Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • China: ভারতীয় পডুয়াদের দু’বছর পর চিনে ফেরাতে উদ্যোগী হল বেজিং

    China: ভারতীয় পডুয়াদের দু’বছর পর চিনে ফেরাতে উদ্যোগী হল বেজিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  কোভিড বিধিনিষেধের কারণে চিনে পাঠরত ভারতীয় ছাত্ররা দেশে দু’বছর ধরে আটকা পড়ে আছেন। তাঁদের একাংশকে চিনে ফেরার জন্য অনুমতি দিতে চলেছে সে দেশের সরকার। ভিসা এবং বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার জন্য ভারতীয় পড়ুয়ারা চিনে ফিরতে পারছিলেন না।

    চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘‘চিনে যে সব ভারতীয় ছাত্ররা পড়াশুনার জন্য এসেছিলেন। তাঁরা ফিরতে পারছিলেন না। তাঁদের সমস্যাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় চিন। তাই অন্যান্য দেশের পডুয়াদের সঙ্গে তাঁরাও যাতে ফিরতে পারেন সে বিষয়টিকে যথেষ্ট অগ্রাধিকার দিয়ে দেখা হচ্ছে।’’তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতীয় ছাত্রদের প্রত্যাবর্তনের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। যাঁরা ফিরে আসবেন ভারতকে তার তালিকা দিতে হবে।’’

    তথ্য অনুযায়ী ২৩ হাজারেরও বেশি ভারতীয় পডুয়া চিনে পড়তে গিয়েছিলেন। এঁদের অধিকাংশ ডাক্তারি পড়ুয়া। ২০১৯ সালে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে  পড়ায় তাঁদের একাংশ দেশে ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ায় চিন একাধিক বিধিনিষেধ জারি করে। ফলে তাঁরা আর চিনে ফিরতে পারেননি। তার পর থেকে তাঁরা চিনে ফেরার মরিয়া চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বিমান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার ফলে শুধু মাত্র অনলাইন ক্লাস করতে হচ্ছিল। অন্যদিকে কিছুদিন আগেই চিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইউজিসি। অনলাইন পাঠক্রমের ডিগ্রি ভারতে মান্যতা পাবে না এমন‌ই ঘোষনা করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশন। এক‌ই সময় চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকে উঠে আসে এই প্রসঙ্গ। এমনকি চিনা পর্যটকদের ভিসাও বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। তারপরই শেষমেষ ভারতের চাপে পড়ে ভারতীয় পড়ুয়াদের বিষয়ে সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করল চিন। ফলে পড়াশোনা মাঝপথে ফেলে চিন থেকে যাঁরা ফিরে এসেছিলেন এবার সেই সব ছাত্রদেরই আবার দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে উদ্যোগী হয়েছে চিন।

  • 7th Pay Commission: সর্বাধিক ৩% বাড়তে পারে HRA, TA! জোড়া ভাতা বৃদ্ধিতে হাসি ফুটবে সরকারি কর্মীদের মুখে

    7th Pay Commission: সর্বাধিক ৩% বাড়তে পারে HRA, TA! জোড়া ভাতা বৃদ্ধিতে হাসি ফুটবে সরকারি কর্মীদের মুখে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মুখে হাসি ফুটিয়ে ৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো হয়। সূত্রের খবর, এবার অন্যান্য ভাতাও বাড়াতে পারে কেন্দ্র। 
    সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ (DA) এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের ডিআর (DR) বাড়ানো হয়েছে তিন শতাংশ। যা ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। আর এবার শীঘ্রই হাউজ রেন্ট অ্যালাওয়েন্স (HRA)বাড়ানো হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের হাউজ রেন্ট অ্যালাউন্সে সংশোধন করা হয় মহার্ঘ ভাতার ভিত্তিতে। গতবছর জুলাইতে মহার্ঘ ভাতার পাশাপাশি বেড়েছিল এইচআরএ। বর্তমানে ২৭, ১৮, ৯ শতাংশ হারে এইচআরএ পান সরকারি কর্মচারীরা। সর্বাধিক এইচআরএ হার ২৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হতে পারে। যাদের ভাতা ১৮ শতাংশ তারা ২০ শতাংশ হারে এইচআরএ পাবেন। এবং যাদের এইচআরএ ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে দশ শতাংশ করে হবে।উল্লেখ্য, এইচআর-এর ক্ষেত্রে তিনটি ভাগে শহরগুলিকে ভাগ করা হয়েছে। এই ক্যাটেগোরির নিরিখে এইচআরএ দেওয়া হয়।  X ক্যাটাগরির শহরের বাসিন্দা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য ২৭ শতাংশ এইচআরএ, Y ক্যাটাগরির জন্য ১৮ শতাংশ ও Z ক্যাটেগরির জন্য ৯ শতাংশ এইচআরএ দেওয়া হয়ে থাকে। এদিকে যাতায়াত ভাতা বা ট্রানসপোর্ট অ্যালাওয়েন্সও বাড়তে পারে সরকারি কর্মীদের।  বেতন ম্যাট্রিক্স স্তরের ভিত্তিতে ভ্রমণ ভাতা তিনটি বিভাগে বিভক্ত। শহরের ক্ষেত্রে দুটি ভাগ রয়েছে। শহরের জনসংখ্যার ভিত্তিতে এই শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে। মহার্ঘ ভাতা ৩৪ শতাংশ হলে ভ্রমণ ভাতা বাড়তে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। বর্তমানে TPTA শহরগুলিতে, TPTA লেভেল ১ থেকে ২-এর জন্য ১৩৫০ টাকা, লেভেল ৩ থেকে ৮ কর্মীদের জন্য ৩৬০০ টাকা এবং লেভেল ৯ কর্মীদের জন্য ৭২০০ টাকা দেওয়া হয়৷ 

