়: ন্যায়বিচার কি প্রতিষ্ঠিত হবে, নাকি যাঁরা ক্ষমতায় আছেন তাঁরা তাঁদের সেই মানুষদের শোষণ করতে থাকবেন যাঁদের রক্ষা করার জন্য তাঁরা একসময় শপথ নিয়েছিলেন (Bangladesh)?”

    এশিয়াপোস্ট নিউজের তদন্তে কী উঠে এল

    এশিয়াপোস্ট নিউজের তদন্তে জানা গিয়েছে, ‘ছাত্র কর্মী’ সারজিস আলমের কাছে ৭৭.৬ লক্ষ মার্কিন ডলারের একটি বিশাল সম্পদ জমা হয়েছে। এটি এমন একটি সময়ে হয়েছে, যখন জানা যায়নি তাঁর আয়ের কোনও উৎস। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনও পদেও নেই তিনি। এই আলমই বারবার ভারতকে হুমকি দিয়েছেন এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হস্তান্তর করার দাবি জানিয়েছেন। তাঁর ভারত-বিরোধী বক্তব্যের কারণে, এই ইসলামবাদীকে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান সংগঠক করা হয়েছিল। তিনি বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর ২০২৪) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে গোপন হুমকি দিয়েছিলেন।

    কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার হদিশ

    এশিয়াপোস্টের নিউজ অনুসারে, নাহিদ ইসলাম (যিনি পূর্বে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন) তাঁর বাইনান্স অ্যাকাউন্টে ২০৪.৬৪ বিটকয়েনও রাখতেন। এর মূল্য প্রায় ১ কোটি ৯০ লক্ষ মার্কিন ডলার (Muhammad Yunus)। কাকতালীয়ভাবে, রিপোর্ট প্রকাশের সময় নাহিদ ইসলাম তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরে যোগ দেন নবগঠিত ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’তে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সাজিভ ভূঁইয়া ১১৩ বিটকয়েন জমা করেছিলেন, যা ১ কোটি ২০ লক্ষ মার্কিন ডলারের সমতুল (Bangladesh)। এশিয়াপোস্ট নিউজ অনুসারে, ‘ছাত্র কর্মী’ খান তালাত মাহমুদ রাফির বাইনান্স অ্যাকাউন্টে দেখা গিয়েছে যে তাঁর ১১.০৯ বিটকয়েন রয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনও পদে না থাকা সত্ত্বেও, তিনি পূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রোটোকল পান। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেস সেক্রেটারি, শফিকুল আলমও তাঁর বাইনান্স অ্যাকাউন্টে ১ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি জমা করেছেন।

    অভিযুক্ত ইউনূস

    এত বিপুল সম্পদের জন্য কোনও পরিচিত আয়ের উৎস না থাকায়, এটি ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে এই অর্থ অবৈধ উপায়ে রোজগার করা। মহম্মদ ইউনূসের শাসনকালে জনসেবার নামে দ্রুতই তার কর্মকর্তা এবং ‘ছাত্র কর্মীদের’ কোষাগার পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে, যাঁরা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগণতান্ত্রিক অপসারণের নেপথ্যে ছিলেন। ইউনূসের ট্র্যাক রেকর্ডও উজ্জ্বল নয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকার একটি শ্রম আদালত তাঁকে বাংলাদেশের শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে। তাঁকে ৬ মাসের সাধারণ কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং ৩০,০০০ টাকা জরিমানাও করা হয় (Bangladesh)। ইউনূস এবং ‘গ্রামীণ টেলিকমের’ আরও তিনজন পরিচালক কোম্পানির কর্মীদের জন্য কল্যাণ তহবিল তৈরি করতে ব্যর্থ হয়ে শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছিলেন।

    কী বলছে শ্রম আদালত

    শ্রম আদালতের বিচারক, শেখ মেরিনা সুলতানা জানিয়েছিলেন, গ্রামীণ টেলিকমের ৬৭ জন কর্মীকে কোম্পানিতে স্থায়ী করার কথা ছিল, যা হয়নি (Muhammad Yunus)। কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী, লভ্যাংশের ৫ শতাংশ কর্মীদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার কথা, যা বাস্তবায়িত হয়নি। মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে বাংলাদেশে দুর্নীতি এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনের ১০০টি অভিযোগের মুখোমুখি হচ্ছেন। ২০০৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ইউনূস ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দরিদ্রদের ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার জন্য। তিনি আগে বাংলাদেশ সরকারের অবসর নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য তাঁর ব্যাংকের ম্যানেজার হিসেবে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন।

    ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা

    ২০১৩ সালে সরকারি অনুমতি ছাড়াই টাকা নেওয়ার জন্য ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। দরিদ্রদের অত্যন্ত চড়া সুদে ঋণ দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনা তাঁকে ‘রক্তচোষা’ বলে অভিহিত করেছিলেন। এক্সক্লুসিভ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের দুদিন পর, ‘রুমার স্ক্যানার’ নামে একটি প্রচার পোর্টাল, যা ‘ফ্যাক্ট-চেকিং’ ওয়েবসাইট হিসেবে ছদ্মবেশ ধারণ করে, সরকারি কর্মকর্তাদের এবং ইউনূস শাসনের ঘনিষ্ঠ ‘ছাত্র কর্মীদের’ বিরুদ্ধে উন্মোচিত তথ্য নিয়ে একটি নিবন্ধ লেখে। তাতে অভিযোগ করা হয়, স্ক্রিনশটগুলি ‘ডিজিটাল এডিটিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে বদল করা হয়েছে’ এবং ‘একটি অবিশ্বস্ত উৎসের ভিত্তিতে’ প্রচার করা হচ্ছে (Bangladesh)।

    কী বলছেন বাংলাদেশের সাংবাদিক

    বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক সালাহউদ্দিন শোয়েব চৌধুরী বলেন, ‘রুমার স্ক্যানার’ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেস সেক্রেটারির অফিস থেকে পরিচালিত হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এই একই প্রেস সচিব শফিকুল আলমের নাম ‘দ্য এশিয়া পোস্ট নিউজ’-ও প্রকাশ করেছে। তার পরেই স্ক্যানার তাদের প্রতিবেদনকে ‘ভুয়া খবর’ হিসেবে চিহ্নিত করতে কোমর কষে নামে। ‘দ্য এশিয়া পোস্ট নিউজ’ অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের দুর্নীতি উন্মোচন করে একটি সমালোচনামূলক প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক মাস হয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও, এই বিষয়ে কোনও তদন্ত শুরু করা হয়নি। বরং, প্রতিবেদনটির সত্যতা চাপা দেওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হয়েছে (Muhammad Yunus)।

    প্রসঙ্গত, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জোরদার হতেই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। তার পরেই বাংলাদেশে শুরু হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। দেশের অস্থির পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্ষমতার রাশ তুলে দেওয়া হয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে। এই সরকারেরই প্রধান হন ইউনূস। অভিযোগ, তার পর থেকে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে দুর্নীতি। যার জেরে আদতে আখের গুচ্ছোচ্ছেন আন্দোলনের হোতাদের অনেকেই। দুর্নীতির এই পাঁকে আটকে গিয়ে (Muhammad Yunus) থমকে গিয়েছে বাংলাদেশের উন্নয়ন (Bangladesh)।

  • Mark Carney: সরকার ভেঙে দিলেন কানাডার নয়া প্রধানমন্ত্রী কার্নে, কারণ কী জানেন?

    Mark Carney: সরকার ভেঙে দিলেন কানাডার নয়া প্রধানমন্ত্রী কার্নে, কারণ কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শপথ গ্রহণ করেছিলেন ১৪ মার্চ। তার ঠিক ন’দিনের মাথায় সরকার ভেঙে দিলেন কানাডার (Canada) নয়া প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নে (Mark Carney)। কার্নের আগে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লিবারেল পার্টির জাস্টিন ট্রুডো। ভারতের সঙ্গে বিবাদে জড়ানোর পর ঘরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রুডো। ট্রুডোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন লিবারেল পার্টরই অনেক সাংসদ। শেষমেশ একপ্রকার বাধ্য হয়েই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন ট্রুডো।

    ২৮ এপ্রিল দেশে সাধারণ নির্বাচন (Mark Carney)

    লিবারেল পার্টির তরফে প্রধানমন্ত্রী পদে বসানো হয় কার্নেকে। সেই কার্নেই পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে অনুরোধ করেন গভর্নর জেনারেলের কাছে। অনুরোধ করেন ২৮ এপ্রিল দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে। সেই মতো ওই দিনই হচ্ছে কানাডার নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই নয়া সরকার বেছে নেবেন কানাডাবাসী। কার্নে জানান, প্রতিবেশী আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে কানাডার নাগরিকদের জন্য সময় আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। ট্রাম্প অনবরত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়ে কানাডাকে চাপে রাখতে চাইছেন। শক্ত হাতে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা দরকার। কার্নে চান, এই কঠিন সময়ে দেশকে কে নেতৃত্ব দেবেন, সেই সিদ্ধান্ত নিন কানাডাবাসীই। সেই কারণেই সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের ডাক দিয়েছেন কার্নে।

    কী লিখেছেন কার্নে?

