Author: subhra-katwa

  • Amit Shah: মহাকুম্ভে ‘শাহি’ ডুব! পরিবার নিয়ে সঙ্গমে পবিত্র স্নান সারলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Amit Shah: মহাকুম্ভে ‘শাহি’ ডুব! পরিবার নিয়ে সঙ্গমে পবিত্র স্নান সারলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভে পবিত্র ডুব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর সঙ্গে সোমবার ডুব দিতে দেখা যায় বিভিন্ন সাধু-সন্তদেরও। পবিত্র ডুব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ করেন সাধুরা। নিজের এক্স হ্যান্ডলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহাকুম্ভকে সনাতন ধর্মের প্রতীক বলে মন্তব্য করেন এবং এর মাধ্যমেই যে ভারতবর্ষের সনাতন সংস্কৃতি, দর্শন এবং সম্প্রীতির পরিবেশ প্রতিফলিত হচ্ছে, তাও তিনি জানান।

     

    হাজির শাহের (Amit Shah) গোটা পরিবার

    পবিত্র ডুব দেওয়ার পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath) বিশেষ পুজো শুরু করেন এবং ত্রিবেণী সঙ্গমে তাঁরা আরতিও করেন। প্রসঙ্গত, অমিত শাহের সঙ্গে এদিন তাঁর পরিবারও হাজির ছিল। ছিলেন অমিত শাহের স্ত্রী সোনাল শাহ, তাঁর পুত্র জয় শাহ (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান)। জয় শাহের স্ত্রী এবং তাঁর সদ্যোজাত সন্তানও হাজির ছিল।

     

    কুম্ভের কলসি শাহের (Amit Shah) হাতে তুলে দেন যোগী

    অমিত শাহকে একটি কুম্ভের কলসি উপহারস্বরূপ তাঁর হাতে তুলে দেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এটি মহাকুম্ভের ঐতিহ্য এবং শ্রদ্ধার প্রতীক বলে মানা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সাধু-সন্তরা অমিত শাহকে সম্মান জানান চন্দনের তিলক এঁকে দিয়ে। অমিত শাহ এবং যোগী আদিত্যনাথ যখন পবিত্র ডুব দেন, তখন তাঁদের সঙ্গে হাজির ছিলেন জুনা আখড়ার পিঠাধীশ্বর স্বামী অবদেশানন্দা। এছাড়া আখড়া পরিষদের সভাপতি মহন্ত রবীন্দ্র পুরী এবং যোগগুরু বাবা রামদেব।

     

    সূর্য দেবতার উদ্দেশ্যে অর্ঘ্যদান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah)

    প্রসঙ্গত, পবিত্র ডুব দেওয়ার পরে সূর্য দেবতার উদ্দেশ্যে অর্ঘ্যদানও করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁরা নাতি-নাতনিরাও সাধুদের কাছ থেকে আশীর্বাদ পান। এমন একটি ছবি নিজের সমাজ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হর হর মহাদেব ধ্বনিতে তাঁরা গঙ্গা এবং সূর্য দেবতার উদ্দেশ্যে প্রণাম জানান।

  • Mahakumbh 2025: মহাকাশ থেকে কতটা উজ্জ্বল রাতের মহাকুম্ভ? আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন পাঠাল ছবি

    Mahakumbh 2025: মহাকাশ থেকে কতটা উজ্জ্বল রাতের মহাকুম্ভ? আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন পাঠাল ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভের (Mahakumbh 2025) কারণে কোটি কোটি মানুষের সমাগম চলছে প্রয়াগরাজে। মহাকুম্ভ পরিণত হওয়ার ফলে এই মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বিশ্বের বৃহত্তম ইভেন্টে পরিণত হয়েছে মহাকুম্ভ। মহাকাশ (Mahakumbh 2025) থেকে কেমন লাগছে প্রয়াগরাজকে? সেই ছবিই প্রকাশ করল নাসা (NASA)। দুনিয়াজুড়ে ইতিমধ্যেই সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (International Space Station) থেকে নাসার মহাকাশচারী ডন পেটিট মহাকুম্ভের একটি ছবি শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘রাতের আইএসএস থেকে মহাকুম্ভের ছবি। সত্যিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানুষের জমায়েত।’’

     

    বিভিন্ন মত উঠে এসেছে (Mahakumbh 2025)

    এমন ছবি দেখার পর স্বাভাবিকভাবেই চর্চা শুরু হয়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়। নানা মন্তব্য ভেসে এসেছে, এক ব্যবহারকারী লিখছেন, মনে হচ্ছে মহাকাশে বড় কোনও তারার বিস্ফোরণ ঘটেছে। কেউ আবার এত আলো দেখে মুগ্ধ হয়ে এটিকে কোনও গ্যালাক্সির সঙ্গে তুলনা করছেন। প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগেই মহাকুম্ভের (Mahakumbh 2025) একাধিক উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করা হয়েছিল ইসরোর তরফ থেকে। হায়দরাবাদের ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারও পরপর ছবি নিয়েছে এই মহাকুম্ভ মেলার। সেই ছবিতেই ফুটে উঠেছে মেলার একাধিক তাঁবু, পার্কিং লট এবং অন্য একাধিক প্রস্তুতির ছবি। এবার ছবি এল নাসার আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন (International Space Station) থেকে।

     

    ৪ হাজার হেক্টর জমির ওপর আয়োজন করা হয়েছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025)

