Author: subhra-katwa

  • Indian Army: অসমের প্রথম মহিলা প্যারাট্রুপার মেজর দ্বীপান্বিতা কলিতা, স্থান পেলেন ফেমিনা পত্রিকার প্রচ্ছদে

    Indian Army: অসমের প্রথম মহিলা প্যারাট্রুপার মেজর দ্বীপান্বিতা কলিতা, স্থান পেলেন ফেমিনা পত্রিকার প্রচ্ছদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনাবাহিনীতে (Indian Army) মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। সেনাবাহিনীতে কাজ করা মহিলাদের জন্য আর শুধু স্বপ্ন নয় বরং বাস্তব। ‘অপারেশন সিঁদুরে’-এও দেখা গিয়েছে, কর্নেল সোফিয়া কুরেশিদের ভূমিকা। তাঁদের সঙ্গেই আরও অনেক সাহসী মহিলা অফিসার বর্তমানে দেশের জল, মাটি এবং আকাশকে সুরক্ষিত রাখছেন। এমনই একজন সাহসী সেনা অফিসার হলেন মেজর দীপান্বিতা কলিতা (Dwipannita Kalita), যিনি অসমের বাসিন্দা। তিনি হলেন প্রথম মহিলা প্যারাট্রুপার, যিনি লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন ‘ফেমিনা’র প্রচ্ছদে স্থান পেয়েছেন, যেখানে তাঁকে দেখা যাচ্ছে অন্যান্য ভারতীয় সেনার মহিলা অফিসারদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে।

    ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ওই প্রচ্ছদ বানায় ওই পত্রিকা

    এই প্রচ্ছদটি তৈরি করা হয়েছে ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ১০ জন সাহসী মহিলা সেনা অফিসার (Indian Army), যাঁরা প্রত্যেকেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর গর্ব ও দেশের রক্ষাকর্তা। জানা যাচ্ছে, মেজর দীপান্বিতা কলিতা অসমের ডারং জেলার ধিকৈয়াজুলি শহরের বাসিন্দা। এটি গুয়াহাটি থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তিনি ছোট শহর থেকে বড় হয়েছেন, কিন্তু তাঁর স্বপ্ন ছিল অনেক বড়।

    দীপান্বিতা কলিতা পেশায় চিকিৎসক (Indian Army)

    পেশাগত দিক থেকে দীপান্বিতা একজন চিকিৎসক। তিনি তাঁর এমবিবিএস ডিগ্রি ফিলিপিন্স থেকে অর্জন করেন। পরে ভারতে ফিরে এসে চিকিৎসা পেশায় যোগ দেন এবং দিল্লির একাধিক হাসপাতালে কাজ করে বহু রকম অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। তাঁর ক্লিনিক্যাল এক্সপেরিয়েন্স-এর ভান্ডারও সমৃদ্ধ। তবে তাঁর স্বপ্ন ছিল দেশের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া। সেই স্বপ্নপূরণেই একদিন তিনি হয়ে উঠলেন ভারতীয় সেনার গর্বিত সদস্য। বর্তমানে তিনি সেনার এলিট প্যারা রেজিমেন্টে আর্মি মেডিক্যাল কোর-এর অফিসার। একটি সামরিক হাসপাতালে (Dwipannita Kalita) কর্মরত আছেন এবং দেশের জন্য সর্বদা নিজের সেরাটাই দিয়ে চলেছেন তিনি। দুর্গম পর্বত হোক বা গভীর জঙ্গল অথবা রূক্ষ্ম মরুভূমি– যে কোনও প্রতিকূল ভৌগলিক পরিবেশে চিকিৎসা চালাতে দক্ষ প্যারা রেজিমেন্টের চিকিৎসকরা। এই প্রচ্ছদে দীপান্বিতা কলিতা ছাড়াও আরও যাঁরা রয়েছেন (Indian Army), তাঁদের মধ্যে আছেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। এবারের পত্রিকাটির থিম রাখা হয়েছে — In the Line of Duty.