    রবিবার রাতে সমাজ মাধ্যমে কার্নে লিখেছেন, “আমি এই মাত্র গভর্নর জেনারেলকে বললাম পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে এবং আগামী ২৮ এপ্রিল সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করতে। তিনি রাজি হয়েছেন। জি৭-এ আমাদের কানাডাকে সব চেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি করে তুলতে হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে লড়তে হবে। দেশের জন্য এই পরিশ্রম কে বা কারা করবেন, তা ঠিক করার অধিকার কানাডার মানুষেরই। তাঁরা সেই অধিকারের দাবিদার।” তিনি বলেন, “কানাডাকে সুরক্ষিত করে তোলার জন্য অনেক কাজ বাকি আছে। এখানে বিনিয়োগ করতে হবে, কানাডাকে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনৈতিক শুল্ক হুঁশিয়ারির মুখে কানাডায় যে সঙ্কট নেমে এসেছে, তার মোকাবিলা করতে হবে। সেই কারণেই আমি জনগণের কাছ থেকে এ বিষয়ে কঠোর আদেশ চাইছি।”

    ঘুরে যায় হাওয়া

    কানাডায় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের অক্টোবরে। নানা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ট্রুডোর আমলে লিবারেল পার্টির থেকে কনজারভেটিভরা কিছুটা এগিয়ে গিয়েছেন। এর পরেই শুরু হয় ট্রুডোকে সরানোর তোড়জোড় (Canada)। নয়া প্রধানমন্ত্রী পদে বসানো হয় কার্নেকে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রুডোকে সরানোর পর থেকেই ঘুরে যায় হাওয়া। সেই হাওয়াকে স্ব-দলের নৌকার পালে লাগাতে চাইছেন কার্নে। সেই কারণেই অকাল নির্বাচন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসতেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের তরফে কানাডার প্রতি বড়সড় হুমকি উঠে এসেছে। ট্রাম্পের সেই হুমকি প্রসঙ্গে কার্নে বলেন, “তিনি (ট্রাম্প) আমাদের ভেঙে ফেলতে চান, যাতে আমেরিকা আমাদের মালিকানা নেয়, আমরা কখনওই তা হতে দেব না।” তিনি আগেই বলেছিলেন, “ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আমার নয়া জনমতের প্রয়োজন।”

    জনপ্রিয়তায় এগিয়ে কার্নে

    কার্নে (Mark Carney) জনপ্রিয়তায় এগিয়ে যান মধ্যবিত্ত শ্রেণির কর কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে। তাঁর পূর্বসূরী ট্রুডোর ঘোষিত বেশ কিছু পদক্ষেপের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করেন তিনি। এর মধ্যে ছিল কার্বন কর বাতিল এবং মূলধন লাভ বৃদ্ধি। শনিবারই লিবারেল পার্টি ঘোষণা করেছিল, কার্নে জাতীয় রাজধানী অটোয়ার শহরতলির অন্টারিওর নেপিয়ান আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। লিবারেল পার্টির তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে আমাদের নেতা মার্ক কার্নে, আগামী নির্বাচনে নেপিয়ানের জন্য আমাদের প্রার্থী হবে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, অটোয়া ছিল সেই জায়গা যেখানে কার্নে তাঁর পরিবারকে লালন-পালন করেছিলেন, জনসেবায় উৎসর্গ করেছিলেন তাঁর কর্মজীবন এবং সর্বদা তাঁর সম্প্রদায়কে রিটার্ন দিয়েছিলেন (Mark Carney)।”

    কী বলেছিলেন কার্নে

    ন’দিন আগে (Canada) কার্নে যখন নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন তার কিছু দিন আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে কানাডার। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরেই কার্নে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক নিয়ে কথা বলেন। কানাডার পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপকে নিজেদের জীবনের সব চেয়ে বড় সঙ্কট হিসেবে অভিহিত করেন কার্নে। সেদিন তিনি বলেছিলেন, “আমরা এই (বাণিজ্য) লড়াই চাইনি। কিন্তু কানাডিয়ানরা সব সময় প্রস্তুত থাকে যখন কেউ তার হাতের গ্লাভস ফেলে দেয়। তো মার্কিনিদের কোনও ভুল করা উচিত নয়।” তিনি বলেন, “হকি খেলার মতো বাণিজ্য (Canada) লড়াইয়েও কানাডা জিতবে (Mark Carney)।”