  • Dinosaur: গ্রহাণুর আঘাতেই কি বিলুপ্ত হয়েছে ডায়নোসর? নিদর্শন মিলল ফসিল সাইটে

    Dinosaur: গ্রহাণুর আঘাতেই কি বিলুপ্ত হয়েছে ডায়নোসর? নিদর্শন মিলল ফসিল সাইটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীতে আছড়ে পড়া এক বিশাল গ্রহাণুর আঘাতেই ধ্বংস হয়েছিল ডায়নোসরেরা। যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটার তানিস ফসিল সাইটে এর নিদর্শন পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এ নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, পৃথিবীতে যে বিশাল গ্রহাণু আছড়ে পড়েছিল, সরাসরি তার আঘাতেই  ডায়নোসরের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনাকেই ইতিহাস থেকে ডায়নোসরের মুছে যাওয়ার জন্য দায়ি করা হয়ে থাকে। বহু বছর ধরে এই প্রক্রিয়া চলেছিল। পরিবর্তিত হয়েছিল পৃথিবীর জলবায়ু। যেদিন এই ঘটনা ঘটেছিল সেদিনের ঘটনার নানা নিদর্শন ওই ফসিল সাইটে মিলেছে।
    তানিসে আরও অনেক ফসিল উদ্ধার করা গেছে। এরমধ্যে আছে সেই  সময়ে মারা যাওয়া মাছ, কচ্ছপ, ক্ষুদ্র স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং একাধিক প্রজাতির ডায়নোসর। 
    ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের (Manchester University)শিক্ষার্থী ও গবেষক রবার্ট ডিপালমা (Robert DePalma)এই গবেষণার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, “আমরা সেখান থেকে বিস্তারিত তথ্য পেয়েছি। সেখানে সব এমন ভাবে সাজানো রয়েছে যে আমরা ইতিহাসের ঘটনাপ্রবাহ দেখতে পাচ্ছিলাম। প্রতিটা মুহূর্তে কী হচ্ছিল তা জানা গেছে। যেন একটি সিনেমা চলছে। সেখানকার পাথর ও ফসিলের দিকে তাকালে আপনি একদম সেই গ্রহাণু আছড়ে পরার দিনে চলে যাবেন।” এখনও বিতর্ক আছে যে ডায়নোসর বিলুপ্তকারী বস্তুটি কোনও গ্রহাণু ছিল না,  একটি ধূমকেতু ছিল। নতুন এই আবিষ্কার সেই বিতর্ক শেষ করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।

     

  • Bird Flu:  চিনে চার বছরের শিশু আক্রান্ত বার্ড-ফ্লু-এ, মানবদেহে  অ্যাভিয়ন ফ্লু-র এইচ৩এন৮ প্রজাতির সংক্রমণ এই প্রথম

    Bird Flu: চিনে চার বছরের শিশু আক্রান্ত বার্ড-ফ্লু-এ, মানবদেহে অ্যাভিয়ন ফ্লু-র এইচ৩এন৮ প্রজাতির সংক্রমণ এই প্রথম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:করোনা-আবহেই আবার বার্ড-ফ্লু। মানবদেহে অ্যাভিয়ন ফ্লু-র এইচ৩এন৮ প্রজাতির প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ল চিনে। আক্রান্ত হয়েছে চার বছরের এক শিশু। চিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক দাবি করেছে, দ্রুত এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি অনেকটাই কম। তবে এ বিষয়ে সতর্ক প্রশাসন।

    চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, মধ্য হেনান প্রদেশে চার বছরের একটি শিশু জ্বরে আক্রান্ত হয়। শারীরিক পরীক্ষার পর জানা যায়, শিশুটি অ্যাভিয়ান ফ্লু-তে আক্রান্ত। জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই শিশুর বাড়িতে মুরগি এবং হাঁসের খামার রয়েছে, বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। সেখান থেকেই সরাসরি সংক্রমণ হয়েছে বলে অনুমান। 

    স্বাস্থ্য কমিশনের পরামর্শ, মৃত এবং অসুস্থ পাখির কাছে যেন নাগরিকরা না যান। যদি কোনও রকম উপসর্গ ধরা পড়ে তা হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করাতে হবে। বার্ড ফ্লু সাধারণত পাখি এবং হাঁস বা মুরগির হয়। মানবদেহে এই ফ্লু-র সংক্রমণের ঘটনা বিরল।

    ২০০২-এ উত্তর আমেরিকায় এই প্রজাতির সংক্রমণ ধরা পড়ে বুনো হাঁসের দেহে। ঘোড়া, কুকুর এবং সিল মাছের দেহেও এই ভাইরাস পাওয়া যায়। ২০১২-তে আমেরিকার উত্তর-পূর্ব উপকূলে ১৬০টি সিল মাছের মৃত্যু হয়েছিল। তখন দাবি করা হয়, এইচ৩এন৮-এর সংক্রমণেই মৃত্যু হয় সিল মাছগুলির। ১৯৯৭ এবং ২০১৩ সালে বার্ড ফ্লু-র দু’টি প্রজাতি এইচ৫এন১ এবং এইচ৭এন৯ সংক্রমণ ছড়িয়েছিল।

  • Avatar 2: শীঘ্রই দেখা যাবে ফার্স্ট লুক, নাম ঘোষণা অবতার-২ এর, ডিসেম্বরেই ছবি-মুক্তি

    Avatar 2: শীঘ্রই দেখা যাবে ফার্স্ট লুক, নাম ঘোষণা অবতার-২ এর, ডিসেম্বরেই ছবি-মুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের চলচ্চিত্র জগতে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল   ২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত জেমস ক্যামেরন পরিচালিত ছবি ‘অবতার’। দীর্ঘ ১৩ বছর পর অবশেষে মুক্তি পেতে চলেছে ছবির সিক্যুয়েল। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই লাস ভেগাসের সিনেমাকন থিয়েটারে মুক্তি পেতে চলেছে ছবির ফার্স্ট লুক। বৃহস্পতিবার লাস ভেগাসের সিনেমাকন কনভেশন হলে আনুষ্ঠানিকভাবে সিনেমাটির নাম, লোগো ও মুক্তির তারিখ প্রকাশ করা হয়েছে।  কল্পবিজ্ঞানভিত্তিক এই ছবির নাম দেওয়া হয়েছে অবতার-দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার। 

    কেবলমাত্র উন্নত প্রযুক্তির থিয়েটারেই মুক্তি পাবে ‘অবতার ২’ এমনটাই খবর। সিনেমা তৈরিতেও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করেছেন পরিচালক। থ্রিডি, আইম্যাক্স এবং ফোরকে প্রযুক্তিসম্পন্ন অডিটোরিয়ামেই ছবি দেখার সুযোগ পাবেন দর্শকরা। আগামী ১৬ ডিসেম্বর গোটা বিশ্ব জুড়ে ১৬০টিরও বেশি ভাষায় মুক্তি পাবে অবতার ২।

    এদিনের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে নতুন পর্বটির কয়েকটি দৃশ্যও দেখিয়েছেন নির্মাতা জেমস ক্যামেরন।  সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক জন ল্যান্ডউ। অস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা বলেন, তিনি সিনেমাটির জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন। পরিচালক আরও বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম প্যান্ডোরাতে আমাদের প্রত্যাবর্তন সত্যিই বিশেষ কিছু হোক। প্রতিটি শট সবচেয়ে বড় স্ক্রিন, সর্বোচ্চ রেজোলিউশন এবং থ্রি-ডি উপভোগের কথা মাথায় রেখে করা হয়েছে।’

    অবতার-এর মতো এই সিনেমাতেও জ্যাক সুলি ও নাভি নেইতিরির ভূমিকায় থাকছেন স্যাম ওয়ার্থিংটন ও জো সালদানা। এদিন প্রকাশিত টিজার ও ট্রেলারের ফুটেজটিতে জ্যাক এবং নেইতিরির উপর ফোকাস করা হয়েছে। ভূ-পৃষ্ঠের উপরের এবং নিচের এলিয়েন ওয়ার্ল্ড, প্যান্ডোরার উজ্জ্বল নীল জলের চমৎকার শট তুলে ধরা হয়েছে এতে। এমনকি প্রথম ভাগের উড়ন্ত প্রাণি তোরুক-সহ নতুন তিমির মতো প্রাণিরও দেখা মিলেছে।