    প্রসঙ্গত, ১২টা পূর্ণ কুম্ভে হয় একটা মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025)। ১৪৪ বছর পর মহাযোগ। ৪৫ দিনের এই মেলায় ৪০ কোটি বা তার বেশি মানুষের সমাগম হতে পারে বলেই অনুমান করা হয়েছে প্রশাসনেরক তরফ থেকে। এখনও পর্যন্ত হিসেব করে দেখা গিয়েছে, কুম্ভমেলা থেকে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের লাভ হতে পারে অন্তত ২ লক্ষ কোটি টাকা! এই সংখ্যাটা ৪ লক্ষ কোটিও হতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ৪ হাজার হেক্টর জমির ওপর আয়োজন করা হয়েছে মহাকুম্ভ। শুরু হয়েছে ১৩ জানুয়ারি থেকে চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ৪৫ দিনের এই মেলার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারের বাজেট ৭ হাজার কোটি টাকা।

  • Daily Horoscope 28 January 2025: অভিনয়ের প্রতি অনুরাগ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 28 January 2025: অভিনয়ের প্রতি অনুরাগ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) মনের মতো পরিবেশ পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য জীবন খুব ভালো কাটতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলুন।

    ২) ব্যবসায় ভালো লাভের সময়।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মিথুন

    ১) মনের মতো স্থানে ভ্রমণের জন্য আনন্দ লাভ।

    ২) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ৩) সতর্কভাবে চলাফেরা করুন।

    কর্কট

    ১) অভিনয়ের প্রতি অনুরাগ বাড়তে পারে।

    ২) আয়ের দিক থেকে দিনটি ভালো।

    ৩) ব্যবসায় লাভ।

    সিংহ

    ১) কোনও ভাল কাজ না হওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ২) নতুন চাকরির চেষ্টা করতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কন্যা

    ১) রাজনীতির লোকেদের জন্য ভালো খবর আসতে পারে।

    ২) সারা দিন ব্যস্ত থাকতে হবে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    তুলা

    ১) কাজ নিয়ে ক্ষোভ বাড়তে পারে।

    ২) পাওনা আদায় নিয়ে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) নিজের বাক্যে সংযম রাখুন।

    বৃশ্চিক

    ১) কীটপতঙ্গ থেকে একটু সাবধান থাকুন।

    ২) সংসারে ব্যয় কমানোর আলোচনা।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    ধনু

    ১) সকালের দিকে শরীরে আঘাত লাগতে পারে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে শান্তি পেতে পারেন।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    মকর

    ১) কোনও আশা ভঙ্গ হতে পারে।

    ২) দূরে কোথাও ভ্রমণের আলোচনা হতে পারে।

    ৩) হতাশ হবেন না কোনওভাবে।

    কুম্ভ

    ১) অতিরিক্ত কথায় বাড়িতে বিবাদ।

    ২) শরীরে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) সাবধানে চলাফেরা করুন।

    মীন

    ১) শরীরে যন্ত্রণা হতে পারে।

    ২) প্রেমে বিরহ দেখা দিতে পারে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে শিখুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Guillain Barre Syndrome: আতঙ্কের আরেক নাম গুলেন বারি, মহারাষ্ট্রে মৃত ১ রোগী, পুণেতেই আক্রান্ত ১০১

    Guillain Barre Syndrome: আতঙ্কের আরেক নাম গুলেন বারি, মহারাষ্ট্রে মৃত ১ রোগী, পুণেতেই আক্রান্ত ১০১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে এক বিরল স্নায়বিক রোগকে নিয়ে। মহারাষ্ট্রে লাফিয়ে বাড়ছে গুলেন বারি সিনড্রোমে (Guillain Barre Syndrome) আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে শুধু এমনটাই নয়, ইতিমধ্যেই এই অসুখ কেড়ে নিচ্ছে প্রাণও। সূত্রের খবর, গুলেন বারি সিনড্রোমে (Guillain Barre Syndrome) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের সোলাপুর থেকে একজনের সন্দেহভাজন জিবিএস-আক্রান্তের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের পুণেতে গুলেন বারি আক্রান্তের সংখ্যা ১০১-এ পৌঁছেছে বলে জানা যাচ্ছে। এনিয়ে সতর্কবার্তাও জারি করেছে মহারাষ্ট্র প্রশাসন।

     

    সংক্রমণ মানবদেহের স্নায়ুতে আক্রমণ করে (Guillain Barre Syndrome)

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিরল স্নায়ুজনিত (Maharashtra) রোগ হল গুলেন বারি সিনড্রোম। এই সংক্রমণ মানবদেহের স্নায়ুতে আক্রমণ করে। সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে ক্রমেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে যায় মানুষের। এরফলে অসাড় হয়ে যেতে থাকে শরীর। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এরফলে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন রোগীরা।

     

    মৃত ব্যক্তি ভর্তি ছিলেন সোলাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে

    জানা গিয়েছে, বিরল এই রোগে (Guillain Barre Syndrome) আক্রান্ত ব্যক্তি ভর্তি ছিলেন সোলাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই রোগীর ডায়েরিয়া ছিল। একইসঙ্গে সর্দিকাশিতেও আক্রান্ত ছিলেন তিনি। হাসাপাতাল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত ১৮ জানুয়ারি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থা প্রথম থেকেই খারপ ছিল, তাই তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছিল। পরে ওই ব্যক্তির অবস্থার উন্নতি হলে তাঁকে রেগুলার বেডে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু, রবিবার হঠাৎ করেই তাঁর অবস্থার অবনতি হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয় ওই ব্যক্তির। এরপরই তাঁর মৃত্যু হয়।

     

    প্রশাসনের তরফে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে 

    বিরল রোগ ছড়িয়ে পড়াতে প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। আক্রান্তদের স্বাস্থ্য নিয়মিত মনিটরিং করছেন চিকিৎসকরা। তবে কীভাবে এই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তা স্পষ্টভাবে এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি, তবে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক অনুমান, অস্বাস্থ্যকর খাবার বা পানীয় জল থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে।

