Author: pranabjyoti

  • Digital Survey: দেশে শুরু হবে জনগণনা, কবে থেকে জানেন?

    Digital Survey: দেশে শুরু হবে জনগণনা, কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে দেশে চলছে এসআইআর। এই পর্বের শেষেই শুরু হয়ে যাবে জনগণনার (Census) কাজ। অন্তত এমনই জানাল (Digital Survey) কেন্দ্র। ২০২৭ সালে হবে জনগণনা। শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন সংসদে এমনই ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। যদিও এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে চলতি বছরের ১৬ জুন। মোট দু’দফায় হবে এই সেনসাসের কাজ। প্রথম পর্যায়ে হবে গৃহ তালিকাভুক্তি ও আবাসন জনগণনা। এটি চলবে ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্যায়ে হবে জনগণনা। এটি হবে ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং লাদাখের মতো পাহাড়ি অঞ্চলগুলিতে যেহেতু তুষারপাত হয়, তাই সেই সব জায়গায় জনগণনা হবে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।

    কী বললেন মন্ত্রী? (Digital Survey)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, “দেশের সর্বত্র গণনার জন্য ২০২৭ সালের ১ মার্চকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হবে। তবে লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের বরফ-ঢাকা অঞ্চলগুলির জন্য জনগণনা হবে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। সেক্ষেত্রে ২০২৬ সালের ১ অক্টোবর রেফারেন্স তারিখ গণ্য হবে। এই প্রক্রিয়াটিতে পূর্ববর্তী অনুশীলনগুলি থেকে প্রাপ্ত তথ্য ইতিমধ্যেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

    প্রশ্নপত্র তৈরি

    প্রশ্নপত্র তৈরির বিষয়ে জনগণের মতামত সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে এমএইচএ জানিয়েছে (Digital Survey), জনগণনার প্রশ্নাবলী কেবল মাত্র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক, ব্যবহারকারী সংস্থা এবং বিষয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পরেই চূড়ান্ত করা হয়। জনগণনা ২০২৭ সালের মধ্যে দেশব্যাপী একটি প্রি-টেস্ট গত ৩০ নভেম্বরে শেষ হয়েছে। চূড়ান্ত প্রশ্নাবলী শীঘ্রই বিজ্ঞাপিত হবে বলেই মন্ত্রক জানিয়েছে। জনগণনা বিধি, ১৯৯০ সালের ৬ নম্বর বিধি অনুযায়ী, জনগণনার প্রশ্নাবলী এবং তফশিলগুলি আইনের ধারা ৮-এর উপধারা (১) এর অধীনে সরকারি গেজেটের মাধ্যমে বিজ্ঞাপিত হয় সরকারি গেজেটের মাধ্যমে। প্রশ্নাবলী চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং সেনসাস কমিশনারের কার্যালয়।

    আগামী জনগণনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হবে ৭০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো জাতিভিত্তিক গণনা অন্তর্ভুক্ত করা। এটি হবে ভারতের প্রথম ডিজিটাল জনগণনাও। এখানে তথ্য সংগ্রহ করা হবে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে। তবে যেসব অঞ্চলে এই সুবিধা নেই, সেখানে কাগজ-ভিত্তিক ফর্মও (Census) পাওয়া যাবে। প্রসঙ্গত, জনগণনা হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে। তবে করোনা অতিমারির কারণে সেই সময় হয়নি (Digital Survey)।

  • Kashai: শ্বেত যজুর্বেদের অন্যতম কঠিন আবৃত্তি-প্রথা দন্তক্রাম পারায়ণম রপ্ত করে রেকর্ড গড়লেন তরুণ

    Kashai: শ্বেত যজুর্বেদের অন্যতম কঠিন আবৃত্তি-প্রথা দন্তক্রাম পারায়ণম রপ্ত করে রেকর্ড গড়লেন তরুণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স মাত্রই উনিশ। এই বয়সেই নজির গড়ে ফেলেছেন বারাণসীর বৈদিক প্রতিভা বেদমূর্তি দেবব্রত মহেশ রেখে (Mahesh Rekhe)। শ্বেত যজুর্বেদের অন্যতম কঠিন এবং অত্যন্ত কম অনুশীলিত (Kashai) আবৃত্তি-প্রথা দন্তক্রাম পারায়ণম সফলভাবে সম্পূর্ণ করেছেন তিনি। তাঁর এই দক্ষতা কেবল প্রযুক্তিগত নিপুণতার জন্য নয়, বরং এমন একটি শাস্ত্রীয় রূপ পুনরুদ্ধারের জন্য বিশেষ, যা প্রায় দু’শতাব্দী ধরে তাঁর বিশুদ্ধ রূপে সম্পাদিত হয়নি বলে মনে করা হয়।

    দন্তক্রাম (Kashai)

    এই সাফল্যের ব্যাপকতা দন্তক্রামের প্রকৃতিতেই নিহিত। শ্বেত যজুর্বেদের মধ্যন্দিন শাখায় প্রায় ২ হাজার মন্ত্র রয়েছে। এই আবৃত্তি প্রক্রিয়ায় ছন্দ, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং স্বরের কঠোর নিয়মানুবর্তিতা অনুসরণ করতে হয়। এক্ষেত্রে প্রয়োজন অসীম শৃঙ্খলার। পুরো ক্রমটি পাঠ্যগ্রন্থের কোনও সাহায্য ছাড়া, সম্পূর্ণ মুখস্থ, বিন্দুমাত্র ভুল ছাড়া এবং এমন স্বরনিয়ম মেনে আবৃত্তি করতে হয় যা ইতিহাসে মাত্র অল্প কয়েকজন পণ্ডিতই পূর্ণভাবে আয়ত্ত করতে পেরেছেন। টানা ৫০ দিন ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে এটি সম্পন্ন করা দেবব্রতকে ইতিহাসে এই প্রাচীন বৈদিক প্রথার সবচেয়ে বিরল অনুশীলনকারীদের মধ্যে এক অনন্য স্থানে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাঁর সাফল্যের মূল ভিত্তি হল তাঁর পিতা তথা গুরু, মহারাষ্ট্রের সুপ্রতিষ্ঠিত বৈদিক পণ্ডিত বেদব্রহ্মশ্রী মহেশ চন্দ্রকান্ত রেখের বহু বছরের কঠোর দিকনির্দেশনা (Kashai)।

