Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Kerala Nurses Death Sentence: ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ড ভারতীয় নার্সের, কোন দোষে দোষী জানেন?

    Kerala Nurses Death Sentence: ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ড ভারতীয় নার্সের, কোন দোষে দোষী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের কেরলের নার্স (Kerala Nurses Death Sentence) জেলবন্দি নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সিলমোহর দিলেন ইয়েমেনের (Yemen) প্রেসিডেন্ট রাশাদ আল আলিমি। গত সাত বছর ধরে ইয়েমেনের জেলে বন্দি রয়েছেন ওই মহিলা। তাঁর জীবন সংশয় হওয়ায় বিচলিত দেশ।

    খুনের দায়ে জেলবন্দি (Kerala Nurses Death Sentence)

    ইয়েমেনের বাসিন্দা তালাল আব্দো মাহদিকে খুনের দায়ে ২০১৭ সাল থেকে সে দেশের জেলে বন্দি রয়েছেন নিমিশা। বছর ছত্রিশের এই নার্সকে বাঁচানোর সব রকম চেষ্টা করা হয়েছে পরিবারের তরফে। প্রয়োজনীয় সাহায্য করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রকও। গ্রেফতার হওয়ার পরের বছরই ওই নার্সকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ইয়েমেনের আদালত। আদালতের সেই রায়েই সিলমোহর দিলেন প্রেসিডেন্ট। ‘অস্বাভাবিক’ কিছু না ঘটলে এক মাসের মধ্যেই ওই নার্সের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। কেরলের পালাক্কড় জেলার বাসিন্দা নিমিশা নার্স ছিলেন। ২০১৪ সালে তাঁর স্বামী ও মেয়ে ভারতে ফিরে এলেও, নিমিশা থেকে যান ইয়েমেনেই। ২০১৫ সালে মাহদির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ক্লিনিক খোলেন ভারতীয় ওই নার্স। পরে শুরু হয় দুই অংশীদারের মতবিরোধ। অভিযোগ, এই সময় নিমিশার পাসপোর্ট কেড়ে নেন মাহদি। পুলিশে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।

    পাসপোর্ট ফেরাতেই খুন!

    মাহদির কাছ থেকে পাসপোর্ট ফেরাতে ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই তাঁকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দেন নিমিশা। ওভারডোজের কারণে মৃত্যু হয় মাহদির। পরে অন্য একজনের সাহায্যে মাহদির দেহ টুকরো টুকরো করে জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। ইয়েমেন থেকে পালানোর পথে ধরা পড়েন ওই নার্স। ২০১৮ সালে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ইয়েমেনের আদালত। মেয়েকে বাঁচানোর যাবতীয় চেষ্টা করেন নিমিশার মা। ইয়েমেনে আইনজীবীর ব্যবস্থা করে দেয় ভারতের বিদেশমন্ত্রক। গত বছর নিমিশার সাজা মকুবের আবেদনও খারিজ হয়ে যায় ইয়েমেনের সুপ্রিম কোর্টে (Kerala Nurses Death Sentence)। দেশের শীর্ষ আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সিলমোহর দেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট।

    আরও পড়ুন: দেউলিয়া হয়ে যাবে আমেরিকা? এ কী শোনালেন ইলন মাস্ক!

    প্রিয়ার পরিবার সূত্রে খবর, নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথাবার্তা চলছিলই। সেপ্টেম্বর মাসে ভারতীয় দূতাবাস নিযুক্ত আইনজীবী আবদুল্লা আমির প্রাক-মীমাংসা পর্বেই ১৬.৬ লাখ টাকা দাবি করেন। বিদেশমন্ত্রকের তরফে তাঁকে সেই টাকা দেওয়াও হয়। পরে পারিশ্রমিক বাবদ দু’দফায় ৩৩ লাখ টাকা মিটিয়ে দিতে হবে বলে দাবি জানান তিনি। এই টাকা পেলেই নিহতের পরিবারের সঙ্গে নতুন করে কথাবার্তা শুরু করা যাবে বলে জানান (Yemen) তিনি। তাতেই দীর্ঘায়িত হয় বিষয়টি (Kerala Nurses Death Sentence)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Machine Gun: আত্মনির্ভর ভারত,  ইউরোপে ২০০০ মেশিনগান রফতানি করবে কানপুরের অস্ত্র কারখানা

    Machine Gun: আত্মনির্ভর ভারত, ইউরোপে ২০০০ মেশিনগান রফতানি করবে কানপুরের অস্ত্র কারখানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউরোপে বাড়ছে ভারতে তৈরি মেশিনগানের চাহিদা। এই মেশিনগান (Machine Gun) তৈরি করছে কানপুরের একটি অস্ত্র কারখানা (SAF)। অনেক দেশই এই মেশিনগানকে নিজেদের পছন্দের তালিকায় রেখেছে। এক মিনিটে এক হাজার গুলি চালানোর ক্ষমতা রয়েছে এই মেশিনগানের। এই মেশিনগান (এমএমজি) যে কোনও লড়াইয়ে গেম চেঞ্জার হতে পারে।

