Author: pranabjyoti

  • Bangladesh Crisis: ঘরে ঢুকে গলায় ছুরি ধরে রেখে ধর্ষণ বধূকে, কাঠগড়ায় বিএনপি নেতা

    Bangladesh Crisis: ঘরে ঢুকে গলায় ছুরি ধরে রেখে ধর্ষণ বধূকে, কাঠগড়ায় বিএনপি নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ধর্ষিতা হিন্দু বধূ। ঘরে ঢুকে গলায় ছুরি ধরে রেখে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) জাতীয়তাবাদী দল (বিএমপি)-এর প্রভাবশালী নেতা ফজর আলি। কুমিল্লা জেলার (Hindu Woman Raped) মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর পাঁচকিট্টা গ্রামের ঘটনা। বছর একুশের ওই বধূর দুটি সন্তানও রয়েছে। তাঁর স্বামী দুবাইয়ে কাজ করেন। সপ্তাহ দুয়েক আগে ওই বধূ সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যান। তার পর থেকেই তাঁর ওপর নজর পড়েছিল ফজরের।

    কাঠগড়ায় বিএনপি নেতা (Bangladesh Crisis)

    সে তাঁকে অনুসরণ ও হয়রানি করছিল বলে অভিযোগ। গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি মেলায় গিয়েছিলেন ওই বধূর পরিবারের লোকজন। বাড়িতে তিনি একাই ছিলেন। অভিযোগ, সেই সুযোগে ওই বিএনপি নেতা তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ে। গলায় ছুরি ধরে রেখে ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। বধূর চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তাঁরা ফজরকে ধরেও ফেলেন। যদিও সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় সে। ওই বধূকে উদ্ধার করে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরের দিনই ওই তরুণীর পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের হয় মুরাদনগর থানায়।

    গ্রেফতার নেতা-সহ ৫

    ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রুজু করা (Bangladesh Crisis) হয় মামলা। রবিবার পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই বধূর অশ্লীল ভিডিও শেয়ার করার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করে। পরে গ্রেফতার করা হয় ফজরকেও। ধৃত পাঁচজনের বিরুদ্ধেই আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, ফজর মুরাদনগরের বাহেছাড় পূর্ব পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। সে বিএনপির নেতা।

    গত বছর ৫ অগাস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামি লিগ সরকারের। তার পর বাংলাদেশের রাশ তুলে দেওয়া হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের হাতে। এই ইউনূস জমানায় হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চরমে ওঠে। হিন্দুদের মন্দির-বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করার পাশাপাশি নির্যাতন চালানো হয় হিন্দু মহিলাদের ওপর। পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও প্রতিকার মেলে না বলে অভিযোগ (Hindu Woman Raped)। এখন দেখার, এই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করে বাংলাদেশ সরকার (Bangladesh Crisis)।

  • Waziristan Attack: আত্মঘাতী বিস্ফোরণে পাকিস্তানে হত ১৩ সেনা, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    Waziristan Attack: আত্মঘাতী বিস্ফোরণে পাকিস্তানে হত ১৩ সেনা, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের দিব্যিই মদত জুগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। তবে সেই বিষবৃক্ষের ফল যে সে দেশেই বিষ উগরে দেবে, তা বোধহয় জানা ছিল না শাহবাজ শরিফের দেশের। তাই ওয়াজিরিস্তানে (Waziristan Attack) ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণের দায় ভারতের ঘাড়ে চাপিয়ে দিল ইসলামাবাদ (Pakistan)।

    পাক অভিযোগ খারিজ ভারতের (Waziristan Attack)

    ফেরা যাক খবরে। ওয়াজিরিস্তানে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জন পাক সেনার। এই হামলার পরে ইসলামাবাদ অভিযোগের আঙুল তুলেছে ভারতের দিকে। এনিয়ে বিবৃতিও জারি করেছে পাক সরকার। তার পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিল ভারত। শনিবার রাতেই পাল্টা বিবৃতি জারি করে পাকিস্তানের অভিযোগ খারিজ করেছে নয়াদিল্লি। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমাদের নজরে এসেছে পাক সেনার তরফে একটি বিবৃতি জারি করে ২৮ জুন ওয়াজিরিস্তানে হওয়া হামলার ঘটনায় ভারতকে দায়ী করা হয়েছে। এই বিবৃতির তীব্র নিন্দা করছে ভারত। একই সঙ্গে বিবৃতিতে ওঠা দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানানো হচ্ছে এরকম কোনও কিছুর সঙ্গে ভারত যুক্ত নয়।”