  • Mahmud Abbas: এবার গাজা রক্ষায় হামাসকে অনুরোধ প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্টের

    Mahmud Abbas: এবার গাজা রক্ষায় হামাসকে অনুরোধ প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গাজা রক্ষায় হামাসকে (Hamas) অনুরোধ প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের (Mahmud Abbas)। শনিবার আব্বাসের ফাতাহ আন্দোলন তাদের ইসলামিস্ট প্রতিদ্বন্দ্বী হামাসকে গাজা উপত্যকায় প্যালেস্তাইনিদের অস্তিত্ব রক্ষায় ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ফাতাহ মুখপাত্র মুনথের আল-হায়েক গাজা থেকে এক বার্তায় বলেন, “হামাসকে গাজা, এর শিশু, নারী ও পুরুষদের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে হবে।”

    ফাতাহ মুখপাত্রের অনুরোধ (Mahmud Abbas)

    তিনি হামাসকে শাসন থেকে সরে দাঁড়াতে এবং সম্পূর্ণভাবে স্বীকার করতে বলেছেন যে যদি তারা গাজায় ক্ষমতায় থাকে তাহলে আগামী লড়াইয়ে প্যালেস্তাইনিদের অস্তিত্বের অবসান ঘটবে। প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে হামাস ফাতাহ-নিয়ন্ত্রিত প্যালেস্তাইন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে গাজার ক্ষমতা দখল করে। পরবর্তী কালে একাধিকবার সমঝোতার চেষ্টা হলেও, তা ব্যর্থ হয়।

    প্রতিশোধ নিতে গাজায় হামলা

    ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ও অন্যান্য প্যালেস্তাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামলা চালায় ইজরায়েলে। এরই প্রতিশোধ হিসেবে গাজায় হামাসের ডেরায় হামলা চালায় ইজরায়েলি সেনা। তার জেরে বিধ্বস্ত হয়েছে গাজা উপত্যকা। হামাস বারবার বলেছে, যুদ্ধ শেষ হলে তারা গাজায় ক্ষমতা ছেড়ে দিতে প্রস্তুত। যদিও অস্ত্র ত্যাগ করতে রাজি নয় তারা (Mahmud Abbas)।

    হামাস মুখপাত্র আব্দুল লতিফ আল-কানু শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা প্রশাসন সংক্রান্ত যে কোনও চুক্তি মেনে নিতে প্রস্তুত, যদিও চুক্তিতে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী নই।” তিনি বলেন, “জাতীয় ঐক্যই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, হামাস যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা পরিচালনা ও পুনর্গঠন তদারকির জন্য পেশাদার ও প্রযুক্তিবিদদের একটি স্বাধীন কমিটি গঠনে মিশরের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে।

    আব্বাস বলেন, ওই কমিটিকে রামাল্লাভিত্তিক প্যালেস্তাইন অথরিটিকে রিপোর্ট করতে হবে, যা তাঁর মতে গাজা শাসনের একমাত্র বৈধ সত্তা, কিন্তু ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার এটি প্রত্যাখ্যান করেছে। উল্লেখ্য যে, গাজা যুদ্ধে ১৯ জানুয়ারির যুদ্ধবিরতি পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে মতবিরোধের পর, ইজরায়েল মঙ্গলবার ফের বিমান হানা শুরু (Hamas) করে। তার পরের দিন শুরু হয় স্থল অভিযান (Mahmud Abbas)।

  • Amit Shah: “সন্ত্রাসবাদ শেকড় গাড়ার আগেই নির্মূল করা হবে,” বললেন শাহ

    Amit Shah: “সন্ত্রাসবাদ শেকড় গাড়ার আগেই নির্মূল করা হবে,” বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসবাদ (Terrorism) শেকড় গাড়ার আগেই নির্মূল করা হবে।” শুক্রবার রাজ্যসভায় এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন তিনি পাঞ্জাবে উগ্রপন্থী অমৃতপাল সিংয়ের বিরুদ্ধে তাঁর মন্ত্রক কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন। সাফ জানিয়ে দেন, তাঁরা দেশে সন্ত্রাসবাদকে বিকশিত হতে দেবেন না।