     

    বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মোট ১০১জন রোগী

    তবে শুধুমাত্র সোলাপুর বা পুণে নয়, মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগ পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়, পুণে গ্রামীণ এবং আশেপাশের আরও কয়েকটি জেলায় জিবিএস-উপসর্গ নিয়ে আরও কয়েকজনকে শণাক্ত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই সংখ্যা ১৮। জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মোট ১০১ জন আক্রান্ত। এর মধ্যে ১৬ জন ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রয়েছেন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, রোগীদের মধ্যে ৬৮ জন পুরুষ,৩৩ জন মহিলা।

     

    এটি আসলে স্নায়বিক অটোইমিউন রোগ

    বিরল রোগের ব্যাখা হিসেবে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এটি আসলে স্নায়বিক অটোইমিউন রোগ। এই রোগের উপসর্গ হালকা থেকে বেশ গুরুতর হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অসুখে আক্রান্ত হলে পেশী একেবারে দুর্বল হয়ে পড়ে। ভিতরে কাঁপুনি আসতে পারে। একইসঙ্গে গায়ে-হাতে-পায়ে অসম্ভব ব্যথা অনুভূত হতে পারে। অন্যদিকে, শ্বাসকষ্ট, হার্ট ও রক্তচাপের সমস্যাও হতে পারে এই রোগ থাকলে। পক্ষাঘাতেও আক্রান্ত হতে পারেন রোগী।

     

    বিরল এই অসুখ নিয়ে কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, গুলেন-বারি সিনড্রোম (Guillain Barre Syndrome) আসলে বিরল রোগের মধ্যেই পড়ে। তবে এর কারণ সম্পূর্ণরূপে জানা যায় না বলেই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত বলে মনে হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এটি ইমিউন সিস্টেমকে সরাসরি আক্রমণ করে। আরও জানানো হয়েছে, প্রথমে এই রোগের উপসর্গ হিসবে দেখা যায় বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া। তবে এরই মাঝে আশার কথাও শুনিয়েছে হু। এই অসুখ থেকে সেরে ওঠার হার বেশ ইতিবাচক বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু এর মতে, এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা দরকার। উপসর্গ অনুসারেই চিকিৎসা করা দরকার বলে মনে করে হু। একইসঙ্গে প্রয়োজন হতে পারে কিছু ইমিউনোলজিক্যাল থেরাপিরও।

     

    কোন কোন উপসর্গ দেখলে আপনি সতর্ক হবেন (Guillain Barre Syndrome)

    হাত-পায়ে দুর্বলতা অনুভব হতে পারে।

    শরীর কাঁপতে পারে।

    পেশী দুর্বলতা, প্যারালিসিসের মতো অবস্থা হতে পারে।

    হাত এবং পায়ে সাড় চলে যেতে পারে।

    গিলতে বা কথা বলতে অসুবিধা হতে পারে।

    পায়ে বা পিঠে তীব্র ব্যথা অনুভব হতে পারে।

    হতে পারে শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা।

    ঝাপসা দৃষ্টি, অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন বা উচ্চ রক্তচাপও এর লক্ষণ।

  • Bangladesh: ছাত্র আন্দোলনে ফের অশান্ত ঢাকা, বাতিল পরীক্ষা, ব্যাপক ক্ষোভ ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে

    Bangladesh: ছাত্র আন্দোলনে ফের অশান্ত ঢাকা, বাতিল পরীক্ষা, ব্যাপক ক্ষোভ ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দফায় দফায় ছাত্র সংঘর্ষের (Student Clash) জেরে অস্থির বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকার জনজীবন। ইউনূস সরকারকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। সোমবার সকালেই আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারি দেয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য মামুন আহমেদের পদত্যাগ সহ ৬ দাবি পূরণ করতে হবে। দাবি পূরণ না হলে, আন্দোলন তীব্র হবে বলে জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। এমন আন্দোলনের জেরে ফের একবার গত বছরের জুলাই-অগাস্টের ছায়া দেখা যাচ্ছে।

    বাতিল পরীক্ষা (Bangladesh)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রবিবার রাতেই কলেজ ছাত্রদের ক্যাম্পাস ছাড়া করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা একে একে হস্টেল থেকে বেরিয়ে এসে ধাওয়া করে। এরপরেই দু-পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ বেঁধে যায়। রাত তিনটে পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। ঢাকার সাতটি কলেজের পড়ুয়াদের ডাকা হরতালের জেরে বিস্তীর্ণ এলাকার স্বাভাবিক জনজীবন ব্যহত হয়েছে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও সেনার যৌথ বাহিনী। পড়ুয়াদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। তবে সোমবার ক্যাম্পাস অন্যদিনের তুলনায় ফাঁকা। ব্যাপক অশান্তির আশঙ্কায় ঢাকার রাস্তায় যানবাহন তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। অবস্থা এতটাই খারাপ যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Bangladesh) সোমবারের সমস্ত পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এই আবহে রবিবার রাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ঘটনাস্থলে যান, তবে তীব্র ক্ষোভের মুখে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।

    ঘটনার সূত্রপাত কী নিয়ে (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতে। ঢাকার সাতটি কলেজ বহু বছর ধরেই স্বশাসন দাবি করছিল। তাদের বক্তব্য ছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজের শিক্ষার মান প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে। ঠিক এই আবহে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় সাতটি কলেজের কয়েকশো পড়ুয়া পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য মামুন আহমেদের কাছে স্মারকলিপি দিতে যান। অভিযোগ সেসময় মামুন দুর্ব্যবহার করেন। এরপরেই ব্যাপক ক্ষোভ দেখা যায় ছাত্রদের মধ্যে। এরপরই সোমবার সকালে ৭টি কলেজের পড়ুয়ারা সাংবাদিক বৈঠক করেন। তাঁরা জানিয়ে দেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ইস্তফা দিতে হবে। একইসঙ্গে গতকালের হামলার জন্য নিউমার্কেট থানা এলাকার ওসি, এসি সহ আধিকারিকদের কাজ থেকে বরখাস্ত করার দাবিও জানান তাঁরা।