    ‘অবতার: দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’- এ সিগর্নি ওয়েভারকে দেখা যাবে ডক্টর গ্রেস অগাস্টিন চরিত্রে এবং স্টিফেন ল্যাংকে দেখা যাবে কর্নেল মাইলস কোয়ারিচের চরিত্রে। নতুন তারকার মধ্যে দেখা যাবে ভিন ডিজেল এবং কেট উইন্সলেটকে। যিনি এর আগে ক্যামেরনের বিখ্যাত ছবি টাইটানিকে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।

    প্রসঙ্গত, অবতার বক্স অফিস মাতিয়ে প্রায় ২.৭৮৮ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল। এটি তিনটি অস্কারসহ আরো অনেক পুরস্কার লাভ করেছে।  এবার ‘অবতার-দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’-এর জল কত দূর গড়ায় তা দেখার অপেক্ষায় সিনেপ্রেমীরা।

  • Fatty liver disease : লিভারে জমেছে মেদ ! সতর্ক হোন নাহলে হতে পারে লিভার ফেলইয়রও

    Fatty liver disease : লিভারে জমেছে মেদ ! সতর্ক হোন নাহলে হতে পারে লিভার ফেলইয়রও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লিভার বা যকৃৎ সংক্রান্ত রোগ থেকে মানুষকে সচেতন করতে প্রতি বছর ১৯ এপ্রিল বিশ্ব যকৃৎ দিবস (World Liver Day) পালন করা হয়। যকৃৎ আমাদের শরীরে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এর জটিলতা সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য জানা যাক। লিভার সংক্রান্ত একটি বড় সমস্যা হল ফ্যাটি লিভার।

    Fatty liver disease :  ফ্যাটি লিভারের সমস্যা – এখন প্রায় ঘরে ঘরে। হজমের সমস্যা, পেটের যন্ত্রণা, খাবারের তালিকায় একটু রদবদল হলেই বদহজম হতে পারে। ঠিক কোন কোন লক্ষণ দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন তা নিয়ে আলোচনা করা হল

    পেট ফুলে যাওয়া ( Abdominal swelling)
    ত্বকের নিচে থাকা ব্লাড ভেসেল ফুলে যাওয়া  (Enlarged blood vessels just beneath the skin’s surface)
    প্লীহা বেড়ে যাওয়া ( Enlarged spleen) 
    হাতের পাতা লাল হয়ে যাওয়া (Red palms)
    অনেক ক্ষেত্রে চোখে হলুদ ভাব (Yellowing of the skin and eyes)

    Fatty Liver Syndrome কখন হয় ? 

    পরিপাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় লিভার। খাদ্যে মূলত ৬ রকমের পুষ্টি উপকরণ থেকে থাকে। কার্বোহাইড্রেট, শর্করা , প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন , মিনারেল ও জল। ক্ষুদ্রান্ত্রের ইলিয়ামে (ileum intestine) এই ছ’টি জিনিস পরিপাকের পর শোষণ হয়। তারপর তা একটি সার্কুলেশনে যায়। যাকে পোর্টাল সার্কুলেশন হয়। পোর্টাল ভেইনের মারফত এই খাবারগুলো লিভারে পৌঁছায়। লিভারই এই খাদ্যকে বিভিন্ন দিকে চালিত করে। শর্করা বা গ্লুকোজের মাত্রা কমে গেলে প্রোটিন বা ফ্যাট থেকে শর্করা তৈরি করতে পারে লিভার। গ্লুকোনিওজেনেসিস (gluconeogenesis)  বলে। গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে গেলে, গ্লুকোজকে গ্লাইকোজেন হিসেবে স্টোর করে লিভার।

    ফ্যাটের পরিমাণ বাড়লে লিভার ফ্যাট নিজের মধ্যে স্টোর করতে পারে। যদি অতিরিক্তি ফ্যাট আসে লিভারে, তখন তার কিছুটা জমা হয় লিভারে, কিছুটা শরীরের অন্যান্য অঙ্গে স্থান পায়। তাতে একজন মানুষ স্থূলকায় হয়ে পড়েন। লিভারের অধিকাংশ কোষে যদি ফ্যাট স্টোর হয়ে যায়, তখনই তাকে ফ্যাটি লিভার সিনড্রোম বলা হয়ে থাকে।