    আত্মঘাতী বোমা হামলা

    প্রসঙ্গত, শনিবার পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় আত্মঘাতী এক বোমা হামলায় নিহত হন ১৩ জন পাক সেনা। সে দেশের সেনা আধিকারিকের দাবি, এই বিস্ফোরণে অন্তত ১০ জন সেনা-সহ মোট ১৯ জন সাধারণ মানুষও জখম হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছে ছয় শিশুও (Waziristan Attack)। জানা গিয়েছে, এদিন একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বিস্ফোরক ভর্তি গাড়িটি নিয়ে ঢুকে পড়ে সামরিক কনভয়ে। তার পরেই ঘটে বিস্ফোরণ। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় হামলা হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িও।

    আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে হাফিজ গুল বাহাদুর গোষ্ঠীর আত্মঘাতী ইউনিট। এটি তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত একটি দল। তার পরেও আন্তর্জাতিক মহলের নজর ঘোরাতে পাকিস্তান ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    উল্লেখ্য, চলতি বছর খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বালুচিস্তানে সরকার বিরোধী (Pakistan) বিভিন্ন গোষ্ঠীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২৯০ জন। এঁদের সিংহভাগই পাক সেনা (Waziristan Attack)।

  • E-Voting: পথ দেখাল বিজেপি-শাসিত বিহার, চালু হয়ে গেল ই-ভোটিং

    E-Voting: পথ দেখাল বিজেপি-শাসিত বিহার, চালু হয়ে গেল ই-ভোটিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ দেখাল বিজেপি-শাসিত বিহার (Bihar)। চালু করে দিল মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ (E-Voting)। বাড়িতে বসে মোবাইলে প্রথম ভোটটি দিলেন বিভা দেবী। তিনিই বিহারের প্রথম মহিলা ই-ভোটার। শনিবার রাজ্যের তিন জেলার ছ’টি পুরসভার ৪৫টি আসনে উপ-নির্বাচন হয়। তাতেই পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছিল ই-ভোটিং ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় দেশ তো বটেই বিদেশ থেকেও পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন প্রবাসীরা।

    ই-ভোটিং (E-Voting)

    এদিন ভোট হয়েছে পাটনা, পূর্ব চম্পারন, রোহতাস, বক্সার, বাঁকা এবং সরণ – এই ছ’টি পুরসভায়। ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৭টায়। চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। ভোট গণনা হবে ৩০ জুন। বিহারের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দীপক প্রসাদ জানান, দেশে এই প্রথম বিহারে ই-ভোটিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল ভোটের হার বৃদ্ধি করা। অসুস্থ কিংবা বয়স্করা বুথে গিয়ে ভোট দিতে পারেন না। ভোট দিতে পারেন না কর্মসূত্রে যারা দূর দেশে বসবাস করেন, তাঁরাও। বুথে গিয়ে ভোট দিতে পারেন না অন্তঃসত্ত্বারাও। কষ্ট করে বুথে গিয়ে ভোট দিতে হয় বিশেষভাবে সক্ষম ভোটারদের। ই-ভোটিং (E-Voting) ব্যবস্থা চালু হওয়ায় এবার থেকে বাড়িতে বসেই তাঁরাও অংশ নিতে পারবেন বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের উৎসবে। দীপক বলেন, “ই-ভোটিংয়ের জন্য দু’টি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা সম্পূর্ণ নিরাপদ। ই-ভোটিংয়ে একবার ভোট দেওয়া হয়ে গেলে সেটি লক হয়ে যাবে। শুধু ভোট গণনার দিন ফের খোলা হবে।” এই অ্যাপ দুটি হল ই-ভোটিং এসইসিবিএইচআর এবং ই-ভোটিং এসইসিবিআইএইচএআর।

    কারা ভোট দিতে পারবেন?

    কারা এই ব্যবস্থায় ভোট দিতে পারবেন? জানা গিয়েছে, ৮০ বছরের বেশি বয়সী নাগরিক, বিশেষভাবে সক্ষম ভোটার, গুরুতর রোগে অসুস্থ ভোটার, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এবং পরিযায়ী শ্রমিক বা বিদেশে থেকে স্বীকৃত ভোটার (E-Voting)। বিহার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই পুরসভা উপনির্বাচনে ১৬ হাজার ৭৮৮ জন মহিলা এবং ১৬ হাজার ২৯১ জন পুরুষ মোবাইলে ই-ভোটিং করবেন বলে আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে ৩১ হাজার ২৩৮ জন ভোটারকে ই-ভোটিং ব্যবস্থায় (Bihar) ভোট দেওয়ার যোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়েছে।

  • PM Modi: এবার ‘ধর্ম চক্রবর্তী’ উপাধিতে ভূষিত করা হল প্রধানমন্ত্রীকে, কী বললেন মোদি?