    ২০০০টি এমএমজি তৈরির অর্ডার মিলেছে (Machine Gun)

    ইউরোপ এই মেশিনগানের (Machine Gun) ব্যাপক চাহিদা। কানপুরের যে কারখানা এই অস্ত্র রফতানি করবে, তা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে। এটি অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির একটি ইউনিট। আগামী ৩ বছরের মধ্যে ২০০০টি এমএমজি তৈরি করে ইউরোপে সরবরাহ করতে হবে কানপুরের কারখানাটিকে। এই বিষয়ে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ডিপিএসইউ আউইল-এর প্রতিরক্ষা উৎপাদন ইউনিট রফতানির জন্য কাজ শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, ১৮০০ মিটার পর্যন্ত শত্রুদের ধ্বংস করতে পারে এই মেশিনগান থেকে নির্গত গুলি। ইউরোপ থেকে সবচেয়ে বড় অর্ডার পেয়েছে কানপুরের এই অস্ত্র কারখানা। গত বছর ডিসেম্বরে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ে ‘ঘর ওয়াপসি’, খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত ৬৫১ পরিবার ফিরল হিন্দু ধর্মে

    এসএএফ কর্মকর্তারা কী বললেন?

    ওই কারখানার অধিকর্তারা বলেন, “ক্রেতার চাহিদা এবং গত বছরের ডিসেম্বরে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী বন্দুকটি (Machine Gun) কাস্টমাইজ করা হচ্ছে।” সামরিক অভিযানে স্থায়ী আগুনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এমএমজি প্রতি মিনিটে ১০০০ রাউন্ড পর্যন্ত ফায়ার করতে পারে। বন্দুকগুলি সাধারণত ৭.৬২ এমএম বা .৫০ ক্যালিবার গোলাবারুদ চালায়। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম যেমন যানবাহন, ট্যাঙ্ক এবং বিমানে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি হল এটির ব্যারেল। ব্যারেলের ওজন ৩ কেজি। এই মেশিনগানের দৈর্ঘ্য ১২৫৫ মিমি। এটি ১৮০০ থেকে ২০০০ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে থাকা শত্রুকে সঠিকভাবে টার্গেট করতে পারে। তাই বহু দেশের সেনাবাহিনীর পছন্দ হয়ে উঠছে এই মেশিনগান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Muslim Jamaat: ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করল মুসলিম জামাত

    India Muslim Jamaat: ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করল মুসলিম জামাত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাতের (India Muslim Jamaat) জাতীয় সভাপতি মাওলানা শাহাবুদ্দিন রাজভি বেরেলভি ইংরেজি নববর্ষ (English New Year 2025) উদযাপনের বিরুদ্ধে একটি ফতোয়া জারি করেছেন। তিনি খুব স্পষ্ট ভাবে মুসলমানদের এই বর্ষবরণের উৎসবগুলিতে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। একই ভাবে ইসালাম বিরোধী, শরিয়া বিরোধী কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকার কথাও বলেছেন। পরিবর্তে মুসলমান সমাজকে ইসলাম ধর্মীয় অভ্যাসগুলিতে মনোনিবেশ করতে জোর দিয়েছেন। এই বক্তব্যে এখন ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    খ্রিস্টান ক্যালেন্ডারের উদযাপন গর্বের বিষয় নয় (India Muslim Jamaat)

    ইসলামের বিশ্বাসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, তাই বর্ষবরণের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে রাজভি (India Muslim Jamaat)  বলেন, “চশমে দরফতা বেরেলি দ্বারা জারি করা ফতোয়া, তরুণ মুসলিম পুরুষ এবং মহিলাদের উভয়কেই নতুন বছর উদযাপন না করার নির্দেশ দেয়। আমি মনে করি খ্রিস্টান ক্যালেন্ডারের সূচনা করে নববর্ষ (English New Year 2025) উদযাপন করা গর্বের বিষয় নয় এবং কোনও রকম উদযাপন বা কুশল বিনিময় করা উচিত নয়। কারণ এই ধরনের অনুশীলন মুসলমানদের জন্য নিষিদ্ধ।” রাজভি একই ভাবে তরুণ ও যুব মুসলমানদের নববর্ষের অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার অনুরোধ করেছেন, পরিবর্তে তাদের কোরানের ধর্ম পালনে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের উচিত ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপে অংশ গ্রহণ না করা। ইসলামের মান্যতাকে সকলের মনে রাখতে হবে।”