  • NRC: এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, মমতাকে তীব্র আক্রমণ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    NRC: এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, মমতাকে তীব্র আক্রমণ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনআরসি (NRC) নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এমন দাবি করতে শোনা গেল অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “এনআরসি নিয়ে কোনও ঘোষণা হয়নি, বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাঙালিদের মধ্যে ফের আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।” এর পাশাপাশি এনআরসি নিয়ে মমতার (Mamata Banerjee) মন্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন বলেও জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।

    মমতাকে তীব্র আক্রমণ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার (NRC)

    গুয়াহাটিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী তীব্র আক্রমণ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “হঠাৎ উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বলছেন, আমি এনআরসি মানব না। কে এনআরসি-র নির্দেশ দিয়েছে? বিগত পাঁচ বছরে উনি এনআরসি নিয়ে কথা বলেননি। হঠাৎ তিনি এইসব বিষয় নিয়ে কথা বলছেন।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আক্রমণ করে তিনি বলেন, “বাঙালিদের মধ্যে ভয় তৈরি করা এবং তাদের ভোট আদায় করার কৌশল এটা। গত ৫ বছরে এনআরসি নিয়ে কথা বলেননি। এখন নির্বাচন আসছে, তাই উনি এইসব কথা বলতে শুরু করেছেন।”

    এসআইআরের বিরোধিতা কেন করছেন মমতা?

    প্রসঙ্গত, শুরু থেকেই এসআইআরের তীব্র বিরোধিতায় নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটার তালিকা সংশোধন এবং অবৈধ ভোটব্যাঙ্ক বাদ দেওয়ার যে প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশন চালু করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে, তাকেই এনআরসি বলে উল্লেখ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যকে ঘিরে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এসআইআর তো নতুন কিছু নয়, আগেও পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে। এভাবে ভোটার তালিকায় থাকা অবৈধ ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কাজে বাধা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে কাদের সুরক্ষিত করতে চাইছেন — সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে (NRC)।অনেকের মতে, অবৈধ ভোটব্যাঙ্কই (NRC) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটে জেতার বড় একটি ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। তাই তিনি এসআইআরের বিরোধিতা করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে একাধিক সভায় বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।

  • Bangladesh: মৌলবাদী হামলার শিকার হওয়া হিন্দুদের বাড়িতে ত্রাণ দিতে দিল না বাংলাদেশের সেনা

    Bangladesh: মৌলবাদী হামলার শিকার হওয়া হিন্দুদের বাড়িতে ত্রাণ দিতে দিল না বাংলাদেশের সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) গঙ্গাচড়া উপজেলায় ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অজুহাতে মৌলবাদীরা ১৫টিরও বেশি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালায়। সম্প্রতি, অভিযোগ ওঠে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এবং আনসারের আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ওই ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদের বাড়িতে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ বন্ধ করে দেয়।

    হিন্দু সংগঠনকে ত্রাণ বিলি করতে বাধা দেয় বাংলাদেশের সেনা বাহিনী

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ৪ অগাস্ট, হিন্দু সংগঠন বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোট-এর সদস্যরা গঙ্গাচড়া উপজেলায় নির্যাতিত হিন্দুদের পরিবারে সাহায্য করতে যান। কিন্তু অভিযোগ অনুযায়ী, সেই সময় বাংলাদেশের (Bangladesh Army) সেনাবাহিনী এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা ওই হিন্দু সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাহায্য করার জন্য হুমকি দেয়। শুধু তাই নয়, তারা হিন্দু গুরুদেরও অপমান করে বলে অভিযোগ (Bangladesh)।

    ত্রাণ দিতে যাওয়া দলে কারা ছিলেন

    এই দলে ছিলেন হিন্দু সমাজকর্মী প্রসেনজিৎ কুমার হালদার এবং আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী গোপীনাথ দাস ব্রহ্মচারী প্রমুখরা। তাঁরা চাল, সরিষার তেল, সাবান, শ্যাম্পু, পোশাকসহ বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে নির্যাতিত হিন্দু পরিবারগুলোর কাছে পৌঁছাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদেরকে কোনোভাবেই ওই এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। উপরন্তু, সেনাবাহিনী এবং আনসারের সদস্যরা তাঁদের হুমকিও দিয়েছে। এর ফলে সেখানে ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত হয়। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে, জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ওই এলাকায় কোনও কর্মসূচি চালানো যাবে না (Bangladesh)।