  • Saraswati Puja: ঠিক কবে সরস্বতী পুজো? জানুন বসন্ত পঞ্চমীর মাহাত্ম্য

    Saraswati Puja: ঠিক কবে সরস্বতী পুজো? জানুন বসন্ত পঞ্চমীর মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্যা, জ্ঞান এবং সঙ্গীতের দেবী হিসেবে আরাধিত হন মা সরস্বতী (Saraswati Puja)। দেবী শ্বেতপদ্মে অধিষ্ঠান করেন, তাঁর এক হাতে থাকে পুস্তক, অন্য হাতে দেখা যায় বীণা। হাতে বীণা থাকার কারণে দেবী সরস্বতীকে বীণাপাণিও বলা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দেবী সরস্বতী হলেন বৈদিক দেবী। বৈদিক যুগে অবশ্য চারহাতের দেবীর উল্লেখ পাওয়া যায়। সেই চার হাতে পুস্তক, জপমালা, জলের পাত্র এবং বীণা ধারণ করে থাকে দেবী। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুস্তক হল বিদ্যা, জপমালা হল জ্ঞান, জলের পাত্র হল সৃষ্টি এবং বীণা হল সঙ্গীতের প্রতীক। এক কথায় বলতে গেলে, দেবী সরস্বতীকে অপার্থিব সম্পদের দেবী মানা হয়। বসন্ত পঞ্চমীর পবিত্র তিথিতে অভ্র, আবির, আমের মুকুল, যবের শীষ এবং দোয়াত-কলম সহযোগে দেবী সরস্বতীর পুজো করা হয়।

    কবে সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja)?

    মাঘ মাসের শুক্ল পঞ্চমী তিথিতে হয় দেবী সরস্বতীর (Saraswati Puja) আরাধনায় মেতে ওঠেন সকলে। ঠিক এই কারণেই সরস্বতী পুজোর পাশাপাশি এই দিনটি বসন্ত পঞ্চমী হিসেবেও পালিত হয় দেশজুড়ে। ভক্তদের বিশ্বাস, এই দিনেই আবির্ভূতা হয়েছিলেন জ্ঞান, বিদ্যা ও শিল্পকলার দেবী সরস্বতী। তবে চলতি বছরে কবে পালিত হবে সরস্বতী পুজো? তা নিয়ে কিছুটা সংশয় দেখা দিয়েছে অনেকের মনেই। দেখে নিন পঞ্জিকা অনুসারে কবে পড়েছে বসন্ত পঞ্চমী? দেবী সরস্বতীর আরাধনা করার সঠিক দিন কবে?

    বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে:

    পঞ্চমী তিথি আরম্ভ–

    বাংলা– ১৯ মাঘ, রবিবার।

    ইংরেজি– ২ ফেব্রুয়ারি, রবিবার।

    সময়– সকাল ৯টা ১৬ মিনিট।

    পঞ্চমী তিথি শেষ–

    বাংলা– ২০ মাঘ, সোমবার।

    ইংরেজি– ৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার।

    সময়– সকাল ৬টা ৫৩ মিনিট।

    গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুসারে:

    পঞ্চমী তিথি আরম্ভ–

    বাংলা– ১৯ মাঘ, রবিবার।

    ইংরেজি– ২ ফেব্রুয়ারি, রবিবার।

    সময়– বেলা ১২টা ১২ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড।

    পঞ্চমী তিথি শেষ–

    বাং– ২০ মাঘ, সোমবার।

    ইং– ৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার।

    সময়– সকাল ৯টা ৫৭ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড।

    অন্যান্য পঞ্জিকা কী বলছে?

    অন্যদিকে, দৃকপঞ্জিকা অনুসারে ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ৯টা ১৪ মিনিটে পঞ্চমী পড়ছে। ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ৬টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত পঞ্চমী থাকবে। এর পরেই পড়ে যাচ্ছে মাঘ শুক্লা ষষ্ঠী। প্রসঙ্গত, উদয়া তিথি অনুসারে ৩ ফেব্রুয়ারি হল বসন্ত পঞ্চমী (Saraswati Puja)। কিন্তু সেদিন যেহেতু খুব সকালেই পঞ্চমী ছেড়ে যাচ্ছে, তাই ২ না ৩ ফেব্রুয়ারি, কবে সরস্বতী পুজো করবেন, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন অনেকেই। বেণীমাধব শীলের গার্হস্থ্য পঞ্জিকা বলছে, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি বেলা ১২টা ৩৪ মিনিটে পঞ্চমী পড়ছে। সোমবার ৯টা ৫৯ মিনিটে পঞ্চমী ছাড়ছে। তবে শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা, সকালে পঞ্চমী ছেড়ে গেলেও বসন্ত পঞ্চমী তিথি যেহেতু ৩ ফেব্রুয়ারি, তাই সেদিনই পুজো করতে বলছেন সবাই।

    বসন্ত পঞ্চমীর মাহাত্ম্য (Saraswati Puja)