    শাহ উবাচ (Amit Shah)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা কোনও রাজনৈতিক আদর্শ দ্বারা চালিত সন্ত্রাসবাদকে দেশে বিকশিত হতে দেব না। এটি শেকড় গাড়ার আগেই নির্মূল করা হবে।” তিনি বলেন, “পাঞ্জাবের বিচ্ছিন্নতাবাদী জার্নাল সিং ভিন্দ্রাওয়ালের পথ অনুসরণ করার চেষ্টা করছেন যাঁরা, তাঁরা এখন অসমের জেলে রয়েছেন।” প্রসঙ্গত, অমৃতপাল সিং ও তাঁর সহযোগীরা গত দু’বছর ধরে এনএসএ-র অধীনে অসমের ডিব্রুগড় জেলে বন্দি রয়েছেন। তিনি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেছিলেন। খাদুর সাহিব আসন থেকে জয়লাভও করেছিলেন।

    পূর্বতন বিভিন্ন সরকারের সমালোচনা

    এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তদন্ত চালানোর পর ২০২৩ সালের ২৩ এপ্রিল মোগার রোডে গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় অমৃতপালকে। তার পর থেকে তিনি রয়েছেন গারদে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ভারত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে নিরাপদ।” সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথাও এদিন তুলে ধরেন শাহ। তিনি বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ, বামপন্থী চরমপন্থা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহ ভারতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে একটি। এগুলি চার দশকে ৯২ হাজার নাগরিকের জীবন কেড়ে নিয়েছে।” শাহ (Amit Shah) বলেন, “সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করতে এবং সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সরকারের প্রয়োজন সাহস ও দৃঢ় রাজনৈতিক ইচ্ছা থাকা।” জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি পূর্বতন বিভিন্ন সরকারের কঠোর সমালোচনাও করেন।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এক সময় ছিল যখন বোমা বিস্ফোরণ নিয়মিত ঘটনা ছিল। আমি দেশের মানুষকে বলতে চাই, গত ১০ বছরে, এমন বোমা বিস্ফোরণ বন্ধ হয়েছে। এখন কেউ আর বিস্ফোরণ ঘটানোর সাহস পায় না। নরেন্দ্র মোদীর অধীনে দেশ নিরাপদ। আমরা সন্ত্রাসবাদকে উৎখাত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”  তিনি (Amit Shah) বলেন, “মোদিজির দৃঢ় রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি এবং শক্তিশালী ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশ এখন নিরাপদ। দেশের নিরাপত্তা নিয়ে বিরোধী দলগুলির চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই। আমরা আপনাদের (বিরোধী দল) এবং দেশকে নিরাপদ রাখব (Terrorism)।”

  • RSS: স্বাধীনতা সংগ্রামী উল্লালের মহারানি আব্বাক্কাকে শ্রদ্ধা আরএসএসের সরকার্যবাহকের

    RSS: স্বাধীনতা সংগ্রামী উল্লালের মহারানি আব্বাক্কাকে শ্রদ্ধা আরএসএসের সরকার্যবাহকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মহীয়সী নারী স্বাধীনতা সংগ্রামী উল্লালের মহারানি আব্বাক্কা ছিলেন একজন দক্ষ প্রশাসক, অপরাজেয় কৌশলবিদ এবং অত্যন্ত বীরত্বপূর্ণ শাসক। তিনি দক্ষিণ কন্নড় জেলার (বর্তমানে উপকূলীয় কর্ণাটক) উল্লাল সামস্থান সফলভাবে শাসন করেছিলেন। বীর রানি আব্বাক্কার ৫০০তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) (RSS)।

    পর্তুগিজ হানাদারদের পরাজিত করেছিলেন রানি (RSS)

    শাসনকালে আব্বাক্কা পর্তুগিজ হানাদারদের একাধিকবার পরাজিত করেছিলেন। এই পর্তুগিজরা তখন বিশ্বের সবচেয়ে অপরাজেয় সামরিক শক্তিগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হত। কূটনৈতিক দক্ষতা ও কৌশলগত মিত্রতার (উত্তর কেরলের সামুথিরি রাজার সঙ্গে) সাহায্যে তিনি রক্ষা করেছিলেন তাঁর রাজ্যের স্বাধীনতা।  , তাঁর কৌশল, বীরত্ব এবং নির্ভীক নেতৃত্ব তাঁকে ইতিহাসের পাতায় “অভয়রানি” বা নির্ভীক রানির সম্মান এনে দিয়েছিল।