    প্রশাসনের অনুমতি কি শুধু হিন্দুদের জন্য, এনিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    প্রসঙ্গত, এই একই প্রশাসন মৌলবাদীদের আক্রমণ থেকে নিরীহ হিন্দু গ্রামবাসীদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছিল। অথচ, যখন কেউ সেই নিরীহ হিন্দুদের সাহায্য করতে চায়, তখন তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে — “প্রশাসনের অনুমতি কি শুধু হিন্দুদের জন্য?” এই প্রেক্ষাপটে বলা দরকার, মৌলবাদীরা যেভাবে হিন্দুদের ঘরবাড়ির ওপর হামলা চালিয়েছে এবং তাদের জীবিকা বন্ধ করে দিয়েছে, তার পরেও এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু পরিবারগুলো কোনও সরকারি ক্ষতিপূরণ পায়নি (Bangladesh)।

  • NCERT Textbooks: মোদি জমানায় ভারতের বীর জওয়ানরা স্থান পাচ্ছেন স্কুলপাঠ্য বইয়ে

    NCERT Textbooks: মোদি জমানায় ভারতের বীর জওয়ানরা স্থান পাচ্ছেন স্কুলপাঠ্য বইয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়ুয়াদের যেন ভারতের সামরিক বাহিনীর গৌরব সম্পর্কে ধারণা হয়, এ নিয়েই উদ্যোগ নিল মোদি সরকার (NCERT Textbooks)। বৃহস্পতিবারই তারা ঘোষণা করেছে যে, এবার সামরিক বাহিনীর বীরদেরও পড়ানো হবে স্কুলে এবং তাদের জন্য আলাদা অধ্যায়ও থাকবে বইয়ে। এর মধ্যে রয়েছেন — ফিল্ড মার্শাল শ্যাম মানেকশ, ব্রিগেডিয়ার মহম্মদ ওসমান, এবং মেজর সোমনাথ শর্মা।

    কোন কোন ক্লাসে পড়ানো হবে এই তিন বীরের জীবনী

    ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষেই এনসিআরটি-র বইগুলোতে (NCERT Textbooks) এই ভারতীয় বীরদের কথা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এখনও পর্যন্ত সরকারের সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন অধ্যায় থাকবে অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি বইয়ে, অষ্টম শ্রেণির উর্দু বইয়ে এবং সপ্তম শ্রেণির উর্দু বইতেও। এর উদ্দেশ্য হল, যাতে স্কুলপড়ুয়ারা ভারতীয় বীরদের দায়িত্ববোধ, কর্তব্য, সাহস ও উদ্যম সম্পর্কে প্রেরণা পায়। এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (India war Heroes)।

    তিন সামরিক বীরের কথা পাঠ্যবইয়ে পড়ানো হবে, তাঁদের সংক্ষিপ্ত জীবনী

    ফিল্ড মার্শাল শ্যাম মানেকশ

    যিনি পরিচিত ছিলেন “শ্যাম বাহাদুর” নামে। তিনি ছিলেন ভারতীয় সামরিক বাহিনীর প্রথম অফিসার, যিনি ফিল্ড মার্শাল হিসেবে ফাইভ-স্টার র‍্যাঙ্ক পেয়েছিলেন। ১৯১৪ সালে অমৃতসরে জন্মগ্রহণ করেন মানেকশ। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ১৯৪৭–৪৮ সালের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, ১৯৬২ সালের চিন-ভারত যুদ্ধ, ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ— সবেতেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বিশাল ভূমিকা পালন করেছিলেন।

    ব্রিগেডিয়ার মহাম্মদ ওসমান (India war Heroes)

    তাঁকে বলা হয় “লায়ন অফ নওশেরা”। ১৯১২ সালে তিনি উত্তরপ্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। ওসমান ছিলেন ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যে অন্যতম সামরিক অফিসার, যিনি দেশভাগের সময় পাকিস্তানে যেতে অস্বীকার করেন এবং দেশেই থেকে যান। ১৯৪৭–৪৮ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে তাঁর অসামান্য সাহস ও নেতৃত্ব সামনে আসে (NCERT Textbooks)। ১৯৪৮ সালের ৩ জুলাই তিনি শহিদ হন।