    শুক্ল যজুর্বেদ

    শৃঙ্গেরী পীঠের বেদ পোষক সভার অধীনে শুক্ল যজুর্বেদ মধ্যন্দিন শাখার প্রধান পরীক্ষক হিসেবে মহেশ রেখে বহু দশক ধরে বৈদিক মৌখিক উচ্চারণের প্রকৃত পদ্ধতি সংরক্ষণ করে আসছেন। এটি আজ তাঁর ছেলের অসাধারণ কৃতিত্বে প্রতিফলিত হয়েছে। মহেশের এই কৃতিত্বে গর্বিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এক্স হ্যান্ডেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “১৯ বছর বয়সী বেদমূর্তি দেবব্রত মহেশ রেখে যা করেছেন, তা আগামী প্রজন্ম স্মরণ রাখবে! ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি (Mahesh Rekhe) যাদের ভালোবাসা আছে, তাদের প্রত্যেকেই তার জন্য গর্বিত। কাশীর সাংসদ হিসেবে আমি আনন্দিত যে এই অসাধারণ কীর্তি এই পবিত্র নগরীতে সম্পন্ন হয়েছে (Kashai)।”

  • Mohan Bhagwat: “মোদির কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন বিশ্বনেতারা”, বললেন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “মোদির কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন বিশ্বনেতারা”, বললেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতের শক্তি এখন প্রকাশ পাচ্ছে, দেশ খুঁজে পাচ্ছে তার যোগ্য জায়গা। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) যখন কথা বলেন, তখন বিশ্বের নেতারা তাঁর কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন।” পুণেতে আরএসএসের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথাগুলি বললেন সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “কেউ যেন জয়ন্তী বা শতবার্ষিকীর মতো মাইলস্টোন উদযাপনের অপেক্ষায় না থাকে, বরং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অর্পিত কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে অবিচল থাকে।”

    ভাগবতের বক্তব্য (Mohan Bhagwat)

    ভাগবত বলেন, “সংঘ সেই কাজটাই করে আসছে। সংঘ শতবর্ষ পূরণ করেছে, নানা চ্যালেঞ্জ এবং ঝড়ঝাপটা অতিক্রম করেছে, কিন্তু এখন আত্মসমালোচনার সময়। তবে সমগ্র সমাজকে একত্রিত করার কাজ করতে এত দীর্ঘ সময় কেন লাগল?” তাঁর মতে, সাধারণভাবে বিশ্বাস করা হয় যে ভারত যখন উঠে দাঁড়ায়, তখন বিশ্বের নানা সমস্যার সমাধান হয়, সংঘাত কমে যায়, প্রতিষ্ঠিত হয় কাঙ্খিত শান্তি। সরসংঘ চালক বলেন,  “ইতিহাসে এই ঘটনা লেখা রয়েছে। আমাদের তা পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বর্তমান সময়ে এটিই সবচেয়ে জরুরি। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে তামাম বিশ্ব ভারতের কাছ থেকে এই প্রত্যাশাই করে। আর সেই কারণেই সংঘের স্বয়ংসেবকরা প্রথম দিন থেকেই এই সংকল্প নিয়ে কাজ করে আসছেন।”

    মোদির কথা কেন বিশ্ব এত মনোযোগ দিয়ে শোনে

    ভারতের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক মর্যাদা তুলে ধরে ভাগবত বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা কেন বিশ্ব এত মনোযোগ দিয়ে শোনে, জানেন? তাঁর কথা এখন শোনা হচ্ছে কারণ ভারতের শক্তি এখন সেই সব জায়গায় প্রকাশ পেতে শুরু করেছে, যেখানে তার থাকা উচিত। আর এই কারণেই বিশ্ব ভারতের দিকে নজর দিচ্ছে (Mohan Bhagwat)।” এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি স্মরণ করেন আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ডক্টর কেশব বালিরাম হেডগেওয়ারের ত্যাগ ও অবদানের কথা। তিনি বলেন, “১৯২৫ সালে নাগপুরে হিন্দুত্ববাদী এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করার পর সংঘের স্বয়ংসেবকরা বহু প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জের মধ্যেও তাঁদের দায়িত্ব পালনের যাত্রা শুরু করেছিলেন।” ভাগবত জানান, তাঁদের কাজ ইতিবাচক ফল দেবে, এ ব্যাপারে কোনও নিশ্চয়তা ছিল না। বলেন, “সংঘ স্বয়ংসেবকরা সাফল্যের বীজ বপন করেছিলেন এবং নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে পরিবর্তনের পথ তৈরি করেছিলেন। তাঁদের প্রতি আমাদের সর্বদা কৃতজ্ঞ থাকা উচিত (PM Modi)।”

    সরসংঘ চালক বলেন, “আমাদের ভিত্তি বৈচিত্রের মধ্য দিয়ে ঐক্যে নিহিত। তাই আমাদের এক সঙ্গে চলতে হবে। আর তার জন্য ধর্ম অপরিহার্য। ভারতের সব দার্শনিক মতবাদ একটি উৎস থেকেই উদ্ভূত। কারণ সব কিছুই পরস্পর সংযুক্ত। আমাদের সামঞ্জস্য বজায় রেখে এগোতে হবে (Mohan Bhagwat)।”

  • Suvendu Adhikari: মৃতদের ‘জ্যান্ত’ করে ক্ষমতায় থাকতে চাইছে তৃণমূল! ‘হাতে গরম প্রমাণ’ দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মৃতদের ‘জ্যান্ত’ করে ক্ষমতায় থাকতে চাইছে তৃণমূল! ‘হাতে গরম প্রমাণ’ দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এসআইআরের (SIR) কথা ঘোষণা হতেই ফুঁসে উঠেছিল পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল। সৌজন্য তো বটেই, হেটো রাজনীতি করতে গিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করে (বিরোধীদের অভিযোগ) এসআইআরের প্রতিবাদে পথে নেমে পড়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন (Suvendu Adhikari), ভুয়ো এবং মৃত ভোটারদের বাঁচিয়ে রেখে দিব্যি গদি আঁকড়ে পড়ে রয়েছে তৃণমূল। এসআইআর হলে বাদ পড়বে এদের নাম। স্বাভাবিকভাবেই গদি খুইয়ে পথে বসতে হবে তৃণমূলেশ্বরীকে। রাজ্যের বিরোধী দল প্রথম থেকেই এই দাবিটাই করে আসছে।

    হাতে গরম প্রমাণ (Suvendu Adhikari)