    আরও পড়ুনঃ ‘মহাকাশ ডকিং’ মিশনের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ইসরোর, সফল উৎক্ষেপণ পিএসএলভি-সি৬০-র

    রুশদির বই ফের বাতিলের দাবি

    অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাতের (India Muslim Jamaat) সভাপতি রাজভি এদিন একই ভবে সাহিত্যিক সালমান রুশদির ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ আবার বিক্রি এবং বাজারে চাহিদার খবরকে তীব্র ভাবে আপত্তি জানিয়েছেন। তাঁর মতে দেশে এই বইয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া ঠিক নয়। চূড়ান্ত ভাবে ইসলাম বিরোধী ভাবনা রয়েছে বইয়ে। তবে এই বইয়ের উপর তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এখন তা তুলে নেওয়া হয়েছে। তিনি বিরোধিতা করে আরও বলেন, “নিষেধাজ্ঞার পক্ষে যাঁরা, তাঁদের সঙ্গে আগে আলোচনা করা দরকার ছিল। বই বিক্রির অনুমতি বাতিল করা উচিত। বইটির সহজ লভ্যতা দেশের সামাজিক ও ধর্মীয় কাঠামোর উপর চরম আঘাত আনতে পারে।” উল্লেখ্য জানা গিয়েছে রুশদির বইতে ধর্মের প্রচার এবং আচরণ বিষয়ে কিছু প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আর তাতেই মোল্লা মৌলভী ধর্মীয় অবমানার অভিযোগ তুলেছেন। ১৯৮০ সাল থেকে এই বইয়ের উপর প্রতিবন্ধকতা আরোপ করা হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • New Year 2025: জানেন কি নতুন বছর ২০২৫ কোন দেশে সবচেয়ে আগে আসবে, আর কোন দেশে সর্বশেষে?

    New Year 2025: জানেন কি নতুন বছর ২০২৫ কোন দেশে সবচেয়ে আগে আসবে, আর কোন দেশে সর্বশেষে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই নববর্ষ। ২০২৪ বিদায় নিয়ে আসছে ২০২৫ (New Year 2025)। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে উৎসবের আমেজে মেতে উঠেছে গোটা বিশ্ব। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বিভিন্ন দেশ নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি শুরু করেছে। তবে, জানেন কি কোন দেশ সবচেয়ে আগে এই নববর্ষ উদযাপন করবে? আর বিশ্বের কোথায় সব শেষে নববর্ষ উদযাপন করা হয়।

    নতুন বছর প্রথম কোন দেশ উদযাপন করবে? (New Year 2025)

    নববর্ষ (New Year 2025) প্রথম উদযাপন করবে কিরিটিমাটি দ্বীপ। এটি ক্রিসমাস দ্বীপ নামেও পরিচিত। বিশ্বের সবচেয়ে দূরবর্তী টাইম জোন  (UTC+14)  অঞ্চলে অবস্থিত। কিরিটিমাটি দ্বীপ নতুন বছর উদযাপন করার কিছুক্ষণ পরই নিউজিল্যান্ডের টোঙ্গা এবং চ্যাথাম দ্বীপপুঞ্জ জমকালো আতশবাজির মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়।

    আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ে ‘ঘর ওয়াপসি’, খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত ৬৫১ পরিবার ফিরল হিন্দু ধর্মে

    নতুন বছর বিশ্বের শেষ কোন দেশ উদযাপন করবে?

    নববর্ষ উদযাপনের (New Year 2025) শেষ স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে বেকার দ্বীপ এবং হাওল্যান্ড দ্বীপ। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি জনবসতিহীন অঞ্চল। এইগুলি আসলে (UTC-12) সময় অঞ্চলের অধীনে পড়ে। এই নির্দিষ্ট দ্বীপগুলির অনন্য ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য কয়েকটি দেশে প্রায় ২৬ ঘণ্টার ব্যবধানে নতুন বছর পালন করা হয়।

    জমকালো উৎসবের আয়োজন

    প্রতিটি দেশ এক এক রকমভাবে নতুন বছর পালন করে। বিশেষ করে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সিডনি, টোকিও, লন্ডন এবং নিউ ইয়র্ক সিটির মতো প্রধান শহরগুলি জাঁকজমকপূর্ণ (New Year 2025) আয়োজন করে। যার মধ্যে রয়েছে সিডনির আতশবাজি প্রদর্শন, টোকিওর মন্দিরের বেল অনুষ্ঠান এবং নিউ ইয়র্ক থেকে টাইমস স্কোয়্যার বল ড্রপ। বহু ভ্রমণপ্রিয় মানুষ এক দিনে দুটি টাইম জোনের মধ্যে উড়ে গিয়ে দুবার নতুন বছর উদযাপন করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Elon Musk: দেউলিয়া হয়ে যাবে আমেরিকা? এ কী শোনালেন ইলন মাস্ক!