    PM Modi: এবার ‘ধর্ম চক্রবর্তী’ উপাধিতে ভূষিত করা হল প্রধানমন্ত্রীকে, কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ‘ধর্ম চক্রবর্তী’ উপাধিতে ভূষিত করা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi)। শনিবার জৈন সন্ন্যাসী আচার্য শ্রী ১০৮ বিদ্যানন্দজি মহারাজের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এই উপাধিতে (Dharma Chakravarti) ভূষিত করা হয় তাঁকে। সম্মানিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই অনুষ্ঠানে আপনারা আমাকে ‘ধর্ম চক্রবর্তী’ উপাধিতে সম্মানিত করেছেন। আমি নিজেকে এই উপাধির যোগ্য মনে করি না। তবে আমাদের সংস্কৃতিতে যেটি সাধুদের কাছ থেকে পাওয়া যায়, তাকে প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করা হয়। তাই আমি এই প্রসাদ বিনম্রভাবে গ্রহণ করছি এবং মা ভারতীর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করছি।”

    শতবর্ষ উদ্‌যাপন (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, শতবর্ষ উদ্‌যাপনের মাধ্যমে এই মহাত্মার প্রতি জাতীয়ভাবে এক বছরের শ্রদ্ধাঞ্জলি কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা হল। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক ও দিল্লির ভগবান মহাবীর অহিংসা ভারতী ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয়  এই অনুষ্ঠানের। এদিন বক্তৃতা দিতে গিয়ে আচার্য বিদ্যানন্দ মুনিরাজ কীভাবে ১৯৮৭ সালের এই দিনে ‘আচার্য’ উপাধি লাভ করেছিলেন, সেই বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই দিনটি আরও একটি কারণে বিশেষ। কারণ ২৮ জুন ১৯৮৭ সালে আচার্য বিদ্যানন্দ মুনিরাজ আচার্য উপাধি লাভ করেছিলেন। এটি কেবল একটি সম্মান নয়, বরং এটি ছিল একটি ‘পবিত্র ধারা’, যা জৈন সংস্কৃতিকে আত্মসংযম ও করুণার ভাবনার সঙ্গে যুক্ত করেছে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, এই শততম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন করতে গিয়ে আমরা সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের কথা স্মরণ করছি। এই উপলক্ষে  আমি আচার্য শ্রী মুনিরাজজির চরণে প্রণাম জানাই। আমি প্রার্থনা করি, তাঁর আশীর্বাদ চিরকাল আমাদের সঙ্গে থাকুক। তিনি বলেন, এই শতবর্ষ উদ্‌যাপন কেবল একটি সাধারণ অনুষ্ঠান নয়। এটি একটি সময়পর্বের স্মৃতি এবং এক তপস্বী জীবনের স্মরণ। আজকের এই মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়েছে। এজন্যও আমি জনগণকে অভিনন্দন জানাই।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত হল বিশ্বের প্রাচীনতম জীবন্ত সংস্কৃতি। হাজার হাজার বছর ধরে আমরা অমর রয়েছি। কারণ আমাদের চিন্তাধারা অমর, আমাদের দর্শন অমর। এই দর্শনের উৎস আমাদের ঋষি, সন্ন্যাসী ও আচার্যগণ (Dharma Chakravarti)।”

    প্রসঙ্গত, এই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের সঙ্গে আচার্যর স্মৃতিতে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেন।

  • India Defies US Pressure: ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে দেদার তেল কিনছে মোদির ভারত

    India Defies US Pressure: ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে দেদার তেল কিনছে মোদির ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপ অগ্রাহ্য করে রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণে অপরিশোধিত তেল আমদানি করছে ভারত (India Defies US Pressure)। বাজার বিশ্লেষক সংস্থা কেপলারের (Kpler) মতে, শুধু জুন মাসেই ভারত গড়ে প্রতিদিন ২২ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে রাশিয়া (Russian Oil) থেকে, যা গত দু’বছরে সর্বোচ্চ। রাশিয়া থেকে আমদানি করা এই তেলের পরিমাণ ইরাক, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং কুয়েত থেকে যৌথভাবে দৈনিক গড় আমদানির চেয়েও বেশি। গত মে মাসে ভারত গড়ে প্রতিদিন ১৯.৬ লাখ ব্যারেল রাশিয়ান তেল আমদানি করেছিল।

    রাশিয়ান তেলের ওপর নির্ভরতা

    মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইজরায়েল সংঘাত শুরু হওয়ায় উপসাগরীয় অঞ্চলে তেল সরবরাহে সম্ভাব্য বিঘ্নের আশঙ্কায় ভারতীয় কোম্পানিগুলি রাশিয়ান তেলের ওপর নির্ভরতা বাড়িয়েছে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন ইরানের পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালী বন্ধ করার সম্ভাবনার কথা ঘোষণা করে। হরমুজ প্রণালী একটি গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র পথ, যা ইরানের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং যার মাধ্যমে উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে অধিকাংশ অপরিশোধিত তেল রফতানি করা হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতের রাশিয়ান তেল আমদানির পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে। ইউক্রেন- রাশিয়া সংঘাতের জেরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং পশ্চিমের অন্যান্য দেশগুলি মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যুদ্ধ শুরুর আগে ভারতের মোট অপরিশোধিত তেল আমদানিতে রাশিয়ার অংশ ছিল ১ শতাংশেরও কম। এখন সেই অংশটাই বেড়ে হয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ।