    ওই কোষগুলি তখন খাদ্য পরিপাকের কাজটি ভালভাবে করে উঠতে পারে না। লিভারের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। ফ‍্যাট জমে লিভার বড় হয়ে যায়। অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে যে ফ্যাটি লিভার হয়, তাকে অ্যালকোহলিক ফ‍্যাটি লিভার বলা হয়ে থাকে।

    Alcoholic fatty liver disease : 
    অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে যে অতিরিক্ত ক্যালরি শরীরে জমা হয়, তার থেকে লিভার স্থূল হয়ে যায়। লিভারের কোষগুলি অতিরিক্ত ফ্যাটের ভাণ্ডার হয়ে ওঠে।

    Nonalcoholic fatty liver disease : 
    নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিসিজ হয়ে থাকে  অতিরিক্ত তেল-চর্বি জাতীয় ফ্যাটজাতীয় খাবার খেলে। 

    ফ্যাটি লিভারের সমস্যা এড়াতে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনশৈলিতে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। তার কয়েকটি হল  –

    তেল-চর্বি, ঝাল, ভাজাভুজি খাবার যতটা সম্ভব কমিয়ে আনুন ।
    খাবারের পরিমান শরীরের প্রয়োজন ও ক্যালরির খরচের সঙ্গে তাল রেখে নিয়ন্ত্রণ করুন।
    শহুরে জীবনযাত্রার অন্যতম অঙ্গ হয়ে গিয়েছে ফাস্ট ফুড । এই খাবারগুলি সহজপাচ্য তো নয়ই, উপরন্তু অপকারী ফ্যাটের সম্ভার।
    এড়িয়ে চলুন পেস্ট্রি -বার্গার.. এই জাতীয় খাবার ।
    অতিরিক্ত চিনি দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলুন। প্যাকেজড  ফ্রুট জুস খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
    সফট ড্রিঙ্ক এড়িয়ে চলুন।
    সেডেন্টারি লাইফ স্টাইল নয় ! ফ্যাট এনার্জি যোগায়। কিন্তু প্রয়োজনের থেকে বেশি হলেই বিপত্তি। তাই অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ করতে রোজ এক্সারসাইজ করুন। হাঁটুন। দরকারে জিমে যান। 

  • Reduce salt intake:নুন নৈব নৈব চ! ভাল থাকবে শরীর

    Reduce salt intake:নুন নৈব নৈব চ! ভাল থাকবে শরীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মশলা ছাড়া রান্না হয় কিন্তু নুন ছাড়া নয়। নুন হল সেই উপাদান যেটি ছাড়া কোনও খাবারই সুস্বাদু হয়ে ওঠে না। লবণ ছাড়া খাবার অসম্পূর্ণ। তবে রান্নায় নুন কম হলে যেমন খাওয়া যায় না, তেমনই বেশি হলেও মুখে তোলা দায়। কম বা বেশি লবণ খাবারের স্বাদ একেবারেই নষ্ট করে দেয়। আবার পরিমাণমতো লবণ সেই খাবারকেই সুস্বাদু করে তোলে। নুনের মূল উপাদান সোডিয়াম ক্লোরাইডও আমাদের জীবনের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না, আমাদের শরীরে ঠিক কতটা নুনের প্রয়োজন। অনেক সময়ই আমরা না বুঝে দৈনিক খাদ্যতালিকায় বেশি লবণ গ্রহণ করে ফেলি, যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)এর মতে, অত্যধিক নুন শরীরে বিভিন্ন প্রকার সমস্যা তৈরি করে। হু-এর গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আমরা দৈনিক প্রয়োজনের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণে নুন খাচ্ছি। যা আমাদের ক্রমশ মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা,  দৈনিক মাত্র পাঁচ গ্রাম নুন গ্রহণ করার কথা বলছে।
    হু-এর অভিমত, অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণ, মূলত লবণের মাধ্যমে এবং অপর্যাপ্ত পটাশিয়াম গ্রহণ উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী। গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দৈনিক পাঁচ গ্রামের কম লবণ গ্রহণ করা, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, স্ট্রোক, কিডনির সমস্যা, করোনারি হার্ট অ্যাটাক, প্রভৃতির ঝুঁকি কম করে। WHO-এর মতে, বেশিরভাগ মানুষই প্রতিদিন গড়ে ৯-১২ গ্রাম লবণ গ্রহণ করে। যদি বিশ্বব্যাপী লবণ গ্রহণের পরিমাণ কমে যায়, তাহলে বছরে আনুমানিক ২৫ লক্ষ মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হতে পারে।

    কখন নুন খাবেন না 
    বিশ্বজুড়ে প্রক্রিয়াজাত খাবারের ব্যবহার প্রতিদিনের সোডিয়াম গ্রহণের পরিমাণ দ্রুত বাড়াচ্ছে।