    Elon Musk: দেউলিয়া হয়ে যাবে আমেরিকা? এ কী শোনালেন ইলন মাস্ক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার আর্থিক ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুতর সতর্কবার্তা শোনালেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি মাস্ক। টেসলার সিইও-ও তিনি। ‘দ্য জো রোগান এক্সপিরিয়েন্স’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বর্তমানে আমেরিকার জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩৬.১৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। মাস্কের মতে, যদি শীঘ্রই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তবে ডলারের মূল্য “শূন্যে” নেমে যেতে পারে। এই অবস্থা দেশকে আর্থিক ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবে।

    কী বললেন মাস্ক?

    মাস্ক জানান, ঋণের সুদ পরিশোধ করতে সরকারের মোট আয়ের খরচ হচ্ছে ২৩%। এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তিনি বলেন, “যদি আমরা পদক্ষেপ না নিই, তবে পুরো সরকারি বাজেট শুধুমাত্র সুদ পরিশোধের জন্য ব্যবহৃত হবে। ফলে সামাজিক সুরক্ষা বা মেডিকেয়ারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির জন্য কোনও তহবিল অবশিষ্ট থাকবে না।” মাস্কের এই ভবিষ্যদ্বাণী ইঙ্গিত করে যে, যদি দ্রুত সংস্কার করা না হয়, তবে একটি সম্ভাব্য অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।

    কী বলছে সংখ্যাতত্ত্ব?

    মাস্কের (Elon Musk) আশঙ্কা যে অমূলক নয়, তা স্পষ্ট সংখ্যাতত্ত্বেই। ২০২৪ অর্থবর্ষে শুধুমাত্র সুদ পরিশোধেই ফেডারেল সরকার ব্যয় করেছে ১.১২৬৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। অথচ মোট আয় ছিল ৪.৯২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। সুদের খরচ বাজেটকে গ্রাস করে ফেলায়, মাস্কের এই সতর্কবার্তা নীতিনির্ধারক ও সাধারণ নাগরিকদের সচেতন হওয়ার সঙ্কেত দেয়। যদিও জেপি মর্গানের মতো কিছু বিশেষজ্ঞের যুক্তি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ডিফল্ট করবে না। কারণ এটি মার্কিন মুদ্রায় ঋণ ইস্যুর অস্বাভাবিক সম্ভাবনার আলোকে রয়েছে। মাস্ক অত্যন্ত দ্রুত “অর্থায়নের” নেতিবাচক প্রভাবগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করেন না।

    আরও পড়ুন: প্রয়াগরাজে হবে মহাকুম্ভ, যোগীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাধুরা

    এই পদ্ধতি একটি টেকনিক্যাল ডিফল্ট এড়াতে পারে। তবে এটি অনিয়ন্ত্রিত মুদ্রাস্ফীতি এবং এর ফলে ডলারের অবমূল্যায়ন ঘটাতে পারে। এই চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলায় মাস্ক ও আর্থিক বিশেষজ্ঞরা মানুষের সম্পদ রক্ষার জন্য রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগের প্রস্তাব করেন। সম্পত্তির মূল্য সাধারণত মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে বাড়ে, যা মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ভাড়ার আয় প্রদান করে। সোনা কেনার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি (Elon Musk)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • ISRO: ‘মহাকাশ ডকিং’ মিশনের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ইসরোর,  সফল উৎক্ষেপণ পিএসএলভি-সি৬০-র

    ISRO: ‘মহাকাশ ডকিং’ মিশনের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ইসরোর, সফল উৎক্ষেপণ পিএসএলভি-সি৬০-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও এক বার অন্তরীক্ষে নয়া ইতিহাস তৈরি করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। পৃথিবীর কক্ষপথে ঘূর্ণায়মাণ দু’টি কৃত্রিম উপগ্রহকে জুড়ে একটি মহাকাশযান তৈরি করল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ইসরোর এই পরীক্ষার পোশাকি নাম ‘স্পেস ডকিং এক্সপেরিমেন্ট মিশন’ (স্পাডেক্স)। মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ইসরো’-র (ISRO) তৈরি করা পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্যাল (পিএসএলভি)-সি৬০। পাড়ি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পৃথিবীর কক্ষপথে পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্যাল-এর পেলোডগুলো সফল ভাবে স্থাপন করা হয়।