    সবচেয়ে বড় ক্রেতা

    ভারত বর্তমানে রাশিয়ার উরাল-গ্রেড ক্রুড অয়েলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। ২০২৫ সালের এ পর্যন্ত উরাল রফতানির ৮০ শতাংশই ভারত কিনেছে। বেসরকারি তেল সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও নয়ারা এনার্জি এই আমদানির নেতৃত্ব দিচ্ছে (India Defies US Pressure)। জানা গিয়েছে, ২৪ জুন পর্যন্ত ভারত মোট ২৪১ মিলিয়ন ব্যারেল উরাল ক্রুড আমদানি করেছে। রিলায়েন্স ও নয়ারা একসঙ্গে রাশিয়ার মোট উরাল রফতানির ৪৫ শতাংশ নিয়েছে। এদিকে, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের মতো সরকারি তেল সংস্থাগুলি প্রধানত আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকা থেকে তেল আমদানি করে। বর্তমানে তারা কিছু পরিমাণে তেল আমদানি করছে আমেরিকা থেকে (Russian Oil)। প্রসঙ্গত, ভারতের জন্য রাশিয়ান তেলের ছাড়ও কমে গিয়েছে। আগে যেখানে প্রতি ব্যারেলে ৪ মার্কিন ডলার ছাড় পাওয়া যেত, এখন তা কমে হয়েছে ২ মার্কিন ডলার (India Defies US Pressure)।

  • Kaliganj Murder Case: কালীগঞ্জে ছোট্ট ছাত্রী তামান্না খুনে গ্রেফতার মূল মাথা তৃণমূলের গাওয়াল

    Kaliganj Murder Case: কালীগঞ্জে ছোট্ট ছাত্রী তামান্না খুনে গ্রেফতার মূল মাথা তৃণমূলের গাওয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুসলিম ভোটব্যাংকে যাতে ধস না নামে, তাই শেষমেশ তামান্না খুনে মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা গাওয়াল শেখকে গ্রেফতার করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে গাওয়ালের (TMC) ছেলে বিমল শেখকেও। শুক্রবার রাতে বর্ধমানের কাটোয়া থেকে ওই দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই নিয়ে তামান্না খুনে মোট চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ (Kaliganj Murder Case)।

    তামান্নার বাড়িতে সুকান্ত (Kaliganj Murder Case)

    গত ২৩ জুন কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল বের হয়। জয়ী হয় তৃণমূল। মোলান্ডি গ্রামে বের হয় বিজয় মিছিল। সেই মিছিল থেকেই সিপিএম সমর্থক তামান্না খাতুনের বাড়ি লক্ষ্য করে তৃণমূল বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রী। খবর পেয়ে তামান্নার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তামান্নার মায়ের কাছ থেকে শোনেন সেদিনের ভয়াবহ ঘটনার বর্ণনা। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে সুকান্ত বলেছিলেন তৃণমূলের হার্মাদদের জন্য হারাতে হয়েছে ছোট্ট ফুটফুটে মেয়েটাকে।

    গাওয়াল শেখ মাথা!

    তিনি বলেছিলেন, তামান্নার মা জানিয়েছেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি গাওয়াল শেখ এদের মাথা। তাঁকে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। সুকান্তের ওই বক্তব্যের পরেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের নাওয়ের পালের হাওয়া বিরোধীদের পালে লাগতে পারে আঁচ করে তড়িঘড়ি করে গ্রেফতার করা হয় গাওয়ালকে। তামান্নার মা সাবিনা বিবি প্রথম থেকেই দাবি করেছিলেন, গাওয়ালই বোমা ছোড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনিই মূল মাথা। সেই মূল মাথাকেই গ্রেফতার করতে পুলিশের সময় লাগল দিন চারেক।

    গাওয়াল কালীগঞ্জে তৃণমূলের বুথ সভাপতির পদে রয়েছেন (Kaliganj Murder Case)। তামান্নার অকাল মৃত্যুর পর তার পরিবারের তরফে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, তাতে গাওয়াল ও তাঁর ছেলে দুজনেরই নাম ছিল। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার অমরনাথ কে বলেন, গাওয়াল শেখ কালীগঞ্জ বোমাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিরবচ্ছিন্নভাবে চলছে তল্লাশি অভিযান। শীঘ্রই সকল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তামান্না খুনের কলঙ্কের কালি গা থেকে ঝেড়ে ফেলতে গাওয়ালকে বহিষ্কার করতে পারে তৃণমূল। তবে গাওয়ালকে (TMC) বহিষ্কার করা হলে তার প্রভাব পড়তে পারে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে।

    তৃণমূল কী করে, এখন সেটাই দেখার (Kaliganj Murder Case)।

  • PM Modi: আট দিনে ৫ দেশ সফর করবেন মোদি, কেন জানেন?