    হাই ব্লাড প্রেসার থাকলে: হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপে ভোগা রোগীদের রক্তচাপ কমাতে চিকিৎসকেরা প্রথমেই নুন খাওয়া কমানোর পরামর্শ দেন। কারণ কি জানেন? নুন শরীরে প্রবেশ করা মাত্র শরীরে জলের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। ফলে শরীরের ভিতরে প্রেসার বেড়ে যায়। যা উচ্চ রক্তচাপে (high pressure)ভোগা রোগীদের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। তাই তো রক্তচাপ বাড়লেই নুনকে টাটা-বাইবাই করতেই।

    শরীরে জলের পরিমাণ বেড়ে গেলে: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে মাত্রাতিরিক্ত নুন খেলে কিছু বিশেষ হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, ফলে শরীরের ভিতরে জল জমতে শুরু করে। এই ধরনের সমস্য়া হলেই তাই নুন খাওয়া ছাড়তে হবে। নচেৎ কিন্তু বিপদ!

    মুখের ভিতর শুকিয়ে যাওয়া: এমন কিছু খাবার আছে যেগুলি খেলে মুখের ভিতর খুব শুকিয়ে যায়, সেই সঙ্গে জল তেষ্টাও বেড়ে যায়। এমনটা কেন হয় জানা আছে? আসলে যেসব খাবারে নুনের পরিমাণ বেশি থাকে সেই সব খাবার খেলেই সাধারণত এমন ধরনের লক্ষণগুলি প্রকাশ পেতে শুরু করে। এই সময় অনেক পরিমাণে জল খান। দেখবেন সমস্য়া কমে যাবে।

    কিডনির সমস্যা: অতিরিক্ত নুন গ্রহণ করলে প্রস্রাবের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। আসলে শরীরে নুনের পরিমাণ বেড়ে গেলে সেই অতিরিক্ত নুনকে শরীর থেকে বের করে দিতে কিডনি মাত্রাতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে ওঠে, ফলে বার বার প্রস্রাব পেতে থাকে। তাই সমস্যা দেখা যায়।

    কোন খাবারে নুন বেশি থাকে
    চিপস জাতীয় খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবারে নুনের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই এই ধরনের খাবার নিয়মিত গ্রহণ করা অনুচিত। 

    আমরা সকলেই জানি যে, লবণ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যের একটি অপরিহার্য অংশ। লবণ ছাড়া প্রায় প্রতিটি খাবারই অসম্পূর্ণ। লবণ যে শরীরকে শুধুমাত্র হাইড্রেট রাখে তা নয়, থাইরয়েড গ্রন্থি যাতে সঠিকভাবে কাজ করে তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু তাই নয় ব্লাড প্রেসার কম থাকলে বা শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে গেলে, লবণ বিশেষভাবে সাহায্য করে। এমনকি লবণের মাধ্যমেই শরীরে আয়োডিনের চাহিদা পূরণ হয়। কিন্তু যদি লবণ অতিরিক্ত গ্রহণ করা হয়, তাহলে তা স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে যে, অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনি সমস্যার মতো রোগ, বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে মৃত্যুর সম্ভাবনা বাড়ে। অতএব নুন খান কিন্তু পরিমাণ মেপে।

  • Agnipath scheme: অগ্নিপথে অটল! প্রকল্প প্রত্যাহারের প্রশ্নই নেই মত কেন্দ্রের

    Agnipath scheme: অগ্নিপথে অটল! প্রকল্প প্রত্যাহারের প্রশ্নই নেই মত কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিপথ প্রকল্প (Agnipath scheme) কোনও ভাবেই প্রত্যাহার করা হবে না। এ ব্যাপারে যেন কেউ কোনও ভুল ধারণা পোষণ না করেন। অগ্নিপথ প্রকল্প প্রত্যাহারের কোনও প্রশ্নই নেই বলে জানালেন ভারতীয় সেনা বিষয়ক দফতরের অতিরিক্ত সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল (Lt Gen) অনিল পুরী  (Anil Puri)। প্রকল্প ঘোষণার পর যে সংশোধনী প্রস্তাব বা ছাড়ের কথা বলা হয়েছে তা সবই আগে থেকে ঠিক করা ছিল। ধাপে ধাপে ঘোষণা করা হয়েছে। কোনও বিক্ষোভ বা বিরোধিতার কথা ভেবে ছাড় দেওয়া হয়নি বলে দাবি,লেফটেন্যান্ট জেনারেলের।