    তাঁদের অভিযোগ, ভুয়ো এবং মৃত ভোটারদের কার্ড কাজে লাগিয়ে ভোটব্যাঙ্ক বাঁচাতে চাইছে তৃণমূল। তাই এই বিরোধিতা। বিরোধীদের এহেন দাবি যে নিছক গল্পগাছা নয়, তার ‘হাতে গরম প্রমাণ’ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের একটি ছবিও দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর দাবি, বিভিন্ন জায়গায় বিডিওদের দিয়ে অপকর্ম করানো হচ্ছে। প্রশাসনকে অপব্যবহার করে প্রভাবিত করা হচ্ছে এসআইআর প্রক্রিয়াকে। শুভেন্দুর দাবি, “কুলতলি, জয়নগর বিধানসভা-সহ বিভিন্ন জায়গায় বিএলওদের চাপ দেওয়া হচ্ছে, যাতে মৃত ব্যক্তিদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ না পড়ে।”

    কথোপকথনের নমুনা

    কুলতলির বিডিও যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রয়েছেন তার কথোপকথন নমুনা হিসেবে তুলে ধরেছেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “মৃত ব্যক্তিদের নাম যাতে তালিকা থেকে বাদ না পড়ে, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নিধেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। যে ভোটাররা ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন, তাঁদের তথ্যও অপরিবর্তিত রাখার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে (SIR)।” বিধায়কের (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অমান্য করে প্রশাসন আদৌ কি এই রকম নির্দেশ দিতে পারে?” এই ইস্যুটি খতিয়ে দেখে নির্বাচন কমিশনকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছিলেন তিনি। নন্দীগ্রামের বিধায়কের পোস্টের পর এ বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন।

    আইপ্যাককে নিয়ে প্রশ্ন

    সোমবারই সিইও অফিসে গিয়ে মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন শুভেন্দু। সিইও-র সঙ্গে বৈঠকের সময় আইপ্যাককে নিশানা করেছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “আইপ্যাকের সাহস হয় কীভাবে, ডেটা এন্ট্রিতে ঢুকছে?” এজন্য সিবিআই তদন্তও দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। আইপ্যাককে নিয়ে আগেও বোমা ফাটিয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ ছিল, তৃণমূল আইপ্যাকের সাহায্য নিয়ে ভোটার তালিকায় ভুয়ো এবং মৃত ভোটারদের নাম রাখছে (SIR)। তাঁর প্রশ্ন, “নির্বাচন কমিশন কি এই প্রশাসনিক অন্তর্ঘাত উপলব্ধি করতে পারছে না?”

    দলদাস প্রশাসনের কীর্তি

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, “দলদাস প্রশাসনের কীর্তি দেখুন। এই ভয়েস ক্লিপিং ফলতারই একজন বিএলওর যিনি পরিষ্কার অভিযোগ করেছেন, ফলতার বিডিও এবং এআরও গতকাল বিকেল তিনটের পর সব বিএলওদের ফোন করে নির্দেশ দেন, ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া কোনও মৃত ব্যক্তির নাম কাটা যাবে না। অথচ পরিবারের লোক মৃতদের এনুমারেশন ফর্মে ডিক্লিয়ারেশন স্বাক্ষর করেছেন (Suvendu Adhikari)। বিএলওদের বলা হচ্ছে, ফর্মগুলি আপলোড না করে, অ্যানিম্যাপিং করে ছেড়ে দিতে, কেন যাতে পরে জোচ্চুরি করা যায়!” শুভেন্দু বলেন, “ফলতা নিয়ে অডিও ট্যুইট করেছি। তার পরে কুলতলিতে স্ক্রিনশট দিয়েছি। বলছে, ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া মৃত ভোটারের নাম কাটা যাবে না। অথচ তাঁর বাড়ির লোক লিখে দিচ্ছেন ডেড। তবুও রাখতে হবে। এরা হাইকোর্ট, কাউকে মানে না। এদের কপালে অনেক দুঃখ আছে (SIR)।”

    অডিও ক্লিপ জমা দিয়েছিল সিপিএমও

    এদিকে, মৃত ভোটারদের নাম তালিকায় রেখে দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করছে তৃণমূল। এমন মারাত্মক অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশনে অডিও ক্লিপ জমা দিয়েছিল সিপিএমও (Suvendu Adhikari)। এর প্রায় ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এক্স হ্যান্ডেলে একটি অডিও ক্লিপ পোস্ট করে কার্যত একই অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, এই অডিও ক্লিপে একটি কণ্ঠস্বর এক বিএলওর। যিনি ফলতার বিডিও এবং এআরওর নামে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করছেন। সোমবার সিইওর দফতরে সিপিএমের তরফে যে অডিও ক্লিপ জমা দেওয়া হয়েছে, সেখানেও শোনা গিয়েছে, মৃতদের নাম ভোটার লিস্টে রেখে দিতে, ডেথ সার্টিফিকেট না দেওয়ার প্রসঙ্গ।

    এদিকে, নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে ২ হাজার ২০৮টি পোলিং স্টেশনে ১০০ শতাংশ পূরণ করা এনুমারেশন ফর্ম ফেরত এসেছে। অর্থাৎ এই পোলিং স্টেশনগুলিতে না কোনও মৃত ভোটার আছে, না কোনও স্থানান্তরিত ভোটার। এমনটা কি আদৌ সম্ভব? এই পরিসংখ্যান নিয়ে হইচইয়ের মধ্যেই বারংবার প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ভোটার তালিকায় মৃতদের ‘জ্যান্ত’ করে রাখার মরিয়া (SIR) চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল (Suvendu Adhikari)?

  • Putin Modi Meet: বৃহস্পতিবার ভারতে আসছেন পুতিন, মোদির সঙ্গে কী কী বিষয়ে হবে আলোচনা?

    Putin Modi Meet: বৃহস্পতিবার ভারতে আসছেন পুতিন, মোদির সঙ্গে কী কী বিষয়ে হবে আলোচনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে (Annual Summit) যোগ দিতে ভারতে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin Modi Meet)। আগামী ৪-৫ তারিখ ভারতে কাটাবেন তিনি। এই সময়ের মধ্যেই পুতিন বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। সাক্ষাৎ করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও। উল্লেখ্য, এটি গত চার বছরে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির প্রথম ভারত সফর। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্টের এই সফর দুই দেশের নেতাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোচনা, ভবিষ্যৎ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ করে দেবে।

    বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য (Putin Modi Meet)

    বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আসন্ন রাষ্ট্রীয় সফরটি ভারত ও রাশিয়ার নেতৃত্বকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির পর্যালোচনা করার, ‘বিশেষ এবং সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্ব’কে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্য নির্ধারণ করার এবং পারস্পরিক স্বার্থসম্পন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়গুলিতে মতবিনিময় করার সুযোগ করে দেবে।” ক্রেমলিনের তরফেও বলা হয়েছে, আলোচনার বিস্তৃত পরিসর রয়েছে, যেখানে রাজনীতি, বাণিজ্য, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও বৈশ্বিক বিষয়-সহ বহু ক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সরকারি একটি নোটে ক্রেমলিন জানিয়েছে, “এই সফরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি রাশিয়া-ভারত সম্পর্কের ব্যাপক অ্যাজেন্ডা বিশেষাধিকারপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারত্বের আওতায় সর্বাঙ্গীনভাবে আলোচনা করার সুযোগ দেবে। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়েও বিবেচনা করা হবে।”