    মা সরস্বতীর (Saraswati Puja) পাশাপাশি গণেশ, লক্ষ্মী, নবগ্রহ, বই, খাতা, পেন এবং বাদ্যযন্ত্রের পুজোও করা হয় এই বিশেষ দিনে। অনেক বাড়িতেই শিশুদের প্রথম হাতেখড়ির অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয় এই দিন। তাদের আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রথম বিদ্যাচর্চা শুরু হয় এই দিন থেকেই। মনে করা হয় বসন্ত পঞ্চমী থেকেই শীত ঋতুর অবসান ও বসন্তের আগমন বার্তা ঘোষিত হয়। দেবীকে হলুদ ফুল অর্পণ করা হয়। সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য মা সরস্বতীকে হলুদ রঙের ফুল নিবেদন করা ভালো বলে মনে করা হয়। এছাড়া বসন্তের আগমনের বার্তা বয়ে আনে হলুদ রং। দেবীভাগবত পুরাণ থেকে জানা যায়, পরম কুস্মন্দের প্ৰথম অংশে দেবী সরস্বতীর জন্ম। বিষ্ণুর জিহ্বাগ্র থেকে তাঁর উৎপত্তি । সরস্বতী বাক, বুদ্ধি, বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী।

    পৌরাণিক আখ্যান

    পৌরাণিক আখ্যান অনুসারে, বসন্ত পঞ্চমীর দিনেই জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী সরস্বতী আবির্ভূত হয়েছিলেন। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের স্রষ্টা ছিলেন ব্রহ্মা। যখন তিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন, তখনই তিনি অনুভব করেছিলেন কোনও কিছু অনুপস্থিত রয়েছে। ধরাধামে শব্দ সঞ্চারের জন্য তিনি তাঁর কমণ্ডলু থেকে পৃথিবীতে জল ছিটিয়ে দেন। আর ঠিক সেই সময়তেই পৃথিবী কাঁপিয়ে আবির্ভূতা হয়েছিলেন দেবী সরস্বতী (Saraswati Puja 2025)। দেবীর হাতে ছিল বীণা, জপমালা ও বই। তখনই দেবীর জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় সারাবিশ্ব জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়। তাই বসন্ত পঞ্চমীর দিন সরস্বতীর বিশেষ পুজো করা হয়। বসন্ত পঞ্চমী জীবনের নতুন শুরুর প্রতীক বলে মনে করা হয়। বসন্ত ঋতুতে ফসল পাকতে শুরু করে। হালকা শীতের মনোরম আবহাওয়ায় প্রকৃতি রঙে ভরে ওঠে, চারিদিক রঙিন ফুলে ঢেকে যায়। গাছে গাছে নতুন পাতা, রঙিন ফুল ও ফল ধারণ করে। এই দিনটিকে নতুন জিনিস শুরু করার জন্য শুভ বলে মনে করা হয়।

  • Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভেও সাধু-সন্তরা পালন করলেন প্রজাতন্ত্র দিবস, উড়ল জাতীয় পতাকা

    Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভেও সাধু-সন্তরা পালন করলেন প্রজাতন্ত্র দিবস, উড়ল জাতীয় পতাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসের উদযাপন হল মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025)। রবিবার ২৬ জানুয়ারি যে ছবি ধরা পরল তাতে দেখা গেল সাধু সন্তরা দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করছেন। মহকুম্ভের একাধিক জায়গাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে দেখা যায় এদিন। সাধু-সন্তদের আখড়াগুলি দেশপ্রেমের অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত হয়। এর পাশাপাশি, এদিন উপস্থিত সাধু-সন্তরা সমবেত কণ্ঠে গাইতে থাকেন জাতীয় সঙ্গীত। দেশের সাধু-সন্তদের এমনভাবে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন সকলে। মহকুম্ভের যে সমস্ত স্থানে রয়েছে গৈরিক ধ্বজ, তার সঙ্গে ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকাও উড়তে দেখা যায় এদিন।

    প্রজাতন্ত্র দিবসের উদযাপন শুরু দণ্ডি স্বামীনগর থেকে (Mahakumbh 2025)

    প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসের উদযাপন শুরু হয় দণ্ডি স্বামীনগর থেকে। যেখানে হাজারেরও বেশি সন্তরা জড়ো হয়েছিলেন দেশের প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করতে। প্রসঙ্গত, দণ্ডি স্বামীনগরের সভাপতি রয়েছেন জগৎগুরু স্বামী মহেশ্বরম। তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তাঁদের সংগঠনের নাম সর্বভারতীয় দণ্ডি স্বামী পরিষদ। প্রজাতন্ত্র দিবসের পতাকা উত্তোলনের পর স্বামী মহেশ্বরম অন্যান্য সন্ন্যাসীদের উদ্দেশ্যে দেশের প্রতি কী কী কর্তব্য তা বলেন। এর পাশাপাশি জাতীয় সংহতি, অখণ্ডতা এবং ঐক্যের জন্য আমাদের কী কী করতে হবে, সে কথাও তিনি বলেন। এর পাশাপাশি তিনি একটি পরিকল্পনারও কথা বলেন যে, দেশের প্রত্যেক গ্রামে একজন করে দণ্ডি স্বামী তিনি পাঠাতে চান। যেখানে তাঁরা দুর্বল হিন্দুদের উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন। এর পাশাপাশি সনাতন ধর্মের (Mahakumbh 2025) প্রচারও করবেন তাঁরা।

    দিকে দিকে শোনা যায় জাতীয় সঙ্গীত (Republic Day)