    মেজর সোমনাথ শর্মা (NCERT Textbooks)

    তিনি ছিলেন ভারতের প্রথম সামরিক অফিসার, যিনি প্রথম পরম বীর চক্র সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি হিমাচল প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে জানা যায়।

  • Daily Horoscope 08 August 2025: ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 08 August 2025: ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ২) আইনি সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    বৃষ

    ১) ধর্মালোচনায় আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) যানবাহন খুব সাবধানে চালাতে হবে, বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।

    ২) প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি শুভ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    কর্কট

    ১) কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তি থেকে সাবধান।

    ২) নতুন কাজের প্রতি ঝোঁক বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) কারও সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) কর্মচারীর জন্য ব্যবসায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ভ্রমণের পক্ষে দিনটি শুভ নয়।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কন্যা

    ১) প্রেমের ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ।

    ২) কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    তুলা

    ১) ভালো কথার দ্বারা অন্যকে প্রভাবিত করতে পারবেন।

    ২) দুপুর নাগাদ ব্যবসা ভালো হবে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রিয়জনের কুকর্মের জন্য বাড়িতে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    ধনু

    ১) চাকরিতে সুখবর আসতে পারে।

    ২) রক্তচাপ নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    মকর

    ১) শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় কর্মে ক্ষতির আশঙ্কা।

    ২) আপনার সহিষ্ণু স্বভাবের জন্য সংসারে শান্তি রক্ষা পাবে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    কুম্ভ

    ১) কাজের চাপে সংসারে সময় না দেওয়ায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কিছু পাওনা আদায় হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) সন্তান-স্থান শুভ।

    ২) আজ কোনও সুসংবাদ পাওয়ার জন্য মন ব্যাকুল থাকবে।

    ৩) সমাজে আপনার প্রশংসা বৃদ্ধি পাবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 434: এরই নাম বুঝি অর্ধবাহ্যদশা, যাহা শ্রীগৌরাঙ্গের হইয়াছিল

    Ramakrishna 434: এরই নাম বুঝি অর্ধবাহ্যদশা, যাহা শ্রীগৌরাঙ্গের হইয়াছিল

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “নিমন্ত্রণবাড়ির শব্দ কতক্ষণ শোনা যায়? যতক্ষণ লোকে খেতে না বসে যায়। লুচি-তরকারি পড়লে, ওমনি বারোয়ানা শব্দ কমে যায়, সকলের হাস্য। অন্য খাবার পড়লে আরও কমতে থাকে। দই পাতে পাতে পড়লে কেবল চুপচাপ। ক্রমে খাওয়া হয়ে গেলেই নিদ্রা। ঈশ্বরকে যতক্ষণ লাভ হবে, ততই বিচার কমবে। তাকে লাভ হলে আর শব্দ, বিচার থাকে না। তখন নিদ্রা, সমাধি।”

    এই বলিয়া নরেন্দ্রর গায়ে হাত বুলাইয়া, মুখে হাত দিয়া আদর করিতেছেন ও বলিতেছেন— “হরি ওম, হরি ওম, হরি হরি ওম…”

    কেন এই রূপ করিতেছেন, না বলিতেছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। কি নরেন্দ্রর মধ্যে সাক্ষাৎ নারায়ণ দর্শন করিতেছেন? এরই নাম কি মানুষের ঈশ্বরদর্শন?

    এরই নাম বুঝি অর্ধবাহ্যদশা, যাহা শ্রীগৌরাঙ্গের হইয়াছিল। এখনো নরেন্দ্রের পায়ের উপর হাত, যেন ছল করিয়া নারায়ণের পা টিপিতেছেন, আবার গায়ে হাত বুলাইতেছেন। এত গা-টেপা, পা-টেপা কেন? একে নারায়ণের সেবা করছেন না, শক্তি সঞ্চার করছেন?