    PM Modi: আট দিনে ৫ দেশ সফর করবেন মোদি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময় মাত্র আট দিন। তার মধ্যেই পাঁচটি দেশ সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জুলাই মাসের এই বিদেশ সফরের তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশ। এবার ব্রিকস (BRICS Summit) সম্মেলন হচ্ছে ব্রাজিলে। সেই সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে যাওয়ার পথে তিন দেশ এবং আসার পথে একটি দেশ ঘুরে ভারতে ফিরবেন তিনি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি।

    যাওয়ার পথে কোন কোন ৩ দেশ (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, আগামী ২ জুলাই রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রথমে যাবেন পশ্চিম আফ্রিকার ঘানায়। ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী গত তিন দশকে ঘানায় পা রাখেননি। এই সময়সীমায় মোদিই প্রথম। ২-৩ জুলাই তিনি থাকবেন ঘানায়। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের লক্ষ্য হল ঘানার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বন্ধন জোরদার করা, অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত সহযোগিতা নিশ্চিত করা। ঘানা থেকে তিনি উড়ে যাবেন ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ত্রিনিদাদ ও টোবাগোয়। ৩-৪ জুলাই এই দেশে থাকবেন তিনি। ১৯৯৯ সালের পর এই প্রথম সে দেশে পা রাখবেন কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। সে দেশের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন কার্লা কাংগালু এবং প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিশ্বেশ্বরের সঙ্গে বৈঠক করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ওই দেশের সংসদে যৌথ সমাবেশে বক্তৃতাও দেবেন তিনি। এখান থেকে প্রধানমন্ত্রী যাবেন দক্ষিণ আমেরিকার আর্জেন্টিনায়। সেখানে থাকবেন ৪-৫ জুলাই।

    ব্রিকস শেষে যাবেন কোন দেশে

    সে দেশের প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার মিলেইয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিরক্ষা, কৃষি, খনি, তেল ও গ্যাস, বাণিজ্য, বিনিয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ভারত ও আর্জেন্টিনার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এই সফর। আর্জেন্টিনা থেকে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) যাবেন ব্রাজিলে, ১৭তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে। সেখানে তিনি গ্রহণ করবেন প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভারের আতিথ্য। ৫-৮ তারিখ পর্যন্ত তিনি থাকবেন ব্রাজিলে। এখানেই কয়েকটি দেশের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর। আলাদা করে ব্রাসিলিয়া শহরে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা মোদির। ব্রাজিল থেকে ফেরার পথে প্রধানমন্ত্রী যাবেন দক্ষিণ আফ্রিকারই নামিবিয়ায় (BRICS Summit)। সেখানে তিনি বৈঠক করবেন প্রেসিডেন্ট নেটুম্বো ন্যান্ডি নাইতওয়ার সঙ্গে। তারপর ফিরবেন নয়াদিল্লি (PM Modi)।

  • Mohan Bhagwat: “আরএসএসের মূল ভাবনা হল আত্মীয়তা বোধ,” বললেন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “আরএসএসের মূল ভাবনা হল আত্মীয়তা বোধ,” বললেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আরএসএসের (RSS) মূল ভাবনা হল সম্পর্কের অনুভূতি বা আত্মীয়তা বোধ।” পুণেয় প্রয়াত আয়ুর্বেদ চিকিৎসক তথা সংঘ নেতা দাদা খাড়িওয়ালের জীবনী প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথাগুলি বললেন সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “যদি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে এক কথায় বর্ণনা করতে হয়, তবে সেই শব্দটি হবে ‘আত্মীয়তা’ বা ‘সম্পর্কের অনুভূতি’। এই অনুভূতি সমাজে আরও দৃঢ় হওয়া উচিত।” ভাগবত বলেন, “সংঘ কী করে? এটি হিন্দুদের সংগঠিত করে। এই আত্মীয়তার অনুভূতি আরও গভীর হওয়া উচিত, কারণ পুরো বিশ্ব এই অনুভূতির ওপরই নির্ভর করে।” তিনি বলেন, “প্রকৃত ঐক্য আসে সেই সাধারণ সূত্রকে চেনার মাধ্যমে যা সকলকে এক সঙ্গে যুক্ত করে। মানুষ, পশুদের মতো নয়। কারণ তারা স্বার্থপরতার ঊর্ধ্বে উঠতে সক্ষম। যে এই আত্মীয়তার বোধকে বোঝে, সেই-ই প্রকৃত মানুষ।”