    প্রজাতন্ত্র দিবসের মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025) দিকে দিকে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে থাকেন সাধুরা। একইসঙ্গে ধ্বনি শোনা যায় হর হর গঙ্গে, হর হর মহাদেব ধ্বনি। গঙ্গা-যমুনার তীর এই ধ্বনিতে মেতে ওঠে। অন্যদিকে শ্রী নিরঞ্জনি আখড়াতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের সভাপতি মহন্ত রবীন্দ্র পুরী। সেখানেও অসংখ্য সন্ন্যাসী এবং ভক্ত হাজির ছিলেন। তাঁরা সমবেত কণ্ঠে গাইতে থাকেন জাতীয় সঙ্গীত। একই সঙ্গে নাগা সাধুদের মহিলা সংগঠন শ্রী পঞ্চদশ নাম সন্ন্যাসী আখড়াও প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করে এদিন।

  • Daily Horoscope 27 January 2025: কোনও ভুল কাজ করার জন্য অনুতপ্ত হবেন এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 27 January 2025: কোনও ভুল কাজ করার জন্য অনুতপ্ত হবেন এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

    মেষ

    ১) ভালো কোনও সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষোভ বাড়তে পারে।

    ২) কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

     

    বৃষ

    ১) ধর্মীয় স্থানে দান করায় শান্তিলাভ।

    ২) কাজের জন্য বাড়ির কেউ বাইরে যাওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

     

    মিথুন

    ১) সুবক্তা হিসেবে সুনাম পেতে পারেন।

    ২) শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

     

    কর্কট

    ১) পড়াশোনার খুব ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

     

    সিংহ

    ১) কোনও ভুল কাজ করার জন্য অনুতপ্ত হবেন।

    ২) সারা দিন ব্যবসা ভালো চললেও পরে জটিলতা দেখা দিতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

     

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ২) নিজের চিকিৎসায় বহু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

     

    তুলা

    ১) কর্মক্ষেত্রে বৈরী মনোভাব ত্যাগ করাই ভাল।

    ২) মামলায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

     

    বৃশ্চিক

    ১) কাজের জায়গায় আঘাত লাগা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সংসারে খুব সংযত থাকতে হবে।

    ৩) আশাপূরণ।

     

    ধনু

    ১) ব্যবসায় ভালো লাভ হতে পারে।

    ২) প্রতিভা প্রকাশের সুযোগ পাবেন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

     

    মকর

    ১) উচ্চপদস্থ কোনও ব্যক্তির অনুগত থাকলে লাভবান হবেন।

    ২) প্রতিবেশীর ঝামেলায় বেশি কথা না বলাই শ্রেয়।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

     

    কুম্ভ

    ১) প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্যের যোগ।

    ২) কুসঙ্গে পড়ে নিজের ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) আশা পূরণ।

     

    মীন

    ১) কোনও যন্ত্র খারাপ হওয়ায় প্রচুর খরচ হতে পারে।

    ২) কর্মে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Padma Shri 2025: গোয়ার ১০০ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রামী, বাংলার অরিজিৎ সিং পাচ্ছেন পদ্মশ্রী

    Padma Shri 2025: গোয়ার ১০০ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রামী, বাংলার অরিজিৎ সিং পাচ্ছেন পদ্মশ্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোয়ার ১০০ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রামী (Republic Day) লিবিয়া লোবো সরদেশাই। গোয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল তাঁর। তিনি একটি রেডিও স্টেশন তৈরি করেছিলেন। নাম ছিল স্বাধীনতার বাণী। পর্তুগিজ শাসনের অবসানের জন্য তিনি গোয়ার জনগণকে একত্রিত করেছিলেন। তাঁর এই অবদানের জন্যই চলতি বছরে তাঁকে দেওয়া হচ্ছে পদ্মশ্রী (Padma Shri 2025) পুরস্কার। দেশের অন্যতম অসামরিক এই সম্মানের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন, চিকিৎসক, কৃষক, যোগ প্রশিক্ষক, ক্রীড়াবিদ-সহ একাধিক ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা ব্যক্তিত্বরা।

    বাংলা থেকে কারা (Padma Shri 2025)

    পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং, ধর্মগুরু স্বামী প্রদীপ্তানন্দ (কার্তিক মহারাজ) পাচ্ছেন পদ্মশ্রী পুরস্কার। ৫৭ বছরে ঢাকি গোকুলচন্দ্র দাসও পাচ্ছেন পদ্ম পুরস্কার। বাংলা থেকে পদ্মশ্রী পেলেন অভিনেত্রী মমতাশঙ্কর, ঢাকি গোকুলচন্দ্র দাস, শিক্ষাবিদ নগেন্দ্রনাথ রায়, শিল্পপতি পবন গোয়েঙ্কা, শিল্পপতি সজ্জন ভজাঙ্কার, শিল্পী তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার এবং সমাজসেবী বিনায়ক লোহানি।

    প্যারা অলিম্পিকে সোনাজয়ী পাচ্ছেন পদ্মশ্রী (Padma Shri 2025)

    দিল্লির স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা.নীরজা ভাটলাও পাচ্ছেন পদ্মশ্রী। হরিয়ানার ‘কাঠিয়ালের একলব্য’ নামে পরিচিত দিব্যাঙ্গ তীরন্দাজ হরবিন্দর সিং। ২০২৪ প্যারা অলিম্পিকে দেশকে সোনা এনে দিয়েছেন তিনি। তিনি পাচ্ছেন পদ্মশ্রী। তালিকায় নাম রয়েছে ভোজপুরের সমাজকর্মী ভীম সিং ভাবেশের। সমাজের অন্যতম প্রান্তিক গোষ্ঠী মুসাহার সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছেন তিনি। দক্ষিণ ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতে ব্যবহৃত থাভিল নামে এক বাদ্যযন্ত্র বিশেষজ্ঞ পি দাতচানামূর্তিও এবার পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন।