    দেখিতে দেখিতে আরও ভাবান্তর হইতেছেন। এই, আবার নরেন্দ্রের কাছে হাতজোড় করে কী বলছেন? বলছেন, “একটা গান গা, তাহলে ভালো হব, উঠতে পারব। কেমন করে? গোরা প্রেমে গরগর মাতোয়ারা, নিতাই আমার!”

    এতক্ষণ আবার অবাক চিত্রপট্টলিকার মতো চুপ করে রহিয়াছেন। আবার ভাবে মাতোয়ারা হয়ে বলছেন, “দেখিস রায়, যমুনায় যে পড়ে যাবি!” কৃষ্ণ প্রেমে উন্মাদিনী, আবার ভাবে বিভোর বলিতেছেন, “সখি, সে বন কত দূর!”

    এখন জগৎ ভুল হয়েছে, কাহাকেও মনে নাই। নরেন্দ্র সম্মুখে, কিন্তু নরেন্দ্রকে আর মনে নাই। কোথায় বসে আছেন কিছুই হুঁশ নাই। এখন যেন মন-প্রাণ ঈশ্বরে গত হয়েছে।

  • Supreme Court: বিচারপতি ভার্মার আর্জি শোনার প্রয়োজন নেই, রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: বিচারপতি ভার্মার আর্জি শোনার প্রয়োজন নেই, রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) অন্তর্বর্তী তদন্ত রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি যশবন্ত ভার্মা (Justice Yashwant Varma) যে আবেদন জানিয়েছিলেন, তা খারিজ করে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি এজি মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এই আর্জি শোনার কোনও প্রয়োজন নেই, কারণ বিচারপতি ভার্মা নিজেই সেই তদন্ত প্রক্রিয়ায় (Supreme Court) অংশ নিয়েছিলেন। রায়দানের সময় বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেন, “পুরো প্রক্রিয়াটি আইনানুগভাবে পরিচালিত হয়েছে। এটি কোনও সমান্তরাল বা অতিসাংবিধানিক বিষয় নয়।” এই মামলার শুনানি শেষে ৩০ জুলাই রায় স্থগিত রাখা হয়েছিল। আজ, বৃহস্পতিবার সেই রায় ঘোষণা করে শীর্ষ আদালত।

    রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে

    প্রসঙ্গত, বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বাসভবন থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধার হওয়ার পরে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) একটি ‘ইন-হাউস’ তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। সেই তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতেই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বিচারপতি ভার্মাকে (Justice Yashwant Varma) অপসারণের সুপারিশ করেন। রিপোর্টটি পাঠানো হয়েছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে।

    বিচারপতি ভার্মার হয়ে সওয়াল করেন কপিল সিব্বল

    এই সুপারিশ ও তদন্ত প্রক্রিয়ার আইনগত বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে ফের সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন বিচারপতি ভার্মা। তাঁর পক্ষে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল। তবে আজ সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিল, তদন্ত আইনসিদ্ধ এবং যথাযথভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। সেই কারণেই বিচারপতি ভার্মার আর্জি গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানানো হয়। এদিনের রায়ের মাধ্যমে কার্যত সুপ্রিম কোর্টের ‘ইন-হাউস’ তদন্ত প্রক্রিয়ার বৈধতাকেই সিলমোহর দিল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। এই রায়ের পর বিচারপতি ভার্মার অপসারণের পথে আর কোনও আইনি বাধা থাকল না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও নৈতিকতার প্রশ্নে এই রায়কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

  • Vladimir Putin: আমেরিকার সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের আবহে ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন

    Vladimir Putin: আমেরিকার সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের আবহে ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) অগাস্ট মাসের শেষদিকে ভারত সফরে আসছেন বলে জানিয়েছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা ‘ইন্টারফ্যাক্স’ বৃহস্পতিবার মস্কো থেকে ডোভালের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানায়। যদিও পুতিনের (Putin) সফরের নির্দিষ্ট তারিখ এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

    আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক যুদ্ধের আবহে এই সফর

    মাত্র একদিন আগেই, রাশিয়া থেকে তেল আমদানির প্রেক্ষিতে ভারতীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২৭ অগাস্ট থেকে আমেরিকায় ভারতীয় রফতানি পণ্যের উপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক বসবে। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প পরোক্ষে ইঙ্গিত দেন, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখা দেশগুলির উপর আরও বিধিনিষেধ আনতে পারে আমেরিকা।