    প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি সহযোগিতা

    সূত্রের খবর, শীর্ষ সম্মেলনে (Annual Summit) ভারত ও রাশিয়া মূলত প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবে। ভারত আরও এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনতে চায়। কারণ ‘অপারেশন সিঁদুরে’র সময় এগুলি খুবই কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। তিনটি ইউনিট এসে গিয়েছে। আরও দুটি আসার কথা আগামী বছরে। কেন সরবরাহে দেরি হচ্ছে রাশিয়ার কাছে তা জানতে চাইবে ভারত। প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং নয়াদিল্লিতে আয়োজিত ন্যাশনাল সিকিউরিটি সামিটে বলেন, “এস-৪০০ সংক্রান্ত আলোচনা হলেও এই বৈঠকে এ সম্পর্কে কোনও ঘোষণা আশা করবেন না। এই বৈঠক দুপক্ষের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বৃহত্তর দিকগুলিতে কেন্দ্রীভূত থাকবে।” শুধু তা-ই নয়, ভারত অন্যান্য প্রকল্পে দেরির বিষয়টিও উত্থাপন করবে, যার মধ্যে রয়েছে সুখোই আপগ্রেড। রাশিয়ার সু–৫৭ যুদ্ধবিমানের প্রতি সম্ভাব্য আগ্রহ নিয়েও আলোচনা করবে দুই দেশ। এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার জেরে ভারত রাশিয়া থেকে কম তেল কিনছে। তাই রাশিয়া ভারতকে অপরিশোধিত তেলের ওপর অতিরিক্ত ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে (Putin Modi Meet)।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানা এবং শান্তি প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা হবে দুই রাষ্ট্রনেতার। ভারত দীর্ঘদিন ধরেই এই সংঘাতের দ্রুত অবসানের আহ্বান জানিয়ে আসছে। সম্প্রতি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বলেছেন যুদ্ধের মাঝে শান্তি প্রচেষ্টা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি লিখেছেন, “এই সংঘাতের দ্রুত অবসান এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতি ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি।” প্রসঙ্গত, এই আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে ভারতের ঘনিষ্ঠ অংশীদার, এবং ভারত শান্তিকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি এই সম্পর্ককে ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে চায়। পুতিন-মোদির আলোচনার আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে বাণিজ্য। ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মূল কারণ হল, ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে তেল কিনছে। তবে রাশিয়ার প্রধান তেল কোম্পানির ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নয়া নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে দিতে পারে এই আমদানি (Annual Summit)।

    বাণিজ্য বৃদ্ধিতে প্রভাব

    ভবিষ্যতে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ভারত ও রাশিয়া উভয় দেশই ভারতের রফতানি বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করবে, বিশেষ করে ওষুধ শিল্প, যন্ত্রপাতি এবং কৃষি পণ্যের ক্ষেত্রে। বৈঠকে অসামরিক বিমান চলাচল, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ, বিনিয়োগ প্রকল্প এবং শ্রমিকদের যাতায়াতের বিষয়গুলিও আলোচনায় থাকবে (Putin Modi Meet)। আলোচনায় উঠে আসবে ভারত-রাশিয়া অংশীদারিত্ব পুনরুজ্জীবনের কথাও। পুতিনের এই সফরটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পশ্চিমী দেশগুলির চাপের কারণে ভারত কিছুদিন ধরে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ককে অপেক্ষাকৃত নীরব ও সীমিত রেখেছিল। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে দুই দেশের সম্পর্ক আবারও শক্তিশালী হতে শুরু করেছে, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা খাতে। ভারত প্যান্টসার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ভরোনেজথ রাডার-সহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পে আগ্রহ দেখিয়েছে। ক্রেমলিন জানিয়েছে, এই সফর উভয়পক্ষকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক এবং সাংস্কৃতিক বিভিন্ন বিষয়ে রাশিয়া-ভারত সম্পর্কের বিস্তৃত অ্যাজেন্ডা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ দেবে।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ

    ভারত ও রাশিয়ার এই আলোচনার নেপথ্যে একটি বড় কারণ হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ। ওয়াশিংটন ভারতীয় পণ্যের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করেছে এবং ভারতকে রাশিয়া থেকে কম তেল কেনার জন্য চাপ দিচ্ছে (Putin Modi Meet)। আমেরিকার নয়া আইন অনুযায়ী, রাশিয়ার জ্বালানি খাতের সঙ্গে ব্যবসা করা দেশগুলির জন্য আরও কঠোর শাস্তি আরোপ হতে পারে। এই সব বিষয়ই ভারতকে এই সম্মেলনে বিশেষ গুরুত্ব দিতে বাধ্য করেছে। কারণ ভারত চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া – দুই দেশের সঙ্গেই শক্তিশালী সম্পর্ক বজায় রাখতে। এজন্য অবশ্য দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিতে রাজি নয় নরেন্দ্র মোদির ভারত (Annual Summit)।

    ভারতে আসছেন পুতিন

    সাত বছর আগে দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিতিতে সই হয়েছিল এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহের ঐতিহাসিক চুক্তি। শুক্রবার সেখানেই ফের বৈঠক করতে চলেছেন এই দুই রাষ্ট্র প্রধান। সরকারি সূত্রের খবর, সেখানে অন্তত ৫৬ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সমঝোতা সংক্রান্ত মউ স্বাক্ষরিত হতে পারে।২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পরে এই প্রথমবার ভারতে আসছেন পুতিন। প্রতিরক্ষার পাশাপাশি তাঁর এই সফরে নির্মাণক্ষেত্র, বয়নশিল্প, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইলেকট্রনিক্স ক্ষেত্র নিয়ে নতুন পথে হাঁটার সূচনা করতে পারে ভারত ও রাশিয়া। রাশিয়ার ওই ক্ষেত্রগুলিতে ভারতীয় পেশাদারদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিষয়টিও ঘোষণা করতে পারেন পুতিন (Putin Modi Meet)।