    মহারানি আব্বাক্কা

    মহারানি আব্বাক্কা ছিলেন ধার্মিক। তিনি বহু শিব মন্দির এবং তীর্থস্থান প্রতিষ্ঠায় উৎসাহিত করে ভারতের সমন্বয়মূলক ঐতিহ্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। শাসন কালে রানি নিশ্চিত করেছিলেন যাতে সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়কে সমান সম্মান দেওয়া হয় এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরে সামগ্রিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করা হয়। এই সম্মান এবং ঐক্যের উত্তরাধিকার কর্নাটকে আজও প্রতিধ্বনিত হয়। রানির অমর কীর্তিগুলি যক্ষগান, লোকগীতি এবং ঐতিহ্যবাহী নৃত্যের মাধ্যমে আজও বেঁচে রয়েছে।

    তাঁর অদম্য সাহস, জাতি ও ধর্মের প্রতি নিষ্ঠা এবং কার্যকর শাসনের স্বীকৃতি স্বরূপ, ভারত সরকার ২০০৩ সালে তাঁর স্মরণে তাঁর নামে একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করে। এভাবে তাঁর বীরত্বের গল্প জাতির মনে গেঁথে রয়েছে যুগ যুগ ধরে। ২০০৯ সালে রানি আব্বাক্কার নামে একটি পেট্রোল ভেসেলের নামকরণ করা হয়। এটি তাঁর নৌ কমান্ডের উত্তরাধিকারের একটি অনুপ্রেরণার প্রতীক হিসেবে কাজ করে (RSS)।

    আরএসএসের (RSS) তরফে জারি করা বিবৃতিতে সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসেবল বলেন, “মহারানি আব্বাক্কার জীবন সমগ্র জাতির জন্য একটি গভীর অনুপ্রেরণা স্বরূপ। তাঁর ৫০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আরএসএস এই অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বকে শ্রদ্ধা জানায়। তাঁর গৌরবময় জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে চলমান জাতি-গঠনের মিশনে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখার জন্য সমগ্র সমাজের প্রতি আহ্বান জানায়।”

  • Shaheed Diwas 2025: আজ শহিদ দিবস, এদিনই ফাঁসিতে ঝোলানো হয় তিন দেশপ্রেমিককে

    Shaheed Diwas 2025: আজ শহিদ দিবস, এদিনই ফাঁসিতে ঝোলানো হয় তিন দেশপ্রেমিককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২৩ মার্চ। প্রতি বছর দিনটি পালিত হয় শহিদ দিবস (Shaheed Diwas 2025) হিসেবে। ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতের স্বাধীনতার জন্য যাঁরা জীবন দান করেছিলেন, দেশবাসী এই দিনে তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। এই দিনে ব্রিটিশ সরকার আমাদের জাতির তিন বীর – ভগৎ সিং, শিবরাম রাজগুরু এবং সুখদেব থাপারকে ফাঁসিতে লটকে দিয়েছিল (Bhagat Singh)।

    শহিদ দিবস (Bhagat Singh)

    ভারতে অবশ্য শহিদ দিবস বিভিন্ন তারিখে পালিত হয়। ৩০শে জানুয়ারি মহাত্মা গান্ধীর স্মরণে শহিদ দিবস পালিত হয়। ১৯৪৮ সালের ৩০শে জানুয়ারি সন্ধ্যার প্রার্থনার সময় বিড়লা হাউসে নাথুরাম গডসের গুলিতে নিহত হন তিনি। মহাত্মার স্মরণে দিনটি শহিদ দিবস হিসেবে পালিত হয়।

    যাইহোক, ভগত সিং, তাঁর সহযোগী শিবরাম রাজগুরু এবং সুখদেব থাপারের সঙ্গে তাঁদের সাহসী অভিযানের জন্য দেশের যুব সমাজের কাছে একটি অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছিলেন। ১৯২৯ সালের ৮ এপ্রিল, ভগত সিং এবং বটুকেশ্বর দত্ত দিল্লির কেন্দ্রীয় অ্যাসেম্বলি হলে বোমা নিক্ষেপ করেন। “ইনকিলাব জিন্দাবাদ!” ধ্বনি দেন। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ভগত সিং ও তাঁর বিপ্লবী সহযোগী রাজগুরু ও সুখদেবকে ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