    রবিবার সাউথ ব্লকে (Defence ministry)সেনামন্ত্রকের দফতরেই সাংবাদিক বৈঠকে ‘অগ্নিপথ’ নিয়োগ প্রকল্প প্রসঙ্গে একথা স্পষ্ট করলেন অনিল। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কেন অগ্নিপথ প্রকল্প প্রত্যাহার করা হবে? দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটি প্রকল্প থেকে কেন পিছিয়ে আসব আমরা?’’ অগ্নিপথ নিয়ে যখন বিক্ষোভে উত্তাল দেশ, ঠিক তখন সেনাবিভাগের কর্তা বলেন, ‘‘আমরা বাহিনীতে তারুণ্য চেয়েছিলাম। সেনাবাহিনীতে ‘যোশ’ আর ‘হোশ’ (অর্থাৎ জেদ আর সচেতনতার)-এর যৌথ প্রকাশ চেয়েছিলাম। তাই সব দিক মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’এখন যা-ই হোক প্রকল্প প্রত্যাহারের কোনও সম্ভাবনা নেই।

    আরও পড়ুন: অগ্নিপথ প্রকল্পে বায়ুসেনায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু ২৪ জুন, সেনায় ডিসেম্বরে

    ভবিষ্যতে দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে প্রযুক্তির উপরে ভর করেই এগোতে হবে, অভিমত অনিলের। তাই অগ্নিপথে তরুণদের নিয়োগেই জোর দেওয়া হচ্ছে। তিনি বললেন, ‘‘প্রযুক্তির ব্যাপারে তরুণ প্রজন্ম অনেক বেশি সড়গড়। সে কথা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ তাঁর কথায় প্রতিবছর সেনার তিন বিভাগ থেকে সময়ের আগেই প্রায় ১৭হাজার ৬০০ জন অবসর নিয়ে নেন। কেউ তো জানতে চান না, তাঁরা কোথায় যাচ্ছেন। অবসরের পর কী করছেন? নতুন একটা ঘোষণার পরই সবাই সেনাদের ভবিষ্যত নিয়ে জল্পনা করতে শুরু করেছে। যা অনভিপ্রেত বলে দাবি সেনা কর্তার। অনিল জানান, প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করার জন্যই সেনাবাহিনীতে ৪৬ হাজার ‘অগ্নিবীর’ নিয়োগের পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই সেনাবাহিনীতে ‘অগ্নিবীর’দের সংখ্যা বেড়ে এক লাখ ২৫ হাজার হবে। 

     

  • Madras HC: জামাতের অনুমতি পেলেই গণেশ পুজো! নির্দেশ মাদ্রাজ হাইকোর্টের

    Madras HC: জামাতের অনুমতি পেলেই গণেশ পুজো! নির্দেশ মাদ্রাজ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে গণেশ পুজো করতে গেলে জামাতের অনুমতি পত্র থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। কলোনির সকলকে নিয়ে গণেশ পুজো করতে চেয়েছিলেন কোয়েম্বাটোরের উক্কাদামের হাউজিং বোর্ড কলোনির বাসিন্দা মহালক্ষ্মী। গণেশ চতুর্থী থেকে শুরু করে চারদিন ব্যাপী পুজোর আয়োজনের কথা ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু প্যান্ডেল করার জন্য থানা থেকে সম্মতি চাইতে গেলেই বাধে বিপত্তি। অঞ্চলটি মুসলিম প্রধান হওয়ায় থানা সম্মতি দিতে রাজি হয় না। থানা থেকে সম্মতি না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হন মহালক্ষ্মী। সেই আবেদনের  ভিত্তিতেই এই নির্দেশ।

    আরও পড়ুন: চলতি বছরেই এফএমসিজি বাজারে আত্মপ্রকাশ রিলায়েন্স রিটেলের, ঘোষণা মুকেশ-কন্যা ইশার

    মহালক্ষ্মীর আইনজীবী জানিয়েছেন, ওই এলাকাটিতে মুসলিমরা বাস করলেও পুজো-অর্চনা বা গণপতি আরাধনায় কারুর আপত্তি নেই। তাঁর আবেদনে বলা হয়েছে যে, কলোনির বাসিন্দারা গণেশের মূর্তি স্থাপন করে গণেশ চতুর্থী উদযাপন করতে চান। আশেপাশের অঞ্চলে বসবাসকারী মুসলিমদের এতে কোনও সমস্যা নেই। তারা উৎসবে অংশ নিতে চান। এমনকি ভোগ বিতরণেও তাদের সম্মতি রয়েছে। এরপরে পুলিশ-প্রশাসনের আপত্তি খাটে না।  তিনি আদালতকে অনুরোধ করেন, প্যান্ডেলের অনুমতি দেওয়ার জন্য পুলিশকে যেন নির্দেশ দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: কালীপুজোর সময়েই আসতে চলেছে জিও ৫জি! আগামী বছরেই সারা দেশে, জানুন কী বললেন মুকেশ আম্বানি