    ট্রাম্পকে একহাত নিলেন রুশ প্রশাসনের মুখপাত্র

    বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনে রুশ প্রশাসনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “আমরা (ট্রাম্পের) অনেক বিবৃতির কথাই শুনছি, যেগুলি আসলে হুমকি। বিভিন্ন দেশকে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করা হচ্ছে। আমরা এই বিবৃতিগুলিকে বৈধ এবং ন্যায্য বলে মনে করছি না।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “আমরা বিশ্বাস করি যে কোনও সার্বভৌম দেশের স্বাধীন ভাবে বাণিজ্যসঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। নির্দিষ্ট কোনও দেশের জাতীয় স্বার্থ অনুযায়ী এই বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক বোঝাপড়া হয়ে থাকে।”

    পুতিনের (Vladimir Putin) আসন্ন ভারত সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ

    এমন আবহে পুতিনের (Vladimir Putin) আসন্ন ভারত সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল। একই দিনে রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিগগিরই ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্টের বিদেশনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানিয়েছেন, বৈঠকের জন্য দুই দেশের মধ্যে কথাবার্তা চলছে। তবে কোথায় ও কবে সেই বৈঠক হবে, তা এখনও স্থির হয়নি।প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলি। আন্তর্জাতিক বাজারে রুশ অর্থনীতির উপরও তার প্রভাব পড়ে। সেই সময়েই রাশিয়া সস্তায় খনিজ তেল বিক্রি শুরু করে, এবং ভারত সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে নয়াদিল্লি তার মোট তেলের চাহিদার প্রায় ৩৫ শতাংশই রাশিয়া থেকে পূরণ করে।

  • ISRO: লাদাখেই তৈরি হল মঙ্গল গ্রহের পরিবেশ, ইসরোর অভিনব মিশন নিয়ে বাড়ছে কৌতূহল

    ISRO: লাদাখেই তৈরি হল মঙ্গল গ্রহের পরিবেশ, ইসরোর অভিনব মিশন নিয়ে বাড়ছে কৌতূহল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো, লাদাখে শুরু করল এক অন্য ধরনের মিশন, যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে হোপ – হিমালয়ান আউটপোস্ট ফর প্ল্যানেটারি এক্সপ্লোরেশন। গত ১ অগাস্ট থেকে শুরু হয়েছে এই মিশন, চলবে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আগামী দিনে ভারতের চন্দ্র অভিযান এবং মঙ্গল অভিযানের প্রস্তুতির দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো ইসরোর (ISRO) এই মিশন। এর জন্য ইসরোর বিজ্ঞানীরা বেছে নিয়েছেন এমন একটি অঞ্চলকে, যে অঞ্চলের সঙ্গে অনেক দিক থেকেই মিল রয়েছে মঙ্গল গ্রহের। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার ৫৩০ মিটার উপরে অবস্থিত, এখানে বায়ুর চাপ অত্যন্ত কম রয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে প্রবল ঠান্ডা, আবার অতি বেগুনি রশ্মির তীব্রতাও রয়েছে।

    রাখা হয়েছে দুটি যুক্ত মডিউল বিশিষ্ট আবাসন ব্যবস্থা (ISRO)