    পোল্যান্ডের ডেপুটি বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য

    এদিকে, পুতিনের ভারত সফর নিয়ে যখন নয়াদিল্লিতে চলছে চূড়ান্ত ব্যস্ততা, তখন ভারতে এসেছেন পোল্যান্ডের ডেপুটি বিদেশমন্ত্রী ওয়াদিস্লাও তোফিল বার্তোজুক্সি। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি খুব আশাবাদী এই ভেবে যে উনি (পুতিন) যখন দিল্লিতে আসবেন, তখন প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁকে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বলবেন। আমি আগেই বলেছি, ছ-সাত মাস আগেই যখন আমি এখানে ছিলাম, তখন প্রধানমন্ত্রী মোদি, চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পুতিনকে ইউক্রেনে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে না বলেছিলেন। তাঁরা দুজনেই সঠিক কাজটিই করেছেন। তাই আমি আশা করি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুতিনকে বলবেন, দেখুন (Annual Summit) প্রেসিডেন্ট, আপনার ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করা উচিত। কারণ এই সংঘর্ষ থেকে আমাদের, আপনার বা অন্য কারও কোনও লাভ নেই। কারণ এটি ভারতকেও প্রভাবিত করে। কারণ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রাশিয়ার দুটি বড় কোম্পানি থেকে তেল কেনা নিষিদ্ধ করেছেন। রাশিয়া থেকে ভারতের একটি বিশাল সরবরাহ রয়েছে, যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে (Putin Modi Meet)।”

  • Election Commission: এসআইআর করে ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে কমিশন! রাজ্যের অভিযোগ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    Election Commission: এসআইআর করে ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে কমিশন! রাজ্যের অভিযোগ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআর করে বহু ভোটারের নাম বাদ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এমনই গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন মোদি-বিরোধীরা। এসআইআর নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং তামিলনাড়ুর মামলায় সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে সেই সব অভিযোগ তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। তাদের বক্তব্য, বিপুল সংখ্যক বৈধ ভোটারের (Supreme Court) নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ অতিরঞ্জিত। কমিশন আরও জানিয়েছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই এই ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে। বিষয়টি অনুমান ছাড়া আর কিছুই নয়।

    এসআইআর প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ (Election Commission)

    পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ুর এসআইআর প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল, ডিএমকে, সিপিএম এবং কংগ্রেসের বাংলা শিবির। বিরোধী দলগুলির সেই আবেদনের ভিত্তিতে কমিশনের বক্তব্য হলফনামা আকারে জমা দিতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ। সেই মামলায় পৃথক হলফনামা দাখিল করে এসআইআর প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলি খারিজ করার আবেদন জানান কমিশনের সচিব পবন দিওয়ান। গত ২৬ নভেম্বর সাংসদ তৃণমূলের দোলা সেন এবং অন্যদের দাখিল করা আবেদনের প্রেক্ষিতে ৮১ পাতার হলফনামা দিয়েছে কমিশন। তারা জানিয়েছে, বিপুল পরিমাণে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ রাজনৈতিক স্বার্থপূরণের উদ্দেশ্যেই। হলফনামায় কমিশন আরও জানিয়েছে, এসআইআর কোনও নতুন প্রক্রিয়া নয়। ভোটার তালিকায় যাতে কোনও সমস্যা না থাকে তা দেখার দায়িত্ব কমিশনেরই। বহু বছর ধরেই এই প্রক্রিয়া চলছে। ভারতের সংবিধানও কমিশনকে সেই অধিকার দেয় (Election Commission)।

    হলফনামায় পশ্চিমবঙ্গের নাম

    আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় পশ্চিমবঙ্গের নাম আলাদা করে উল্লেখ করেছে কমিশন। তারা জানিয়েছে, বাংলায় ইতিমধ্যেই ৯৯.৭৭ শতাংশ ভোটারের কাছে এনুমারেশন ফর্ম পৌঁছে গিয়েছে (Supreme Court)। তার মধ্যে ৭০.১৪ শতাংশ ফর্ম পূরণের পর ফেরতও চলে এসেছে। বুথ লেভেল আধিকারিকরা প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করছেন। পরে ফর্ম পূরণের পর তা সংগ্রহ করে পাঠাচ্ছেন কমিশনের কাছে। কোনও বাড়িতে কেউ না থাকলে, বিএলওরা সেখানে তিনবার করে যাচ্ছেন। কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কোনও বৈধ ভোটারের নামই বাদ দেওয়া হচ্ছে না। কমিশন তার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন। এসআইআর প্রক্রিয়া সফলভাবে বাস্তবায়িত এবং কোনও বৈধ ভোটারের নাম ভোটার লিস্ট থেকে বাদ না পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার সম্ভাব্য সব রকম চেষ্টা করছে কমিশন।

    নেপথ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য!

    হলফনামায় কমিশন বার বার দাবি করেছে, বিপুল সংখ্যক বৈধ ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্তিতে তোলা হচ্ছে। বিষয়টি অতিরঞ্জিত করে পরিবেশন করার চেষ্টা চলছে (Election Commission)। আর এর নেপথ্যে রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। কমিশনের দাবি, রাজনৈতিক দলগুলি এসআইআর প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার বদলে হাঁটছে সমালোচনার পথে। কমিশনের আইনজীবীর অভিযোগ (Supreme Court), রাজনৈতিক দলগুলি বিএলওদের নানাভাবে বিভ্রান্ত করছে। তাঁদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। এদিন আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এর আগে দেশে এসআইআর হয়নি এই যুক্তি দেখিয়ে একাধিক রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের এই প্রক্রিয়া চালানোর সিদ্ধান্ত বৈধ কিনা, তা পরীক্ষা করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, ৬ নম্বর ফর্মের শুদ্ধতা নির্ণয় করার অন্তর্নিহিত ক্ষমতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। কোনও ব্যক্তিকে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে গেলে তাঁকে নিজেকে ৬ নম্বর ফর্ম পূরণ করতে হয়।

    আধার কার্ড নাগরিকত্বের সার্বিক প্রমাণ নয়

    দেশের শীর্ষ আদালত ফের একবার জানিয়ে দিয়েছে, আধার কার্ড নাগরিকত্বের সার্বিক প্রমাণ নয়। তাই আমরা বলেছি, প্রামাণ্য নথিগুলির মধ্যে অন্যতম নথি এটি। কিন্তু কারও নাম বাদ গেলে কেন নাম বাদ দেওয়া হল, সে সংক্রান্ত নোটিশ দিতে হবে। বেঞ্চ বলে, “কিছু সরকারি সুবিধা পাওয়ার জন্য আধার কার্ড তৈরি করা হয়েছিল। কোনও (Election Commission) ব্যক্তিকে রেশন পাওয়ার জন্য আধার কার্ড দেওয়া হয়েছে। তাহলে কি শুধু সেই কারণেই তিনি ভোটার হবেন? এমনও তো হতে পারে, কেউ প্রতিবেশী দেশের নাগরিক এবং তিনি এখানে একজন শ্রমিকের কাজ করেন।” আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, “আপনারা বলছেন, নির্বাচন কমিশন পোস্ট অফিস। যেখানে ৬ নম্বর ফর্ম জমা দেওয়া হবে এবং তারা আপনার নামটি নথিভুক্ত করবে।” এর পরেই বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, নির্বাচন কমিশনের সব সময় এই সাংবিধানিক এক্তিয়ার রয়েছে (Supreme Court), তারা নথিটি সত্য কি না, তা যাচাই করতে পারে (Election Commission)।