    আরএসএসের ভূমিকা (Mohan Bhagwat)

    আরএসএসের ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “সংঘ কী করে? এটি তার সমস্ত কর্মসূচি, শৃঙ্খলা, শারীরিক সক্ষমতা এবং বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সমাজকে বারবার সেই অনুভূতির কথা মনে করিয়ে দেয়, যা তারা ভুলে গিয়েছে — ‘আপনত্ব’ বা একাত্মতা।” ভাগবত বলেন, “সংঘের প্রকৃত কাজই হল সমস্ত হিন্দু সমাজকে এই ‘আপনত্বের’ সূতোয় গাঁথা। এবং হিন্দু সমাজও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বিষয়টি মেনে নিয়েছে যে, সারা বিশ্বকে এই আপনত্বের বন্ধনে বাঁধা তাদের কর্তব্য।”

    স্বয়ংসেবকের কর্তব্য

    প্রাক্তন আরএসএস প্রধান মাধব সদাশিবরাও গোলওয়ালকর (গুরুজি নামে পরিচিত)-এর কথাও স্মরণ করেন তিনি। পরে বলেন, “একজন স্বয়ংসেবকের কর্তব্য হল নিয়মিত শাখায় যোগ দেওয়া, শিক্ষা গ্রহণ করা এবং নিঃস্বার্থভাবে সবার সেবা করা।” আধুনিক কিছু শব্দগুচ্ছ, যেমন “গিভিং ব্যাক” (ফিরিয়ে দেওয়া) প্রসঙ্গে ভাগবত বলেন, “এই ধারণা তো ভারতীয় সংস্কৃতিতে বরাবরই ছিল। এটি হল অন্যদের সেবা করার এবং একত্রে বসবাস করার কর্তব্যের অংশ।” কোনও কাজ শুরু করতে দেরি না করতে মানুষকে আহ্বান জানান ভাগবত (Mohan Bhagwat)। বলেন, “সংঘে (RSS) আমরাও এভাবেই কাজ করি। যদি কিছু করার দরকার হয়, আমরা সেটি করেই ফেলি।”

  • India Iran Relation: সংঘাতের সময় শান্তির প্রতি অঙ্গীকার ভারতের, গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ইরানের

    India Iran Relation: সংঘাতের সময় শান্তির প্রতি অঙ্গীকার ভারতের, গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ইরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবাসী তাদের সমর্থন জানানোয় গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন নয়াদিল্লিতে ইসলামি প্রজতন্ত্র ইরানের (India Iran Relation) দূতাবাস কর্তৃপক্ষ (Iranian Embassy)। ২৫ জুন দূতাবাসের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে ইজরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত সামরিক আগ্রাসনের সময় ভারতের জনগণের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। ওই বিবৃতিতে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন মহান ও স্বাধীনতাপ্রেমী ভারতীয় জনগণকে – যার মধ্যে রয়েছেন সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক দল, সাংসদ, এনজিও, ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক নেতা, শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম এবং সমাজকর্মীরা, যাঁরা ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

    ইরানি দূতাবাসের বিবৃতি (India Iran Relation)

    ঘটনাটিকে “দখলদার ইহুদিদের শাসন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিজয়” হিসেবে বর্ণনা করে ইরানি দূতাবাস জানিয়েছে, সম্প্রতি ভারতের সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে যে সংহতি প্রকাশ করা হয়েছে, তার জন্য তারা কৃতজ্ঞ। এই সমর্থনকে তারা ইরানি জাতির প্রতি একটি তাৎপর্যপূর্ণ সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ বলেও অভিহিত করেছে। ইরানি দূতাবাসের তরফে আরও বলা হয়েছে, “সংহতির বার্তা, নৈতিক সমর্থন,  জনসাধারণের বিবৃতি এবং শান্তিপূর্ণ জমায়েত” — এসব কাজকর্ম সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাতের সময় ইরানি জনগণের জন্য এক শক্তিশালী অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সংহতির বার্তা এবং শান্তিমূলক উদ্যোগে অংশগ্রহণ — এসব সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ এক ভয়াবহ সামরিক হামলার সময় ইরানি জনগণকে দৃঢ়ভাবে উৎসাহিত করেছে, যা চালিয়েছিল দখলদার ইহুদিরা। এই ধরনের কাজকর্ম জাতিসমূহের জাগ্রত বিবেক এবং আন্তর্জাতিক আইন ও ন্যায়বিচারের প্রতি তাদের অঙ্গীকারের প্রতিফলন (Iranian Embassy)।”