    সফল উৎক্ষেপণ

    অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় সোমবার রাতে সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারের লঞ্চিং প্যাড থেকে পিএসএলভি-সি৬০ (PSLV-C60) রকেটটির সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে। ইসরো এ ব্যাপারে বলেছে, পিএসএলভি-সি৬০-র প্রধান পেলোড হিসাবে রয়েছে দু’খানা মহাকাশযান। একটি স্পাডেক্স ১ এবং অন্যটি স্পাডেক্স ২। এ ছাড়াও ২৪টি সেকেন্ডারি পেলোড রয়েছে। যা ইসরোর বিজ্ঞানীদের ‘মহাকাশ ডকিং’ মিশনের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। মিশনের প্রধান জয়কুমার জানিয়েছেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে নিজস্ব আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন স্থাপন করতে জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। সেই লক্ষ্য অর্জনের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এই ‘মহাকাশ ডকিং’ পরীক্ষা।

    বুলেটের চেয়ে ১০ গুণ গতি

    মহাকাশ বিজ্ঞানীদের দাবি, পৃথিবীর কক্ষপথে বুলেটের চেয়ে ১০ গুণ গতিতে ঘুরে চলা দু’টি কৃত্রিম উপগ্রহকে জুড়ে একটি মহাকাশযান তৈরি করা যেমন কঠিন, তেমনই চ্যালেঞ্জিং। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে এই বিষয়ে নিরন্তর গবেষণা চলছে। বর্তমানে কেবলমাত্র আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার কাছে রয়েছে এই প্রযুক্তি। ৩০ ডিসেম্বরের মিশনের পর চতুর্থ দেশ হিসাবে এই ক্লাবে যোগ দিতে চলেছে ভারত। মহাকাশ স্টেশন তৈরির ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি অত্যাবশ্যক। 

    কেমন হল গবেষণা

    ইসরো সূত্রে খবর, দু’টি বিশেষ ধরনের কৃত্রিম উপগ্রহকে পৃথিবীর কক্ষপথে নিয়ে যাবে ‘পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল’ (পিএসএলভি) নামের রকেট। উপগ্রহগুলির প্রতিটির ওজন ২২০ কেজি। মহাশূন্যে সেগুলিকে ‘ডকিং’ এবং ‘আনডকিং’ করবেন এ দেশের মহাকাশ গবেষকেরা। মহাশূন্যে তীব্র গতিতে ঘূর্ণায়মান দু’টি বস্তুকে কাছাকাছি এনে জুড়ে দেওয়াকেই বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় ‘ডকিং’। সেই কাজটাই করতে চলেছে ইসরো। পরীক্ষা সফল হলে ফের ওই দুই উপগ্রহকে আলাদা করা হবে। যাকে ‘আনডকিং’ বলে চিহ্নিত করেছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।

    পৃথিবীর ৪৭০ কিলোমিটার উপরে পরীক্ষা

    ইসরো জানিয়েছে, পৃথিবীর ৪৭০ কিলোমিটার উপরে চলে এই পরীক্ষা। এর জন্য বিশেষ একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ভারতীয় গবেষণা সংস্থা। এর নাম ‘ভারতীয় ডকিং সিস্টেম’। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এই কাজে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার নাম ‘ইন্টারন্যাশনাল ডকিং সিস্টেম স্ট্যান্ডার্ড’ (আইডিএসএস)। ভারতীয় প্রযুক্তিটি সমমানের বলে দাবি করা হয়েছে ইসরোর তরফে। এই প্রসঙ্গে ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, ‘‘ভারত নিজস্ব ডকিং প্রযুক্তি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এই ধরনের জটিল এবং সুক্ষ্ম প্রযুক্তি কখনওই কোনও দেশ হস্তান্তর করে না। এটা সত্যিই গর্বের।’’ ইসরো ইতিমধ্যেই এই ডকিং প্রযুক্তির স্বত্ব নিয়েছে। ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেছেন, ‘‘ডকিং হল একটা অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া। পদার্থবিদ্যার বহু হিসাব-নিকাশ মাথায় রাখতে হয়েছে। ওই সময়ে দু’টি উপগ্রহকে একই কক্ষপথে থাকতে হবে। জুড়ে যাওয়ার পর তারা যেন রাস্তা হারিয়ে না ফেলে সে দিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখব আমরা।’’

    ডকিং সিস্টেম-এর গুরুত্ব

    মহাকাশ বিজ্ঞানীদের দাবি, অন্তরীক্ষে স্টেশন তৈরির ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি সবচেয়ে জরুরি। কারণ, ওই স্টেশন কখনওই একবারে নির্মাণ করা সম্ভব নয়। পৃথিবী থেকে ধাপে ধাপে মহাশূন্যে নিয়ে যাওয়া হয় এর এক একটি অংশ। এর পর ভাসমান অবস্থাতেই সেগুলি জুড়ে গিয়ে আত্মপ্রকাশ করে আস্ত একটা মহাকাশ স্টেশন। সোমনাথ জানিয়েছেন, পরবর্তী ‘চন্দ্রযান-৪’ মিশনেও ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হবে এই ডকিং প্রযুক্তি। আগামী দিনে চাঁদে নভচারী পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ইসরোর। মহাকাশযান নিয়ে পৃথিবীর উপগ্রহে নামতে প্রয়োজন হবে এই ডকিং প্রযুক্তির। স্পাডেক্স মিশনে এই প্রযুক্তির পরীক্ষার জন্য যে মোটর ব্যবহার হচ্ছে, তার ব্যাস ৪৫০ মিলিমিটার। তবে আগামী দিনে ৮০০ মিলিমিটারের ডকিং সরঞ্জাম তৈরির লক্ষ্য রয়েছে ইসরোর। গগনযান মিশনের মহাকাশচারীরা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করবেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bihar: রোগ সারাইয়ের নামে মিশনারিদের বুজরুকি ‘চাঙ্গাই সভা’! সুস্থ না হওয়ায় সনাতনে ফিরলেন ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান

    Bihar: রোগ সারাইয়ের নামে মিশনারিদের বুজরুকি ‘চাঙ্গাই সভা’! সুস্থ না হওয়ায় সনাতনে ফিরলেন ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার (Bihar), ঝড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়- এই সমস্ত রাজ্যগুলিতে নানা প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে জনজাতি সমাজকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার ষড়যন্ত্র দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকদের এমন চক্রান্ত আজ আর কোথাও গোপন নেই। জনজাতি সমাজকে অর্থের প্রলোভন যেমন দেওয়া হয়, একইভাবে তাঁদের নানা রকমের রোগ মুক্তির জন্য খ্রিস্টানরা আয়োজন করে ‘চাঙ্গাই সভা’। এমন চাঙ্গাই সভা আদতে বুজরুকি ছাড়া কিছুই নয়। মিশনারিরা দাবি করেন, এই সভাগুলির মাধ্যমে গুরুতর অসুস্থতাও দূর করা যায়, প্রভু যীশুর আশীর্বাদে। এইরকমই একটি ঘটনা উঠে এসেছে বিহারের একটি গ্রাম থেকে। যেখানে চাঙ্গাই সভাতে সুস্থ করার প্রলোভন দিয়ে এক হিন্দুকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়। কিন্তু সুস্থ না হওয়ায় (Bihar) তিনি পুনরায় সনাতন ধর্মে ফিরে এসেছেন।

    চাঙ্গাই সভায় সুস্থ না হওয়ায় হিন্দু ধর্মে ফিরে আসেন সোনালাল মারান্ডি

    জানা গিয়েছে, বিহারের (Bihar) জয়পুর জেলার ধেবাকুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা সোনালাল মারান্ডি এবং তাঁর পরিবারকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়। তাঁদেরকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় যে চাঙ্গাই সভার মাধ্যমে সোনালাল মারান্ডি তাঁর গুরুতর অসুস্থতা থেকে মুক্তি পাবেন। পক্ষঘাত সম্পূর্ণ সেরে যাবে সোনালালের। কিন্তু চাঙ্গাই সভার পরেও তাঁর অসুস্থতা না সারায় পুনরায় সনাতন ধর্মে ফিরে আসন সোনালাল। এ নিয়ে সোনালাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমাকে প্রথমে বলা হয় খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করতে। তারপরে চাঙ্গাই সভার মাধ্যমে আমার রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় করা হবে, এমনটা বলেন মিশনারিরা। কিন্তু অনেক সময় পার হলেও আমার অবস্থা ভালো হয়নি। তারপরেই আমি হিন্দু ধর্মে (Sanatan Dharma) ফিরে আসি।’’

    গঙ্গাস্নান করে হিন্দু ধর্মে প্রত্যাবর্তন 

    জানা গিয়েছে, এরপরেই সোনালাল মারান্ডি যোগাযোগ করেন তাঁরই গ্রাম প্রধান চুনিলাল মারান্ডির সঙ্গে। তাঁরই নির্দেশে এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের সম্পূর্ণ সহযোগিতায় সোনালাল সিদ্ধান্ত নেন পুনরায় তিনি সনাতন ধর্মে ফিরে আসার। জানা গিয়েছে, সোনালাল মারান্ডির সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ফুলমণি, খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার পরে যাঁর নাম হয়েছিল পুলিনা এবং তাঁর মেয়ে মার্শিনা গঙ্গাস্নান করে নিজেদেরকে পরিশুদ্ধ করেন। এরপর এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে খ্রিস্টান ধর্মকে ত্যাগ করেন এবং হিন্দু ধর্মে পুনরায় ফিরে আসেন। ঘরে ফিরে তাঁরা বাড়িতে (Bihar) মা দুর্গার প্রতিকৃতিও টাঙিয়ে দেন। এ নিয়ে সোনালাল মারান্ডির স্ত্রী ফুলমণিদেবী বলেন, ‘‘ যখন আমি আমার ধর্মে ফিরে এলাম, তখন আমি গভীর শান্তি লাভ করলাম।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে ‘ঘর ওয়াপসি’, খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত ৬৫১ পরিবার ফিরল হিন্দু ধর্মে

    Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে ‘ঘর ওয়াপসি’, খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত ৬৫১ পরিবার ফিরল হিন্দু ধর্মে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) হিন্দু ধর্মে ঘর ওয়াপসি হল ৬৫১টি পরিবারের। জানা গিয়েছে, এই পরিবারগুলিকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়। পরে স্থানীয় বিজেপি নেতা প্রবাল প্রতাপ সিংয়ের উদ্যোগে, তাঁদেরকে ফের হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। জানা গিয়েছে, প্রবাল প্রতাপ সিংয়ের পরিবার বিগত ২ দশক ধরে হাজারেরও বেশি ধর্মান্তরিত হওয়া হিন্দু পরিবারকে পুনরায় সনাতন ধর্মে ফিরিয়ে এনেছেন। প্রসঙ্গত, এই ধর্মান্তরিত হওয়া হিন্দু পরিবারগুলিকে পুনরায় সনাতন ধর্মে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য প্রবাল প্রতাপ সিং, ছত্তিশগড়ের শক্তি নামক স্থানে এক ব্যাপক হিন্দু সম্মেলনের আয়োজন করেন। সেখানে অসংখ্য হিন্দু সাধু সন্ন্যাসীরা অংশগ্রহণ করেন। ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলে সাধ্বী প্রজ্ঞাও।

    পা ধুইয়ে দেন বিজেপি নেতা প্রবাল প্রতাপ সিং 

    এই অনুষ্ঠানে প্রবাল প্রতাপ সিং, ওই ৬৫১ পরিবারের সদস্যদের পায়ে জল দিয়ে, নিজে হাতে তা ধুয়ে দেন। এভাবেই তিনি ফের সনাতন ধর্মে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন এই পরিবারগুলিকে। প্রসঙ্গত, এই অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র যে ধর্মান্তরিত হিন্দু পরিবারগুলিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় তা নয়, এর পাশাপাশি ছত্তিশগড় জুড়ে (Chhattisgarh) যে সমস্ত হিন্দুদেরকে টার্গেট বানানো হয়েছে খ্রিস্টান করার জন্য, তাঁদেরকেও এদিন হাজির করেছিলেন ওই বিজেপি নেতা।

    কী বললেন বিজেপি নেতা প্রবাল প্রতাপ সিং? 

    প্রবাল প্রতাপ সিং (Chhattisgarh) এরপর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘মেকি ধর্মনিরপেক্ষ হিন্দুদের কাছ থেকে, সনাতন ধর্ম নানা রকমের বাধা ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। ধর্মান্তকরণের উদ্দেশ্য নিয়ে যাঁরা চলেন, সেই খ্রিস্টানরা আমাদের হিন্দু সমাজে বসতি গড়ে তুলেছেন। তাঁরা নানারকমের প্রতারণামূলক ফাঁদ পেতে আমাদের হিন্দুধর্মের (Hinduism) সদস্যদের ধর্মান্তকরণ  করছেন। এ যেন ঠিক জঙ্গিদের স্লিপার সেলের কাজ মনে হচ্ছে। এখন সময় এসেছে তাঁদের প্রকৃত চরিত্রকে জনগণের সামনে উন্মোচিত করার এবং তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam STF: অসমে গ্রেফতার আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আরও এক জঙ্গি

    Assam STF: অসমে গ্রেফতার আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আরও এক জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের (Assam STF) হাতে গ্রেফতার জঙ্গি গাজি রহমান। বছর পঁয়ত্রিশের ওই জঙ্গিকে গতকাল সোমবারই অসমের কোকরাঝাড় জেলা থেকে পাকড়াও করেছে অসম এসটিএফ। জানা গিয়েছে, ধৃত জঙ্গি আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি)-এর সদস্য। প্রসঙ্গত, অসম পুলিশ সম্প্রতি জেহাদি দমনের উদ্দেশে শুরু করেছে ‘অপারেশন প্রঘাত’। এই অভিযানে ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জন বাংলাদেশি জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। কোকরাঝাড়ের ভোডিয়াগুড়ি থেকে অসম এসটিএফ গ্রেফতার করে গাজি রহমানকে। কোকরাঝাড়ের স্লিপার সেলের মাথা হল গাজি রহমান, এমনটাই দাবি করেছে অসম এসটিএফ।