    ভগৎ সিং

    ভগৎ সিংয়ের জন্ম ১৯০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, ফয়সলাবাদ জেলার বঙ্গা গ্রামে, শিখ পরিবারে। এলাকাটি (Shaheed Diwas 2025) বর্তমানে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে অবস্থিত। শৈশব থেকেই ভগৎ সিং তাঁর পরিবারের দেশপ্রেমের চেতনায় প্রাণিত হয়েছিলেন। তাঁর জন্মের সময়, তাঁর বাবা কিষান সিং কারাগারে বন্দি ছিলেন। কারণ তিনি ক্যানাল কলোনাইজেশন বিল আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কর্তার সিং সরাভার ফাঁসি তরুণ ভগৎ সিংয়ের মনে গভীর প্রভাব ফেলে। এর পরেই তিনি দেশের জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করার শপথ নেন।

    গ্রামের স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণী পাস করার পর, ভগৎ সিং লাহোরের দয়ানন্দ অ্যাংলো-বেদিক স্কুলে ভর্তি হন। মহাত্মা গান্ধী ও অন্যান্য জাতীয়তাবাদী নেতাদের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বয়কটের আহ্বানে সাড়া দিয়ে, তিনি তাঁর স্কুল ছেড়ে লাহোরের ন্যাশনাল কলেজে ভর্তি হন। বাড়িতে বিয়ের জন্য চাপাচাপি করতে ভগৎ সিং (Bhagat Singh) বাড়ি ছেড়ে কানপুরে চলে যান। চাকরি নেন প্রতাপ প্রেসে। কয়েক মাস পরে তিনি ফেরেন লাহোরের বাড়িতে। ১৯২৬ সালের মার্চ মাসে নওজওয়ান ভারত সভা গঠিত হয়। ভগৎ সিং ছিলেন এর প্রধান সংগঠকদের একজন। তিনি হন এর সচিব। ভগৎ সিংয়ের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর, পুলিশ তাঁর দেহ গোপনে হুসাইনিওয়ালায় দাহ করে এবং দেহাবশেষ ফেলে দেয় শতদ্রু নদীতে।

    ১৯৫০ সালে, ভগৎ সিং ও তাঁর সহযোগীদের দাহ করা জমি পাকিস্তানের কাছ থেকে অধিগ্রহণ করা হয়। নির্মাণ করা হয় স্মৃতিসৌধ। ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ধ্বংস হওয়া পুরানো স্মৃতিসৌধটি পুনর্নির্মাণ করা হয়। ভগৎ সিংকে শাহিদ-ই-আজম, অর্থাৎ সর্বশ্রেষ্ঠ শহিদ হিসেবে স্মরণ করা (Shaheed Diwas 2025) হয়।

    রাজগুরু

    ১৯০৮ সালের ২৪ আগস্ট মহারাষ্ট্রের খেদেতে এক মরাঠি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রাজগুরু। মাত্র ছবছর বয়সেই বাবাকে হারান তিনি। পরিবারের দায়িত্ব এসে পড়ে তাঁর দাদা দিঙ্করের ওপর। অল্প বয়সেই তিনি সেবা দলে যোগ দেন। তিনি ঘাটপ্রভায় ডক্টর এনএস হার্ডিকার পরিচালিত একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নেন।

    রাজগুরু হিন্দুস্তান সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন। তিনি ভগৎ সিং ও সুখদেব থাপারের সহকর্মী হয়ে ওঠেন। এক ব্রিটিশ পুলিশ অফিসারকে হত্যা করেন তিনি। তাঁর সম্মানে তাঁর জন্মস্থান খেদের নাম পরিবর্তন করে রাজগুরুনগর রাখা হয়। রাজগুরুনগর মহারাষ্ট্রের পুনে জেলার খেদ তহসিলের একটি জনগণনা নগর (Shaheed Diwas 2025)।

    সুখদেব

    ১৯০৭ সালের ১৫ মে লুধিয়ানার নৌঘরায় জন্মগ্রহণ করেন সুখদেব। তাঁর শৈশব ছিল চ্যালেঞ্জিং। অল্প বয়সে বাবা রাম লাল থাপরকে হারানোর পর, সুখদেবকে তাঁর মা এবং কাকা লালন-পালন করেন। সুখদেব ছিলেন হিন্দুস্তান সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। তিনি পাঞ্জাব এবং উত্তর ভারতের অন্যান্য অংশে বিপ্লবী কোষ গঠন করেন। সুখদেব লাহোরের ন্যাশনাল কলেজে যুবকদের শিক্ষা দিতেন (Bhagat Singh) এবং তাঁদের ভারতের গৌরবময় অতীত সম্পর্কে অনুপ্রাণিত করতেন।