    নাগাল্যান্ডের নকলাকের চাষি এল হ্যাঙ্গথিং পাচ্ছেন পদ্মশ্রী

    পদ্মশ্রী (Padma Shri 2025) সম্মানে ভূষিত হচ্ছেন নাগাল্যান্ডের নকলাকের চাষি এল হ্যাঙ্গথিং। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতে বিদেশি ফলের চাষ করছেন তিনি। এবারের পদ্মশ্রী তালিকায় নাম রয়েছে কুয়েতের বাসিন্দা যোগ প্রশিক্ষক শাইখা এ জে আল সাবা-র। কুয়েতের প্রথম লাইসেন্স প্রাপ্ত যোগ প্রশিক্ষক তিনি। হিমাচল প্রদেশের হরিমন শর্মা, অরুণাচলের জুমদে ইয়মগাম গামলিন, অসমের জয়নাচরণ পাথারি, উত্তরাখণ্ডের হিউজ গ্যান্টজার, গুজরাটের সুরেশ সোনিও এবার পদ্মশ্রী পুরস্কার পেলেন।

  • Flag Hoisting and Unfurling: ১৫ অগাস্ট পতাকা ‘উত্তোলন’ এবং ২৬ জানুয়ারি ‘উন্মোচন’, জানুন পার্থক্য

    Flag Hoisting and Unfurling: ১৫ অগাস্ট পতাকা ‘উত্তোলন’ এবং ২৬ জানুয়ারি ‘উন্মোচন’, জানুন পার্থক্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৬ জানুয়ারি এবং ১৫ অগাস্ট। এই দু’টি দিনই ভারতের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Flag Hoisting and Unfurling)। ২৬ জানুয়ারি পালিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবস এবং ১৫ অগাস্ট পালিত হয় স্বাধীনতা দিবস। এই দুই দিনেই জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মানজ্ঞাপন করা হয়। জাতীয় পতাকা ভারতবর্ষের (India) অস্মিতার প্রতীক। গর্বের প্রতীক। জাতীয়তাবোধের প্রতীক। ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। এক কথায় ভারত রাষ্ট্রকে বিশ্বের সামনে প্রতিনিধিত্ব করে জাতীয় পতাকা। জাতীয় পতাকার সঙ্গে ভারতবাসীর এক আবেগ মিশে আছে। যে কোনও জায়গায় জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হতে দেখলেই আমাদের মধ্যে এক অন্য অনুভূতি জেগে ওঠে। ভারতীয় হিসেবে গর্বিত ভাব স্পন্দিত হয়। জাতীয় পতাকা নিয়ে উৎসবে দেশবাসী মেতে ওঠে দুটি দিনে ১৫ অগাস্ট এবং ২৬ জানুয়ারি। একথা সকলেরই জানা। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট দেশ স্বাধীন (Flag Hoisting and Unfurling) হয়েছিল। আত্মপ্রকাশ করেছিল এক সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে। অন্যদিকে, ২৬ জানুয়ারি ১৯৫০ সালে কার্যকর হয় ভারতবর্ষের সংবিধান। সেদিনটি পালন করা হয় প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে। এই দুইদিনে জাতীয় পতাকা নিয়ে উৎসব দেখা যায়।

    ‘উত্তোলন’ এবং ‘উন্মোচন’ (Flag Hoisting and Unfurling)

    কিন্তু এই দু’টি দিনেই জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান দেখানোর পদ্ধতির পার্থক্য আছে। ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন পতাকা নীচে থেকে ওপর পর্যন্ত তোলা হয়। একে বলা হয় উত্তোলন আর ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন পতাকা ওপরেই বাঁধা থাকে ভাঁজ করা অবস্থায়, সেখান থেকে পতাকাকে মুক্ত করা হয়। একে বলে উন্মোচন। ইংরেজি অনুযায়ী প্রথমটিকে বলা হয় ‘Hoist’, আর দ্বিতীয় পদ্ধতিটিকে ‘Unfurl’। বাংলা করে হবে ‘উত্তোলন’ এবং ‘উন্মোচন’।

    ‘উত্তোলন’ এবং ‘উন্মোচন’-এর ব্যাখা (Flag Hoisting and Unfurling)

    ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ভারত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। জানা যায়, এই কারণে স্বাধীনতা দিবসে নীচে থেকে পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরবর্তীকালে ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ছিল প্রজাতন্ত্র দিবস। তত দিন ভারত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েই গিয়েছিল। তাই জাতীয় পতাকা প্রজাতন্ত্র দিবসে ওপরেই বাঁধা থাকে। জানা যায়, ২৬ জানুয়ারি পতাকার উন্মোচন করা হয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতের ডানা মেলার প্রতীক হিসেবে। ১৫ অগাস্ট ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ঐতিহাসিক লালকেল্লায়। ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের উৎসব ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে মর্যাদা দিতে এবং ঔপনিবেশিক শাসনের হাত থেকে ভারতের মুক্তিলাভের দিনকে স্মরণ করতেই পালন করা হয় (Flag Hoisting and Unfurling)। এই সময়ে পতাকা, দণ্ডের নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত টেনে তোলা হয়।

    ১৫ অগাস্ট

    প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলনের পদ্ধতি ১৯৪৭ সাল থেকেই দেখা যায়, কারণ ওই বছরেই ভারত সার্বভৌমত্ব লাভ করেছিল এবং ভারত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। স্বাধীনতা দিবসের পতাকা উত্তোলনের সঙ্গে সঙ্গে বেজে ওঠে জাতীয় সঙ্গীত জনগণ মন অধিনায়ক জয় হে। এই সময়ে জাতীয় পতাকার মধ্যে থাকা পুষ্প ঝরতে থাকে। পতাকা সংযুক্ত করা থাকে একটি দড়ির সঙ্গে। পরবর্তীকালে ওই দড়ি টেনে পতাকাকে নিচে থেকে ওপরে তোলা হয়। পতাকা উত্তোলন হল দেশের মর্যাদার প্রতীক। পরবর্তীকালে পতাকা যখন ওপরে যায়, তখন সেটিকে উন্মোচিত করা হয় এবং তার মধ্যে থাকা পুষ্প ঝরে পড়ে।