    অসম পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার মোট ১২ জঙ্গি

    সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত অসম এসটিএফের (Assam STF) হাতে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম  এবং অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের মোট ১২ জন জেহাদি গ্রেফতার হয়েছে। এনিয়ে অসম এসটিএফের ইনস্পেক্টর জেনারেল পার্থসারথি মহন্ত সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘অপারেশন প্রঘাত’-এ একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এই জঙ্গির গ্রেফতারি নিয়ে এসটিএফের আইজিপি জানিয়েছেন, স্থানীয় থানার সাহায্য নিয়ে গাজিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ এই জঙ্গির বিরুদ্ধে করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    জঙ্গি (Islamist Terrorist) গ্রেফতার হয় পশ্চিমবঙ্গেও

    সম্প্রতি, জেহাদি দমন অভিযানে পশ্চিমবঙ্গেও অভিযান চালিয়েছিল অসম পুলিশ। এই অভিযানে (Assam STF) মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ আব্বাস এবং মিনারুল শেখ নামের দুই জঙ্গিকে। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, তাঁরা দু’জনেই বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সক্রিয় সদস্য। গত ১০ ডিসেম্বর অসম পুলিশের এসটিএফ গোপন সূত্রে খবর পায়, নাশকতামূলক কার্যকলাপের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকেছে বেশ কিছু জঙ্গি। এরপর শুরু হয় অভিযান, টানা ৪৮ ঘণ্টার অভিযানে পুলিশের জালে ৮ জঙ্গি ধরা পড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sarwan Singh: খিদের জ্বালায় পদক বিক্রি সোনা জয়ী অ্যাথলিটের! গল্প শুনলে শিউরে উঠবেন

    Sarwan Singh: খিদের জ্বালায় পদক বিক্রি সোনা জয়ী অ্যাথলিটের! গল্প শুনলে শিউরে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেটে খিদের আগুনে জয়ের গৌরবও ছারখার হয়ে যায়। খিদের জ্বালায় সোনার পদক বিক্রি করলেন ভারতীয় অ্যাথলিট (Athlete)। নাম সারওয়ান সিং (Sarwan Singh), কিন্তু এই নামটা হয়তো অনেকেই জানেন না। তিনি ১৯৫৪ সালে আয়োজিত এশিয়ান গেমসের ১১০ মিটার হার্ডলসে ভারতের হয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তবে জীবন যুদ্ধে এখন অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে সঙ্কটের মধ্যে রয়েছেন তিনি। কার্যত না খেয়ে এখন দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁকে।

    প্রথমবার ১ লাখ সমর্থকের সামনে তিনি দৌড় দিয়েছিলেন

    সারওয়ান সিং (Sarwan Singh) ১৯৫৪ সালে প্রথমবার দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। জীবনে প্রথমবার ১ লাখ সমর্থকের সামনে তিনি দৌড় প্রতিযগিতায় (Athlete) অংশ নেন। পথে দশটি হার্ডল তাঁকে টপকে যেতে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে সোনার পদক জয় করেছিলেন। গোটা খেলাকে ১৪.৭ সেকেন্ডে সমাপ্ত করেছিলেন। গলায় করে নিয়ে এসেছিলেন সোনার পদক। জীবনে এর থেকে বড় প্রাপ্তি কী আর থাকতে পারে। ওই দিন দেশের জাতীয় পতাকা গায়ে জড়িয়ে ছিলেন তিনি। অপূর্ব সুন্দর মুহূর্ত ছিল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। কিন্তু কালের প্রবাহে সেই সুখ স্থায়ী হয়নি। এই সোনার পদক পরবর্তী কালে অন্নসংস্থান করে দেয়নি। চাকরির জন্য সর্বত্র ঘুরতে হয়েছিল তাঁকে। সামান্য মাইনের কোনও সরকারি চাকরিও জোটেনি তাঁর ভাগ্যে।

    ভাড়ার ট্যাক্সি চালিয়ে দিনপাত করতে হয়েছিল

    অনেক কষ্টে বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপে একটি চাকরি জোটে সারওয়ান সিংয়ের। কিন্তু ১৯৭০ সালে অবসর গ্রহণের পর আবার সেই আর্থিক দুর্দশার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। নিজেকে পরিবার-বন্ধু-আত্মীয়দের থেকে দূরে রেখে ২০ বছর ধরে ট্যাক্সি চালিয়ে জীবন ধারণ করেন। বয়স বাড়তে থাকে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এশিয়ান গেমসে সোনা জয়ী অ্যাথলিটের জন্য ১৫০০ টাকা পেনশনের ব্যবস্থা করা হয়। এখন বৃদ্ধ বয়সে নিজে হাঁটার ক্ষমতা প্রায় হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। তাই আর্থিক অভাবে বাধ্য হয়ে নিজের সোনার পদকটি বিক্রি করে দেন। তিনি (Sarwan Singh) ইতিহাসের পাতায় থাকলেও দারিদ্রের কারণে বর্তমান সমাজ তাঁকে ভুলে গিয়েছে। স্বাধীন দেশে এই ঘটনা চোখে জল আনে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share