    গবেষকরা বলছেন, এই ধরনের পরিস্থিতি হল পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ কিংবা মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে পরিবেশের একদমই সাদৃশ্যপূর্ণ। তাই ভবিষ্যতে মহাকাশচারীরা চন্দ্র বা মঙ্গল অভিযানে (Mars Mission) গেলে, তার আগের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একদম আদর্শ পরিবেশ। ইসরোর এই মিশনের অনেক রকমের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এখানে রাখা হয়েছে দুটি যুক্ত মডিউল বিশিষ্ট আবাসন ব্যবস্থা, যার একটি ৮ মিটার প্রশস্ত এবং এটি ক্রুদের জন্য, অপরটি পাঁচ মিটার ইউটিলিটি ইউনিট (ISRO)। এই আবাসনে মিলছে প্রায় সমস্ত রকমেরই ব্যবস্থা। এখানে রয়েছে রান্নাঘর। ভবিষ্যতে মহাকাশচারীরা যখন যাবেন, তখন চাঁদ বা মঙ্গল গ্রহে রান্না করে খেতে হবে বৈকি। রয়েছে স্যানিটারি সুবিধাও। মানবজীবনের অত্যাবশ্যক প্রয়োজনীয়তাগুলোর ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এই পরীক্ষামূলক আবহে। রয়েছে হাইড্রোপনিক ফার্মিংয়ের মতো আধুনিক কৃষিপদ্ধতি, যা জলবিহীন ও মাটিবিহীন কৃষিকে সম্ভব করে তোলে, তা-ও এখানে বাস্তবায়িত হয়েছে। এইভাবে ভবিষ্যতের অভিযানে খাদ্য সরবরাহের সম্ভাব্য বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা চলছে।

    ইসরোর সঙ্গে যোগ দিয়েছে অন্যান্য সংস্থাও

    ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দশ দিনের যে প্রস্তুতিপর্ব চলছে বা মিশন, সেখানে দুজন ক্রু সদস্য আবাসনের ভিতরে থাকবেন। ওই আবাসনের ভিতরে থাকার সময়, তাঁদের শারীরিক, মানসিক এবং বৌদ্ধিক পর্যায়ের কোন কোন প্রতিক্রিয়া উঠে আসছে, তা পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং বিশ্লেষণ করা হবে। লাদাখের ওই অঞ্চলে (ISRO) গবেষণা চালাচ্ছে ইসরো। তবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার সঙ্গে জুড়েছে দেশের অন্যান্য সেরা প্রতিষ্ঠানগুলি। কোন কোন প্রতিষ্ঠানগুলি ইসরোর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই প্রকল্পে কাজ করছে, তা একবার জেনে নিই। রয়েছে আইআইটি বোম্বে, আইআইটি হায়দরাবাদ, আইআইএসটি তিরুবনন্তপুরম, আরজিসিবি তিরুবনন্তপুরম এবং ইনস্টিটিউট অব স্পেস মেডিসিন।

    কী কী নিয়ে চলছে গবেষণা (ISRO)

    ইসরো সূত্রে জানানো হয়েছে যে, উপরে উল্লেখ করা এই সংস্থাগুলির গবেষকরা নানাভাবে গবেষণা চালাচ্ছেন, যেমন: ক্রুদের হেলথ মনিটরিং, গ্রহপৃষ্ঠ অপারেশন, জীবাণু সংগ্রহ, উন্নত চিকিৎসা ও প্রযুক্তির নানা বিষয়। এই হোক মিশনে যারা যাবেন, তখন তাদের যে ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে, তারই একটা মহড়া এবং সেই লক্ষ্যে এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এইরকম উদ্যোগ ভারতের মহাকাশ গবেষণাকে শুধু আরও আত্মনির্ভরই করবে না, বরং আন্তর্জাতিক মহাকাশ মিশনের প্রতিযোগিতায় ভারতের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী ও মর্যাদাপূর্ণ করে তুলবে বলেই ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্য

    এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছে ইসরোর হিউম্যান স্পেস ফ্লাইট সেন্টার। জানা যাচ্ছে, ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানব পাঠানো এবং ভবিষ্যতের মঙ্গল অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়েছে ইসরো। এবং মহাকাশের পরিবেশের অনুকরণে গড়ে তোলা হয়েছে মিশন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ইসরোর এই মিশনের মাধ্যমে ধাপে ধাপে তৈরি করা হচ্ছে এমন এক পরিবেশ, যা ভবিষ্যতের চাঁদ বা মঙ্গল অভিযানে অংশগ্রহণকারী মহাকাশচারীদের জন্য প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিবেশে টিকে থাকার জন্য যে ধরণের জীবনধারা, শারীরিক সক্ষমতা, মানসিক দৃঢ়তা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রয়োজন, তা এখানে বাস্তব পরিস্থিতির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