    ২৬ জানুয়ারি

    অন্যদিকে, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন পতাকা (Flag Hoisting and Unfurling) কিন্তু নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত টেনে তোলা হয় না। পতাকা ওপরেই বাঁধা থাকে। সেই পতাকাকেই উন্মোচিত করা হয়। পতাকার মধ্যে থাকা পুষ্প ঝরে পড়ে। তার কারণ হল, ভারতবর্ষ প্রজাতন্ত্র দিবসের আগেই স্বাধীনতা পেয়েছে। ২৬ জানুয়ারি ভারত আত্মপ্রকাশ করে প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে। তাই সেই প্রতীক হিসেবেই পতাকা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালে ২৬ জানুয়ারি ভারতীয় সংবিধানকে গ্রহণ করা হয়েছিল। এই দিনে ভারতবর্ষ একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দিনেই ভারতের রাষ্ট্রপতি কর্তব্যপথে পতাকাকে উন্মোচিত করেন।

    ১৫ অগাস্ট ও ২৬ জানুয়ারির পার্থক্য

    এক কথায় বলতে গেলে, ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনেই তৈরি হয়েছিল দেশের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো এবং সংবিধান। তাই পতাকা উন্মোচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের যে আত্মপ্রকাশ, সেটাকেই প্রচার করা হয়। রাষ্ট্রপতি জাতীয় পতাকাকে উন্মোচিত করেন। এর মাধ্যমেই ডানা মেলে ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ভারতের অগ্রগতি, ভারতের গণতন্ত্র এবং দেশের সেনাবাহিনী সাফল্য।

    ২৬ জানুয়ারি পতাকা একেবারে ওপরেই বাঁধা থাকে। এই পতাকাকে পরবর্তীকালে উন্মোচিত করেন। রাষ্ট্রপতি যখনই দড়িতে টান দেন পতাকা উন্মোচিত হয়। তার মধ্যে থাকা পুষ্প ঝরে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় সংগীত বেজে ওঠে। এর পরেই সম্পন্ন হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান।

    পার্থক্যগুলি যদি আমরা এবার ভালোমতো দেখি তাহলে দেখব-

    স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলন করা হয় ১৫ অগাস্ট

    প্রজাতন্ত্র দিবসে পতাকা উন্মোচন করা হয় ২৬ জানুয়ারি

    নিচে থেকে ওপর পর্যন্ত পতাকা টেনে তোলা হয় ১৫ অগাস্ট। অন্যদিকে, ২৬ জানুয়ারি পতাকাকে উন্মোচন করা হয়।

    স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলন করা হয় ঔপনিবেশিক শাসনের হাত থেকে ভারত রাষ্ট্রের মুক্তির প্রতীক হিসেবে। ২৬ জানুয়ারি পতাকা উন্মোচন করা হয় সংবিধান গ্রহণের দিবস হিসেবে।

    ১৫ অগাস্টের উৎসব পালন করা হয় দিল্লির লালকেল্লায়। ২৬ জানুয়ার জানুয়ারি উৎসব পালন করা হয়, দিল্লির কর্তব্যপথে।

    ১৫ অগাস্ট পতাকা উত্তোলন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ২৬ জানুয়ারি পতাকা উন্মোচন করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।

    প্রসঙ্গত, পতাকা উত্তোলন এবং উন্মোচন। এই পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় ভারতের স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতন্ত্র দিবসে। কিন্তু দুটি উৎসবই সাক্ষী থাকে ভারতের জাতীয় অগ্রগতি এবং সার্বভৌমত্বের। আলাদাভাবেই দুই দিবসকে পালন করা হয়। স্বাধীনতা দিবসে জোর দেওয়া হয় ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকে। প্রজাতন্ত্র দিবসে জোর দেওয়া হয় ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর।

    অঙ্গরাজ্যগুলি ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতেও অনুষ্ঠিত হয় এই দুটি দিন

    প্রসঙ্গত, নয়া দিল্লিতে কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠান হয়। একইসঙ্গে ভারতবর্ষের অঙ্গরাজ্যগুলি ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতেও এই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে প্রজাতন্ত্র দিবসে পতাকা উন্মোচন করা হয়। স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলন করা হয়। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই কাজ করেন রাজ্যপাল। অন্যদিকে, রাজ্যের ক্ষেত্রে এই কাজ করেন সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

    গতবছর কেন্দ্রের নির্দেশিকা

    এর বাইরে দেশের নাগরিকরাও এই দুই দিনেই জাতীয় পতাকা নিয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন। গত বছরে কেন্দ্রের তরফে এক নির্দেশিকা সামনে আসে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে। সেখানে বলা হয়, প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতীয়, সাংস্কৃতিক, খেলার বিভিন্ন ইভেন্টে কেউ যাতে কাগজের তৈরি পতাকাগুলি যত্রতত্র ফেলে না দেয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। জাতীয় পতাকাকে কী ভাবে সম্মানের সঙ্গে রাখতে হবে, তার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মন্ত্রকের তরফে। নির্দেশ বলা হয়েছে, ইভেন্ট মেটার পর জাতীয় পতাকাকে যাতে সম্মানের সঙ্গে সরিয়ে ফেলা হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও জনগণের মধ্যে এনিয়ে সচেতনতার প্রচার চালাতে হবে। প্রয়োজনে বৈদ্যুতিন ও মুদ্রণ মাধ্যমেও এনিয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে।

LinkedIn
Share