  • Khaleda Zia: “ভারত সহায়তা দিতে প্রস্তুত”, এবার প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানাল বাংলাদেশের বিএনপি

    Khaleda Zia: “ভারত সহায়তা দিতে প্রস্তুত”, এবার প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানাল বাংলাদেশের বিএনপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন বাংলাদেশের পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র মার্কিন প্রবাসী সজিব ওয়াজেদ। তাঁর মাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য মোদিকে ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন তিনি। আওয়ামি লিগের পর এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন বাংলাদেশের আর একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি। সম্প্রতি বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার (Khaleda Zia) দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বার্তা পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পরেই মঙ্গলবার বিএনপির তরফে ধন্যবাদ জানানো হয় প্রধানমন্ত্রীকে।

    প্রধানমন্ত্রীর বার্তা (Khaleda Zia)

    বর্তমানে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন খালেদা। বাংলাদেশের বছর আশির এই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি সম্পর্কে জানতে পেরে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের জনজীবনে অবদান রেখে এসেছেন। তাঁর দ্রুত আরোগ্যের জন্য আমাদের আন্তরিক প্রার্থনা এবং শুভকামনা। আমরা যেভাবে পারি, ভারত সকল ধরনের সম্ভাব্য সহায়তা দিতে প্রস্তুত।” প্রসঙ্গত, শারীরিক অসুস্থতার কারণে খালেদা ভর্তি রয়েছেন এভারকেয়ার হাসপাতালে।

    বিএনপির প্রতিক্রিয়া

    প্রত্যুত্তরে, অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিএনপি বলেছে, তাদের নেতার শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি হওয়ার সময়ে সদিচ্ছাপূর্ণ উদ্যোগের জন্য তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে। এক্স হ্যান্ডেলে তারা লিখেছে, “বিএনপি এই সদিচ্ছার উদ্যোগ এবং সাহায্য দেওয়ার প্রস্তুতি প্রকাশের খবর গভীরভাবে মূল্যায়ন করে (PM Modi)।” বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতিহাসে নাম তুলে নিয়েছেন খালেদা। সম্প্রতি ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। পরে অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করেন। বিএনপি নেতারা জানান, তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। বিদেশি বিশেষজ্ঞ-সহ একটি মেডিক্যাল টিমের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি (Khaleda Zia)। হৃদযন্ত্র ও ফুসফুস সংক্রান্ত জটিলতা হঠাৎ করে তীব্র হয়ে ওঠায় ২৩ নভেম্বর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    কী বলছে বিএনপি

    বিএনপি নেতারা বলেছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। দলের ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান জানান, চিকিৎসকরা প্রায় সব ধরনের চিকিৎসার পথ ব্যবহার করে দেখেছেন। তিনি বলেন, “তিনি অত্যন্ত সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন। সারা জাতির কাছে আবেদন দোয়া চাওয়া ছাড়া আর করার কিছুই করার নেই।” মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগিরও একই ধরনের মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা দিন-রাত কাজ করে চলেছেন। তিনি বলেন, “তিনি (খালেদা) গুরুতর অসুস্থ। তাঁরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।” সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি জানান, রবিবার পর্যন্ত তাঁর অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি।উল্লেখ্য, খালেদা (Khaleda Zia) দীর্ঘদিন ধরে লিভার ও কিডনির জটিলতা, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস এবং চোখের সমস্যা-সহ বেশ কয়েকটি দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করে আসছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য চার মাস লন্ডনে থাকার পর গত ৬ মে ঢাকায় ফিরে আসেন তিনি।

    শারীরিক অবস্থার উন্নতি

    বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, খালেদার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সোমবার তিনি সামান্য নড়াচড়া করেছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথাবার্তায় সাড়াও দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা। খালেদার চিকিৎসা করছে চিকিৎসকদের যে টিম, তাদের বক্তব্য, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হলেও, তিনি এখনও ঝুঁকি মুক্ত নন। লিভারজনিত জটিলতা, কিডনির কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক সমস্যা সামলে তাঁর চিকিৎসা করতে হচ্ছে বিশেষ সতর্কতায়। পরে ফের অবস্থার অবনতি হওয়ায় খালেদাকে রাখা হয়েছে আইসিইউ সমমানের হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ)। মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়া চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। তবে বিদেশযাত্রার মতো স্থিতিশীলতা এখনও আসেনি। চিকিৎসকদের লক্ষ্য, তাঁকে ধীরে ধীরে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া, যেখানে বিমানযাত্রা করতে কোনও কষ্ট না হয় তাঁর (PM Modi)।

    চিন থেকে এল চিকিৎসক দল

    এদিকে, সোমবারই চিন থেকে বাংলাদেশে গিয়েছেন একদল চিকিৎসক (Khaleda Zia)। সন্ধ্যায়ই তাঁরা খালেদার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলোচনাও সেরে নিয়েছেন। এই মেডিক্যাল বোর্ডে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ছাড়াও রয়েছেন আমেরিকার জন হপকিনস হাসপাতালের এক চিকিৎসক এবং লন্ডনের এক চিকিৎসক। এর পরেও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে চিনা বিশেষজ্ঞদের। অন্যদিকে, ভারত ছাড়াও খালেদার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আরও কয়েকটি দেশও। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত তুরস্ক ও রাশিয়ার দূতাবাস থেকেও তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে (PM Modi)। দিন কয়েক আগে খালেদার আরোগ্য কামনা করে বার্তা পাঠিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও (Khaleda Zia)।

  • Assam Govt: অসমের চা-বাগান কর্মীদের জমির অধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিজেপি সরকারের