    ১৯২৬ সালে সুখদেব অন্যান্য বিখ্যাত বিপ্লবীদের সঙ্গে লাহোরে ‘নওজওয়ান ভারত সভা’ প্রতিষ্ঠা করেন। যুবকদের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত করতে এবং সাম্প্রদায়িকতা দূর করতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয় এই সভার। সুখদেব বেশ কয়েকটি বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের পুরোভাগে ছিলেন। ১৯২৯ সালের জেল হাঙ্গার স্ট্রাইক ছিল জেলখানায় বন্দিদের প্রতি অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ (Bhagat Singh)। সুখদেব মাত্র ২৪ বছর বয়সে শহিদ হন। আত্মত্যাগ, বীরত্ব এবং সাহসের জন্য সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তিনি (Shaheed Diwas 2025)।

  • BJP: এবার বারে ‘চাকরি’ করতে পারবেন মহিলারাও, প্রতিবাদে শামিল বিজেপি

    BJP: এবার বারে ‘চাকরি’ করতে পারবেন মহিলারাও, প্রতিবাদে শামিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে হা-চাকরি দশা। অথচ দুয়ারে ভোট (২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন)। ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে যেন-তেন প্রকারে। অতএব, ব্যবস্থা করতে হবে কর্মসংস্থানের (Protests)। ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ এবং যাবতীয় ‘শ্রী’-র টোপ দিয়ে ভোট কুড়োনো নাও যেতে পারে (BJP)। তাই মহিলাদের ক্ষমতায়নের নামে মদের দোকানে চাকরির ব্যবস্থা করতে চলেছে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার! তার প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে কলেজ স্কোয়ার থেকে বউবাজার পর্যন্ত মিছিল করলেন বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।

    ঢালাও দেওয়া হয়েছে মদের দোকানের লাইসেন্স (BJP)

    রাজ্যজুড়ে ঢালাও দেওয়া হয়েছে মদের দোকানের লাইসেন্স। তার জেরে অলিগলিতে খুলেছে ‘অফ শপ’ এবং ‘অন শপ’। এই সব শপে এতদিন কাজ করতেন পুরুষরা। এবার থেকে কাজ করতে পারবেন মহিলারাও। সেজন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বেঙ্গল এক্সাইজ অ্যাক্টে নয়া সংশোধনী নিয়ে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বেঙ্গল এক্সাইজ অ্যাক্ট, ১৯০৫ এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মধ্যে প্রধান হল, এবার থেকে ‘অন শপ’ (চলতি কথায় বার)-এ কাজ করতে পারবেন মহিলারা। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতেই এদিন কলকাতায় মিছিল করে পদ্ম শিবির। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে ছিলেন বিজেপি (BJP) নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালও। তিনি বলেন, “মহিলাদের ক্ষমতায়ন করতে হলে তাঁদের মদের দোকানে কাজ করতে বলা কি ক্ষমতায়ন? মহিলারা মদ পরিবেশন করে ক্ষমতাবান হবেন? আমরা এই ধরনের ক্ষমতায়ন চাই না।”

    মর্যাদা হানির চেষ্টা করছে তৃণমূল!

    প্রসঙ্গত, বুধবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাশ হওয়া বেঙ্গল ফাইন্যান্স বিল ২০২৫-এ এই সংশোধনী পাশ হয়। আগে ‘অন শপ’ লেখা মদের দোকানে কাজ করতে পারতেন না মহিলারা। সেখানে মহিলাদের কাজ করা নিষিদ্ধ ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞাই তুলে দিল তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। বিজেপির অভিযোগ, মহিলাদের ক্ষমতায়ন নামক ঢাল দিয়ে আদতে তাঁদের মর্যাদা হানি করার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

    প্রসঙ্গত, দোলের দিন (BJP) গন্ডগোলের ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে শুক্রবার তমলুকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মিছিল হয়। কর্মসূচি শেষে পদ্ম-নেতা শুভেন্দু বলেছিলেন, “বাংলার সনাতনী সমাজ মুক্তি পাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাক্তন হলে। শপথ নিন, আমরা দেব ১৬ (পূর্ব মেদিনীপুরে ১৬টি বিধানসভা আসন), রাজ্যে হবে অন্তত ১৮০ এবং মমতাকে প্রাক্তন করব।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্যে যে বিজেপি ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে, তা আঁচ করতে পারছেন শাসক দলের ভোট ম্যানেজাররাও। তাঁদের ‘পরামর্শে’ই এবার মহিলাদের দলে টানার চেষ্টা করছে (Protests) তৃণমূল। সেই কারণেই মহিলাদের বারে কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত তৃণমূল সরকারের (BJP)।

LinkedIn
Share