    ইরানি জনগণের দৃঢ়তা

    ইরানের অবস্থান তুলে ধরে, নয়াদিল্লিতে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটির প্রতিরোধ কেবলমাত্র তার সার্বভৌমত্ব রক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না — এটি ছিল রাষ্ট্রসংঘ সনদ ও মানবাধিকার নীতিমালা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এক দৃঢ় অবস্থান (India Iran Relation)। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “স্পষ্ট আগ্রাসনের মুখেও ইরানি জনগণের দৃঢ়তা কেবল জাতীয় মর্যাদা রক্ষার প্রশ্ন ছিল না, বরং আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এক প্রতীকী প্রতিরোধও ছিল। যে বৈশ্বিক সংহতি প্রকাশ পেয়েছে, তা শুধু রাজনৈতিক নয় — এটি ন্যায়বিচার, আইনের শাসন ও শান্তির সর্বজনীন মূল্যবোধকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছে।”

    আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইরানের প্রতিশ্রুতি

    ওই বিবৃতিতে দূতাবাসের (Iranian Embassy) তরফে লেখা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইরানের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। দেশটি সম্প্রসারণবাদী নীতির বিরোধিতা করে আসছে। আমরা বিশ্বাস করি, জাতিগুলির ঐক্য যুদ্ধ, হিংসা ও অবিচারের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী ঢাল।” এর পরেই সত্যিকারের এবং অমূল্য সমর্থনের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে ভারতীয় জনগণ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে। দূতাবাস জানিয়েছে, সাংস্কৃতিক ও সভ্যতার ঐতিহ্যভিত্তিক এই সংহতি শান্তি ও বৈশ্বিক ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে আরও অগ্রগতি আনবে। বিবৃতির শেষে লেখা, “জয় ইরান — জয় হিন্দ।”

    ইরানে হামলা

    গত ১৩ জুন ইজরায়েল ইরানের রাজধানী তেহরানের সামরিক বাহিনী এবং তার পারমাণবিক কেন্দ্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা-সহ প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলির বিরুদ্ধে একের পর এক হামলা চালায়। এর জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় মধ্যপ্রাচ্যে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতবাসীর একাংশ ইরানকে সমর্থন করে। উদ্বেগ প্রকাশ করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। উত্তজেনা কমানোর আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাধারণ মানুষের একটা অংশও সোশ্যাল মিডিয়ায় ইরানের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে, সমালোচনা করে ইজরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের। ফোনে ইরানের রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে কথা বলার সময় উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ইরানের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা (India Iran Relation)।

    প্রসঙ্গত, দু’সপ্তাহ আগে শুরু হয়েছিল ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধ। তেল আভিভের (ইজরায়েলের রাজধানী) অভিযোগ, হামাস এবং হুথিদের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে যারা সমর্থন করে, তারা তাদের সঙ্গেই যুদ্ধ করে। ইজরায়েলকে সমর্থন করে আমেরিকাও। ট্রাম্প প্রশাসন সাফ জানিয়ে দেয়, তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে এবং বিশ্বশান্তির জন্য একে এই কর্মসূচি পালন করা থেকে বিরত রাখতে চায়। এদিকে ইরান এটিকে নির্লজ্জ ও বিনা উসকানিতে আগ্রাসন বলে অভিহিত করে। তারা ব্যালিস্টক (Iranian Embassy) ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার মাধ্যমে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়। গত ২৩ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করার কথা বলার আগে পর্যন্ত অব্যাহত ছিল দুই দেশের সংঘাত (India Iran Relation)।

  • Rajnath Singh: চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা রাজনাথের, সই করলেন না যৌথ বিবৃতিতেও

    Rajnath Singh: চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা রাজনাথের, সই করলেন না যৌথ বিবৃতিতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড নিয়ে টানাপোড়েন আন্তর্জাতিক মঞ্চে। এমতাবস্থায় চিনে আয়োজিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে যৌথ বিবৃতিতে সই করলেন না ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। ওই বিবৃতিতে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার উল্লেখ না থাকলেও, বালুচিস্তানে অশান্তির নেপথ্যে ভারতের ভূমিকার উল্লেখ ছিল। এরই প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতিতে সই করেনি ভারত।

    অপারেশন সিঁদুরের যৌক্তিকতা (Rajnath Singh)

    এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে গিয়েছেন রাজনাথ। সম্মেলন চলাকালীন দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা এবং ২৬ জন নিরীহ মানুষের প্রাণ চলে যাওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তিনি। পাকিস্তানের বন্ধু দেশ চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) যৌক্তিকতাও ব্যাখ্যা করলেন রাজনাথ (Rajnath Singh)। ওই সম্মেলনে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত জবাব ছিল অপারেশন সিঁদুরের মতো অভিযান। এসসিও সম্মেলনে রাজনাথ সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ায় তুলোধনা করেন শাহবাজ শরিফের দেশকে। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একযোগে সরব হতে বাকি দেশগুলিকেও আহ্বান জানান তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “গত ৭ মে অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছিল ভারত। সীমান্ত সন্ত্রাস নির্মূল করতে এবং সীমান্ত সন্ত্রাস কাঠামো ভেঙে ফেলার লক্ষ্যে অভিযান চালানো হয়েছিল।”