    Assam Govt: অসমের চা-বাগান কর্মীদের জমির অধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিজেপি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার অসমের চা-বাগান (Tea Workers) কর্মীদের জমির অধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার (Assam Govt)। রাজ্য বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে সম্প্রতি একটি বিল পাস হয়েছে, এর মাধ্যমেই চা-বাগানের ‘শ্রমিক লাইনে’ বসবাসরত বাগান শ্রমিকদের ভূমির অধিকার দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। সদ্য সমাপ্ত শীতকালীন অধিবেশনে দীর্ঘদিনের দাবির সমাধান করতে অসম ফিক্সেশন অফ শিলিং অন ল্যান্ড হোল্ডিংস সংশোধনী বিল ২০২৫ পাশ হয়েছে।

    ঐতিহাসিক মুহূর্ত (Assam Govt)

    মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই আইনকে এই সম্প্রদায়ের কল্যাণের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “অনিশ্চয়তার প্রজন্ম থেকে মালিকানার ভবিষ্যতের দিকে। ল্যান্ড শিলিং অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২৫ অসমের চা-শ্রমিক সম্প্রদায়ের ৩ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি পরিবারকে তাদের ভূমির বৈধ অধিকার দেবে। ন্যায়ের জন্য এক বিশাল পদক্ষেপ এবং অসমের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।” বর্তমানে চা-বাগানের শ্রমিকরা শ্রমিক লাইনের জমিতে মালিকানা ছাড়াই বসবাস করছেন। সংশোধিত আইনের ফলে শ্রমিক লাইনগুলোকে ‘আনুষঙ্গিক ব্যবহারের’ আওতা থেকে বাদ দেওয়া হবে এবং চা-বাগান শ্রমিকদের জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভূমি বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করা হবে। এর মাধ্যমে নিশ্চিত হবে তাদের জমির অধিকার। সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, এর ফলে চা-বাগান শ্রমিকদের দীর্ঘমেয়াদী বাসস্থানের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং উচ্ছেদের ঝুঁকি কমবে।

    ভূমির উত্তরাধিকার

    আইনের ওই সংশোধনে আরও বলা হয়েছে, এই ভূমি উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া যাবে। তবে প্রথম ২০ বছর বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না। বিধানসভায় সংশোধনী নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “২০ বছর পর জমি বিক্রি, লিজ, হস্তান্তর, দান বা অন্য কোনওভাবে স্থানান্তর করা যাবে, তবে শুধুমাত্র একই বাগানে বসবাসকারী চা-বাগান শ্রমিকদের মধ্যেই (Assam Govt)।” এই সংশোধনীর মাধ্যমে রাজ্য সরকার উন্নয়ন ও পুনর্বণ্টনমূলক ব্যবহারের জন্য উদ্বৃত্ত জমি চিহ্নিত করতে পারবে এবং চা-বাগান শ্রমিকদের আবাসনকে মূলধারার সরকারি আবাসন, সামাজিক কল্যাণ এবং জনস্বাস্থ্য কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত করতে পারবে বলে সংশোধনের উদ্দেশ্য ও কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সরকারি বিবৃতিতে (Tea Workers)। জানা গিয়েছে, জমির মালিকানা পাওয়ার পর ৩.৩ লক্ষাধিক চা-বাগান শ্রমিক পরিবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মতো সুবিধা পাবে। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের জমিতে নিজেদের বাড়ি নির্মাণ করতে পারবে (Assam Govt)।

  • Supreme Court: ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করার সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    Supreme Court: ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করার সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি (Waqf Boards) রেজিস্ট্রি করার জন্য নির্ধারিত ছ’মাসের আইনগত সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ১ ডিসেম্বর, সোমবার ওই আবেদন প্রত্যাহার করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। ফলে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ডিজিটালাইজেশন বিলম্বিত করার দায় ফের বর্তেছে ওয়াক্‌ফ বোর্ডগুলির ওপরই। এদিন বিচারপতি দিব্যঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, অতিরিক্ত সময় চাইলে আবেদনকারীদের সুপ্রিম কোর্ট নয়, ওয়াক্‌ফ ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হতে হবে। অনলাইন রেজিস্ট্রির শেষ তারিখ ৬ ডিসেম্বরই থাকছে।

    আদালতের বক্তব্য (Supreme Court)

    আদালত বলেছে, “যেহেতু আবেদনকারীদের জন্য প্রতিকার পাওয়ার পথ ওয়াক্‌ফ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই রয়েছে, তাই তারা ৬ ডিসেম্বরের মধ্যেই সেখানে আবেদন করতে পারেন।” বেঞ্চ এও জানিয়ে দিয়েছে, ধারা ৩বি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য স্পষ্ট প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে। প্রযুক্তিগত সমস্যা বা প্রক্রিয়াগত বাধা থাকলে সেগুলি ট্রাইব্যুনালের সামনে উত্থাপন করা যাবে, এবং ট্রাইব্যুনাল প্রয়োজন অনুসারে প্রতিটি মামলায় পৃথকভাবে সমাধান সূত্র দিতে পারে।

    পোর্টালে বহু প্রযুক্তিগত ত্রুটি

    এদিন কপিল সিব্বল-সহ একাধিক প্রবীণ আইনজীবী দাবি করেন, ইউএমইইডি ডিজিটাল পোর্টালে বহু প্রযুক্তিগত ত্রুটি রয়েছে। সেখানে শুনানির সময় বারবার উঠে এসেছে যে ওয়াক্‌ফ বোর্ডগুলির বহু দিনের দুর্বল নথিপত্র ব্যবস্থা এবং ধীরগতির ডিজিটালাইজেশনই প্রকৃত সমস্যা। সিব্বল স্বয়ং স্বীকার করেন, “ডিজিটাইজেশন হতে ১১ বছর লেগে গিয়েছে, গ্রামীণ সম্পত্তিগুলি ডিজিটাইজড নয় এবং মানুষ প্রতিদিন চেষ্টা করছে, অথচ তারা আপলোড করতে পারছে না।” এই সব ব্যর্থতার জন্যই হাজার হাজার মুতাওয়াল্লি এবং উপকারভোগীরা শেষ মুহূর্তে বিপদের মুখে পড়েছেন। কারণ বছরের পর বছর নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও বোর্ডগুলো মৌলিক নথিপত্রও আধুনিকায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে (Supreme Court)।

    প্রবীণ আইনজীবীর বক্তব্য

    প্রবীণ আইনজীবী এমআর শামশাদ বলেন, “ওয়াক্‌ফ বোর্ডগুলো ইতোমধ্যেই নথিভুক্ত সম্পত্তির বিবরণ রাখে। তবুও তাদের পুরনো সিস্টেম এবং ভাঙা-ভাঙা ডকুমেন্টেশন এত বড় পরিসরে পোর্টালে আপলোড করা প্রায় অসম্ভব।” বোর্ডের অক্ষমতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানান, রেকর্ড আপডেট করা, সম্পত্তি মানচিত্রায়ন করা, সীমানা যাচাই করা, ইজারা বা লিজ ট্র্যাক করা এবং মুতাওয়াল্লিদের শনাক্ত করা। এর ফলে এখন বিশাল প্রশাসনিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে (Waqf Boards)।

    সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আবেদনকারীদের যুক্তির প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি রেজিস্ট্রি প্রায় এক শতাব্দীর পুরনো বাধ্যবাধকতা, এবং বোর্ডগুলোর রেকর্ড সঠিকভাবে তৈরির জন্য প্রচুর সময় ছিল।”

    প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই সেপ্টেম্বরে বাধ্যতামূলক রেজিস্ট্রি স্থগিত করার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল। তারা এও বলেছিল, আগের আইনেও রেজিস্ট্রি ব্যবস্থা ছিল। অতএব, বর্তমান সংকট হঠাৎ কোনও নিয়ন্ত্রক চাপের ফল নয়, বরং প্রাতিষ্ঠানিক গাফিলতির প্রতিফলন (Supreme Court)।

    জিও-ট্যাগিং, জিআইএস ম্যাপিং, ডিজিটাল তালিকা এবং জন-স্বচ্ছতার সরঞ্জাম-সহ ইউএমইইডি পোর্টাল বহু দশকের অস্বচ্ছ ও দুর্ব্যবস্থাপিত ওয়াক্‌ফ প্রশাসনের অবসান ঘটানোর উদ্দেশ্যে চালু করা হয়েছিল। কিন্তু, বোর্ডগুলোর প্রস্তুতির অভাবে এই বাস্তবায়ন শেষ মুহূর্তের হুড়োহুড়িতে পরিণত হয়েছে।

  • Suvendu Adhikari: “ওএমআর শিটের কার্বন কপিতে নেই সিরিয়াল নম্বর”! পুলিশ-নিয়োগে দুর্নীতির পর্দাফাঁস শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ওএমআর শিটের কার্বন কপিতে নেই সিরিয়াল নম্বর”! পুলিশ-নিয়োগে দুর্নীতির পর্দাফাঁস শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির জেরে বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের চাকরি। ফের হয়েছে পরীক্ষা। আবারও হয়েছে মামলা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের প্রকাশ্যে এল পুলিশে নিয়োগ পরীক্ষায় (Police Exams) দুর্নীতির অভিযোগ। রবিবারই হয়েছে এই পরীক্ষা। তার পরেই ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনই দাবি করেন তিনি। শুভেন্দুর দাবি, পরীক্ষার পর চাকরিপ্রার্থীদের দেওয়া হয়নি ওএমআর শিটের কার্বন কপি। ওই শিটে সিরিয়াল নম্বরও ছিল না বলে অভিযোগ। সাংবাদিক বৈঠকে পরীক্ষা কেন্দ্রের উল্লেখ করে এমন একটি ওএমআর শিটও দেখান নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু।

    কার্বন কপিতে সিরিয়াল নম্বর ছিল না (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ওএমআর শিটের কার্বন কপিতে সিরিয়াল নম্বর ছিল না। ওই শিটের কার্বন কপি প্রার্থীদের দেওয়াও হয়নি। কার্বন কপি না দেওয়ায় বোর্ড যে কোনও ধরনের দুর্নীতি করতে পারবে। সিরিয়াল নম্বর নেই মানে যে কোনও সময় কার্বন কপি চেঞ্জ করে দেবে।” তাঁর প্রশ্ন, “কার্বন কপি বোর্ডের কাছে থাকবে কেন?” তিনি বলেন, “টাকার ভিত্তিতে যাঁদের নেওয়া হবে, তাঁদের ওএমআর চেঞ্জ করে দেবে।” রেলবোর্ডকে ধন্যবাদ জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, “এই কারণে ওড়িশা সরকার পরীক্ষা করাচ্ছে, আর সেখানে পরীক্ষা দিতে গিয়ে চাকরি পাচ্ছে বাংলার ছেলেমেয়েরা।”

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “জাতীয় স্তরের সমস্ত পরীক্ষায়, পাবলিক সার্ভিস কমিশন (Police Exams) থেকে শুরু করে রেলের পরীক্ষায়, সবেতেই ওএমআরের কার্বন কপি দেওয়া হয়, সিরিয়াল মেনটেইন করা হয়। কার্বন কপির একটা কপি পরীক্ষার্থীদের হাতে থাকে।” এই নিয়োগ পরীক্ষায় কীভাবে দুর্নীতি হবে, তারও আভাস দেন শুভেন্দু। বলেন, “এসএসসির মতোই খাতা বদলাবে। তবে এবার হয়তো আর সাদা রাখবে না, ওএমআর শিটটাই বদলে দেবে। যাঁদের নিতে চায়, নির্বাচন আসছে বলে যাঁদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে, সেই লোকগুলোকে ডেকে ডেকে ফিলআপ করিয়ে দেবে। সেখান থেকে পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম সান্যালের কাছে পৌঁছে যাবে।”

    মামলা করার পরামর্শ

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) চাকরিপ্রার্থীদের জনস্বার্থ মামলা করার পরামর্শ দেন। আশ্বস্ত করে আইনি সাহায্যের জন্যও। তিনি বলেন, “এই সরকার যুবকদের স্বপ্ন ভাঙার কাজ করছে। প্রতারণার শিকার হওয়া যুবকরা চাইলে আন্দোলনের রাস্তায় হাঁটতে পারেন। চাইলে তাঁরা আইনি লড়াইতেও নামতে পারেন। এই বিষয়ে বিজেপির যুব মোর্চা তাঁদের পাশে থাকবে।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “এই সরকার চাকরি দেওয়ার সরকার নয়। পরীক্ষায় চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “যেহেতু ওএমআর শিটে সিরিয়াল নম্বর দেওয়া হয়নি, কার্বন কপিও দেওয়া হয়নি, তার মান পরে চাকরি নিয়ে (Police Exams) নয়ছয় করা হবে। অন্য লোকদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া হবে।” প্রসঙ্গত, রবিবারই শুভেন্দু বলেছিলেন, “ফর্ম বিক্রি করে টাকা তোলা হচ্ছে। পুলিশের পরীক্ষা হচ্ছে, একটাও চাকরি হবে না। সবাইকে পরীক্ষায় বসিয়ে রেখে গাজর ঝুলিয়ে দিল। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মৌখিক পরীক্ষা হবে। দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোট ঘোষণা হয়ে যাবে। তাই আর নিয়োগ হবে না (Suvendu Adhikari)।”

LinkedIn
Share