    কী বলছেন ইসরোর চেয়ারম্যান

    এ নিয়ে ইসরোর চেয়ারম্যান ডঃ ভি নারায়ণ বলছেন, যে হোক শুধুমাত্র আমাদের জন্য কেবল একটি ধৈর্যের পরীক্ষা নয় — এটি ভারতের ভবিষ্যতে মানব মহাকাশ অভিযানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মিশন। এখানে সরাসরি মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণ এবং মিশনের ডিজাইন, তার ব্যবস্থা, প্রযুক্তি ব্যবস্থা — এই সমস্ত কিছুই খুঁটিনাটিতে পরীক্ষা করা হবে। ইসরোর চেয়ারম্যান ডঃ আরও বলছেন যে, ভবিষ্যতের জন্য আমাদের এই মহড়া চলছে। মহাকাশে মানুষ পাঠানোর আগে এধরনের মিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

  • Ramakrishna 433: নিমন্ত্রণবাড়ির শব্দ কতক্ষণ শোনা যায়? যতক্ষণ লোকে খেতে না বসে যায়

    Ramakrishna 433: নিমন্ত্রণবাড়ির শব্দ কতক্ষণ শোনা যায়? যতক্ষণ লোকে খেতে না বসে যায়

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “না, এদিক-ওদিক—দুই দিক রাখতে হবে। জনক রাজা এদিক-ওদিক দু’দিন দেখে খেয়েছিল দুধের বাটি। সকলের হাস্য।”

    গিরিশ: “থিয়েটারগুলো ছেলেদেরই ছেড়ে দিই, মনে করছি।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “নানা, ও বেশ আছে। অনেকের উপকার হচ্ছে।”

    নরেন্দ্র (মৃদুস্বরে): “এই তো ঈশ্বর বলছে, অবতার বলছে, আবার থিয়েটার টানে!”

    সমাধি মন্দিরে – গড়গড় মাতোয়ারা শ্রীরামকৃষ্ণ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ নরেন্দ্রকে কাছে বসাইয়া একদৃষ্টে দেখিতেছেন। হঠাৎ তাহার সন্নিকটে আরো শরিয়া গিয়া বসিলেন।
    নরেন্দ্র অবতার মানেন না, তা কী এসে যায়? ঠাকুরের ভালবাসা যেন আরও উথলিয়া পড়িল।
    “আছে আছে”— গায়ে হাত দিয়া, নরেন্দ্রের প্রতি কহিতেছেন—
    “আমরাও তোর মানে আছি।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “বিচারলাভ পর্যন্ত নরেন্দ্রর প্রতি যতক্ষণ বিচার, ততক্ষণ তাকে পাই নাই।
    তোমরা বিচার করছিলে, আমার ভালো লাগে নাই।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “নিমন্ত্রণবাড়ির শব্দ কতক্ষণ শোনা যায়? যতক্ষণ লোকে খেতে না বসে যায়।
    লুচি-তরকারি পড়লে, ওমনি বারোয়ানা শব্দ কমে যায়, সকলের হাস্য।
    অন্য খাবার পড়লে আরও কমতে থাকে।
    দই পাতে পাতে পড়লে কেবল চুপচাপ।
    ক্রমে খাওয়া হয়ে গেলেই নিদ্রা।
    ঈশ্বরকে যতক্ষণ লাভ হবে, ততই বিচার কমবে।
    তাকে লাভ হলে আর শব্দ, বিচার থাকে না। তখন নিদ্রা, সমাধি।”

    এই বলিয়া নরেন্দ্রর গায়ে হাত বুলাইয়া, মুখে হাত দিয়া আদর করিতেছেন ও বলিতেছেন—
    “হরি ওম, হরি ওম, হরি হরি ওম…”

    কেন এই রূপ করিতেছেন, না বলিতেছেন শ্রীরামকৃষ্ণ।
    কি নরেন্দ্রর মধ্যে সাক্ষাৎ নারায়ণ দর্শন করিতেছেন?
    এরই নাম কি মানুষের ঈশ্বরদর্শন?

    কি আশ্চর্য!
    দেখিতে দেখিতে ঠাকুরের সংজ্ঞা যাইতেছে।
    ওই দেখো, বহির্জগতের ইয়া যাইতেছে…

LinkedIn
Share