    পুলিশের তরফে আদালতে বলা হয় মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় প্যান্ডেল করে পুজো করলে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে। এখন না বোঝা গেলেও পরবর্তীতে সমস্যার সৃষ্টি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। দুপক্ষের কথা শুনে মাদ্রাজ হাইকোর্ট মহালক্ষ্মীকে গণেশ প্যান্ডেল স্থাপনের আগে স্থানীয় জামাতের সম্মতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের তরফে বলা হয়, ” বিনায়ক মূর্তি স্থাপনের জন্য জামাত কমিটির অনুমতি-সহ সংশ্লিষ্ট থানায় একটি হলফনামা দাখিল করতে হবে। তারপর তিনি গণেশ চতুর্থীর উৎসব পালন করুন।”  তবে পুজো অর্চনা করলেও কোনও মিছিল বা জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত। বলা হয় সমস্ত অনুষ্ঠান হাউজিং কলোনির মধ্যেই যেন সীমাবদ্ধ থাকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Agnipath Scheme: ভারতে প্রথম মহিলা নাবিক! অগ্নিপথ প্রকল্প দেখাচ্ছে পথ

    Agnipath Scheme: ভারতে প্রথম মহিলা নাবিক! অগ্নিপথ প্রকল্প দেখাচ্ছে পথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিপথ (Agnipath scheme) প্রকল্পের অধীনে প্রথম মহিলা নাবিক (Women Sailors) পেতে চলেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। রবিবার, নৌবাহিনীর ভাইস অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠী (Vice Admiral Dinesh K Tripathi) একথা জানান। তিনি বলেন, ”  শীঘ্রই নৌবাহিনীর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। ২৫ জুনের মধ্যে আমাদের বিজ্ঞাপন পৌঁছে যাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকে। এক মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। নৌবাহিনীর প্রথম অগ্নিবীর ২১শে নভেম্বর আমাদের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে রিপোর্ট করবে। প্রাথমিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা নৌবাহিনীতে নারী অগ্নিবীর নিচ্ছি। এর জন্য আমাদের প্রশিক্ষণে সংশোধনী আনার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। আমি আশা করি পুরুষ ও মহিলা অগ্নিবীর আইএনএস চিল্কায় রিপোর্ট করবেন।” 

    রবিবার অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে সেনা নিয়োগের সময়সূচি ঘোষণা করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরি। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, সরকার অগ্নিপথ প্রকল্পের বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যুব সমাজকে আবেদন করা হচ্ছে তারা যেন আন্দোলনে এ বার রাশ টানে। এর পরই অগ্নিপথ প্রকল্প অধীনস্থ অগ্নিবীরদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে নৌবাহিনীর পরিকল্পনার বিবরণ দেন ভাইস অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠী। তিনি জানান, আগামী ২৫ জুনের মধ্যে নৌবাহিনীর প্রধান কার্যালয় থেকে নিয়োগের বিস্তৃত নির্দেশিকা প্রকাশ করা হবে। মহিলা এবং পুরুষ—উভয়ের কাছে অগ্নিবীর প্রকল্পের অধীনে নৌবাহিনীতে যোগ দেওয়ার সুযোগ থাকছে।

    আরও পড়ুন: বায়ুসেনায় অগ্নিবীর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু ২৪ জুন, পরীক্ষা জুলাইয়ে

    নৌবাহিনীতে প্রথম বছরে তিন হাজার অগ্নিবীর নিয়োগের কথা রয়েছে। এদের মধ্যে আনুমানিক ১০ শতাংশ মহিলা অগ্নিবীর নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। অর্থাৎ ৩০ জন মহিলা অগ্নিবীর ভারতীয় নৌবাহিনীতে আসতে চলেছে, বলে আশা প্রকাশ করেন ভাইস অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠী। নৌবাহিনীতে নারীদের সমান মর্যাদা দেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন নৌ-সেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার। তিনি বলেন, “নৌবাহিনীতে বিভিন্ন পদে মহিলারা বর্তমানে কাজ করছেন। এখানে প্রশাসনিক পদ বলে কোনও পৃথক জায়গা থাকে না। নৌবাহিনীর ইউনিটগুলির মধ্যে কিছু ইউনিট সমুদ্রে কাজ করে, আর কিছু ইউনিট স্থলভাগে কাজ করে। মহিলারা স্থলভাগে বশি কাজ করলেও এখন সমুদ্রেও কাজ করছেন।” এবার দেশের নৌবাহিনীতে নাবিক পদে দেখা যেতে পারে মহিলাদের। সৌজন্যে অগ্নিপথ প্রকল্প!

LinkedIn
Share