    পাকিস্তানকে নিশানা

    পাকিস্তানকে নিশানা করে রাজনাথ বলেন, “কিছু দেশ সীমান্ত পার হওয়া সন্ত্রাসবাদকে নীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। তারা জঙ্গিদের আশ্রয়ও দেয়। এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দু’মুখো আচরণ করে, সেই দেশগুলির নিন্দা করতে দ্বিধাগ্রস্ত হওয়া উচিত নয় সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের।” সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে ভারত যে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ অবলম্বন করছে, এদিন সেকথাও ওই মঞ্চে জানিয়ে দেন রাজনাথ। তিনি (Rajnath Singh) বলেন, “আমরা দেখিয়ে দিয়েছি যে সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থলগুলি আর নিরাপদ নয়, এবং প্রয়োজনে আমরা সেগুলিকে টার্গেট করে আঘাত হানতেও পিছপা হব না।” রাজনাথ বলেন, “আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে চরমপন্থা ছড়িয়ে পড়া রোধে আমাদের সক্রিয় পদক্ষেপ করা উচিত। এই বিষয়ে এসসিও-র রিজিওনাল অ্যান্টি টেররিস্ট স্ট্রাকচার ব্যবস্থাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভারতের সভাপতিত্বে এসসিও রাষ্ট্রপ্রধানদের পরিষদ থেকে যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল — ‘সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও চরমপন্থার দিকে নিয়ে যাওয়া চরমপন্থা প্রতিরোধ’ — তা আমাদের সম্মিলিত অঙ্গীকারের প্রতীক।”

    দুরমুশ জঙ্গি শিবির

    প্রসঙ্গত, গত (Rajnath Singh) ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পরেই কূটনৈতিক স্তরে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। জঙ্গি হামলার বদলা নেওয়ার দাবি ওঠে গোটা দেশে। এমতাবস্থায় ৭ মে মধ্যরাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারত। দুরমুশ করে দেওয়া হয় ৯টি জঙ্গি শিবির। এই অভিযানের নামই অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)।

    বিবৃতিতে সই করলেন না রাজনাথ

    সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় এবং তা নিয়ে অবস্থান বোঝাতে যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়, তাতে একে একে সই করতে থাকেন এসসিওর সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিরা। সই করার পালা এলে ওই বিবৃতি নিয়ে আপত্তি তোলেন রাজনাথ। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যৌথ বিবৃতিতে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার কোনও উল্লেখ নেই কেন? বালুচিস্তানে অশান্তি সৃষ্টির নেপথ্যে ভারতের ভূমিকার কথা কেন লেখা হয়েছে, সে প্রশ্নও তোলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh)। এসসিওর চেয়ার এই মুহূর্তে চিনের দখলে। চিন-পাকিস্তানের বন্ধুত্বের খবর সর্বজনবিদিত। ভারতের অভিযোগ, সেই কারণেই যৌথ বিবৃতি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ (Operation Sindoor)। তার বদলে বালুচিস্তানের অশান্তির জন্য কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে ভারতকে। এমনতর বিবৃতি দেখে তাতে আর স্বাক্ষর করেননি রাজনাথ (Rajnath Singh)।

    এসসিওর সদস্য রাষ্ট্র

    চিনের চিংদাওয়ে চলছে এসসিও সম্মেলন। যোগ দিয়েছেন সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা। রাজনাথের (Rajnath Singh) পাশাপাশি সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন রাশিয়া, পাকিস্তান, চিন, বেলারুশ, ইরান, কাজাখস্তান, কিরঘিস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরাও। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেই আয়োজন করা হয় এই সম্মেলনের।

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে লাগাতার অশান্তির খবর আসছে বালুচিস্তান থেকে। সেখানে পাক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে বিচ্ছিন্নতাকামী সংগঠনগুলি। আস্ত ট্রেন হাইজ্যাক করা থেকে কনভয়ে বিস্ফোরণ, কিছুই বাদ যাচ্ছে না। বালুচিস্তানের এই অশান্তির জন্য ভারতকে বরাবর দায়ী করে আসছে শাহবাজ শরিফের দেশ। যদিও পাক সরকারের তোলা অভিযোগ বার বার খণ্ডন করেছে ভারত। নয়াদিল্লির অভিযোগ, সন্ত্রাসে মদত জোগাতে গিয়ে ফেঁসে গিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের নজর ঘোরাতেই এখন ভারতকে কাঠগড়ায় তুলছে (Operation Sindoor) পাকিস্তান।

     

LinkedIn
Share